তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

পদ্মা সেতু ও কর্ণফুলী টানেলের সার্ভিস এরিয়ার ভিআইপি কটেজ-বাংলো, মোটেল, রেস্তোরাঁসহ সেবা খাতের বিভিন্ন বাণিজ্যিক স্থাপনা পরিচালনার জন্য ইজারা (লিজ) দিতে যাচ্ছে সেতু বিভাগ। এ জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্রও আহ্বান করা হয়েছে। পদ্মা সেতুর তিনটির মধ্যে ২ নম্বর সার্ভিস এরিয়া এবং কর্ণফুলী টানেলের পুরো সার্ভিস এরিয়া বার্ষিক ভিত্তিতে ইজারা দেওয়া হবে।
সেতু বিভাগ বলছে, এই দুই প্রকল্পের সার্ভিস এরিয়া সব স্থাপনাসহ পরিচালনার জন্য ইজারা দিলে সেতু বিভাগের আয় বাড়বে এবং রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কমবে। আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন এসব সার্ভিস এরিয়া পর্যটনকেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে। কারণ, সেখানে কটেজ, বাংলো, মোটেল, কনভেনশন হল, কনফারেন্স রুম, রেস্তোরাঁ, ফুড কোর্ট, সুইমিং পুল, খেলাধূলার ব্যবস্থাসহ অবকাশ কাটানোর সব আয়োজনই রয়েছে। ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে নির্মিত চট্টগ্রামের কর্ণফুলী টানেল লোকসানি প্রকল্প। রক্ষণাবেক্ষণের খরচই উঠছে না। সার্ভিস এরিয়া বাণিজ্যিকভাবে পরিচালনার জন্য ইজারা দিলে কিছু অর্থ আসবে।
যোগাযোগ খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকল্পে স্থায়ী সার্ভিস এরিয়া করা ঠিক হয়নি। কারণ, এই জমি অধিগ্রহণে বিপুল অর্থ ব্যয় হয়েছে। কাজ শেষে জমি ফেরত দিলে প্রকল্প ব্যয় থেকে এই অর্থ সাশ্রয় হতো।
জানতে চাইলে সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ পদ্মা সেতু ও কর্ণফুলী টানেলের সার্ভিস এরিয়া ইজারা দিতে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বানের বিষয়টি নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, উন্মুক্ত দরপত্রে যে কেউ আবেদন করতে পারবে। এই ইজারা দেওয়া হচ্ছে পর্যটন খাতে ব্যবহারের জন্য। বিশেষ করে হোটেল, মোটেল, পর্যটনকেন্দ্র ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের জন্য। প্রায় ৩০ বছরের জন্য ইজারা দেওয়া হবে। ইজারা দিলে কিছু রাজস্ব আয় হবে এবং মানুষ এগুলো ব্যবহার করতে পারবে। সার্ভিস এরিয়ায় যেসব স্থাপনা রয়েছে, সেগুলো আন্তর্জাতিক মানের।
সেতু বিভাগের সূত্র জানায়, ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু চালু হয়। এই সেতুর মোট তিনটি সার্ভিস এরিয়ার মধ্যে ২ নম্বর সার্ভিস এরিয়া দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে সংযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থিত। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত দেশের প্রথম টানেল কর্ণফুলী টানেল উদ্বোধন করা হয় ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর। সেতু ও টানেল ব্যবহার করা হলেও সার্ভিস এরিয়ার কটেজ, মোটেলসহ অন্যান্য স্থাপনার ব্যবহার নেই। এ জন্য পদ্মা সেতুর একটি এবং টানেলের দুই প্রান্তের সার্ভিস এরিয়া বাণিজ্যিক কার্যক্রমের জন্য ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেতু বিভাগ। এ জন্য ১ জুলাই আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। আগ্রহীরা আগামী ২৭ আগস্ট পর্যন্ত দরপত্র জমা দিতে পারবেন।
সেতু বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, ইজারা দেওয়ার মূল লক্ষ্য হলো সেতু ও টানেলের পাশে উচ্চমানের সেবা নিশ্চিত করা এবং সরকারি সম্পদ বাণিজ্যিকভাবে কাজে লাগানো। আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করায় স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
সূত্র বলেছে, দরপত্রে শর্ত রয়েছে, নির্বাচিত ইজারাদারের কাছে ‘যেমন আছে’ ভিত্তিতে সার্ভিস এরিয়া হস্তান্তর করবে সেতু বিভাগ। ইজারাদার চুক্তি অনুযায়ী ওই সম্পত্তি পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করবে এবং বার্ষিক ন্যূনতম ভাড়া চার কিস্তিতে পরিশোধ করবে। সার্ভিস এরিয়ায় রুম সার্ভিস, হাউসকিপিং, খাবার, ভ্রমণ, সম্মেলন, স্পা ইত্যাদি সেবা চালু করে ইজারাদার মুনাফা অর্জন করতে পারবে এবং এসব সেবার মূল্য নির্ধারণের অধিকার তার থাকবে। সেবার মান বজায় রাখতে পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করতে হবে। দর্শনার্থী বাড়াতে নতুন উদ্যোগ নিতে পারবে। তবে যেকোনো পরিবর্তনের জন্য ইজারাদাতার অনুমতি নিতে হবে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলেন, নির্মাণ প্রকল্পের নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকায় এসব প্রকল্পে স্থায়ী সার্ভিস এরিয়া গড়ে তোলা উচিত হয়নি। সার্ভিস এরিয়ার জন্য জমি অধিগ্রহণে বড় অঙ্কের টাকা খরচ হয়েছে। অস্থায়ীভাবে জায়গা ব্যবহার করে কাজ শেষে ফেরত দিলে প্রকল্পের খরচ অনেক কম হতো। এই স্থায়ী সার্ভিস এরিয়া করার পেছনে কিছু ব্যক্তির সুবিধা জড়িত ছিল। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে এমন স্থায়ী অবকাঠামো করা ঠেকাতে সরকারের সংস্কারমূলক নীতিমালা তৈরি করা দরকার।
পদ্মা সেতুর সার্ভিস এরিয়া-২ পড়েছে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে সেতুর দক্ষিণ অংশে। এটি পদ্মা নদীর পাশ ঘেঁষে এবং সেতু ও আঞ্চলিক মহাসড়কের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত। ফলে অত্যাধুনিক সুবিধাসম্পন্ন এই সার্ভিস এরিয়ায় যাতায়াত সহজ।
সেতু বিভাগের সূত্র জানায়, ৫৩.৭৫ একর জমির ওপর নির্মিত এই সার্ভিস এরিয়ায় রয়েছে ৩০টি ভিআইপি ডুপ্লেক্স কটেজ, ৪০টি মোটেল মেস, কনভেনশন হল, অফিস ও কনফারেন্স সুবিধা, রেস্টুরেন্ট, দোকান, ফুড কোর্ট, সুইমিংপুল, শিশুদের পুল, স্টিম বাথ (নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা), বাস্কেটবল ও টেনিস কোর্ট, ইনডোর গেমসের ব্যবস্থা, মসজিদ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, পানি শোধনাগার, বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা। রয়েছে অভ্যন্তরীণ সড়ক, হাঁটার পথ, সবুজায়ন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও পারিপার্শ্বিক উন্নয়ন।
কর্ণফুলী টানেলের দুই প্রান্তে সার্ভিস এরিয়া ৭২ একর। সেখানে রয়েছে ৩০টি ভিআইপি বাংলো, ৪৮ ইউনিটের মোটেল মেস, কনভেনশন সেন্টার, রিসোর্ট রিসিপশন ভবন, রেস্তোরাঁ, দোকান, জিম, অফিস, কনফারেন্স রুম, সুইমিংপুল, খেলার মাঠ, টেনিস কোর্ট, বিনোদন এলাকা, থিয়েটার, জাদুঘর, মসজিদ, স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ অন্যান্য সুবিধা। এই সার্ভিস এরিয়া নির্মাণে খরচ হয় প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা। টানেল প্রকল্পটি এখন লোকসানি। দিনে রক্ষণাবেক্ষণে ৩৭ লাখ টাকার বেশি খরচ হলেও টোল বাবদ আয় হচ্ছে ১০ লাখ টাকার কিছু বেশি।
দুই প্রকল্পের সার্ভিস এরিয়া ইজারার উদ্যোগের বিষয়ে অধ্যাপক শামসুল হক বলেন, সার্ভিস এরিয়া এখন জনগণের সম্পদ। তাই ইজারা দিয়ে আয় করার সুযোগ রয়েছে। তবে দরপত্রের প্রক্রিয়া যেন স্বচ্ছ ও সঠিকভাবে হয়, সেদিকে নজর দিতে হবে। কারণ, এসব জায়গায় অনিয়মের অভিযোগ থাকে।
আরও খবর পড়ুন:

পদ্মা সেতু ও কর্ণফুলী টানেলের সার্ভিস এরিয়ার ভিআইপি কটেজ-বাংলো, মোটেল, রেস্তোরাঁসহ সেবা খাতের বিভিন্ন বাণিজ্যিক স্থাপনা পরিচালনার জন্য ইজারা (লিজ) দিতে যাচ্ছে সেতু বিভাগ। এ জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্রও আহ্বান করা হয়েছে। পদ্মা সেতুর তিনটির মধ্যে ২ নম্বর সার্ভিস এরিয়া এবং কর্ণফুলী টানেলের পুরো সার্ভিস এরিয়া বার্ষিক ভিত্তিতে ইজারা দেওয়া হবে।
সেতু বিভাগ বলছে, এই দুই প্রকল্পের সার্ভিস এরিয়া সব স্থাপনাসহ পরিচালনার জন্য ইজারা দিলে সেতু বিভাগের আয় বাড়বে এবং রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কমবে। আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন এসব সার্ভিস এরিয়া পর্যটনকেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে। কারণ, সেখানে কটেজ, বাংলো, মোটেল, কনভেনশন হল, কনফারেন্স রুম, রেস্তোরাঁ, ফুড কোর্ট, সুইমিং পুল, খেলাধূলার ব্যবস্থাসহ অবকাশ কাটানোর সব আয়োজনই রয়েছে। ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে নির্মিত চট্টগ্রামের কর্ণফুলী টানেল লোকসানি প্রকল্প। রক্ষণাবেক্ষণের খরচই উঠছে না। সার্ভিস এরিয়া বাণিজ্যিকভাবে পরিচালনার জন্য ইজারা দিলে কিছু অর্থ আসবে।
যোগাযোগ খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকল্পে স্থায়ী সার্ভিস এরিয়া করা ঠিক হয়নি। কারণ, এই জমি অধিগ্রহণে বিপুল অর্থ ব্যয় হয়েছে। কাজ শেষে জমি ফেরত দিলে প্রকল্প ব্যয় থেকে এই অর্থ সাশ্রয় হতো।
জানতে চাইলে সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ পদ্মা সেতু ও কর্ণফুলী টানেলের সার্ভিস এরিয়া ইজারা দিতে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বানের বিষয়টি নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, উন্মুক্ত দরপত্রে যে কেউ আবেদন করতে পারবে। এই ইজারা দেওয়া হচ্ছে পর্যটন খাতে ব্যবহারের জন্য। বিশেষ করে হোটেল, মোটেল, পর্যটনকেন্দ্র ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের জন্য। প্রায় ৩০ বছরের জন্য ইজারা দেওয়া হবে। ইজারা দিলে কিছু রাজস্ব আয় হবে এবং মানুষ এগুলো ব্যবহার করতে পারবে। সার্ভিস এরিয়ায় যেসব স্থাপনা রয়েছে, সেগুলো আন্তর্জাতিক মানের।
সেতু বিভাগের সূত্র জানায়, ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু চালু হয়। এই সেতুর মোট তিনটি সার্ভিস এরিয়ার মধ্যে ২ নম্বর সার্ভিস এরিয়া দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে সংযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থিত। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত দেশের প্রথম টানেল কর্ণফুলী টানেল উদ্বোধন করা হয় ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর। সেতু ও টানেল ব্যবহার করা হলেও সার্ভিস এরিয়ার কটেজ, মোটেলসহ অন্যান্য স্থাপনার ব্যবহার নেই। এ জন্য পদ্মা সেতুর একটি এবং টানেলের দুই প্রান্তের সার্ভিস এরিয়া বাণিজ্যিক কার্যক্রমের জন্য ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেতু বিভাগ। এ জন্য ১ জুলাই আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। আগ্রহীরা আগামী ২৭ আগস্ট পর্যন্ত দরপত্র জমা দিতে পারবেন।
সেতু বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, ইজারা দেওয়ার মূল লক্ষ্য হলো সেতু ও টানেলের পাশে উচ্চমানের সেবা নিশ্চিত করা এবং সরকারি সম্পদ বাণিজ্যিকভাবে কাজে লাগানো। আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করায় স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
সূত্র বলেছে, দরপত্রে শর্ত রয়েছে, নির্বাচিত ইজারাদারের কাছে ‘যেমন আছে’ ভিত্তিতে সার্ভিস এরিয়া হস্তান্তর করবে সেতু বিভাগ। ইজারাদার চুক্তি অনুযায়ী ওই সম্পত্তি পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করবে এবং বার্ষিক ন্যূনতম ভাড়া চার কিস্তিতে পরিশোধ করবে। সার্ভিস এরিয়ায় রুম সার্ভিস, হাউসকিপিং, খাবার, ভ্রমণ, সম্মেলন, স্পা ইত্যাদি সেবা চালু করে ইজারাদার মুনাফা অর্জন করতে পারবে এবং এসব সেবার মূল্য নির্ধারণের অধিকার তার থাকবে। সেবার মান বজায় রাখতে পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করতে হবে। দর্শনার্থী বাড়াতে নতুন উদ্যোগ নিতে পারবে। তবে যেকোনো পরিবর্তনের জন্য ইজারাদাতার অনুমতি নিতে হবে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলেন, নির্মাণ প্রকল্পের নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকায় এসব প্রকল্পে স্থায়ী সার্ভিস এরিয়া গড়ে তোলা উচিত হয়নি। সার্ভিস এরিয়ার জন্য জমি অধিগ্রহণে বড় অঙ্কের টাকা খরচ হয়েছে। অস্থায়ীভাবে জায়গা ব্যবহার করে কাজ শেষে ফেরত দিলে প্রকল্পের খরচ অনেক কম হতো। এই স্থায়ী সার্ভিস এরিয়া করার পেছনে কিছু ব্যক্তির সুবিধা জড়িত ছিল। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে এমন স্থায়ী অবকাঠামো করা ঠেকাতে সরকারের সংস্কারমূলক নীতিমালা তৈরি করা দরকার।
পদ্মা সেতুর সার্ভিস এরিয়া-২ পড়েছে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে সেতুর দক্ষিণ অংশে। এটি পদ্মা নদীর পাশ ঘেঁষে এবং সেতু ও আঞ্চলিক মহাসড়কের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত। ফলে অত্যাধুনিক সুবিধাসম্পন্ন এই সার্ভিস এরিয়ায় যাতায়াত সহজ।
সেতু বিভাগের সূত্র জানায়, ৫৩.৭৫ একর জমির ওপর নির্মিত এই সার্ভিস এরিয়ায় রয়েছে ৩০টি ভিআইপি ডুপ্লেক্স কটেজ, ৪০টি মোটেল মেস, কনভেনশন হল, অফিস ও কনফারেন্স সুবিধা, রেস্টুরেন্ট, দোকান, ফুড কোর্ট, সুইমিংপুল, শিশুদের পুল, স্টিম বাথ (নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা), বাস্কেটবল ও টেনিস কোর্ট, ইনডোর গেমসের ব্যবস্থা, মসজিদ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, পানি শোধনাগার, বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা। রয়েছে অভ্যন্তরীণ সড়ক, হাঁটার পথ, সবুজায়ন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও পারিপার্শ্বিক উন্নয়ন।
কর্ণফুলী টানেলের দুই প্রান্তে সার্ভিস এরিয়া ৭২ একর। সেখানে রয়েছে ৩০টি ভিআইপি বাংলো, ৪৮ ইউনিটের মোটেল মেস, কনভেনশন সেন্টার, রিসোর্ট রিসিপশন ভবন, রেস্তোরাঁ, দোকান, জিম, অফিস, কনফারেন্স রুম, সুইমিংপুল, খেলার মাঠ, টেনিস কোর্ট, বিনোদন এলাকা, থিয়েটার, জাদুঘর, মসজিদ, স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ অন্যান্য সুবিধা। এই সার্ভিস এরিয়া নির্মাণে খরচ হয় প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা। টানেল প্রকল্পটি এখন লোকসানি। দিনে রক্ষণাবেক্ষণে ৩৭ লাখ টাকার বেশি খরচ হলেও টোল বাবদ আয় হচ্ছে ১০ লাখ টাকার কিছু বেশি।
দুই প্রকল্পের সার্ভিস এরিয়া ইজারার উদ্যোগের বিষয়ে অধ্যাপক শামসুল হক বলেন, সার্ভিস এরিয়া এখন জনগণের সম্পদ। তাই ইজারা দিয়ে আয় করার সুযোগ রয়েছে। তবে দরপত্রের প্রক্রিয়া যেন স্বচ্ছ ও সঠিকভাবে হয়, সেদিকে নজর দিতে হবে। কারণ, এসব জায়গায় অনিয়মের অভিযোগ থাকে।
আরও খবর পড়ুন:

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১০ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৪ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৪ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৬ ঘণ্টা আগেশাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

পদ্মা সেতু ও কর্ণফুলী টানেলের সার্ভিস এরিয়ার ভিআইপি কটেজ-বাংলো, মোটেল, রেস্তোরাঁসহ সেবা খাতের বিভিন্ন বাণিজ্যিক স্থাপনা পরিচালনার জন্য ইজারা (লিজ) দিতে যাচ্ছে সেতু বিভাগ। এ জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্রও আহ্বান করা হয়েছে।
১০ জুলাই ২০২৫
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৪ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৪ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ও এনজিও-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
সেদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও-সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই আইনগুলো পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে; যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। আমরা মনে করি, উপরোক্ত বিষয়ে আইনগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রণয়ন করা সঠিক হবে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য।’
বিএনপির আপত্তি আমলে না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যের পুলিশ কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
উপদেষ্টা জানান, পুলিশ কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি কর্মরত হতে পারেন বা অবসরপ্রাপ্তও হতে পারেন এবং মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অন্তত ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন।
পুলিশকে জনবান্ধব করতে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ যাতে সংবেদনশীল হয়, সে জন্য তাদের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—সেগুলোও চিহ্নিত করবে কমিশন।
কমিশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে—পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা এবং পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান ইত্যাদি কাজও হবে এ কমিশনের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারিশ-পরামর্শ কেউ কখনো মানতে বাধ্য না। পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটি ব্রিজ (সেতু) করে দেওয়ার জন্যই এ কমিশন। আর পুলিশের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকারের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার কাজ হচ্ছে এ কমিশনের।
আরপিও সংশোধন করে কোন কোন ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে না এবং পোস্টাল ব্যালটের ভোটগুলো গণনা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্যালটে যেখানে একটা সিল পড়ার কথা, সেখানে একাধিক সিল পড়লে গণনা করা হবে না। যদি সিল না দেয়, তাহলে গণনা করা হবে না। যখন পোস্টাল ভোট দেওয়া হয়, তখন একটা ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করা হবে। ওই ডিক্লারেশনে যদি স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে গণনা করা হবে না। আর আমাদের ভোটের দিন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে যে ব্যালটগুলো এসে পৌঁছাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে—সেগুলো একইভাবে গণনা করা হবে।’

বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ও এনজিও-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
সেদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও-সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই আইনগুলো পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে; যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। আমরা মনে করি, উপরোক্ত বিষয়ে আইনগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রণয়ন করা সঠিক হবে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য।’
বিএনপির আপত্তি আমলে না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যের পুলিশ কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
উপদেষ্টা জানান, পুলিশ কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি কর্মরত হতে পারেন বা অবসরপ্রাপ্তও হতে পারেন এবং মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অন্তত ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন।
পুলিশকে জনবান্ধব করতে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ যাতে সংবেদনশীল হয়, সে জন্য তাদের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—সেগুলোও চিহ্নিত করবে কমিশন।
কমিশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে—পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা এবং পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান ইত্যাদি কাজও হবে এ কমিশনের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারিশ-পরামর্শ কেউ কখনো মানতে বাধ্য না। পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটি ব্রিজ (সেতু) করে দেওয়ার জন্যই এ কমিশন। আর পুলিশের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকারের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার কাজ হচ্ছে এ কমিশনের।
আরপিও সংশোধন করে কোন কোন ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে না এবং পোস্টাল ব্যালটের ভোটগুলো গণনা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্যালটে যেখানে একটা সিল পড়ার কথা, সেখানে একাধিক সিল পড়লে গণনা করা হবে না। যদি সিল না দেয়, তাহলে গণনা করা হবে না। যখন পোস্টাল ভোট দেওয়া হয়, তখন একটা ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করা হবে। ওই ডিক্লারেশনে যদি স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে গণনা করা হবে না। আর আমাদের ভোটের দিন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে যে ব্যালটগুলো এসে পৌঁছাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে—সেগুলো একইভাবে গণনা করা হবে।’

পদ্মা সেতু ও কর্ণফুলী টানেলের সার্ভিস এরিয়ার ভিআইপি কটেজ-বাংলো, মোটেল, রেস্তোরাঁসহ সেবা খাতের বিভিন্ন বাণিজ্যিক স্থাপনা পরিচালনার জন্য ইজারা (লিজ) দিতে যাচ্ছে সেতু বিভাগ। এ জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্রও আহ্বান করা হয়েছে।
১০ জুলাই ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১০ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৪ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভিভিআইপি (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসা নেওয়ার মধ্যেই তাঁকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।
বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাঁদের দৈহিক নিরাপত্তা দেওয়া এ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হবে। এ ছাড়া বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও নিরাপত্তা দেবে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভিভিআইপি (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসা নেওয়ার মধ্যেই তাঁকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।
বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাঁদের দৈহিক নিরাপত্তা দেওয়া এ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হবে। এ ছাড়া বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও নিরাপত্তা দেবে।

পদ্মা সেতু ও কর্ণফুলী টানেলের সার্ভিস এরিয়ার ভিআইপি কটেজ-বাংলো, মোটেল, রেস্তোরাঁসহ সেবা খাতের বিভিন্ন বাণিজ্যিক স্থাপনা পরিচালনার জন্য ইজারা (লিজ) দিতে যাচ্ছে সেতু বিভাগ। এ জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্রও আহ্বান করা হয়েছে।
১০ জুলাই ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১০ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৪ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রে সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রথম—এখন থেকে পোস্টাল ভোট সাধারণ ভোটের সঙ্গে একই সঙ্গে গণনা করা হবে। দ্বিতীয়—ব্যালট পেপারে একাধিক সিল থাকলে সেই ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশও পাস হয়েছে। পুলিশকে জনবান্ধব করার জন্য এই কমিশন সরকারকে সুপারিশ করবে। পাশাপাশি, পেশাগত ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোও এই কমিশন দেখবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নিশ্চিত করেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে তিনি আরও জানান, জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবার বিদেশে নিতে চাইলে তার সব প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে। তিনি জানান, সরকার এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে এবং বিএনপি চাইলে আরও সহায়তা দেওয়া হবে।

প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রে সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রথম—এখন থেকে পোস্টাল ভোট সাধারণ ভোটের সঙ্গে একই সঙ্গে গণনা করা হবে। দ্বিতীয়—ব্যালট পেপারে একাধিক সিল থাকলে সেই ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশও পাস হয়েছে। পুলিশকে জনবান্ধব করার জন্য এই কমিশন সরকারকে সুপারিশ করবে। পাশাপাশি, পেশাগত ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোও এই কমিশন দেখবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নিশ্চিত করেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে তিনি আরও জানান, জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবার বিদেশে নিতে চাইলে তার সব প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে। তিনি জানান, সরকার এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে এবং বিএনপি চাইলে আরও সহায়তা দেওয়া হবে।

পদ্মা সেতু ও কর্ণফুলী টানেলের সার্ভিস এরিয়ার ভিআইপি কটেজ-বাংলো, মোটেল, রেস্তোরাঁসহ সেবা খাতের বিভিন্ন বাণিজ্যিক স্থাপনা পরিচালনার জন্য ইজারা (লিজ) দিতে যাচ্ছে সেতু বিভাগ। এ জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্রও আহ্বান করা হয়েছে।
১০ জুলাই ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১০ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৪ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৪ ঘণ্টা আগে