Ajker Patrika

দলবদলেও রক্ষা পেলেন না ছাত্রলীগ নেতা, ডিবির হাতে আটক

দেবিদ্বার (কুমিল্লা) সংবাদদাতা
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ০১
মোহাম্মদ শাহীন মিয়া। ছবি: সংগৃহীত
মোহাম্মদ শাহীন মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপিতে যোগদানের এক দিন পার না হতেই নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কুমিল্লা উত্তর জেলার সাবেক সহসভাপতি মোহাম্মদ শাহীন মিয়াকে (৩৪) আটক করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। গতকাল সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে দেবিদ্বার উপজেলার ১ নম্বর বড়শালঘর ইউনিয়নের সৈয়দপুর বাজারে তাঁর নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ‘শাহীন ফার্মেসি’ থেকে ডিবি ও থানা-পুলিশের যৌথ অভিযানে তাঁকে আটক করা হয়।

মোহাম্মদ শাহীন মিয়া বড়শালঘর গ্রামের মৃত শহিদ মেম্বারের ছেলে। তিনি নিষিদ্ধ সংগঠন কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি এবং কুমিল্লা-৪ দেবিদ্বার আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের আস্থাভাজন ছিলেন।

এর আগে গত রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে দেবিদ্বার পৌর এলাকার গুনাইঘরে ‘শহীদ জিয়া মিলনায়তনে’ আনুষ্ঠানিকভাবে শালঘর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের দুই শতাধিক নেতা-কর্মী বিএনপিতে যোগদান করেন। অনুষ্ঠানে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, টানা চারবারের সাবেক এমপি ও আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সির হাতে তাঁরা বিএনপির পতাকা তুলে দেন। যোগদানকারীদের মধ্যে মোহাম্মদ শাহীন মিয়াও ছিলেন।

ওই যোগদান কার্যক্রম সম্পন্ন হয় আওয়ামী লীগের বড়শালঘর ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি জহিরুল ইসলাম জারু চেয়ারম্যানের নির্দেশে এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সহসভাপতি ও ইউপি সদস্য আলম হাজারীর নেতৃত্বে। যোগদানকারীরা সবাই সাবেক আওয়ামী লীগ এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের সমর্থক ছিলেন।

এ বিষয়ে সদ্য বিএনপিতে যোগদানকারী ইউপি সদস্য আলম হাজারী বলেন, ‘শাহীনের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। কেন তাঁকে আটক করা হলো, সেটিও আমরা জানি না।’

কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রেজভিউল আহসান মুন্সি বলেন, ‘মোহাম্মদ শাহীন মিয়া আমাদের পুরোনো কর্মী। বিগত সরকারের আমলে নিরাপত্তার কারণে তিনি ভিন্নভাবে চলাফেরা করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই।’

দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারোয়ার শাহীন মিয়াকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তিনি বর্তমানে ছুটিতে আছেন। অভিযানে থাকা ওসি (তদন্ত) মঈনুদ্দিনের কাছ থেকে বিস্তারিত জানা যাবে।

মঈনুদ্দিন বলেন, ‘শাহীনকে ডিবি পুলিশ আটক করেছে। কোন মামলায় তাঁকে আটক দেখানো হয়েছে, তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানানো হবে।’

এ বিষয়ে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওসি মো. শামসুল আলম শাহ বলেন, গ্রেপ্তারের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিশেষ ট্রেনের দাবিতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের রেলপথ অবরোধ, ছেড়ে যায়নি লালমনি এক্সপ্রেস

লালমনিরহাট প্রতিনিধি 
আজ সকালে লালমনিরহাটে রেলপথ অবরোধ করে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকালে লালমনিরহাটে রেলপথ অবরোধ করে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে ঢাকায় যেতে বিশেষ ট্রেনের দাবিতে লালমনিরহাটে রেলপথ অবরোধ করেছেন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এতে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীগামী আন্তনগর লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছেড়ে যেতে পারেনি।

আজ সকালে লালমনিরহাট রেলস্টেশনে রেলপথে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। একপর্যায়ে তাঁরা ট্রেনটির ইঞ্জিনের সামনে শুয়ে পড়েন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরছেন। এ উপলক্ষে তাঁকে স্বাগত জানাতে লালমনিরহাট জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীর ঢাকায় যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এ জন্য ১৯ ডিসেম্বর লালমনিরহাট-ঢাকা রুটে একটি ভাড়াভিত্তিক বিশেষ ট্রেন বরাদ্দ চেয়ে রেলভবনে আবেদন করে জেলা বিএনপি। তবে সোমবার রাতে রেলভবন থেকে জানানো হয়, বিশেষ ট্রেন চালানো সম্ভব নয়।

এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আজ সকালে রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে লালমনি এক্সপ্রেস ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও বেলা দেড়টা পর্যন্ত ট্রেনটি স্টেশনেই আটকে থাকে। এতে ঢাকাগামী যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।

লালমনিরহাট জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনিসুর রহমান আনিচ বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর আমাদের প্রিয় নেতাকে একনজর দেখতে হাজার হাজার নেতা-কর্মী ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। যথাযথ প্রক্রিয়ায় বিশেষ ট্রেন চেয়ে আবেদন করা হলেও শেষ মুহূর্তে তা বাতিল করা হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের জন্য বিশেষ ট্রেন বরাদ্দ দেওয়া না হবে, ততক্ষণ অবরোধ কর্মসূচি চলবে।’

লালমনিরহাট রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার বলেন, রেলপথ অবরোধের কারণে লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছেড়ে যেতে পারেনি।

লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ড্যান্ট মোর্শেদ আলম জানান, ট্রেনটি ছেড়ে যেতে না পারায় যাত্রীদের টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। অবরোধ না উঠলে ট্রেন চালানো সম্ভব নয়।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে লালমনিরহাট রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) আবু হেনা মোস্তফা কামালের সরকারি নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গুলশানে প্লট দখল: সাবেক এমপি সালাম মুর্শেদীর জামিন নামঞ্জুর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৪৫
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

জালিয়াতির মাধ্যমে রাজধানীর গুলশানে ২৭ কাঠার একটি সরকারি পরিত্যক্ত প্লট দখলের মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সালাম মুর্শেদীর জামিন নামঞ্জুর করা হয়েছে।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯-এর অবকাশকালীন বেঞ্চের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।

সালাম মুর্শেদীর পক্ষে আজ জামিন চেয়ে শুনানি করেন তাঁর আইনজীবী শাহিনুর রহমান। অন্যদিকে জামিনের বিরোধিতা করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মীর আহমেদ আলী। শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত।

এ মামলায় সালাম মুর্শেদীসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ধার্য রয়েছে আগামী বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি।

মামলার অপর আসামিরা হলেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন খাদেম ও প্রকৌশলী এম আজিজুল হক, সাবেক উপপরিচালক (এস্টেট) মো. আজহারুল ইসলাম ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক মো. হাবিব উল্লাহ; গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সহকারী সচিব আবদুস সোবহান; কক্সবাজারের রামুর বাসিন্দা ইফফাত হক ও তাঁর স্বামী মোহাম্মদ আব্দুল মঈন; মীর মোহাম্মদ হাসান ও তাঁর ভাই মীর মো. নুরুল আফছার এবং নুরুল হক, রহমান ভূঁইয়া ও মাহবুবুল হক।

গুলশান-২ নম্বরের ১০৪ নম্বর সড়কে পরিত্যক্ত প্লট দখলের অভিযোগে রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি মামলা করে দুদক। পরে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর সালাম মুর্শেদীসহ ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে দুদক।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ও সরকারি কর্মচারী হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন এবং অসৎ উদ্দেশ্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত গেজেটে খ তালিকাভুক্ত গুলশান আবাসিক এলাকার সিইএন (ডি) ২৭ নম্বর, হোল্ডিং নম্বর-২৯, রোড নম্বর-১০৪ প্লটটি পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকাভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও অবমুক্তকরণ ছাড়াই জালিয়াতির মাধ্যমে মিথ্যা রেকর্ডপত্র তৈরি করেন; যা পরে হস্তান্তর অনুমতি ও নামজারি অনুমোদন করার মাধ্যমে সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের সুযোগ তৈরি করে। পরে তা সালাম মুর্শেদী ভোগদখল করতে থাকেন।

গত বছরের ১ অক্টোবর সালাম মুর্শেদীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মাদক কেনার টাকার জন্য সহকর্মীকে হত্যা, রিকশা ছিনতাই; গ্রেপ্তার ২

ফরিদপুর প্রতিনিধি
গ্রেপ্তার করা দুই আসামি। ছবি: আজকের পত্রিকা
গ্রেপ্তার করা দুই আসামি। ছবি: আজকের পত্রিকা

মাদক কেনার টাকা জোগাতে পূর্বপরিকল্পিতভাবে সহকর্মীকে হত্যা করে ব্যাটারিচালিত রিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনায় মূল আসামিসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ফরিদপুর সদর উপজেলার চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের বাছের মোল্যা ডাঙ্গী এলাকার মৃত ফিরোজ খানের ছেলে রাজিব খান (৪১) ও শহরতলির বায়তুল আমান এলাকার মানিক হাওলাদারের ছেলে মো. মান্নান হাওলাদার (৩২)।

আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আজমীর হোসেন। তিনি বলেন, রাজিব খান তাঁর সহকর্মী টিপু শেখকে (৪০) নেশাগ্রস্ত করে হত্যা করেন এবং ছিনতাই করা রিকশাটি মান্নান হাওলাদারের কাছে বিক্রি করেন। এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে ছিনতাই হওয়া রিকশা ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, ১৮ ডিসেম্বর সকালে সদর উপজেলার ঈশানগোপালপুর ইউনিয়নের চাঁদপুর এলাকার একটি কলাবাগান থেকে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে নিহত ব্যক্তির স্বজনেরা মরদেহটি শহরতলির রঘুনন্দপুর এলাকার রিকশাচালক ও ইটভাটার শ্রমিক টিপু শেখের বলে শনাক্ত করেন। এই ঘটনায় নিহত ব্যক্তির ভাই সিদ্দিক শেখ বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজমীর হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলের কাছেই নিহত ব্যক্তির ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ফোনটির কললিস্ট ও অবস্থান বিশ্লেষণ এবং সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে রাজিব খানকে শনাক্ত করা হয়। পরে ২০ ডিসেম্বর ভোররাতে শহরতলির সিঅ্যান্ডবি ঘাট এলাকার মজিবুর রহমানের ইটভাটা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আজমীর হোসেন আরও বলেন, আদালতে রাজিব খানের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। তাঁর দেওয়া তথ্যে ছিনতাই হওয়া রিকশাটি উদ্ধার করা হয় এবং ক্রেতা মান্নান হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, নিহত টিপু শেখ ও রাজিব খান একই ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। পাশাপাশি টিপু শেখ রিকশা চালাতেন। রাজিব খান মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং মাদক সংগ্রহের নামে বিভিন্ন খুচরা বিক্রেতার কাছ থেকে টাকা নিতেন। পরে সেই টাকা খরচ করে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। ঋণদাতাদের চাপ ও মাদক কেনার অর্থ জোগাড়ের উদ্দেশ্যে তিনি টিপু শেখকে হত্যা করে রিকশা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক হিরামন বিশ্বাসসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নরসিংদীর পলাশে তাঁতশ্রমিকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার

নরসিংদী প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ১৬
আজ সকালে ডাঙ্গার কেন্দুয়াবো গ্রামের একটি তাঁত কারখানার পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকালে ডাঙ্গার কেন্দুয়াবো গ্রামের একটি তাঁত কারখানার পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় একটি তাঁত কারখানার শ্রমিকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত শ্রমিকের নাম এমরান মিয়া (৩০)। তিনি উপজেলার ডাঙ্গার কেন্দুয়াবো গ্রামের আমির ইসলামের ছেলে। আজ মঙ্গলবার সকালে ডাঙ্গার কেন্দুয়াবো গ্রামে একটি তাঁত কারখানার পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ ও নিহত ব্যক্তির পরিবার জানায়, এমরান বাড়ির পাশে মোস্তফা নামে এক ব্যক্তির তাঁত কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। গতকাল রাতে নাইট ডিউটির সময় তিনি হঠাৎ কারখানা থেকে বের হন। এরপর আর ফেরেননি। পরে ভোরে কারখানার এক শ্রমিক রাস্তার পাশে এমরানের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের জানান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে নিহত ব্যক্তির মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেদ আল মামুন বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটন ও জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত