রোববার, ০৪ জুন ২০২৩

সেকশন

 

সেচপাম্প

আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২৩, ১৩:০১

দেশে এখন ইরি-বোরো ধান চাষের মৌসুম চলছে। এ সময় কৃষকের ধান চাষের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো কিছুর সংকট হলে তার প্রভাব ধানের ফলনের ওপর পড়বে। যদি ধানের ফলন কম হয়,তাহলে এর প্রভাব দেশের কৃষি ও খাদ্য অর্থনীতির ওপর পড়বে। তাই এ সময় কৃষকদের জন্য, বিশেষ করে সেচের ব্যবস্থা, সার ও কীটনাশকের জোগান যথাযথভাবে থাকা দরকার। যখন এর কোনো একটার সংকট দেখা দেবে, তখনই ধান চাষে সমস্যার আশঙ্কা এড়িয়ে যাওয়া যায় না।

কৃষকের সেচসংকট নিয়ে আজকের পত্রিকায় ১৯ মার্চ ‘দুই বছরেও চালু হয়নি সেচ, বঞ্চিত শত কৃষক’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার সদর ইউনিয়নের পুরোনো ধলেশ্বরী নদীর উত্তর পারে একটি সোলার প্যানেল সেচপাম্প স্থাপন করে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)। কিন্তু দুই বছরেও চালু হয়নি সেচপাম্পটি। তাই স্থানীয় কৃষকদের কোনো কাজেও আসছে না এটি। কৃষকদের অভিযোগ, বিএডিসির কর্মকর্তাদের উদাসীনতায় সরকারি প্রকল্পের সেচসুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা। অপরদিকে বিএডিসির পক্ষ থেকে পাল্টা অভিযোগ, কৃষকদের কোন্দলের কারণে সেচপাম্পটি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।

মূলত দুই বছর আগে কম মূল্যে সেচ দেওয়ার জন্য বিএডিসির উদ্যোগে সোলার সেচপাম্পটি স্থাপন করা হয়েছিল। পাম্পটি পরিচালনা এবং সেচের কাজ সুষ্ঠুভাবে তদারকি করার জন্য স্থানীয় কৃষকদের সমন্বয়ে সমিতি গঠন করা হয়। আর স্কিম ম্যানেজার ও কেয়ারটেকার পদে দুজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয় পাম্পটি পরিচালনার জন্য। পাম্প চালু হলে এলাকার প্রায় ৭০ বিঘা জমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব হতো। ফলে শতাধিক কৃষক প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হতেন।
চলতি বোরো মৌসুমের সময় দুই পক্ষের রশি-টানাটানিতে ঝুলে আছে সেচ প্রকল্পটি। এতে প্রত্যক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন প্রকৃত কৃষকেরাই। যাঁদের জন্য এই সেচব্যবস্থা, মূলত তাঁরাই এ থেকে কোনো উপকার পাচ্ছেন না। এর ফাঁকে সরকারি তথা জনগণের করের টাকা গচ্চা যাচ্ছে। কারণ কৃষকেরা বিদ্যুৎ ও ডিজেলচালিত শ্যালো মেশিন দিয়ে বোরো চাষ করতে বাধ্য হয়েছেন। এতে কৃষকের ধান চাষ করতে গিয়ে অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হচ্ছে। সেচপাম্পটি চালু থাকলে কৃষকেরা প্রতি বিঘা জমিতে এক হাজার টাকায় সেচের সুবিধা পেতেন। পাম্পটি চালু থাকলে এক ফসলি জমিতে দুই ফসল এবং দুই ফসলি জমিতে তিন ফসল করাসহ ব্যাপকভাবে রবিশস্য আবাদ করা সম্ভব হতো।

সরকার বিএডিসির তত্ত্বাবধানে কৃষকদের উপকার করার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প গ্রহণ করে। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের সঠিকভাবে তদারকি না করার কারণে কৃষকেরা অনেক ক্ষেত্রে সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকেন।

সোলার পাম্পটি চালু করার জন্য কৃষকদের দ্বন্দ্ব মিটিয়ে এবং বিএডিসির কর্মকর্তাদের গাফিলতির বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা এখন জরুরি হয়ে পড়েছে। একটি ভালো উদ্যোগ স্রেফ অবহেলায় ভেস্তে যাবে—এ কোনো কাজের কথা নয়।

মন্তব্য

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।
Show
 
    সব মন্তব্য

    ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

    পঠিতসর্বশেষ

    এলাকার খবর

     
     

    বিদ্যুৎ সরবরাহ কম, বিল আসছে বাড়তি

    মন্ত্রণালয়ে গেড়ে বসেছেন তাঁরা

    এক দফায় এক হলেও মতভেদ রাষ্ট্র সংস্কারে

    নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা

    চা দিবস বনাম চা-শ্রমিক দিবস

    জীবন অগাধ

    বুদ্ধদেবের পঞ্চাশ হাজার

    মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথোরিটির বার্ষিক প্রতিবেদনের মোড়ক উন্মোচন

    রাবি কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় খাবারের দাম কমানোসহ কয়েক দফা দাবিতে মানববন্ধন 

    দিনাজপুরে ৬৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪১ দশমিক ১ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড 

    নির্বাচনকালীন সরকারের ব্যাপারে অস্পষ্টতা নেই: আইনমন্ত্রী

    উত্তরা ও কাফরুল থেকে প্রতারণা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত চার আসামি গ্রেপ্তার 

    পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি মিলছে সোমবার