Ajker Patrika

এক রোল কাপড়ে বেরিয়ে আসে ইউনিফর্ম-কাণ্ড

  • এ পর্যন্ত সংগঠনটির ৪৭ হাজার ইউনিফর্ম জব্দ।
  • রিংভো অ্যাপারেলস ও নূর ফ্যাশন নামের দুটি কারখানায় এসব তৈরি হচ্ছিল।
সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম 
আপডেট : ৩০ মে ২০২৫, ১১: ১২
চট্টগ্রামে কারখানা থেকে নিষিদ্ধ সংগঠন কেনএনএফের জব্দ পোশাক। ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রামে কারখানা থেকে নিষিদ্ধ সংগঠন কেনএনএফের জব্দ পোশাক। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে ২ মে ৩১৫ ফুট দৈর্ঘ্যের এক রোল সামরিক পোশাকসদৃশ কাপড় জব্দ করে পুলিশ। পরে গ্রেপ্তার একজনকে জিজ্ঞাসাবাদে একে একে বেরিয়ে আসে নগরের দুটি পোশাক কারখানায় সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) অর্থের বিনিময়ে গোপনে পোশাক তৈরির বিষয়টি। পুলিশ জানায়, নগরীর বায়েজিদ ও পাহাড়তলী থানা এলাকায় এ পর্যন্ত সংগঠনটির ৪৭ হাজার ইউনিফর্ম জব্দ করা হয়েছে। মোটা অঙ্কের বিনিময়ে রিংভো অ্যাপারেলস ও নূর ফ্যাশন নামের দুটি কারখানা এসব ইউনিফর্ম তৈরি করছিল।

পুলিশ বলেছে, ২০২২ সালের শুরুর দিকে বান্দরবানের রুমায় সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। ২০২৪ সালের এপ্রিলে পরপর ব্যাংক ডাকাতির মাধ্যমে বড়সড় করে আলোচনায় উঠে আসে সংগঠনটির নাম। এরপর যৌথ বাহিনী অভিযানে নেমে অনেককে গ্রেপ্তার করে। বন্দুকযুদ্ধে প্রাণহানিও ঘটে। এ ঘটনার পর দীর্ঘদিন সংগঠনটির উল্লেখযোগ্য তৎপরতা জানা যায়নি। পোশাক জব্দের ঘটনায় ফের আলোচনায় এসেছে কেএনএফ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দাবি, সংগঠনটি গোপনে তৎপরতা চালাচ্ছে।

যেভাবে বেরিয়ে আসে ইউনিফর্ম

নগরের বায়েজিদ থানা এলাকার পশ্চিম শহীদনগর তৈয়বা হাউজিং সোসাইটিতে ২ মে একটি ভবনের চতুর্থ তলার একটি বাসায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে এক রোল কাপড় জব্দ করে। এ ঘটনায় পরদিন বায়েজিদ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে পুলিশ। ওই মামলায় নুরুজ্জামান নামের একজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ও পলাতক তিনজনকে আসামি করা হয়।

ওই মামলার নথিপত্র ও আলামত জব্দের তালিকা থেকে জানা গেছে, অভিযানে ৩১৫ ফুট দৈর্ঘ্যের এক রোল কাপড়ের পাশাপাশি একটি বস্তা থেকে কেএনএফের ইউনিফর্মের ছোট ছোট টুকরা কাপড়ের অংশবিশেষ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ওই কক্ষ থেকে জেক নামের একটি কোম্পানির সেলাই মেশিন জব্দ করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই বাসায় পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতেন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার নুরুজ্জামান। তিনি বায়েজিদের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। তাঁর বাড়ি শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে।

১৩ মে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে নুরুজ্জামান জানান, গত ২০ এপ্রিল কুকি-চিনের দুই-চারজন সদস্য তাঁর কাছে এসে কাপড়ের রোল দিয়ে যান। এসব কাপড় দিয়ে তাঁদের ইউনিফর্ম তৈরি করতে বলা হয়। পরে ১০ লাখ টাকার চুক্তিতে ইউনিফর্ম তৈরির অর্ডার নেন নুরুজ্জামান।

নুরুজ্জামানের বাড়ির মালিক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘দুই-তিন বছর হচ্ছে ওনারা পরিবার নিয়ে এখানে থাকছেন। নুরুজ্জামান আগে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। এখন কী করেন তা জানি না। বাসায় তাঁর পরিবারের সদস্যরা এখনো আছেন।’

