Ajker Patrika

বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনায় ছাত্রী হেনস্তা কি তবে বৈধ? 

মন্টি বৈষ্ণব, ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনায় ছাত্রী হেনস্তা কি তবে বৈধ? 

সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হলেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনা ছাত্রীদের জন্য অনিরাপদ হয়ে পড়ছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়টির ইতিহাসে কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে আখ্যা পাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন, বাস, ক্যাম্পাসের ভেতরে এমনকি ছাত্রীদের হলের সামনেই যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা। 

প্রশ্ন হচ্ছে নিজের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রীরা কেন অনিরাপদ থাকবেন? তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্ব-কর্তব্য কী? তারা কি এসব ঘটনায় অপরাধীদের শাস্তির ব্যবস্থা না করে সর্বদাই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার কাজে নিয়োজিত থাকবেন? 

যে ঘটনার কথা বলতে চাই, সেটি খুব বেশি দিন আগের ঘটনা নয়। গত রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে পাঁচজন তরুণের মাধ্যমে একজন ছাত্রী যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। ভুক্তভোগীর মতে, ওই পাঁচজন তরুণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। নিপীড়ক শিক্ষার্থীরা এমনকি এই যৌন নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করেছেন। এ সময় ভুক্তভোগীর সঙ্গে থাকা বন্ধু প্রতিবাদ করলে তিনিও তাদের নির্যাতনের শিকার হন। পরে ভুক্তভোগীর ও তাঁর বন্ধুর মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে দুজনকে ছেড়ে দেয় তারা। 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের যৌন নিপীড়নের ঘটনা এটিই প্রথম না। এর আগেও এমন হয়েছে। এর আগে ছাত্রলীগের চার কর্মীর বিরুদ্ধে দুই ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এলেও ক্ষমতাধরদের বিরুদ্ধে কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিতে পারেনি। আগের মতো এবারও তারা নিষ্ক্রিয়। এতে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনই প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। 

প্রীতিলতা হল প্রাঙ্গণএবারের ঘটনার পর সহপাঠীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া অনাচারের বিচার চাইতে আন্দোলনে নামেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের কাছে জানতে চান, রাত ১০টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের হেনস্তা করা বৈধ কিনা? আন্দোলনের একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় না এনে ছাত্রীদের রাতে হলে ফেরার সময়সীমা নির্ধারণ করে দেন। আন্দোলনরত বিভিন্ন ছাত্রী হলের ছাত্রীরা প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার ও ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে উপাচার্য বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। ছাত্রীদের এই আন্দোলনে অংশ নিচ্ছেন ছাত্ররাও। প্রতিবাদে শামিল হন শিক্ষকেরাও। 

বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের খবরে প্রকাশ—আন্দোলনের একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম মনিরুল হাসান অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা না করলে প্রক্টরিয়াল বডিসহ পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এ আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে চারটি দাবি তুলে ধরেছেন। দাবিগুলো হলো—
 ১. ছাত্রীদের হলে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোনো সময়সীমা না রাখা
 ২. যৌন নিপীড়ন সেল বাতিল করে নতুন সেল গঠন করা
 ৩. আগামী চার কর্মদিবসের মধ্যে চলমান ঘটনাগুলোর বিচার ও সুষ্ঠু সমাধান করা
 ৪. সমাধানে ব্যর্থ হলে প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ

এর মধ্যে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বাদী হয়ে হাটহাজারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে অজ্ঞাত পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন। এ সময় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ সভাপতি রেজাউল হককে শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়। গত মঙ্গলবার ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের স্বাক্ষর করা এ নোটিশ দেওয়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ সভাপতি রেজাউল হকের এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে। 

সব মিলিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিয়ে জোর সংশয় কাজ করছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। প্রশাসনের নির্লিপ্ততা তাদের আরও বেশি শঙ্কিত করে তুলেছে। এ বিষয়ে আন্দোলনরত পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আশরাফী নীতু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ক্যাম্পাসে একের পর এক যৌন নিপীড়নের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। যৌন নিপীড়নের এসব ঘটনার কোনোটার বিচার হচ্ছে না। অপরাধী বুক ফুলিয়ে দাপট দেখিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতে অন্যরা এ ধরনের কাজে ভয় না পেয়ে বরং উৎসাহিত হচ্ছে। বলা যায়, বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে এ ধরনের ঘটনা বারবার ঘটছে। আবার অন্যদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে হলে ফেরার সময়সীমা নির্ধারণ করে ছাত্রীদের বন্দী করে রাখার পাঁয়তারা চলছে, যা মেনে নেওয়া ছাত্রীদের পক্ষে সম্ভব নয়। যৌন নিপীড়নের ঘটনার একমাত্র সমাধান হতে পারে প্রতিটি ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা।’ 

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি জানিয়েছেনআন্দোলনের মূল লক্ষ্য কী জানতে চাইলে এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আন্দোলন করছি বিচার পাওয়ার জন্য। ছাত্র-ছাত্রী নির্বিশেষে সবার জন্যই নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিতের জন্য। আমরা ক্যাম্পাসে নির্ভয়ে চলাফেরা করতে চাই।’ 

অথচ একটি শঙ্কামুক্ত ক্যাম্পাস গড়ার উপাদান কিন্তু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে। শিক্ষার্থীদের, বিশেষত ছাত্রীদের যৌন হয়রানি থেকে মুক্ত থাকতে এবং আশ্রয় হিসেবে দুটি আলাদা কমিটি রয়েছে। এর একটি ‘যৌন হয়রানি নিপীড়ন নিরোধ কেন্দ্র’ নামের সাত সদস্যের কমিটি। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক প্রণীত ‘উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ নীতিমালা’ অনুসারে এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার (প্রো–ভাইস চ্যান্সেলর)। এ ছাড়া উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের নির্দেশনায় ২০১৮ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঁচ সদস্যের একটি ‘অভিযোগ কমিটি’ গঠন করা হয়। এ কমিটির আহ্বায়ক কাজী শামীমা সুলতানা (পদার্থ বিভাগ)। এ পর্যন্ত এই কমিটিতে তিনটি ঘটনার অভিযোগ এসেছে। ঘটনা তিনটি হলো—১. খালেদা জিয়া হলের একজন ছাত্রীর হেনস্তা; ২. ফরেস্ট্রি বিভাগের শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রী হেনস্তা এবং ৩. ছাত্রলীগের চারজন কর্মী কর্তৃক দুই ছাত্রী হেনস্তা। 

এ দুই কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. লায়লা খালেদা। তাঁর কাছে এ দুই কমিটির কাজের পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়ন সম্পর্কিত ঘটনাগুলো প্রথমে অভিযোগ কমিটিতে আসে। পরে অভিযোগ কমিটির পক্ষ থেকে অভিযোগপত্রগুলো যাচাই-বাছাই করে ঊর্ধ্বতন কমিটি; অর্থাৎ, যৌন হয়রানি নিপীড়ন নিরোধ কেন্দ্রে জমা হয়। এ পর্যন্ত তিনটি অভিযোগ পেয়েছি। গতকাল আমরা এই তিনটি অভিযোগ চূড়ান্তকরণের জন্য বৈঠকে বসি। এখন অভিযোগগুলোর চূড়ান্ত পর্যায়ে যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। আগামী রোববার বা সোমবার আমরা এ অভিযোগপত্রের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করব।’ 

অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন দীর্ঘ সময় পর প্রকাশের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে ড. লায়লা খালেদা বলেন, ‘করোনাকালসহ বিভিন্ন কারণে আমরা দুই কমিটির সদস্যরা সভা করতে পারিনি।’ সাম্প্রতিক ছাত্রী হেনস্তার ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই ঘটনা তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এই তদন্ত কমিটি চার কার্যদিবসে তদন্ত প্রতিবেদন বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিযোগ কমিটির কাছে জমা দেবে। অভিযোগ কমিটির পক্ষ থেকে সে প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই করে ঊর্ধ্বতন কমিটির কাছে জমা দেওয়া হবে।’ 

কিন্তু এ ধরনের ঘটনা তো আর একটি-দুটি হয়নি। আগের ঘটনাগুলোর কোনো বিচার সেভাবে না হওয়ায় দায় বেড়েছে। আজ তাই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সরাসরি প্রশ্ন তুলছেন—রাত ১০টার পর ছাত্রী হেনস্তা বৈধ কি-না। কারণ, বিচার না করে, অভিযুক্তদের শাস্তির আওতায় না এনে প্রশাসনই প্রকারান্তরে এই বৈধতা দিয়ে বসে আছে। 

এ থেকে মুক্তির উপায় তবে কী? এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুবর্ণা মজুমদার বলেন, ‘আমাদের রাষ্ট্রজুড়ে বিচারহীনতার সংস্কৃতি বিরাজ করছে। এই ধরনের ঘটনায় অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে। ভুক্তভোগীরা বিচার পাচ্ছেন না। এই বিচারহীনতার সংস্কৃতির প্রভাব পড়ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও। এ কারণে এ ধরনের ঘটনাগুলো ঘটছে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া ঘটনা, আগের সব ঘটনাকে ছাপিয়ে গেছে। ভুক্তভোগীকে বিচারের আশায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এটা সেই বিচারহীনতার সংস্কৃতির ফলাফল।’ 

এবারের ঘটনায় জড়িত দুজনকে শনাক্তের কথা অবশ্য আজ শুক্রবার জানিয়েছে চবি প্রশাসন। যদিও সংশ্লিষ্ট থানা এখনো কিছু জানে না বলে জানিয়েছে। শনাক্ত দুজনের নাম-পরিচয়ও প্রশাসন প্রকাশ করেনি। এদিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অন্যদের নাগালের বাইরে। প্রশাসন এ ক্ষেত্রে ওই শিক্ষার্থীর নিরাপত্তার প্রশ্নটিকে সামনে আনলেও এ নিয়েও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। 

এই ধরনের ঘটনায় প্রশাসনের কার্যকর ভূমিকা নিতে না পারার কারণ সম্পর্কে অধ্যাপক সুবর্ণা মজুমদার বলেন, ‘প্রশাসন এ ধরনের ঘটনায় পদক্ষেপ নিতে পারছে না। কারণ প্রশাসনে যারা দায়িত্বে থাকেন, তাঁরা আসলে ক্ষমতাকাঠামোর কাছাকাছি থাকতে চান। স্বাভাবিকভাবে এখানে তাঁদের ব্যক্তিগত স্বার্থ জড়িত। এই ব্যক্তিগত লাভের কারণে তাঁরা ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। তাই এই ধরনের ঘটনায় প্রশাসন নির্লিপ্ত থাকেন। আর এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন।’ 

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও তাদের প্রতি সমর্থন জানানো শিক্ষক—সবার মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ নিয়ে একটা সংশয় রয়েছে। পূর্ব অভিজ্ঞতা ভালো না হওয়ার কারণেই এমন সংশয়। এ নিয়ে সুবর্ণা মজুমদার বলেন, ‘এই তদন্ত কমাটির তো দরকার ছিল না। কারণ, এ ধরনের ঘটনার তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটি কমিটি আছে। একটি অভিযোগ কমিটি; আরেকটি যৌন হয়রানি নিপীড়ন নিরোধ কেন্দ্র। কর্তৃপক্ষ কেন এই দুটি কমিটিকে কার্যকর করছে না। কেন এই দুই কমিটিকে পাশ কাঠিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো? এতে বোঝা যাচ্ছে যে, অতীতের ঘটনাগুলোর মতো এই তদন্ত কমিটির মাধ্যমে সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনাও ধামাচাপা দেওয়া হবে।’ 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ঘটনা সারা দেশের শিক্ষার্থীদেরই আলোড়িত করেছে। সারা দেশের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিষয়টি নিয়ে বিচলিত বোধ করছেন। এ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক কাবেরী গায়েন বলেন, ‘প্রশাসন কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না কারণ, প্রশাসন সরকার দলীয় এবং অভিযুক্তরাও ছাত্রলীগের বলে জানা যাচ্ছে। যাদের অনুকম্পায় সরকার-দলীয় প্রশাসন ক্ষমতায় টিকে থাকে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সাহস প্রশাসনের নেই বলেই মনে হয়। ঘটনার চার-পাঁচ দিন পার হয়ে গেলেও তাই অভিযুক্তদের ধরার সাহস হয়নি। বরং ছাত্রীদের হলে ঢোকার ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তাই নারী নির্যাতনকারীদের নয়, প্রশাসন শাস্তি দিতে চায় সব হলের ছাত্রীদের। এর মাধ্যমে নিজেরাই প্রমাণ করেছে যে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রীদের নিরাপত্তা নেই।’ তিনি বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা আগেও ঘটেছিল। তখন সামাজিক কারণে কেউ প্রকাশ করত না, চেপে যেত। এখন ছাত্রীরা প্রতিবাদ করছেন। আমি বরং বলব, এত প্রতিবাদ সত্ত্বেও এই ধরনের ঘটনা কমছে না। কারণ যখন যে দল রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকে, তাদের অঙ্গসংগঠনের ছেলেরা এসব কাজে নেতৃত্ব দেয়। আর প্রশাসন নিজেদের গদি বাঁচানোর স্বার্থে তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারে না। নির্যাতিতকেই অভিযুক্ত করা হয় বারবার। দুঃখজনক যে, শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই কাজ করে চলেছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোট চুরির এমপি হতে চাই না: অ্যাটর্নি জেনারেল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: চিকিৎসায় শিক্ষার্থীপ্রতি বরাদ্দ মাত্র ১২৫ টাকা

২,০০০ পুলিশের বলয়ে থাকবেন তারেক রহমান

বাগেরহাটের চিতলমারী: অবৈধ বালু উত্তোলনে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট

‘অপারেশন জিরো টলারেন্স ফর ফ্যাসিজম’ কর্মসূচি ঘোষণা রাকসুর জিএস আম্মারের

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাতির আক্রমণ থেকে সুরক্ষায় কাপ্তাই বন বিভাগের সতর্কতামূলক কার্যক্রম

কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সড়কে সতর্কবার্তা লিখে দেওয়া হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সড়কে সতর্কবার্তা লিখে দেওয়া হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাঙামাটির কাপ্তাই-আসামবস্তি সড়কে বন্য হাতির চলাচল বৃদ্ধি পাওয়ায় জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সতর্কতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে কাপ্তাই বন বিভাগ। সম্প্রতি ওই সড়কে বন্য হাতির আক্রমণে প্রাণহানির ঘটনার পর এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় কাপ্তাই-আসামবস্তি সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে বাড়ি ফেরার পথে বন্য হাতির আক্রমণে ঝর্ণা চাকমা ও সবিতা চাকমা নামে দুই নারী নিহত হন। এই ঘটনার পর এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং সড়কটিতে হাতির চলাচল বাড়তে থাকে।

কাপ্তাই বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, বন বিভাগের পক্ষ থেকে কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে সোলার ফেন্সিং কার্যকর করা হয়েছে। পাশাপাশি সোলার ফেন্সিংয়ের আওতার বাইরে থাকা কাপ্তাই-আসামবস্তি সড়কে জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড স্থাপন ও সড়কে সতর্কবার্তা লিখে দেওয়া হয়েছে।

ওমর ফারুক স্বাধীন আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নির্দেশনায় হাতি চলাচলের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড ও রোডমার্কিং করা হয়েছে। একই সঙ্গে কাপ্তাই রেঞ্জের পক্ষ থেকে নিয়মিত টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।

বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের বন্য হাতির চলাচল সম্পর্কে সচেতন করা হচ্ছে, যাতে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোট চুরির এমপি হতে চাই না: অ্যাটর্নি জেনারেল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: চিকিৎসায় শিক্ষার্থীপ্রতি বরাদ্দ মাত্র ১২৫ টাকা

২,০০০ পুলিশের বলয়ে থাকবেন তারেক রহমান

বাগেরহাটের চিতলমারী: অবৈধ বালু উত্তোলনে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট

‘অপারেশন জিরো টলারেন্স ফর ফ্যাসিজম’ কর্মসূচি ঘোষণা রাকসুর জিএস আম্মারের

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দৌলতপুরে সূর্যের দেখা নেই, বাড়ছে শীতের তীব্রতা

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি 
সকালে রাস্তাঘাটে মানুষের আনাগোনা খুব কম। অফিসগামী যাত্রী ছাড়া তেমন কেউ বাইরে বের হচ্ছে না। ছবি: আজকের পত্রিকা
সকালে রাস্তাঘাটে মানুষের আনাগোনা খুব কম। অফিসগামী যাত্রী ছাড়া তেমন কেউ বাইরে বের হচ্ছে না। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় গতকাল শনিবার থেকে আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘন কুয়াশা না থাকলেও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বয়ে যাওয়া হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে।

তীব্র শীতের কারণে কাজে যেতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন উপজেলার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। শীতের প্রভাব পড়েছে হাটবাজারেও। অধিকাংশ বাজারে দোকানপাট খুলতে দেখা গেছে সকাল ১০টার পর। পেটের তাগিদে অনেকেই ঘরের বাইরে বের হলেও কাজ না পেয়ে দুর্ভোগে পড়ছেন। অপর দিকে শিশু ও বৃদ্ধরা শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

দৌলতপুর উপজেলায় নিজস্ব আবহাওয়া অফিস না থাকায় জেলার কুমারখালী আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল থেকে শুরু হওয়া এই আবহাওয়া আরও এক দিন, অর্থাৎ সোমবার পর্যন্ত স্থিতিশীল থাকতে পারে। মঙ্গলবার থেকে আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হলেও তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকবে। রোববার কুষ্টিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

দিনমজুর মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ঠান্ডা ও মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে আজ কাজে যেতে পারিনি। তা ছাড়া আমার ঠান্ডাজনিত রোগ আছে, তাই বাইরে বের হওয়াও কষ্টকর।’

উপজেলার মথুরাপুর বাজারের অটোরিকশাচালক মামুন হোসেন বলেন, ‘সকাল থেকে মানুষের আনাগোনা কম। অফিসগামী যাত্রী ছাড়া তেমন কেউ বাইরে বের হচ্ছে না। শীতের কারণে যাতায়াত কমে গেছে, আয়ও আগের তুলনায় অনেক কম।’

কুষ্টিয়ার কুমারখালী আবহাওয়া কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ বলেন, ঘন কুয়াশা না থাকলেও মেঘাচ্ছন্ন আকাশের কারণে দু-এক দিন এমন আবহাওয়া থাকতে পারে। তবে দুপুরের পর সূর্যের দেখা মিলতে পারে এবং মঙ্গলবার থেকে আবহাওয়া আরও উন্নত হবে।

এদিকে শীতের প্রভাবে হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। শিশু-বৃদ্ধসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ জ্বর, সর্দি ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।

দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তৌহিদুল হাসান তুহিন বলেন, শীত থেকে বাঁচতে সবাইকে গরম পোশাক পরতে এবং অপ্রয়োজনে বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে শিশুদের সব সময় গরম পোশাকে রাখতে এবং গরম খাবার খাওয়াতে বলা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোট চুরির এমপি হতে চাই না: অ্যাটর্নি জেনারেল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: চিকিৎসায় শিক্ষার্থীপ্রতি বরাদ্দ মাত্র ১২৫ টাকা

২,০০০ পুলিশের বলয়ে থাকবেন তারেক রহমান

বাগেরহাটের চিতলমারী: অবৈধ বালু উত্তোলনে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট

‘অপারেশন জিরো টলারেন্স ফর ফ্যাসিজম’ কর্মসূচি ঘোষণা রাকসুর জিএস আম্মারের

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মধুপুরে পরিবহনের ধাক্কায় পথচারী নিহত

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার জলছত্র এলাকায় পরিবহনের ধাক্কায় আবু হানিফা আলী (৫৫) নামের এক পথচারী নিহত হয়েছেন। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল আঞ্চলিক মহাসড়কের জলছত্র (ধরদরিয়া) এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আবু হানিফা আলী বেরিবাইদ ইউনিয়নের চুনিয়া দিগলবাইদ এলাকার বাসিন্দা এবং মৃত ইয়াছিন আলীর ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোরে জলছত্র বাজার মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় শেষে তিনি রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় পেছন দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগামী গাড়ি তাঁকে সজোরে ধাক্কা দিলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। খবর পেয়ে অরনখোলা পুলিশ ফাঁড়ির একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে।

অরনখোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) বিমল চন্দ পাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘অজ্ঞাত পরিবহনের ধাক্কায় একজন পথচারী নিহত হয়েছেন। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

বিমল চন্দ পাইন জানান, ঘাতক পরিবহন শনাক্ত ও চালককে আটক করার জন্য তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোট চুরির এমপি হতে চাই না: অ্যাটর্নি জেনারেল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: চিকিৎসায় শিক্ষার্থীপ্রতি বরাদ্দ মাত্র ১২৫ টাকা

২,০০০ পুলিশের বলয়ে থাকবেন তারেক রহমান

বাগেরহাটের চিতলমারী: অবৈধ বালু উত্তোলনে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট

‘অপারেশন জিরো টলারেন্স ফর ফ্যাসিজম’ কর্মসূচি ঘোষণা রাকসুর জিএস আম্মারের

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাজধানীতে মধ্যরাতে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত, বাসের ধাক্কায় ছিনতাইকারী সংকটাপন্ন

ঢামেক প্রতিবেদক
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আশিষ জোয়াদ্দার (৩৩) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তাঁর কাছ থেকে মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে পালানোর সময় বাসের ধাক্কায় এক ছিনতাইকারী গুরুতর আহত হয়েছে।

গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে যাত্রাবাড়ীর আড়তের সামনে থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় পথচারীরা আশিষকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আশিষ জোয়াদ্দারকে হাসপাতালে নিয়ে আসা স্থানীয় এক দোকানি মাহমুদুর রহমান তুহিন জানান, রাতে যাত্রাবাড়ী আড়তের সামনে ফ্লাইওভার ব্রিজের নিচে মানুষের ভিড় দেখতে পান তিনি। তখন এগিয়ে গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় একজন পড়ে আছেন। ওই ব্যক্তিকে পূর্বপরিচিত হিসেবে চেনেন তিনি। এরপর দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে জানান।

তুহিন আরও বলেন, ওই ব্যক্তির নাম আশিষ জোয়াদ্দার। তাঁর বাড়ি মাগুরা জেলায়। যাত্রাবাড়ীর বিবির বাগিচা ১ নম্বর গেটে তিনি থাকতেন। যাত্রাবাড়ীসহ আশপাশে ৭-৮টি ভ্যান গাড়িতে করে জামাকাপড় বিক্রি করা হয় এমন একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার তিনি। তাঁদের মূল দোকান যাত্রাবাড়ী শহীদ ফারুক সড়কে। সেখানে বসেই ব্যবসার হিসাবপত্র রাখতেন আশিষ। গ্রাম থেকে শনিবার রাতেই ঢাকায় ফিরছিলেন। তাঁর সঙ্গে কয়েকটি ব্যাগ ছিল। এগুলো দেখে ফ্লাইওভারের নিচে ৩-৪ জন ছিনতাইকারী তাঁর পথরোধ করে। তবে কোনো কিছু দিতে না চাইলে ছিনতাইকারীরা তাঁর বুকে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ছিনতাইকারীরা তাঁর সঙ্গে থাকা আইফোন ও টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।

এদিকে যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল করিম জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে ছিনতাইকারীরা ওই যুবকের বুকে ছুরিকাঘাত করেছে। হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা গেছেন। ছিনতাইকারীরা তার সঙ্গে থাকে একটি আইফোন সেট, টাকা ও স্বর্ণের আংটি ছিনিয়ে নিয়েছে বলে তার পরিবার জানিয়েছে। ছিনতাই করে পালিয়ে যাওয়ার সময় পথচারীদের ধাওয়ায় বাসের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এক ছিনতাইকারী আহত হয়েছে। তাকেও উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সে বর্তমানে পুলিশ পাহারায় ভর্তি রয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর। সে তার নাম-পরিচয় কিছুই বলতে পারছে না।

এসআই আব্দুর করিম আরও জানান, এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন এবং তদন্ত চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোট চুরির এমপি হতে চাই না: অ্যাটর্নি জেনারেল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: চিকিৎসায় শিক্ষার্থীপ্রতি বরাদ্দ মাত্র ১২৫ টাকা

২,০০০ পুলিশের বলয়ে থাকবেন তারেক রহমান

বাগেরহাটের চিতলমারী: অবৈধ বালু উত্তোলনে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট

‘অপারেশন জিরো টলারেন্স ফর ফ্যাসিজম’ কর্মসূচি ঘোষণা রাকসুর জিএস আম্মারের

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত