সৌগত বসু, ঢাকা

রাজধানীর গুলিস্তান পাতাল মার্কেটকে ২০২৩ সালের এপ্রিলে অতিঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা হিসেবে ঘোষণা করেছিল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। কিন্তু ১০ মাস পেরোলেও এই মার্কেটে তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি। ব্যবসায়ীরাও বলেছেন, তাঁরা আগুনের মতো দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে আছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন অপরিকল্পিত মার্কেট থাকারই কোনো দরকার নেই। এখানে আগুন লাগলে আর সেই আগুনের ভয়াবহতা বাড়লে কাউকে বাঁচানো যাবে না।
জানা যায়, গত বছরের ১৩ এপ্রিল মার্কেট জরিপ শেষে ফায়ার সার্ভিস ঢাকা বিভাগের জোন-১-এর তখনকার উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ বজলুর রশিদ জানিয়েছিলেন, এই মার্কেট আগুনের দিক থেকে অতিঝুঁকিপূর্ণ একটি স্থাপনা। মার্কেটের নিচে পানির রিজার্ভার ও আগুন নেভানোর আধুনিক সরঞ্জাম নেই। আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের ঢোকার মতো প্রশস্ত পথও নেই। যে পথটি আছে তা খুবই সংকীর্ণ। এ ছাড়া ফায়ার ডিটেক্টর ও অ্যালার্ম সিস্টেম নেই। মার্কেটের ভেতরে বাতাস চলাচলের অবস্থাও খুবই খারাপ।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালেও এই মার্কেট পরিদর্শন শেষে ‘অতিঝুঁকিপূর্ণ’ বলে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছিল। ২০২৩ সালে অভিযানের সময় মার্কেট কর্তৃপক্ষ কোনো অনাপত্তিপত্র দেখাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিসকে।
ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা যায়, গুলিস্তানে আন্ডারপাসের সঙ্গে তৈরি ভূগর্ভস্থ এই মার্কেট মোবাইল ফোন মেরামত, মোবাইল ফোনের খুচরা যন্ত্রাংশ ও ইলেকট্রনিক পণ্যের জন্য পরিচিত। এখানে দোকান আছে ১০৪টি। ব্যবসায়ী ও মেকানিক আছেন ছয় শতাধিক।
সব মিলিয়ে মার্কেটে ১ হাজারের বেশি মানুষ সব সময় থাকেন। দুই ধরনের দোকান আছে মার্কেটটিতে। মোবাইল ফোনের অ্যাকসেসরিজ ও যন্ত্রাংশের দোকান। সব মিলিয়ে প্রায় ৭০ কোটি টাকার সম্পদ আছে।
গতকাল শনিবার মার্কেটটিতে গিয়ে দেখা যায়, মার্কেটে ঢোকা ও বেরোনোর জন্য চারপাশে দুটি করে আটটি গেট। ১ ও ২ নম্বর গেটে চারটি, ৩ ও ৪ নম্বর গেটে দুটি, ৫ ও ৬ নম্বর গেটে একটি এবং ৭ ও ৮ নম্বর গেটে তিনিটি অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র আছে। এগুলোর মেয়াদ আগামী অক্টোবর পর্যন্ত। ১ নম্বর গেটে একটি পানির লাইন করা হয়েছে।
মার্কেটের আমানত টেলিকমের ব্যবসায়ী মো. সালাউদ্দিন বলেন, সম্পূর্ণ ঝুঁকির মধ্যে আছেন তাঁরা। গত বছরের অভিযানের পর তেমন কোনো পরিবর্তন তাঁরা লক্ষ করেননি।
ব্যবসায়ী মো. আব্দুর রহমান বলেন, এই মার্কেটের সবচেয়ে বড় সমস্যা পানি। মার্কেটটি যেহেতু মাটির নিচে, তাই সব জায়গায় ফায়ার ডিটেক্টর ও অ্যালার্ম সিস্টেম থাকা দরকার।
সাইফ টেলিকমের মো. জাহিদ বলেন, আগুনের ঝুঁকির জন্য গত পাঁচ মাস কোনো ব্যবস্থা নিতে তিনি দেখেননি। বেইলি রোডের মতো আগুন লাগলে তাঁরা এখান থেকে বেঁচে ফিরতে পারবেন না। মাঝেমধ্যে ক্রেতা বেশি হলে মার্কেটে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়।
তবে পাতাল মার্কেটের দোকান মালিক সমিতির সভাপতি সোহরাব হোসেন নান্নু বলেন, ওই সময় ফায়ার অধিদপ্তর কেন তাঁদের মার্কেটকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে, তা তাঁর জানা নেই। তিনি বলেন, তাঁদের পানির সমস্যার সমাধান করার কথা সিটি করপোরেশনের। এ বিষয়ে তাঁর কিছুই করার নেই। তাঁরা নিয়মিত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করেন। এর আগে দুবার আগুন লাগলেও তা একটি দোকানেই সীমাবদ্ধ ছিল।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী জানান, মালিক সমিতি মাঝেমধ্যে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে। তবে সেই আলোচনায় কোনো ফল আসে না। পানির লাইনের কথা বললেও সেটির কোনো সমাধান হয়নি। অনেক আগে শুধু সিলিং রং করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা মো. বজলুর রশিদ এখন অপারেশন বিভাগের মেকানিক্যাল ট্রান্সপোর্ট অফিসার হিসেবে কর্মরত। তিনি বলেন, ‘আপনি যে পরিবর্তনের কথা বলছেন, তাতে এখন পর্যন্ত মার্কেটটি অতিঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়ই রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ওই মার্কেটে আগুন লাগলে পানি সংগ্রহ করতে সমস্যা হবে। শুধু অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র পরিবর্তন করে তেমন সুবিধা হবে না। এগুলো প্রাথমিক পর্যায়ে কাজে লাগে। যদি আগুন পাঁচ মিনিটের বেশি সময় থাকে, তবে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।
বজলুর রশিদ বলেন, মার্কেটটিতে যে ধরনের সরঞ্জাম বিক্রি হয় তা খুবই দাহ্য। দোকানগুলো পাশাপাশি থাকায় আগুন ছড়িয়ে যাবে মাত্র ৫ সেকেন্ডে। বেইলি রোডের মতো যদি ৫ থেকে ৭ মিনিট পার হয়, তাহলে কেউ তাঁদের বাঁচাতে পারবে না। আর এসব সরঞ্জামে আগুন ধরলে বিষাক্ত কার্বন মনোক্সাইড উৎপন্ন হয়। তাই বেশি ক্ষতি হবে ধোঁয়ার কারণে।
নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, সিটি করপোরেশন টাকা আয়ের জন্য মানুষের জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহীর বক্তব্য জানতে ফোন করেও পাওয়া যায়নি। তবে প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ বলেন, তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না।

রাজধানীর গুলিস্তান পাতাল মার্কেটকে ২০২৩ সালের এপ্রিলে অতিঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা হিসেবে ঘোষণা করেছিল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। কিন্তু ১০ মাস পেরোলেও এই মার্কেটে তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি। ব্যবসায়ীরাও বলেছেন, তাঁরা আগুনের মতো দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে আছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন অপরিকল্পিত মার্কেট থাকারই কোনো দরকার নেই। এখানে আগুন লাগলে আর সেই আগুনের ভয়াবহতা বাড়লে কাউকে বাঁচানো যাবে না।
জানা যায়, গত বছরের ১৩ এপ্রিল মার্কেট জরিপ শেষে ফায়ার সার্ভিস ঢাকা বিভাগের জোন-১-এর তখনকার উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ বজলুর রশিদ জানিয়েছিলেন, এই মার্কেট আগুনের দিক থেকে অতিঝুঁকিপূর্ণ একটি স্থাপনা। মার্কেটের নিচে পানির রিজার্ভার ও আগুন নেভানোর আধুনিক সরঞ্জাম নেই। আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের ঢোকার মতো প্রশস্ত পথও নেই। যে পথটি আছে তা খুবই সংকীর্ণ। এ ছাড়া ফায়ার ডিটেক্টর ও অ্যালার্ম সিস্টেম নেই। মার্কেটের ভেতরে বাতাস চলাচলের অবস্থাও খুবই খারাপ।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালেও এই মার্কেট পরিদর্শন শেষে ‘অতিঝুঁকিপূর্ণ’ বলে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছিল। ২০২৩ সালে অভিযানের সময় মার্কেট কর্তৃপক্ষ কোনো অনাপত্তিপত্র দেখাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিসকে।
ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা যায়, গুলিস্তানে আন্ডারপাসের সঙ্গে তৈরি ভূগর্ভস্থ এই মার্কেট মোবাইল ফোন মেরামত, মোবাইল ফোনের খুচরা যন্ত্রাংশ ও ইলেকট্রনিক পণ্যের জন্য পরিচিত। এখানে দোকান আছে ১০৪টি। ব্যবসায়ী ও মেকানিক আছেন ছয় শতাধিক।
সব মিলিয়ে মার্কেটে ১ হাজারের বেশি মানুষ সব সময় থাকেন। দুই ধরনের দোকান আছে মার্কেটটিতে। মোবাইল ফোনের অ্যাকসেসরিজ ও যন্ত্রাংশের দোকান। সব মিলিয়ে প্রায় ৭০ কোটি টাকার সম্পদ আছে।
গতকাল শনিবার মার্কেটটিতে গিয়ে দেখা যায়, মার্কেটে ঢোকা ও বেরোনোর জন্য চারপাশে দুটি করে আটটি গেট। ১ ও ২ নম্বর গেটে চারটি, ৩ ও ৪ নম্বর গেটে দুটি, ৫ ও ৬ নম্বর গেটে একটি এবং ৭ ও ৮ নম্বর গেটে তিনিটি অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র আছে। এগুলোর মেয়াদ আগামী অক্টোবর পর্যন্ত। ১ নম্বর গেটে একটি পানির লাইন করা হয়েছে।
মার্কেটের আমানত টেলিকমের ব্যবসায়ী মো. সালাউদ্দিন বলেন, সম্পূর্ণ ঝুঁকির মধ্যে আছেন তাঁরা। গত বছরের অভিযানের পর তেমন কোনো পরিবর্তন তাঁরা লক্ষ করেননি।
ব্যবসায়ী মো. আব্দুর রহমান বলেন, এই মার্কেটের সবচেয়ে বড় সমস্যা পানি। মার্কেটটি যেহেতু মাটির নিচে, তাই সব জায়গায় ফায়ার ডিটেক্টর ও অ্যালার্ম সিস্টেম থাকা দরকার।
সাইফ টেলিকমের মো. জাহিদ বলেন, আগুনের ঝুঁকির জন্য গত পাঁচ মাস কোনো ব্যবস্থা নিতে তিনি দেখেননি। বেইলি রোডের মতো আগুন লাগলে তাঁরা এখান থেকে বেঁচে ফিরতে পারবেন না। মাঝেমধ্যে ক্রেতা বেশি হলে মার্কেটে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়।
তবে পাতাল মার্কেটের দোকান মালিক সমিতির সভাপতি সোহরাব হোসেন নান্নু বলেন, ওই সময় ফায়ার অধিদপ্তর কেন তাঁদের মার্কেটকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে, তা তাঁর জানা নেই। তিনি বলেন, তাঁদের পানির সমস্যার সমাধান করার কথা সিটি করপোরেশনের। এ বিষয়ে তাঁর কিছুই করার নেই। তাঁরা নিয়মিত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করেন। এর আগে দুবার আগুন লাগলেও তা একটি দোকানেই সীমাবদ্ধ ছিল।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী জানান, মালিক সমিতি মাঝেমধ্যে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে। তবে সেই আলোচনায় কোনো ফল আসে না। পানির লাইনের কথা বললেও সেটির কোনো সমাধান হয়নি। অনেক আগে শুধু সিলিং রং করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা মো. বজলুর রশিদ এখন অপারেশন বিভাগের মেকানিক্যাল ট্রান্সপোর্ট অফিসার হিসেবে কর্মরত। তিনি বলেন, ‘আপনি যে পরিবর্তনের কথা বলছেন, তাতে এখন পর্যন্ত মার্কেটটি অতিঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়ই রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ওই মার্কেটে আগুন লাগলে পানি সংগ্রহ করতে সমস্যা হবে। শুধু অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র পরিবর্তন করে তেমন সুবিধা হবে না। এগুলো প্রাথমিক পর্যায়ে কাজে লাগে। যদি আগুন পাঁচ মিনিটের বেশি সময় থাকে, তবে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।
বজলুর রশিদ বলেন, মার্কেটটিতে যে ধরনের সরঞ্জাম বিক্রি হয় তা খুবই দাহ্য। দোকানগুলো পাশাপাশি থাকায় আগুন ছড়িয়ে যাবে মাত্র ৫ সেকেন্ডে। বেইলি রোডের মতো যদি ৫ থেকে ৭ মিনিট পার হয়, তাহলে কেউ তাঁদের বাঁচাতে পারবে না। আর এসব সরঞ্জামে আগুন ধরলে বিষাক্ত কার্বন মনোক্সাইড উৎপন্ন হয়। তাই বেশি ক্ষতি হবে ধোঁয়ার কারণে।
নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, সিটি করপোরেশন টাকা আয়ের জন্য মানুষের জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহীর বক্তব্য জানতে ফোন করেও পাওয়া যায়নি। তবে প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ বলেন, তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না।
সৌগত বসু, ঢাকা

রাজধানীর গুলিস্তান পাতাল মার্কেটকে ২০২৩ সালের এপ্রিলে অতিঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা হিসেবে ঘোষণা করেছিল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। কিন্তু ১০ মাস পেরোলেও এই মার্কেটে তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি। ব্যবসায়ীরাও বলেছেন, তাঁরা আগুনের মতো দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে আছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন অপরিকল্পিত মার্কেট থাকারই কোনো দরকার নেই। এখানে আগুন লাগলে আর সেই আগুনের ভয়াবহতা বাড়লে কাউকে বাঁচানো যাবে না।
জানা যায়, গত বছরের ১৩ এপ্রিল মার্কেট জরিপ শেষে ফায়ার সার্ভিস ঢাকা বিভাগের জোন-১-এর তখনকার উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ বজলুর রশিদ জানিয়েছিলেন, এই মার্কেট আগুনের দিক থেকে অতিঝুঁকিপূর্ণ একটি স্থাপনা। মার্কেটের নিচে পানির রিজার্ভার ও আগুন নেভানোর আধুনিক সরঞ্জাম নেই। আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের ঢোকার মতো প্রশস্ত পথও নেই। যে পথটি আছে তা খুবই সংকীর্ণ। এ ছাড়া ফায়ার ডিটেক্টর ও অ্যালার্ম সিস্টেম নেই। মার্কেটের ভেতরে বাতাস চলাচলের অবস্থাও খুবই খারাপ।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালেও এই মার্কেট পরিদর্শন শেষে ‘অতিঝুঁকিপূর্ণ’ বলে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছিল। ২০২৩ সালে অভিযানের সময় মার্কেট কর্তৃপক্ষ কোনো অনাপত্তিপত্র দেখাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিসকে।
ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা যায়, গুলিস্তানে আন্ডারপাসের সঙ্গে তৈরি ভূগর্ভস্থ এই মার্কেট মোবাইল ফোন মেরামত, মোবাইল ফোনের খুচরা যন্ত্রাংশ ও ইলেকট্রনিক পণ্যের জন্য পরিচিত। এখানে দোকান আছে ১০৪টি। ব্যবসায়ী ও মেকানিক আছেন ছয় শতাধিক।
সব মিলিয়ে মার্কেটে ১ হাজারের বেশি মানুষ সব সময় থাকেন। দুই ধরনের দোকান আছে মার্কেটটিতে। মোবাইল ফোনের অ্যাকসেসরিজ ও যন্ত্রাংশের দোকান। সব মিলিয়ে প্রায় ৭০ কোটি টাকার সম্পদ আছে।
গতকাল শনিবার মার্কেটটিতে গিয়ে দেখা যায়, মার্কেটে ঢোকা ও বেরোনোর জন্য চারপাশে দুটি করে আটটি গেট। ১ ও ২ নম্বর গেটে চারটি, ৩ ও ৪ নম্বর গেটে দুটি, ৫ ও ৬ নম্বর গেটে একটি এবং ৭ ও ৮ নম্বর গেটে তিনিটি অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র আছে। এগুলোর মেয়াদ আগামী অক্টোবর পর্যন্ত। ১ নম্বর গেটে একটি পানির লাইন করা হয়েছে।
মার্কেটের আমানত টেলিকমের ব্যবসায়ী মো. সালাউদ্দিন বলেন, সম্পূর্ণ ঝুঁকির মধ্যে আছেন তাঁরা। গত বছরের অভিযানের পর তেমন কোনো পরিবর্তন তাঁরা লক্ষ করেননি।
ব্যবসায়ী মো. আব্দুর রহমান বলেন, এই মার্কেটের সবচেয়ে বড় সমস্যা পানি। মার্কেটটি যেহেতু মাটির নিচে, তাই সব জায়গায় ফায়ার ডিটেক্টর ও অ্যালার্ম সিস্টেম থাকা দরকার।
সাইফ টেলিকমের মো. জাহিদ বলেন, আগুনের ঝুঁকির জন্য গত পাঁচ মাস কোনো ব্যবস্থা নিতে তিনি দেখেননি। বেইলি রোডের মতো আগুন লাগলে তাঁরা এখান থেকে বেঁচে ফিরতে পারবেন না। মাঝেমধ্যে ক্রেতা বেশি হলে মার্কেটে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়।
তবে পাতাল মার্কেটের দোকান মালিক সমিতির সভাপতি সোহরাব হোসেন নান্নু বলেন, ওই সময় ফায়ার অধিদপ্তর কেন তাঁদের মার্কেটকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে, তা তাঁর জানা নেই। তিনি বলেন, তাঁদের পানির সমস্যার সমাধান করার কথা সিটি করপোরেশনের। এ বিষয়ে তাঁর কিছুই করার নেই। তাঁরা নিয়মিত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করেন। এর আগে দুবার আগুন লাগলেও তা একটি দোকানেই সীমাবদ্ধ ছিল।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী জানান, মালিক সমিতি মাঝেমধ্যে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে। তবে সেই আলোচনায় কোনো ফল আসে না। পানির লাইনের কথা বললেও সেটির কোনো সমাধান হয়নি। অনেক আগে শুধু সিলিং রং করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা মো. বজলুর রশিদ এখন অপারেশন বিভাগের মেকানিক্যাল ট্রান্সপোর্ট অফিসার হিসেবে কর্মরত। তিনি বলেন, ‘আপনি যে পরিবর্তনের কথা বলছেন, তাতে এখন পর্যন্ত মার্কেটটি অতিঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়ই রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ওই মার্কেটে আগুন লাগলে পানি সংগ্রহ করতে সমস্যা হবে। শুধু অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র পরিবর্তন করে তেমন সুবিধা হবে না। এগুলো প্রাথমিক পর্যায়ে কাজে লাগে। যদি আগুন পাঁচ মিনিটের বেশি সময় থাকে, তবে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।
বজলুর রশিদ বলেন, মার্কেটটিতে যে ধরনের সরঞ্জাম বিক্রি হয় তা খুবই দাহ্য। দোকানগুলো পাশাপাশি থাকায় আগুন ছড়িয়ে যাবে মাত্র ৫ সেকেন্ডে। বেইলি রোডের মতো যদি ৫ থেকে ৭ মিনিট পার হয়, তাহলে কেউ তাঁদের বাঁচাতে পারবে না। আর এসব সরঞ্জামে আগুন ধরলে বিষাক্ত কার্বন মনোক্সাইড উৎপন্ন হয়। তাই বেশি ক্ষতি হবে ধোঁয়ার কারণে।
নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, সিটি করপোরেশন টাকা আয়ের জন্য মানুষের জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহীর বক্তব্য জানতে ফোন করেও পাওয়া যায়নি। তবে প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ বলেন, তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না।

রাজধানীর গুলিস্তান পাতাল মার্কেটকে ২০২৩ সালের এপ্রিলে অতিঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা হিসেবে ঘোষণা করেছিল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। কিন্তু ১০ মাস পেরোলেও এই মার্কেটে তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি। ব্যবসায়ীরাও বলেছেন, তাঁরা আগুনের মতো দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে আছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন অপরিকল্পিত মার্কেট থাকারই কোনো দরকার নেই। এখানে আগুন লাগলে আর সেই আগুনের ভয়াবহতা বাড়লে কাউকে বাঁচানো যাবে না।
জানা যায়, গত বছরের ১৩ এপ্রিল মার্কেট জরিপ শেষে ফায়ার সার্ভিস ঢাকা বিভাগের জোন-১-এর তখনকার উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ বজলুর রশিদ জানিয়েছিলেন, এই মার্কেট আগুনের দিক থেকে অতিঝুঁকিপূর্ণ একটি স্থাপনা। মার্কেটের নিচে পানির রিজার্ভার ও আগুন নেভানোর আধুনিক সরঞ্জাম নেই। আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের ঢোকার মতো প্রশস্ত পথও নেই। যে পথটি আছে তা খুবই সংকীর্ণ। এ ছাড়া ফায়ার ডিটেক্টর ও অ্যালার্ম সিস্টেম নেই। মার্কেটের ভেতরে বাতাস চলাচলের অবস্থাও খুবই খারাপ।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালেও এই মার্কেট পরিদর্শন শেষে ‘অতিঝুঁকিপূর্ণ’ বলে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছিল। ২০২৩ সালে অভিযানের সময় মার্কেট কর্তৃপক্ষ কোনো অনাপত্তিপত্র দেখাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিসকে।
ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা যায়, গুলিস্তানে আন্ডারপাসের সঙ্গে তৈরি ভূগর্ভস্থ এই মার্কেট মোবাইল ফোন মেরামত, মোবাইল ফোনের খুচরা যন্ত্রাংশ ও ইলেকট্রনিক পণ্যের জন্য পরিচিত। এখানে দোকান আছে ১০৪টি। ব্যবসায়ী ও মেকানিক আছেন ছয় শতাধিক।
সব মিলিয়ে মার্কেটে ১ হাজারের বেশি মানুষ সব সময় থাকেন। দুই ধরনের দোকান আছে মার্কেটটিতে। মোবাইল ফোনের অ্যাকসেসরিজ ও যন্ত্রাংশের দোকান। সব মিলিয়ে প্রায় ৭০ কোটি টাকার সম্পদ আছে।
গতকাল শনিবার মার্কেটটিতে গিয়ে দেখা যায়, মার্কেটে ঢোকা ও বেরোনোর জন্য চারপাশে দুটি করে আটটি গেট। ১ ও ২ নম্বর গেটে চারটি, ৩ ও ৪ নম্বর গেটে দুটি, ৫ ও ৬ নম্বর গেটে একটি এবং ৭ ও ৮ নম্বর গেটে তিনিটি অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র আছে। এগুলোর মেয়াদ আগামী অক্টোবর পর্যন্ত। ১ নম্বর গেটে একটি পানির লাইন করা হয়েছে।
মার্কেটের আমানত টেলিকমের ব্যবসায়ী মো. সালাউদ্দিন বলেন, সম্পূর্ণ ঝুঁকির মধ্যে আছেন তাঁরা। গত বছরের অভিযানের পর তেমন কোনো পরিবর্তন তাঁরা লক্ষ করেননি।
ব্যবসায়ী মো. আব্দুর রহমান বলেন, এই মার্কেটের সবচেয়ে বড় সমস্যা পানি। মার্কেটটি যেহেতু মাটির নিচে, তাই সব জায়গায় ফায়ার ডিটেক্টর ও অ্যালার্ম সিস্টেম থাকা দরকার।
সাইফ টেলিকমের মো. জাহিদ বলেন, আগুনের ঝুঁকির জন্য গত পাঁচ মাস কোনো ব্যবস্থা নিতে তিনি দেখেননি। বেইলি রোডের মতো আগুন লাগলে তাঁরা এখান থেকে বেঁচে ফিরতে পারবেন না। মাঝেমধ্যে ক্রেতা বেশি হলে মার্কেটে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়।
তবে পাতাল মার্কেটের দোকান মালিক সমিতির সভাপতি সোহরাব হোসেন নান্নু বলেন, ওই সময় ফায়ার অধিদপ্তর কেন তাঁদের মার্কেটকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে, তা তাঁর জানা নেই। তিনি বলেন, তাঁদের পানির সমস্যার সমাধান করার কথা সিটি করপোরেশনের। এ বিষয়ে তাঁর কিছুই করার নেই। তাঁরা নিয়মিত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করেন। এর আগে দুবার আগুন লাগলেও তা একটি দোকানেই সীমাবদ্ধ ছিল।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী জানান, মালিক সমিতি মাঝেমধ্যে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে। তবে সেই আলোচনায় কোনো ফল আসে না। পানির লাইনের কথা বললেও সেটির কোনো সমাধান হয়নি। অনেক আগে শুধু সিলিং রং করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা মো. বজলুর রশিদ এখন অপারেশন বিভাগের মেকানিক্যাল ট্রান্সপোর্ট অফিসার হিসেবে কর্মরত। তিনি বলেন, ‘আপনি যে পরিবর্তনের কথা বলছেন, তাতে এখন পর্যন্ত মার্কেটটি অতিঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়ই রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ওই মার্কেটে আগুন লাগলে পানি সংগ্রহ করতে সমস্যা হবে। শুধু অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র পরিবর্তন করে তেমন সুবিধা হবে না। এগুলো প্রাথমিক পর্যায়ে কাজে লাগে। যদি আগুন পাঁচ মিনিটের বেশি সময় থাকে, তবে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।
বজলুর রশিদ বলেন, মার্কেটটিতে যে ধরনের সরঞ্জাম বিক্রি হয় তা খুবই দাহ্য। দোকানগুলো পাশাপাশি থাকায় আগুন ছড়িয়ে যাবে মাত্র ৫ সেকেন্ডে। বেইলি রোডের মতো যদি ৫ থেকে ৭ মিনিট পার হয়, তাহলে কেউ তাঁদের বাঁচাতে পারবে না। আর এসব সরঞ্জামে আগুন ধরলে বিষাক্ত কার্বন মনোক্সাইড উৎপন্ন হয়। তাই বেশি ক্ষতি হবে ধোঁয়ার কারণে।
নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, সিটি করপোরেশন টাকা আয়ের জন্য মানুষের জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহীর বক্তব্য জানতে ফোন করেও পাওয়া যায়নি। তবে প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ বলেন, তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না।

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
৯ মিনিট আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২০ মিনিট আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন।
২৬ মিনিট আগে
জামালপুর পৌর এলাকার বেলটিয়ায় টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’
একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’
জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’
একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’
জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

রাজধানীর গুলিস্তান পাতাল মার্কেটকে ২০২৩ সালের এপ্রিলে অতিঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা হিসেবে ঘোষণা করেছিল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। কিন্তু ১০ মাস পেরোলেও এই মার্কেটে তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি। ব্যবসায়ীরাও বলেছেন, তাঁরা আগুনের মতো দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে আছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন অপরিকল্পিত মার্কেট থা
০৩ মার্চ ২০২৪
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২০ মিনিট আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন।
২৬ মিনিট আগে
জামালপুর পৌর এলাকার বেলটিয়ায় টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।
বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।
বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

রাজধানীর গুলিস্তান পাতাল মার্কেটকে ২০২৩ সালের এপ্রিলে অতিঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা হিসেবে ঘোষণা করেছিল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। কিন্তু ১০ মাস পেরোলেও এই মার্কেটে তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি। ব্যবসায়ীরাও বলেছেন, তাঁরা আগুনের মতো দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে আছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন অপরিকল্পিত মার্কেট থা
০৩ মার্চ ২০২৪
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
৯ মিনিট আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন।
২৬ মিনিট আগে
জামালপুর পৌর এলাকার বেলটিয়ায় টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেঝুলন দত্ত, কাপ্তাই ( রাঙামাটি)

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্যনিরাপত্তা জোরদারকরণ’ প্রকল্পের আওতায় রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ভুট্টা চাষ করেছেন তিনি।
উপজেলার ১ নম্বর চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রেশম বাগান ব্লকের বারঘোনিয়া তঞ্চঙ্গাপাড়ায় জমিতে ভুট্টা লাগিয়েছেন কৃষক জয়নাল। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ৩৩ শতক কৃষি জমিতে ভুট্টার চাষ করেছেন। চলতি বছরের বোরো মৌসুমে কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে ভুট্টার বীজ, সার ও সাইনবোর্ড পেয়েছেন। এ ছাড়াও একই জমিতে সাথি ফসল হিসেবে লালশাক, ফরাস শিম ও টমেটো চাষ করেছেন। বর্তমানে জমিতে ভুট্টার ভালো ফলন হয়েছে। আগামী সপ্তাহে ভুট্টা বিক্রির আশা করছেন তিনি।
এদিন কাপ্তাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবীব রেশমবাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় কৃষক জয়নাল আবেদীনের ভুট্টা চাষ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে ভুট্টা চাষ কম হলেও রেশম বাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় এলাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্পের আওতায় কাপ্তাই উপজেলায় চারটি ভুট্টা প্রদর্শনীর মধ্যে একটি কৃষক জয়নাল আবেদীনকে দিয়েছিলাম। ভুট্টা চাষে উনার ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে। আশা করছি, উনি ভালো লাভ করতে পারবেন।’

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্যনিরাপত্তা জোরদারকরণ’ প্রকল্পের আওতায় রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ভুট্টা চাষ করেছেন তিনি।
উপজেলার ১ নম্বর চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রেশম বাগান ব্লকের বারঘোনিয়া তঞ্চঙ্গাপাড়ায় জমিতে ভুট্টা লাগিয়েছেন কৃষক জয়নাল। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ৩৩ শতক কৃষি জমিতে ভুট্টার চাষ করেছেন। চলতি বছরের বোরো মৌসুমে কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে ভুট্টার বীজ, সার ও সাইনবোর্ড পেয়েছেন। এ ছাড়াও একই জমিতে সাথি ফসল হিসেবে লালশাক, ফরাস শিম ও টমেটো চাষ করেছেন। বর্তমানে জমিতে ভুট্টার ভালো ফলন হয়েছে। আগামী সপ্তাহে ভুট্টা বিক্রির আশা করছেন তিনি।
এদিন কাপ্তাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবীব রেশমবাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় কৃষক জয়নাল আবেদীনের ভুট্টা চাষ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে ভুট্টা চাষ কম হলেও রেশম বাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় এলাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্পের আওতায় কাপ্তাই উপজেলায় চারটি ভুট্টা প্রদর্শনীর মধ্যে একটি কৃষক জয়নাল আবেদীনকে দিয়েছিলাম। ভুট্টা চাষে উনার ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে। আশা করছি, উনি ভালো লাভ করতে পারবেন।’

রাজধানীর গুলিস্তান পাতাল মার্কেটকে ২০২৩ সালের এপ্রিলে অতিঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা হিসেবে ঘোষণা করেছিল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। কিন্তু ১০ মাস পেরোলেও এই মার্কেটে তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি। ব্যবসায়ীরাও বলেছেন, তাঁরা আগুনের মতো দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে আছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন অপরিকল্পিত মার্কেট থা
০৩ মার্চ ২০২৪
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
৯ মিনিট আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২০ মিনিট আগে
জামালপুর পৌর এলাকার বেলটিয়ায় টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেজামালপুর প্রতিনিধি

জামালপুর পৌর এলাকার বেলটিয়ায় টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের চর জালালের পাড়া গ্রামের শফিকুলের ছেলে বাবু ওরফে দিপু এবং জালাল উদ্দিনের ছেলে রাসেল হোসেন। আহত হয়েছেন একই এলাকার শ্যামল মিয়া। হতাহত তিনজনই চাচা-ভাতিজা।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাতে কেন্দুয়ার বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে জেলা শহরের যাচ্ছিলেন তিনজন। বেলটিয়া এলাকায় পৌঁছালে টাঙ্গাইলগামী একটি মরিচবোঝাই ট্রাক তাঁদের মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে সড়কে পড়ে গুরুতর আহত হন তিনজন। তাঁদেরকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক দিপু ও রাসেলকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত শ্যামলকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জামাল উদ্দিন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে দুজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। একজন আহত ছিলেন। তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জামালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘লাশের ময়নাতদন্ত চলছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলমান। আমরা ট্রাকটি আটক করেছি, কিন্তু চালক পালিয়েছে।’

জামালপুর পৌর এলাকার বেলটিয়ায় টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের চর জালালের পাড়া গ্রামের শফিকুলের ছেলে বাবু ওরফে দিপু এবং জালাল উদ্দিনের ছেলে রাসেল হোসেন। আহত হয়েছেন একই এলাকার শ্যামল মিয়া। হতাহত তিনজনই চাচা-ভাতিজা।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাতে কেন্দুয়ার বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে জেলা শহরের যাচ্ছিলেন তিনজন। বেলটিয়া এলাকায় পৌঁছালে টাঙ্গাইলগামী একটি মরিচবোঝাই ট্রাক তাঁদের মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে সড়কে পড়ে গুরুতর আহত হন তিনজন। তাঁদেরকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক দিপু ও রাসেলকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত শ্যামলকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জামাল উদ্দিন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে দুজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। একজন আহত ছিলেন। তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জামালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘লাশের ময়নাতদন্ত চলছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলমান। আমরা ট্রাকটি আটক করেছি, কিন্তু চালক পালিয়েছে।’

রাজধানীর গুলিস্তান পাতাল মার্কেটকে ২০২৩ সালের এপ্রিলে অতিঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা হিসেবে ঘোষণা করেছিল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। কিন্তু ১০ মাস পেরোলেও এই মার্কেটে তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি। ব্যবসায়ীরাও বলেছেন, তাঁরা আগুনের মতো দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে আছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন অপরিকল্পিত মার্কেট থা
০৩ মার্চ ২০২৪
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
৯ মিনিট আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২০ মিনিট আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন।
২৬ মিনিট আগে