Ajker Patrika

পাঁচতলা ভবনের এসির আউটডোরে আটকা পড়া শিশুকে উদ্ধার

চাঁদপুর প্রতিনিধি
শিশুটিকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের অভিযান। ছবি: আজকের পত্রিকা
শিশুটিকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের অভিযান। ছবি: আজকের পত্রিকা

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে একটি পাঁচতলা ভবনের বাইরে এসির আউটডোরে আটকা পড়া এক শিশুকে উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। আজ রোববার (৫ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে মো. রায়হান (১০) নামের ওই শিশুকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তবে শিশুটি কীভাবে সেখানে আটকা পড়ল, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ৭ নম্বর ওয়ার্ড টোরাগড় এলাকার তালুকদার বাড়ির সম্মুখে একটি পাঁচতলার ভবনে আল ইহসান মাদ্রাসা রয়েছে। মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী রায়হানকে মাদ্রাসার চতুর্থ তলার এসির আউটডোরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে অভিযান চালান। পাঁচতলা ভবনের ছাদ থেকে দড়ি বেয়ে এক ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ধীরে ধীরে নেমে শিশুটির কাছে পৌঁছান। তিনি শিশুটিকেও দড়ি দিয়ে বেঁধে নেন। তারপর শিশুটিকে নিয়ে আবার ছাদের দিকে ওঠেন। তখন ছাদে থাকা অন্য কর্মীরা শিশুটিকে কোলে তুলে নেন। শিশুটির আটকে পড়া ও উদ্ধার কার্যক্রম দেখতে ভবনের সামনে উৎসুক জনতার ভিড় জমে যায়।

রায়হানকে উদ্ধার করে শিশুটির মা মাহমুদা বেগম ও মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক হাফেজ মো. আরিফ বিল্লাহর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শিশুটির মা মাহমুদা বেগম জানান, পবিত্র কোরআন মাজিদের ১৮ পারার হাফেজ তাঁর ছেলে রায়হান। এর আগেও সে যে মাদ্রাসায় পড়ালেখা করেছে, সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। আজকেও এই মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে, কিন্তু নামতে না পেরে চতুর্থ তলায় এসির আউটডোরে দাঁড়িয়ে থাকে।

মাদ্রাসার মুহতামিম (প্রধান শিক্ষক) হাফেজ মাওলানা মো. আরিফ হোসেন জানান, রায়হানকে দুই দিন আগে মাদ্রাসার হিফজ বিভাগে ভর্তি করানো হয়েছে। আজ সে পালিয়ে যাওয়ার চেস্টা করে এসির আউটডোরে আটকে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করেন। শিশুটিকে তার মা এসে বাড়িতে নিয়ে গেছেন।

হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. বাহার উদ্দিন জানান, শিশুটিকে উদ্ধার করে তার মা ও মাদ্রাসার শিক্ষকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে শিশুটি কীভাবে সেখানে আটকা পড়ল, এ বিষয়ে কেউ বলতে পারেনি। তিনি এ ধরনের (আবাসিক) মাদ্রাসার শিক্ষক ও অভিভাবকদের সতর্ক থাকার অনুরোধ জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...