Alexa
শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩

সেকশন

epaper
 

কান্না থামেনি সেই মায়ের

আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:৪৫

কান্না থামেনি সেই মায়ের কক্সবাজারের চকরিয়ায় পিকআপ ভ্যানচাপায় ছয় ভাই নিহতের এক বছর পূর্ণ হলো আজ। ঘটনার এক বছর পার হলেও বিচারকাজ শুরু হয়নি।

মামলার তদন্ত করে গত ২৩ নভেম্বর পুলিশের তদন্ত ব্যুরো (পিবিআই) চকরিয়ার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে পিকআপ ভ্যানচাপায় একসঙ্গে ছয় ভাই নিহতের ঘটনায় তাঁদের ভাই প্লাবন সুশীল বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় সড়ক পরিবহন আইনে মামলা করেন। এতে গাড়ির চালক সাহিদুল ইসলাম সাইফুল, মালিক মাহমদুল করিম বাদল এবং ছেলে তারেককে আসামি করা হয়।

মামলার অভিযোগপত্রে পিবিআইয়ের তদন্তকারী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত বছরের এই দিনে চকরিয়ার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাট হাসিনাপাড়া এলাকায় অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য পরিদর্শক সুরেশ চন্দ্র সুশীল মৃত্যুর পর বাবার অশৌচ পালন অনুষ্ঠান হয়। সাদা থান কাপড় পরে সাত ভাই, দুই বোন ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেন। সেখান থেকে ফেরার পথে মালুমঘাট বাজারের কাছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক পার হওয়ার জন্য তাঁরা সড়কের পাশে অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় কক্সবাজারমুখী একটি পিকআপ ভ্যান তাঁদের চাপা দেয়। ওই ঘটনায় অনুপম শীল, নিরুপম শীল, দীপক কুমার শীল, রক্তিম শীল, চম্পক কুমার শীল, স্মরণ চন্দ্র শীল, প্লাবন শীল, মুন্নী শীল ও হীলা শীলের মধ্যে ছয়জন প্রাণ হারান।

এ ঘটনায় নিহতদের ছোট ভাই প্লাবন সুশীল বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় সড়ক পরিবহন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলাটি এক সপ্তাহ তদন্ত করে। পরে পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেয় পুলিশ সদর দপ্তর।
১৬ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার জেলা পিবিআই মামলাটি বুঝে নেয়। ঘটনার চার দিনের মাথায় ঢাকার মোহাম্মদপুর  থেকে পিকআপ ভ্যানচালক সাহিদুল ইসলাম ওরফে সাইফুলকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। তিনি কারাগারে আছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. এনামুল হক চৌধুরী বলেন, পিকআপ ভ্যানচালক জেনে-বুঝে দ্বিতীয়বার চাপা দিয়ে পালিয়েছিলেন। তাঁর কর্তব্য ছিল তাঁদের উদ্ধার করে চিকিৎসা নিশ্চিত করা; কিন্তু তিনি তা না করে তাঁদের মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যান। তাঁকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিদেরও সড়ক আইনের চারটি ধারায় গাড়ি চাপা দেওয়ার সত্যতা মিলেছে।

নিহতদের মা মৃণালিনী সুশীল মানু বলেন, ‘বুকে পাথর চেপে বেঁচে আছি। কারণ, বেঁচে ফেরা প্লাবনের কথা চিন্তা করে মনভরে কান্না করতে পারছি না। তাকে নিয়েই বাঁচতে হবে, তাকে মানুষ করতে হবে। বাচ্চারা নেই এক 
বছর হয়ে গেল, পুরো ঘর খাঁ খাঁ করছে। আমার পরিবার শূন্য হয়ে গেছে। একসঙ্গে ছয় সন্তান হারানোর বেদনা কী রকম, আমি ছাড়া পৃথিবীতে কেউই জানে না। আমি যেন বিচার দেখে মরতে পারি।’

মন্তব্য

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।
Show
 
    সব মন্তব্য

    ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

    পঠিতসর্বশেষ

    এলাকার খবর

     
     

    কিশোরগঞ্জে বেড়েছে জলবসন্তের রোগী

    নদী ভরাট করে মাঠ

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: অস্থিরতার মূলে স্বার্থ ও নিয়োগ-বাণিজ্য

    বাঁচতে চান শুটার সোবহান

    খুদে বার্তায় বেঁধে দেয় ডিমের দাম

    আজকের রাশিফল

    যুক্তরাষ্ট্রের প্রার্থী অজয় বঙ্গাকে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ঘোষণা

    অভিযুক্ত হওয়ার পর যা বললেন ট্রাম্প ও তাঁর সমর্থকেরা

    রোজার তাৎপর্য, ইতিহাস ও উদ্দেশ্য

    মেসিদের কাছে হার আশা করেননি ফ্রান্সের সাবেক ফুটবলার

    উত্তরা-আগারগাঁও রুটে চালু হলো মেট্রোরেলের সব স্টেশন

    ফকিরহাটে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে আরেক ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ১