Ajker Patrika

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮: ১৯
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। ছবি: সংগৃহীত
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদসহ ১২৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০০-২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার তহমুল ইসলাম মাজহারুল (২৭) বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ সদর থানায় মামলাটি করেন। মামলার আসামিদের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ওবায়দুল কাদেরের নামও রয়েছে।

ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলি করার ঘটনায় করা এ মামলার বাদী তহমুল ইসলাম মাজহারুল (২৭) নামের এক যুবক। তহমুল ইসলাম মাজহারুল কিশোরগঞ্জ সদরের উত্তর লতিবাবাদ এলাকার বাসিন্দা। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, তিনি বিএনপির একজন কর্মী। আন্দোলনের সময় তিনি আহত হয়েছিলেন।

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জেলায় এ পর্যন্ত অর্ধশত মামলা হলেও এই প্রথম কোনো মামলায় সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় আবদুল হামিদ ৩ নম্বর আসামি। ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে শেখ হাসিনাকে, ২ নম্বরে আছেন শেখ রেহানা। আবদুল হামিদের নামের বানান আবদুল হামিদ (৮০) লেখা হয়েছে। পিতার নাম মো. তায়েব উদ্দিন ও সাং জেলার মিঠামইনের কামালপুর উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলায় ৪ নম্বর আসামি করা হয়েছে সজীব ওয়াজেদ জয়কে। ৫ নম্বর আসামি সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং ৬ নম্বর আসামি রাদওয়ান সিদ্দিক ববি। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, হাসান মাহমুদ, তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, আলী আরাফাত, শামীম ওসমান, নাজমুল হাসান পাপনসহ ১২৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। তা ছাড়া আরও ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পতনে সংঘটিত ছাত্র-জনতার গড়ে ওঠা আন্দোলনকে দমন করতে দেশ-বিদেশে অবস্থান করা ১ নম্বর থেকে ২০ নম্বর আসামি সারা দেশে গণহত্যার পরিকল্পনা করেন। সেই মোতাবেক তাঁরা কিশোরগঞ্জে যাতে কোনো আন্দোলন হতে না পারে, সে জন্য ২১ থেকে ৪০ নম্বর আসামিদের নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য ৪১ থেকে ১২৪ নম্বর আসামিরা শটগান, বন্দুক, পিস্তল, ককটেল, বোমা ও দেশীয় অস্ত্র এবং অর্থ সরবরাহ করে আন্দোলন দমাতে এবং গণহত্যার নির্দেশ দেন। গত বছরের ৪ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে জেলা শহরের স্টেশন রোড এলাকায় ছাত্র-জনতার মিছিলে আসামিরা হামলা চালান। তাঁরা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চালিয়ে মামলার বাদীসহ সাক্ষীদের আহত করেন। এ ছাড়া আসামিরা গ্রেনেড, ককটেল ও বোমা নিক্ষেপ করে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেন।

মামলার বাদী তহমুল ইসলাম মাজহারুল বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে। আহত অবস্থায় দীর্ঘদিন ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা নেওয়ার পর তিনি এখন কিছুটা সুস্থ হওয়ায় মামলা করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল মঙ্গলবার মামলাটি করা হয়েছে। তদন্ত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হেডফোন কানে রেললাইনে যুবক, ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত

ফেনী প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ফেনীতে ট্রেনে কাটা পড়ে আবদুল্লাহ আল নাহিদ (২২) নামের এক যুবক মারা গেছেন। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের সদর উপজেলার উত্তর শিবপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত নাহিদ সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নের দেওয়ানগঞ্জ এলাকার দেবীপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে।  

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামগামী সাগরিকা ট্রেনটি উত্তর শিবপুর এলাকা অতিক্রম করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে রেলওয়ে স্টেশন পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।

এ ব্যাপারে ফেনী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ দীপক দেওয়ান বলেন, নিহত যুবক হেডফোন কানে রেললাইনে হাঁটছিলেন। পরে চট্টগ্রামগামী ট্রেনটি তাঁকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে রেললাইনের এক পাশে ছিটকে পড়েন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গণঅধিকার পরিষদ সদস্যের মরদেহ উদ্ধার

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
হাফিজুল ইসলাম হাফিজ। ছবি: সংগৃহীত
হাফিজুল ইসলাম হাফিজ। ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় যমুনা নদীর পাড়ে একটি ড্রেজার থেকে হাফিজুল ইসলাম হাফিজ (৩০) নামের গণঅধিকার পরিষদের এক সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের পাড়ামোহনপুর এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

নিহত হাফিজুল ইসলাম ওই উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের বাঐখোলা গ্রামের মৃত কমল মুন্সীর ছেলে। তিনি গণঅধিকার পরিষদের একজন সদস্য ছিলেন বলে জানান স্থানীয়রা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যমুনা নদীর আড়কান্দি ও পাড়ামোহনপুরসহ আশপাশের এলাকায় নদীতীর সংরক্ষণ বাঁধের পাশে বালুর ব্যবসা চলছিল। হাফিজুল ইসলামও ওই কাজে যুক্ত ছিলেন। রোববার রাতে একটি ড্রেজারের বাল্কহেডের ইঞ্জিন অংশে চার সহযোগীর সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি জানাজানি হলে এনায়েতপুর থানা-পুলিশ ও চৌহালী নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে।

স্থানীয় বাসিন্দা জামাল প্রামাণিক জানান, নদীভাঙনে বসতভিটা হারানোর পর হাফিজুল ইসলাম ঢাকায় চাকরি করতেন। কয়েক মাস আগে এলাকায় ফিরে এসে তিনি বালুর ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন। তিনি নিজেকে গণঅধিকার পরিষদের একজন সদস্য হিসেবে পরিচয় দিতেন।

এ বিষয়ে চৌহালী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ফিরোজ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পরিবারের পক্ষ থেকেও কোনো অভিযোগ না থাকায় আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কাজ করার পরেও ডিস্টার্ব করতে আসলে ১, ২, ৩, ৪ করে দেব: জিএস আম্মার

রাবি প্রতিনিধি  
ফেসবুক পোস্ট। ছবি: সংগৃহীত
ফেসবুক পোস্ট। ছবি: সংগৃহীত

‘রাকসু সাধারণ সম্পাদকের যা কাজ, আমি তার সবটুকুই করছি কি না, তা একবার দেখে যান। কাজ করার পরেও যদি ডিস্টার্ব করতে আসেন, তবে ১,২, ৩,৪ করে দেব’ বলে মন্তব্য করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আম্মার।

আজ সোমবার রাবি শাখা ছাত্রদলের এক নেতার বক্তব্যের জবাবে সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টের এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

পোস্টে সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আমি আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের পক্ষে থাকা শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা যদি ক্যাম্পাসে ঢোকে, তবে তাদের জোহা চত্বরে বেঁধে রাখব।

এতে রেগে গেল ক্যাম্পাসের ছাত্রদল আর বিএনপি! ছাত্রদল ও ছাত্রলীগ একই ভাষায় বিবৃতি দিল। এমনকি বিএনপিপন্থী শিক্ষকেরা ভিসির কাছে নালিশ দিলেন যে, তারা নাকি ক্যাম্পাসে আসতে ভয় পাচ্ছেন। আমি বললাম, আওয়ামী লীগের কথা, আর ভয় পাচ্ছে বিএনপির শিক্ষকেরা!’

রাকসু জিএস ছাত্রদলকে ‘চাচা’ ও ‘চান্দাভাই’ আখ্যা দিয়ে লেখেন, ‘আরেকটি বিষয়ে আসি ছাত্রদলের আহ্বায়ক ভিসির চেয়ারসহ তাকে পদ্মা নদীতে ফেলে দিতে চেয়েছিলেন; আমার কথার চেয়ে কি সেটি বেশি বড় ছিল?

‘তখন বিএনপির ‘‘চেতনাবাজদের’’ বিবৃতি কোথায় ছিল? ছাত্রদলের এক ‘‘চাচা’’ আজ ঘোষণা দিলেন ৩০ মিনিটে তালা মেরে দেবেন। বলি চাচা শোনেন, মন দিয়ে শুনবেন! ২০০৭ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত কুকুর-বিড়ালের মতো এই ক্যাম্পাসে পড়ে থেকে ক্যাম্পাসের বোঝা হব না। একদিন থাকলেও থাকার মতোই থাকব। একেকজন ১০ থেকে ১২ বছর ক্যাম্পাসে থেকে কী জনকল্যাণ করছেন, তা একটু ভেবে দেখবেন।’

আম্মার আরও লেখেন, ‘গঠনতন্ত্র অনুযায়ী রাকসু সাধারণ সম্পাদকের যা কাজ, আমি তার সবটুকুই করছি কি না তা একবার দেখে যান। কাজ করার পরেও যদি ডিস্টার্ব করতে আসেন, তবে ১,২, ৩,৪ করে দেব। সবচেয়ে বড় কথা, কোনো মেয়াদোত্তীর্ণ অছাত্রকে যেন রাকসুর আশপাশে না দেখি। তাদের জন্য ‘‘রুয়া’’ আছে, রাকসুতে কাজ নেই। আমি আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের উৎখাতে কাজ করব, সাহস থাকলে এসো চান্দাভাই।’

এর আগে শাখা ছাত্রদলের মিছিল শেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সংগঠনটির সিনিয়র সহসভাপতি শাকিলুর রহমান সোহাগ বলেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল আপনার মতো ‘‘ফুটেজখোর’’ সালাহউদ্দিন আম্মারকে মাত্র ৩০ মিনিটের ব্যবধানে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দিতে সক্ষম।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢামেকে তরুণীর লাশ ফেলে পালালেন ‘স্বামী’

ঢামেক প্রতিবেদক
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে অজ্ঞাতনামা এক তরুণীর মরদেহ ফেলে কৌশলে পালিয়ে গেছেন স্বামী পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তি। নিহত তরুণীর বয়স আনুমানিক ২০ বছর এবং তাঁর থুতনিতে কালো দাগ পাওয়া গেছে।

আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে ঘটনাটি ঘটে।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বেসরকারি ট্রলিম্যান মো. হাসান ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে এক ব্যক্তি ওই তরুণীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তিনি নিজেকে তরুণীর স্বামী বলে পরিচয় দেন এবং তাঁকে ট্রলিতে তুলে জরুরি বিভাগের সামনে রাখেন।

ট্রলিম্যান আরও জানান, রোগীকে ভেতরে নেওয়ার কথা বললে ওই ব্যক্তি জানান, তাঁর একজন পরিচিত আসছেন, তিনি এলে ভেতরে নেওয়া হবে। এরপর প্রায় দুই ঘণ্টা হাসপাতালের বাইরে ট্রলিতে রেখেই অপেক্ষা করেন তিনি। রাত সোয়া ৮টার দিকে কৌশলে তরুণীকে ট্রলিতে রেখেই সেখান থেকে পালিয়ে যান ওই ব্যক্তি। পরে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকেরা তরুণীকে পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, তরুণীর বয়স আনুমানিক ২০ বছর। তাঁর থুতনিকে কালো দাগ রয়েছে। যে ব্যক্তি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন, তিনি কৌশলে ওই তরুণীকে রেখে পালিয়ে গেছেন। ওই তরুণীর মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত