Ajker Patrika

মাদারীপুর-৩: নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে ঈগলের কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ 

মাদারীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৫: ১৩
মাদারীপুর-৩: নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে ঈগলের কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ 

মাদারীপুর-৩ আসনের কালকিনিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের এক কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে নৌকা প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে। আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ওই ব্যক্তি।

নিহত এসকেন্দার খাঁ (৭০) লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল) মোসা. তাহমিনা বেগমের সমর্থক ও কর্মী। তিনি কালকিনির ভাটাবালী গ্রামের আমির হোসেন খাঁর ছেলে।

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আজ শনিবার সকালে বাড়ির সামনের রাস্তায় হাঁটতে বের হন এসকেন্দার খাঁ। এ সময় মাদারীপুর-৩ আসনের নৌকা প্রার্থী আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপের সমর্থক ও লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল হক ব্যাপারীর লোকজন হঠাৎ হামলা চালায়। এ সময় এসকেন্দার খাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে তাঁর পায়ের রগ কেটে ফেলা হয়। বাঁধা দিতে এলে আরেকজনকে কুপিয়ে আহত করা হয়।

পরে তাঁদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দ্রুত পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। এ সময় স্থানীয়রা দুজনকে উদ্ধার করে প্রথমে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি হলে দুজনকেই বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এসকেন্দার খাঁ সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১২টার দিকে মারা যান। ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।

লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন গেন্দু কাজী বলেন, ‘আমাদের স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী এসকেন্দার খাঁ সকালে তাঁর বাড়ির সামনে হাঁটতে বের হলে হঠাৎ নৌকার সমর্থক ফজলুল হক ব্যাপারীর লোকজন তাঁকে কুপিয়ে জখম করে। পরে তিনি বরিশালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।’

এ বিষয়ে নৌকার সমর্থক ও লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান অভিযুক্ত ফজলুল হক ব্যাপারীকে একাধিকবার ফোন দিলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

মাদারীপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোসা. তাহমিনা বেগম বলেন, ‘আমার এক কর্মীকে নৌকার পক্ষের লোকজন কুপিয়ে হত্যা করেছে। আসলে সাধারণ ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক ছড়াতে তারা এগুলো করছে।’

কালকিনি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মারগুব তৌহিদ বলেন, গ্রাম্য দলাদলি ও রাজনৈতিক ইস্যুকে কেন্দ্র করে সকাল ৭টার দিকে এসকেন্দার খাঁ বাড়ি থেকে বের হলে তাঁকে প্রতিপক্ষের লোকজন কুপিয়ে জখম করেছে। তাঁকে প্রথমে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ঘটনাস্থলে উত্তেজনা থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুর ট্র্যাজেডি: নাটোরে পৌঁছাল মা-মেয়ের মরদেহ, দুদিন আগে হারিয়ে গিয়েছিল চাবি

পদোন্নতির ডাক পেলেন শেখ হাসিনার সাজা প্রত্যাখ্যান করা শিক্ষক মাসুদ রানা

যে আমলে রিজিকে সচ্ছলতা আসে

আজকের রাশিফল: বিনিয়োগে মায়ের পরামর্শ মেনে চলুন, অতি রোমান্টিকতা বিপত্তি ডাকবে

শাজাহানপুরে পিস্তলসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতা আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৩০০ গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মামলা

মুলাদী (বরিশাল) প্রতিনিধি 
মুলাদী থানা। ছবি: সংগৃহীত
মুলাদী থানা। ছবি: সংগৃহীত

বরিশালের মুলাদীতে সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৩০০ গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে সেতুর নির্মাণশ্রমিক মেহেদী হাসান মৃধা বাদী হয়ে মুলাদী থানায় এই মামলা করেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা, অনুষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

এর আগে গত শনিবার সকালে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের আড়িয়াল খাঁ নদের ওপর নির্মিত সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটে।

মুলাদী থানা-পুলিশ জানায়, মামলায় বাদী উল্লেখ করেছেন, ৬ ডিসেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবের উপস্থিতিতে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার আড়িয়াল খাঁ নদের সেতু উদ্বোধনের কথা ছিল। ওই দিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসক মো. খায়রুল আলম সুমন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. গোলাম সরওয়ার, মুলাদী থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলামসহ অন্য কর্মকর্তারা সেতুর পশ্চিম প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রণালয়ের সচিব ও অন্য কর্মকর্তারা আসার আগেই সকাল ১০টার দিকে নাজিরপুর ও রামারপোল গ্রামের তিন শতাধিক লোক সেতুর পূর্ব পাড় থেকে মিছিল নিয়ে অনুষ্ঠানে হামলা চালান। হামলাকারীরা সেতুর উদ্বোধনী ফলক ভেঙে ফেলেন এবং উপস্থিত কর্মকর্তাদের সামনেই সভামঞ্চ ও চেয়ার ভাঙচুর করে লালগালিচা নিয়ে যান। এতে অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে যায় এবং সরকারের অপূরণীয় ক্ষতি হয়।

মামলার বাদী মেহেদী হাসান আজকের পত্রিকাকে জানান, নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করতে না পারায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে মুলাদী থানার ওসি আরাফাত জাহান চৌধুরী বলেন, সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

জানা গেছে, ২০১৪ সালে আড়িয়াল খাঁ নদের ওপর নাজিরপুর-রামারপোল সৌহার্দ্য সেতু নামে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ইমদাদুল হক মজনু। দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ থাকার পর চলতি বছর মূল সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়। সংযোগ সড়কের কাজ অসম্পূর্ণ রেখেই রামারপোল গ্রামের বাসিন্দা স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সহকারী একান্ত সচিব মো. আয়মন হাসান রাহাত মন্ত্রণালয় থেকে সেতুটির নাম পাল্টে ৩৬ জুলাই সেতু করে ৬ ডিসেম্বর উদ্বোধনের দিন ঘোষণা করেন। সেখানে হামলা-ভাঙচুর হলে কর্মকর্তারা ওই দিন বরিশাল গিয়ে ‘সৌহার্দ্য ৩৬ জুলাই সেতু’ নাম দিয়ে ভার্চুয়ালি সেতুটির উদ্বোধন করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুর ট্র্যাজেডি: নাটোরে পৌঁছাল মা-মেয়ের মরদেহ, দুদিন আগে হারিয়ে গিয়েছিল চাবি

পদোন্নতির ডাক পেলেন শেখ হাসিনার সাজা প্রত্যাখ্যান করা শিক্ষক মাসুদ রানা

যে আমলে রিজিকে সচ্ছলতা আসে

আজকের রাশিফল: বিনিয়োগে মায়ের পরামর্শ মেনে চলুন, অতি রোমান্টিকতা বিপত্তি ডাকবে

শাজাহানপুরে পিস্তলসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতা আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

টেকনাফে ট্রাকের ধাক্কায় খাদে অটোরিকশা, চালকসহ নিহত ২

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
কক্সবাজারের টেকনাফে আজ মঙ্গলবার দুপুরে ট্রাকের ধাক্কায় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা খাদে পড়ে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
কক্সবাজারের টেকনাফে আজ মঙ্গলবার দুপুরে ট্রাকের ধাক্কায় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা খাদে পড়ে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় ট্রাকের ধাক্কায় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা খাদে পড়ে দুজন নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে হ্নীলা ইউনিয়নের আলীখালী রাস্তার মাথা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন দুর্ঘটনাকবলিত অটোরিকশাচালক ফারুক (৩০) ও যাত্রী ইমান হোসেন (২৫)। তাঁদের মধ্যে ফারুক হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভীবাজার এলাকার মো. সেলিমের ছেলে এবং ইমান হোসেন টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাজিরপাড়া এলাকার মো. সৈয়দ নুরের ছেলে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে খাদে পড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই চালকসহ দুজন নিহত হন।

টেকনাফের হোয়াইক্যং হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. নুরুল আবছার আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। নিহত দুজনের লাশ উদ্ধার করে টেকনাফ থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ছাড়া দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাক ও অটোরিকশাটি পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুর ট্র্যাজেডি: নাটোরে পৌঁছাল মা-মেয়ের মরদেহ, দুদিন আগে হারিয়ে গিয়েছিল চাবি

পদোন্নতির ডাক পেলেন শেখ হাসিনার সাজা প্রত্যাখ্যান করা শিক্ষক মাসুদ রানা

যে আমলে রিজিকে সচ্ছলতা আসে

আজকের রাশিফল: বিনিয়োগে মায়ের পরামর্শ মেনে চলুন, অতি রোমান্টিকতা বিপত্তি ডাকবে

শাজাহানপুরে পিস্তলসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতা আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পাশেই পলিথিনে মোড়ানো আটা, অন্ধকার রাস্তায় পড়ে ছিল দিনমজুরের লাশ

গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি 
রাস্তায় পড়ে আছে আখেরুল ইসলামের লাশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাস্তায় পড়ে আছে আখেরুল ইসলামের লাশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাত পৌনে ১১টা। আঁধার রাস্তা আলোকিত করছিল শুধু একটি মোবাইলের টর্চলাইট। পাশে পলিথিনে মোড়ানো আটা, উল্টে থাকা স্যান্ডেল আর রক্তমাখা নীরবতা—সবকিছুই যেন সাক্ষ্য দিচ্ছিল একটি আকস্মিক, নির্মম ঘটনার। প্রতিবন্ধী মেয়ের ওষুধ ও পরিবারের সকালের নাশতার জন্য আটা কিনে বাড়ি ফিরছিলেন দিনমজুর আখেরুল ইসলাম (৩৫)। কিন্তু সেই পথ আর তাঁর জীবনে ফেরা হলো না।

জানা গেছে, রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভুটকা মধ্যপাড়ার ডুব্বিরপাড় এলাকায় গতকাল সোমবার রাত পৌনে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, নিহতের মাথায় গভীর জখম রয়েছে। ভারী কোনো বস্তু দিয়ে আঘাত করে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। তিন সন্তানের জনক আখেরুল কিছুদিন আগে কেরানীগঞ্জের একটি বেসরকারি কুরিয়ার সার্ভিসের চাকরি ছেড়ে বাড়িতে ফিরে এসেছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, বাজার থেকে আটা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় তাঁর লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। লাশের পাশে ছিল আটা, উল্টে থাকা স্যান্ডেল এবং কিছুটা দূরে জমির ধারে পড়ে ছিল মোবাইল ফোনটি—টর্চলাইট তখনো জ্বলছিল। তাঁদের ধারণা, আচমকা আঘাতে তিনি রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন।

ছেলের মৃত্যুতে বাবার আহাজারি। ছবি: আজকের পত্রিকা
ছেলের মৃত্যুতে বাবার আহাজারি। ছবি: আজকের পত্রিকা

নিহতের ছোট ভাই আখতারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সন্ধ্যায় ওর ফোনে কয়েকটা কল আসে। কারও সঙ্গে তর্কও হয়। সেই কলের সূত্র ধরেই ওকে ডেকে নিয়ে পরে হত্যা করা হয়েছে বলে আমাদের সন্দেহ।’ ঘটনাস্থলে ছেলের লাশ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন বাবা শামসুদ্দিন। তিনি বারবার বলছিলেন, ‘কে আমার ছেলেটারে মারল? তিনটা নাতি, একটা আবার প্রতিবন্ধী— এদের নিয়ে আমার কী হবে?’

স্বামীকে হারিয়ে শোকে ভেঙে পড়েন স্ত্রী খাদিজা বেগম। তিনি বলেন, ‘মেয়ের ওষুধ আনতে গেছিল। আটা আনবে বলছিল। আমার মানুষটা আর ঘরে ফিরল না। তিনটা ছাওয়ারে নিয়ে আমি কীভাবে বাঁচম?’ বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী সেরাজুল ইসলাম বলেন, ‘রাতে মেয়ের ওষুধ নিতে এসেছিল। দোকানে ছিল না, তাই বললাম গঙ্গাচড়া থেকে নিতে হবে। হাতে আটা নিয়ে বেরিয়ে গেল। একটু পরেই শুনি ওকে মেরে ফেলা হয়েছে।’

এদিকে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) সুশান্ত চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সবুর বলেন, ‘এটি হত্যা নাকি সড়ক দুর্ঘটনা—এখনই নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুর ট্র্যাজেডি: নাটোরে পৌঁছাল মা-মেয়ের মরদেহ, দুদিন আগে হারিয়ে গিয়েছিল চাবি

পদোন্নতির ডাক পেলেন শেখ হাসিনার সাজা প্রত্যাখ্যান করা শিক্ষক মাসুদ রানা

যে আমলে রিজিকে সচ্ছলতা আসে

আজকের রাশিফল: বিনিয়োগে মায়ের পরামর্শ মেনে চলুন, অতি রোমান্টিকতা বিপত্তি ডাকবে

শাজাহানপুরে পিস্তলসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতা আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সিরাজগঞ্জে ‘মিছিল নিয়ে’ ওয়াজ মাহফিলে জামায়াত নেতা, হামলার অভিযোগ বিএনপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৩৪
আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

মিছিল নিয়ে ওয়াজ মাহফিলে যোগদানের সময় সিরাজগঞ্জ–১ আসনে (কাজীপুর ও সদরের একাংশ) জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ও দলের জেলা শাখার আমির মাওলানা শাহীনুর আলমের সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সেলিম রেজার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন জামায়াত নেতা। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সেলিম দাবি করেছেন, ওয়াজ মাহফিলে মিছিল নিয়ে যোগদান স্থানীয় লোকজন ‘স্বাভাবিকভাবে নেয়নি’।

জামায়াতের নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, জেলার কাজীপুর উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের স্থলবাড়িতে ওয়াজ মাহফিলকে কেন্দ্র করে জামায়াতের নেতা-কর্মীদের ওপর বিএনপির নেতা-কর্মীরা এই হামলা করেন। তাঁরা জানান, সোনামুখীর মেফতাহুল উলুম কওমি মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত হয় ওয়াজ মাহফিল। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিরাজগঞ্জ-১ (কাজীপুর-সদর আংশিক) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সেলিম রেজা। প্রধান মেহমান ছিলেন জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী ও জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা শাহীনুর আলম।

জামায়াতের অভিযোগ, মাহফিল চলাকালে প্রথমে হামলা করে এক কর্মীকে মারধর করা হয় এবং দ্বিতীয় দফায় সোনামুখী বাজার চৌরাস্তায় আরেক দফা হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় জামায়াতের নেতা-কর্মীদের দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। হামলায় আহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আরও সাতজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

জামায়াতের জেলা মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের দায়িত্বে থাকা হাফিজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই দফায় আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করা হয়। এতে প্রায় ১০ জন আহত হয়েছেন। এই হামলা বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সেলিম রেজার নেতৃত্বে হয়েছে। আমাদের দুটি মোটরসাইকেল তারা নিয়ে গেছে। গাড়ি ভাঙচুর করেছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

সিরাজগঞ্জ-১ (কাজীপুর ও সদরের একাংশ) আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত এমপি প্রার্থী ও জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা শাহীনুর আলম জানান, মঞ্চে হামলার সময় বিএনপির প্রার্থী সেলিম রেজা পরিস্থিতি শান্ত করেন। তবে দ্বিতীয় দফায় হামলার বিষয়ে ফোন করলে সেলিম রেজা ‘সব নেতা-কর্মী নিয়ে চলে যাচ্ছেন’ বলে জানান। পরে তিনি আর যোগাযোগ করেননি। শাহীনুর আলমের অভিযোগ, তখন পরিষ্কার হলো, তাঁর ইন্ধনেই এসব হয়েছে। তিনি আরও বলেন, পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ এসে ঘুরে চলে যায়।

এ বিষয়ে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সেলিম রেজা বলেন, ‘তারা যে অভিযোগ করেছে, এটা সত্য নয়। তবে মাহফিলে জামায়াতের আমির মাওলানা শাহীনুর আলম ভাই মিছিল নিয়ে জালসায় প্রবেশ করেন, এটা স্থানীয় লোকজন স্বাভাবিকভাবে নেয়নি। পরে আমি জালসায় বক্তব্য দিয়ে চলে আসি, তিনিও চলে যান।’

এ বিষয়ে কাজীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ এনায়েতুর রহমান বলেন, ঘটনার বিষয়ে জানানো হলে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যায়। এক মাহফিলে দুজনই অতিথি ছিলেন। সেখানে স্লোগান নিয়ে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। পরে রাস্তায় দুই পক্ষের দেখা হলে আবার ধাক্কাধাক্কি হয়। গুরুতর আহত হয়নি; তবে পড়ে গিয়ে একটু আহত হয়েছিল। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুর ট্র্যাজেডি: নাটোরে পৌঁছাল মা-মেয়ের মরদেহ, দুদিন আগে হারিয়ে গিয়েছিল চাবি

পদোন্নতির ডাক পেলেন শেখ হাসিনার সাজা প্রত্যাখ্যান করা শিক্ষক মাসুদ রানা

যে আমলে রিজিকে সচ্ছলতা আসে

আজকের রাশিফল: বিনিয়োগে মায়ের পরামর্শ মেনে চলুন, অতি রোমান্টিকতা বিপত্তি ডাকবে

শাজাহানপুরে পিস্তলসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতা আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত