Ajker Patrika

বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনায় ছাত্রী হেনস্তা কি তবে বৈধ? 

মন্টি বৈষ্ণব, ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনায় ছাত্রী হেনস্তা কি তবে বৈধ? 

সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হলেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনা ছাত্রীদের জন্য অনিরাপদ হয়ে পড়ছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়টির ইতিহাসে কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে আখ্যা পাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন, বাস, ক্যাম্পাসের ভেতরে এমনকি ছাত্রীদের হলের সামনেই যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা। 

প্রশ্ন হচ্ছে নিজের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রীরা কেন অনিরাপদ থাকবেন? তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্ব-কর্তব্য কী? তারা কি এসব ঘটনায় অপরাধীদের শাস্তির ব্যবস্থা না করে সর্বদাই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার কাজে নিয়োজিত থাকবেন? 

যে ঘটনার কথা বলতে চাই, সেটি খুব বেশি দিন আগের ঘটনা নয়। গত রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে পাঁচজন তরুণের মাধ্যমে একজন ছাত্রী যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। ভুক্তভোগীর মতে, ওই পাঁচজন তরুণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। নিপীড়ক শিক্ষার্থীরা এমনকি এই যৌন নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করেছেন। এ সময় ভুক্তভোগীর সঙ্গে থাকা বন্ধু প্রতিবাদ করলে তিনিও তাদের নির্যাতনের শিকার হন। পরে ভুক্তভোগীর ও তাঁর বন্ধুর মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে দুজনকে ছেড়ে দেয় তারা। 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের যৌন নিপীড়নের ঘটনা এটিই প্রথম না। এর আগেও এমন হয়েছে। এর আগে ছাত্রলীগের চার কর্মীর বিরুদ্ধে দুই ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এলেও ক্ষমতাধরদের বিরুদ্ধে কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিতে পারেনি। আগের মতো এবারও তারা নিষ্ক্রিয়। এতে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনই প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। 

প্রীতিলতা হল প্রাঙ্গণএবারের ঘটনার পর সহপাঠীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া অনাচারের বিচার চাইতে আন্দোলনে নামেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের কাছে জানতে চান, রাত ১০টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের হেনস্তা করা বৈধ কিনা? আন্দোলনের একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় না এনে ছাত্রীদের রাতে হলে ফেরার সময়সীমা নির্ধারণ করে দেন। আন্দোলনরত বিভিন্ন ছাত্রী হলের ছাত্রীরা প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার ও ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে উপাচার্য বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। ছাত্রীদের এই আন্দোলনে অংশ নিচ্ছেন ছাত্ররাও। প্রতিবাদে শামিল হন শিক্ষকেরাও। 

বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের খবরে প্রকাশ—আন্দোলনের একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম মনিরুল হাসান অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা না করলে প্রক্টরিয়াল বডিসহ পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এ আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে চারটি দাবি তুলে ধরেছেন। দাবিগুলো হলো—
 ১. ছাত্রীদের হলে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোনো সময়সীমা না রাখা
 ২. যৌন নিপীড়ন সেল বাতিল করে নতুন সেল গঠন করা
 ৩. আগামী চার কর্মদিবসের মধ্যে চলমান ঘটনাগুলোর বিচার ও সুষ্ঠু সমাধান করা
 ৪. সমাধানে ব্যর্থ হলে প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ

এর মধ্যে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বাদী হয়ে হাটহাজারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে অজ্ঞাত পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন। এ সময় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ সভাপতি রেজাউল হককে শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়। গত মঙ্গলবার ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের স্বাক্ষর করা এ নোটিশ দেওয়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ সভাপতি রেজাউল হকের এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে। 

সব মিলিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিয়ে জোর সংশয় কাজ করছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। প্রশাসনের নির্লিপ্ততা তাদের আরও বেশি শঙ্কিত করে তুলেছে। এ বিষয়ে আন্দোলনরত পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আশরাফী নীতু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ক্যাম্পাসে একের পর এক যৌন নিপীড়নের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। যৌন নিপীড়নের এসব ঘটনার কোনোটার বিচার হচ্ছে না। অপরাধী বুক ফুলিয়ে দাপট দেখিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতে অন্যরা এ ধরনের কাজে ভয় না পেয়ে বরং উৎসাহিত হচ্ছে। বলা যায়, বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে এ ধরনের ঘটনা বারবার ঘটছে। আবার অন্যদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে হলে ফেরার সময়সীমা নির্ধারণ করে ছাত্রীদের বন্দী করে রাখার পাঁয়তারা চলছে, যা মেনে নেওয়া ছাত্রীদের পক্ষে সম্ভব নয়। যৌন নিপীড়নের ঘটনার একমাত্র সমাধান হতে পারে প্রতিটি ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা।’ 

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি জানিয়েছেনআন্দোলনের মূল লক্ষ্য কী জানতে চাইলে এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আন্দোলন করছি বিচার পাওয়ার জন্য। ছাত্র-ছাত্রী নির্বিশেষে সবার জন্যই নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিতের জন্য। আমরা ক্যাম্পাসে নির্ভয়ে চলাফেরা করতে চাই।’ 

অথচ একটি শঙ্কামুক্ত ক্যাম্পাস গড়ার উপাদান কিন্তু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে। শিক্ষার্থীদের, বিশেষত ছাত্রীদের যৌন হয়রানি থেকে মুক্ত থাকতে এবং আশ্রয় হিসেবে দুটি আলাদা কমিটি রয়েছে। এর একটি ‘যৌন হয়রানি নিপীড়ন নিরোধ কেন্দ্র’ নামের সাত সদস্যের কমিটি। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক প্রণীত ‘উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ নীতিমালা’ অনুসারে এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার (প্রো–ভাইস চ্যান্সেলর)। এ ছাড়া উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের নির্দেশনায় ২০১৮ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঁচ সদস্যের একটি ‘অভিযোগ কমিটি’ গঠন করা হয়। এ কমিটির আহ্বায়ক কাজী শামীমা সুলতানা (পদার্থ বিভাগ)। এ পর্যন্ত এই কমিটিতে তিনটি ঘটনার অভিযোগ এসেছে। ঘটনা তিনটি হলো—১. খালেদা জিয়া হলের একজন ছাত্রীর হেনস্তা; ২. ফরেস্ট্রি বিভাগের শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রী হেনস্তা এবং ৩. ছাত্রলীগের চারজন কর্মী কর্তৃক দুই ছাত্রী হেনস্তা। 

এ দুই কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. লায়লা খালেদা। তাঁর কাছে এ দুই কমিটির কাজের পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়ন সম্পর্কিত ঘটনাগুলো প্রথমে অভিযোগ কমিটিতে আসে। পরে অভিযোগ কমিটির পক্ষ থেকে অভিযোগপত্রগুলো যাচাই-বাছাই করে ঊর্ধ্বতন কমিটি; অর্থাৎ, যৌন হয়রানি নিপীড়ন নিরোধ কেন্দ্রে জমা হয়। এ পর্যন্ত তিনটি অভিযোগ পেয়েছি। গতকাল আমরা এই তিনটি অভিযোগ চূড়ান্তকরণের জন্য বৈঠকে বসি। এখন অভিযোগগুলোর চূড়ান্ত পর্যায়ে যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। আগামী রোববার বা সোমবার আমরা এ অভিযোগপত্রের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করব।’ 

অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন দীর্ঘ সময় পর প্রকাশের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে ড. লায়লা খালেদা বলেন, ‘করোনাকালসহ বিভিন্ন কারণে আমরা দুই কমিটির সদস্যরা সভা করতে পারিনি।’ সাম্প্রতিক ছাত্রী হেনস্তার ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই ঘটনা তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এই তদন্ত কমিটি চার কার্যদিবসে তদন্ত প্রতিবেদন বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিযোগ কমিটির কাছে জমা দেবে। অভিযোগ কমিটির পক্ষ থেকে সে প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই করে ঊর্ধ্বতন কমিটির কাছে জমা দেওয়া হবে।’ 

কিন্তু এ ধরনের ঘটনা তো আর একটি-দুটি হয়নি। আগের ঘটনাগুলোর কোনো বিচার সেভাবে না হওয়ায় দায় বেড়েছে। আজ তাই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সরাসরি প্রশ্ন তুলছেন—রাত ১০টার পর ছাত্রী হেনস্তা বৈধ কি-না। কারণ, বিচার না করে, অভিযুক্তদের শাস্তির আওতায় না এনে প্রশাসনই প্রকারান্তরে এই বৈধতা দিয়ে বসে আছে। 

এ থেকে মুক্তির উপায় তবে কী? এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুবর্ণা মজুমদার বলেন, ‘আমাদের রাষ্ট্রজুড়ে বিচারহীনতার সংস্কৃতি বিরাজ করছে। এই ধরনের ঘটনায় অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে। ভুক্তভোগীরা বিচার পাচ্ছেন না। এই বিচারহীনতার সংস্কৃতির প্রভাব পড়ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও। এ কারণে এ ধরনের ঘটনাগুলো ঘটছে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া ঘটনা, আগের সব ঘটনাকে ছাপিয়ে গেছে। ভুক্তভোগীকে বিচারের আশায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এটা সেই বিচারহীনতার সংস্কৃতির ফলাফল।’ 

এবারের ঘটনায় জড়িত দুজনকে শনাক্তের কথা অবশ্য আজ শুক্রবার জানিয়েছে চবি প্রশাসন। যদিও সংশ্লিষ্ট থানা এখনো কিছু জানে না বলে জানিয়েছে। শনাক্ত দুজনের নাম-পরিচয়ও প্রশাসন প্রকাশ করেনি। এদিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অন্যদের নাগালের বাইরে। প্রশাসন এ ক্ষেত্রে ওই শিক্ষার্থীর নিরাপত্তার প্রশ্নটিকে সামনে আনলেও এ নিয়েও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। 

এই ধরনের ঘটনায় প্রশাসনের কার্যকর ভূমিকা নিতে না পারার কারণ সম্পর্কে অধ্যাপক সুবর্ণা মজুমদার বলেন, ‘প্রশাসন এ ধরনের ঘটনায় পদক্ষেপ নিতে পারছে না। কারণ প্রশাসনে যারা দায়িত্বে থাকেন, তাঁরা আসলে ক্ষমতাকাঠামোর কাছাকাছি থাকতে চান। স্বাভাবিকভাবে এখানে তাঁদের ব্যক্তিগত স্বার্থ জড়িত। এই ব্যক্তিগত লাভের কারণে তাঁরা ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। তাই এই ধরনের ঘটনায় প্রশাসন নির্লিপ্ত থাকেন। আর এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন।’ 

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও তাদের প্রতি সমর্থন জানানো শিক্ষক—সবার মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ নিয়ে একটা সংশয় রয়েছে। পূর্ব অভিজ্ঞতা ভালো না হওয়ার কারণেই এমন সংশয়। এ নিয়ে সুবর্ণা মজুমদার বলেন, ‘এই তদন্ত কমাটির তো দরকার ছিল না। কারণ, এ ধরনের ঘটনার তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটি কমিটি আছে। একটি অভিযোগ কমিটি; আরেকটি যৌন হয়রানি নিপীড়ন নিরোধ কেন্দ্র। কর্তৃপক্ষ কেন এই দুটি কমিটিকে কার্যকর করছে না। কেন এই দুই কমিটিকে পাশ কাঠিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো? এতে বোঝা যাচ্ছে যে, অতীতের ঘটনাগুলোর মতো এই তদন্ত কমিটির মাধ্যমে সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনাও ধামাচাপা দেওয়া হবে।’ 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ঘটনা সারা দেশের শিক্ষার্থীদেরই আলোড়িত করেছে। সারা দেশের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিষয়টি নিয়ে বিচলিত বোধ করছেন। এ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক কাবেরী গায়েন বলেন, ‘প্রশাসন কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না কারণ, প্রশাসন সরকার দলীয় এবং অভিযুক্তরাও ছাত্রলীগের বলে জানা যাচ্ছে। যাদের অনুকম্পায় সরকার-দলীয় প্রশাসন ক্ষমতায় টিকে থাকে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সাহস প্রশাসনের নেই বলেই মনে হয়। ঘটনার চার-পাঁচ দিন পার হয়ে গেলেও তাই অভিযুক্তদের ধরার সাহস হয়নি। বরং ছাত্রীদের হলে ঢোকার ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তাই নারী নির্যাতনকারীদের নয়, প্রশাসন শাস্তি দিতে চায় সব হলের ছাত্রীদের। এর মাধ্যমে নিজেরাই প্রমাণ করেছে যে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রীদের নিরাপত্তা নেই।’ তিনি বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা আগেও ঘটেছিল। তখন সামাজিক কারণে কেউ প্রকাশ করত না, চেপে যেত। এখন ছাত্রীরা প্রতিবাদ করছেন। আমি বরং বলব, এত প্রতিবাদ সত্ত্বেও এই ধরনের ঘটনা কমছে না। কারণ যখন যে দল রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকে, তাদের অঙ্গসংগঠনের ছেলেরা এসব কাজে নেতৃত্ব দেয়। আর প্রশাসন নিজেদের গদি বাঁচানোর স্বার্থে তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারে না। নির্যাতিতকেই অভিযুক্ত করা হয় বারবার। দুঃখজনক যে, শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই কাজ করে চলেছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির তল্লাশি অভিযান ও টহল জোরদার

 কুমিল্লা প্রতিনিধি 
কুমিল্লার শশীদল সীমান্ত এলাকায় মোটরসাইকেল আরোহীদের জিজ্ঞাসাবাদ বিজিবির। ছবি: সংগৃহীত
কুমিল্লার শশীদল সীমান্ত এলাকায় মোটরসাইকেল আরোহীদের জিজ্ঞাসাবাদ বিজিবির। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা জেলার সীমান্ত এলাকায় তল্লাশি অভিযান, টহল কার্যক্রম ও নজরদারি কার্যক্রম জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সম্প্রতি রাজধানীতে সংঘটিত নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কোনো সন্ত্রাসী যেন সীমান্ত অতিক্রম করে পালিয়ে যেতে না পারে, সে লক্ষ্যে এই বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে বিজিবি কুমিল্লা সেক্টরের সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জিয়াউর রহমান এই তথ্য জানান।

বিজিবি সূত্র জানায়, সীমান্তে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কুমিল্লা জেলা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে নিয়মিত টহলের পাশাপাশি তল্লাশি অভিযান ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় যেকোনো ধরনের অপরিচিত লোকসমাগম ও সন্দেহজনক যানবাহনের ওপর বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে এবং তল্লাশির মাধ্যমে অপরাধীদের শনাক্তে কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

এ বিষয়ে সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের (৬০ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জিয়াউর রহমান বলেন, সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি দেশের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই বিজিবির প্রধান দায়িত্ব। সন্ত্রাসীরা যাতে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে, সে লক্ষ্যে বিজিবি সর্বদা সতর্ক ও বদ্ধপরিকর।

মো. জিয়াউর রহমান আরও বলেন, দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার যেকোনো অপচেষ্টা প্রতিহত করতে বিজিবির অভিযান ও নজরদারি কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

বিজিবি সূত্র জানায়, সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত জনগণকেও যেকোনো সন্দেহজনক ব্যক্তি বা তৎপরতার বিষয়ে নিকটস্থ বিজিবি ক্যাম্পে তথ্য প্রদানের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নাফ নদ এলাকায় তীব্র গোলাগুলি, গুলি এসে পড়ল বাংলাদেশির বাড়িতে

 টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলি এসে পড়ে টেকনাফ সীমান্তের এক বাসিন্দার বাড়িতে। ছবি: আজকের পত্রিকা
মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলি এসে পড়ে টেকনাফ সীমান্তের এক বাসিন্দার বাড়িতে। ছবি: আজকের পত্রিকা

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়ন সীমান্তবর্তী নাফ নদ এলাকায় ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত মিয়ানমারের বিলাসীর দ্বীপ ও তোতার দ্বীপ এলাকায় সন্ত্রাসী নবী হোসেন গ্রুপের সঙ্গে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে এই গোলাগুলি হয়েছে বলে জানা গেছে। এই সময় মিয়ানমার দিক থেকে ছোড়া গুলি এসে পড়ে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী হোয়াইক্যং তেলিপাড়া এলাকার মো. হোসেনের বাড়িতে। গুলিটি উদ্ধার করে বিজিবির কাছে দেওয়া হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।

স্থানীয় বাসিন্দা আবুল মনজুর ও মোহাম্মদ ইসলাম বলেন, ভোর ৫টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত হোয়াইক্যং সীমান্তবর্তী নাফ নদ এলাকাজুড়ে টানা গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। দীর্ঘ সময় ধরে চলা গোলাগুলির ফলে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উত্তরপাড়া, তুলাতলী, খারাইংগা ঘোনাসহ সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সিরাজুল মোস্তফা বলেন, ‘ফজরের নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কয়েকটি গুলির শব্দ শুনি। অল্প সময়ের মধ্যেই গোলাগুলি ব্যাপক আকার ধারণ করে। এর আগে এত তীব্র গোলাগুলি কখনো শুনিনি।’

তিনি আরও বলেন, মিয়ানমার দিক থেকে ছোড়া কিছু গুলি হোয়াইক্যং বাজারসংলগ্ন মো. হোসেনের বাড়িসহ আশপাশের এলাকায় এসে পড়ে। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বেড়ে যায়। বর্তমানে সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।

হোয়াইক্যং উত্তরপাড়া ও আশপাশের এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সাধারণ মানুষ আতঙ্ক মধ্যে রয়েছে। গোলাগুলির ভয়ে অনেক পরিবার তাদের সন্তানদের মাদ্রাসা ও স্কুলে পাঠানি। স্থানীয়রা ভয়ে ঘর থেকে বের হতেও সাহস পাননি।

এ বিষয়ে উখিয়া ৬৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আজ সকালে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। সীমান্তবর্তী এলাকা পরিদর্শন করেছি। বর্তমানে সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদিকে গুলি: জড়িতদের দেশত্যাগ ঠেকাতে হিলি সীমান্তে সতর্কতা জারি

হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত এলাকায় সতর্ক অবস্থানে বিজিবি। ফাইল ছবি
দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত এলাকায় সতর্ক অবস্থানে বিজিবি। ফাইল ছবি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের দেশত্যাগ ঠেকাতে দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

আজ শনিবার বিকেলে জয়পুরহাট-২০ বিজিবি ব্যাটালিয়ন থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল শুক্রবার ঢাকায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলায় জড়িত আসামিরা যেন দেশত্যাগ করতে না পারেন, সে জন্য জয়পুরহাট-২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন সীমান্ত এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

বিজিবির বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায়/স্থানে অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন ও পরিচালনার মাধ্যমে সন্দেহজনক ব্যক্তি, যানবাহন, মোটরসাইকেল, এলোমেলোভাবে/বিচ্ছিন্নভাবে চলাচলকারী যেকোনো ব্যক্তিকে তল্লাশি করা হচ্ছে। শহর এলাকাগুলোতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিজিবির দুটি পিকআপ ভ্যানে টহল অব্যাহত রাখা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে গুলিবিদ্ধ যুবকের লাশ ফেরত দিল বিএসএফ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত যুবক তোশিকুর ইসলামের লাশ গতকাল শুক্রবার রাতে বিজিবির কাছে ফেরত দেয় বিএসএফ। ছবি: আজকের পত্রিকা
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত যুবক তোশিকুর ইসলামের লাশ গতকাল শুক্রবার রাতে বিজিবির কাছে ফেরত দেয় বিএসএফ। ছবি: আজকের পত্রিকা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত যুবক তোশিকুর ইসলামের লাশ ফেরত দিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার জোহরপুর-টেক সীমান্ত দিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে তোশিকুরের লাশ হস্তান্তর করা হয়।

বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যদের উপস্থিতিতে ভারতের পুলিশ বাংলাদেশের পুলিশের কাছে তাঁর লাশ বুঝিয়ে দেয়।

৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমান এবং সদর মডেল থানার পরিদর্শক সুকোমল চন্দ্র দেবনাথ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বাংলাদেশি পুলিশের পক্ষে মরদেহ গ্রহণ করেন সুকোমল চন্দ্র দেবনাথ। তিনি জানান, তোশিকুরের ডান কাঁধ থেকে বুক পর্যন্ত ছররা গুলির চিহ্ন রয়েছে। রাতেই লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এর আগে গত বুধবার ভারতের ভাগীরথী নদী থেকে তোশিকুরের মরদেহ উদ্ধার করে জঙ্গিপুর পুলিশ। তোশিকুর চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বাখের আলী গ্রামের ইব্রাহিম আলীর ছেলে।

পরিবারের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়। তবে তোশিকুরের মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ বা কার গুলিতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, সে বিষয়ে বিএসএফ নিশ্চিত করতে পারেনি।

এদিকে পরিবারের দাবি, অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে তোশিকুরকে গুলি করে হত্যার পর ভারতের ভাগীরথী নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। পরে ভারতের জঙ্গিপুর থানা-পুলিশ তোশিকুরের লাশ নদী থেকে উদ্ধার করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত