Ajker Patrika

প্রাথমিকে পাঠদান: বাইরের ২০ কাজের চাপে শিক্ষক

রাহুল শর্মা, ঢাকা 
আপডেট : ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৩: ৩০
প্রাথমিকে পাঠদান: বাইরের ২০ কাজের চাপে শিক্ষক
ছবি: সংগৃহীত

শুধু পাঠদান নয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা যেন অনেক কাজের কাজি। ভোট গ্রহণ, ভোটার তালিকা, শুমারি, জরিপ, টিকাদান, কৃমিনাশক ওষুধ ও ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়ানো, টিসিবির চাল বিতরণ, বিভিন্ন অনুষ্ঠানসহ বারোয়ারি অন্তত ২০ ধরনের কাজ করতে হচ্ছে তাঁদের। সরকারি এসব কাজে বছরে ব্যস্ত থাকছেন কমপক্ষে ৬০ কর্মদিবস।

শিক্ষকেরা বলছেন, অনিচ্ছা সত্ত্বেও বাধ্য হয়ে পাঠদানের বাইরে এসব কাজ তাঁরা করছেন। এসব কাজের চাপে সিলেবাস শেষ করা যায় না। এতে শিখন ঘাটতি থেকে যায় শিক্ষার্থীদের। এর প্রভাব পড়ছে পরবর্তী শিক্ষাজীবনে।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পাঠদানবহির্ভূত এই ব্যস্ততার চিত্র উঠে এসেছে একটি জরিপে। ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পাঠদানের পাশাপাশি অতিরিক্ত সরকারি দায়িত্ব পালন’ শীর্ষক এই জরিপ পরিচালনা করেছে আজকের পত্রিকা। এতে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন একটি দপ্তরের পরিসংখ্যানবিদেরা।

জরিপে বেতনভাতা ও মর্যাদা নিয়ে অধিকাংশ শিক্ষকের অসন্তুষ্টিও উঠে এসেছে। জরিপের ফলাফল দেখে শিক্ষাবিদেরা সরকারি এসব কাজ সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তর, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে অথবা বেসরকারি সংস্থাকে (এনজিও) দিয়ে করানোর পরামর্শ দিয়েছেন।

পাঠদানের বাইরে বারোয়ারি কাজ করানোর কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে অপেশাদার আচরণ তৈরি হচ্ছে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। জরিপের ফলাফলের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বহুমুখী কাজ করানোর কারণে সার্বিকভাবে বিদ্যালয়ে শিক্ষায় সংকট তৈরি হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীরা শিখন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে শিখন ঘাটতি, যা নিয়ে শিক্ষার্থীরা উচ্চতর শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হচ্ছে। এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুগল ফরমে ১ থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত এই জরিপ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এতে অংশ নেন দেশের আট বিভাগের ৪৭ জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬৯৬ শিক্ষক। এর মধ্যে ৫৩৫ জন সহকারী শিক্ষক ও ১৬১ জন প্রধান শিক্ষক। তাঁদের মধ্যে ৩৪ শতাংশের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা ১ থেকে ৫ বছর, ২৪ শতাংশের ৫ থেকে ১০ বছর, ১৬ শতাংশের ১০ থেকে ১৫ বছর, ১৫ শতাংশের ১৫ থেকে ২০ বছর এবং ১১ শতাংশের অভিজ্ঞতা ২০ বছরের বেশি। জরিপের তথ্য বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে মাইক্রোসফট এক্সেল ও এনভিভো সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ বার্ষিক (২০২২-২৩) প্রতিবেদন অনুযায়ী, সারা দেশে ৬৫ হাজার ৫৬৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে ১ কোটি ৭১ লাখ ৬২ হাজার ৩৬৫ জন। শিক্ষক আছেন ৩ লাখ ৬২ হাজার ৭০৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ শিক্ষক ১ লাখ ২৭ হাজার ৩৯ জন ও মহিলা শিক্ষক ২ লাখ ৩৫ হাজার ৬৭০ জন।

শিক্ষকেরা ব্যস্ত বারোয়ারি সরকারি কাজে

জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের পাশাপাশি শিক্ষকেরা অন্তত ২০ ধরনের সরকারি কাজে অংশ নেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে-নির্বাচনসংক্রান্ত প্রশিক্ষণ ও ভোট গ্রহণ, ভোটার তালিকা হালনাগাদ, ভোটারের ছবি তোলার কাজে সহযোগিতা, কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো, ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন, শিক্ষার্থীদের ওজন ও চোখ পরীক্ষা, শিক্ষার্থীদের এইচপিভি ভাইরাস প্রতিরোধে টিকাদানের রেজিস্ট্রেশন, শিক্ষার্থীদের জরায়ু ক্যানসারের ভ্যাকসিন, ফাইলেরিয়া নির্মূল ও খুদে ডাক্তার কার্যক্রম, ডেঙ্গু সচেতনতা কার্যক্রম, টিসিবির চাল বিতরণ, আদমশুমারি, ভূমি জরিপ, খানা জরিপ, ক্যাচমেন্ট ম্যাপ তৈরি, স্যানিটেশন জরিপ ও মৌসুমি বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন, বিদ্যালয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইত্যাদি।

এগুলোর বাইরে শিক্ষকদের নিজ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্বও পালন করতে হয়। প্রশাসনিক কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে উপবৃত্তি, বিভিন্ন সমাবেশ আয়োজন (মা সমাবেশ, অভিভাবক সমাবেশ), রেজিস্ট্রার হালনাগাদ, উপবৃত্তি রেজিস্ট্রেশন, উপজেলা-জেলা অফিসে বিভিন্ন সভায় অংশগ্রহণ। এসব কার্যক্রমে অংশগ্রহণের কারণেও শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বাধাগ্রস্ত হয় বলে জানিয়েছেন জরিপে অংশ নেওয়া শিক্ষকেরা। তাঁরা বলেছেন, দেশের বেশির ভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি কাম নিরাপত্তা প্রহরী ও অফিস সহায়ক পদ শূন্য রয়েছে। বাধ্য হয়ে এসব পদের কাজও শিক্ষকদের করতে হয়। তাঁরা জরুরি ভিত্তিতে অফিস সহায়ক ও দপ্তরি কাম নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানান।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সূত্র জানায়, ঢাকাসহ বিভিন্ন মহানগর এলাকা ছাড়া দেশের অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি কাম কম্পিউটার অপারেটর, নিরাপত্তা প্রহরী এবং অফিস সহায়ক পদে কোনো জনবল নেই। তাই বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক দায়িত্বও শিক্ষকদেরই পালন করতে হয়।

দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. সাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, মামলাসংক্রান্ত জটিলতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি কাম নিরাপত্তা প্রহরী ও অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এ সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

পাঠদানের বাইরের কাজে যায় ৬০ কর্মদিবস

জরিপের তথ্য বলছে, পাঠদানের বাইরে বিভিন্ন সরকারি কাজে দায়িত্ব পালনে শিক্ষকেরা বছরে অন্তত ৬০ দিন ব্যয় করেন। অর্থাৎ ওসব কাজের দায়িত্ব পাওয়া শিক্ষকেরা এসব দিনে পাঠদান করাতে পারেন না। বদলি শিক্ষকের ব্যবস্থা করা না গেলে ওই শিক্ষকের ক্লাসগুলো হয় না। এতে বঞ্চিত হয় শিক্ষার্থীরা।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) বিভিন্ন নথিপত্র ও বিভিন্ন সময়ে জারি করা অফিস আদেশ ঘেঁটে সরকারি কাজে নির্বাচিত শিক্ষকদের ৬০ দিন পাঠদানবহির্ভূত কাজে ব্যস্ত থাকার তথ্যের সত্যতা মিলেছে।

একাধিক অফিস আদেশের তথ্য বলছে, প্রাথমিকের শিক্ষকদের নির্বাচনসংক্রান্ত কাজে ১৫ থেকে ৩০ দিন, স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বিভিন্ন কার্যক্রমে ১৮ দিন, টিসিবির চাল বিতরণ কার্যক্রমে ৭ দিন, মৌসুমি প্রতিযোগিতায় ২ দিন, অন্যান্য কার্যক্রমে অন্তত ৩ দিন সময় দিতে হয়।

২০২৪ শিক্ষাবর্ষে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট কর্মদিবস ছিল ১৮৬ দিন। চলতি শিক্ষাবর্ষেও কর্মদিবসের সংখ্যা প্রায় একই।

প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মানোন্নয়নে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত পরামর্শক কমিটিও প্রাথমিকের শিক্ষকদের কাজের চাপ কমানোর সুপারিশ করেছে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. মনজুর আহমদের নেতৃত্বাধীন এই কমিটি গত ২৮ ফেব্রুয়ারি তাদের প্রতিবেদন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষকদের শিক্ষণ-শিখনবহির্ভূত কাজের চাপ যুক্তিসংগতভাবে কমিয়ে আনতে হবে।

বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সম্মানী নেই, ইচ্ছার বাইরে বাড়তি কাজ

জরিপে অংশগ্রহণকারীরা জানান, পাঠদানবহির্ভূত সরকারি বিভিন্ন কাজ করলেও বেশির ভাগ শিক্ষক এ জন্য কোনো সম্মানী পান না। জরিপে অংশ নেওয়া ৪৬ শতাংশ শিক্ষক পাঠদানবহির্ভূত সরকারি কাজের জন্য সম্মানী না পাওয়ার কথা জানান। ৪৬ শতাংশ শিক্ষক জানান, কিছু কাজের জন্য সম্মানী দেওয়া হলেও তা পরিশ্রমের তুলনায় অপ্রতুল। বাকি ৮ শতাংশ সম্মানী পান বলে জানিয়েছেন।

জরিপের তথ্য বলছে, বেশির ভাগ শিক্ষক ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সরকারি কাজে অংশ নেন। জরিপে অংশ নেওয়া ৮৪ শতাংশ শিক্ষক জানান, তাঁরা ইচ্ছার বাইরে বাধ্য হয়ে এসব কাজে অংশ নেন। বাকি ১৬ শতাংশ জানান, কর্তৃপক্ষের নির্দেশে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এসব দায়িত্ব পালন করেন। শিক্ষকেরা জানান, এসব দায়িত্ব পালনে অনীহা দেখালে নানা ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সম্মুখীন হওয়ার শঙ্কায় ভোগেন তাঁরা।

শিক্ষকেরা মনে করেন, পাঠের অতিরিক্ত কাজের চাপ তাঁদের মানসিক ও পেশাগত স্বাধীনতায় প্রভাব ফেলছে। এ থেকে পরিত্রাণের পদক্ষেপ নিয়ে তাঁরা সরকারের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন।

কারা দেন অতিরিক্ত কাজের নির্দেশ

জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, পাঠদানবহির্ভূত কার্যক্রমের বেশির ভাগই শিক্ষকেরা করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশনায়।

শিক্ষকেরা জানান, ৫৩ শতাংশ সরকারি কাজ করার সরাসরি নির্দেশ আসে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে। ২৫ শতাংশ কাজের নির্দেশনা দেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। বাকি কাজগুলো বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষকেরা করেন।

যেমন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ১৫ জুলাইয়ের একটি অফিস আদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের কৃমি সংক্রমণের মাত্রা নির্ণয়ের লক্ষ্যে ১৬ জেলার শিক্ষার্থীদের মল পরীক্ষা করতে শিক্ষকদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার তত্ত্বাবধানে ৫ থেকে ১৬ বছর বয়সী সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের বছরে দুবার কৃমিনাশক ওষুধ সেবন করানো হয়। এই কার্যক্রমের সুষ্ঠু বাস্তবায়নের জন্য শিশুদের মধ্যে কৃমি সংক্রমণের প্রকৃত অবস্থা জানার প্রয়োজন রয়েছে। এ জন্য নির্ধারিত জেলাগুলোর শিক্ষার্থীদের মল পরীক্ষা করে একটি জরিপ পরিচালনা করা হবে।

আদেশে আরও বলা হয়, সংশ্লিষ্ট এলাকায় জরিপ কার্যক্রম নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে উপজেলা ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান ও সার্বিক সহযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে।

দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ঢাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবদুল আজিজ বলেন, মূলত অন্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে শিক্ষক-কর্মকর্তারা এসব কাজে (পাঠদানবহির্ভূত) অংশ নেন।

কারা করতে পারেন এসব কাজ

জরিপে অংশ নেওয়া ৪৬ শতাংশ শিক্ষক জানান, ঢালাওভাবে শিক্ষকদের দিয়ে সব কাজ না করিয়ে যে মন্ত্রণালয়ের কাজ সেই মন্ত্রণালয়ের জনবল দিয়েই করানো উচিত। বেকার তরুণ-তরুণীদের দিয়ে এসব কাজ করানোর পক্ষে মত দিয়েছেন ১৫ শতাংশ শিক্ষক। এ ছাড়া অফিস সহকারী নিয়োগ করে এসব কাজ করানোর পরামর্শ ১৯ শতাংশ শিক্ষকদের। বাকি ২০ শতাংশ শিক্ষক জানান, এনজিও, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, কম্পিউটার অপারেটর নিয়োগ দিয়ে এসব কাজ করানো উচিত।

জানতে চাইলে গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী বলেন, ‘প্রাথমিকের শিক্ষকেরা পাঠদানবহির্ভূত বহু কাজের সঙ্গে জড়িত। এই জরিপে যা উঠে এসেছে তা-ই বাস্তব চিত্র। এসব কাজের জন্য পঠন-পাঠনে তাঁদের মন দেওয়া মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে প্রধান শিক্ষক সারাক্ষণই শিক্ষা প্রশাসনেই ব্যস্ত সময় পার করেন।’

ভূমি জরিপ কি শিক্ষার কাজ?—এমন প্রশ্ন করে রাশেদা কে চৌধূরী বলেন, এটা তো ভূমি মন্ত্রণালয়ের কাজ। টিকার কাজ কি শিক্ষার কাজ? দায়িত্বগুলো ঠিকভাবে বণ্টন করা প্রয়োজন। মাঠপর্যায়ে স্থানীয় সরকারের প্রচুর জনবল আছে। তাদের নেটওয়ার্ক কাজে লাগানো যায়। শিক্ষকদের কোনোভাবেই শ্রেণিকক্ষের বাইরে অতি জরুরি প্রয়োজন বা জরুরি অবস্থা ও দুর্যোগের সময় ছাড়া আর কোনো কাজে যুক্ত করা যাবে না। পঠন-পাঠনসংক্রান্ত বিষয় ছাড়া অন্য কোনো কাজ শিক্ষকের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না।

বাইরের অতিরিক্ত কাজের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে শিক্ষায়

জরিপে শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, পাঠদানবহির্ভূত অতিরিক্ত কাজের ফলে শিক্ষায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বিশেষ করে বিকল্প শিক্ষকের অভাবে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকলে। এতে শিখন ঘাটতি হয়, যা শিক্ষার্থীদের ফলাফলসহ সার্বিক পড়াশোনায় প্রভাব ফেলে।

জরিপে অংশ নেওয়া ৫১ শতাংশ শিক্ষক জানান, বাইরের কাজের চাপে ওই সময় ক্লাস নেওয়া সম্ভব হয় না। ৩৪ শতাংশ শিক্ষক জানান, মাঝে মাঝে অন্য শিক্ষক দিয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চালানো হয়। ১৫ শতাংশ শিক্ষক জানান, অন্য শিক্ষক ক্লাস নিলেও শিক্ষার্থীদের শিখনে কাজে লাগে না।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অন্তত ১০ শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, পাঠদানের বাইরে বিভিন্ন সরকারি দায়িত্ব পালনের কারণে শিক্ষকেরা প্রায়ই ক্লাস নিতে পারেন না। এতে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক খায়রুন নাহার লিপি বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের পাশাপাশি অনেক সরকারি কাজে সম্পৃক্ত থাকতে হয়, যা পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনায় বাধা সৃষ্টি করে। একজন শিক্ষক অতিরিক্ত কাজের চাপ থেকে মুক্ত থাকলে পাঠদানে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন। এতে শিশুরাও অনেক কিছু শেখার সুযোগ পাবে।

বেতনভাতা, মর্যাদা নিয়ে অসন্তুষ্ট অধিকাংশ শিক্ষক

জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, বেতনভাতা ও মর্যাদা নিয়ে অধিকাংশ শিক্ষক অসন্তুষ্ট। ৮৭ শতাংশ শিক্ষক জানান, শিক্ষার মান উন্নয়নে বেতনভাতা বৃদ্ধি করতে হবে। এর বাইরে তাঁরা শিক্ষার মান উন্নয়নে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জোরদার করা, মিড ডে মিল চালু, মনিটরিং কার্যক্রম চালু, বিদ্যালয় সময়সূচি পুনর্বিবেচনা, শিক্ষাক্রম উন্নয়ন, পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষের ব্যবস্থা ইত্যাদি পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও জানান।

বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা ১২তম গ্রেডে বেতন পান। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা বেতন গ্রেড উন্নতির দাবিতে আন্দোলন করছেন। তাঁরা বলছেন, এই গ্রেড তাঁদের পেশার মর্যাদার জন্য সংগতিপূর্ণ নয়।

এদিকে অর্থ মন্ত্রণালয় গতকাল সোমবার রাতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।

যা বললেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

জরিপের সার্বিক ফলাফলের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার ১৩ জুলাই আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এসব বিষয়ে আমরা অবগত। কীভাবে শিক্ষাবহির্ভূত কাজে শিক্ষকদের নিয়োগ কমিয়ে আনা যায় সে জন্য আমরা কাজ করছি। আমরাও মনে করি, শিক্ষকদের শিক্ষকতার কাজেই থাকা দরকার। আমাদের দেশের সার্বিক কল্যাণের জন্যই এটি (পাঠদানবহির্ভূত কাজ) থেকে সরে আসা প্রয়োজন।’

বেতনভাতা নিয়ে শিক্ষকদের অসন্তোষ প্রসঙ্গে বিধান রঞ্জন বলেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি অবগত। এ বিষয়ে পরামর্শক কমিটি এ বিষয়ে সুপারিশ দিয়েছে। বিষয়টির বাস্তবায়ন কীভাবে করা যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইন্টারনেট সেবা কখনোই বন্ধ করা যাবে না—বিটিআরসি পাচ্ছে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক। ছবি: পিআইডি
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক। ছবি: পিআইডি

বাংলাদেশে আর কখনোই ইন্টারনেট বা টেলিযোগাযোগ সেবা বন্ধ করা যাবে না। একই সঙ্গে বিতর্কিত ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন্স মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) বিলুপ্ত করে একটি জবাবদিহিমূলক কাঠামো গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ বুধবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এসব বিষয় রেখে ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫’-এর চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি জানান, এর মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ খাতে রাষ্ট্রের নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণের ধরনে আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে।

নতুন এই সংশোধনীর মাধ্যমে নাগরিক অধিকার রক্ষা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। প্রধান পরিবর্তনগুলো হলো—কোনো পরিস্থিতিতেই রাষ্ট্র বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ ইন্টারনেট বা টেলিযোগাযোগ সেবা বন্ধ করতে পারবে না।

নজরদারির বিতর্কিত সংস্থা এনটিএমসি বিলুপ্ত করা হয়েছে। এর বদলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে কারিগরি সহায়তার জন্য ‘সেন্টার ফর ইনফরমেশন সাপোর্ট (সিআইএস)’ গঠন করা হয়েছে। এটি ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ মেনে পরিচালিত হবে।

সিম বা ডিভাইস রেজিস্ট্রেশনের তথ্য ব্যবহার করে কোনো নাগরিককে নজরদারি বা হয়রানি করা এখন থেকে দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। কেবল জাতীয় নিরাপত্তা বা সুনির্দিষ্ট বিচারিক প্রয়োজনে কঠোর গোপনীয়তা বজায় রেখে ইন্টারসেপশন করা যাবে।

লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষমতা বিটিআরসির কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে জাতীয় পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ কিছু লাইসেন্স বাদে বাকি সব লাইসেন্স বিটিআরসি নিজেই ইস্যু করতে পারবে।

টেলিযোগাযোগ খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে বেশ কিছু নতুন কাঠামো তৈরি করা হয়েছে। জবাবদিহিতা কমিটি—ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

গণশুনানি—বিটিআরসিকে প্রতি চার মাস অন্তর গণশুনানি করতে হবে এবং তার ফলোআপ ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।

আধা-বিচারিক কাউন্সিল—আইনানুগ ইন্টারসেপশনের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আইনমন্ত্রী, প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার এবং স্বরাষ্ট্র সচিবকে নিয়ে একটি কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে। বেআইনি নজরদারির বিরুদ্ধে এখানে অভিযোগ করা যাবে।

সংশোধিত আইনে পূর্বের উচ্চ জরিমানা ও রিকারিং (পুনঃপুন) জরিমানার হার কমানো হয়েছে, যা এই খাতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে সহায়তা করবে। এছাড়া, ‘স্পিচ অফেন্স’ বা কথা বলার অপরাধ সংক্রান্ত নিবর্তনমূলক ধারাগুলো পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫’-এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে কেবল সহিংসতার আহ্বানকেই অপরাধ হিসেবে রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এই অধ্যাদেশটি গত ২০ নভেম্বর নীতিগত অনুমোদন পেয়েছিল। অর্থ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যাচাই-বাছাই শেষে আজ এটি চূড়ান্ত অনুমোদন পেল। সরকার জানিয়েছে, এই পুরো ব্যবস্থাপনা জাতিসংঘ এবং আইটিইউ-এর আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী পরিচালিত হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নতুন সংশোধিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে: প্রেস সচিব

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে নতুন সংশোধিত বাজেট নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, নতুন সংশোধিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

শফিকুল আলম বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের নিয়মিত দুটি বৈঠকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অ্যাজেন্ডা ছিল সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন। পাশাপাশি আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া সংশোধিত বাজেট কার্যক্রম নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

প্রেস সচিব জানান, নতুন সংশোধিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে এবং শীতকালে সবজির মূল্যের ঊর্ধ্বগতি কমে যাওয়ায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের কাছাকাছি নামার আশা করা হচ্ছে।

প্রেস সচিবের তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের শেষে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশের বেশি হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। রাজস্ব আহরণ গত বছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়বে। সে অনুযায়ী সংশোধিত বাজেটে মোট রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা।

সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। মোট সরকারি ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা এবং বাজেট ঘাটতি নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৬৩ হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক উৎস থেকে এবং ১ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে পূরণ করা হবে।

প্রেস সচিব আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায় বাজেটে স্বনির্ভরতা বৃদ্ধি, মানসম্মত শিক্ষা, গ্রামীণ উন্নয়ন, তরুণ ও নারীর ক্ষমতায়ন, স্থানীয় উৎপাদন এবং স্বাস্থ্য খাতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

শফিকুল আলম জানান, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন সংশোধন অধ্যাদেশ, ২০২৫ প্রযুক্তিগতভাবে আধুনিক ও যুববান্ধব করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের টেলিকমিউনিকেশন ও ইন্টারনেট অবকাঠামোকে আরও স্থিতিশীল ও নিরাপদ করা হবে। অধ্যাদেশে বিটিআরসির ক্ষমতা, কার্যকারিতা ও জবাবদিহি সুসংহত করা হয়েছে। পাশাপাশি গ্রাহকের তথ্যের গোপনীয়তা নিশ্চিত করা এবং প্রতারণা ও অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধের ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পাঁচ মার্কিন আইনপ্রণেতার চিঠির বিষয়ে জানেন না প্রেস সচিব

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ আইনপ্রণেতা। চিঠিতে তাঁরা আ.লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন তিনি এ চিঠির বিষয়ে জানেন না।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম আজ ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের সভা বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। ছবি: পিআইডি
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম আজ ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের সভা বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। ছবি: পিআইডি

আজ বুধবার বিকেলে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

শফিকুল আলম জানান, তিনি ওই চিঠি দেখেননি এবং এ বিষয়ে অবগত নন। আওয়ামী লীগ সম্পর্কে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যেহেতু আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন বাতিল করেছে, সেহেতু আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।’

এদিকে মার্কিন কংগ্রেসের ওয়েবসাইটে যে চিঠিটি প্রকাশ করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের আমলে ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। গত বছরের জুলাইয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই ১ হাজার ৪০০ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। তবে এই অপরাধগুলো ব্যক্তিগত গণ্য করে গণতন্ত্রের স্বার্থে, দল হিসেবে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়টি যেনো পুনর্বিবেচনা করা হয়।

এই পাঁচ মার্কিন আইনপ্রণেতা হলেন গ্রেগরি ডব্লিউ মিকস, বিল হুইজেঙ্গা, সিডনি কামলাগার-ডোভ, জুলি জনসন এবং থমাস আর সুওজি। তাঁরা চিঠিতে লিখেছেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত রাজনৈতিক অঙ্গনের সব দলের সঙ্গে মিলে কাজ করা। এর মাধ্যমেই বাংলাদেশের মানুষের কণ্ঠস্বর ব্যালট বাক্সের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিফলিত হওয়া সম্ভব।’

তাঁরা আরও বলেন, ‘সেই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সততা ও নিরপেক্ষতার ওপর আস্থা ফিরিয়ে আনার সংস্কারগুলোও জরুরি। আমরা শঙ্কিত যে সরকার যদি রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম স্থগিত করে কিংবা ত্রুটিপূর্ণ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আবারও চালু করে, তবে এই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে না।’

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মে মাসে অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী এ ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পোস্টাল ভোটের জন্য নিবন্ধনের সময় বাড়ল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধনের সময় বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।

সচিব বলেন, ‘আমাদের পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধনের সময়সীমা ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারিত ছিল। এটা বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। যারা নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় এখনো অংশগ্রহণ করেননি তাঁরা অনুগ্রহ করে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নিবন্ধন সম্পন্ন করবেন।’

সচিব আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ করেছি আগামী শনিবার তফসিলি ব্যাংকগুলোকে খোলা রাখতে। যাতে নমিনেশন পেপার সাবমিশনের সাথে প্রাসঙ্গিক বিষয়, ব্যাংকের ট্রানজেকশনের কোনো বিষয় থাকলে সেটা যেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা বা তাঁদের এজেন্টরা ঠিকমত সম্পন্ন করতে পারেন।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সংবর্ধনায় আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে কিনা? সেইগুলো নির্বাচন কমিশন দেখভাল করবেন কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘সেটি রিটার্নিং অফিসার দেখবেন।’

এদিকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে ভোট দিতে এখন পর্যন্ত ৬ লাখ ৭২ হাজার ১২ জন ভোটার নিবন্ধন করেছেন। প্রবাসী বাংলাদেশি ছাড়াও নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিজ এলাকার বাইরে অবস্থানরত সরকারি চাকরিজীবীরা ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করছেন।

ইতিমধ্যে প্রবাসীদের কাছে পোস্টাল ব্যালট পাঠানো শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত পাঁচ দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৯০০ জন প্রবাসী ভোটারের কাছে ব্যালট পাঠানো হয়েছে।

ইসির ওয়েবসাইটে আজ বুধবার সকাল ১১টার তথ্য অনুযায়ী, নিবন্ধনকারীদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ লাখ ২১ হাজার ৮০০ জন এবং নারী ভোটার ৫০ হাজার ২১০ জন।

প্রবাসীদের মধ্যে সৌদি আরব থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৪৯ হাজার ৯১৬ জন নিবন্ধন করেছেন। এছাড়া কাতারে ৫৬ হাজার ১৪৪ জন, ওমানে ৪১ হাজার ৭৩৭ জন, মালয়েশিয়ায় ৩৯ হাজার ১০৫ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩০ হাজার ১০০ জন, যুক্তরাষ্ট্রে ২৪ হাজার ৮৪৯ জন, কুয়েতে ২২ হাজার ১২৩ জন, যুক্তরাজ্যে ২০ হাজার ২০৯ জন ও সিঙ্গাপুরে ১৭ হাজার ৩৪৬ জন নিবন্ধন করেছেন।

অন্যদিকে, দেশে অবস্থানরত ভোটারদের মধ্যে ‘ইন কান্ট্রি পোস্টাল ভোট’ ক্যাটাগরিতে নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ৫৫ হাজার ৭৫০ জন।

জেলা ও আসনভিত্তিক নিবন্ধন

জেলাভিত্তিক নিবন্ধনে শীর্ষে রয়েছে কুমিল্লা, ৬৪ হাজার ১৩২ জন। ঢাকায় ৫৫ হাজার ৬৪০ জন, চট্টগ্রামে ৫৪ হাজার ৭৬৯ জন, নোয়াখালীতে ৩৬ হাজার ৫৯০ জন, সিলেটে ২৬ হাজার ৭৪৯ জন ও চাঁদপুরে ২৫ হাজার ৩১৮ জন নিবন্ধন করেছেন।

আসনভিত্তিক হিসেবে ফেনী-৩ আসনে ৯ হাজার ৬১১ জন নিবন্ধন করেছেন, যা সর্বোচ্চ।

এছাড়া, চট্টগ্রাম-১৫ আসনে ৮ হাজার ৯৩০ জন, কুমিল্লা-১০ আসনে ৮ হাজার ৪৩৮ জন ও নোয়াখালী-১ আসনে ৮ হাজার ৩৮৪ জন ভোটার পোস্টাল ভোট দিতে নিবন্ধন করেছেন।

ব্যালট পাঠানো শুরু

শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে প্রবাসীদের কাছে ব্যালট পাঠানো শুরু হয়েছে। আগামী ২১ জানুয়ারি প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেবে ইসি। প্রতীক বরাদ্দের পর ভোটাররা অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে প্রার্থীর তালিকা দেখতে পাবেন এবং নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যালট পেপারে প্রতীকের পাশে ফাঁকা ঘরে টিক বা ক্রস চিহ্ন দিয়ে ভোট দিতে পারবেন।

সালীম আহমাদ খান জানান, প্রবাসীদের কেউ যদি (আগে থেকে প্রার্থীর বিষয় নিশ্চিত হয়ে) প্রতীক বরাদ্দের আগে ভোট দেন সেক্ষেত্রে তার ভোট বাতিল হবে না। তবে নিয়ম অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার পর প্রার্থী দেখে ভোট দেবেন প্রবাসীরা।

তিনি আরও জানান, প্রবাসীদের নিবন্ধনের শেষ সময় ২৫ ডিসেম্বর। এর পর আর সময় বাড়ানো হবে না।

ব্যালট পাঠানো শুরু

শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে প্রবাসীদের কাছে ব্যালট পাঠানো শুরু হয়েছে। আগামী ২১ জানুয়ারি প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেবে ইসি। প্রতীক বরাদ্দের পর ভোটাররা অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে প্রার্থীর তালিকা দেখতে পাবেন এবং নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যালট পেপারে প্রতীকের পাশে ফাঁকা ঘরে টিক বা ক্রস চিহ্ন দিয়ে ভোট দিতে পারবেন।

সালীম আহমাদ খান জানান, প্রবাসীদের কেউ যদি (আগে থেকে প্রার্থীর বিষয় নিশ্চিত হয়ে) প্রতীক বরাদ্দের আগে ভোট দেন সেক্ষেত্রে তার ভোট বাতিল হবে না। তবে নিয়ম অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার পর প্রার্থী দেখে ভোট দেবেন প্রবাসীরা।

তিনি আরও জানান, প্রবাসীদের নিবন্ধনের শেষ সময় ২৫ ডিসেম্বর। এর পর আর সময় বাড়ানো হবে না।

ব্যালট পাঠানোর হিসাব

ইসি সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার কাতারে ২১ হাজার, ওমানে ৩ হাজার ৬০০, সৌদি আরবে ১০ হাজার ৫০০, কুয়েতে ১ হাজার, ইতালিতে ৫ হাজার, পর্তুগালে ১ হাজার ৫০০, ফ্রান্সে ১ হাজার এবং জার্মানিতে ১ হাজার ব্যালট পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া, গত সোমবার অস্ট্রেলিয়ায় ৬ হাজার ৭৭৯, মালয়েশিয়ায় ১৬ হাজার ৫৬৮, ওমানে ১৮ হাজার এবং কাতারে ১১ হাজার ব্যালট পাঠানো হয়।

গত শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ায় ৮৯২, যুক্তরাজ্যে ৫৭৩ এবং মালয়েশিয়ায় ৬ হাজার ২৪৬ ব্যালট পাঠানো হয়।

গত শনিবার সন্ধ্যায় মোট সাতটি দেশে পোস্টাল ব্যালট পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ৮ হাজার ৪৮০, চীনে ৬৮১, কুয়েতে ১ হাজার ৩১০, কাতারে ২ হাজার ৭৩৭, সৌদি আরবে ৭ হাজার ৩৪৩, জাপানে ৫ হাজার ৬০০ এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় ৭ হাজার ৬৮১টি ব্যালট পাঠানো হয়।

এছাড়া, গত রোববার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১ হাজার ১১৬, যুক্তরাষ্ট্রে ৮ হাজার ৭১৮, কানাডায় ৯ হাজার ৪৪৩, ইতালিতে ৫ হাজার ৬৮৬, জার্মানিতে ২ হাজার ১২৬ এবং ফ্রান্সে ৩ হাজার ৩২১টি ব্যালট পাঠানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত