পটুয়াখালী প্রতিনিধি

অ্যাসিডে দগ্ধ মেয়ে ফেরদৌসী সুমাইয়াকে ভারতে রেখে দেশে চলে এসেছেন বাবা রাজা মিয়া গাজী ও মা তাসলিমা বেগম। তাঁদের বাড়ি পটুয়াখালী সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের গেরাখালী গ্রামে। টাকার জোগাড় করতেই তাঁরা এসেছেন বলে জানিয়েছেন। তবে সুমাইয়ার অভিযোগ, প্রধান অভিযুক্তকে বাঁচাতে বাবা তাঁকে সহযোগিতা করছেন না।
২০২১ সালের ৩ আগস্ট মধ্যরাতে দুর্বৃত্তের ছোড়া অ্যাসিডে ঝলসে যায় ঘুমন্ত সুমাইয়া (১৮) ও তার ছোট ভাই মোহাম্মদ আলীর (১২) শরীরের একাংশ। স্থানীয়ভাবে সুমাইয়া চিকিৎসা নিয়ে ভালো না হওয়ায় সম্প্রতি তাঁকে ভারতে নেওয়া হয়। চিকিৎসা দীর্ঘ মেয়াদি হওয়ায় একপর্যায়ে মেয়ে ও স্ত্রীকে রেখে দেশে চলে আসেন সুমাইয়ার বাবা রাজা মিয়া গাজী। দুই-তিন দিন আগে সুমাইয়ার মাও মেয়েকে একা রেখে দেশে চলে এসেছেন।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার সকালে পটুয়াখালী পুলিশ সুপারের হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও বার্তা পাঠান সুমাইয়া। তিনি আকুতি মিনতি করে তাঁর চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা চান। পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সুমাইয়া ২০২১ এইচএসসি পাস করেন। পরে পটুয়াখালী সরকারি কলেজে ব্যবস্থাপনা বিভাগে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হন। বর্তমানে তিনি ভারতের ভেলরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
২০২১ সালের ২৮ আগস্ট সুমাইয়ার খালা রেবেকা বেগম বাদী হয়ে ওই চাচাতো ভাই এনায়েত গাজীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে পটুয়াখালী সদর থানায় মামলা করেন। পরবর্তীতে তদন্ত শেষে পুলিশ ২০২২ সালের ১৫ অক্টোবর এনায়েত গাজী (৩০), রাসেল গাজী (৩০) ও রাসেলের স্ত্রী মারিয়া বেগমের (২০) নামে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন।
ফেরদৌসী সুমাইয়া গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সাজেদুল ইসলামের সঙ্গে হোয়াটস অ্যাপে কথা বলেন। সুমাইয়া অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার আপন চাচাতো ভাই আমার গায়ে অ্যাসিড মেরেছে। আমার বাবা ও মা আমাকে নিয়ে ভারতে চিকিৎসা করাতে এসেছেন। টাকা শেষ হয়ে যাওয়ায় প্রথমে বাবা দেশে চলে যান এবং গত ২-৩ দিন আগে মাও চলে যান। এখন আমি ভারতের ভেলরে একা পড়ে আছি। অর্থের অভাবে ওষুধ কিনতে না পারায় আমার মুখ ফুলে উঠেছে এবং প্রচণ্ড যন্ত্রণা করছে। আমি আমার চাচাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে কথা বলায় বাবা আমার ওপর প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। ভাতিজাকে বাঁচানোর জন্য বাবা আমাকে সহযোগিতা করছেন না। ভালোভাবে চিকিৎসাও করাচ্ছেন না। আমাকে নিয়ে আমার বাবা অনেকবার সালিস বৈঠকে বসেছেন। এতে আমি নানাভাবে প্রতারিত ও নির্যাতনের শিকার হয়েছি। এমনকি আমার বাবার কারণে আমার মামলাটিও এখন ঠিকমতো চালানো যাচ্ছে না। তাঁর (বাবা) কারণে আসামিরা সবাই জামিন পেয়েছেন।’
সুমাইয়ার আকুতি, ‘আপনারা চিকিৎসার খরচের জোগান দিয়ে আমাকে একটু বাঁচান। আমি আর অ্যাসিডের পোড়া যন্ত্রণা সহ্য করতে পারছি না। প্লিজ, আপনারা আমাকে বাঁচান।’
মেয়েকে রেখে আসার কারণ জানতে চাইলে সুমাইয়ার বাবা রাজা মিয়া গাজী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি আইছি এক মাস হইছে, বাড়িতে ধান আছে, মাড়াই করা লাগবে এই জন্য। বাড়ি আসার পর ২০ হাজার টাকা পাঠাইছি, আবার পাঠামু। আর টাকা হলেই ভারতে চলে যামু। তবে মেয়ের মা কেন আইছে তা জানি না।’
আপনার মেয়ের শরীরে অ্যাসিড নিক্ষেপকারীর বিচার চান কি না, এমন প্রশ্নে রাজা মিয়া বলেন, ‘অ্যাসিড যে মারছে তিনি আমার ভাতিজা। মীমাংসার জন্য এ পর্যন্ত ৭ লাখ টাকা দেছে, যাতে মামলা না হয়। এহন টাকা মেয়ের অ্যাকাউন্টে। সে ফালাইয়া দেবে না চিকিৎসা করবে তা মেয়ে আর মেয়ের মা জানে। তারা (ভাতিজা) টাকা দেবে, বিচারও চলবে, তাইলে কি হইল? আমি জানি না মেয়ের মা ও মেয়ে জানে।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মেয়েটির মা তাসলিমা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেয়ের চিকিৎসার টাকা সংগ্রহ করার জন্য আমি দেশে এসেছি। আমার স্বামী তার ভাইয়ের ছেলেদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে।’
মেয়েকে অ্যাসিড নিক্ষেপের কারণ জানতে চাইলে তাসলিমা বলেন, ‘যারা অ্যাসিড নিক্ষেপ করেছে তাদের সঙ্গে প্রতিবেশীদের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে তারা আমার মেয়েকে অ্যাসিড মেরে ঝলসে দিয়েছে। আমি আসামিদের বিচার চাই।’
পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলার তদন্ত শেষে তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন। মেয়েটি আমাকে যে বার্তাটি দিয়েছে সেটি আমরা মানবিক দৃষ্টিতে দেখছি। মেয়েটিকে সহযোগিতার জন্য বিভিন্ন এনজিওসহ মানবিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে কথা বলেছি। পটুয়াখালীর পুলিশ প্রশাসন থেকেও মেয়েটিকে চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা করা হবে। মেয়েটি দ্রুত সুস্থ হয়ে ফিরে আসুক এটাই কাম্য।’

অ্যাসিডে দগ্ধ মেয়ে ফেরদৌসী সুমাইয়াকে ভারতে রেখে দেশে চলে এসেছেন বাবা রাজা মিয়া গাজী ও মা তাসলিমা বেগম। তাঁদের বাড়ি পটুয়াখালী সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের গেরাখালী গ্রামে। টাকার জোগাড় করতেই তাঁরা এসেছেন বলে জানিয়েছেন। তবে সুমাইয়ার অভিযোগ, প্রধান অভিযুক্তকে বাঁচাতে বাবা তাঁকে সহযোগিতা করছেন না।
২০২১ সালের ৩ আগস্ট মধ্যরাতে দুর্বৃত্তের ছোড়া অ্যাসিডে ঝলসে যায় ঘুমন্ত সুমাইয়া (১৮) ও তার ছোট ভাই মোহাম্মদ আলীর (১২) শরীরের একাংশ। স্থানীয়ভাবে সুমাইয়া চিকিৎসা নিয়ে ভালো না হওয়ায় সম্প্রতি তাঁকে ভারতে নেওয়া হয়। চিকিৎসা দীর্ঘ মেয়াদি হওয়ায় একপর্যায়ে মেয়ে ও স্ত্রীকে রেখে দেশে চলে আসেন সুমাইয়ার বাবা রাজা মিয়া গাজী। দুই-তিন দিন আগে সুমাইয়ার মাও মেয়েকে একা রেখে দেশে চলে এসেছেন।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার সকালে পটুয়াখালী পুলিশ সুপারের হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও বার্তা পাঠান সুমাইয়া। তিনি আকুতি মিনতি করে তাঁর চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা চান। পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সুমাইয়া ২০২১ এইচএসসি পাস করেন। পরে পটুয়াখালী সরকারি কলেজে ব্যবস্থাপনা বিভাগে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হন। বর্তমানে তিনি ভারতের ভেলরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
২০২১ সালের ২৮ আগস্ট সুমাইয়ার খালা রেবেকা বেগম বাদী হয়ে ওই চাচাতো ভাই এনায়েত গাজীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে পটুয়াখালী সদর থানায় মামলা করেন। পরবর্তীতে তদন্ত শেষে পুলিশ ২০২২ সালের ১৫ অক্টোবর এনায়েত গাজী (৩০), রাসেল গাজী (৩০) ও রাসেলের স্ত্রী মারিয়া বেগমের (২০) নামে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন।
ফেরদৌসী সুমাইয়া গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সাজেদুল ইসলামের সঙ্গে হোয়াটস অ্যাপে কথা বলেন। সুমাইয়া অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার আপন চাচাতো ভাই আমার গায়ে অ্যাসিড মেরেছে। আমার বাবা ও মা আমাকে নিয়ে ভারতে চিকিৎসা করাতে এসেছেন। টাকা শেষ হয়ে যাওয়ায় প্রথমে বাবা দেশে চলে যান এবং গত ২-৩ দিন আগে মাও চলে যান। এখন আমি ভারতের ভেলরে একা পড়ে আছি। অর্থের অভাবে ওষুধ কিনতে না পারায় আমার মুখ ফুলে উঠেছে এবং প্রচণ্ড যন্ত্রণা করছে। আমি আমার চাচাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে কথা বলায় বাবা আমার ওপর প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। ভাতিজাকে বাঁচানোর জন্য বাবা আমাকে সহযোগিতা করছেন না। ভালোভাবে চিকিৎসাও করাচ্ছেন না। আমাকে নিয়ে আমার বাবা অনেকবার সালিস বৈঠকে বসেছেন। এতে আমি নানাভাবে প্রতারিত ও নির্যাতনের শিকার হয়েছি। এমনকি আমার বাবার কারণে আমার মামলাটিও এখন ঠিকমতো চালানো যাচ্ছে না। তাঁর (বাবা) কারণে আসামিরা সবাই জামিন পেয়েছেন।’
সুমাইয়ার আকুতি, ‘আপনারা চিকিৎসার খরচের জোগান দিয়ে আমাকে একটু বাঁচান। আমি আর অ্যাসিডের পোড়া যন্ত্রণা সহ্য করতে পারছি না। প্লিজ, আপনারা আমাকে বাঁচান।’
মেয়েকে রেখে আসার কারণ জানতে চাইলে সুমাইয়ার বাবা রাজা মিয়া গাজী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি আইছি এক মাস হইছে, বাড়িতে ধান আছে, মাড়াই করা লাগবে এই জন্য। বাড়ি আসার পর ২০ হাজার টাকা পাঠাইছি, আবার পাঠামু। আর টাকা হলেই ভারতে চলে যামু। তবে মেয়ের মা কেন আইছে তা জানি না।’
আপনার মেয়ের শরীরে অ্যাসিড নিক্ষেপকারীর বিচার চান কি না, এমন প্রশ্নে রাজা মিয়া বলেন, ‘অ্যাসিড যে মারছে তিনি আমার ভাতিজা। মীমাংসার জন্য এ পর্যন্ত ৭ লাখ টাকা দেছে, যাতে মামলা না হয়। এহন টাকা মেয়ের অ্যাকাউন্টে। সে ফালাইয়া দেবে না চিকিৎসা করবে তা মেয়ে আর মেয়ের মা জানে। তারা (ভাতিজা) টাকা দেবে, বিচারও চলবে, তাইলে কি হইল? আমি জানি না মেয়ের মা ও মেয়ে জানে।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মেয়েটির মা তাসলিমা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেয়ের চিকিৎসার টাকা সংগ্রহ করার জন্য আমি দেশে এসেছি। আমার স্বামী তার ভাইয়ের ছেলেদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে।’
মেয়েকে অ্যাসিড নিক্ষেপের কারণ জানতে চাইলে তাসলিমা বলেন, ‘যারা অ্যাসিড নিক্ষেপ করেছে তাদের সঙ্গে প্রতিবেশীদের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে তারা আমার মেয়েকে অ্যাসিড মেরে ঝলসে দিয়েছে। আমি আসামিদের বিচার চাই।’
পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলার তদন্ত শেষে তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন। মেয়েটি আমাকে যে বার্তাটি দিয়েছে সেটি আমরা মানবিক দৃষ্টিতে দেখছি। মেয়েটিকে সহযোগিতার জন্য বিভিন্ন এনজিওসহ মানবিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে কথা বলেছি। পটুয়াখালীর পুলিশ প্রশাসন থেকেও মেয়েটিকে চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা করা হবে। মেয়েটি দ্রুত সুস্থ হয়ে ফিরে আসুক এটাই কাম্য।’
পটুয়াখালী প্রতিনিধি

অ্যাসিডে দগ্ধ মেয়ে ফেরদৌসী সুমাইয়াকে ভারতে রেখে দেশে চলে এসেছেন বাবা রাজা মিয়া গাজী ও মা তাসলিমা বেগম। তাঁদের বাড়ি পটুয়াখালী সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের গেরাখালী গ্রামে। টাকার জোগাড় করতেই তাঁরা এসেছেন বলে জানিয়েছেন। তবে সুমাইয়ার অভিযোগ, প্রধান অভিযুক্তকে বাঁচাতে বাবা তাঁকে সহযোগিতা করছেন না।
২০২১ সালের ৩ আগস্ট মধ্যরাতে দুর্বৃত্তের ছোড়া অ্যাসিডে ঝলসে যায় ঘুমন্ত সুমাইয়া (১৮) ও তার ছোট ভাই মোহাম্মদ আলীর (১২) শরীরের একাংশ। স্থানীয়ভাবে সুমাইয়া চিকিৎসা নিয়ে ভালো না হওয়ায় সম্প্রতি তাঁকে ভারতে নেওয়া হয়। চিকিৎসা দীর্ঘ মেয়াদি হওয়ায় একপর্যায়ে মেয়ে ও স্ত্রীকে রেখে দেশে চলে আসেন সুমাইয়ার বাবা রাজা মিয়া গাজী। দুই-তিন দিন আগে সুমাইয়ার মাও মেয়েকে একা রেখে দেশে চলে এসেছেন।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার সকালে পটুয়াখালী পুলিশ সুপারের হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও বার্তা পাঠান সুমাইয়া। তিনি আকুতি মিনতি করে তাঁর চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা চান। পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সুমাইয়া ২০২১ এইচএসসি পাস করেন। পরে পটুয়াখালী সরকারি কলেজে ব্যবস্থাপনা বিভাগে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হন। বর্তমানে তিনি ভারতের ভেলরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
২০২১ সালের ২৮ আগস্ট সুমাইয়ার খালা রেবেকা বেগম বাদী হয়ে ওই চাচাতো ভাই এনায়েত গাজীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে পটুয়াখালী সদর থানায় মামলা করেন। পরবর্তীতে তদন্ত শেষে পুলিশ ২০২২ সালের ১৫ অক্টোবর এনায়েত গাজী (৩০), রাসেল গাজী (৩০) ও রাসেলের স্ত্রী মারিয়া বেগমের (২০) নামে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন।
ফেরদৌসী সুমাইয়া গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সাজেদুল ইসলামের সঙ্গে হোয়াটস অ্যাপে কথা বলেন। সুমাইয়া অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার আপন চাচাতো ভাই আমার গায়ে অ্যাসিড মেরেছে। আমার বাবা ও মা আমাকে নিয়ে ভারতে চিকিৎসা করাতে এসেছেন। টাকা শেষ হয়ে যাওয়ায় প্রথমে বাবা দেশে চলে যান এবং গত ২-৩ দিন আগে মাও চলে যান। এখন আমি ভারতের ভেলরে একা পড়ে আছি। অর্থের অভাবে ওষুধ কিনতে না পারায় আমার মুখ ফুলে উঠেছে এবং প্রচণ্ড যন্ত্রণা করছে। আমি আমার চাচাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে কথা বলায় বাবা আমার ওপর প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। ভাতিজাকে বাঁচানোর জন্য বাবা আমাকে সহযোগিতা করছেন না। ভালোভাবে চিকিৎসাও করাচ্ছেন না। আমাকে নিয়ে আমার বাবা অনেকবার সালিস বৈঠকে বসেছেন। এতে আমি নানাভাবে প্রতারিত ও নির্যাতনের শিকার হয়েছি। এমনকি আমার বাবার কারণে আমার মামলাটিও এখন ঠিকমতো চালানো যাচ্ছে না। তাঁর (বাবা) কারণে আসামিরা সবাই জামিন পেয়েছেন।’
সুমাইয়ার আকুতি, ‘আপনারা চিকিৎসার খরচের জোগান দিয়ে আমাকে একটু বাঁচান। আমি আর অ্যাসিডের পোড়া যন্ত্রণা সহ্য করতে পারছি না। প্লিজ, আপনারা আমাকে বাঁচান।’
মেয়েকে রেখে আসার কারণ জানতে চাইলে সুমাইয়ার বাবা রাজা মিয়া গাজী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি আইছি এক মাস হইছে, বাড়িতে ধান আছে, মাড়াই করা লাগবে এই জন্য। বাড়ি আসার পর ২০ হাজার টাকা পাঠাইছি, আবার পাঠামু। আর টাকা হলেই ভারতে চলে যামু। তবে মেয়ের মা কেন আইছে তা জানি না।’
আপনার মেয়ের শরীরে অ্যাসিড নিক্ষেপকারীর বিচার চান কি না, এমন প্রশ্নে রাজা মিয়া বলেন, ‘অ্যাসিড যে মারছে তিনি আমার ভাতিজা। মীমাংসার জন্য এ পর্যন্ত ৭ লাখ টাকা দেছে, যাতে মামলা না হয়। এহন টাকা মেয়ের অ্যাকাউন্টে। সে ফালাইয়া দেবে না চিকিৎসা করবে তা মেয়ে আর মেয়ের মা জানে। তারা (ভাতিজা) টাকা দেবে, বিচারও চলবে, তাইলে কি হইল? আমি জানি না মেয়ের মা ও মেয়ে জানে।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মেয়েটির মা তাসলিমা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেয়ের চিকিৎসার টাকা সংগ্রহ করার জন্য আমি দেশে এসেছি। আমার স্বামী তার ভাইয়ের ছেলেদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে।’
মেয়েকে অ্যাসিড নিক্ষেপের কারণ জানতে চাইলে তাসলিমা বলেন, ‘যারা অ্যাসিড নিক্ষেপ করেছে তাদের সঙ্গে প্রতিবেশীদের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে তারা আমার মেয়েকে অ্যাসিড মেরে ঝলসে দিয়েছে। আমি আসামিদের বিচার চাই।’
পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলার তদন্ত শেষে তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন। মেয়েটি আমাকে যে বার্তাটি দিয়েছে সেটি আমরা মানবিক দৃষ্টিতে দেখছি। মেয়েটিকে সহযোগিতার জন্য বিভিন্ন এনজিওসহ মানবিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে কথা বলেছি। পটুয়াখালীর পুলিশ প্রশাসন থেকেও মেয়েটিকে চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা করা হবে। মেয়েটি দ্রুত সুস্থ হয়ে ফিরে আসুক এটাই কাম্য।’

অ্যাসিডে দগ্ধ মেয়ে ফেরদৌসী সুমাইয়াকে ভারতে রেখে দেশে চলে এসেছেন বাবা রাজা মিয়া গাজী ও মা তাসলিমা বেগম। তাঁদের বাড়ি পটুয়াখালী সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের গেরাখালী গ্রামে। টাকার জোগাড় করতেই তাঁরা এসেছেন বলে জানিয়েছেন। তবে সুমাইয়ার অভিযোগ, প্রধান অভিযুক্তকে বাঁচাতে বাবা তাঁকে সহযোগিতা করছেন না।
২০২১ সালের ৩ আগস্ট মধ্যরাতে দুর্বৃত্তের ছোড়া অ্যাসিডে ঝলসে যায় ঘুমন্ত সুমাইয়া (১৮) ও তার ছোট ভাই মোহাম্মদ আলীর (১২) শরীরের একাংশ। স্থানীয়ভাবে সুমাইয়া চিকিৎসা নিয়ে ভালো না হওয়ায় সম্প্রতি তাঁকে ভারতে নেওয়া হয়। চিকিৎসা দীর্ঘ মেয়াদি হওয়ায় একপর্যায়ে মেয়ে ও স্ত্রীকে রেখে দেশে চলে আসেন সুমাইয়ার বাবা রাজা মিয়া গাজী। দুই-তিন দিন আগে সুমাইয়ার মাও মেয়েকে একা রেখে দেশে চলে এসেছেন।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার সকালে পটুয়াখালী পুলিশ সুপারের হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও বার্তা পাঠান সুমাইয়া। তিনি আকুতি মিনতি করে তাঁর চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা চান। পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সুমাইয়া ২০২১ এইচএসসি পাস করেন। পরে পটুয়াখালী সরকারি কলেজে ব্যবস্থাপনা বিভাগে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হন। বর্তমানে তিনি ভারতের ভেলরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
২০২১ সালের ২৮ আগস্ট সুমাইয়ার খালা রেবেকা বেগম বাদী হয়ে ওই চাচাতো ভাই এনায়েত গাজীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে পটুয়াখালী সদর থানায় মামলা করেন। পরবর্তীতে তদন্ত শেষে পুলিশ ২০২২ সালের ১৫ অক্টোবর এনায়েত গাজী (৩০), রাসেল গাজী (৩০) ও রাসেলের স্ত্রী মারিয়া বেগমের (২০) নামে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন।
ফেরদৌসী সুমাইয়া গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সাজেদুল ইসলামের সঙ্গে হোয়াটস অ্যাপে কথা বলেন। সুমাইয়া অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার আপন চাচাতো ভাই আমার গায়ে অ্যাসিড মেরেছে। আমার বাবা ও মা আমাকে নিয়ে ভারতে চিকিৎসা করাতে এসেছেন। টাকা শেষ হয়ে যাওয়ায় প্রথমে বাবা দেশে চলে যান এবং গত ২-৩ দিন আগে মাও চলে যান। এখন আমি ভারতের ভেলরে একা পড়ে আছি। অর্থের অভাবে ওষুধ কিনতে না পারায় আমার মুখ ফুলে উঠেছে এবং প্রচণ্ড যন্ত্রণা করছে। আমি আমার চাচাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে কথা বলায় বাবা আমার ওপর প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। ভাতিজাকে বাঁচানোর জন্য বাবা আমাকে সহযোগিতা করছেন না। ভালোভাবে চিকিৎসাও করাচ্ছেন না। আমাকে নিয়ে আমার বাবা অনেকবার সালিস বৈঠকে বসেছেন। এতে আমি নানাভাবে প্রতারিত ও নির্যাতনের শিকার হয়েছি। এমনকি আমার বাবার কারণে আমার মামলাটিও এখন ঠিকমতো চালানো যাচ্ছে না। তাঁর (বাবা) কারণে আসামিরা সবাই জামিন পেয়েছেন।’
সুমাইয়ার আকুতি, ‘আপনারা চিকিৎসার খরচের জোগান দিয়ে আমাকে একটু বাঁচান। আমি আর অ্যাসিডের পোড়া যন্ত্রণা সহ্য করতে পারছি না। প্লিজ, আপনারা আমাকে বাঁচান।’
মেয়েকে রেখে আসার কারণ জানতে চাইলে সুমাইয়ার বাবা রাজা মিয়া গাজী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি আইছি এক মাস হইছে, বাড়িতে ধান আছে, মাড়াই করা লাগবে এই জন্য। বাড়ি আসার পর ২০ হাজার টাকা পাঠাইছি, আবার পাঠামু। আর টাকা হলেই ভারতে চলে যামু। তবে মেয়ের মা কেন আইছে তা জানি না।’
আপনার মেয়ের শরীরে অ্যাসিড নিক্ষেপকারীর বিচার চান কি না, এমন প্রশ্নে রাজা মিয়া বলেন, ‘অ্যাসিড যে মারছে তিনি আমার ভাতিজা। মীমাংসার জন্য এ পর্যন্ত ৭ লাখ টাকা দেছে, যাতে মামলা না হয়। এহন টাকা মেয়ের অ্যাকাউন্টে। সে ফালাইয়া দেবে না চিকিৎসা করবে তা মেয়ে আর মেয়ের মা জানে। তারা (ভাতিজা) টাকা দেবে, বিচারও চলবে, তাইলে কি হইল? আমি জানি না মেয়ের মা ও মেয়ে জানে।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মেয়েটির মা তাসলিমা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেয়ের চিকিৎসার টাকা সংগ্রহ করার জন্য আমি দেশে এসেছি। আমার স্বামী তার ভাইয়ের ছেলেদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে।’
মেয়েকে অ্যাসিড নিক্ষেপের কারণ জানতে চাইলে তাসলিমা বলেন, ‘যারা অ্যাসিড নিক্ষেপ করেছে তাদের সঙ্গে প্রতিবেশীদের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে তারা আমার মেয়েকে অ্যাসিড মেরে ঝলসে দিয়েছে। আমি আসামিদের বিচার চাই।’
পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলার তদন্ত শেষে তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন। মেয়েটি আমাকে যে বার্তাটি দিয়েছে সেটি আমরা মানবিক দৃষ্টিতে দেখছি। মেয়েটিকে সহযোগিতার জন্য বিভিন্ন এনজিওসহ মানবিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে কথা বলেছি। পটুয়াখালীর পুলিশ প্রশাসন থেকেও মেয়েটিকে চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা করা হবে। মেয়েটি দ্রুত সুস্থ হয়ে ফিরে আসুক এটাই কাম্য।’

দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার সাতনালা ইউনিয়নের তারকশাহার হাট এলাকায় ইছামতী নদীর ওপর একটি সেতুর অভাব দীর্ঘদিনের। নদী পারাপারে ভরসা ২৫০ ফুট দীর্ঘ একটি বাঁশের সাঁকো।
২ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের বাউন্ডারিতে থাকা চার শতাধিক রডের গ্রিল উধাও হয়ে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য ২০ লক্ষাধিক টাকা। এত গ্রিল উধাও হয়ে যাওয়ার পরও কর্তৃপক্ষকে এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
২ ঘণ্টা আগে
ধানমন্ডি মডেল থানার ডিউটি অফিসার মিঠুন সিংহ বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ জনতা ধানমন্ডিতে অবস্থিত ছায়ানট ভবন ভাংচুর ও আগুন দিয়েছে। আমরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। আমাদের ঊর্ধ্বতন সেখানে আছেন।’
২ ঘণ্টা আগে
নওগাঁয় বাইপাস সড়কের দুই পাশে থাকা ৭৫০টি তালগাছের পাতা কেটে ন্যাড়া করে দেওয়া হয়েছে। এসব গাছের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের সরবরাহ লাইনের সুরক্ষা দিতে এই কাজ করেছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো)।
৩ ঘণ্টা আগেদিনাজপুর প্রতিনিধি ও চিরিরবন্দর সংবাদদাতা

দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার সাতনালা ইউনিয়নের তারকশাহার হাট এলাকায় ইছামতী নদীর ওপর একটি সেতুর অভাব দীর্ঘদিনের। নদী পারাপারে ভরসা ২৫০ ফুট দীর্ঘ একটি বাঁশের সাঁকো। সেতুর অভাবে প্রতিদিনের যাতায়াতের মতো কৃষকের ন্যায্যমূল্যও আটকে আছে ইছামতীর তীরে। অন্যদিকে দীর্ঘ পথ ঘুরতে গিয়ে বেড়ে যাচ্ছে কৃষকের ফসল উৎপাদন খরচ।
জানা গেছে, এই সাঁকো দিয়েই উপজেলার সাতনালা ও আলোকডিহি ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার মানুষ প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। প্রতিটি নির্বাচনের আগে জনপ্রতিনিধিরা সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিলেও বাস্তবে তার কোনো অগ্রগতি হয়নি। তাই তো স্বাধীনতার ৫৫ বছর পেরিয়ে আজও বাঁশের সাঁকোর ভরসায় দুই ইউনিয়নের মানুষ।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই সাঁকো ব্যবহার করে এলাকার মানুষ বেকিপুল বাজার, কিষ্টহরি বাজার, চাম্পাতলী বাজার, বিন্যাকুড়ির হাট, তারকশাহার হাট, ইছামতী ডিগ্রি কলেজ, ইছামতী ফাজিল মাদ্রাসা, মডেল স্কুল এবং রানীরবন্দর সুইয়ারী বাজারে যাতায়াত করেন। ব্যাংক লেনদেন, শিক্ষা কার্যক্রম, হাটবাজারে যাওয়াসহ প্রায় সব কাজে নদী পার হতে হয় এই সাঁকো দিয়ে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই জনপদের অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল। অঞ্চলটি সবজি উৎপাদনের জন্য পরিচিত। তবে যোগাযোগব্যবস্থা দুর্বল হওয়ায় উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারে নিতে গিয়ে বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। সাঁকোর ওপর দিয়ে ভ্যান বা অন্য কোনো যান চলাচল সম্ভব নয়। ফলে কৃষিপণ্য বহনের জন্য অনেককে চার-পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে বিকল্প পথ ব্যবহার করতে হচ্ছে। এতে পরিবহন খরচ বেড়ে যাচ্ছে এবং ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষকেরা।
জোত সাতনালা গ্রামের কৃষক হাসান আলী জানান, নদীর ওপারে তাঁর বেশির ভাগ জমি। ধান কেটে সাঁকোর কারণে ভ্যানে করে বাড়ি আনতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে বেশি ভাড়া দিয়ে দূরের পথ ঘুরে ধান পরিবহন করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি নির্বাচনের আগে প্রার্থীরা এসে বলেন, ভোট দিলে এখানে সেতু হবে। কত নির্বাচন চলে গেল, কিন্তু আজও সেতু হলো না।’
জানতে চাইলে সাতনালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. এনামুল হক শাহ বলেন, সাঁকোটির দুই পাশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাটবাজার থাকায় প্রতিদিন শত শত মানুষ ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন। তিনি জানান, ভুক্তভোগীদের দুর্ভোগ লাঘবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে চিরিরবন্দর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মাসুদার রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইছামতী নদীর ওপর সেতু নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো এ বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি।

দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার সাতনালা ইউনিয়নের তারকশাহার হাট এলাকায় ইছামতী নদীর ওপর একটি সেতুর অভাব দীর্ঘদিনের। নদী পারাপারে ভরসা ২৫০ ফুট দীর্ঘ একটি বাঁশের সাঁকো। সেতুর অভাবে প্রতিদিনের যাতায়াতের মতো কৃষকের ন্যায্যমূল্যও আটকে আছে ইছামতীর তীরে। অন্যদিকে দীর্ঘ পথ ঘুরতে গিয়ে বেড়ে যাচ্ছে কৃষকের ফসল উৎপাদন খরচ।
জানা গেছে, এই সাঁকো দিয়েই উপজেলার সাতনালা ও আলোকডিহি ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার মানুষ প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। প্রতিটি নির্বাচনের আগে জনপ্রতিনিধিরা সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিলেও বাস্তবে তার কোনো অগ্রগতি হয়নি। তাই তো স্বাধীনতার ৫৫ বছর পেরিয়ে আজও বাঁশের সাঁকোর ভরসায় দুই ইউনিয়নের মানুষ।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই সাঁকো ব্যবহার করে এলাকার মানুষ বেকিপুল বাজার, কিষ্টহরি বাজার, চাম্পাতলী বাজার, বিন্যাকুড়ির হাট, তারকশাহার হাট, ইছামতী ডিগ্রি কলেজ, ইছামতী ফাজিল মাদ্রাসা, মডেল স্কুল এবং রানীরবন্দর সুইয়ারী বাজারে যাতায়াত করেন। ব্যাংক লেনদেন, শিক্ষা কার্যক্রম, হাটবাজারে যাওয়াসহ প্রায় সব কাজে নদী পার হতে হয় এই সাঁকো দিয়ে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই জনপদের অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল। অঞ্চলটি সবজি উৎপাদনের জন্য পরিচিত। তবে যোগাযোগব্যবস্থা দুর্বল হওয়ায় উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারে নিতে গিয়ে বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। সাঁকোর ওপর দিয়ে ভ্যান বা অন্য কোনো যান চলাচল সম্ভব নয়। ফলে কৃষিপণ্য বহনের জন্য অনেককে চার-পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে বিকল্প পথ ব্যবহার করতে হচ্ছে। এতে পরিবহন খরচ বেড়ে যাচ্ছে এবং ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষকেরা।
জোত সাতনালা গ্রামের কৃষক হাসান আলী জানান, নদীর ওপারে তাঁর বেশির ভাগ জমি। ধান কেটে সাঁকোর কারণে ভ্যানে করে বাড়ি আনতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে বেশি ভাড়া দিয়ে দূরের পথ ঘুরে ধান পরিবহন করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি নির্বাচনের আগে প্রার্থীরা এসে বলেন, ভোট দিলে এখানে সেতু হবে। কত নির্বাচন চলে গেল, কিন্তু আজও সেতু হলো না।’
জানতে চাইলে সাতনালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. এনামুল হক শাহ বলেন, সাঁকোটির দুই পাশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাটবাজার থাকায় প্রতিদিন শত শত মানুষ ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন। তিনি জানান, ভুক্তভোগীদের দুর্ভোগ লাঘবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে চিরিরবন্দর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মাসুদার রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইছামতী নদীর ওপর সেতু নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো এ বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি।

অ্যাসিডে দগ্ধ মেয়ে ফেরদৌসী সুমাইয়াকে ভারতে রেখে দেশে চলে এসেছেন বাবা রাজা মিয়া গাজী ও মা তাসলিমা বেগম। তাঁদের বাড়ি পটুয়াখালী সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের গেরাখালী গ্রামে। টাকার জোগাড় করতেই তাঁরা এসেছেন বলে জানিয়েছেন। তবে সুমাইয়ার অভিযোগ, প্রধান অভিযুক্তকে বাঁচাতে বাবা তাঁকে সহযোগিতা করছেন না।
২০ জানুয়ারি ২০২৩
কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের বাউন্ডারিতে থাকা চার শতাধিক রডের গ্রিল উধাও হয়ে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য ২০ লক্ষাধিক টাকা। এত গ্রিল উধাও হয়ে যাওয়ার পরও কর্তৃপক্ষকে এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
২ ঘণ্টা আগে
ধানমন্ডি মডেল থানার ডিউটি অফিসার মিঠুন সিংহ বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ জনতা ধানমন্ডিতে অবস্থিত ছায়ানট ভবন ভাংচুর ও আগুন দিয়েছে। আমরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। আমাদের ঊর্ধ্বতন সেখানে আছেন।’
২ ঘণ্টা আগে
নওগাঁয় বাইপাস সড়কের দুই পাশে থাকা ৭৫০টি তালগাছের পাতা কেটে ন্যাড়া করে দেওয়া হয়েছে। এসব গাছের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের সরবরাহ লাইনের সুরক্ষা দিতে এই কাজ করেছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো)।
৩ ঘণ্টা আগেসাজন আহম্মেদ পাপন, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের বাউন্ডারিতে থাকা চার শতাধিক রডের গ্রিল উধাও হয়ে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য ২০ লক্ষাধিক টাকা। এত গ্রিল উধাও হয়ে যাওয়ার পরও কর্তৃপক্ষকে এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
সরেজমিনে নরসুন্দা সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের কাচারিবাজার ব্রিজ থেকে বড়বাজার মাছমহল ব্রিজ পর্যন্ত দেখা যায়, নদের দুই পাশের বাউন্ডারির চার শতাধিক গ্রিল উধাও হয়ে গেছে।
জানা গেছে, ২০১৪ সালে উদ্যোগ নেওয়া নরসুন্দা সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের ব্যয় ছিল ১১০ কোটি টাকা। জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) ও কিশোরগঞ্জ পৌরসভা যৌথভাবে কাজটি করে। প্রকল্পের কাজ শেষ হয় ২০১৬ সালে। প্রকল্পের টাকা নিয়েও লুটপাটের অভিযোগ ছিল।
অন্যদিকে নরসুন্দা নদের পাড়ের ওয়াকওয়েতে অধিকাংশ সড়কবাতি না থাকায় সন্ধ্যার পর এখানে দেখা যায় ভুতুড়ে অন্ধকার। আলো না থাকার সুযোগে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। মাদকের আখড়া হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছে স্থানটি। সন্ধ্যার পর লোকজন ভয়ে এ ওয়াকওয়ে দিয়ে যাতায়াত করেন না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
পৌরবাসী আজিজুল রিয়াদ ও সাকিবসহ কয়েকজন বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও পৌর কর্মচারীদের কর্মক্ষেত্রে অবহেলার কারণে সরকারি সম্পদ উধাও হয়ে গেছে।’ তাঁরা বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি না থাকায় একটি সিন্ডিকেট নির্ভয়ে এসব চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিশোরগঞ্জ পৌরসভার একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর এসব গ্রিল চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা। পৌর কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি। এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও অবগত করেনি।
কিশোরগঞ্জ পৌরসভার সচিব সৈয়দ শফিকুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। আমি কোনো কিছু জানি না।’
কিশোরগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রকল্পটি এলজিইডি বাস্তবায়ন করেছে। কিন্তু আমাদের বুঝিয়ে দেয়নি। আমি সরেজমিনে পরিদর্শন করে পৌর প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলব।’
কিশোরগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ এনায়েত কবির বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব ছিল বাস্তবায়ন করে দেওয়ার, আমরা তা করেছি। এই প্রকল্পের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব তাদের।’

কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের বাউন্ডারিতে থাকা চার শতাধিক রডের গ্রিল উধাও হয়ে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য ২০ লক্ষাধিক টাকা। এত গ্রিল উধাও হয়ে যাওয়ার পরও কর্তৃপক্ষকে এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
সরেজমিনে নরসুন্দা সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের কাচারিবাজার ব্রিজ থেকে বড়বাজার মাছমহল ব্রিজ পর্যন্ত দেখা যায়, নদের দুই পাশের বাউন্ডারির চার শতাধিক গ্রিল উধাও হয়ে গেছে।
জানা গেছে, ২০১৪ সালে উদ্যোগ নেওয়া নরসুন্দা সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের ব্যয় ছিল ১১০ কোটি টাকা। জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) ও কিশোরগঞ্জ পৌরসভা যৌথভাবে কাজটি করে। প্রকল্পের কাজ শেষ হয় ২০১৬ সালে। প্রকল্পের টাকা নিয়েও লুটপাটের অভিযোগ ছিল।
অন্যদিকে নরসুন্দা নদের পাড়ের ওয়াকওয়েতে অধিকাংশ সড়কবাতি না থাকায় সন্ধ্যার পর এখানে দেখা যায় ভুতুড়ে অন্ধকার। আলো না থাকার সুযোগে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। মাদকের আখড়া হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছে স্থানটি। সন্ধ্যার পর লোকজন ভয়ে এ ওয়াকওয়ে দিয়ে যাতায়াত করেন না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
পৌরবাসী আজিজুল রিয়াদ ও সাকিবসহ কয়েকজন বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও পৌর কর্মচারীদের কর্মক্ষেত্রে অবহেলার কারণে সরকারি সম্পদ উধাও হয়ে গেছে।’ তাঁরা বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি না থাকায় একটি সিন্ডিকেট নির্ভয়ে এসব চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিশোরগঞ্জ পৌরসভার একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর এসব গ্রিল চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা। পৌর কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি। এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও অবগত করেনি।
কিশোরগঞ্জ পৌরসভার সচিব সৈয়দ শফিকুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। আমি কোনো কিছু জানি না।’
কিশোরগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রকল্পটি এলজিইডি বাস্তবায়ন করেছে। কিন্তু আমাদের বুঝিয়ে দেয়নি। আমি সরেজমিনে পরিদর্শন করে পৌর প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলব।’
কিশোরগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ এনায়েত কবির বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব ছিল বাস্তবায়ন করে দেওয়ার, আমরা তা করেছি। এই প্রকল্পের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব তাদের।’

অ্যাসিডে দগ্ধ মেয়ে ফেরদৌসী সুমাইয়াকে ভারতে রেখে দেশে চলে এসেছেন বাবা রাজা মিয়া গাজী ও মা তাসলিমা বেগম। তাঁদের বাড়ি পটুয়াখালী সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের গেরাখালী গ্রামে। টাকার জোগাড় করতেই তাঁরা এসেছেন বলে জানিয়েছেন। তবে সুমাইয়ার অভিযোগ, প্রধান অভিযুক্তকে বাঁচাতে বাবা তাঁকে সহযোগিতা করছেন না।
২০ জানুয়ারি ২০২৩
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার সাতনালা ইউনিয়নের তারকশাহার হাট এলাকায় ইছামতী নদীর ওপর একটি সেতুর অভাব দীর্ঘদিনের। নদী পারাপারে ভরসা ২৫০ ফুট দীর্ঘ একটি বাঁশের সাঁকো।
২ ঘণ্টা আগে
ধানমন্ডি মডেল থানার ডিউটি অফিসার মিঠুন সিংহ বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ জনতা ধানমন্ডিতে অবস্থিত ছায়ানট ভবন ভাংচুর ও আগুন দিয়েছে। আমরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। আমাদের ঊর্ধ্বতন সেখানে আছেন।’
২ ঘণ্টা আগে
নওগাঁয় বাইপাস সড়কের দুই পাশে থাকা ৭৫০টি তালগাছের পাতা কেটে ন্যাড়া করে দেওয়া হয়েছে। এসব গাছের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের সরবরাহ লাইনের সুরক্ষা দিতে এই কাজ করেছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো)।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর ধানমন্ডিতে ছায়ানট ভবনের ভেতরে আগুন দেওয়া হয়েছে। তবে ঘটনাস্থলে রাত ৩টায় কোনো বিক্ষোভকারীর দেখা মেলেনি।
ভবনের সামনে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা নিরাপত্তা অবস্থান নিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানা গেছে।
ধানমন্ডি মডেল থানার ডিউটি অফিসার মিঠুন সিংহ বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ জনতা ধানমন্ডিতে অবস্থিত ছায়ানট ভবন ভাংচুর ও আগুন দিয়েছে। আমরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। আমাদের ঊর্ধ্বতন সেখানে আছেন।’
এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার দীর্ঘ সময় পরও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ করছেন ইনকিলাব মঞ্চের কর্মী ও সমর্থকেরা। এই বিক্ষোভের অংশ হিসেবে এর আগে রাত থেকেই বিক্ষুব্ধরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরে তারা রাজধানীর রামপুরা, মিরপুর ও কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করে যান চলাচলে বাধার সৃষ্টি করে।
রাত ১২টার দিকে কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে ভাঙচুর ও নথিপত্রে অগ্নিসংযোগও করে তারা। একপর্যায়ে তারা ডেইলি স্টার কার্যালয়ের দিকেও অগ্রসর হয় এবং সেখানেও আগুন ধরিয়ে দেয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ডেইলি স্টার কার্যালয়ের আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে দমকল কর্মীরা। সেখানে দমকল বাহিনীর অন্তত দুটি ইউনিট কাজ করছে।

রাজধানীর ধানমন্ডিতে ছায়ানট ভবনের ভেতরে আগুন দেওয়া হয়েছে। তবে ঘটনাস্থলে রাত ৩টায় কোনো বিক্ষোভকারীর দেখা মেলেনি।
ভবনের সামনে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা নিরাপত্তা অবস্থান নিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানা গেছে।
ধানমন্ডি মডেল থানার ডিউটি অফিসার মিঠুন সিংহ বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ জনতা ধানমন্ডিতে অবস্থিত ছায়ানট ভবন ভাংচুর ও আগুন দিয়েছে। আমরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। আমাদের ঊর্ধ্বতন সেখানে আছেন।’
এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার দীর্ঘ সময় পরও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ করছেন ইনকিলাব মঞ্চের কর্মী ও সমর্থকেরা। এই বিক্ষোভের অংশ হিসেবে এর আগে রাত থেকেই বিক্ষুব্ধরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরে তারা রাজধানীর রামপুরা, মিরপুর ও কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করে যান চলাচলে বাধার সৃষ্টি করে।
রাত ১২টার দিকে কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে ভাঙচুর ও নথিপত্রে অগ্নিসংযোগও করে তারা। একপর্যায়ে তারা ডেইলি স্টার কার্যালয়ের দিকেও অগ্রসর হয় এবং সেখানেও আগুন ধরিয়ে দেয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ডেইলি স্টার কার্যালয়ের আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে দমকল কর্মীরা। সেখানে দমকল বাহিনীর অন্তত দুটি ইউনিট কাজ করছে।

অ্যাসিডে দগ্ধ মেয়ে ফেরদৌসী সুমাইয়াকে ভারতে রেখে দেশে চলে এসেছেন বাবা রাজা মিয়া গাজী ও মা তাসলিমা বেগম। তাঁদের বাড়ি পটুয়াখালী সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের গেরাখালী গ্রামে। টাকার জোগাড় করতেই তাঁরা এসেছেন বলে জানিয়েছেন। তবে সুমাইয়ার অভিযোগ, প্রধান অভিযুক্তকে বাঁচাতে বাবা তাঁকে সহযোগিতা করছেন না।
২০ জানুয়ারি ২০২৩
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার সাতনালা ইউনিয়নের তারকশাহার হাট এলাকায় ইছামতী নদীর ওপর একটি সেতুর অভাব দীর্ঘদিনের। নদী পারাপারে ভরসা ২৫০ ফুট দীর্ঘ একটি বাঁশের সাঁকো।
২ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের বাউন্ডারিতে থাকা চার শতাধিক রডের গ্রিল উধাও হয়ে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য ২০ লক্ষাধিক টাকা। এত গ্রিল উধাও হয়ে যাওয়ার পরও কর্তৃপক্ষকে এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
২ ঘণ্টা আগে
নওগাঁয় বাইপাস সড়কের দুই পাশে থাকা ৭৫০টি তালগাছের পাতা কেটে ন্যাড়া করে দেওয়া হয়েছে। এসব গাছের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের সরবরাহ লাইনের সুরক্ষা দিতে এই কাজ করেছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো)।
৩ ঘণ্টা আগেনওগাঁ সংবাদদাতা

নওগাঁয় বাইপাস সড়কের দুই পাশে থাকা ৭৫০টি তালগাছের পাতা কেটে ন্যাড়া করে দেওয়া হয়েছে। এসব গাছের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের সরবরাহ লাইনের সুরক্ষা দিতে এই কাজ করেছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো)। পরিবেশকর্মীরা বলছেন, সরকার যখন বজ্রপাত থেকে সুরক্ষায় তালগাছ রোপণের উদ্যোগ নিচ্ছে, সেখানে এভাবে পাতা কেটে গাছগুলো ন্যাড়া করা ঠিক হয়নি। বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব ছিল। এতে গাছ বাঁচত, পরিবেশের ভারসাম্যও রক্ষা পেত।
স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি বিভিন্ন এলাকা থেকে তালের বীজ সংগ্রহ করে সড়কের দুই পাশে রোপণ করেছিলেন। এখন একেকটি গাছের বয়স ২০-৩০ বছর। এগুলোর কারণে সড়কটিও দৃষ্টিনন্দন হয়ে ওঠে। কিন্তু এখন পাতা ছেঁটে ফেলায় কিছু গাছ মারা যেতে পারে। এর আগেও সড়ক সংস্কারের নামে নির্বিচারে গাছ কাটা হয়েছিল।
এ বিষয়ে নেসকোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. কালাম বলেন, ‘বৈদুতিক লাইনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঝুঁকিপূর্ণ গাছের ডাল ও মাথা কাটা হয়েছে। এটি নিয়মিত প্রক্রিয়া।’
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের রামভদ্রপুর থেকে বটতলী বোয়ালিয়া পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কয়েক হাজার তালগাছ। এগুলোর উচ্চতা ১০-১২ ফুট। সামান্য দূরত্বে বিদ্যুতের খুঁটি। এর মধ্যে দুই পাশে থাকা প্রায় ৭৫০টি তালগাছ ন্যাড়া অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে।
স্থানীয় বাসিন্দা বেলাল হোসেন বলেন, ‘দিন দিন তালগাছ হারিয়ে যাচ্ছে। এই গাছগুলো এক দিনে বড় হয়নি। বিদ্যুতের লাইন পরিষ্কারের নামে সমানে পাতা কাটা হয়েছে। তালগাছের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের খুঁটিগুলো দু-তিন হাত সরিয়ে নেওয়া যেত। কিন্তু তারা সেটি না করে গাছের ক্ষতি করল।’
স্থানীয় পরিবেশকর্মী নাইস পারভীন বলেন, ‘নওগাঁয় প্রতিবছর বজ্রপাতে অনেক মানুষ মারা যায়। বজ্রপাতের ক্ষতি এড়াতে তালগাছ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সরকার যেখানে গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিচ্ছে, সেখানে এগুলো ন্যাড়া করে দেওয়া পরিবেশবিধ্বংসী আচরণ।’

নওগাঁয় বাইপাস সড়কের দুই পাশে থাকা ৭৫০টি তালগাছের পাতা কেটে ন্যাড়া করে দেওয়া হয়েছে। এসব গাছের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের সরবরাহ লাইনের সুরক্ষা দিতে এই কাজ করেছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো)। পরিবেশকর্মীরা বলছেন, সরকার যখন বজ্রপাত থেকে সুরক্ষায় তালগাছ রোপণের উদ্যোগ নিচ্ছে, সেখানে এভাবে পাতা কেটে গাছগুলো ন্যাড়া করা ঠিক হয়নি। বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব ছিল। এতে গাছ বাঁচত, পরিবেশের ভারসাম্যও রক্ষা পেত।
স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি বিভিন্ন এলাকা থেকে তালের বীজ সংগ্রহ করে সড়কের দুই পাশে রোপণ করেছিলেন। এখন একেকটি গাছের বয়স ২০-৩০ বছর। এগুলোর কারণে সড়কটিও দৃষ্টিনন্দন হয়ে ওঠে। কিন্তু এখন পাতা ছেঁটে ফেলায় কিছু গাছ মারা যেতে পারে। এর আগেও সড়ক সংস্কারের নামে নির্বিচারে গাছ কাটা হয়েছিল।
এ বিষয়ে নেসকোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. কালাম বলেন, ‘বৈদুতিক লাইনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঝুঁকিপূর্ণ গাছের ডাল ও মাথা কাটা হয়েছে। এটি নিয়মিত প্রক্রিয়া।’
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের রামভদ্রপুর থেকে বটতলী বোয়ালিয়া পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কয়েক হাজার তালগাছ। এগুলোর উচ্চতা ১০-১২ ফুট। সামান্য দূরত্বে বিদ্যুতের খুঁটি। এর মধ্যে দুই পাশে থাকা প্রায় ৭৫০টি তালগাছ ন্যাড়া অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে।
স্থানীয় বাসিন্দা বেলাল হোসেন বলেন, ‘দিন দিন তালগাছ হারিয়ে যাচ্ছে। এই গাছগুলো এক দিনে বড় হয়নি। বিদ্যুতের লাইন পরিষ্কারের নামে সমানে পাতা কাটা হয়েছে। তালগাছের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের খুঁটিগুলো দু-তিন হাত সরিয়ে নেওয়া যেত। কিন্তু তারা সেটি না করে গাছের ক্ষতি করল।’
স্থানীয় পরিবেশকর্মী নাইস পারভীন বলেন, ‘নওগাঁয় প্রতিবছর বজ্রপাতে অনেক মানুষ মারা যায়। বজ্রপাতের ক্ষতি এড়াতে তালগাছ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সরকার যেখানে গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিচ্ছে, সেখানে এগুলো ন্যাড়া করে দেওয়া পরিবেশবিধ্বংসী আচরণ।’

অ্যাসিডে দগ্ধ মেয়ে ফেরদৌসী সুমাইয়াকে ভারতে রেখে দেশে চলে এসেছেন বাবা রাজা মিয়া গাজী ও মা তাসলিমা বেগম। তাঁদের বাড়ি পটুয়াখালী সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের গেরাখালী গ্রামে। টাকার জোগাড় করতেই তাঁরা এসেছেন বলে জানিয়েছেন। তবে সুমাইয়ার অভিযোগ, প্রধান অভিযুক্তকে বাঁচাতে বাবা তাঁকে সহযোগিতা করছেন না।
২০ জানুয়ারি ২০২৩
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার সাতনালা ইউনিয়নের তারকশাহার হাট এলাকায় ইছামতী নদীর ওপর একটি সেতুর অভাব দীর্ঘদিনের। নদী পারাপারে ভরসা ২৫০ ফুট দীর্ঘ একটি বাঁশের সাঁকো।
২ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের বাউন্ডারিতে থাকা চার শতাধিক রডের গ্রিল উধাও হয়ে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য ২০ লক্ষাধিক টাকা। এত গ্রিল উধাও হয়ে যাওয়ার পরও কর্তৃপক্ষকে এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
২ ঘণ্টা আগে
ধানমন্ডি মডেল থানার ডিউটি অফিসার মিঠুন সিংহ বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ জনতা ধানমন্ডিতে অবস্থিত ছায়ানট ভবন ভাংচুর ও আগুন দিয়েছে। আমরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। আমাদের ঊর্ধ্বতন সেখানে আছেন।’
২ ঘণ্টা আগে