সাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে ‘অস্বাভাবিক অবস্থার’ মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ঢাকা-দিল্লির সম্পর্ক। বাংলাদেশ সামনে রেখেছে শেখ হাসিনা ইস্যুটি। আর ভারত কথা বলে যাচ্ছে এ দেশে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের অভিযোগ তুলে। উভয় পক্ষের এই টানাটানির মধ্যে মাঠেও ঘটে নানা ঘটনা। এসব ঘটনায় নানামুখী প্রতিক্রিয়া ও পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে বিভিন্ন মহল।
এসবের মধ্যেই ৫ আগস্টের পর প্রথমবারের মতো দুই সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকটি (ফরেন অফিস কনসালটেশন্স-এফওসি) আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় করার জন্য প্রস্তাব গেছে দিল্লিতে। ভারতীয় একটি সূত্র বলেছে, দিনক্ষণ চূড়ান্ত হলে জানিয়ে দেওয়া হবে।
সরকার ও সরকারের বাইরের কূটনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, সংখ্যালঘু ইস্যুসহ খুব স্পর্শকাতর বিভিন্ন বিষয় চলে আসায় এখন অস্বাভাবিক অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দুই দেশের সম্পর্ক। অন্যদিকে দুই দেশের মানুষের এমন অনেক ইস্যু আছে, যেগুলো ফেলে রাখার সুযোগ নেই। এমন অবস্থায় ভালো প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক এগিয়ে নিতে কাজ করার সুযোগ আছে।
পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন এফওসিতে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবেন। এফওসিতে ভারতের নেতৃত্ব দেবেন দেশটির পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি।
জানতে চাইলে গত বৃহস্পতিবার জসীম উদ্দিন আজকের পত্রিকা’কে বলেন, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের দিকটি ঠিক রেখে আস্থার জায়গা তৈরির চেষ্টা শুরু করলে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার পথ খুলতে পারে।
বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট হুমায়ুন কবির মনে করেন, এফওসি একটি নিয়মিত বিষয় হলেও ভারতের সঙ্গে এবারের এফওসির আলাদা তাৎপর্য আছে। বর্তমান অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে দুই দেশের সম্পর্ক স্থিতিশীল করার জন্য বৈঠকটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমানে দুই দেশের সরকারি পর্যায়ে যোগাযোগ নেই বললেই চলে—এমন মন্তব্য করে হুমায়ুন কবির বলেন, ভারতকে মনে রাখতে হবে, দুই দেশের সম্পর্ক পরস্পর নির্ভরশীল। এই সম্পর্ক স্থিতিশীল করতে হবে।
সম্পর্ক স্থিতিশীল করার উদ্যোগ ভারতের দিক থেকেই আসতে হবে, এমনটা উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক এই রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে ভারতবিরোধী প্রচারণা চালানো হয় না। এখানে সরকার ও সরকারের বাইরের রাজনৈতিক নেতারা সংযত আছেন। অন্যদিকে ভারতে সরকার, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সমন্বিত প্রচারণা চলছে। এমন অবস্থায় ভারত যদি সদিচ্ছা দেখিয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়, তাহলে বাংলাদেশ তাতে অনুকূল সাড়া দিতে পারে।
ভারত কীভাবে সদিচ্ছা দেখাতে পারে—এমন প্রশ্নে হুমায়ুন কবির বলেন, ভারতকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচার বন্ধ করতে হবে। আর তৃতীয় অনেক দেশের ভিসার জন্য বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীকে দিল্লি যেতে হয়। গত ১৫ বছর ভারত সহজে ভিসা দিত। গত আগস্ট থেকে ভিসা খুব সীমিত করা হয়েছে। ভিসা সহজ করা ভারতের সদিচ্ছার প্রথম ধাপ হতে পারে।
কূটনীতিকেরা বলছেন, ভারত থেকে বাংলাদেশে এখন পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি প্রায় বন্ধ হয়ে আছে। এর বাইরে সীমান্তের নানা ইস্যু, গঙ্গা চুক্তি নবায়নসহ অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টনের মতো নিয়মিত অনেক বিষয় ঝুলে আছে। এতে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সম্পর্কের অস্থিরতা কাটিয়ে উভয় সরকারকে বাস্তব বিভিন্ন বিষয়ে আবার আলোচনার ধারায় ফিরতে হবে।
ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনাকে বাংলাদেশ কোনোক্রমেই বাড়তে দিতে চায় না। তাদের সুরক্ষার জন্য সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে, বিষয়টি ভারতের কাছে এবারের বৈঠকে আবার তুলে ধরা হবে।
বাংলাদেশে হিন্দুধর্মের কিছু মানুষের বাড়ি, ব্যবসার স্থান ও উপাসনালয়ে হামলার অভিযোগে ভারত সরকার এরই মধ্যে কয়েক দফা প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। একই ধর্মাবলম্বী একটি গোষ্ঠীর মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তারের পর উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এই উত্তেজনার মধ্যে চট্টগ্রামে মঙ্গলবার খুন হন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ। চিন্ময়ের উগ্রপন্থী সমর্থকদের হাতে খুন হন আলিফ, পুলিশের কাছ থেকে এমন তথ্য পাওয়ার পর সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো পরিস্থিতি শান্ত রাখতে তৎপর হয়।
চিন্ময় ইস্যুটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়, এমনটা উল্লেখ করে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এমন বিষয়ে দিল্লির সরকারি প্রতিক্রিয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছে।
গত বৃহস্পতি ও গতকাল শুক্রবার পরপর দুই দিন ভারতের পার্লামেন্টে প্রশ্নোত্তর পর্বে তোলা হয় বাংলাদেশের হিন্দু প্রসঙ্গটি। বৃহস্পতিবার কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে ভারতের শাসকদল বিজেপি-সমর্থিত স্থানীয় একটি গোষ্ঠী। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে মিশনের সামনে চলে আসে। পোড়ানো হয় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কুশপুত্তলিকা।
ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে উপ-হাইকমিশনের সামনের এ ঘটনাকে ‘সহিংস’ ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে। এতে কলকাতাসহ ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের সব মিশন, কূটনীতিক ও মিশনগুলোর কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দেশটির সরকারকে অনুরোধ করা হয়।
ভারতের মুখপাত্র যা বললেন
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল নয়াদিল্লিতে গতকাল সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বলেন, বাংলাদেশে সহিংসতা ও উসকানির ঘটনা বাড়ছে। এটাকে গণমাধ্যমের বাড়াবাড়ি বলে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
বাংলাদেশে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেপ্তার ইসকনের সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ন্যায়বিচার পাবে, এমন আশা প্রকাশ করেন রণধীর।
ইসকন নিষিদ্ধের দাবি উঠছে বাংলাদেশে, এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে জয়সওয়াল বলেন, সামাজিক সেবামূলক সংগঠন হিসেবে ইসকনের বিশ্বব্যাপী সুনাম আছে। ভারত সরকার সেভাবেই তাদের দেখে।
দুই দেশের মধ্যে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকের সম্ভাবনা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেন, যখন এটা হবে, জানানো হবে।
আরও খবর পড়ুন:

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে ‘অস্বাভাবিক অবস্থার’ মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ঢাকা-দিল্লির সম্পর্ক। বাংলাদেশ সামনে রেখেছে শেখ হাসিনা ইস্যুটি। আর ভারত কথা বলে যাচ্ছে এ দেশে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের অভিযোগ তুলে। উভয় পক্ষের এই টানাটানির মধ্যে মাঠেও ঘটে নানা ঘটনা। এসব ঘটনায় নানামুখী প্রতিক্রিয়া ও পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে বিভিন্ন মহল।
এসবের মধ্যেই ৫ আগস্টের পর প্রথমবারের মতো দুই সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকটি (ফরেন অফিস কনসালটেশন্স-এফওসি) আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় করার জন্য প্রস্তাব গেছে দিল্লিতে। ভারতীয় একটি সূত্র বলেছে, দিনক্ষণ চূড়ান্ত হলে জানিয়ে দেওয়া হবে।
সরকার ও সরকারের বাইরের কূটনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, সংখ্যালঘু ইস্যুসহ খুব স্পর্শকাতর বিভিন্ন বিষয় চলে আসায় এখন অস্বাভাবিক অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দুই দেশের সম্পর্ক। অন্যদিকে দুই দেশের মানুষের এমন অনেক ইস্যু আছে, যেগুলো ফেলে রাখার সুযোগ নেই। এমন অবস্থায় ভালো প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক এগিয়ে নিতে কাজ করার সুযোগ আছে।
পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন এফওসিতে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবেন। এফওসিতে ভারতের নেতৃত্ব দেবেন দেশটির পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি।
জানতে চাইলে গত বৃহস্পতিবার জসীম উদ্দিন আজকের পত্রিকা’কে বলেন, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের দিকটি ঠিক রেখে আস্থার জায়গা তৈরির চেষ্টা শুরু করলে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার পথ খুলতে পারে।
বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট হুমায়ুন কবির মনে করেন, এফওসি একটি নিয়মিত বিষয় হলেও ভারতের সঙ্গে এবারের এফওসির আলাদা তাৎপর্য আছে। বর্তমান অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে দুই দেশের সম্পর্ক স্থিতিশীল করার জন্য বৈঠকটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমানে দুই দেশের সরকারি পর্যায়ে যোগাযোগ নেই বললেই চলে—এমন মন্তব্য করে হুমায়ুন কবির বলেন, ভারতকে মনে রাখতে হবে, দুই দেশের সম্পর্ক পরস্পর নির্ভরশীল। এই সম্পর্ক স্থিতিশীল করতে হবে।
সম্পর্ক স্থিতিশীল করার উদ্যোগ ভারতের দিক থেকেই আসতে হবে, এমনটা উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক এই রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে ভারতবিরোধী প্রচারণা চালানো হয় না। এখানে সরকার ও সরকারের বাইরের রাজনৈতিক নেতারা সংযত আছেন। অন্যদিকে ভারতে সরকার, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সমন্বিত প্রচারণা চলছে। এমন অবস্থায় ভারত যদি সদিচ্ছা দেখিয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়, তাহলে বাংলাদেশ তাতে অনুকূল সাড়া দিতে পারে।
ভারত কীভাবে সদিচ্ছা দেখাতে পারে—এমন প্রশ্নে হুমায়ুন কবির বলেন, ভারতকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচার বন্ধ করতে হবে। আর তৃতীয় অনেক দেশের ভিসার জন্য বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীকে দিল্লি যেতে হয়। গত ১৫ বছর ভারত সহজে ভিসা দিত। গত আগস্ট থেকে ভিসা খুব সীমিত করা হয়েছে। ভিসা সহজ করা ভারতের সদিচ্ছার প্রথম ধাপ হতে পারে।
কূটনীতিকেরা বলছেন, ভারত থেকে বাংলাদেশে এখন পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি প্রায় বন্ধ হয়ে আছে। এর বাইরে সীমান্তের নানা ইস্যু, গঙ্গা চুক্তি নবায়নসহ অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টনের মতো নিয়মিত অনেক বিষয় ঝুলে আছে। এতে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সম্পর্কের অস্থিরতা কাটিয়ে উভয় সরকারকে বাস্তব বিভিন্ন বিষয়ে আবার আলোচনার ধারায় ফিরতে হবে।
ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনাকে বাংলাদেশ কোনোক্রমেই বাড়তে দিতে চায় না। তাদের সুরক্ষার জন্য সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে, বিষয়টি ভারতের কাছে এবারের বৈঠকে আবার তুলে ধরা হবে।
বাংলাদেশে হিন্দুধর্মের কিছু মানুষের বাড়ি, ব্যবসার স্থান ও উপাসনালয়ে হামলার অভিযোগে ভারত সরকার এরই মধ্যে কয়েক দফা প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। একই ধর্মাবলম্বী একটি গোষ্ঠীর মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তারের পর উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এই উত্তেজনার মধ্যে চট্টগ্রামে মঙ্গলবার খুন হন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ। চিন্ময়ের উগ্রপন্থী সমর্থকদের হাতে খুন হন আলিফ, পুলিশের কাছ থেকে এমন তথ্য পাওয়ার পর সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো পরিস্থিতি শান্ত রাখতে তৎপর হয়।
চিন্ময় ইস্যুটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়, এমনটা উল্লেখ করে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এমন বিষয়ে দিল্লির সরকারি প্রতিক্রিয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছে।
গত বৃহস্পতি ও গতকাল শুক্রবার পরপর দুই দিন ভারতের পার্লামেন্টে প্রশ্নোত্তর পর্বে তোলা হয় বাংলাদেশের হিন্দু প্রসঙ্গটি। বৃহস্পতিবার কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে ভারতের শাসকদল বিজেপি-সমর্থিত স্থানীয় একটি গোষ্ঠী। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে মিশনের সামনে চলে আসে। পোড়ানো হয় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কুশপুত্তলিকা।
ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে উপ-হাইকমিশনের সামনের এ ঘটনাকে ‘সহিংস’ ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে। এতে কলকাতাসহ ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের সব মিশন, কূটনীতিক ও মিশনগুলোর কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দেশটির সরকারকে অনুরোধ করা হয়।
ভারতের মুখপাত্র যা বললেন
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল নয়াদিল্লিতে গতকাল সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বলেন, বাংলাদেশে সহিংসতা ও উসকানির ঘটনা বাড়ছে। এটাকে গণমাধ্যমের বাড়াবাড়ি বলে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
বাংলাদেশে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেপ্তার ইসকনের সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ন্যায়বিচার পাবে, এমন আশা প্রকাশ করেন রণধীর।
ইসকন নিষিদ্ধের দাবি উঠছে বাংলাদেশে, এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে জয়সওয়াল বলেন, সামাজিক সেবামূলক সংগঠন হিসেবে ইসকনের বিশ্বব্যাপী সুনাম আছে। ভারত সরকার সেভাবেই তাদের দেখে।
দুই দেশের মধ্যে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকের সম্ভাবনা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেন, যখন এটা হবে, জানানো হবে।
আরও খবর পড়ুন:
সাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে ‘অস্বাভাবিক অবস্থার’ মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ঢাকা-দিল্লির সম্পর্ক। বাংলাদেশ সামনে রেখেছে শেখ হাসিনা ইস্যুটি। আর ভারত কথা বলে যাচ্ছে এ দেশে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের অভিযোগ তুলে। উভয় পক্ষের এই টানাটানির মধ্যে মাঠেও ঘটে নানা ঘটনা। এসব ঘটনায় নানামুখী প্রতিক্রিয়া ও পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে বিভিন্ন মহল।
এসবের মধ্যেই ৫ আগস্টের পর প্রথমবারের মতো দুই সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকটি (ফরেন অফিস কনসালটেশন্স-এফওসি) আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় করার জন্য প্রস্তাব গেছে দিল্লিতে। ভারতীয় একটি সূত্র বলেছে, দিনক্ষণ চূড়ান্ত হলে জানিয়ে দেওয়া হবে।
সরকার ও সরকারের বাইরের কূটনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, সংখ্যালঘু ইস্যুসহ খুব স্পর্শকাতর বিভিন্ন বিষয় চলে আসায় এখন অস্বাভাবিক অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দুই দেশের সম্পর্ক। অন্যদিকে দুই দেশের মানুষের এমন অনেক ইস্যু আছে, যেগুলো ফেলে রাখার সুযোগ নেই। এমন অবস্থায় ভালো প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক এগিয়ে নিতে কাজ করার সুযোগ আছে।
পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন এফওসিতে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবেন। এফওসিতে ভারতের নেতৃত্ব দেবেন দেশটির পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি।
জানতে চাইলে গত বৃহস্পতিবার জসীম উদ্দিন আজকের পত্রিকা’কে বলেন, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের দিকটি ঠিক রেখে আস্থার জায়গা তৈরির চেষ্টা শুরু করলে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার পথ খুলতে পারে।
বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট হুমায়ুন কবির মনে করেন, এফওসি একটি নিয়মিত বিষয় হলেও ভারতের সঙ্গে এবারের এফওসির আলাদা তাৎপর্য আছে। বর্তমান অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে দুই দেশের সম্পর্ক স্থিতিশীল করার জন্য বৈঠকটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমানে দুই দেশের সরকারি পর্যায়ে যোগাযোগ নেই বললেই চলে—এমন মন্তব্য করে হুমায়ুন কবির বলেন, ভারতকে মনে রাখতে হবে, দুই দেশের সম্পর্ক পরস্পর নির্ভরশীল। এই সম্পর্ক স্থিতিশীল করতে হবে।
সম্পর্ক স্থিতিশীল করার উদ্যোগ ভারতের দিক থেকেই আসতে হবে, এমনটা উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক এই রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে ভারতবিরোধী প্রচারণা চালানো হয় না। এখানে সরকার ও সরকারের বাইরের রাজনৈতিক নেতারা সংযত আছেন। অন্যদিকে ভারতে সরকার, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সমন্বিত প্রচারণা চলছে। এমন অবস্থায় ভারত যদি সদিচ্ছা দেখিয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়, তাহলে বাংলাদেশ তাতে অনুকূল সাড়া দিতে পারে।
ভারত কীভাবে সদিচ্ছা দেখাতে পারে—এমন প্রশ্নে হুমায়ুন কবির বলেন, ভারতকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচার বন্ধ করতে হবে। আর তৃতীয় অনেক দেশের ভিসার জন্য বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীকে দিল্লি যেতে হয়। গত ১৫ বছর ভারত সহজে ভিসা দিত। গত আগস্ট থেকে ভিসা খুব সীমিত করা হয়েছে। ভিসা সহজ করা ভারতের সদিচ্ছার প্রথম ধাপ হতে পারে।
কূটনীতিকেরা বলছেন, ভারত থেকে বাংলাদেশে এখন পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি প্রায় বন্ধ হয়ে আছে। এর বাইরে সীমান্তের নানা ইস্যু, গঙ্গা চুক্তি নবায়নসহ অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টনের মতো নিয়মিত অনেক বিষয় ঝুলে আছে। এতে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সম্পর্কের অস্থিরতা কাটিয়ে উভয় সরকারকে বাস্তব বিভিন্ন বিষয়ে আবার আলোচনার ধারায় ফিরতে হবে।
ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনাকে বাংলাদেশ কোনোক্রমেই বাড়তে দিতে চায় না। তাদের সুরক্ষার জন্য সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে, বিষয়টি ভারতের কাছে এবারের বৈঠকে আবার তুলে ধরা হবে।
বাংলাদেশে হিন্দুধর্মের কিছু মানুষের বাড়ি, ব্যবসার স্থান ও উপাসনালয়ে হামলার অভিযোগে ভারত সরকার এরই মধ্যে কয়েক দফা প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। একই ধর্মাবলম্বী একটি গোষ্ঠীর মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তারের পর উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এই উত্তেজনার মধ্যে চট্টগ্রামে মঙ্গলবার খুন হন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ। চিন্ময়ের উগ্রপন্থী সমর্থকদের হাতে খুন হন আলিফ, পুলিশের কাছ থেকে এমন তথ্য পাওয়ার পর সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো পরিস্থিতি শান্ত রাখতে তৎপর হয়।
চিন্ময় ইস্যুটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়, এমনটা উল্লেখ করে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এমন বিষয়ে দিল্লির সরকারি প্রতিক্রিয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছে।
গত বৃহস্পতি ও গতকাল শুক্রবার পরপর দুই দিন ভারতের পার্লামেন্টে প্রশ্নোত্তর পর্বে তোলা হয় বাংলাদেশের হিন্দু প্রসঙ্গটি। বৃহস্পতিবার কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে ভারতের শাসকদল বিজেপি-সমর্থিত স্থানীয় একটি গোষ্ঠী। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে মিশনের সামনে চলে আসে। পোড়ানো হয় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কুশপুত্তলিকা।
ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে উপ-হাইকমিশনের সামনের এ ঘটনাকে ‘সহিংস’ ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে। এতে কলকাতাসহ ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের সব মিশন, কূটনীতিক ও মিশনগুলোর কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দেশটির সরকারকে অনুরোধ করা হয়।
ভারতের মুখপাত্র যা বললেন
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল নয়াদিল্লিতে গতকাল সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বলেন, বাংলাদেশে সহিংসতা ও উসকানির ঘটনা বাড়ছে। এটাকে গণমাধ্যমের বাড়াবাড়ি বলে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
বাংলাদেশে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেপ্তার ইসকনের সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ন্যায়বিচার পাবে, এমন আশা প্রকাশ করেন রণধীর।
ইসকন নিষিদ্ধের দাবি উঠছে বাংলাদেশে, এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে জয়সওয়াল বলেন, সামাজিক সেবামূলক সংগঠন হিসেবে ইসকনের বিশ্বব্যাপী সুনাম আছে। ভারত সরকার সেভাবেই তাদের দেখে।
দুই দেশের মধ্যে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকের সম্ভাবনা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেন, যখন এটা হবে, জানানো হবে।
আরও খবর পড়ুন:

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে ‘অস্বাভাবিক অবস্থার’ মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ঢাকা-দিল্লির সম্পর্ক। বাংলাদেশ সামনে রেখেছে শেখ হাসিনা ইস্যুটি। আর ভারত কথা বলে যাচ্ছে এ দেশে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের অভিযোগ তুলে। উভয় পক্ষের এই টানাটানির মধ্যে মাঠেও ঘটে নানা ঘটনা। এসব ঘটনায় নানামুখী প্রতিক্রিয়া ও পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে বিভিন্ন মহল।
এসবের মধ্যেই ৫ আগস্টের পর প্রথমবারের মতো দুই সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকটি (ফরেন অফিস কনসালটেশন্স-এফওসি) আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় করার জন্য প্রস্তাব গেছে দিল্লিতে। ভারতীয় একটি সূত্র বলেছে, দিনক্ষণ চূড়ান্ত হলে জানিয়ে দেওয়া হবে।
সরকার ও সরকারের বাইরের কূটনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, সংখ্যালঘু ইস্যুসহ খুব স্পর্শকাতর বিভিন্ন বিষয় চলে আসায় এখন অস্বাভাবিক অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দুই দেশের সম্পর্ক। অন্যদিকে দুই দেশের মানুষের এমন অনেক ইস্যু আছে, যেগুলো ফেলে রাখার সুযোগ নেই। এমন অবস্থায় ভালো প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক এগিয়ে নিতে কাজ করার সুযোগ আছে।
পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন এফওসিতে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবেন। এফওসিতে ভারতের নেতৃত্ব দেবেন দেশটির পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি।
জানতে চাইলে গত বৃহস্পতিবার জসীম উদ্দিন আজকের পত্রিকা’কে বলেন, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের দিকটি ঠিক রেখে আস্থার জায়গা তৈরির চেষ্টা শুরু করলে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার পথ খুলতে পারে।
বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট হুমায়ুন কবির মনে করেন, এফওসি একটি নিয়মিত বিষয় হলেও ভারতের সঙ্গে এবারের এফওসির আলাদা তাৎপর্য আছে। বর্তমান অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে দুই দেশের সম্পর্ক স্থিতিশীল করার জন্য বৈঠকটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমানে দুই দেশের সরকারি পর্যায়ে যোগাযোগ নেই বললেই চলে—এমন মন্তব্য করে হুমায়ুন কবির বলেন, ভারতকে মনে রাখতে হবে, দুই দেশের সম্পর্ক পরস্পর নির্ভরশীল। এই সম্পর্ক স্থিতিশীল করতে হবে।
সম্পর্ক স্থিতিশীল করার উদ্যোগ ভারতের দিক থেকেই আসতে হবে, এমনটা উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক এই রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে ভারতবিরোধী প্রচারণা চালানো হয় না। এখানে সরকার ও সরকারের বাইরের রাজনৈতিক নেতারা সংযত আছেন। অন্যদিকে ভারতে সরকার, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সমন্বিত প্রচারণা চলছে। এমন অবস্থায় ভারত যদি সদিচ্ছা দেখিয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়, তাহলে বাংলাদেশ তাতে অনুকূল সাড়া দিতে পারে।
ভারত কীভাবে সদিচ্ছা দেখাতে পারে—এমন প্রশ্নে হুমায়ুন কবির বলেন, ভারতকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচার বন্ধ করতে হবে। আর তৃতীয় অনেক দেশের ভিসার জন্য বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীকে দিল্লি যেতে হয়। গত ১৫ বছর ভারত সহজে ভিসা দিত। গত আগস্ট থেকে ভিসা খুব সীমিত করা হয়েছে। ভিসা সহজ করা ভারতের সদিচ্ছার প্রথম ধাপ হতে পারে।
কূটনীতিকেরা বলছেন, ভারত থেকে বাংলাদেশে এখন পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি প্রায় বন্ধ হয়ে আছে। এর বাইরে সীমান্তের নানা ইস্যু, গঙ্গা চুক্তি নবায়নসহ অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টনের মতো নিয়মিত অনেক বিষয় ঝুলে আছে। এতে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সম্পর্কের অস্থিরতা কাটিয়ে উভয় সরকারকে বাস্তব বিভিন্ন বিষয়ে আবার আলোচনার ধারায় ফিরতে হবে।
ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনাকে বাংলাদেশ কোনোক্রমেই বাড়তে দিতে চায় না। তাদের সুরক্ষার জন্য সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে, বিষয়টি ভারতের কাছে এবারের বৈঠকে আবার তুলে ধরা হবে।
বাংলাদেশে হিন্দুধর্মের কিছু মানুষের বাড়ি, ব্যবসার স্থান ও উপাসনালয়ে হামলার অভিযোগে ভারত সরকার এরই মধ্যে কয়েক দফা প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। একই ধর্মাবলম্বী একটি গোষ্ঠীর মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তারের পর উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এই উত্তেজনার মধ্যে চট্টগ্রামে মঙ্গলবার খুন হন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ। চিন্ময়ের উগ্রপন্থী সমর্থকদের হাতে খুন হন আলিফ, পুলিশের কাছ থেকে এমন তথ্য পাওয়ার পর সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো পরিস্থিতি শান্ত রাখতে তৎপর হয়।
চিন্ময় ইস্যুটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়, এমনটা উল্লেখ করে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এমন বিষয়ে দিল্লির সরকারি প্রতিক্রিয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছে।
গত বৃহস্পতি ও গতকাল শুক্রবার পরপর দুই দিন ভারতের পার্লামেন্টে প্রশ্নোত্তর পর্বে তোলা হয় বাংলাদেশের হিন্দু প্রসঙ্গটি। বৃহস্পতিবার কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে ভারতের শাসকদল বিজেপি-সমর্থিত স্থানীয় একটি গোষ্ঠী। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে মিশনের সামনে চলে আসে। পোড়ানো হয় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কুশপুত্তলিকা।
ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে উপ-হাইকমিশনের সামনের এ ঘটনাকে ‘সহিংস’ ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে। এতে কলকাতাসহ ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের সব মিশন, কূটনীতিক ও মিশনগুলোর কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দেশটির সরকারকে অনুরোধ করা হয়।
ভারতের মুখপাত্র যা বললেন
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল নয়াদিল্লিতে গতকাল সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বলেন, বাংলাদেশে সহিংসতা ও উসকানির ঘটনা বাড়ছে। এটাকে গণমাধ্যমের বাড়াবাড়ি বলে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
বাংলাদেশে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেপ্তার ইসকনের সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ন্যায়বিচার পাবে, এমন আশা প্রকাশ করেন রণধীর।
ইসকন নিষিদ্ধের দাবি উঠছে বাংলাদেশে, এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে জয়সওয়াল বলেন, সামাজিক সেবামূলক সংগঠন হিসেবে ইসকনের বিশ্বব্যাপী সুনাম আছে। ভারত সরকার সেভাবেই তাদের দেখে।
দুই দেশের মধ্যে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকের সম্ভাবনা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেন, যখন এটা হবে, জানানো হবে।
আরও খবর পড়ুন:

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ‘Postal Vote BD’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধনকারী পোস্টাল ভোটারের সংখ্যা ইতিমধ্যে সাড়ে ৯ লাখ অতিক্রম করেছে।
৩৪ মিনিট আগে
ময়মনসিংহে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গার্মেন্টস কর্মী দিপু চন্দ্র দাশকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘যত বড় অপরাধীই হোক, আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কাউকে পিটিয়ে হত্যা করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
৩ ঘণ্টা আগে
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৬ ঘণ্টা আগে
শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ‘Postal Vote BD’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধনকারী পোস্টাল ভোটারের সংখ্যা ইতিমধ্যে সাড়ে ৯ লাখ অতিক্রম করেছে।
আজ সোমবার নির্বাচন কমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বিকেল ৪টা পর্যন্ত মোট ৯ লাখ ৫১ হাজার ৮০৮ জন ভোটার পোস্টাল ভোটের জন্য সফলভাবে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।
ইসির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে পোস্টাল ভোটের প্রতি বিশেষ আগ্রহ লক্ষ করা যাচ্ছে। প্রবাসীদের মধ্যে নিবন্ধন সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে সৌদি আরব। দেশটিতে অবস্থানরত ১ লাখ ৭৭ হাজার ৫৮৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক পোস্টাল ভোটের জন্য আবেদন করেছেন। নিবন্ধনে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কাতার (৬৩ হাজার ৯২৮ জন) এবং তৃতীয় অবস্থানে মালয়েশিয়া (৫১ হাজার ৫৭২ জন)।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ভোটারদের মধ্যে ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৯১৩ জন পোস্টাল ভোটের জন্য নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে বড় একটি অংশই সরকারি চাকরিজীবী, যার সংখ্যা ৩ লাখ ১ হাজার ৭১ জন। এ ছাড়া নির্বাচনী দায়িত্বপ্রাপ্ত ৪৬ হাজার ৮০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী, ৪ হাজার ৩৬৭ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য এবং আইনি হেফাজতে থাকা ৩ হাজার ৬৭৫ জন ভোটার নিবন্ধিত হয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. রুহুল আমিন মল্লিক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পোস্টাল ভোটের এই নিবন্ধনপ্রক্রিয়া আগামী বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যোগ্য ভোটারদের নিবন্ধন সম্পন্ন করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে কমিশন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ‘Postal Vote BD’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধনকারী পোস্টাল ভোটারের সংখ্যা ইতিমধ্যে সাড়ে ৯ লাখ অতিক্রম করেছে।
আজ সোমবার নির্বাচন কমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বিকেল ৪টা পর্যন্ত মোট ৯ লাখ ৫১ হাজার ৮০৮ জন ভোটার পোস্টাল ভোটের জন্য সফলভাবে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।
ইসির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে পোস্টাল ভোটের প্রতি বিশেষ আগ্রহ লক্ষ করা যাচ্ছে। প্রবাসীদের মধ্যে নিবন্ধন সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে সৌদি আরব। দেশটিতে অবস্থানরত ১ লাখ ৭৭ হাজার ৫৮৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক পোস্টাল ভোটের জন্য আবেদন করেছেন। নিবন্ধনে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কাতার (৬৩ হাজার ৯২৮ জন) এবং তৃতীয় অবস্থানে মালয়েশিয়া (৫১ হাজার ৫৭২ জন)।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ভোটারদের মধ্যে ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৯১৩ জন পোস্টাল ভোটের জন্য নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে বড় একটি অংশই সরকারি চাকরিজীবী, যার সংখ্যা ৩ লাখ ১ হাজার ৭১ জন। এ ছাড়া নির্বাচনী দায়িত্বপ্রাপ্ত ৪৬ হাজার ৮০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী, ৪ হাজার ৩৬৭ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য এবং আইনি হেফাজতে থাকা ৩ হাজার ৬৭৫ জন ভোটার নিবন্ধিত হয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. রুহুল আমিন মল্লিক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পোস্টাল ভোটের এই নিবন্ধনপ্রক্রিয়া আগামী বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যোগ্য ভোটারদের নিবন্ধন সম্পন্ন করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে কমিশন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে ‘অস্বাভাবিক অবস্থার’ ভেতর দিয়ে যাচ্ছে ঢাকা-দিল্লির সম্পর্ক। বাংলাদেশ সামনে রেখেছে শেখ হাসিনা ইস্যুটি। আর ভারত কথা বলে যাচ্ছে এ দেশে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের অভিযোগ তুলে। উভয় পক্ষের এ টানাটানির মধ্যে মাঠেও ঘটে নানা ঘটনা।
৩০ নভেম্বর ২০২৪
ময়মনসিংহে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গার্মেন্টস কর্মী দিপু চন্দ্র দাশকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘যত বড় অপরাধীই হোক, আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কাউকে পিটিয়ে হত্যা করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
৩ ঘণ্টা আগে
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৬ ঘণ্টা আগে
শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
৬ ঘণ্টা আগেরংপুর প্রতিনিধি

ময়মনসিংহে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গার্মেন্টস কর্মী দিপু চন্দ্র দাশকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘যত বড় অপরাধীই হোক, আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কাউকে পিটিয়ে হত্যা করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
আজ সোমবার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের জেলা কর্মশালায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন ধর্ম উপদেষ্টা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল আহসান, হিন্দু ধর্ম কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান তপন চন্দ্র মজুমদার, প্রকল্প পরিচালক নিত্য প্রকাশ বিশ্বাসসহ হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মকর্তারা।
ময়মনসিংহে দিপু হত্যাকাণ্ড এবং রাজবাড়ীর পাংশায় সংঘটিত পৃথক ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘ময়মনসিংহে দিপু হত্যার ঘটনায় আমরা প্রথম দিন থেকেই দুঃখ প্রকাশ করেছি। আমরা কোনো দিন চাই না এই কিলিং আউটসাইড দি জুডিশিয়ারি—ইট ইজ নট অ্যাক্সেপ্টেবল টু আস। ইন এনি সারকামস্ট্যান্স উই কান্ট অ্যালাও মব জাস্টিস। তাহলে তো দেশ থাকবে না, সরকার থাকবে না, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থাকবে না; আইন যদি আমি করি, বিচার যদি আমি করি।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘কেউ যদি ধর্ম অবমাননা করে থাকে—করতে পারে, ফেসবুক ওপেন প্ল্যাটফর্ম, করে—তার জন্য আমাদের তো নির্ধারিত আইন আছে। সরকার আছে, ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সিজ আছে, জাস্টিস আছে, তার বিচার হবে যদি সে করে থাকে। কিন্তু এটার একটা অজুহাত তুলে কোনো মানুষকে পিটিয়ে মারা এবং তাকে পুড়িয়ে ফেলা—এটা জঘন্যতম কাজ। এটার নিন্দা জানাই।’
দিপু হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা আমাদের গভর্নমেন্টের পক্ষ থেকে আমাদের মাননীয় শিল্প উপদেষ্টাকে দিপুর বাড়িতে পাঠিয়েছি। এই মানুষটাও দরিদ্র। তো ক্যাবিনেটেও আমরা এটা আলোচনা করেছি—দিপুর পরিবারের সমস্ত খরচ বাংলাদেশ সরকার বহন করবে।’
রাজবাড়ীর পাংশার ঘটনায় সাম্প্রদায়িক কোনো যোগ নেই উল্লেখ করে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে তিনি ঘটনাটির প্রকৃত চিত্র জানতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, নিহত ব্যক্তি অমিত নামে পরিচিত এবং তাঁর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে। ডাকাতির সময় গুলি ছোড়ার ঘটনায় স্থানীয়রা তাঁকে ধরে পিটিয়ে হত্যা করে।’
তবে এ প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা স্পষ্ট করে বলেন, ‘আমরা পিটিয়ে মারার সংস্কৃতি থেকে সরে আসতে চাই। যত বড় অপরাধী হোক, আমাদের তো আইন আছে, ল মাস্ট টেক ইটস ওউন কোর্স। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। সে ডাকাত হলেও তার আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না থাকলে, এভাবে হলে তো আপনারে পিটিয়ে মারবে, আরেকজনকে পিটিয়ে মারবে, আরেকজনের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেবে। এই যে আগুন ধরিয়ে দেওয়া অথবা পিটিয়ে মারা—আমরা এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে চাই। আমরা রুল অব ল, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’
আগুন দেওয়া, পিটিয়ে হত্যা—এই সহিংস সংস্কৃতি পরিহার করে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাই সরকারের লক্ষ্য বলে উল্লেখ করে ধর্ম উপদেষ্টা।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘আজকে নমিনেশন পেপার সাবমিটের লাস্ট ডেট। জাতি একটা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। একটা নির্বাচনী আবহ তৈরি হয়েছে। আমরা আশা করছি, আমাদের দৃঢ় প্রত্যাশা, উৎসবমুখর পরিবেশে ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং যারাই ম্যান্ডেট পেয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসবেন, আমরা তাদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে আমরা পুরোনো ঠিকানায় ফিরে যাব। এটা আমাদের কমিটমেন্ট। আমরা এভাবে এগোচ্ছি এবং ইলেকশন মাস্ট বি হেল্ড ফেয়ার, ফ্রি, ইমপারশিয়াল অ্যান্ড ইনক্লুসিভ হবে। এটাই আমরা সমস্ত রিটার্নিং অফিসারদের, ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি যারা আছেন তাদের আমরা নির্দেশনা দিয়েছি।’

ময়মনসিংহে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গার্মেন্টস কর্মী দিপু চন্দ্র দাশকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘যত বড় অপরাধীই হোক, আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কাউকে পিটিয়ে হত্যা করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
আজ সোমবার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের জেলা কর্মশালায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন ধর্ম উপদেষ্টা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল আহসান, হিন্দু ধর্ম কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান তপন চন্দ্র মজুমদার, প্রকল্প পরিচালক নিত্য প্রকাশ বিশ্বাসসহ হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মকর্তারা।
ময়মনসিংহে দিপু হত্যাকাণ্ড এবং রাজবাড়ীর পাংশায় সংঘটিত পৃথক ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘ময়মনসিংহে দিপু হত্যার ঘটনায় আমরা প্রথম দিন থেকেই দুঃখ প্রকাশ করেছি। আমরা কোনো দিন চাই না এই কিলিং আউটসাইড দি জুডিশিয়ারি—ইট ইজ নট অ্যাক্সেপ্টেবল টু আস। ইন এনি সারকামস্ট্যান্স উই কান্ট অ্যালাও মব জাস্টিস। তাহলে তো দেশ থাকবে না, সরকার থাকবে না, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থাকবে না; আইন যদি আমি করি, বিচার যদি আমি করি।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘কেউ যদি ধর্ম অবমাননা করে থাকে—করতে পারে, ফেসবুক ওপেন প্ল্যাটফর্ম, করে—তার জন্য আমাদের তো নির্ধারিত আইন আছে। সরকার আছে, ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সিজ আছে, জাস্টিস আছে, তার বিচার হবে যদি সে করে থাকে। কিন্তু এটার একটা অজুহাত তুলে কোনো মানুষকে পিটিয়ে মারা এবং তাকে পুড়িয়ে ফেলা—এটা জঘন্যতম কাজ। এটার নিন্দা জানাই।’
দিপু হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা আমাদের গভর্নমেন্টের পক্ষ থেকে আমাদের মাননীয় শিল্প উপদেষ্টাকে দিপুর বাড়িতে পাঠিয়েছি। এই মানুষটাও দরিদ্র। তো ক্যাবিনেটেও আমরা এটা আলোচনা করেছি—দিপুর পরিবারের সমস্ত খরচ বাংলাদেশ সরকার বহন করবে।’
রাজবাড়ীর পাংশার ঘটনায় সাম্প্রদায়িক কোনো যোগ নেই উল্লেখ করে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে তিনি ঘটনাটির প্রকৃত চিত্র জানতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, নিহত ব্যক্তি অমিত নামে পরিচিত এবং তাঁর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে। ডাকাতির সময় গুলি ছোড়ার ঘটনায় স্থানীয়রা তাঁকে ধরে পিটিয়ে হত্যা করে।’
তবে এ প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা স্পষ্ট করে বলেন, ‘আমরা পিটিয়ে মারার সংস্কৃতি থেকে সরে আসতে চাই। যত বড় অপরাধী হোক, আমাদের তো আইন আছে, ল মাস্ট টেক ইটস ওউন কোর্স। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। সে ডাকাত হলেও তার আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না থাকলে, এভাবে হলে তো আপনারে পিটিয়ে মারবে, আরেকজনকে পিটিয়ে মারবে, আরেকজনের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেবে। এই যে আগুন ধরিয়ে দেওয়া অথবা পিটিয়ে মারা—আমরা এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে চাই। আমরা রুল অব ল, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’
আগুন দেওয়া, পিটিয়ে হত্যা—এই সহিংস সংস্কৃতি পরিহার করে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাই সরকারের লক্ষ্য বলে উল্লেখ করে ধর্ম উপদেষ্টা।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘আজকে নমিনেশন পেপার সাবমিটের লাস্ট ডেট। জাতি একটা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। একটা নির্বাচনী আবহ তৈরি হয়েছে। আমরা আশা করছি, আমাদের দৃঢ় প্রত্যাশা, উৎসবমুখর পরিবেশে ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং যারাই ম্যান্ডেট পেয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসবেন, আমরা তাদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে আমরা পুরোনো ঠিকানায় ফিরে যাব। এটা আমাদের কমিটমেন্ট। আমরা এভাবে এগোচ্ছি এবং ইলেকশন মাস্ট বি হেল্ড ফেয়ার, ফ্রি, ইমপারশিয়াল অ্যান্ড ইনক্লুসিভ হবে। এটাই আমরা সমস্ত রিটার্নিং অফিসারদের, ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি যারা আছেন তাদের আমরা নির্দেশনা দিয়েছি।’

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে ‘অস্বাভাবিক অবস্থার’ ভেতর দিয়ে যাচ্ছে ঢাকা-দিল্লির সম্পর্ক। বাংলাদেশ সামনে রেখেছে শেখ হাসিনা ইস্যুটি। আর ভারত কথা বলে যাচ্ছে এ দেশে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের অভিযোগ তুলে। উভয় পক্ষের এ টানাটানির মধ্যে মাঠেও ঘটে নানা ঘটনা।
৩০ নভেম্বর ২০২৪
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ‘Postal Vote BD’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধনকারী পোস্টাল ভোটারের সংখ্যা ইতিমধ্যে সাড়ে ৯ লাখ অতিক্রম করেছে।
৩৪ মিনিট আগে
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৬ ঘণ্টা আগে
শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বিজিবিও সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের প্রায় ৩৫ হাজার সদস্য নির্বাচনের সময় নিয়োজিত থাকবে। এর মধ্যেও দুই-চারটা অস্ত্র যে দেশে ঢুকছে না তা না। তবে এগুলো ধরাও হচ্ছে। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হচ্ছে। কোনো রকমের কোথাও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।
আজ সোমবার বিজিবি দিবস-২০২৫ উপলক্ষে পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। এবারই নির্বাচনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
কেরানীগঞ্জ মাদ্রাসায় বিস্ফোরণের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কেরানীগঞ্জে যেই ব্যক্তি অপকর্মটা ঘটিয়েছে সে পলাতক রয়েছে। কিন্তু তার সহযোগীকে ধরা হয়েছে। পলাতক ওই ব্যক্তিকেও ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এসব ঘটনা সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা হয়ে দাঁড়াবে কিনা —এমন এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ফ্যাসিস্ট যারা আছে তারা সব সময়ই এটা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবে। কিন্তু সবার সহযোগিতা যদি থাকে তবে নির্বাচন সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর হবে। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। এ রকম একটা নির্বাচনই এই সরকারের দেওয়ার ইচ্ছা এবং এটা বাস্তবায়ন করবে।

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বিজিবিও সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের প্রায় ৩৫ হাজার সদস্য নির্বাচনের সময় নিয়োজিত থাকবে। এর মধ্যেও দুই-চারটা অস্ত্র যে দেশে ঢুকছে না তা না। তবে এগুলো ধরাও হচ্ছে। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হচ্ছে। কোনো রকমের কোথাও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।
আজ সোমবার বিজিবি দিবস-২০২৫ উপলক্ষে পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। এবারই নির্বাচনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
কেরানীগঞ্জ মাদ্রাসায় বিস্ফোরণের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কেরানীগঞ্জে যেই ব্যক্তি অপকর্মটা ঘটিয়েছে সে পলাতক রয়েছে। কিন্তু তার সহযোগীকে ধরা হয়েছে। পলাতক ওই ব্যক্তিকেও ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এসব ঘটনা সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা হয়ে দাঁড়াবে কিনা —এমন এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ফ্যাসিস্ট যারা আছে তারা সব সময়ই এটা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবে। কিন্তু সবার সহযোগিতা যদি থাকে তবে নির্বাচন সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর হবে। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। এ রকম একটা নির্বাচনই এই সরকারের দেওয়ার ইচ্ছা এবং এটা বাস্তবায়ন করবে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে ‘অস্বাভাবিক অবস্থার’ ভেতর দিয়ে যাচ্ছে ঢাকা-দিল্লির সম্পর্ক। বাংলাদেশ সামনে রেখেছে শেখ হাসিনা ইস্যুটি। আর ভারত কথা বলে যাচ্ছে এ দেশে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের অভিযোগ তুলে। উভয় পক্ষের এ টানাটানির মধ্যে মাঠেও ঘটে নানা ঘটনা।
৩০ নভেম্বর ২০২৪
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ‘Postal Vote BD’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধনকারী পোস্টাল ভোটারের সংখ্যা ইতিমধ্যে সাড়ে ৯ লাখ অতিক্রম করেছে।
৩৪ মিনিট আগে
ময়মনসিংহে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গার্মেন্টস কর্মী দিপু চন্দ্র দাশকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘যত বড় অপরাধীই হোক, আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কাউকে পিটিয়ে হত্যা করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
৩ ঘণ্টা আগে
শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিআরটিএ তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এসব নির্দেশনা প্রকাশ করে।
বিআরটিএ নির্দেশনায় বলা হয়েছে—
১. কুয়াশায় দৃষ্টিসীমার মধ্যে থামানো যায় এমন নিয়ন্ত্রণ উপযোগী ধীর গতিতে সর্বদা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে রাস্তায় গাড়ি চালাতে হবে।
২. সর্বদা ‘লো-বিম বা ডিপার’ জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হবে। ‘হাই-বিম বা আপার’ কুয়াশাকে আরও বেশি ঘন করে বিধায় ‘হাই-বিম বা আপার’ জ্বালিয়ে গাড়ি চালানো যাবে না।
৩. লেন পরিবর্তন/ওভারটেকিং করা যাবে না। যেসব স্থানে দৃষ্টি যায় না বা বাঁক নেওয়ার আগে দেখা যায় না, সেসব স্থানে দরকার হলে বিপদ এড়ানোর জন্য হর্ন বাজাতে হবে।
৪. ঘন কুয়াশার কারণে একেবারেই দেখা না গেলে বা দৃষ্টিসীমা শূন্যের কোঠায় পৌঁছে গেলে নিরাপদ জায়গায় গাড়ি থামিয়ে হেডলাইট বন্ধ করে হ্যাজার্ড লাইট জ্বালাতে হবে।

শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিআরটিএ তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এসব নির্দেশনা প্রকাশ করে।
বিআরটিএ নির্দেশনায় বলা হয়েছে—
১. কুয়াশায় দৃষ্টিসীমার মধ্যে থামানো যায় এমন নিয়ন্ত্রণ উপযোগী ধীর গতিতে সর্বদা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে রাস্তায় গাড়ি চালাতে হবে।
২. সর্বদা ‘লো-বিম বা ডিপার’ জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হবে। ‘হাই-বিম বা আপার’ কুয়াশাকে আরও বেশি ঘন করে বিধায় ‘হাই-বিম বা আপার’ জ্বালিয়ে গাড়ি চালানো যাবে না।
৩. লেন পরিবর্তন/ওভারটেকিং করা যাবে না। যেসব স্থানে দৃষ্টি যায় না বা বাঁক নেওয়ার আগে দেখা যায় না, সেসব স্থানে দরকার হলে বিপদ এড়ানোর জন্য হর্ন বাজাতে হবে।
৪. ঘন কুয়াশার কারণে একেবারেই দেখা না গেলে বা দৃষ্টিসীমা শূন্যের কোঠায় পৌঁছে গেলে নিরাপদ জায়গায় গাড়ি থামিয়ে হেডলাইট বন্ধ করে হ্যাজার্ড লাইট জ্বালাতে হবে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে ‘অস্বাভাবিক অবস্থার’ ভেতর দিয়ে যাচ্ছে ঢাকা-দিল্লির সম্পর্ক। বাংলাদেশ সামনে রেখেছে শেখ হাসিনা ইস্যুটি। আর ভারত কথা বলে যাচ্ছে এ দেশে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের অভিযোগ তুলে। উভয় পক্ষের এ টানাটানির মধ্যে মাঠেও ঘটে নানা ঘটনা।
৩০ নভেম্বর ২০২৪
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ‘Postal Vote BD’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধনকারী পোস্টাল ভোটারের সংখ্যা ইতিমধ্যে সাড়ে ৯ লাখ অতিক্রম করেছে।
৩৪ মিনিট আগে
ময়মনসিংহে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গার্মেন্টস কর্মী দিপু চন্দ্র দাশকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘যত বড় অপরাধীই হোক, আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কাউকে পিটিয়ে হত্যা করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
৩ ঘণ্টা আগে
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৬ ঘণ্টা আগে