সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের হাজতখানা যেন ফোনে কথা বলার একটি দোকান। এখানে আসামিরা স্বজন, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে অবাধে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছেন। পুলিশই টাকার বিনিময়ে দাগি সন্ত্রাসী থেকে শুরু করে বিভিন্ন মামলার আসামির হাতে মোবাইল ফোন তুলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) চট্টগ্রামের সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলখানায় কিংবা হাজতখানায় আসামিদের মোবাইল ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। হাজতখানার বিধি অনুযায়ী, সাধারণ আসামিরা যেসব সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা, সেটা তো তাঁরা পাচ্ছেন না; বরং সেখানে টাকা দেওয়া আসামিদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এগুলো জেলখানায় যেমন, হাজতখানায়ও তেমন। বিশেষ করে শীর্ষ সন্ত্রাসী, মাদক কারবারি ও বড় বড় অপরাধী মোবাইল ফোনে কথা বলা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সুবিধা নিচ্ছে। এই ধরনের কর্মকাণ্ড আদালতের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় হুমকি।’
গত ১৮ মে সরেজমিনে দেখা যায়, আদালতের হাজতখানার ‘ভিআইপি কক্ষে’ মোবাইলে কথা বলছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যাসহ ২১ মামলার আসামি চসিকের সাবেক কাউন্সিলর ও উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জহুরুল আলম জসিম। তিনি কারও সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন। ওই কক্ষে থাকা আরও এক আসামিকে একইভাবে মোবাইল ফোনে কথা বলতে দেখা যায়। কক্ষটির এককোনায় রাখা ছিল আরও তিনটি স্মার্টফোন ও একটি ফিচার ফোন। এ চারটি ফোন আসামিদের কথা বলার জন্য পুলিশ রেখেছে বলে জানা গেছে।
এর একটি ভিডিও চিত্র আজকের পত্রিকার কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছর আগস্টের পর পলাতক থাকা জসিমকে গ্রেপ্তারের জন্য চট্টগ্রামের আকবরশাহ এলাকায় কয়েক দফা অভিযান চালিয়েও পায়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গত ৫ মার্চ জসিমকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাঁকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যাসহ বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এর পর থেকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন জহুরুল আলম জসিম।
চট্টগ্রামে পাহাড় পরিদর্শনকালে পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী এবং বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের গাড়িবহরে হামলার মামলারও আসামি এই জসিম।
২২ মে দুপুরে মো. হাসান নামের সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত এক দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীও আদালতের হাজতখানায় একইভাবে মোবাইল ফোনে কথা বলেছেন। নগরের বায়েজিদ, চান্দগাঁও, বাকলিয়ায় জোড়া খুনসহ চাঞ্চল্যকর কয়েকটি হত্যা মামলার আসামিকে এর আগে মামলায় হাজিরা দিতে চট্টগ্রাম কারগার থেকে আদালতে আনা হয়। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, হাজতখানায় ভিআইপি কক্ষে অবস্থানকালে পুলিশের উপস্থিতিতে আসামি হাসান মোবাইলে তাঁর সহযোগীসহ বিভিন্নজনের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কথা বলেছেন। ওই দিন হাসানের সঙ্গে কয়েকজন যুবক দেখা করতে আসেন বলে সূত্র জানিয়েছে।
পরদিন ২৩ মে চট্টগ্রামে পতেঙ্গা সৈকত এলাকায় ঘুরতে আসা শীর্ষ সন্ত্রাসী ঢাকাইয়া আকবরকে একদল দুর্বৃত্ত গুলি করে চলে যায়। পরে চমেক হাসপাতালে আকবর মারা যান। এই হত্যাকাণ্ড হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশে ঘটেছে বলে ধারণা করা হয়।
জানা যায়, আসামি হাসানের প্রতিপক্ষ ছিলেন ঢাকাইয়া আকবর। সম্প্রতি বাকলিয়ায় জোড়া খুনসহ একাধিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের আগে ও পরে হাসানের সম্পৃক্ততা নিয়ে ফেসবুকে ছবিযুক্ত একাধিক পোস্ট ও লাইভে এসে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিয়েছিলেন ঢাকাইয়া আকবর।
ঢাকাইয়া আকবর খুনের ঘটনায় পতেঙ্গা থানায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলায় ১১ জন এজাহারনামীয় আসামির মধ্যে ১০ জনই হাসানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। এসব সহযোগীর সঙ্গে মিলে আগে একাধিক হত্যাকাণ্ড চালানোর অভিযোগে হাসানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
হাসান চট্টগ্রামে আট খুনের ঘটনায় আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী ও শিবিরের ক্যাডার বিদেশে পলাতক সাজ্জাদ আলী খানের অনুসারী ও বর্তমানে চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দী আরেক আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী।
আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের হাজতখানায় চারটি কক্ষ রয়েছে। এর মধ্যে একটি কক্ষ নারী আসামিদের জন্য। অন্য তিনটির মধ্যে দুটি সাধারণ আসামিদের এবং একটি কক্ষ থাকে ভিআইপি আসামিদের জন্য।
আদালতে বিভিন্ন মামলায় হাজিরা দিতে চট্টগ্রাম কারাগার থেকে আনা ভিআইপি আসামি, রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, প্রভাবশালী, দাগি সন্ত্রাসী হাজতখানার এই ভিআইপি কক্ষে অবস্থান করেন। মূলত যাঁরা টাকা দেন, তাঁদের এই কক্ষে আরাম-আয়েশে রাখা হয়। সেই সঙ্গে আসামিদের মোবাইল ফোনে কথা বলার সুযোগ করে দেয় পুলিশ।
হাজতখানায় নিয়মিত যাতায়াত রয়েছে, এমন আইনজীবীর সহকারী জানান, এটা হাজতখানার মধ্যে একটা ওপেন সিক্রেট। চাহিদামতো ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে হাজার টাকা খরচ করলেই আসামিরা মোবাইলে কথা বলতে পারছেন। পুলিশের পাশাপাশি আসামিদের স্বজনদের সরবরাহ করা মোবাইলেও আসামিরা কথা বলে থাকেন। এখান থেকে বিভিন্ন সময় আসামিরা বাদীকে হুমকি, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ তৎপরতা চালাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাজতখানার বারান্দায় সোজাসুজি সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলেও আসামি রাখার সেলগুলোতে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। সুযোগ পেয়ে হাজতখানায় বেআইনি কাজে জড়াচ্ছে পুলিশ ও আসামিরা।
জানতে চাইলে আদালতের হাজতখানার দায়িত্বে থাকা নগর পুলিশের পরিদর্শক শাহীনূর আলম বলেন, ‘আসামিরা অনেক সময় জরুরি প্রয়োজনে দু-এক সেকেন্ড কথা চলতে চায়। মানবিক কারণে তখন বিষয়টি বিবেচনা করে আমাদের পুলিশ সদস্যরা দাঁড়িয়ে থেকে তাঁদের মোবাইলে কয়েক সেকেন্ড কথা বলার সুযোগ দেন। তবে এটা সব সময় না। এটার বাইরে হাজতখানায় মোবাইলে কথা বলার কোনো সুযোগ নেই। তারপরও আমাদের ভুলত্রুটি থাকতে পারে, এটা খোঁজ নিয়ে দেখব।’
পরিদর্শক শাহীনূর আলমের ভাষ্য, হাজতখানায় ভিআইপি আসামিদের জন্য কোনো কক্ষ নেই। মূলত ওই কক্ষে আসামিরা নামাজ পড়েন। কেউ বই পড়েন এবং বিশ্রাম নিয়ে থাকেন।

চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের হাজতখানা যেন ফোনে কথা বলার একটি দোকান। এখানে আসামিরা স্বজন, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে অবাধে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছেন। পুলিশই টাকার বিনিময়ে দাগি সন্ত্রাসী থেকে শুরু করে বিভিন্ন মামলার আসামির হাতে মোবাইল ফোন তুলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) চট্টগ্রামের সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলখানায় কিংবা হাজতখানায় আসামিদের মোবাইল ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। হাজতখানার বিধি অনুযায়ী, সাধারণ আসামিরা যেসব সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা, সেটা তো তাঁরা পাচ্ছেন না; বরং সেখানে টাকা দেওয়া আসামিদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এগুলো জেলখানায় যেমন, হাজতখানায়ও তেমন। বিশেষ করে শীর্ষ সন্ত্রাসী, মাদক কারবারি ও বড় বড় অপরাধী মোবাইল ফোনে কথা বলা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সুবিধা নিচ্ছে। এই ধরনের কর্মকাণ্ড আদালতের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় হুমকি।’
গত ১৮ মে সরেজমিনে দেখা যায়, আদালতের হাজতখানার ‘ভিআইপি কক্ষে’ মোবাইলে কথা বলছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যাসহ ২১ মামলার আসামি চসিকের সাবেক কাউন্সিলর ও উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জহুরুল আলম জসিম। তিনি কারও সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন। ওই কক্ষে থাকা আরও এক আসামিকে একইভাবে মোবাইল ফোনে কথা বলতে দেখা যায়। কক্ষটির এককোনায় রাখা ছিল আরও তিনটি স্মার্টফোন ও একটি ফিচার ফোন। এ চারটি ফোন আসামিদের কথা বলার জন্য পুলিশ রেখেছে বলে জানা গেছে।
এর একটি ভিডিও চিত্র আজকের পত্রিকার কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছর আগস্টের পর পলাতক থাকা জসিমকে গ্রেপ্তারের জন্য চট্টগ্রামের আকবরশাহ এলাকায় কয়েক দফা অভিযান চালিয়েও পায়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গত ৫ মার্চ জসিমকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাঁকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যাসহ বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এর পর থেকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন জহুরুল আলম জসিম।
চট্টগ্রামে পাহাড় পরিদর্শনকালে পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী এবং বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের গাড়িবহরে হামলার মামলারও আসামি এই জসিম।
২২ মে দুপুরে মো. হাসান নামের সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত এক দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীও আদালতের হাজতখানায় একইভাবে মোবাইল ফোনে কথা বলেছেন। নগরের বায়েজিদ, চান্দগাঁও, বাকলিয়ায় জোড়া খুনসহ চাঞ্চল্যকর কয়েকটি হত্যা মামলার আসামিকে এর আগে মামলায় হাজিরা দিতে চট্টগ্রাম কারগার থেকে আদালতে আনা হয়। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, হাজতখানায় ভিআইপি কক্ষে অবস্থানকালে পুলিশের উপস্থিতিতে আসামি হাসান মোবাইলে তাঁর সহযোগীসহ বিভিন্নজনের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কথা বলেছেন। ওই দিন হাসানের সঙ্গে কয়েকজন যুবক দেখা করতে আসেন বলে সূত্র জানিয়েছে।
পরদিন ২৩ মে চট্টগ্রামে পতেঙ্গা সৈকত এলাকায় ঘুরতে আসা শীর্ষ সন্ত্রাসী ঢাকাইয়া আকবরকে একদল দুর্বৃত্ত গুলি করে চলে যায়। পরে চমেক হাসপাতালে আকবর মারা যান। এই হত্যাকাণ্ড হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশে ঘটেছে বলে ধারণা করা হয়।
জানা যায়, আসামি হাসানের প্রতিপক্ষ ছিলেন ঢাকাইয়া আকবর। সম্প্রতি বাকলিয়ায় জোড়া খুনসহ একাধিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের আগে ও পরে হাসানের সম্পৃক্ততা নিয়ে ফেসবুকে ছবিযুক্ত একাধিক পোস্ট ও লাইভে এসে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিয়েছিলেন ঢাকাইয়া আকবর।
ঢাকাইয়া আকবর খুনের ঘটনায় পতেঙ্গা থানায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলায় ১১ জন এজাহারনামীয় আসামির মধ্যে ১০ জনই হাসানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। এসব সহযোগীর সঙ্গে মিলে আগে একাধিক হত্যাকাণ্ড চালানোর অভিযোগে হাসানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
হাসান চট্টগ্রামে আট খুনের ঘটনায় আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী ও শিবিরের ক্যাডার বিদেশে পলাতক সাজ্জাদ আলী খানের অনুসারী ও বর্তমানে চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দী আরেক আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী।
আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের হাজতখানায় চারটি কক্ষ রয়েছে। এর মধ্যে একটি কক্ষ নারী আসামিদের জন্য। অন্য তিনটির মধ্যে দুটি সাধারণ আসামিদের এবং একটি কক্ষ থাকে ভিআইপি আসামিদের জন্য।
আদালতে বিভিন্ন মামলায় হাজিরা দিতে চট্টগ্রাম কারাগার থেকে আনা ভিআইপি আসামি, রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, প্রভাবশালী, দাগি সন্ত্রাসী হাজতখানার এই ভিআইপি কক্ষে অবস্থান করেন। মূলত যাঁরা টাকা দেন, তাঁদের এই কক্ষে আরাম-আয়েশে রাখা হয়। সেই সঙ্গে আসামিদের মোবাইল ফোনে কথা বলার সুযোগ করে দেয় পুলিশ।
হাজতখানায় নিয়মিত যাতায়াত রয়েছে, এমন আইনজীবীর সহকারী জানান, এটা হাজতখানার মধ্যে একটা ওপেন সিক্রেট। চাহিদামতো ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে হাজার টাকা খরচ করলেই আসামিরা মোবাইলে কথা বলতে পারছেন। পুলিশের পাশাপাশি আসামিদের স্বজনদের সরবরাহ করা মোবাইলেও আসামিরা কথা বলে থাকেন। এখান থেকে বিভিন্ন সময় আসামিরা বাদীকে হুমকি, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ তৎপরতা চালাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাজতখানার বারান্দায় সোজাসুজি সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলেও আসামি রাখার সেলগুলোতে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। সুযোগ পেয়ে হাজতখানায় বেআইনি কাজে জড়াচ্ছে পুলিশ ও আসামিরা।
জানতে চাইলে আদালতের হাজতখানার দায়িত্বে থাকা নগর পুলিশের পরিদর্শক শাহীনূর আলম বলেন, ‘আসামিরা অনেক সময় জরুরি প্রয়োজনে দু-এক সেকেন্ড কথা চলতে চায়। মানবিক কারণে তখন বিষয়টি বিবেচনা করে আমাদের পুলিশ সদস্যরা দাঁড়িয়ে থেকে তাঁদের মোবাইলে কয়েক সেকেন্ড কথা বলার সুযোগ দেন। তবে এটা সব সময় না। এটার বাইরে হাজতখানায় মোবাইলে কথা বলার কোনো সুযোগ নেই। তারপরও আমাদের ভুলত্রুটি থাকতে পারে, এটা খোঁজ নিয়ে দেখব।’
পরিদর্শক শাহীনূর আলমের ভাষ্য, হাজতখানায় ভিআইপি আসামিদের জন্য কোনো কক্ষ নেই। মূলত ওই কক্ষে আসামিরা নামাজ পড়েন। কেউ বই পড়েন এবং বিশ্রাম নিয়ে থাকেন।
সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের হাজতখানা যেন ফোনে কথা বলার একটি দোকান। এখানে আসামিরা স্বজন, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে অবাধে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছেন। পুলিশই টাকার বিনিময়ে দাগি সন্ত্রাসী থেকে শুরু করে বিভিন্ন মামলার আসামির হাতে মোবাইল ফোন তুলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) চট্টগ্রামের সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলখানায় কিংবা হাজতখানায় আসামিদের মোবাইল ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। হাজতখানার বিধি অনুযায়ী, সাধারণ আসামিরা যেসব সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা, সেটা তো তাঁরা পাচ্ছেন না; বরং সেখানে টাকা দেওয়া আসামিদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এগুলো জেলখানায় যেমন, হাজতখানায়ও তেমন। বিশেষ করে শীর্ষ সন্ত্রাসী, মাদক কারবারি ও বড় বড় অপরাধী মোবাইল ফোনে কথা বলা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সুবিধা নিচ্ছে। এই ধরনের কর্মকাণ্ড আদালতের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় হুমকি।’
গত ১৮ মে সরেজমিনে দেখা যায়, আদালতের হাজতখানার ‘ভিআইপি কক্ষে’ মোবাইলে কথা বলছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যাসহ ২১ মামলার আসামি চসিকের সাবেক কাউন্সিলর ও উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জহুরুল আলম জসিম। তিনি কারও সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন। ওই কক্ষে থাকা আরও এক আসামিকে একইভাবে মোবাইল ফোনে কথা বলতে দেখা যায়। কক্ষটির এককোনায় রাখা ছিল আরও তিনটি স্মার্টফোন ও একটি ফিচার ফোন। এ চারটি ফোন আসামিদের কথা বলার জন্য পুলিশ রেখেছে বলে জানা গেছে।
এর একটি ভিডিও চিত্র আজকের পত্রিকার কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছর আগস্টের পর পলাতক থাকা জসিমকে গ্রেপ্তারের জন্য চট্টগ্রামের আকবরশাহ এলাকায় কয়েক দফা অভিযান চালিয়েও পায়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গত ৫ মার্চ জসিমকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাঁকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যাসহ বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এর পর থেকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন জহুরুল আলম জসিম।
চট্টগ্রামে পাহাড় পরিদর্শনকালে পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী এবং বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের গাড়িবহরে হামলার মামলারও আসামি এই জসিম।
২২ মে দুপুরে মো. হাসান নামের সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত এক দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীও আদালতের হাজতখানায় একইভাবে মোবাইল ফোনে কথা বলেছেন। নগরের বায়েজিদ, চান্দগাঁও, বাকলিয়ায় জোড়া খুনসহ চাঞ্চল্যকর কয়েকটি হত্যা মামলার আসামিকে এর আগে মামলায় হাজিরা দিতে চট্টগ্রাম কারগার থেকে আদালতে আনা হয়। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, হাজতখানায় ভিআইপি কক্ষে অবস্থানকালে পুলিশের উপস্থিতিতে আসামি হাসান মোবাইলে তাঁর সহযোগীসহ বিভিন্নজনের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কথা বলেছেন। ওই দিন হাসানের সঙ্গে কয়েকজন যুবক দেখা করতে আসেন বলে সূত্র জানিয়েছে।
পরদিন ২৩ মে চট্টগ্রামে পতেঙ্গা সৈকত এলাকায় ঘুরতে আসা শীর্ষ সন্ত্রাসী ঢাকাইয়া আকবরকে একদল দুর্বৃত্ত গুলি করে চলে যায়। পরে চমেক হাসপাতালে আকবর মারা যান। এই হত্যাকাণ্ড হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশে ঘটেছে বলে ধারণা করা হয়।
জানা যায়, আসামি হাসানের প্রতিপক্ষ ছিলেন ঢাকাইয়া আকবর। সম্প্রতি বাকলিয়ায় জোড়া খুনসহ একাধিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের আগে ও পরে হাসানের সম্পৃক্ততা নিয়ে ফেসবুকে ছবিযুক্ত একাধিক পোস্ট ও লাইভে এসে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিয়েছিলেন ঢাকাইয়া আকবর।
ঢাকাইয়া আকবর খুনের ঘটনায় পতেঙ্গা থানায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলায় ১১ জন এজাহারনামীয় আসামির মধ্যে ১০ জনই হাসানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। এসব সহযোগীর সঙ্গে মিলে আগে একাধিক হত্যাকাণ্ড চালানোর অভিযোগে হাসানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
হাসান চট্টগ্রামে আট খুনের ঘটনায় আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী ও শিবিরের ক্যাডার বিদেশে পলাতক সাজ্জাদ আলী খানের অনুসারী ও বর্তমানে চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দী আরেক আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী।
আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের হাজতখানায় চারটি কক্ষ রয়েছে। এর মধ্যে একটি কক্ষ নারী আসামিদের জন্য। অন্য তিনটির মধ্যে দুটি সাধারণ আসামিদের এবং একটি কক্ষ থাকে ভিআইপি আসামিদের জন্য।
আদালতে বিভিন্ন মামলায় হাজিরা দিতে চট্টগ্রাম কারাগার থেকে আনা ভিআইপি আসামি, রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, প্রভাবশালী, দাগি সন্ত্রাসী হাজতখানার এই ভিআইপি কক্ষে অবস্থান করেন। মূলত যাঁরা টাকা দেন, তাঁদের এই কক্ষে আরাম-আয়েশে রাখা হয়। সেই সঙ্গে আসামিদের মোবাইল ফোনে কথা বলার সুযোগ করে দেয় পুলিশ।
হাজতখানায় নিয়মিত যাতায়াত রয়েছে, এমন আইনজীবীর সহকারী জানান, এটা হাজতখানার মধ্যে একটা ওপেন সিক্রেট। চাহিদামতো ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে হাজার টাকা খরচ করলেই আসামিরা মোবাইলে কথা বলতে পারছেন। পুলিশের পাশাপাশি আসামিদের স্বজনদের সরবরাহ করা মোবাইলেও আসামিরা কথা বলে থাকেন। এখান থেকে বিভিন্ন সময় আসামিরা বাদীকে হুমকি, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ তৎপরতা চালাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাজতখানার বারান্দায় সোজাসুজি সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলেও আসামি রাখার সেলগুলোতে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। সুযোগ পেয়ে হাজতখানায় বেআইনি কাজে জড়াচ্ছে পুলিশ ও আসামিরা।
জানতে চাইলে আদালতের হাজতখানার দায়িত্বে থাকা নগর পুলিশের পরিদর্শক শাহীনূর আলম বলেন, ‘আসামিরা অনেক সময় জরুরি প্রয়োজনে দু-এক সেকেন্ড কথা চলতে চায়। মানবিক কারণে তখন বিষয়টি বিবেচনা করে আমাদের পুলিশ সদস্যরা দাঁড়িয়ে থেকে তাঁদের মোবাইলে কয়েক সেকেন্ড কথা বলার সুযোগ দেন। তবে এটা সব সময় না। এটার বাইরে হাজতখানায় মোবাইলে কথা বলার কোনো সুযোগ নেই। তারপরও আমাদের ভুলত্রুটি থাকতে পারে, এটা খোঁজ নিয়ে দেখব।’
পরিদর্শক শাহীনূর আলমের ভাষ্য, হাজতখানায় ভিআইপি আসামিদের জন্য কোনো কক্ষ নেই। মূলত ওই কক্ষে আসামিরা নামাজ পড়েন। কেউ বই পড়েন এবং বিশ্রাম নিয়ে থাকেন।

চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের হাজতখানা যেন ফোনে কথা বলার একটি দোকান। এখানে আসামিরা স্বজন, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে অবাধে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছেন। পুলিশই টাকার বিনিময়ে দাগি সন্ত্রাসী থেকে শুরু করে বিভিন্ন মামলার আসামির হাতে মোবাইল ফোন তুলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) চট্টগ্রামের সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলখানায় কিংবা হাজতখানায় আসামিদের মোবাইল ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। হাজতখানার বিধি অনুযায়ী, সাধারণ আসামিরা যেসব সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা, সেটা তো তাঁরা পাচ্ছেন না; বরং সেখানে টাকা দেওয়া আসামিদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এগুলো জেলখানায় যেমন, হাজতখানায়ও তেমন। বিশেষ করে শীর্ষ সন্ত্রাসী, মাদক কারবারি ও বড় বড় অপরাধী মোবাইল ফোনে কথা বলা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সুবিধা নিচ্ছে। এই ধরনের কর্মকাণ্ড আদালতের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় হুমকি।’
গত ১৮ মে সরেজমিনে দেখা যায়, আদালতের হাজতখানার ‘ভিআইপি কক্ষে’ মোবাইলে কথা বলছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যাসহ ২১ মামলার আসামি চসিকের সাবেক কাউন্সিলর ও উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জহুরুল আলম জসিম। তিনি কারও সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন। ওই কক্ষে থাকা আরও এক আসামিকে একইভাবে মোবাইল ফোনে কথা বলতে দেখা যায়। কক্ষটির এককোনায় রাখা ছিল আরও তিনটি স্মার্টফোন ও একটি ফিচার ফোন। এ চারটি ফোন আসামিদের কথা বলার জন্য পুলিশ রেখেছে বলে জানা গেছে।
এর একটি ভিডিও চিত্র আজকের পত্রিকার কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছর আগস্টের পর পলাতক থাকা জসিমকে গ্রেপ্তারের জন্য চট্টগ্রামের আকবরশাহ এলাকায় কয়েক দফা অভিযান চালিয়েও পায়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গত ৫ মার্চ জসিমকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাঁকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যাসহ বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এর পর থেকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন জহুরুল আলম জসিম।
চট্টগ্রামে পাহাড় পরিদর্শনকালে পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী এবং বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের গাড়িবহরে হামলার মামলারও আসামি এই জসিম।
২২ মে দুপুরে মো. হাসান নামের সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত এক দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীও আদালতের হাজতখানায় একইভাবে মোবাইল ফোনে কথা বলেছেন। নগরের বায়েজিদ, চান্দগাঁও, বাকলিয়ায় জোড়া খুনসহ চাঞ্চল্যকর কয়েকটি হত্যা মামলার আসামিকে এর আগে মামলায় হাজিরা দিতে চট্টগ্রাম কারগার থেকে আদালতে আনা হয়। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, হাজতখানায় ভিআইপি কক্ষে অবস্থানকালে পুলিশের উপস্থিতিতে আসামি হাসান মোবাইলে তাঁর সহযোগীসহ বিভিন্নজনের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কথা বলেছেন। ওই দিন হাসানের সঙ্গে কয়েকজন যুবক দেখা করতে আসেন বলে সূত্র জানিয়েছে।
পরদিন ২৩ মে চট্টগ্রামে পতেঙ্গা সৈকত এলাকায় ঘুরতে আসা শীর্ষ সন্ত্রাসী ঢাকাইয়া আকবরকে একদল দুর্বৃত্ত গুলি করে চলে যায়। পরে চমেক হাসপাতালে আকবর মারা যান। এই হত্যাকাণ্ড হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশে ঘটেছে বলে ধারণা করা হয়।
জানা যায়, আসামি হাসানের প্রতিপক্ষ ছিলেন ঢাকাইয়া আকবর। সম্প্রতি বাকলিয়ায় জোড়া খুনসহ একাধিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের আগে ও পরে হাসানের সম্পৃক্ততা নিয়ে ফেসবুকে ছবিযুক্ত একাধিক পোস্ট ও লাইভে এসে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিয়েছিলেন ঢাকাইয়া আকবর।
ঢাকাইয়া আকবর খুনের ঘটনায় পতেঙ্গা থানায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলায় ১১ জন এজাহারনামীয় আসামির মধ্যে ১০ জনই হাসানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। এসব সহযোগীর সঙ্গে মিলে আগে একাধিক হত্যাকাণ্ড চালানোর অভিযোগে হাসানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
হাসান চট্টগ্রামে আট খুনের ঘটনায় আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী ও শিবিরের ক্যাডার বিদেশে পলাতক সাজ্জাদ আলী খানের অনুসারী ও বর্তমানে চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দী আরেক আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী।
আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের হাজতখানায় চারটি কক্ষ রয়েছে। এর মধ্যে একটি কক্ষ নারী আসামিদের জন্য। অন্য তিনটির মধ্যে দুটি সাধারণ আসামিদের এবং একটি কক্ষ থাকে ভিআইপি আসামিদের জন্য।
আদালতে বিভিন্ন মামলায় হাজিরা দিতে চট্টগ্রাম কারাগার থেকে আনা ভিআইপি আসামি, রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, প্রভাবশালী, দাগি সন্ত্রাসী হাজতখানার এই ভিআইপি কক্ষে অবস্থান করেন। মূলত যাঁরা টাকা দেন, তাঁদের এই কক্ষে আরাম-আয়েশে রাখা হয়। সেই সঙ্গে আসামিদের মোবাইল ফোনে কথা বলার সুযোগ করে দেয় পুলিশ।
হাজতখানায় নিয়মিত যাতায়াত রয়েছে, এমন আইনজীবীর সহকারী জানান, এটা হাজতখানার মধ্যে একটা ওপেন সিক্রেট। চাহিদামতো ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে হাজার টাকা খরচ করলেই আসামিরা মোবাইলে কথা বলতে পারছেন। পুলিশের পাশাপাশি আসামিদের স্বজনদের সরবরাহ করা মোবাইলেও আসামিরা কথা বলে থাকেন। এখান থেকে বিভিন্ন সময় আসামিরা বাদীকে হুমকি, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ তৎপরতা চালাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাজতখানার বারান্দায় সোজাসুজি সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলেও আসামি রাখার সেলগুলোতে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। সুযোগ পেয়ে হাজতখানায় বেআইনি কাজে জড়াচ্ছে পুলিশ ও আসামিরা।
জানতে চাইলে আদালতের হাজতখানার দায়িত্বে থাকা নগর পুলিশের পরিদর্শক শাহীনূর আলম বলেন, ‘আসামিরা অনেক সময় জরুরি প্রয়োজনে দু-এক সেকেন্ড কথা চলতে চায়। মানবিক কারণে তখন বিষয়টি বিবেচনা করে আমাদের পুলিশ সদস্যরা দাঁড়িয়ে থেকে তাঁদের মোবাইলে কয়েক সেকেন্ড কথা বলার সুযোগ দেন। তবে এটা সব সময় না। এটার বাইরে হাজতখানায় মোবাইলে কথা বলার কোনো সুযোগ নেই। তারপরও আমাদের ভুলত্রুটি থাকতে পারে, এটা খোঁজ নিয়ে দেখব।’
পরিদর্শক শাহীনূর আলমের ভাষ্য, হাজতখানায় ভিআইপি আসামিদের জন্য কোনো কক্ষ নেই। মূলত ওই কক্ষে আসামিরা নামাজ পড়েন। কেউ বই পড়েন এবং বিশ্রাম নিয়ে থাকেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দেয়ার ব্যাপারে ভারত এখনও ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, আমরাও তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি।
৩২ মিনিট আগে
নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
৩৭ মিনিট আগে
ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেরংপুর প্রতিনিধি

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দেয়ার ব্যাপারে ভারত এখনও ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, আমরাও তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে রংপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। রংপুর অঞ্চলে চার দিনের সফরে এসেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা তো চেয়েছি যে তাকে (শেখ হাসিনাকে) ফেরত পাঠানো হোক। যেহেতু উনি একজন কনভিক্টেড, যেহেতু সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা তাকে একটি শাস্তি দিয়েছে। কিন্তু আমরা ইতিবাচক কোনো সাড়া এখন পর্যন্ত পাইনি। এটা নিয়ে আমার মনে হয় স্পেকুলেট না করাই ভালো। দেখা যাক কী হয়। আমরা তো চেয়েছি খুব, এ ধরনের ঘটনায় তো ঝট করে একদিনে সাত দিনে কোনো পরিবর্তন ঘটে না। আমরা অপেক্ষা করব, দেখি, ভারতের পক্ষ থেকে কি আসছে রিঅ্যাকশন।’
তৌহিদ হোসেন বলেন, একটা রিঅ্যাকশন আমরা দেখেছি যেটা, সেটা হলো তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে, এরকম একটা কথা আসছে আমাদের। দেখুক তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে।
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে পররাষ্ট্র দপ্তরে কোনো তথ্য নেই বলে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, "তারেক সাহেব কখন আসবেন এই সম্বন্ধে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। উনার স্ত্রী সম্ভবত আসছেন বা পৌঁছে গেছেন হয়তো ইতিমধ্যে। আজকে সকালে পৌঁছার কথা ছিল। বেগম জিয়াকে আজকে নেওয়া হচ্ছে না, আমি ঢাকা থেকে আজকে সকালে জানলাম যে, আজকে নেওয়া হচ্ছে না। একটু টেকনিক্যাল প্রবলেম দেখা দিয়েছে ওই এয়ারক্রাফট নিয়ে। সেক্ষেত্রে হয়তো এক-আধ দিন দেরি হতে পারে। "
আরাকান আর্মি বাংলাদেশিদের ধরে নিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, "আরাকান আর্মির সাথে আমাদের দ্বিপাক্ষিক আলোচনা সম্ভব নয়। তারা একটা নন-স্টেট অ্যাক্টর। আমরা স্টেট হিসেবে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা যেমন মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ, থাইল্যান্ড বা ভারতের সাথে করতে পারি সেটা তাদের সাথে করতে পারি না। তবে আমাদের স্বার্থ যেহেতু আছে, আমাদের দেখতে হবে। এই ঘটনা যাতে কমে বা আদৌ না ঘটে, এটার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। "
এছাড়াও নীলফামারীতে প্রস্তাবিত চীনা হাসপাতালের কার্যক্রম অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত শুরু করে যেতে চায় বলেও জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। একই সঙ্গে নির্বাচিত সরকার এলে এই কাজ সমাপ্ত করবে বলেও আশা তার। এ সময় পিছিয়ে পড়া রংপুরের প্রত্নতাত্ত্বিকসহ সবক্ষেত্রে নেয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক সরকারের সদিচ্ছার কথা জানান তৌহিদ হোসেন।
এরপর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সপরিবারে রংপুর জমিদার বাড়ি তাজহাটে পরিদর্শনে যান। এছাড়াও বিকেলে রংপুর সার্কিট হাউসে চা-চক্রের কথা রয়েছে তৌহিদ হোসেনের। আগামীকাল রংপুরের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং রংপুরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জিলা স্কুল পরিদর্শন করার কথাও রয়েছে তার।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দেয়ার ব্যাপারে ভারত এখনও ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, আমরাও তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে রংপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। রংপুর অঞ্চলে চার দিনের সফরে এসেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা তো চেয়েছি যে তাকে (শেখ হাসিনাকে) ফেরত পাঠানো হোক। যেহেতু উনি একজন কনভিক্টেড, যেহেতু সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা তাকে একটি শাস্তি দিয়েছে। কিন্তু আমরা ইতিবাচক কোনো সাড়া এখন পর্যন্ত পাইনি। এটা নিয়ে আমার মনে হয় স্পেকুলেট না করাই ভালো। দেখা যাক কী হয়। আমরা তো চেয়েছি খুব, এ ধরনের ঘটনায় তো ঝট করে একদিনে সাত দিনে কোনো পরিবর্তন ঘটে না। আমরা অপেক্ষা করব, দেখি, ভারতের পক্ষ থেকে কি আসছে রিঅ্যাকশন।’
তৌহিদ হোসেন বলেন, একটা রিঅ্যাকশন আমরা দেখেছি যেটা, সেটা হলো তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে, এরকম একটা কথা আসছে আমাদের। দেখুক তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে।
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে পররাষ্ট্র দপ্তরে কোনো তথ্য নেই বলে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, "তারেক সাহেব কখন আসবেন এই সম্বন্ধে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। উনার স্ত্রী সম্ভবত আসছেন বা পৌঁছে গেছেন হয়তো ইতিমধ্যে। আজকে সকালে পৌঁছার কথা ছিল। বেগম জিয়াকে আজকে নেওয়া হচ্ছে না, আমি ঢাকা থেকে আজকে সকালে জানলাম যে, আজকে নেওয়া হচ্ছে না। একটু টেকনিক্যাল প্রবলেম দেখা দিয়েছে ওই এয়ারক্রাফট নিয়ে। সেক্ষেত্রে হয়তো এক-আধ দিন দেরি হতে পারে। "
আরাকান আর্মি বাংলাদেশিদের ধরে নিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, "আরাকান আর্মির সাথে আমাদের দ্বিপাক্ষিক আলোচনা সম্ভব নয়। তারা একটা নন-স্টেট অ্যাক্টর। আমরা স্টেট হিসেবে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা যেমন মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ, থাইল্যান্ড বা ভারতের সাথে করতে পারি সেটা তাদের সাথে করতে পারি না। তবে আমাদের স্বার্থ যেহেতু আছে, আমাদের দেখতে হবে। এই ঘটনা যাতে কমে বা আদৌ না ঘটে, এটার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। "
এছাড়াও নীলফামারীতে প্রস্তাবিত চীনা হাসপাতালের কার্যক্রম অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত শুরু করে যেতে চায় বলেও জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। একই সঙ্গে নির্বাচিত সরকার এলে এই কাজ সমাপ্ত করবে বলেও আশা তার। এ সময় পিছিয়ে পড়া রংপুরের প্রত্নতাত্ত্বিকসহ সবক্ষেত্রে নেয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক সরকারের সদিচ্ছার কথা জানান তৌহিদ হোসেন।
এরপর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সপরিবারে রংপুর জমিদার বাড়ি তাজহাটে পরিদর্শনে যান। এছাড়াও বিকেলে রংপুর সার্কিট হাউসে চা-চক্রের কথা রয়েছে তৌহিদ হোসেনের। আগামীকাল রংপুরের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং রংপুরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জিলা স্কুল পরিদর্শন করার কথাও রয়েছে তার।

চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের হাজতখানা যেন ফোনে কথা বলার একটি দোকান। এখানে আসামিরা স্বজন, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে অবাধে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছেন। পুলিশই টাকার বিনিময়ে দাগি সন্ত্রাসী থেকে শুরু করে বিভিন্ন মামলার আসামির হাতে মোবাইল ফোন তুলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
১৯ জুন ২০২৫
নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
৩৭ মিনিট আগে
ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেহাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।
কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।
কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের হাজতখানা যেন ফোনে কথা বলার একটি দোকান। এখানে আসামিরা স্বজন, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে অবাধে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছেন। পুলিশই টাকার বিনিময়ে দাগি সন্ত্রাসী থেকে শুরু করে বিভিন্ন মামলার আসামির হাতে মোবাইল ফোন তুলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
১৯ জুন ২০২৫
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দেয়ার ব্যাপারে ভারত এখনও ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, আমরাও তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি।
৩২ মিনিট আগে
ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় মাঠ-সংলগ্ন সেতু থেকে চোখ বাঁধা অবস্থায় থাকা ফিরোজ মোল্যা নামের এক ভ্যানচালককে জীবিত উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন।
নিহত উৎপল ফরিদপুর জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের রনকাইল গ্রামের অজয় সরকারের ছেলে। তাঁর স্ত্রী ও আড়াই বছর বয়সী এক শিশুসন্তান রয়েছে।
থানা-পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ ভোরে সড়কের পাশে ফাঁকা মাঠে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পাশেই একটি সেতুর সঙ্গে একই গ্রামের ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় বেঁধে রাখা হয়েছিল। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি খুলে বলেন তিনি।
ভ্যানচালকের বরাত দিয়ে রনকাইল গ্রামের বাসিন্দা ও প্রতিবেশী কাজী শাহীন বলেন, উৎপল সরকার ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মাছ কিনতে যাচ্ছিলেন। পথে অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চার ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রের মুখে ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে ব্রিজের রেলিংয়ে বেঁধে ফেলে। তারা উৎপলের সঙ্গে থাকা টাকাপয়সা লুট করে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কে এম মারুফ হাসান রাসেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই থেকে তিনজন দুর্বৃত্ত ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে এটাকে ডাকাতি বলা যায় না। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে মূল কারণ বলা যাবে।’

ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় মাঠ-সংলগ্ন সেতু থেকে চোখ বাঁধা অবস্থায় থাকা ফিরোজ মোল্যা নামের এক ভ্যানচালককে জীবিত উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন।
নিহত উৎপল ফরিদপুর জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের রনকাইল গ্রামের অজয় সরকারের ছেলে। তাঁর স্ত্রী ও আড়াই বছর বয়সী এক শিশুসন্তান রয়েছে।
থানা-পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ ভোরে সড়কের পাশে ফাঁকা মাঠে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পাশেই একটি সেতুর সঙ্গে একই গ্রামের ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় বেঁধে রাখা হয়েছিল। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি খুলে বলেন তিনি।
ভ্যানচালকের বরাত দিয়ে রনকাইল গ্রামের বাসিন্দা ও প্রতিবেশী কাজী শাহীন বলেন, উৎপল সরকার ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মাছ কিনতে যাচ্ছিলেন। পথে অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চার ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রের মুখে ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে ব্রিজের রেলিংয়ে বেঁধে ফেলে। তারা উৎপলের সঙ্গে থাকা টাকাপয়সা লুট করে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কে এম মারুফ হাসান রাসেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই থেকে তিনজন দুর্বৃত্ত ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে এটাকে ডাকাতি বলা যায় না। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে মূল কারণ বলা যাবে।’

চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের হাজতখানা যেন ফোনে কথা বলার একটি দোকান। এখানে আসামিরা স্বজন, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে অবাধে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছেন। পুলিশই টাকার বিনিময়ে দাগি সন্ত্রাসী থেকে শুরু করে বিভিন্ন মামলার আসামির হাতে মোবাইল ফোন তুলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
১৯ জুন ২০২৫
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দেয়ার ব্যাপারে ভারত এখনও ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, আমরাও তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি।
৩২ মিনিট আগে
নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
৩৭ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেচবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
ওমর ফারুক বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যরা জানান, সুমন খুলশীতে তাঁর মামার বাসায় থাকতেন। তাঁর বড় ভাইও সেখানে থাকেন। দুই দিন আগে সুমনের মামা পুরো পরিবার নিয়ে তুরস্কে বেড়াতে যান। বাসায় সুমন ও তাঁর বড় ভাই ছিলেন। গতকাল বিকেল ৪টার দিকে ভাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সুমন। ফোনে তাঁর বড় ভাই কখন বাসায় ফিরবেন জানতে চান সুমন। বড় ভাই জানান যে তাঁর আসতে একটু দেরি হবে। এর কিছুক্ষণ পর বড় ভাই সুমনকে ফোন করলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি। পরে বাড়ি থেকে সুমনের মা ফোন দিয়ে যোগাযোগ করতে না পেরে বিষয়টি বড় ভাইকে জানান। এতে উদ্বেগ দেখা দিলে বড় ভাই বিল্ডিংয়ের দারোয়ানকে দিয়ে বাসা চেক করান।
দারোয়ান কলিংবেল বাজিয়েও কোনো সাড়া না পেয়ে বড় ভাইকে জানালে তিনি দ্রুত বাসায় এসে সুমনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে চিরকুট মিলেছে। এতে লেখা রয়েছে, ‘আমি সুমন, ওমর ফারুক সুমন। আমার কোনো আশা-আকাঙ্ক্ষা নেই। আর আমার কারও প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। সবাই ভালো থাকবেন।’ এর আগে ১ ডিসেম্বর লেখা আরেকটি চিরকুট পাওয়া যায়। সেখানে লেখা ছিল—‘আশাই জীবন, আশাই মরণ, ব্যর্থতা হতাশা-অন্ধকারে নিয়ে যায়।’
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর জামান বলেন, ‘সুমন ও তাঁর বড় ভাই একসঙ্গে মামার বাসায় থাকতেন। মামা ও মামি বর্তমানে বিদেশে আছেন। বড় ভাই সন্ধ্যায় বাইরে যান। সে সময় সুমন বাসায় একা ছিলেন। বড় ভাই বাসায় ফিরে এসে বারবার ডাকলেও ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাননি। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে সুমনের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মহত্যা মনে হলেও আমরা সব সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
ওমর ফারুক বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যরা জানান, সুমন খুলশীতে তাঁর মামার বাসায় থাকতেন। তাঁর বড় ভাইও সেখানে থাকেন। দুই দিন আগে সুমনের মামা পুরো পরিবার নিয়ে তুরস্কে বেড়াতে যান। বাসায় সুমন ও তাঁর বড় ভাই ছিলেন। গতকাল বিকেল ৪টার দিকে ভাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সুমন। ফোনে তাঁর বড় ভাই কখন বাসায় ফিরবেন জানতে চান সুমন। বড় ভাই জানান যে তাঁর আসতে একটু দেরি হবে। এর কিছুক্ষণ পর বড় ভাই সুমনকে ফোন করলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি। পরে বাড়ি থেকে সুমনের মা ফোন দিয়ে যোগাযোগ করতে না পেরে বিষয়টি বড় ভাইকে জানান। এতে উদ্বেগ দেখা দিলে বড় ভাই বিল্ডিংয়ের দারোয়ানকে দিয়ে বাসা চেক করান।
দারোয়ান কলিংবেল বাজিয়েও কোনো সাড়া না পেয়ে বড় ভাইকে জানালে তিনি দ্রুত বাসায় এসে সুমনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে চিরকুট মিলেছে। এতে লেখা রয়েছে, ‘আমি সুমন, ওমর ফারুক সুমন। আমার কোনো আশা-আকাঙ্ক্ষা নেই। আর আমার কারও প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। সবাই ভালো থাকবেন।’ এর আগে ১ ডিসেম্বর লেখা আরেকটি চিরকুট পাওয়া যায়। সেখানে লেখা ছিল—‘আশাই জীবন, আশাই মরণ, ব্যর্থতা হতাশা-অন্ধকারে নিয়ে যায়।’
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর জামান বলেন, ‘সুমন ও তাঁর বড় ভাই একসঙ্গে মামার বাসায় থাকতেন। মামা ও মামি বর্তমানে বিদেশে আছেন। বড় ভাই সন্ধ্যায় বাইরে যান। সে সময় সুমন বাসায় একা ছিলেন। বড় ভাই বাসায় ফিরে এসে বারবার ডাকলেও ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাননি। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে সুমনের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মহত্যা মনে হলেও আমরা সব সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের হাজতখানা যেন ফোনে কথা বলার একটি দোকান। এখানে আসামিরা স্বজন, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে অবাধে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছেন। পুলিশই টাকার বিনিময়ে দাগি সন্ত্রাসী থেকে শুরু করে বিভিন্ন মামলার আসামির হাতে মোবাইল ফোন তুলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
১৯ জুন ২০২৫
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দেয়ার ব্যাপারে ভারত এখনও ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, আমরাও তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি।
৩২ মিনিট আগে
নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
৩৭ মিনিট আগে
ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগে