নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ কুচক্রীরা, আওয়ামী লীগ প্রেতাত্মারা বাংলাদেশের এই সরকারকে অস্থিতিশীল করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের আকাশে একটা নক্ষত্র। যিনি বাংলাদেশের মানুষকে বিশ্বের দরবারে উজ্জ্বল করে তুলেছেন।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ফোরাম আয়োজিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ ও আওয়ামী দোসরদের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘যেভাবে ১৯৭১ সালে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে বাংলাদেশের মানচিত্র পৃথিবীতে স্থায়ীভাবে ওঠানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছি, সেই বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে শেখ হাসিনার বাবা শেখ মুজিবুর রহমান। শেখ মুজিবুর রহমান আপনি স্বাধীনতার কোথায় যুদ্ধ করেছিলেন? আপনার দল কোথায় যুদ্ধ করেছে? কোন সেক্টরে আপনার লোক যুদ্ধ করেছে? আপনার লোকেরা কলকাতায় বসেছিল। সেই লোকেরাই ১৬ বছর এই দেশের মানুষের ওপর চেপে বসে মানুষের কণ্ঠকে চিবিয়ে চিবিয়ে হত্যা করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে আমাদের প্রিয় নেতা ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে আবার ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। যারা মায়ের বুক খালি করেছে, আবু সাঈদের রক্ত বৃথা যাবে না। আপনারা যতই ষড়যন্ত্র করেন না কেন, আপনারা বাংলাদেশের মাটিতে কোনো দিনও আওয়ামী লীগের নাম নিয়ে আসতে পারবেন না।’
শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘আপনি মানুষের অধিকার ক্ষুণ্ন করে ভারতের সঙ্গে আঁতাত করেছেন। সীমান্তে যখন আমার ভাইদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, সেই কথাগুলো আপনি কখনোই আমাদের সংসদে বলার সুযোগ দেননি। আপনি এখন দাপটের সঙ্গে হিন্দুস্তানে বসে আছেন।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশে ফারুক বলেন, ‘আপনার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নাই, কিন্তু আপনার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কথা বলে। বাংলাদেশকে কোনো কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। বাংলাদেশের মানুষ সজাগ। ২০১৩ সালে যে চুক্তি করেছেন, সেই চুক্তি অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত দিতে হবে। যদি স্বাধীন দেশের প্রধানমন্ত্রী আপনি হয়ে থাকেন, বন্দী চুক্তি যদি স্বাক্ষর করে থাকেন, তাহলে শেখ হাসিনাকে দেশে হস্তান্তর করুন। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে পাঁচ শর অধিক মামলা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দিল্লিতে বসে মা-মেয়ে যুক্তি করে বাংলাদেশে ড. ইউনূসের সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবে, বাংলাদেশের মানুষ সেটা কখনোই মেনে নেবে না। বাংলাদেশের মানুষ যেভাবে আওয়ামী লীগকে ঘৃণা করে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে, ভারতের বিরুদ্ধেও মানুষ সজাগ হচ্ছে।’
নির্বাচনের বিষয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ড. ইউনূস কয় মাসের মধ্যে নির্বাচন দেবে, কখন নির্বাচন হবে, সেটা রাজনৈতিক দল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। আমাদের আত্মবিশ্বাস হচ্ছে বিএনপি। আমাদের নেতা তারেক রহমান। আমাদের নেতা বলেছেন, বাংলাদেশে এমন একটি নির্বাচনের মাধ্যমে আমি বাংলাদেশের বিএনপিকে ক্ষমতায় নিতে চাই. যে নির্বাচন দিনে হবে, যে নির্বাচনে মৃত ব্যক্তি ভোট দেবে না, যে নির্বাচন কমিশন হাসিনার কথায় নির্বাচন করেছে, এমন নির্বাচন কমিশন যাতে বাংলাদেশে আর কোনো দিন না হয়।’
তারেক রহমান ও খালেদা জিয়াকে ভয় করার কারণ জানিয়ে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘১৯৮০ সালে যখন জিয়াউর রহমান ভারত সফরে যান। তখন ইন্দিরা গান্ধী জিয়াউর রহমানকে রিকোয়েস্ট করেছিলেন, শেখ হাসিনাকে ফেরত নেন, তার সম্পত্তি ফেরত দেন। তখন আমার নেতা জিয়াউর রহমান স্পষ্ট করে বলে দিয়েছিল, সে (শেখ হাসিনা) দেশে আসুক, তার সকল সম্পত্তি ফেরত দেওয়া হবে। আপনি (শেখ হাসিনা) দেশে এসেছিলেন, এরপর জিয়াউর রহমান কেন খুন হয়েছেন, সেটা জানার ইচ্ছা আমাদের জাগে।’
গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়ে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা শেখ হাসিনা সরকার কেড়ে নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আপনাদের ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করতে দেয়নি। আপনাদের গুলি করেছে, আপনাদের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করেছে। আপনাদের পত্রিকাগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। আপনাদের চ্যানেলগুলোকে ডিজিএফআই দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করেছে। আমরা আশা করছি, ড. ইউনূসের এই সরকারের অধীনে আপনারা বুক ফুলিয়ে স্বাধীনভাবে, স্বাধীন কলমে লিখবেন। আপনাদের লেখনী দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে ১৬ বছরের অত্যাচার, গুমের, মায়ের বুক খালি হওয়ার ইতিহাস আপনারা তুলে ধরবেন। আমরা এইটুকু আপনাদের কাছে চাই।’
গণতন্ত্র ফোরামের সভাপতি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ ও গণতন্ত্র ফোরামের নেতারা।

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ কুচক্রীরা, আওয়ামী লীগ প্রেতাত্মারা বাংলাদেশের এই সরকারকে অস্থিতিশীল করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের আকাশে একটা নক্ষত্র। যিনি বাংলাদেশের মানুষকে বিশ্বের দরবারে উজ্জ্বল করে তুলেছেন।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ফোরাম আয়োজিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ ও আওয়ামী দোসরদের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘যেভাবে ১৯৭১ সালে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে বাংলাদেশের মানচিত্র পৃথিবীতে স্থায়ীভাবে ওঠানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছি, সেই বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে শেখ হাসিনার বাবা শেখ মুজিবুর রহমান। শেখ মুজিবুর রহমান আপনি স্বাধীনতার কোথায় যুদ্ধ করেছিলেন? আপনার দল কোথায় যুদ্ধ করেছে? কোন সেক্টরে আপনার লোক যুদ্ধ করেছে? আপনার লোকেরা কলকাতায় বসেছিল। সেই লোকেরাই ১৬ বছর এই দেশের মানুষের ওপর চেপে বসে মানুষের কণ্ঠকে চিবিয়ে চিবিয়ে হত্যা করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে আমাদের প্রিয় নেতা ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে আবার ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। যারা মায়ের বুক খালি করেছে, আবু সাঈদের রক্ত বৃথা যাবে না। আপনারা যতই ষড়যন্ত্র করেন না কেন, আপনারা বাংলাদেশের মাটিতে কোনো দিনও আওয়ামী লীগের নাম নিয়ে আসতে পারবেন না।’
শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘আপনি মানুষের অধিকার ক্ষুণ্ন করে ভারতের সঙ্গে আঁতাত করেছেন। সীমান্তে যখন আমার ভাইদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, সেই কথাগুলো আপনি কখনোই আমাদের সংসদে বলার সুযোগ দেননি। আপনি এখন দাপটের সঙ্গে হিন্দুস্তানে বসে আছেন।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশে ফারুক বলেন, ‘আপনার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নাই, কিন্তু আপনার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কথা বলে। বাংলাদেশকে কোনো কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। বাংলাদেশের মানুষ সজাগ। ২০১৩ সালে যে চুক্তি করেছেন, সেই চুক্তি অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত দিতে হবে। যদি স্বাধীন দেশের প্রধানমন্ত্রী আপনি হয়ে থাকেন, বন্দী চুক্তি যদি স্বাক্ষর করে থাকেন, তাহলে শেখ হাসিনাকে দেশে হস্তান্তর করুন। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে পাঁচ শর অধিক মামলা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দিল্লিতে বসে মা-মেয়ে যুক্তি করে বাংলাদেশে ড. ইউনূসের সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবে, বাংলাদেশের মানুষ সেটা কখনোই মেনে নেবে না। বাংলাদেশের মানুষ যেভাবে আওয়ামী লীগকে ঘৃণা করে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে, ভারতের বিরুদ্ধেও মানুষ সজাগ হচ্ছে।’
নির্বাচনের বিষয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ড. ইউনূস কয় মাসের মধ্যে নির্বাচন দেবে, কখন নির্বাচন হবে, সেটা রাজনৈতিক দল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। আমাদের আত্মবিশ্বাস হচ্ছে বিএনপি। আমাদের নেতা তারেক রহমান। আমাদের নেতা বলেছেন, বাংলাদেশে এমন একটি নির্বাচনের মাধ্যমে আমি বাংলাদেশের বিএনপিকে ক্ষমতায় নিতে চাই. যে নির্বাচন দিনে হবে, যে নির্বাচনে মৃত ব্যক্তি ভোট দেবে না, যে নির্বাচন কমিশন হাসিনার কথায় নির্বাচন করেছে, এমন নির্বাচন কমিশন যাতে বাংলাদেশে আর কোনো দিন না হয়।’
তারেক রহমান ও খালেদা জিয়াকে ভয় করার কারণ জানিয়ে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘১৯৮০ সালে যখন জিয়াউর রহমান ভারত সফরে যান। তখন ইন্দিরা গান্ধী জিয়াউর রহমানকে রিকোয়েস্ট করেছিলেন, শেখ হাসিনাকে ফেরত নেন, তার সম্পত্তি ফেরত দেন। তখন আমার নেতা জিয়াউর রহমান স্পষ্ট করে বলে দিয়েছিল, সে (শেখ হাসিনা) দেশে আসুক, তার সকল সম্পত্তি ফেরত দেওয়া হবে। আপনি (শেখ হাসিনা) দেশে এসেছিলেন, এরপর জিয়াউর রহমান কেন খুন হয়েছেন, সেটা জানার ইচ্ছা আমাদের জাগে।’
গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়ে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা শেখ হাসিনা সরকার কেড়ে নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আপনাদের ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করতে দেয়নি। আপনাদের গুলি করেছে, আপনাদের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করেছে। আপনাদের পত্রিকাগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। আপনাদের চ্যানেলগুলোকে ডিজিএফআই দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করেছে। আমরা আশা করছি, ড. ইউনূসের এই সরকারের অধীনে আপনারা বুক ফুলিয়ে স্বাধীনভাবে, স্বাধীন কলমে লিখবেন। আপনাদের লেখনী দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে ১৬ বছরের অত্যাচার, গুমের, মায়ের বুক খালি হওয়ার ইতিহাস আপনারা তুলে ধরবেন। আমরা এইটুকু আপনাদের কাছে চাই।’
গণতন্ত্র ফোরামের সভাপতি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ ও গণতন্ত্র ফোরামের নেতারা।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ কুচক্রীরা, আওয়ামী লীগ প্রেতাত্মারা বাংলাদেশের এই সরকারকে অস্থিতিশীল করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের আকাশে একটা নক্ষত্র। যিনি বাংলাদেশের মানুষকে বিশ্বের দরবারে উজ্জ্বল করে তুলেছেন।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ফোরাম আয়োজিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ ও আওয়ামী দোসরদের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘যেভাবে ১৯৭১ সালে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে বাংলাদেশের মানচিত্র পৃথিবীতে স্থায়ীভাবে ওঠানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছি, সেই বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে শেখ হাসিনার বাবা শেখ মুজিবুর রহমান। শেখ মুজিবুর রহমান আপনি স্বাধীনতার কোথায় যুদ্ধ করেছিলেন? আপনার দল কোথায় যুদ্ধ করেছে? কোন সেক্টরে আপনার লোক যুদ্ধ করেছে? আপনার লোকেরা কলকাতায় বসেছিল। সেই লোকেরাই ১৬ বছর এই দেশের মানুষের ওপর চেপে বসে মানুষের কণ্ঠকে চিবিয়ে চিবিয়ে হত্যা করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে আমাদের প্রিয় নেতা ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে আবার ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। যারা মায়ের বুক খালি করেছে, আবু সাঈদের রক্ত বৃথা যাবে না। আপনারা যতই ষড়যন্ত্র করেন না কেন, আপনারা বাংলাদেশের মাটিতে কোনো দিনও আওয়ামী লীগের নাম নিয়ে আসতে পারবেন না।’
শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘আপনি মানুষের অধিকার ক্ষুণ্ন করে ভারতের সঙ্গে আঁতাত করেছেন। সীমান্তে যখন আমার ভাইদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, সেই কথাগুলো আপনি কখনোই আমাদের সংসদে বলার সুযোগ দেননি। আপনি এখন দাপটের সঙ্গে হিন্দুস্তানে বসে আছেন।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশে ফারুক বলেন, ‘আপনার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নাই, কিন্তু আপনার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কথা বলে। বাংলাদেশকে কোনো কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। বাংলাদেশের মানুষ সজাগ। ২০১৩ সালে যে চুক্তি করেছেন, সেই চুক্তি অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত দিতে হবে। যদি স্বাধীন দেশের প্রধানমন্ত্রী আপনি হয়ে থাকেন, বন্দী চুক্তি যদি স্বাক্ষর করে থাকেন, তাহলে শেখ হাসিনাকে দেশে হস্তান্তর করুন। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে পাঁচ শর অধিক মামলা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দিল্লিতে বসে মা-মেয়ে যুক্তি করে বাংলাদেশে ড. ইউনূসের সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবে, বাংলাদেশের মানুষ সেটা কখনোই মেনে নেবে না। বাংলাদেশের মানুষ যেভাবে আওয়ামী লীগকে ঘৃণা করে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে, ভারতের বিরুদ্ধেও মানুষ সজাগ হচ্ছে।’
নির্বাচনের বিষয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ড. ইউনূস কয় মাসের মধ্যে নির্বাচন দেবে, কখন নির্বাচন হবে, সেটা রাজনৈতিক দল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। আমাদের আত্মবিশ্বাস হচ্ছে বিএনপি। আমাদের নেতা তারেক রহমান। আমাদের নেতা বলেছেন, বাংলাদেশে এমন একটি নির্বাচনের মাধ্যমে আমি বাংলাদেশের বিএনপিকে ক্ষমতায় নিতে চাই. যে নির্বাচন দিনে হবে, যে নির্বাচনে মৃত ব্যক্তি ভোট দেবে না, যে নির্বাচন কমিশন হাসিনার কথায় নির্বাচন করেছে, এমন নির্বাচন কমিশন যাতে বাংলাদেশে আর কোনো দিন না হয়।’
তারেক রহমান ও খালেদা জিয়াকে ভয় করার কারণ জানিয়ে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘১৯৮০ সালে যখন জিয়াউর রহমান ভারত সফরে যান। তখন ইন্দিরা গান্ধী জিয়াউর রহমানকে রিকোয়েস্ট করেছিলেন, শেখ হাসিনাকে ফেরত নেন, তার সম্পত্তি ফেরত দেন। তখন আমার নেতা জিয়াউর রহমান স্পষ্ট করে বলে দিয়েছিল, সে (শেখ হাসিনা) দেশে আসুক, তার সকল সম্পত্তি ফেরত দেওয়া হবে। আপনি (শেখ হাসিনা) দেশে এসেছিলেন, এরপর জিয়াউর রহমান কেন খুন হয়েছেন, সেটা জানার ইচ্ছা আমাদের জাগে।’
গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়ে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা শেখ হাসিনা সরকার কেড়ে নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আপনাদের ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করতে দেয়নি। আপনাদের গুলি করেছে, আপনাদের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করেছে। আপনাদের পত্রিকাগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। আপনাদের চ্যানেলগুলোকে ডিজিএফআই দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করেছে। আমরা আশা করছি, ড. ইউনূসের এই সরকারের অধীনে আপনারা বুক ফুলিয়ে স্বাধীনভাবে, স্বাধীন কলমে লিখবেন। আপনাদের লেখনী দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে ১৬ বছরের অত্যাচার, গুমের, মায়ের বুক খালি হওয়ার ইতিহাস আপনারা তুলে ধরবেন। আমরা এইটুকু আপনাদের কাছে চাই।’
গণতন্ত্র ফোরামের সভাপতি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ ও গণতন্ত্র ফোরামের নেতারা।

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ কুচক্রীরা, আওয়ামী লীগ প্রেতাত্মারা বাংলাদেশের এই সরকারকে অস্থিতিশীল করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের আকাশে একটা নক্ষত্র। যিনি বাংলাদেশের মানুষকে বিশ্বের দরবারে উজ্জ্বল করে তুলেছেন।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ফোরাম আয়োজিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ ও আওয়ামী দোসরদের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘যেভাবে ১৯৭১ সালে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে বাংলাদেশের মানচিত্র পৃথিবীতে স্থায়ীভাবে ওঠানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছি, সেই বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে শেখ হাসিনার বাবা শেখ মুজিবুর রহমান। শেখ মুজিবুর রহমান আপনি স্বাধীনতার কোথায় যুদ্ধ করেছিলেন? আপনার দল কোথায় যুদ্ধ করেছে? কোন সেক্টরে আপনার লোক যুদ্ধ করেছে? আপনার লোকেরা কলকাতায় বসেছিল। সেই লোকেরাই ১৬ বছর এই দেশের মানুষের ওপর চেপে বসে মানুষের কণ্ঠকে চিবিয়ে চিবিয়ে হত্যা করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে আমাদের প্রিয় নেতা ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে আবার ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। যারা মায়ের বুক খালি করেছে, আবু সাঈদের রক্ত বৃথা যাবে না। আপনারা যতই ষড়যন্ত্র করেন না কেন, আপনারা বাংলাদেশের মাটিতে কোনো দিনও আওয়ামী লীগের নাম নিয়ে আসতে পারবেন না।’
শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘আপনি মানুষের অধিকার ক্ষুণ্ন করে ভারতের সঙ্গে আঁতাত করেছেন। সীমান্তে যখন আমার ভাইদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, সেই কথাগুলো আপনি কখনোই আমাদের সংসদে বলার সুযোগ দেননি। আপনি এখন দাপটের সঙ্গে হিন্দুস্তানে বসে আছেন।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশে ফারুক বলেন, ‘আপনার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নাই, কিন্তু আপনার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কথা বলে। বাংলাদেশকে কোনো কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। বাংলাদেশের মানুষ সজাগ। ২০১৩ সালে যে চুক্তি করেছেন, সেই চুক্তি অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত দিতে হবে। যদি স্বাধীন দেশের প্রধানমন্ত্রী আপনি হয়ে থাকেন, বন্দী চুক্তি যদি স্বাক্ষর করে থাকেন, তাহলে শেখ হাসিনাকে দেশে হস্তান্তর করুন। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে পাঁচ শর অধিক মামলা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দিল্লিতে বসে মা-মেয়ে যুক্তি করে বাংলাদেশে ড. ইউনূসের সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবে, বাংলাদেশের মানুষ সেটা কখনোই মেনে নেবে না। বাংলাদেশের মানুষ যেভাবে আওয়ামী লীগকে ঘৃণা করে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে, ভারতের বিরুদ্ধেও মানুষ সজাগ হচ্ছে।’
নির্বাচনের বিষয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ড. ইউনূস কয় মাসের মধ্যে নির্বাচন দেবে, কখন নির্বাচন হবে, সেটা রাজনৈতিক দল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। আমাদের আত্মবিশ্বাস হচ্ছে বিএনপি। আমাদের নেতা তারেক রহমান। আমাদের নেতা বলেছেন, বাংলাদেশে এমন একটি নির্বাচনের মাধ্যমে আমি বাংলাদেশের বিএনপিকে ক্ষমতায় নিতে চাই. যে নির্বাচন দিনে হবে, যে নির্বাচনে মৃত ব্যক্তি ভোট দেবে না, যে নির্বাচন কমিশন হাসিনার কথায় নির্বাচন করেছে, এমন নির্বাচন কমিশন যাতে বাংলাদেশে আর কোনো দিন না হয়।’
তারেক রহমান ও খালেদা জিয়াকে ভয় করার কারণ জানিয়ে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘১৯৮০ সালে যখন জিয়াউর রহমান ভারত সফরে যান। তখন ইন্দিরা গান্ধী জিয়াউর রহমানকে রিকোয়েস্ট করেছিলেন, শেখ হাসিনাকে ফেরত নেন, তার সম্পত্তি ফেরত দেন। তখন আমার নেতা জিয়াউর রহমান স্পষ্ট করে বলে দিয়েছিল, সে (শেখ হাসিনা) দেশে আসুক, তার সকল সম্পত্তি ফেরত দেওয়া হবে। আপনি (শেখ হাসিনা) দেশে এসেছিলেন, এরপর জিয়াউর রহমান কেন খুন হয়েছেন, সেটা জানার ইচ্ছা আমাদের জাগে।’
গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়ে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা শেখ হাসিনা সরকার কেড়ে নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আপনাদের ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করতে দেয়নি। আপনাদের গুলি করেছে, আপনাদের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করেছে। আপনাদের পত্রিকাগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। আপনাদের চ্যানেলগুলোকে ডিজিএফআই দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করেছে। আমরা আশা করছি, ড. ইউনূসের এই সরকারের অধীনে আপনারা বুক ফুলিয়ে স্বাধীনভাবে, স্বাধীন কলমে লিখবেন। আপনাদের লেখনী দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে ১৬ বছরের অত্যাচার, গুমের, মায়ের বুক খালি হওয়ার ইতিহাস আপনারা তুলে ধরবেন। আমরা এইটুকু আপনাদের কাছে চাই।’
গণতন্ত্র ফোরামের সভাপতি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ ও গণতন্ত্র ফোরামের নেতারা।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালের মূল ফটকের ব্রিফিংয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘খালেদা জিয়া আগে যে অবস্থায় ছিলেন, কয়েক দিন আগেও যা বলেছিলাম, তিনি সে অবস্থাতেই আছেন।’
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিমানবন্দরে পৌঁছেই সরাসরি যুক্তরাজ্যের নটিংহামে নেতা-কর্মীদের পূর্বনির্ধারিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।
৭ ঘণ্টা আগে
আসন ভাগাভাগি নিয়ে সৃষ্ট মতবিরোধ নিষ্পত্তিতে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দল ও জোটগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে বিএনপি। গতকাল বুধবার প্রথম দিনের বৈঠকে ১২ দলীয় জোট ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটকে একটি করে আসনে ছাড়ের ইঙ্গিত দিয়েছে দলটি। এ ছাড়া ১২ দলীয় জোটকে আরেকটি আসন ছাড় দেওয়া নিয়েও আলোচনা আছে। এই দুই জোটের...
১৪ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দ্বারস্থ হয়েছেন দুই সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী। তাঁরা হলেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী রেহা কবির সিগমা এবং আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে দলের
১৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের মতোই রয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার পর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বিষয়ে সাংবাদিকদের তিনি ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, ‘একজন রোগীর শারীরিক অবস্থা যতটুকু ডিসক্লোজড (সাধারণকে জানানো) করা যায়, বেগম খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় তা-ই করা হয়েছে। দেশবাসীকে মহান আল্লাহর কাছে তাঁর জন্য দোয়া করার আহ্বান জানাই। মানুষের অকুণ্ঠ ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও দোয়ায় তিনি সুস্থ হয়ে যেন বাংলাদেশে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারেন—এই কামনা করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই মুহূর্তে তাঁর অবস্থা পূর্বের যে অবস্থায় ছিল, তাই রয়েছে। মেডিকেল বোর্ডে বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার চিকিৎসকদের সমন্বয় রয়েছে। প্রতিদিন সকালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে আলোচনা করা হয়। বিভিন্ন দেশের সময়ের ব্যবধান থাকায় সন্ধ্যাতেও তাঁদের সঙ্গে মিটিং হয়। এখন পর্যন্ত যে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, সেই চিকিৎসা তিনি গ্রহণ করতে পারছেন। আমরা আশাবাদী—দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে উঠবেন। তাঁর বয়স, দীর্ঘদিনের অসুস্থতা এবং পরিকল্পিতভাবে অসুস্থতার দিকে ঠেলে দেওয়ার কারণে শারীরিক জটিলতা মারাত্মকভাবে বেড়ে গিয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে আমি শুধু এতটুকু বলতে চাই—তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমান সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন। তাঁর ছোট ছেলের স্ত্রী শর্মিলা রহমান এবং ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার সর্বক্ষণ উপস্থিত রয়েছেন। দলের মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ সব নেতা-কর্মী, প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টামণ্ডলীর সহযোগিতার জন্য আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এই হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক ও নার্সরা নিরবচ্ছিন্নভাবে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। অন্য রোগীদের চিকিৎসা যেন ব্যাহত না হয়, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। সবার জন্যই এই হাসপাতাল উন্মুক্ত। খালেদা জিয়ার চিকিৎসার কারণে আপনাদের চিকিৎসা সেবায় কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না। আমাদের নেতাকর্মীরাও কোনো বিঘ্ন ঘটাবেন না।’
ব্রিফিং শেষে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ডা. জাহিদ বলেন, ‘ওনার অবস্থা স্থিতিশীল আছে—এটা বলতে পারেন।’
উল্লেখ্য, ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে গত ২৩ নভেম্বর তাঁকে দ্রুত এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর হৃদ্যন্ত্র ও ফুসফুসে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের মতোই রয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার পর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বিষয়ে সাংবাদিকদের তিনি ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, ‘একজন রোগীর শারীরিক অবস্থা যতটুকু ডিসক্লোজড (সাধারণকে জানানো) করা যায়, বেগম খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় তা-ই করা হয়েছে। দেশবাসীকে মহান আল্লাহর কাছে তাঁর জন্য দোয়া করার আহ্বান জানাই। মানুষের অকুণ্ঠ ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও দোয়ায় তিনি সুস্থ হয়ে যেন বাংলাদেশে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারেন—এই কামনা করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই মুহূর্তে তাঁর অবস্থা পূর্বের যে অবস্থায় ছিল, তাই রয়েছে। মেডিকেল বোর্ডে বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার চিকিৎসকদের সমন্বয় রয়েছে। প্রতিদিন সকালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে আলোচনা করা হয়। বিভিন্ন দেশের সময়ের ব্যবধান থাকায় সন্ধ্যাতেও তাঁদের সঙ্গে মিটিং হয়। এখন পর্যন্ত যে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, সেই চিকিৎসা তিনি গ্রহণ করতে পারছেন। আমরা আশাবাদী—দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে উঠবেন। তাঁর বয়স, দীর্ঘদিনের অসুস্থতা এবং পরিকল্পিতভাবে অসুস্থতার দিকে ঠেলে দেওয়ার কারণে শারীরিক জটিলতা মারাত্মকভাবে বেড়ে গিয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে আমি শুধু এতটুকু বলতে চাই—তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমান সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন। তাঁর ছোট ছেলের স্ত্রী শর্মিলা রহমান এবং ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার সর্বক্ষণ উপস্থিত রয়েছেন। দলের মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ সব নেতা-কর্মী, প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টামণ্ডলীর সহযোগিতার জন্য আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এই হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক ও নার্সরা নিরবচ্ছিন্নভাবে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। অন্য রোগীদের চিকিৎসা যেন ব্যাহত না হয়, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। সবার জন্যই এই হাসপাতাল উন্মুক্ত। খালেদা জিয়ার চিকিৎসার কারণে আপনাদের চিকিৎসা সেবায় কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না। আমাদের নেতাকর্মীরাও কোনো বিঘ্ন ঘটাবেন না।’
ব্রিফিং শেষে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ডা. জাহিদ বলেন, ‘ওনার অবস্থা স্থিতিশীল আছে—এটা বলতে পারেন।’
উল্লেখ্য, ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে গত ২৩ নভেম্বর তাঁকে দ্রুত এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর হৃদ্যন্ত্র ও ফুসফুসে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে।

আওয়ামী লীগ কুচক্রীরা, আওয়ামী লীগ প্রেতাত্মারা বাংলাদেশের এই সরকারকে অস্থিতিশীল করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের আকাশে একটা নক্ষত্র। যিনি বাংলাদেশের মানুষকে বিশ্বের দরবারে উজ্জ্বল করে তুলেছেন...
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিমানবন্দরে পৌঁছেই সরাসরি যুক্তরাজ্যের নটিংহামে নেতা-কর্মীদের পূর্বনির্ধারিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।
৭ ঘণ্টা আগে
আসন ভাগাভাগি নিয়ে সৃষ্ট মতবিরোধ নিষ্পত্তিতে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দল ও জোটগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে বিএনপি। গতকাল বুধবার প্রথম দিনের বৈঠকে ১২ দলীয় জোট ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটকে একটি করে আসনে ছাড়ের ইঙ্গিত দিয়েছে দলটি। এ ছাড়া ১২ দলীয় জোটকে আরেকটি আসন ছাড় দেওয়া নিয়েও আলোচনা আছে। এই দুই জোটের...
১৪ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দ্বারস্থ হয়েছেন দুই সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী। তাঁরা হলেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী রেহা কবির সিগমা এবং আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে দলের
১৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিমানবন্দরে পৌঁছেই সরাসরি যুক্তরাজ্যের নটিংহামে নেতা-কর্মীদের পূর্বনির্ধারিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।
জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যুক্তরাজ্য সরকারের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত বৈঠক ও কর্মসূচিতে অংশ নিতেই ডা. শফিকুর রহমান লন্ডন সফর করছেন।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান এহসানুল মাহবুব জুবায়ের গণমাধ্যমকে জানান, ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে বৈঠকের নির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় বুধবার সকালে শফিকুর রহমান লন্ডন সফর করছেন।
জামায়াতের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, লন্ডন সফর শেষে শফিকুর রহমান সৌদি আরবে পবিত্র ওমরাহ পালন করবেন। সৌদি আরব থেকে ২১ ডিসেম্বর তাঁর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
এর আগে ১৭ ডিসেম্বর সকালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডন যাত্রা করেন তিনি।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিমানবন্দরে পৌঁছেই সরাসরি যুক্তরাজ্যের নটিংহামে নেতা-কর্মীদের পূর্বনির্ধারিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।
জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যুক্তরাজ্য সরকারের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত বৈঠক ও কর্মসূচিতে অংশ নিতেই ডা. শফিকুর রহমান লন্ডন সফর করছেন।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান এহসানুল মাহবুব জুবায়ের গণমাধ্যমকে জানান, ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে বৈঠকের নির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় বুধবার সকালে শফিকুর রহমান লন্ডন সফর করছেন।
জামায়াতের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, লন্ডন সফর শেষে শফিকুর রহমান সৌদি আরবে পবিত্র ওমরাহ পালন করবেন। সৌদি আরব থেকে ২১ ডিসেম্বর তাঁর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
এর আগে ১৭ ডিসেম্বর সকালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডন যাত্রা করেন তিনি।

আওয়ামী লীগ কুচক্রীরা, আওয়ামী লীগ প্রেতাত্মারা বাংলাদেশের এই সরকারকে অস্থিতিশীল করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের আকাশে একটা নক্ষত্র। যিনি বাংলাদেশের মানুষকে বিশ্বের দরবারে উজ্জ্বল করে তুলেছেন...
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আজ বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালের মূল ফটকের ব্রিফিংয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘খালেদা জিয়া আগে যে অবস্থায় ছিলেন, কয়েক দিন আগেও যা বলেছিলাম, তিনি সে অবস্থাতেই আছেন।’
৩ ঘণ্টা আগে
আসন ভাগাভাগি নিয়ে সৃষ্ট মতবিরোধ নিষ্পত্তিতে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দল ও জোটগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে বিএনপি। গতকাল বুধবার প্রথম দিনের বৈঠকে ১২ দলীয় জোট ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটকে একটি করে আসনে ছাড়ের ইঙ্গিত দিয়েছে দলটি। এ ছাড়া ১২ দলীয় জোটকে আরেকটি আসন ছাড় দেওয়া নিয়েও আলোচনা আছে। এই দুই জোটের...
১৪ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দ্বারস্থ হয়েছেন দুই সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী। তাঁরা হলেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী রেহা কবির সিগমা এবং আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে দলের
১৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন ভাগাভাগি নিয়ে সৃষ্ট মতবিরোধ নিষ্পত্তিতে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দল ও জোটগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে বিএনপি। গতকাল বুধবার প্রথম দিনের বৈঠকে ১২ দলীয় জোট ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটকে একটি করে আসনে ছাড়ের ইঙ্গিত দিয়েছে দলটি। এ ছাড়া ১২ দলীয় জোটকে আরেকটি আসন ছাড় দেওয়া নিয়েও আলোচনা আছে। এই দুই জোটের অন্য দলগুলোকে বিএনপির পক্ষ থেকে ভিন্নভাবে মূল্যায়নের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
গতকাল রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও বিকেলে ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি। বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু অংশ নেন।
সূত্র বলছে, ১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির (জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার এবং জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদকে আসন দেওয়ার ব্যাপারে সবুজসংকেত দেওয়া হয়েছে, যার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে ২০ ডিসেম্বর।
এদিকে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), ৬ দলীয় জোট গণতন্ত্র মঞ্চ ও গণফোরামের সঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার আসন ভাগাভাগি নিয়ে বৈঠকে বসবে বিএনপি। আগামীকাল শুক্রবার জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম), বাম গণতান্ত্রিক ঐক্য ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে। সবশেষে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করবে বিএনপি।
১২ দলীয় জোট ও সমমনা জোটের বৈঠক সূত্র জানায়, কিশোরগঞ্জ-৫, কুষ্টিয়া-২ আসনসহ কয়েকটি আসনে প্রার্থী মনোনয়নের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে দুই জোটের মিত্ররা। বিএনপির হাইকমান্ড তাদের আশ্বস্ত করেছে, এই বিষয়গুলো ইতিবাচকভাবে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
এ ছাড়া আগামী দিনে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সব দলকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠনের দাবি তুলেছেন মিত্র জোটের নেতারা। তাঁদের দাবি, জাতীয় সরকারে যেন সব দলকেই মূল্যায়ন করা হয়। বিএনপির পক্ষ থেকে দুই জোটের নেতাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে, তাঁদের সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করা হবে। যাঁদের মনোনয়ন দিয়ে মূল্যায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না, তাঁদের সংসদের উচ্চকক্ষে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপির। গণতন্ত্র ও দেশের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, ‘ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। আমরা আমাদের দাবিগুলো তুলে ধরেছি। তারা দীর্ঘ দিনের মিত্র হিসেবে সর্বোচ্চ মূল্যায়নের চেষ্টা করার কথা জানিয়েছেন।’
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, ‘আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। আমরা ৯টা আসন চেয়েছি। বিএনপির পক্ষে সমমনা জোটকে আসন দেওয়ার ব্যাপারে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। আর যাঁদের এবার মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না, তাঁদের ক্ষমতায় গেলে যোগ্যতা অনুযায়ী মূল্যায়ন করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।’

আসন ভাগাভাগি নিয়ে সৃষ্ট মতবিরোধ নিষ্পত্তিতে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দল ও জোটগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে বিএনপি। গতকাল বুধবার প্রথম দিনের বৈঠকে ১২ দলীয় জোট ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটকে একটি করে আসনে ছাড়ের ইঙ্গিত দিয়েছে দলটি। এ ছাড়া ১২ দলীয় জোটকে আরেকটি আসন ছাড় দেওয়া নিয়েও আলোচনা আছে। এই দুই জোটের অন্য দলগুলোকে বিএনপির পক্ষ থেকে ভিন্নভাবে মূল্যায়নের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
গতকাল রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও বিকেলে ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি। বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু অংশ নেন।
সূত্র বলছে, ১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির (জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার এবং জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদকে আসন দেওয়ার ব্যাপারে সবুজসংকেত দেওয়া হয়েছে, যার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে ২০ ডিসেম্বর।
এদিকে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), ৬ দলীয় জোট গণতন্ত্র মঞ্চ ও গণফোরামের সঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার আসন ভাগাভাগি নিয়ে বৈঠকে বসবে বিএনপি। আগামীকাল শুক্রবার জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম), বাম গণতান্ত্রিক ঐক্য ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে। সবশেষে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করবে বিএনপি।
১২ দলীয় জোট ও সমমনা জোটের বৈঠক সূত্র জানায়, কিশোরগঞ্জ-৫, কুষ্টিয়া-২ আসনসহ কয়েকটি আসনে প্রার্থী মনোনয়নের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে দুই জোটের মিত্ররা। বিএনপির হাইকমান্ড তাদের আশ্বস্ত করেছে, এই বিষয়গুলো ইতিবাচকভাবে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
এ ছাড়া আগামী দিনে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সব দলকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠনের দাবি তুলেছেন মিত্র জোটের নেতারা। তাঁদের দাবি, জাতীয় সরকারে যেন সব দলকেই মূল্যায়ন করা হয়। বিএনপির পক্ষ থেকে দুই জোটের নেতাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে, তাঁদের সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করা হবে। যাঁদের মনোনয়ন দিয়ে মূল্যায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না, তাঁদের সংসদের উচ্চকক্ষে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপির। গণতন্ত্র ও দেশের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, ‘ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। আমরা আমাদের দাবিগুলো তুলে ধরেছি। তারা দীর্ঘ দিনের মিত্র হিসেবে সর্বোচ্চ মূল্যায়নের চেষ্টা করার কথা জানিয়েছেন।’
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, ‘আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। আমরা ৯টা আসন চেয়েছি। বিএনপির পক্ষে সমমনা জোটকে আসন দেওয়ার ব্যাপারে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। আর যাঁদের এবার মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না, তাঁদের ক্ষমতায় গেলে যোগ্যতা অনুযায়ী মূল্যায়ন করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।’

আওয়ামী লীগ কুচক্রীরা, আওয়ামী লীগ প্রেতাত্মারা বাংলাদেশের এই সরকারকে অস্থিতিশীল করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের আকাশে একটা নক্ষত্র। যিনি বাংলাদেশের মানুষকে বিশ্বের দরবারে উজ্জ্বল করে তুলেছেন...
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আজ বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালের মূল ফটকের ব্রিফিংয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘খালেদা জিয়া আগে যে অবস্থায় ছিলেন, কয়েক দিন আগেও যা বলেছিলাম, তিনি সে অবস্থাতেই আছেন।’
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিমানবন্দরে পৌঁছেই সরাসরি যুক্তরাজ্যের নটিংহামে নেতা-কর্মীদের পূর্বনির্ধারিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।
৭ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দ্বারস্থ হয়েছেন দুই সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী। তাঁরা হলেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী রেহা কবির সিগমা এবং আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে দলের
১৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দ্বারস্থ হয়েছেন দুই সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী। তাঁরা হলেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী রেহা কবির সিগমা এবং আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে দলের প্রার্থী আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।
আজ বুধবার তাঁরা আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দ্বারস্থ হন।
এলাকার কর্মী ও সাধারণ মানুষের জীবনের নিরাপত্তা এবং নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। সার্বিক বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) পদক্ষেপ এবং নিজের নিরাপত্তা চেয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী রেহা কবির সিগমা।
সিগমা প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন, নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাছউদ ও মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকারের সঙ্গে দেখা করে লিখিত অভিযোগ জমা দেন।
সিইসিকে দেওয়া লিখিত অভিযোগে কাজী রেহা কবির সিগমা বলেন, ‘আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন পক্ষপাতমুক্ত, সুষ্ঠু ও সবার জন্য নির্বিঘ্ন করা অন্তর্বর্তী সরকার, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের অঙ্গীকার ও প্রত্য়য়। কিন্তু এসব প্রশ্নবিদ্ধ ও বাধাগ্রস্ত করার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে অবিলম্বে জড়িত ও দায়ীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার আবেদন করছি।’
কাজী রেহা কবির সিগমা বলেন, ‘আমি কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার প্রত্যয় জানিয়ে নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ শুরু করেছি। ইতিমধ্যে ব্যাপক সমর্থন পেয়েছি। গণসংযোগের কাজে অনেক কর্মী-সমর্থক তৎপর হয়েছে। কিন্তু আমার আইনানুগ গণসংযোগের কাজে ত্রাস সৃষ্টি করে আমার কাজ দুরূহ করার কল্পে কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম থানার পুলিশ কর্তৃপক্ষ ন্যক্কারজনকভাবে তৎপর হয়েছে।’
রেহা কবির সিগমা সিইসিকে বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর দিবাগত রাত আনুমানিক ১টায় তারা এক নিরপরাধ কর্মীকে গ্রেপ্তার করে ভুয়া মামলায় কিশোরগঞ্জ আদালতে পাঠায়। আমার কর্মীদের আতঙ্কগ্রস্ত করা হয়েছে। যার ফলে নির্বাচনী কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে।’
কবির সিগমা আরও বলেন, ‘আমার কর্মী মো. কিয়ামত আলী (৫০) একজন নিরীহ জনপ্রিয় লোক। তার নামে কোনো মামলা বা অভিযোগ ছিল না। তাকে ২০২৪ সালের ৯ নভেম্বরে করা একটি মামলায় আসামি দেখানো হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। ওই মামলায় আমার কর্মী মো. কিয়ামত আলী এজাহারভুক্ত আসামি নয়। কিয়ামত আলীর বাড়ি অষ্টগ্রাম থানা হতে মাত্র ১০ মিনিটের হাঁটার পথ দূরত্বে হলেও গত এক বছরে কোনো কারণে কখনো পুলিশ কিয়ামতের খোঁজ করেনি। কিয়ামতের সঙ্গে নিয়মিত দেখা হলেও কিছু জিজ্ঞাসা করেনি। এতে স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয় যে, শুধু আমার কর্মীদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টির জন্যই অষ্টগ্রাম থানা-পুলিশ কোনো বিশেষ স্বার্থ হাসিল করার জন্য এ কাজ করেছে।’
সিগমা অবিলম্বে বিষয়টি তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের আইনানুগ শাস্তি নিশ্চিত করে আসন্ন নির্বাচন প্রশ্নাতীত ও সুষ্ঠু করার পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সিইসিকে অনুরোধ জানান।
পরে রেহা কবির সিগমা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পুলিশ ভীতি সৃষ্টি করছে। আমার কর্মী ও আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই ইসি ও প্রশাসনের কাছে সার্বিক সহযোগিতা চেয়েছি।’
এদিকে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে দলের প্রার্থী আসাদুজ্জামান ফুয়াদ নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ ও ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের সঙ্গে দেখা করেছেন।
প্রার্থী নিরাপত্তার শঙ্কা নিয়ে ইসিতে আসছেন—এ বিষয়ে কমিশন কী ব্যবস্থা নিচ্ছে—জানতে চাইলে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যারিস্টার ফুয়াদ এসেছিলেন। তাঁর অভিযোগ হচ্ছে, পুলিশ তাঁকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করছে না। আমরা সার্বিকভাবে সব প্রার্থীর নিরাপত্তার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছি।
সব প্রার্থী বিজয়ী হতে পারবেন না। জনগণ যাঁকে বেশি ভোট দেবেন, তিনিই বিজয়ী হবেন।’ তাই সচিব সব প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকদের আচরণ বিধিমালা মেনে চলার আহ্বান জানান ইসি সচিব।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দ্বারস্থ হয়েছেন দুই সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী। তাঁরা হলেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী রেহা কবির সিগমা এবং আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে দলের প্রার্থী আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।
আজ বুধবার তাঁরা আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দ্বারস্থ হন।
এলাকার কর্মী ও সাধারণ মানুষের জীবনের নিরাপত্তা এবং নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। সার্বিক বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) পদক্ষেপ এবং নিজের নিরাপত্তা চেয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী রেহা কবির সিগমা।
সিগমা প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন, নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাছউদ ও মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকারের সঙ্গে দেখা করে লিখিত অভিযোগ জমা দেন।
সিইসিকে দেওয়া লিখিত অভিযোগে কাজী রেহা কবির সিগমা বলেন, ‘আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন পক্ষপাতমুক্ত, সুষ্ঠু ও সবার জন্য নির্বিঘ্ন করা অন্তর্বর্তী সরকার, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের অঙ্গীকার ও প্রত্য়য়। কিন্তু এসব প্রশ্নবিদ্ধ ও বাধাগ্রস্ত করার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে অবিলম্বে জড়িত ও দায়ীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার আবেদন করছি।’
কাজী রেহা কবির সিগমা বলেন, ‘আমি কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার প্রত্যয় জানিয়ে নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ শুরু করেছি। ইতিমধ্যে ব্যাপক সমর্থন পেয়েছি। গণসংযোগের কাজে অনেক কর্মী-সমর্থক তৎপর হয়েছে। কিন্তু আমার আইনানুগ গণসংযোগের কাজে ত্রাস সৃষ্টি করে আমার কাজ দুরূহ করার কল্পে কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম থানার পুলিশ কর্তৃপক্ষ ন্যক্কারজনকভাবে তৎপর হয়েছে।’
রেহা কবির সিগমা সিইসিকে বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর দিবাগত রাত আনুমানিক ১টায় তারা এক নিরপরাধ কর্মীকে গ্রেপ্তার করে ভুয়া মামলায় কিশোরগঞ্জ আদালতে পাঠায়। আমার কর্মীদের আতঙ্কগ্রস্ত করা হয়েছে। যার ফলে নির্বাচনী কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে।’
কবির সিগমা আরও বলেন, ‘আমার কর্মী মো. কিয়ামত আলী (৫০) একজন নিরীহ জনপ্রিয় লোক। তার নামে কোনো মামলা বা অভিযোগ ছিল না। তাকে ২০২৪ সালের ৯ নভেম্বরে করা একটি মামলায় আসামি দেখানো হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। ওই মামলায় আমার কর্মী মো. কিয়ামত আলী এজাহারভুক্ত আসামি নয়। কিয়ামত আলীর বাড়ি অষ্টগ্রাম থানা হতে মাত্র ১০ মিনিটের হাঁটার পথ দূরত্বে হলেও গত এক বছরে কোনো কারণে কখনো পুলিশ কিয়ামতের খোঁজ করেনি। কিয়ামতের সঙ্গে নিয়মিত দেখা হলেও কিছু জিজ্ঞাসা করেনি। এতে স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয় যে, শুধু আমার কর্মীদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টির জন্যই অষ্টগ্রাম থানা-পুলিশ কোনো বিশেষ স্বার্থ হাসিল করার জন্য এ কাজ করেছে।’
সিগমা অবিলম্বে বিষয়টি তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের আইনানুগ শাস্তি নিশ্চিত করে আসন্ন নির্বাচন প্রশ্নাতীত ও সুষ্ঠু করার পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সিইসিকে অনুরোধ জানান।
পরে রেহা কবির সিগমা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পুলিশ ভীতি সৃষ্টি করছে। আমার কর্মী ও আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই ইসি ও প্রশাসনের কাছে সার্বিক সহযোগিতা চেয়েছি।’
এদিকে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে দলের প্রার্থী আসাদুজ্জামান ফুয়াদ নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ ও ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের সঙ্গে দেখা করেছেন।
প্রার্থী নিরাপত্তার শঙ্কা নিয়ে ইসিতে আসছেন—এ বিষয়ে কমিশন কী ব্যবস্থা নিচ্ছে—জানতে চাইলে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যারিস্টার ফুয়াদ এসেছিলেন। তাঁর অভিযোগ হচ্ছে, পুলিশ তাঁকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করছে না। আমরা সার্বিকভাবে সব প্রার্থীর নিরাপত্তার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছি।
সব প্রার্থী বিজয়ী হতে পারবেন না। জনগণ যাঁকে বেশি ভোট দেবেন, তিনিই বিজয়ী হবেন।’ তাই সচিব সব প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকদের আচরণ বিধিমালা মেনে চলার আহ্বান জানান ইসি সচিব।

আওয়ামী লীগ কুচক্রীরা, আওয়ামী লীগ প্রেতাত্মারা বাংলাদেশের এই সরকারকে অস্থিতিশীল করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের আকাশে একটা নক্ষত্র। যিনি বাংলাদেশের মানুষকে বিশ্বের দরবারে উজ্জ্বল করে তুলেছেন...
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আজ বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালের মূল ফটকের ব্রিফিংয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘খালেদা জিয়া আগে যে অবস্থায় ছিলেন, কয়েক দিন আগেও যা বলেছিলাম, তিনি সে অবস্থাতেই আছেন।’
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিমানবন্দরে পৌঁছেই সরাসরি যুক্তরাজ্যের নটিংহামে নেতা-কর্মীদের পূর্বনির্ধারিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।
৭ ঘণ্টা আগে
আসন ভাগাভাগি নিয়ে সৃষ্ট মতবিরোধ নিষ্পত্তিতে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দল ও জোটগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে বিএনপি। গতকাল বুধবার প্রথম দিনের বৈঠকে ১২ দলীয় জোট ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটকে একটি করে আসনে ছাড়ের ইঙ্গিত দিয়েছে দলটি। এ ছাড়া ১২ দলীয় জোটকে আরেকটি আসন ছাড় দেওয়া নিয়েও আলোচনা আছে। এই দুই জোটের...
১৪ ঘণ্টা আগে