চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সব অক্সিজেন প্ল্যান্ট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা থেকে সরে এসেছে জাহাজভাঙা শিল্পমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসবিআরএ)। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সঙ্গে অক্সিজেন প্ল্যান্ট মালিকদের বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসবিআরএ) সহসভাপতি জহিরুল ইসলাম রিংকু।
তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের হেয় করা হয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানিয়েছি। তিন ঘণ্টার মধ্যে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্ট মালিকপক্ষ। এটি কিন্তু নজিরবিহীন। আমাদের যে আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলাম, সেটি স্থগিত করেছি। সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্ট বন্ধ রয়েছে। এটি খুব শিগগির চালু হবে। এটি আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।’
এর আগে গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে বিএসবিআরএর সভাপতি আবু তাহের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সব অক্সিজেন কারখানা বন্ধ ও নানা ধরনের কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয়ে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক আজ সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত হাসপাতাল ছাড়া সব জায়গায় অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ রাখেন মালিকেরা।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের পরিচালক পারভেজ উদ্দিনের কোমরে দড়ি বেঁধে আদালতে হাজির করার প্রতিবাদে অক্সিজেন প্ল্যান্ট বন্ধের ঘোষণা দেন মালিকেরা। পরে আমাদের সঙ্গে বৈঠকের পর তাঁদের কিছু দাবিদাওয়া মেনে নেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন। সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্ট দুর্ঘটনার পর মালিককে আটক করা হয়। পরে তাঁকে কোমরে দড়ি বেঁধে আদালতে নেওয়া হয়। এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। আমরা তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা আন্দোলন স্থগিত করেছেন।’
চট্টগ্রাম ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সোলাইমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাটি শোনার পর আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করি। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আমরা তাকে ক্লোজড করি। সে পুলিশ সদস্য এ ঘটনা করেছে সে না বুঝে, অজ্ঞাত বশে করেছেন।’
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে