নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতিকে পিস্তল দিয়ে নিজেই গুলি করেন শুটার মাসুম। মাসুমের নামে পাঁচটি মামলা আছে। এই মামলা থেকে অব্যাহতি পেতেই টিপু হত্যার বায়না নিয়েছিলেন বলে আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে জানিয়েছেন মাসুম।
জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতিকে হত্যার দায় স্বীকার করে দেওয়া এ জবানবন্দিতে উঠে এসেছে আরও নানা তথ্য। আজ মঙ্গলবার ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় এই জবানবন্দি দেন শুটার মাসুম।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মাসুম স্বীকারোক্তিতে আদালতকে জানিয়েছেন কিলিং মিশনের অন্তত দেড় থেকে দুই মাস আগে দক্ষিণ কমলাপুরের রূপালী সমাজ উন্নয়ন সংস্থা (রূপালী ক্লাবে) বসে টিপু হত্যার মূল বৈঠক করা হয়েছিল। বৈঠকে আন্ডারওয়ার্ল্ডের দুজন শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান ও ফ্রিডম মানিকের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে নেতৃত্ব দেন দুবাইয়ে পলাতক ও বোচা বাবু হত্যা মামলার আসামি মুসা। ছিলেন শামীম, মোল্লা মানিক, ফারুক, দামাল, মারুফসহ আরও কয়েকজন। মুসা বৈঠক শেষে শুটার ঠিক করার দায়িত্ব দেন শামীমকে। শামীমই মাসুমকে টিপু হত্যার মিশনে যুক্ত করেন।
এর আগে সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মাসুমকে মঙ্গলবার আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। তদন্ত কর্মকর্তা আদালতকে জানান, মাসুম মোহাম্মদ ওরফে আকাশ ওরফে শুটার মাসুম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে ইচ্ছুক। এ কারণে তাঁর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার আবেদন জানান তদন্ত কর্মকর্তা। পরে অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন তাঁর খাসকামরায় আসামির জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন।
মাসুম আদালতকে বলেন, রূপালী ক্লাবের ওই বৈঠকে তিনি উপস্থিত ছিলেন না। তবে ওই বৈঠকেই টিপুকে হত্যার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে তিনি শামীমের কাছে শুনেছেন। তারপর শামীমই তাঁকে জানান, ‘বড় ভাই (মুসা) বলছে টিপুকে শেষ করে দিতে হবে। টিপুকে মারতে পারলে মাসুমের ঝুলে থাকা মামলা নিষ্পত্তি, যাবতীয় খরচ ও পরবর্তী সময়ে অন্যান্য সুবিধা-অসুবিধা দেখা হবে।’
মাসুম আরও বলেন, এলাকায় শেয়ারে ডিশ ব্যবসা করতেন তিনি। সেখান থেকে যা আসত, তা দিয়ে তাঁর সংসার ও মামলার খরচ মেটানো সম্ভব ছিল না। মামলা ও গ্রেপ্তার হওয়ার আশঙ্কায় প্রতিনিয়ত মানসিক চাপের মধ্যে থাকতে হতো। শুধু তাঁর মামলাগুলো নিষ্পত্তির জন্য ৫ থেকে ৭ লাখ টাকার প্রয়োজন ছিল। সব দিক বিবেচনা করে টিপুকে হত্যা করতে রাজি হন মাসুম। কিলিং মিশনের আগে মাসুমকে ঢাকার সিএমএম কোর্টে নিয়ে যান শামীম। সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন মুসা। পরে এক আইনজীবীর উপস্থিতিতে মাসুমের নামে থাকা পাঁচটি মামলা থেকে অব্যাহতি পাইয়ে দেওয়ার জন্য চুক্তি হয়। কিলিং মিশন সফল হলেই মাসুমকে মামলা নিষ্পত্তির টাকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু টাকা দেওয়ার আগেই গ্রেপ্তার হন তিনি।
জবানবন্দিতে মাসুম আরও বলেন, ঘটনার আগের দিনও টিপুকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু বাস্তবায়ন হয়নি। ঘটনার দিন শাহজাহানপুর ইসলামী হাসপাতালের সামনে মাইক্রোবাস লক্ষ্য করে গুলি করলে টিপু এবং তাঁর ড্রাইভার দুজন আহত হন। একটি গুলি রিকশারোহী এক মেয়ের গায়ে লাগে। তবে অন্য কেউ আরও গুলি করেছিল কি না, সে বিষয়ে মাসুম কী বলেছে তা জানা যায়নি। ঘটনাস্থল রেকি করায় কয়েকজন ছিল বল মাসুম বলেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ মার্চ রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে জাহিদুল ইসলাম টিপু মাইক্রোবাসে করে শাহজাহানপুর আমতলা হয়ে বাসায় ফিরছিলেন। শাহজাহানপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনে পৌঁছালে হেলমেট পরা দুর্বৃত্তরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে জাহিদুল ও তাঁর গাড়িচালক মুন্না গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় জাহিদুলের গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা বদরুন্নেসা কলেজের ছাত্রী প্রীতিও গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহিদুল ও প্রীতিকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় পরের দিন ২৫ মার্চ দুপুরে জাহিদুল ইসলাম টিপুর স্ত্রী ফারজানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে শাহজাহানপুর থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ২৭ মার্চ বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মাসুমকে। পরদিন ২৮ মার্চ তাঁকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
এই মামলায় আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ওমর ফারুক, নাসির উদ্দিন ওরফে কিলার নাসির, সালেহ শিকদার ওরফে শুটার সালেহ, মোরশেদুল আলম ওরফে কাইল্লা পলাশ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা আরফান উল্লাহ দামালকে গত ৩ এপ্রিল পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
আজ জবানবন্দির পর মাসুমকেও কারাগারে পাঠানো হয়।
টিপু হত্যা সম্পর্কিত পড়ুন:

মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতিকে পিস্তল দিয়ে নিজেই গুলি করেন শুটার মাসুম। মাসুমের নামে পাঁচটি মামলা আছে। এই মামলা থেকে অব্যাহতি পেতেই টিপু হত্যার বায়না নিয়েছিলেন বলে আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে জানিয়েছেন মাসুম।
জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতিকে হত্যার দায় স্বীকার করে দেওয়া এ জবানবন্দিতে উঠে এসেছে আরও নানা তথ্য। আজ মঙ্গলবার ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় এই জবানবন্দি দেন শুটার মাসুম।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মাসুম স্বীকারোক্তিতে আদালতকে জানিয়েছেন কিলিং মিশনের অন্তত দেড় থেকে দুই মাস আগে দক্ষিণ কমলাপুরের রূপালী সমাজ উন্নয়ন সংস্থা (রূপালী ক্লাবে) বসে টিপু হত্যার মূল বৈঠক করা হয়েছিল। বৈঠকে আন্ডারওয়ার্ল্ডের দুজন শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান ও ফ্রিডম মানিকের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে নেতৃত্ব দেন দুবাইয়ে পলাতক ও বোচা বাবু হত্যা মামলার আসামি মুসা। ছিলেন শামীম, মোল্লা মানিক, ফারুক, দামাল, মারুফসহ আরও কয়েকজন। মুসা বৈঠক শেষে শুটার ঠিক করার দায়িত্ব দেন শামীমকে। শামীমই মাসুমকে টিপু হত্যার মিশনে যুক্ত করেন।
এর আগে সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মাসুমকে মঙ্গলবার আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। তদন্ত কর্মকর্তা আদালতকে জানান, মাসুম মোহাম্মদ ওরফে আকাশ ওরফে শুটার মাসুম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে ইচ্ছুক। এ কারণে তাঁর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার আবেদন জানান তদন্ত কর্মকর্তা। পরে অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন তাঁর খাসকামরায় আসামির জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন।
মাসুম আদালতকে বলেন, রূপালী ক্লাবের ওই বৈঠকে তিনি উপস্থিত ছিলেন না। তবে ওই বৈঠকেই টিপুকে হত্যার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে তিনি শামীমের কাছে শুনেছেন। তারপর শামীমই তাঁকে জানান, ‘বড় ভাই (মুসা) বলছে টিপুকে শেষ করে দিতে হবে। টিপুকে মারতে পারলে মাসুমের ঝুলে থাকা মামলা নিষ্পত্তি, যাবতীয় খরচ ও পরবর্তী সময়ে অন্যান্য সুবিধা-অসুবিধা দেখা হবে।’
মাসুম আরও বলেন, এলাকায় শেয়ারে ডিশ ব্যবসা করতেন তিনি। সেখান থেকে যা আসত, তা দিয়ে তাঁর সংসার ও মামলার খরচ মেটানো সম্ভব ছিল না। মামলা ও গ্রেপ্তার হওয়ার আশঙ্কায় প্রতিনিয়ত মানসিক চাপের মধ্যে থাকতে হতো। শুধু তাঁর মামলাগুলো নিষ্পত্তির জন্য ৫ থেকে ৭ লাখ টাকার প্রয়োজন ছিল। সব দিক বিবেচনা করে টিপুকে হত্যা করতে রাজি হন মাসুম। কিলিং মিশনের আগে মাসুমকে ঢাকার সিএমএম কোর্টে নিয়ে যান শামীম। সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন মুসা। পরে এক আইনজীবীর উপস্থিতিতে মাসুমের নামে থাকা পাঁচটি মামলা থেকে অব্যাহতি পাইয়ে দেওয়ার জন্য চুক্তি হয়। কিলিং মিশন সফল হলেই মাসুমকে মামলা নিষ্পত্তির টাকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু টাকা দেওয়ার আগেই গ্রেপ্তার হন তিনি।
জবানবন্দিতে মাসুম আরও বলেন, ঘটনার আগের দিনও টিপুকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু বাস্তবায়ন হয়নি। ঘটনার দিন শাহজাহানপুর ইসলামী হাসপাতালের সামনে মাইক্রোবাস লক্ষ্য করে গুলি করলে টিপু এবং তাঁর ড্রাইভার দুজন আহত হন। একটি গুলি রিকশারোহী এক মেয়ের গায়ে লাগে। তবে অন্য কেউ আরও গুলি করেছিল কি না, সে বিষয়ে মাসুম কী বলেছে তা জানা যায়নি। ঘটনাস্থল রেকি করায় কয়েকজন ছিল বল মাসুম বলেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ মার্চ রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে জাহিদুল ইসলাম টিপু মাইক্রোবাসে করে শাহজাহানপুর আমতলা হয়ে বাসায় ফিরছিলেন। শাহজাহানপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনে পৌঁছালে হেলমেট পরা দুর্বৃত্তরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে জাহিদুল ও তাঁর গাড়িচালক মুন্না গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় জাহিদুলের গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা বদরুন্নেসা কলেজের ছাত্রী প্রীতিও গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহিদুল ও প্রীতিকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় পরের দিন ২৫ মার্চ দুপুরে জাহিদুল ইসলাম টিপুর স্ত্রী ফারজানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে শাহজাহানপুর থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ২৭ মার্চ বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মাসুমকে। পরদিন ২৮ মার্চ তাঁকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
এই মামলায় আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ওমর ফারুক, নাসির উদ্দিন ওরফে কিলার নাসির, সালেহ শিকদার ওরফে শুটার সালেহ, মোরশেদুল আলম ওরফে কাইল্লা পলাশ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা আরফান উল্লাহ দামালকে গত ৩ এপ্রিল পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
আজ জবানবন্দির পর মাসুমকেও কারাগারে পাঠানো হয়।
টিপু হত্যা সম্পর্কিত পড়ুন:
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতিকে পিস্তল দিয়ে নিজেই গুলি করেন শুটার মাসুম। মাসুমের নামে পাঁচটি মামলা আছে। এই মামলা থেকে অব্যাহতি পেতেই টিপু হত্যার বায়না নিয়েছিলেন বলে আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে জানিয়েছেন মাসুম।
জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতিকে হত্যার দায় স্বীকার করে দেওয়া এ জবানবন্দিতে উঠে এসেছে আরও নানা তথ্য। আজ মঙ্গলবার ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় এই জবানবন্দি দেন শুটার মাসুম।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মাসুম স্বীকারোক্তিতে আদালতকে জানিয়েছেন কিলিং মিশনের অন্তত দেড় থেকে দুই মাস আগে দক্ষিণ কমলাপুরের রূপালী সমাজ উন্নয়ন সংস্থা (রূপালী ক্লাবে) বসে টিপু হত্যার মূল বৈঠক করা হয়েছিল। বৈঠকে আন্ডারওয়ার্ল্ডের দুজন শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান ও ফ্রিডম মানিকের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে নেতৃত্ব দেন দুবাইয়ে পলাতক ও বোচা বাবু হত্যা মামলার আসামি মুসা। ছিলেন শামীম, মোল্লা মানিক, ফারুক, দামাল, মারুফসহ আরও কয়েকজন। মুসা বৈঠক শেষে শুটার ঠিক করার দায়িত্ব দেন শামীমকে। শামীমই মাসুমকে টিপু হত্যার মিশনে যুক্ত করেন।
এর আগে সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মাসুমকে মঙ্গলবার আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। তদন্ত কর্মকর্তা আদালতকে জানান, মাসুম মোহাম্মদ ওরফে আকাশ ওরফে শুটার মাসুম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে ইচ্ছুক। এ কারণে তাঁর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার আবেদন জানান তদন্ত কর্মকর্তা। পরে অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন তাঁর খাসকামরায় আসামির জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন।
মাসুম আদালতকে বলেন, রূপালী ক্লাবের ওই বৈঠকে তিনি উপস্থিত ছিলেন না। তবে ওই বৈঠকেই টিপুকে হত্যার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে তিনি শামীমের কাছে শুনেছেন। তারপর শামীমই তাঁকে জানান, ‘বড় ভাই (মুসা) বলছে টিপুকে শেষ করে দিতে হবে। টিপুকে মারতে পারলে মাসুমের ঝুলে থাকা মামলা নিষ্পত্তি, যাবতীয় খরচ ও পরবর্তী সময়ে অন্যান্য সুবিধা-অসুবিধা দেখা হবে।’
মাসুম আরও বলেন, এলাকায় শেয়ারে ডিশ ব্যবসা করতেন তিনি। সেখান থেকে যা আসত, তা দিয়ে তাঁর সংসার ও মামলার খরচ মেটানো সম্ভব ছিল না। মামলা ও গ্রেপ্তার হওয়ার আশঙ্কায় প্রতিনিয়ত মানসিক চাপের মধ্যে থাকতে হতো। শুধু তাঁর মামলাগুলো নিষ্পত্তির জন্য ৫ থেকে ৭ লাখ টাকার প্রয়োজন ছিল। সব দিক বিবেচনা করে টিপুকে হত্যা করতে রাজি হন মাসুম। কিলিং মিশনের আগে মাসুমকে ঢাকার সিএমএম কোর্টে নিয়ে যান শামীম। সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন মুসা। পরে এক আইনজীবীর উপস্থিতিতে মাসুমের নামে থাকা পাঁচটি মামলা থেকে অব্যাহতি পাইয়ে দেওয়ার জন্য চুক্তি হয়। কিলিং মিশন সফল হলেই মাসুমকে মামলা নিষ্পত্তির টাকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু টাকা দেওয়ার আগেই গ্রেপ্তার হন তিনি।
জবানবন্দিতে মাসুম আরও বলেন, ঘটনার আগের দিনও টিপুকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু বাস্তবায়ন হয়নি। ঘটনার দিন শাহজাহানপুর ইসলামী হাসপাতালের সামনে মাইক্রোবাস লক্ষ্য করে গুলি করলে টিপু এবং তাঁর ড্রাইভার দুজন আহত হন। একটি গুলি রিকশারোহী এক মেয়ের গায়ে লাগে। তবে অন্য কেউ আরও গুলি করেছিল কি না, সে বিষয়ে মাসুম কী বলেছে তা জানা যায়নি। ঘটনাস্থল রেকি করায় কয়েকজন ছিল বল মাসুম বলেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ মার্চ রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে জাহিদুল ইসলাম টিপু মাইক্রোবাসে করে শাহজাহানপুর আমতলা হয়ে বাসায় ফিরছিলেন। শাহজাহানপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনে পৌঁছালে হেলমেট পরা দুর্বৃত্তরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে জাহিদুল ও তাঁর গাড়িচালক মুন্না গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় জাহিদুলের গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা বদরুন্নেসা কলেজের ছাত্রী প্রীতিও গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহিদুল ও প্রীতিকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় পরের দিন ২৫ মার্চ দুপুরে জাহিদুল ইসলাম টিপুর স্ত্রী ফারজানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে শাহজাহানপুর থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ২৭ মার্চ বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মাসুমকে। পরদিন ২৮ মার্চ তাঁকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
এই মামলায় আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ওমর ফারুক, নাসির উদ্দিন ওরফে কিলার নাসির, সালেহ শিকদার ওরফে শুটার সালেহ, মোরশেদুল আলম ওরফে কাইল্লা পলাশ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা আরফান উল্লাহ দামালকে গত ৩ এপ্রিল পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
আজ জবানবন্দির পর মাসুমকেও কারাগারে পাঠানো হয়।
টিপু হত্যা সম্পর্কিত পড়ুন:

মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতিকে পিস্তল দিয়ে নিজেই গুলি করেন শুটার মাসুম। মাসুমের নামে পাঁচটি মামলা আছে। এই মামলা থেকে অব্যাহতি পেতেই টিপু হত্যার বায়না নিয়েছিলেন বলে আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে জানিয়েছেন মাসুম।
জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতিকে হত্যার দায় স্বীকার করে দেওয়া এ জবানবন্দিতে উঠে এসেছে আরও নানা তথ্য। আজ মঙ্গলবার ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় এই জবানবন্দি দেন শুটার মাসুম।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মাসুম স্বীকারোক্তিতে আদালতকে জানিয়েছেন কিলিং মিশনের অন্তত দেড় থেকে দুই মাস আগে দক্ষিণ কমলাপুরের রূপালী সমাজ উন্নয়ন সংস্থা (রূপালী ক্লাবে) বসে টিপু হত্যার মূল বৈঠক করা হয়েছিল। বৈঠকে আন্ডারওয়ার্ল্ডের দুজন শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান ও ফ্রিডম মানিকের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে নেতৃত্ব দেন দুবাইয়ে পলাতক ও বোচা বাবু হত্যা মামলার আসামি মুসা। ছিলেন শামীম, মোল্লা মানিক, ফারুক, দামাল, মারুফসহ আরও কয়েকজন। মুসা বৈঠক শেষে শুটার ঠিক করার দায়িত্ব দেন শামীমকে। শামীমই মাসুমকে টিপু হত্যার মিশনে যুক্ত করেন।
এর আগে সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মাসুমকে মঙ্গলবার আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। তদন্ত কর্মকর্তা আদালতকে জানান, মাসুম মোহাম্মদ ওরফে আকাশ ওরফে শুটার মাসুম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে ইচ্ছুক। এ কারণে তাঁর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার আবেদন জানান তদন্ত কর্মকর্তা। পরে অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন তাঁর খাসকামরায় আসামির জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন।
মাসুম আদালতকে বলেন, রূপালী ক্লাবের ওই বৈঠকে তিনি উপস্থিত ছিলেন না। তবে ওই বৈঠকেই টিপুকে হত্যার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে তিনি শামীমের কাছে শুনেছেন। তারপর শামীমই তাঁকে জানান, ‘বড় ভাই (মুসা) বলছে টিপুকে শেষ করে দিতে হবে। টিপুকে মারতে পারলে মাসুমের ঝুলে থাকা মামলা নিষ্পত্তি, যাবতীয় খরচ ও পরবর্তী সময়ে অন্যান্য সুবিধা-অসুবিধা দেখা হবে।’
মাসুম আরও বলেন, এলাকায় শেয়ারে ডিশ ব্যবসা করতেন তিনি। সেখান থেকে যা আসত, তা দিয়ে তাঁর সংসার ও মামলার খরচ মেটানো সম্ভব ছিল না। মামলা ও গ্রেপ্তার হওয়ার আশঙ্কায় প্রতিনিয়ত মানসিক চাপের মধ্যে থাকতে হতো। শুধু তাঁর মামলাগুলো নিষ্পত্তির জন্য ৫ থেকে ৭ লাখ টাকার প্রয়োজন ছিল। সব দিক বিবেচনা করে টিপুকে হত্যা করতে রাজি হন মাসুম। কিলিং মিশনের আগে মাসুমকে ঢাকার সিএমএম কোর্টে নিয়ে যান শামীম। সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন মুসা। পরে এক আইনজীবীর উপস্থিতিতে মাসুমের নামে থাকা পাঁচটি মামলা থেকে অব্যাহতি পাইয়ে দেওয়ার জন্য চুক্তি হয়। কিলিং মিশন সফল হলেই মাসুমকে মামলা নিষ্পত্তির টাকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু টাকা দেওয়ার আগেই গ্রেপ্তার হন তিনি।
জবানবন্দিতে মাসুম আরও বলেন, ঘটনার আগের দিনও টিপুকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু বাস্তবায়ন হয়নি। ঘটনার দিন শাহজাহানপুর ইসলামী হাসপাতালের সামনে মাইক্রোবাস লক্ষ্য করে গুলি করলে টিপু এবং তাঁর ড্রাইভার দুজন আহত হন। একটি গুলি রিকশারোহী এক মেয়ের গায়ে লাগে। তবে অন্য কেউ আরও গুলি করেছিল কি না, সে বিষয়ে মাসুম কী বলেছে তা জানা যায়নি। ঘটনাস্থল রেকি করায় কয়েকজন ছিল বল মাসুম বলেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ মার্চ রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে জাহিদুল ইসলাম টিপু মাইক্রোবাসে করে শাহজাহানপুর আমতলা হয়ে বাসায় ফিরছিলেন। শাহজাহানপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনে পৌঁছালে হেলমেট পরা দুর্বৃত্তরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে জাহিদুল ও তাঁর গাড়িচালক মুন্না গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় জাহিদুলের গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা বদরুন্নেসা কলেজের ছাত্রী প্রীতিও গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহিদুল ও প্রীতিকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় পরের দিন ২৫ মার্চ দুপুরে জাহিদুল ইসলাম টিপুর স্ত্রী ফারজানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে শাহজাহানপুর থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ২৭ মার্চ বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মাসুমকে। পরদিন ২৮ মার্চ তাঁকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
এই মামলায় আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ওমর ফারুক, নাসির উদ্দিন ওরফে কিলার নাসির, সালেহ শিকদার ওরফে শুটার সালেহ, মোরশেদুল আলম ওরফে কাইল্লা পলাশ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা আরফান উল্লাহ দামালকে গত ৩ এপ্রিল পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
আজ জবানবন্দির পর মাসুমকেও কারাগারে পাঠানো হয়।
টিপু হত্যা সম্পর্কিত পড়ুন:

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১৮ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার
২২ মিনিট আগে
পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
২৪ মিনিট আগে
এ বিষয়ে র্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. রাকিব হাসান জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গুলশানে অভিযান চালিয়ে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ, মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যানসহ রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৩৪ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি ও ভৈরব সংবাদদাতা

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্বজন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দগ্ধদের উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ১২ জনকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠান। বাকি তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দোকান মালিক, লুন্দিয়া টুকচানপুর গ্রামের বাসিন্দা জহির মিয়া পুরি ও রুটি ভাজি বিক্রি শেষে সকালে ১০টার দিকে প্রতিদিনের মতো দোকান বন্ধ করে বাড়ি যান। তিনি ভুলে গ্যাস সিলিন্ডারের রেগুলেটরের সুইচ বন্ধ করেননি। দীর্ঘ সময় ধরে দোকানের ভেতর গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। পরে এক পর্যায়ে গ্যাসের বিস্ফোরণে দোকানে আগুন ধরে যায়। এসময় দোকানের সামনে থাকা পথচারী এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দগ্ধ হন।
আহতরা হলেন—হারুন মিয়া (৪০), সোহাগ মিয়া (১০), ওয়াসিবুল (১০), সামিউল (৯), আল আমিন (৮), শুভ (৮), নিরব (১৫), রাহাত (১২), ফাহিম (১০), আমিন (১০), হেকিম মিয়া (৫৫), সেরাজুল (১০), ছিদ্দিক মিয়া (৫৮), মোর্শিদ মিয়া (৫০) ও নাছির মিয়া (৪০)।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে স্বজনেরা জানান, আহতদের মধ্যে হারুন মিয়ার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ দগ্ধ হওয়ায় তাঁর অবস্থা সংকটজনক।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হঠাৎ রাস্তার ওপর আগুন ছড়িয়ে পড়ে। চোখের সামনে কয়েকজন মানুষ আগুনে পুড়তে দেখি। পরে জানতে পারি গ্যাস সিলিন্ডার থেকেই আগুন ছড়িয়েছে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কিশোর কুমার ধর বলেন, ১৫ জন অগ্নিদগ্ধ রোগী হাসপাতালে আসে। একজনের শরীরের ৮০ শতাংশ এবং অন্যদের ২০–৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। ১২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্বজন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দগ্ধদের উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ১২ জনকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠান। বাকি তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দোকান মালিক, লুন্দিয়া টুকচানপুর গ্রামের বাসিন্দা জহির মিয়া পুরি ও রুটি ভাজি বিক্রি শেষে সকালে ১০টার দিকে প্রতিদিনের মতো দোকান বন্ধ করে বাড়ি যান। তিনি ভুলে গ্যাস সিলিন্ডারের রেগুলেটরের সুইচ বন্ধ করেননি। দীর্ঘ সময় ধরে দোকানের ভেতর গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। পরে এক পর্যায়ে গ্যাসের বিস্ফোরণে দোকানে আগুন ধরে যায়। এসময় দোকানের সামনে থাকা পথচারী এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দগ্ধ হন।
আহতরা হলেন—হারুন মিয়া (৪০), সোহাগ মিয়া (১০), ওয়াসিবুল (১০), সামিউল (৯), আল আমিন (৮), শুভ (৮), নিরব (১৫), রাহাত (১২), ফাহিম (১০), আমিন (১০), হেকিম মিয়া (৫৫), সেরাজুল (১০), ছিদ্দিক মিয়া (৫৮), মোর্শিদ মিয়া (৫০) ও নাছির মিয়া (৪০)।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে স্বজনেরা জানান, আহতদের মধ্যে হারুন মিয়ার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ দগ্ধ হওয়ায় তাঁর অবস্থা সংকটজনক।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হঠাৎ রাস্তার ওপর আগুন ছড়িয়ে পড়ে। চোখের সামনে কয়েকজন মানুষ আগুনে পুড়তে দেখি। পরে জানতে পারি গ্যাস সিলিন্ডার থেকেই আগুন ছড়িয়েছে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কিশোর কুমার ধর বলেন, ১৫ জন অগ্নিদগ্ধ রোগী হাসপাতালে আসে। একজনের শরীরের ৮০ শতাংশ এবং অন্যদের ২০–৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। ১২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

মাসুম স্বীকারোক্তিতে আদালতকে জানিয়েছেন কিলিং মিশনের অন্তত দেড় থেকে দুই মাস আগে দক্ষিণ কমলাপুরের রুপালী সমাজ উন্নয়ন সংস্থা (রুপালী ক্লাবে) বসে টিপুকে হত্যার মূল বৈঠক করা হয়েছিল। ওই বৈঠকে আন্ডারওয়ার্ল্ডের দু’জন শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান ও ফ্রিডম মানিকের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন
০৫ এপ্রিল ২০২২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার
২২ মিনিট আগে
পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
২৪ মিনিট আগে
এ বিষয়ে র্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. রাকিব হাসান জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গুলশানে অভিযান চালিয়ে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ, মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যানসহ রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৩৪ মিনিট আগেনাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বিচারক আশরাফুল আলম আসামির জবানবন্দি নথিভুক্ত করেন। পরে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদ আহাম্মদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আসামির জবানবন্দির বরাতে ওসি মাকছুদ আহাম্মদ জানান, গত মঙ্গলবার রাতে দুলাল মিয়া আট বছরের ওই শিশুকে ঘর থেকে ডেকে নেন। এরপর তাকে বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে শ্বাস রোধ করে তাকে হত্যা করেন দুলাল।
মাকছুদ আহাম্মদ জানান, এদিকে ওই রাতেই শিশুকে না পেয়ে তার পরিবার খোঁজাখুঁজি শুরু করে। সে সময় সন্ধান চেয়ে মাইকে প্রচারও করা হয়। তখন দুলাল মিয়াও শিশুটির বাবার সঙ্গে খোঁজাখুঁজিতে যোগ দেন। পরদিন গত বুধবার সকালে বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় দুলাল মিয়া ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিয়ে পুলিশ সদস্যদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন।
জবানবন্দির বরাতে ওসি মাকছুদ আহাম্মদ বলেন, ‘লাশ উদ্ধারের সময় দুলাল মিয়ার আচরণে আমাদের সন্দেহ হয়। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপার মো. আব্দুর রউফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আল সরকারের সঙ্গে কথা হয়। পরে বুধবার রাতে শিশুটির বাবা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন। মামলার পরই দ্রুত তদন্ত শুরু করে ঘটনাস্থলসংলগ্ন বিভিন্ন আলামত পর্যালোচনা শেষে ওই রাতেই দুলাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শিশুটির লাশের ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বিচারক আশরাফুল আলম আসামির জবানবন্দি নথিভুক্ত করেন। পরে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদ আহাম্মদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আসামির জবানবন্দির বরাতে ওসি মাকছুদ আহাম্মদ জানান, গত মঙ্গলবার রাতে দুলাল মিয়া আট বছরের ওই শিশুকে ঘর থেকে ডেকে নেন। এরপর তাকে বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে শ্বাস রোধ করে তাকে হত্যা করেন দুলাল।
মাকছুদ আহাম্মদ জানান, এদিকে ওই রাতেই শিশুকে না পেয়ে তার পরিবার খোঁজাখুঁজি শুরু করে। সে সময় সন্ধান চেয়ে মাইকে প্রচারও করা হয়। তখন দুলাল মিয়াও শিশুটির বাবার সঙ্গে খোঁজাখুঁজিতে যোগ দেন। পরদিন গত বুধবার সকালে বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় দুলাল মিয়া ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিয়ে পুলিশ সদস্যদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন।
জবানবন্দির বরাতে ওসি মাকছুদ আহাম্মদ বলেন, ‘লাশ উদ্ধারের সময় দুলাল মিয়ার আচরণে আমাদের সন্দেহ হয়। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপার মো. আব্দুর রউফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আল সরকারের সঙ্গে কথা হয়। পরে বুধবার রাতে শিশুটির বাবা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন। মামলার পরই দ্রুত তদন্ত শুরু করে ঘটনাস্থলসংলগ্ন বিভিন্ন আলামত পর্যালোচনা শেষে ওই রাতেই দুলাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শিশুটির লাশের ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

মাসুম স্বীকারোক্তিতে আদালতকে জানিয়েছেন কিলিং মিশনের অন্তত দেড় থেকে দুই মাস আগে দক্ষিণ কমলাপুরের রুপালী সমাজ উন্নয়ন সংস্থা (রুপালী ক্লাবে) বসে টিপুকে হত্যার মূল বৈঠক করা হয়েছিল। ওই বৈঠকে আন্ডারওয়ার্ল্ডের দু’জন শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান ও ফ্রিডম মানিকের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন
০৫ এপ্রিল ২০২২
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১৮ মিনিট আগে
পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
২৪ মিনিট আগে
এ বিষয়ে র্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. রাকিব হাসান জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গুলশানে অভিযান চালিয়ে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ, মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যানসহ রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৩৪ মিনিট আগেচাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি

পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ শুক্রবার সকালে চাটমোহর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন মামলার ১ নম্বর বিবাদী, ছাইকোলা ইউনিয়নের কুবড়াগাড়ি গ্রামের শফিকুল ইসলামের স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন।
জানা গেছে, গত ৪ জুলাই রাত আড়াইটার দিকে কুবড়াগাড়ি গ্রামের আব্দুর রহিম (৬৫) নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। ওই সময় দুর্বৃত্তরা তাঁকে ঘর থেকে বাইরে ডেকে শরীরে দাহ্য পদার্থ ঢেলে দেয়। এতে তিনি দগ্ধ হন। প্রথমে তাঁকে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। এ ঘটনায় আব্দুর রহিমের ভাই আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে প্রতিবেশী সাতজনকে বিবাদী করে অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনে মামলা করেন। মামলার ছয়জন জামিন পেলেও ১ নম্বর বিবাদী শফিকুল ইসলাম এখনো কারাগারে।
সংবাদ সম্মেলনে সুমাইয়া খাতুন দাবি করেন, ঘটনার দিন ওই সময়ে তাঁর স্বামী চাটমোহরে ছিলেন না। তাঁরা দুজনই সেদিন চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ছিলেন, যেখানে তাঁরা ফুটপাতে বিরিয়ানি বিক্রি করেন। তা সত্ত্বেও তাঁর স্বামীকে মামলার ১ নম্বর বিবাদী করা হয়েছে। এ ছাড়া শফিকুলের পিতা শহিদ সরদারসহ আরও দুই ভাইকে মামলায় জড়ানো হয়েছে।
সুমাইয়ার ভাষ্য, ‘আমার স্বামী গ্রামে থাকেন না। আমরা তিন সন্তান নিয়ে হাটহাজারীতেই থাকি। প্রতিপক্ষ আমাদের ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলা করেছে। প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করা হয়নি। আমরা অন্যায়ের শিকার।’ তিনি অভিযোগ করেন, মামলার তদন্তে গাফিলতি থাকায় তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে হয়রানির শিকার। তিন সন্তানসহ মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে মামলাটি পুনঃতদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করা এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান পরিবারের সদস্যরা। সেখানে শফিকুল ইসলামের পিতা শহিদ সরদার, তাঁর মা ও অন্যান্য স্বজন উপস্থিত ছিলেন।

পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ শুক্রবার সকালে চাটমোহর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন মামলার ১ নম্বর বিবাদী, ছাইকোলা ইউনিয়নের কুবড়াগাড়ি গ্রামের শফিকুল ইসলামের স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন।
জানা গেছে, গত ৪ জুলাই রাত আড়াইটার দিকে কুবড়াগাড়ি গ্রামের আব্দুর রহিম (৬৫) নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। ওই সময় দুর্বৃত্তরা তাঁকে ঘর থেকে বাইরে ডেকে শরীরে দাহ্য পদার্থ ঢেলে দেয়। এতে তিনি দগ্ধ হন। প্রথমে তাঁকে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। এ ঘটনায় আব্দুর রহিমের ভাই আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে প্রতিবেশী সাতজনকে বিবাদী করে অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনে মামলা করেন। মামলার ছয়জন জামিন পেলেও ১ নম্বর বিবাদী শফিকুল ইসলাম এখনো কারাগারে।
সংবাদ সম্মেলনে সুমাইয়া খাতুন দাবি করেন, ঘটনার দিন ওই সময়ে তাঁর স্বামী চাটমোহরে ছিলেন না। তাঁরা দুজনই সেদিন চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ছিলেন, যেখানে তাঁরা ফুটপাতে বিরিয়ানি বিক্রি করেন। তা সত্ত্বেও তাঁর স্বামীকে মামলার ১ নম্বর বিবাদী করা হয়েছে। এ ছাড়া শফিকুলের পিতা শহিদ সরদারসহ আরও দুই ভাইকে মামলায় জড়ানো হয়েছে।
সুমাইয়ার ভাষ্য, ‘আমার স্বামী গ্রামে থাকেন না। আমরা তিন সন্তান নিয়ে হাটহাজারীতেই থাকি। প্রতিপক্ষ আমাদের ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলা করেছে। প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করা হয়নি। আমরা অন্যায়ের শিকার।’ তিনি অভিযোগ করেন, মামলার তদন্তে গাফিলতি থাকায় তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে হয়রানির শিকার। তিন সন্তানসহ মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে মামলাটি পুনঃতদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করা এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান পরিবারের সদস্যরা। সেখানে শফিকুল ইসলামের পিতা শহিদ সরদার, তাঁর মা ও অন্যান্য স্বজন উপস্থিত ছিলেন।

মাসুম স্বীকারোক্তিতে আদালতকে জানিয়েছেন কিলিং মিশনের অন্তত দেড় থেকে দুই মাস আগে দক্ষিণ কমলাপুরের রুপালী সমাজ উন্নয়ন সংস্থা (রুপালী ক্লাবে) বসে টিপুকে হত্যার মূল বৈঠক করা হয়েছিল। ওই বৈঠকে আন্ডারওয়ার্ল্ডের দু’জন শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান ও ফ্রিডম মানিকের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন
০৫ এপ্রিল ২০২২
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১৮ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার
২২ মিনিট আগে
এ বিষয়ে র্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. রাকিব হাসান জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গুলশানে অভিযান চালিয়ে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ, মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যানসহ রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৩৪ মিনিট আগেউত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি

রাজধানীর গুলশানে মদের চালানসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ ও মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়।
আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার রবিউল ইসলাম (২১) নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ভিটি গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে।
এ বিষয়ে র্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. রাকিব হাসান বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গুলশানে অভিযান চালিয়ে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ, মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত পিকআপ ভ্যানসহ রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

রাজধানীর গুলশানে মদের চালানসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ ও মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়।
আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার রবিউল ইসলাম (২১) নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ভিটি গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে।
এ বিষয়ে র্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. রাকিব হাসান বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গুলশানে অভিযান চালিয়ে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ, মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত পিকআপ ভ্যানসহ রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

মাসুম স্বীকারোক্তিতে আদালতকে জানিয়েছেন কিলিং মিশনের অন্তত দেড় থেকে দুই মাস আগে দক্ষিণ কমলাপুরের রুপালী সমাজ উন্নয়ন সংস্থা (রুপালী ক্লাবে) বসে টিপুকে হত্যার মূল বৈঠক করা হয়েছিল। ওই বৈঠকে আন্ডারওয়ার্ল্ডের দু’জন শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান ও ফ্রিডম মানিকের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন
০৫ এপ্রিল ২০২২
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১৮ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার
২২ মিনিট আগে
পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
২৪ মিনিট আগে