Ajker Patrika

২৫ হাজার টাকায় হোস্টেলে থাকার শর্তে এইচএসসির ফরম পূরণের সুযোগ

গাজীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ এপ্রিল ২০২৪, ০০: ০১
২৫ হাজার টাকায় হোস্টেলে থাকার শর্তে এইচএসসির ফরম পূরণের সুযোগ

গাজীপুরের একটি বেসরকারি কলেজের শতাধিক এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে বোর্ড পরীক্ষার ফরম পূরণের জন্য হোস্টেলে থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তিন মাসের জন্য ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে হোস্টেলে থাকতে না চাইলে তাদের টিসি দেওয়ার হুমকি দেওয়া ও অভিভাবকদের কাছ থেকে সম্মতি পত্রে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১৬ এপ্রিল থেকে ফরম পূরণ শুরু হবে।

জানা গেছে, গাজীপুর মহানগরীর জোরপুকুর এলাকায় অবস্থিত গাজীপুর মেট্রোপলিটন কলেজে এ বছরের এইচএসসি নির্বাচনী পরীক্ষায় শতাধিক শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়। পরে তাদের পুনরায় পরীক্ষা নিয়ে শর্ত সাপেক্ষে ফরম পূরণের সুযোগ দেওয়া হয়। 

প্রথম শর্ত হচ্ছে, এ ছাত্রদের বাধ্যতামূলকভাবে ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে ৩ মাস কলেজের হোস্টেলে থাকতে হবে। এটি না মানলে তাদের টিসি দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। তবে, কলেজ কর্তৃপক্ষ বলছে, শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থেই এই নিয়মটি চালু করা হয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেক আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে।

একাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের টেস্ট পরীক্ষায় যারা একাধিক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে, তাদের পুনরায় পরীক্ষা নিয়ে ফরম পূরণের সুযোগ দেওয়া হয়। এই পরীক্ষার জন্য প্রতিজনের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে ফি নেওয়া হয়। পুনরায় নেওয়া পরীক্ষার ফলাফলের পর গত শুক্রবার অভিভাবকদের ডাকা হয় কলেজে। পরে তাঁদের জোরপূর্বক শর্ত দেওয়া হয়। শর্ত হলো, জনপ্রতি ২৫ হাজার টাকা দিয়ে হোস্টেলে থাকতে হবে আগামী ৩ মাস। 

অন্যথায় আগামী বছর পরীক্ষা দিতে হবে অথবা টিসি নিতে হবে। হোস্টেলে থাকার বিষয় চাপিয়ে দেওয়ায় একজন অভিভাবক পুরো বিষয় পুনরায় জানতে চাইলে তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন ওই প্রতিষ্ঠানের একজন পরিচালক। পরে জোরপূর্বক হোস্টেলে থাকার জন্য অভিভাবকদের অঙ্গীকারনামায় সই করিয়ে নেয়।

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা জানান, ৩ মাসের হোস্টেল ফি ২৫ হাজার, ফরম পূরণের জন্য ৬ হাজার এবং আগামী আগস্ট মাস পর্যন্ত ৯ হাজার টাকা বেতন পরিশোধ করতে হবে। তবে হোস্টেলের পরিবেশ ভালো না, শিক্ষকও তেমন নেই এবং যাদের বাড়ি কলেজের পাশে তাদের কেন হোস্টেলে থাকতে হবে। জোরপূর্বক বেকায়দায় ফেলে এই টাকাগুলো নিচ্ছে। 

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার জন্য তিন বিভাগের কয়েক  শ শিক্ষার্থী নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ নেয়। ওই পরীক্ষায় ১১৯ জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়। এদেরকে আবারও পরীক্ষা নেওয়া হলে ১০০ জন পাস করে এবং ১৯ জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়। অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের টিসি দেওয়া হয়েছে। বাকিরা যেন পাস করে, এ জন্য হোস্টেলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ জন্য তাদের খরচ হিসাবে ২৫ হাজার করে টাকা চাওয়া হয়েছে। 

নাদিম নামে ওই কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘হুট করে টিসি নেওয়ার আগমুহূর্তে বলছে অভিভাবক মিটিং। পরে ওই মিটিংয়ে বলা হয়েছে ২৫ হাজার টাকা করে দিয়ে হোস্টেলে থাকতে হবে। যদি হোস্টেলে ভালো নাও লাগে তবু টাকা দিতে হবে। মূলত এদের টাকা কামানোর এটা পদ্ধতি। যদি পরীক্ষা দিতে নাই দেবে কিংবা হোস্টেলে থাকার বাধ্যবাধকতা তাহলে পরীক্ষা কেন নিল।’ 

আলিফ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘যারা ফেল করছে তাদের রিটেক পরীক্ষা নিয়ে পাস করিয়েছে। পরে তাদের বলা হয়েছে হোস্টেলে থাকতে হবে। হোস্টেলে থাকলেই ফরম পূরণ করাবে এবং পরীক্ষা দিতে দেবে, না হলে পরীক্ষা দিতে দেবে না। বিষয়টি হচ্ছে পরীক্ষার আগে কলেজ কর্তৃপক্ষের পরীক্ষার আগে বড় অঙ্কের টাকা কামানোর ধান্ধা। হোস্টেল ফি, ফরম পূরণ ও আগস্ট পর্যন্ত বেতন মিলিয়ে শিক্ষার্থী থেকে প্রায় ৪০ হাজার করে টাকা ওঠাবে। আমরা প্রতিবাদ করেও লাভ হচ্ছে না।’ 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে যাওয়া একটি ভিডিওতে শোনা যায়, ওই কলেজের এক শিক্ষার্থী কলেজের এসব অনিয়ম নিয়ে পোস্ট করে। পরে কলেজের এক শিক্ষিকা ওই পোস্ট ডিলেট করতে বলেন। যদি না করা হয়, তাহলে কলেজ থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়৷ 

মাহি নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, টেস্ট পরীক্ষার রেজাল্ট হওয়ার এক দিন পরে আবারও ফেল করা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিয়েছে। সেখান হতে ১০০ জন পাস করছে এবং ১৯ জন ফেল করছে। ফেল করা শিক্ষার্থীদের টিসি দিয়ে দিয়েছে। বাকিদের অভিভাবক ডেকে এনে অঙ্গীকার নিয়েছে হোস্টেলে থাকার জন্য।  প্রত্যেককে ২৫ হাজার দিতেই হবে। তাহলে যাদের বাসা কাছে তারা কেন হোস্টেলে থাকবে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন কলেজের অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘এ বছর আমাদের মোট ৫৪৪ জন শিক্ষার্থী নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাদের মধ্যে ১১৯ জন অকৃতকার্য হয়। আমরা তাদের পুনপরীক্ষা নিলে ১০০ জন উত্তীর্ণ হয়। তাদের যোগ্য বিবেচনা করেছি, বাকি ১৯ জনকে টিসি নিতে অথবা আগামী বছর পরীক্ষা দিতে বলেছি। এটা আমাদের কলেজ পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত। এটি আমাদের মানতে হচ্ছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ভেবে দেখলাম বাইরে যদি প্রাইভেট পরে তাহলে প্রতি সাবজেক্টে মিনিমাম ১ হাজার করে লাগবে তাদের। তাহলে হিসাবে দাঁড়ায় ৩ মাসে ১৮ হাজার। এ জন্য আমাদের সিদ্ধান্ত হলো আমরা পড়াবো শিক্ষক দিয়ে। এজন্য তিনমাসে ১০ হাজার টাকা করে নিব। আমাদের হোস্টেলে রাখবো। এ জন্য ৩ মাসে ১৫ হাজার এই মোট ২৫ হাজার। এটি শিক্ষার্থীদের ভালোর জন্যই করেছি। এ সিদ্ধান্ত যদি কারও ভালো না লাগে তাহলে তাদের পথ খোলা আছে। তারা টিসি নিয়ে অন্য কলেজে পরীক্ষা দিবে। অথবা ভালো প্রস্তুতি নিয়ে আগামী বছর পরীক্ষা দিবে।’ 

এ বিষয়ে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আবিদা সুলতানা বলেন, ‘বিষয়টি আমরা জেনেছি। এজন্য এটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কাজ চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

১৭০ টাকার জন্য চাচার হাতে ভাতিজি খুন

ঝালকাঠি প্রতিনিধি  
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় ১৭০ টাকার জন্য চাচার হাতে মাদ্রাসাপড়ুয়া এক কিশোরীর নিহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার আওরাবুনিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত কিশোরীর নাম লামিয়া আক্তার (১৪)। সে উত্তর চরাইল হাসেমিয়া দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির বড় ভাই ফারুক খানের সৎকন্যা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পকেট থেকে ১৭০ টাকা হারিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রথমে লামিয়ার মা লিলি বেগমের সঙ্গে অভিযুক্ত জাকির হোসেন খানের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তিনি লিলি বেগমকে মারধর শুরু করেন। মাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে লামিয়াও মারধরের শিকার হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় মা ও মেয়েকে স্বজনেরা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রাতে লামিয়া আক্তার মারা যায়। আহত লিলি বেগম বর্তমানে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্ত জাকির হোসেন খানকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। একই সঙ্গে এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

কাঁঠালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাছের রায়হান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বরিশালে ময়নাতদন্ত শেষে আজ বুধবার দুপুরে নিহত ব্যক্তির মরদেহ দাফন করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার অভাব পূরণ হতে বেশ সময় লাগবে: কাদের সিদ্দিকী

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি 
কাদের সিদ্দিকী। ছবি: আজকের পত্রিকা
কাদের সিদ্দিকী। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী (বীর উত্তম)।

আজ বুধবার বিকেলে জানাজা শেষে কাদের সিদ্দিকী প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া এ দেশের মহীয়সী নারী। সম্মান দেওয়ার মালিক আল্লাহ। তাঁর প্রয়াণে আমি ব্যথিত। অসংখ্য মানুষ ব্যথিত–মর্মাহত। মানুষের জন্ম হলে মৃত্যু হবে। এই মৃত্যু সম্মানের মৃত্যু।

‘আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, তাঁকে যেন আল্লাহ বেহেশতবাসী করেন। তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারকে শোক সইবার শক্তি দিক। তাঁর অভাব এ দেশকে পূরণ করতে বেশ সময় লাগবে।’

অতীতের স্মৃতিচারণ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ আমাদের আবার স্মৃতি। জিয়াউর রহমান যখন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, আমিও ছিলাম। বারবার কথা হয়েছে। খালেদা জিয়ার সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে তাঁর বাড়িতে।

‘জিয়াউর রহমান যখন ডেপুটি সেনাপ্রধান, অনেকবার তাঁদের বাড়িতে গেছি। আমার বাড়িতে গেছে। আমার বাড়িতে এমন কোনো প্রোগ্রাম ছিল না যেখানে জিয়াউর রহমান অংশগ্রহণ করেন নাই। আজ আমি খালেদা জিয়ার জানাজায় আসতে পেরেছি, এটা আমার সৌভাগ্য।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ডিমলায় বুড়ি তিস্তা খনন নিয়ে সংঘর্ষ, আনসার ক্যাম্পে ভাঙচুর

ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি 
নীলফামারীর ডিমলায় বুড়ি তিস্তা জলাধার খনন প্রকল্পকে কেন্দ্র করে আনসার ক্যাম্পে ভাঙচুর চালায় এলাকাবাসী। ছবি: আজকের পত্রিকা
নীলফামারীর ডিমলায় বুড়ি তিস্তা জলাধার খনন প্রকল্পকে কেন্দ্র করে আনসার ক্যাম্পে ভাঙচুর চালায় এলাকাবাসী। ছবি: আজকের পত্রিকা

নীলফামারীর ডিমলায় বুড়ি তিস্তা জলাধার খনন প্রকল্পকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বিরোধ সংঘর্ষে রূপ নিয়েছে। বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামনে আনসার ক্যাম্পে ভাঙচুর চালিয়েছে।

ডিমলার কুটির ডাংগা ও জলঢাকার বড়পুল এলাকায় বুধবার বিকেলে পাউবো জলাধার খনন শুরু করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন উপস্থিত থাকলেও ক্ষুব্ধ জনতা আনসার ক্যাম্পে হামলা চালায়। সংঘর্ষে স্থানীয় সাংবাদিকসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কোনো ধরনের জমি অধিগ্রহণ বা ক্ষতিপূরণ ছাড়াই তিন ফসলি জমিতে খননকাজ শুরু করা হয়েছে। এতে হাজার হাজার পরিবার বাস্তুচ্যুত হওয়ার শঙ্কায় পড়েছে। পাশাপাশি বিস্তীর্ণ আবাদি জমি ধ্বংসের মুখে পড়েছে।

স্থানীয় এক কৃষক বলেন, ‘আমাদের জমি নেওয়ার কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি। হঠাৎ মেশিন এনে জমি খনন করছে। আমরা কোথায় যাব?’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান কথা বলতে রাজি হননি।

ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরানুজ্জামান বলেন, দেশে রাষ্ট্রীয় শোক চলমান থাকায় আগামী তিন দিনের জন্য খননকাজ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। তারপরও কেন কাজ শুরু হয়েছে, তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবে।’

সংঘর্ষের পর এলাকাজুড়ে চরম উত্তেজনা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার ফোন করলেও ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আলী সরকার ফোন ধরেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

রাবি প্রতিনিধি  
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক। ছবি: সংগৃহীত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালরের (রাবি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের এক ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান।

নিহত ছাত্রীর নাম লামিসা নওরিন পুষ্পিতা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। বাড়ি ঝিনাইদহ জেলায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ বিকেলে আশপাশের রুমের ছাত্রীরা তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামিয়ে রামেক হাসপাতালে পাঠালে কিছু সময় পর তাঁর মৃত্যু হয়।

প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমি বাইরে আছি। একটি আত্মহত্যার খবর পেয়েছি। মতিহার থানার ওসি আমাকে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।’

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক বলেন, ‘আমরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আমরা তাঁর পরিবারকে জানিয়েছি। তাঁর অভিভাবক আসার পর আমরা এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত