রজত কান্তি রায়

সংবাদটা বেদনাদায়ক ও শোকের। হাসান আজিজুল হক আর নেই—এ শোক সামলাতে সময় লাগবে।
আমরা যারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি, তাদের অনেকের কাছে হাসান আজিজুল হক ছিলেন কাছ থেকে দেখা প্রথম ‘সাহিত্যিক’, যাঁর নাম পরীক্ষার জন্য মুখস্থ করতে হতো। শিক্ষার্থীরা বলত, হাসান স্যারের জীবনী মুখস্থ কর। এক নম্বর পাবেই। ভর্তি পরীক্ষায় একটি নম্বর যথেষ্ট বটে। এত বড় একজন লেখক, যাঁর নাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় কোনো না কোনোভাবে এক নম্বরের সঙ্গে যুক্ত, তাঁকে দেখা যেত মতিহারের সবুজ চত্বরে হেঁটে বেড়াতে। তাঁর বিষয়ে ভয় মিশ্রিত শ্রদ্ধা ছিল আমাদের। বহুবার রাস্তায় দেখা হয়েছে। দেখেই চোখ নামিয়ে নিয়েছি আমরা। পাশ দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছি মাথা নিচু করে। আমাদের বিস্ময় কাটত না। ভাবতাম ‘আত্মজা ও একটি করবী গাছ’-এর লেখক আমাদের ক্যাম্পাসে হেঁটে বেড়াচ্ছেন!
বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন ওপরের ক্লাসে উঠি, তখন বিভিন্ন কাজকর্মে তাঁকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়। বিশেষ করে, আমরা যারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নাটক, গান, কবিতার সংগঠন করতাম, তাদের সঙ্গে হাসান আজিজুল হকের যোগাযোগ ছিল নিয়মিত। বার্ষিক অনুষ্ঠান হোক, আর নাটক বা গানের অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে হোক হাসান আজিজুল হক ছিলেন কাছের মানুষ, প্রথম পছন্দ। সম্ভবত এ ধরনের সংগঠনগুলোর মাধ্যমে তিনি তরুণদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে চাইতেন। তাদের চিন্তাচেতনা বুঝতে চাইতেন। তরুণেরাও তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চাইত হয়তো এক বিশাল ইতিহাসের সাক্ষী থাকতে। হয়তো ‘আত্মজা ও একটি করবী গাছ’-এর লেখকের কাছ থেকে সাহিত্যর অনুরণন পেতে। দ্ব্যর্থহীনভাবে স্বীকার করতে হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আকাশ ছোঁয়া গগনশিরীষ গাছগুলোর প্রেক্ষাপটে হাসান আজিজুল হককে যখন দেখতাম, তখন আমাদেরও ইচ্ছে করত বরেন্দ্রভূমির ওঁরাওদের নিয়ে গল্প লিখতে। তাঁর কত শত ছাত্রের মনে তিনি এ আগ্রহ তৈরি করে দিয়েছিলেন, তার হিসেব কেউ রাখেনি।
যখন আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি, আজ থেকে ঠিক বিশ বছর আগে, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতির অবস্থা খুব সুবিধার ছিল না। প্রগতিশীল শিক্ষকেরা বেশ কোণঠাসা। বেশ কয়েকজন শিক্ষক হত্যার শিকার হয়েছেন। তেমন সময়ে হাসান আজিজুল হক কোনো সংগঠনের কোনো অনুষ্ঠানের মঞ্চে দাঁড়িয়ে মাইকে বলে চলেছেন মুক্তির কথা, গণতন্ত্রের কথা। আমরা অনুপ্রাণিত হতাম সেসবে।
আজ এসবই মনে পড়ছে। মনে পড়ছে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির পেছনের আমবাগানের মঞ্চে দাঁড়িয়ে হাসান আজিজুল হক ছাত্রদের বলছেন—‘প্রতিক্রিয়াশীলতা মেনে নিও না। আমরা বড়রা পচে গেছি। তোমরা দাঁড়াও।’

সংবাদটা বেদনাদায়ক ও শোকের। হাসান আজিজুল হক আর নেই—এ শোক সামলাতে সময় লাগবে।
আমরা যারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি, তাদের অনেকের কাছে হাসান আজিজুল হক ছিলেন কাছ থেকে দেখা প্রথম ‘সাহিত্যিক’, যাঁর নাম পরীক্ষার জন্য মুখস্থ করতে হতো। শিক্ষার্থীরা বলত, হাসান স্যারের জীবনী মুখস্থ কর। এক নম্বর পাবেই। ভর্তি পরীক্ষায় একটি নম্বর যথেষ্ট বটে। এত বড় একজন লেখক, যাঁর নাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় কোনো না কোনোভাবে এক নম্বরের সঙ্গে যুক্ত, তাঁকে দেখা যেত মতিহারের সবুজ চত্বরে হেঁটে বেড়াতে। তাঁর বিষয়ে ভয় মিশ্রিত শ্রদ্ধা ছিল আমাদের। বহুবার রাস্তায় দেখা হয়েছে। দেখেই চোখ নামিয়ে নিয়েছি আমরা। পাশ দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছি মাথা নিচু করে। আমাদের বিস্ময় কাটত না। ভাবতাম ‘আত্মজা ও একটি করবী গাছ’-এর লেখক আমাদের ক্যাম্পাসে হেঁটে বেড়াচ্ছেন!
বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন ওপরের ক্লাসে উঠি, তখন বিভিন্ন কাজকর্মে তাঁকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়। বিশেষ করে, আমরা যারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নাটক, গান, কবিতার সংগঠন করতাম, তাদের সঙ্গে হাসান আজিজুল হকের যোগাযোগ ছিল নিয়মিত। বার্ষিক অনুষ্ঠান হোক, আর নাটক বা গানের অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে হোক হাসান আজিজুল হক ছিলেন কাছের মানুষ, প্রথম পছন্দ। সম্ভবত এ ধরনের সংগঠনগুলোর মাধ্যমে তিনি তরুণদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে চাইতেন। তাদের চিন্তাচেতনা বুঝতে চাইতেন। তরুণেরাও তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চাইত হয়তো এক বিশাল ইতিহাসের সাক্ষী থাকতে। হয়তো ‘আত্মজা ও একটি করবী গাছ’-এর লেখকের কাছ থেকে সাহিত্যর অনুরণন পেতে। দ্ব্যর্থহীনভাবে স্বীকার করতে হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আকাশ ছোঁয়া গগনশিরীষ গাছগুলোর প্রেক্ষাপটে হাসান আজিজুল হককে যখন দেখতাম, তখন আমাদেরও ইচ্ছে করত বরেন্দ্রভূমির ওঁরাওদের নিয়ে গল্প লিখতে। তাঁর কত শত ছাত্রের মনে তিনি এ আগ্রহ তৈরি করে দিয়েছিলেন, তার হিসেব কেউ রাখেনি।
যখন আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি, আজ থেকে ঠিক বিশ বছর আগে, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতির অবস্থা খুব সুবিধার ছিল না। প্রগতিশীল শিক্ষকেরা বেশ কোণঠাসা। বেশ কয়েকজন শিক্ষক হত্যার শিকার হয়েছেন। তেমন সময়ে হাসান আজিজুল হক কোনো সংগঠনের কোনো অনুষ্ঠানের মঞ্চে দাঁড়িয়ে মাইকে বলে চলেছেন মুক্তির কথা, গণতন্ত্রের কথা। আমরা অনুপ্রাণিত হতাম সেসবে।
আজ এসবই মনে পড়ছে। মনে পড়ছে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির পেছনের আমবাগানের মঞ্চে দাঁড়িয়ে হাসান আজিজুল হক ছাত্রদের বলছেন—‘প্রতিক্রিয়াশীলতা মেনে নিও না। আমরা বড়রা পচে গেছি। তোমরা দাঁড়াও।’

রাজবাড়ী শহরেই অবস্থিত বিনোদপুর লোকোশেড। বলা হয় রাজবাড়ী জেলার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি এটি—রাজবাড়ী বধ্যভূমি বা বিনোদপুর লোকোশেড বধ্যভূমি নামে পরিচিত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিনোদপুরের লোকোশেড এলাকায় ক্যাম্প বসিয়েছিল। তারা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে অসংখ্য মানুষকে...
১৮ ঘণ্টা আগে
ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!
২ দিন আগে
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের।
৩ দিন আগে
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৪ দিন আগেসম্পাদকীয়

রাজবাড়ী শহরেই অবস্থিত বিনোদপুর লোকোশেড। বলা হয় রাজবাড়ী জেলার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি এটি—রাজবাড়ী বধ্যভূমি বা বিনোদপুর লোকোশেড বধ্যভূমি নামে পরিচিত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিনোদপুরের লোকোশেড এলাকায় ক্যাম্প বসিয়েছিল। তারা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে অসংখ্য মানুষকে ধরে এনে হত্যা করে লোকোশেডের পুকুরে ফেলে দিত। এমনকি রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীবাহী ট্রেন থামলে সেই ট্রেন থেকেও সন্দেহভাজন মুক্তিকামী বাঙালিদের ধরে নিয়ে আসত লোকোশেড ক্যাম্পে। তাদের সহায়তা করতে দোসররা তো ছিলই। আর ক্যাম্পে আনা বাঙালিদের ভাগ্যে জুটত নির্মম নির্যাতন। এরপর হত্যা। এবং মৃতদেহগুলোর জায়গা হতো সেই পুকুরেই। দুই দশক আগে সরকারি অর্থায়নে সেই শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বধ্যভূমি এলাকায় নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিশৌধ।
ছবি: মো. সাকিবুল হাসান, উইকিপিডিয়া

রাজবাড়ী শহরেই অবস্থিত বিনোদপুর লোকোশেড। বলা হয় রাজবাড়ী জেলার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি এটি—রাজবাড়ী বধ্যভূমি বা বিনোদপুর লোকোশেড বধ্যভূমি নামে পরিচিত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিনোদপুরের লোকোশেড এলাকায় ক্যাম্প বসিয়েছিল। তারা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে অসংখ্য মানুষকে ধরে এনে হত্যা করে লোকোশেডের পুকুরে ফেলে দিত। এমনকি রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীবাহী ট্রেন থামলে সেই ট্রেন থেকেও সন্দেহভাজন মুক্তিকামী বাঙালিদের ধরে নিয়ে আসত লোকোশেড ক্যাম্পে। তাদের সহায়তা করতে দোসররা তো ছিলই। আর ক্যাম্পে আনা বাঙালিদের ভাগ্যে জুটত নির্মম নির্যাতন। এরপর হত্যা। এবং মৃতদেহগুলোর জায়গা হতো সেই পুকুরেই। দুই দশক আগে সরকারি অর্থায়নে সেই শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বধ্যভূমি এলাকায় নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিশৌধ।
ছবি: মো. সাকিবুল হাসান, উইকিপিডিয়া

আমরা যারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি, তাদের অনেকের কাছে হাসান আজিজুল হক ছিলেন কাছ থেকে দেখা প্রথম ‘সাহিত্যিক’, যাঁর নাম পরীক্ষার জন্য মুখস্থ করতে হতো। শিক্ষার্থীরা বলত, হাসান স্যারের জীবনী মুখস্থ কর। এক নম্বর পাবেই। ভর্তি পরীক্ষায় একটি নম্বর যথেষ্ট বটে। এত বড় একজন লেখক, যাঁর নাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর
১৫ নভেম্বর ২০২১
ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!
২ দিন আগে
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের।
৩ দিন আগে
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৪ দিন আগেসম্পাদকীয়

ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!
...লেখালেখি বিষয়টি একজন লেখকের কাছে সবচেয়ে কোমল আর সূক্ষ্ম অনুভূতি দাবি করে, সবচেয়ে গভীর মনোযোগ দাবি করে, আমার তো এ-ও মনে হয় যে ধ্যানমগ্নতা ছাড়া একজনের পক্ষে লেখকই হওয়া সম্ভব নয়। তো সতীর্থদের নোংরামি দেখে, ভণ্ডামি দেখে, বদমায়েশি দেখে কি একজন প্রকৃত লেখকের আহত হওয়ার কথা নয়?
...আমি তো সব সময় বিশ্বাস করে এসেছি—শিল্পীদের লোভ থাকতে নেই। লোভ থাকলে শিল্প হয় না, যেমন হয় না অসৎ মানুষেরও। শিল্পীর সততা থাকাটা খুব জরুরি, আমি বলব অপরিহার্য। যাই হোক, আমি শুধু সাহিত্য জগতের ভণ্ডামি দেখে লেখালেখি থেকে দূরে সরে এসেছি, সেটা বলা ঠিক হবে না। এটা একটা কারণ ছিল বটে, তবে আরও কারণ নিশ্চয়ই আছে।
আগেই তো তোমাকে বলেছি, আমি শেষের দিকে এসে একঘেয়েমিতে ভুগছিলাম। তা ছাড়া একটা সময় এসব কিছুকেই ভীষণ অর্থহীন মনে হলো আমার কাছে। কী করছি, কেন করছি, এসবের ফলাফল কী, আদৌ এসব করার কোনো অর্থ হয় কি না—এই সব আরকি! সব মিলিয়ে লেখালেখিটা আর ভালো লাগেনি। অবশ্য একবারে পরিকল্পনা করে, সিদ্ধান্ত নিয়ে লেখালেখি বন্ধ করেছিলাম, তা নয়। এ রকম তো সব লেখকেরই হয় যে মাঝে মাঝে ক্লান্তি আসে, মাঝে মাঝে বিশ্রাম নিতে ইচ্ছে করে, মাঝে মাঝে বন্ধ্যত্বও দেখা দেয়। আমার সেটাই হয়েছিল। কিন্তু সব লেখকই সেই সময়টি পেরিয়ে আবার লেখালেখিতে আসেন। আমার আর ফিরে আসা সম্ভব হয়নি। আর এখন তো শারীরিক কারণেই অনেক কিছু করা সম্ভব হয় না। যে উদ্দাম জীবন আমি যাপন করেছি, সেটা শুনলে তোমরা অবাক হয়ে যাবে, আর এখন তো দিনের পর দিন ঘরে বন্দী হয়ে থাকি, বেরুতেই পারি না...
সূত্র: আহমাদ মোস্তফা কামাল কর্তৃক মাহমুদুল হকের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘হিরণ্ময় কথকতা’, পৃষ্ঠা ৯০-৯১

ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!
...লেখালেখি বিষয়টি একজন লেখকের কাছে সবচেয়ে কোমল আর সূক্ষ্ম অনুভূতি দাবি করে, সবচেয়ে গভীর মনোযোগ দাবি করে, আমার তো এ-ও মনে হয় যে ধ্যানমগ্নতা ছাড়া একজনের পক্ষে লেখকই হওয়া সম্ভব নয়। তো সতীর্থদের নোংরামি দেখে, ভণ্ডামি দেখে, বদমায়েশি দেখে কি একজন প্রকৃত লেখকের আহত হওয়ার কথা নয়?
...আমি তো সব সময় বিশ্বাস করে এসেছি—শিল্পীদের লোভ থাকতে নেই। লোভ থাকলে শিল্প হয় না, যেমন হয় না অসৎ মানুষেরও। শিল্পীর সততা থাকাটা খুব জরুরি, আমি বলব অপরিহার্য। যাই হোক, আমি শুধু সাহিত্য জগতের ভণ্ডামি দেখে লেখালেখি থেকে দূরে সরে এসেছি, সেটা বলা ঠিক হবে না। এটা একটা কারণ ছিল বটে, তবে আরও কারণ নিশ্চয়ই আছে।
আগেই তো তোমাকে বলেছি, আমি শেষের দিকে এসে একঘেয়েমিতে ভুগছিলাম। তা ছাড়া একটা সময় এসব কিছুকেই ভীষণ অর্থহীন মনে হলো আমার কাছে। কী করছি, কেন করছি, এসবের ফলাফল কী, আদৌ এসব করার কোনো অর্থ হয় কি না—এই সব আরকি! সব মিলিয়ে লেখালেখিটা আর ভালো লাগেনি। অবশ্য একবারে পরিকল্পনা করে, সিদ্ধান্ত নিয়ে লেখালেখি বন্ধ করেছিলাম, তা নয়। এ রকম তো সব লেখকেরই হয় যে মাঝে মাঝে ক্লান্তি আসে, মাঝে মাঝে বিশ্রাম নিতে ইচ্ছে করে, মাঝে মাঝে বন্ধ্যত্বও দেখা দেয়। আমার সেটাই হয়েছিল। কিন্তু সব লেখকই সেই সময়টি পেরিয়ে আবার লেখালেখিতে আসেন। আমার আর ফিরে আসা সম্ভব হয়নি। আর এখন তো শারীরিক কারণেই অনেক কিছু করা সম্ভব হয় না। যে উদ্দাম জীবন আমি যাপন করেছি, সেটা শুনলে তোমরা অবাক হয়ে যাবে, আর এখন তো দিনের পর দিন ঘরে বন্দী হয়ে থাকি, বেরুতেই পারি না...
সূত্র: আহমাদ মোস্তফা কামাল কর্তৃক মাহমুদুল হকের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘হিরণ্ময় কথকতা’, পৃষ্ঠা ৯০-৯১

আমরা যারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি, তাদের অনেকের কাছে হাসান আজিজুল হক ছিলেন কাছ থেকে দেখা প্রথম ‘সাহিত্যিক’, যাঁর নাম পরীক্ষার জন্য মুখস্থ করতে হতো। শিক্ষার্থীরা বলত, হাসান স্যারের জীবনী মুখস্থ কর। এক নম্বর পাবেই। ভর্তি পরীক্ষায় একটি নম্বর যথেষ্ট বটে। এত বড় একজন লেখক, যাঁর নাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর
১৫ নভেম্বর ২০২১
রাজবাড়ী শহরেই অবস্থিত বিনোদপুর লোকোশেড। বলা হয় রাজবাড়ী জেলার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি এটি—রাজবাড়ী বধ্যভূমি বা বিনোদপুর লোকোশেড বধ্যভূমি নামে পরিচিত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিনোদপুরের লোকোশেড এলাকায় ক্যাম্প বসিয়েছিল। তারা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে অসংখ্য মানুষকে...
১৮ ঘণ্টা আগে
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের।
৩ দিন আগে
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৪ দিন আগেসম্পাদকীয়

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের। শতাধিক বাঙালিকে লাইনে দাঁড় করিয়ে ব্রাশফায়ার করে পাকিস্তানি সেনারা। তাঁদের অপরাধ ছিল একটাই—মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের পরিকল্পনা করা। গণহত্যার পর হানাদার বাহিনী মিলের দক্ষিণ দিকের দেয়াল ভেঙে চলে যায়। মরদেহগুলো তিন-চার দিন মিলের সুপারিবাগানে পড়ে থাকে। শিয়াল-শকুন খুবলে খায় সেগুলো। দেশ স্বাধীন হলে গ্রামবাসী মিলের ভেতরে গিয়ে ১৩৬ জনের লাশ পান। মিলের দক্ষিণ পাশে ১০৬ জনের মৃতদেহকে গণকবরে শায়িত করা হয়। বাকিদের মরদেহ নিয়ে যান স্বজনেরা। ১৯৯৬ সালে শহীদদের সম্মানে মিল কর্তৃপক্ষ ‘শহীদ স্মরণে’ স্মৃতিফলকটি নির্মাণ করে গণকবরের জায়গাটিতে।
ছবি: সংগৃহীত

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের। শতাধিক বাঙালিকে লাইনে দাঁড় করিয়ে ব্রাশফায়ার করে পাকিস্তানি সেনারা। তাঁদের অপরাধ ছিল একটাই—মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের পরিকল্পনা করা। গণহত্যার পর হানাদার বাহিনী মিলের দক্ষিণ দিকের দেয়াল ভেঙে চলে যায়। মরদেহগুলো তিন-চার দিন মিলের সুপারিবাগানে পড়ে থাকে। শিয়াল-শকুন খুবলে খায় সেগুলো। দেশ স্বাধীন হলে গ্রামবাসী মিলের ভেতরে গিয়ে ১৩৬ জনের লাশ পান। মিলের দক্ষিণ পাশে ১০৬ জনের মৃতদেহকে গণকবরে শায়িত করা হয়। বাকিদের মরদেহ নিয়ে যান স্বজনেরা। ১৯৯৬ সালে শহীদদের সম্মানে মিল কর্তৃপক্ষ ‘শহীদ স্মরণে’ স্মৃতিফলকটি নির্মাণ করে গণকবরের জায়গাটিতে।
ছবি: সংগৃহীত

আমরা যারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি, তাদের অনেকের কাছে হাসান আজিজুল হক ছিলেন কাছ থেকে দেখা প্রথম ‘সাহিত্যিক’, যাঁর নাম পরীক্ষার জন্য মুখস্থ করতে হতো। শিক্ষার্থীরা বলত, হাসান স্যারের জীবনী মুখস্থ কর। এক নম্বর পাবেই। ভর্তি পরীক্ষায় একটি নম্বর যথেষ্ট বটে। এত বড় একজন লেখক, যাঁর নাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর
১৫ নভেম্বর ২০২১
রাজবাড়ী শহরেই অবস্থিত বিনোদপুর লোকোশেড। বলা হয় রাজবাড়ী জেলার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি এটি—রাজবাড়ী বধ্যভূমি বা বিনোদপুর লোকোশেড বধ্যভূমি নামে পরিচিত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিনোদপুরের লোকোশেড এলাকায় ক্যাম্প বসিয়েছিল। তারা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে অসংখ্য মানুষকে...
১৮ ঘণ্টা আগে
ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!
২ দিন আগে
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৪ দিন আগেসম্পাদকীয়

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।
ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।
ছবি: সংগৃহীত

আমরা যারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি, তাদের অনেকের কাছে হাসান আজিজুল হক ছিলেন কাছ থেকে দেখা প্রথম ‘সাহিত্যিক’, যাঁর নাম পরীক্ষার জন্য মুখস্থ করতে হতো। শিক্ষার্থীরা বলত, হাসান স্যারের জীবনী মুখস্থ কর। এক নম্বর পাবেই। ভর্তি পরীক্ষায় একটি নম্বর যথেষ্ট বটে। এত বড় একজন লেখক, যাঁর নাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর
১৫ নভেম্বর ২০২১
রাজবাড়ী শহরেই অবস্থিত বিনোদপুর লোকোশেড। বলা হয় রাজবাড়ী জেলার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি এটি—রাজবাড়ী বধ্যভূমি বা বিনোদপুর লোকোশেড বধ্যভূমি নামে পরিচিত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিনোদপুরের লোকোশেড এলাকায় ক্যাম্প বসিয়েছিল। তারা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে অসংখ্য মানুষকে...
১৮ ঘণ্টা আগে
ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!
২ দিন আগে
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের।
৩ দিন আগে