রাজধানীর উত্তরায় দুই সমিতির দ্বন্দ্বে বিডিআর কাঁচাবাজারে হামলা ও সমিতির অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় চারজন আহত হয়েছেন।
উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরের বাজারটিতে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এতে আহত হন উত্তরা সেক্টর ৬ কাঁচাবাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলী রাজ (৩৭), তাঁর ভায়রা ভাই বাবু (৩২), ব্যবসায়ী দাদন মিয়া (৩৮) ও মিজানুর রহমান (৫১)। আহতদের মধ্যে আলী রাজ কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
আহত ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি অফিসে বসা ছিলাম। আমাদের সভাপতি আলী রাজ তাঁর ভায়রা ভাইয়ের সঙ্গে চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিল। এমন সময় আজমপুর উত্তরা ৬নং সেক্টর নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রেতা বিক্রেতা বহুমুখী সমবায় সমিতির রেজা, খালেক সরকার ও আনোয়ারের নেতৃত্বে অজ্ঞাত অর্ধশতাধিক লোক আলী রাজের উপর হামলা চালায়। সেই সঙ্গে অফিসে ভাঙচুর করে। আমি ফেরাতে গেলে আমার ওপরও হামলার ঘটনা ঘটে।’
হামলাকালে তাদের হাতে রড, লাঠিসোঁটা ছিল বলে জানান তিনি। হামলার কারণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মিজানুর রহমান বলেন, ‘কি কারণে হামলা চালাল, তা আমি জানি না।’
অপর ব্যবসায়ী দাদন মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হঠাৎ করে দেখি আলী রাজ ভাইয়ের ওপর হামলা চালাচ্ছে। হামলার নেতৃত্বে দেয় রেজা। আমরা বাধা দিলে আমাদেরকেও মারধর করা হয়।’
অপরদিকে উত্তরা সেক্টর ৬ কাঁচাবাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির প্রচার সম্পাদক মো. জাকির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অফিসে হামলার পূর্বেই মার্কেটের বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে হামলা চালিয়ে সিসি ক্যামেরার মেশিন, ল্যাপটপ ও টিভি নিয়ে যায়। এছাড়াও আমাদের সমিতির অফিসের জানালা ও ভেতরে ভাঙচুর করা হয়।’
হামলার অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে আজমপুর উত্তরা ৬ নং সেক্টর নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রেতা বিক্রেতা বহুমুখী সমবায় সমিতির অফিসে গিয়েও কাউকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিডিআর কাঁচাবাজারে হামলার ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত পাঁচ বছর যাবৎ ধরে কাঁচাবাজারটির দুই সমিতির মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এ নিয়ে উত্তরা পূর্ব থানায় একাধিক মামলা ও অভিযোগ রয়েছে। হামলার পর থেকে বাজারটিতে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে