ল–র—ব—য—হ ডেস্ক

ডিমের ইতিহাস বড় বিচিত্র! স্তন্যপায়ী প্রাণীর জরায়ুতে শিশু জন্মের আগে বংশবিস্তারের মাধ্যম ছিল ডিম। ডাইনোসরের মতো বিরাটাকার প্রাণীও কিন্তু ডিম পাড়তো। ধারণা করা যায়, অন্য প্রাণীর খাদ্য হিসেবে ডিমের কদর সব সময়ই ছিল। তবে মানুষের মতো শিকারি প্রাণী ডিমকে কবে থেকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করল তার ইতিহাস জানা নেই।
প্রত্ন ও নৃতাত্ত্বিকেরা ধারণা করেন, মানবসমাজে পাখির ডিম প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই মূল্যবান খাদ্য হিসেবে সমাদৃত। মানুষের গুহাবাসী শিকারি সমাজ এবং আধুনিক সংস্কৃতিতে পাখি গৃহপালিত প্রাণীদের অন্যতম। ফলে ধারণা করাই যায়, মানুষ পাখির ডিম পছন্দ করত অতি প্রাচীনকাল থেকেই।
ঐতিহাসিকদের মতে, ৭ হাজার ৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দেরও আগে মুরগি সম্ভবত গৃহে পালন করা হতো মূলত ডিমের জন্য। এটির চল প্রথম শুরু হয় গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এবং উপক্রান্তীয় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ভারতীয় উপমহাদেশে। জঙ্গলের পাখি থেকে শান্ত সৌম্য মুরগি মানুষের বসতবাড়িতে স্থান পায়।
১ হাজার ৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যে গৃহপালিত পাখি হিসেবে মুরগি সুমের এবং মিসরে আনা হয়েছিল। ৮০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে এই পাখি গ্রিসে পৌঁছে। গ্রিসে তখন ডিমের প্রধান উৎস ছিল কোয়েল। মিসরের থিবেসে আনুমানিক ১ হাজার ৪২০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের সময়কার হারেমহাবের সমাধিতে একটি দেয়াল চিত্রে দেখা যায়, এক ব্যক্তি উটপাখির ডিম এবং সম্ভবত পেলিকান পাখির ডিম নৈবেদ্য হিসেবে থালায় বহন করছেন।
প্রাচীন রোমে ডিম সংরক্ষণের অনেক পদ্ধতি ছিল। এখানে প্রায়ই ডিমের কোর্স দিয়েই শুরু হতো খাবার। খাবার প্লেটে যেন কোনো অশুভ আত্মা ঘাপটি মেরে থাকতে না পারে সে জন্য রোমানেরা প্লেটে ডিমের খোসা ভাঙতো।
মধ্যযুগে রোমান ক্যাথলিক খ্রিষ্টানেরা ৪০ দিনের উপাসের (লেন্ট) সময় ডিম খেতেন না। এই সময়টিতে ডিম খাওয়া একেবারে নিষিদ্ধ ছিল। কারণ ডিমকে তখন অত্যন্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হতো।
অবশ্য ইতিহাস বলে, লেন্টের সময় ডিম বর্জন শুধুই ধর্মীয় রীতি থেকে অনুপ্রাণিত নয়। ডিম খাওয়ার একটি বার্ষিক বিরতিতে খামারিদের কিছু উপকার হতো। তাঁরা এই সময়টাতে ডিম দেওয়া পাখির পালকে কিছুটা সময় বিরতির সুযোগ দিতে পারতেন। তাছাড়া বছরের যে সময়টাতে খাদ্যসংকট থাকে তার জন্য আগে থেকে খাদ্য মজুত করারও একটি সুযোগ তৈরি হতো। তখন মুরগিকে কম খাবার দিয়ে সাশ্রয় করতেন খামারিরা।
টক ফলের রস দিয়ে মাখানো ডিম সপ্তদশ শতাব্দীতে ফ্রান্সে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ডিশ ছিল। এই খাদ্য রীতি থেকেই সম্ভবত লেবু–দই–এর উৎপত্তি হয়েছে।
ইউরোপ–আমেরিকায় হিমায়িত ডিম শিল্পের উত্থানের আগে ঊনবিংশ শতাব্দীতে শুকনো ডিম শিল্পের বিকাশ ঘটে। ১৮৭৮ সালে মিসৌরির সেন্ট লুইসে একটি কোম্পানি ডিম শুকানোর বিশেষ প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করে। তারা ডিমের কুসুম এবং সাদা অংশকে হালকা-বাদামি রঙের তৈরি খাবারের মতো পদার্থে রূপান্তর করতে সক্ষম হয়। এটি তারা বাজারজাত করলে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনী এবং মিত্রদের খাবারের জন্য শুকনো ডিমের উৎপাদন ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়।
১৯১১ সালে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার স্মিথার্সে জোসেফ কোয়েল নামে এক ব্যক্তি ডিম বহন ও সংরক্ষণের জন্য বিশেষ কার্টন উদ্ভাবন করেন। বর্তমানে প্লাস্টিক বা অন্যান্য পলিমারের নরম যে কার্টন বাজারে পাওয়া যায় সেটিরই পথিকৃৎ তিনি। মূলত ভাঙা ডিম নিয়ে একজন কৃষক বা খামারি এবং হোটেল মালিকের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তি করতেই জোসেফ এই কার্টন উদ্ভাবন করেন।
শুরু দিকে ডিমের কার্টন তৈরি করা হতো কাগজ দিয়ে। বিংশ শতাব্দীর শেষার্ধে পলিস্টাইরিন দিয়ে তৈরি কার্টন জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, কারণ তাপ এবং ভাঙার হাত রক্ষা করার জন্য খুবই উপযুক্ত এসব কার্টন। তবে একবিংশ শতাব্দীতে পরিবেশ দূষণের কথা বিবেচনা করে সহজে পচে যায় এমন বা পুনর্ব্যবহার যোগ্য উপাদানে তৈরি কার্টন বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
এশীয় বন্য মুরগি থেকে গৃহপালিত মুরগির উদ্ভব। প্রতি বছর প্রজনন ঋতুতে প্রায় এক ডজন ডিম দেয় এরা। তবে কয়েক হাজার বছর ধরে ‘বাছাই প্রজননের’ মাধ্যমে মানুষ তাদের চাহিদা অনুযায়ী আধুনিক গৃহপালিত মুরগির জাত উদ্ভাবন করেছে। কিছু মুরগি মাংসের জন্য, আর কিছু জাত তৈরি করা হয়েছে ডিমের জন্য। উন্নত জাতের মুরগি এখন বছরে তিন শতাধিক ডিম পাড়তে সক্ষম। শুধু তাই নয়, এরা সারা বছর ডিম দিতে পারে।
পাখির ডিম এখন একটি সাধারণ খাবার। রান্নায় ব্যবহৃত সবচেয়ে বহুমুখী উপাদানগুলোর মধ্যে একটি হলো ডিম। আধুনিক খাদ্য শিল্পের অনেক শাখায় গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হয়ে উঠেছে ডিম।
সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত পাখির ডিম হলো মুরগি, হাঁস এবং রাজহাঁসের ডিম। ছোট ডিম, যেমন—কোয়েলের ডিম, পশ্চিমা দেশগুলোতে মূল খাবারের সঙ্গে অলংকার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এশিয়ার অনেক অঞ্চলে ডিম একটি সাধারণ দৈনন্দিন খাদ্য, যেমন—চীন এবং থাইল্যান্ড। মজার ব্যাপার হলো, ২০১৩ সালের হিসাবে এশিয়াতে ডিমের উৎপাদন ছিল বিশ্বের মোট ৫৯ শতাংশ।
সবচেয়ে বড় পাখির ডিম হলো উটপাখির ডিম। এটি অবশ্য বিলাসবহুল খাবার হিসেবেই পরিবেশন করা হয়। গালের ডিম (শঙ্খচিল), ইংল্যান্ডের পাশাপাশি কিছু স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ, বিশেষ করে নরওয়েতে উপাদেয় খাবার হিসেবে বিবেচিত হয়। আফ্রিকার কিছু দেশে গিনিফাউলের ডিম প্রায়ই বাজারে দেখা যায়, বিশেষ করে প্রতি বছরের বসন্তে এই ডিম বেশি পাওয়া যায়। তিতিরের ডিম এবং ইমু পাখির ডিমও খাওয়া হয়। তবে ব্যাপকভাবে পাওয়া যায় না। অনেক দেশে, বন্যপাখির ডিম বাজারে বিক্রি এবং খাওয়া নিষিদ্ধ। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে এটি অন্তর্ভুক্ত। আবার কিছু দেশে বছরের নির্দিষ্ট সময়ে ডিম বেচাকেনা ও খাওয়ার বৈধতা আছে।
২০১৭ সালে মুরগির ডিমের বৈশ্বিক উৎপাদন ছিল ৮০ দশমিক ১ মিলিয়ন টন। বৃহত্তম উৎপাদক ছিল চীন—এই দেশের উৎপাদন ছিল ৩১ দশমিক ৩ মিলিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ৬ দশমিক ৩ মিলিয়ন, ভারত ৪ দশমিক ৮ মিলিয়ন, মেক্সিকো ২ দশমিক ৮ মিলিয়ন, জাপান ২ দশমিক ৬ মিলিয়ন এবং ব্রাজিল ও রাশিয়া প্রত্যেকে ২ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন। গড় হিসাবে একটি বড়সড় ডিম কারখানা প্রতি সপ্তাহে ১০ লাখ ডজন ডিম পাঠায়।
২০১৯ সালের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র ৯ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডিম উৎপাদন করেছে। এর মধ্যে ৮ দশমিক ২ বিলিয়ন খাওয়া হয়েছে এবং বাচ্চা ফুটানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন। ২০১৯ সালে আমেরিকানরা প্রত্যেকে ডিম খেয়েছে ২৭৯টি ডিম। ১৯৭৩ সালের এটিই সর্বোচ্চ ডিম ভক্ষণ। অবশ্য ১৯৪৫ সালে আমেরিকানরা জনপ্রতি ডিম খেয়েছে ৪০৫ টির কিছু কম।
ডিমের গুণমান পরীক্ষা একটি সহজ পরীক্ষা আছে। বাজার গেলে প্রায় সবাই এই কৌশলটি ব্যবহার করেন—ডিমটিকে আলোর বিপরীতে ধরা। বড় বড় খামার ও কারখানায়ও একই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। সাধারণত মোমবাতির বিপরীতে ধরে মান পরীক্ষা করা হয়। মূলত বায়ু কোষের আকার বোঝার চেষ্টা করা হয়। সেই সঙ্গে ডিমটি নিষিক্ত কি না সেটিও বোঝা যায়। নিষিক্ত হলে আলোর বিপরীতে ভ্রূণের উপস্থিতি শনাক্ত করা যায়। অনেক দেশের নিয়ম অনুযায়ী, ডিম ধুয়ে পরিষ্কার করে এরপর বাক্সে ভরা হয়। অবশ্য এতে ডিম বেশি দিন সতেজ থাকে না।
ডিমের ভেতর দিয়ে আলো প্রবেশ করলে সেটি তাজা। বায়ু কোষ বা কুঠুরী যত বড় ডিমের বয়স তত বেশি। তাজা ডিমে কিন্তু কুসুম সেভাবে নড়াচড়া করে না কারণ বায়ু কুঠুরি তখন খুব ছোট থাকে। বেশি দিন হয়ে যাওয়া ডিমের কুসুম বেশ সহজেই নড়াচড়া করবে।

ডিমের ইতিহাস বড় বিচিত্র! স্তন্যপায়ী প্রাণীর জরায়ুতে শিশু জন্মের আগে বংশবিস্তারের মাধ্যম ছিল ডিম। ডাইনোসরের মতো বিরাটাকার প্রাণীও কিন্তু ডিম পাড়তো। ধারণা করা যায়, অন্য প্রাণীর খাদ্য হিসেবে ডিমের কদর সব সময়ই ছিল। তবে মানুষের মতো শিকারি প্রাণী ডিমকে কবে থেকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করল তার ইতিহাস জানা নেই।
প্রত্ন ও নৃতাত্ত্বিকেরা ধারণা করেন, মানবসমাজে পাখির ডিম প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই মূল্যবান খাদ্য হিসেবে সমাদৃত। মানুষের গুহাবাসী শিকারি সমাজ এবং আধুনিক সংস্কৃতিতে পাখি গৃহপালিত প্রাণীদের অন্যতম। ফলে ধারণা করাই যায়, মানুষ পাখির ডিম পছন্দ করত অতি প্রাচীনকাল থেকেই।
ঐতিহাসিকদের মতে, ৭ হাজার ৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দেরও আগে মুরগি সম্ভবত গৃহে পালন করা হতো মূলত ডিমের জন্য। এটির চল প্রথম শুরু হয় গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এবং উপক্রান্তীয় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ভারতীয় উপমহাদেশে। জঙ্গলের পাখি থেকে শান্ত সৌম্য মুরগি মানুষের বসতবাড়িতে স্থান পায়।
১ হাজার ৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যে গৃহপালিত পাখি হিসেবে মুরগি সুমের এবং মিসরে আনা হয়েছিল। ৮০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে এই পাখি গ্রিসে পৌঁছে। গ্রিসে তখন ডিমের প্রধান উৎস ছিল কোয়েল। মিসরের থিবেসে আনুমানিক ১ হাজার ৪২০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের সময়কার হারেমহাবের সমাধিতে একটি দেয়াল চিত্রে দেখা যায়, এক ব্যক্তি উটপাখির ডিম এবং সম্ভবত পেলিকান পাখির ডিম নৈবেদ্য হিসেবে থালায় বহন করছেন।
প্রাচীন রোমে ডিম সংরক্ষণের অনেক পদ্ধতি ছিল। এখানে প্রায়ই ডিমের কোর্স দিয়েই শুরু হতো খাবার। খাবার প্লেটে যেন কোনো অশুভ আত্মা ঘাপটি মেরে থাকতে না পারে সে জন্য রোমানেরা প্লেটে ডিমের খোসা ভাঙতো।
মধ্যযুগে রোমান ক্যাথলিক খ্রিষ্টানেরা ৪০ দিনের উপাসের (লেন্ট) সময় ডিম খেতেন না। এই সময়টিতে ডিম খাওয়া একেবারে নিষিদ্ধ ছিল। কারণ ডিমকে তখন অত্যন্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হতো।
অবশ্য ইতিহাস বলে, লেন্টের সময় ডিম বর্জন শুধুই ধর্মীয় রীতি থেকে অনুপ্রাণিত নয়। ডিম খাওয়ার একটি বার্ষিক বিরতিতে খামারিদের কিছু উপকার হতো। তাঁরা এই সময়টাতে ডিম দেওয়া পাখির পালকে কিছুটা সময় বিরতির সুযোগ দিতে পারতেন। তাছাড়া বছরের যে সময়টাতে খাদ্যসংকট থাকে তার জন্য আগে থেকে খাদ্য মজুত করারও একটি সুযোগ তৈরি হতো। তখন মুরগিকে কম খাবার দিয়ে সাশ্রয় করতেন খামারিরা।
টক ফলের রস দিয়ে মাখানো ডিম সপ্তদশ শতাব্দীতে ফ্রান্সে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ডিশ ছিল। এই খাদ্য রীতি থেকেই সম্ভবত লেবু–দই–এর উৎপত্তি হয়েছে।
ইউরোপ–আমেরিকায় হিমায়িত ডিম শিল্পের উত্থানের আগে ঊনবিংশ শতাব্দীতে শুকনো ডিম শিল্পের বিকাশ ঘটে। ১৮৭৮ সালে মিসৌরির সেন্ট লুইসে একটি কোম্পানি ডিম শুকানোর বিশেষ প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করে। তারা ডিমের কুসুম এবং সাদা অংশকে হালকা-বাদামি রঙের তৈরি খাবারের মতো পদার্থে রূপান্তর করতে সক্ষম হয়। এটি তারা বাজারজাত করলে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনী এবং মিত্রদের খাবারের জন্য শুকনো ডিমের উৎপাদন ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়।
১৯১১ সালে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার স্মিথার্সে জোসেফ কোয়েল নামে এক ব্যক্তি ডিম বহন ও সংরক্ষণের জন্য বিশেষ কার্টন উদ্ভাবন করেন। বর্তমানে প্লাস্টিক বা অন্যান্য পলিমারের নরম যে কার্টন বাজারে পাওয়া যায় সেটিরই পথিকৃৎ তিনি। মূলত ভাঙা ডিম নিয়ে একজন কৃষক বা খামারি এবং হোটেল মালিকের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তি করতেই জোসেফ এই কার্টন উদ্ভাবন করেন।
শুরু দিকে ডিমের কার্টন তৈরি করা হতো কাগজ দিয়ে। বিংশ শতাব্দীর শেষার্ধে পলিস্টাইরিন দিয়ে তৈরি কার্টন জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, কারণ তাপ এবং ভাঙার হাত রক্ষা করার জন্য খুবই উপযুক্ত এসব কার্টন। তবে একবিংশ শতাব্দীতে পরিবেশ দূষণের কথা বিবেচনা করে সহজে পচে যায় এমন বা পুনর্ব্যবহার যোগ্য উপাদানে তৈরি কার্টন বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
এশীয় বন্য মুরগি থেকে গৃহপালিত মুরগির উদ্ভব। প্রতি বছর প্রজনন ঋতুতে প্রায় এক ডজন ডিম দেয় এরা। তবে কয়েক হাজার বছর ধরে ‘বাছাই প্রজননের’ মাধ্যমে মানুষ তাদের চাহিদা অনুযায়ী আধুনিক গৃহপালিত মুরগির জাত উদ্ভাবন করেছে। কিছু মুরগি মাংসের জন্য, আর কিছু জাত তৈরি করা হয়েছে ডিমের জন্য। উন্নত জাতের মুরগি এখন বছরে তিন শতাধিক ডিম পাড়তে সক্ষম। শুধু তাই নয়, এরা সারা বছর ডিম দিতে পারে।
পাখির ডিম এখন একটি সাধারণ খাবার। রান্নায় ব্যবহৃত সবচেয়ে বহুমুখী উপাদানগুলোর মধ্যে একটি হলো ডিম। আধুনিক খাদ্য শিল্পের অনেক শাখায় গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হয়ে উঠেছে ডিম।
সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত পাখির ডিম হলো মুরগি, হাঁস এবং রাজহাঁসের ডিম। ছোট ডিম, যেমন—কোয়েলের ডিম, পশ্চিমা দেশগুলোতে মূল খাবারের সঙ্গে অলংকার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এশিয়ার অনেক অঞ্চলে ডিম একটি সাধারণ দৈনন্দিন খাদ্য, যেমন—চীন এবং থাইল্যান্ড। মজার ব্যাপার হলো, ২০১৩ সালের হিসাবে এশিয়াতে ডিমের উৎপাদন ছিল বিশ্বের মোট ৫৯ শতাংশ।
সবচেয়ে বড় পাখির ডিম হলো উটপাখির ডিম। এটি অবশ্য বিলাসবহুল খাবার হিসেবেই পরিবেশন করা হয়। গালের ডিম (শঙ্খচিল), ইংল্যান্ডের পাশাপাশি কিছু স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ, বিশেষ করে নরওয়েতে উপাদেয় খাবার হিসেবে বিবেচিত হয়। আফ্রিকার কিছু দেশে গিনিফাউলের ডিম প্রায়ই বাজারে দেখা যায়, বিশেষ করে প্রতি বছরের বসন্তে এই ডিম বেশি পাওয়া যায়। তিতিরের ডিম এবং ইমু পাখির ডিমও খাওয়া হয়। তবে ব্যাপকভাবে পাওয়া যায় না। অনেক দেশে, বন্যপাখির ডিম বাজারে বিক্রি এবং খাওয়া নিষিদ্ধ। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে এটি অন্তর্ভুক্ত। আবার কিছু দেশে বছরের নির্দিষ্ট সময়ে ডিম বেচাকেনা ও খাওয়ার বৈধতা আছে।
২০১৭ সালে মুরগির ডিমের বৈশ্বিক উৎপাদন ছিল ৮০ দশমিক ১ মিলিয়ন টন। বৃহত্তম উৎপাদক ছিল চীন—এই দেশের উৎপাদন ছিল ৩১ দশমিক ৩ মিলিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ৬ দশমিক ৩ মিলিয়ন, ভারত ৪ দশমিক ৮ মিলিয়ন, মেক্সিকো ২ দশমিক ৮ মিলিয়ন, জাপান ২ দশমিক ৬ মিলিয়ন এবং ব্রাজিল ও রাশিয়া প্রত্যেকে ২ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন। গড় হিসাবে একটি বড়সড় ডিম কারখানা প্রতি সপ্তাহে ১০ লাখ ডজন ডিম পাঠায়।
২০১৯ সালের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র ৯ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডিম উৎপাদন করেছে। এর মধ্যে ৮ দশমিক ২ বিলিয়ন খাওয়া হয়েছে এবং বাচ্চা ফুটানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন। ২০১৯ সালে আমেরিকানরা প্রত্যেকে ডিম খেয়েছে ২৭৯টি ডিম। ১৯৭৩ সালের এটিই সর্বোচ্চ ডিম ভক্ষণ। অবশ্য ১৯৪৫ সালে আমেরিকানরা জনপ্রতি ডিম খেয়েছে ৪০৫ টির কিছু কম।
ডিমের গুণমান পরীক্ষা একটি সহজ পরীক্ষা আছে। বাজার গেলে প্রায় সবাই এই কৌশলটি ব্যবহার করেন—ডিমটিকে আলোর বিপরীতে ধরা। বড় বড় খামার ও কারখানায়ও একই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। সাধারণত মোমবাতির বিপরীতে ধরে মান পরীক্ষা করা হয়। মূলত বায়ু কোষের আকার বোঝার চেষ্টা করা হয়। সেই সঙ্গে ডিমটি নিষিক্ত কি না সেটিও বোঝা যায়। নিষিক্ত হলে আলোর বিপরীতে ভ্রূণের উপস্থিতি শনাক্ত করা যায়। অনেক দেশের নিয়ম অনুযায়ী, ডিম ধুয়ে পরিষ্কার করে এরপর বাক্সে ভরা হয়। অবশ্য এতে ডিম বেশি দিন সতেজ থাকে না।
ডিমের ভেতর দিয়ে আলো প্রবেশ করলে সেটি তাজা। বায়ু কোষ বা কুঠুরী যত বড় ডিমের বয়স তত বেশি। তাজা ডিমে কিন্তু কুসুম সেভাবে নড়াচড়া করে না কারণ বায়ু কুঠুরি তখন খুব ছোট থাকে। বেশি দিন হয়ে যাওয়া ডিমের কুসুম বেশ সহজেই নড়াচড়া করবে।

বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে শুরু করে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ঝগড়া—সবকিছুতেই এখন থেকে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের লিংক্যাং গ্রামের কমিটি এমন নিয়ম জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘গ্রামের নিয়মাবলি: সবাই সমান’ শিরোনামের একটি নোটিশ ভাইরাল হওয়ার...
১০ ঘণ্টা আগে
ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম
১ দিন আগে
ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
৩ দিন আগে
তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে শুরু করে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ঝগড়া—সবকিছুতেই এখন থেকে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের লিংক্যাং গ্রামের কমিটি এমন নিয়ম জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘গ্রামের নিয়মাবলি: সবাই সমান’ শিরোনামের একটি নোটিশ ভাইরাল হওয়ার পর শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা ও বিতর্ক।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রামের শৃঙ্খলা বজায় রাখার নামে ব্যক্তিগত স্বাধীনতার ওপর একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে স্থানীয় গ্রাম কমিটি। ভাইরাল হওয়া ছবির ভিত্তিতে জরিমানার তালিকাটি নিচে দেওয়া হলো:
প্রাদেশিক বৈষম্য: ইউনান প্রদেশের বাইরের কাউকে বিয়ে করলে দম্পতিকে ১ হাজার ৫০০ ইউয়ান (প্রায় ২৩,০০০ টাকা) জরিমানা দিতে হবে।
বিয়ের আগে গর্ভধারণ: কোনো নারী বিয়ের আগে গর্ভবতী হলে তাঁকে ৩ হাজার ইউয়ান জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
লিভ ইন রিলেশন: বিয়ে ছাড়াই কোনো যুগল একত্রে বসবাস করলে প্রতিবছর ৫০০ ইউয়ান জরিমানা দিতে হবে।
সন্তান জন্মের সময়: বিয়ের মাত্র ১০ মাসের মধ্যে কোনো দম্পতি সন্তান জন্ম দিলে তাঁকে ‘অকাল গর্ভধারণ’ হিসেবে গণ্য করে ৩ হাজার ইউয়ান জরিমানা করা হবে।
পারিবারিক কলহ: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হলে এবং তা মেটাতে গ্রাম কর্তাদের ডাকলে উভয় পক্ষকে ৫০০ ইউয়ান করে জরিমানা দিতে হবে।
সামাজিক আচরণ: মদ্যপ অবস্থায় বিশৃঙ্খলা করলে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার ইউয়ান এবং গুজব ছড়ালে ১ হাজার ইউয়ান পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
চীনের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘উইবো’-তে এই নোটিশ শেয়ার হওয়ার পর নেটিজেনরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। অনেক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ‘গ্রাম কমিটি কি এখন মানুষের শোবার ঘরের পাহারাদার হতে চায়?’ কেউ কেউ এটিকে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন। সমালোচকদের মতে, আধুনিক চীনের আইনি কাঠামোয় এ ধরনের নিয়মাবলি সম্পূর্ণ অবৈধ এবং মধ্যযুগীয় বর্বরতার শামিল।
বিতর্ক তুঙ্গে উঠলে স্থানীয় মেংডিং টাউন সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। ১৬ ডিসেম্বর রেড স্টার নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রশাসনের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, নোটিশটি গ্রাম কমিটির নিজস্ব উদ্যোগে টাঙানো হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘এই নিয়মগুলো অত্যন্ত অস্বাভাবিক এবং ইউনিয়ন বা টাউন সরকারের কাছ থেকে কোনো প্রকার পূর্বানুমতি নেওয়া হয়নি। আমরা ইতিমধ্যেই নোটিশটি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছি এবং এটি এখন কার্যকর নেই।’
লিংক্যাং গ্রামটির জনসংখ্যা বা বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া না গেলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চীনের অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চলে গ্রাম কমিটিগুলো নিজেদের ছোটখাটো ‘রাজা’ মনে করে এ ধরনের অবৈধ নিয়ম জারি করে থাকে। এই ঘটনাটি চীনের গ্রামীণ স্বায়ত্তশাসনের সীমাবদ্ধতা এবং সাধারণ মানুষের আইনি অধিকার রক্ষার প্রয়োজনীয়তাকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে।

বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে শুরু করে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ঝগড়া—সবকিছুতেই এখন থেকে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের লিংক্যাং গ্রামের কমিটি এমন নিয়ম জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘গ্রামের নিয়মাবলি: সবাই সমান’ শিরোনামের একটি নোটিশ ভাইরাল হওয়ার পর শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা ও বিতর্ক।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রামের শৃঙ্খলা বজায় রাখার নামে ব্যক্তিগত স্বাধীনতার ওপর একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে স্থানীয় গ্রাম কমিটি। ভাইরাল হওয়া ছবির ভিত্তিতে জরিমানার তালিকাটি নিচে দেওয়া হলো:
প্রাদেশিক বৈষম্য: ইউনান প্রদেশের বাইরের কাউকে বিয়ে করলে দম্পতিকে ১ হাজার ৫০০ ইউয়ান (প্রায় ২৩,০০০ টাকা) জরিমানা দিতে হবে।
বিয়ের আগে গর্ভধারণ: কোনো নারী বিয়ের আগে গর্ভবতী হলে তাঁকে ৩ হাজার ইউয়ান জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
লিভ ইন রিলেশন: বিয়ে ছাড়াই কোনো যুগল একত্রে বসবাস করলে প্রতিবছর ৫০০ ইউয়ান জরিমানা দিতে হবে।
সন্তান জন্মের সময়: বিয়ের মাত্র ১০ মাসের মধ্যে কোনো দম্পতি সন্তান জন্ম দিলে তাঁকে ‘অকাল গর্ভধারণ’ হিসেবে গণ্য করে ৩ হাজার ইউয়ান জরিমানা করা হবে।
পারিবারিক কলহ: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হলে এবং তা মেটাতে গ্রাম কর্তাদের ডাকলে উভয় পক্ষকে ৫০০ ইউয়ান করে জরিমানা দিতে হবে।
সামাজিক আচরণ: মদ্যপ অবস্থায় বিশৃঙ্খলা করলে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার ইউয়ান এবং গুজব ছড়ালে ১ হাজার ইউয়ান পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
চীনের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘উইবো’-তে এই নোটিশ শেয়ার হওয়ার পর নেটিজেনরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। অনেক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ‘গ্রাম কমিটি কি এখন মানুষের শোবার ঘরের পাহারাদার হতে চায়?’ কেউ কেউ এটিকে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন। সমালোচকদের মতে, আধুনিক চীনের আইনি কাঠামোয় এ ধরনের নিয়মাবলি সম্পূর্ণ অবৈধ এবং মধ্যযুগীয় বর্বরতার শামিল।
বিতর্ক তুঙ্গে উঠলে স্থানীয় মেংডিং টাউন সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। ১৬ ডিসেম্বর রেড স্টার নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রশাসনের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, নোটিশটি গ্রাম কমিটির নিজস্ব উদ্যোগে টাঙানো হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘এই নিয়মগুলো অত্যন্ত অস্বাভাবিক এবং ইউনিয়ন বা টাউন সরকারের কাছ থেকে কোনো প্রকার পূর্বানুমতি নেওয়া হয়নি। আমরা ইতিমধ্যেই নোটিশটি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছি এবং এটি এখন কার্যকর নেই।’
লিংক্যাং গ্রামটির জনসংখ্যা বা বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া না গেলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চীনের অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চলে গ্রাম কমিটিগুলো নিজেদের ছোটখাটো ‘রাজা’ মনে করে এ ধরনের অবৈধ নিয়ম জারি করে থাকে। এই ঘটনাটি চীনের গ্রামীণ স্বায়ত্তশাসনের সীমাবদ্ধতা এবং সাধারণ মানুষের আইনি অধিকার রক্ষার প্রয়োজনীয়তাকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে।

মানবসমাজে পাখির ডিম প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই মূল্যবান খাদ্য হিসেবে সমাদৃত। মানুষের গুহাবাসী শিকারি সমাজ এবং আধুনিক সংস্কৃতিতে পাখি গৃহপালিত প্রাণীদের অন্যতম। ফলে ধারণা করাই যায়, মানুষ পাখির ডিম পছন্দ করত অতি প্রাচীনকাল থেকেই।
১৪ অক্টোবর ২০২২
ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম
১ দিন আগে
ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
৩ দিন আগে
তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম হয়েছে।
লারা বুসি ত্রাবুক্কো নামের এই শিশুটির আগমনে গ্রামের জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ জনে। তার খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষাদান অনুষ্ঠানে পুরো গ্রাম ভেঙে পড়েছিল। এমনকি ৯ মাস বয়সী লারা এখন ওই অঞ্চলের প্রধান পর্যটন আকর্ষণে পরিণত হয়েছে। লারার মা সিনজিয়া ত্রাবুক্কো বলেন, ‘যারা আগে এই গ্রামের নামও জানত না, তারাও এখন লারাকে দেখতে আসছে।’
লারার জন্ম এক দিকে যেমন আশার প্রতীক, অন্য দিকে এটি ইতালির ভয়াবহ জনসংখ্যা হ্রাসের চিত্রকেও ফুটিয়ে তুলেছে।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে ইতালিতে জন্মহার সর্বকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে (৩,৬৯,৯৪৪ জন)। প্রজনন হার প্রতি নারী পিছু মাত্র ১.১৮, যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে অন্যতম সর্বনিম্ন।
২০২৫ সালের প্রথম সাত মাসের উপাত্ত অনুযায়ী, আব্রুজ্জো অঞ্চলে জন্মহার গত বছরের তুলনায় আরও ১০.২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
বিশেষজ্ঞ ও স্থানীয় বাসিন্দারা এই পরিস্থিতির জন্য একাধিক কারণকে দায়ী করেছেন। এরমধ্যে রয়েছে—তরুণ প্রজন্মের মধ্যে কর্মসংস্থানের অভাব ও দেশত্যাগের প্রবণতা। কর্মজীবী মায়েদের জন্য ডে-কেয়ার বা নার্সারির অভাব। অনেক নারী মা হওয়ার পর আর কর্মক্ষেত্রে ফিরতে পারেন না। পুরুষদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বন্ধ্যাত্ব এবং অনেকের সন্তান না নেওয়ার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। ট্যাক্স বেশি হলেও সেই অনুযায়ী সামাজিক সেবা বা উন্নত জীবনযাত্রার অভাব।
জর্জিয়া মেলোনির সরকার এই পরিস্থিতিকে ‘জনসংখ্যার শীতকাল’ (Demographic Winter) হিসেবে অভিহিত করেছে। সংকট মোকাবিলায় ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে প্রতিটি শিশুর জন্মের পর এককালীন ১ হাজার ইউরো ‘বেবি বোনাস’ এবং প্রতি মাসে প্রায় ৩৭০ ইউরো শিশু ভাতা দেওয়ার নিয়ম চালু করা হয়েছে। তবে লারার মায়ের মতে, শুধু অর্থ দিয়ে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়; পুরো ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন।
এদিকে, জনসংখ্যা কমে যাওয়ায় অনেক শহরে প্রসূতি বিভাগ (Maternity Unit) বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। পালিয়ারা দে মার্সি থেকে এক ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত সুলমোনা শহরের হাসপাতালটি এখন বন্ধের ঝুঁকিতে। নিয়ম অনুযায়ী বছরে অন্তত ৫০০ শিশুর জন্ম না হলে সেই ইউনিট চালু রাখা কঠিন। ২০২৪ সালে সেখানে মাত্র ১২০টি শিশুর জন্ম হয়েছে। এটি বন্ধ হয়ে গেলে গর্ভবতী নারীদের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে অন্য শহরে যেতে হবে, যা জরুরি অবস্থায় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
গ্রামের মেয়র জিউসেপিনা পেরোজি আশা প্রকাশ করেন, লারার জন্ম অন্যদেরও পরিবার গঠনে অনুপ্রাণিত করবে। কিন্তু লারার ভবিষ্যৎ শিক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েই গেছে। গ্রামটিতে কয়েক দশক ধরে কোনো শিক্ষক নেই, এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামের স্কুলগুলোও শিক্ষার্থীর অভাবে বন্ধ হওয়ার পথে।

ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম হয়েছে।
লারা বুসি ত্রাবুক্কো নামের এই শিশুটির আগমনে গ্রামের জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ জনে। তার খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষাদান অনুষ্ঠানে পুরো গ্রাম ভেঙে পড়েছিল। এমনকি ৯ মাস বয়সী লারা এখন ওই অঞ্চলের প্রধান পর্যটন আকর্ষণে পরিণত হয়েছে। লারার মা সিনজিয়া ত্রাবুক্কো বলেন, ‘যারা আগে এই গ্রামের নামও জানত না, তারাও এখন লারাকে দেখতে আসছে।’
লারার জন্ম এক দিকে যেমন আশার প্রতীক, অন্য দিকে এটি ইতালির ভয়াবহ জনসংখ্যা হ্রাসের চিত্রকেও ফুটিয়ে তুলেছে।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে ইতালিতে জন্মহার সর্বকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে (৩,৬৯,৯৪৪ জন)। প্রজনন হার প্রতি নারী পিছু মাত্র ১.১৮, যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে অন্যতম সর্বনিম্ন।
২০২৫ সালের প্রথম সাত মাসের উপাত্ত অনুযায়ী, আব্রুজ্জো অঞ্চলে জন্মহার গত বছরের তুলনায় আরও ১০.২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
বিশেষজ্ঞ ও স্থানীয় বাসিন্দারা এই পরিস্থিতির জন্য একাধিক কারণকে দায়ী করেছেন। এরমধ্যে রয়েছে—তরুণ প্রজন্মের মধ্যে কর্মসংস্থানের অভাব ও দেশত্যাগের প্রবণতা। কর্মজীবী মায়েদের জন্য ডে-কেয়ার বা নার্সারির অভাব। অনেক নারী মা হওয়ার পর আর কর্মক্ষেত্রে ফিরতে পারেন না। পুরুষদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বন্ধ্যাত্ব এবং অনেকের সন্তান না নেওয়ার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। ট্যাক্স বেশি হলেও সেই অনুযায়ী সামাজিক সেবা বা উন্নত জীবনযাত্রার অভাব।
জর্জিয়া মেলোনির সরকার এই পরিস্থিতিকে ‘জনসংখ্যার শীতকাল’ (Demographic Winter) হিসেবে অভিহিত করেছে। সংকট মোকাবিলায় ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে প্রতিটি শিশুর জন্মের পর এককালীন ১ হাজার ইউরো ‘বেবি বোনাস’ এবং প্রতি মাসে প্রায় ৩৭০ ইউরো শিশু ভাতা দেওয়ার নিয়ম চালু করা হয়েছে। তবে লারার মায়ের মতে, শুধু অর্থ দিয়ে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়; পুরো ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন।
এদিকে, জনসংখ্যা কমে যাওয়ায় অনেক শহরে প্রসূতি বিভাগ (Maternity Unit) বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। পালিয়ারা দে মার্সি থেকে এক ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত সুলমোনা শহরের হাসপাতালটি এখন বন্ধের ঝুঁকিতে। নিয়ম অনুযায়ী বছরে অন্তত ৫০০ শিশুর জন্ম না হলে সেই ইউনিট চালু রাখা কঠিন। ২০২৪ সালে সেখানে মাত্র ১২০টি শিশুর জন্ম হয়েছে। এটি বন্ধ হয়ে গেলে গর্ভবতী নারীদের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে অন্য শহরে যেতে হবে, যা জরুরি অবস্থায় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
গ্রামের মেয়র জিউসেপিনা পেরোজি আশা প্রকাশ করেন, লারার জন্ম অন্যদেরও পরিবার গঠনে অনুপ্রাণিত করবে। কিন্তু লারার ভবিষ্যৎ শিক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েই গেছে। গ্রামটিতে কয়েক দশক ধরে কোনো শিক্ষক নেই, এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামের স্কুলগুলোও শিক্ষার্থীর অভাবে বন্ধ হওয়ার পথে।

মানবসমাজে পাখির ডিম প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই মূল্যবান খাদ্য হিসেবে সমাদৃত। মানুষের গুহাবাসী শিকারি সমাজ এবং আধুনিক সংস্কৃতিতে পাখি গৃহপালিত প্রাণীদের অন্যতম। ফলে ধারণা করাই যায়, মানুষ পাখির ডিম পছন্দ করত অতি প্রাচীনকাল থেকেই।
১৪ অক্টোবর ২০২২
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে শুরু করে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ঝগড়া—সবকিছুতেই এখন থেকে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের লিংক্যাং গ্রামের কমিটি এমন নিয়ম জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘গ্রামের নিয়মাবলি: সবাই সমান’ শিরোনামের একটি নোটিশ ভাইরাল হওয়ার...
১০ ঘণ্টা আগে
ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
৩ দিন আগে
তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎসকেরা।
লস অ্যাঞ্জেলেসের সিডারস-সিনাই মেডিকেল সেন্টারের প্রসূতি ও প্রসব বিভাগের মেডিকেল ডিরেক্টর ড. জন ওজিমেক এপিকে বলেন, ‘প্রতি ৩০ হাজার গর্ভাবস্থার মধ্যে মাত্র একটি জরায়ুর বাইরে পেটের ভেতরে (Abdominal Pregnancy) ঘটে। আর পূর্ণ মেয়াদে সুস্থ শিশু জন্ম দেওয়ার ঘটনা ১ কোটিতে একজনের ক্ষেত্রেও দেখা যায় না। এটি সত্যিই অবিশ্বাস্য।’
৪১ বছর বয়সী সুজ লোপেজ পেশায় একজন নার্স। আশ্চর্যের বিষয় হলো, সন্তান জন্ম দেওয়ার মাত্র কয়েক দিন আগ পর্যন্ত তিনি জানতেনই না যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা।
সুজ দীর্ঘদিন ধরে ওভারিয়ান সিস্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। যখন তাঁর পেট বড় হতে শুরু করে, তিনি ভেবেছিলেন, এটি ২১ পাউন্ড ওজনের সেই সিস্টেরই বৃদ্ধি।
সাধারণ গর্ভাবস্থার কোনো লক্ষণ; যেমন সকালবেলায় অসুস্থতা বোধ করা (Morning Sickness) বা শিশুর নড়াচড়া—কিছুই তিনি অনুভব করেননি। অনিয়মিত পিরিয়ডের কারণে ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়াকেও তিনি স্বাভাবিক ধরে নিয়েছিলেন।
অবশেষে পেটে অসহ্য ব্যথা শুরু হলে তিনি সিস্ট অপসারণের জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। সেখানে সিটি স্ক্যান করার আগে বাধ্যতামূলক গর্ভাবস্থা পরীক্ষায় ফল ‘পজিটিভ’ আসে।
হাসপাতালে আলট্রাসাউন্ড এবং এমআরআই স্ক্যানে দেখা যায়, সুজের জরায়ু সম্পূর্ণ খালি। অথচ একটি পূর্ণাঙ্গ ভ্রূণ তাঁর লিভারের কাছে পেটের এক কোণে অ্যামনিওটিক থ্যাকের ভেতরে বেড়ে উঠছে। ড. ওজিমেক জানান, ভ্রূণটি লিভারের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে সরাসরি আক্রান্ত করেনি, বরং পেলভিসের পাশের দেয়ালে গেঁথে ছিল। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হলেও লিভারের তুলনায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণযোগ্য ছিল।
গত ১৮ আগস্ট এক জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ৮ পাউন্ড (৩.৬ কেজি) ওজনের রিউকে পৃথিবীতে আনা হয়। অস্ত্রোপচারের সময় সুজের সেই বিশাল সিস্টটিও অপসারণ করা হয়। অত্যধিক রক্তক্ষরণ হলেও চিকিৎসকদের দক্ষতায় সুজ এবং তাঁর সন্তান দুজনেই সুস্থভাবে ফিরে আসেন।
সুজের স্বামী অ্যান্ড্রু লোপেজ বলেন, ‘বাইরে শান্ত থাকলেও আমি ভেতরে-ভেতরে প্রার্থনা করছিলাম। যেকোনো মুহূর্তে স্ত্রী বা সন্তানকে হারানোর ভয় আমাকে তাড়া করছিল।’
বর্তমানে রিউ সম্পূর্ণ সুস্থ এবং প্রাণচঞ্চল। নিজের ১৮ বছর বয়সী বড় বোন কাইলার সঙ্গে তার খুনসুটি লেগেই থাকে। সামনেই রিউয়ের প্রথম বড়দিন। সুজ লোপেজ আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমি এখন অলৌকিক ঘটনায় বিশ্বাস করি। ঈশ্বর আমাদের জীবনের সেরা উপহারটি দিয়েছেন।’
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এই কেস এতই বিরল যে তাঁরা এটি একটি মেডিকেল জার্নালে প্রকাশের পরিকল্পনা করছেন।

ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎসকেরা।
লস অ্যাঞ্জেলেসের সিডারস-সিনাই মেডিকেল সেন্টারের প্রসূতি ও প্রসব বিভাগের মেডিকেল ডিরেক্টর ড. জন ওজিমেক এপিকে বলেন, ‘প্রতি ৩০ হাজার গর্ভাবস্থার মধ্যে মাত্র একটি জরায়ুর বাইরে পেটের ভেতরে (Abdominal Pregnancy) ঘটে। আর পূর্ণ মেয়াদে সুস্থ শিশু জন্ম দেওয়ার ঘটনা ১ কোটিতে একজনের ক্ষেত্রেও দেখা যায় না। এটি সত্যিই অবিশ্বাস্য।’
৪১ বছর বয়সী সুজ লোপেজ পেশায় একজন নার্স। আশ্চর্যের বিষয় হলো, সন্তান জন্ম দেওয়ার মাত্র কয়েক দিন আগ পর্যন্ত তিনি জানতেনই না যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা।
সুজ দীর্ঘদিন ধরে ওভারিয়ান সিস্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। যখন তাঁর পেট বড় হতে শুরু করে, তিনি ভেবেছিলেন, এটি ২১ পাউন্ড ওজনের সেই সিস্টেরই বৃদ্ধি।
সাধারণ গর্ভাবস্থার কোনো লক্ষণ; যেমন সকালবেলায় অসুস্থতা বোধ করা (Morning Sickness) বা শিশুর নড়াচড়া—কিছুই তিনি অনুভব করেননি। অনিয়মিত পিরিয়ডের কারণে ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়াকেও তিনি স্বাভাবিক ধরে নিয়েছিলেন।
অবশেষে পেটে অসহ্য ব্যথা শুরু হলে তিনি সিস্ট অপসারণের জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। সেখানে সিটি স্ক্যান করার আগে বাধ্যতামূলক গর্ভাবস্থা পরীক্ষায় ফল ‘পজিটিভ’ আসে।
হাসপাতালে আলট্রাসাউন্ড এবং এমআরআই স্ক্যানে দেখা যায়, সুজের জরায়ু সম্পূর্ণ খালি। অথচ একটি পূর্ণাঙ্গ ভ্রূণ তাঁর লিভারের কাছে পেটের এক কোণে অ্যামনিওটিক থ্যাকের ভেতরে বেড়ে উঠছে। ড. ওজিমেক জানান, ভ্রূণটি লিভারের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে সরাসরি আক্রান্ত করেনি, বরং পেলভিসের পাশের দেয়ালে গেঁথে ছিল। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হলেও লিভারের তুলনায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণযোগ্য ছিল।
গত ১৮ আগস্ট এক জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ৮ পাউন্ড (৩.৬ কেজি) ওজনের রিউকে পৃথিবীতে আনা হয়। অস্ত্রোপচারের সময় সুজের সেই বিশাল সিস্টটিও অপসারণ করা হয়। অত্যধিক রক্তক্ষরণ হলেও চিকিৎসকদের দক্ষতায় সুজ এবং তাঁর সন্তান দুজনেই সুস্থভাবে ফিরে আসেন।
সুজের স্বামী অ্যান্ড্রু লোপেজ বলেন, ‘বাইরে শান্ত থাকলেও আমি ভেতরে-ভেতরে প্রার্থনা করছিলাম। যেকোনো মুহূর্তে স্ত্রী বা সন্তানকে হারানোর ভয় আমাকে তাড়া করছিল।’
বর্তমানে রিউ সম্পূর্ণ সুস্থ এবং প্রাণচঞ্চল। নিজের ১৮ বছর বয়সী বড় বোন কাইলার সঙ্গে তার খুনসুটি লেগেই থাকে। সামনেই রিউয়ের প্রথম বড়দিন। সুজ লোপেজ আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমি এখন অলৌকিক ঘটনায় বিশ্বাস করি। ঈশ্বর আমাদের জীবনের সেরা উপহারটি দিয়েছেন।’
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এই কেস এতই বিরল যে তাঁরা এটি একটি মেডিকেল জার্নালে প্রকাশের পরিকল্পনা করছেন।

মানবসমাজে পাখির ডিম প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই মূল্যবান খাদ্য হিসেবে সমাদৃত। মানুষের গুহাবাসী শিকারি সমাজ এবং আধুনিক সংস্কৃতিতে পাখি গৃহপালিত প্রাণীদের অন্যতম। ফলে ধারণা করাই যায়, মানুষ পাখির ডিম পছন্দ করত অতি প্রাচীনকাল থেকেই।
১৪ অক্টোবর ২০২২
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে শুরু করে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ঝগড়া—সবকিছুতেই এখন থেকে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের লিংক্যাং গ্রামের কমিটি এমন নিয়ম জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘গ্রামের নিয়মাবলি: সবাই সমান’ শিরোনামের একটি নোটিশ ভাইরাল হওয়ার...
১০ ঘণ্টা আগে
ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম
১ দিন আগে
তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম হাবারলারের বরাত দিয়ে হংকং থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এইচবি নামে এক নারী তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে মৌখিক অপমান এবং আর্থিক ভরণপোষণ না দেওয়ার অভিযোগ আনেন। ওই নারী আরও উল্লেখ করেন, তাঁর স্বামী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচুর সময় কাটাতেন এবং সেখানে নিয়মিত অন্য নারীদের ছবিতে, এমনকি প্রলুব্ধকর ছবিতেও ‘লাইক’ দিতেন। মাঝেমধ্যে তিনি ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যও করতেন।
এইচবি যুক্তি দেন, এই আচরণ তাঁর স্বামীর দাম্পত্য আনুগত্যের পরিপন্থী। তিনি বিবাহবিচ্ছেদের পাশাপাশি খোরপোশ ও ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করেন। স্বামী এসবি অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনিও পাল্টা বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন এবং দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী তাঁর বাবাকে অপমান করেছেন এবং অতিরিক্ত ঈর্ষাপরায়ণ। স্ত্রীর এসব অভিযোগ তাঁর সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
আদালত এই মামলায় স্বামীকেই বেশি দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেন। তাঁকে প্রতি মাসে ৭৫০ লিরা বা ২০ মার্কিন ডলার খোরপোশ এবং ৮০ হাজার লিরা ২ হাজার মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এসবি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দাবি করেন, এই পরিমাণ অনেক বেশি। কিন্তু আদালত তাঁর সেই আবেদন নাকচ করে দেন।
বিচারকেরা জানান, অন্য নারীদের ছবিতে ওই ব্যক্তির ‘লাইক’ দেওয়ার বিষয়টি বৈবাহিক বিশ্বাস ভেঙে দিয়েছে। তাঁরা মন্তব্য করেন, ‘অনলাইনে এই আপাত নিরীহ মিথস্ক্রিয়াগুলো মূলত মানসিক নিরাপত্তাহীনতা বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং সম্পর্কের ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে।’
তুর্কি আইনজীবী ইমামোগ্লু স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, এই রায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল যে অনলাইন কর্মকাণ্ড এখন বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় শক্তিশালী প্রমাণ হিসেবে গণ্য হবে। তিনি বলেন, ‘এখন থেকে স্ক্রিনশট, মেসেজ এবং সব ধরনের ডিজিটাল কার্যক্রম উভয় পক্ষের দোষ নির্ধারণে বিবেচনায় নেওয়া হবে। নাগরিকদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের সময় বিষয়টি মাথায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছি।’
এই মামলা অনলাইনে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘যদি একটি লাইক আপনার সম্পর্ক ধ্বংস করতে পারে, তবে আপনাদের বিয়ে কখনোই মজবুত ছিল না।’ অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, ‘এখন পরিচয় লুকিয়ে লাইক দেওয়ার ফিচার চালু করার সময় এসেছে।’ তবে তৃতীয় একজন ভিন্নমত পোষণ করে বলেন, ‘যদি অনলাইনে প্রতিটি লাইক বা ভিউকে অবিশ্বস্ততা হিসেবে দেখা হয়, তবে মানুষ সারাক্ষণ ভয়ে থাকবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হওয়া উচিত মতপ্রকাশের মুক্ত জায়গা।’
তুরস্কের আদালতে অদ্ভুত কারণে বিবাহবিচ্ছেদের রায় দেওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগে এক ব্যক্তিকে তাঁর সাবেক স্ত্রীকে ফোনের কন্টাক্ট লিস্টে ‘মোটু’ নামে সেভ করার জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যা অসম্মানজনক হিসেবে বিবেচিত হয়।

তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম হাবারলারের বরাত দিয়ে হংকং থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এইচবি নামে এক নারী তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে মৌখিক অপমান এবং আর্থিক ভরণপোষণ না দেওয়ার অভিযোগ আনেন। ওই নারী আরও উল্লেখ করেন, তাঁর স্বামী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচুর সময় কাটাতেন এবং সেখানে নিয়মিত অন্য নারীদের ছবিতে, এমনকি প্রলুব্ধকর ছবিতেও ‘লাইক’ দিতেন। মাঝেমধ্যে তিনি ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যও করতেন।
এইচবি যুক্তি দেন, এই আচরণ তাঁর স্বামীর দাম্পত্য আনুগত্যের পরিপন্থী। তিনি বিবাহবিচ্ছেদের পাশাপাশি খোরপোশ ও ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করেন। স্বামী এসবি অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনিও পাল্টা বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন এবং দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী তাঁর বাবাকে অপমান করেছেন এবং অতিরিক্ত ঈর্ষাপরায়ণ। স্ত্রীর এসব অভিযোগ তাঁর সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
আদালত এই মামলায় স্বামীকেই বেশি দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেন। তাঁকে প্রতি মাসে ৭৫০ লিরা বা ২০ মার্কিন ডলার খোরপোশ এবং ৮০ হাজার লিরা ২ হাজার মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এসবি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দাবি করেন, এই পরিমাণ অনেক বেশি। কিন্তু আদালত তাঁর সেই আবেদন নাকচ করে দেন।
বিচারকেরা জানান, অন্য নারীদের ছবিতে ওই ব্যক্তির ‘লাইক’ দেওয়ার বিষয়টি বৈবাহিক বিশ্বাস ভেঙে দিয়েছে। তাঁরা মন্তব্য করেন, ‘অনলাইনে এই আপাত নিরীহ মিথস্ক্রিয়াগুলো মূলত মানসিক নিরাপত্তাহীনতা বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং সম্পর্কের ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে।’
তুর্কি আইনজীবী ইমামোগ্লু স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, এই রায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল যে অনলাইন কর্মকাণ্ড এখন বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় শক্তিশালী প্রমাণ হিসেবে গণ্য হবে। তিনি বলেন, ‘এখন থেকে স্ক্রিনশট, মেসেজ এবং সব ধরনের ডিজিটাল কার্যক্রম উভয় পক্ষের দোষ নির্ধারণে বিবেচনায় নেওয়া হবে। নাগরিকদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের সময় বিষয়টি মাথায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছি।’
এই মামলা অনলাইনে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘যদি একটি লাইক আপনার সম্পর্ক ধ্বংস করতে পারে, তবে আপনাদের বিয়ে কখনোই মজবুত ছিল না।’ অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, ‘এখন পরিচয় লুকিয়ে লাইক দেওয়ার ফিচার চালু করার সময় এসেছে।’ তবে তৃতীয় একজন ভিন্নমত পোষণ করে বলেন, ‘যদি অনলাইনে প্রতিটি লাইক বা ভিউকে অবিশ্বস্ততা হিসেবে দেখা হয়, তবে মানুষ সারাক্ষণ ভয়ে থাকবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হওয়া উচিত মতপ্রকাশের মুক্ত জায়গা।’
তুরস্কের আদালতে অদ্ভুত কারণে বিবাহবিচ্ছেদের রায় দেওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগে এক ব্যক্তিকে তাঁর সাবেক স্ত্রীকে ফোনের কন্টাক্ট লিস্টে ‘মোটু’ নামে সেভ করার জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যা অসম্মানজনক হিসেবে বিবেচিত হয়।

মানবসমাজে পাখির ডিম প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই মূল্যবান খাদ্য হিসেবে সমাদৃত। মানুষের গুহাবাসী শিকারি সমাজ এবং আধুনিক সংস্কৃতিতে পাখি গৃহপালিত প্রাণীদের অন্যতম। ফলে ধারণা করাই যায়, মানুষ পাখির ডিম পছন্দ করত অতি প্রাচীনকাল থেকেই।
১৪ অক্টোবর ২০২২
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে শুরু করে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ঝগড়া—সবকিছুতেই এখন থেকে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের লিংক্যাং গ্রামের কমিটি এমন নিয়ম জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘গ্রামের নিয়মাবলি: সবাই সমান’ শিরোনামের একটি নোটিশ ভাইরাল হওয়ার...
১০ ঘণ্টা আগে
ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম
১ দিন আগে
ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
৩ দিন আগে