Ajker Patrika

স্ত্রী হত্যায় অভিযুক্ত বাবুল আক্তার কারামুক্ত হয়ে পেলেন পুলিশি নিরাপত্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯: ৪৬
সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তার ও স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। ছবি: সংগৃহীত
সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তার ও স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। ছবি: সংগৃহীত

নানা নাটকীয়তা শেষে স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে চট্টগ্রাম কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার। আজ বুধবার বিকেলে তাঁকে মুক্তি দেয় কারা কর্তৃপক্ষ।

কারাগার থেকে বেরিয়ে তিনি একটি প্রাইভেট কারে করে নিজ গন্তব্যে চলে যান। ওই গাড়িতে বাবুলের আরেক স্ত্রী ও স্বজনেরা ছিলেন। এ সময় পুলিশের একটি গাড়ি বাবুলকে বহনকারী কারটি পাহারা দিয়ে নিয়ে যায়। তবে তিনি কারাগারের বাইরে কারও সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।

বাবুল আক্তারের আইনজীবী কফিল উদ্দিন এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘উনি (বাবুল আক্তার) বিকেল ৫টা ৩৫ মিনিটে চট্টগ্রাম কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। গত ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টে জামিন পান বাবুল আক্তার। তিনি অনেক আগেই বেরিয়ে যেতেন। নানা বাধার কারণে কয়েক দিন পর আজ (বুধবার) কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।’

এর আগে গত ২৭ নভেম্বর স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় হাইকোর্ট বাবুল আক্তারকে আট মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। তাঁর জামিননামা ১ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম কারাগার কর্তৃপক্ষের হাতে পৌঁছায়।

কিন্তু জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে মিতুর বাবা আপিলেট ডিভিশনে আপিল করলে তাঁর কারামুক্তি আটকে যায়। আজ আপিলেট ডিভিশন হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রাখেন। এরপর জামিননামা পাওয়ার তিন দিন পর তাকে মুক্তি দেয় কারা কর্তৃপক্ষ।

জানতে চাইলে আইনজীবী কফিল উদ্দিন বলেন, ‘তিন বছর সাত মাস কারাগারে থেকে ওনার (বাবুল আক্তার) সংসার জীবন, চাকরি সব হারিয়ে উনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আমরা আশা করি, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে। ওনার স্বাভাবিক জীবন ফিরে আসবে।’

পুলিশ প্রোটেকশন ও কারও সঙ্গে কথা না বলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কারও সঙ্গে কথা বলতে না পারায় এ জন্য বাবুল আক্তার সাংবাদিকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এটা বাবুল আক্তার আমাকে আপনাদের বলতে বলেছেন। সাংবাদিকেরা এত দিন সহযোগিতার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ দিয়েছেন উনি।’

আর তিনি কোনো পুলিশের হেফাজতে নেই। পুলিশ বলেছে, ‘এখানে ঝামেলা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কারণ, দীর্ঘদিন উনি জেলে ছিলেন। পুলিশ তাঁকে প্রোটেকশন দিয়ে নিয়ে গেছে। উনি কোথায় যাচ্ছেন সেটা জানি না। তবে বাবুল আক্তার আমাকে বলেছেন, উনি ঢাকায় চলে যাচ্ছেন।’

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আকতার। ছবি: আজকের পত্রিকা
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আকতার। ছবি: আজকের পত্রিকা

মিতু হত্যা মামলায় পিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করে এই আইনজীবী বলেন, ‘বাবুল আক্তার নির্দোষ। তাঁকে ষড়যন্ত্র মূলকভাবে ফাঁসানো হয়েছে। শুধু সাক্ষীর ভিত্তিতে তাঁকে আসামি করা হয়েছে। আশা করি, আদালতে এটা প্রমাণিত হবে।’ পিবিআই অফিসাররা দৌড়াদৌড়ি করে এ মামলাকে নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

বাবুলের আইনজীবী বলেন, হাইকোর্টে জামিনের পর ১ ডিসেম্বর মিতু হত্যা মামলা নিয়ে বিচার চলা আদালত চট্টগ্রাম মহানগর তৃতীয় দায়রা জজ বাবুলের জামিনের আদেশনামা মঞ্জুর করেন।

ওই দিন বিকেল নাগাদ জামিননামা (বেইলবন্ড) চট্টগ্রাম কারাগারে পৌঁছানোর পর তাঁর মুক্তির কথা ছিল। কিন্তু মুক্তি না পাওয়ায় পরিবারের সদস্যরা বাবুলকে ছাড়াই কারাগারের সামনে থেকে চলে যান।

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আকতার। ছবি: আজকের পত্রিকা
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আকতার। ছবি: আজকের পত্রিকা

আইনজীবীরা কফিল উদ্দিন আরও বলেন, ‘মিতু হত্যা মামলায় কারাগারে থাকাবস্থায় বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা হয়েছিল। এর মধ্যে একটি মামলার বাদী পিবিআইর প্রধান বনজ কুমার মজুমদার। একটিতে তিনি খালাস পেয়েছেন।’

তথ্যমতে, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর নিজাম রোডে নিজ সন্তানকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় পথে দুর্বৃত্তের গুলি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন মাহমুদা খানম মিতু।

এই ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে ২০২১ সালের ১১ মে মামলাটির তদন্ত সংস্থা পিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তারের পর থেকে বাবুল আক্তার কারাগারে ছিলেন। ২০২২ সালে ১৩ সেপ্টেম্বর পিবিআই বাবুলসহ সাতজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। একই বছর ১০ অক্টোবর আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। ২০২৩ সালে ৯ এপ্রিল চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।

অভিযোগপত্রে প্রধান আসামি করা হয়েছে বাবুল আক্তারকে। বাকি আসামিরা হলেন মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুছা, এহতেশামুল হক প্রকাশ, হানিফুল হক প্রকাশ ভোলাইয়া, মো. মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম কালু ও শাহজাহান মিয়া। এঁদের মধ্যে মুছা খুনের ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ রয়েছেন।

পিবিআইয়ের অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০১৩-১৪ সাল পর্যন্ত কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থাকাকালে বাবুলের সঙ্গে একটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের এক নারী কর্মকর্তার সম্পর্ক হয়। ওই সম্পর্কের জেরে বাবুলের পরিকল্পনায় মাহমুদাকে খুন করা হয়। এ জন্য বাবুল তাঁর সোর্স মুছার মাধ্যমে তিন লাখ টাকায় হত্যাকারীদের ভাড়া করে মিতুকে খুন করান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, থানায় মামলা

জুলাইকে দক্ষিণপন্থী ভাবাদর্শ বানাতে উঠেপড়ে লেগেছে নব্য ফ্যাসিবাদী শক্তি: উদীচী

ভারতে নিকাব বিতর্ক: কাজে যোগ দেননি সেই নারী চিকিৎসক

ভোট চুরির এমপি হতে চাই না: অ্যাটর্নি জেনারেল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: চিকিৎসায় শিক্ষার্থীপ্রতি বরাদ্দ মাত্র ১২৫ টাকা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাজধানীতে মধ্যরাতে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত, বাসের ধাক্কায় ছিনতাইকারী সংকটাপন্ন

ঢামেক প্রতিবেদক
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আশিষ জোয়াদ্দার (৩৩) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তাঁর কাছ থেকে মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে পালানোর সময় বাসের ধাক্কায় এক ছিনতাইকারী গুরুতর আহত হয়েছে।

গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে যাত্রাবাড়ীর আড়তের সামনে থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় পথচারীরা আশিষকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আশিষ জোয়াদ্দারকে হাসপাতালে নিয়ে আসা স্থানীয় এক দোকানি মাহমুদুর রহমান তুহিন জানান, রাতে যাত্রাবাড়ী আড়তের সামনে ফ্লাইওভার ব্রিজের নিচে মানুষের ভিড় দেখতে পান তিনি। তখন এগিয়ে গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় একজন পড়ে আছেন। ওই ব্যক্তিকে পূর্বপরিচিত হিসেবে চেনেন তিনি। এরপর দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে জানান।

তুহিন আরও বলেন, ওই ব্যক্তির নাম আশিষ জোয়াদ্দার। তাঁর বাড়ি মাগুরা জেলায়। যাত্রাবাড়ীর বিবির বাগিচা ১ নম্বর গেটে তিনি থাকতেন। যাত্রাবাড়ীসহ আশপাশে ৭-৮টি ভ্যান গাড়িতে করে জামাকাপড় বিক্রি করা হয় এমন একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার তিনি। তাঁদের মূল দোকান যাত্রাবাড়ী শহীদ ফারুক সড়কে। সেখানে বসেই ব্যবসার হিসাবপত্র রাখতেন আশিষ। গ্রাম থেকে শনিবার রাতেই ঢাকায় ফিরছিলেন। তাঁর সঙ্গে কয়েকটি ব্যাগ ছিল। এগুলো দেখে ফ্লাইওভারের নিচে ৩-৪ জন ছিনতাইকারী তাঁর পথরোধ করে। তবে কোনো কিছু দিতে না চাইলে ছিনতাইকারীরা তাঁর বুকে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ছিনতাইকারীরা তাঁর সঙ্গে থাকা আইফোন ও টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।

