Ajker Patrika

পটিয়ায় নৌকার মাঝি হতে এগিয়ে আছেন যারা

কাউছার আলম, পটিয়া (চট্টগ্রাম) 
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২১, ২৩: ৪২
পটিয়ায় নৌকার মাঝি হতে এগিয়ে আছেন যারা

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন কে পাবেন তা নিয়ে চলছে আলোচনা। ১০ নভেম্বর চতুর্থ দফার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর এখন সেই আলোচনা আরও বেড়ে গেছে। ফলে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের অতীতের রাজনৈতিক, সামাজিক ও নানামুখী কর্মকাণ্ডের কথা চলে আসতে শুরু করেছে এসব খুঁটিনাটি বিষয়গুলো। যার ফলে এবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অনেক ইউনিয়নে পুরোনোতেই ভরসা খুঁজছেন আর অনেক ইউনিয়নে পরিবর্তনের বিকল্প খুঁজছেন ভোটাররা। আবার অনেক ইউনিয়নে আসতে পারে কিছু নতুন মুখ।   

আশিয়া ইউনিয়ন: এই ইউনিয়নে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়েছেন ছয়জন। এর মধ্যে গেল নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো বিজয়ী চেয়ারম্যান এম এ হাসেম মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন। গেল নির্বাচন পরবর্তী সময়ে তাঁর এলাকায় তেমন কোনো দলীয় কর্মকাণ্ড কিংবা উন্নয়নমূলক কোনো কাজ চোখে পরার মতো ছিল না। সে ক্ষেত্রে কোনো কারণে এম এ হাসেম দলীয় মনোনয়ন থেকে ছিটকে পড়লে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমরান উদ্দিন বশির দলীয় প্রার্থী হতে পারেন। এছাড়াও রয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলামুর রহমান মন্জু, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আইয়ুব আলী, এম সাইফুদ্দিন ও অ্যাডভোকেট বেলাল উদ্দিন।  

কাশিয়াইশ: আওয়ামী লীগের সভাপতি জহির আহমেদ চৌধুরী মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন। এছাড়াও বর্তমান চেয়ারম্যান এম এ কাসেম, যদিও তিনি আওয়ামী লীগের কেউ নন। তিনি গতবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীকে হারিয়ে ৫ম বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। এ ইউনিয়নে যদি কোন ধরনের অপ্রত্যাশিত ঘটনা না ঘটে তাহলে মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে থাকবেন জহির আহমেদ চৌধুরী। এছাড়াও সাবেক ছাত্র নেতা গাজী আজগরসহ এখানে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়েছেন তিনজন। 

জিরি: এই ইউনিয়নে দলীয় মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল্লাহ আর হারুন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিমুল হক ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম টিপু এবং ফরিদুল আলম।  

কুসুমপুরা: দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম এজাজ চৌধুরী, বর্তমান চেয়ারম্যান ইব্রাহিম বাচ্চু, আওয়ামী লীগ নেতা জাকারিয়া ডালিম, মোহাম্মদ এমরান মনা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হোসাইন রানা ও আবু সুফিয়ান টিপু। তবে এদের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম এজাজ চৌধুরী দলীয় মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন এটি এক প্রকার নিশ্চিত করেই বলা যায়।  

কোলাগাঁও: এই ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আহম্মেদ নুর, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাহবুবুল হক চৌধুরীর নাম জোরে শোরে শোনা যাচ্ছে। এছাড়াও আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ হারুন ও মোহাম্মদ রাসেলও রয়েছেন। তবে যুবলীগ নেতা মাহবুবুল হক চৌধুরী দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তির সম্ভাবনা রয়েছে। আওয়ামী লীগের হওয়া সত্ত্বেও গেল নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হওয়া আহম্মেদ নুরকে বেগ পেতে হতে পারে। কোন কারণে সে যদি দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয় সে ক্ষেত্রে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা আছে। 

হাবিলাসদ্বীপ: এই ইউনিয়নে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীর দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম সম্পাদক ফৌজুল কবির কুমার। এখানে বর্তমান ও টানা দুইবারের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা শফিকুল ইসলাম যদি স্বতন্ত্র প্রার্থী হন তাহলে বেগ পেতে পারেন ফৌজুল কবির কুমার। তবে কুমার দলীয় মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন এ বিষয়টি প্রায় নিশ্চিত। আওয়ামী লীগ নেতা মৃদুল নন্দী, আজগর আলী বাহদুর ও দিদারুল হক জসিমও রয়েছেন মনোনয়ন দৌড়ে। 

জঙ্গলখাইন: ইউনিয়নে দলীয় মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে আছেন বর্তমান চেয়ারম্যান গাজী মোহাম্মদ ইদ্রিচ ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অসিত কুমার বড়ুয়া। আরও আছেন সাবেক চেয়ারম্যান সাহাদাত হোসেন ফরিদ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মরতুজা কামাল মুন্সি, আওয়ামী লীগ নেতা লিটন বড়ুয়া। এর মধ্যে বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির মধ্য থেকে দু'জনের একজন দলীয় মনোনয়ন অনেকটা নিশ্চিত। 

ছনহরা: দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়েছেন পাঁচজন। এর মধ্যে সাবেক চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন ও মুক্তিযোদ্ধা সামশুল আলম দলীয় মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন। এছাড়াও ওসমান আলমদার সরোয়ার উদ্দিনের নামও শোনা যাচ্ছে। বিগত পাঁচ বছরের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পর্যালোচনায় এখনো পর্যন্ত ওসমান আলমদারের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়।

ভাটিখাইন: জেলা যুবলীগ নেতা আবু সালেহ মোহাম্মদ শাহরিয়ার শাহরু ও বর্তমান চেয়ারম্যান বখতিয়ার উদ্দিনের মধ্য থেকেই একজন পাবেন দলীয় মনোনয়ন। এ ক্ষেত্রে শাহরুকে ঘিরে ব্যক্তিগত নানা বিতর্ক উঠলেও দলের আনুগত্য, আবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং নিজের ভোটকেন্দ্রে একচ্ছত্র আধিপত্য ছাড়াও পার্শ্ববর্তী কেন্দ্রেও তাঁর অবস্থান অপেক্ষাকৃত ভালো হওয়ায় তিনি এগিয়ে রয়েছেন। অন্য প্রার্থীদের ক্ষেত্রে নিজস্ব বলয়ের কোন ভোটকেন্দ্র না থাকাসহ রাজনৈতিক নানা কারণ দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া রয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা জসিম উদ্দিনও।  

কচুয়াই: এই ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান সাবেক ছাত্র নেতা ও উপজেলা আওয়ামীগ নেতা ইনজামুল হক জসিম ও সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল খালেক রয়েছেন মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে। তবে কোন ঘটনা না ঘটলে জসিমের মনোনয়ন বলাচলে নিশ্চিত। যদিও উপজেলা যুবলীগ নেতা এনামুল হক মজুমদার মনোনয়ন পেতে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও সাজেদা বেগম ও ঋষি বিশ্বাসের নাম ও শোনা যাচ্ছে।  

খরনা: সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ও চট্টগ্রাম কারা পরির্দশক আবদুল হান্নান লিটন ক্লিন ইমেজের প্রার্থী হওয়ায় দলীয় মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন। যদিও বর্তমান চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মনজুরুল আলমও দলীয় মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন।  

ধলঘাট: মনোনয়ন প্রত্যাশীর দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন ব্যবসায়ী আবুল বশর ও বর্তমান চেয়ারম্যান রনবীর ঘোষ। তবে দলীয় ও অন্যান্য দিক বিবেচনায় উপযুক্ত প্রার্থীর সংকটে মন্দের ভালো হিসেবে বর্তমান চেয়ারম্যান রনবীর ঘোষ পুনরায় দলীয় মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন এটি একপ্রকার নিশ্চিত। এছাড়াও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ রুবেল ও আবদুল আজিজ রয়েছেন মনোনয়ন প্রত্যাশায়।  

শোভনদণ্ডী: এই ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান এহসানুল হক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর খালেদ দুজন মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে আছেন। তবে ক্লিন ইমেজের রাজনৈতিক ও দক্ষ সংগঠক হিসেবে মনোনয়ন তালিকায় এক নম্বরে আছেন আলমগীর খালেদ। যদিও বর্তমান চেয়ারম্যান এহসানুল হকের ওপর নানা সময়ে এলাকায় নানা ধরনের অভিযোগ উঠেছিল। তা ছাড়াও আছেন সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নাছির উদ্দীনের নামও।  

দক্ষিণ ভূর্ষি: ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সেলিমের বিকল্প কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না বলেই তিনি আছেন মনোনয়ন দৌড়ে আরও এগিয়ে। যদিও আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ছৈয়দের নাম শোনা যাচ্ছে। বর্তমান চেয়ারম্যান সেলিম কোনো কারণে যদি বাদ পড়েন তাহলে মোহাম্মদ ছৈয়দের ভাগ্য বদলে যাবেন এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।  

হাইদগাঁও: মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে আছেন মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন ও আওয়ামী লীগ নেতা বি এম জসিম। এছাড়াও আছেন প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা মাস্টার সিরাজুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম জুলু ও জিতেন গুহ।  

কেলিশহর: বিকল্প কাউকে খুঁজে পাওয়া না গেলে বর্তমান চেয়ারম্যান সরোজ সেন নান্টুর হাতে উঠতে পারে আবারও নৌকা প্রতীক। তবে যুবলীগ নেতা জসিম উদ্দিন, নুরুল ইসলাম বাচা, সুমন চক্রবর্তীর নাম শোনা যাচ্ছে।  

বড়লিয়া: বর্তমান চেয়ারম্যান শাহিনুল ইসলাম সানু ও নুরুল আবছারের নাম শোনা যাচ্ছে। এছাড়াও আছেন ইউনুস তালুকদার।  

উপরিউক্ত বিষয়গুলো দলের বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্রের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে শেষ পর্যন্ত কিছু ব্যতিক্রম হলে হতেও পারে। 

উল্লেখিত প্রার্থীদের বিপরীতে যারা রয়েছেন, তাদের অনেকে মাঠে তুলনামূলক জনপ্রিয় বা শক্তিশালী প্রার্থী হলেও বিগত দিনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড কারও ক্ষেত্রে দুর্বল কেউ বা বিতর্কিত হওয়ায় মনোনয়ন প্রাপ্তির সম্ভাবনা থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন। আবার কাউকে নিয়ে জনপ্রিয়তার সংকট থাকলেও দলীয় কর্মকাণ্ডের মূল্যায়নে বিশ্বস্ত ও আনুগত্য হওয়ায় এগিয়ে রয়েছেন তারা।  

উল্লেখ্য ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী চতুর্থ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় আগামী ২৫ নভেম্বর, মনোনয়ন বাছাই ২৯ নভেম্বর এবং প্রত্যাহার ৬ ডিসেম্বর। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২৩ ডিসেম্বর। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনএসআইয়ের ১৩ কর্মকর্তার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

বিএনপির সময় গণমাধ্যম তুলনামূলক বেশি স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল: প্রথম আলো সম্পাদক

‘আমি ওর সঙ্গে এক মিনিট কথা বলতে চাই, শুধু এক মিনিট’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জামালপুরের ৫টি আসন

ভোটের মাঠে: কোন্দলে ভুগছে বিএনপি

  • প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিএনপিসহ অন্য দলের প্রার্থীরা।
  • দুটি আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে চলছে আন্দোলন।
  • তিনটি করে আসনে প্রার্থী দিয়েছে সিপিবি ও গণঅধিকার পরিষদ।
  • নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্রের দিকে তাকিয়ে জাতীয় পার্টি।
জাহাঙ্গীর আলম, জামালপুর
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে জামালপুরে অন্তঃকোন্দলে ভুগছে বিএনপি। জেলার পাঁচটি আসনের মধ্যে দুটির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি উঠেছে। তবে আগে থেকে প্রচার শুরু করা জামায়াতে ইসলামী রয়েছে খানিকটা সুবিধাজনক অবস্থানে। এ ছাড়া প্রচারে রয়েছে ইসলামী আন্দোলনও। আর জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জেলার সব কটি আসনে প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বললেও মাঠে দৃশ্যমান তৎপরতা নেই।

আয়তনে ২ হাজার ৩২ বর্গকিলোমিটার ও ৭ উপজেলা, ৮টি পৌরসভা এবং ৬৮ ইউনিয়ন নিয়ে জামালপুর জেলার আসনসংখ্যা ৫। জেলার মোট ভোটার ২১ লাখ ৩৫ হাজার ১১৬ জন। এই জেলায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) তিনটি আসনে এবং গণঅধিকার পরিষদ তিনটি আসনে প্রার্থী দিলেও প্রচারে নেই কেউ। আর নির্বাচনকেন্দ্রিক তৎপরতা নেই জাতীয় পার্টিতে (জাপা)। কেন্দ্র থেকে নির্বাচনের ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন জেলা জাপার আহ্বায়ক জাকির হোসেন খান। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশ পেলে প্রার্থী নিয়ে মাঠে নামবেন, এমন প্রস্তুতি আছে।

জামালপুর-১ (দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ)

দুটি উপজেলা, ২টি পৌরসভা এবং ১৫টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত জামালপুর-১ আসন। এই আসনে ২০০১ সালে বিএনপির সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও মিল্লাতকে (কেন্দ্রীয় বিএনপির কোষাধ্যক্ষ) দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। আসনটিতে জামায়াতের প্রার্থী দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটির শুরা সদস্য নাজমুল হক সাইদীকে। নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণার আগে থেকে আসনটিতে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীরা কোমর বেঁধে মাঠে প্রচারে নেমেছেন।

জামালপুর-২ (ইসলামপুর)

জেলার ১ উপজেলা, ১ পৌরসভা আর ১২টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই আসন। এবার নির্বাচনে আসনটিতে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে উপজেলা বিএনপির সভাপতি সুলতান মাহমুদ বাবুকে। তিনি ২০০১ সালে বিএনপি থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে তাঁর দলীয় মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে সড়ক অবরোধ, মানববন্ধন, মিছিল সমাবেশ করছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ এস এম আবদুল হালিমের অনুসারীরা। এ ছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের ছোট ভাই শরিফুল ইসলাম খানও দলীয় মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ করছেন।

আসনটিতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সামিউল হক ফারুকীকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী সুলতান মাহমুদ সিরাজী, আর গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী মো. ইসমাঈল হোসেন। আসনটিতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীর পক্ষে জোরালো প্রচার চলছে।

জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ)

২টি উপজেলা, ৩টি পৌরসভা ও ১৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত আসনটিতে ১৯৯১ সাল থেকে ৭ বার নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের র্মিজা আজম। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সহসম্পাদক ও মেলান্দহ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান। তাঁর মনোনয়ন বাতিল চেয়ে মাঠে নেমেছেন বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ৩ প্রার্থী। তাঁরা হচ্ছেন সাবেক সচিব এ কে এম ইহসানুল হক, মাদারগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ফায়েজুল ইসলাম লাঞ্জ এবং মেলান্দহ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদিকুর রহমান শুভ। তাঁরা মনোনয়ন পরিবর্তন চেয়ে মিছিল, সমাবেশসহ গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী অধ্যাপক মজিবুর রহমান আজাদী প্রচারে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী)

এই আসনে ১৯৯১ সালে আসনটিতে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বিএনপির মহাসচিব ব্যারিস্টার আবদুস সালাম তালুকদার। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে আসনটিতে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তাঁর ভাতিজা এবং জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সরিষাবাড়ী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীমকে।

এ ছাড়া আসনটিতে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী করা হয়েছে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবদুল আওয়ালকে। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মো. আলী আকবর সিদ্দিক। এ ছাড়া গণপরিষদের মো. ইকবাল হোসেন এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) মাহবুব জামানকে প্রার্থী করা হয়েছে।

জামালপুর-৫ (সদর)

আগামী নির্বাচনে এই আসনে বিএনপির প্রার্থী করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক এবং জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ্ মো. ওয়ারেছ আলী মামুনকে। জামায়াতের প্রার্থী হয়েছেন জেলা আমির মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুস সাত্তার। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি মোস্তফা কামাল, গণঅধিকার পরিষদের জাকির হোসেন এবং কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী করা হয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আক্কাসকে।

সব মিলিয়ে জামালপুরের ৫ আসনেই নির্বাচনের আমেজ বইতে শুরু করেছে। প্রার্থীরা তাঁদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। ভোটাররাও তাঁদের পছন্দের প্রার্থীকেই ভোট দিতে মুখিয়ে আছেন। তবে নতুন ভোটাররা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে তাঁদের প্রথম ভোট দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনএসআইয়ের ১৩ কর্মকর্তার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

বিএনপির সময় গণমাধ্যম তুলনামূলক বেশি স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল: প্রথম আলো সম্পাদক

‘আমি ওর সঙ্গে এক মিনিট কথা বলতে চাই, শুধু এক মিনিট’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দিপু চন্দ্র দাস ও শিশু আয়েশা হত্যার প্রতিবাদে জাতীয় শ্রমিক শক্তি বিক্ষোভ সমাবেশ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
শাহবাগে জাতীয় শ্রমিক শক্তির বিক্ষোভ সমাবেশ। ছবি: সংগৃহীত
শাহবাগে জাতীয় শ্রমিক শক্তির বিক্ষোভ সমাবেশ। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহে পোশাকশ্রমিক দিপু চন্দ্র দাস এবং লক্ষ্মীপুরে শিশু আয়েশা আক্তারকে নৃশংসভাবে পুড়িয়ে হত্যার প্রতিবাদে ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে এনসিপির অঙ্গসংগঠন জাতীয় শ্রমিক শক্তি। আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে এই সমাবেশে শ্রমিকনেতারা অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারের দাবি জানান।

​রোববার বেলা ৩টায় শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মাজহারুল ইসলাম ফকির, সঞ্চালনা করেন সদস্যসচিব ঋআজ মোর্শেদ।

বক্তারা বলেন, শ্রমিক দিপু চন্দ্র দাস বা শিশু আয়েশার ওপর যে পাশবিকতা চালানো হয়েছে, তা কোনো সভ্য সমাজ মেনে নিতে পারে না। কর্মক্ষেত্রে ও নিজ জনপদে সাধারণ মানুষ ও শ্রমিকদের জানমালের নিরাপত্তা আজ চরম সংকটে। যদি অনতিবিলম্বে খুনিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা না হয়, তবে মেহনতি মানুষ রাজপথে কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।

​বক্তারা আরও বলেন, ‘শ্রমিকেরাই এই দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখে, অথচ তাদের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। শিশু আয়েশার মতো নিষ্পাপ প্রাণের এই মৃত্যু আমাদের বিচারব্যবস্থার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা বিচারহীনতার এই সংস্কৃতি ভাঙতে চাই।’

​সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব ​সাইফ মোস্তাফিজ,​ মুশফিক উস সালেহীন ​মোল্লা ফারুক এহসান, যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ​ভেমপালী ডেভিড রাজু ও কৈলাস চন্দ্র রবিদাস প্রমুখ।

​আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শ্রমিক শক্তির মুখ্য সংগঠক আরমান হোসাইন, ​যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদি হাসান, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব সৌরভ খান সুজন, যুগ্ম সদস্যসচিব তৌফিকুজ্জামান পীরাচাসহ অন্যান্য নেতা।

শ্রমিকশক্তি নেতারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানান এবং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের আহ্বান জানান। তাঁরা আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং একই সঙ্গে সারা দেশে শ্রমিক ও সাধারণ নাগরিকদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনএসআইয়ের ১৩ কর্মকর্তার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

বিএনপির সময় গণমাধ্যম তুলনামূলক বেশি স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল: প্রথম আলো সম্পাদক

‘আমি ওর সঙ্গে এক মিনিট কথা বলতে চাই, শুধু এক মিনিট’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সুদানে ড্রোন হামলায় শহীদ পাকুন্দিয়ার সেনাসদস্য জাহাঙ্গীর আলমের দাফন

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
পাকুন্দিয়ার সেনাসদস্য জাহাঙ্গীর আলমের জানাজা শেষে দাফন। ছবি: আজকের পত্রিকা
পাকুন্দিয়ার সেনাসদস্য জাহাঙ্গীর আলমের জানাজা শেষে দাফন। ছবি: আজকের পত্রিকা

সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেজে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীর ড্রোন হামলায় শহীদ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের (৩০) বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। স্তব্ধ হয়ে গেছে পরিবারের সদস্যরা। জাহাঙ্গীর আলম কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের তারাকান্দি গ্রামের মো. হযরত আলীর ছেলে। ১১ বছরের বেশি সময় ধরে জাহাঙ্গীর আলম সেনাবাহিনীতে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

উপজেলা প্রশাসন জানায়, আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হেলিকপ্টারে করে পাকুন্দিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আনা হয় জাহাঙ্গীর আলমের মরদেহ। সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহ নেওয়া হয় একই উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের তারাকান্দি গ্রামে তাঁর বাড়িতে। বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ির সামনে ফসলের মাঠে তাঁর জানাজা হয়। পরে পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় তাঁকে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জানাজায় অংশ নেন।

জাহাঙ্গীরের স্ত্রীর বড় ভাই মো. ওয়ালী উল্লাহ বলেন, জাহাঙ্গীর শাহাদাতবরণ করেছেন। তাঁর জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন জাহাঙ্গীরকে শহীদ হিসেবে কবুল করেন।

জাহাঙ্গীরের স্ত্রী রুবাইয়া আক্তার স্বামীর ছবি ও তিন বছরের ছেলে ইফরানকে বুকে আঁকড়ে ধরে স্তব্ধ হয়ে বসে থাকছেন। মাঝেমধ্যে চিৎকার করে কেঁদে উঠছেন।

নিহত জাহাঙ্গীরের বাবা হযরত আলী কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমার ছেলে আমাদের সব চালাত। ঋণ করে ঘর বানাচ্ছিল, আশা ছিল, এই ঘরেই থাকবে। সেই আশা আর পূরণ হলো না।’

বুকফাটা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন শহীদ জাহাঙ্গীর আলমের মা পালিমা বেগম। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে কই? কেউ আমার ছেলেরে আইনা দেও। আল্লাহ তুমি আমার ছেলেরে আইন্না দেও। সে কারও ক্ষতি করে নাই। তবু কেন আমার ছেলেটারে মারল?’

পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুপম দাস ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত জাহান বলেন, সেনাসদস্য জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে গর্বিত করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনএসআইয়ের ১৩ কর্মকর্তার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

বিএনপির সময় গণমাধ্যম তুলনামূলক বেশি স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল: প্রথম আলো সম্পাদক

‘আমি ওর সঙ্গে এক মিনিট কথা বলতে চাই, শুধু এক মিনিট’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবি চবির আধিপত্যবাদবিরোধী শিক্ষক ঐক্যের

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষক।

আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনটি হয়।

‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আধিপত্যবাদবিরোধী শিক্ষক ঐক্য’-এর ব্যানারে এটি আয়োজন করা হয়।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সমন্বয়কারী ও মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ফুয়াদ হাসান।

মানববন্ধনে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের পরিণতি যেন হায়দরাবাদ, ফিলিস্তিন ও সিকিমের মতো না হয়, সে জন্য সব ধরনের আধিপত্যবাদী শক্তির আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

শরিফ ওসমান হাদির হত্যার বিচারের দাবি জানিয়ে অধ্যাপক জামাল উদ্দিন আরও বলেন, ‘আমরা যদি আধিপত্যবাদবিরোধী শক্তির ঐক্যের প্রতীক শরিফ ওসমান হাদির হত্যার বিচার না পাই, তাহলে লাখ লাখ মানুষ জানাজায় গিয়ে লাভ নেই। আমাদের ওসমান হাদি হত্যার বিচার নিশ্চিত করতেই হবে।’

ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. নেসারুল করিম বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের যোদ্ধা ওসমান হাদিকে হত্যার মাধ্যমে বিপ্লবের চেতনা দমিয়ে রাখা যাবে না। কেউ যদি মনে করে, জুলাই বিপ্লবের স্পিরিটকে দমিয়ে রাখতে পারবে, তাদের চিন্তাভাবনা ভুল। তারা একজন হাদিকে হত্যা করে বাংলায় লাখো হাদির জন্ম দিয়েছে।’

মানববন্ধন থেকে চার দফা দাবি ঘোষণা করেন ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ। সেগুলো হলো—শহীদ শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকারীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে; শুধু প্রত্যক্ষ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার করলেই হবে না, এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে যেসব মাস্টারমাইন্ড রাজনীতিবিদ অথবা অন্য কুশীলব জড়িত বা ষড়যন্ত্র করেছে বলে প্রতীয়মান হয়, তাদেরও জাতির সামনে উপস্থাপন করতে হবে।

হাদির মতো দ্বিতীয় আর কাউকে যেন জীবন দিতে না হয়, সে জন্য দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে হবে। যেসব ষড়যন্ত্রকারী ও ফ্যাসিস্টের দোসর এখনো দেশের ভেতরে থেকে ষড়যন্ত্র করে বেড়াচ্ছে, তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে; অধিকন্তু, স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও পূরণ না হওয়া যে আকাঙ্ক্ষা অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর অর্পিত হয়েছে, বাংলাদেশে বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি ছিল, সেটির চিরকবর দিয়ে ইনসাফের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহাদাত হোছাইন, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মো. মোজাম্মেল হক, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সেক্রেটারি সালেহ নোমান, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ড. শহীদুল হক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. এনায়েত উল্লাহ পাটওয়ারী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনএসআইয়ের ১৩ কর্মকর্তার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

বিএনপির সময় গণমাধ্যম তুলনামূলক বেশি স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল: প্রথম আলো সম্পাদক

‘আমি ওর সঙ্গে এক মিনিট কথা বলতে চাই, শুধু এক মিনিট’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত