কামরুল হাসান

শুক্রবার মানেই ক্রাইম রিপোর্টারদের আরাম হারামের দিন। সেদিন কোনো না কোনো ঘটনা ঘটবেই। তা-ও সেটা ছোটখাটো কিছু নয়, রীতিমতো হইচই ফেলা ঘটনা। ২০০২ সালের ১০ মে, শুক্রবার সকালটাও সেভাবেই শুরু হয়েছিল দুরুদুরু মন নিয়ে। শেষ পর্যন্ত যা ভাবা, তা-ই হলো। জুমার আগেই খবর এল, ধানমন্ডিতে বড় মার্ডার হয়েছে।
মিরপুর রোডে গিয়ে দেখি, অর্কিড প্লাজার সামনে পুলিশের অনেক গাড়ি রাস্তার ওপর দাঁড় করানো। মার্কেটের সামনের রাস্তায় রক্তের দাগ। গুলিতে কাচ ঝাঁঝরা হওয়া নীল রঙের একটি মাইক্রোবাস ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে অনেক লোক। পুলিশ সদস্যরা মার্কেটের ভেতরে যাচ্ছেন আর আসছেন। সবাই তটস্থ, একটু পরে সেখানে কমিশনার আসবেন।
কে খুন হয়েছেন? এক পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রশ্ন করতেই তিনি বললেন, নিউটন। কোন নিউটন? তিনি আর বলতে পারলেন না। পাশ থেকে এক সাংবাদিক সহকর্মী বলে উঠলেন, মিরপুরের কাউন্সিলর নিউটন। এক ক্রাইম রিপোর্টার বন্ধু পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিনি খিস্তি করে বললেন, ‘আরে ব্যাটা, তুই কয় দিন আগে যারে নিয়ে নিউজ করলি, হেই ব্যাটা।’ তাঁর কথায় আমার চোখের সামনে ভেসে উঠল এক স্মার্ট, সুদর্শন যুবকের মুখ। তাঁর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ে মাসখানেক আগে একটি রিপোর্ট করেছিলাম। সেই রিপোর্টের জন্য তাঁর সঙ্গে বসে অনেকক্ষণ কথাও বলেছিলাম। তিনি আমার সঙ্গে খুব ভালো আচরণ করেছিলেন। রিপোর্ট ছাপা হওয়ার পর তিনি আমাকে ফোন করে কিছু অংশের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও বেশ বিনয় ছিল। সেই যুবক এভাবে খুন হওয়ায় একটু খারাপ লাগল।
ততক্ষণে অর্কিড প্লাজার সামনে মানুষের ভিড় জমে গেছে। পুলিশ রাস্তার এক পাশ বন্ধ করে দিয়েছে। সব গণমাধ্যমের সাংবাদিক সেখানে হামলে পড়েছেন।
সাধারণত কোনো ঘটনাস্থলে মানুষের ভিড় বেশি হলে নানা ধরনের কথা আসতে থাকে। তাতে ঘটনার সঙ্গে রটনাও মিশে যায়। তখন আসল-নকল খুঁজে বের করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। এখানেও সেটা হয়েছে। একজনের কাছে জানতে চাইলাম, মিরপুরের নিউটন এখানে কী করছিলেন? একেকজন একেক কথা বলেন। পরে পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া গেল আসল খবর।
সেই পুলিশ কর্মকর্তা বললেন, নিউটনের ছোট ভাই তপনের বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল সাতমসজিদ রোডের একটি কমিউনিটি সেন্টারে। সেই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে মিরপুরের বাসা থেকে সকালে ধানমন্ডি আসেন নিউটন। অর্কিড প্লাজার দোতলার কোনার দিকে শীতল নামের একটি সেলুন ছিল। চুল-দাড়ি কাটাতে সেখানে এসেছিলেন।
শীতল সেলুনের মালিক আলাউদ্দিন আমাকে বললেন, নিউটন এসেছিলেন বেলা ১১টার দিকে। ঠিক দুপুর ১২টার সময় তিনি নিচে নেমে যান। এ সময় তাঁর সঙ্গে ইসমাইল নামের একজন দেহরক্ষী ছিলেন। তিনি নিচে নেমে গাড়িতে ওঠার সময় তিন যুবক তাঁকে অনুসরণ করে গাড়ির দরজা পর্যন্ত চলে যান। তিনি যখন গাড়িতে উঠবেন, ঠিক তখনই যুবকদের একজন তাঁকে লক্ষ্য করে পরপর তিনটি গুলি ছোড়েন। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরও গাড়িতে ওঠার চেষ্টা করেন নিউটন, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। নিউটনের গাড়িচালক মিজান এগিয়ে আসার চেষ্টা করছিলেন। সন্ত্রাসীরা তাঁকে লক্ষ্য করেও গুলি ছোড়ে।
অর্কিড প্লাজার দারোয়ান সাইদ আমাকে বললেন, গুলি করার পর তিন যুবক রাস্তা পার হয়ে উল্টো দিকে চলে যান। সেখানে সাদা রঙের একটি গাড়ি দাঁড় করানো ছিল। যুবকের দল সেই গাড়িতে উঠে পালিয়ে যায়।
নিউটন কেন খুন হলেন, সেটা বলার আগে তাঁর ফিরিস্তিটা একটু বলে নিই। ছায়েদুর রহমান নিউটনের বাবার নাম ওয়ালিউর রহমান। মিরপুর ১ নম্বরের জি ব্লকে তাঁদের আদি নিবাস। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়। তাঁর পরিবারের সবাই লন্ডনপ্রবাসী। ’৮৯ সালে তেজগাঁও কলেজে পড়ার সময় তিনি ছাত্রদলে যোগ দেন। তখন মিরপুরের ৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হন। কলেজের পর্ব শেষ করে লন্ডনে চলে যান। ’৯২ সালে ফিরে এসে মিরপুর থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হন। ’৯৬ সালে মহানগর কমিটিতে আসেন। সে সময় ছাত্রনেতা নাসির উদ্দীন পিন্টুর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা হয়। লাল্টু-পিন্টুর কেন্দ্রীয় কমিটিতে সহসভাপতিও হন নিউটন। পরে নাসির উদ্দীন পিন্টু তাঁর ছোট বোন ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টির সঙ্গে বিয়ে দেন। নিউটন দম্পতির চমক নামের একটি মেয়েও আছে।
নাসির উদ্দীন পিন্টুর সঙ্গে সখ্যর সুবাদে নিউটন বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। তিনি মিরপুর এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। একটি ধর্ষণ মামলায় জেলও খাটেন। সে সময় পুলিশ আমাকে বলেছিল, নিউটনের বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা আছে। এগুলোর মধ্যে একটি খুনের মামলাও ছিল। তবে নিউটন বলেছিলেন, এসব মামলা ষড়যন্ত্র করে করা হয়েছিল। যা হোক, তার পরও তিনি ২০০২ সালের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে চারদলীয় জোট সরকারের মনোনয়ন পান। সেই নির্বাচনে তিনি জয়ী হন। নিহত হওয়ার মাত্র তিন দিন আগে ৭ মে কাউন্সিলর হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। এমনিতে নিউটন সব সময় চলতেন পুলিশি পাহারায়। তেজগাঁও কলেজে এমএ পরীক্ষা দেওয়ার সময়ও পুলিশ পাহারায় ছিল। কিন্তু নির্বাচনের পর তিনি পুলিশের পাহারা ছেড়ে নিজস্ব লোকজন নিয়ে চলাফেরা শুরু করেন। যত দূর শুনেছিলাম, পুলিশ সঙ্গে নিয়ে তিনি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে বেড়াতেন। তাই পুলিশের পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা হয়। এর পরই পুলিশ প্রত্যাহার করা হয়।
পুলিশ ও বিভিন্নজনের সঙ্গে কথা বলে বোঝার চেষ্টা করছিলাম, নিউটন কেন খুন হলেন। মনে হয়েছিল, হয় নির্বাচনী কোনো কারণে অথবা পুরোনো কোনো বিরোধে তিনি খুন হয়েছেন। কিন্তু দুটোর কোনোটাই সত্যি হলো না। তিনি খুন হয়েছিলেন মিরপুর ১ নম্বর এলাকার কো-অপারেটিভ হকার্স মার্কেটের দখল নিয়ে বিরোধের জেরে। সে সময় মার্কেটটি দখলে নিতে চেয়েছিলেন মোহাম্মদ আলী ও তাঁর দলের লোকেরা। তাঁরা এই দখল কবজায় রাখতে কালা জাহাঙ্গীরের সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন। কালা জাহাঙ্গীর তাঁর সবচেয়ে বিশ্বস্ত সহচর কিলার আব্বাসকে নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিলেন। নিউটন খুনের পর ২৭ মে কালা জাহাঙ্গীরের সহযোগী ভুট্টো পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিলেন। ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে ভুট্টো বলেছিলেন, নিউটন হত্যাকাণ্ডে কালা জাহাঙ্গীরের সঙ্গে তিনি নিজেও উপস্থিত ছিলেন।
নিউটন খুনের ঘটনায় তাঁর মা রাবেয়া বেগম বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেছিলেন। সেই মামলায় তিনি বলেছিলেন, নির্বাচনী প্রতিপক্ষ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী রিপন হেরে যাওয়ার আক্রোশে আগা খান মিন্টু, রাহাত খান, মোশাররফ হোসেন মশুদের সহযোগিতায় নিউটনকে হত্যা করা হয়। পুলিশ এই মামলা তদন্ত করে ১৮ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয়। আসামি শওকত, রুবেল ও আইয়ুব স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন। ২০০৬ সালের ২৪ মে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ১৮ জনের মধ্যে দুজনকে খালাস দিয়ে ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। পরে হাইকোর্ট ফাঁসি ও যাবজ্জীবন থেকে ছয় আসামিকে অব্যাহতি দেন। মজার বিষয় হলো, শীর্ষ সন্ত্রাসী কালা জাহাঙ্গীরেরও মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়।
আজকের আষাঢ়ে নয় লিখতে গিয়ে মনে পড়ল নিউটনের সঙ্গে আমার সেই সাক্ষাতের কথা। তিনি বলছিলেন, যেকোনো সময় তিনি খুন হতে পারেন। তাঁর পেছনে বুলেট ঘুরছে। আমি তাঁকে বলেছিলাম, এসব ছেড়ে দেন, তাহলে ঝামেলা থাকবে না। তিনি বলেছিলেন, এটা একমুখী পথ, শুধু ঢোকা যায়, বের হওয়া যায় না। নিউটন খুন হওয়ার পর আমার মনে হয়েছিল, তাঁর কথাই সত্যি হলো। তিনি আর বের হতে পারলেন না।
আরও পড়ুন:

শুক্রবার মানেই ক্রাইম রিপোর্টারদের আরাম হারামের দিন। সেদিন কোনো না কোনো ঘটনা ঘটবেই। তা-ও সেটা ছোটখাটো কিছু নয়, রীতিমতো হইচই ফেলা ঘটনা। ২০০২ সালের ১০ মে, শুক্রবার সকালটাও সেভাবেই শুরু হয়েছিল দুরুদুরু মন নিয়ে। শেষ পর্যন্ত যা ভাবা, তা-ই হলো। জুমার আগেই খবর এল, ধানমন্ডিতে বড় মার্ডার হয়েছে।
মিরপুর রোডে গিয়ে দেখি, অর্কিড প্লাজার সামনে পুলিশের অনেক গাড়ি রাস্তার ওপর দাঁড় করানো। মার্কেটের সামনের রাস্তায় রক্তের দাগ। গুলিতে কাচ ঝাঁঝরা হওয়া নীল রঙের একটি মাইক্রোবাস ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে অনেক লোক। পুলিশ সদস্যরা মার্কেটের ভেতরে যাচ্ছেন আর আসছেন। সবাই তটস্থ, একটু পরে সেখানে কমিশনার আসবেন।
কে খুন হয়েছেন? এক পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রশ্ন করতেই তিনি বললেন, নিউটন। কোন নিউটন? তিনি আর বলতে পারলেন না। পাশ থেকে এক সাংবাদিক সহকর্মী বলে উঠলেন, মিরপুরের কাউন্সিলর নিউটন। এক ক্রাইম রিপোর্টার বন্ধু পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিনি খিস্তি করে বললেন, ‘আরে ব্যাটা, তুই কয় দিন আগে যারে নিয়ে নিউজ করলি, হেই ব্যাটা।’ তাঁর কথায় আমার চোখের সামনে ভেসে উঠল এক স্মার্ট, সুদর্শন যুবকের মুখ। তাঁর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ে মাসখানেক আগে একটি রিপোর্ট করেছিলাম। সেই রিপোর্টের জন্য তাঁর সঙ্গে বসে অনেকক্ষণ কথাও বলেছিলাম। তিনি আমার সঙ্গে খুব ভালো আচরণ করেছিলেন। রিপোর্ট ছাপা হওয়ার পর তিনি আমাকে ফোন করে কিছু অংশের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও বেশ বিনয় ছিল। সেই যুবক এভাবে খুন হওয়ায় একটু খারাপ লাগল।
ততক্ষণে অর্কিড প্লাজার সামনে মানুষের ভিড় জমে গেছে। পুলিশ রাস্তার এক পাশ বন্ধ করে দিয়েছে। সব গণমাধ্যমের সাংবাদিক সেখানে হামলে পড়েছেন।
সাধারণত কোনো ঘটনাস্থলে মানুষের ভিড় বেশি হলে নানা ধরনের কথা আসতে থাকে। তাতে ঘটনার সঙ্গে রটনাও মিশে যায়। তখন আসল-নকল খুঁজে বের করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। এখানেও সেটা হয়েছে। একজনের কাছে জানতে চাইলাম, মিরপুরের নিউটন এখানে কী করছিলেন? একেকজন একেক কথা বলেন। পরে পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া গেল আসল খবর।
সেই পুলিশ কর্মকর্তা বললেন, নিউটনের ছোট ভাই তপনের বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল সাতমসজিদ রোডের একটি কমিউনিটি সেন্টারে। সেই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে মিরপুরের বাসা থেকে সকালে ধানমন্ডি আসেন নিউটন। অর্কিড প্লাজার দোতলার কোনার দিকে শীতল নামের একটি সেলুন ছিল। চুল-দাড়ি কাটাতে সেখানে এসেছিলেন।
শীতল সেলুনের মালিক আলাউদ্দিন আমাকে বললেন, নিউটন এসেছিলেন বেলা ১১টার দিকে। ঠিক দুপুর ১২টার সময় তিনি নিচে নেমে যান। এ সময় তাঁর সঙ্গে ইসমাইল নামের একজন দেহরক্ষী ছিলেন। তিনি নিচে নেমে গাড়িতে ওঠার সময় তিন যুবক তাঁকে অনুসরণ করে গাড়ির দরজা পর্যন্ত চলে যান। তিনি যখন গাড়িতে উঠবেন, ঠিক তখনই যুবকদের একজন তাঁকে লক্ষ্য করে পরপর তিনটি গুলি ছোড়েন। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরও গাড়িতে ওঠার চেষ্টা করেন নিউটন, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। নিউটনের গাড়িচালক মিজান এগিয়ে আসার চেষ্টা করছিলেন। সন্ত্রাসীরা তাঁকে লক্ষ্য করেও গুলি ছোড়ে।
অর্কিড প্লাজার দারোয়ান সাইদ আমাকে বললেন, গুলি করার পর তিন যুবক রাস্তা পার হয়ে উল্টো দিকে চলে যান। সেখানে সাদা রঙের একটি গাড়ি দাঁড় করানো ছিল। যুবকের দল সেই গাড়িতে উঠে পালিয়ে যায়।
নিউটন কেন খুন হলেন, সেটা বলার আগে তাঁর ফিরিস্তিটা একটু বলে নিই। ছায়েদুর রহমান নিউটনের বাবার নাম ওয়ালিউর রহমান। মিরপুর ১ নম্বরের জি ব্লকে তাঁদের আদি নিবাস। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়। তাঁর পরিবারের সবাই লন্ডনপ্রবাসী। ’৮৯ সালে তেজগাঁও কলেজে পড়ার সময় তিনি ছাত্রদলে যোগ দেন। তখন মিরপুরের ৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হন। কলেজের পর্ব শেষ করে লন্ডনে চলে যান। ’৯২ সালে ফিরে এসে মিরপুর থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হন। ’৯৬ সালে মহানগর কমিটিতে আসেন। সে সময় ছাত্রনেতা নাসির উদ্দীন পিন্টুর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা হয়। লাল্টু-পিন্টুর কেন্দ্রীয় কমিটিতে সহসভাপতিও হন নিউটন। পরে নাসির উদ্দীন পিন্টু তাঁর ছোট বোন ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টির সঙ্গে বিয়ে দেন। নিউটন দম্পতির চমক নামের একটি মেয়েও আছে।
নাসির উদ্দীন পিন্টুর সঙ্গে সখ্যর সুবাদে নিউটন বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। তিনি মিরপুর এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। একটি ধর্ষণ মামলায় জেলও খাটেন। সে সময় পুলিশ আমাকে বলেছিল, নিউটনের বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা আছে। এগুলোর মধ্যে একটি খুনের মামলাও ছিল। তবে নিউটন বলেছিলেন, এসব মামলা ষড়যন্ত্র করে করা হয়েছিল। যা হোক, তার পরও তিনি ২০০২ সালের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে চারদলীয় জোট সরকারের মনোনয়ন পান। সেই নির্বাচনে তিনি জয়ী হন। নিহত হওয়ার মাত্র তিন দিন আগে ৭ মে কাউন্সিলর হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। এমনিতে নিউটন সব সময় চলতেন পুলিশি পাহারায়। তেজগাঁও কলেজে এমএ পরীক্ষা দেওয়ার সময়ও পুলিশ পাহারায় ছিল। কিন্তু নির্বাচনের পর তিনি পুলিশের পাহারা ছেড়ে নিজস্ব লোকজন নিয়ে চলাফেরা শুরু করেন। যত দূর শুনেছিলাম, পুলিশ সঙ্গে নিয়ে তিনি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে বেড়াতেন। তাই পুলিশের পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা হয়। এর পরই পুলিশ প্রত্যাহার করা হয়।
পুলিশ ও বিভিন্নজনের সঙ্গে কথা বলে বোঝার চেষ্টা করছিলাম, নিউটন কেন খুন হলেন। মনে হয়েছিল, হয় নির্বাচনী কোনো কারণে অথবা পুরোনো কোনো বিরোধে তিনি খুন হয়েছেন। কিন্তু দুটোর কোনোটাই সত্যি হলো না। তিনি খুন হয়েছিলেন মিরপুর ১ নম্বর এলাকার কো-অপারেটিভ হকার্স মার্কেটের দখল নিয়ে বিরোধের জেরে। সে সময় মার্কেটটি দখলে নিতে চেয়েছিলেন মোহাম্মদ আলী ও তাঁর দলের লোকেরা। তাঁরা এই দখল কবজায় রাখতে কালা জাহাঙ্গীরের সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন। কালা জাহাঙ্গীর তাঁর সবচেয়ে বিশ্বস্ত সহচর কিলার আব্বাসকে নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিলেন। নিউটন খুনের পর ২৭ মে কালা জাহাঙ্গীরের সহযোগী ভুট্টো পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিলেন। ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে ভুট্টো বলেছিলেন, নিউটন হত্যাকাণ্ডে কালা জাহাঙ্গীরের সঙ্গে তিনি নিজেও উপস্থিত ছিলেন।
নিউটন খুনের ঘটনায় তাঁর মা রাবেয়া বেগম বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেছিলেন। সেই মামলায় তিনি বলেছিলেন, নির্বাচনী প্রতিপক্ষ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী রিপন হেরে যাওয়ার আক্রোশে আগা খান মিন্টু, রাহাত খান, মোশাররফ হোসেন মশুদের সহযোগিতায় নিউটনকে হত্যা করা হয়। পুলিশ এই মামলা তদন্ত করে ১৮ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয়। আসামি শওকত, রুবেল ও আইয়ুব স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন। ২০০৬ সালের ২৪ মে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ১৮ জনের মধ্যে দুজনকে খালাস দিয়ে ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। পরে হাইকোর্ট ফাঁসি ও যাবজ্জীবন থেকে ছয় আসামিকে অব্যাহতি দেন। মজার বিষয় হলো, শীর্ষ সন্ত্রাসী কালা জাহাঙ্গীরেরও মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়।
আজকের আষাঢ়ে নয় লিখতে গিয়ে মনে পড়ল নিউটনের সঙ্গে আমার সেই সাক্ষাতের কথা। তিনি বলছিলেন, যেকোনো সময় তিনি খুন হতে পারেন। তাঁর পেছনে বুলেট ঘুরছে। আমি তাঁকে বলেছিলাম, এসব ছেড়ে দেন, তাহলে ঝামেলা থাকবে না। তিনি বলেছিলেন, এটা একমুখী পথ, শুধু ঢোকা যায়, বের হওয়া যায় না। নিউটন খুন হওয়ার পর আমার মনে হয়েছিল, তাঁর কথাই সত্যি হলো। তিনি আর বের হতে পারলেন না।
আরও পড়ুন:

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
৯ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
১৩ দিন আগে
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
২০ নভেম্বর ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২৮ হাজার ৭৬৬টি মোটরসাইকেল ও ৪৩ হাজার ৩৫২টি গাড়ি তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিকালে ২৯১টি অবৈধ মোটরসাইকেল আটক করা হয়।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ‘ফ্যাসিস্টদের’ দমনে ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে দেশজুড়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ নামে বিশেষ অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী।

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২৮ হাজার ৭৬৬টি মোটরসাইকেল ও ৪৩ হাজার ৩৫২টি গাড়ি তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিকালে ২৯১টি অবৈধ মোটরসাইকেল আটক করা হয়।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ‘ফ্যাসিস্টদের’ দমনে ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে দেশজুড়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ নামে বিশেষ অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী।

শুক্রবার মানেই ক্রাইম রিপোর্টারদের আরাম হারামের দিন। সেদিন কোনো না কোনো ঘটনা ঘটবেই। তা-ও সেটা ছোটখাটো কোনো কিছু নয়, রীতিমতো হইচই ফেলা ঘটনা। ২০০২ সালের ১০ মে, শুক্রবার সকালটাও সেভাবে শুরু হয়েছিল দুরুদুরু মন নিয়ে।
২৮ জানুয়ারি ২০২৩
জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
৯ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
১৩ দিন আগে
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
২০ নভেম্বর ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
হাদিকে গুলির ঘটনায় মাস্ক পরা দুই তরুণ জড়িত বলে তাঁর সহযোদ্ধাদের সন্দেহ। তাঁদের দাবি, কয়েকদিন ধরে দুই তরুণ মাস্ক পরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হাদির সঙ্গে গণসংযোগে অংশ নিচ্ছেন। বার বার তাঁদের মাস্ক খুলতে বলা হলেও তাঁরা রাজি হননি। হাদিঘনিষ্ঠদের সন্দেহ, এই তরুণরা হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর গতিবিধি বোঝার জন্য তাঁর সঙ্গে যুক্ত হন।
দুজনের মধ্যে মাস্ক পরা একজন হাদির পাশে বসে আছে— এমন একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই তাকে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ হিসেবে দেখিয়েছেন। তবে মাস্ক করা এই তরুণই যে হাদিকে গুলি করেছেন, কিংবা এই তরুণই যে ফয়সাল, তা নিশ্চিত করে বলছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে ‘সন্দেহভাজন’ হিসেবে শনাক্ত একজনের ছবি প্রকাশ করে ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ডিএমপির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট এলাকায় মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তদের হামলায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি গুরুতর আহত হন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেফতারে রাজধানীতে জোর অভিযান পরিচালনা করছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ছবির ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে সনাক্ত করা গেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তাকে হন্য হয়ে খুঁজছে। উক্ত ব্যক্তি সম্পর্কে কোন তথ্য থাকলে বা তার সন্ধান পেলে দ্রুত নিম্নলিখিত মোবাইল নম্বর অথবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে পুলিশকে জানানোর জন্য বিনীত অনুরোধ করা হলো।’
পুলিশের বিবৃতিতে এই তরুণের নাম উল্লেখ করা না হলেও ছবি দেখে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ বলে আন্দাজ করা যায়। এই তরুণকেও আগে হাদীর সঙ্গে দেখা গেছে। তবে গত কয়েকদিন ধরে হাদির সঙ্গে গণসংযোগে থাকা মাস্ক পরা তরুণটিই ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ এমন কোনো তথ্য পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত ৯ ডিসেম্বর বাংলামোটর এলাকায় হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়ে হাদির পাশে বসে আলোচনা শুনেছিলেন ফয়সাল করিম। সেই আলোচনার ছবিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ফয়সাল করিম নামের তরুণ কার্যক্রমনিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধঘোষিত সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হন। তাঁর পুরো নাম ফয়সাল করিম দাউদ খান।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে গুলিবিদ্ধ হন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা–৮ সংসদীয় আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ওসমান হাদি। হাদিকে বহনকারী রিকশাকে অনুসরণ করে পেছন দিকে থেকে মোটরসাইকেলে এসে তাঁকে গুলি করে চলে যায় আততায়ীরা। হাদি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার নামে ওসমান হাদির প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন জায়গায় তাঁর সঙ্গে ফয়সাল করিমের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সেই ছবিগুলোতে থাকা ফয়সাল করিমের সঙ্গে মাস্ক পরা ব্যক্তির চেহারার কিছুটা সাদৃশ্য আছে। সেকারণে গুলি ছোড়ার ঘটনায় তাঁকে সন্দেহ করা হচ্ছে।
এর মধ্যেই দুপুরে ডিএমপি সন্দেহভাজনকে শনাক্তের কথা জানায় এবং ওসমান হাদিকে গুলি করা ব্যক্তিকে ধরিয়ে দিতে পারলে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

পেশাদারদের যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইনে ফয়সাল করিমের নামে প্রোফাইল আছে। সেখানে তিনি নিজেকে অ্যাপল সফট আইটি, ওয়াইসিইউ টেকনোলজি ও এনলিস্ট ওয়ার্ক নামে তিন প্রতিষ্ঠানের মালিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
লিংকডইন প্রোফাইলের তথ্য অনুযায়ী, ফয়সাল করিম ২০১৩ সালে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটারবিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। পরে আরেকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি এমবিএ করেছেন বলে সেখানে উল্লেখ রয়েছে।
২০২৪ সালে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনকারীদের দমনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা–কর্মীদের সঙ্গে মাঠে ছিলেন বলে ছাত্রলীগের সূত্র জানিয়েছে।
ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় নাম আসার পর ফয়সাল করিমের সঙ্গে আওয়ামী লীগ আমলে বাংলাদেশের দুইবারের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কিছু নেতার ছবি ফেসবুকে প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে হাদির সঙ্গে ঢাকা–৮ আসনে গণসংযোগ এবং বাংলামোটরে হাদির প্রতিষ্ঠিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের আড্ডায় ফয়সালের অংশ নেওয়ার ছবিও ভাইরাল হয়েছে। অনেকে ধারণা করছেন, ফয়সাল করিম ওসমান হাদিকে বেশ কিছুদিন ধরে অনুসরণ করছিলেন।
২০১৬ সালে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সহযোগিতা ও সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ‘ব্যাটল অব ৭১’ নামে একটি কম্পিউটার গেম তৈরি করেছিল ফয়সাল করিমের মালিকানাধীন ওয়াইসিইউ টেকনোলজি লিমিটেড। সে বছরের নভেম্বরে ওই গেমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেসিসের তৎকালীন সভাপতি এবং পরে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারও উপস্থিত ছিলেন।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘আসনভিত্তিক নির্বাচন পরিচালনা ও সমন্বয়ক কমিটি’ করেছিল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ঢাকা–১২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এই আসনের সমন্বয়ক কমিটির সদস্য ছিলেন ফয়সাল করিম।
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকার আদাবরের বাইতুল আমান হাউজিং সোসাইটি এলাকায় ব্রিটিশ কলাম্বিয়া স্কুলের চতুর্থ তলায় অফিসে অস্ত্রের মুখে ১৭ লাখ টাকা লুটের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় আদাবর থানার মামলার প্রধান আসামি ছিলেন ফয়সাল করিম।
মামলা হওয়ার কিছুদিন পর ৭ নভেম্বর আদাবর এলাকা থেকে ফয়সাল করিমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাঁর কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও পাঁচটি গুলিও উদ্ধার করা হয়। ওই মামলায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান ফয়সাল করিম। জামিনের সময়সীমা বাড়াতে গত ১২ আগস্ট আবারও আবেদন করলে হাইকোর্ট নতুন করে তাঁর এক বছরের জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিনে থাকা অবস্থায় এবার তাঁর বিরুদ্ধে ওসমান হাদিকে গুলি করার অভিযোগ এল। এত অল্প সময়ের মধ্যে তিনি কীভাবে জামিন পেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। কারণ, কোনো অপরাধমূলক কাজের প্রমাণ না থাকলেও অভ্যুত্থানের পর শুধু মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা সভা করায় গ্রেপ্তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাংবাদিকের জামিন বারবার নাকচ করা হয়েছিল। আর এ রকম লুটের ঘটনায় দুটি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিকে এতো দ্রুত জামিন দেওয়া হলো কীভাবে, সেই প্রশ্ন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন আলোচনা–সমালোচনায় সরব।

জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
হাদিকে গুলির ঘটনায় মাস্ক পরা দুই তরুণ জড়িত বলে তাঁর সহযোদ্ধাদের সন্দেহ। তাঁদের দাবি, কয়েকদিন ধরে দুই তরুণ মাস্ক পরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হাদির সঙ্গে গণসংযোগে অংশ নিচ্ছেন। বার বার তাঁদের মাস্ক খুলতে বলা হলেও তাঁরা রাজি হননি। হাদিঘনিষ্ঠদের সন্দেহ, এই তরুণরা হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর গতিবিধি বোঝার জন্য তাঁর সঙ্গে যুক্ত হন।
দুজনের মধ্যে মাস্ক পরা একজন হাদির পাশে বসে আছে— এমন একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই তাকে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ হিসেবে দেখিয়েছেন। তবে মাস্ক করা এই তরুণই যে হাদিকে গুলি করেছেন, কিংবা এই তরুণই যে ফয়সাল, তা নিশ্চিত করে বলছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে ‘সন্দেহভাজন’ হিসেবে শনাক্ত একজনের ছবি প্রকাশ করে ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ডিএমপির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট এলাকায় মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তদের হামলায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি গুরুতর আহত হন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেফতারে রাজধানীতে জোর অভিযান পরিচালনা করছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ছবির ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে সনাক্ত করা গেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তাকে হন্য হয়ে খুঁজছে। উক্ত ব্যক্তি সম্পর্কে কোন তথ্য থাকলে বা তার সন্ধান পেলে দ্রুত নিম্নলিখিত মোবাইল নম্বর অথবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে পুলিশকে জানানোর জন্য বিনীত অনুরোধ করা হলো।’
পুলিশের বিবৃতিতে এই তরুণের নাম উল্লেখ করা না হলেও ছবি দেখে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ বলে আন্দাজ করা যায়। এই তরুণকেও আগে হাদীর সঙ্গে দেখা গেছে। তবে গত কয়েকদিন ধরে হাদির সঙ্গে গণসংযোগে থাকা মাস্ক পরা তরুণটিই ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ এমন কোনো তথ্য পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত ৯ ডিসেম্বর বাংলামোটর এলাকায় হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়ে হাদির পাশে বসে আলোচনা শুনেছিলেন ফয়সাল করিম। সেই আলোচনার ছবিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ফয়সাল করিম নামের তরুণ কার্যক্রমনিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধঘোষিত সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হন। তাঁর পুরো নাম ফয়সাল করিম দাউদ খান।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে গুলিবিদ্ধ হন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা–৮ সংসদীয় আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ওসমান হাদি। হাদিকে বহনকারী রিকশাকে অনুসরণ করে পেছন দিকে থেকে মোটরসাইকেলে এসে তাঁকে গুলি করে চলে যায় আততায়ীরা। হাদি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার নামে ওসমান হাদির প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন জায়গায় তাঁর সঙ্গে ফয়সাল করিমের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সেই ছবিগুলোতে থাকা ফয়সাল করিমের সঙ্গে মাস্ক পরা ব্যক্তির চেহারার কিছুটা সাদৃশ্য আছে। সেকারণে গুলি ছোড়ার ঘটনায় তাঁকে সন্দেহ করা হচ্ছে।
এর মধ্যেই দুপুরে ডিএমপি সন্দেহভাজনকে শনাক্তের কথা জানায় এবং ওসমান হাদিকে গুলি করা ব্যক্তিকে ধরিয়ে দিতে পারলে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

পেশাদারদের যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইনে ফয়সাল করিমের নামে প্রোফাইল আছে। সেখানে তিনি নিজেকে অ্যাপল সফট আইটি, ওয়াইসিইউ টেকনোলজি ও এনলিস্ট ওয়ার্ক নামে তিন প্রতিষ্ঠানের মালিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
লিংকডইন প্রোফাইলের তথ্য অনুযায়ী, ফয়সাল করিম ২০১৩ সালে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটারবিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। পরে আরেকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি এমবিএ করেছেন বলে সেখানে উল্লেখ রয়েছে।
২০২৪ সালে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনকারীদের দমনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা–কর্মীদের সঙ্গে মাঠে ছিলেন বলে ছাত্রলীগের সূত্র জানিয়েছে।
ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় নাম আসার পর ফয়সাল করিমের সঙ্গে আওয়ামী লীগ আমলে বাংলাদেশের দুইবারের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কিছু নেতার ছবি ফেসবুকে প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে হাদির সঙ্গে ঢাকা–৮ আসনে গণসংযোগ এবং বাংলামোটরে হাদির প্রতিষ্ঠিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের আড্ডায় ফয়সালের অংশ নেওয়ার ছবিও ভাইরাল হয়েছে। অনেকে ধারণা করছেন, ফয়সাল করিম ওসমান হাদিকে বেশ কিছুদিন ধরে অনুসরণ করছিলেন।
২০১৬ সালে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সহযোগিতা ও সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ‘ব্যাটল অব ৭১’ নামে একটি কম্পিউটার গেম তৈরি করেছিল ফয়সাল করিমের মালিকানাধীন ওয়াইসিইউ টেকনোলজি লিমিটেড। সে বছরের নভেম্বরে ওই গেমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেসিসের তৎকালীন সভাপতি এবং পরে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারও উপস্থিত ছিলেন।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘আসনভিত্তিক নির্বাচন পরিচালনা ও সমন্বয়ক কমিটি’ করেছিল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ঢাকা–১২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এই আসনের সমন্বয়ক কমিটির সদস্য ছিলেন ফয়সাল করিম।
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকার আদাবরের বাইতুল আমান হাউজিং সোসাইটি এলাকায় ব্রিটিশ কলাম্বিয়া স্কুলের চতুর্থ তলায় অফিসে অস্ত্রের মুখে ১৭ লাখ টাকা লুটের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় আদাবর থানার মামলার প্রধান আসামি ছিলেন ফয়সাল করিম।
মামলা হওয়ার কিছুদিন পর ৭ নভেম্বর আদাবর এলাকা থেকে ফয়সাল করিমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাঁর কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও পাঁচটি গুলিও উদ্ধার করা হয়। ওই মামলায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান ফয়সাল করিম। জামিনের সময়সীমা বাড়াতে গত ১২ আগস্ট আবারও আবেদন করলে হাইকোর্ট নতুন করে তাঁর এক বছরের জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিনে থাকা অবস্থায় এবার তাঁর বিরুদ্ধে ওসমান হাদিকে গুলি করার অভিযোগ এল। এত অল্প সময়ের মধ্যে তিনি কীভাবে জামিন পেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। কারণ, কোনো অপরাধমূলক কাজের প্রমাণ না থাকলেও অভ্যুত্থানের পর শুধু মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা সভা করায় গ্রেপ্তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাংবাদিকের জামিন বারবার নাকচ করা হয়েছিল। আর এ রকম লুটের ঘটনায় দুটি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিকে এতো দ্রুত জামিন দেওয়া হলো কীভাবে, সেই প্রশ্ন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন আলোচনা–সমালোচনায় সরব।

শুক্রবার মানেই ক্রাইম রিপোর্টারদের আরাম হারামের দিন। সেদিন কোনো না কোনো ঘটনা ঘটবেই। তা-ও সেটা ছোটখাটো কোনো কিছু নয়, রীতিমতো হইচই ফেলা ঘটনা। ২০০২ সালের ১০ মে, শুক্রবার সকালটাও সেভাবে শুরু হয়েছিল দুরুদুরু মন নিয়ে।
২৮ জানুয়ারি ২০২৩
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
১৩ দিন আগে
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
২০ নভেম্বর ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় করা হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
স্ত্রী লায়লা আফরোজ (৪৮) ও মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ (১৫) হত্যার ঘটনায় গতকাল মামলাটি করেন নাটোরের স্থায়ী বাসিন্দা আ জ ম আজিজুল ইসলাম। মামলায় কথিত গৃহকর্মী মোছা. আয়েশাকে (২০) একমাত্র আসামি করা হয়েছে। তবে এজাহারে তাঁর বাবার নাম ও ঠিকানায় ‘অজ্ঞাত’ লেখা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে মামলার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রকিবুজ্জামান তালুকদার। গতকাল সকাল ৭টা ৫১ মিনিট থেকে ৯টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে যেকোনো সময় এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এজাহারে বাদী আজিজুল লিখেছেন, তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। মোহাম্মদপুরে পরিবার নিয়ে থাকেন। চার দিন আগে উল্লিখিত আসামি তাঁর বাসায় খণ্ডকালীন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। গতকাল সকাল ৭টার দিকে তিনি (আজিজুল) তাঁর কর্মস্থল উত্তরায় চলে যান। কর্মস্থলে থাকাকালে তিনি তাঁর স্ত্রীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
পরে তিনি বেলা ১১টার দিকে বাসায় আসেন। এসে দেখতে পান, তাঁর স্ত্রীর গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটা। স্ত্রী রক্তাক্ত জখম হয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন আর মেয়ের গলার নিচে ডান পাশে কাটা। মেয়ে গুরুতর অবস্থায় বাসার প্রধান ফটকে পড়ে আছে। মেয়ের এই অবস্থা দেখে তিনি দ্রুত তাকে উদ্ধার করেন। পরিচ্ছন্নতাকর্মী আশিকের মাধ্যমে মেয়েকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
মামলায় আজিজুল আরও লিখেছেন, তিনি বাসার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করেন। এতে তিনি দেখতে পান, আসামি সকাল ৭টা ৫১ মিনিটের সময় কাজ করার জন্য বাসায় আসেন। সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের সময় আসামি তাঁর (বাদী) মেয়ের স্কুলড্রেস পরে বাসা থেকে পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থসহ অন্যান্য মূলবান সামগ্রী নিয়ে যান আসামি।
মামলায় বাদী লিখেছেন, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তিনি নিশ্চিত হন যে, অজ্ঞাত কারণে আসামি তাঁর (বাদী) স্ত্রী ও মেয়েকে ছুরি বা অন্য কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে হত্যা করেন।
মা-মেয়ে হত্যার আসামিকে শনাক্ত করা যায়নি। মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ জানায়, গৃহকর্মীর পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় করা হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
স্ত্রী লায়লা আফরোজ (৪৮) ও মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ (১৫) হত্যার ঘটনায় গতকাল মামলাটি করেন নাটোরের স্থায়ী বাসিন্দা আ জ ম আজিজুল ইসলাম। মামলায় কথিত গৃহকর্মী মোছা. আয়েশাকে (২০) একমাত্র আসামি করা হয়েছে। তবে এজাহারে তাঁর বাবার নাম ও ঠিকানায় ‘অজ্ঞাত’ লেখা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে মামলার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রকিবুজ্জামান তালুকদার। গতকাল সকাল ৭টা ৫১ মিনিট থেকে ৯টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে যেকোনো সময় এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এজাহারে বাদী আজিজুল লিখেছেন, তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। মোহাম্মদপুরে পরিবার নিয়ে থাকেন। চার দিন আগে উল্লিখিত আসামি তাঁর বাসায় খণ্ডকালীন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। গতকাল সকাল ৭টার দিকে তিনি (আজিজুল) তাঁর কর্মস্থল উত্তরায় চলে যান। কর্মস্থলে থাকাকালে তিনি তাঁর স্ত্রীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
পরে তিনি বেলা ১১টার দিকে বাসায় আসেন। এসে দেখতে পান, তাঁর স্ত্রীর গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটা। স্ত্রী রক্তাক্ত জখম হয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন আর মেয়ের গলার নিচে ডান পাশে কাটা। মেয়ে গুরুতর অবস্থায় বাসার প্রধান ফটকে পড়ে আছে। মেয়ের এই অবস্থা দেখে তিনি দ্রুত তাকে উদ্ধার করেন। পরিচ্ছন্নতাকর্মী আশিকের মাধ্যমে মেয়েকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
মামলায় আজিজুল আরও লিখেছেন, তিনি বাসার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করেন। এতে তিনি দেখতে পান, আসামি সকাল ৭টা ৫১ মিনিটের সময় কাজ করার জন্য বাসায় আসেন। সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের সময় আসামি তাঁর (বাদী) মেয়ের স্কুলড্রেস পরে বাসা থেকে পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থসহ অন্যান্য মূলবান সামগ্রী নিয়ে যান আসামি।
মামলায় বাদী লিখেছেন, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তিনি নিশ্চিত হন যে, অজ্ঞাত কারণে আসামি তাঁর (বাদী) স্ত্রী ও মেয়েকে ছুরি বা অন্য কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে হত্যা করেন।
মা-মেয়ে হত্যার আসামিকে শনাক্ত করা যায়নি। মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ জানায়, গৃহকর্মীর পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

শুক্রবার মানেই ক্রাইম রিপোর্টারদের আরাম হারামের দিন। সেদিন কোনো না কোনো ঘটনা ঘটবেই। তা-ও সেটা ছোটখাটো কোনো কিছু নয়, রীতিমতো হইচই ফেলা ঘটনা। ২০০২ সালের ১০ মে, শুক্রবার সকালটাও সেভাবে শুরু হয়েছিল দুরুদুরু মন নিয়ে।
২৮ জানুয়ারি ২০২৩
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
৯ দিন আগে
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
২০ নভেম্বর ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

শুক্রবার মানেই ক্রাইম রিপোর্টারদের আরাম হারামের দিন। সেদিন কোনো না কোনো ঘটনা ঘটবেই। তা-ও সেটা ছোটখাটো কোনো কিছু নয়, রীতিমতো হইচই ফেলা ঘটনা। ২০০২ সালের ১০ মে, শুক্রবার সকালটাও সেভাবে শুরু হয়েছিল দুরুদুরু মন নিয়ে।
২৮ জানুয়ারি ২০২৩
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
৯ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
১৩ দিন আগে