নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দুষ্কৃতিকারীদের হাতে নিহত জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় আলামত ও মামলার কেস ডকেটের (সিডি, অর্থাৎ সাক্ষীদের জবানবন্দি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র) অভাবে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করা যাচ্ছে না। আজ বুধবারও সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য মামলা প্রস্তুত করা সম্ভব হয়নি।
ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এ মামলার আলামত ও সিডি ট্রাইব্যুনালে হাজির করার জন্য আজ তারিখ ধার্য ছিল, কিন্তু সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে সেগুলো হাজির করা হয়নি। বিচারক জাকির হোসেন আগামী ১৭ এপ্রিল পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করেন।
এর আগে তিনটি তারিখে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানো হয়। আলামত ও সিডি না থাকা, কারাগারে থাকা আসামিকে আর ট্রাইব্যুনালে হাজির না করার কারণে সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে দেওয়া হয়। আগের দুটি ধার্য তারিখে মামলার বাদী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৮ মার্চ মামলার আলামত কোথায় আছে তা খুঁজে বের করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হলেও আজ তিনি আদালতে হাজির হননি, এমনকি কোনো কিছু জানাননি। অন্যদিকে ট্রাইব্যুনালের পিপিকে মামলার সিডি খুঁজে বের করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কোনোটাই ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়নি।
আজ বিচারক মামলার আলামত ট্রাইব্যুনালে দাখিল করার জন্য মহাপুলিশ পরিদর্শকের মাধ্যমে নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে মামলার সিডি হাইকোর্ট থেকে ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে চিঠি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এর আগে অতিরিক্ত পিপি আফরিন শিল্পী ট্রাইব্যুনালকে জানান মামলার সিডি হাইকোর্টে আছে।
এ মামলায় কারাগারে থাকা আসামি তারিক সাঈদ মামুনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়নি। জামিনে থাকা আসামি ফারুক আব্বাসী হাজির হন। হাইকোর্ট থেকে জামিনে থাকা আসামি হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ও আশীষ চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী কোনো রকম পদক্ষেপ ছাড়াই কয়েকটি তারিখ অনুপস্থিত থাকায় গত ২৮ মার্চ তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। বোতল চৌধুরীকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করা হলেও মামলা শুনানির আগ পর্যন্ত তাঁকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়নি।
এর আগে এই মামলার অন্যতম আসামি ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম ও সেলিম খান অনুপস্থিত থাকার কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে গত ২০ মার্চ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।
অপর আসামি আদনান সিদ্দিকীর পক্ষে সময়ের আবেদন করা হয়। শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন এই মামলায় প্রথম থেকেই পলাতক রয়েছেন।
১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর বনানীর ট্রাম্পস ক্লাবের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় সোহেল চৌধুরীকে। ঘটনার পর সোহেলের ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে গুলশান থানায় হত্যা মামলা করেন। ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। বিতর্কিত ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে বাদানুবাদই এ হত্যার নেপথ্য কারণ বলে মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।
এই মামলায় ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ২০০৩ সালে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এ পাঠানো হয়। মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো বেআইনি হয়েছে দাবি করে ওই আইনের দুটি ধারা চ্যালেঞ্জ করে আদনান সিদ্দিকী হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন (রিট নম্বর ৭০৫৩ / ২০০৩)। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৩ সালের ১৯ নভেম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা স্থানান্তরের আদেশ কেন বেআইনি হবে না তা জানাতে সরকারের প্রতি রুল জারি করেন। একই সঙ্গে তিন মাসের জন্য মামলার বিচার কার্যক্রম স্থগিত করেন। পরে ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন। সেই থেকে এই মামলার বিচার স্থগিত থাকে। কোনো সাক্ষীর স্বাক্ষই আর গ্রহণ করা হয়নি।
একটানা ১২ বছর মামলার কার্যক্রম স্থগিত থাকার পর ২০১৫ সালে আদনান সিদ্দিকীর দায়ের করা রিট আবেদনের ওপর শুনানি হয়। শুনানি শেষে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর বেঞ্চ ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট রায় দেন। রায়ে ইতিপূর্বে দায়ের করা রুল খারিজ করে দেন। হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিত আদেশ প্রত্যাহার করেন। মামলার বিচার কার্যক্রম চলতে আইনত আর কোনো বাধা থাকে না এই আদেশের পর। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে ওই রায় ও হাইকোর্টের আদেশ আর বিচারিক ট্রাইব্যুনালে পৌঁছেনি। গায়েব হয়ে যায় হাইকোর্টের আদেশের নথি।
আজকের পত্রিকা বিষয়টি অনুসন্ধান করে গত ২৩ জানুয়ারি ‘নায়ক খুনের মামলা গুম’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হারুন ভূঁইয়া রাসেল মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি জানিয়ে রিট আবেদন করেন।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে নথি খুঁজে বের করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেন। এরপর গুম হওয়া নথি বের হয় এবং সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলা স্থগিত করা নিয়ে যে রিট আবেদন করা হয়েছিল, সেই রুল খারিজের আদেশও দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পৌঁছে যায়। গত ১০ মার্চ মামলার কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়।

দুষ্কৃতিকারীদের হাতে নিহত জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় আলামত ও মামলার কেস ডকেটের (সিডি, অর্থাৎ সাক্ষীদের জবানবন্দি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র) অভাবে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করা যাচ্ছে না। আজ বুধবারও সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য মামলা প্রস্তুত করা সম্ভব হয়নি।
ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এ মামলার আলামত ও সিডি ট্রাইব্যুনালে হাজির করার জন্য আজ তারিখ ধার্য ছিল, কিন্তু সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে সেগুলো হাজির করা হয়নি। বিচারক জাকির হোসেন আগামী ১৭ এপ্রিল পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করেন।
এর আগে তিনটি তারিখে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানো হয়। আলামত ও সিডি না থাকা, কারাগারে থাকা আসামিকে আর ট্রাইব্যুনালে হাজির না করার কারণে সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে দেওয়া হয়। আগের দুটি ধার্য তারিখে মামলার বাদী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৮ মার্চ মামলার আলামত কোথায় আছে তা খুঁজে বের করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হলেও আজ তিনি আদালতে হাজির হননি, এমনকি কোনো কিছু জানাননি। অন্যদিকে ট্রাইব্যুনালের পিপিকে মামলার সিডি খুঁজে বের করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কোনোটাই ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়নি।
আজ বিচারক মামলার আলামত ট্রাইব্যুনালে দাখিল করার জন্য মহাপুলিশ পরিদর্শকের মাধ্যমে নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে মামলার সিডি হাইকোর্ট থেকে ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে চিঠি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এর আগে অতিরিক্ত পিপি আফরিন শিল্পী ট্রাইব্যুনালকে জানান মামলার সিডি হাইকোর্টে আছে।
এ মামলায় কারাগারে থাকা আসামি তারিক সাঈদ মামুনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়নি। জামিনে থাকা আসামি ফারুক আব্বাসী হাজির হন। হাইকোর্ট থেকে জামিনে থাকা আসামি হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ও আশীষ চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী কোনো রকম পদক্ষেপ ছাড়াই কয়েকটি তারিখ অনুপস্থিত থাকায় গত ২৮ মার্চ তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। বোতল চৌধুরীকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করা হলেও মামলা শুনানির আগ পর্যন্ত তাঁকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়নি।
এর আগে এই মামলার অন্যতম আসামি ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম ও সেলিম খান অনুপস্থিত থাকার কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে গত ২০ মার্চ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।
অপর আসামি আদনান সিদ্দিকীর পক্ষে সময়ের আবেদন করা হয়। শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন এই মামলায় প্রথম থেকেই পলাতক রয়েছেন।
১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর বনানীর ট্রাম্পস ক্লাবের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় সোহেল চৌধুরীকে। ঘটনার পর সোহেলের ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে গুলশান থানায় হত্যা মামলা করেন। ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। বিতর্কিত ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে বাদানুবাদই এ হত্যার নেপথ্য কারণ বলে মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।
এই মামলায় ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ২০০৩ সালে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এ পাঠানো হয়। মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো বেআইনি হয়েছে দাবি করে ওই আইনের দুটি ধারা চ্যালেঞ্জ করে আদনান সিদ্দিকী হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন (রিট নম্বর ৭০৫৩ / ২০০৩)। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৩ সালের ১৯ নভেম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা স্থানান্তরের আদেশ কেন বেআইনি হবে না তা জানাতে সরকারের প্রতি রুল জারি করেন। একই সঙ্গে তিন মাসের জন্য মামলার বিচার কার্যক্রম স্থগিত করেন। পরে ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন। সেই থেকে এই মামলার বিচার স্থগিত থাকে। কোনো সাক্ষীর স্বাক্ষই আর গ্রহণ করা হয়নি।
একটানা ১২ বছর মামলার কার্যক্রম স্থগিত থাকার পর ২০১৫ সালে আদনান সিদ্দিকীর দায়ের করা রিট আবেদনের ওপর শুনানি হয়। শুনানি শেষে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর বেঞ্চ ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট রায় দেন। রায়ে ইতিপূর্বে দায়ের করা রুল খারিজ করে দেন। হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিত আদেশ প্রত্যাহার করেন। মামলার বিচার কার্যক্রম চলতে আইনত আর কোনো বাধা থাকে না এই আদেশের পর। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে ওই রায় ও হাইকোর্টের আদেশ আর বিচারিক ট্রাইব্যুনালে পৌঁছেনি। গায়েব হয়ে যায় হাইকোর্টের আদেশের নথি।
আজকের পত্রিকা বিষয়টি অনুসন্ধান করে গত ২৩ জানুয়ারি ‘নায়ক খুনের মামলা গুম’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হারুন ভূঁইয়া রাসেল মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি জানিয়ে রিট আবেদন করেন।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে নথি খুঁজে বের করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেন। এরপর গুম হওয়া নথি বের হয় এবং সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলা স্থগিত করা নিয়ে যে রিট আবেদন করা হয়েছিল, সেই রুল খারিজের আদেশও দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পৌঁছে যায়। গত ১০ মার্চ মামলার কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দুষ্কৃতিকারীদের হাতে নিহত জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় আলামত ও মামলার কেস ডকেটের (সিডি, অর্থাৎ সাক্ষীদের জবানবন্দি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র) অভাবে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করা যাচ্ছে না। আজ বুধবারও সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য মামলা প্রস্তুত করা সম্ভব হয়নি।
ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এ মামলার আলামত ও সিডি ট্রাইব্যুনালে হাজির করার জন্য আজ তারিখ ধার্য ছিল, কিন্তু সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে সেগুলো হাজির করা হয়নি। বিচারক জাকির হোসেন আগামী ১৭ এপ্রিল পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করেন।
এর আগে তিনটি তারিখে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানো হয়। আলামত ও সিডি না থাকা, কারাগারে থাকা আসামিকে আর ট্রাইব্যুনালে হাজির না করার কারণে সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে দেওয়া হয়। আগের দুটি ধার্য তারিখে মামলার বাদী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৮ মার্চ মামলার আলামত কোথায় আছে তা খুঁজে বের করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হলেও আজ তিনি আদালতে হাজির হননি, এমনকি কোনো কিছু জানাননি। অন্যদিকে ট্রাইব্যুনালের পিপিকে মামলার সিডি খুঁজে বের করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কোনোটাই ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়নি।
আজ বিচারক মামলার আলামত ট্রাইব্যুনালে দাখিল করার জন্য মহাপুলিশ পরিদর্শকের মাধ্যমে নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে মামলার সিডি হাইকোর্ট থেকে ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে চিঠি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এর আগে অতিরিক্ত পিপি আফরিন শিল্পী ট্রাইব্যুনালকে জানান মামলার সিডি হাইকোর্টে আছে।
এ মামলায় কারাগারে থাকা আসামি তারিক সাঈদ মামুনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়নি। জামিনে থাকা আসামি ফারুক আব্বাসী হাজির হন। হাইকোর্ট থেকে জামিনে থাকা আসামি হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ও আশীষ চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী কোনো রকম পদক্ষেপ ছাড়াই কয়েকটি তারিখ অনুপস্থিত থাকায় গত ২৮ মার্চ তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। বোতল চৌধুরীকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করা হলেও মামলা শুনানির আগ পর্যন্ত তাঁকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়নি।
এর আগে এই মামলার অন্যতম আসামি ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম ও সেলিম খান অনুপস্থিত থাকার কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে গত ২০ মার্চ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।
অপর আসামি আদনান সিদ্দিকীর পক্ষে সময়ের আবেদন করা হয়। শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন এই মামলায় প্রথম থেকেই পলাতক রয়েছেন।
১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর বনানীর ট্রাম্পস ক্লাবের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় সোহেল চৌধুরীকে। ঘটনার পর সোহেলের ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে গুলশান থানায় হত্যা মামলা করেন। ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। বিতর্কিত ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে বাদানুবাদই এ হত্যার নেপথ্য কারণ বলে মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।
এই মামলায় ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ২০০৩ সালে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এ পাঠানো হয়। মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো বেআইনি হয়েছে দাবি করে ওই আইনের দুটি ধারা চ্যালেঞ্জ করে আদনান সিদ্দিকী হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন (রিট নম্বর ৭০৫৩ / ২০০৩)। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৩ সালের ১৯ নভেম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা স্থানান্তরের আদেশ কেন বেআইনি হবে না তা জানাতে সরকারের প্রতি রুল জারি করেন। একই সঙ্গে তিন মাসের জন্য মামলার বিচার কার্যক্রম স্থগিত করেন। পরে ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন। সেই থেকে এই মামলার বিচার স্থগিত থাকে। কোনো সাক্ষীর স্বাক্ষই আর গ্রহণ করা হয়নি।
একটানা ১২ বছর মামলার কার্যক্রম স্থগিত থাকার পর ২০১৫ সালে আদনান সিদ্দিকীর দায়ের করা রিট আবেদনের ওপর শুনানি হয়। শুনানি শেষে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর বেঞ্চ ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট রায় দেন। রায়ে ইতিপূর্বে দায়ের করা রুল খারিজ করে দেন। হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিত আদেশ প্রত্যাহার করেন। মামলার বিচার কার্যক্রম চলতে আইনত আর কোনো বাধা থাকে না এই আদেশের পর। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে ওই রায় ও হাইকোর্টের আদেশ আর বিচারিক ট্রাইব্যুনালে পৌঁছেনি। গায়েব হয়ে যায় হাইকোর্টের আদেশের নথি।
আজকের পত্রিকা বিষয়টি অনুসন্ধান করে গত ২৩ জানুয়ারি ‘নায়ক খুনের মামলা গুম’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হারুন ভূঁইয়া রাসেল মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি জানিয়ে রিট আবেদন করেন।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে নথি খুঁজে বের করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেন। এরপর গুম হওয়া নথি বের হয় এবং সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলা স্থগিত করা নিয়ে যে রিট আবেদন করা হয়েছিল, সেই রুল খারিজের আদেশও দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পৌঁছে যায়। গত ১০ মার্চ মামলার কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়।

দুষ্কৃতিকারীদের হাতে নিহত জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় আলামত ও মামলার কেস ডকেটের (সিডি, অর্থাৎ সাক্ষীদের জবানবন্দি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র) অভাবে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করা যাচ্ছে না। আজ বুধবারও সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য মামলা প্রস্তুত করা সম্ভব হয়নি।
ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এ মামলার আলামত ও সিডি ট্রাইব্যুনালে হাজির করার জন্য আজ তারিখ ধার্য ছিল, কিন্তু সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে সেগুলো হাজির করা হয়নি। বিচারক জাকির হোসেন আগামী ১৭ এপ্রিল পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করেন।
এর আগে তিনটি তারিখে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানো হয়। আলামত ও সিডি না থাকা, কারাগারে থাকা আসামিকে আর ট্রাইব্যুনালে হাজির না করার কারণে সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে দেওয়া হয়। আগের দুটি ধার্য তারিখে মামলার বাদী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৮ মার্চ মামলার আলামত কোথায় আছে তা খুঁজে বের করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হলেও আজ তিনি আদালতে হাজির হননি, এমনকি কোনো কিছু জানাননি। অন্যদিকে ট্রাইব্যুনালের পিপিকে মামলার সিডি খুঁজে বের করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কোনোটাই ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়নি।
আজ বিচারক মামলার আলামত ট্রাইব্যুনালে দাখিল করার জন্য মহাপুলিশ পরিদর্শকের মাধ্যমে নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে মামলার সিডি হাইকোর্ট থেকে ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে চিঠি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এর আগে অতিরিক্ত পিপি আফরিন শিল্পী ট্রাইব্যুনালকে জানান মামলার সিডি হাইকোর্টে আছে।
এ মামলায় কারাগারে থাকা আসামি তারিক সাঈদ মামুনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়নি। জামিনে থাকা আসামি ফারুক আব্বাসী হাজির হন। হাইকোর্ট থেকে জামিনে থাকা আসামি হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ও আশীষ চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী কোনো রকম পদক্ষেপ ছাড়াই কয়েকটি তারিখ অনুপস্থিত থাকায় গত ২৮ মার্চ তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। বোতল চৌধুরীকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করা হলেও মামলা শুনানির আগ পর্যন্ত তাঁকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়নি।
এর আগে এই মামলার অন্যতম আসামি ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম ও সেলিম খান অনুপস্থিত থাকার কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে গত ২০ মার্চ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।
অপর আসামি আদনান সিদ্দিকীর পক্ষে সময়ের আবেদন করা হয়। শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন এই মামলায় প্রথম থেকেই পলাতক রয়েছেন।
১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর বনানীর ট্রাম্পস ক্লাবের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় সোহেল চৌধুরীকে। ঘটনার পর সোহেলের ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে গুলশান থানায় হত্যা মামলা করেন। ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। বিতর্কিত ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে বাদানুবাদই এ হত্যার নেপথ্য কারণ বলে মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।
এই মামলায় ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ২০০৩ সালে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এ পাঠানো হয়। মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো বেআইনি হয়েছে দাবি করে ওই আইনের দুটি ধারা চ্যালেঞ্জ করে আদনান সিদ্দিকী হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন (রিট নম্বর ৭০৫৩ / ২০০৩)। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৩ সালের ১৯ নভেম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা স্থানান্তরের আদেশ কেন বেআইনি হবে না তা জানাতে সরকারের প্রতি রুল জারি করেন। একই সঙ্গে তিন মাসের জন্য মামলার বিচার কার্যক্রম স্থগিত করেন। পরে ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন। সেই থেকে এই মামলার বিচার স্থগিত থাকে। কোনো সাক্ষীর স্বাক্ষই আর গ্রহণ করা হয়নি।
একটানা ১২ বছর মামলার কার্যক্রম স্থগিত থাকার পর ২০১৫ সালে আদনান সিদ্দিকীর দায়ের করা রিট আবেদনের ওপর শুনানি হয়। শুনানি শেষে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর বেঞ্চ ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট রায় দেন। রায়ে ইতিপূর্বে দায়ের করা রুল খারিজ করে দেন। হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিত আদেশ প্রত্যাহার করেন। মামলার বিচার কার্যক্রম চলতে আইনত আর কোনো বাধা থাকে না এই আদেশের পর। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে ওই রায় ও হাইকোর্টের আদেশ আর বিচারিক ট্রাইব্যুনালে পৌঁছেনি। গায়েব হয়ে যায় হাইকোর্টের আদেশের নথি।
আজকের পত্রিকা বিষয়টি অনুসন্ধান করে গত ২৩ জানুয়ারি ‘নায়ক খুনের মামলা গুম’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হারুন ভূঁইয়া রাসেল মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি জানিয়ে রিট আবেদন করেন।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে নথি খুঁজে বের করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেন। এরপর গুম হওয়া নথি বের হয় এবং সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলা স্থগিত করা নিয়ে যে রিট আবেদন করা হয়েছিল, সেই রুল খারিজের আদেশও দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পৌঁছে যায়। গত ১০ মার্চ মামলার কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়।

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২৪ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার
২৮ মিনিট আগে
পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
৩১ মিনিট আগে
এ বিষয়ে র্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. রাকিব হাসান জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গুলশানে অভিযান চালিয়ে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ, মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যানসহ রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৪০ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি ও ভৈরব সংবাদদাতা

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্বজন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দগ্ধদের উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ১২ জনকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠান। বাকি তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দোকান মালিক, লুন্দিয়া টুকচানপুর গ্রামের বাসিন্দা জহির মিয়া পুরি ও রুটি ভাজি বিক্রি শেষে সকালে ১০টার দিকে প্রতিদিনের মতো দোকান বন্ধ করে বাড়ি যান। তিনি ভুলে গ্যাস সিলিন্ডারের রেগুলেটরের সুইচ বন্ধ করেননি। দীর্ঘ সময় ধরে দোকানের ভেতর গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। পরে এক পর্যায়ে গ্যাসের বিস্ফোরণে দোকানে আগুন ধরে যায়। এসময় দোকানের সামনে থাকা পথচারী এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দগ্ধ হন।
আহতরা হলেন—হারুন মিয়া (৪০), সোহাগ মিয়া (১০), ওয়াসিবুল (১০), সামিউল (৯), আল আমিন (৮), শুভ (৮), নিরব (১৫), রাহাত (১২), ফাহিম (১০), আমিন (১০), হেকিম মিয়া (৫৫), সেরাজুল (১০), ছিদ্দিক মিয়া (৫৮), মোর্শিদ মিয়া (৫০) ও নাছির মিয়া (৪০)।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে স্বজনেরা জানান, আহতদের মধ্যে হারুন মিয়ার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ দগ্ধ হওয়ায় তাঁর অবস্থা সংকটজনক।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হঠাৎ রাস্তার ওপর আগুন ছড়িয়ে পড়ে। চোখের সামনে কয়েকজন মানুষ আগুনে পুড়তে দেখি। পরে জানতে পারি গ্যাস সিলিন্ডার থেকেই আগুন ছড়িয়েছে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কিশোর কুমার ধর বলেন, ১৫ জন অগ্নিদগ্ধ রোগী হাসপাতালে আসে। একজনের শরীরের ৮০ শতাংশ এবং অন্যদের ২০–৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। ১২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্বজন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দগ্ধদের উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ১২ জনকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠান। বাকি তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দোকান মালিক, লুন্দিয়া টুকচানপুর গ্রামের বাসিন্দা জহির মিয়া পুরি ও রুটি ভাজি বিক্রি শেষে সকালে ১০টার দিকে প্রতিদিনের মতো দোকান বন্ধ করে বাড়ি যান। তিনি ভুলে গ্যাস সিলিন্ডারের রেগুলেটরের সুইচ বন্ধ করেননি। দীর্ঘ সময় ধরে দোকানের ভেতর গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। পরে এক পর্যায়ে গ্যাসের বিস্ফোরণে দোকানে আগুন ধরে যায়। এসময় দোকানের সামনে থাকা পথচারী এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দগ্ধ হন।
আহতরা হলেন—হারুন মিয়া (৪০), সোহাগ মিয়া (১০), ওয়াসিবুল (১০), সামিউল (৯), আল আমিন (৮), শুভ (৮), নিরব (১৫), রাহাত (১২), ফাহিম (১০), আমিন (১০), হেকিম মিয়া (৫৫), সেরাজুল (১০), ছিদ্দিক মিয়া (৫৮), মোর্শিদ মিয়া (৫০) ও নাছির মিয়া (৪০)।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে স্বজনেরা জানান, আহতদের মধ্যে হারুন মিয়ার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ দগ্ধ হওয়ায় তাঁর অবস্থা সংকটজনক।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হঠাৎ রাস্তার ওপর আগুন ছড়িয়ে পড়ে। চোখের সামনে কয়েকজন মানুষ আগুনে পুড়তে দেখি। পরে জানতে পারি গ্যাস সিলিন্ডার থেকেই আগুন ছড়িয়েছে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কিশোর কুমার ধর বলেন, ১৫ জন অগ্নিদগ্ধ রোগী হাসপাতালে আসে। একজনের শরীরের ৮০ শতাংশ এবং অন্যদের ২০–৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। ১২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

দুষ্কৃতিকারীদের হাতে নিহত জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় আলামত ও মামলার কেস ডকেটের (সিডি অর্থাৎ সাক্ষীদের জবানবন্দি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র) অভাবে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করা যাচ্ছে না। আজ বুধবারও সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য মামলা প্রস্তুত করা সম্ভব হয়নি
০৬ এপ্রিল ২০২২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার
২৮ মিনিট আগে
পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
৩১ মিনিট আগে
এ বিষয়ে র্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. রাকিব হাসান জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গুলশানে অভিযান চালিয়ে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ, মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যানসহ রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৪০ মিনিট আগেনাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বিচারক আশরাফুল আলম আসামির জবানবন্দি নথিভুক্ত করেন। পরে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদ আহাম্মদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আসামির জবানবন্দির বরাতে ওসি মাকছুদ আহাম্মদ জানান, গত মঙ্গলবার রাতে দুলাল মিয়া আট বছরের ওই শিশুকে ঘর থেকে ডেকে নেন। এরপর তাকে বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে শ্বাস রোধ করে তাকে হত্যা করেন দুলাল।
মাকছুদ আহাম্মদ জানান, এদিকে ওই রাতেই শিশুকে না পেয়ে তার পরিবার খোঁজাখুঁজি শুরু করে। সে সময় সন্ধান চেয়ে মাইকে প্রচারও করা হয়। তখন দুলাল মিয়াও শিশুটির বাবার সঙ্গে খোঁজাখুঁজিতে যোগ দেন। পরদিন গত বুধবার সকালে বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় দুলাল মিয়া ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিয়ে পুলিশ সদস্যদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন।
জবানবন্দির বরাতে ওসি মাকছুদ আহাম্মদ বলেন, ‘লাশ উদ্ধারের সময় দুলাল মিয়ার আচরণে আমাদের সন্দেহ হয়। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপার মো. আব্দুর রউফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আল সরকারের সঙ্গে কথা হয়। পরে বুধবার রাতে শিশুটির বাবা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন। মামলার পরই দ্রুত তদন্ত শুরু করে ঘটনাস্থলসংলগ্ন বিভিন্ন আলামত পর্যালোচনা শেষে ওই রাতেই দুলাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শিশুটির লাশের ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বিচারক আশরাফুল আলম আসামির জবানবন্দি নথিভুক্ত করেন। পরে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদ আহাম্মদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আসামির জবানবন্দির বরাতে ওসি মাকছুদ আহাম্মদ জানান, গত মঙ্গলবার রাতে দুলাল মিয়া আট বছরের ওই শিশুকে ঘর থেকে ডেকে নেন। এরপর তাকে বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে শ্বাস রোধ করে তাকে হত্যা করেন দুলাল।
মাকছুদ আহাম্মদ জানান, এদিকে ওই রাতেই শিশুকে না পেয়ে তার পরিবার খোঁজাখুঁজি শুরু করে। সে সময় সন্ধান চেয়ে মাইকে প্রচারও করা হয়। তখন দুলাল মিয়াও শিশুটির বাবার সঙ্গে খোঁজাখুঁজিতে যোগ দেন। পরদিন গত বুধবার সকালে বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় দুলাল মিয়া ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিয়ে পুলিশ সদস্যদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন।
জবানবন্দির বরাতে ওসি মাকছুদ আহাম্মদ বলেন, ‘লাশ উদ্ধারের সময় দুলাল মিয়ার আচরণে আমাদের সন্দেহ হয়। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপার মো. আব্দুর রউফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আল সরকারের সঙ্গে কথা হয়। পরে বুধবার রাতে শিশুটির বাবা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন। মামলার পরই দ্রুত তদন্ত শুরু করে ঘটনাস্থলসংলগ্ন বিভিন্ন আলামত পর্যালোচনা শেষে ওই রাতেই দুলাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শিশুটির লাশের ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

দুষ্কৃতিকারীদের হাতে নিহত জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় আলামত ও মামলার কেস ডকেটের (সিডি অর্থাৎ সাক্ষীদের জবানবন্দি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র) অভাবে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করা যাচ্ছে না। আজ বুধবারও সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য মামলা প্রস্তুত করা সম্ভব হয়নি
০৬ এপ্রিল ২০২২
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২৪ মিনিট আগে
পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
৩১ মিনিট আগে
এ বিষয়ে র্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. রাকিব হাসান জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গুলশানে অভিযান চালিয়ে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ, মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যানসহ রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৪০ মিনিট আগেচাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি

পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ শুক্রবার সকালে চাটমোহর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন মামলার ১ নম্বর বিবাদী, ছাইকোলা ইউনিয়নের কুবড়াগাড়ি গ্রামের শফিকুল ইসলামের স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন।
জানা গেছে, গত ৪ জুলাই রাত আড়াইটার দিকে কুবড়াগাড়ি গ্রামের আব্দুর রহিম (৬৫) নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। ওই সময় দুর্বৃত্তরা তাঁকে ঘর থেকে বাইরে ডেকে শরীরে দাহ্য পদার্থ ঢেলে দেয়। এতে তিনি দগ্ধ হন। প্রথমে তাঁকে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। এ ঘটনায় আব্দুর রহিমের ভাই আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে প্রতিবেশী সাতজনকে বিবাদী করে অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনে মামলা করেন। মামলার ছয়জন জামিন পেলেও ১ নম্বর বিবাদী শফিকুল ইসলাম এখনো কারাগারে।
সংবাদ সম্মেলনে সুমাইয়া খাতুন দাবি করেন, ঘটনার দিন ওই সময়ে তাঁর স্বামী চাটমোহরে ছিলেন না। তাঁরা দুজনই সেদিন চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ছিলেন, যেখানে তাঁরা ফুটপাতে বিরিয়ানি বিক্রি করেন। তা সত্ত্বেও তাঁর স্বামীকে মামলার ১ নম্বর বিবাদী করা হয়েছে। এ ছাড়া শফিকুলের পিতা শহিদ সরদারসহ আরও দুই ভাইকে মামলায় জড়ানো হয়েছে।
সুমাইয়ার ভাষ্য, ‘আমার স্বামী গ্রামে থাকেন না। আমরা তিন সন্তান নিয়ে হাটহাজারীতেই থাকি। প্রতিপক্ষ আমাদের ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলা করেছে। প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করা হয়নি। আমরা অন্যায়ের শিকার।’ তিনি অভিযোগ করেন, মামলার তদন্তে গাফিলতি থাকায় তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে হয়রানির শিকার। তিন সন্তানসহ মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে মামলাটি পুনঃতদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করা এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান পরিবারের সদস্যরা। সেখানে শফিকুল ইসলামের পিতা শহিদ সরদার, তাঁর মা ও অন্যান্য স্বজন উপস্থিত ছিলেন।

পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ শুক্রবার সকালে চাটমোহর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন মামলার ১ নম্বর বিবাদী, ছাইকোলা ইউনিয়নের কুবড়াগাড়ি গ্রামের শফিকুল ইসলামের স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন।
জানা গেছে, গত ৪ জুলাই রাত আড়াইটার দিকে কুবড়াগাড়ি গ্রামের আব্দুর রহিম (৬৫) নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। ওই সময় দুর্বৃত্তরা তাঁকে ঘর থেকে বাইরে ডেকে শরীরে দাহ্য পদার্থ ঢেলে দেয়। এতে তিনি দগ্ধ হন। প্রথমে তাঁকে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। এ ঘটনায় আব্দুর রহিমের ভাই আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে প্রতিবেশী সাতজনকে বিবাদী করে অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনে মামলা করেন। মামলার ছয়জন জামিন পেলেও ১ নম্বর বিবাদী শফিকুল ইসলাম এখনো কারাগারে।
সংবাদ সম্মেলনে সুমাইয়া খাতুন দাবি করেন, ঘটনার দিন ওই সময়ে তাঁর স্বামী চাটমোহরে ছিলেন না। তাঁরা দুজনই সেদিন চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ছিলেন, যেখানে তাঁরা ফুটপাতে বিরিয়ানি বিক্রি করেন। তা সত্ত্বেও তাঁর স্বামীকে মামলার ১ নম্বর বিবাদী করা হয়েছে। এ ছাড়া শফিকুলের পিতা শহিদ সরদারসহ আরও দুই ভাইকে মামলায় জড়ানো হয়েছে।
সুমাইয়ার ভাষ্য, ‘আমার স্বামী গ্রামে থাকেন না। আমরা তিন সন্তান নিয়ে হাটহাজারীতেই থাকি। প্রতিপক্ষ আমাদের ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলা করেছে। প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করা হয়নি। আমরা অন্যায়ের শিকার।’ তিনি অভিযোগ করেন, মামলার তদন্তে গাফিলতি থাকায় তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে হয়রানির শিকার। তিন সন্তানসহ মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে মামলাটি পুনঃতদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করা এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান পরিবারের সদস্যরা। সেখানে শফিকুল ইসলামের পিতা শহিদ সরদার, তাঁর মা ও অন্যান্য স্বজন উপস্থিত ছিলেন।

দুষ্কৃতিকারীদের হাতে নিহত জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় আলামত ও মামলার কেস ডকেটের (সিডি অর্থাৎ সাক্ষীদের জবানবন্দি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র) অভাবে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করা যাচ্ছে না। আজ বুধবারও সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য মামলা প্রস্তুত করা সম্ভব হয়নি
০৬ এপ্রিল ২০২২
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২৪ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার
২৮ মিনিট আগে
এ বিষয়ে র্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. রাকিব হাসান জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গুলশানে অভিযান চালিয়ে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ, মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যানসহ রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৪০ মিনিট আগেউত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি

রাজধানীর গুলশানে মদের চালানসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ ও মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়।
আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার রবিউল ইসলাম (২১) নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ভিটি গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে।
এ বিষয়ে র্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. রাকিব হাসান বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গুলশানে অভিযান চালিয়ে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ, মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত পিকআপ ভ্যানসহ রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

রাজধানীর গুলশানে মদের চালানসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ ও মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়।
আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার রবিউল ইসলাম (২১) নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ভিটি গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে।
এ বিষয়ে র্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. রাকিব হাসান বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গুলশানে অভিযান চালিয়ে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ, মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত পিকআপ ভ্যানসহ রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

দুষ্কৃতিকারীদের হাতে নিহত জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় আলামত ও মামলার কেস ডকেটের (সিডি অর্থাৎ সাক্ষীদের জবানবন্দি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র) অভাবে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করা যাচ্ছে না। আজ বুধবারও সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য মামলা প্রস্তুত করা সম্ভব হয়নি
০৬ এপ্রিল ২০২২
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২৪ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার
২৮ মিনিট আগে
পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
৩১ মিনিট আগে