ল–র—ব—য—হ ডেস্ক

ডিমের ইতিহাস বড় বিচিত্র! স্তন্যপায়ী প্রাণীর জরায়ুতে শিশু জন্মের আগে বংশবিস্তারের মাধ্যম ছিল ডিম। ডাইনোসরের মতো বিরাটাকার প্রাণীও কিন্তু ডিম পাড়তো। ধারণা করা যায়, অন্য প্রাণীর খাদ্য হিসেবে ডিমের কদর সব সময়ই ছিল। তবে মানুষের মতো শিকারি প্রাণী ডিমকে কবে থেকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করল তার ইতিহাস জানা নেই।
প্রত্ন ও নৃতাত্ত্বিকেরা ধারণা করেন, মানবসমাজে পাখির ডিম প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই মূল্যবান খাদ্য হিসেবে সমাদৃত। মানুষের গুহাবাসী শিকারি সমাজ এবং আধুনিক সংস্কৃতিতে পাখি গৃহপালিত প্রাণীদের অন্যতম। ফলে ধারণা করাই যায়, মানুষ পাখির ডিম পছন্দ করত অতি প্রাচীনকাল থেকেই।
ঐতিহাসিকদের মতে, ৭ হাজার ৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দেরও আগে মুরগি সম্ভবত গৃহে পালন করা হতো মূলত ডিমের জন্য। এটির চল প্রথম শুরু হয় গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এবং উপক্রান্তীয় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ভারতীয় উপমহাদেশে। জঙ্গলের পাখি থেকে শান্ত সৌম্য মুরগি মানুষের বসতবাড়িতে স্থান পায়।
১ হাজার ৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যে গৃহপালিত পাখি হিসেবে মুরগি সুমের এবং মিসরে আনা হয়েছিল। ৮০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে এই পাখি গ্রিসে পৌঁছে। গ্রিসে তখন ডিমের প্রধান উৎস ছিল কোয়েল। মিসরের থিবেসে আনুমানিক ১ হাজার ৪২০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের সময়কার হারেমহাবের সমাধিতে একটি দেয়াল চিত্রে দেখা যায়, এক ব্যক্তি উটপাখির ডিম এবং সম্ভবত পেলিকান পাখির ডিম নৈবেদ্য হিসেবে থালায় বহন করছেন।
প্রাচীন রোমে ডিম সংরক্ষণের অনেক পদ্ধতি ছিল। এখানে প্রায়ই ডিমের কোর্স দিয়েই শুরু হতো খাবার। খাবার প্লেটে যেন কোনো অশুভ আত্মা ঘাপটি মেরে থাকতে না পারে সে জন্য রোমানেরা প্লেটে ডিমের খোসা ভাঙতো।
মধ্যযুগে রোমান ক্যাথলিক খ্রিষ্টানেরা ৪০ দিনের উপাসের (লেন্ট) সময় ডিম খেতেন না। এই সময়টিতে ডিম খাওয়া একেবারে নিষিদ্ধ ছিল। কারণ ডিমকে তখন অত্যন্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হতো।
অবশ্য ইতিহাস বলে, লেন্টের সময় ডিম বর্জন শুধুই ধর্মীয় রীতি থেকে অনুপ্রাণিত নয়। ডিম খাওয়ার একটি বার্ষিক বিরতিতে খামারিদের কিছু উপকার হতো। তাঁরা এই সময়টাতে ডিম দেওয়া পাখির পালকে কিছুটা সময় বিরতির সুযোগ দিতে পারতেন। তাছাড়া বছরের যে সময়টাতে খাদ্যসংকট থাকে তার জন্য আগে থেকে খাদ্য মজুত করারও একটি সুযোগ তৈরি হতো। তখন মুরগিকে কম খাবার দিয়ে সাশ্রয় করতেন খামারিরা।
টক ফলের রস দিয়ে মাখানো ডিম সপ্তদশ শতাব্দীতে ফ্রান্সে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ডিশ ছিল। এই খাদ্য রীতি থেকেই সম্ভবত লেবু–দই–এর উৎপত্তি হয়েছে।
ইউরোপ–আমেরিকায় হিমায়িত ডিম শিল্পের উত্থানের আগে ঊনবিংশ শতাব্দীতে শুকনো ডিম শিল্পের বিকাশ ঘটে। ১৮৭৮ সালে মিসৌরির সেন্ট লুইসে একটি কোম্পানি ডিম শুকানোর বিশেষ প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করে। তারা ডিমের কুসুম এবং সাদা অংশকে হালকা-বাদামি রঙের তৈরি খাবারের মতো পদার্থে রূপান্তর করতে সক্ষম হয়। এটি তারা বাজারজাত করলে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনী এবং মিত্রদের খাবারের জন্য শুকনো ডিমের উৎপাদন ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়।
১৯১১ সালে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার স্মিথার্সে জোসেফ কোয়েল নামে এক ব্যক্তি ডিম বহন ও সংরক্ষণের জন্য বিশেষ কার্টন উদ্ভাবন করেন। বর্তমানে প্লাস্টিক বা অন্যান্য পলিমারের নরম যে কার্টন বাজারে পাওয়া যায় সেটিরই পথিকৃৎ তিনি। মূলত ভাঙা ডিম নিয়ে একজন কৃষক বা খামারি এবং হোটেল মালিকের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তি করতেই জোসেফ এই কার্টন উদ্ভাবন করেন।
শুরু দিকে ডিমের কার্টন তৈরি করা হতো কাগজ দিয়ে। বিংশ শতাব্দীর শেষার্ধে পলিস্টাইরিন দিয়ে তৈরি কার্টন জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, কারণ তাপ এবং ভাঙার হাত রক্ষা করার জন্য খুবই উপযুক্ত এসব কার্টন। তবে একবিংশ শতাব্দীতে পরিবেশ দূষণের কথা বিবেচনা করে সহজে পচে যায় এমন বা পুনর্ব্যবহার যোগ্য উপাদানে তৈরি কার্টন বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
এশীয় বন্য মুরগি থেকে গৃহপালিত মুরগির উদ্ভব। প্রতি বছর প্রজনন ঋতুতে প্রায় এক ডজন ডিম দেয় এরা। তবে কয়েক হাজার বছর ধরে ‘বাছাই প্রজননের’ মাধ্যমে মানুষ তাদের চাহিদা অনুযায়ী আধুনিক গৃহপালিত মুরগির জাত উদ্ভাবন করেছে। কিছু মুরগি মাংসের জন্য, আর কিছু জাত তৈরি করা হয়েছে ডিমের জন্য। উন্নত জাতের মুরগি এখন বছরে তিন শতাধিক ডিম পাড়তে সক্ষম। শুধু তাই নয়, এরা সারা বছর ডিম দিতে পারে।
পাখির ডিম এখন একটি সাধারণ খাবার। রান্নায় ব্যবহৃত সবচেয়ে বহুমুখী উপাদানগুলোর মধ্যে একটি হলো ডিম। আধুনিক খাদ্য শিল্পের অনেক শাখায় গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হয়ে উঠেছে ডিম।
সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত পাখির ডিম হলো মুরগি, হাঁস এবং রাজহাঁসের ডিম। ছোট ডিম, যেমন—কোয়েলের ডিম, পশ্চিমা দেশগুলোতে মূল খাবারের সঙ্গে অলংকার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এশিয়ার অনেক অঞ্চলে ডিম একটি সাধারণ দৈনন্দিন খাদ্য, যেমন—চীন এবং থাইল্যান্ড। মজার ব্যাপার হলো, ২০১৩ সালের হিসাবে এশিয়াতে ডিমের উৎপাদন ছিল বিশ্বের মোট ৫৯ শতাংশ।
সবচেয়ে বড় পাখির ডিম হলো উটপাখির ডিম। এটি অবশ্য বিলাসবহুল খাবার হিসেবেই পরিবেশন করা হয়। গালের ডিম (শঙ্খচিল), ইংল্যান্ডের পাশাপাশি কিছু স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ, বিশেষ করে নরওয়েতে উপাদেয় খাবার হিসেবে বিবেচিত হয়। আফ্রিকার কিছু দেশে গিনিফাউলের ডিম প্রায়ই বাজারে দেখা যায়, বিশেষ করে প্রতি বছরের বসন্তে এই ডিম বেশি পাওয়া যায়। তিতিরের ডিম এবং ইমু পাখির ডিমও খাওয়া হয়। তবে ব্যাপকভাবে পাওয়া যায় না। অনেক দেশে, বন্যপাখির ডিম বাজারে বিক্রি এবং খাওয়া নিষিদ্ধ। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে এটি অন্তর্ভুক্ত। আবার কিছু দেশে বছরের নির্দিষ্ট সময়ে ডিম বেচাকেনা ও খাওয়ার বৈধতা আছে।
২০১৭ সালে মুরগির ডিমের বৈশ্বিক উৎপাদন ছিল ৮০ দশমিক ১ মিলিয়ন টন। বৃহত্তম উৎপাদক ছিল চীন—এই দেশের উৎপাদন ছিল ৩১ দশমিক ৩ মিলিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ৬ দশমিক ৩ মিলিয়ন, ভারত ৪ দশমিক ৮ মিলিয়ন, মেক্সিকো ২ দশমিক ৮ মিলিয়ন, জাপান ২ দশমিক ৬ মিলিয়ন এবং ব্রাজিল ও রাশিয়া প্রত্যেকে ২ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন। গড় হিসাবে একটি বড়সড় ডিম কারখানা প্রতি সপ্তাহে ১০ লাখ ডজন ডিম পাঠায়।
২০১৯ সালের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র ৯ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডিম উৎপাদন করেছে। এর মধ্যে ৮ দশমিক ২ বিলিয়ন খাওয়া হয়েছে এবং বাচ্চা ফুটানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন। ২০১৯ সালে আমেরিকানরা প্রত্যেকে ডিম খেয়েছে ২৭৯টি ডিম। ১৯৭৩ সালের এটিই সর্বোচ্চ ডিম ভক্ষণ। অবশ্য ১৯৪৫ সালে আমেরিকানরা জনপ্রতি ডিম খেয়েছে ৪০৫ টির কিছু কম।
ডিমের গুণমান পরীক্ষা একটি সহজ পরীক্ষা আছে। বাজার গেলে প্রায় সবাই এই কৌশলটি ব্যবহার করেন—ডিমটিকে আলোর বিপরীতে ধরা। বড় বড় খামার ও কারখানায়ও একই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। সাধারণত মোমবাতির বিপরীতে ধরে মান পরীক্ষা করা হয়। মূলত বায়ু কোষের আকার বোঝার চেষ্টা করা হয়। সেই সঙ্গে ডিমটি নিষিক্ত কি না সেটিও বোঝা যায়। নিষিক্ত হলে আলোর বিপরীতে ভ্রূণের উপস্থিতি শনাক্ত করা যায়। অনেক দেশের নিয়ম অনুযায়ী, ডিম ধুয়ে পরিষ্কার করে এরপর বাক্সে ভরা হয়। অবশ্য এতে ডিম বেশি দিন সতেজ থাকে না।
ডিমের ভেতর দিয়ে আলো প্রবেশ করলে সেটি তাজা। বায়ু কোষ বা কুঠুরী যত বড় ডিমের বয়স তত বেশি। তাজা ডিমে কিন্তু কুসুম সেভাবে নড়াচড়া করে না কারণ বায়ু কুঠুরি তখন খুব ছোট থাকে। বেশি দিন হয়ে যাওয়া ডিমের কুসুম বেশ সহজেই নড়াচড়া করবে।

ডিমের ইতিহাস বড় বিচিত্র! স্তন্যপায়ী প্রাণীর জরায়ুতে শিশু জন্মের আগে বংশবিস্তারের মাধ্যম ছিল ডিম। ডাইনোসরের মতো বিরাটাকার প্রাণীও কিন্তু ডিম পাড়তো। ধারণা করা যায়, অন্য প্রাণীর খাদ্য হিসেবে ডিমের কদর সব সময়ই ছিল। তবে মানুষের মতো শিকারি প্রাণী ডিমকে কবে থেকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করল তার ইতিহাস জানা নেই।
প্রত্ন ও নৃতাত্ত্বিকেরা ধারণা করেন, মানবসমাজে পাখির ডিম প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই মূল্যবান খাদ্য হিসেবে সমাদৃত। মানুষের গুহাবাসী শিকারি সমাজ এবং আধুনিক সংস্কৃতিতে পাখি গৃহপালিত প্রাণীদের অন্যতম। ফলে ধারণা করাই যায়, মানুষ পাখির ডিম পছন্দ করত অতি প্রাচীনকাল থেকেই।
ঐতিহাসিকদের মতে, ৭ হাজার ৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দেরও আগে মুরগি সম্ভবত গৃহে পালন করা হতো মূলত ডিমের জন্য। এটির চল প্রথম শুরু হয় গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এবং উপক্রান্তীয় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ভারতীয় উপমহাদেশে। জঙ্গলের পাখি থেকে শান্ত সৌম্য মুরগি মানুষের বসতবাড়িতে স্থান পায়।
১ হাজার ৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যে গৃহপালিত পাখি হিসেবে মুরগি সুমের এবং মিসরে আনা হয়েছিল। ৮০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে এই পাখি গ্রিসে পৌঁছে। গ্রিসে তখন ডিমের প্রধান উৎস ছিল কোয়েল। মিসরের থিবেসে আনুমানিক ১ হাজার ৪২০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের সময়কার হারেমহাবের সমাধিতে একটি দেয়াল চিত্রে দেখা যায়, এক ব্যক্তি উটপাখির ডিম এবং সম্ভবত পেলিকান পাখির ডিম নৈবেদ্য হিসেবে থালায় বহন করছেন।
প্রাচীন রোমে ডিম সংরক্ষণের অনেক পদ্ধতি ছিল। এখানে প্রায়ই ডিমের কোর্স দিয়েই শুরু হতো খাবার। খাবার প্লেটে যেন কোনো অশুভ আত্মা ঘাপটি মেরে থাকতে না পারে সে জন্য রোমানেরা প্লেটে ডিমের খোসা ভাঙতো।
মধ্যযুগে রোমান ক্যাথলিক খ্রিষ্টানেরা ৪০ দিনের উপাসের (লেন্ট) সময় ডিম খেতেন না। এই সময়টিতে ডিম খাওয়া একেবারে নিষিদ্ধ ছিল। কারণ ডিমকে তখন অত্যন্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হতো।
অবশ্য ইতিহাস বলে, লেন্টের সময় ডিম বর্জন শুধুই ধর্মীয় রীতি থেকে অনুপ্রাণিত নয়। ডিম খাওয়ার একটি বার্ষিক বিরতিতে খামারিদের কিছু উপকার হতো। তাঁরা এই সময়টাতে ডিম দেওয়া পাখির পালকে কিছুটা সময় বিরতির সুযোগ দিতে পারতেন। তাছাড়া বছরের যে সময়টাতে খাদ্যসংকট থাকে তার জন্য আগে থেকে খাদ্য মজুত করারও একটি সুযোগ তৈরি হতো। তখন মুরগিকে কম খাবার দিয়ে সাশ্রয় করতেন খামারিরা।
টক ফলের রস দিয়ে মাখানো ডিম সপ্তদশ শতাব্দীতে ফ্রান্সে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ডিশ ছিল। এই খাদ্য রীতি থেকেই সম্ভবত লেবু–দই–এর উৎপত্তি হয়েছে।
ইউরোপ–আমেরিকায় হিমায়িত ডিম শিল্পের উত্থানের আগে ঊনবিংশ শতাব্দীতে শুকনো ডিম শিল্পের বিকাশ ঘটে। ১৮৭৮ সালে মিসৌরির সেন্ট লুইসে একটি কোম্পানি ডিম শুকানোর বিশেষ প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করে। তারা ডিমের কুসুম এবং সাদা অংশকে হালকা-বাদামি রঙের তৈরি খাবারের মতো পদার্থে রূপান্তর করতে সক্ষম হয়। এটি তারা বাজারজাত করলে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনী এবং মিত্রদের খাবারের জন্য শুকনো ডিমের উৎপাদন ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়।
১৯১১ সালে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার স্মিথার্সে জোসেফ কোয়েল নামে এক ব্যক্তি ডিম বহন ও সংরক্ষণের জন্য বিশেষ কার্টন উদ্ভাবন করেন। বর্তমানে প্লাস্টিক বা অন্যান্য পলিমারের নরম যে কার্টন বাজারে পাওয়া যায় সেটিরই পথিকৃৎ তিনি। মূলত ভাঙা ডিম নিয়ে একজন কৃষক বা খামারি এবং হোটেল মালিকের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তি করতেই জোসেফ এই কার্টন উদ্ভাবন করেন।
শুরু দিকে ডিমের কার্টন তৈরি করা হতো কাগজ দিয়ে। বিংশ শতাব্দীর শেষার্ধে পলিস্টাইরিন দিয়ে তৈরি কার্টন জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, কারণ তাপ এবং ভাঙার হাত রক্ষা করার জন্য খুবই উপযুক্ত এসব কার্টন। তবে একবিংশ শতাব্দীতে পরিবেশ দূষণের কথা বিবেচনা করে সহজে পচে যায় এমন বা পুনর্ব্যবহার যোগ্য উপাদানে তৈরি কার্টন বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
এশীয় বন্য মুরগি থেকে গৃহপালিত মুরগির উদ্ভব। প্রতি বছর প্রজনন ঋতুতে প্রায় এক ডজন ডিম দেয় এরা। তবে কয়েক হাজার বছর ধরে ‘বাছাই প্রজননের’ মাধ্যমে মানুষ তাদের চাহিদা অনুযায়ী আধুনিক গৃহপালিত মুরগির জাত উদ্ভাবন করেছে। কিছু মুরগি মাংসের জন্য, আর কিছু জাত তৈরি করা হয়েছে ডিমের জন্য। উন্নত জাতের মুরগি এখন বছরে তিন শতাধিক ডিম পাড়তে সক্ষম। শুধু তাই নয়, এরা সারা বছর ডিম দিতে পারে।
পাখির ডিম এখন একটি সাধারণ খাবার। রান্নায় ব্যবহৃত সবচেয়ে বহুমুখী উপাদানগুলোর মধ্যে একটি হলো ডিম। আধুনিক খাদ্য শিল্পের অনেক শাখায় গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হয়ে উঠেছে ডিম।
সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত পাখির ডিম হলো মুরগি, হাঁস এবং রাজহাঁসের ডিম। ছোট ডিম, যেমন—কোয়েলের ডিম, পশ্চিমা দেশগুলোতে মূল খাবারের সঙ্গে অলংকার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এশিয়ার অনেক অঞ্চলে ডিম একটি সাধারণ দৈনন্দিন খাদ্য, যেমন—চীন এবং থাইল্যান্ড। মজার ব্যাপার হলো, ২০১৩ সালের হিসাবে এশিয়াতে ডিমের উৎপাদন ছিল বিশ্বের মোট ৫৯ শতাংশ।
সবচেয়ে বড় পাখির ডিম হলো উটপাখির ডিম। এটি অবশ্য বিলাসবহুল খাবার হিসেবেই পরিবেশন করা হয়। গালের ডিম (শঙ্খচিল), ইংল্যান্ডের পাশাপাশি কিছু স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ, বিশেষ করে নরওয়েতে উপাদেয় খাবার হিসেবে বিবেচিত হয়। আফ্রিকার কিছু দেশে গিনিফাউলের ডিম প্রায়ই বাজারে দেখা যায়, বিশেষ করে প্রতি বছরের বসন্তে এই ডিম বেশি পাওয়া যায়। তিতিরের ডিম এবং ইমু পাখির ডিমও খাওয়া হয়। তবে ব্যাপকভাবে পাওয়া যায় না। অনেক দেশে, বন্যপাখির ডিম বাজারে বিক্রি এবং খাওয়া নিষিদ্ধ। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে এটি অন্তর্ভুক্ত। আবার কিছু দেশে বছরের নির্দিষ্ট সময়ে ডিম বেচাকেনা ও খাওয়ার বৈধতা আছে।
২০১৭ সালে মুরগির ডিমের বৈশ্বিক উৎপাদন ছিল ৮০ দশমিক ১ মিলিয়ন টন। বৃহত্তম উৎপাদক ছিল চীন—এই দেশের উৎপাদন ছিল ৩১ দশমিক ৩ মিলিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ৬ দশমিক ৩ মিলিয়ন, ভারত ৪ দশমিক ৮ মিলিয়ন, মেক্সিকো ২ দশমিক ৮ মিলিয়ন, জাপান ২ দশমিক ৬ মিলিয়ন এবং ব্রাজিল ও রাশিয়া প্রত্যেকে ২ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন। গড় হিসাবে একটি বড়সড় ডিম কারখানা প্রতি সপ্তাহে ১০ লাখ ডজন ডিম পাঠায়।
২০১৯ সালের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র ৯ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডিম উৎপাদন করেছে। এর মধ্যে ৮ দশমিক ২ বিলিয়ন খাওয়া হয়েছে এবং বাচ্চা ফুটানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন। ২০১৯ সালে আমেরিকানরা প্রত্যেকে ডিম খেয়েছে ২৭৯টি ডিম। ১৯৭৩ সালের এটিই সর্বোচ্চ ডিম ভক্ষণ। অবশ্য ১৯৪৫ সালে আমেরিকানরা জনপ্রতি ডিম খেয়েছে ৪০৫ টির কিছু কম।
ডিমের গুণমান পরীক্ষা একটি সহজ পরীক্ষা আছে। বাজার গেলে প্রায় সবাই এই কৌশলটি ব্যবহার করেন—ডিমটিকে আলোর বিপরীতে ধরা। বড় বড় খামার ও কারখানায়ও একই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। সাধারণত মোমবাতির বিপরীতে ধরে মান পরীক্ষা করা হয়। মূলত বায়ু কোষের আকার বোঝার চেষ্টা করা হয়। সেই সঙ্গে ডিমটি নিষিক্ত কি না সেটিও বোঝা যায়। নিষিক্ত হলে আলোর বিপরীতে ভ্রূণের উপস্থিতি শনাক্ত করা যায়। অনেক দেশের নিয়ম অনুযায়ী, ডিম ধুয়ে পরিষ্কার করে এরপর বাক্সে ভরা হয়। অবশ্য এতে ডিম বেশি দিন সতেজ থাকে না।
ডিমের ভেতর দিয়ে আলো প্রবেশ করলে সেটি তাজা। বায়ু কোষ বা কুঠুরী যত বড় ডিমের বয়স তত বেশি। তাজা ডিমে কিন্তু কুসুম সেভাবে নড়াচড়া করে না কারণ বায়ু কুঠুরি তখন খুব ছোট থাকে। বেশি দিন হয়ে যাওয়া ডিমের কুসুম বেশ সহজেই নড়াচড়া করবে।
ল–র—ব—য—হ ডেস্ক

ডিমের ইতিহাস বড় বিচিত্র! স্তন্যপায়ী প্রাণীর জরায়ুতে শিশু জন্মের আগে বংশবিস্তারের মাধ্যম ছিল ডিম। ডাইনোসরের মতো বিরাটাকার প্রাণীও কিন্তু ডিম পাড়তো। ধারণা করা যায়, অন্য প্রাণীর খাদ্য হিসেবে ডিমের কদর সব সময়ই ছিল। তবে মানুষের মতো শিকারি প্রাণী ডিমকে কবে থেকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করল তার ইতিহাস জানা নেই।
প্রত্ন ও নৃতাত্ত্বিকেরা ধারণা করেন, মানবসমাজে পাখির ডিম প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই মূল্যবান খাদ্য হিসেবে সমাদৃত। মানুষের গুহাবাসী শিকারি সমাজ এবং আধুনিক সংস্কৃতিতে পাখি গৃহপালিত প্রাণীদের অন্যতম। ফলে ধারণা করাই যায়, মানুষ পাখির ডিম পছন্দ করত অতি প্রাচীনকাল থেকেই।
ঐতিহাসিকদের মতে, ৭ হাজার ৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দেরও আগে মুরগি সম্ভবত গৃহে পালন করা হতো মূলত ডিমের জন্য। এটির চল প্রথম শুরু হয় গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এবং উপক্রান্তীয় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ভারতীয় উপমহাদেশে। জঙ্গলের পাখি থেকে শান্ত সৌম্য মুরগি মানুষের বসতবাড়িতে স্থান পায়।
১ হাজার ৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যে গৃহপালিত পাখি হিসেবে মুরগি সুমের এবং মিসরে আনা হয়েছিল। ৮০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে এই পাখি গ্রিসে পৌঁছে। গ্রিসে তখন ডিমের প্রধান উৎস ছিল কোয়েল। মিসরের থিবেসে আনুমানিক ১ হাজার ৪২০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের সময়কার হারেমহাবের সমাধিতে একটি দেয়াল চিত্রে দেখা যায়, এক ব্যক্তি উটপাখির ডিম এবং সম্ভবত পেলিকান পাখির ডিম নৈবেদ্য হিসেবে থালায় বহন করছেন।
প্রাচীন রোমে ডিম সংরক্ষণের অনেক পদ্ধতি ছিল। এখানে প্রায়ই ডিমের কোর্স দিয়েই শুরু হতো খাবার। খাবার প্লেটে যেন কোনো অশুভ আত্মা ঘাপটি মেরে থাকতে না পারে সে জন্য রোমানেরা প্লেটে ডিমের খোসা ভাঙতো।
মধ্যযুগে রোমান ক্যাথলিক খ্রিষ্টানেরা ৪০ দিনের উপাসের (লেন্ট) সময় ডিম খেতেন না। এই সময়টিতে ডিম খাওয়া একেবারে নিষিদ্ধ ছিল। কারণ ডিমকে তখন অত্যন্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হতো।
অবশ্য ইতিহাস বলে, লেন্টের সময় ডিম বর্জন শুধুই ধর্মীয় রীতি থেকে অনুপ্রাণিত নয়। ডিম খাওয়ার একটি বার্ষিক বিরতিতে খামারিদের কিছু উপকার হতো। তাঁরা এই সময়টাতে ডিম দেওয়া পাখির পালকে কিছুটা সময় বিরতির সুযোগ দিতে পারতেন। তাছাড়া বছরের যে সময়টাতে খাদ্যসংকট থাকে তার জন্য আগে থেকে খাদ্য মজুত করারও একটি সুযোগ তৈরি হতো। তখন মুরগিকে কম খাবার দিয়ে সাশ্রয় করতেন খামারিরা।
টক ফলের রস দিয়ে মাখানো ডিম সপ্তদশ শতাব্দীতে ফ্রান্সে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ডিশ ছিল। এই খাদ্য রীতি থেকেই সম্ভবত লেবু–দই–এর উৎপত্তি হয়েছে।
ইউরোপ–আমেরিকায় হিমায়িত ডিম শিল্পের উত্থানের আগে ঊনবিংশ শতাব্দীতে শুকনো ডিম শিল্পের বিকাশ ঘটে। ১৮৭৮ সালে মিসৌরির সেন্ট লুইসে একটি কোম্পানি ডিম শুকানোর বিশেষ প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করে। তারা ডিমের কুসুম এবং সাদা অংশকে হালকা-বাদামি রঙের তৈরি খাবারের মতো পদার্থে রূপান্তর করতে সক্ষম হয়। এটি তারা বাজারজাত করলে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনী এবং মিত্রদের খাবারের জন্য শুকনো ডিমের উৎপাদন ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়।
১৯১১ সালে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার স্মিথার্সে জোসেফ কোয়েল নামে এক ব্যক্তি ডিম বহন ও সংরক্ষণের জন্য বিশেষ কার্টন উদ্ভাবন করেন। বর্তমানে প্লাস্টিক বা অন্যান্য পলিমারের নরম যে কার্টন বাজারে পাওয়া যায় সেটিরই পথিকৃৎ তিনি। মূলত ভাঙা ডিম নিয়ে একজন কৃষক বা খামারি এবং হোটেল মালিকের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তি করতেই জোসেফ এই কার্টন উদ্ভাবন করেন।
শুরু দিকে ডিমের কার্টন তৈরি করা হতো কাগজ দিয়ে। বিংশ শতাব্দীর শেষার্ধে পলিস্টাইরিন দিয়ে তৈরি কার্টন জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, কারণ তাপ এবং ভাঙার হাত রক্ষা করার জন্য খুবই উপযুক্ত এসব কার্টন। তবে একবিংশ শতাব্দীতে পরিবেশ দূষণের কথা বিবেচনা করে সহজে পচে যায় এমন বা পুনর্ব্যবহার যোগ্য উপাদানে তৈরি কার্টন বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
এশীয় বন্য মুরগি থেকে গৃহপালিত মুরগির উদ্ভব। প্রতি বছর প্রজনন ঋতুতে প্রায় এক ডজন ডিম দেয় এরা। তবে কয়েক হাজার বছর ধরে ‘বাছাই প্রজননের’ মাধ্যমে মানুষ তাদের চাহিদা অনুযায়ী আধুনিক গৃহপালিত মুরগির জাত উদ্ভাবন করেছে। কিছু মুরগি মাংসের জন্য, আর কিছু জাত তৈরি করা হয়েছে ডিমের জন্য। উন্নত জাতের মুরগি এখন বছরে তিন শতাধিক ডিম পাড়তে সক্ষম। শুধু তাই নয়, এরা সারা বছর ডিম দিতে পারে।
পাখির ডিম এখন একটি সাধারণ খাবার। রান্নায় ব্যবহৃত সবচেয়ে বহুমুখী উপাদানগুলোর মধ্যে একটি হলো ডিম। আধুনিক খাদ্য শিল্পের অনেক শাখায় গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হয়ে উঠেছে ডিম।
সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত পাখির ডিম হলো মুরগি, হাঁস এবং রাজহাঁসের ডিম। ছোট ডিম, যেমন—কোয়েলের ডিম, পশ্চিমা দেশগুলোতে মূল খাবারের সঙ্গে অলংকার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এশিয়ার অনেক অঞ্চলে ডিম একটি সাধারণ দৈনন্দিন খাদ্য, যেমন—চীন এবং থাইল্যান্ড। মজার ব্যাপার হলো, ২০১৩ সালের হিসাবে এশিয়াতে ডিমের উৎপাদন ছিল বিশ্বের মোট ৫৯ শতাংশ।
সবচেয়ে বড় পাখির ডিম হলো উটপাখির ডিম। এটি অবশ্য বিলাসবহুল খাবার হিসেবেই পরিবেশন করা হয়। গালের ডিম (শঙ্খচিল), ইংল্যান্ডের পাশাপাশি কিছু স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ, বিশেষ করে নরওয়েতে উপাদেয় খাবার হিসেবে বিবেচিত হয়। আফ্রিকার কিছু দেশে গিনিফাউলের ডিম প্রায়ই বাজারে দেখা যায়, বিশেষ করে প্রতি বছরের বসন্তে এই ডিম বেশি পাওয়া যায়। তিতিরের ডিম এবং ইমু পাখির ডিমও খাওয়া হয়। তবে ব্যাপকভাবে পাওয়া যায় না। অনেক দেশে, বন্যপাখির ডিম বাজারে বিক্রি এবং খাওয়া নিষিদ্ধ। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে এটি অন্তর্ভুক্ত। আবার কিছু দেশে বছরের নির্দিষ্ট সময়ে ডিম বেচাকেনা ও খাওয়ার বৈধতা আছে।
২০১৭ সালে মুরগির ডিমের বৈশ্বিক উৎপাদন ছিল ৮০ দশমিক ১ মিলিয়ন টন। বৃহত্তম উৎপাদক ছিল চীন—এই দেশের উৎপাদন ছিল ৩১ দশমিক ৩ মিলিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ৬ দশমিক ৩ মিলিয়ন, ভারত ৪ দশমিক ৮ মিলিয়ন, মেক্সিকো ২ দশমিক ৮ মিলিয়ন, জাপান ২ দশমিক ৬ মিলিয়ন এবং ব্রাজিল ও রাশিয়া প্রত্যেকে ২ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন। গড় হিসাবে একটি বড়সড় ডিম কারখানা প্রতি সপ্তাহে ১০ লাখ ডজন ডিম পাঠায়।
২০১৯ সালের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র ৯ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডিম উৎপাদন করেছে। এর মধ্যে ৮ দশমিক ২ বিলিয়ন খাওয়া হয়েছে এবং বাচ্চা ফুটানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন। ২০১৯ সালে আমেরিকানরা প্রত্যেকে ডিম খেয়েছে ২৭৯টি ডিম। ১৯৭৩ সালের এটিই সর্বোচ্চ ডিম ভক্ষণ। অবশ্য ১৯৪৫ সালে আমেরিকানরা জনপ্রতি ডিম খেয়েছে ৪০৫ টির কিছু কম।
ডিমের গুণমান পরীক্ষা একটি সহজ পরীক্ষা আছে। বাজার গেলে প্রায় সবাই এই কৌশলটি ব্যবহার করেন—ডিমটিকে আলোর বিপরীতে ধরা। বড় বড় খামার ও কারখানায়ও একই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। সাধারণত মোমবাতির বিপরীতে ধরে মান পরীক্ষা করা হয়। মূলত বায়ু কোষের আকার বোঝার চেষ্টা করা হয়। সেই সঙ্গে ডিমটি নিষিক্ত কি না সেটিও বোঝা যায়। নিষিক্ত হলে আলোর বিপরীতে ভ্রূণের উপস্থিতি শনাক্ত করা যায়। অনেক দেশের নিয়ম অনুযায়ী, ডিম ধুয়ে পরিষ্কার করে এরপর বাক্সে ভরা হয়। অবশ্য এতে ডিম বেশি দিন সতেজ থাকে না।
ডিমের ভেতর দিয়ে আলো প্রবেশ করলে সেটি তাজা। বায়ু কোষ বা কুঠুরী যত বড় ডিমের বয়স তত বেশি। তাজা ডিমে কিন্তু কুসুম সেভাবে নড়াচড়া করে না কারণ বায়ু কুঠুরি তখন খুব ছোট থাকে। বেশি দিন হয়ে যাওয়া ডিমের কুসুম বেশ সহজেই নড়াচড়া করবে।

ডিমের ইতিহাস বড় বিচিত্র! স্তন্যপায়ী প্রাণীর জরায়ুতে শিশু জন্মের আগে বংশবিস্তারের মাধ্যম ছিল ডিম। ডাইনোসরের মতো বিরাটাকার প্রাণীও কিন্তু ডিম পাড়তো। ধারণা করা যায়, অন্য প্রাণীর খাদ্য হিসেবে ডিমের কদর সব সময়ই ছিল। তবে মানুষের মতো শিকারি প্রাণী ডিমকে কবে থেকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করল তার ইতিহাস জানা নেই।
প্রত্ন ও নৃতাত্ত্বিকেরা ধারণা করেন, মানবসমাজে পাখির ডিম প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই মূল্যবান খাদ্য হিসেবে সমাদৃত। মানুষের গুহাবাসী শিকারি সমাজ এবং আধুনিক সংস্কৃতিতে পাখি গৃহপালিত প্রাণীদের অন্যতম। ফলে ধারণা করাই যায়, মানুষ পাখির ডিম পছন্দ করত অতি প্রাচীনকাল থেকেই।
ঐতিহাসিকদের মতে, ৭ হাজার ৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দেরও আগে মুরগি সম্ভবত গৃহে পালন করা হতো মূলত ডিমের জন্য। এটির চল প্রথম শুরু হয় গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এবং উপক্রান্তীয় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ভারতীয় উপমহাদেশে। জঙ্গলের পাখি থেকে শান্ত সৌম্য মুরগি মানুষের বসতবাড়িতে স্থান পায়।
১ হাজার ৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যে গৃহপালিত পাখি হিসেবে মুরগি সুমের এবং মিসরে আনা হয়েছিল। ৮০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে এই পাখি গ্রিসে পৌঁছে। গ্রিসে তখন ডিমের প্রধান উৎস ছিল কোয়েল। মিসরের থিবেসে আনুমানিক ১ হাজার ৪২০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের সময়কার হারেমহাবের সমাধিতে একটি দেয়াল চিত্রে দেখা যায়, এক ব্যক্তি উটপাখির ডিম এবং সম্ভবত পেলিকান পাখির ডিম নৈবেদ্য হিসেবে থালায় বহন করছেন।
প্রাচীন রোমে ডিম সংরক্ষণের অনেক পদ্ধতি ছিল। এখানে প্রায়ই ডিমের কোর্স দিয়েই শুরু হতো খাবার। খাবার প্লেটে যেন কোনো অশুভ আত্মা ঘাপটি মেরে থাকতে না পারে সে জন্য রোমানেরা প্লেটে ডিমের খোসা ভাঙতো।
মধ্যযুগে রোমান ক্যাথলিক খ্রিষ্টানেরা ৪০ দিনের উপাসের (লেন্ট) সময় ডিম খেতেন না। এই সময়টিতে ডিম খাওয়া একেবারে নিষিদ্ধ ছিল। কারণ ডিমকে তখন অত্যন্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হতো।
অবশ্য ইতিহাস বলে, লেন্টের সময় ডিম বর্জন শুধুই ধর্মীয় রীতি থেকে অনুপ্রাণিত নয়। ডিম খাওয়ার একটি বার্ষিক বিরতিতে খামারিদের কিছু উপকার হতো। তাঁরা এই সময়টাতে ডিম দেওয়া পাখির পালকে কিছুটা সময় বিরতির সুযোগ দিতে পারতেন। তাছাড়া বছরের যে সময়টাতে খাদ্যসংকট থাকে তার জন্য আগে থেকে খাদ্য মজুত করারও একটি সুযোগ তৈরি হতো। তখন মুরগিকে কম খাবার দিয়ে সাশ্রয় করতেন খামারিরা।
টক ফলের রস দিয়ে মাখানো ডিম সপ্তদশ শতাব্দীতে ফ্রান্সে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ডিশ ছিল। এই খাদ্য রীতি থেকেই সম্ভবত লেবু–দই–এর উৎপত্তি হয়েছে।
ইউরোপ–আমেরিকায় হিমায়িত ডিম শিল্পের উত্থানের আগে ঊনবিংশ শতাব্দীতে শুকনো ডিম শিল্পের বিকাশ ঘটে। ১৮৭৮ সালে মিসৌরির সেন্ট লুইসে একটি কোম্পানি ডিম শুকানোর বিশেষ প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করে। তারা ডিমের কুসুম এবং সাদা অংশকে হালকা-বাদামি রঙের তৈরি খাবারের মতো পদার্থে রূপান্তর করতে সক্ষম হয়। এটি তারা বাজারজাত করলে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনী এবং মিত্রদের খাবারের জন্য শুকনো ডিমের উৎপাদন ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়।
১৯১১ সালে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার স্মিথার্সে জোসেফ কোয়েল নামে এক ব্যক্তি ডিম বহন ও সংরক্ষণের জন্য বিশেষ কার্টন উদ্ভাবন করেন। বর্তমানে প্লাস্টিক বা অন্যান্য পলিমারের নরম যে কার্টন বাজারে পাওয়া যায় সেটিরই পথিকৃৎ তিনি। মূলত ভাঙা ডিম নিয়ে একজন কৃষক বা খামারি এবং হোটেল মালিকের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তি করতেই জোসেফ এই কার্টন উদ্ভাবন করেন।
শুরু দিকে ডিমের কার্টন তৈরি করা হতো কাগজ দিয়ে। বিংশ শতাব্দীর শেষার্ধে পলিস্টাইরিন দিয়ে তৈরি কার্টন জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, কারণ তাপ এবং ভাঙার হাত রক্ষা করার জন্য খুবই উপযুক্ত এসব কার্টন। তবে একবিংশ শতাব্দীতে পরিবেশ দূষণের কথা বিবেচনা করে সহজে পচে যায় এমন বা পুনর্ব্যবহার যোগ্য উপাদানে তৈরি কার্টন বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
এশীয় বন্য মুরগি থেকে গৃহপালিত মুরগির উদ্ভব। প্রতি বছর প্রজনন ঋতুতে প্রায় এক ডজন ডিম দেয় এরা। তবে কয়েক হাজার বছর ধরে ‘বাছাই প্রজননের’ মাধ্যমে মানুষ তাদের চাহিদা অনুযায়ী আধুনিক গৃহপালিত মুরগির জাত উদ্ভাবন করেছে। কিছু মুরগি মাংসের জন্য, আর কিছু জাত তৈরি করা হয়েছে ডিমের জন্য। উন্নত জাতের মুরগি এখন বছরে তিন শতাধিক ডিম পাড়তে সক্ষম। শুধু তাই নয়, এরা সারা বছর ডিম দিতে পারে।
পাখির ডিম এখন একটি সাধারণ খাবার। রান্নায় ব্যবহৃত সবচেয়ে বহুমুখী উপাদানগুলোর মধ্যে একটি হলো ডিম। আধুনিক খাদ্য শিল্পের অনেক শাখায় গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হয়ে উঠেছে ডিম।
সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত পাখির ডিম হলো মুরগি, হাঁস এবং রাজহাঁসের ডিম। ছোট ডিম, যেমন—কোয়েলের ডিম, পশ্চিমা দেশগুলোতে মূল খাবারের সঙ্গে অলংকার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এশিয়ার অনেক অঞ্চলে ডিম একটি সাধারণ দৈনন্দিন খাদ্য, যেমন—চীন এবং থাইল্যান্ড। মজার ব্যাপার হলো, ২০১৩ সালের হিসাবে এশিয়াতে ডিমের উৎপাদন ছিল বিশ্বের মোট ৫৯ শতাংশ।
সবচেয়ে বড় পাখির ডিম হলো উটপাখির ডিম। এটি অবশ্য বিলাসবহুল খাবার হিসেবেই পরিবেশন করা হয়। গালের ডিম (শঙ্খচিল), ইংল্যান্ডের পাশাপাশি কিছু স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ, বিশেষ করে নরওয়েতে উপাদেয় খাবার হিসেবে বিবেচিত হয়। আফ্রিকার কিছু দেশে গিনিফাউলের ডিম প্রায়ই বাজারে দেখা যায়, বিশেষ করে প্রতি বছরের বসন্তে এই ডিম বেশি পাওয়া যায়। তিতিরের ডিম এবং ইমু পাখির ডিমও খাওয়া হয়। তবে ব্যাপকভাবে পাওয়া যায় না। অনেক দেশে, বন্যপাখির ডিম বাজারে বিক্রি এবং খাওয়া নিষিদ্ধ। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে এটি অন্তর্ভুক্ত। আবার কিছু দেশে বছরের নির্দিষ্ট সময়ে ডিম বেচাকেনা ও খাওয়ার বৈধতা আছে।
২০১৭ সালে মুরগির ডিমের বৈশ্বিক উৎপাদন ছিল ৮০ দশমিক ১ মিলিয়ন টন। বৃহত্তম উৎপাদক ছিল চীন—এই দেশের উৎপাদন ছিল ৩১ দশমিক ৩ মিলিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ৬ দশমিক ৩ মিলিয়ন, ভারত ৪ দশমিক ৮ মিলিয়ন, মেক্সিকো ২ দশমিক ৮ মিলিয়ন, জাপান ২ দশমিক ৬ মিলিয়ন এবং ব্রাজিল ও রাশিয়া প্রত্যেকে ২ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন। গড় হিসাবে একটি বড়সড় ডিম কারখানা প্রতি সপ্তাহে ১০ লাখ ডজন ডিম পাঠায়।
২০১৯ সালের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র ৯ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডিম উৎপাদন করেছে। এর মধ্যে ৮ দশমিক ২ বিলিয়ন খাওয়া হয়েছে এবং বাচ্চা ফুটানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন। ২০১৯ সালে আমেরিকানরা প্রত্যেকে ডিম খেয়েছে ২৭৯টি ডিম। ১৯৭৩ সালের এটিই সর্বোচ্চ ডিম ভক্ষণ। অবশ্য ১৯৪৫ সালে আমেরিকানরা জনপ্রতি ডিম খেয়েছে ৪০৫ টির কিছু কম।
ডিমের গুণমান পরীক্ষা একটি সহজ পরীক্ষা আছে। বাজার গেলে প্রায় সবাই এই কৌশলটি ব্যবহার করেন—ডিমটিকে আলোর বিপরীতে ধরা। বড় বড় খামার ও কারখানায়ও একই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। সাধারণত মোমবাতির বিপরীতে ধরে মান পরীক্ষা করা হয়। মূলত বায়ু কোষের আকার বোঝার চেষ্টা করা হয়। সেই সঙ্গে ডিমটি নিষিক্ত কি না সেটিও বোঝা যায়। নিষিক্ত হলে আলোর বিপরীতে ভ্রূণের উপস্থিতি শনাক্ত করা যায়। অনেক দেশের নিয়ম অনুযায়ী, ডিম ধুয়ে পরিষ্কার করে এরপর বাক্সে ভরা হয়। অবশ্য এতে ডিম বেশি দিন সতেজ থাকে না।
ডিমের ভেতর দিয়ে আলো প্রবেশ করলে সেটি তাজা। বায়ু কোষ বা কুঠুরী যত বড় ডিমের বয়স তত বেশি। তাজা ডিমে কিন্তু কুসুম সেভাবে নড়াচড়া করে না কারণ বায়ু কুঠুরি তখন খুব ছোট থাকে। বেশি দিন হয়ে যাওয়া ডিমের কুসুম বেশ সহজেই নড়াচড়া করবে।

সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে!
২ দিন আগে
ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি।
৩ দিন আগেচাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
৬ দিন আগে
কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে! প্রাথমিকভাবে সবাই বড় কোনো চুরির আশঙ্কা করলেও কোনো দামি জিনিস খোয়া যায়নি; বরং দোকানের বাথরুমের কমোড আর ডাস্টবিনের চিপায় উদ্ধার হলো আসল ‘অপরাধী’। সেখানে অঘোরে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছিল এক বুনো র্যাকুন!
ঘটনার সূত্রপাত হয় থ্যাংকসগিভিংয়ের ছুটিতে। দোকান বন্ধ থাকার সুযোগে এই ‘মুখোশধারী ডাকাত’ সিলিংয়ের টাইলস ভেঙে দোকানের ভেতরে প্রবেশ করে। পশুপালন দপ্তরের কর্মকর্তা সামান্থা মার্টিন গণমাধ্যমকে জানান, ভেতরে ঢুকেই র্যাকুনটি পুরোদস্তুর তাণ্ডব শুরু করে। তবে তার প্রধান আকর্ষণ ছিল নিচের দিকের তাকগুলোতে সাজিয়ে রাখা স্কচ হুইস্কির বোতলগুলো। বেশ কয়েকটি বোতল ভেঙে, প্রচুর পরিমাণে স্কচ সাবাড় করে র্যাকুনটি মাতাল হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে নেশার ঘোরে সে বাথরুমে আশ্রয় নেয় এবং সেখানেই জ্ঞান হারায়।
খবর পেয়ে সামান্থা মার্টিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে র্যাকুনটিকে উদ্ধার করেন। তিনি কৌতুক করে বলেন, ‘পশু সুরক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার জীবনে এটা আর দশটা দিনের মতোই একটি সাধারণ দিন!’

র্যাকুনটি এতটাই নেশাগ্রস্ত ছিল যে সেটিকে ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য’ হ্যানোভার কাউন্টি অ্যানিমেল প্রটেকশন শেল্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে পুলিশি কাস্টডিতে নয়, বরং তার নেশা কাটানোর জন্যই এই ব্যবস্থা।
বেশ কয়েক ঘণ্টা একটানা ঘুমের পর যখন র্যাকুনটি হ্যাংওভার কাটে। শারীরিক কোনো চোট পাওয়া যায়নি। এটি নিশ্চিত হয়েই তাকে সসম্মানে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।
দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে এক রহস্যময় ছায়ামূর্তির তাণ্ডব দেখা গেলেও র্যাকুনটি ঠিক কতটা স্কচ হজম করেছিল, তা অজানাই রয়ে গেছে। দোকানের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মজার পোস্ট দিয়ে জানানো হয়, র্যাকুনটিকে নিরাপদে ‘সোবার রাইড’, অর্থাৎ নেশামুক্ত অবস্থায় বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য তারা প্রশাসনের কাছে কৃতজ্ঞ!

সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে! প্রাথমিকভাবে সবাই বড় কোনো চুরির আশঙ্কা করলেও কোনো দামি জিনিস খোয়া যায়নি; বরং দোকানের বাথরুমের কমোড আর ডাস্টবিনের চিপায় উদ্ধার হলো আসল ‘অপরাধী’। সেখানে অঘোরে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছিল এক বুনো র্যাকুন!
ঘটনার সূত্রপাত হয় থ্যাংকসগিভিংয়ের ছুটিতে। দোকান বন্ধ থাকার সুযোগে এই ‘মুখোশধারী ডাকাত’ সিলিংয়ের টাইলস ভেঙে দোকানের ভেতরে প্রবেশ করে। পশুপালন দপ্তরের কর্মকর্তা সামান্থা মার্টিন গণমাধ্যমকে জানান, ভেতরে ঢুকেই র্যাকুনটি পুরোদস্তুর তাণ্ডব শুরু করে। তবে তার প্রধান আকর্ষণ ছিল নিচের দিকের তাকগুলোতে সাজিয়ে রাখা স্কচ হুইস্কির বোতলগুলো। বেশ কয়েকটি বোতল ভেঙে, প্রচুর পরিমাণে স্কচ সাবাড় করে র্যাকুনটি মাতাল হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে নেশার ঘোরে সে বাথরুমে আশ্রয় নেয় এবং সেখানেই জ্ঞান হারায়।
খবর পেয়ে সামান্থা মার্টিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে র্যাকুনটিকে উদ্ধার করেন। তিনি কৌতুক করে বলেন, ‘পশু সুরক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার জীবনে এটা আর দশটা দিনের মতোই একটি সাধারণ দিন!’

র্যাকুনটি এতটাই নেশাগ্রস্ত ছিল যে সেটিকে ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য’ হ্যানোভার কাউন্টি অ্যানিমেল প্রটেকশন শেল্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে পুলিশি কাস্টডিতে নয়, বরং তার নেশা কাটানোর জন্যই এই ব্যবস্থা।
বেশ কয়েক ঘণ্টা একটানা ঘুমের পর যখন র্যাকুনটি হ্যাংওভার কাটে। শারীরিক কোনো চোট পাওয়া যায়নি। এটি নিশ্চিত হয়েই তাকে সসম্মানে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।
দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে এক রহস্যময় ছায়ামূর্তির তাণ্ডব দেখা গেলেও র্যাকুনটি ঠিক কতটা স্কচ হজম করেছিল, তা অজানাই রয়ে গেছে। দোকানের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মজার পোস্ট দিয়ে জানানো হয়, র্যাকুনটিকে নিরাপদে ‘সোবার রাইড’, অর্থাৎ নেশামুক্ত অবস্থায় বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য তারা প্রশাসনের কাছে কৃতজ্ঞ!

মানবসমাজে পাখির ডিম প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই মূল্যবান খাদ্য হিসেবে সমাদৃত। মানুষের গুহাবাসী শিকারি সমাজ এবং আধুনিক সংস্কৃতিতে পাখি গৃহপালিত প্রাণীদের অন্যতম। ফলে ধারণা করাই যায়, মানুষ পাখির ডিম পছন্দ করত অতি প্রাচীনকাল থেকেই।
১৪ অক্টোবর ২০২২
ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি।
৩ দিন আগেচাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
৬ দিন আগে
কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি। এটির বাজারমূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় পৌনে এক কোটি টাকা।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, পান্না জেলা ভারতের অন্যতম হিরা উত্তোলন অঞ্চল। সেখানেই কয়েক সপ্তাহ আগে লিজ নেওয়া একটি জমিতে কাজ করতে গিয়ে চকচকে পাথরটির সন্ধান পান সতীশ ও সাজিদ। পরে সেটি শহরের সরকারি হিরা মূল্যায়ন কর্মকর্তার কাছে নিয়ে গেলে নিশ্চিত হওয়া যায়—এটি উৎকৃষ্ট মানের প্রাকৃতিক হিরা।

মূল্যায়ন কর্মকর্তা অনুপম সিং জানান, হিরাটির সম্ভাব্য দাম ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকা। শিগগিরই এটিকে সরকারি নিলামে তোলা হবে। এই নিলামে দেশ-বিদেশের ক্রেতারা অংশ নেবেন। তিনি আরও জানান, হিরার দাম নির্ভর করে ডলারের বিনিময় হার ও আন্তর্জাতিক রাপাপোর্ট রিপোর্টের মানদণ্ডের ওপর।
২৪ বছর বয়সী সতীশ খাটিক একটি মাংসের দোকান চালান, আর ২৩ বছরের সাজিদ মোহাম্মদ ফল বিক্রি করেন। দুজনই দরিদ্র পরিবারের সন্তান এবং পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্য। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তাঁদের পরিবার পান্নায় হিরা খোঁজার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এত দিন কোনো বড় সাফল্য আসেনি।
উন্নয়ন সূচকে পান্না জেলা পিছিয়ে থাকা একটি এলাকা। এখানে দারিদ্র্য, পানির সংকট ও বেকারত্ব নিত্যদিনের বাস্তবতা। তবে এই জেলাতেই ভারতের অধিকাংশ হিরা মজুত রয়েছে, যা স্থানীয়দের ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখায়।
সাজিদের বাবা নাফিস জানান, বছরের পর বছর খোঁড়াখুঁড়ি করেও তাঁরা পেয়েছেন শুধু ধুলো আর কাঁচের টুকরো। তিনি বলেন, ‘ঈশ্বর অবশেষে আমাদের ধৈর্য আর পরিশ্রমের ফল দিয়েছেন।’ সংসারের ক্রমবর্ধমান খরচ ও বিয়ের ব্যয় মেটাতে না পেরে হতাশা থেকেই জমিটি লিজ নিয়েছিলেন সাজিদ।
হিরা খোঁজার কাজ সহজ নয়। দিনের কাজ শেষে সন্ধ্যায় কিংবা ছুটির সময় মাটি খুঁড়ে, পাথর ধুয়ে, চালুনিতে ছেঁকে হাজারো কণার ভিড় থেকে সম্ভাব্য হিরা আলাদা করতেন সতীশ ও সাজিদ। পান্নার জেলা খনি কর্মকর্তা রবি প্যাটেল বলেন, ‘গত ১৯ নভেম্বর তারা জমিটি লিজ নেয়। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এমন মানের হিরা পাওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার।’
এখনো নিলামের টাকা হাতে না পেলেও দুই বন্ধু আশাবাদী। বড় শহরে চলে যাওয়া বা ব্যবসা বাড়ানোর চিন্তা আপাতত তাঁরা বাদ দিয়েছেন। তাঁদের একটাই লক্ষ্য—এই অর্থ দিয়ে নিজেদের বোনদের বিয়ে দেওয়া।

ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি। এটির বাজারমূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় পৌনে এক কোটি টাকা।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, পান্না জেলা ভারতের অন্যতম হিরা উত্তোলন অঞ্চল। সেখানেই কয়েক সপ্তাহ আগে লিজ নেওয়া একটি জমিতে কাজ করতে গিয়ে চকচকে পাথরটির সন্ধান পান সতীশ ও সাজিদ। পরে সেটি শহরের সরকারি হিরা মূল্যায়ন কর্মকর্তার কাছে নিয়ে গেলে নিশ্চিত হওয়া যায়—এটি উৎকৃষ্ট মানের প্রাকৃতিক হিরা।

মূল্যায়ন কর্মকর্তা অনুপম সিং জানান, হিরাটির সম্ভাব্য দাম ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকা। শিগগিরই এটিকে সরকারি নিলামে তোলা হবে। এই নিলামে দেশ-বিদেশের ক্রেতারা অংশ নেবেন। তিনি আরও জানান, হিরার দাম নির্ভর করে ডলারের বিনিময় হার ও আন্তর্জাতিক রাপাপোর্ট রিপোর্টের মানদণ্ডের ওপর।
২৪ বছর বয়সী সতীশ খাটিক একটি মাংসের দোকান চালান, আর ২৩ বছরের সাজিদ মোহাম্মদ ফল বিক্রি করেন। দুজনই দরিদ্র পরিবারের সন্তান এবং পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্য। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তাঁদের পরিবার পান্নায় হিরা খোঁজার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এত দিন কোনো বড় সাফল্য আসেনি।
উন্নয়ন সূচকে পান্না জেলা পিছিয়ে থাকা একটি এলাকা। এখানে দারিদ্র্য, পানির সংকট ও বেকারত্ব নিত্যদিনের বাস্তবতা। তবে এই জেলাতেই ভারতের অধিকাংশ হিরা মজুত রয়েছে, যা স্থানীয়দের ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখায়।
সাজিদের বাবা নাফিস জানান, বছরের পর বছর খোঁড়াখুঁড়ি করেও তাঁরা পেয়েছেন শুধু ধুলো আর কাঁচের টুকরো। তিনি বলেন, ‘ঈশ্বর অবশেষে আমাদের ধৈর্য আর পরিশ্রমের ফল দিয়েছেন।’ সংসারের ক্রমবর্ধমান খরচ ও বিয়ের ব্যয় মেটাতে না পেরে হতাশা থেকেই জমিটি লিজ নিয়েছিলেন সাজিদ।
হিরা খোঁজার কাজ সহজ নয়। দিনের কাজ শেষে সন্ধ্যায় কিংবা ছুটির সময় মাটি খুঁড়ে, পাথর ধুয়ে, চালুনিতে ছেঁকে হাজারো কণার ভিড় থেকে সম্ভাব্য হিরা আলাদা করতেন সতীশ ও সাজিদ। পান্নার জেলা খনি কর্মকর্তা রবি প্যাটেল বলেন, ‘গত ১৯ নভেম্বর তারা জমিটি লিজ নেয়। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এমন মানের হিরা পাওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার।’
এখনো নিলামের টাকা হাতে না পেলেও দুই বন্ধু আশাবাদী। বড় শহরে চলে যাওয়া বা ব্যবসা বাড়ানোর চিন্তা আপাতত তাঁরা বাদ দিয়েছেন। তাঁদের একটাই লক্ষ্য—এই অর্থ দিয়ে নিজেদের বোনদের বিয়ে দেওয়া।

মানবসমাজে পাখির ডিম প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই মূল্যবান খাদ্য হিসেবে সমাদৃত। মানুষের গুহাবাসী শিকারি সমাজ এবং আধুনিক সংস্কৃতিতে পাখি গৃহপালিত প্রাণীদের অন্যতম। ফলে ধারণা করাই যায়, মানুষ পাখির ডিম পছন্দ করত অতি প্রাচীনকাল থেকেই।
১৪ অক্টোবর ২০২২
সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে!
২ দিন আগেচাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
৬ দিন আগে
কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
চাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।

ভারতের হরিয়ানার গুরুগ্রামের দীনেশ বৈরাগী। ‘পূর্ণকালীন’ চাকরির অফার দিয়ে নারীবন্ধু খুঁজেছেন লিংকডইনে। ওই বিজ্ঞাপনের বিবরণে সম্ভাব্য ‘গার্লফ্রেন্ড’-এর জন্য প্রয়োজনীয় নানা গুণাবলির কথাও উল্লেখ করেছেন দীনেশ।
টেক মাহিন্দ্রার সাবেক সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট দীনেশ চাকরির বিজ্ঞাপনে লিখেছেন, ‘গুরগাঁওয়ে পূর্ণকালীন গার্লফ্রেন্ডের পদ খালি আছে। সরাসরি দেখা করা এবং দূর থেকে দায়িত্ব পালন দুটোই করতে হবে।’
প্রযুক্তিখাতে অভিজ্ঞ এই যুবক চাকরির বিজ্ঞাপনে আরও লিখেছেন, ‘এই ভূমিকায় শক্তিশালী আবেগগত সম্পর্ক গড়ে তোলা ও তা বজায় রাখা, অর্থবহ কথোপকথনে অংশ নেওয়া, সঙ্গ দেওয়া, পারস্পরিক সমর্থন এবং সঙ্গীর সঙ্গে বিভিন্ন কার্যক্রম বা শখে যুক্ত থাকার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘সক্রিয় যোগাযোগ, পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়া এই ভূমিকাটির ভিত্তি হবে। পাশাপাশি যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং ইতিবাচক ও সহায়ক সম্পর্কের পরিবেশ গড়ে তোলাও এর অন্তর্ভুক্ত।’
দীনেশ চাকরিপ্রার্থীর যোগ্যতার ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রার আবেগগত বুদ্ধিমত্তা, শোনার সক্ষমতা, সহমর্মিতা ও আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতার কথা উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া তিনি জানান, এমন একজনকে তিনি খুঁজছেন, যাঁর মধ্যে রসবোধ, দয়া এবং ইতিবাচক মানসিকতা থাকবে।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ও যৌথ লক্ষ্যগুলোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার সক্ষমতা থাকতে হবে। শখ, কার্যক্রমে আগ্রহ বা একসঙ্গে নতুন অভিজ্ঞতা গড়ে তোলার মানসিকতারও প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি সম্পর্কের ভেতরে পারস্পরিক সমর্থন ও বিকাশে আগ্রহী হতে হবে।’
লিংকডইনে দেওয়া এই চাকরি খোঁজার মতো করে গার্লফ্রেন্ড খোঁজার পোস্টটি দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এটি নিয়ে রসিকতার বন্যা বইয়ে দেন নেটিজেনরা। অনেকেই এই অদ্ভুত চাকরির বিজ্ঞাপন নিয়ে ঠাট্টা–মশকরা করেন, আবার কেউ কেউ সরাসরি পারিশ্রমিক বা বেতন প্যাকেজ সম্পর্কে জানতে চান।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ওহ, এখন সব পরিষ্কার! তাহলে আমার প্রাক্তন আমার সঙ্গে ছয় মাস গার্লফ্রেন্ড হিসেবে ইন্টার্নশিপ করেছিল, এরপর অন্য কোথাও ফুলটাইম গার্লফ্রেন্ডের চাকরি পেয়ে চলে গেছে।’
আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘আপনি যদি আসলেই ভারতীয় হন, তাহলে যেকোনো অ্যাপই ডেটিং অ্যাপ বানিয়ে ফেলবেন।’
তৃতীয় একজন লিখেছেন, ‘পদের বিবরণ দেখে বেশ চমকপ্রদই লাগছে, কিন্তু স্যালারি কত?’
একজন ব্যবহারকারী প্রশ্ন করেন, ‘তিনি কি লিংকডইনের পোস্টের মাধ্যমে কোনো পরীক্ষা চালাচ্ছেন?’ উত্তরে দীনেশ বলেন, ‘একেবারেই না। এটি একটি প্রকৃত শূন্যপদ। প্রোফাইলটি ভালোভাবে বোঝার জন্য আমি চাকরির বিবরণ দেখার পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়া কেউ যদি আগ্রহী ও যোগ্য হন, তাদেরও নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে।’
শেষ আপডেট অনুযায়ী দীনেশ জানিয়েছেন, এই ‘চাকরির’ জন্য এরইমধ্যে ২৬ জন আবেদন করেছেন। এখন নতুন কোনো আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
চাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।

ভারতের হরিয়ানার গুরুগ্রামের দীনেশ বৈরাগী। ‘পূর্ণকালীন’ চাকরির অফার দিয়ে নারীবন্ধু খুঁজেছেন লিংকডইনে। ওই বিজ্ঞাপনের বিবরণে সম্ভাব্য ‘গার্লফ্রেন্ড’-এর জন্য প্রয়োজনীয় নানা গুণাবলির কথাও উল্লেখ করেছেন দীনেশ।
টেক মাহিন্দ্রার সাবেক সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট দীনেশ চাকরির বিজ্ঞাপনে লিখেছেন, ‘গুরগাঁওয়ে পূর্ণকালীন গার্লফ্রেন্ডের পদ খালি আছে। সরাসরি দেখা করা এবং দূর থেকে দায়িত্ব পালন দুটোই করতে হবে।’
প্রযুক্তিখাতে অভিজ্ঞ এই যুবক চাকরির বিজ্ঞাপনে আরও লিখেছেন, ‘এই ভূমিকায় শক্তিশালী আবেগগত সম্পর্ক গড়ে তোলা ও তা বজায় রাখা, অর্থবহ কথোপকথনে অংশ নেওয়া, সঙ্গ দেওয়া, পারস্পরিক সমর্থন এবং সঙ্গীর সঙ্গে বিভিন্ন কার্যক্রম বা শখে যুক্ত থাকার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘সক্রিয় যোগাযোগ, পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়া এই ভূমিকাটির ভিত্তি হবে। পাশাপাশি যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং ইতিবাচক ও সহায়ক সম্পর্কের পরিবেশ গড়ে তোলাও এর অন্তর্ভুক্ত।’
দীনেশ চাকরিপ্রার্থীর যোগ্যতার ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রার আবেগগত বুদ্ধিমত্তা, শোনার সক্ষমতা, সহমর্মিতা ও আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতার কথা উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া তিনি জানান, এমন একজনকে তিনি খুঁজছেন, যাঁর মধ্যে রসবোধ, দয়া এবং ইতিবাচক মানসিকতা থাকবে।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ও যৌথ লক্ষ্যগুলোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার সক্ষমতা থাকতে হবে। শখ, কার্যক্রমে আগ্রহ বা একসঙ্গে নতুন অভিজ্ঞতা গড়ে তোলার মানসিকতারও প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি সম্পর্কের ভেতরে পারস্পরিক সমর্থন ও বিকাশে আগ্রহী হতে হবে।’
লিংকডইনে দেওয়া এই চাকরি খোঁজার মতো করে গার্লফ্রেন্ড খোঁজার পোস্টটি দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এটি নিয়ে রসিকতার বন্যা বইয়ে দেন নেটিজেনরা। অনেকেই এই অদ্ভুত চাকরির বিজ্ঞাপন নিয়ে ঠাট্টা–মশকরা করেন, আবার কেউ কেউ সরাসরি পারিশ্রমিক বা বেতন প্যাকেজ সম্পর্কে জানতে চান।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ওহ, এখন সব পরিষ্কার! তাহলে আমার প্রাক্তন আমার সঙ্গে ছয় মাস গার্লফ্রেন্ড হিসেবে ইন্টার্নশিপ করেছিল, এরপর অন্য কোথাও ফুলটাইম গার্লফ্রেন্ডের চাকরি পেয়ে চলে গেছে।’
আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘আপনি যদি আসলেই ভারতীয় হন, তাহলে যেকোনো অ্যাপই ডেটিং অ্যাপ বানিয়ে ফেলবেন।’
তৃতীয় একজন লিখেছেন, ‘পদের বিবরণ দেখে বেশ চমকপ্রদই লাগছে, কিন্তু স্যালারি কত?’
একজন ব্যবহারকারী প্রশ্ন করেন, ‘তিনি কি লিংকডইনের পোস্টের মাধ্যমে কোনো পরীক্ষা চালাচ্ছেন?’ উত্তরে দীনেশ বলেন, ‘একেবারেই না। এটি একটি প্রকৃত শূন্যপদ। প্রোফাইলটি ভালোভাবে বোঝার জন্য আমি চাকরির বিবরণ দেখার পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়া কেউ যদি আগ্রহী ও যোগ্য হন, তাদেরও নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে।’
শেষ আপডেট অনুযায়ী দীনেশ জানিয়েছেন, এই ‘চাকরির’ জন্য এরইমধ্যে ২৬ জন আবেদন করেছেন। এখন নতুন কোনো আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।

মানবসমাজে পাখির ডিম প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই মূল্যবান খাদ্য হিসেবে সমাদৃত। মানুষের গুহাবাসী শিকারি সমাজ এবং আধুনিক সংস্কৃতিতে পাখি গৃহপালিত প্রাণীদের অন্যতম। ফলে ধারণা করাই যায়, মানুষ পাখির ডিম পছন্দ করত অতি প্রাচীনকাল থেকেই।
১৪ অক্টোবর ২০২২
সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে!
২ দিন আগে
ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি।
৩ দিন আগে
কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।
হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি ভাষার দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের খবরে বলা হয়েছে জিয়াংসু প্রদেশের লি নামক ওই ব্যক্তি গত বছর এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে এক মাসে ১৪ বার টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নেন। এর মধ্যে একবার তিনি চার ঘণ্টা টয়লেটে কাটান। এর জেরে তাঁকে চাকরি হারাতে হয়।
এই খবর সম্প্রতি সাংহাই ফেডারেশন অব ট্রেড ইউনিয়নসের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
ওই ব্যক্তি বেআইনিভাবে চুক্তি বাতিলের জন্য কোম্পানির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলে বিষয়টি সামনে আসে। লি প্রমাণ হিসেবে গত বছর মে ও জুন মাসে তাঁর সঙ্গীর কেনা অর্শের ওষুধ এবং চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তাঁর হাসপাতালে ভর্তি ও অস্ত্রোপচারের নথিও পেশ করেন।
এরপর লি ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করে বেআইনিভাবে চুক্তি বাতিলের দায়ে ৩ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। অন্যদিকে কোম্পানি লি-এর ঘন ঘন এবং দীর্ঘ সময় ধরে বিরতিতে থাকার প্রমাণস্বরূপ সিসিটিভি ফুটেজ আদালতে জমা দেয়।
আদালতের বিশ্বাস, লি টয়লেটে যে সময় ব্যয় করেছেন, তা তাঁর ‘শারীরিক প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি’ ছিল। এ ছাড়া লি যে ডাক্তারি নথি জমা দিয়েছেন, তা তাঁর বহুবার দীর্ঘ পানির বিরতি নেওয়ার পরের সময়ের। চুক্তিতে প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও লি তাঁর অসুস্থতার কথা কোম্পানিকে আগে জানাননি বা অসুস্থতাজনিত ছুটির জন্য আবেদনও করেননি।
কোম্পানি লি-কে তাঁর অনুপস্থিতি লক্ষ্য করে প্রথমে একটি চ্যাট অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করে, কিন্তু কোনো উত্তর পায়নি। লি-এর পদে কাজ করার জন্য তাঁকে সব সময় কাজের অনুরোধে সাড়া দিতে হয়। সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করার পর কোম্পানি তাঁকে বরখাস্ত করে।
লি ২০১০ সালে কোম্পানিতে যোগ দেন এবং ২০১৪ সালে একটি উন্মুক্ত-মেয়াদি চুক্তি নবায়ন করেন। চুক্তি অনুযায়ী, অনুমতি ছাড়া নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিজের কর্মস্থল ত্যাগ করাকে অনুপস্থিতি বলে গণ্য করা হবে এবং ১৮০ দিনের মধ্যে মোট তিন কার্যদিবস অনুপস্থিত থাকলে চুক্তি সঙ্গে সঙ্গে বাতিল হয়ে যাবে।
বরখাস্ত করার আগে কোম্পানি ট্রেড ইউনিয়নের অনুমতিও নিয়েছিল। দুই দফা বিচার পর্বের পর আদালত অবশেষে দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করেন এবং লি-এর কোম্পানিতে অবদানের কথা এবং বেকারত্বের পর তাঁর অসুবিধার কথা বিবেচনা করে কোম্পানিকে ৩০ হাজার ইউয়ান ভাতা দিয়ে মামলাটি মিটিয়ে নিতে রাজি করান।
চীনে এ ধরনের বিরতি নিয়ে বিতর্ক এই প্রথম নয়। এর আগে ২০২৩ সালেও জিয়াংসু প্রদেশের আরেক ব্যক্তিকে একই অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তাঁর দীর্ঘতম বিরতি ছিল এক দিনে ছয় ঘণ্টা।

কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।
হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি ভাষার দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের খবরে বলা হয়েছে জিয়াংসু প্রদেশের লি নামক ওই ব্যক্তি গত বছর এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে এক মাসে ১৪ বার টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নেন। এর মধ্যে একবার তিনি চার ঘণ্টা টয়লেটে কাটান। এর জেরে তাঁকে চাকরি হারাতে হয়।
এই খবর সম্প্রতি সাংহাই ফেডারেশন অব ট্রেড ইউনিয়নসের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
ওই ব্যক্তি বেআইনিভাবে চুক্তি বাতিলের জন্য কোম্পানির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলে বিষয়টি সামনে আসে। লি প্রমাণ হিসেবে গত বছর মে ও জুন মাসে তাঁর সঙ্গীর কেনা অর্শের ওষুধ এবং চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তাঁর হাসপাতালে ভর্তি ও অস্ত্রোপচারের নথিও পেশ করেন।
এরপর লি ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করে বেআইনিভাবে চুক্তি বাতিলের দায়ে ৩ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। অন্যদিকে কোম্পানি লি-এর ঘন ঘন এবং দীর্ঘ সময় ধরে বিরতিতে থাকার প্রমাণস্বরূপ সিসিটিভি ফুটেজ আদালতে জমা দেয়।
আদালতের বিশ্বাস, লি টয়লেটে যে সময় ব্যয় করেছেন, তা তাঁর ‘শারীরিক প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি’ ছিল। এ ছাড়া লি যে ডাক্তারি নথি জমা দিয়েছেন, তা তাঁর বহুবার দীর্ঘ পানির বিরতি নেওয়ার পরের সময়ের। চুক্তিতে প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও লি তাঁর অসুস্থতার কথা কোম্পানিকে আগে জানাননি বা অসুস্থতাজনিত ছুটির জন্য আবেদনও করেননি।
কোম্পানি লি-কে তাঁর অনুপস্থিতি লক্ষ্য করে প্রথমে একটি চ্যাট অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করে, কিন্তু কোনো উত্তর পায়নি। লি-এর পদে কাজ করার জন্য তাঁকে সব সময় কাজের অনুরোধে সাড়া দিতে হয়। সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করার পর কোম্পানি তাঁকে বরখাস্ত করে।
লি ২০১০ সালে কোম্পানিতে যোগ দেন এবং ২০১৪ সালে একটি উন্মুক্ত-মেয়াদি চুক্তি নবায়ন করেন। চুক্তি অনুযায়ী, অনুমতি ছাড়া নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিজের কর্মস্থল ত্যাগ করাকে অনুপস্থিতি বলে গণ্য করা হবে এবং ১৮০ দিনের মধ্যে মোট তিন কার্যদিবস অনুপস্থিত থাকলে চুক্তি সঙ্গে সঙ্গে বাতিল হয়ে যাবে।
বরখাস্ত করার আগে কোম্পানি ট্রেড ইউনিয়নের অনুমতিও নিয়েছিল। দুই দফা বিচার পর্বের পর আদালত অবশেষে দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করেন এবং লি-এর কোম্পানিতে অবদানের কথা এবং বেকারত্বের পর তাঁর অসুবিধার কথা বিবেচনা করে কোম্পানিকে ৩০ হাজার ইউয়ান ভাতা দিয়ে মামলাটি মিটিয়ে নিতে রাজি করান।
চীনে এ ধরনের বিরতি নিয়ে বিতর্ক এই প্রথম নয়। এর আগে ২০২৩ সালেও জিয়াংসু প্রদেশের আরেক ব্যক্তিকে একই অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তাঁর দীর্ঘতম বিরতি ছিল এক দিনে ছয় ঘণ্টা।

মানবসমাজে পাখির ডিম প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই মূল্যবান খাদ্য হিসেবে সমাদৃত। মানুষের গুহাবাসী শিকারি সমাজ এবং আধুনিক সংস্কৃতিতে পাখি গৃহপালিত প্রাণীদের অন্যতম। ফলে ধারণা করাই যায়, মানুষ পাখির ডিম পছন্দ করত অতি প্রাচীনকাল থেকেই।
১৪ অক্টোবর ২০২২
সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে!
২ দিন আগে
ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি।
৩ দিন আগেচাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
৬ দিন আগে