চবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) হলের পাশে এক ছাত্রীকে হেনস্তায় সম্পৃক্ত দুজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের পরিচয় প্রকাশ করেনি তদন্ত কমিটি। আজ শুক্রবার বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কমিটির সদস্যসচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম।
শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী হেনস্তার ঘটনায় জড়িত দুজনকে শনাক্ত করেছি। তাদের আটক করতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে অভিযান চলছে। বাকিদের শনাক্ত করতে আমরা কাজ করছি। আমরা ফুটেজ দেখে ওই ছাত্রীসহ বসে সবাই একসঙ্গে কাজ করছি। তদন্তের স্বার্থে এখন কারও নাম বলা যাবে না।’
তবে এ বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি হাটহাজারী থানার পুলিশ। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন বলেন, ‘আমরা কাউকে এখনো শনাক্ত করতে পারিনি। তদন্ত চলছে।’
এদিকে অভিযুক্তদের পরিচয় তদন্ত কমিটি প্রকাশ না করলেও তারা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের অনুসারী বলে বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেছে।
পাঁচ দিন পর ঘুম ভাঙল শিক্ষক সমিতির
ছাত্রী হেনস্তার পাঁচ দিন পর উদ্বেগ প্রকাশ করে দোষীদের শাস্তি ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে বিবৃতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
শুকবার বিকেলে সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার ও সাধারণ সম্পাদক ড. সজীব কুমার ঘোষের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়। এর আগে বুধবার ছাত্রী হেনস্তার ঘটনার বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা যখন বিক্ষোভে-মানববন্ধনে ব্যস্ত, তখন শিক্ষকেরা মেতে উঠেছিলেন ফল উৎসবে। বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো সমালোচনার ঝড় বইছে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে। এ ঘটনায় সংগীত বিভাগের শিক্ষকেরা অনুষ্ঠানটি বর্জন করেন।
গৃহবন্দী ভুক্তভোগী
এদিকে হেনস্তার শিকার ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীকে গৃহবন্দী করে রাখার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীর সহপাঠীরা জানান, অভিযোগ দেওয়ার পর থেকে তাঁকে তাঁর বিভাগের এক শিক্ষকের বাসায় রাখা হয়। পরে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রীতিলতা হলের নিচতলার একটি কক্ষে রাখা হয়। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তাঁর সঙ্গে কোনো সহপাঠীকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি।
অভিযোগপত্র দেওয়ার সময় ভুক্তভোগীর সঙ্গে থাকা এক সহপাঠী আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘ভুক্তভোগীর সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ পুরো বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। কাউকে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রশাসনের এটা কোন ধরনের আচরণ?’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির সদস্যসচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা তাঁকে আমাদের হেফাজতে নিরাপদে রেখেছি। কোথায় রেখেছি, তা নিরাপত্তার জন্য বলা যাচ্ছে না। তবে তাঁর মা-বাবার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ আছে।’
হেনস্তার অভিযোগ দাখিলে চবি ছাত্রলীগ সভাপতির বাধা
হেনস্তার পরদিন গত সোমবার প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করতে যান ভুক্তভোগী ও তাঁর কয়েকজন সহপাঠী। সে সময় তাঁকে অভিযোগ দিতে চবি ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও তাঁর অনুসারী সাবেক সহসভাপতি সুমন নাছির বাধা দেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই সময়ে ভুক্তভোগীর সঙ্গে থাকা এক শিক্ষার্থী।
ওই শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মঙ্গলবার অভিযোগ দিতে গেলে ছাত্রলীগের দুই নেতা নিজেদের মধ্যে মীমাংসার কথা বলে তাঁকে অভিযোগ করতে মানা করেন। অভিযোগ দিলে নিজের সম্মানহানি হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এতে ভুক্তভোগী ওই দিন অভিযোগ না দিয়ে ফিরে যান।’
তবে বাধা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল। তিনি বলেন, ‘ওই ছাত্রী ছাত্রলীগ করে। সে আমাদের কর্মী। আমি কেন তাকে বাধা দিব? আমি তো তাকে অভিযোগ দিতে সহযোগিতা করেছি। ঘটনার পর সে আমাকে কল দিয়েছে। আমি প্রক্টরকে বিষয়টি জানিয়ে তাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে বলেছি। এটা নিয়ে একটা গ্রুপ অপরাজনীতি করছে।’
ছাত্রলীগ সভাপতিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে গত বুধবার রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। তবে কী কারণে এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে, তা উল্লেখ করা হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদের ধারণা, ছাত্রী হেনস্তার ঘটনায় অভিযোগ দিতে বাধা দেওয়ায় এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে। যদিও শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক হায়দার মোহাম্মদ জিতু আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নীতিমালা অনুসরণ না করায় তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
এই সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) হলের পাশে এক ছাত্রীকে হেনস্তায় সম্পৃক্ত দুজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের পরিচয় প্রকাশ করেনি তদন্ত কমিটি। আজ শুক্রবার বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কমিটির সদস্যসচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম।
শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী হেনস্তার ঘটনায় জড়িত দুজনকে শনাক্ত করেছি। তাদের আটক করতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে অভিযান চলছে। বাকিদের শনাক্ত করতে আমরা কাজ করছি। আমরা ফুটেজ দেখে ওই ছাত্রীসহ বসে সবাই একসঙ্গে কাজ করছি। তদন্তের স্বার্থে এখন কারও নাম বলা যাবে না।’
তবে এ বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি হাটহাজারী থানার পুলিশ। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন বলেন, ‘আমরা কাউকে এখনো শনাক্ত করতে পারিনি। তদন্ত চলছে।’
এদিকে অভিযুক্তদের পরিচয় তদন্ত কমিটি প্রকাশ না করলেও তারা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের অনুসারী বলে বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেছে।
পাঁচ দিন পর ঘুম ভাঙল শিক্ষক সমিতির
ছাত্রী হেনস্তার পাঁচ দিন পর উদ্বেগ প্রকাশ করে দোষীদের শাস্তি ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে বিবৃতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
শুকবার বিকেলে সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার ও সাধারণ সম্পাদক ড. সজীব কুমার ঘোষের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়। এর আগে বুধবার ছাত্রী হেনস্তার ঘটনার বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা যখন বিক্ষোভে-মানববন্ধনে ব্যস্ত, তখন শিক্ষকেরা মেতে উঠেছিলেন ফল উৎসবে। বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো সমালোচনার ঝড় বইছে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে। এ ঘটনায় সংগীত বিভাগের শিক্ষকেরা অনুষ্ঠানটি বর্জন করেন।
গৃহবন্দী ভুক্তভোগী
এদিকে হেনস্তার শিকার ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীকে গৃহবন্দী করে রাখার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীর সহপাঠীরা জানান, অভিযোগ দেওয়ার পর থেকে তাঁকে তাঁর বিভাগের এক শিক্ষকের বাসায় রাখা হয়। পরে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রীতিলতা হলের নিচতলার একটি কক্ষে রাখা হয়। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তাঁর সঙ্গে কোনো সহপাঠীকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি।
অভিযোগপত্র দেওয়ার সময় ভুক্তভোগীর সঙ্গে থাকা এক সহপাঠী আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘ভুক্তভোগীর সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ পুরো বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। কাউকে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রশাসনের এটা কোন ধরনের আচরণ?’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির সদস্যসচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা তাঁকে আমাদের হেফাজতে নিরাপদে রেখেছি। কোথায় রেখেছি, তা নিরাপত্তার জন্য বলা যাচ্ছে না। তবে তাঁর মা-বাবার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ আছে।’
হেনস্তার অভিযোগ দাখিলে চবি ছাত্রলীগ সভাপতির বাধা
হেনস্তার পরদিন গত সোমবার প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করতে যান ভুক্তভোগী ও তাঁর কয়েকজন সহপাঠী। সে সময় তাঁকে অভিযোগ দিতে চবি ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও তাঁর অনুসারী সাবেক সহসভাপতি সুমন নাছির বাধা দেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই সময়ে ভুক্তভোগীর সঙ্গে থাকা এক শিক্ষার্থী।
ওই শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মঙ্গলবার অভিযোগ দিতে গেলে ছাত্রলীগের দুই নেতা নিজেদের মধ্যে মীমাংসার কথা বলে তাঁকে অভিযোগ করতে মানা করেন। অভিযোগ দিলে নিজের সম্মানহানি হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এতে ভুক্তভোগী ওই দিন অভিযোগ না দিয়ে ফিরে যান।’
তবে বাধা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল। তিনি বলেন, ‘ওই ছাত্রী ছাত্রলীগ করে। সে আমাদের কর্মী। আমি কেন তাকে বাধা দিব? আমি তো তাকে অভিযোগ দিতে সহযোগিতা করেছি। ঘটনার পর সে আমাকে কল দিয়েছে। আমি প্রক্টরকে বিষয়টি জানিয়ে তাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে বলেছি। এটা নিয়ে একটা গ্রুপ অপরাজনীতি করছে।’
ছাত্রলীগ সভাপতিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে গত বুধবার রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। তবে কী কারণে এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে, তা উল্লেখ করা হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদের ধারণা, ছাত্রী হেনস্তার ঘটনায় অভিযোগ দিতে বাধা দেওয়ায় এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে। যদিও শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক হায়দার মোহাম্মদ জিতু আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নীতিমালা অনুসরণ না করায় তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
এই সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
চবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) হলের পাশে এক ছাত্রীকে হেনস্তায় সম্পৃক্ত দুজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের পরিচয় প্রকাশ করেনি তদন্ত কমিটি। আজ শুক্রবার বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কমিটির সদস্যসচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম।
শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী হেনস্তার ঘটনায় জড়িত দুজনকে শনাক্ত করেছি। তাদের আটক করতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে অভিযান চলছে। বাকিদের শনাক্ত করতে আমরা কাজ করছি। আমরা ফুটেজ দেখে ওই ছাত্রীসহ বসে সবাই একসঙ্গে কাজ করছি। তদন্তের স্বার্থে এখন কারও নাম বলা যাবে না।’
তবে এ বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি হাটহাজারী থানার পুলিশ। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন বলেন, ‘আমরা কাউকে এখনো শনাক্ত করতে পারিনি। তদন্ত চলছে।’
এদিকে অভিযুক্তদের পরিচয় তদন্ত কমিটি প্রকাশ না করলেও তারা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের অনুসারী বলে বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেছে।
পাঁচ দিন পর ঘুম ভাঙল শিক্ষক সমিতির
ছাত্রী হেনস্তার পাঁচ দিন পর উদ্বেগ প্রকাশ করে দোষীদের শাস্তি ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে বিবৃতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
শুকবার বিকেলে সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার ও সাধারণ সম্পাদক ড. সজীব কুমার ঘোষের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়। এর আগে বুধবার ছাত্রী হেনস্তার ঘটনার বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা যখন বিক্ষোভে-মানববন্ধনে ব্যস্ত, তখন শিক্ষকেরা মেতে উঠেছিলেন ফল উৎসবে। বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো সমালোচনার ঝড় বইছে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে। এ ঘটনায় সংগীত বিভাগের শিক্ষকেরা অনুষ্ঠানটি বর্জন করেন।
গৃহবন্দী ভুক্তভোগী
এদিকে হেনস্তার শিকার ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীকে গৃহবন্দী করে রাখার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীর সহপাঠীরা জানান, অভিযোগ দেওয়ার পর থেকে তাঁকে তাঁর বিভাগের এক শিক্ষকের বাসায় রাখা হয়। পরে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রীতিলতা হলের নিচতলার একটি কক্ষে রাখা হয়। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তাঁর সঙ্গে কোনো সহপাঠীকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি।
অভিযোগপত্র দেওয়ার সময় ভুক্তভোগীর সঙ্গে থাকা এক সহপাঠী আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘ভুক্তভোগীর সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ পুরো বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। কাউকে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রশাসনের এটা কোন ধরনের আচরণ?’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির সদস্যসচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা তাঁকে আমাদের হেফাজতে নিরাপদে রেখেছি। কোথায় রেখেছি, তা নিরাপত্তার জন্য বলা যাচ্ছে না। তবে তাঁর মা-বাবার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ আছে।’
হেনস্তার অভিযোগ দাখিলে চবি ছাত্রলীগ সভাপতির বাধা
হেনস্তার পরদিন গত সোমবার প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করতে যান ভুক্তভোগী ও তাঁর কয়েকজন সহপাঠী। সে সময় তাঁকে অভিযোগ দিতে চবি ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও তাঁর অনুসারী সাবেক সহসভাপতি সুমন নাছির বাধা দেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই সময়ে ভুক্তভোগীর সঙ্গে থাকা এক শিক্ষার্থী।
ওই শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মঙ্গলবার অভিযোগ দিতে গেলে ছাত্রলীগের দুই নেতা নিজেদের মধ্যে মীমাংসার কথা বলে তাঁকে অভিযোগ করতে মানা করেন। অভিযোগ দিলে নিজের সম্মানহানি হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এতে ভুক্তভোগী ওই দিন অভিযোগ না দিয়ে ফিরে যান।’
তবে বাধা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল। তিনি বলেন, ‘ওই ছাত্রী ছাত্রলীগ করে। সে আমাদের কর্মী। আমি কেন তাকে বাধা দিব? আমি তো তাকে অভিযোগ দিতে সহযোগিতা করেছি। ঘটনার পর সে আমাকে কল দিয়েছে। আমি প্রক্টরকে বিষয়টি জানিয়ে তাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে বলেছি। এটা নিয়ে একটা গ্রুপ অপরাজনীতি করছে।’
ছাত্রলীগ সভাপতিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে গত বুধবার রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। তবে কী কারণে এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে, তা উল্লেখ করা হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদের ধারণা, ছাত্রী হেনস্তার ঘটনায় অভিযোগ দিতে বাধা দেওয়ায় এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে। যদিও শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক হায়দার মোহাম্মদ জিতু আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নীতিমালা অনুসরণ না করায় তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
এই সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) হলের পাশে এক ছাত্রীকে হেনস্তায় সম্পৃক্ত দুজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের পরিচয় প্রকাশ করেনি তদন্ত কমিটি। আজ শুক্রবার বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কমিটির সদস্যসচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম।
শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী হেনস্তার ঘটনায় জড়িত দুজনকে শনাক্ত করেছি। তাদের আটক করতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে অভিযান চলছে। বাকিদের শনাক্ত করতে আমরা কাজ করছি। আমরা ফুটেজ দেখে ওই ছাত্রীসহ বসে সবাই একসঙ্গে কাজ করছি। তদন্তের স্বার্থে এখন কারও নাম বলা যাবে না।’
তবে এ বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি হাটহাজারী থানার পুলিশ। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন বলেন, ‘আমরা কাউকে এখনো শনাক্ত করতে পারিনি। তদন্ত চলছে।’
এদিকে অভিযুক্তদের পরিচয় তদন্ত কমিটি প্রকাশ না করলেও তারা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের অনুসারী বলে বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেছে।
পাঁচ দিন পর ঘুম ভাঙল শিক্ষক সমিতির
ছাত্রী হেনস্তার পাঁচ দিন পর উদ্বেগ প্রকাশ করে দোষীদের শাস্তি ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে বিবৃতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
শুকবার বিকেলে সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার ও সাধারণ সম্পাদক ড. সজীব কুমার ঘোষের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়। এর আগে বুধবার ছাত্রী হেনস্তার ঘটনার বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা যখন বিক্ষোভে-মানববন্ধনে ব্যস্ত, তখন শিক্ষকেরা মেতে উঠেছিলেন ফল উৎসবে। বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো সমালোচনার ঝড় বইছে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে। এ ঘটনায় সংগীত বিভাগের শিক্ষকেরা অনুষ্ঠানটি বর্জন করেন।
গৃহবন্দী ভুক্তভোগী
এদিকে হেনস্তার শিকার ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীকে গৃহবন্দী করে রাখার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীর সহপাঠীরা জানান, অভিযোগ দেওয়ার পর থেকে তাঁকে তাঁর বিভাগের এক শিক্ষকের বাসায় রাখা হয়। পরে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রীতিলতা হলের নিচতলার একটি কক্ষে রাখা হয়। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তাঁর সঙ্গে কোনো সহপাঠীকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি।
অভিযোগপত্র দেওয়ার সময় ভুক্তভোগীর সঙ্গে থাকা এক সহপাঠী আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘ভুক্তভোগীর সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ পুরো বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। কাউকে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রশাসনের এটা কোন ধরনের আচরণ?’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির সদস্যসচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা তাঁকে আমাদের হেফাজতে নিরাপদে রেখেছি। কোথায় রেখেছি, তা নিরাপত্তার জন্য বলা যাচ্ছে না। তবে তাঁর মা-বাবার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ আছে।’
হেনস্তার অভিযোগ দাখিলে চবি ছাত্রলীগ সভাপতির বাধা
হেনস্তার পরদিন গত সোমবার প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করতে যান ভুক্তভোগী ও তাঁর কয়েকজন সহপাঠী। সে সময় তাঁকে অভিযোগ দিতে চবি ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও তাঁর অনুসারী সাবেক সহসভাপতি সুমন নাছির বাধা দেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই সময়ে ভুক্তভোগীর সঙ্গে থাকা এক শিক্ষার্থী।
ওই শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মঙ্গলবার অভিযোগ দিতে গেলে ছাত্রলীগের দুই নেতা নিজেদের মধ্যে মীমাংসার কথা বলে তাঁকে অভিযোগ করতে মানা করেন। অভিযোগ দিলে নিজের সম্মানহানি হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এতে ভুক্তভোগী ওই দিন অভিযোগ না দিয়ে ফিরে যান।’
তবে বাধা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল। তিনি বলেন, ‘ওই ছাত্রী ছাত্রলীগ করে। সে আমাদের কর্মী। আমি কেন তাকে বাধা দিব? আমি তো তাকে অভিযোগ দিতে সহযোগিতা করেছি। ঘটনার পর সে আমাকে কল দিয়েছে। আমি প্রক্টরকে বিষয়টি জানিয়ে তাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে বলেছি। এটা নিয়ে একটা গ্রুপ অপরাজনীতি করছে।’
ছাত্রলীগ সভাপতিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে গত বুধবার রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। তবে কী কারণে এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে, তা উল্লেখ করা হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদের ধারণা, ছাত্রী হেনস্তার ঘটনায় অভিযোগ দিতে বাধা দেওয়ায় এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে। যদিও শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক হায়দার মোহাম্মদ জিতু আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নীতিমালা অনুসরণ না করায় তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
এই সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত শরীয়তপুরে এবার বদলে গেছে নির্বাচনী সমীকরণ। জুলাই অভ্যুত্থানের পর বিদ্যমান বাস্তবতায় জেলার তিনটি আসনই নিশ্চিত করতে চায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। শরীয়তপুর-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাঈদ আহমেদ আসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দফায় দফায় সড়ক অবরোধ কর
১ সেকেন্ড আগে
নদীতে আড়াআড়ি বাঁশ, বেড়া ও জাল দিয়ে ঘের তৈরি করা হয়েছে। সেখানে করা হচ্ছে মাছ চাষ। এমন ঘটনা ঘটছে কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীতে। আর এর পেছনে রয়েছেন স্থানীয় বিএনপি নেতা। এর ফলে জেলে কিংবা স্থানীয়রা মাছ ধরতে পারছেন না। ব্যাহত হচ্ছে মাছের বংশবিস্তার।
৪ মিনিট আগে
জুলাই আন্দোলনে একাধিক হত্যা মামলার আসামি জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি এ কে এম সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারে তাঁর কারখানায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে ফতুল্লার উইজডম অ্যাটায়ার্স লিমিটেড কারখানায় অভিযান চালায় ফতুল্লা মডেল থানা-পুলিশের একটি টিম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর দক্ষিণখানে প্রকাশ্যে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে দক্ষিণখানের নদ্দাপাড়ার তালতলা মোড়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেশরীয়তপুর প্রতিনিধি

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত শরীয়তপুরে এবার বদলে গেছে নির্বাচনী সমীকরণ। জুলাই অভ্যুত্থানের পর বিদ্যমান বাস্তবতায় জেলার তিনটি আসনই নিশ্চিত করতে চায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। শরীয়তপুর-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাঈদ আহমেদ আসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দফায় দফায় সড়ক অবরোধ করেছে দলের অপর অংশ। তবে অন্য দুই আসনে এমন বিরোধ নেই। সবকটি আসনেই নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন বিএনপি ও জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
শরীয়তপুর-১: স্বাধীনতার পর একবারই এখানে জয় পায় বিএনপি। সেটি ছিল ১৯৭৯ সালে। এর বাইরে বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর দখলে ছিল এটি। শরীয়তপুর সদর ও জাজিরা নিয়ে গঠিত আসনটিতে এবার বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাঈদ আহমেদ আসলাম। তিনি জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং শরীয়তপুর-৩ আসনের বাসিন্দা। তবে তাঁর প্রাথমিক মনোনয়ন মেনে নিতে নারাজ আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি সরদার এ কে এম নাসির উদ্দীন কালুর অনুসারীরা। সাঈদ আহমেদ আসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দফায় দফায় সড়ক অবরোধ করেছেন তাঁরা। দলীয়ভাবে মীমাংসা না হলে শেষ পর্যন্ত নাসির উদ্দীন কালু স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন।
জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি ড. মোশারফ হোসেন মাসুদ। সাঈদ আহমেদ আসলাম ও মোশারফ হোসেন মাসুদ দুজনই নেতা-কর্মীদের নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস থেকে জালালুদ্দীন আহমদ, এনসিপি থেকে মো. আব্দুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন থেকে মুফতি তোফায়েল আহমেদ কাসেমী, গণঅধিকার পরিষদ থেকে অ্যাডভোকেট খবির উদ্দিন মনোনয়ন পেতে পারেন।
শরীয়তপুর-২: নড়িয়া ও সখিপুর থানা নিয়ে গঠিত আসনটি বরাবরই আওয়ামী লীগের দখলে ছিল। শুধু ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে দুবার বিজয়ী হন জাতীয় পার্টির প্রার্থী। এবার এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের জেলা সভাপতি ও সাবেক এমপি শফিকুর রহমান কিরণ। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) সেক্রেটারি ডা. মাহমুদ হোসেন বকাউল। দুজনই এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভাসহ নানাভাবে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস থেকে মো. দবির হোসেন শেখ, ইসলামী আন্দোলন থেকে মুফতি মো. ইমরান হোসাইন এবং গণঅধিকার পরিষদ থেকে আক্তারুজ্জামান সম্রাট মাঝি মনোনয়ন পেতে পারেন।
শরীয়তপুর-৩: স্বাধীনতার পর বেশির ভাগ সময়েই এখানে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। শুধু ১৯৭৯ সালে একবার মুসলিম লীগ, ১৯৮৬ সালে একবার জাতীয় পার্টির প্রার্থী বিজয়ী হন। গোসাইরহাট, ডামুড্যা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার একাংশ নিয়ে গঠিত আসনটিতে এবার বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তারেক রহমানের সাবেক একান্ত সচিব মিয়া নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম। দুজনই নেতা-কর্মীদের নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। খেলাফত মজলিস থেকে মুফতি খবির উদ্দিন এবং ইসলামী আন্দোলন থেকে অ্যাডভোকেট মো. হানিফ মিয়া মনোনয়ন পেতে পারেন।

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত শরীয়তপুরে এবার বদলে গেছে নির্বাচনী সমীকরণ। জুলাই অভ্যুত্থানের পর বিদ্যমান বাস্তবতায় জেলার তিনটি আসনই নিশ্চিত করতে চায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। শরীয়তপুর-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাঈদ আহমেদ আসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দফায় দফায় সড়ক অবরোধ করেছে দলের অপর অংশ। তবে অন্য দুই আসনে এমন বিরোধ নেই। সবকটি আসনেই নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন বিএনপি ও জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
শরীয়তপুর-১: স্বাধীনতার পর একবারই এখানে জয় পায় বিএনপি। সেটি ছিল ১৯৭৯ সালে। এর বাইরে বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর দখলে ছিল এটি। শরীয়তপুর সদর ও জাজিরা নিয়ে গঠিত আসনটিতে এবার বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাঈদ আহমেদ আসলাম। তিনি জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং শরীয়তপুর-৩ আসনের বাসিন্দা। তবে তাঁর প্রাথমিক মনোনয়ন মেনে নিতে নারাজ আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি সরদার এ কে এম নাসির উদ্দীন কালুর অনুসারীরা। সাঈদ আহমেদ আসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দফায় দফায় সড়ক অবরোধ করেছেন তাঁরা। দলীয়ভাবে মীমাংসা না হলে শেষ পর্যন্ত নাসির উদ্দীন কালু স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন।
জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি ড. মোশারফ হোসেন মাসুদ। সাঈদ আহমেদ আসলাম ও মোশারফ হোসেন মাসুদ দুজনই নেতা-কর্মীদের নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস থেকে জালালুদ্দীন আহমদ, এনসিপি থেকে মো. আব্দুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন থেকে মুফতি তোফায়েল আহমেদ কাসেমী, গণঅধিকার পরিষদ থেকে অ্যাডভোকেট খবির উদ্দিন মনোনয়ন পেতে পারেন।
শরীয়তপুর-২: নড়িয়া ও সখিপুর থানা নিয়ে গঠিত আসনটি বরাবরই আওয়ামী লীগের দখলে ছিল। শুধু ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে দুবার বিজয়ী হন জাতীয় পার্টির প্রার্থী। এবার এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের জেলা সভাপতি ও সাবেক এমপি শফিকুর রহমান কিরণ। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) সেক্রেটারি ডা. মাহমুদ হোসেন বকাউল। দুজনই এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভাসহ নানাভাবে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস থেকে মো. দবির হোসেন শেখ, ইসলামী আন্দোলন থেকে মুফতি মো. ইমরান হোসাইন এবং গণঅধিকার পরিষদ থেকে আক্তারুজ্জামান সম্রাট মাঝি মনোনয়ন পেতে পারেন।
শরীয়তপুর-৩: স্বাধীনতার পর বেশির ভাগ সময়েই এখানে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। শুধু ১৯৭৯ সালে একবার মুসলিম লীগ, ১৯৮৬ সালে একবার জাতীয় পার্টির প্রার্থী বিজয়ী হন। গোসাইরহাট, ডামুড্যা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার একাংশ নিয়ে গঠিত আসনটিতে এবার বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তারেক রহমানের সাবেক একান্ত সচিব মিয়া নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম। দুজনই নেতা-কর্মীদের নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। খেলাফত মজলিস থেকে মুফতি খবির উদ্দিন এবং ইসলামী আন্দোলন থেকে অ্যাডভোকেট মো. হানিফ মিয়া মনোনয়ন পেতে পারেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) হলের পাশে এক ছাত্রীকে হেনস্তায় সম্পৃক্ত দুজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের পরিচয় প্রকাশ করেনি তদন্ত কমিটি। আজ শুক্রবার বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কমিটির সদস্যসচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম।
২২ জুলাই ২০২২
নদীতে আড়াআড়ি বাঁশ, বেড়া ও জাল দিয়ে ঘের তৈরি করা হয়েছে। সেখানে করা হচ্ছে মাছ চাষ। এমন ঘটনা ঘটছে কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীতে। আর এর পেছনে রয়েছেন স্থানীয় বিএনপি নেতা। এর ফলে জেলে কিংবা স্থানীয়রা মাছ ধরতে পারছেন না। ব্যাহত হচ্ছে মাছের বংশবিস্তার।
৪ মিনিট আগে
জুলাই আন্দোলনে একাধিক হত্যা মামলার আসামি জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি এ কে এম সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারে তাঁর কারখানায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে ফতুল্লার উইজডম অ্যাটায়ার্স লিমিটেড কারখানায় অভিযান চালায় ফতুল্লা মডেল থানা-পুলিশের একটি টিম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর দক্ষিণখানে প্রকাশ্যে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে দক্ষিণখানের নদ্দাপাড়ার তালতলা মোড়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেবাপ্পী শাহরিয়ার, চকরিয়া (কক্সবাজার)

নদীতে আড়াআড়ি বাঁশ, বেড়া ও জাল দিয়ে ঘের তৈরি করা হয়েছে। সেখানে করা হচ্ছে মাছ চাষ। এমন ঘটনা ঘটছে কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীতে। আর এর পেছনে রয়েছেন স্থানীয় বিএনপি নেতা। এর ফলে জেলে কিংবা স্থানীয়রা মাছ ধরতে পারছেন না। ব্যাহত হচ্ছে মাছের বংশবিস্তার।
চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের বাটাখালী সেতু এলাকায় ঘের তৈরি করার হয়েছে। এই উপজেলার বিভিন্ন স্থান দিয়ে বয়ে গেছে খরস্রোতা মাতামুহুরী নদী। নদীটি মাছ আহরণের জন্য উন্মুক্ত।
মিয়ানমার সীমান্তের মাইভার পর্বত থেকে মাতামুহুরীর উৎপত্তি। এরপর নদীটি বান্দরবানের আলীকদম, লামা ও কক্সবাজারের চকরিয়া, পেকুয়া হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যানুযায়ী নদীটির দৈর্ঘ্য ১৪৬ কিলোমিটার। চকরিয়া উপজেলায় নদীটির ৪০ কিলোমিটার পড়েছে।
বাটাখালী ও জলদাশপাড়ার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাছ চাষ করার জন্য বাঁশের বেড়া দিয়ে নদী দখলে নিয়েছেন মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল করিম। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন আনোয়ারুল হাসান, আবু জাফর, জামাল উদ্দিন, আরিফুল ইসলাম বাবুল, মোহাম্মদ মানিকসহ ৩২ জন। নদী দখলে জড়িত ৩২ জনের বেশির ভাগই বিএনপির ওয়ার্ড পর্যায়ের কর্মী ও সমর্থক।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চকরিয়া-বদরখালী কে বি জালাল উদ্দিন সড়কের উপজেলার সাহারবিল এলাকায় মাতামুহুরী নদী দখল করে বাটাখালী সেতুর নিচে বাঁশের বেড়া দেওয়া হয়েছে। এই বেড়ার মধ্যে তাঁরা অবৈধভাবে মাছচাষ করবেন। বেড়া দিয়ে নদী দখলের কারণে স্বাভাবিক পানি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। সেখানে একটি খুপরিঘরও বানানো হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নদীর পাশে চকরিয়া পৌরসভা ও সাহারবিল জলদাশপাড়ার প্রায় ৪০০ জেলে পরিবার বাস করে। তারা মাতামুহুরী ও খাল থেকে মাছ আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে। এখন রাজনৈতিক আশ্রয়ে নদীতে বেড়া দিয়ে দখল শুরু হয়েছে। তাই ভয়ে অনেকে নদীতে মাছ ধরতে যায় না। বাঁশের বেড়া দেওয়ার কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা নদীতে গোসল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কোনো কাজ করতে পারছে না।
এই বিষয়ে জেলে আলী আকবর বলেন, ‘৮-৯ দিন ধরে নদীর বুকে আড়াআড়িভাবে বাঁশের তৈরি বেড়া দিয়ে মাছ চাষ করতে একটি প্রভাবশালী চক্র দখল করেছে। এভাবে নদীতে বেড়া দেওয়া শুরু হলে মাতামুহুরীর কোনো অংশই বাদ যাবে না। আমরা জেলেরা মাছ আহরণ করতে পারব না।’
তবে নদী দখলকারীদের একজন আবু জাফর বলেন, ‘আমরা এলাকার বেকার যুবকদের নিয়ে মাছ চাষ করতে নদীর একপাশে বাঁশের বেড়া দিয়েছি। এখানে নদীর কোনো ক্ষতি হচ্ছে না, বাঁধও দিচ্ছি না। এ ব্যাপারে উপজেলার একজন কর্মচারী আমাদের মৌখিক অনুমতি দেন।’
আর দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল করিম বলেন, ‘আগামী তিন মাসের জন্য মাতামুহুরী নদীতে রাবার ড্যাম ফোলানো হলে পানি বাড়বে। দলীয় পরিচয়ে নয়, এলাকার মুরব্বিরাসহ মিলেমিশে ৩২ জন মাছ চাষ করতে নদীতে বেড়া দিয়েছি। আমরা নদীও দখল করছি না, ব্যবসাও করছি না।’
চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আনোয়ারুল আমিন বলেন, ‘নদীতে বাঁশের বেড়া দিয়ে দখল করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীন দেলোয়ার বলেন, ‘এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা প্রশাসন থেকে লোক পাঠানো হবে।’

নদীতে আড়াআড়ি বাঁশ, বেড়া ও জাল দিয়ে ঘের তৈরি করা হয়েছে। সেখানে করা হচ্ছে মাছ চাষ। এমন ঘটনা ঘটছে কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীতে। আর এর পেছনে রয়েছেন স্থানীয় বিএনপি নেতা। এর ফলে জেলে কিংবা স্থানীয়রা মাছ ধরতে পারছেন না। ব্যাহত হচ্ছে মাছের বংশবিস্তার।
চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের বাটাখালী সেতু এলাকায় ঘের তৈরি করার হয়েছে। এই উপজেলার বিভিন্ন স্থান দিয়ে বয়ে গেছে খরস্রোতা মাতামুহুরী নদী। নদীটি মাছ আহরণের জন্য উন্মুক্ত।
মিয়ানমার সীমান্তের মাইভার পর্বত থেকে মাতামুহুরীর উৎপত্তি। এরপর নদীটি বান্দরবানের আলীকদম, লামা ও কক্সবাজারের চকরিয়া, পেকুয়া হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যানুযায়ী নদীটির দৈর্ঘ্য ১৪৬ কিলোমিটার। চকরিয়া উপজেলায় নদীটির ৪০ কিলোমিটার পড়েছে।
বাটাখালী ও জলদাশপাড়ার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাছ চাষ করার জন্য বাঁশের বেড়া দিয়ে নদী দখলে নিয়েছেন মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল করিম। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন আনোয়ারুল হাসান, আবু জাফর, জামাল উদ্দিন, আরিফুল ইসলাম বাবুল, মোহাম্মদ মানিকসহ ৩২ জন। নদী দখলে জড়িত ৩২ জনের বেশির ভাগই বিএনপির ওয়ার্ড পর্যায়ের কর্মী ও সমর্থক।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চকরিয়া-বদরখালী কে বি জালাল উদ্দিন সড়কের উপজেলার সাহারবিল এলাকায় মাতামুহুরী নদী দখল করে বাটাখালী সেতুর নিচে বাঁশের বেড়া দেওয়া হয়েছে। এই বেড়ার মধ্যে তাঁরা অবৈধভাবে মাছচাষ করবেন। বেড়া দিয়ে নদী দখলের কারণে স্বাভাবিক পানি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। সেখানে একটি খুপরিঘরও বানানো হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নদীর পাশে চকরিয়া পৌরসভা ও সাহারবিল জলদাশপাড়ার প্রায় ৪০০ জেলে পরিবার বাস করে। তারা মাতামুহুরী ও খাল থেকে মাছ আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে। এখন রাজনৈতিক আশ্রয়ে নদীতে বেড়া দিয়ে দখল শুরু হয়েছে। তাই ভয়ে অনেকে নদীতে মাছ ধরতে যায় না। বাঁশের বেড়া দেওয়ার কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা নদীতে গোসল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কোনো কাজ করতে পারছে না।
এই বিষয়ে জেলে আলী আকবর বলেন, ‘৮-৯ দিন ধরে নদীর বুকে আড়াআড়িভাবে বাঁশের তৈরি বেড়া দিয়ে মাছ চাষ করতে একটি প্রভাবশালী চক্র দখল করেছে। এভাবে নদীতে বেড়া দেওয়া শুরু হলে মাতামুহুরীর কোনো অংশই বাদ যাবে না। আমরা জেলেরা মাছ আহরণ করতে পারব না।’
তবে নদী দখলকারীদের একজন আবু জাফর বলেন, ‘আমরা এলাকার বেকার যুবকদের নিয়ে মাছ চাষ করতে নদীর একপাশে বাঁশের বেড়া দিয়েছি। এখানে নদীর কোনো ক্ষতি হচ্ছে না, বাঁধও দিচ্ছি না। এ ব্যাপারে উপজেলার একজন কর্মচারী আমাদের মৌখিক অনুমতি দেন।’
আর দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল করিম বলেন, ‘আগামী তিন মাসের জন্য মাতামুহুরী নদীতে রাবার ড্যাম ফোলানো হলে পানি বাড়বে। দলীয় পরিচয়ে নয়, এলাকার মুরব্বিরাসহ মিলেমিশে ৩২ জন মাছ চাষ করতে নদীতে বেড়া দিয়েছি। আমরা নদীও দখল করছি না, ব্যবসাও করছি না।’
চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আনোয়ারুল আমিন বলেন, ‘নদীতে বাঁশের বেড়া দিয়ে দখল করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীন দেলোয়ার বলেন, ‘এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা প্রশাসন থেকে লোক পাঠানো হবে।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) হলের পাশে এক ছাত্রীকে হেনস্তায় সম্পৃক্ত দুজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের পরিচয় প্রকাশ করেনি তদন্ত কমিটি। আজ শুক্রবার বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কমিটির সদস্যসচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম।
২২ জুলাই ২০২২
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত শরীয়তপুরে এবার বদলে গেছে নির্বাচনী সমীকরণ। জুলাই অভ্যুত্থানের পর বিদ্যমান বাস্তবতায় জেলার তিনটি আসনই নিশ্চিত করতে চায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। শরীয়তপুর-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাঈদ আহমেদ আসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দফায় দফায় সড়ক অবরোধ কর
১ সেকেন্ড আগে
জুলাই আন্দোলনে একাধিক হত্যা মামলার আসামি জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি এ কে এম সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারে তাঁর কারখানায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে ফতুল্লার উইজডম অ্যাটায়ার্স লিমিটেড কারখানায় অভিযান চালায় ফতুল্লা মডেল থানা-পুলিশের একটি টিম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর দক্ষিণখানে প্রকাশ্যে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে দক্ষিণখানের নদ্দাপাড়ার তালতলা মোড়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

জুলাই আন্দোলনে একাধিক হত্যা মামলার আসামি জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি এ কে এম সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারে তাঁর কারখানায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে ফতুল্লার উইজডম অ্যাটায়ার্স লিমিটেড কারখানায় অভিযান চালায় ফতুল্লা মডেল থানা-পুলিশের একটি টিম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী। তবে সেখানে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্যকে পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
এর আগে, গত রোববার জেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক নেতারা সেলিম ওসমানের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। প্রায়ই তিনি গার্মেন্টসে অফিস করছেন, এমন গুঞ্জনের জবাবে তারেক আল মেহেদী জানান, সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারে তাঁদের নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
সেই বৈঠকের পরদিন উইজডম অ্যাটায়ার্সে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সেলিম ওসমান নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি ও আলোচিত আওয়ামী লীগের এমপি শামীম ওসমানের বড় ভাই।

জুলাই আন্দোলনে একাধিক হত্যা মামলার আসামি জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি এ কে এম সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারে তাঁর কারখানায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে ফতুল্লার উইজডম অ্যাটায়ার্স লিমিটেড কারখানায় অভিযান চালায় ফতুল্লা মডেল থানা-পুলিশের একটি টিম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী। তবে সেখানে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্যকে পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
এর আগে, গত রোববার জেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক নেতারা সেলিম ওসমানের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। প্রায়ই তিনি গার্মেন্টসে অফিস করছেন, এমন গুঞ্জনের জবাবে তারেক আল মেহেদী জানান, সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারে তাঁদের নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
সেই বৈঠকের পরদিন উইজডম অ্যাটায়ার্সে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সেলিম ওসমান নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি ও আলোচিত আওয়ামী লীগের এমপি শামীম ওসমানের বড় ভাই।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) হলের পাশে এক ছাত্রীকে হেনস্তায় সম্পৃক্ত দুজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের পরিচয় প্রকাশ করেনি তদন্ত কমিটি। আজ শুক্রবার বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কমিটির সদস্যসচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম।
২২ জুলাই ২০২২
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত শরীয়তপুরে এবার বদলে গেছে নির্বাচনী সমীকরণ। জুলাই অভ্যুত্থানের পর বিদ্যমান বাস্তবতায় জেলার তিনটি আসনই নিশ্চিত করতে চায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। শরীয়তপুর-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাঈদ আহমেদ আসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দফায় দফায় সড়ক অবরোধ কর
১ সেকেন্ড আগে
নদীতে আড়াআড়ি বাঁশ, বেড়া ও জাল দিয়ে ঘের তৈরি করা হয়েছে। সেখানে করা হচ্ছে মাছ চাষ। এমন ঘটনা ঘটছে কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীতে। আর এর পেছনে রয়েছেন স্থানীয় বিএনপি নেতা। এর ফলে জেলে কিংবা স্থানীয়রা মাছ ধরতে পারছেন না। ব্যাহত হচ্ছে মাছের বংশবিস্তার।
৪ মিনিট আগে
রাজধানীর দক্ষিণখানে প্রকাশ্যে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে দক্ষিণখানের নদ্দাপাড়ার তালতলা মোড়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেউত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি

রাজধানীর দক্ষিণখানে প্রকাশ্যে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে দক্ষিণখানের নদ্দাপাড়ার তালতলা মোড়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম শাহজাহান শেখ (৪৫)। তিনি দক্ষিণখানের আশকোনা ডিলার বাড়ির হাকিম উদ্দিনের ছেলে। জানা গেছে, শাহজাহান শেখ বিমানবন্দর থানা যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। পাশাপাশি তিনি আশকোনা কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি ও ডিশের ব্যবসা করতেন।
ওই এলাকার ব্যবসায়ী মাহফুজুর রহমান মিয়াদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শাহজাহান ডিলার একটি গলি থেকে দৌড়ে তালতলা মোড়ের দিকে আসেন। তখন কয়েক দুর্বৃত্ত পেছন থেকে দৌড়ে এসে তাঁকে এলোপাতাড়ি কোপায়। এতে তাঁর মাথা দুই খণ্ড হয়ে যায়। পরে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।’
মাহফুজ আরও জানান, দুর্বৃত্তরা ঘটনাস্থলে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি চাপাতি ও একটি ক্যাপ (টুপি) ফেলে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কিছু বুঝে ওঠার আগেই প্রকাশ্যে কিছু লোক শাহজাহানকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে গেছে। কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডের পরপরই দক্ষিণখান থানা পুলিশ, র্যাব, ডিবি ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনকে ঘটনাস্থলে এসে আলামত সংগ্রহ করতে দেখা যায়।
ডিএমপির দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, কতিপয় অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারী ধারালো অস্ত্র দিয়ে শাহজাহান শেখকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মাথা, মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর জখম করে। তিনি ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীরা মৃত্যু নিশ্চিত করে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতসহ আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীদের শনাক্তকরণসহ আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

রাজধানীর দক্ষিণখানে প্রকাশ্যে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে দক্ষিণখানের নদ্দাপাড়ার তালতলা মোড়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম শাহজাহান শেখ (৪৫)। তিনি দক্ষিণখানের আশকোনা ডিলার বাড়ির হাকিম উদ্দিনের ছেলে। জানা গেছে, শাহজাহান শেখ বিমানবন্দর থানা যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। পাশাপাশি তিনি আশকোনা কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি ও ডিশের ব্যবসা করতেন।
ওই এলাকার ব্যবসায়ী মাহফুজুর রহমান মিয়াদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শাহজাহান ডিলার একটি গলি থেকে দৌড়ে তালতলা মোড়ের দিকে আসেন। তখন কয়েক দুর্বৃত্ত পেছন থেকে দৌড়ে এসে তাঁকে এলোপাতাড়ি কোপায়। এতে তাঁর মাথা দুই খণ্ড হয়ে যায়। পরে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।’
মাহফুজ আরও জানান, দুর্বৃত্তরা ঘটনাস্থলে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি চাপাতি ও একটি ক্যাপ (টুপি) ফেলে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কিছু বুঝে ওঠার আগেই প্রকাশ্যে কিছু লোক শাহজাহানকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে গেছে। কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডের পরপরই দক্ষিণখান থানা পুলিশ, র্যাব, ডিবি ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনকে ঘটনাস্থলে এসে আলামত সংগ্রহ করতে দেখা যায়।
ডিএমপির দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, কতিপয় অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারী ধারালো অস্ত্র দিয়ে শাহজাহান শেখকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মাথা, মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর জখম করে। তিনি ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীরা মৃত্যু নিশ্চিত করে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতসহ আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীদের শনাক্তকরণসহ আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) হলের পাশে এক ছাত্রীকে হেনস্তায় সম্পৃক্ত দুজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের পরিচয় প্রকাশ করেনি তদন্ত কমিটি। আজ শুক্রবার বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কমিটির সদস্যসচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম।
২২ জুলাই ২০২২
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত শরীয়তপুরে এবার বদলে গেছে নির্বাচনী সমীকরণ। জুলাই অভ্যুত্থানের পর বিদ্যমান বাস্তবতায় জেলার তিনটি আসনই নিশ্চিত করতে চায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। শরীয়তপুর-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাঈদ আহমেদ আসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দফায় দফায় সড়ক অবরোধ কর
১ সেকেন্ড আগে
নদীতে আড়াআড়ি বাঁশ, বেড়া ও জাল দিয়ে ঘের তৈরি করা হয়েছে। সেখানে করা হচ্ছে মাছ চাষ। এমন ঘটনা ঘটছে কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীতে। আর এর পেছনে রয়েছেন স্থানীয় বিএনপি নেতা। এর ফলে জেলে কিংবা স্থানীয়রা মাছ ধরতে পারছেন না। ব্যাহত হচ্ছে মাছের বংশবিস্তার।
৪ মিনিট আগে
জুলাই আন্দোলনে একাধিক হত্যা মামলার আসামি জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি এ কে এম সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারে তাঁর কারখানায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে ফতুল্লার উইজডম অ্যাটায়ার্স লিমিটেড কারখানায় অভিযান চালায় ফতুল্লা মডেল থানা-পুলিশের একটি টিম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের
১ ঘণ্টা আগে