সাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে ‘অস্বাভাবিক অবস্থার’ মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ঢাকা-দিল্লির সম্পর্ক। বাংলাদেশ সামনে রেখেছে শেখ হাসিনা ইস্যুটি। আর ভারত কথা বলে যাচ্ছে এ দেশে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের অভিযোগ তুলে। উভয় পক্ষের এই টানাটানির মধ্যে মাঠেও ঘটে নানা ঘটনা। এসব ঘটনায় নানামুখী প্রতিক্রিয়া ও পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে বিভিন্ন মহল।
এসবের মধ্যেই ৫ আগস্টের পর প্রথমবারের মতো দুই সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকটি (ফরেন অফিস কনসালটেশন্স-এফওসি) আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় করার জন্য প্রস্তাব গেছে দিল্লিতে। ভারতীয় একটি সূত্র বলেছে, দিনক্ষণ চূড়ান্ত হলে জানিয়ে দেওয়া হবে।
সরকার ও সরকারের বাইরের কূটনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, সংখ্যালঘু ইস্যুসহ খুব স্পর্শকাতর বিভিন্ন বিষয় চলে আসায় এখন অস্বাভাবিক অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দুই দেশের সম্পর্ক। অন্যদিকে দুই দেশের মানুষের এমন অনেক ইস্যু আছে, যেগুলো ফেলে রাখার সুযোগ নেই। এমন অবস্থায় ভালো প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক এগিয়ে নিতে কাজ করার সুযোগ আছে।
পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন এফওসিতে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবেন। এফওসিতে ভারতের নেতৃত্ব দেবেন দেশটির পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি।
জানতে চাইলে গত বৃহস্পতিবার জসীম উদ্দিন আজকের পত্রিকা’কে বলেন, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের দিকটি ঠিক রেখে আস্থার জায়গা তৈরির চেষ্টা শুরু করলে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার পথ খুলতে পারে।
বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট হুমায়ুন কবির মনে করেন, এফওসি একটি নিয়মিত বিষয় হলেও ভারতের সঙ্গে এবারের এফওসির আলাদা তাৎপর্য আছে। বর্তমান অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে দুই দেশের সম্পর্ক স্থিতিশীল করার জন্য বৈঠকটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমানে দুই দেশের সরকারি পর্যায়ে যোগাযোগ নেই বললেই চলে—এমন মন্তব্য করে হুমায়ুন কবির বলেন, ভারতকে মনে রাখতে হবে, দুই দেশের সম্পর্ক পরস্পর নির্ভরশীল। এই সম্পর্ক স্থিতিশীল করতে হবে।
সম্পর্ক স্থিতিশীল করার উদ্যোগ ভারতের দিক থেকেই আসতে হবে, এমনটা উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক এই রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে ভারতবিরোধী প্রচারণা চালানো হয় না। এখানে সরকার ও সরকারের বাইরের রাজনৈতিক নেতারা সংযত আছেন। অন্যদিকে ভারতে সরকার, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সমন্বিত প্রচারণা চলছে। এমন অবস্থায় ভারত যদি সদিচ্ছা দেখিয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়, তাহলে বাংলাদেশ তাতে অনুকূল সাড়া দিতে পারে।
ভারত কীভাবে সদিচ্ছা দেখাতে পারে—এমন প্রশ্নে হুমায়ুন কবির বলেন, ভারতকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচার বন্ধ করতে হবে। আর তৃতীয় অনেক দেশের ভিসার জন্য বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীকে দিল্লি যেতে হয়। গত ১৫ বছর ভারত সহজে ভিসা দিত। গত আগস্ট থেকে ভিসা খুব সীমিত করা হয়েছে। ভিসা সহজ করা ভারতের সদিচ্ছার প্রথম ধাপ হতে পারে।
কূটনীতিকেরা বলছেন, ভারত থেকে বাংলাদেশে এখন পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি প্রায় বন্ধ হয়ে আছে। এর বাইরে সীমান্তের নানা ইস্যু, গঙ্গা চুক্তি নবায়নসহ অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টনের মতো নিয়মিত অনেক বিষয় ঝুলে আছে। এতে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সম্পর্কের অস্থিরতা কাটিয়ে উভয় সরকারকে বাস্তব বিভিন্ন বিষয়ে আবার আলোচনার ধারায় ফিরতে হবে।
ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনাকে বাংলাদেশ কোনোক্রমেই বাড়তে দিতে চায় না। তাদের সুরক্ষার জন্য সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে, বিষয়টি ভারতের কাছে এবারের বৈঠকে আবার তুলে ধরা হবে।
বাংলাদেশে হিন্দুধর্মের কিছু মানুষের বাড়ি, ব্যবসার স্থান ও উপাসনালয়ে হামলার অভিযোগে ভারত সরকার এরই মধ্যে কয়েক দফা প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। একই ধর্মাবলম্বী একটি গোষ্ঠীর মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তারের পর উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এই উত্তেজনার মধ্যে চট্টগ্রামে মঙ্গলবার খুন হন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ। চিন্ময়ের উগ্রপন্থী সমর্থকদের হাতে খুন হন আলিফ, পুলিশের কাছ থেকে এমন তথ্য পাওয়ার পর সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো পরিস্থিতি শান্ত রাখতে তৎপর হয়।
চিন্ময় ইস্যুটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়, এমনটা উল্লেখ করে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এমন বিষয়ে দিল্লির সরকারি প্রতিক্রিয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছে।
গত বৃহস্পতি ও গতকাল শুক্রবার পরপর দুই দিন ভারতের পার্লামেন্টে প্রশ্নোত্তর পর্বে তোলা হয় বাংলাদেশের হিন্দু প্রসঙ্গটি। বৃহস্পতিবার কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে ভারতের শাসকদল বিজেপি-সমর্থিত স্থানীয় একটি গোষ্ঠী। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে মিশনের সামনে চলে আসে। পোড়ানো হয় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কুশপুত্তলিকা।
ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে উপ-হাইকমিশনের সামনের এ ঘটনাকে ‘সহিংস’ ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে। এতে কলকাতাসহ ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের সব মিশন, কূটনীতিক ও মিশনগুলোর কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দেশটির সরকারকে অনুরোধ করা হয়।
ভারতের মুখপাত্র যা বললেন
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল নয়াদিল্লিতে গতকাল সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বলেন, বাংলাদেশে সহিংসতা ও উসকানির ঘটনা বাড়ছে। এটাকে গণমাধ্যমের বাড়াবাড়ি বলে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
বাংলাদেশে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেপ্তার ইসকনের সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ন্যায়বিচার পাবে, এমন আশা প্রকাশ করেন রণধীর।
ইসকন নিষিদ্ধের দাবি উঠছে বাংলাদেশে, এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে জয়সওয়াল বলেন, সামাজিক সেবামূলক সংগঠন হিসেবে ইসকনের বিশ্বব্যাপী সুনাম আছে। ভারত সরকার সেভাবেই তাদের দেখে।
দুই দেশের মধ্যে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকের সম্ভাবনা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেন, যখন এটা হবে, জানানো হবে।
আরও খবর পড়ুন:

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে ‘অস্বাভাবিক অবস্থার’ মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ঢাকা-দিল্লির সম্পর্ক। বাংলাদেশ সামনে রেখেছে শেখ হাসিনা ইস্যুটি। আর ভারত কথা বলে যাচ্ছে এ দেশে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের অভিযোগ তুলে। উভয় পক্ষের এই টানাটানির মধ্যে মাঠেও ঘটে নানা ঘটনা। এসব ঘটনায় নানামুখী প্রতিক্রিয়া ও পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে বিভিন্ন মহল।
এসবের মধ্যেই ৫ আগস্টের পর প্রথমবারের মতো দুই সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকটি (ফরেন অফিস কনসালটেশন্স-এফওসি) আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় করার জন্য প্রস্তাব গেছে দিল্লিতে। ভারতীয় একটি সূত্র বলেছে, দিনক্ষণ চূড়ান্ত হলে জানিয়ে দেওয়া হবে।
সরকার ও সরকারের বাইরের কূটনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, সংখ্যালঘু ইস্যুসহ খুব স্পর্শকাতর বিভিন্ন বিষয় চলে আসায় এখন অস্বাভাবিক অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দুই দেশের সম্পর্ক। অন্যদিকে দুই দেশের মানুষের এমন অনেক ইস্যু আছে, যেগুলো ফেলে রাখার সুযোগ নেই। এমন অবস্থায় ভালো প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক এগিয়ে নিতে কাজ করার সুযোগ আছে।
পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন এফওসিতে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবেন। এফওসিতে ভারতের নেতৃত্ব দেবেন দেশটির পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি।
জানতে চাইলে গত বৃহস্পতিবার জসীম উদ্দিন আজকের পত্রিকা’কে বলেন, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের দিকটি ঠিক রেখে আস্থার জায়গা তৈরির চেষ্টা শুরু করলে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার পথ খুলতে পারে।
বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট হুমায়ুন কবির মনে করেন, এফওসি একটি নিয়মিত বিষয় হলেও ভারতের সঙ্গে এবারের এফওসির আলাদা তাৎপর্য আছে। বর্তমান অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে দুই দেশের সম্পর্ক স্থিতিশীল করার জন্য বৈঠকটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমানে দুই দেশের সরকারি পর্যায়ে যোগাযোগ নেই বললেই চলে—এমন মন্তব্য করে হুমায়ুন কবির বলেন, ভারতকে মনে রাখতে হবে, দুই দেশের সম্পর্ক পরস্পর নির্ভরশীল। এই সম্পর্ক স্থিতিশীল করতে হবে।
সম্পর্ক স্থিতিশীল করার উদ্যোগ ভারতের দিক থেকেই আসতে হবে, এমনটা উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক এই রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে ভারতবিরোধী প্রচারণা চালানো হয় না। এখানে সরকার ও সরকারের বাইরের রাজনৈতিক নেতারা সংযত আছেন। অন্যদিকে ভারতে সরকার, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সমন্বিত প্রচারণা চলছে। এমন অবস্থায় ভারত যদি সদিচ্ছা দেখিয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়, তাহলে বাংলাদেশ তাতে অনুকূল সাড়া দিতে পারে।
ভারত কীভাবে সদিচ্ছা দেখাতে পারে—এমন প্রশ্নে হুমায়ুন কবির বলেন, ভারতকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচার বন্ধ করতে হবে। আর তৃতীয় অনেক দেশের ভিসার জন্য বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীকে দিল্লি যেতে হয়। গত ১৫ বছর ভারত সহজে ভিসা দিত। গত আগস্ট থেকে ভিসা খুব সীমিত করা হয়েছে। ভিসা সহজ করা ভারতের সদিচ্ছার প্রথম ধাপ হতে পারে।
কূটনীতিকেরা বলছেন, ভারত থেকে বাংলাদেশে এখন পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি প্রায় বন্ধ হয়ে আছে। এর বাইরে সীমান্তের নানা ইস্যু, গঙ্গা চুক্তি নবায়নসহ অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টনের মতো নিয়মিত অনেক বিষয় ঝুলে আছে। এতে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সম্পর্কের অস্থিরতা কাটিয়ে উভয় সরকারকে বাস্তব বিভিন্ন বিষয়ে আবার আলোচনার ধারায় ফিরতে হবে।
ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনাকে বাংলাদেশ কোনোক্রমেই বাড়তে দিতে চায় না। তাদের সুরক্ষার জন্য সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে, বিষয়টি ভারতের কাছে এবারের বৈঠকে আবার তুলে ধরা হবে।
বাংলাদেশে হিন্দুধর্মের কিছু মানুষের বাড়ি, ব্যবসার স্থান ও উপাসনালয়ে হামলার অভিযোগে ভারত সরকার এরই মধ্যে কয়েক দফা প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। একই ধর্মাবলম্বী একটি গোষ্ঠীর মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তারের পর উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এই উত্তেজনার মধ্যে চট্টগ্রামে মঙ্গলবার খুন হন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ। চিন্ময়ের উগ্রপন্থী সমর্থকদের হাতে খুন হন আলিফ, পুলিশের কাছ থেকে এমন তথ্য পাওয়ার পর সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো পরিস্থিতি শান্ত রাখতে তৎপর হয়।
চিন্ময় ইস্যুটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়, এমনটা উল্লেখ করে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এমন বিষয়ে দিল্লির সরকারি প্রতিক্রিয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছে।
গত বৃহস্পতি ও গতকাল শুক্রবার পরপর দুই দিন ভারতের পার্লামেন্টে প্রশ্নোত্তর পর্বে তোলা হয় বাংলাদেশের হিন্দু প্রসঙ্গটি। বৃহস্পতিবার কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে ভারতের শাসকদল বিজেপি-সমর্থিত স্থানীয় একটি গোষ্ঠী। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে মিশনের সামনে চলে আসে। পোড়ানো হয় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কুশপুত্তলিকা।
ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে উপ-হাইকমিশনের সামনের এ ঘটনাকে ‘সহিংস’ ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে। এতে কলকাতাসহ ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের সব মিশন, কূটনীতিক ও মিশনগুলোর কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দেশটির সরকারকে অনুরোধ করা হয়।
ভারতের মুখপাত্র যা বললেন
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল নয়াদিল্লিতে গতকাল সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বলেন, বাংলাদেশে সহিংসতা ও উসকানির ঘটনা বাড়ছে। এটাকে গণমাধ্যমের বাড়াবাড়ি বলে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
বাংলাদেশে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেপ্তার ইসকনের সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ন্যায়বিচার পাবে, এমন আশা প্রকাশ করেন রণধীর।
ইসকন নিষিদ্ধের দাবি উঠছে বাংলাদেশে, এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে জয়সওয়াল বলেন, সামাজিক সেবামূলক সংগঠন হিসেবে ইসকনের বিশ্বব্যাপী সুনাম আছে। ভারত সরকার সেভাবেই তাদের দেখে।
দুই দেশের মধ্যে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকের সম্ভাবনা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেন, যখন এটা হবে, জানানো হবে।
আরও খবর পড়ুন:
সাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে ‘অস্বাভাবিক অবস্থার’ মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ঢাকা-দিল্লির সম্পর্ক। বাংলাদেশ সামনে রেখেছে শেখ হাসিনা ইস্যুটি। আর ভারত কথা বলে যাচ্ছে এ দেশে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের অভিযোগ তুলে। উভয় পক্ষের এই টানাটানির মধ্যে মাঠেও ঘটে নানা ঘটনা। এসব ঘটনায় নানামুখী প্রতিক্রিয়া ও পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে বিভিন্ন মহল।
এসবের মধ্যেই ৫ আগস্টের পর প্রথমবারের মতো দুই সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকটি (ফরেন অফিস কনসালটেশন্স-এফওসি) আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় করার জন্য প্রস্তাব গেছে দিল্লিতে। ভারতীয় একটি সূত্র বলেছে, দিনক্ষণ চূড়ান্ত হলে জানিয়ে দেওয়া হবে।
সরকার ও সরকারের বাইরের কূটনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, সংখ্যালঘু ইস্যুসহ খুব স্পর্শকাতর বিভিন্ন বিষয় চলে আসায় এখন অস্বাভাবিক অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দুই দেশের সম্পর্ক। অন্যদিকে দুই দেশের মানুষের এমন অনেক ইস্যু আছে, যেগুলো ফেলে রাখার সুযোগ নেই। এমন অবস্থায় ভালো প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক এগিয়ে নিতে কাজ করার সুযোগ আছে।
পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন এফওসিতে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবেন। এফওসিতে ভারতের নেতৃত্ব দেবেন দেশটির পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি।
জানতে চাইলে গত বৃহস্পতিবার জসীম উদ্দিন আজকের পত্রিকা’কে বলেন, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের দিকটি ঠিক রেখে আস্থার জায়গা তৈরির চেষ্টা শুরু করলে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার পথ খুলতে পারে।
বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট হুমায়ুন কবির মনে করেন, এফওসি একটি নিয়মিত বিষয় হলেও ভারতের সঙ্গে এবারের এফওসির আলাদা তাৎপর্য আছে। বর্তমান অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে দুই দেশের সম্পর্ক স্থিতিশীল করার জন্য বৈঠকটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমানে দুই দেশের সরকারি পর্যায়ে যোগাযোগ নেই বললেই চলে—এমন মন্তব্য করে হুমায়ুন কবির বলেন, ভারতকে মনে রাখতে হবে, দুই দেশের সম্পর্ক পরস্পর নির্ভরশীল। এই সম্পর্ক স্থিতিশীল করতে হবে।
সম্পর্ক স্থিতিশীল করার উদ্যোগ ভারতের দিক থেকেই আসতে হবে, এমনটা উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক এই রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে ভারতবিরোধী প্রচারণা চালানো হয় না। এখানে সরকার ও সরকারের বাইরের রাজনৈতিক নেতারা সংযত আছেন। অন্যদিকে ভারতে সরকার, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সমন্বিত প্রচারণা চলছে। এমন অবস্থায় ভারত যদি সদিচ্ছা দেখিয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়, তাহলে বাংলাদেশ তাতে অনুকূল সাড়া দিতে পারে।
ভারত কীভাবে সদিচ্ছা দেখাতে পারে—এমন প্রশ্নে হুমায়ুন কবির বলেন, ভারতকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচার বন্ধ করতে হবে। আর তৃতীয় অনেক দেশের ভিসার জন্য বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীকে দিল্লি যেতে হয়। গত ১৫ বছর ভারত সহজে ভিসা দিত। গত আগস্ট থেকে ভিসা খুব সীমিত করা হয়েছে। ভিসা সহজ করা ভারতের সদিচ্ছার প্রথম ধাপ হতে পারে।
কূটনীতিকেরা বলছেন, ভারত থেকে বাংলাদেশে এখন পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি প্রায় বন্ধ হয়ে আছে। এর বাইরে সীমান্তের নানা ইস্যু, গঙ্গা চুক্তি নবায়নসহ অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টনের মতো নিয়মিত অনেক বিষয় ঝুলে আছে। এতে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সম্পর্কের অস্থিরতা কাটিয়ে উভয় সরকারকে বাস্তব বিভিন্ন বিষয়ে আবার আলোচনার ধারায় ফিরতে হবে।
ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনাকে বাংলাদেশ কোনোক্রমেই বাড়তে দিতে চায় না। তাদের সুরক্ষার জন্য সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে, বিষয়টি ভারতের কাছে এবারের বৈঠকে আবার তুলে ধরা হবে।
বাংলাদেশে হিন্দুধর্মের কিছু মানুষের বাড়ি, ব্যবসার স্থান ও উপাসনালয়ে হামলার অভিযোগে ভারত সরকার এরই মধ্যে কয়েক দফা প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। একই ধর্মাবলম্বী একটি গোষ্ঠীর মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তারের পর উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এই উত্তেজনার মধ্যে চট্টগ্রামে মঙ্গলবার খুন হন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ। চিন্ময়ের উগ্রপন্থী সমর্থকদের হাতে খুন হন আলিফ, পুলিশের কাছ থেকে এমন তথ্য পাওয়ার পর সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো পরিস্থিতি শান্ত রাখতে তৎপর হয়।
চিন্ময় ইস্যুটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়, এমনটা উল্লেখ করে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এমন বিষয়ে দিল্লির সরকারি প্রতিক্রিয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছে।
গত বৃহস্পতি ও গতকাল শুক্রবার পরপর দুই দিন ভারতের পার্লামেন্টে প্রশ্নোত্তর পর্বে তোলা হয় বাংলাদেশের হিন্দু প্রসঙ্গটি। বৃহস্পতিবার কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে ভারতের শাসকদল বিজেপি-সমর্থিত স্থানীয় একটি গোষ্ঠী। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে মিশনের সামনে চলে আসে। পোড়ানো হয় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কুশপুত্তলিকা।
ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে উপ-হাইকমিশনের সামনের এ ঘটনাকে ‘সহিংস’ ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে। এতে কলকাতাসহ ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের সব মিশন, কূটনীতিক ও মিশনগুলোর কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দেশটির সরকারকে অনুরোধ করা হয়।
ভারতের মুখপাত্র যা বললেন
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল নয়াদিল্লিতে গতকাল সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বলেন, বাংলাদেশে সহিংসতা ও উসকানির ঘটনা বাড়ছে। এটাকে গণমাধ্যমের বাড়াবাড়ি বলে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
বাংলাদেশে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেপ্তার ইসকনের সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ন্যায়বিচার পাবে, এমন আশা প্রকাশ করেন রণধীর।
ইসকন নিষিদ্ধের দাবি উঠছে বাংলাদেশে, এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে জয়সওয়াল বলেন, সামাজিক সেবামূলক সংগঠন হিসেবে ইসকনের বিশ্বব্যাপী সুনাম আছে। ভারত সরকার সেভাবেই তাদের দেখে।
দুই দেশের মধ্যে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকের সম্ভাবনা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেন, যখন এটা হবে, জানানো হবে।
আরও খবর পড়ুন:

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে ‘অস্বাভাবিক অবস্থার’ মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ঢাকা-দিল্লির সম্পর্ক। বাংলাদেশ সামনে রেখেছে শেখ হাসিনা ইস্যুটি। আর ভারত কথা বলে যাচ্ছে এ দেশে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের অভিযোগ তুলে। উভয় পক্ষের এই টানাটানির মধ্যে মাঠেও ঘটে নানা ঘটনা। এসব ঘটনায় নানামুখী প্রতিক্রিয়া ও পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে বিভিন্ন মহল।
এসবের মধ্যেই ৫ আগস্টের পর প্রথমবারের মতো দুই সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকটি (ফরেন অফিস কনসালটেশন্স-এফওসি) আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় করার জন্য প্রস্তাব গেছে দিল্লিতে। ভারতীয় একটি সূত্র বলেছে, দিনক্ষণ চূড়ান্ত হলে জানিয়ে দেওয়া হবে।
সরকার ও সরকারের বাইরের কূটনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, সংখ্যালঘু ইস্যুসহ খুব স্পর্শকাতর বিভিন্ন বিষয় চলে আসায় এখন অস্বাভাবিক অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দুই দেশের সম্পর্ক। অন্যদিকে দুই দেশের মানুষের এমন অনেক ইস্যু আছে, যেগুলো ফেলে রাখার সুযোগ নেই। এমন অবস্থায় ভালো প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক এগিয়ে নিতে কাজ করার সুযোগ আছে।
পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন এফওসিতে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবেন। এফওসিতে ভারতের নেতৃত্ব দেবেন দেশটির পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি।
জানতে চাইলে গত বৃহস্পতিবার জসীম উদ্দিন আজকের পত্রিকা’কে বলেন, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের দিকটি ঠিক রেখে আস্থার জায়গা তৈরির চেষ্টা শুরু করলে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার পথ খুলতে পারে।
বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট হুমায়ুন কবির মনে করেন, এফওসি একটি নিয়মিত বিষয় হলেও ভারতের সঙ্গে এবারের এফওসির আলাদা তাৎপর্য আছে। বর্তমান অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে দুই দেশের সম্পর্ক স্থিতিশীল করার জন্য বৈঠকটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমানে দুই দেশের সরকারি পর্যায়ে যোগাযোগ নেই বললেই চলে—এমন মন্তব্য করে হুমায়ুন কবির বলেন, ভারতকে মনে রাখতে হবে, দুই দেশের সম্পর্ক পরস্পর নির্ভরশীল। এই সম্পর্ক স্থিতিশীল করতে হবে।
সম্পর্ক স্থিতিশীল করার উদ্যোগ ভারতের দিক থেকেই আসতে হবে, এমনটা উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক এই রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে ভারতবিরোধী প্রচারণা চালানো হয় না। এখানে সরকার ও সরকারের বাইরের রাজনৈতিক নেতারা সংযত আছেন। অন্যদিকে ভারতে সরকার, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সমন্বিত প্রচারণা চলছে। এমন অবস্থায় ভারত যদি সদিচ্ছা দেখিয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়, তাহলে বাংলাদেশ তাতে অনুকূল সাড়া দিতে পারে।
ভারত কীভাবে সদিচ্ছা দেখাতে পারে—এমন প্রশ্নে হুমায়ুন কবির বলেন, ভারতকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচার বন্ধ করতে হবে। আর তৃতীয় অনেক দেশের ভিসার জন্য বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীকে দিল্লি যেতে হয়। গত ১৫ বছর ভারত সহজে ভিসা দিত। গত আগস্ট থেকে ভিসা খুব সীমিত করা হয়েছে। ভিসা সহজ করা ভারতের সদিচ্ছার প্রথম ধাপ হতে পারে।
কূটনীতিকেরা বলছেন, ভারত থেকে বাংলাদেশে এখন পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি প্রায় বন্ধ হয়ে আছে। এর বাইরে সীমান্তের নানা ইস্যু, গঙ্গা চুক্তি নবায়নসহ অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টনের মতো নিয়মিত অনেক বিষয় ঝুলে আছে। এতে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সম্পর্কের অস্থিরতা কাটিয়ে উভয় সরকারকে বাস্তব বিভিন্ন বিষয়ে আবার আলোচনার ধারায় ফিরতে হবে।
ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনাকে বাংলাদেশ কোনোক্রমেই বাড়তে দিতে চায় না। তাদের সুরক্ষার জন্য সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে, বিষয়টি ভারতের কাছে এবারের বৈঠকে আবার তুলে ধরা হবে।
বাংলাদেশে হিন্দুধর্মের কিছু মানুষের বাড়ি, ব্যবসার স্থান ও উপাসনালয়ে হামলার অভিযোগে ভারত সরকার এরই মধ্যে কয়েক দফা প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। একই ধর্মাবলম্বী একটি গোষ্ঠীর মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তারের পর উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এই উত্তেজনার মধ্যে চট্টগ্রামে মঙ্গলবার খুন হন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ। চিন্ময়ের উগ্রপন্থী সমর্থকদের হাতে খুন হন আলিফ, পুলিশের কাছ থেকে এমন তথ্য পাওয়ার পর সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো পরিস্থিতি শান্ত রাখতে তৎপর হয়।
চিন্ময় ইস্যুটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়, এমনটা উল্লেখ করে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এমন বিষয়ে দিল্লির সরকারি প্রতিক্রিয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছে।
গত বৃহস্পতি ও গতকাল শুক্রবার পরপর দুই দিন ভারতের পার্লামেন্টে প্রশ্নোত্তর পর্বে তোলা হয় বাংলাদেশের হিন্দু প্রসঙ্গটি। বৃহস্পতিবার কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে ভারতের শাসকদল বিজেপি-সমর্থিত স্থানীয় একটি গোষ্ঠী। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে মিশনের সামনে চলে আসে। পোড়ানো হয় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কুশপুত্তলিকা।
ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে উপ-হাইকমিশনের সামনের এ ঘটনাকে ‘সহিংস’ ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে। এতে কলকাতাসহ ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের সব মিশন, কূটনীতিক ও মিশনগুলোর কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দেশটির সরকারকে অনুরোধ করা হয়।
ভারতের মুখপাত্র যা বললেন
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল নয়াদিল্লিতে গতকাল সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বলেন, বাংলাদেশে সহিংসতা ও উসকানির ঘটনা বাড়ছে। এটাকে গণমাধ্যমের বাড়াবাড়ি বলে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
বাংলাদেশে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেপ্তার ইসকনের সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ন্যায়বিচার পাবে, এমন আশা প্রকাশ করেন রণধীর।
ইসকন নিষিদ্ধের দাবি উঠছে বাংলাদেশে, এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে জয়সওয়াল বলেন, সামাজিক সেবামূলক সংগঠন হিসেবে ইসকনের বিশ্বব্যাপী সুনাম আছে। ভারত সরকার সেভাবেই তাদের দেখে।
দুই দেশের মধ্যে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকের সম্ভাবনা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেন, যখন এটা হবে, জানানো হবে।
আরও খবর পড়ুন:

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল গভীর ও পূর্ব-পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ (ওরফে রাহুল দাউদ) এবং তাঁর এক সহযোগী ইতিমধ্যেই সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন।
২৭ মিনিট আগে
প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। আজ রোববার বঙ্গভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
১ ঘণ্টা আগে
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
১০ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে...
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল গভীর ও পূর্ব-পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ (ওরফে রাহুল দাউদ) এবং তাঁর এক সহযোগী ইতিমধ্যেই সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন।
আজ রোববার সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার নজরুল ইসলাম জানান, ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর এক সহযোগী ময়মনসিংহের দুর্গম সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছে। পুলিশি নজরদারি এড়াতে তারা স্থানীয় দালাল চক্রের সহায়তা নিয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তদন্তের অগ্রগতি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডটি আকস্মিক কোনো ঘটনা নয়, এটি ছিল সুশৃঙ্খলভাবে সাজানো একটি পরিকল্পনা। ডিএমপি এ পর্যন্ত এই ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৬ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে, যেখানে তারা হত্যাকাণ্ডের মূল মোটিভ এবং পরিকল্পনার খুঁটিনাটি প্রকাশ করেছে।’ ডিএমপি আশা করছে, আগামী ৭ থেকে ৮ দিনের মধ্যে এই মামলার একটি পূর্ণাঙ্গ অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আদালতে দাখিল করা হবে।
তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ১২ ডিসেম্বর হামলার শিকার হন ওসমান হাদি। ওই দিন দুপুর আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটের দিকে মতিঝিল মসজিদ থেকে জুমার নামাজ শেষে অনুসারীদের নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যাচ্ছিলেন শরিফ ওসমান হাদি। পল্টন থানার বক্স কালভার্ট রোডে পৌঁছামাত্র মোটরসাইকেলে আসা প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ও তাঁর এক সহযোগী চলন্ত অবস্থায় হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
গুলিবিদ্ধ হাদিকে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে এবং পরবর্তীতে ১৫ ডিসেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ১৮ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত ১৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের বাদী হয়ে পল্টন থানায় একটি মামলা করেন। প্রাথমিক এজাহারে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হলেও হাদির মৃত্যুর পর গত ২০ ডিসেম্বর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সিদ্দিক আজাদের নির্দেশে মামলায় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা (হত্যা) সংযোজন করা হয়।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল গভীর ও পূর্ব-পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ (ওরফে রাহুল দাউদ) এবং তাঁর এক সহযোগী ইতিমধ্যেই সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন।
আজ রোববার সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার নজরুল ইসলাম জানান, ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর এক সহযোগী ময়মনসিংহের দুর্গম সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছে। পুলিশি নজরদারি এড়াতে তারা স্থানীয় দালাল চক্রের সহায়তা নিয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তদন্তের অগ্রগতি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডটি আকস্মিক কোনো ঘটনা নয়, এটি ছিল সুশৃঙ্খলভাবে সাজানো একটি পরিকল্পনা। ডিএমপি এ পর্যন্ত এই ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৬ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে, যেখানে তারা হত্যাকাণ্ডের মূল মোটিভ এবং পরিকল্পনার খুঁটিনাটি প্রকাশ করেছে।’ ডিএমপি আশা করছে, আগামী ৭ থেকে ৮ দিনের মধ্যে এই মামলার একটি পূর্ণাঙ্গ অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আদালতে দাখিল করা হবে।
তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ১২ ডিসেম্বর হামলার শিকার হন ওসমান হাদি। ওই দিন দুপুর আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটের দিকে মতিঝিল মসজিদ থেকে জুমার নামাজ শেষে অনুসারীদের নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যাচ্ছিলেন শরিফ ওসমান হাদি। পল্টন থানার বক্স কালভার্ট রোডে পৌঁছামাত্র মোটরসাইকেলে আসা প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ও তাঁর এক সহযোগী চলন্ত অবস্থায় হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
গুলিবিদ্ধ হাদিকে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে এবং পরবর্তীতে ১৫ ডিসেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ১৮ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত ১৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের বাদী হয়ে পল্টন থানায় একটি মামলা করেন। প্রাথমিক এজাহারে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হলেও হাদির মৃত্যুর পর গত ২০ ডিসেম্বর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সিদ্দিক আজাদের নির্দেশে মামলায় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা (হত্যা) সংযোজন করা হয়।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে ‘অস্বাভাবিক অবস্থার’ ভেতর দিয়ে যাচ্ছে ঢাকা-দিল্লির সম্পর্ক। বাংলাদেশ সামনে রেখেছে শেখ হাসিনা ইস্যুটি। আর ভারত কথা বলে যাচ্ছে এ দেশে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের অভিযোগ তুলে। উভয় পক্ষের এ টানাটানির মধ্যে মাঠেও ঘটে নানা ঘটনা।
৩০ নভেম্বর ২০২৪
প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। আজ রোববার বঙ্গভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
১ ঘণ্টা আগে
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
১০ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে...
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। আজ রোববার বঙ্গভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
শপথ অনুষ্ঠানে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, বিদায়ী প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ, অন্যান্য উপদেষ্টা, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ২৩ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইনসচিব লিয়াকত আলী মোল্লার সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
১৯৮৫ সালে জুবায়ের রহমান চৌধুরী জজকোর্টে এবং ১৯৮৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান তিনি। এর দুই বছর পর হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হন জুবায়ের রহমান চৌধুরী। ২০২৪ সালের ১২ আগস্ট তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
জুবায়ের রহমান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (সম্মান) ও এলএলএম করেন। পরে যুক্তরাজ্য থেকে আন্তর্জাতিক আইনে এলএলএম করেন।

প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। আজ রোববার বঙ্গভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
শপথ অনুষ্ঠানে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, বিদায়ী প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ, অন্যান্য উপদেষ্টা, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ২৩ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইনসচিব লিয়াকত আলী মোল্লার সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
১৯৮৫ সালে জুবায়ের রহমান চৌধুরী জজকোর্টে এবং ১৯৮৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান তিনি। এর দুই বছর পর হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হন জুবায়ের রহমান চৌধুরী। ২০২৪ সালের ১২ আগস্ট তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
জুবায়ের রহমান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (সম্মান) ও এলএলএম করেন। পরে যুক্তরাজ্য থেকে আন্তর্জাতিক আইনে এলএলএম করেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে ‘অস্বাভাবিক অবস্থার’ ভেতর দিয়ে যাচ্ছে ঢাকা-দিল্লির সম্পর্ক। বাংলাদেশ সামনে রেখেছে শেখ হাসিনা ইস্যুটি। আর ভারত কথা বলে যাচ্ছে এ দেশে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের অভিযোগ তুলে। উভয় পক্ষের এ টানাটানির মধ্যে মাঠেও ঘটে নানা ঘটনা।
৩০ নভেম্বর ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল গভীর ও পূর্ব-পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ (ওরফে রাহুল দাউদ) এবং তাঁর এক সহযোগী ইতিমধ্যেই সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন।
২৭ মিনিট আগে
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
১০ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে...
১৩ ঘণ্টা আগেওমর ফারুক, চট্টগ্রাম

জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। অথচ যে জেনারেটরের অভাবে উৎপাদন চালু করা যাচ্ছে না সেটি প্রতিস্থাপনে ব্যয় হবে ১৩০ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বর্তমান অবস্থায় নতুন জেনারেটর ক্রয়প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পুনরায় উৎপাদনে যেতে অন্তত আরও এক থেকে দেড় বছর লাগবে। এতে কেন্দ্রটির লোকসানের অঙ্ক আরও প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের।
বিপিডিবি সূত্র জানায়, শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্রটির গড় উৎপাদন ক্ষমতা ১৪৫ মেগাওয়াট। সে হিসাবে প্রতিদিন গড়ে উৎপাদন হয় প্রায় ৩৪ লাখ ৮০ হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ, যা মাসে দাঁড়ায় প্রায় ১০ কোটি ৪৪ লাখ ইউনিট। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে গড় ব্যয় ৫ টাকা ৪০ পয়সা। বিপরীতে বিদ্যুতের বর্তমান বিক্রয়মূল্য আবাসিক খাতে ৮ টাকা ৫৬ পয়সা, ক্ষুদ্র শিল্পে ১০ টাকা ৭৬ পয়সা এবং বাণিজ্যিক খাতে ১৩ টাকা ১ পয়সা। সব মিলিয়ে গড় বিক্রয়মূল্য দাঁড়ায় প্রতি ইউনিট ১০ টাকা ৭৭ পয়সা। ফলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিক্রিতে কেন্দ্রটির গড় লাভ হয় ৫ টাকা ৩৩ পয়সা। এই হিসাবে কেন্দ্রটি চালু থাকলে মাসে বিদ্যুৎ বিক্রি থেকে লাভ হতো প্রায় ৫৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, যা বছরে প্রায় ৬৬৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে কেন্দ্রটির উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। ফলে গত সাড়ে চার বছরে বিপুল এই সম্ভাব্য আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। সংশ্লিষ্ট হিসাব অনুযায়ী, এ সময় আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা।
বিপিডিবির তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ সালে শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টটি উৎপাদন শুরু করে। প্রায় ১৩ বছর নিয়মিতভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে জেনারেটর ও অন্যান্য যন্ত্রাংশে গুরুতর ত্রুটি দেখা দেয়। একপর্যায়ে উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, প্রাথমিক মেরামতের পর উৎপাদনে যাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই ২০২৩ সালের আগস্টে কেন্দ্রটির জেনারেটর আগুনে পুড়ে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। পরবর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষায় বিশেষজ্ঞরা মত দেন, জেনারেটর ও গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ আর মেরামতযোগ্য নয়। নতুন যন্ত্রপাতি ছাড়া কেন্দ্রটি চালু করা সম্ভব নয়।
বিদ্যুৎকেন্দ্র সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, গ্যাস টারবাইন ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ২০২৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি প্রায় ৯১ কোটি ৮৫ লাখ টাকার একটি প্রস্তাব সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদিত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে গ্যাস টারবাইন ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ কেনা হলেও জেনারেটর সম্পূর্ণ পুড়ে যাওয়ায় সেগুলো এখনো স্থাপন করা যায়নি।
শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রধান প্রকৌশলী গোলাম হায়দার তালুকদার জানান, বিশেষজ্ঞদের সুপারিশের ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ২১০০তম সভায় নতুন জেনারেটর কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন আরোপিত পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা (পিপিআর), ২০২৫ অনুসরণ করে জেনারেটর ক্রয়ের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
জেনারেটর কেনায় বিলম্ব ও দীর্ঘদিন প্ল্যান্ট বন্ধ থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘২০২৩ সালের আগস্টে আগুনে পুড়ে যাওয়ার পরপরই জেনারেটর মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে জার্মানির সিমেন্সের বিশেষজ্ঞ দল আসতে দেরি হয়। পরবর্তীকালে তারা মত দেয়, জেনারেটরটি আর মেরামতযোগ্য নয়। এরপর বোর্ডের অনুমোদন নিয়ে নতুন জেনারেটর কেনার উদ্যোগ নেওয়া হলেও পিপিআর-২০২৫ কার্যকর হওয়ায় পুরো প্রক্রিয়া নতুন করে সাজাতে হচ্ছে। এতে অন্তত ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগছে।’
কেন্দ্রসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, শিডিউলভিত্তিক রক্ষণাবেক্ষণের অংশ হিসেবে টারবাইন, কম্প্রেসার ও কম্বাশন চেম্বারের মেজর ওভারহোলিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সব যন্ত্রাংশ ইতিমধ্যে কেন্দ্রের ভান্ডারে মজুত রয়েছে। তবে জেনারেটর সমস্যার কারণে টারবাইন অংশের ওভারহোলিং শেষ করা সম্ভব হয়নি।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, নতুন জেনারেটর কিনতে প্রায় ১৩০ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে। তবে জেনারেটর স্থাপন শেষে পুনরায় উৎপাদনে গেলে কেন্দ্রটি থেকে আগের মতোই বছরে প্রায় ৬৬৭ কোটি টাকা আয় করা সম্ভব হবে।
১৫০ মেগাওয়াট কেন্দ্র বন্ধের প্রভাব ২২৫ মেগাওয়াট প্ল্যান্টেও বিপিডিবির অধীনে চট্টগ্রামে মোট সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি কেন্দ্র কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহায় অবস্থিত, যার দুটি ১৫০ ও ৬০ মেগাওয়াটের পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং একটি ২২৫ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড সাইকেল প্ল্যান্ট। এর মধ্যে ৬০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ২০১৭ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে এবং ১৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি বন্ধ আছে গত সাড়ে চার বছর ধরে। বর্তমানে শুধু কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, দীর্ঘদিন ১৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় পার্শ্ববর্তী ২২৫ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপরও চাপ বেড়েছে। নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় পরপর প্রতিটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওভারহোলিং প্রয়োজন হলেও বিদ্যুতের চাহিদার কারণে গত পাঁচ বছর কেন্দ্রটি পূর্ণ ক্ষমতায় নিরবচ্ছিন্নভাবে চালু রাখতে হয়েছে। ফলে ওভারহোলিং করা সম্ভব হয়নি।
বিদ্যুৎ সরবরাহে সংকট এড়াতে ২২৫ মেগাওয়াট কেন্দ্রের ওভারহোলিং নিশ্চিত করতে হলে ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টটি দ্রুত উৎপাদনে আনা জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। অথচ যে জেনারেটরের অভাবে উৎপাদন চালু করা যাচ্ছে না সেটি প্রতিস্থাপনে ব্যয় হবে ১৩০ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বর্তমান অবস্থায় নতুন জেনারেটর ক্রয়প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পুনরায় উৎপাদনে যেতে অন্তত আরও এক থেকে দেড় বছর লাগবে। এতে কেন্দ্রটির লোকসানের অঙ্ক আরও প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের।
বিপিডিবি সূত্র জানায়, শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্রটির গড় উৎপাদন ক্ষমতা ১৪৫ মেগাওয়াট। সে হিসাবে প্রতিদিন গড়ে উৎপাদন হয় প্রায় ৩৪ লাখ ৮০ হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ, যা মাসে দাঁড়ায় প্রায় ১০ কোটি ৪৪ লাখ ইউনিট। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে গড় ব্যয় ৫ টাকা ৪০ পয়সা। বিপরীতে বিদ্যুতের বর্তমান বিক্রয়মূল্য আবাসিক খাতে ৮ টাকা ৫৬ পয়সা, ক্ষুদ্র শিল্পে ১০ টাকা ৭৬ পয়সা এবং বাণিজ্যিক খাতে ১৩ টাকা ১ পয়সা। সব মিলিয়ে গড় বিক্রয়মূল্য দাঁড়ায় প্রতি ইউনিট ১০ টাকা ৭৭ পয়সা। ফলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিক্রিতে কেন্দ্রটির গড় লাভ হয় ৫ টাকা ৩৩ পয়সা। এই হিসাবে কেন্দ্রটি চালু থাকলে মাসে বিদ্যুৎ বিক্রি থেকে লাভ হতো প্রায় ৫৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, যা বছরে প্রায় ৬৬৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে কেন্দ্রটির উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। ফলে গত সাড়ে চার বছরে বিপুল এই সম্ভাব্য আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। সংশ্লিষ্ট হিসাব অনুযায়ী, এ সময় আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা।
বিপিডিবির তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ সালে শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টটি উৎপাদন শুরু করে। প্রায় ১৩ বছর নিয়মিতভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে জেনারেটর ও অন্যান্য যন্ত্রাংশে গুরুতর ত্রুটি দেখা দেয়। একপর্যায়ে উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, প্রাথমিক মেরামতের পর উৎপাদনে যাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই ২০২৩ সালের আগস্টে কেন্দ্রটির জেনারেটর আগুনে পুড়ে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। পরবর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষায় বিশেষজ্ঞরা মত দেন, জেনারেটর ও গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ আর মেরামতযোগ্য নয়। নতুন যন্ত্রপাতি ছাড়া কেন্দ্রটি চালু করা সম্ভব নয়।
বিদ্যুৎকেন্দ্র সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, গ্যাস টারবাইন ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ২০২৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি প্রায় ৯১ কোটি ৮৫ লাখ টাকার একটি প্রস্তাব সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদিত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে গ্যাস টারবাইন ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ কেনা হলেও জেনারেটর সম্পূর্ণ পুড়ে যাওয়ায় সেগুলো এখনো স্থাপন করা যায়নি।
শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রধান প্রকৌশলী গোলাম হায়দার তালুকদার জানান, বিশেষজ্ঞদের সুপারিশের ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ২১০০তম সভায় নতুন জেনারেটর কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন আরোপিত পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা (পিপিআর), ২০২৫ অনুসরণ করে জেনারেটর ক্রয়ের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
জেনারেটর কেনায় বিলম্ব ও দীর্ঘদিন প্ল্যান্ট বন্ধ থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘২০২৩ সালের আগস্টে আগুনে পুড়ে যাওয়ার পরপরই জেনারেটর মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে জার্মানির সিমেন্সের বিশেষজ্ঞ দল আসতে দেরি হয়। পরবর্তীকালে তারা মত দেয়, জেনারেটরটি আর মেরামতযোগ্য নয়। এরপর বোর্ডের অনুমোদন নিয়ে নতুন জেনারেটর কেনার উদ্যোগ নেওয়া হলেও পিপিআর-২০২৫ কার্যকর হওয়ায় পুরো প্রক্রিয়া নতুন করে সাজাতে হচ্ছে। এতে অন্তত ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগছে।’
কেন্দ্রসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, শিডিউলভিত্তিক রক্ষণাবেক্ষণের অংশ হিসেবে টারবাইন, কম্প্রেসার ও কম্বাশন চেম্বারের মেজর ওভারহোলিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সব যন্ত্রাংশ ইতিমধ্যে কেন্দ্রের ভান্ডারে মজুত রয়েছে। তবে জেনারেটর সমস্যার কারণে টারবাইন অংশের ওভারহোলিং শেষ করা সম্ভব হয়নি।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, নতুন জেনারেটর কিনতে প্রায় ১৩০ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে। তবে জেনারেটর স্থাপন শেষে পুনরায় উৎপাদনে গেলে কেন্দ্রটি থেকে আগের মতোই বছরে প্রায় ৬৬৭ কোটি টাকা আয় করা সম্ভব হবে।
১৫০ মেগাওয়াট কেন্দ্র বন্ধের প্রভাব ২২৫ মেগাওয়াট প্ল্যান্টেও বিপিডিবির অধীনে চট্টগ্রামে মোট সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি কেন্দ্র কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহায় অবস্থিত, যার দুটি ১৫০ ও ৬০ মেগাওয়াটের পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং একটি ২২৫ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড সাইকেল প্ল্যান্ট। এর মধ্যে ৬০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ২০১৭ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে এবং ১৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি বন্ধ আছে গত সাড়ে চার বছর ধরে। বর্তমানে শুধু কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, দীর্ঘদিন ১৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় পার্শ্ববর্তী ২২৫ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপরও চাপ বেড়েছে। নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় পরপর প্রতিটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওভারহোলিং প্রয়োজন হলেও বিদ্যুতের চাহিদার কারণে গত পাঁচ বছর কেন্দ্রটি পূর্ণ ক্ষমতায় নিরবচ্ছিন্নভাবে চালু রাখতে হয়েছে। ফলে ওভারহোলিং করা সম্ভব হয়নি।
বিদ্যুৎ সরবরাহে সংকট এড়াতে ২২৫ মেগাওয়াট কেন্দ্রের ওভারহোলিং নিশ্চিত করতে হলে ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টটি দ্রুত উৎপাদনে আনা জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে ‘অস্বাভাবিক অবস্থার’ ভেতর দিয়ে যাচ্ছে ঢাকা-দিল্লির সম্পর্ক। বাংলাদেশ সামনে রেখেছে শেখ হাসিনা ইস্যুটি। আর ভারত কথা বলে যাচ্ছে এ দেশে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের অভিযোগ তুলে। উভয় পক্ষের এ টানাটানির মধ্যে মাঠেও ঘটে নানা ঘটনা।
৩০ নভেম্বর ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল গভীর ও পূর্ব-পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ (ওরফে রাহুল দাউদ) এবং তাঁর এক সহযোগী ইতিমধ্যেই সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন।
২৭ মিনিট আগে
প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। আজ রোববার বঙ্গভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে...
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করে পদ থেকে ইস্তফা চেয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক অব্যাহতিপত্র পাঠিয়েছেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ইস্তফাপত্রটি আগামীকাল রোববার সকালে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমি বিগত ০৮ আগষ্ট ২০২৪ ইং তারিখ থেকে অদ্যাবধি বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদে কর্মরত আছি। বর্তমানে আমি ব্যক্তিগত কারণে উক্ত পদে দায়িত্ব পালনে অপারগ।
বিধায় আমাকে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ হতে অব্যাহতি প্রদানে মহোদয়ের মর্জি হয়।
গত ৫ নভেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে ভোট করবেন। সেদিন নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, ‘আমি ভোট করব। আমি নমিনেশন ওখানে চেয়েছি। আমি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে আছি এখনো। আমার অ্যাটর্নি জেনারেল পদ ছেড়ে গিয়ে আমি ভোট করব। যখন সময় আসবে, তখন করব।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান দেশের ১৭তম অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁকে এ পদে নিয়োগ দেন। তিনি বিএনপির মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করে পদ থেকে ইস্তফা চেয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক অব্যাহতিপত্র পাঠিয়েছেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ইস্তফাপত্রটি আগামীকাল রোববার সকালে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমি বিগত ০৮ আগষ্ট ২০২৪ ইং তারিখ থেকে অদ্যাবধি বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদে কর্মরত আছি। বর্তমানে আমি ব্যক্তিগত কারণে উক্ত পদে দায়িত্ব পালনে অপারগ।
বিধায় আমাকে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ হতে অব্যাহতি প্রদানে মহোদয়ের মর্জি হয়।
গত ৫ নভেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে ভোট করবেন। সেদিন নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, ‘আমি ভোট করব। আমি নমিনেশন ওখানে চেয়েছি। আমি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে আছি এখনো। আমার অ্যাটর্নি জেনারেল পদ ছেড়ে গিয়ে আমি ভোট করব। যখন সময় আসবে, তখন করব।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান দেশের ১৭তম অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁকে এ পদে নিয়োগ দেন। তিনি বিএনপির মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে ‘অস্বাভাবিক অবস্থার’ ভেতর দিয়ে যাচ্ছে ঢাকা-দিল্লির সম্পর্ক। বাংলাদেশ সামনে রেখেছে শেখ হাসিনা ইস্যুটি। আর ভারত কথা বলে যাচ্ছে এ দেশে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের অভিযোগ তুলে। উভয় পক্ষের এ টানাটানির মধ্যে মাঠেও ঘটে নানা ঘটনা।
৩০ নভেম্বর ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল গভীর ও পূর্ব-পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ (ওরফে রাহুল দাউদ) এবং তাঁর এক সহযোগী ইতিমধ্যেই সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন।
২৭ মিনিট আগে
প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। আজ রোববার বঙ্গভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
১ ঘণ্টা আগে
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
১০ ঘণ্টা আগে