কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারের রামুতে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) মহাপরিচালক পদে সামরিক (নৌবাহিনী) কর্মকর্তাকে নিয়োগে আপত্তি জানিয়েছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিদ্যা বিভাগের শিক্ষকেরা। আজ মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর আটজন শিক্ষক চিঠির মাধ্যমে এই আপত্তি জানান।
এর আগে গত ৭ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নৌবাহিনীর কমোডর মো. মিনারুল হককে কক্সবাজার সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক পদে নিয়োগের প্রস্তাব দিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ মামুন শিবলী স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনটি জারির পর থেকে প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়।
চিঠিতে শিক্ষকেরা বলেন, বোরির মতো সমুদ্রবিদ্যার বিশেষায়িত গবেষণা প্রতিষ্ঠানের শীর্ষপদে একজন সামরিক কর্মকর্তার নিয়োগ তাঁদের চরমভাবে হতাশ করেছে।
তারা বলেন, দেশে সংস্কার উদ্যোগের অংশ হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান/শীর্ষপদ পরিবর্তন করা হচ্ছে, যা সরকারের একটি গঠনমূলক পদক্ষেপ। এই প্রেক্ষাপটে সমুদ্রবিদ্যা বিষয়ে দেশের একমাত্র জাতীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট (বোরি) ’ এর মহাপরিচালক পদে নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তাকে নিয়োগ দিয়ে গত ৭ অক্টোবর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় অধিভুক্ত বোরির মতো বিশেষায়িত গবেষণা প্রতিষ্ঠানের শীর্ষপদে একজন সামরিক কর্মকর্তার নিয়োগ আমাদের চরমভাবে হতাশ করেছে এবং এই নিয়োগের বিষয়ে আমাদের জোরালো আপত্তি জানাচ্ছি।
বোরির শীর্ষপদে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রিধারী এবং একজন প্রতিষ্ঠিত গবেষককে নিয়োগ দেওয়া অত্যন্ত জরুরি উল্লেখ করে তাঁরা বলেন, ‘যিনি সমুদ্রবিদ্যা গবেষণায় নেতৃত্ব দিতে সক্ষম এবং বিজ্ঞানীদের যুগোপযোগী পরামর্শ দিয়ে বোরিকে একটি কর্মক্ষম, আধুনিক এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন। অন্যথায় এই বিশেষায়িত গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি স্থবির হয়ে পড়বে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গ্রহণযোগ্যতা কমে যাবে।’
চিঠিতে স্বাক্ষর করেন–চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব মেরিন সাইন্সেসের পরিচালক অধ্যাপক ড. শেখ আফতাব উদ্দিন, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওশানোগ্রাফি বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ড. এম গোলাম মোস্তফা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ওশানোগ্রাফি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ওয়াহিদুল আলম, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওশানোগ্রাফি বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ড. সুব্রত সরকার, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন ফিশারী অ্যান্ড ওশানোগ্রাফি বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল হাসান, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন ফিশারী অ্যান্ড ওশানোগ্রাফি বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক ড. রোকসানা জাহান, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন বায়ু রিসোর্স সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. সাদেকুর রহমান খান ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওশানোগ্রাফি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রভাষক রিমু দাশ।
এ দিকে সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক পদে নিয়োগ পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়ে প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আজ মঙ্গলবার অর্ধ দিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন। গতকালও দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেন তারা। এর আগে রোববার বোরি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়।

কক্সবাজারের রামুতে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) মহাপরিচালক পদে সামরিক (নৌবাহিনী) কর্মকর্তাকে নিয়োগে আপত্তি জানিয়েছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিদ্যা বিভাগের শিক্ষকেরা। আজ মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর আটজন শিক্ষক চিঠির মাধ্যমে এই আপত্তি জানান।
এর আগে গত ৭ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নৌবাহিনীর কমোডর মো. মিনারুল হককে কক্সবাজার সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক পদে নিয়োগের প্রস্তাব দিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ মামুন শিবলী স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনটি জারির পর থেকে প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়।
চিঠিতে শিক্ষকেরা বলেন, বোরির মতো সমুদ্রবিদ্যার বিশেষায়িত গবেষণা প্রতিষ্ঠানের শীর্ষপদে একজন সামরিক কর্মকর্তার নিয়োগ তাঁদের চরমভাবে হতাশ করেছে।
তারা বলেন, দেশে সংস্কার উদ্যোগের অংশ হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান/শীর্ষপদ পরিবর্তন করা হচ্ছে, যা সরকারের একটি গঠনমূলক পদক্ষেপ। এই প্রেক্ষাপটে সমুদ্রবিদ্যা বিষয়ে দেশের একমাত্র জাতীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট (বোরি) ’ এর মহাপরিচালক পদে নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তাকে নিয়োগ দিয়ে গত ৭ অক্টোবর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় অধিভুক্ত বোরির মতো বিশেষায়িত গবেষণা প্রতিষ্ঠানের শীর্ষপদে একজন সামরিক কর্মকর্তার নিয়োগ আমাদের চরমভাবে হতাশ করেছে এবং এই নিয়োগের বিষয়ে আমাদের জোরালো আপত্তি জানাচ্ছি।
বোরির শীর্ষপদে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রিধারী এবং একজন প্রতিষ্ঠিত গবেষককে নিয়োগ দেওয়া অত্যন্ত জরুরি উল্লেখ করে তাঁরা বলেন, ‘যিনি সমুদ্রবিদ্যা গবেষণায় নেতৃত্ব দিতে সক্ষম এবং বিজ্ঞানীদের যুগোপযোগী পরামর্শ দিয়ে বোরিকে একটি কর্মক্ষম, আধুনিক এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন। অন্যথায় এই বিশেষায়িত গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি স্থবির হয়ে পড়বে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গ্রহণযোগ্যতা কমে যাবে।’
চিঠিতে স্বাক্ষর করেন–চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব মেরিন সাইন্সেসের পরিচালক অধ্যাপক ড. শেখ আফতাব উদ্দিন, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওশানোগ্রাফি বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ড. এম গোলাম মোস্তফা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ওশানোগ্রাফি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ওয়াহিদুল আলম, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওশানোগ্রাফি বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ড. সুব্রত সরকার, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন ফিশারী অ্যান্ড ওশানোগ্রাফি বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল হাসান, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন ফিশারী অ্যান্ড ওশানোগ্রাফি বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক ড. রোকসানা জাহান, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন বায়ু রিসোর্স সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. সাদেকুর রহমান খান ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওশানোগ্রাফি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রভাষক রিমু দাশ।
এ দিকে সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক পদে নিয়োগ পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়ে প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আজ মঙ্গলবার অর্ধ দিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন। গতকালও দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেন তারা। এর আগে রোববার বোরি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়।

রাষ্ট্রীয় শোক এবং পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাজধানীতে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস উড়িয়ে খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উদ্যাপন করেছে নগরবাসী। খ্রিষ্টীয় নববর্ষ ২০২৬-এর প্রথম প্রহরে নগরজুড়ে বাসাবাড়ির ছাদে ছাদে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস ওড়ানোর দৃশ্য দেখা যায়। এ সময় চারপাশে বিকট শব্দ শোনা যায়।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৪১ টাকা। তাঁর স্ত্রী মারিয়া আক্তারের সম্পদের পরিমাণ ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৮ টাকা। তাঁদের কোনো স্বর্ণালংকার নেই।
২ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে এসে মারা যাওয়া মো. নিরব হোসেন (৫৬) দৈনিক জনকণ্ঠের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা গ্রামে। রাজধানীর বড় মগবাজারে তিনি পরিবারসহ বসবাস করতেন।
৩ ঘণ্টা আগে
ভিডিওতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির (ঠিকাদার প্রতিনিধি) সঙ্গে কথা বলার আগে কাজের বিলের ফাইল স্বাক্ষর করার সময় ৪৫ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে। এ ছাড়া নতুন করে আরও পাঁচ হাজার টাকা না দেওয়ায় গড়িমসি করতে থাকেন ওই প্রকৌশলী। একপর্যায়ে তাঁকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে পকেটে রাখতে দেখা যায়।
৩ ঘণ্টা আগে