পুলিশ জানায়, নুরুজ্জামানের জবানবন্দি ও তদন্তের ধারাবাহিকতায় ১৮ মে রাতে বায়েজিদ বোস্তামি থানার মোজাফফর নগরে রিংভো অ্যাপারেলস নামের একটি পোশাক কারখানার গুদাম থেকে ১১ হাজার ২০০ এবং একই থানার অক্সিজেন মোড়ে নয়াহাট এলাকার কারখানা থেকে ৯ হাজার ১০০টি ইউনিফর্ম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় পোশাক কারখানার মালিক সাহেদুল ইসলাম; গোলাম আজম ও নিয়াজ হায়দারকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২ কোটি টাকার চুক্তিতে কারখানার মালিক এসব ইউনিফর্ম তৈরি করেছেন বলে পুলিশ মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছে। চলতি মাসে পোশাকগুলো কুকি-চিনকে সরবরাহের কথা ছিল। মার্চে মংলহাচিং মারমা নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে ইউনিফর্ম তৈরির কাপড় দেওয়া হয়।

পুলিশ জানায়, রিমান্ডে আসামিদের দেওয়া তথ্যে পর পুলিশ ২৬ মে রাতে নগরের অক্সিজেন নয়ারহাট গুদাম থেকে ১১ হাজার ৭৮৫টি এবং ২৭ মে সর্বশেষ নগরের পাহাড়তলী থানাধীন নূর ফ্যাশন নামের একটি কারখানা থেকে আরও ১৫ হাজার ইউনিফর্ম জব্দ করে। এ সময় কারখানার মালিক আব্দুল মতিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল আজাদ বলেন, বায়েজিদ থানার কেএনএফের ইউনিফর্ম উদ্ধারের একটি মামলা তদন্ত করতে গিয়ে পাহাড়তলীতে একটি কারখানায় একই পোশাক পাওয়া যায়।

কথা বলতে চাইছে না পুলিশ

বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় ঘটনার শুরু থেকে নগর পুলিশের দায়িত্বশীল কেউই কথা বলতে রাজি হচ্ছেন না। কাপড়ের রোল উদ্ধারের মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বায়েজিদ থানার উপপরিদর্শক মো. আরিফুল ইসলাম গত মঙ্গলবার বলেন, এই মামলায় নুরুজ্জামান নামের এক আসামি গ্রেপ্তার আছেন। তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তিনি এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৬৭ বছর পর রামেক হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য পূর্ণাঙ্গ ওয়ার্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

অবশেষে ৬৮ বছরে পা দিতে চলা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মনোরোগ ওয়ার্ড চালু হলো। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে এলেও ভর্তির সুযোগ ছিল না। গুরুতর রোগীদের কিছু ক্ষেত্রে মেডিসিন বিভাগে রাখা হলেও, পূর্ণাঙ্গ ওয়ার্ডের অভাবে এতদিন অনেককেই ফিরিয়ে দিতে হতো।

হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ৬৭ বছর পর এই প্রথম ২৫ শয্যার একটি সুসজ্জিত মনোরোগ ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। হাসপাতালটির পুরাতন আইসিইউ ভবনে এই নতুন ওয়ার্ডটি গড়ে তোলা হয়েছে।

এই ওয়ার্ডে রোগী ভর্তির জন্য নির্দিষ্ট বিন্যাস রাখা হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১০টি, নারীদের জন্য ৭ টি, শিশু-কিশোরদের জন্য ৫টি এবং উচ্চ পর্যবেক্ষণের জন্য ৩টি শয্যা সংরক্ষিত রয়েছে। এ ছাড়া রোগীদের চিকিৎসার সুবিধার জন্য থেরাপি ও কাউন্সেলিং রুমসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওয়ার্ডের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মোস্তফা আলী।

এই ওয়ার্ডটি চালুর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ ছিল কলেজের স্বীকৃতি বজায় রাখা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী মার্চ মাসেই ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশন (ডব্লিউএফএমই) থেকে একটি প্রতিনিধি দল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ পরিদর্শনে আসবে। পরিদর্শনকালে মনোরোগ বিভাগের ওয়ার্ড না পেলে কলেজের পয়েন্ট কমে যাওয়ার এবং অ্যাক্রিডিটেশনে বড় ধরনের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা ছিল। এতে করে এই কলেজের শিক্ষার্থীদের দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষা বা পড়াশোনা করার সুযোগ কমে যেত। এ ছাড়া এফসিপিএস এবং ডিপ্লোমা কোর্সের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের জন্যও এমন একটি ওয়ার্ড জরুরি ছিল।

কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুরোধ শুনে সদ্যবিদায়ী পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ দ্রুত এই ওয়ার্ড চালুর উদ্যোগ নেন এবং গত বুধবার এটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের সময় তাঁর সঙ্গে নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পি কে এম মাসুদ-উল-ইসলামসহ মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা উপস্থিত ছিলেন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় এই হাসপাতালে যে ৬৭ বছরেও মানসিক রোগীদের জন্য ওয়ার্ড চালু হয়নি, এটি সত্যিই অবাক হওয়ার মতো বিষয়। আমরা প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটি চালু করেছি। এখন থেকে এ অঞ্চলের মানসিক রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি থেকেও উন্নত চিকিৎসা নিতে পারবেন।’

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি রামেক হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর উদ্যোগেগত ২৩ অক্টোবর শুধু সাপে কাটা রোগীদের জন্য বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালু করা হয়।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালুর পর থেকে এখন পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে একজনও সাপে কাটা রোগীর মৃত্যু হয়নি, যেখানে আগে প্রায় প্রতিদিনই এই রোগে মৃত্যুর ঘটনা ঘটতো। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পি কে এম মাসুদ-উল-ইসলামের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজমিস্ত্রির বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
অভিযানে পাওয়া অস্ত্রসামগ্রী। ছবি: আজকের পত্রিকা
অভিযানে পাওয়া অস্ত্রসামগ্রী। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।

পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চাঁদপুরে নতুন ভোটারদের নিয়ে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’

চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে নির্বাচনী অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে নির্বাচনী অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

‘গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চাঁদপুরে শতাধিক নতুন ভোটারের অংশগ্রহণে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের আয়োজনে এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চাঁদপুর জেলা কমিটির সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি হয়।

আজ সকাল সাড়ে ৯টায় চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও বেলুন উড়িয়ে নির্বাচনী অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান মিয়া। নতুন ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই অংশগ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচনী আচরণবিধি, গণতন্ত্রের মূল্যবোধ, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, সুশাসন ইত্যাদি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ হয়েছে। সুজনের সহযোগিতায় এই আয়োজন অবশ্যই অংশগ্রহণকারীদের অনেক সমৃদ্ধ করবে এবং সচেতন নাগরিক তৈরি হবে।’

পরে কলেজের অডিটরিয়ামে ৫০টি এমসিকিউ পদ্ধতির প্রশ্নের মাধ্যমে ৩০ মিনিটের পরীক্ষা হয়। অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত ১০ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তাঁদের মধ্য থেকে প্রথম থেকে তৃতীয় স্থান অর্জনকারী তিনজন জাতীয় নির্বাচনী অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের সনদ দেওয়া হয়।

পরীক্ষা শেষে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য ও বিজয়ীদের হাতে সনদ তুলে দেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. নাজমুল ইসলাম সরকার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুজন চাঁদপুরের সভাপতি অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন। সঞ্চালনায় ছিলেন সুজনের আঞ্চলিক সমন্বয়ক নাছির উদ্দিন।

সুজন চাঁদপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রহিব বাদশা, শিক্ষক ওমর ফারুক, সংগঠক সালাউদ্দিন, কর আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল ফারুক, সাংবাদিক আলম পলাশ, জাকির হোসেন, শোভন আল-ইমরান, মোরশেদ আলম রোকন, মো. মাসুদ আলম, শরীফুল ইসলামসহ সুজন জেলা কমিটির সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চায়ের দোকানে চলে একটি বাতি-ফ্যান, বিদ্যুৎ বিল এল সাড়ে ৫৫ হাজার টাকা

টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি 
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের লিটুখান বাজারের দোকানদার বাদশা ব্যাপারী। বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বাদশা বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমার দোকানে এত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগই নেই। বিলের নম্বরে ফোন করলে শুধু অফিসে যেতে বলে।’

এমন ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন লিটুখান বাজারের আরেক দোকানদার শহীদ খান। বাজারে খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি ছোট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। প্রতি মাসে যেখানে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল দিতেন, সেখানে এবার বিল এসেছে ২৪ হাজার ২১৬ টাকা। শহীদ বলেন, ‘বিলটা দেখে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। এমন বিল হলে দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।’

বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে এলাকায় এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে। তাঁদের ধারণা, মিটার রিডিং অথবা বিলিং পদ্ধতিতে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক হিসাব ঠিক করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

বিল প্রস্তুতকারী কর্মী সুমি রানী দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তারা অফিসে এলে আমরা সরেজমিন যাচাই করে বিল পুনরায় বিবেচনা করব।’

টঙ্গিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘মিটার রিডিং বা বিলিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা সরেজমিন যাচাই করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেব। ভোক্তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত