তারিকুল ইসলাম কাজী রাকিব, পাথরঘাটা (বরগুনা)

অব্যবস্থাপনাসহ নানা সংকট ও সমস্যায় জর্জরিত হয়ে আছে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাসপাতালটিতে পর্যাপ্তসংখ্যক চিকিৎসক, নার্স, সহায়ক ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী নেই। এ দিকে হাসপাতালের ইসিজি মেশিনসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি বিকল হয়ে পড়ে আছে। এতে সেখানে ঠিকমতো পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করা যায় না। ফলে রোগীরা চিকিৎসা নিতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, অবস্থা এতটাই নাজুক যে সেখানে কোনো রোগী মারা গেলেও অফিশিয়ালি ‘মৃত ঘোষণা’ করা যায় না। কারণ এখানে নেই ইসিজি বা প্রয়োজনীয় অন্যান্য যন্ত্রপাতি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নীল রতন সরকার।
গতকাল সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, শুধু চিকিৎসার সংকট নয়, অবকাঠামোগত দিক থেকেও পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবস্থা করুণ। হাসপাতালটির স্যানিটেশন ব্যবস্থা ভাঙাচোরা। রোগী ও স্বজনদের জন্য থাকা শৌচাগারে দরজা নেই, পানির সরবরাহ অপ্রতুল। নারী রোগীদের জন্য আলাদা টয়লেট থাকলেও তা ব্যবহারের অনুপযোগী। এমনকি ভিআইপি কেবিনের বাথরুমের অবস্থাও বেহাল। অপর দিকে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে রোগী ভর্তি থাকে ৬০ থেকে ৭০ জন।
এ দিকে হাসপাতালটির অনুমোদিত জনবলকাঠামো অনুযায়ী ২০৭ জনের পদ থাকলেও ১১৪টি পদ খালি। এর মধ্যে ৩১ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ৪ জন। যাঁরা আছেন তাঁদেরও অনেকে ছুটিতে বা প্রশিক্ষণে থাকেন, ফলে প্রতিদিনের ডিউটিতে উপস্থিত থাকেন দু-তিনজন চিকিৎসক। একইভাবে ৩৬ জন নার্সের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র ২২ জন, আর সহকারী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী মিলিয়ে জনবল অর্ধেকের কম।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, এখানকার একমাত্র ইসিজি মেশিনটি কয়েক বছর ধরে বিকল অবস্থায় পড়ে আছে। এতে কোনো রোগী অজ্ঞান হয়ে গেলে বা হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হলে চিকিৎসকেরা নিশ্চিত হওয়ার জন্য পরীক্ষা করে দেখতে পারেন না রোগী জীবিত না মৃত। বাধ্য হয়ে রোগীর স্বজনদের দিয়ে স্থানীয় বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে ইসিজি মেশিন এনে পরীক্ষা করতে হয়। এতে সময় নষ্ট হয়, পাশাপাশি বাড়ে খরচ। ভোগান্তি তো রয়েছেই।
হাসপাতালে রক্ত, প্রস্রাব পরীক্ষা, এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রামসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। ফলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রোগীদের বলা হয় বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে পরীক্ষা করিয়ে আনতে।
পাথরঘাটার স্থানীয় বাসিন্দা মাইনুল ইসলাম সোহেল জানান, সম্প্রতি এক নারী অসুস্থ হয়ে পড়লে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। দীর্ঘক্ষণ পর বাইরে থেকে ইসিজি মেশিন আনিয়ে পরীক্ষা করে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আবদুল হামিদ নামের এক রোগীর স্বজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এখানে চিকিৎসা নিতে এলে মনে হয় সরকারি হাসপাতাল নয়, জরাজীর্ণ কোনো পরিত্যক্ত ভবন। ডাক্তার পাওয়া যায় না, টয়লেটে দরজা নেই, রোগীরা গরমে কষ্টে ছটফট করে।’
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ল্যাব টেকনোলজিস্ট মোহাম্মদ জুয়েল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে থাকা যন্ত্রপাতির অনেকগুলোই পুরোনো ও বিকল। নতুন সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়নি দীর্ঘদিন ধরে। ফলে অনেক পরীক্ষা হাসপাতালের ভেতরে করা সম্ভব হয় না।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা সরকারি হাসপাতালে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের যন্ত্র এনে রোগী পরীক্ষা করি—এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। অথচ আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বহুবার জানিয়েছি। এখনো কোনো ব্যবস্থা হয়নি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) নীল রতন সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, দীর্ঘ বছর ধরেই পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবস্থা বেহাল।
এ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি অফিশিয়াল কাজের মধ্যেও জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ, অন্তর্বিভাগ সামলাচ্ছি। শুধু ডাক্তার বা নার্সের সংকট নয়, এখানে কোনো পরিচ্ছন্নতাকর্মীও নেই। বাইরে থেকে লোক নিয়োগ দিয়ে কাজ করাচ্ছি। ইতিমধ্যে ইসিজি মেশিন ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি মেরামত বা সরবরাহের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে কয়েকবার লিখিতভাবে জানিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, জনবলসংকটের বিষয়টিও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অবহিত করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সমাধান আসবে।’

অব্যবস্থাপনাসহ নানা সংকট ও সমস্যায় জর্জরিত হয়ে আছে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাসপাতালটিতে পর্যাপ্তসংখ্যক চিকিৎসক, নার্স, সহায়ক ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী নেই। এ দিকে হাসপাতালের ইসিজি মেশিনসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি বিকল হয়ে পড়ে আছে। এতে সেখানে ঠিকমতো পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করা যায় না। ফলে রোগীরা চিকিৎসা নিতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, অবস্থা এতটাই নাজুক যে সেখানে কোনো রোগী মারা গেলেও অফিশিয়ালি ‘মৃত ঘোষণা’ করা যায় না। কারণ এখানে নেই ইসিজি বা প্রয়োজনীয় অন্যান্য যন্ত্রপাতি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নীল রতন সরকার।
গতকাল সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, শুধু চিকিৎসার সংকট নয়, অবকাঠামোগত দিক থেকেও পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবস্থা করুণ। হাসপাতালটির স্যানিটেশন ব্যবস্থা ভাঙাচোরা। রোগী ও স্বজনদের জন্য থাকা শৌচাগারে দরজা নেই, পানির সরবরাহ অপ্রতুল। নারী রোগীদের জন্য আলাদা টয়লেট থাকলেও তা ব্যবহারের অনুপযোগী। এমনকি ভিআইপি কেবিনের বাথরুমের অবস্থাও বেহাল। অপর দিকে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে রোগী ভর্তি থাকে ৬০ থেকে ৭০ জন।
এ দিকে হাসপাতালটির অনুমোদিত জনবলকাঠামো অনুযায়ী ২০৭ জনের পদ থাকলেও ১১৪টি পদ খালি। এর মধ্যে ৩১ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ৪ জন। যাঁরা আছেন তাঁদেরও অনেকে ছুটিতে বা প্রশিক্ষণে থাকেন, ফলে প্রতিদিনের ডিউটিতে উপস্থিত থাকেন দু-তিনজন চিকিৎসক। একইভাবে ৩৬ জন নার্সের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র ২২ জন, আর সহকারী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী মিলিয়ে জনবল অর্ধেকের কম।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, এখানকার একমাত্র ইসিজি মেশিনটি কয়েক বছর ধরে বিকল অবস্থায় পড়ে আছে। এতে কোনো রোগী অজ্ঞান হয়ে গেলে বা হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হলে চিকিৎসকেরা নিশ্চিত হওয়ার জন্য পরীক্ষা করে দেখতে পারেন না রোগী জীবিত না মৃত। বাধ্য হয়ে রোগীর স্বজনদের দিয়ে স্থানীয় বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে ইসিজি মেশিন এনে পরীক্ষা করতে হয়। এতে সময় নষ্ট হয়, পাশাপাশি বাড়ে খরচ। ভোগান্তি তো রয়েছেই।
হাসপাতালে রক্ত, প্রস্রাব পরীক্ষা, এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রামসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। ফলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রোগীদের বলা হয় বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে পরীক্ষা করিয়ে আনতে।
পাথরঘাটার স্থানীয় বাসিন্দা মাইনুল ইসলাম সোহেল জানান, সম্প্রতি এক নারী অসুস্থ হয়ে পড়লে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। দীর্ঘক্ষণ পর বাইরে থেকে ইসিজি মেশিন আনিয়ে পরীক্ষা করে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আবদুল হামিদ নামের এক রোগীর স্বজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এখানে চিকিৎসা নিতে এলে মনে হয় সরকারি হাসপাতাল নয়, জরাজীর্ণ কোনো পরিত্যক্ত ভবন। ডাক্তার পাওয়া যায় না, টয়লেটে দরজা নেই, রোগীরা গরমে কষ্টে ছটফট করে।’
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ল্যাব টেকনোলজিস্ট মোহাম্মদ জুয়েল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে থাকা যন্ত্রপাতির অনেকগুলোই পুরোনো ও বিকল। নতুন সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়নি দীর্ঘদিন ধরে। ফলে অনেক পরীক্ষা হাসপাতালের ভেতরে করা সম্ভব হয় না।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা সরকারি হাসপাতালে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের যন্ত্র এনে রোগী পরীক্ষা করি—এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। অথচ আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বহুবার জানিয়েছি। এখনো কোনো ব্যবস্থা হয়নি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) নীল রতন সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, দীর্ঘ বছর ধরেই পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবস্থা বেহাল।
এ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি অফিশিয়াল কাজের মধ্যেও জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ, অন্তর্বিভাগ সামলাচ্ছি। শুধু ডাক্তার বা নার্সের সংকট নয়, এখানে কোনো পরিচ্ছন্নতাকর্মীও নেই। বাইরে থেকে লোক নিয়োগ দিয়ে কাজ করাচ্ছি। ইতিমধ্যে ইসিজি মেশিন ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি মেরামত বা সরবরাহের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে কয়েকবার লিখিতভাবে জানিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, জনবলসংকটের বিষয়টিও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অবহিত করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সমাধান আসবে।’
তারিকুল ইসলাম কাজী রাকিব, পাথরঘাটা (বরগুনা)

অব্যবস্থাপনাসহ নানা সংকট ও সমস্যায় জর্জরিত হয়ে আছে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাসপাতালটিতে পর্যাপ্তসংখ্যক চিকিৎসক, নার্স, সহায়ক ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী নেই। এ দিকে হাসপাতালের ইসিজি মেশিনসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি বিকল হয়ে পড়ে আছে। এতে সেখানে ঠিকমতো পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করা যায় না। ফলে রোগীরা চিকিৎসা নিতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, অবস্থা এতটাই নাজুক যে সেখানে কোনো রোগী মারা গেলেও অফিশিয়ালি ‘মৃত ঘোষণা’ করা যায় না। কারণ এখানে নেই ইসিজি বা প্রয়োজনীয় অন্যান্য যন্ত্রপাতি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নীল রতন সরকার।
গতকাল সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, শুধু চিকিৎসার সংকট নয়, অবকাঠামোগত দিক থেকেও পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবস্থা করুণ। হাসপাতালটির স্যানিটেশন ব্যবস্থা ভাঙাচোরা। রোগী ও স্বজনদের জন্য থাকা শৌচাগারে দরজা নেই, পানির সরবরাহ অপ্রতুল। নারী রোগীদের জন্য আলাদা টয়লেট থাকলেও তা ব্যবহারের অনুপযোগী। এমনকি ভিআইপি কেবিনের বাথরুমের অবস্থাও বেহাল। অপর দিকে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে রোগী ভর্তি থাকে ৬০ থেকে ৭০ জন।
এ দিকে হাসপাতালটির অনুমোদিত জনবলকাঠামো অনুযায়ী ২০৭ জনের পদ থাকলেও ১১৪টি পদ খালি। এর মধ্যে ৩১ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ৪ জন। যাঁরা আছেন তাঁদেরও অনেকে ছুটিতে বা প্রশিক্ষণে থাকেন, ফলে প্রতিদিনের ডিউটিতে উপস্থিত থাকেন দু-তিনজন চিকিৎসক। একইভাবে ৩৬ জন নার্সের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র ২২ জন, আর সহকারী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী মিলিয়ে জনবল অর্ধেকের কম।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, এখানকার একমাত্র ইসিজি মেশিনটি কয়েক বছর ধরে বিকল অবস্থায় পড়ে আছে। এতে কোনো রোগী অজ্ঞান হয়ে গেলে বা হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হলে চিকিৎসকেরা নিশ্চিত হওয়ার জন্য পরীক্ষা করে দেখতে পারেন না রোগী জীবিত না মৃত। বাধ্য হয়ে রোগীর স্বজনদের দিয়ে স্থানীয় বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে ইসিজি মেশিন এনে পরীক্ষা করতে হয়। এতে সময় নষ্ট হয়, পাশাপাশি বাড়ে খরচ। ভোগান্তি তো রয়েছেই।
হাসপাতালে রক্ত, প্রস্রাব পরীক্ষা, এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রামসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। ফলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রোগীদের বলা হয় বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে পরীক্ষা করিয়ে আনতে।
পাথরঘাটার স্থানীয় বাসিন্দা মাইনুল ইসলাম সোহেল জানান, সম্প্রতি এক নারী অসুস্থ হয়ে পড়লে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। দীর্ঘক্ষণ পর বাইরে থেকে ইসিজি মেশিন আনিয়ে পরীক্ষা করে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আবদুল হামিদ নামের এক রোগীর স্বজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এখানে চিকিৎসা নিতে এলে মনে হয় সরকারি হাসপাতাল নয়, জরাজীর্ণ কোনো পরিত্যক্ত ভবন। ডাক্তার পাওয়া যায় না, টয়লেটে দরজা নেই, রোগীরা গরমে কষ্টে ছটফট করে।’
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ল্যাব টেকনোলজিস্ট মোহাম্মদ জুয়েল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে থাকা যন্ত্রপাতির অনেকগুলোই পুরোনো ও বিকল। নতুন সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়নি দীর্ঘদিন ধরে। ফলে অনেক পরীক্ষা হাসপাতালের ভেতরে করা সম্ভব হয় না।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা সরকারি হাসপাতালে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের যন্ত্র এনে রোগী পরীক্ষা করি—এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। অথচ আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বহুবার জানিয়েছি। এখনো কোনো ব্যবস্থা হয়নি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) নীল রতন সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, দীর্ঘ বছর ধরেই পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবস্থা বেহাল।
এ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি অফিশিয়াল কাজের মধ্যেও জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ, অন্তর্বিভাগ সামলাচ্ছি। শুধু ডাক্তার বা নার্সের সংকট নয়, এখানে কোনো পরিচ্ছন্নতাকর্মীও নেই। বাইরে থেকে লোক নিয়োগ দিয়ে কাজ করাচ্ছি। ইতিমধ্যে ইসিজি মেশিন ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি মেরামত বা সরবরাহের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে কয়েকবার লিখিতভাবে জানিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, জনবলসংকটের বিষয়টিও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অবহিত করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সমাধান আসবে।’

অব্যবস্থাপনাসহ নানা সংকট ও সমস্যায় জর্জরিত হয়ে আছে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাসপাতালটিতে পর্যাপ্তসংখ্যক চিকিৎসক, নার্স, সহায়ক ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী নেই। এ দিকে হাসপাতালের ইসিজি মেশিনসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি বিকল হয়ে পড়ে আছে। এতে সেখানে ঠিকমতো পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করা যায় না। ফলে রোগীরা চিকিৎসা নিতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, অবস্থা এতটাই নাজুক যে সেখানে কোনো রোগী মারা গেলেও অফিশিয়ালি ‘মৃত ঘোষণা’ করা যায় না। কারণ এখানে নেই ইসিজি বা প্রয়োজনীয় অন্যান্য যন্ত্রপাতি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নীল রতন সরকার।
গতকাল সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, শুধু চিকিৎসার সংকট নয়, অবকাঠামোগত দিক থেকেও পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবস্থা করুণ। হাসপাতালটির স্যানিটেশন ব্যবস্থা ভাঙাচোরা। রোগী ও স্বজনদের জন্য থাকা শৌচাগারে দরজা নেই, পানির সরবরাহ অপ্রতুল। নারী রোগীদের জন্য আলাদা টয়লেট থাকলেও তা ব্যবহারের অনুপযোগী। এমনকি ভিআইপি কেবিনের বাথরুমের অবস্থাও বেহাল। অপর দিকে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে রোগী ভর্তি থাকে ৬০ থেকে ৭০ জন।
এ দিকে হাসপাতালটির অনুমোদিত জনবলকাঠামো অনুযায়ী ২০৭ জনের পদ থাকলেও ১১৪টি পদ খালি। এর মধ্যে ৩১ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ৪ জন। যাঁরা আছেন তাঁদেরও অনেকে ছুটিতে বা প্রশিক্ষণে থাকেন, ফলে প্রতিদিনের ডিউটিতে উপস্থিত থাকেন দু-তিনজন চিকিৎসক। একইভাবে ৩৬ জন নার্সের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র ২২ জন, আর সহকারী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী মিলিয়ে জনবল অর্ধেকের কম।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, এখানকার একমাত্র ইসিজি মেশিনটি কয়েক বছর ধরে বিকল অবস্থায় পড়ে আছে। এতে কোনো রোগী অজ্ঞান হয়ে গেলে বা হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হলে চিকিৎসকেরা নিশ্চিত হওয়ার জন্য পরীক্ষা করে দেখতে পারেন না রোগী জীবিত না মৃত। বাধ্য হয়ে রোগীর স্বজনদের দিয়ে স্থানীয় বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে ইসিজি মেশিন এনে পরীক্ষা করতে হয়। এতে সময় নষ্ট হয়, পাশাপাশি বাড়ে খরচ। ভোগান্তি তো রয়েছেই।
হাসপাতালে রক্ত, প্রস্রাব পরীক্ষা, এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রামসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। ফলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রোগীদের বলা হয় বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে পরীক্ষা করিয়ে আনতে।
পাথরঘাটার স্থানীয় বাসিন্দা মাইনুল ইসলাম সোহেল জানান, সম্প্রতি এক নারী অসুস্থ হয়ে পড়লে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। দীর্ঘক্ষণ পর বাইরে থেকে ইসিজি মেশিন আনিয়ে পরীক্ষা করে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আবদুল হামিদ নামের এক রোগীর স্বজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এখানে চিকিৎসা নিতে এলে মনে হয় সরকারি হাসপাতাল নয়, জরাজীর্ণ কোনো পরিত্যক্ত ভবন। ডাক্তার পাওয়া যায় না, টয়লেটে দরজা নেই, রোগীরা গরমে কষ্টে ছটফট করে।’
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ল্যাব টেকনোলজিস্ট মোহাম্মদ জুয়েল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে থাকা যন্ত্রপাতির অনেকগুলোই পুরোনো ও বিকল। নতুন সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়নি দীর্ঘদিন ধরে। ফলে অনেক পরীক্ষা হাসপাতালের ভেতরে করা সম্ভব হয় না।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা সরকারি হাসপাতালে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের যন্ত্র এনে রোগী পরীক্ষা করি—এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। অথচ আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বহুবার জানিয়েছি। এখনো কোনো ব্যবস্থা হয়নি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) নীল রতন সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, দীর্ঘ বছর ধরেই পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবস্থা বেহাল।
এ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি অফিশিয়াল কাজের মধ্যেও জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ, অন্তর্বিভাগ সামলাচ্ছি। শুধু ডাক্তার বা নার্সের সংকট নয়, এখানে কোনো পরিচ্ছন্নতাকর্মীও নেই। বাইরে থেকে লোক নিয়োগ দিয়ে কাজ করাচ্ছি। ইতিমধ্যে ইসিজি মেশিন ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি মেরামত বা সরবরাহের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে কয়েকবার লিখিতভাবে জানিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, জনবলসংকটের বিষয়টিও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অবহিত করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সমাধান আসবে।’

রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে আনন্দঘন ও উৎসবের আমেজে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত জোন কমান্ডার’স স্কলারশিপ-২৫। কাপ্তাই জোনের ৩৮ বীরের পরিচালনায় এবং শিশু নিকেতন স্কুল কাপ্তাইয়ের আয়োজনে এই বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার (৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা সোয়া ১১টা...
৪ মিনিট আগে
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাঁজা বিক্রি করতে নিষেধ করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্যকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে মামলা তদন্তে থাকা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
৮ মিনিট আগে
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দুটি মাইক্রোবাসসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন দুই দিনের সরকারি সফরে নিজ জেলা পাবনায় পৌঁছেছেন। শনিবার (৮ নভেম্বর) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে তিনি হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা থেকে পাবনা স্টেডিয়ামে পৌঁছান। এ সময় পাবনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার মোরতোজা আলী খান তাঁকে স্বাগত জানান।
২ ঘণ্টা আগেকাপ্তাই ( রাঙামাটি) প্রতিনিধি

রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে আনন্দঘন ও উৎসবের আমেজে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত জোন কমান্ডার’স স্কলারশিপ-২৫। কাপ্তাই জোনের ৩৮ বীরের পরিচালনায় এবং শিশু নিকেতন স্কুল কাপ্তাইয়ের আয়োজনে এই বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার (৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা সোয়া ১১টা পর্যন্ত এই পরীক্ষা শিশু নিকেতন স্কুল কাপ্তাই কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়।
শিশু নিকেতন স্কুলের অধ্যক্ষ রেহানা আক্তার বলেন, কাপ্তাই, রাঙ্গুনিয়া উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলার ২৮টি প্রাথমিক ও ১৩টি মাধ্যমিক স্কুল থেকে তৃতীয় শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণির ৩৪০ জন পরীক্ষার্থী এই স্কলারশিপ পরীক্ষায় অংশ নেয়।
রেহানা আক্তার আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের দুটি বিভাগে ভাগ করা হয়। ক বিভাগ হলো, তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি এবং খ বিভাগ ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি।
অর্জিত নম্বরের ভিত্তিতে বিগত বছরের মতো ট্যালেন্টপুল ও সাধারণ গ্রেড ক্যাটাগরিতে বৃত্তি দেওয়া হবে। এ ছাড়া সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত দুই শিক্ষার্থীকে বিশেষ সম্মাননা ক্রেস্ট, শিক্ষা উপকরণ এবং মাসিক স্কলারশিপ দেওয়া হবে।
অধ্যক্ষ রেহানা আক্তার বলেন, ‘এই স্কলারশিপের মাধ্যমে এলাকার শিক্ষার্থীদের মেধার বহিঃপ্রকাশ ঘটে এবং এটি ভবিষ্যতে আরও বেশি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশ নিতে তাদের উদ্বুদ্ধ করে।’ তিনি কাপ্তাই জোনের অধিনায়কের প্রতি অনুরোধ জানান যেন কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে এই স্কলারশিপ কার্যক্রম চলমান থাকে।
এদিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ৩৮ বীরের অধিনায়ক লে. কর্নেল নাজমুল কাদির শুভ সকাল সাড়ে ১০টায় পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে ৩৮ বীরের উপ-অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান এবং শিশু নিকেতন স্কুলের অধ্যক্ষ রেহানা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।

রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে আনন্দঘন ও উৎসবের আমেজে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত জোন কমান্ডার’স স্কলারশিপ-২৫। কাপ্তাই জোনের ৩৮ বীরের পরিচালনায় এবং শিশু নিকেতন স্কুল কাপ্তাইয়ের আয়োজনে এই বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার (৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা সোয়া ১১টা পর্যন্ত এই পরীক্ষা শিশু নিকেতন স্কুল কাপ্তাই কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়।
শিশু নিকেতন স্কুলের অধ্যক্ষ রেহানা আক্তার বলেন, কাপ্তাই, রাঙ্গুনিয়া উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলার ২৮টি প্রাথমিক ও ১৩টি মাধ্যমিক স্কুল থেকে তৃতীয় শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণির ৩৪০ জন পরীক্ষার্থী এই স্কলারশিপ পরীক্ষায় অংশ নেয়।
রেহানা আক্তার আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের দুটি বিভাগে ভাগ করা হয়। ক বিভাগ হলো, তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি এবং খ বিভাগ ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি।
অর্জিত নম্বরের ভিত্তিতে বিগত বছরের মতো ট্যালেন্টপুল ও সাধারণ গ্রেড ক্যাটাগরিতে বৃত্তি দেওয়া হবে। এ ছাড়া সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত দুই শিক্ষার্থীকে বিশেষ সম্মাননা ক্রেস্ট, শিক্ষা উপকরণ এবং মাসিক স্কলারশিপ দেওয়া হবে।
অধ্যক্ষ রেহানা আক্তার বলেন, ‘এই স্কলারশিপের মাধ্যমে এলাকার শিক্ষার্থীদের মেধার বহিঃপ্রকাশ ঘটে এবং এটি ভবিষ্যতে আরও বেশি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশ নিতে তাদের উদ্বুদ্ধ করে।’ তিনি কাপ্তাই জোনের অধিনায়কের প্রতি অনুরোধ জানান যেন কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে এই স্কলারশিপ কার্যক্রম চলমান থাকে।
এদিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ৩৮ বীরের অধিনায়ক লে. কর্নেল নাজমুল কাদির শুভ সকাল সাড়ে ১০টায় পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে ৩৮ বীরের উপ-অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান এবং শিশু নিকেতন স্কুলের অধ্যক্ষ রেহানা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।

অব্যবস্থাপনাসহ নানা সংকট ও সমস্যায় জর্জরিত হয়ে আছে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাসপাতালটিতে পর্যাপ্তসংখ্যক চিকিৎসক, নার্স, সহায়ক ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী নেই। এ দিকে হাসপাতালের ইসিজি মেশিনসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি বিকল হয়ে পড়ে আছে। এতে সেখানে ঠিকমতো পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করা
১৪ অক্টোবর ২০২৫
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাঁজা বিক্রি করতে নিষেধ করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্যকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে মামলা তদন্তে থাকা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
৮ মিনিট আগে
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দুটি মাইক্রোবাসসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন দুই দিনের সরকারি সফরে নিজ জেলা পাবনায় পৌঁছেছেন। শনিবার (৮ নভেম্বর) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে তিনি হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা থেকে পাবনা স্টেডিয়ামে পৌঁছান। এ সময় পাবনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার মোরতোজা আলী খান তাঁকে স্বাগত জানান।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাঁজা বিক্রি করতে নিষেধ করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্যকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। আদালতে জমা দেওয়া অভিযোগপত্রে এমনটিই বলেছে মামলার তদন্তের দায়িত্বে থাকা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
গত বৃহস্পতিবার সাত জনকে অভিযুক্ত করে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। আজ শনিবার গণমাধ্যমকে এ কথা জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আখতার মোর্শেদ।
অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিরা হলেন— মেহেদী হাসান, মো. রাব্বি ওরফে কবুতর রাব্বি, মো. রিপন ওরফে আকাশ, নাহিদ হাসান পাপেল, মো. হৃদয় ইসলাম, মো. হারুন অর রশিদ সোহাগ ওরফে লম্বু সোহাগ ও মো. রবিন। অভিযুক্তদের সবাই মাদক কারবারি বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চারজনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আখতার মোর্শেদ। অব্যাহতির সুপারিশ পাওয়া চারজন হলেন—তামিম হাওলাদার, সম্রাট মল্লিক, পলাশ সরদার ও সুজন সরকার।
গত ১৩ মে রাত ১১টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে ছুরিকাঘাতে আহত হন শাহরিয়ার আলম সাম্য (২৫)। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে ১২টার দিকে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পরদিন ১৪ মে সকালে নিহতের বড় ভাই শরীফুল ইসলাম শাহবাগ থানায় ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
শাহরিয়ার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র এবং এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাঁজা বিক্রি করতে নিষেধ করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্যকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। আদালতে জমা দেওয়া অভিযোগপত্রে এমনটিই বলেছে মামলার তদন্তের দায়িত্বে থাকা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
গত বৃহস্পতিবার সাত জনকে অভিযুক্ত করে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। আজ শনিবার গণমাধ্যমকে এ কথা জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আখতার মোর্শেদ।
অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিরা হলেন— মেহেদী হাসান, মো. রাব্বি ওরফে কবুতর রাব্বি, মো. রিপন ওরফে আকাশ, নাহিদ হাসান পাপেল, মো. হৃদয় ইসলাম, মো. হারুন অর রশিদ সোহাগ ওরফে লম্বু সোহাগ ও মো. রবিন। অভিযুক্তদের সবাই মাদক কারবারি বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চারজনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আখতার মোর্শেদ। অব্যাহতির সুপারিশ পাওয়া চারজন হলেন—তামিম হাওলাদার, সম্রাট মল্লিক, পলাশ সরদার ও সুজন সরকার।
গত ১৩ মে রাত ১১টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে ছুরিকাঘাতে আহত হন শাহরিয়ার আলম সাম্য (২৫)। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে ১২টার দিকে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পরদিন ১৪ মে সকালে নিহতের বড় ভাই শরীফুল ইসলাম শাহবাগ থানায় ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
শাহরিয়ার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র এবং এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক।

অব্যবস্থাপনাসহ নানা সংকট ও সমস্যায় জর্জরিত হয়ে আছে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাসপাতালটিতে পর্যাপ্তসংখ্যক চিকিৎসক, নার্স, সহায়ক ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী নেই। এ দিকে হাসপাতালের ইসিজি মেশিনসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি বিকল হয়ে পড়ে আছে। এতে সেখানে ঠিকমতো পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করা
১৪ অক্টোবর ২০২৫
রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে আনন্দঘন ও উৎসবের আমেজে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত জোন কমান্ডার’স স্কলারশিপ-২৫। কাপ্তাই জোনের ৩৮ বীরের পরিচালনায় এবং শিশু নিকেতন স্কুল কাপ্তাইয়ের আয়োজনে এই বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার (৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা সোয়া ১১টা...
৪ মিনিট আগে
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দুটি মাইক্রোবাসসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন দুই দিনের সরকারি সফরে নিজ জেলা পাবনায় পৌঁছেছেন। শনিবার (৮ নভেম্বর) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে তিনি হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা থেকে পাবনা স্টেডিয়ামে পৌঁছান। এ সময় পাবনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার মোরতোজা আলী খান তাঁকে স্বাগত জানান।
২ ঘণ্টা আগেচকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দুটি মাইক্রোবাসসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে অভিযান চালিয়ে তাঁদেরকে আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের চোয়ারফাঁড়ি গ্রামের মৃত কালু মিয়ার ছেলে সেলিম (৩৫), পশ্চিম বড় ভেওলার ইলিশিয়া গ্রামের মৃত আলী আহম্মদের ছেলে নাছির উদ্দিন (৪৫), পূর্ব বড় ভেওলার ইদমনি গ্রামের আকতার আহমদের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম (২৪) ও সাহারবিলের কোরালখালী গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমান (২১)। পুলিশের দাবি, তাঁরা সবাই ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে, চকরিয়া পৌর শহরের সাবরেজিস্ট্রার অফিসের পেছনে ডাকাত দলের সদস্যরা অবস্থান করছেন। এমন তথ্যের ভিত্তিতে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল আনোয়ারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা পালানোর সময় চারজনকে আটক করা হয়।
চকরিয়া থানার ওসি তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, আটক ব্যক্তিরা সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। ডাকাতি ও চুরিতে ব্যবহৃত দুটি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়েছে। আটক চারজনের বিরুদ্ধে খুন, অস্ত্র, ডাকাতি, চুরিসহ নানা অপরাধে অসংখ্য মামলা রয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নতুন মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দুটি মাইক্রোবাসসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে অভিযান চালিয়ে তাঁদেরকে আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের চোয়ারফাঁড়ি গ্রামের মৃত কালু মিয়ার ছেলে সেলিম (৩৫), পশ্চিম বড় ভেওলার ইলিশিয়া গ্রামের মৃত আলী আহম্মদের ছেলে নাছির উদ্দিন (৪৫), পূর্ব বড় ভেওলার ইদমনি গ্রামের আকতার আহমদের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম (২৪) ও সাহারবিলের কোরালখালী গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমান (২১)। পুলিশের দাবি, তাঁরা সবাই ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে, চকরিয়া পৌর শহরের সাবরেজিস্ট্রার অফিসের পেছনে ডাকাত দলের সদস্যরা অবস্থান করছেন। এমন তথ্যের ভিত্তিতে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল আনোয়ারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা পালানোর সময় চারজনকে আটক করা হয়।
চকরিয়া থানার ওসি তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, আটক ব্যক্তিরা সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। ডাকাতি ও চুরিতে ব্যবহৃত দুটি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়েছে। আটক চারজনের বিরুদ্ধে খুন, অস্ত্র, ডাকাতি, চুরিসহ নানা অপরাধে অসংখ্য মামলা রয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নতুন মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

অব্যবস্থাপনাসহ নানা সংকট ও সমস্যায় জর্জরিত হয়ে আছে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাসপাতালটিতে পর্যাপ্তসংখ্যক চিকিৎসক, নার্স, সহায়ক ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী নেই। এ দিকে হাসপাতালের ইসিজি মেশিনসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি বিকল হয়ে পড়ে আছে। এতে সেখানে ঠিকমতো পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করা
১৪ অক্টোবর ২০২৫
রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে আনন্দঘন ও উৎসবের আমেজে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত জোন কমান্ডার’স স্কলারশিপ-২৫। কাপ্তাই জোনের ৩৮ বীরের পরিচালনায় এবং শিশু নিকেতন স্কুল কাপ্তাইয়ের আয়োজনে এই বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার (৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা সোয়া ১১টা...
৪ মিনিট আগে
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাঁজা বিক্রি করতে নিষেধ করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্যকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে মামলা তদন্তে থাকা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
৮ মিনিট আগে
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন দুই দিনের সরকারি সফরে নিজ জেলা পাবনায় পৌঁছেছেন। শনিবার (৮ নভেম্বর) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে তিনি হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা থেকে পাবনা স্টেডিয়ামে পৌঁছান। এ সময় পাবনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার মোরতোজা আলী খান তাঁকে স্বাগত জানান।
২ ঘণ্টা আগেপাবনা প্রতিনিধি

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন দুই দিনের সরকারি সফরে নিজ জেলা পাবনায় পৌঁছেছেন। শনিবার (৮ নভেম্বর) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে তিনি হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা থেকে পাবনা স্টেডিয়ামে পৌঁছান। এ সময় পাবনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার মোরতোজা আলী খান তাঁকে স্বাগত জানান। পরে ৯টা ৪৫ মিনিটে সার্কিট হাউসে উপস্থিত হয়ে গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন। বেলা ১১টায় পাবনা সদরের আরিফপুর কবরস্থানে মা-বাবার কবর জিয়ারত করবেন রাষ্ট্র্রপতি।
এরপর বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে পাবনা শহরের কালাচাঁদপাড়ার জুবলী ট্যাংক এলাকার নিজ বাড়িতে যাবেন। সেখানে বেলা ১টায় আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও সময় কাটাবেন। এ ছাড়া সার্কিট হাউসে রাত যাপন করবেন।
সফরের শেষ দিন রোববার (৯ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে সার্কিট হাউসে গার্ড অব অনার গ্রহণ করবেন। বেলা ১১টায় পাবনা স্টেডিয়ামের হেলিপ্যাডে উপস্থিত হবেন এবং বঙ্গভবনের উদ্দেশে যাত্রা করবেন।
এদিকে রাষ্ট্রপতির সফরকে ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। স্টেডিয়াম, সার্কিট হাউস, আরিফপুর কবরস্থান ও তাঁর নিজ বাসভবন এলাকায় নিশ্চিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে প্রায় ১৫ মাস পর নিজ জেলায় এলেন রাষ্ট্র্রপতি সাহাবুদ্দিন। এর আগে পতিত সরকারের সময় রাষ্ট্র্রপতি পাবনা সফরে এলে সাজ সাজ রব পড়ে যেত। ব্যানার, শুভেচ্ছা ফেস্টুন আর তোরণে ছেয়ে যেত পুরো এলাকা। কিন্তু এবার তাঁর সফর ঘিরে জেলায় নেই কোনো উচ্ছ্বাস। অনেকটা নীরবতা বিরাজ করছে তাঁর সফর ঘিরে।
২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর ওই বছরের ১৫ মে পাবনায় প্রথম সফরে যান তিনি। সব মিলিয়ে তিনি চারবার পাবনা সফর করেছেন। এটি তাঁর পঞ্চম সফর।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন দুই দিনের সরকারি সফরে নিজ জেলা পাবনায় পৌঁছেছেন। শনিবার (৮ নভেম্বর) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে তিনি হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা থেকে পাবনা স্টেডিয়ামে পৌঁছান। এ সময় পাবনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার মোরতোজা আলী খান তাঁকে স্বাগত জানান। পরে ৯টা ৪৫ মিনিটে সার্কিট হাউসে উপস্থিত হয়ে গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন। বেলা ১১টায় পাবনা সদরের আরিফপুর কবরস্থানে মা-বাবার কবর জিয়ারত করবেন রাষ্ট্র্রপতি।
এরপর বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে পাবনা শহরের কালাচাঁদপাড়ার জুবলী ট্যাংক এলাকার নিজ বাড়িতে যাবেন। সেখানে বেলা ১টায় আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও সময় কাটাবেন। এ ছাড়া সার্কিট হাউসে রাত যাপন করবেন।
সফরের শেষ দিন রোববার (৯ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে সার্কিট হাউসে গার্ড অব অনার গ্রহণ করবেন। বেলা ১১টায় পাবনা স্টেডিয়ামের হেলিপ্যাডে উপস্থিত হবেন এবং বঙ্গভবনের উদ্দেশে যাত্রা করবেন।
এদিকে রাষ্ট্রপতির সফরকে ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। স্টেডিয়াম, সার্কিট হাউস, আরিফপুর কবরস্থান ও তাঁর নিজ বাসভবন এলাকায় নিশ্চিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে প্রায় ১৫ মাস পর নিজ জেলায় এলেন রাষ্ট্র্রপতি সাহাবুদ্দিন। এর আগে পতিত সরকারের সময় রাষ্ট্র্রপতি পাবনা সফরে এলে সাজ সাজ রব পড়ে যেত। ব্যানার, শুভেচ্ছা ফেস্টুন আর তোরণে ছেয়ে যেত পুরো এলাকা। কিন্তু এবার তাঁর সফর ঘিরে জেলায় নেই কোনো উচ্ছ্বাস। অনেকটা নীরবতা বিরাজ করছে তাঁর সফর ঘিরে।
২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর ওই বছরের ১৫ মে পাবনায় প্রথম সফরে যান তিনি। সব মিলিয়ে তিনি চারবার পাবনা সফর করেছেন। এটি তাঁর পঞ্চম সফর।

অব্যবস্থাপনাসহ নানা সংকট ও সমস্যায় জর্জরিত হয়ে আছে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাসপাতালটিতে পর্যাপ্তসংখ্যক চিকিৎসক, নার্স, সহায়ক ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী নেই। এ দিকে হাসপাতালের ইসিজি মেশিনসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি বিকল হয়ে পড়ে আছে। এতে সেখানে ঠিকমতো পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করা
১৪ অক্টোবর ২০২৫
রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে আনন্দঘন ও উৎসবের আমেজে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত জোন কমান্ডার’স স্কলারশিপ-২৫। কাপ্তাই জোনের ৩৮ বীরের পরিচালনায় এবং শিশু নিকেতন স্কুল কাপ্তাইয়ের আয়োজনে এই বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার (৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা সোয়া ১১টা...
৪ মিনিট আগে
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাঁজা বিক্রি করতে নিষেধ করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্যকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে মামলা তদন্তে থাকা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
৮ মিনিট আগে
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দুটি মাইক্রোবাসসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে