Ajker Patrika

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ১ ও ২ আসনে আ.লীগের এমপিদের বিরুদ্ধে ৩ স্বতন্ত্র প্রার্থী আলোচনায়

মো. শফিকুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ২০: ৪৯
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ১ ও ২ আসনে আ.লীগের এমপিদের বিরুদ্ধে ৩ স্বতন্ত্র প্রার্থী আলোচনায়

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয়টি আসনে ভোটের মাঠে মোট প্রার্থী ৪৫ জন। তাঁদের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে আলোচনায় রয়েছেন তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা অনেকটা জোরে এবার মাঠে নেমেছেন।

ভোটাররা বলছেন, এই দুই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের গলার কাঁটা স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। কেননা আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের জয়ী হতে হলে তাঁদের সঙ্গে কঠিন লড়াই করতে হবে। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে ছয়জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। তাঁদের অন্যতম বিএনপি চেয়ারপারসনের বহিষ্কৃত উপদেষ্টা স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান। তিনি এই আসনে স্বতন্ত্র ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে একাধিকবার নির্বাচন করেছেন। তবে বিজয়ী হতে পারেননি। 

এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য বি এম ফরহাদ হোসেন। তাঁর সঙ্গে লড়াই হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামানের। ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের একটি অংশ সমর্থন জানিয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে একরামুজ্জামানকে। 

এ ছাড়া নাসির নগরের ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে একাধিক চেয়ারম্যানও তাঁর সঙ্গে মাঠে নেমেছেন। পাশাপাশি নাসিরনগর উপজেলার শীর্ষ দুই-তিনজন ছাড়া মাঠপর্যায়ে বিএনপি নেতা-কর্মীরাও তাঁর সঙ্গে রয়েছেন। যদিও তাঁকে গত ২৮ নভেম্বর বিএনপি সব পদ থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি। পরদিন ২৯ নভেম্বর তাঁকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে জেলা বিএনপি। 

এই ব্যাপারে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান বলেন, ‘আমার বিষয়ে বিএনপি কী বলল, এই ব্যাপারে মন্তব্য করব না। আমি জনগণের মতামত নিয়ে নির্বাচনে এসেছি। আমি জনগণের মনোনীত প্রার্থী।’ 

এ আসনের ভোটার শামিম সরকার জানান, আওয়ামী লীগ প্রার্থীর গলার কাঁটা স্বতন্ত্র প্রার্থী  এ কে একরামুজ্জামন। কেননা, তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী না হলে সহজেই জিততে পারতেন। এখন তাঁকে ভোটের মাঠে লড়াই করতে হবে। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে ১১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দুজন হেভিওয়েট স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে। তাঁরা হলেন দুবারের মহাজোটের সাবেক সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কৃত জিয়াউল হক মৃধা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা মঈন উদ্দিন। এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য শাহজাহান আলম সাজু। 

স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা মহাজোটের সমর্থনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে ২০০৮, ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এ ছাড়া ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ও ২০২৩ সালে এই আসনে উপনির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। তবে তিনি আর জয়ী হতে পারেননি। 

আরেক প্রার্থী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন। সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতা ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে সামান্য ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন। এবারও তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। প্রস্তুতিও নিচ্ছেন ভোটের লড়াইয়ের জন্য। 

স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা বলেন, ‘এই আসনে দুবার সংসদ সদস্য ছিলাম। আমি রওশন এরশাদপন্থী, তাই আমাকে জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এই নির্বাচনে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি।’ 

স্বতন্ত্র প্রার্থী মঈন উদ্দিন বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন মাঠে-ময়দানে জনগণের সঙ্গে কাজ করেছি। তৃণমূল পর্যায়ে আমার রয়েছে গভীর যোগাযোগ। বিগত নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলাম। সামান্য ভোটে হেরেছি। জনগণের চাপে এবার আবারও প্রার্থী হয়েছি।’ 

এই আসনের ভোটার আবুল কাশেম জানান, এই আসনটি দুটি উপজেলা নিয়ে গঠিত। আশুগঞ্জে ভোট কম, সরাইলে ভোট বেশি। ফলে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাজাহান আলম সাজুর নিজ উপজেলায় আশুগঞ্জে বাড়ি মঈন উদ্দিনের। এই দুই প্রার্থী ভোটের ভাগাভাগি সুবিধা নেবে সরাইলে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা। 

বাদ পড়লেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজ: 
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন ফিরোজুর রহমান। তিনি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদীর চৌধুরী। এই নির্বাচনে তাঁর সঙ্গে ভোটের লড়াই হওয়ার কথা ছিল স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমানের সঙ্গে। তবে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় ফিরোজুর রহমানের মনোনয়নপত্রটি বাতিল হয়েছে। 

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনী এলাকার ভোটারের ১ শতাংশ স্বাক্ষর জমা দিতে হয়। নির্বাচন কমিশন থেকে দৈবচয়নের ভিত্তিতে যে ১০ জন ভোটারের স্বাক্ষর যাচাই করা হয়। এর মধ্যে একজন ভোটার স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমানকে স্বাক্ষর দেননি বলে প্রমাণিত হয়েছে। তাই তাঁর মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিকে প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘বর্তমান সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদীর চৌধুরী ও তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী আবু মুছা আনছারির চক্রান্তে আমার মনোনয়নপত্রটি বাতিল হয়েছে। আমি নির্বাচন কমিশনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজশাহীতে র‍্যাবের অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী    
উদ্ধার করা আগ্নেয়াস্ত্র। ছবি: সংগৃহীত
উদ্ধার করা আগ্নেয়াস্ত্র। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীতে পরিত্যক্ত অবস্থায় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে র‍্যাব। গতকাল শনিবার গভীর রাতে র‍্যাব-৫-এর রাজশাহী সদর কোম্পানির একটি দল জেলার তানোর উপজেলার চুনিয়াপাড়া এলাকায় এই অভিযান চালায়। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি খালি ম্যাগাজিন, পাঁচ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ১২টি শটগানের গুলি, চারটি পাইপগান, ছয়টি চিকন পাইপসহ অস্ত্র তৈরির যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়।

আজ রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব এসব তথ্য জানায়। র‍্যাব জানায়, আগ্নেয়াস্ত্রের খোঁজে চুনিয়াপাড়া গ্রামের এন্তাজ আলীর বসতবাড়ির পশ্চিম পাশে গোয়ালঘরের পেছনে রান্নার লাকড়ির নিচে, একই এলাকার আব্দুস সোবাহানের বসতবাড়ির উত্তর পাশে খড়ি রাখার ঘরে খড়ির নিচে এবং জয়নালের বসতবাড়ির উত্তর পাশে খড়ি রাখার ঘরে খড়ির নিচে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশিকালে এসব অস্ত্র উদ্ধার হয়।

উদ্ধার করা অস্ত্র সম্পর্কে স্থানীয় লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও তাঁরা কোনো তথ্য দিতে পারেননি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছ থেকে অস্ত্রগুলোর উৎস বা মালিকানা সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে র‍্যাব জানিয়েছে। তাই একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে অস্ত্রগুলো তানোর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের শনাক্ত ও আইনের আওতায় আনতে তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলেও জানিয়েছে র‍্যাব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

খুলনা প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

খুলনার ডুমুরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় দেবাশীষ চক্রবর্তী (৩৫) নামের মোটরসাইকেল আরোহী এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ রোববার সকাল সোয়া ৮টার দিকে উপজেলার আঠারো মাইল এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

নিহত যুবক সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার মধুসূদন চক্রবর্তীর ছেলে। এ ঘটনায় চালক মো. আতিয়ার রহমান গুরুতর আহত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ডুমুরিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নুরুজ্জামান চানু বলেন, আজ সকালে মোটরসাইকেলচালক আতিয়ার রহমান আরোহীসহ তালা থেকে খুলনার উদ্দেশে রওনা হন। ৮টা ২০ মিনিটের দিকে মোটরসাইকেলটি ডুমুরিয়া উপজেলার আঠারো মাইল মোড়ে টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস কাউন্টারের সামনে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক ধাক্কা দেয়।

এ ঘটনায় মোটরসাইকেলচালক ও আরোহী গুরুতর আহত হলে উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের দুজনকে চিকিৎসার জন্য তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। সেখানকার চিকিৎসক দেবাশীষ চক্রবর্তীকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে আহত মোটরসাইকেলচালক আতিয়ার রহমানকে চিকিৎসার জন্য ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।

নিহত যুবক সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার মধুসূদন চক্রবর্তীর ছেলে। এ ঘটনায় চালক মো. আতিয়ার রহমান গুরুতর আহত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ডুমুরিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নুরুজ্জামান চানু বলেন, আজ সকালে মোটরসাইকেলচালক আতিয়ার রহমান আরোহীসহ তালা থেকে খুলনার উদ্দেশে রওনা হন। ৮টা ২০ মিনিটের দিকে মোটরসাইকেলটি ডুমুরিয়া উপজেলার আঠারো মাইল মোড়ে টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস কাউন্টারের সামনে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক ধাক্কা দেয়।

এ ঘটনায় মোটরসাইকেলচালক ও আরোহী গুরুতর আহত হলে উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের দুজনকে চিকিৎসার জন্য তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। সেখানকার চিকিৎসক দেবাশীষ চক্রবর্তীকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে আহত মোটরসাইকেলচালক আতিয়ার রহমানকে চিকিৎসার জন্য ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদির হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে আজ রোববার নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে আজ রোববার নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছে ছাত্র-জনতা। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে সাইনবোর্ড এলাকায় তারা মহাসড়কে অবস্থান নেয়।

অবরোধের কারণে মহাসড়কটি দিয়ে ওই এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে উভয় লেনে প্রায় তিন কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। অবরোধের মধ্যে অ্যাম্বুলেন্স চলাচল স্বাভাবিক ছিল।

সরেজমিন দেখা গেছে, প্রায় ৪০-৪৫ জন ছাত্র-জনতা একত্র হয়ে মহাসড়কের সাইনবোর্ডে জড়ো হয়ে হাদি হত্যার বিচারের দাবি জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অঙ্গ সংগঠন জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক নীরব রায়হান বলেন, ‘ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে ইনকিলাব মঞ্চের ডাকা বিভাগীয় কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করে আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী মাঠে নেমেছি। হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা লড়ে যাব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিলেটে পরিত্যক্ত অবস্থায় অবিস্ফোরিত মর্টার শেল উদ্ধার

গোয়াইনঘাট (সিলেট) প্রতিনিধি 
সিলেটে পরিত্যক্ত অবস্থায় অবিস্ফোরিত মর্টার শেল উদ্ধার। ছবি: আজকের পত্রিকা
সিলেটে পরিত্যক্ত অবস্থায় অবিস্ফোরিত মর্টার শেল উদ্ধার। ছবি: আজকের পত্রিকা

সিলেটের গোয়াইনঘাটে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি অবিস্ফোরিত মর্টার শেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার উপজেলার জাফলং বাজারের ভাঙারি দোকানের সামনে থেকে মর্টার শেলটি উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, উদ্ধার করা মর্টার শেলটি মুক্তিযুদ্ধকালীন হতে পারে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জাফলং বাজারের একটি ভাঙারি দোকানের সামনে থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় মর্টার শেলের মতো একটি সন্দেহজনক বস্তু দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তাঁরা দ্রুত গোয়াইনঘাট থানা-পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন।

খবর পেয়ে গোয়াইনঘাট থানার পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের বিট অফিসার (এসআই) আব্দুল হান্নানসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে মর্টার শেলটি উদ্ধার করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, জাফলং বাজারের বাচ্চু মিয়ার ভাঙারির দোকানের সামনে স্থানীয় লোকজন পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি পুরোনো মর্টার শেল দেখতে পান।

তাৎক্ষণিক স্থানীয় লোকজন গোয়াইনঘাট থানা-পুলিশকে বিষয়টি অবগত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভাঙারির দোকানে সামনে পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা মর্টার শেল এলাকাটি বেষ্টনী করে রাখে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পরবর্তী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত