Ajker Patrika

আট মাসে পাঁচ খুনে জড়িত একই গ্যাং

  • আগের খুন ও চাঁদাবাজিতে গ্রেপ্তারের পর জামিনে বেরিয়ে আরেক জোড়া খুনে জড়ান সন্ত্রাসীরা।
  • সব কটি খুনের এজাহারনামীয় আসামি চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ ও তাঁর সহযোগীরা।
সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম 
আপডেট : ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১৪: ৫৩
সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদ। ছবি: সংগৃহীত
সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদ। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটছে। গত আট মাসে গুলি করে পাঁচজনকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। হত্যার এসব ঘটনায় পর্যালোচনা করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এসব হত্যাকাণ্ডে একই গ্যাং জড়িত।

চট্টগ্রামের চান্দগাঁওতে ছয় মাস আগে দিনদুপুরে ছাত্রলীগ কর্মী তাহসিনকে গুলি করে হত্যা করে অস্ত্রধারী একদল সন্ত্রাসী। এ ঘটনার ঠিক দুই মাস আগে একই গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতাসহ আরও দুজনকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ ওঠে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এসব খুনে জড়িত ও সন্দেহভাজন কয়েকজন ধরা পড়লেও পরে জামিনে বেরিয়ে আসেন। জামিনে বেরোনো ও পলাতক এসব সন্ত্রাসীরা সম্প্রতি নগরের বাকলিয়াতে ফিল্মি স্টাইলে প্রাইভেট কার ধাওয়া করে গুলি করে আরও দুজনকে হত্যা করে।

অনুসন্ধান ও পুলিশের তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সাত মাসের ব্যবধানে পৃথক তিন কিলিং মিশনে পাঁচ খুনের ঘটনার সব কটিতেই চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদ ও তাঁর সহযোগীরা জড়িত। এর মধ্যে সব কটি খুনের এজাহারনামীয় আসামি ছোট সাজ্জাদ। বাকি আসামিদের সবাই সাজ্জাদ গ্যাংয়ের সহযোগী।

গত বছরের ২৯ আগস্ট অক্সিজেন-কুয়াইশ সড়কে উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্পাদক মোহাম্মদ আনিস ও মাসুদ (৩০) নামের এক যুবলীগ কর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় বায়েজিদ ও হাটহাজারী থানায় পৃথক দুটি হত্যা মামলা হয়। এতে ছোট সাজ্জাদ, হাসান, আরমান বাচ্চু ওরফে ডাবল হাজি, শাহজাহান ও জাহাঙ্গীরের নাম উল্লেখ করে ৩-৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। একই বছরের ২১ অক্টোবর চান্দগাঁওতে ছাত্রলীগ কর্মী আফতাব উদ্দিন তাহসান নিহতের ঘটনায় আসামি করা হয় ছোট সাজ্জাদ, হাসান, মোহাম্মদ, খোরশেদ ও হেলালকে।

সর্বশেষ গত ২৯ মার্চ দিবাগত রাতে বাকলিয়ায় প্রাইভেট কার ধাওয়া দিয়ে গুলি করে আব্দুল্লাহ আল রিফাত ও বখতেয়ার হোসেন মানিক নামের দুই যুবককে হত্যার ঘটনায় সাজ্জাদসহ তাঁর গ্যাংয়ের সাত সদস্যের নামে এবং অজ্ঞাতনামা ৬-৭ জনকে আসামি করা হয়।

তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অক্সিজেন-কুয়াইশ সড়কে দুই খুনের ঘটনায় চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার ছিল না। গত ১৫ মার্চ ঢাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ গ্রেপ্তার হলে পরে তাঁকে পৃথক দুটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। চান্দগাঁও থানায় তাহসিন হত্যা মামলায় ওই বছরই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের সহযোগী হেলাল। তদন্তে নাম উঠে আসায় গ্রেপ্তার করা হয় ইলিয়াছ হোসেন অপু ও এমরান নামের আরও দুজনকে।

চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি একটি চাঁদাবাজির মামলায় ছোট সাজ্জাদের ঘনিষ্ঠ তিন সহযোগী বোরহান, মোবারক হোসেন ইমন ও বেলালকে গ্রেপ্তার করে বায়েজিদ থানা-পুলিশ। এই তিনজনের মধ্যে বোরহানকে পরে চান্দগাঁও থানায় তাহসিন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

আসামিরা জামিনে এসে জড়ান জোড়া খুনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তাহসিন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার থাকা চার আসামির সবাই বর্তমানে সবাই জামিনে রয়েছেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে জামিনে বের হন তাঁরা। জামিনে বেরিয়ে এসব আসামিদের কারও কারও সংঘবদ্ধ হয়ে পরে ২৯ মার্চ বাকলিয়ায় নতুন করে আরও একটি চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনে জড়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। আগের হত্যা মামলায় পলাতক আসামিরাও বাকলিয়ার কিলিং মিশনে অংশ নিয়েছিল বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, হত্যা ও চাঁদাবাজিতে সম্পৃক্ততার অভিযোগে বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার আসামিরা একে একে জামিনে বেরিয়ে যান। তবে তাঁদের জামিনে বেরোনোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তারা কিছু জানাতে পারেনি এই প্রতিবেদককে।

চান্দগাঁও থানার তাহসিন হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. আবদুল কুদ্দুস বলেন, ‘পূর্বে এই হত্যা মামলায় এজাহারনামীয় আসামি ও তদন্তে পাওয়া সন্দেহজনক আসামি হিসেবে অনেকেই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তাঁরা পরবর্তীতে জামিনে বেরিয়েছে কি না সেটা আমি বলতে পারব না।’

বায়েজিদ থানার ওসি আরিফুর রহমান বলেন, ‘চাঁদার দাবিতে একটি গার্মেন্টসের ঝুটের মালামাল আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার মামলায় বোরহান, ইমন ও বেলালকে গ্রেপ্তার করি। চাঁদাবাজির মামলায় আদালতে চালান করা হয়। পরে তাঁরা কীভাবে জামিনে বেরিয়ে এসেছে—সেটা আমারও প্রশ্ন।’

নগর পুলিশের দক্ষিণ জোনের উপকমিশনার (ডিসি) আলমগীর হোসেন বলেন, জামিনের বিষয়টি পুলিশ দেখে না। এখানে পুলিশের হাত নেই। মহামান্য আদালত আসামিদের জামিনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকেন।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চায়ের দোকানে চলে একটি বাতি-ফ্যান, বিদ্যুৎ বিল এল সাড়ে ৫৫ হাজার টাকা

টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি 
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের লিটুখান বাজারের দোকানদার বাদশা ব্যাপারী। বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বাদশা বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমার দোকানে এত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগই নেই। বিলের নম্বরে ফোন করলে শুধু অফিসে যেতে বলে।’

এমন ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন লিটুখান বাজারের আরেক দোকানদার শহীদ খান। বাজারে খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি ছোট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। প্রতি মাসে যেখানে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল দিতেন, সেখানে এবার বিল এসেছে ২৪ হাজার ২১৬ টাকা। শহীদ বলেন, ‘বিলটা দেখে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। এমন বিল হলে দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।’

বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে এলাকায় এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে। তাঁদের ধারণা, মিটার রিডিং অথবা বিলিং পদ্ধতিতে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক হিসাব ঠিক করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

বিল প্রস্তুতকারী কর্মী সুমি রানী দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তারা অফিসে এলে আমরা সরেজমিন যাচাই করে বিল পুনরায় বিবেচনা করব।’

টঙ্গিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘মিটার রিডিং বা বিলিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা সরেজমিন যাচাই করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেব। ভোক্তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

বগুড়া প্রতিনিধি
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।

এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।

পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অটোরিকশাকে চাপা দিল বাস, প্রাণ গেল তিনজনের

ফরিদপুর প্রতিনিধি
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।  

হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাতিয়ায় ৫৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ, এতিমখানায় বিতরণ

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।

কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত