শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

কক্সবাজার হয়ে প্রতিদিন লাখ লাখ ইয়াবা বড়ি দেশে ঢুকছে। মিয়ানমারের সিন্ডিকেট, স্থানীয় চক্র ও রোহিঙ্গাদের সহযোগিতায় প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার মাদক আসছে। প্রশাসন কঠোর নজরদারির কথা বলে এলেও বাস্তবে ইয়াবার স্রোত থামছে না। বরং বলা হচ্ছে, মাদক পাচার আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেড়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, খোদ পুলিশ এবং মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কিছু ব্যক্তির সঙ্গে মাদক পাচারকারীদের সম্পৃক্ততা সর্বনাশা মাদককে কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা দুরূহ করে তুলেছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা স্বয়ং মাদক নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি—এ সোজাসাপ্টা স্বীকারোক্তি দিয়ে বলেছেন, ‘মাদক কর্মকর্তাদের সঙ্গে গডফাদাররা চা-কফি খাচ্ছে।’
কক্সবাজারের অন্তত ২১টি সীমান্ত পথ দিয়ে ইয়াবা ও ক্রিস্টাল মেথ মাদক দেশে ঢুকছে। স্থানীয়রা মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মিলে এসব চালান সরবরাহ করছে। মিয়ানমারের সিন্ডিকেট সীমান্ত পার করে কক্সবাজার থেকে অনায়াসে চট্টগ্রাম হয়ে খোদ রাজধানী ঢাকা পর্যন্ত চালান পৌঁছে দিচ্ছে। এই সিন্ডিকেটে জড়িয়ে পড়েছেন মাদক নিয়ন্ত্রণ সংস্থারই কিছু অসাধু কর্মকর্তা। মাঝেমধ্যে মাদকের কিছু চালান অন্য বাহিনীর হাতে ধরা পড়লেও পুরো চক্র অক্ষতই থেকে যায়। আটক হয় মূলত চালান বা সাধারণ বাহকেরা।
২০১৯ সালে আত্মসমর্পণ করা এক সময়ের শীর্ষ ইয়াবা গডফাদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কী পরিমাণ ইয়াবা আর আইস টেকনাফ দিয়ে ঢুকছে, সেটা আপনাদের কল্পনার বাইরে। মাঝখানে কিছুটা কমেছিল। তবে এখন পাচার আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। মিয়ানমারের পার্টি এখন শহর পর্যন্ত চালান পৌঁছে দিচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সব ঠেকাতে পারছে না। ২০টি চালান গেলে সর্বোচ্চ একটা ধরা পড়ে। অনেক সময় সেটাও হয় সমঝোতা না হওয়ার কারণে।’
জাতিসংঘের মাদক নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (ইউএনওডিসি) বলছে, বাংলাদেশে প্রবেশ করা মাদকের মাত্র ১০ শতাংশ ধরা পড়ে, বাকি ৯০ শতাংশ অদৃশ্য থেকে বাজারে ছড়িয়ে যায়।
মাদকের কারবার থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও মাদক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের লাভবান হওয়ার অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ঘটনা ঘটছে। ইয়াবার চালান জব্দ করে টাকার ভাগাভাগিতে সম্পৃক্ততার অভিযোগে কক্সবাজারের সাবেক পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ১০ কোটি টাকার আটক ইয়াবা বিক্রি করে অর্থ ভাগাভাগির অভিযোগে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক ওসি জাহাঙ্গীর আলমসহ সাতজন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়। পরে তাঁদের পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়। গত বছরের আগস্টে রামুতে ৭০ হাজার ইয়াবাসহ বিজিবির হাতে ধরা পড়েন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী উপপরিদর্শক আমজাদ হোসাইন।
তিনি টেকনাফ অফিসে চাকরির সময় ইয়াবা কারবারিদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন এবং নিজেই চালান বহন করে দিতেন। গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাঁর কাছ থেকে অধিদপ্তরের ভেতরে থাকা সিন্ডিকেটের তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, মাদক নিয়ন্ত্রণ সংস্থার একজন মধ্যম সারির কর্মকর্তা কক্সবাজারে দীর্ঘদিনের পদায়নকে কাজে লাগিয়ে সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে ইয়াবার চালান পৌঁছে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি তদন্ত হলেও তাঁকে সরানো হয়নি।
অপরাধ বিশ্লেষকদের মতে, প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া মাদক কারবারিদের এতটা বেপরোয়া হয়ে ওঠা সম্ভব নয়। বিভিন্ন গোষ্ঠীর যোগসাজশ থাকায় এটি দিন দিন আরও সহজ হচ্ছে।
২০১৮ সালের মে মাসে র্যাব দেশব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযান শুরু করেছিল। পরে পুলিশ, বিজিবি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরও মাঠে নামে। মাদক ঠেকানোর ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বহু লোক নিহত হলেও কাঙ্ক্ষিত ফল আসেনি। টানা ক্রসফায়ারের মুখে ২০১৯ সালে টেকনাফে ১০২ জন ইয়াবা কারবারি আত্মসমর্পণ করে। কিন্তু কিছুতেই মাদক সিন্ডিকেটের কার্যক্রম থামেনি। পরিস্থিতি এতটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, অন্তর্বর্তী সরকার এসে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে ১৫ সংস্থার সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠন করে। কিন্তু সাম্প্রতিক অভিযানের ফলও বলছে, ইয়াবা প্রবাহের গতি কমেনি।
গত ১৪ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অভিযানে উদ্ধার হয়েছে ৭ লাখ ৩০ হাজার ইয়াবা। শুধু এক দিনেই নাফ নদী থেকে ধরা পড়ে ২ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা। কখনো মাটির নিচে, কখনো মাছ ধরার ট্রলার আবার কখনো বসতবাড়ি থেকে ইয়াবার চালান পাওয়া যাচ্ছে।
‘মাদকের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস ২০২৫’-এ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী স্বীকার করেন, ‘মাদককে এখনো নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। শুধু বহনকারীরা ধরা পড়ে, গডফাদাররা অদৃশ্য থেকে যায়। তারা বড় বড় হোটেল-রেস্তোরাঁয় মাদক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে চা-কফি খাচ্ছে।’ গডফাদারদের ধরতে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেন উপদেষ্টা।
পুলিশ মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘প্রতি মাসে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির সভায় মাদক নিয়ে আলোচনা হয়। আমরা যেকোনো মূল্যে মাদকের গতি কমাতে চাই। দেশকে মাদকমুক্ত করা এখন চ্যালেঞ্জ।’
সাম্প্রতিক অভিযান ও উদ্ধার হওয়া চালানের পরিমাণই বলছে, ইয়াবাসহ মাদকের স্রোতের সামনে প্রশাসন এখনো কার্যত অসহায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক তৌহিদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেদিন থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভেতরে গডফাদারদের সঙ্গে সখ্য কমবে, সেদিন থেকেই ইয়াবার প্রবাহ কমতে শুরু করবে। আগে বাহিনীগুলোর ভেতরে শুদ্ধি অভিযান চালানো দরকার।’
আরও খবর পড়ুন:

কক্সবাজার হয়ে প্রতিদিন লাখ লাখ ইয়াবা বড়ি দেশে ঢুকছে। মিয়ানমারের সিন্ডিকেট, স্থানীয় চক্র ও রোহিঙ্গাদের সহযোগিতায় প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার মাদক আসছে। প্রশাসন কঠোর নজরদারির কথা বলে এলেও বাস্তবে ইয়াবার স্রোত থামছে না। বরং বলা হচ্ছে, মাদক পাচার আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেড়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, খোদ পুলিশ এবং মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কিছু ব্যক্তির সঙ্গে মাদক পাচারকারীদের সম্পৃক্ততা সর্বনাশা মাদককে কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা দুরূহ করে তুলেছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা স্বয়ং মাদক নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি—এ সোজাসাপ্টা স্বীকারোক্তি দিয়ে বলেছেন, ‘মাদক কর্মকর্তাদের সঙ্গে গডফাদাররা চা-কফি খাচ্ছে।’
কক্সবাজারের অন্তত ২১টি সীমান্ত পথ দিয়ে ইয়াবা ও ক্রিস্টাল মেথ মাদক দেশে ঢুকছে। স্থানীয়রা মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মিলে এসব চালান সরবরাহ করছে। মিয়ানমারের সিন্ডিকেট সীমান্ত পার করে কক্সবাজার থেকে অনায়াসে চট্টগ্রাম হয়ে খোদ রাজধানী ঢাকা পর্যন্ত চালান পৌঁছে দিচ্ছে। এই সিন্ডিকেটে জড়িয়ে পড়েছেন মাদক নিয়ন্ত্রণ সংস্থারই কিছু অসাধু কর্মকর্তা। মাঝেমধ্যে মাদকের কিছু চালান অন্য বাহিনীর হাতে ধরা পড়লেও পুরো চক্র অক্ষতই থেকে যায়। আটক হয় মূলত চালান বা সাধারণ বাহকেরা।
২০১৯ সালে আত্মসমর্পণ করা এক সময়ের শীর্ষ ইয়াবা গডফাদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কী পরিমাণ ইয়াবা আর আইস টেকনাফ দিয়ে ঢুকছে, সেটা আপনাদের কল্পনার বাইরে। মাঝখানে কিছুটা কমেছিল। তবে এখন পাচার আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। মিয়ানমারের পার্টি এখন শহর পর্যন্ত চালান পৌঁছে দিচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সব ঠেকাতে পারছে না। ২০টি চালান গেলে সর্বোচ্চ একটা ধরা পড়ে। অনেক সময় সেটাও হয় সমঝোতা না হওয়ার কারণে।’
জাতিসংঘের মাদক নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (ইউএনওডিসি) বলছে, বাংলাদেশে প্রবেশ করা মাদকের মাত্র ১০ শতাংশ ধরা পড়ে, বাকি ৯০ শতাংশ অদৃশ্য থেকে বাজারে ছড়িয়ে যায়।
মাদকের কারবার থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও মাদক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের লাভবান হওয়ার অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ঘটনা ঘটছে। ইয়াবার চালান জব্দ করে টাকার ভাগাভাগিতে সম্পৃক্ততার অভিযোগে কক্সবাজারের সাবেক পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ১০ কোটি টাকার আটক ইয়াবা বিক্রি করে অর্থ ভাগাভাগির অভিযোগে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক ওসি জাহাঙ্গীর আলমসহ সাতজন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়। পরে তাঁদের পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়। গত বছরের আগস্টে রামুতে ৭০ হাজার ইয়াবাসহ বিজিবির হাতে ধরা পড়েন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী উপপরিদর্শক আমজাদ হোসাইন।
তিনি টেকনাফ অফিসে চাকরির সময় ইয়াবা কারবারিদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন এবং নিজেই চালান বহন করে দিতেন। গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাঁর কাছ থেকে অধিদপ্তরের ভেতরে থাকা সিন্ডিকেটের তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, মাদক নিয়ন্ত্রণ সংস্থার একজন মধ্যম সারির কর্মকর্তা কক্সবাজারে দীর্ঘদিনের পদায়নকে কাজে লাগিয়ে সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে ইয়াবার চালান পৌঁছে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি তদন্ত হলেও তাঁকে সরানো হয়নি।
অপরাধ বিশ্লেষকদের মতে, প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া মাদক কারবারিদের এতটা বেপরোয়া হয়ে ওঠা সম্ভব নয়। বিভিন্ন গোষ্ঠীর যোগসাজশ থাকায় এটি দিন দিন আরও সহজ হচ্ছে।
২০১৮ সালের মে মাসে র্যাব দেশব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযান শুরু করেছিল। পরে পুলিশ, বিজিবি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরও মাঠে নামে। মাদক ঠেকানোর ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বহু লোক নিহত হলেও কাঙ্ক্ষিত ফল আসেনি। টানা ক্রসফায়ারের মুখে ২০১৯ সালে টেকনাফে ১০২ জন ইয়াবা কারবারি আত্মসমর্পণ করে। কিন্তু কিছুতেই মাদক সিন্ডিকেটের কার্যক্রম থামেনি। পরিস্থিতি এতটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, অন্তর্বর্তী সরকার এসে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে ১৫ সংস্থার সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠন করে। কিন্তু সাম্প্রতিক অভিযানের ফলও বলছে, ইয়াবা প্রবাহের গতি কমেনি।
গত ১৪ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অভিযানে উদ্ধার হয়েছে ৭ লাখ ৩০ হাজার ইয়াবা। শুধু এক দিনেই নাফ নদী থেকে ধরা পড়ে ২ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা। কখনো মাটির নিচে, কখনো মাছ ধরার ট্রলার আবার কখনো বসতবাড়ি থেকে ইয়াবার চালান পাওয়া যাচ্ছে।
‘মাদকের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস ২০২৫’-এ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী স্বীকার করেন, ‘মাদককে এখনো নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। শুধু বহনকারীরা ধরা পড়ে, গডফাদাররা অদৃশ্য থেকে যায়। তারা বড় বড় হোটেল-রেস্তোরাঁয় মাদক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে চা-কফি খাচ্ছে।’ গডফাদারদের ধরতে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেন উপদেষ্টা।
পুলিশ মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘প্রতি মাসে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির সভায় মাদক নিয়ে আলোচনা হয়। আমরা যেকোনো মূল্যে মাদকের গতি কমাতে চাই। দেশকে মাদকমুক্ত করা এখন চ্যালেঞ্জ।’
সাম্প্রতিক অভিযান ও উদ্ধার হওয়া চালানের পরিমাণই বলছে, ইয়াবাসহ মাদকের স্রোতের সামনে প্রশাসন এখনো কার্যত অসহায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক তৌহিদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেদিন থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভেতরে গডফাদারদের সঙ্গে সখ্য কমবে, সেদিন থেকেই ইয়াবার প্রবাহ কমতে শুরু করবে। আগে বাহিনীগুলোর ভেতরে শুদ্ধি অভিযান চালানো দরকার।’
আরও খবর পড়ুন:
শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

কক্সবাজার হয়ে প্রতিদিন লাখ লাখ ইয়াবা বড়ি দেশে ঢুকছে। মিয়ানমারের সিন্ডিকেট, স্থানীয় চক্র ও রোহিঙ্গাদের সহযোগিতায় প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার মাদক আসছে। প্রশাসন কঠোর নজরদারির কথা বলে এলেও বাস্তবে ইয়াবার স্রোত থামছে না। বরং বলা হচ্ছে, মাদক পাচার আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেড়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, খোদ পুলিশ এবং মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কিছু ব্যক্তির সঙ্গে মাদক পাচারকারীদের সম্পৃক্ততা সর্বনাশা মাদককে কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা দুরূহ করে তুলেছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা স্বয়ং মাদক নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি—এ সোজাসাপ্টা স্বীকারোক্তি দিয়ে বলেছেন, ‘মাদক কর্মকর্তাদের সঙ্গে গডফাদাররা চা-কফি খাচ্ছে।’
কক্সবাজারের অন্তত ২১টি সীমান্ত পথ দিয়ে ইয়াবা ও ক্রিস্টাল মেথ মাদক দেশে ঢুকছে। স্থানীয়রা মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মিলে এসব চালান সরবরাহ করছে। মিয়ানমারের সিন্ডিকেট সীমান্ত পার করে কক্সবাজার থেকে অনায়াসে চট্টগ্রাম হয়ে খোদ রাজধানী ঢাকা পর্যন্ত চালান পৌঁছে দিচ্ছে। এই সিন্ডিকেটে জড়িয়ে পড়েছেন মাদক নিয়ন্ত্রণ সংস্থারই কিছু অসাধু কর্মকর্তা। মাঝেমধ্যে মাদকের কিছু চালান অন্য বাহিনীর হাতে ধরা পড়লেও পুরো চক্র অক্ষতই থেকে যায়। আটক হয় মূলত চালান বা সাধারণ বাহকেরা।
২০১৯ সালে আত্মসমর্পণ করা এক সময়ের শীর্ষ ইয়াবা গডফাদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কী পরিমাণ ইয়াবা আর আইস টেকনাফ দিয়ে ঢুকছে, সেটা আপনাদের কল্পনার বাইরে। মাঝখানে কিছুটা কমেছিল। তবে এখন পাচার আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। মিয়ানমারের পার্টি এখন শহর পর্যন্ত চালান পৌঁছে দিচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সব ঠেকাতে পারছে না। ২০টি চালান গেলে সর্বোচ্চ একটা ধরা পড়ে। অনেক সময় সেটাও হয় সমঝোতা না হওয়ার কারণে।’
জাতিসংঘের মাদক নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (ইউএনওডিসি) বলছে, বাংলাদেশে প্রবেশ করা মাদকের মাত্র ১০ শতাংশ ধরা পড়ে, বাকি ৯০ শতাংশ অদৃশ্য থেকে বাজারে ছড়িয়ে যায়।
মাদকের কারবার থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও মাদক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের লাভবান হওয়ার অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ঘটনা ঘটছে। ইয়াবার চালান জব্দ করে টাকার ভাগাভাগিতে সম্পৃক্ততার অভিযোগে কক্সবাজারের সাবেক পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ১০ কোটি টাকার আটক ইয়াবা বিক্রি করে অর্থ ভাগাভাগির অভিযোগে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক ওসি জাহাঙ্গীর আলমসহ সাতজন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়। পরে তাঁদের পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়। গত বছরের আগস্টে রামুতে ৭০ হাজার ইয়াবাসহ বিজিবির হাতে ধরা পড়েন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী উপপরিদর্শক আমজাদ হোসাইন।
তিনি টেকনাফ অফিসে চাকরির সময় ইয়াবা কারবারিদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন এবং নিজেই চালান বহন করে দিতেন। গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাঁর কাছ থেকে অধিদপ্তরের ভেতরে থাকা সিন্ডিকেটের তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, মাদক নিয়ন্ত্রণ সংস্থার একজন মধ্যম সারির কর্মকর্তা কক্সবাজারে দীর্ঘদিনের পদায়নকে কাজে লাগিয়ে সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে ইয়াবার চালান পৌঁছে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি তদন্ত হলেও তাঁকে সরানো হয়নি।
অপরাধ বিশ্লেষকদের মতে, প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া মাদক কারবারিদের এতটা বেপরোয়া হয়ে ওঠা সম্ভব নয়। বিভিন্ন গোষ্ঠীর যোগসাজশ থাকায় এটি দিন দিন আরও সহজ হচ্ছে।
২০১৮ সালের মে মাসে র্যাব দেশব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযান শুরু করেছিল। পরে পুলিশ, বিজিবি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরও মাঠে নামে। মাদক ঠেকানোর ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বহু লোক নিহত হলেও কাঙ্ক্ষিত ফল আসেনি। টানা ক্রসফায়ারের মুখে ২০১৯ সালে টেকনাফে ১০২ জন ইয়াবা কারবারি আত্মসমর্পণ করে। কিন্তু কিছুতেই মাদক সিন্ডিকেটের কার্যক্রম থামেনি। পরিস্থিতি এতটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, অন্তর্বর্তী সরকার এসে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে ১৫ সংস্থার সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠন করে। কিন্তু সাম্প্রতিক অভিযানের ফলও বলছে, ইয়াবা প্রবাহের গতি কমেনি।
গত ১৪ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অভিযানে উদ্ধার হয়েছে ৭ লাখ ৩০ হাজার ইয়াবা। শুধু এক দিনেই নাফ নদী থেকে ধরা পড়ে ২ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা। কখনো মাটির নিচে, কখনো মাছ ধরার ট্রলার আবার কখনো বসতবাড়ি থেকে ইয়াবার চালান পাওয়া যাচ্ছে।
‘মাদকের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস ২০২৫’-এ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী স্বীকার করেন, ‘মাদককে এখনো নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। শুধু বহনকারীরা ধরা পড়ে, গডফাদাররা অদৃশ্য থেকে যায়। তারা বড় বড় হোটেল-রেস্তোরাঁয় মাদক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে চা-কফি খাচ্ছে।’ গডফাদারদের ধরতে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেন উপদেষ্টা।
পুলিশ মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘প্রতি মাসে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির সভায় মাদক নিয়ে আলোচনা হয়। আমরা যেকোনো মূল্যে মাদকের গতি কমাতে চাই। দেশকে মাদকমুক্ত করা এখন চ্যালেঞ্জ।’
সাম্প্রতিক অভিযান ও উদ্ধার হওয়া চালানের পরিমাণই বলছে, ইয়াবাসহ মাদকের স্রোতের সামনে প্রশাসন এখনো কার্যত অসহায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক তৌহিদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেদিন থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভেতরে গডফাদারদের সঙ্গে সখ্য কমবে, সেদিন থেকেই ইয়াবার প্রবাহ কমতে শুরু করবে। আগে বাহিনীগুলোর ভেতরে শুদ্ধি অভিযান চালানো দরকার।’
আরও খবর পড়ুন:

কক্সবাজার হয়ে প্রতিদিন লাখ লাখ ইয়াবা বড়ি দেশে ঢুকছে। মিয়ানমারের সিন্ডিকেট, স্থানীয় চক্র ও রোহিঙ্গাদের সহযোগিতায় প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার মাদক আসছে। প্রশাসন কঠোর নজরদারির কথা বলে এলেও বাস্তবে ইয়াবার স্রোত থামছে না। বরং বলা হচ্ছে, মাদক পাচার আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেড়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, খোদ পুলিশ এবং মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কিছু ব্যক্তির সঙ্গে মাদক পাচারকারীদের সম্পৃক্ততা সর্বনাশা মাদককে কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা দুরূহ করে তুলেছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা স্বয়ং মাদক নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি—এ সোজাসাপ্টা স্বীকারোক্তি দিয়ে বলেছেন, ‘মাদক কর্মকর্তাদের সঙ্গে গডফাদাররা চা-কফি খাচ্ছে।’
কক্সবাজারের অন্তত ২১টি সীমান্ত পথ দিয়ে ইয়াবা ও ক্রিস্টাল মেথ মাদক দেশে ঢুকছে। স্থানীয়রা মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মিলে এসব চালান সরবরাহ করছে। মিয়ানমারের সিন্ডিকেট সীমান্ত পার করে কক্সবাজার থেকে অনায়াসে চট্টগ্রাম হয়ে খোদ রাজধানী ঢাকা পর্যন্ত চালান পৌঁছে দিচ্ছে। এই সিন্ডিকেটে জড়িয়ে পড়েছেন মাদক নিয়ন্ত্রণ সংস্থারই কিছু অসাধু কর্মকর্তা। মাঝেমধ্যে মাদকের কিছু চালান অন্য বাহিনীর হাতে ধরা পড়লেও পুরো চক্র অক্ষতই থেকে যায়। আটক হয় মূলত চালান বা সাধারণ বাহকেরা।
২০১৯ সালে আত্মসমর্পণ করা এক সময়ের শীর্ষ ইয়াবা গডফাদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কী পরিমাণ ইয়াবা আর আইস টেকনাফ দিয়ে ঢুকছে, সেটা আপনাদের কল্পনার বাইরে। মাঝখানে কিছুটা কমেছিল। তবে এখন পাচার আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। মিয়ানমারের পার্টি এখন শহর পর্যন্ত চালান পৌঁছে দিচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সব ঠেকাতে পারছে না। ২০টি চালান গেলে সর্বোচ্চ একটা ধরা পড়ে। অনেক সময় সেটাও হয় সমঝোতা না হওয়ার কারণে।’
জাতিসংঘের মাদক নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (ইউএনওডিসি) বলছে, বাংলাদেশে প্রবেশ করা মাদকের মাত্র ১০ শতাংশ ধরা পড়ে, বাকি ৯০ শতাংশ অদৃশ্য থেকে বাজারে ছড়িয়ে যায়।
মাদকের কারবার থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও মাদক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের লাভবান হওয়ার অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ঘটনা ঘটছে। ইয়াবার চালান জব্দ করে টাকার ভাগাভাগিতে সম্পৃক্ততার অভিযোগে কক্সবাজারের সাবেক পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ১০ কোটি টাকার আটক ইয়াবা বিক্রি করে অর্থ ভাগাভাগির অভিযোগে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক ওসি জাহাঙ্গীর আলমসহ সাতজন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়। পরে তাঁদের পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়। গত বছরের আগস্টে রামুতে ৭০ হাজার ইয়াবাসহ বিজিবির হাতে ধরা পড়েন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী উপপরিদর্শক আমজাদ হোসাইন।
তিনি টেকনাফ অফিসে চাকরির সময় ইয়াবা কারবারিদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন এবং নিজেই চালান বহন করে দিতেন। গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাঁর কাছ থেকে অধিদপ্তরের ভেতরে থাকা সিন্ডিকেটের তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, মাদক নিয়ন্ত্রণ সংস্থার একজন মধ্যম সারির কর্মকর্তা কক্সবাজারে দীর্ঘদিনের পদায়নকে কাজে লাগিয়ে সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে ইয়াবার চালান পৌঁছে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি তদন্ত হলেও তাঁকে সরানো হয়নি।
অপরাধ বিশ্লেষকদের মতে, প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া মাদক কারবারিদের এতটা বেপরোয়া হয়ে ওঠা সম্ভব নয়। বিভিন্ন গোষ্ঠীর যোগসাজশ থাকায় এটি দিন দিন আরও সহজ হচ্ছে।
২০১৮ সালের মে মাসে র্যাব দেশব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযান শুরু করেছিল। পরে পুলিশ, বিজিবি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরও মাঠে নামে। মাদক ঠেকানোর ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বহু লোক নিহত হলেও কাঙ্ক্ষিত ফল আসেনি। টানা ক্রসফায়ারের মুখে ২০১৯ সালে টেকনাফে ১০২ জন ইয়াবা কারবারি আত্মসমর্পণ করে। কিন্তু কিছুতেই মাদক সিন্ডিকেটের কার্যক্রম থামেনি। পরিস্থিতি এতটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, অন্তর্বর্তী সরকার এসে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে ১৫ সংস্থার সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠন করে। কিন্তু সাম্প্রতিক অভিযানের ফলও বলছে, ইয়াবা প্রবাহের গতি কমেনি।
গত ১৪ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অভিযানে উদ্ধার হয়েছে ৭ লাখ ৩০ হাজার ইয়াবা। শুধু এক দিনেই নাফ নদী থেকে ধরা পড়ে ২ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা। কখনো মাটির নিচে, কখনো মাছ ধরার ট্রলার আবার কখনো বসতবাড়ি থেকে ইয়াবার চালান পাওয়া যাচ্ছে।
‘মাদকের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস ২০২৫’-এ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী স্বীকার করেন, ‘মাদককে এখনো নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। শুধু বহনকারীরা ধরা পড়ে, গডফাদাররা অদৃশ্য থেকে যায়। তারা বড় বড় হোটেল-রেস্তোরাঁয় মাদক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে চা-কফি খাচ্ছে।’ গডফাদারদের ধরতে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেন উপদেষ্টা।
পুলিশ মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘প্রতি মাসে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির সভায় মাদক নিয়ে আলোচনা হয়। আমরা যেকোনো মূল্যে মাদকের গতি কমাতে চাই। দেশকে মাদকমুক্ত করা এখন চ্যালেঞ্জ।’
সাম্প্রতিক অভিযান ও উদ্ধার হওয়া চালানের পরিমাণই বলছে, ইয়াবাসহ মাদকের স্রোতের সামনে প্রশাসন এখনো কার্যত অসহায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক তৌহিদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেদিন থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভেতরে গডফাদারদের সঙ্গে সখ্য কমবে, সেদিন থেকেই ইয়াবার প্রবাহ কমতে শুরু করবে। আগে বাহিনীগুলোর ভেতরে শুদ্ধি অভিযান চালানো দরকার।’
আরও খবর পড়ুন:

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১০ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৩ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৪ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৫ ঘণ্টা আগেশাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

কক্সবাজার হয়ে প্রতিদিন লাখ লাখ ইয়াবা বড়ি দেশে ঢুকছে। মিয়ানমারের সিন্ডিকেট, স্থানীয় চক্র ও রোহিঙ্গাদের সহযোগিতায় প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার মাদক আসছে। প্রশাসন কঠোর নজরদারির কথা বলে এলেও বাস্তবে ইয়াবার স্রোত থামছে না। বরং বলা হচ্ছে, মাদক পাচার আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেড়েছে।
০৪ অক্টোবর ২০২৫
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৩ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৪ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ও এনজিও-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
সেদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও-সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই আইনগুলো পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে; যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। আমরা মনে করি, উপরোক্ত বিষয়ে আইনগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রণয়ন করা সঠিক হবে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য।’
বিএনপির আপত্তি আমলে না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যের পুলিশ কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
উপদেষ্টা জানান, পুলিশ কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি কর্মরত হতে পারেন বা অবসরপ্রাপ্তও হতে পারেন এবং মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অন্তত ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন।
পুলিশকে জনবান্ধব করতে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ যাতে সংবেদনশীল হয়, সে জন্য তাদের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—সেগুলোও চিহ্নিত করবে কমিশন।
কমিশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে—পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা এবং পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান ইত্যাদি কাজও হবে এ কমিশনের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারিশ-পরামর্শ কেউ কখনো মানতে বাধ্য না। পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটি ব্রিজ (সেতু) করে দেওয়ার জন্যই এ কমিশন। আর পুলিশের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকারের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার কাজ হচ্ছে এ কমিশনের।
আরপিও সংশোধন করে কোন কোন ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে না এবং পোস্টাল ব্যালটের ভোটগুলো গণনা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্যালটে যেখানে একটা সিল পড়ার কথা, সেখানে একাধিক সিল পড়লে গণনা করা হবে না। যদি সিল না দেয়, তাহলে গণনা করা হবে না। যখন পোস্টাল ভোট দেওয়া হয়, তখন একটা ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করা হবে। ওই ডিক্লারেশনে যদি স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে গণনা করা হবে না। আর আমাদের ভোটের দিন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে যে ব্যালটগুলো এসে পৌঁছাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে—সেগুলো একইভাবে গণনা করা হবে।’

বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ও এনজিও-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
সেদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও-সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই আইনগুলো পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে; যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। আমরা মনে করি, উপরোক্ত বিষয়ে আইনগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রণয়ন করা সঠিক হবে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য।’
বিএনপির আপত্তি আমলে না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যের পুলিশ কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
উপদেষ্টা জানান, পুলিশ কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি কর্মরত হতে পারেন বা অবসরপ্রাপ্তও হতে পারেন এবং মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অন্তত ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন।
পুলিশকে জনবান্ধব করতে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ যাতে সংবেদনশীল হয়, সে জন্য তাদের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—সেগুলোও চিহ্নিত করবে কমিশন।
কমিশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে—পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা এবং পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান ইত্যাদি কাজও হবে এ কমিশনের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারিশ-পরামর্শ কেউ কখনো মানতে বাধ্য না। পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটি ব্রিজ (সেতু) করে দেওয়ার জন্যই এ কমিশন। আর পুলিশের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকারের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার কাজ হচ্ছে এ কমিশনের।
আরপিও সংশোধন করে কোন কোন ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে না এবং পোস্টাল ব্যালটের ভোটগুলো গণনা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্যালটে যেখানে একটা সিল পড়ার কথা, সেখানে একাধিক সিল পড়লে গণনা করা হবে না। যদি সিল না দেয়, তাহলে গণনা করা হবে না। যখন পোস্টাল ভোট দেওয়া হয়, তখন একটা ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করা হবে। ওই ডিক্লারেশনে যদি স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে গণনা করা হবে না। আর আমাদের ভোটের দিন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে যে ব্যালটগুলো এসে পৌঁছাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে—সেগুলো একইভাবে গণনা করা হবে।’

কক্সবাজার হয়ে প্রতিদিন লাখ লাখ ইয়াবা বড়ি দেশে ঢুকছে। মিয়ানমারের সিন্ডিকেট, স্থানীয় চক্র ও রোহিঙ্গাদের সহযোগিতায় প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার মাদক আসছে। প্রশাসন কঠোর নজরদারির কথা বলে এলেও বাস্তবে ইয়াবার স্রোত থামছে না। বরং বলা হচ্ছে, মাদক পাচার আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেড়েছে।
০৪ অক্টোবর ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১০ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৪ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভিভিআইপি (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসা নেওয়ার মধ্যেই তাঁকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।
বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাঁদের দৈহিক নিরাপত্তা দেওয়া এ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হবে। এ ছাড়া বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও নিরাপত্তা দেবে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভিভিআইপি (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসা নেওয়ার মধ্যেই তাঁকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।
বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাঁদের দৈহিক নিরাপত্তা দেওয়া এ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হবে। এ ছাড়া বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও নিরাপত্তা দেবে।

কক্সবাজার হয়ে প্রতিদিন লাখ লাখ ইয়াবা বড়ি দেশে ঢুকছে। মিয়ানমারের সিন্ডিকেট, স্থানীয় চক্র ও রোহিঙ্গাদের সহযোগিতায় প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার মাদক আসছে। প্রশাসন কঠোর নজরদারির কথা বলে এলেও বাস্তবে ইয়াবার স্রোত থামছে না। বরং বলা হচ্ছে, মাদক পাচার আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেড়েছে।
০৪ অক্টোবর ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১০ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৩ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রে সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রথম—এখন থেকে পোস্টাল ভোট সাধারণ ভোটের সঙ্গে একই সঙ্গে গণনা করা হবে। দ্বিতীয়—ব্যালট পেপারে একাধিক সিল থাকলে সেই ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশও পাস হয়েছে। পুলিশকে জনবান্ধব করার জন্য এই কমিশন সরকারকে সুপারিশ করবে। পাশাপাশি, পেশাগত ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোও এই কমিশন দেখবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নিশ্চিত করেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে তিনি আরও জানান, জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবার বিদেশে নিতে চাইলে তার সব প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে। তিনি জানান, সরকার এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে এবং বিএনপি চাইলে আরও সহায়তা দেওয়া হবে।

প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রে সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রথম—এখন থেকে পোস্টাল ভোট সাধারণ ভোটের সঙ্গে একই সঙ্গে গণনা করা হবে। দ্বিতীয়—ব্যালট পেপারে একাধিক সিল থাকলে সেই ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশও পাস হয়েছে। পুলিশকে জনবান্ধব করার জন্য এই কমিশন সরকারকে সুপারিশ করবে। পাশাপাশি, পেশাগত ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোও এই কমিশন দেখবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নিশ্চিত করেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে তিনি আরও জানান, জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবার বিদেশে নিতে চাইলে তার সব প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে। তিনি জানান, সরকার এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে এবং বিএনপি চাইলে আরও সহায়তা দেওয়া হবে।

কক্সবাজার হয়ে প্রতিদিন লাখ লাখ ইয়াবা বড়ি দেশে ঢুকছে। মিয়ানমারের সিন্ডিকেট, স্থানীয় চক্র ও রোহিঙ্গাদের সহযোগিতায় প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার মাদক আসছে। প্রশাসন কঠোর নজরদারির কথা বলে এলেও বাস্তবে ইয়াবার স্রোত থামছে না। বরং বলা হচ্ছে, মাদক পাচার আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেড়েছে।
০৪ অক্টোবর ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১০ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৩ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৪ ঘণ্টা আগে