Ajker Patrika

চাঁদপুরে ‘এক শিক্ষকে’ চলছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

গাজী মমিন, ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর)
আপডেট : ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৩: ০১
চাঁদপুরে ‘এক শিক্ষকে’ চলছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের পূর্ব ভাওয়াল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১০৮ জন। দুই শিফটে ৬ ক্লাসে নিয়মিত ১০০ থেকে ১০৫ জন শিক্ষার্থীর উপস্থিতি থাকে বলে জানা যায় বিদ্যালয় সূত্রে। কিন্তু এই মুহূর্তে স্থায়ি শিক্ষক আছেন কেবল একজন। এতে বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদানে চরম সংকট তৈরি হয়েছে বলে জানান অভিভাবক ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৯৪০ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি পূর্ব ভাওয়ালসহ আশপাশের বিশাল এলাকার জন্য  গুরুত্বপূর্ণ। বিদ্যালয়টিতে চারজন শিক্ষক থাকলেও দুজনের অবসরগ্রহণ ও একজনের মৃত্যুতে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। অবশ্য সম্প্রতি বিদ্যালয়ের ওই একমাত্র শিক্ষকের সঙ্গে  অন্য একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক অস্থায়ীভাবে ক্লাস নিচ্ছেন। তবে এতেও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদানের সমস্যা কাটছে না। বিদ্যালয়ে স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানান অভিভাবকেরা।

বিদ্যালয়টিতে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের কলকাকলিতে মুখর আঙ্গিনা। প্রতিটি ক্লাসে শিক্ষার্থীদের সরব উপস্থিতি রয়েছে। বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে বসে ছিলেন সহকারী শিক্ষক ফাতেমা আক্তার । তিনি এখন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে আছেন। কিছুক্ষণ পর দেখা হয় আব্দুর রহমান নামে আরও একজনের সঙ্গে। তাঁকে ওই বিদ্যালয়ে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

বিদ্যালয় শিক্ষক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই বিদ্যালয়টিতে ৭ জন শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও ৪ জন দিয়ে চলছিল বিদ্যালয়ের পাঠদান। প্রধান শিক্ষক শান্তি রানী ধর অবসরে গেলে ৩ শিক্ষক মিলে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালান। এই তিনজনের মধ্যে নুরুন্নাহার নামে একজন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনিও তিন মাস আগে মৃত্যুবরণ করেন। দুই সহকারী শিক্ষক মিলে বিদ্যালয়টির হাল ধরলেও তাঁদের একজন তানিয়া আক্তার শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে অবসরে চলে যান। এতেই বিদ্যালয়টিতে শিক্ষকের সংখ্যা দাঁড়ায় একজনে।

বর্তমানে দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষক ফাতেমা আক্তার জানান, এমন প্রেক্ষাপটে একজন অস্থায়ী শিক্ষককে আনা হয়। শিক্ষক না থাকায় সকালে প্রাকপ্রাথমিক, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের একসঙ্গে ক্লাস শুরু করেন। পালা করে অস্থায়ী শিক্ষকের সহযোগিতায় সব কটি শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করাতে হয়। একইভাবে দ্বিতীয় পালায়ও সব শিক্ষার্থীকে ক্লাসে বসিয়ে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু করেন। এরপর পালাক্রমে সব কটি শ্রেণিতে গিয়ে পাঠদান করান তাঁরা।

ফাতেমা আক্তার আরও জানান, এক ক্লাস থেকে অন্য ক্লাসে পাঠদান ও বিদ্যালয়টির দাপ্তরিক কার্যক্রম চালাতে গিয়ে তিনি নিজেও মানসিক ও শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কাশেম রিয়াদ, সোহেল বেপারী, রাশেদুল ইসলাম বলেন, অভিভাবকদের তাড়ায় শিক্ষার্থীরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে এলেও শিক্ষক সংকটে শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে হতাশা দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের গুরুত্বসহকারে নজর দেওয়া উচিত।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আফতাবুল ইসলামকে কার্যালয়ে পাওয়া যায়নি।