এদিকে যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল করিম জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে ছিনতাইকারীরা ওই যুবকের বুকে ছুরিকাঘাত করেছে। হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা গেছেন। ছিনতাইকারীরা তার সঙ্গে থাকে একটি আইফোন সেট, টাকা ও স্বর্ণের আংটি ছিনিয়ে নিয়েছে বলে তার পরিবার জানিয়েছে। ছিনতাই করে পালিয়ে যাওয়ার সময় পথচারীদের ধাওয়ায় বাসের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এক ছিনতাইকারী আহত হয়েছে। তাকেও উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সে বর্তমানে পুলিশ পাহারায় ভর্তি রয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর। সে তার নাম-পরিচয় কিছুই বলতে পারছে না।

এসআই আব্দুর করিম আরও জানান, এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন এবং তদন্ত চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, থানায় মামলা

জুলাইকে দক্ষিণপন্থী ভাবাদর্শ বানাতে উঠেপড়ে লেগেছে নব্য ফ্যাসিবাদী শক্তি: উদীচী

ভারতে নিকাব বিতর্ক: কাজে যোগ দেননি সেই নারী চিকিৎসক

ভোট চুরির এমপি হতে চাই না: অ্যাটর্নি জেনারেল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: চিকিৎসায় শিক্ষার্থীপ্রতি বরাদ্দ মাত্র ১২৫ টাকা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এনসিপির হান্নান মাসউদকে হত্যার হুমকি: যুবক গ্রেপ্তার

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
গ্রেপ্তার করা ইসরাত রায়হান অমি। ছবি: আজকের পত্রিকা
গ্রেপ্তার করা ইসরাত রায়হান অমি। ছবি: আজকের পত্রিকা

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে শাপলা কলি প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী আব্দুল হান্নান মাসউদ এবং তাঁর কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার যুবকের নাম ইসরাত রায়হান অমি। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাতিয়া উপজেলার চরইশ্বর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নন্দরোড এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানায়, ইসরাত রায়হান অমি চরইশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম আজাদের ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে হাতিয়া থানায় তিনটি মামলা রয়েছে।

পুলিশের তথ্যমতে, শুক্রবার রাতে ইসরাত রায়হান অমি এনসিপির এক কর্মীর কাছে মেসেঞ্জারে উসকানিমূলক বার্তা পাঠান। ওই বার্তায় তিনি লেখেন, আব্দুল হালিম আজাদকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হলে হান্নান মাসউদ, তানভীরসহ অন্য নেতাদের হাতিয়ার উত্তরাঞ্চলে চলাচল ‘হারাম’ করে দেওয়া হবে। বার্তায় আরও উল্লেখ করা হয়, ‘আমাদের নেতা-কর্মীরা সরাসরি গিলে খেয়ে ফেলবে।’

এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, অভিযান চালিয়ে ইসরাত রায়হান অমিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়া চলমান। তিনি আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বা সরাসরি উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা করবে, তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, থানায় মামলা

জুলাইকে দক্ষিণপন্থী ভাবাদর্শ বানাতে উঠেপড়ে লেগেছে নব্য ফ্যাসিবাদী শক্তি: উদীচী

ভারতে নিকাব বিতর্ক: কাজে যোগ দেননি সেই নারী চিকিৎসক

ভোট চুরির এমপি হতে চাই না: অ্যাটর্নি জেনারেল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: চিকিৎসায় শিক্ষার্থীপ্রতি বরাদ্দ মাত্র ১২৫ টাকা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বকশীগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় রুপিসহ যুবক আটক

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি 
আটক করা যুবক। ছবি: আজকের পত্রিকা
আটক করা যুবক। ছবি: আজকের পত্রিকা

জামালপুরের বকশীগঞ্জে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ভারতীয় রুপিসহ মো. আসাদ (৩০) নামের এক যুবককে আটক করেছেন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যরা। আটক আসাদ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের বালুগাঁও গ্রামের আবু হোসেনের ছেলে। গতকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে কামালপুর সীমান্তবর্তী সাতানীপাড়া এলাকার ১০৮৬ নম্বর পিলারের কাছ থেকে তাঁকে আটক করা হয়। পরে রাতেই তাঁকে বকশীগঞ্জ থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ সময় তাঁর কাছে থাকা ভারতীয় ১৮ হাজার রুপি উদ্ধার করেন সাতানীপাড়া বর্ডার আউটপোস্টের (বিওপি) বিজিবি সদস্যরা।

জামালপুর ৩৫ বিজিবির সাতানীপাড়া বিওপি সূত্রে জানা গেছে, গোপন খবরের ভিত্তিতে সাতানীপাড়া বিওপির বিজিবির নায়েব সুবেদার ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে টহল দল অভিযান পরিচালনা করেন। একপর্যায়ে ভারতীয় রুপি বহনকারী মো. আসাদকে আটক করা হয়।

সাতানীপাড়া বিওপির বিজিবির নায়েব সুবেদার ইসমাইল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ১৮ হাজার ভারতীয় রুপিসহ আসাদ নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। তাঁকে বকশীগঞ্জ থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন বলেন, আটক আসাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, থানায় মামলা

জুলাইকে দক্ষিণপন্থী ভাবাদর্শ বানাতে উঠেপড়ে লেগেছে নব্য ফ্যাসিবাদী শক্তি: উদীচী

ভারতে নিকাব বিতর্ক: কাজে যোগ দেননি সেই নারী চিকিৎসক

ভোট চুরির এমপি হতে চাই না: অ্যাটর্নি জেনারেল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: চিকিৎসায় শিক্ষার্থীপ্রতি বরাদ্দ মাত্র ১২৫ টাকা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাইড্রোসেফালাসে আক্রান্ত আয়শার চিকিৎসা বন্ধ, অর্থাভাবে মানবেতর জীবন

কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি 
শিশু আয়শাকে কোলে নিয়ে বসে আছেন তার মা। ছবি: আজকের পত্রিকা
শিশু আয়শাকে কোলে নিয়ে বসে আছেন তার মা। ছবি: আজকের পত্রিকা

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি পাগলাটারী গ্রামের আশেক আলী ও সুমি বেগম দম্পতির আট বছর বয়সী মেয়ে আয়শা সিদ্দিকা হাইড্রোসেফালাস রোগে আক্রান্ত হয়ে চরম দুর্ভোগের জীবন কাটাচ্ছে। জন্মের পর থেকেই অস্বাভাবিকভাবে বড় হতে থাকে তার মাথা। দারিদ্র্যের কারণে দীর্ঘদিন ধরে তার চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, আয়শার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন প্রায় ১০ লাখ টাকা। তবে দরিদ্র এই পরিবারের সবটুকু সম্বল ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। ফলে অর্থের অভাবে বর্তমানে শিশুটির চিকিৎসা পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। এতে অস্বাভাবিক বড় মাথা ও তীব্র যন্ত্রণায় ছটফট করছে ছোট্ট আয়শা।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) ওই দম্পতির বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, আয়শা বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছে। মাথার ওজন অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সে নিজে নড়াচড়া করতে পারে না। প্রস্রাব-পায়খানা করাতে হলে দুজন তাকে ধরতে হয়।

আয়শার মা সুমি বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ের মাথার ওজন এতটাই বেড়ে গেছে যে একা ধরে রাখা যায় না। নাকে মাংস বেড়ে যাওয়ায় ঠিকমতো শ্বাসও নিতে পারে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘কিছুদিন আগে ডাক্তারের পরামর্শে মেয়েকে ঢাকায় নিয়ে গিয়েছিলাম। চিকিৎসক অপারেশনের কথা বলেছেন। অপারেশনে খরচ হবে প্রায় ৭ লাখ টাকা, অন্যান্য খরচসহ প্রায় ১০ লাখ টাকা লাগবে। এত টাকা আমাদের সামর্থ্যের বাইরে। তাই মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসতে হয়েছে।’

জানা যায়, প্রায় চার বছর আগে একটি জাতীয় দৈনিকে (নয়া দিগন্ত) আয়শার বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে দুজন প্রবাসী ব্যক্তি ৩৫ হাজার টাকা সহায়তা করেছিলেন। সেই অর্থে কিছুদিন চিকিৎসা চললেও পরে আর তা সম্ভব হয়নি।

আয়শার বাবা আশেক আলী ও মা সুমি বেগম বলেন, ‘দেশের কোনো বিত্তবান কিংবা প্রবাসী মানবিক মানুষ যদি সহযোগিতার হাত বাড়ান, তাহলে আমাদের অবুঝ শিশুটির চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারতাম।’

এলাকাবাসীও আয়শার চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবান ও মানবিক ব্যক্তিদের সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, থানায় মামলা

জুলাইকে দক্ষিণপন্থী ভাবাদর্শ বানাতে উঠেপড়ে লেগেছে নব্য ফ্যাসিবাদী শক্তি: উদীচী

ভারতে নিকাব বিতর্ক: কাজে যোগ দেননি সেই নারী চিকিৎসক

ভোট চুরির এমপি হতে চাই না: অ্যাটর্নি জেনারেল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: চিকিৎসায় শিক্ষার্থীপ্রতি বরাদ্দ মাত্র ১২৫ টাকা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত