মো. রাশেদুজ্জামান অলি, পানছড়ি (খাগড়াছড়ি)

এক-দুই-পাঁচ টাকার খুচরার তীব্র সংকট চলছে খাগড়াছড়ির পানছড়িতে। একারণে স্থানীয় হাটবাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কেনাবেচায় ভাংতি নিয়ে মনোমালিন্য সৃষ্টি হচ্ছে। বাধ্য হয়ে খুচরা ফেরত দেওয়ার বদলে সমমূল্যের কোনো পণ্য দিচ্ছেন বিক্রেতারা।
একই অবস্থা রাস্তায় চলাচলকারী যাত্রী ও পান-সিগারেটের দোকানের ক্রেতাদের। খাবার হোটেলে আসা লোকজনের সঙ্গেও প্রায়ই ভাংতি টাকা নিয়ে কথা-কাটাকাটি করতে দেখা যায়।
পানছড়ি বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান, দোকান থেকে ১৫ টাকার জিনিস কিনে ২০ টাকার নোট দিলে দোকানি পাঁচ টাকা ফেরত দিতে পারছেন না। ফলে দরকার না থাকলেও বিনিময়ে সমমূল্যের কোনো পণ্য নিতে হচ্ছে তাঁদের। এভাবে প্রতিদিন গচ্চা দিতে দিতে মাস শেষে অর্থ সংকটে পড়তে হচ্ছে সীমিত আয়ের মানুষদের।
পানছড়ি বাজারের হোটেল ব্যবসায়ী জয়প্রসাদ দেব জানান, মূল্যস্ফীতির প্রভাবে পাঁচ টাকার পরোটা এখন সাত টাকা। কিন্তু এই পরোটা বিক্রি করতে গেলে ভাংতির সংকট হয়। বাজারে এখন এক-দুই-পাঁচ টাকার কাগজের নোট ও কয়েন পাওয়া দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে।
আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এমনকি ব্যাংক থেকেও ভাঙতি টাকা মিলছে না। বছরে দুয়েকবার ব্যাংক থেকে কয়েন পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে পাঁচ টাকার কয়েন ২০ হাজার, দুই টাকার কয়েন ১০ হাজার ও এক টাকার কয়েন ৫ হাজার করে আনতে হয়, যা ছোট ব্যবসায়ীর পক্ষে আনা সম্ভব হয় না।’
কলাবাগানের বাসিন্দা আব্দুল কাদির জানান, এক টাকা ও দুই টাকার কাগজের নোট বা কয়েন বাজার থেকে একরকম উঠেই গেছে। ১৮ টাকার জিনিস কিনে ২০ টাকার নোট দিলে দোকানি দুই টাকা ফেরত না দিয়ে হাতে একটি চকলেট ধরিয়ে দেন। একই অবস্থা এক টাকার নোট ও কয়েনের ক্ষেত্রেও। নয় টাকার জায়গায় ১০ টাকা ও ১৯ টাকার জায়গায় ২০ টাকা দোকানিরা রেখে দিচ্ছেন।
আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এক টাকার ভাংতি নেই বলে ফেরত দেওয়ার তাগিদ বোধ করেন না বিক্রেতারা। এভাবে প্রতিনিয়ত ক্রেতারা ঠকছেন এবং বিক্রেতারা লাভবান হচ্ছেন। সবচেয়ে সমস্যা হয় কাঁচাবাজারে তরিতরকারি ও শাকসবজি কেনাবেচায়। ১৫ টাকার সবজি ২০ টাকায় কিনতে হয়।’
মুক্তিযোদ্ধা স্কয়ারের মোবাইল রিচার্জের দোকানি মো. তাজুল ইসলাম বলেন, প্রায় এক বছর ধরে এক-দুই-পাঁচ টাকার কয়েন ও নোটের জন্য ব্যবসায় ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে। মোবাইল রিচার্জের বিভিন্ন অফারে ১৯ টাকা, ২১ টাকা, ৩৪ টাকা ও ৫৪ টাকার নানা অফার থাকে। গ্রাহকেরা নির্ধারিত প্যাকেজ নেওয়ার পর ভাঙতি টাকার জন্য প্রায়ই সমস্যা করে। এমনকি মাঝে মধ্যে কথা-কাটাকাটির সৃষ্টি হয়।
অটোরিকশার স্ট্যান্ডে পান-সিগারেটে বিক্রেতা হানিফ বলেন, একজন ক্রেতা এক শলাকা বেনসন সিগারেট নিয়ে ২০ টাকার নোট দিলে তাকে চার টাকা ফেরত দিতে হয়। আর ফেরত না দিতে পারলে সিগারেট বিক্রি করা যায় না। ফলে বেচাকেনাও অনেক কমে গেছে।
একই কথা বললেন মুদি দোকানি সিরাজ মিয়া। তিনি বলেন, ক্রেতা চা ও পান নিয়ে ২০ টাকার নোট দিলে আট টাকা ফেরত দেওয়া সম্ভব হয় না। দিনে এমন ক্রেতা শতাধিক হয়। কিন্তু ভাংতির অভাবে বেচাকেনা হয় না।
এ বিষয়ে জানতে সোনালী ব্যাংকের পানছড়ি ব্যবস্থাপক মৃণালকান্তি চাকমা বলেন, ‘আমরা নিজেরাই ভাঙতি পাই না, গ্রাহকদের কীভাবে দেব? তাই বাধ্য হয়ে সদর শাখা থেকে সংগ্রহ করার জন্য বলা হয়।’

এক-দুই-পাঁচ টাকার খুচরার তীব্র সংকট চলছে খাগড়াছড়ির পানছড়িতে। একারণে স্থানীয় হাটবাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কেনাবেচায় ভাংতি নিয়ে মনোমালিন্য সৃষ্টি হচ্ছে। বাধ্য হয়ে খুচরা ফেরত দেওয়ার বদলে সমমূল্যের কোনো পণ্য দিচ্ছেন বিক্রেতারা।
একই অবস্থা রাস্তায় চলাচলকারী যাত্রী ও পান-সিগারেটের দোকানের ক্রেতাদের। খাবার হোটেলে আসা লোকজনের সঙ্গেও প্রায়ই ভাংতি টাকা নিয়ে কথা-কাটাকাটি করতে দেখা যায়।
পানছড়ি বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান, দোকান থেকে ১৫ টাকার জিনিস কিনে ২০ টাকার নোট দিলে দোকানি পাঁচ টাকা ফেরত দিতে পারছেন না। ফলে দরকার না থাকলেও বিনিময়ে সমমূল্যের কোনো পণ্য নিতে হচ্ছে তাঁদের। এভাবে প্রতিদিন গচ্চা দিতে দিতে মাস শেষে অর্থ সংকটে পড়তে হচ্ছে সীমিত আয়ের মানুষদের।
পানছড়ি বাজারের হোটেল ব্যবসায়ী জয়প্রসাদ দেব জানান, মূল্যস্ফীতির প্রভাবে পাঁচ টাকার পরোটা এখন সাত টাকা। কিন্তু এই পরোটা বিক্রি করতে গেলে ভাংতির সংকট হয়। বাজারে এখন এক-দুই-পাঁচ টাকার কাগজের নোট ও কয়েন পাওয়া দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে।
আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এমনকি ব্যাংক থেকেও ভাঙতি টাকা মিলছে না। বছরে দুয়েকবার ব্যাংক থেকে কয়েন পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে পাঁচ টাকার কয়েন ২০ হাজার, দুই টাকার কয়েন ১০ হাজার ও এক টাকার কয়েন ৫ হাজার করে আনতে হয়, যা ছোট ব্যবসায়ীর পক্ষে আনা সম্ভব হয় না।’
কলাবাগানের বাসিন্দা আব্দুল কাদির জানান, এক টাকা ও দুই টাকার কাগজের নোট বা কয়েন বাজার থেকে একরকম উঠেই গেছে। ১৮ টাকার জিনিস কিনে ২০ টাকার নোট দিলে দোকানি দুই টাকা ফেরত না দিয়ে হাতে একটি চকলেট ধরিয়ে দেন। একই অবস্থা এক টাকার নোট ও কয়েনের ক্ষেত্রেও। নয় টাকার জায়গায় ১০ টাকা ও ১৯ টাকার জায়গায় ২০ টাকা দোকানিরা রেখে দিচ্ছেন।
আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এক টাকার ভাংতি নেই বলে ফেরত দেওয়ার তাগিদ বোধ করেন না বিক্রেতারা। এভাবে প্রতিনিয়ত ক্রেতারা ঠকছেন এবং বিক্রেতারা লাভবান হচ্ছেন। সবচেয়ে সমস্যা হয় কাঁচাবাজারে তরিতরকারি ও শাকসবজি কেনাবেচায়। ১৫ টাকার সবজি ২০ টাকায় কিনতে হয়।’