একজন শিক্ষক দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চলার বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদগঞ্জ উপজেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহাবুব আলম বলেন, ‘বিদ্যালয়টির মাত্র একজন শিক্ষক রয়েছে সত্য, তবে এমন প্রেক্ষাপটে একজন অস্থায়ী শিক্ষককে আনা হয়। বিদ্যালয়টির শিক্ষক পোস্টিং-এর বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করব।

ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌলি মন্ডল বলেন, ‘এ বিষয়টি আমার জানা ছিল না। সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষক দেওয়ার ব্যবস্থা করব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজ সন্ধ্যা ৭টা থেকে বন্ধ থাকবে মেট্রোরেলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

মেট্রোরেলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা থেকে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিশেষ অনুরোধে এই ব্যবস্থা নিয়েছে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।

আজ দুপুরে এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক (গণসংযোগ) মো. আহসান উল্লাহ শরিফী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আজ সন্ধ্যা ৭টা থেকে মেট্রোরেল অপারেশনের অবশিষ্ট সময় (রাত ১০টা ১০ মিনিট) পর্যন্ত ট্রেন এই স্টেশনে থামবে না।

উল্লেখ্য, মেট্রোরেল সকাল সাড়ে ৬টা থেকে রাত ১০টা ১০ মিনিট পর্যন্ত চলাচল করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নেত্রকোনায় খাবার ভেবে বিষ খেল তিন বছরের শিশু, অবস্থা আশঙ্কাজনক

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে খাবার ভেবে ফসলি জমিতে ব্যবহৃত বিষ খেয়ে মিম নামের তিন বছরের এক শিশু অসুস্থ হয়েছে। গুরুতর অবস্থায় শিশুটিকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার চণ্ডিগড় মউ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে শিশুটিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। আহত শিশু মিম ওই গ্রামের শাফিউল্লাহর মেয়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জীবিকার তাগিদে শিশুটির বাবা-মা ঢাকায় বসবাস করেন। গ্রামে নানির কাছে থাকত শিশু মিম। আজ দুপুরের দিকে বাড়িতে রাখা ফসলি জমিতে ব্যবহৃত বিষ খাবার ভেবে খেয়ে ফেলে সে। কিছুক্ষণ পর শিশুটির বমি শুরু হলে পরিবারের সদস্যরা দ্রুত তাকে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

এ বিষয়ে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা দীপা সরকার বলেন, শিশুটি খাবার ভেবে জমিতে ব্যবহৃত বিষ খেয়ে ফেলে। হাসপাতালে আনার পর প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হলেও তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। দ্রুত মমেক হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গাইবান্ধায় টানা ৫ দিন পর দেখা মিলল সূর্যের

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
রেলস্টেশনে রোঁদে দাড়িয়ে আছে কয়েকজন। ছবি: আজকের পত্রিকা
রেলস্টেশনে রোঁদে দাড়িয়ে আছে কয়েকজন। ছবি: আজকের পত্রিকা

টানা পাঁচ দিনের ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের পর অবশেষে গাইবান্ধায় সূর্যের আলো দেখা গেছে। আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে রোদের উষ্ণতা ছড়িয়ে পড়ে। এতে সাধারণ মানুষ বিশেষত কৃষক ও শ্রমজীবীরা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন।

গত পাঁচ দিন ধরে তীব্র শীতে কাবু হয়ে পড়ে গাইবান্ধার জনজীবন। বিশেষ করে, সকালে কাজে বেরিয়ে প্রচণ্ড ঠান্ডায় কষ্টে পড়েন দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ। সূর্যের দেখা পাওয়ায় খেটে খাওয়া এসব মানুষের কাজে নামা এখন কিছুটা সহজ হয়েছে। এ ছাড়া ঠান্ডা ও কুয়াশায় বীজতলা নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগে ছিলেন কৃষকেরা। গাইবান্ধা সদর উপজেলার সরকারপাড়া এলাকার কৃষক সাদেক মিয়া বলেন, ‘টানা কয়েক দিন সূর্য না থাকায় অনেকটা চিন্তায় ছিলাম। বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। আজ রোদ ওঠায় অনেকটা ভরসা পাচ্ছি।’ বোয়ালী ইউনিয়নের কৃষক হাকিম আলী বলেন, ‘সূর্য না ওঠায় গরু-ছাগলসহ ধানের বীজতলা নিয়ে চিন্তায় পড়ে ছিলাম। আবহাওয়া আজ ভালো হওয়ার কারণে খুশি লাগছে।’ আরেক কৃষক কেরামত বলেন, শীত বেশি পড়লে বোরো ধানের বীজতলা পচে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। সূর্যের আলো পাওয়ায় ক্ষতির আশঙ্কা অনেকটা কমে গেছে।

গাইবান্ধা শহরের রিকশাচালক হুমায়ন বলেন, কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশা আর শীতের কারণে মানুষ ঘর থেকে তেমন একটা বের হয়নি। আজ সূর্য ওঠায় রাস্তাঘাটে লোকজন বের হয়েছে।

রংপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে পারে। তবে দিনের বেলায় তাপমাত্রা বাড়লেও রাতের বেলায় তা কমবে।

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণের উপপরিচালক মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘টানা শৈত্যপ্রবাহে বোরোর বীজতলা নিয়ে আমরা কিছুটা উদ্বিগ্ন ছিলাম। সূর্যের আলো ও তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ায় এখন ক্ষতির ঝুঁকি কমেছে।’ আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা নেই বলে জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-মেয়েসহ তিনজনের মৃত্যু

ঢামেক প্রতিবেদক
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা এবং মহাখালী এলাকায় বাবা-মেয়েসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) ভোরে এ দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।

সাতরাস্তায় ট্রাকচাপায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার যাত্রী বাবা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী রফিকুল ইসলাম (৪০) এবং মেয়ে তানজিলার (১২) মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত হয় ছেলে নুর ইসলাম (১৪)। অন্যদিকে মহাখালী বাসস্ট্যান্ডে অজ্ঞাত যানবাহনের ধাক্কায় আনুমানিক ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

আজ ভোর ৫টার দিকে চারজনকে আহতাবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে বাবা-মেয়ে ও অজ্ঞাত যুবককে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আহত নুর ইসলাম প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়।

মৃত রফিকুল ইসলামের ভাতিজা আব্দুর রাকিব বলেন, তাঁদের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার জটিয়াবো গ্রামে। বর্তমানে তাঁরা মগবাজার ওয়্যারলেস রেলগেট এলাকায় থাকতেন। আহত নুর ইসলাম ও নিহত তানজিলা স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করত। তাঁদের বাবা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী রফিকুল ইসলাম ওই এলাকায় ভিক্ষাবৃত্তি করতেন।

আব্দুর রাকিব আরও জানান, রাতে তাঁর চাচা রফিকুল ইসলাম দুই সন্তানকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে বের হন। মগবাজার থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে মহাখালী বাসস্ট্যান্ডে যাচ্ছিলেন। জানতে পারি, সাতরাস্তা এলাকায় আসলে একটি ট্রাক অটোরিকশাটিকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। রিকশা থেকে ছিটকে পরে তিনজন আহত হয়। পরে পথচারীরা তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে বাবা ও মেয়ের মৃত্যু হয়।

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হামিদ জানান, বুধবার ভোরে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা এলাকায় বাবা-মেয়ে মারা গেছে। অন্যদিকে মহাখালী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অজ্ঞাত যানবাহনের ধাক্কায় অজ্ঞাত এক যুবক মারা গেছে।

এসআই আরও জানান, সাতরাস্তা এলাকায় বাবা তাঁর দুই সন্তানকে নিয়ে ব্যাটারিচালিত রিকশাযোগে যাচ্ছিলেন। তখন একটি ট্রাক রিকশাটিকে চাপা দেয়। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে আসলে বাবা ও মেয়ে মারা যায়। আহত ছেলে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। ট্রাকটিকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

এসআই আব্দুল হামিদ আরও জানান, মহাখালী এলাকায় মারা যাওয়া যুবকের পরিচয় পাওয়া যায়নি। যানবাহন শনাক্তের চেষ্টা চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত