মাইনউদ্দিন হাসান শাহেদ ও সৌগত বসু, কক্সবাজার থেকে

অপেক্ষার দিন ফুরাল। সাগরপারে ট্রেন ছুটবে, ঝিক ঝিক ঝিক। ট্রেনে চড়ে চট্টগ্রাম ও ঢাকায় যাওয়ার কথা স্বপ্নেও ভাবেনি কক্সবাজারের মানুষ। কিন্তু এখন তা বাস্তব। এতে খুশিতে আত্মহারা পুরো কক্সবাজারবাসী।
‘আঁরা রেলগাড়ি দেইক্কম হন সময় নভাবি। রেলত হন সময় নচরি, এবার চইজ্জম (কোনো সময় ভাবিনি, এখানে রেলগাড়ি দেখব। ট্রেনে কখনো চড়া হয়নি, এবার চড়ব)–রেলপথ পেয়ে এভাবেই নিজের অনুভূতি প্রকাশ করলেন কক্সবাজারের চান্দেরপাড়ার বাসিন্দা ৭৫ বছর বয়সী আবদুস সালাম।
আবদুস সালামের সঙ্গে যখন কথা হয়, তখন তার পাশেই দাঁড়িয়ে অটোরিকশার চালক মহিউদ্দিন। ৩৫ বছরের এই যুবক বলেন, ‘হাচা হাচা রেল আইয়্যের দেহি আরত্তুন বেশি খুশি লার (সত্যি সত্যি রেল আসছে দেখে আমাদের খুব আনন্দ হচ্ছে)।’
পর্যটননগরীতে যে কারণে এমন আনন্দের বন্যা বইছে, সেটি হলো কক্সবাজার-দোহাজারী রেলপথ। আজ শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেলা ১১টায় কক্সবাজার স্টেশন থেকে এই রেলপথের উদ্বোধন করবেন। আর আগামী মাসের ১ তারিখ থেকে ঢাকা-কক্সবাজার সরাসরি ট্রেন চলাচলের কথা রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে দেশের ৪৮তম জেলা হিসেবে রেল নেটওয়ার্কে যুক্ত হচ্ছে কক্সবাজার।
বর্তমান সরকারের নেওয়া অন্যতম অগ্রাধিকার প্রকল্পের একটি কক্সবাজার-দোহাজারী রেলপথ। এ রেলপথ নির্মাণের আগে কক্সবাজারের সঙ্গে কোনো রেল যোগাযোগ ছিল না। শুরুতে এটি ছিল ‘দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু হতে ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ’ প্রকল্প। এতে মোট ১২৯ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণের কথা ছিল। পরে রামু থেকে ঘুমধুম অংশের কাজ স্থগিত করা হয়। তবে পুরোপুরি প্রস্তুত হয়েছে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার রেলপথ।
কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের উল্টো পাশেই কক্সবাজার সরকারি কলেজ। প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষার্থীর এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গত বৃহস্পতিবার কথা হয় কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে। স্নাতক (সম্মান) তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সায়মা জান্নাত বলেন, ‘আমরা ট্রেনে চড়ে দেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ছুটে বেড়াব। এই অনুভূতিটাই অন্য রকম।’
শুধু শিক্ষার্থী নয়, কর্মজীবীরাও বেশ খুশি। কক্সবাজার সিটি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান শরমিন সিদ্দিকা লিমা জানান, কক্সবাজারের রেলসংযোগ তাঁর মতো কর্মজীবীদের জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করেছে। অনেকেই জেলার বাইরে গেলে কীভাবে যাবেন, একটা দুশ্চিন্তায় থাকতেন। নিরাপদ ভ্রমণের মাধ্যম রেল পেয়ে সেই চিন্তা ঘুচেছে এখন।
প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারবাসীকে রেলপথ উপহার দিয়েছেন। এ জন্য কক্সবাজারবাসীর পক্ষ থেকে তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু ও ঈদগাঁও) আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল। তিনি বলেন, ‘কক্সবাজারে আমাদের চৌদ্দগুষ্টি রেল দেখবে ভাবেনি। এখন শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষা। এ রেলপথের কারণে আমরা সবাই উচ্ছ্বসিত-আনন্দিত।’
২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার পর্যন্ত মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, শুরুতে প্রকল্পের ব্যয় ছিল ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এতে কিলোমিটারপ্রতি খরচ হচ্ছে প্রায় ১৮৩ কোটি টাকা। আর এর মধ্যে শুধু কক্সবাজারে স্টেশনটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২১৫ কোটি টাকা। পুরো প্রকল্পে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ১৩ হাজার ১১৫ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে। বাকি ৪ হাজার ১১৯ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে। প্রকল্পের জন্য কক্সবাজার জেলায় ১ হাজার ৩৬৫ একর জমি অধিগ্রহণ করতে হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হয়েছে ৪টি বড় ও ৪৭টি ছোট সেতু, ১৪৯টি বক্স কালভার্ট, ৫২টি রাউন্ড কালভার্ট এবং লেভেল ক্রসিং রয়েছে ৯৬টি।
১৩ বছর ধরে চলা এই প্রকল্পে চলতি বছরের শুরুতে বাদ সাধে বৃষ্টি। আগস্ট মাসের শুরুতে চট্টগ্রাম অঞ্চলে রেকর্ড বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ি ঢলে রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সাতকানিয়ার তেমুহনী এলাকায় আধা কিলোমিটারজুড়ে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেটি সংস্কার করে আবার ঘুরে দাঁড়াতে সময় লাগে দুই মাস।
থাকছে ৯টি স্টেশন
রেলওয়ে সূত্র জানায়, প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মোট ৯টি স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে। এগুলো হলো—দোহাজারী রেলওয়ে স্টেশন, সাতকানিয়া রেলওয়ে স্টেশন, লোহাগাড়া রেলওয়ে স্টেশন, হারবাং রেলওয়ে স্টেশন, চকরিয়া রেলওয়ে স্টেশন, ডুলাহাজারা রেলওয়ে স্টেশন, ইসলামাবাদ রেলওয়ে স্টেশন (বাংলাদেশ), রামু রেলওয়ে স্টেশন ও কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন।
তবে সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থাপনাটি হচ্ছে কক্সবাজার শহর থেকে তিন কিলোমিটার পূর্বে ঝিলংজা ইউনিয়নের হাজিপাড়া এলাকায় ২৯ একর জমিতে গড়ে ওঠা আইকনিক রেলস্টেশন। ঝিনুকের আদলে তৈরি এ স্টেশন ভবনটির আয়তন ১ লাখ ৮২ হাজার বর্গফুট। ছয়তলাবিশিষ্ট স্টেশনটি নির্মাণে ১১০ জন বিদেশিসহ মোট ২৫০ জন প্রকৌশলী এবং ৬ শতাধিক লোক কাজ করেছেন।
হাতির জন্য ওভারপাস
চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পে প্রায় ২৭ কিলোমিটার জায়গা বন্য হাতির চলাচলের পথ। সংরক্ষিত বন এলাকায় রেললাইন স্থাপন করায় বন্য হাতি ও বন্য প্রাণী চলাচলের জন্য ওভারপাস নির্মাণ করা হয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম।
২০১৭ সালের এপ্রিল, অক্টোবর ও নভেম্বরে ক্যামেরা ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে পরিচালিত এক গবেষণায় ৩টি বনাঞ্চলের ২১টি স্থানে হাতির চলাচলের পথ এবং আবাসস্থল পাওয়া যায়। যার কারণে এসব স্থানে হাতির জন্য ওভারপাস নির্মাণ হয়।
চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রেলপথটি দুটি ভাগে কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। দোহাজারী থেকে চকরিয়া অংশের কাজ করছে সিআরইসি এবং তমা কনস্ট্রাকশন। আর চকরিয়া থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত অংশের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিসিইসিসি এবং ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার। ২০১৬ সালের ২৭ এপ্রিল প্রকল্পটি ফাস্টট্র্যাকভুক্ত হয়।
এই প্রকল্পের সার্বিক বিষয়ে রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ১ ডিসেম্বর থেকে একজোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আর চট্টগ্রাম থেকে একজোড়া আন্তনগর ট্রেন চলবে। তবে ট্রেনের ভাড়া ও নাম নিয়ে প্রস্তাবনা আছে, এখনো নির্ধারণ হয়নি।

অপেক্ষার দিন ফুরাল। সাগরপারে ট্রেন ছুটবে, ঝিক ঝিক ঝিক। ট্রেনে চড়ে চট্টগ্রাম ও ঢাকায় যাওয়ার কথা স্বপ্নেও ভাবেনি কক্সবাজারের মানুষ। কিন্তু এখন তা বাস্তব। এতে খুশিতে আত্মহারা পুরো কক্সবাজারবাসী।
‘আঁরা রেলগাড়ি দেইক্কম হন সময় নভাবি। রেলত হন সময় নচরি, এবার চইজ্জম (কোনো সময় ভাবিনি, এখানে রেলগাড়ি দেখব। ট্রেনে কখনো চড়া হয়নি, এবার চড়ব)–রেলপথ পেয়ে এভাবেই নিজের অনুভূতি প্রকাশ করলেন কক্সবাজারের চান্দেরপাড়ার বাসিন্দা ৭৫ বছর বয়সী আবদুস সালাম।
আবদুস সালামের সঙ্গে যখন কথা হয়, তখন তার পাশেই দাঁড়িয়ে অটোরিকশার চালক মহিউদ্দিন। ৩৫ বছরের এই যুবক বলেন, ‘হাচা হাচা রেল আইয়্যের দেহি আরত্তুন বেশি খুশি লার (সত্যি সত্যি রেল আসছে দেখে আমাদের খুব আনন্দ হচ্ছে)।’
পর্যটননগরীতে যে কারণে এমন আনন্দের বন্যা বইছে, সেটি হলো কক্সবাজার-দোহাজারী রেলপথ। আজ শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেলা ১১টায় কক্সবাজার স্টেশন থেকে এই রেলপথের উদ্বোধন করবেন। আর আগামী মাসের ১ তারিখ থেকে ঢাকা-কক্সবাজার সরাসরি ট্রেন চলাচলের কথা রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে দেশের ৪৮তম জেলা হিসেবে রেল নেটওয়ার্কে যুক্ত হচ্ছে কক্সবাজার।
বর্তমান সরকারের নেওয়া অন্যতম অগ্রাধিকার প্রকল্পের একটি কক্সবাজার-দোহাজারী রেলপথ। এ রেলপথ নির্মাণের আগে কক্সবাজারের সঙ্গে কোনো রেল যোগাযোগ ছিল না। শুরুতে এটি ছিল ‘দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু হতে ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ’ প্রকল্প। এতে মোট ১২৯ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণের কথা ছিল। পরে রামু থেকে ঘুমধুম অংশের কাজ স্থগিত করা হয়। তবে পুরোপুরি প্রস্তুত হয়েছে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার রেলপথ।
কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের উল্টো পাশেই কক্সবাজার সরকারি কলেজ। প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষার্থীর এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গত বৃহস্পতিবার কথা হয় কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে। স্নাতক (সম্মান) তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সায়মা জান্নাত বলেন, ‘আমরা ট্রেনে চড়ে দেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ছুটে বেড়াব। এই অনুভূতিটাই অন্য রকম।’
শুধু শিক্ষার্থী নয়, কর্মজীবীরাও বেশ খুশি। কক্সবাজার সিটি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান শরমিন সিদ্দিকা লিমা জানান, কক্সবাজারের রেলসংযোগ তাঁর মতো কর্মজীবীদের জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করেছে। অনেকেই জেলার বাইরে গেলে কীভাবে যাবেন, একটা দুশ্চিন্তায় থাকতেন। নিরাপদ ভ্রমণের মাধ্যম রেল পেয়ে সেই চিন্তা ঘুচেছে এখন।
প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারবাসীকে রেলপথ উপহার দিয়েছেন। এ জন্য কক্সবাজারবাসীর পক্ষ থেকে তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু ও ঈদগাঁও) আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল। তিনি বলেন, ‘কক্সবাজারে আমাদের চৌদ্দগুষ্টি রেল দেখবে ভাবেনি। এখন শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষা। এ রেলপথের কারণে আমরা সবাই উচ্ছ্বসিত-আনন্দিত।’
২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার পর্যন্ত মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, শুরুতে প্রকল্পের ব্যয় ছিল ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এতে কিলোমিটারপ্রতি খরচ হচ্ছে প্রায় ১৮৩ কোটি টাকা। আর এর মধ্যে শুধু কক্সবাজারে স্টেশনটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২১৫ কোটি টাকা। পুরো প্রকল্পে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ১৩ হাজার ১১৫ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে। বাকি ৪ হাজার ১১৯ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে। প্রকল্পের জন্য কক্সবাজার জেলায় ১ হাজার ৩৬৫ একর জমি অধিগ্রহণ করতে হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হয়েছে ৪টি বড় ও ৪৭টি ছোট সেতু, ১৪৯টি বক্স কালভার্ট, ৫২টি রাউন্ড কালভার্ট এবং লেভেল ক্রসিং রয়েছে ৯৬টি।
১৩ বছর ধরে চলা এই প্রকল্পে চলতি বছরের শুরুতে বাদ সাধে বৃষ্টি। আগস্ট মাসের শুরুতে চট্টগ্রাম অঞ্চলে রেকর্ড বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ি ঢলে রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সাতকানিয়ার তেমুহনী এলাকায় আধা কিলোমিটারজুড়ে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেটি সংস্কার করে আবার ঘুরে দাঁড়াতে সময় লাগে দুই মাস।
থাকছে ৯টি স্টেশন
রেলওয়ে সূত্র জানায়, প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মোট ৯টি স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে। এগুলো হলো—দোহাজারী রেলওয়ে স্টেশন, সাতকানিয়া রেলওয়ে স্টেশন, লোহাগাড়া রেলওয়ে স্টেশন, হারবাং রেলওয়ে স্টেশন, চকরিয়া রেলওয়ে স্টেশন, ডুলাহাজারা রেলওয়ে স্টেশন, ইসলামাবাদ রেলওয়ে স্টেশন (বাংলাদেশ), রামু রেলওয়ে স্টেশন ও কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন।
তবে সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থাপনাটি হচ্ছে কক্সবাজার শহর থেকে তিন কিলোমিটার পূর্বে ঝিলংজা ইউনিয়নের হাজিপাড়া এলাকায় ২৯ একর জমিতে গড়ে ওঠা আইকনিক রেলস্টেশন। ঝিনুকের আদলে তৈরি এ স্টেশন ভবনটির আয়তন ১ লাখ ৮২ হাজার বর্গফুট। ছয়তলাবিশিষ্ট স্টেশনটি নির্মাণে ১১০ জন বিদেশিসহ মোট ২৫০ জন প্রকৌশলী এবং ৬ শতাধিক লোক কাজ করেছেন।
হাতির জন্য ওভারপাস
চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পে প্রায় ২৭ কিলোমিটার জায়গা বন্য হাতির চলাচলের পথ। সংরক্ষিত বন এলাকায় রেললাইন স্থাপন করায় বন্য হাতি ও বন্য প্রাণী চলাচলের জন্য ওভারপাস নির্মাণ করা হয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম।
২০১৭ সালের এপ্রিল, অক্টোবর ও নভেম্বরে ক্যামেরা ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে পরিচালিত এক গবেষণায় ৩টি বনাঞ্চলের ২১টি স্থানে হাতির চলাচলের পথ এবং আবাসস্থল পাওয়া যায়। যার কারণে এসব স্থানে হাতির জন্য ওভারপাস নির্মাণ হয়।
চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রেলপথটি দুটি ভাগে কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। দোহাজারী থেকে চকরিয়া অংশের কাজ করছে সিআরইসি এবং তমা কনস্ট্রাকশন। আর চকরিয়া থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত অংশের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিসিইসিসি এবং ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার। ২০১৬ সালের ২৭ এপ্রিল প্রকল্পটি ফাস্টট্র্যাকভুক্ত হয়।
এই প্রকল্পের সার্বিক বিষয়ে রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ১ ডিসেম্বর থেকে একজোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আর চট্টগ্রাম থেকে একজোড়া আন্তনগর ট্রেন চলবে। তবে ট্রেনের ভাড়া ও নাম নিয়ে প্রস্তাবনা আছে, এখনো নির্ধারণ হয়নি।
মাইনউদ্দিন হাসান শাহেদ ও সৌগত বসু, কক্সবাজার থেকে

অপেক্ষার দিন ফুরাল। সাগরপারে ট্রেন ছুটবে, ঝিক ঝিক ঝিক। ট্রেনে চড়ে চট্টগ্রাম ও ঢাকায় যাওয়ার কথা স্বপ্নেও ভাবেনি কক্সবাজারের মানুষ। কিন্তু এখন তা বাস্তব। এতে খুশিতে আত্মহারা পুরো কক্সবাজারবাসী।
‘আঁরা রেলগাড়ি দেইক্কম হন সময় নভাবি। রেলত হন সময় নচরি, এবার চইজ্জম (কোনো সময় ভাবিনি, এখানে রেলগাড়ি দেখব। ট্রেনে কখনো চড়া হয়নি, এবার চড়ব)–রেলপথ পেয়ে এভাবেই নিজের অনুভূতি প্রকাশ করলেন কক্সবাজারের চান্দেরপাড়ার বাসিন্দা ৭৫ বছর বয়সী আবদুস সালাম।
আবদুস সালামের সঙ্গে যখন কথা হয়, তখন তার পাশেই দাঁড়িয়ে অটোরিকশার চালক মহিউদ্দিন। ৩৫ বছরের এই যুবক বলেন, ‘হাচা হাচা রেল আইয়্যের দেহি আরত্তুন বেশি খুশি লার (সত্যি সত্যি রেল আসছে দেখে আমাদের খুব আনন্দ হচ্ছে)।’
পর্যটননগরীতে যে কারণে এমন আনন্দের বন্যা বইছে, সেটি হলো কক্সবাজার-দোহাজারী রেলপথ। আজ শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেলা ১১টায় কক্সবাজার স্টেশন থেকে এই রেলপথের উদ্বোধন করবেন। আর আগামী মাসের ১ তারিখ থেকে ঢাকা-কক্সবাজার সরাসরি ট্রেন চলাচলের কথা রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে দেশের ৪৮তম জেলা হিসেবে রেল নেটওয়ার্কে যুক্ত হচ্ছে কক্সবাজার।
বর্তমান সরকারের নেওয়া অন্যতম অগ্রাধিকার প্রকল্পের একটি কক্সবাজার-দোহাজারী রেলপথ। এ রেলপথ নির্মাণের আগে কক্সবাজারের সঙ্গে কোনো রেল যোগাযোগ ছিল না। শুরুতে এটি ছিল ‘দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু হতে ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ’ প্রকল্প। এতে মোট ১২৯ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণের কথা ছিল। পরে রামু থেকে ঘুমধুম অংশের কাজ স্থগিত করা হয়। তবে পুরোপুরি প্রস্তুত হয়েছে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার রেলপথ।
কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের উল্টো পাশেই কক্সবাজার সরকারি কলেজ। প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষার্থীর এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গত বৃহস্পতিবার কথা হয় কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে। স্নাতক (সম্মান) তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সায়মা জান্নাত বলেন, ‘আমরা ট্রেনে চড়ে দেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ছুটে বেড়াব। এই অনুভূতিটাই অন্য রকম।’
শুধু শিক্ষার্থী নয়, কর্মজীবীরাও বেশ খুশি। কক্সবাজার সিটি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান শরমিন সিদ্দিকা লিমা জানান, কক্সবাজারের রেলসংযোগ তাঁর মতো কর্মজীবীদের জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করেছে। অনেকেই জেলার বাইরে গেলে কীভাবে যাবেন, একটা দুশ্চিন্তায় থাকতেন। নিরাপদ ভ্রমণের মাধ্যম রেল পেয়ে সেই চিন্তা ঘুচেছে এখন।
প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারবাসীকে রেলপথ উপহার দিয়েছেন। এ জন্য কক্সবাজারবাসীর পক্ষ থেকে তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু ও ঈদগাঁও) আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল। তিনি বলেন, ‘কক্সবাজারে আমাদের চৌদ্দগুষ্টি রেল দেখবে ভাবেনি। এখন শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষা। এ রেলপথের কারণে আমরা সবাই উচ্ছ্বসিত-আনন্দিত।’
২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার পর্যন্ত মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, শুরুতে প্রকল্পের ব্যয় ছিল ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এতে কিলোমিটারপ্রতি খরচ হচ্ছে প্রায় ১৮৩ কোটি টাকা। আর এর মধ্যে শুধু কক্সবাজারে স্টেশনটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২১৫ কোটি টাকা। পুরো প্রকল্পে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ১৩ হাজার ১১৫ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে। বাকি ৪ হাজার ১১৯ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে। প্রকল্পের জন্য কক্সবাজার জেলায় ১ হাজার ৩৬৫ একর জমি অধিগ্রহণ করতে হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হয়েছে ৪টি বড় ও ৪৭টি ছোট সেতু, ১৪৯টি বক্স কালভার্ট, ৫২টি রাউন্ড কালভার্ট এবং লেভেল ক্রসিং রয়েছে ৯৬টি।
১৩ বছর ধরে চলা এই প্রকল্পে চলতি বছরের শুরুতে বাদ সাধে বৃষ্টি। আগস্ট মাসের শুরুতে চট্টগ্রাম অঞ্চলে রেকর্ড বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ি ঢলে রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সাতকানিয়ার তেমুহনী এলাকায় আধা কিলোমিটারজুড়ে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেটি সংস্কার করে আবার ঘুরে দাঁড়াতে সময় লাগে দুই মাস।
থাকছে ৯টি স্টেশন
রেলওয়ে সূত্র জানায়, প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মোট ৯টি স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে। এগুলো হলো—দোহাজারী রেলওয়ে স্টেশন, সাতকানিয়া রেলওয়ে স্টেশন, লোহাগাড়া রেলওয়ে স্টেশন, হারবাং রেলওয়ে স্টেশন, চকরিয়া রেলওয়ে স্টেশন, ডুলাহাজারা রেলওয়ে স্টেশন, ইসলামাবাদ রেলওয়ে স্টেশন (বাংলাদেশ), রামু রেলওয়ে স্টেশন ও কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন।
তবে সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থাপনাটি হচ্ছে কক্সবাজার শহর থেকে তিন কিলোমিটার পূর্বে ঝিলংজা ইউনিয়নের হাজিপাড়া এলাকায় ২৯ একর জমিতে গড়ে ওঠা আইকনিক রেলস্টেশন। ঝিনুকের আদলে তৈরি এ স্টেশন ভবনটির আয়তন ১ লাখ ৮২ হাজার বর্গফুট। ছয়তলাবিশিষ্ট স্টেশনটি নির্মাণে ১১০ জন বিদেশিসহ মোট ২৫০ জন প্রকৌশলী এবং ৬ শতাধিক লোক কাজ করেছেন।
হাতির জন্য ওভারপাস
চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পে প্রায় ২৭ কিলোমিটার জায়গা বন্য হাতির চলাচলের পথ। সংরক্ষিত বন এলাকায় রেললাইন স্থাপন করায় বন্য হাতি ও বন্য প্রাণী চলাচলের জন্য ওভারপাস নির্মাণ করা হয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম।
২০১৭ সালের এপ্রিল, অক্টোবর ও নভেম্বরে ক্যামেরা ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে পরিচালিত এক গবেষণায় ৩টি বনাঞ্চলের ২১টি স্থানে হাতির চলাচলের পথ এবং আবাসস্থল পাওয়া যায়। যার কারণে এসব স্থানে হাতির জন্য ওভারপাস নির্মাণ হয়।
চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রেলপথটি দুটি ভাগে কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। দোহাজারী থেকে চকরিয়া অংশের কাজ করছে সিআরইসি এবং তমা কনস্ট্রাকশন। আর চকরিয়া থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত অংশের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিসিইসিসি এবং ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার। ২০১৬ সালের ২৭ এপ্রিল প্রকল্পটি ফাস্টট্র্যাকভুক্ত হয়।
এই প্রকল্পের সার্বিক বিষয়ে রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ১ ডিসেম্বর থেকে একজোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আর চট্টগ্রাম থেকে একজোড়া আন্তনগর ট্রেন চলবে। তবে ট্রেনের ভাড়া ও নাম নিয়ে প্রস্তাবনা আছে, এখনো নির্ধারণ হয়নি।

অপেক্ষার দিন ফুরাল। সাগরপারে ট্রেন ছুটবে, ঝিক ঝিক ঝিক। ট্রেনে চড়ে চট্টগ্রাম ও ঢাকায় যাওয়ার কথা স্বপ্নেও ভাবেনি কক্সবাজারের মানুষ। কিন্তু এখন তা বাস্তব। এতে খুশিতে আত্মহারা পুরো কক্সবাজারবাসী।
‘আঁরা রেলগাড়ি দেইক্কম হন সময় নভাবি। রেলত হন সময় নচরি, এবার চইজ্জম (কোনো সময় ভাবিনি, এখানে রেলগাড়ি দেখব। ট্রেনে কখনো চড়া হয়নি, এবার চড়ব)–রেলপথ পেয়ে এভাবেই নিজের অনুভূতি প্রকাশ করলেন কক্সবাজারের চান্দেরপাড়ার বাসিন্দা ৭৫ বছর বয়সী আবদুস সালাম।
আবদুস সালামের সঙ্গে যখন কথা হয়, তখন তার পাশেই দাঁড়িয়ে অটোরিকশার চালক মহিউদ্দিন। ৩৫ বছরের এই যুবক বলেন, ‘হাচা হাচা রেল আইয়্যের দেহি আরত্তুন বেশি খুশি লার (সত্যি সত্যি রেল আসছে দেখে আমাদের খুব আনন্দ হচ্ছে)।’
পর্যটননগরীতে যে কারণে এমন আনন্দের বন্যা বইছে, সেটি হলো কক্সবাজার-দোহাজারী রেলপথ। আজ শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেলা ১১টায় কক্সবাজার স্টেশন থেকে এই রেলপথের উদ্বোধন করবেন। আর আগামী মাসের ১ তারিখ থেকে ঢাকা-কক্সবাজার সরাসরি ট্রেন চলাচলের কথা রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে দেশের ৪৮তম জেলা হিসেবে রেল নেটওয়ার্কে যুক্ত হচ্ছে কক্সবাজার।
বর্তমান সরকারের নেওয়া অন্যতম অগ্রাধিকার প্রকল্পের একটি কক্সবাজার-দোহাজারী রেলপথ। এ রেলপথ নির্মাণের আগে কক্সবাজারের সঙ্গে কোনো রেল যোগাযোগ ছিল না। শুরুতে এটি ছিল ‘দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু হতে ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ’ প্রকল্প। এতে মোট ১২৯ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণের কথা ছিল। পরে রামু থেকে ঘুমধুম অংশের কাজ স্থগিত করা হয়। তবে পুরোপুরি প্রস্তুত হয়েছে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার রেলপথ।
কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের উল্টো পাশেই কক্সবাজার সরকারি কলেজ। প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষার্থীর এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গত বৃহস্পতিবার কথা হয় কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে। স্নাতক (সম্মান) তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সায়মা জান্নাত বলেন, ‘আমরা ট্রেনে চড়ে দেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ছুটে বেড়াব। এই অনুভূতিটাই অন্য রকম।’
শুধু শিক্ষার্থী নয়, কর্মজীবীরাও বেশ খুশি। কক্সবাজার সিটি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান শরমিন সিদ্দিকা লিমা জানান, কক্সবাজারের রেলসংযোগ তাঁর মতো কর্মজীবীদের জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করেছে। অনেকেই জেলার বাইরে গেলে কীভাবে যাবেন, একটা দুশ্চিন্তায় থাকতেন। নিরাপদ ভ্রমণের মাধ্যম রেল পেয়ে সেই চিন্তা ঘুচেছে এখন।
প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারবাসীকে রেলপথ উপহার দিয়েছেন। এ জন্য কক্সবাজারবাসীর পক্ষ থেকে তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু ও ঈদগাঁও) আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল। তিনি বলেন, ‘কক্সবাজারে আমাদের চৌদ্দগুষ্টি রেল দেখবে ভাবেনি। এখন শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষা। এ রেলপথের কারণে আমরা সবাই উচ্ছ্বসিত-আনন্দিত।’
২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার পর্যন্ত মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, শুরুতে প্রকল্পের ব্যয় ছিল ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এতে কিলোমিটারপ্রতি খরচ হচ্ছে প্রায় ১৮৩ কোটি টাকা। আর এর মধ্যে শুধু কক্সবাজারে স্টেশনটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২১৫ কোটি টাকা। পুরো প্রকল্পে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ১৩ হাজার ১১৫ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে। বাকি ৪ হাজার ১১৯ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে। প্রকল্পের জন্য কক্সবাজার জেলায় ১ হাজার ৩৬৫ একর জমি অধিগ্রহণ করতে হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হয়েছে ৪টি বড় ও ৪৭টি ছোট সেতু, ১৪৯টি বক্স কালভার্ট, ৫২টি রাউন্ড কালভার্ট এবং লেভেল ক্রসিং রয়েছে ৯৬টি।
১৩ বছর ধরে চলা এই প্রকল্পে চলতি বছরের শুরুতে বাদ সাধে বৃষ্টি। আগস্ট মাসের শুরুতে চট্টগ্রাম অঞ্চলে রেকর্ড বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ি ঢলে রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সাতকানিয়ার তেমুহনী এলাকায় আধা কিলোমিটারজুড়ে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেটি সংস্কার করে আবার ঘুরে দাঁড়াতে সময় লাগে দুই মাস।
থাকছে ৯টি স্টেশন
রেলওয়ে সূত্র জানায়, প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মোট ৯টি স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে। এগুলো হলো—দোহাজারী রেলওয়ে স্টেশন, সাতকানিয়া রেলওয়ে স্টেশন, লোহাগাড়া রেলওয়ে স্টেশন, হারবাং রেলওয়ে স্টেশন, চকরিয়া রেলওয়ে স্টেশন, ডুলাহাজারা রেলওয়ে স্টেশন, ইসলামাবাদ রেলওয়ে স্টেশন (বাংলাদেশ), রামু রেলওয়ে স্টেশন ও কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন।
তবে সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থাপনাটি হচ্ছে কক্সবাজার শহর থেকে তিন কিলোমিটার পূর্বে ঝিলংজা ইউনিয়নের হাজিপাড়া এলাকায় ২৯ একর জমিতে গড়ে ওঠা আইকনিক রেলস্টেশন। ঝিনুকের আদলে তৈরি এ স্টেশন ভবনটির আয়তন ১ লাখ ৮২ হাজার বর্গফুট। ছয়তলাবিশিষ্ট স্টেশনটি নির্মাণে ১১০ জন বিদেশিসহ মোট ২৫০ জন প্রকৌশলী এবং ৬ শতাধিক লোক কাজ করেছেন।
হাতির জন্য ওভারপাস
চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পে প্রায় ২৭ কিলোমিটার জায়গা বন্য হাতির চলাচলের পথ। সংরক্ষিত বন এলাকায় রেললাইন স্থাপন করায় বন্য হাতি ও বন্য প্রাণী চলাচলের জন্য ওভারপাস নির্মাণ করা হয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম।
২০১৭ সালের এপ্রিল, অক্টোবর ও নভেম্বরে ক্যামেরা ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে পরিচালিত এক গবেষণায় ৩টি বনাঞ্চলের ২১টি স্থানে হাতির চলাচলের পথ এবং আবাসস্থল পাওয়া যায়। যার কারণে এসব স্থানে হাতির জন্য ওভারপাস নির্মাণ হয়।
চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রেলপথটি দুটি ভাগে কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। দোহাজারী থেকে চকরিয়া অংশের কাজ করছে সিআরইসি এবং তমা কনস্ট্রাকশন। আর চকরিয়া থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত অংশের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিসিইসিসি এবং ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার। ২০১৬ সালের ২৭ এপ্রিল প্রকল্পটি ফাস্টট্র্যাকভুক্ত হয়।
এই প্রকল্পের সার্বিক বিষয়ে রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ১ ডিসেম্বর থেকে একজোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আর চট্টগ্রাম থেকে একজোড়া আন্তনগর ট্রেন চলবে। তবে ট্রেনের ভাড়া ও নাম নিয়ে প্রস্তাবনা আছে, এখনো নির্ধারণ হয়নি।

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।
১৭ মিনিট আগে
বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৩৮ মিনিট আগে
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগেটঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।
মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের লিটুখান বাজারের দোকানদার বাদশা ব্যাপারী। বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বাদশা বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমার দোকানে এত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগই নেই। বিলের নম্বরে ফোন করলে শুধু অফিসে যেতে বলে।’
এমন ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন লিটুখান বাজারের আরেক দোকানদার শহীদ খান। বাজারে খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি ছোট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। প্রতি মাসে যেখানে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল দিতেন, সেখানে এবার বিল এসেছে ২৪ হাজার ২১৬ টাকা। শহীদ বলেন, ‘বিলটা দেখে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। এমন বিল হলে দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।’
বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে এলাকায় এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে। তাঁদের ধারণা, মিটার রিডিং অথবা বিলিং পদ্ধতিতে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক হিসাব ঠিক করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
বিল প্রস্তুতকারী কর্মী সুমি রানী দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তারা অফিসে এলে আমরা সরেজমিন যাচাই করে বিল পুনরায় বিবেচনা করব।’
টঙ্গিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘মিটার রিডিং বা বিলিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা সরেজমিন যাচাই করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেব। ভোক্তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।
মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের লিটুখান বাজারের দোকানদার বাদশা ব্যাপারী। বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বাদশা বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমার দোকানে এত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগই নেই। বিলের নম্বরে ফোন করলে শুধু অফিসে যেতে বলে।’
এমন ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন লিটুখান বাজারের আরেক দোকানদার শহীদ খান। বাজারে খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি ছোট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। প্রতি মাসে যেখানে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল দিতেন, সেখানে এবার বিল এসেছে ২৪ হাজার ২১৬ টাকা। শহীদ বলেন, ‘বিলটা দেখে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। এমন বিল হলে দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।’
বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে এলাকায় এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে। তাঁদের ধারণা, মিটার রিডিং অথবা বিলিং পদ্ধতিতে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক হিসাব ঠিক করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
বিল প্রস্তুতকারী কর্মী সুমি রানী দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তারা অফিসে এলে আমরা সরেজমিন যাচাই করে বিল পুনরায় বিবেচনা করব।’
টঙ্গিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘মিটার রিডিং বা বিলিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা সরেজমিন যাচাই করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেব। ভোক্তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

অপেক্ষার দিন ফুরাল। সাগরপারে ট্রেন ছুটবে, ঝিক ঝিক ঝিক। ট্রেনে চড়ে চট্টগ্রাম ও ঢাকায় যাওয়ার কথা স্বপ্নেও ভাবেনি কক্সবাজারের মানুষ। কিন্তু এখন তা বাস্তব। এতে খুশিতে আত্মহারা পুরো কক্সবাজারবাসী। ‘আঁরা রেলগাড়ি দেইক্কম হন সময় নভাবি। রেলত হন সময় নচরি, এবার চইজ্জম (কোনো সময় ভাবিনি, এখানে রেলগাড়ি দেখব।
১১ নভেম্বর ২০২৩
বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৩৮ মিনিট আগে
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগেবগুড়া প্রতিনিধি

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।
এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।
পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।
এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।
পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

অপেক্ষার দিন ফুরাল। সাগরপারে ট্রেন ছুটবে, ঝিক ঝিক ঝিক। ট্রেনে চড়ে চট্টগ্রাম ও ঢাকায় যাওয়ার কথা স্বপ্নেও ভাবেনি কক্সবাজারের মানুষ। কিন্তু এখন তা বাস্তব। এতে খুশিতে আত্মহারা পুরো কক্সবাজারবাসী। ‘আঁরা রেলগাড়ি দেইক্কম হন সময় নভাবি। রেলত হন সময় নচরি, এবার চইজ্জম (কোনো সময় ভাবিনি, এখানে রেলগাড়ি দেখব।
১১ নভেম্বর ২০২৩
বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।
১৭ মিনিট আগে
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।
হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে।

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।
হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে।

অপেক্ষার দিন ফুরাল। সাগরপারে ট্রেন ছুটবে, ঝিক ঝিক ঝিক। ট্রেনে চড়ে চট্টগ্রাম ও ঢাকায় যাওয়ার কথা স্বপ্নেও ভাবেনি কক্সবাজারের মানুষ। কিন্তু এখন তা বাস্তব। এতে খুশিতে আত্মহারা পুরো কক্সবাজারবাসী। ‘আঁরা রেলগাড়ি দেইক্কম হন সময় নভাবি। রেলত হন সময় নচরি, এবার চইজ্জম (কোনো সময় ভাবিনি, এখানে রেলগাড়ি দেখব।
১১ নভেম্বর ২০২৩
বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।
১৭ মিনিট আগে
বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৩৮ মিনিট আগে
নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগেহাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।
কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।
কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

অপেক্ষার দিন ফুরাল। সাগরপারে ট্রেন ছুটবে, ঝিক ঝিক ঝিক। ট্রেনে চড়ে চট্টগ্রাম ও ঢাকায় যাওয়ার কথা স্বপ্নেও ভাবেনি কক্সবাজারের মানুষ। কিন্তু এখন তা বাস্তব। এতে খুশিতে আত্মহারা পুরো কক্সবাজারবাসী। ‘আঁরা রেলগাড়ি দেইক্কম হন সময় নভাবি। রেলত হন সময় নচরি, এবার চইজ্জম (কোনো সময় ভাবিনি, এখানে রেলগাড়ি দেখব।
১১ নভেম্বর ২০২৩
বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।
১৭ মিনিট আগে
বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৩৮ মিনিট আগে
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে