Ajker Patrika

রাত পোহালেই টান টান উত্তেজনার ভোট

তানিম আহমেদ ও সাবিত আল হাসান, নারায়ণগঞ্জ থেকে
আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২২, ২৩: ১৩
রাত পোহালেই টান টান উত্তেজনার ভোট

রাত পোহালে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশের অন্যতম বাণিজ্যিক নগরী নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) নির্বাচন। সদ্য সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী কি জয়ের হ্যাটট্রিক করবেন নাকি নগরবাসী নতুন নগর পিতা নির্বাচন করবেন সেটাই নারায়ণগঞ্জ তথা দেশবাসীর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। দুই হেভিওয়েট প্রার্থী আইভী ও তৈমুর আলম খন্দকার সহিংসতার আশঙ্কা করলে তা উড়িয়ে দিচ্ছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসন। তাঁদের দাবি ভোটাররা ভোট দিয়ে নির্বিঘ্নে বাসায় ফিরতে পারেন, তার ব্যবস্থাই করা হয়েছে। অন্যদিকে ভোটদের দাবি, তাঁরা যাতে উৎসবমুখর পরিবেশে, সুষ্ঠুভাবে ভোট দিয়ে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে পারেন। 
 
নাসিক নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী সাতজন হলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে নৌকা প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী ও বিএনপি থেকে সদ্য অব্যাহতি পাওয়া নেতা তৈমুর আলম খন্দকারের হাতি প্রতীকের। নির্বাচনী প্রচারণায় এগিয়ে ছিলেন এই দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা। 
 
অন্য পাঁচজন মেয়র প্রার্থী হলেন খেলাফত মজলিসের এবিএম সিরাজুল মামুন (দেয়ালঘড়ি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন (বটগাছ), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম (ঘোড়া)। 

সেলিনা হায়াৎ আইভীচ্যালেঞ্জের সামনে আইভী
আওয়ামী লীগের নেতাদের দাবি, নারায়ণগঞ্জের যেকোনো অধিকার আদায়ে আইভী সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির তেমন অভিযোগও ওঠেনি। এই কারণে তাঁর ওপরেই আস্থা রেখেছে দল। নির্বাচনী প্রচারণায়ও আমরা বিপুল সাড়া পেয়েছি। প্রার্থী যেমন আশা করছে লক্ষাধিক ভোটে তিনি বিজয়ী হবেন, আমাদের তেমন না থাকলে আশা রাখছি ৬০ থেকে ৭০ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হব। 
 
নির্বাচন পরিচালনার জন্য সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানককে সমন্বয়ক করে একটি টিম করে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে ২৭ ওয়ার্ড ভিত্তিক আলাদা কমিটি করে তাঁরা। নেতারা প্রতিদিনই প্রচার-প্রচারণায় অংশ নেন। প্রচারণার শেষদিন শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জের একটি ক্লাবে সবাই বৈঠক করেন। সেখানে তাঁরা ওয়ার্ডভিত্তিক ভোটের একটি চিত্র তুলে ধরেন। সেখানকার চিত্র অনুযায়ী আইভী ৭০ হাজার ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে আছেন। 
 
তবে, এই চিত্রের বিপরীত কথাও বলছেন দলটির কেউ কেউ। তাঁদের দাবি গত দুইবারের নির্বাচনে আইভী যত সহজে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। এইবার তত সহজ হবে না। টানা তিন মেয়াদে তিনি নারায়ণগঞ্জের নগরপিতার দায়িত্বে রয়েছেন। এতে অনেকই লাভক্ষতির হিসাব মেলাচ্ছেন। এ ছাড়া গত দুইবারের তুলনায় এইবার এখানে দলীয় কোন্দল বেশিই ভোগাচ্ছে। এই হিসাবে নৌকা তীরে ভিড়তে কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে। 
 
আওয়ামী লীগের এক নেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিগত দুই মেয়াদে আইভী নারায়ণগঞ্জের চেহারাই বদলে দিয়েছেন। অবকাঠামোগত অনেক উন্নয়ন করেছেন। দলের একপক্ষের বাধার মধ্যে শেখ রাসেল পার্ক করেছেন। এতে উন্নয়নেও নির্ভার থাকতে পারছি না। কারণ বিগত কয়েক ধাপে অনুষ্ঠিত বিএনপিবিহীন ইউপি নির্বাচনের নৌকার প্রার্থীর ভরাডুবিতে আমাদের ভাবাচ্ছে। কারণ দেশে এখন দুই ধরনের মানুষ আছে। একটা আওয়ামী লীগ। আরেকটা অ্যান্টি-আওয়ামী লীগ। গত নির্বাচনগুলোতে বিএনপিসহ তাঁদের জোটের কিছু ভোট আইভী পেয়েছিল। তাঁদের মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকলেও বেশিরভাগ ভোটগুলো তৈমুরের হাতিতে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। 

নারায়ণগঞ্জের ওসমান ও চুনকা পরিবার আওয়ামী লীগ করলেও তাঁদের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রজন্মের পর প্রজন্মের। সেই ধারাবাহিকতা ওসমান পরিবারের সদস্য সরকার দলীয় সাংসদ শামীম ওসমান ও চুনকা পরিবারের সদস্য মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর মধ্যে বিদ্যনাম। দুজনেরই সাপে নেউলে সম্পর্ক। নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে শামীম ওসমানকে গডফাদার বলেও আখ্যা দেন আইভী। তৈমুরকে ওসমান পরিবারের প্রার্থী বলেও দাবি করেন তিনি। আইভীর এমন দাবির পরে সংবাদ সম্মেলন বিরোধ থাকা সত্ত্বেও নৌকার পক্ষে কাজ করার ঘোষণা দেন সাংসদ শামীম ওসমান। 

আইভীর অনুসারীদের দাবি ঘোষণা দিলেও শামীম ওসমানের অনুসারীরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়নি। কাজও করেনি। তাঁদের অনুসারী যেসব নেতা সাংগঠনিক দায়িত্বে রয়েছেন তাঁরা শুধু কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে হাজিরা দিচ্ছেন। এর বাইরে তেমন কাজ করছেন না। 
 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের এক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের দলীয় ও উপদলীয় কোন্দল প্রকট। কোন্দলের কারণে অনেকই আইভীর পক্ষে তেমন সক্রিয় দেখা যাচ্ছে না। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে আইভীর ভোটের ওপর। 

নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, যে যাই বলুক না কেন নারায়ণগঞ্জে ওসমান পরিবারের একটা প্রভাব ও নিজস্ব কিছু ভোটব্যাংক রয়েছে। আইভী শামীম ওসমানকে গডফাদারে আখ্যায়িতসহ নানান কটূক্তি করেছেন। নির্বাচনের প্রচারণার শেষ দিন পর্যন্ত সেটা অব্যাহত ছিল। তাঁর এমন অহংকারী আচরণ তাঁদের বিক্ষুব্ধ করতে পারে। যার জবাব তাঁরা ব্যালটে দিতে পারেন। 

ওই নেতা বলেন, এখানে শামীম ওসমান বিরোধী একটা বড় ভোট ব্যাংক রয়েছে সেটা সত্য। এই ব্যাংকের বেশি ভোট কিন্তু বিএনপি-জামায়াতের। সেই ভোট ব্যাংকগুলোকে কাছে রাখতে আইভী নিয়মিতই শামীম বিরোধিতা করে গেছেন। আবার প্রচার-প্রচারণায় তিনি দলীয় নেতাদের তেমন গুরুত্বও দেন নাই। ভোটের রাজনীতিতে বেশিরভাগের মনজয় করে চলতে হয়। 

আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য আনিসুর রহমান দীপু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের প্রার্থী আইভী নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষের প্রার্থী। তাঁর বিজয়ে আমরা শতভাগ আশাবাদী। তিনি এবার বিজয়ে হ্যাটট্রিক করবেন।’ 

আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। এই নির্বাচনে আইভীর বিজয়ের মধ্য দিয়ে আরও একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চায় সরকার।’ 
 
পরাজিত হলে সারা দেশে সরকারের ভাবমূর্তি কিছুটা হুমকির সম্মুখীন হবে জেনেও জয়-পরাজয়ের চিন্তা মাথায় নিয়ে রেখেছে আওয়ামী লীগ। আইভীকে আস্থায় নিয়ে এই সিটি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হচ্ছে। 

তৈমুর আলম খন্দকারবিজয়ে আত্মবিশ্বাসী তৈমুরও 
আওয়ামী লীগের মতো নারায়ণগঞ্জের বিএনপিতেও কোন্দল রয়েছে। সিটি এলাকার দুই সাবেক সাংসদ আবুল কালাম ও গিয়াস উদ্দিনের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে তৈমুর আলম খন্দকারের। সেটি এখনো না মিটলেও বন্দর ও সিদ্ধিরগঞ্জের দুই নেতার বেশকিছু অনুসারীদের হাতির পক্ষে কাজ করতে দেখা গেছে। তাতে নিজের বিজয়ে আত্মবিশ্বাসী তৈমুর। 

হাতি মার্কার প্রার্থী তৈমুরকে আজ শনিবার আরও ফুরফুরে আচরণ করতে দেখা গেছে। আইভী-শামীমের ভেতরে বিরোধ মীমাংসা হয়নি এখনো। বিরোধের মীমাংসা না হওয়ায় নির্বাচনে তাঁর জয়ের ক্ষেত্রে আস্থা তৈরি হয়েছে। তাই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে তাঁর নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করার অভিযোগ তুললেও হতাশ নন তৈমুর। 
 
হাতির নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গ্রেপ্তার তৎপরতা থাকলেও শামীম ওসমানের সঙ্গে আইভীর বিরোধ শেষ না হলে শামীম অনুসারীদের ভোট তাঁর বক্সেই পড়বে। পুলিশি তৎপরতায় তৈমুর কিছু অনুসারী না পেলেও সেই শূন্যতা শামীম ওসমানের অনুসারীরাই পূর্ণ করবে। 

তাঁর ওই কর্মী বলেন, হাতির লোককে কেন্দ্র থেকে দূরে রাখতে পারে একমাত্র শামীম ওসমানের অনুসারীরাই। পারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। রাষ্ট্রীয়বাহিনী অতিরঞ্জিত অবস্থানে থাকলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। আইভীর অনুসারীর পক্ষে তা সম্ভব নয়। 
 
আজ শনিবার নিজ বাড়িতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তৈমুর বলেন, ‘মরে গেলেও মাঠ ছাড়ব না। নেতা-কর্মীরা মাঠে থাকবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। মাঠে থাকব, পালিয়ে যাইনি।’ সংবাদ সম্মেলনে লক্ষাধিক ভোটে জয়ী হওয়ার আশা প্রকাশ করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের সাবেক এই উপদেষ্টা। 

প্রচারণার শেষ দিনে ভোটের মাঠে সরব ছিলেন আইভী ও তৈমুরভোটারদের ভাবনা
আজ শনিবার নগরীর কালী বাজার, চাষাঢ়া, টানবাজার, দেওভোগ ও মাসদাইর এলাকার ভোটারদের সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার। তাঁদের অনেকই সুষ্ঠু ও সহিংসমুক্ত ভোট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। আবার কেউ কেউ মনে করেছেন তিনি হয়তো নিজের ভোটটা দিতে পারবেন না। তবে তাঁদের ধারণা, সুষ্ঠু ভোট হলে এবার নৌকা-হাতির লড়াই হবে জমজমাট। কারণ আইভী দীর্ঘদিন সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করেছেন। আবার তৈমুর আলম খন্দকারও মানুষের সঙ্গে ছিলেন। তাই কেউ কাউকে সহজে হারাতে পারবেন না। 

টানবাজার শীতলক্ষ্যার পাড়ের কয়েকজন ভোটার বলেন, নৌকার প্রার্থী আইভী টানা ১৮ বছর ধরে দায়িত্ব ছিলেন। এই সময় অবকাঠামো অনেক উন্নয়নই করেছেন। কিন্তু গত নির্বাচনের আগে তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, শীতলক্ষ্যা ও কদম রসুল ব্রিজ করে সিটি করপোরেশনের দুই পাড়ের মানুষের মাঝে জোড়া লাগাবেন। কিন্তু সেটা তিনি পারেননি। এখনো নৌকায় করে বন্দর যেতে হয়। বৃষ্টির সময়ের ভোগান্তি শুধু ভুক্তভোগীর জানেন। এবার ভোটে তার প্রভাব পড়তে পারে। 
 
চাষাঢ়া মোড়ের চা দোকানে আড্ডারত আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘গত নির্বাচনেও আমরা আইভীকে ভোট দিয়েছি। এবার নতুন প্রার্থীকে দিতে চাই। তবে আমার স্ত্রী বলতেছেন, আইভীকে ভোট দিতে। কালকে সকালেই চিন্তা করব কাকে ভোট দেব।’ 

তবে নারায়ণগঞ্জের বেশির ভাগ ভোটারই জানিয়েছেন, আইভীর বিজয়ে সব সময় নিয়ামক থাকেন নারী ভোটাররা। এবারও সেই ধারা আছে। আইভী নিজেও সেটা মনে করেন। শুক্রবার নিজ বাস ভবনে আইভী বলেছিলেন, ‘আমি প্রশাসনের কাছে বরাবরই বলে আসছি যে, ভোটের দিন যাতে উৎসবমুখর থাকে। আমার নারী ভোটাররা যেন আসতে পারে। আমার ইয়াং ভোটাররা যেন আসতে পারে। কারণ আমি জানি এই ভোটগুলো আমার। আমি নির্বাচনে জিতবই ইনশাল্লাহ।’ 

শনিবার যেভাবে পার করলেন আইভী-তৈমুর
শনিবার অনেকটা নীরবেই দেওভোগের নিজ বাসভবনেই কাটিয়েছেন নৌকার প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী। সারা দিনে গণমাধ্যম কর্মীরা তাঁর সঙ্গে কথা বলতে একাধিকবার চেষ্টা করেও পারেননি। অনেককেই ফিরতে হয়েছে বাসার সামনে থেকে। রাত সাড়ে ৭টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আইভী বাসাতেই ছিলেন। রোববার সকালে আইভী বাড়ির পাশের শিশুবাগ স্কুল কেন্দ্রে ভোট দেবেন বলে জানা গেছে। পরে তিনি বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শনে যাবেন। 

এদিকে ভোটের আগের দিন বাসায় ছিলেন হাতির মার্কার প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার। বেলা ১২টার আগে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি সুষ্ঠু ভোটের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। ভোট কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চালুর আবেদন করেন। তিনি বলেন, নির্বাচনে কোনো ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ নয়; বরং প্রশাসনকেই ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আমার গুরুত্বপূর্ণ নেতা কর্মীদের আটক করছে। আটককৃতদের ছেড়ে দেওয়ারও দাবি জানান তিনি। 

সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর প্রচারণায় অংশ নেন কেন্দ্রীয় নেতারাক্লাবে আ. লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের বৈঠক
নাসিক নির্বাচনের দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণায় সমন্বয় করা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের কয়েকজন শনিবার সারা দিনই নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে ছিলেন। নেতাদের মধ্যে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেনসহ একাধিক নেতা দফায় দফায় স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। 

শনিবার বিকেলে আইভীর প্রচারণার দায়িত্বে থাকা মহানগর আওয়ামী লীগের এক নেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, এইমাত্র ক্লাবে নানক ভাইদের সঙ্গে বৈঠক করে বাসায় আসালাম। ফ্রেশ হয়ে আইভীর বাসায় যাব। আওয়ামী লীগের নেতারা কি এখনো ক্লাবেই আছেন এমন প্রশ্নের জবাবে ওই নেতা বলেন, শুনেছি বের হয়ে যাবে। এখন আছে কিনা জানি না। 

মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কাস্টিং ভোটের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ভোট পেয়ে নৌকার প্রার্থী জয়ী হবে। তবে আজ (শনিবার) কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আমরা কোনো বৈঠক করিনি। তাঁরা কোথায় আছেন সেটাও আমি জানি না।’ 

শনিবার রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, নিরাপত্তাজনিত কারণে ভোটকেন্দ্রে বন্ধ থাকবে সিসি ক্যামেরাভোটারদের কেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ ইসি ও প্রশাসনের
ভোট কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চালু রাখার যে আবেদন স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার করেছেন তা নাকচ করে দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার। তিনি বলেন, কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা কাজ করবে না। কেন্দ্রে যদি সিসি ক্যামেরা কাজ করে, তাহলে তো কেন্দ্রের ভেতরে বুথের গোপনীয়তা রক্ষা হলো না। কাজেই কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বন্ধ থাকবে। সব কেন্দ্রে তো নেই। যেখানে আছে সেখানে বন্ধ থাকবে। 

প্রার্থীরা নির্বাচনে সহিংসতার আশঙ্কা করলেও রিটার্নিং কর্মকর্তা তা মনে করছেন না। ভোটগ্রহণ নির্বিঘ্নে করার জন্য সব প্রস্তুতি ইসি নিয়েছেন বলেনও জানান মাহফুজা আক্তার। তিনি বলেন, ভোটাররা তাঁর পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে আসবেন। শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে আসবেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাঁরা ভোটকেন্দ্রে আসবেন, ভোট দেবেন। ভোট শেষে উৎসবমুখর পরিবেশে স্বাচ্ছন্দ্যে ফিরে যাবেন। 

সুষ্ঠু ভোটের স্বার্থে রোববার (ভোটগ্রহণের দিন) নারায়ণগঞ্জে বহিরাগতরা ‘অ্যালাউ’ না বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মো. জায়েদুল ইসলাম। পুলিশ লাইনে ব্রিফিংকালে তিনি বলেন, ‘আমি বলতে চাই, কোনো বহিরাগতকে আমরা ভোটের দিন নারায়ণগঞ্জে প্রবেশ করতে দেব না। প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় আমাদের যে মোবাইল টিম থাকবে, আমাদের চেকপোস্ট থাকবে, জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে আমরা মানুষকে চলাচল করতে দেব। রোববার নারায়ণগঞ্জ মহানগর এলাকার যে বা যারা বের হবেন দয়া করে অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে বের হবেন, যাদের বয়স ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে।’ 

শনিবার জেলা পুলিশ সুপার মো. জায়েদুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলন করেনতিনি বলেন, ‘সবার প্রতি আহ্বান, কেউ যেন নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা না করে। কেউ যদি বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করে, তাদের কঠোরভাবে দমন করা হবে।’ পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘আমরা কঠোর অবস্থানে আছি, কঠোর অবস্থানেই থাকব। মা-বোনেরাসহ যাঁরা আছেন, আপনারা সবাই ভোটকেন্দ্রে আসবেন। কেউ বাধা দিলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব।’ 

গণগ্রেপ্তার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জায়েদুল আলম বলেন, ‘নির্বাচনসংক্রান্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাণিজ্য থমকে আছে রেললাইনের অভাবে

  • ২০১৩ সালে সম্ভাব্যতা যাচাই করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দেয় অস্ট্রেলিয়ার কোম্পানি
  • সম্ভাব্যতা ম্যাপে ৯৮ কিলোমিটার রেললাইনে ৮টি স্টেশনের প্রস্তাব রাখা হয়
আবুল কাসেম, সাতক্ষীরা 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

সাতক্ষীরাবাসী বলছে, শত বছরের প্রতীক্ষিত রেললাইন নির্মিত হলে একদিকে যেমন সুন্দরবনকেন্দ্রিক পর্যটন বিকশিত হবে, অন্যদিকে পণ্য পরিবহনে খরচ কমায় ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও অন্যান্য সূত্রে জানা যায়, ১৯১৪ সালে ব্রিটিশ ভাইসরয় সাতক্ষীরাকে রেললাইনে সংযুক্ত করে সুন্দরবন পর্যন্ত সম্প্রসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই নির্দেশনা বাস্তবায়িত হয়নি। ১৯৫৮ সালে সাতক্ষীরা-ভেটখালি সড়ক নির্মাণের সময় জমি অধিগ্রহণ করেও নির্মিত হয়নি রেললাইন।

দীর্ঘকাল পরে ২০১০ সালে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে এক জনসভায় তৎকালীন সরকারপ্রধান নাভারণ-সাতক্ষীরা-মুন্সিগঞ্জ রেললাইন নির্মাণের ঘোষণা দেন। ২০১৩ সালে সম্ভাব্যতা যাচাই করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দেয় অস্ট্রেলিয়ার ক্যানারেইল কোম্পানি লিমিটেড। সম্ভাব্যতা যাচাই করতে খরচ হয় ১১ কোটি টাকা। সম্ভাব্যতা ম্যাপে ৯৮ কিলোমিটার রেললাইনে ৮টি স্টেশনের প্রস্তাব রাখা হয়।

এরপর আবারও থেমে যায় রেললাইন নির্মাণের উদোগ। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রেললাইন স্থাপনের দাবিতে সাতক্ষীরায় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে আন্দোলন শুরু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে নাভারণ-সাতক্ষীরা রেললাইন স্থাপনের উদ্যোগের অংশ হিসেবে যশোর রেলওয়ের পক্ষ থেকে সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়। এরপর গত মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত ৫টি স্টেশনযুক্ত ৪২ কিলোমিটার রেললাইনের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র।

সাতক্ষীরার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শেষ জেলা সাতক্ষীরায় ২২ লাখের বেশি মানুষের বাস। এ জেলা থেকে দেশের অন্যান্য স্থানে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম সড়কপথ। সুন্দরবন, চিংড়ি, আম ও ভোমরা বন্দরের কারণে অর্থনৈতিকভাবে ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠায় সাতক্ষীরায় রেললাইন নির্মাণ এখন সময়ের দাবি।

জেলা চিংড়ি চাষি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. আবুল কালাম বাবলা বলেন, নৌপথ ও আকাশপথে যাতায়াতের কোনো সুযোগ নেই জেলাবাসীর। রেললাইন নির্মিত হলে মৎস্য খাতের নতুন দিকের সূচনা হবে।

সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী নূর খান বাবুল বলেন, ‘সাতক্ষীরা থেকে আমরা যে পরিমাণ রাজস্ব সরকারকে দিই, সে ধরনের উন্নয়ন চোখে পড়ে না।’

ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুসা বলেন, কলকাতা থেকে ভোমরা স্থলবন্দরের দূরত্ব মাত্র ৬০ কিলোমিটার। তাই রেললাইন হলে ভোমরায় ব্যবসা-বাণিজ্যের চিত্র পাল্টে যাবে।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আফরোজা আখতার বলেন, ‘জিআই পণ্য আম, চিংড়ি এবং ভোমরা স্থলবন্দরের পণ্য পরিবহনের জন্য সাতক্ষীরায় রেললাইন নির্মাণ জরুরি। আমি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রেললাইন নির্মাণের জন্য যত প্রচেষ্টা রয়েছে, সেটা করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া:সেতুর খুঁটি নির্মাণেই মেয়াদ শেষ

  • আমুয়া ইউনিয়নে ধোপাবাড়ির খালের ওপর সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২২ সালে মে মাসে
  • প্রথম দফায় ৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বরাদ্দ এবং ওই বছরে ২০২৩ সালের অক্টোবরে কাজ শেষ করার কথা ছিল
  • নকশা পরিবর্তনের কারণে বরাদ্দ বাড়িয়ে ৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা করা হয় এবং মেয়াদ শেষ হয় গত জুনে
  • ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির মালিকেরা জেলহাজতে এবং তাঁদের সব ব্যাংক হিসাব স্থগিত রয়েছে
আরিফ রহমান, ঝালকাঠি
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ার আমুয়া ইউনিয়নে ধোপাবাড়ির খালের ওপর নির্মাণাধীন সেতু। খুঁটি নির্মাণের পর কাজ বন্ধ রয়েছে। ছবিটি সম্প্রতি তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ার আমুয়া ইউনিয়নে ধোপাবাড়ির খালের ওপর নির্মাণাধীন সেতু। খুঁটি নির্মাণের পর কাজ বন্ধ রয়েছে। ছবিটি সম্প্রতি তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া ইউনিয়নে হাসপাতালসংলগ্ন ধোপাবাড়ির খালের ওপর সেতুর নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শেষ হয়নি। দুই পাড়ে খুঁটি (পিলার) নির্মাণ করে বন্ধ রয়েছে কাজ। এতে পাশের ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতু ব্যবহার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ নড়বড়ে ও ভাঙাচোরা ওই সেতু দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থী, নারী, শিশু ও হাসপাতালে আসা রোগীরা।

উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সুপ্তি কনস্ট্রাকশন এবং কবির ট্রেডার্স যৌথভাবে ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রকল্পটির কার্যাদেশ পায়। সেতুটি নির্মাণে ৫ কোটি ৪৩ লাখ ১৯ হাজার ৬৮০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। নির্মাণকাজ ২০২২ সালের মে মাসে শুরু হয়। ২০২৩ সালের অক্টোবরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সেতুর নকশা পরিবর্তনের কারণে প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে ৬ কোটি ১৩ লাখ ২৫ হাজার ৪৪৭ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ জন্য মেয়াদ নির্ধারণ করা হয় চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত। কিন্তু প্রায় ছয় মাস আগে মেয়াদ শেষ হলেও নির্মাণকাজ খুঁটি পর্যন্তই আটকে আছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির মালিকেরা জেলহাজতে থাকা এবং তাঁদের সব ব্যাংক হিসাব স্থগিত রয়েছে। এ কারণে নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। ঠিকাদারদের পক্ষ থেকে বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও কার্যক্রম শুরু করতে পারছে না।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে প্রকল্প প্রকৌশলী মিলন ঘরামি ও ব্যবস্থাপক মো. বাহাদুর হাওলাদার জানিয়েছেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ পুনরায় শুরু করা হবে এবং তিন থেকে চার মাসের মধ্যে শেষ করা হবে।

প্রকল্পের অগ্রিম কোনো বিল তোলা হয়েছে কি না জানতে চাইলে উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী মো. জিয়াউর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অগ্রিম কোনো বিল তোলেনি। তবে কাজের বেশ কয়েকটি মেমো তাঁদের কাছে আছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ধোপাবাড়ির খাল অনেক প্রশস্ত। এ জন্য স্থানীয়দের কাছে এটি নদী হিসেবে পরিচিত। খালটি বিষখালী নদীর সঙ্গে যুক্ত। খালের ওপর দীর্ঘদিন ধরে একটি কাঠের সেতু রয়েছে। এটি দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারে না। নড়বড়ে হওয়ায় পথচারীরাও অনেক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। সেতুটি শুধু আমুয়া ইউনিয়নের নয়, বরং পুরো কাঁঠালিয়া উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগমাধ্যম। সেতুটিকে কেন্দ্র করে রয়েছে ৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, উপজেলার একমাত্র আমুয়া হাসপাতাল, আমুয়া বন্দর ও তিনটি বড় বাজার। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ এই সেতু ব্যবহার করছে, যার মধ্যে শিক্ষার্থী, রোগী, ব্যবসায়ী, নারী ও শিশু রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি বাড়লে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে সেতুর কাজ বন্ধ থাকায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। স্কুলশিক্ষার্থীরা আতঙ্ক নিয়ে কাঠের সেতু পার হয়। রোগী নিয়ে হাসপাতালে যেতে গিয়ে পরিবারগুলোর দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।

আমুয়ার জনপ্রতিনিধি নকিরুল ইসলাম বলেন, ‘সেতুটি আমাদের এলাকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বছরের পর বছর কাজ বন্ধ হয়ে আছে।’

শেখ ফজিলাতুন্নেছা ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ভাঙাচোরা কাঠের সেতু দিয়ে স্কুলে আসা-যাওয়া করে। যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দ্রুত কাজ শেষ করা প্রয়োজন।’

কাঁঠালিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. গোলাম মোস্তফা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য নিয়মিত তাগিদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় কাজ বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে।’

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ঝালকাঠির জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহীদুল ইসলাম সরকারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ময়মনসিংহের নান্দাইল: নদীর জায়গা দখল করে আ.লীগ নেতার মার্কেট

  • নরসুন্দা নদীর পাড় দখলের অভিযোগ
  • কর্তৃপক্ষ বলছে, সওজের জমি। নিজস্ব সম্পত্তি দাবি বাচ্চুর
নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
নরসুন্দা নদীর পাড় দখল করে নির্মাণ করা হচ্ছে দ্বিতল ভবন। ময়মনসিংহের নান্দাইলের তারের ঘাট বাজার এলাকায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
নরসুন্দা নদীর পাড় দখল করে নির্মাণ করা হচ্ছে দ্বিতল ভবন। ময়মনসিংহের নান্দাইলের তারের ঘাট বাজার এলাকায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহের নান্দাইলে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা হাবিবুর রহমান বাচ্চুর বিরুদ্ধে নরসুন্দা নদীর পাড় দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। মুশুল্লি ইউনিয়নের তারের ঘাট বাজারসংলগ্ন নদীর জায়গা দখল করে দোতলা মার্কেট নির্মাণ করছেন তিনি।

হাবিবুর রহমান বাচ্চু মুশুল্লি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তিনি তারের ঘাট বাজার পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক।

সরেজমিনে দেখা যায়, তারের ঘাট বাজারে নরসুন্দা নদীর ওপর সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি সেতু রয়েছে। সেতুর পশ্চিম পাশে নদীর উপরে নির্মাণ হচ্ছে পাকা ভবন। সাংবাদিকেরা ছবি তুলতে গেলে হাবিবুর রহমান বাচ্চুর ছেলে মো. ফয়সাল ছবি তোলার কারণ জানতে যান। এ সময় তিনি দাবি করেন, নদীর ওপর কোনো মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে না। নিজেদের জায়গায় নির্মাণ করা হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগ আমলে সাবেক এমপি তুহিনের প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেছেন হাবিবুর রহমান বাচ্চু। অবৈধভাবে পাথর ব্যবসার পাশাপাশি দখল করেছেন সরকারি জায়গা। ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান হতে চেয়েছিলেন। তবে সরকার পতনের পর ভোল বদলে ফেলেন।

নদীর জায়গায় ভবন নির্মাণের বিষয়ে হাবিবুর রহমান বাচ্চু বলেন, ‘এই জমি আমার নিজস্ব সম্পত্তি। নদীর পাড়ের ভেতরে আমার আরও প্রায় ৫০ ফুট জমি আছে।’ তবে মুশুল্লি ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (তহশিলদার) মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘নির্মাণাধীন স্থাপনাটি কোনো ব্যক্তিগত জমিতে নয়। এটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধিগ্রহণ করা জমির মধ্যে পড়ে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী বিজয় চন্দ্র বসাক বলেন, ‘সড়ক ও সেতুর দুই পাশে সওজের নিজস্ব জমি রয়েছে। সওজের জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ করা হলে তদন্তের মাধ্যমে অপসারণ করা হবে।’

নান্দাইলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমা জান্নাত বলেন, অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আপাতত নির্মাণকাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কোন্দল, তবু আশাবাদী বিএনপি

  • চার আসনের দুটিতে বিভক্ত বিএনপি
  • ভোটারদের কাছে ছুটছেন বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থীরা
  • তৎপর এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ, খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন
  • এবারও স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ
হাসান মাতুব্বর, ফরিদপুর
কোন্দল, তবু আশাবাদী বিএনপি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুরের চারটি আসনের সব কটিতে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন উভয় দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। তৎপর এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ, খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মতো দলগুলোও। আগামী নির্বাচনে জেলায় অন্তত ৩০ জন প্রার্থী হবেন। তাঁদের মধ্যে হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদসহ অন্তত ছয়জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন।

চার আসনের দুটিতেই বিএনপির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল। তবে চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে ওঠার ব্যাপারে আশাবাদী জেলা বিএনপির সদস্যসচিব এ কে এম কিবরিয়া স্বপন। তিনি বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ভোটে প্রভাব ফেলবে না। বিভেদ ভুলে

সবাই ধানের শীষের পক্ষেই কাজ করবে।’ জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমির মুহাম্মাদ বদরুদ্দীন বলেন, ‘চার আসনেই আমাদের ভালো অবস্থান রয়েছে। এখন ইসলামি সমমনা ৮ দলের বিষয়ে কেন্দ্র যে সিদ্ধান্ত দেবে, সেটি মেনে নেওয়া হবে।’

ফরিদপুর-১

আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলা নিয়ে ফরিদপুর-১ আসন। তিন উপজেলার মধ্যে বোয়ালমারী ও মধুখালীতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের ভোট প্রায় সমান। আলফাডাঙ্গায় প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ আওয়ামী লীগ সমর্থক। ৫ আগস্টের পর বিএনপির প্রভাব বাড়লেও দলটির অভ্যন্তরীণ কোন্দল চরমে। উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনুর সঙ্গে কৃষক দলের সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলামের বিবাদে নেতা-কর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়েন। গত ৭ নভেম্বর উপজেলা সদরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ রণক্ষেত্রে রূপ নেয়। এর মধ্যে ৪ ডিসেম্বর সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে খন্দকার নাসিরুল ইসলামের নাম ঘোষণা করে বিএনপি। এ ঘোষণায় ক্ষুব্ধ শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনুর সমর্থকেরা।

খন্দকার নাসিরুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে বহুদিন পরে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের সুযোগ এসেছে। এটি কাজে লাগাতে দলে কোনো ভেদাভেদ না রেখে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার চেষ্টা করছি।’ শামসুদ্দীন মিয়া বলেন, ‘খন্দকার নাসিরকে মনোনয়ন দিয়ে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করা হয়েছে। তাঁর কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই, এলাকায় তাঁর কোনো ভোট নেই। যারা দলকে আজকের পর্যায়ে এনেছে, তাদের মূল্যায়ন করা হয়নি। সমর্থকদের নিয়ে বসে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।’

জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মো. ইলিয়াস মোল্যা। নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। দলের জেলা আমির মুহাম্মদ বদরুদ্দীন বলেন, একজন হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে এলাকায় ইলিয়াস মোল্যার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। ভোটারদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া মিলছে।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম থেকে মুফতি মো. জাকির হুসাইন কাসেমী, খেলাফত মজলিস থেকে মুফতি শারাফাত হুসাইন ও ইসলামী আন্দোলন থেকে ওয়ালিউর রহমান প্রার্থী হতে পারেন। এনসিপির মনোনয়ন পেতে পারেন হাসিবুর রহমান অপু। সাবেক ছাত্রদল নেতা আবুল বাসার খান ও সাংবাদিক আরিফুর রহমান দোলন স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

ফরিদপুর-২

সালথা ও নগরকান্দা উপজেলা নিয়ে ফরিদপুর-২ আসন। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে এখান থেকে নির্বাচিত হন বিএনপির সাবেক মহাসচিব কে এম ওবায়দুর রহমান। এবার বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন তাঁর মেয়ে শামা ওবায়েদ। নির্বাচনী প্রচারে বাবার উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী নগরকান্দা উপজেলা আমির সোহরাব হোসেন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রার্থী হতে পারেন শাহ আকরাম আলী। ফরিদপুরে তিনি সর্বজনশ্রদ্ধেয় মুরব্বি হিসেবে পরিচিত। ইসলামি বক্তা হিসেবেও তাঁর জনপ্রিয়তা রয়েছে। শাহ আকরাম আলী বলেন, ‘আমাদের এলাকায় আলেম-ওলামাদের সমর্থক বেশি। সেই হিসেবে চেষ্টা করছি ইসলামি দলগুলোর একক প্রার্থী হতে। সভা-সমাবেশে যেভাবে সাড়া পাচ্ছি, তাতে আমি বিজয়ী হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।’

ফরিদপুর-৩

ফরিদপুর সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভা নিয়ে ফরিদপুর-৩ আসন। ১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত আসনটি ছিল বিএনপির সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের দখলে। এবার এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তাঁর মেয়ে চৌধুরী নায়াব ইউসুফ। তবে তাঁকে মেনে নিতে রাজি নন আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোদাররেছ আলী ইছার অনুসারীরা। চৌধুরী নায়াব ইউসুফের প্রাথমিক মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে সমাবেশও করেছেন তাঁরা। চৌধুরী নায়াব ইউসুফ বলেন, ‘আমার বাবা এখান থেকে বারবার নির্বাচিত হয়েছেন। এটা প্রমাণিত যে ফরিদপুর সদরের মানুষ বিএনপিকে ভালোবাসে। মানুষ গত ১৫ বছর ভোট দিতে পারেনি। তারা আবার বিএনপির শাসন ফেরাতে চায়।’

জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী আবদুত তাওয়াব নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় ব্যাপক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রচারে দখল বাণিজ্য ও চাঁদাবাজিমুক্ত একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তিনি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ। স্বতন্ত্র হলেও তাঁকে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ২০২৪ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি প্রায় ৬০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন। তবে গত ১৯ অক্টোবর তাঁর গণসংযোগে বিএনপি সমর্থকদের হামলার পর তাঁকে আর মাঠে দেখা যায়নি।

খেলাফত মজলিস থেকে আমজাদ হোসাইন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম থেকে কামরুজ্জামান ও ইসলামী আন্দোলন থেকে কে এম সারোয়ার মনোনয়ন পেতে পারেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন মোর্শেদুল ইসলাম আসিফ নামের এক তরুণ। হাতেনাতে চাঁদাবাজ ধরে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকায় আলোচনার জন্ম দিয়েছেন তিনি। ফরিদপুর পৌরসভায় নিজ উদ্যোগে মশকনিধন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

ফরিদপুর-৪

ভাঙ্গা, চরভদ্রাসন ও সদরপুর উপজেলা নিয়ে ফরিদপুর-৪ আসন। এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবলু। তাঁর পৈতৃক বাড়ি ফরিদপুর-২ আসনে হলেও দল তাঁকে এখানে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছে। তাঁর বিভিন্ন সমাবেশ ও উঠান বৈঠকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পদধারী নেতাদের দেখা গেছে। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী ভাঙ্গা উপজেলা আমির সরোয়ার হোসেন। সভা-সমাবেশের মাধ্যমে ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন তিনি। খেলাফত মজলিসের প্রার্থী হতে পারেন মো. মিজানুর রহমান মোল্যা। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রচার চালাচ্ছেন স্থপতি মুজাহিদ বেগ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত