নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ক্রমাগতভাবে, বিভিন্ন ধরনের দুর্বল নীতি গ্রহণের মাধ্যমে ঋণ সহায়তা, শুল্কনীতি, জ্বালানি-উৎস পরিবর্তন ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার মতো বিষয়গুলোতে প্রত্যাশিত অবদান রাখতে জি–২০ জোটের ব্যর্থতা লক্ষ্য করা গেছে। আজ শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন। জি-২০ জোটের নেতৃবৃন্দকে ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে এই কর্মসূচির আয়োজন করে আসিয়ান পিপলস মুভমেন্ট অন ডেট এন্ড ডেভেলপমেন্ট (এপিএমডিডি)।
মানববন্ধনে দেশে মানবিক বিপর্যয় ডেকে আনার অধিকার জি-২০ দেশ সমূহের নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল। তিনি বলেন, ‘পরিবেশ দূষণকারী শিল্প কারখানা তাদের দেশে না করে আমাদের দেশে চাপিয়ে দিক তা আমরা চাই না। বাংলাদেশে যখন পরিবেশ বিপর্যয় হয়, তা এক সময় মানবিক বিপর্যয়ে রূপ নেয়।’
মানববন্ধনে শরীফ জামিল আরও বলেন, ‘এই অঞ্চলের মানুষের মনের অভিব্যক্তি ও অভিজ্ঞতা তারা যদি না নেয়, তাহলে অনেক ভুল করবে। তাদের উন্নয়ন পরিকল্পনা বুমেরাং হয়ে তাদের জন্য দেখা দেবে। তাদের উচিত হবে আমাদের দেশে যে ঋণ দেয়, অর্থনৈতিক সহযোগিতা দেয় সেগুলো যেন জলবায়ু বিপর্যয়ের জন্য ঐতিহাসিক ক্ষতিপূরণের ভিত্তিতে হয়। আমরা ঋণ চায় না, জলবায়ু পরিবর্তনের ঐতিহাসিক ক্ষতিপূরণ চাই। আমরা চাই, তারা আমাদের জনশক্তিকে ব্যবহার করে স্থায়ীত্বশীল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড গ্রহণ করতে আমাদের দেশকে সহযোগিতা করবে।’
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’ স্লোগানকে সামনে রেখে বিশ্বের শক্তিশালী অর্থনীতির ১৯টি দেশ ও ইইউর সমন্বয়ে গঠিত আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরাম জি-২০ এ বছরের ৯-১০ সেপ্টেম্বর ভারতে তাদের বার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করতে যাচ্ছে। ১৯৯৯ সালে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে গঠিত হওয়া এই অর্থনৈতিক জোটটি আন্তর্দেশীয় সহায়তা বৃদ্ধি ও সঠিক নীতি নির্ধারণে অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর বাণিজ্য, স্বাস্থ্য, জলবায়ু ও সমসাময়িক অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু অপর্যাপ্ত তৎপরতার কারণে জি-২০ জোট তাদের প্রতিশ্রুত ইতিবাচক পরিবর্তন সাধনে বারবার ব্যর্থ হচ্ছে।
এ সময় পরিবেশ বিষয়ক মূকাভিনয় প্রদর্শন করে ঢাকা ইউনিভার্সিটি মাইম অ্যাকশন। এরপর বাংলাদেশ সাইকেল লেন বাস্তবায়ন পরিষদের প্রায় শতাধিক সাইক্লিস্ট একটি র্যালির আয়োজন করে।
এসব কর্মসূচিতে সহযোগী সংগঠনের মধ্যে ছিল ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, ইকুইটি বিডি, ইয়ুথ নেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস, সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট, ব্রতী, গ্লোবাল ল’থিংকার্স সোসাইটি, বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশন, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন।
অনুষ্ঠানে ব্রতীর প্রধান নির্বাহী শারমিন মুরশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি এ.এস.এম. বদরুল আলম, কোস্ট ফাউন্ডেশনের উপনির্বাহী পরিচালক সনৎ কুমার ভৌমিক, সিপিআরডির প্রধান নির্বাহী মো. শামসুদ্দোহা, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সদস্য এমএস সিদ্দিকী, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র প্রমুখ।

ক্রমাগতভাবে, বিভিন্ন ধরনের দুর্বল নীতি গ্রহণের মাধ্যমে ঋণ সহায়তা, শুল্কনীতি, জ্বালানি-উৎস পরিবর্তন ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার মতো বিষয়গুলোতে প্রত্যাশিত অবদান রাখতে জি–২০ জোটের ব্যর্থতা লক্ষ্য করা গেছে। আজ শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন। জি-২০ জোটের নেতৃবৃন্দকে ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে এই কর্মসূচির আয়োজন করে আসিয়ান পিপলস মুভমেন্ট অন ডেট এন্ড ডেভেলপমেন্ট (এপিএমডিডি)।
মানববন্ধনে দেশে মানবিক বিপর্যয় ডেকে আনার অধিকার জি-২০ দেশ সমূহের নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল। তিনি বলেন, ‘পরিবেশ দূষণকারী শিল্প কারখানা তাদের দেশে না করে আমাদের দেশে চাপিয়ে দিক তা আমরা চাই না। বাংলাদেশে যখন পরিবেশ বিপর্যয় হয়, তা এক সময় মানবিক বিপর্যয়ে রূপ নেয়।’
মানববন্ধনে শরীফ জামিল আরও বলেন, ‘এই অঞ্চলের মানুষের মনের অভিব্যক্তি ও অভিজ্ঞতা তারা যদি না নেয়, তাহলে অনেক ভুল করবে। তাদের উন্নয়ন পরিকল্পনা বুমেরাং হয়ে তাদের জন্য দেখা দেবে। তাদের উচিত হবে আমাদের দেশে যে ঋণ দেয়, অর্থনৈতিক সহযোগিতা দেয় সেগুলো যেন জলবায়ু বিপর্যয়ের জন্য ঐতিহাসিক ক্ষতিপূরণের ভিত্তিতে হয়। আমরা ঋণ চায় না, জলবায়ু পরিবর্তনের ঐতিহাসিক ক্ষতিপূরণ চাই। আমরা চাই, তারা আমাদের জনশক্তিকে ব্যবহার করে স্থায়ীত্বশীল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড গ্রহণ করতে আমাদের দেশকে সহযোগিতা করবে।’
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’ স্লোগানকে সামনে রেখে বিশ্বের শক্তিশালী অর্থনীতির ১৯টি দেশ ও ইইউর সমন্বয়ে গঠিত আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরাম জি-২০ এ বছরের ৯-১০ সেপ্টেম্বর ভারতে তাদের বার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করতে যাচ্ছে। ১৯৯৯ সালে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে গঠিত হওয়া এই অর্থনৈতিক জোটটি আন্তর্দেশীয় সহায়তা বৃদ্ধি ও সঠিক নীতি নির্ধারণে অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর বাণিজ্য, স্বাস্থ্য, জলবায়ু ও সমসাময়িক অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু অপর্যাপ্ত তৎপরতার কারণে জি-২০ জোট তাদের প্রতিশ্রুত ইতিবাচক পরিবর্তন সাধনে বারবার ব্যর্থ হচ্ছে।
এ সময় পরিবেশ বিষয়ক মূকাভিনয় প্রদর্শন করে ঢাকা ইউনিভার্সিটি মাইম অ্যাকশন। এরপর বাংলাদেশ সাইকেল লেন বাস্তবায়ন পরিষদের প্রায় শতাধিক সাইক্লিস্ট একটি র্যালির আয়োজন করে।
এসব কর্মসূচিতে সহযোগী সংগঠনের মধ্যে ছিল ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, ইকুইটি বিডি, ইয়ুথ নেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস, সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট, ব্রতী, গ্লোবাল ল’থিংকার্স সোসাইটি, বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশন, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন।
অনুষ্ঠানে ব্রতীর প্রধান নির্বাহী শারমিন মুরশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি এ.এস.এম. বদরুল আলম, কোস্ট ফাউন্ডেশনের উপনির্বাহী পরিচালক সনৎ কুমার ভৌমিক, সিপিআরডির প্রধান নির্বাহী মো. শামসুদ্দোহা, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সদস্য এমএস সিদ্দিকী, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র প্রমুখ।

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সেরার খালের ওপর কোটি টাকা বরাদ্দে একটি সেতু নির্মাণ করা হয় বছরখানেক আগে। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় ঝুঁকি নিয়ে মই বেয়ে সেতু পারাপার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে পড়েন বৃদ্ধ, নারী ও স্কুলগামী শিশুরা।
২ ঘণ্টা আগে
প্রায় চার দশক শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে বগুড়ার শেরপুরে খামারকান্দি ইউনিয়নের হুসনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। কিন্তু প্রতিনিয়ত ঝুঁকিপূর্ণ প্রবেশপথ দিয়ে প্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়া করতে হয় শিক্ষার্থীদের। এতে যেকোনো সময় মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
২ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাঠে নেই কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। ফলে ১৭ বছর পর বরিশালের ৬টি আসনে জয়ের ব্যাপারে অনেকটাই আশাবাদী বিএনপি। তবে নির্বাচনের মাঠে এক বছর আগে থেকে তৎপর থাকা জামায়াতে ইসলামী খানিকটা সুবিধা পাবে বলে মনে করছেন অনেকে।
২ ঘণ্টা আগে
খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দর প্রকল্পের জন্য অন্তত তিনটি পাহাড় সাবাড় করা হয়েছে। স্থলবন্দর প্রকল্প এলাকা ভরাটে এসব পাহাড়ের লাল মাটি ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। বালুর পরিবর্তে মাটি ব্যবহার করায় শতকোটি টাকার এ প্রকল্পের মান ও স্থায়িত্ব নিয়ে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেরাতুল মণ্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর)

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সেরার খালের ওপর কোটি টাকা বরাদ্দে একটি সেতু নির্মাণ করা হয় বছরখানেক আগে। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় ঝুঁকি নিয়ে মই বেয়ে সেতু পারাপার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে পড়েন বৃদ্ধ, নারী ও স্কুলগামী শিশুরা। সংযোগ সড়ক না থাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা টাকা তুলে এই মইয়ের ব্যবস্থা করে।
প্রকল্পের ঠিকাদারের দাবি, মাটি না পাওয়ায় তাঁরা সংযোগ সড়ক নির্মাণ করতে পারেননি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গোসিঙ্গা ইউনিয়নের চাওবন ও রাজাবাড়ি ইউনিয়নের ডোয়াইবাড়ি গ্রামের মধ্যে সড়ক যোগাযোগের সুবিধার্থে সেরার খালের ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। চলতি বছরের শুরুতে কাজ শুরু হয়ে আড়াই থেকে তিন মাসের মধ্যে শেষ হয়। প্রকল্পটির জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ১ কোটি ৭ লাখ টাকা। ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ১৪ ফুট প্রস্থের সেতুটি নির্মাণের কার্যাদেশ পায় মিথুন এন্টারপ্রাইজ। প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়।
চাওবন গ্রামের বাসিন্দা নিজামুদ্দিন প্রতিবেদককে সেতু দেখিয়ে বলেন, ‘দেখুন তো, কত ফুট উঁচুতে সেতু। কত লম্বা মই। দেখলেই ভয় লাগে।’
স্কুলশিক্ষার্থী নাজমুল বলে, ‘এমন একটি সেতু নির্মাণ করা হলো, যে সেতুতে নিজে নিজে পার হতে পারি না। মা-বাবাকে সঙ্গে আনতে হয়। আমাদের এক সহপাঠী মই থেকে নিচে পড়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শরীরে রড ঢুকে মারাত্মক আহত হয়েছে। যে লম্বা মই বেয়ে উঠতে হয়, দেখলে ভয়ে পা কাঁপতে থাকে।’ বানু বেগম বলেন, ‘আমি বয়স্ক মানুষ। সেতুটি হামাগুড়ি দিয়ে পার হতে হয়।’
প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মিথুন এন্টারপ্রাইজের মালিক আশরাফুল ইসলাম বলেন, সেতুর কাজ শেষ হয়েছে। মাটির সংকটে সংযোগ সড়ক করা সম্ভব হয়নি।
শ্রীপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইশতিয়াক হোসাইন উজ্জ্বল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঠিকাদারের সঙ্গে কথা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ করা হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজীব আহমেদ বলেন, ‘ঠিকাদারকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংযোগ সড়কের নির্মাণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সেরার খালের ওপর কোটি টাকা বরাদ্দে একটি সেতু নির্মাণ করা হয় বছরখানেক আগে। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় ঝুঁকি নিয়ে মই বেয়ে সেতু পারাপার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে পড়েন বৃদ্ধ, নারী ও স্কুলগামী শিশুরা। সংযোগ সড়ক না থাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা টাকা তুলে এই মইয়ের ব্যবস্থা করে।
প্রকল্পের ঠিকাদারের দাবি, মাটি না পাওয়ায় তাঁরা সংযোগ সড়ক নির্মাণ করতে পারেননি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গোসিঙ্গা ইউনিয়নের চাওবন ও রাজাবাড়ি ইউনিয়নের ডোয়াইবাড়ি গ্রামের মধ্যে সড়ক যোগাযোগের সুবিধার্থে সেরার খালের ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। চলতি বছরের শুরুতে কাজ শুরু হয়ে আড়াই থেকে তিন মাসের মধ্যে শেষ হয়। প্রকল্পটির জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ১ কোটি ৭ লাখ টাকা। ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ১৪ ফুট প্রস্থের সেতুটি নির্মাণের কার্যাদেশ পায় মিথুন এন্টারপ্রাইজ। প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়।
চাওবন গ্রামের বাসিন্দা নিজামুদ্দিন প্রতিবেদককে সেতু দেখিয়ে বলেন, ‘দেখুন তো, কত ফুট উঁচুতে সেতু। কত লম্বা মই। দেখলেই ভয় লাগে।’
স্কুলশিক্ষার্থী নাজমুল বলে, ‘এমন একটি সেতু নির্মাণ করা হলো, যে সেতুতে নিজে নিজে পার হতে পারি না। মা-বাবাকে সঙ্গে আনতে হয়। আমাদের এক সহপাঠী মই থেকে নিচে পড়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শরীরে রড ঢুকে মারাত্মক আহত হয়েছে। যে লম্বা মই বেয়ে উঠতে হয়, দেখলে ভয়ে পা কাঁপতে থাকে।’ বানু বেগম বলেন, ‘আমি বয়স্ক মানুষ। সেতুটি হামাগুড়ি দিয়ে পার হতে হয়।’
প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মিথুন এন্টারপ্রাইজের মালিক আশরাফুল ইসলাম বলেন, সেতুর কাজ শেষ হয়েছে। মাটির সংকটে সংযোগ সড়ক করা সম্ভব হয়নি।
শ্রীপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইশতিয়াক হোসাইন উজ্জ্বল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঠিকাদারের সঙ্গে কথা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ করা হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজীব আহমেদ বলেন, ‘ঠিকাদারকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংযোগ সড়কের নির্মাণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

ক্রমাগতভাবে, বিভিন্ন ধরনের দুর্বল নীতি গ্রহণের মাধ্যমে ঋণ সহায়তা, শুল্কনীতি, জ্বালানি-উৎস পরিবর্তন ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার মতো বিষয়গুলোতে প্রত্যাশিত অবদান রাখতে জি–২০ জোটের ব্যর্থতা লক্ষ্য করা গেছে। আজ শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
প্রায় চার দশক শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে বগুড়ার শেরপুরে খামারকান্দি ইউনিয়নের হুসনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। কিন্তু প্রতিনিয়ত ঝুঁকিপূর্ণ প্রবেশপথ দিয়ে প্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়া করতে হয় শিক্ষার্থীদের। এতে যেকোনো সময় মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
২ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাঠে নেই কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। ফলে ১৭ বছর পর বরিশালের ৬টি আসনে জয়ের ব্যাপারে অনেকটাই আশাবাদী বিএনপি। তবে নির্বাচনের মাঠে এক বছর আগে থেকে তৎপর থাকা জামায়াতে ইসলামী খানিকটা সুবিধা পাবে বলে মনে করছেন অনেকে।
২ ঘণ্টা আগে
খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দর প্রকল্পের জন্য অন্তত তিনটি পাহাড় সাবাড় করা হয়েছে। স্থলবন্দর প্রকল্প এলাকা ভরাটে এসব পাহাড়ের লাল মাটি ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। বালুর পরিবর্তে মাটি ব্যবহার করায় শতকোটি টাকার এ প্রকল্পের মান ও স্থায়িত্ব নিয়ে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেশেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রায় চার দশক শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে বগুড়ার শেরপুরে খামারকান্দি ইউনিয়নের হুসনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। কিন্তু প্রতিনিয়ত ঝুঁকিপূর্ণ প্রবেশপথ দিয়ে প্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়া করতে হয় শিক্ষার্থীদের। এতে যেকোনো সময় মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের উত্তর ও দক্ষিণ পাশে রয়েছে দুটি বড় ও গভীর পুকুর। এই দুই পুকুরের মাঝের একমাত্র সরু মাটির পাড় দিয়েই কমপক্ষে ১২৫ শিশুশিক্ষার্থীকে স্কুলে যাতায়াত করতে হয়। স্থানীয়রা জানান, পুকুরগুলোর গভীরতা প্রায় ৮-১০ ফুট। বর্ষাকাল বা সামান্য বৃষ্টিতেই মাটির পথ পিচ্ছিল ও কাদায় একাকার হয়ে যায়। পাড় ভাঙার কারণে রাস্তা এত সংকীর্ণ হয়ে গেছে যে, পাশাপাশি দুজনে হাঁটাও দায়। অভিভাবক ও স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, যেকোনো মুহূর্তে পাড় ধসে বা পা পিছলে শিক্ষার্থীরা পুকুরে পড়ে যেতে পারে।
প্রতষ্ঠানটির পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ওসমান গণি বলে, ‘স্কুলে আসার সময় খুব ভয় লাগে। রাস্তাটা অনেক চিকন, একটু এদিক-ওদিক হলেই পুকুরে পড়ে যাই। বর্ষাকালে তো আসা সম্ভব হয় না।’
চতুর্থ শ্রেণির ফাতেমা খাতুন এবং তৃতীয় শ্রেণির রিফাত হোসেন বলে, ‘পুকুরের পাড় অনেক উঁচু ও খাড়া। চলাচল করতে করতে অভ্যাস হয়ে গেছে; কিন্তু ভয় করে।’
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ফারিহা খাতুন ও জান্নাত ইসলাম জানায়, পথটি পার হতে তাদের অনেক কষ্ট এবং ভয় হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. রুবেল বলেন, বিদ্যালয়টিতে যাতায়াতের এই পথ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। অনেক সময় বাচ্চারা পুকুরে পড়ে যায়। বর্ষাকালে ভয়ে তারা স্কুলে যেতে চায় না। যেকোনো সময় মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
জানতে চাইলে পুকুরের মালিক আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আগে থেকেই এখানে পুকুর ও জঙ্গল ছিল। উত্তরের পুকুর ১ একর ৩৯ শতক, অন্যটি ৮২ শতক। পুকুর দুটির গভীরতা ৮-১০ ফুট। যেহেতু স্কুলের নিজস্ব কোনো রাস্তা নেই, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রশাসন বা স্কুল কর্তৃপক্ষ যদি এখানে গাইড ওয়াল নির্মাণ বা রাস্তা প্রশস্ত করতে চায়, আমি পূর্ণ সহযোগিতা করব।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদা খাতুন বলেন, ‘রাস্তার কারণে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়মুখী হতে চায় না। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি।’
শেরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা জানান, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে। দ্রুত সরেজমিনে বিদ্যালয় পরিদর্শন করা হবে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গাইড ওয়াল নির্মাণ বা ঝুঁকি এড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ আহমেদ বলেন, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য প্রতিনিধি পাঠানো হবে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

প্রায় চার দশক শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে বগুড়ার শেরপুরে খামারকান্দি ইউনিয়নের হুসনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। কিন্তু প্রতিনিয়ত ঝুঁকিপূর্ণ প্রবেশপথ দিয়ে প্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়া করতে হয় শিক্ষার্থীদের। এতে যেকোনো সময় মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের উত্তর ও দক্ষিণ পাশে রয়েছে দুটি বড় ও গভীর পুকুর। এই দুই পুকুরের মাঝের একমাত্র সরু মাটির পাড় দিয়েই কমপক্ষে ১২৫ শিশুশিক্ষার্থীকে স্কুলে যাতায়াত করতে হয়। স্থানীয়রা জানান, পুকুরগুলোর গভীরতা প্রায় ৮-১০ ফুট। বর্ষাকাল বা সামান্য বৃষ্টিতেই মাটির পথ পিচ্ছিল ও কাদায় একাকার হয়ে যায়। পাড় ভাঙার কারণে রাস্তা এত সংকীর্ণ হয়ে গেছে যে, পাশাপাশি দুজনে হাঁটাও দায়। অভিভাবক ও স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, যেকোনো মুহূর্তে পাড় ধসে বা পা পিছলে শিক্ষার্থীরা পুকুরে পড়ে যেতে পারে।
প্রতষ্ঠানটির পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ওসমান গণি বলে, ‘স্কুলে আসার সময় খুব ভয় লাগে। রাস্তাটা অনেক চিকন, একটু এদিক-ওদিক হলেই পুকুরে পড়ে যাই। বর্ষাকালে তো আসা সম্ভব হয় না।’
চতুর্থ শ্রেণির ফাতেমা খাতুন এবং তৃতীয় শ্রেণির রিফাত হোসেন বলে, ‘পুকুরের পাড় অনেক উঁচু ও খাড়া। চলাচল করতে করতে অভ্যাস হয়ে গেছে; কিন্তু ভয় করে।’
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ফারিহা খাতুন ও জান্নাত ইসলাম জানায়, পথটি পার হতে তাদের অনেক কষ্ট এবং ভয় হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. রুবেল বলেন, বিদ্যালয়টিতে যাতায়াতের এই পথ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। অনেক সময় বাচ্চারা পুকুরে পড়ে যায়। বর্ষাকালে ভয়ে তারা স্কুলে যেতে চায় না। যেকোনো সময় মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
জানতে চাইলে পুকুরের মালিক আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আগে থেকেই এখানে পুকুর ও জঙ্গল ছিল। উত্তরের পুকুর ১ একর ৩৯ শতক, অন্যটি ৮২ শতক। পুকুর দুটির গভীরতা ৮-১০ ফুট। যেহেতু স্কুলের নিজস্ব কোনো রাস্তা নেই, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রশাসন বা স্কুল কর্তৃপক্ষ যদি এখানে গাইড ওয়াল নির্মাণ বা রাস্তা প্রশস্ত করতে চায়, আমি পূর্ণ সহযোগিতা করব।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদা খাতুন বলেন, ‘রাস্তার কারণে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়মুখী হতে চায় না। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি।’
শেরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা জানান, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে। দ্রুত সরেজমিনে বিদ্যালয় পরিদর্শন করা হবে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গাইড ওয়াল নির্মাণ বা ঝুঁকি এড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ আহমেদ বলেন, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য প্রতিনিধি পাঠানো হবে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ক্রমাগতভাবে, বিভিন্ন ধরনের দুর্বল নীতি গ্রহণের মাধ্যমে ঋণ সহায়তা, শুল্কনীতি, জ্বালানি-উৎস পরিবর্তন ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার মতো বিষয়গুলোতে প্রত্যাশিত অবদান রাখতে জি–২০ জোটের ব্যর্থতা লক্ষ্য করা গেছে। আজ শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সেরার খালের ওপর কোটি টাকা বরাদ্দে একটি সেতু নির্মাণ করা হয় বছরখানেক আগে। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় ঝুঁকি নিয়ে মই বেয়ে সেতু পারাপার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে পড়েন বৃদ্ধ, নারী ও স্কুলগামী শিশুরা।
২ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাঠে নেই কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। ফলে ১৭ বছর পর বরিশালের ৬টি আসনে জয়ের ব্যাপারে অনেকটাই আশাবাদী বিএনপি। তবে নির্বাচনের মাঠে এক বছর আগে থেকে তৎপর থাকা জামায়াতে ইসলামী খানিকটা সুবিধা পাবে বলে মনে করছেন অনেকে।
২ ঘণ্টা আগে
খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দর প্রকল্পের জন্য অন্তত তিনটি পাহাড় সাবাড় করা হয়েছে। স্থলবন্দর প্রকল্প এলাকা ভরাটে এসব পাহাড়ের লাল মাটি ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। বালুর পরিবর্তে মাটি ব্যবহার করায় শতকোটি টাকার এ প্রকল্পের মান ও স্থায়িত্ব নিয়ে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেবরিশালের ৬ আসন
খান রফিক, বরিশাল

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাঠে নেই কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। ফলে ১৭ বছর পর বরিশালের ৬টি আসনে জয়ের ব্যাপারে অনেকটাই আশাবাদী বিএনপি। তবে নির্বাচনের মাঠে এক বছর আগে থেকে তৎপর থাকা জামায়াতে ইসলামী খানিকটা সুবিধা পাবে বলে মনে করছেন অনেকে। মাঠপর্যায়ের তথ্য বলছে, অন্তত ৪টি আসনে জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে বিএনপি।
বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া)
এ আসনে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য (২০০১) জহির উদ্দিন স্বপন এবারও দলটির সম্ভাব্য প্রার্থী। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের রাসেল সরদার (মেহেদী) এবং জামায়াতে ইসলামীর কামরুল ইসলাম খান। আট দলীয় জোট থেকে মনোনয়ন পেলে এ আসনে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন রাসেল। তবে এই সমীকরণ বদলে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বিএনপির নির্বাহী সদস্য প্রকৌশলী আব্দুস সোবাহানকে ঘিরে। কারণ, বিএনপির অন্য সম্ভাব্য প্রার্থীরা সরে দাঁড়ালেও মাঠ ছাড়েননি সোবাহান। তাঁর অনুসারীরা দিনরাত সভা সমাবেশ করে যাচ্ছেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা স্বপনকে প্রত্যাখ্যান করে ২০০১ সালের নির্যাতনের কথা মনে করিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভও করেছে। এ ছাড়া সোবাহানের প্রতি সমর্থন দিচ্ছেন মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপির আরও দুই নেতা আকন কুদ্দুসুর রহমান এবং কামরুল ইসলাম সজল। ফলে জোর গুঞ্জন চলছে, এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন সোবাহান। ভোটের হিসাব বলছে, আওয়ামী সমর্থক ও সংখ্যালঘুদের ভোট এই আসনের বড় ফ্যাক্টর। তাঁরা যে প্রার্থীকে ভোট দেবেন, তিনিই হবেন বিজয়ী।
এ বিষয়ে প্রকৌশলী আব্দুস সোবাহান বলেন, ‘২০০১ সালে এমপি হয়ে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করেছেন স্বপন। যে কারণে হিন্দুরা বিক্ষোভ করে তাঁর মনোনয়ন বাতিল চেয়েছেন। অন্য যাঁরা মনোনয়ন চেয়েছিলেন, তাঁরাও আমার সঙ্গে আছেন। ২০০৮ সালে আমি যখন বিএনপির প্রার্থী হলাম, তখন উনি বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে ২০৩ ভোট পান। এরপর ১/১১-এ সংস্কারপন্থী হয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে অবস্থান নেন এই স্বপন। এখন জনগণ যেটা চাইবে, সেটাই করব।’ স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন কি না, জানতে চাইলে বলেন, ‘আমি মাঠে আছি। জনগণের চাওয়াই আমার চাওয়া।’
এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার জহির উদ্দিন স্বপনের মোবাইলে কল দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।
বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া)
এ আসনে বিএনপির প্রার্থী এস সরফুদ্দিন সান্টু। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে আছেন, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আব্দুল মান্নান এবং ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য নেছার উদ্দিন। জামায়াতের আব্দুল মান্নান প্রচারণায় বেশ এগিয়ে আছেন। তবে আসনটিতে সব হিসেবনিকাশ উল্টে যেতে পারে সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভি দেশে ফিরতে পারলে। তাঁর ঘনিষ্ঠ জেপির উজিরপুরের সাবেক সভাপতি সামসুল হক বলেন, ‘মাকে দেখার জন্য দেশে আসতে ২৪ নভেম্বর ট্রাভেল পাস চেয়ে বাংলাদেশ এম্বাসির কাছে আবেদন করেছেন। কিন্তু এখনো সাড়া পাননি। অভি দেশে ফেরার চেষ্টা করছেন।’
বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী)
আসনটিতে বিএনপির প্রার্থী দলের ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন জামায়াতের বরিশাল নগরের আমির জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সভাপতি সিরাজুল ইসলাম। এবি পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদও এ আসনের প্রার্থী। সব প্রার্থীই প্রচারণায় রয়েছেন। এদিকে জেলা (উত্তর) বিএনপির সদস্য ছত্তার খানের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার গুঞ্জন রয়েছে।
জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘অনুন্নত বাবুগঞ্জ-মুলাদীকে বরিশালের একটি আধুনিক ও উন্নত এলাকায় রূপান্তর করাই হবে আমার মূল লক্ষ্য। এ অঞ্চলকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন হিসেবে গড়ে তুলতে চাই, যাতে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের নতুন পথ তৈরি হয়।’
জামায়াতের প্রার্থী জহির উদ্দিন বাবর বলেন, ‘মানুষ পরিবর্তন চায়। আমরা আশাবাদী। এ জন্য ডোর টু ডোর যাচ্ছি।’
বরিশাল-৪ (হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ)
এ আসনে বিএনপির নবীন এমপি প্রার্থী রাজিব আহসান। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর বরিশাল জেলা আমির মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার এবং ইসলামী আন্দোলনের সৈয়দ মোহাম্মদ আবুল খায়ের। মাঠপর্যায়ের তথ্যমতে, বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে এ আসনে দলটির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। এই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ। তাঁর অনুসারীরা কোন পথে হাঁটবেন সেটি অজানা। এ ছাড়া আসনটিতে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন জামায়াতের প্রার্থী আব্দুল জব্বার। স্থানীয় ভোটাররা বলছেন, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক যারা দখল করতে পারবে, তারা নির্বাচনে সফল হবে।
বরিশাল-৫ (নগর ও সদর)
মর্যাদার আসন বরিশাল-৫ বরাবরই বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এ আসনের এমপি প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার পাঁচবারের এমপি। যদিও ৮-দলীয় জোটের হিসাবে এবার খালি মাঠে গোল দিতে পারবেন না সরোয়ার। এখানে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী দলটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। এ ছাড়া জামায়াতের প্রার্থী মুয়াযযম হোসাইন হেলালও মাঠ ছাড়ার নয়। তবে চরমোনাই পীরের বাড়ি হওয়ায় জামায়াতসহ ৮-দলীয় জোটের মনোনয়ন ফয়জুল করীমই পাচ্ছেন বলে নানা গুঞ্জন রয়েছে।
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুয়াযযম হোসাইন হেলাল বলেন, নির্বাচনে শেষ কথা বলতে কিছু নেই। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে দেখা যাবে ফল কী হবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ৮ দলের আসনভিত্তিক সমঝোতা প্রক্রিয়াধীন। এটা ইসলামী আন্দোলনের আমিরের বাড়ি। যে কারণে বরিশালে হাতপাখার অনেক ভোট। জনগণের মোটিভ ঘুরে গেছে।
এ ব্যাপারে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, ‘হাতপাখা আর দাঁড়িপাল্লা হয়তো জোট করবে। এ আসনে মানুষের উন্নয়ন ও কল্যাণ করেছি। জনগণ তাই ধানের শীষে ভোট দিতে উন্মুখ। মহানগরে ধানের শীষের ভোট বেশি। সদর উপজেলায় চরমোনাই পীরের বাড়ি হলেও সব সময় ধানের শীষ বেশি ভোট পেয়েছে।’
বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ)
আসনটিতে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য আবুল হোসেন খান। এ ছাড়া জামায়াতের মাওলানা মাহামুদুন নবী তালুকদার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এদিকে ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমেরও এ আসনে প্রার্থী হওয়ার কথা রয়েছে। জামায়াতের সঙ্গে আসন সমঝোতা হলে প্রার্থী কে হবেন সেটার ওপর নির্ভর করছে ভোটের ফল।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাঠে নেই কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। ফলে ১৭ বছর পর বরিশালের ৬টি আসনে জয়ের ব্যাপারে অনেকটাই আশাবাদী বিএনপি। তবে নির্বাচনের মাঠে এক বছর আগে থেকে তৎপর থাকা জামায়াতে ইসলামী খানিকটা সুবিধা পাবে বলে মনে করছেন অনেকে। মাঠপর্যায়ের তথ্য বলছে, অন্তত ৪টি আসনে জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে বিএনপি।
বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া)
এ আসনে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য (২০০১) জহির উদ্দিন স্বপন এবারও দলটির সম্ভাব্য প্রার্থী। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের রাসেল সরদার (মেহেদী) এবং জামায়াতে ইসলামীর কামরুল ইসলাম খান। আট দলীয় জোট থেকে মনোনয়ন পেলে এ আসনে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন রাসেল। তবে এই সমীকরণ বদলে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বিএনপির নির্বাহী সদস্য প্রকৌশলী আব্দুস সোবাহানকে ঘিরে। কারণ, বিএনপির অন্য সম্ভাব্য প্রার্থীরা সরে দাঁড়ালেও মাঠ ছাড়েননি সোবাহান। তাঁর অনুসারীরা দিনরাত সভা সমাবেশ করে যাচ্ছেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা স্বপনকে প্রত্যাখ্যান করে ২০০১ সালের নির্যাতনের কথা মনে করিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভও করেছে। এ ছাড়া সোবাহানের প্রতি সমর্থন দিচ্ছেন মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপির আরও দুই নেতা আকন কুদ্দুসুর রহমান এবং কামরুল ইসলাম সজল। ফলে জোর গুঞ্জন চলছে, এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন সোবাহান। ভোটের হিসাব বলছে, আওয়ামী সমর্থক ও সংখ্যালঘুদের ভোট এই আসনের বড় ফ্যাক্টর। তাঁরা যে প্রার্থীকে ভোট দেবেন, তিনিই হবেন বিজয়ী।
এ বিষয়ে প্রকৌশলী আব্দুস সোবাহান বলেন, ‘২০০১ সালে এমপি হয়ে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করেছেন স্বপন। যে কারণে হিন্দুরা বিক্ষোভ করে তাঁর মনোনয়ন বাতিল চেয়েছেন। অন্য যাঁরা মনোনয়ন চেয়েছিলেন, তাঁরাও আমার সঙ্গে আছেন। ২০০৮ সালে আমি যখন বিএনপির প্রার্থী হলাম, তখন উনি বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে ২০৩ ভোট পান। এরপর ১/১১-এ সংস্কারপন্থী হয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে অবস্থান নেন এই স্বপন। এখন জনগণ যেটা চাইবে, সেটাই করব।’ স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন কি না, জানতে চাইলে বলেন, ‘আমি মাঠে আছি। জনগণের চাওয়াই আমার চাওয়া।’
এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার জহির উদ্দিন স্বপনের মোবাইলে কল দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।
বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া)
এ আসনে বিএনপির প্রার্থী এস সরফুদ্দিন সান্টু। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে আছেন, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আব্দুল মান্নান এবং ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য নেছার উদ্দিন। জামায়াতের আব্দুল মান্নান প্রচারণায় বেশ এগিয়ে আছেন। তবে আসনটিতে সব হিসেবনিকাশ উল্টে যেতে পারে সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভি দেশে ফিরতে পারলে। তাঁর ঘনিষ্ঠ জেপির উজিরপুরের সাবেক সভাপতি সামসুল হক বলেন, ‘মাকে দেখার জন্য দেশে আসতে ২৪ নভেম্বর ট্রাভেল পাস চেয়ে বাংলাদেশ এম্বাসির কাছে আবেদন করেছেন। কিন্তু এখনো সাড়া পাননি। অভি দেশে ফেরার চেষ্টা করছেন।’
বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী)
আসনটিতে বিএনপির প্রার্থী দলের ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন জামায়াতের বরিশাল নগরের আমির জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সভাপতি সিরাজুল ইসলাম। এবি পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদও এ আসনের প্রার্থী। সব প্রার্থীই প্রচারণায় রয়েছেন। এদিকে জেলা (উত্তর) বিএনপির সদস্য ছত্তার খানের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার গুঞ্জন রয়েছে।
জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘অনুন্নত বাবুগঞ্জ-মুলাদীকে বরিশালের একটি আধুনিক ও উন্নত এলাকায় রূপান্তর করাই হবে আমার মূল লক্ষ্য। এ অঞ্চলকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন হিসেবে গড়ে তুলতে চাই, যাতে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের নতুন পথ তৈরি হয়।’
জামায়াতের প্রার্থী জহির উদ্দিন বাবর বলেন, ‘মানুষ পরিবর্তন চায়। আমরা আশাবাদী। এ জন্য ডোর টু ডোর যাচ্ছি।’
বরিশাল-৪ (হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ)
এ আসনে বিএনপির নবীন এমপি প্রার্থী রাজিব আহসান। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর বরিশাল জেলা আমির মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার এবং ইসলামী আন্দোলনের সৈয়দ মোহাম্মদ আবুল খায়ের। মাঠপর্যায়ের তথ্যমতে, বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে এ আসনে দলটির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। এই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ। তাঁর অনুসারীরা কোন পথে হাঁটবেন সেটি অজানা। এ ছাড়া আসনটিতে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন জামায়াতের প্রার্থী আব্দুল জব্বার। স্থানীয় ভোটাররা বলছেন, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক যারা দখল করতে পারবে, তারা নির্বাচনে সফল হবে।
বরিশাল-৫ (নগর ও সদর)
মর্যাদার আসন বরিশাল-৫ বরাবরই বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এ আসনের এমপি প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার পাঁচবারের এমপি। যদিও ৮-দলীয় জোটের হিসাবে এবার খালি মাঠে গোল দিতে পারবেন না সরোয়ার। এখানে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী দলটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। এ ছাড়া জামায়াতের প্রার্থী মুয়াযযম হোসাইন হেলালও মাঠ ছাড়ার নয়। তবে চরমোনাই পীরের বাড়ি হওয়ায় জামায়াতসহ ৮-দলীয় জোটের মনোনয়ন ফয়জুল করীমই পাচ্ছেন বলে নানা গুঞ্জন রয়েছে।
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুয়াযযম হোসাইন হেলাল বলেন, নির্বাচনে শেষ কথা বলতে কিছু নেই। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে দেখা যাবে ফল কী হবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ৮ দলের আসনভিত্তিক সমঝোতা প্রক্রিয়াধীন। এটা ইসলামী আন্দোলনের আমিরের বাড়ি। যে কারণে বরিশালে হাতপাখার অনেক ভোট। জনগণের মোটিভ ঘুরে গেছে।
এ ব্যাপারে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, ‘হাতপাখা আর দাঁড়িপাল্লা হয়তো জোট করবে। এ আসনে মানুষের উন্নয়ন ও কল্যাণ করেছি। জনগণ তাই ধানের শীষে ভোট দিতে উন্মুখ। মহানগরে ধানের শীষের ভোট বেশি। সদর উপজেলায় চরমোনাই পীরের বাড়ি হলেও সব সময় ধানের শীষ বেশি ভোট পেয়েছে।’
বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ)
আসনটিতে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য আবুল হোসেন খান। এ ছাড়া জামায়াতের মাওলানা মাহামুদুন নবী তালুকদার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এদিকে ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমেরও এ আসনে প্রার্থী হওয়ার কথা রয়েছে। জামায়াতের সঙ্গে আসন সমঝোতা হলে প্রার্থী কে হবেন সেটার ওপর নির্ভর করছে ভোটের ফল।

ক্রমাগতভাবে, বিভিন্ন ধরনের দুর্বল নীতি গ্রহণের মাধ্যমে ঋণ সহায়তা, শুল্কনীতি, জ্বালানি-উৎস পরিবর্তন ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার মতো বিষয়গুলোতে প্রত্যাশিত অবদান রাখতে জি–২০ জোটের ব্যর্থতা লক্ষ্য করা গেছে। আজ শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সেরার খালের ওপর কোটি টাকা বরাদ্দে একটি সেতু নির্মাণ করা হয় বছরখানেক আগে। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় ঝুঁকি নিয়ে মই বেয়ে সেতু পারাপার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে পড়েন বৃদ্ধ, নারী ও স্কুলগামী শিশুরা।
২ ঘণ্টা আগে
প্রায় চার দশক শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে বগুড়ার শেরপুরে খামারকান্দি ইউনিয়নের হুসনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। কিন্তু প্রতিনিয়ত ঝুঁকিপূর্ণ প্রবেশপথ দিয়ে প্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়া করতে হয় শিক্ষার্থীদের। এতে যেকোনো সময় মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
২ ঘণ্টা আগে
খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দর প্রকল্পের জন্য অন্তত তিনটি পাহাড় সাবাড় করা হয়েছে। স্থলবন্দর প্রকল্প এলাকা ভরাটে এসব পাহাড়ের লাল মাটি ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। বালুর পরিবর্তে মাটি ব্যবহার করায় শতকোটি টাকার এ প্রকল্পের মান ও স্থায়িত্ব নিয়ে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেআবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম

খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দর প্রকল্পের জন্য অন্তত তিনটি পাহাড় সাবাড় করা হয়েছে। স্থলবন্দর প্রকল্প এলাকা ভরাটে এসব পাহাড়ের লাল মাটি ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। বালুর পরিবর্তে মাটি ব্যবহার করায় শতকোটি টাকার এ প্রকল্পের মান ও স্থায়িত্ব নিয়ে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রামগড় পৌর এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বলিটিলা মসজিদের সামনের একটি পাহাড়, একই ওয়ার্ডের পাশে আরেকটি এবং ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব চৌধুরীপাড়া এলাকার একটি পাহাড় সম্পূর্ণ কেটে ফেলা হয়েছে। রাতে রাতে কেটে এসব পাহাড়ের মাটি গাড়িতে করে নিয়ে ৩ কিলোমিটার দূরে রামগড় স্থলবন্দরের প্রায় ১০ একর জমি ভরাট করা হয়েছে। স্থানীয়দের ভাষ্য, প্রশাসনের নাকের ডগায় এভাবে পাহাড় গায়েব হয়ে গেলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
প্রকল্পের নকশা অনুযায়ী, বন্দরের জায়গা বালু দিয়ে ভরাট করার কথা থাকলেও বাস্তবে পাহাড়ি লাল মাটি ব্যবহার করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সড়ক ও জনপথ বিভাগের এক নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, বালুর তুলনায় পাহাড়ি মাটির কমপ্যাকশন (ঘনত্ব) অনেক কম হয়। ফলে কিছুদিন পরই জমি দেবে যাওয়া বা ফাটল ধরার আশঙ্কা থাকে। এতে পুরো অবকাঠামোর মান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
স্থলবন্দর প্রকল্প সূত্র জানায়, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ২০২২ সালে রামগড়ের মহামুনি এলাকায় অধিগ্রহণ করা ১০ একর জমিতে ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট (আইসিপি), কাস্টমস অফিস, প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন, পোর্ট বিল্ডিং, ট্রান্সশিপমেন্ট শেড, ওয়্যারহাউস, ইয়ার্ড ও আবাসিক ভবন নির্মাণে ১৬১ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেয়। প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রথমে মনিকো লিমিটেডকে কাজ দেওয়া হয়। তবে ২০২২ সালের ১১ জানুয়ারি কাজ শুরু হলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ বাধা দেয়। এক বছরের বেশি সময় কাজ বন্ধ থাকায় বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বাতিল হয়।
পরে ভারতীয় পক্ষের সম্মতির পর প্রকল্প আবার চালু হলে এমএসসিএল অ্যান্ড এমএসডিবিএল জেবি ও মনিকো লিমিটেডকে নতুন করে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। এর মধ্যে মনিকো লিমিটেড বন্দরের ১০ একর জমি ভরাটসহ ওয়্যারহাউস, ইয়ার্ড, রিটেইনিং ওয়াল, বাউন্ডারি ওয়াল ও দুটি ওয়েব্রিজ স্কেল নির্মাণের জন্য প্রায় ৮৯ কোটি টাকার কাজ পায়। নিয়ম অনুযায়ী, প্রায় ২২ ফুট উচ্চতায় বালু দিয়ে ভরাট করার কথা থাকলেও বাস্তবে পাহাড় কেটে আনা মাটি দিয়েই পুরো এলাকা ভরাট করা হয়েছে। বিষয়টি স্বীকার করেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মনিকো লিমিটেডের স্থানীয় ব্যবস্থাপক মো. হাফিজুর রহমান। তিনি দাবি করেন, সহনীয় মাত্রার বালু এই পাহাড়ি মাটিতে রয়েছে।
বালুর পরিবর্তে মাটি ব্যবহার করায় মান খারাপ হবে কি না জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, ‘স্থানীয় উপঠিকাদার মাটি সরবরাহ করেছেন। তাঁরা কোথা থেকে আনছেন, তা আমাদের জানার বিষয় নয়।’
পাহাড় কাটায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রামগড় পৌর এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব চৌধুরীপাড়া এলাকা। মৃত হোসেন আহম্মদের বাড়িসংলগ্ন পাহাড়টি সম্পূর্ণ কেটে ফেলা হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, পাহাড় কেটে নেওয়ায় ভূমিধস ও পরিবেশ বিপর্যয়ের ঝুঁকি বেড়েছে। এর পাশে ২০০৪ সালে পাহাড় ধসে মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে হানিফ, স্ত্রী ও মেয়ে একই পরিবারের ৩ জন মারা যান।
সরেজমিনে দেখা যায়, দ্রুততার সঙ্গে বন্দরের ইয়ার্ডের কাজ শেষ করা হচ্ছে। সিসি ঢালাই করে পাহাড়ের লাল মাটি তলিয়ে ফেলা হচ্ছে।
পাহাড় কাটা প্রসঙ্গে রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী শামীম বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। কিছুদিন আগে আমি রামগড়ে যোগদান করেছি। তবে পাহাড় কাটার ঘটনায় বেশ কিছু মামলা করা হয়েছে।’
২০১০ সালে রামগড়কে স্থলবন্দর ঘোষণা করে সরকার। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চুক্তির মাধ্যমে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহারের সুযোগ পায় ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো। এর ধারাবাহিকতায় রামগড় বন্দর গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে বিবেচিত হয়। ২০২১ সালে ফেনী নদীর ওপর নির্মিত বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বন্দরের সম্ভাবনা আরও বাড়ে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রামগড় স্থলবন্দর চালু হলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাত রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি বাণিজ্যিক যোগাযোগ স্থাপন হবে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মাত্র ৩ ঘণ্টায় পণ্য পৌঁছাবে ত্রিপুরার সাব্রুমে। ইমিগ্রেশন চালু হলে যাত্রী পারাপার ও চিকিৎসা-ভ্রমণও সহজ হবে।
রামগড় স্থলবন্দর প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. সামসুল আলম বলেন, ‘আমি এ প্রকল্পে নতুন যোগদান করেছি। সবকিছু আমার জানা নেই। তবে সহকারী প্রকৌশলী রুহুল আমিন বিস্তারিত বলতে পারবেন।’
চেষ্টা করেও রুহুল আমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দর প্রকল্পের জন্য অন্তত তিনটি পাহাড় সাবাড় করা হয়েছে। স্থলবন্দর প্রকল্প এলাকা ভরাটে এসব পাহাড়ের লাল মাটি ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। বালুর পরিবর্তে মাটি ব্যবহার করায় শতকোটি টাকার এ প্রকল্পের মান ও স্থায়িত্ব নিয়ে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রামগড় পৌর এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বলিটিলা মসজিদের সামনের একটি পাহাড়, একই ওয়ার্ডের পাশে আরেকটি এবং ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব চৌধুরীপাড়া এলাকার একটি পাহাড় সম্পূর্ণ কেটে ফেলা হয়েছে। রাতে রাতে কেটে এসব পাহাড়ের মাটি গাড়িতে করে নিয়ে ৩ কিলোমিটার দূরে রামগড় স্থলবন্দরের প্রায় ১০ একর জমি ভরাট করা হয়েছে। স্থানীয়দের ভাষ্য, প্রশাসনের নাকের ডগায় এভাবে পাহাড় গায়েব হয়ে গেলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
প্রকল্পের নকশা অনুযায়ী, বন্দরের জায়গা বালু দিয়ে ভরাট করার কথা থাকলেও বাস্তবে পাহাড়ি লাল মাটি ব্যবহার করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সড়ক ও জনপথ বিভাগের এক নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, বালুর তুলনায় পাহাড়ি মাটির কমপ্যাকশন (ঘনত্ব) অনেক কম হয়। ফলে কিছুদিন পরই জমি দেবে যাওয়া বা ফাটল ধরার আশঙ্কা থাকে। এতে পুরো অবকাঠামোর মান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
স্থলবন্দর প্রকল্প সূত্র জানায়, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ২০২২ সালে রামগড়ের মহামুনি এলাকায় অধিগ্রহণ করা ১০ একর জমিতে ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট (আইসিপি), কাস্টমস অফিস, প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন, পোর্ট বিল্ডিং, ট্রান্সশিপমেন্ট শেড, ওয়্যারহাউস, ইয়ার্ড ও আবাসিক ভবন নির্মাণে ১৬১ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেয়। প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রথমে মনিকো লিমিটেডকে কাজ দেওয়া হয়। তবে ২০২২ সালের ১১ জানুয়ারি কাজ শুরু হলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ বাধা দেয়। এক বছরের বেশি সময় কাজ বন্ধ থাকায় বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বাতিল হয়।
পরে ভারতীয় পক্ষের সম্মতির পর প্রকল্প আবার চালু হলে এমএসসিএল অ্যান্ড এমএসডিবিএল জেবি ও মনিকো লিমিটেডকে নতুন করে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। এর মধ্যে মনিকো লিমিটেড বন্দরের ১০ একর জমি ভরাটসহ ওয়্যারহাউস, ইয়ার্ড, রিটেইনিং ওয়াল, বাউন্ডারি ওয়াল ও দুটি ওয়েব্রিজ স্কেল নির্মাণের জন্য প্রায় ৮৯ কোটি টাকার কাজ পায়। নিয়ম অনুযায়ী, প্রায় ২২ ফুট উচ্চতায় বালু দিয়ে ভরাট করার কথা থাকলেও বাস্তবে পাহাড় কেটে আনা মাটি দিয়েই পুরো এলাকা ভরাট করা হয়েছে। বিষয়টি স্বীকার করেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মনিকো লিমিটেডের স্থানীয় ব্যবস্থাপক মো. হাফিজুর রহমান। তিনি দাবি করেন, সহনীয় মাত্রার বালু এই পাহাড়ি মাটিতে রয়েছে।
বালুর পরিবর্তে মাটি ব্যবহার করায় মান খারাপ হবে কি না জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, ‘স্থানীয় উপঠিকাদার মাটি সরবরাহ করেছেন। তাঁরা কোথা থেকে আনছেন, তা আমাদের জানার বিষয় নয়।’
পাহাড় কাটায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রামগড় পৌর এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব চৌধুরীপাড়া এলাকা। মৃত হোসেন আহম্মদের বাড়িসংলগ্ন পাহাড়টি সম্পূর্ণ কেটে ফেলা হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, পাহাড় কেটে নেওয়ায় ভূমিধস ও পরিবেশ বিপর্যয়ের ঝুঁকি বেড়েছে। এর পাশে ২০০৪ সালে পাহাড় ধসে মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে হানিফ, স্ত্রী ও মেয়ে একই পরিবারের ৩ জন মারা যান।
সরেজমিনে দেখা যায়, দ্রুততার সঙ্গে বন্দরের ইয়ার্ডের কাজ শেষ করা হচ্ছে। সিসি ঢালাই করে পাহাড়ের লাল মাটি তলিয়ে ফেলা হচ্ছে।
পাহাড় কাটা প্রসঙ্গে রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী শামীম বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। কিছুদিন আগে আমি রামগড়ে যোগদান করেছি। তবে পাহাড় কাটার ঘটনায় বেশ কিছু মামলা করা হয়েছে।’
২০১০ সালে রামগড়কে স্থলবন্দর ঘোষণা করে সরকার। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চুক্তির মাধ্যমে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহারের সুযোগ পায় ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো। এর ধারাবাহিকতায় রামগড় বন্দর গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে বিবেচিত হয়। ২০২১ সালে ফেনী নদীর ওপর নির্মিত বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বন্দরের সম্ভাবনা আরও বাড়ে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রামগড় স্থলবন্দর চালু হলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাত রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি বাণিজ্যিক যোগাযোগ স্থাপন হবে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মাত্র ৩ ঘণ্টায় পণ্য পৌঁছাবে ত্রিপুরার সাব্রুমে। ইমিগ্রেশন চালু হলে যাত্রী পারাপার ও চিকিৎসা-ভ্রমণও সহজ হবে।
রামগড় স্থলবন্দর প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. সামসুল আলম বলেন, ‘আমি এ প্রকল্পে নতুন যোগদান করেছি। সবকিছু আমার জানা নেই। তবে সহকারী প্রকৌশলী রুহুল আমিন বিস্তারিত বলতে পারবেন।’
চেষ্টা করেও রুহুল আমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

ক্রমাগতভাবে, বিভিন্ন ধরনের দুর্বল নীতি গ্রহণের মাধ্যমে ঋণ সহায়তা, শুল্কনীতি, জ্বালানি-উৎস পরিবর্তন ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার মতো বিষয়গুলোতে প্রত্যাশিত অবদান রাখতে জি–২০ জোটের ব্যর্থতা লক্ষ্য করা গেছে। আজ শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সেরার খালের ওপর কোটি টাকা বরাদ্দে একটি সেতু নির্মাণ করা হয় বছরখানেক আগে। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় ঝুঁকি নিয়ে মই বেয়ে সেতু পারাপার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে পড়েন বৃদ্ধ, নারী ও স্কুলগামী শিশুরা।
২ ঘণ্টা আগে
প্রায় চার দশক শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে বগুড়ার শেরপুরে খামারকান্দি ইউনিয়নের হুসনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। কিন্তু প্রতিনিয়ত ঝুঁকিপূর্ণ প্রবেশপথ দিয়ে প্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়া করতে হয় শিক্ষার্থীদের। এতে যেকোনো সময় মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
২ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাঠে নেই কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। ফলে ১৭ বছর পর বরিশালের ৬টি আসনে জয়ের ব্যাপারে অনেকটাই আশাবাদী বিএনপি। তবে নির্বাচনের মাঠে এক বছর আগে থেকে তৎপর থাকা জামায়াতে ইসলামী খানিকটা সুবিধা পাবে বলে মনে করছেন অনেকে।
২ ঘণ্টা আগে