মুক্তিযোদ্ধা স্কয়ারের মোবাইল রিচার্জের দোকানি মো. তাজুল ইসলাম বলেন, প্রায় এক বছর ধরে এক-দুই-পাঁচ টাকার কয়েন ও নোটের জন্য ব্যবসায় ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে। মোবাইল রিচার্জের বিভিন্ন অফারে ১৯ টাকা, ২১ টাকা, ৩৪ টাকা ও ৫৪ টাকার নানা অফার থাকে। গ্রাহকেরা নির্ধারিত প্যাকেজ নেওয়ার পর ভাঙতি টাকার জন্য প্রায়ই সমস্যা করে। এমনকি মাঝে মধ্যে কথা-কাটাকাটির সৃষ্টি হয়।
অটোরিকশার স্ট্যান্ডে পান-সিগারেটে বিক্রেতা হানিফ বলেন, একজন ক্রেতা এক শলাকা বেনসন সিগারেট নিয়ে ২০ টাকার নোট দিলে তাকে চার টাকা ফেরত দিতে হয়। আর ফেরত না দিতে পারলে সিগারেট বিক্রি করা যায় না। ফলে বেচাকেনাও অনেক কমে গেছে।
একই কথা বললেন মুদি দোকানি সিরাজ মিয়া। তিনি বলেন, ক্রেতা চা ও পান নিয়ে ২০ টাকার নোট দিলে আট টাকা ফেরত দেওয়া সম্ভব হয় না। দিনে এমন ক্রেতা শতাধিক হয়। কিন্তু ভাংতির অভাবে বেচাকেনা হয় না।
এ বিষয়ে জানতে সোনালী ব্যাংকের পানছড়ি ব্যবস্থাপক মৃণালকান্তি চাকমা বলেন, ‘আমরা নিজেরাই ভাঙতি পাই না, গ্রাহকদের কীভাবে দেব? তাই বাধ্য হয়ে সদর শাখা থেকে সংগ্রহ করার জন্য বলা হয়।’

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে সড়কে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। কৃষকেরা দাবি করেছেন, তাঁদের ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে সড়ক নির্মাণের পর সেই জমি আবার ভরাট করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু আট মাস পেরিয়ে গেলেও কথা রাখেনি তারা।
২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে লক্ষ্মীপুরে চারটি আসনে বইছে ভোটের আমেজ। সব কটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে গণসংযোগ ও উঠান বৈঠকে ব্যস্ত সময় পার করছে বড় দুই রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াত। বসে নেই অন্য দলের প্রার্থীরাও। সকাল-বিকেল চালাচ্ছেন প্রচারণা।
২ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রীয় শোক এবং পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাজধানীতে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস উড়িয়ে খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উদ্যাপন করেছে নগরবাসী। খ্রিষ্টীয় নববর্ষ ২০২৬-এর প্রথম প্রহরে নগরজুড়ে বাসাবাড়ির ছাদে ছাদে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস ওড়ানোর দৃশ্য দেখা যায়। এ সময় চারপাশে বিকট শব্দ শোনা যায়।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৪১ টাকা। তাঁর স্ত্রী মারিয়া আক্তারের সম্পদের পরিমাণ ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৮ টাকা। তাঁদের কোনো স্বর্ণালংকার নেই।
৪ ঘণ্টা আগে