আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা

সাজা থেকে বাঁচতে দল বেঁধে চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছেন আন্দোলনে অংশ নেওয়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তারা। গত দুই দিনে আয়কর ও কাস্টমস ক্যাডারের তিন শতাধিক কর্মকর্তা চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানের কাছে ‘নিঃশর্ত ক্ষমা’ চেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এমন কর্মকর্তারা রয়েছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
এনবিআরের এত কর্মকর্তা ক্ষমা চাওয়ায় তাঁদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা কিছুটা হলেও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা এ প্রসঙ্গে বলছেন, জন বা রাষ্ট্রের স্বার্থে সরকারি কর্মকর্তাদের আন্দোলনের নজির নেই। আমলারা সাধারণত নিজেদের স্বার্থ আদায়েই আন্দোলন করে থাকেন।
তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, বিষয়টা আক্ষরিক অর্থে ক্ষমা চাওয়া নয়। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ভুল-বোঝাবুঝির কারণে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল, তা দূর করে কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতেই চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তাঁরা।
নাম প্রকাশ করতে না চাওয়া এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, গতকাল বুধবার সকাল ৯টার দিকে আয়কর ক্যাডারের বিভিন্ন ব্যাচের প্রায় ৪০ জন কর্মকর্তা চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করে নিঃশর্ত ক্ষমা চান। একই উদ্দেশ্যে সোয়া ৯টার দিকে কাস্টমস ও ভ্যাট ক্যাডারের প্রায় ৫০ জন কর্মকর্তা চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করেন।
ঊর্ধ্বতন ওই কর্মকর্তা বলেন, আন্দোলনের কারণে রাজস্ব আদায় কার্যক্রম তথা দেশ ও অর্থনীতির ক্ষতির কথা স্বীকার করে কর্মকর্তারা দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা সরকারের নির্দেশনা মানা এবং রাজস্ব ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কাজ করার ব্যাপারে চেয়ারম্যানের কাছে অঙ্গীকার করেছেন।
সূত্র জানায়, এর আগে মঙ্গলবার এনবিআর চেয়ারম্যানের সঙ্গে আয়কর বিভাগের ক্যাডার কর্মকর্তারা ব্যাচভিত্তিক দেখা করে ক্ষমা চান। এর মধ্যে ৪০, ৩৮, ৩৩, ৩১, ৩০,২৯ ও ২৮ ব্যাচের কর্মকর্তারা ছিলেন। তা ছাড়া সদ্য পদোন্নতি পাওয়া ৫০ জনের বেশি কর্মকর্তা চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তাঁরা দেশের স্বার্থে কাজের পরিবেশ ফিরিয়ে এনে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা আল-আমিন শেখ বলেন, ‘চেয়ারম্যান স্যারের সঙ্গে কর্মকর্তারা দেখা করেছেন। কিন্তু কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, তা আমার জানা নেই।’
চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আন্দোলনে অংশ নেওয়া কাস্টমস ক্যাডারের একজন অতিরিক্ত কমিশনার আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘দলে দলে গিয়ে ক্ষমা চাওয়া হচ্ছে বিষয়টা সে রকম নয়। চেয়ারম্যান স্যার ডেকেছিলেন, আমরা যারা ঢাকায় আছি, তারা গিয়েছিলাম। চেয়ারম্যান স্যারের সঙ্গে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল, সেটা কাটাতে আমরা বলেছি যে “যেটা হয়েছে, আপনি ভুলে যেতে বলেছেন, আমরা ভুলে গেছি। নতুন করে দেশ গঠনে আমরা কাজ করব।” চেয়ারম্যান স্যার বলেছেন, “তোমার রেজাল্টেই (রাজস্ব আদায়) বুঝতে পারব।” যদি এটাকে মাফ চাওয়া বলেন, তাহলে আর কী বলব?’
আন্দোলনের যৌক্তিকতার বিষয়ে প্রশ্ন করলে ওই অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ‘আমাদের দেশের জন্য কাজ করতে হবে। সরকার উপদেষ্টাদের কমিটি করেছে। তাঁরা আমাদের মতামত চেয়ে বলেছেন, তা যতটা সম্ভব গ্রহণ করবেন। চেয়ারম্যান স্যারও এ বিষয়ে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন। আমাদের মতামত আগে গ্রহণ না করায় এবং এ বিষয়ে তৎপরতার ঘাটতি থাকায় আমরা আবেগের জায়গা থেকে চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি করেছিলাম। সেটা এখন দূর হয়েছে।’
গত ১২ মে মধ্যরাতে জারি করা এক অধ্যাদেশে এনবিআর ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা নামের দুটি বিভাগ গঠনের ঘোষণা দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এই উদ্যোগ বাতিলের দাবিতে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে কর্মবিরতি, রাজস্ব আদায় কর্মকাণ্ডে ‘শাটডাউন’সহ নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
প্রথম দিকে এনবিআর বিলুপ্তির অধ্যাদেশ সংশোধনসহ কয়েকটি দাবি থাকলেও শেষ পর্যায়ে এসে চেয়ারম্যানের অপসারণের এক দফা দাবিতে আন্দোলন চলতে থাকে। তবে সরকার কঠোর অবস্থান নিয়ে ২৯ জুন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সব শ্রেণির চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় সেবা ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেয়। কঠোর শাস্তির ভয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন এনবিআর কর্মকর্তারা। এর প্রেক্ষাপটে ব্যবসায়ীদের মধ্যস্থতায় সেদিনই তাঁরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন। এর পরপরই আন্দোলনে সম্পৃক্ত ১৬ জন কর্মকর্তার অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। অন্যদিকে এনবিআরের তিনজন সদস্য ও একজন কমিশনারকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়। সাময়িক বরখাস্ত করা হয় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনারকে। যদিও কর্তৃপক্ষ আন্দোলনের সঙ্গে দুদকের অনুসন্ধানের সম্পর্ক না থাকার দাবি করেছে।
আন্দোলনকারী কর্মকর্তাদের বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, ‘চেয়ারম্যান হিসেবে আমার বিরুদ্ধে যাঁরা আন্দোলন করেছেন, আমি তাঁদের ক্ষমা করে দিয়েছি। কিন্তু, যাঁরা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন, রাষ্ট্র তাঁদের ক্ষমা করবে কি না, তা আমি জানি না।’
সবাইকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে ‘দেশের উন্নয়নের অক্সিজেন’ রাজস্ব আদায়ে মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন এনবিআর চেয়ারম্যান।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সরকারের সাবেক আমলা ও জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ফিরোজ মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারি কর্মচারীরা আন্দোলন করেন নিজের ও গোষ্ঠীর স্বার্থে। তাঁদের আন্দোলন কখনো জনস্বার্থে হয় না। এটা কেবল এনবিআরের কর্মকর্তা নয়, সকল সরকারি কর্মচারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এনবিআরের কর্মকর্তারা হয়তো সুযোগ-সুবিধা, ক্ষমতার বৃদ্ধির জন্য আন্দোলন করেছেন। কোনো কারণে এখন সেখান থেকে সরে এসেছেন। তবে এতে রাষ্ট্রের অনেক ক্ষতি হয়েছে।’
আরও খবর পড়ুন:

সাজা থেকে বাঁচতে দল বেঁধে চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছেন আন্দোলনে অংশ নেওয়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তারা। গত দুই দিনে আয়কর ও কাস্টমস ক্যাডারের তিন শতাধিক কর্মকর্তা চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানের কাছে ‘নিঃশর্ত ক্ষমা’ চেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এমন কর্মকর্তারা রয়েছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
এনবিআরের এত কর্মকর্তা ক্ষমা চাওয়ায় তাঁদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা কিছুটা হলেও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা এ প্রসঙ্গে বলছেন, জন বা রাষ্ট্রের স্বার্থে সরকারি কর্মকর্তাদের আন্দোলনের নজির নেই। আমলারা সাধারণত নিজেদের স্বার্থ আদায়েই আন্দোলন করে থাকেন।
তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, বিষয়টা আক্ষরিক অর্থে ক্ষমা চাওয়া নয়। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ভুল-বোঝাবুঝির কারণে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল, তা দূর করে কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতেই চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তাঁরা।
নাম প্রকাশ করতে না চাওয়া এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, গতকাল বুধবার সকাল ৯টার দিকে আয়কর ক্যাডারের বিভিন্ন ব্যাচের প্রায় ৪০ জন কর্মকর্তা চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করে নিঃশর্ত ক্ষমা চান। একই উদ্দেশ্যে সোয়া ৯টার দিকে কাস্টমস ও ভ্যাট ক্যাডারের প্রায় ৫০ জন কর্মকর্তা চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করেন।
ঊর্ধ্বতন ওই কর্মকর্তা বলেন, আন্দোলনের কারণে রাজস্ব আদায় কার্যক্রম তথা দেশ ও অর্থনীতির ক্ষতির কথা স্বীকার করে কর্মকর্তারা দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা সরকারের নির্দেশনা মানা এবং রাজস্ব ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কাজ করার ব্যাপারে চেয়ারম্যানের কাছে অঙ্গীকার করেছেন।
সূত্র জানায়, এর আগে মঙ্গলবার এনবিআর চেয়ারম্যানের সঙ্গে আয়কর বিভাগের ক্যাডার কর্মকর্তারা ব্যাচভিত্তিক দেখা করে ক্ষমা চান। এর মধ্যে ৪০, ৩৮, ৩৩, ৩১, ৩০,২৯ ও ২৮ ব্যাচের কর্মকর্তারা ছিলেন। তা ছাড়া সদ্য পদোন্নতি পাওয়া ৫০ জনের বেশি কর্মকর্তা চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তাঁরা দেশের স্বার্থে কাজের পরিবেশ ফিরিয়ে এনে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা আল-আমিন শেখ বলেন, ‘চেয়ারম্যান স্যারের সঙ্গে কর্মকর্তারা দেখা করেছেন। কিন্তু কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, তা আমার জানা নেই।’
চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আন্দোলনে অংশ নেওয়া কাস্টমস ক্যাডারের একজন অতিরিক্ত কমিশনার আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘দলে দলে গিয়ে ক্ষমা চাওয়া হচ্ছে বিষয়টা সে রকম নয়। চেয়ারম্যান স্যার ডেকেছিলেন, আমরা যারা ঢাকায় আছি, তারা গিয়েছিলাম। চেয়ারম্যান স্যারের সঙ্গে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল, সেটা কাটাতে আমরা বলেছি যে “যেটা হয়েছে, আপনি ভুলে যেতে বলেছেন, আমরা ভুলে গেছি। নতুন করে দেশ গঠনে আমরা কাজ করব।” চেয়ারম্যান স্যার বলেছেন, “তোমার রেজাল্টেই (রাজস্ব আদায়) বুঝতে পারব।” যদি এটাকে মাফ চাওয়া বলেন, তাহলে আর কী বলব?’
আন্দোলনের যৌক্তিকতার বিষয়ে প্রশ্ন করলে ওই অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ‘আমাদের দেশের জন্য কাজ করতে হবে। সরকার উপদেষ্টাদের কমিটি করেছে। তাঁরা আমাদের মতামত চেয়ে বলেছেন, তা যতটা সম্ভব গ্রহণ করবেন। চেয়ারম্যান স্যারও এ বিষয়ে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন। আমাদের মতামত আগে গ্রহণ না করায় এবং এ বিষয়ে তৎপরতার ঘাটতি থাকায় আমরা আবেগের জায়গা থেকে চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি করেছিলাম। সেটা এখন দূর হয়েছে।’
গত ১২ মে মধ্যরাতে জারি করা এক অধ্যাদেশে এনবিআর ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা নামের দুটি বিভাগ গঠনের ঘোষণা দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এই উদ্যোগ বাতিলের দাবিতে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে কর্মবিরতি, রাজস্ব আদায় কর্মকাণ্ডে ‘শাটডাউন’সহ নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
প্রথম দিকে এনবিআর বিলুপ্তির অধ্যাদেশ সংশোধনসহ কয়েকটি দাবি থাকলেও শেষ পর্যায়ে এসে চেয়ারম্যানের অপসারণের এক দফা দাবিতে আন্দোলন চলতে থাকে। তবে সরকার কঠোর অবস্থান নিয়ে ২৯ জুন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সব শ্রেণির চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় সেবা ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেয়। কঠোর শাস্তির ভয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন এনবিআর কর্মকর্তারা। এর প্রেক্ষাপটে ব্যবসায়ীদের মধ্যস্থতায় সেদিনই তাঁরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন। এর পরপরই আন্দোলনে সম্পৃক্ত ১৬ জন কর্মকর্তার অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। অন্যদিকে এনবিআরের তিনজন সদস্য ও একজন কমিশনারকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়। সাময়িক বরখাস্ত করা হয় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনারকে। যদিও কর্তৃপক্ষ আন্দোলনের সঙ্গে দুদকের অনুসন্ধানের সম্পর্ক না থাকার দাবি করেছে।
আন্দোলনকারী কর্মকর্তাদের বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, ‘চেয়ারম্যান হিসেবে আমার বিরুদ্ধে যাঁরা আন্দোলন করেছেন, আমি তাঁদের ক্ষমা করে দিয়েছি। কিন্তু, যাঁরা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন, রাষ্ট্র তাঁদের ক্ষমা করবে কি না, তা আমি জানি না।’
সবাইকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে ‘দেশের উন্নয়নের অক্সিজেন’ রাজস্ব আদায়ে মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন এনবিআর চেয়ারম্যান।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সরকারের সাবেক আমলা ও জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ফিরোজ মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারি কর্মচারীরা আন্দোলন করেন নিজের ও গোষ্ঠীর স্বার্থে। তাঁদের আন্দোলন কখনো জনস্বার্থে হয় না। এটা কেবল এনবিআরের কর্মকর্তা নয়, সকল সরকারি কর্মচারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এনবিআরের কর্মকর্তারা হয়তো সুযোগ-সুবিধা, ক্ষমতার বৃদ্ধির জন্য আন্দোলন করেছেন। কোনো কারণে এখন সেখান থেকে সরে এসেছেন। তবে এতে রাষ্ট্রের অনেক ক্ষতি হয়েছে।’
আরও খবর পড়ুন:

নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. রুহুল আমিন মল্লিক স্বাক্ষরিত এক শোকবার্তায় জানানো হয়, বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে একজন প্রভাবশালী ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন।
৩ মিনিট আগে
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক স্মরণীয় অধ্যায়ের অবসান ঘটিয়ে চিরবিদায় নিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
১০ মিনিট আগে
জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোটের পক্ষে সরকারি প্রচার বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
২২ মিনিট আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
২৮ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন।
আজ মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. রুহুল আমিন মল্লিক স্বাক্ষরিত এক শোকবার্তায় জানানো হয়, বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে একজন প্রভাবশালী ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন। তিনি ১৯৯১ সালে সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পর দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে আরও দুই দফা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। রাজনৈতিক জীবনে তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র, সাংবিধানিক শাসনব্যবস্থা ও রাজনৈতিক অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। তিনি দীর্ঘদিন বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবেও সংসদীয় রাজনীতিতে সক্রিয় থেকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় আপসহীন ভূমিকা পালন করেন।
নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহের বিকাশে তাঁর রাজনৈতিক ভূমিকা বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
নির্বাচন কমিশন মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, স্বজন ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন।
আজ মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. রুহুল আমিন মল্লিক স্বাক্ষরিত এক শোকবার্তায় জানানো হয়, বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে একজন প্রভাবশালী ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন। তিনি ১৯৯১ সালে সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পর দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে আরও দুই দফা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। রাজনৈতিক জীবনে তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র, সাংবিধানিক শাসনব্যবস্থা ও রাজনৈতিক অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। তিনি দীর্ঘদিন বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবেও সংসদীয় রাজনীতিতে সক্রিয় থেকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় আপসহীন ভূমিকা পালন করেন।
নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহের বিকাশে তাঁর রাজনৈতিক ভূমিকা বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
নির্বাচন কমিশন মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, স্বজন ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছে।

সাজা থেকে বাঁচতে দল বেঁধে চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছেন আন্দোলনে অংশ নেওয়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তারা। গত দুই দিনে আয়কর ও কাস্টমস ক্যাডারের তিন শর বেশি কর্মকর্তা চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানের কাছে ‘নিঃশর্ত ক্ষমা’ চেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সঙ্গে যুক্ত
১০ জুলাই ২০২৫
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক স্মরণীয় অধ্যায়ের অবসান ঘটিয়ে চিরবিদায় নিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
১০ মিনিট আগে
জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোটের পক্ষে সরকারি প্রচার বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
২২ মিনিট আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
২৮ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক স্মরণীয় অধ্যায়ের অবসান ঘটিয়ে চিরবিদায় নিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
বেগম জিয়ার মৃত্যুতে দেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁর মৃত্যুপরবর্তী রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি ও শোক পালনের রূপরেখা নির্ধারণে জরুরি বৈঠকে বসেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এই বিশেষ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও উপস্থিত আছেন।
সরকারি সূত্র জানিয়েছে, বেলা ১২টার পর প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। এই ভাষণেই রাষ্ট্রীয় শোক এবং সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর শেষ বিদায়ের রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি ঘোষণা করার কথা রয়েছে।
অন্যদিকে, দলের চেয়ারপারসনের মৃত্যুতে পরবর্তী করণীয় ও জানাজার সময়সূচি নির্ধারণে স্থায়ী কমিটির জরুরি সভা ডেকেছে বিএনপি। দুপুর সাড়ে ১২টায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
জাতীয় নির্বাচনের দিন জুলাই সনদের বিষয়ে প্রস্তাবিত গণভোটের সরকারি প্রচার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। গণভোট বিষয়ে জনসচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রমের মুখ্য সমন্বয়ক ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন শেষ না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের প্রচার বন্ধ থাকবে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই এই গণভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
১৯৪৫ সালে জন্ম নেওয়া বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯১ সালে বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে ইতিহাস গড়েছিলেন। তিন মেয়াদে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এই নেত্রী মুক্তবাজার অর্থনীতি এবং নারী শিক্ষার প্রসারে আমৃত্যু কাজ করে গেছেন। দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা এবং রাজনৈতিক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ২০২৪ সালের আগস্ট বিপ্লবের পর তিনি পূর্ণ মুক্তি পেলেও শারীরিক জটিলতার কারণে দীর্ঘদিন হাসপাতালেই কাটছিল তাঁর সময়।
তাঁর মৃত্যুতে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করছেন। হাসপাতালের সামনে এবং নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ভিড় করছেন হাজার হাজার শোকাতুর নেতা-কর্মী।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক স্মরণীয় অধ্যায়ের অবসান ঘটিয়ে চিরবিদায় নিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
বেগম জিয়ার মৃত্যুতে দেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁর মৃত্যুপরবর্তী রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি ও শোক পালনের রূপরেখা নির্ধারণে জরুরি বৈঠকে বসেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এই বিশেষ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও উপস্থিত আছেন।
সরকারি সূত্র জানিয়েছে, বেলা ১২টার পর প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। এই ভাষণেই রাষ্ট্রীয় শোক এবং সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর শেষ বিদায়ের রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি ঘোষণা করার কথা রয়েছে।
অন্যদিকে, দলের চেয়ারপারসনের মৃত্যুতে পরবর্তী করণীয় ও জানাজার সময়সূচি নির্ধারণে স্থায়ী কমিটির জরুরি সভা ডেকেছে বিএনপি। দুপুর সাড়ে ১২টায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
জাতীয় নির্বাচনের দিন জুলাই সনদের বিষয়ে প্রস্তাবিত গণভোটের সরকারি প্রচার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। গণভোট বিষয়ে জনসচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রমের মুখ্য সমন্বয়ক ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন শেষ না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের প্রচার বন্ধ থাকবে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই এই গণভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
১৯৪৫ সালে জন্ম নেওয়া বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯১ সালে বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে ইতিহাস গড়েছিলেন। তিন মেয়াদে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এই নেত্রী মুক্তবাজার অর্থনীতি এবং নারী শিক্ষার প্রসারে আমৃত্যু কাজ করে গেছেন। দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা এবং রাজনৈতিক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ২০২৪ সালের আগস্ট বিপ্লবের পর তিনি পূর্ণ মুক্তি পেলেও শারীরিক জটিলতার কারণে দীর্ঘদিন হাসপাতালেই কাটছিল তাঁর সময়।
তাঁর মৃত্যুতে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করছেন। হাসপাতালের সামনে এবং নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ভিড় করছেন হাজার হাজার শোকাতুর নেতা-কর্মী।

সাজা থেকে বাঁচতে দল বেঁধে চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছেন আন্দোলনে অংশ নেওয়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তারা। গত দুই দিনে আয়কর ও কাস্টমস ক্যাডারের তিন শর বেশি কর্মকর্তা চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানের কাছে ‘নিঃশর্ত ক্ষমা’ চেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সঙ্গে যুক্ত
১০ জুলাই ২০২৫
নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. রুহুল আমিন মল্লিক স্বাক্ষরিত এক শোকবার্তায় জানানো হয়, বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে একজন প্রভাবশালী ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন।
৩ মিনিট আগে
জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোটের পক্ষে সরকারি প্রচার বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
২২ মিনিট আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
২৮ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোটের পক্ষে সরকারি প্রচার বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য জানিয়েছেন গণভোট বিষয়ে জনসচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রমের মুখ্য সমন্বয়ক ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (উপদেষ্টা পদমর্যাদা) অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
আলী রীয়াজ বলেন, ‘খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন না হওয়া পর্যন্ত গণভোটের সমস্ত রকম প্রচার বন্ধ থাকবে।’
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচন ও জুলাই সনদের বিষয়ে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দিন গণভোট দিতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে সারা দেশে প্রচার করছে সরকার। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়সহ ১৯টি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে এই প্রচার চলছে।
দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ মঙ্গলবার ভোরে তিনি মারা যান। তাঁর মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি ঠিক করতে উপদেষ্টা পরিষদ বিশেষ বৈঠকে বসেছে। এতে সভাপতিত্ব করছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দুপুর ১২টার পরে জাতির উদ্দেশে ভাষণে কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারেন প্রধান উপদেষ্টা।

জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোটের পক্ষে সরকারি প্রচার বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য জানিয়েছেন গণভোট বিষয়ে জনসচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রমের মুখ্য সমন্বয়ক ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (উপদেষ্টা পদমর্যাদা) অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
আলী রীয়াজ বলেন, ‘খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন না হওয়া পর্যন্ত গণভোটের সমস্ত রকম প্রচার বন্ধ থাকবে।’
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচন ও জুলাই সনদের বিষয়ে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দিন গণভোট দিতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে সারা দেশে প্রচার করছে সরকার। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়সহ ১৯টি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে এই প্রচার চলছে।
দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ মঙ্গলবার ভোরে তিনি মারা যান। তাঁর মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি ঠিক করতে উপদেষ্টা পরিষদ বিশেষ বৈঠকে বসেছে। এতে সভাপতিত্ব করছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দুপুর ১২টার পরে জাতির উদ্দেশে ভাষণে কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারেন প্রধান উপদেষ্টা।

সাজা থেকে বাঁচতে দল বেঁধে চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছেন আন্দোলনে অংশ নেওয়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তারা। গত দুই দিনে আয়কর ও কাস্টমস ক্যাডারের তিন শর বেশি কর্মকর্তা চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানের কাছে ‘নিঃশর্ত ক্ষমা’ চেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সঙ্গে যুক্ত
১০ জুলাই ২০২৫
নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. রুহুল আমিন মল্লিক স্বাক্ষরিত এক শোকবার্তায় জানানো হয়, বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে একজন প্রভাবশালী ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন।
৩ মিনিট আগে
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক স্মরণীয় অধ্যায়ের অবসান ঘটিয়ে চিরবিদায় নিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
১০ মিনিট আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
২৮ মিনিট আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
শাহবাজ শরিফ তাঁর এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন এবং বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নে তাঁর আজীবনের সেবা এক চিরস্থায়ী উত্তরাধিকার রেখে যাচ্ছে।’
শাহবাজ শরিফ লিখেছেন, ‘খালেদা জিয়া পাকিস্তানের একজন নিবেদিতপ্রাণ বন্ধু ছিলেন। শোকের এই মুহূর্তে আমার সরকার এবং পাকিস্তানের জনগণ বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। এই কঠিন সময়ে আমাদের চিন্তা ও প্রার্থনা তাঁর পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে রয়েছে। মহান আল্লাহ তাআলা তাঁর আত্মাকে মাগফিরাত দান করুন। আমিন!’
Deeply saddened by the passing of Begum Khaleda Zia, Chairperson of the BNP and former Prime Minister of Bangladesh. Her lifelong service to Bangladesh and its growth and development leaves a lasting legacy.
— Shehbaz Sharif (@CMShehbaz) December 30, 2025
Begum Zia was a committed friend of Pakistan. My Government and the…
এদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ঢাকায় ইন্তেকাল করার খবর শুনে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। তাঁর পরিবার এবং বাংলাদেশের সকল জনগণের প্রতি আমাদের আন্তরিক সমবেদনা। মহান আল্লাহ তাআলা যেন এই শোক সহ্য করার মতো ধৈর্য ও শক্তি তাঁর পরিবারকে দান করেন।’

মোদি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশটির উন্নয়ন এবং ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান সর্বদা স্মরণে থাকবে। ২০১৫ সালে ঢাকা সফরের সময় তাঁর সঙ্গে আমার আন্তরিক বৈঠকের কথা আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। আমরা আশা করি, তাঁর স্বপ্ন এবং আদর্শ আমাদের পারস্পরিক অংশীদারত্বকে ভবিষ্যতেও অনুপ্রাণিত করবে। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি।’
Deeply saddened to learn about the passing away of former Prime Minister and BNP Chairperson Begum Khaleda Zia in Dhaka.
— Narendra Modi (@narendramodi) December 30, 2025
Our sincerest condolences to her family and all the people of Bangladesh. May the Almighty grant her family the fortitude to bear this tragic loss.
As the… pic.twitter.com/BLg6K52vak

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
শাহবাজ শরিফ তাঁর এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন এবং বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নে তাঁর আজীবনের সেবা এক চিরস্থায়ী উত্তরাধিকার রেখে যাচ্ছে।’
শাহবাজ শরিফ লিখেছেন, ‘খালেদা জিয়া পাকিস্তানের একজন নিবেদিতপ্রাণ বন্ধু ছিলেন। শোকের এই মুহূর্তে আমার সরকার এবং পাকিস্তানের জনগণ বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। এই কঠিন সময়ে আমাদের চিন্তা ও প্রার্থনা তাঁর পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে রয়েছে। মহান আল্লাহ তাআলা তাঁর আত্মাকে মাগফিরাত দান করুন। আমিন!’
Deeply saddened by the passing of Begum Khaleda Zia, Chairperson of the BNP and former Prime Minister of Bangladesh. Her lifelong service to Bangladesh and its growth and development leaves a lasting legacy.
— Shehbaz Sharif (@CMShehbaz) December 30, 2025
Begum Zia was a committed friend of Pakistan. My Government and the…
এদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ঢাকায় ইন্তেকাল করার খবর শুনে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। তাঁর পরিবার এবং বাংলাদেশের সকল জনগণের প্রতি আমাদের আন্তরিক সমবেদনা। মহান আল্লাহ তাআলা যেন এই শোক সহ্য করার মতো ধৈর্য ও শক্তি তাঁর পরিবারকে দান করেন।’

মোদি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশটির উন্নয়ন এবং ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান সর্বদা স্মরণে থাকবে। ২০১৫ সালে ঢাকা সফরের সময় তাঁর সঙ্গে আমার আন্তরিক বৈঠকের কথা আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। আমরা আশা করি, তাঁর স্বপ্ন এবং আদর্শ আমাদের পারস্পরিক অংশীদারত্বকে ভবিষ্যতেও অনুপ্রাণিত করবে। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি।’
Deeply saddened to learn about the passing away of former Prime Minister and BNP Chairperson Begum Khaleda Zia in Dhaka.
— Narendra Modi (@narendramodi) December 30, 2025
Our sincerest condolences to her family and all the people of Bangladesh. May the Almighty grant her family the fortitude to bear this tragic loss.
As the… pic.twitter.com/BLg6K52vak

সাজা থেকে বাঁচতে দল বেঁধে চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছেন আন্দোলনে অংশ নেওয়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তারা। গত দুই দিনে আয়কর ও কাস্টমস ক্যাডারের তিন শর বেশি কর্মকর্তা চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানের কাছে ‘নিঃশর্ত ক্ষমা’ চেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সঙ্গে যুক্ত
১০ জুলাই ২০২৫
নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. রুহুল আমিন মল্লিক স্বাক্ষরিত এক শোকবার্তায় জানানো হয়, বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে একজন প্রভাবশালী ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন।
৩ মিনিট আগে
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক স্মরণীয় অধ্যায়ের অবসান ঘটিয়ে চিরবিদায় নিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
১০ মিনিট আগে
জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোটের পক্ষে সরকারি প্রচার বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
২২ মিনিট আগে