নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘শেখ হাসিনা কখনো পালিয়ে যায় না’—১ আগস্ট এক অনুষ্ঠানে দম্ভভরে বলেছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। কিন্তু তার চার দিন পরই গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে নিভৃতে দেশান্তরি হয়েছেন তিনি। তাঁর এই দেশত্যাগের মধ্য দিয়ে সব দম্ভের পতন হয়েছে। বিজয় এসেছে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার।
আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ‘স্বৈরশাসকের’ পতন ঘটিয়ে নতুন ইতিহাস গড়েছে তরুণ প্রজন্ম। রাজনীতি বিশ্লেষকেরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে জনগণের অংশগ্রহণ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। দেশের ইতিহাসে উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের পর এমন তীব্র আন্দোলন আর হয়নি।
জানতে চাইলে ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
আজকের পত্রিকাকে বলেন, দীর্ঘদিন পরে হলেও মানুষ চাপা ক্ষোভ ও বঞ্চনার বহিঃপ্রকাশ করেছে। এই আন্দোলন শুধু কোটা সংস্কারের নয়,
সমাজের নানা স্তরে তৈরি হওয়া বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন। এর মধ্য দিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন এক ইতিহাস।
আন্দোলনের শুরু হয়েছিল গত জুন মাসে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবি নিয়ে। চার দফার এই আন্দোলন ঘটনার পরিক্রমায় নয় দফা এবং সবশেষে সরকার পতনের এক দফায় গড়ায় গত শনিবার। শুরু হয় অসহযোগের ডাক। আসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চূড়ান্ত কর্মসূচি ‘মার্চ টু ঢাকা’। যার শেষ পরিণতিতে গতকাল প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা।
ছাত্র-জনতার ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঠেকাতে গত রোববার সন্ধ্যা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ দেয় সরকার। এতে দমে যায়নি ছাত্রসমাজ। সেদিন রাতেই বিক্ষোভের নগরীতে পরিণত হয় রাজধানী ঢাকা। নতুন ভোর দেখবে বলে রাত জেগে থাকেন রাজধানীবাসী।
গতকাল সকাল থেকেই রাজধানীর প্রবেশমুখে জড়ো হতে থাকেন লাখো মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, গাবতলী-সাভার ও উত্তরায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বড় হতে থাকে রাজধানীমুখী জনতার মিছিল। এদিকে শাহবাগে অবস্থান করে আন্দোলনের মূল নেতৃত্বে থাকা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কেরাসহ হাজারো ছাত্র-জনতা। পাশাপাশি রাজধানীর রামপুরার বনশ্রী, মিরপুরসহ বিভিন্ন স্থানে মানুষের ঢল ছিল চোখে পড়ার মতো। এমন পরিস্থিতিতে বেলা ২টাই খবর আসে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। তখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি, তার আগেই শুরু হয় বিজয় উল্লাস। পুরো ঢাকা পরিণত হয় মিছিলের নগরীতে। অবশেষে বেলা ৩টা ৫০ মিনিটে আসে সেই কাঙ্ক্ষিত ঘোষণা। সেনাসদর দপ্তরে দেওয়া ভাষণে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জানান, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। তাঁর এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে পতন হয় এক দাম্ভিক স্বৈরশাসকের।
শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মানুষ নানা বঞ্চনার শিকার হয়েছেন। অনিয়ম-লুটপাট, দুর্নীতি আর অপশাসনে মানুষের জীবন ছিল অতিষ্ঠ। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে মানুষ সব অন্যায়ের জবাব দিয়েছে। এখন সময় এসেছে নতুন বাংলাদেশ গড়ার।
সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের অবসান
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানেই দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়েই পতন হয়েছে তাঁর সাড়ে ১৫ বছর শাসনামলের। এ সময়কালে দুর্নীতি, অর্থ পাচার, বিরোধী মত দমনে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর অপব্যবহার, ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়ার মতো অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে। বাধাগ্রস্ত হয়েছে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, সংকটে পড়েছে অর্থনীতি।
সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে জয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। এরপর ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচন, ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিতর্কিত ভোটের মধ্য দিয়ে ফের ক্ষমতায় আসেন তিনি। আর চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা আবার প্রধানমন্ত্রী হন। তবে এ নির্বাচনও ছিল বিতর্কিত। এরপর মাত্র প্রায় ৭ মাস দীর্ঘ হয় তাঁর শাসনামল।
পতনের ঘণ্টা বাজায় যারা
শেখ হাসিনার পতন হয়েছে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে। এই আন্দোলনটা শুরু হয়েছিল সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে। একই দাবিতে প্রথম আন্দোলন শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালে। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ওই বছরের ৪ অক্টোবর প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করে সরকার। এরপর চলতি বছরের ৫ জুন হাইকোর্টের এক রায়ে সেই পরিপত্রকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়। এ রায়ের প্রতিবাদে এবং কোটা সংস্কারের দাবিতে গত ৬ জুন ছাত্রসমাবেশ ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরপর ধীরে ধীরে এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে, অংশ নেয় আপামর জনসাধারণ।
গত ১৪ জুলাই চীন সফর শেষে সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধার নাতি-পুতিরা কোটা পাবে না তো কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা পাবে?’ তাঁর এ বক্তব্যের পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন পায় নতুন মাত্রা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিছিল বের হয়, ‘তুমি কে আমি কে রাজাকার, রাজাকার’; ‘কে বলেছে কে বলেছে স্বৈরাচার স্বৈরাচার’। পরদিন সকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক বক্তব্যে বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঔদ্ধত্যের জবাব দেবে ছাত্রলীগ।’
মূলত এরপরই ১৫ জুলাই অহিংস এই আন্দোলন সংঘাতপূর্ণ হয়ে ওঠে। প্রথমে আন্দোলন প্রতিহত করতে নামেন ছাত্রলীগ ও দলীয় সমর্থকেরা। পরে নামানো হয় পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনীকে। এতে গতকাল সোমবার পর্যন্ত সারা দেশে পুলিশসহ নিহত হন প্রায় সাড়ে তিন শ মানুষ।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গত ২০ জুলাই দেশজুড়ে কারফিউ ঘোষণা করা হয়, মোতায়েন করা হয় সেনাসদস্যদের। এর আগের দিন প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগসহ ৯ দফা দাবি জানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বলা হয়, দাবি না মানা পর্যন্ত চলবে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’। এরপর থেকেই এই আন্দোলন ধীরে ধীরে গণ-আন্দোলন রূপ নেয়। এর মধ্যে কয়েক দফা সব ধরনের ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। আবার দেওয়া হয় কারফিউ, ঘোষণা করা হয় সাধারণ ছুটি, নিষিদ্ধ করা হয় জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি। গত ২৩ জুলাই সরকারি চাকরিতে ৭ শতাংশ কোটা রেখে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। এরপর সারা দেশে এলাকা ভাগ করে দেওয়া হয় ‘ব্লক রেইড’, এতে গ্রেপ্তার হন প্রায় ১১ হাজার মানুষ।
এর মধ্যে গত ২৭ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে নিরাপত্তা হেফাজতে নেয় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বলা হয়, আন্দোলন প্রত্যাহার করেছেন তাঁরা। তবে ১ আগস্ট ডিবি হেফাজত থেকে ছাড়া পেয়ে সমন্বয়কেরা জানান, জোর করে তাঁদের কাছ থেকে আন্দোলন প্রত্যাহারের বিবৃতি নেওয়া হয়েছে।
এরপর প্রতিদিনই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ‘মার্চ ফর জাস্টিস’, মুখে লাল কাপড় বেঁধে মিছিল, ‘রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোস’সহ নানা ব্যতিক্রমী কর্মসূচি পালন করে। এসব কর্মসূচিতে সারা দেশের আপামর জনসাধারণ অংশ নেয়। একপর্যায়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্র-জনতার বিশাল সমাবেশ থেকে গত শনিবার সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি জানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এর পরদিন রোববার সারা দেশে সংঘর্ষে নিহত হন পুলিশসহ ৯৯ জন।

‘শেখ হাসিনা কখনো পালিয়ে যায় না’—১ আগস্ট এক অনুষ্ঠানে দম্ভভরে বলেছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। কিন্তু তার চার দিন পরই গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে নিভৃতে দেশান্তরি হয়েছেন তিনি। তাঁর এই দেশত্যাগের মধ্য দিয়ে সব দম্ভের পতন হয়েছে। বিজয় এসেছে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার।
আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ‘স্বৈরশাসকের’ পতন ঘটিয়ে নতুন ইতিহাস গড়েছে তরুণ প্রজন্ম। রাজনীতি বিশ্লেষকেরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে জনগণের অংশগ্রহণ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। দেশের ইতিহাসে উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের পর এমন তীব্র আন্দোলন আর হয়নি।
জানতে চাইলে ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
আজকের পত্রিকাকে বলেন, দীর্ঘদিন পরে হলেও মানুষ চাপা ক্ষোভ ও বঞ্চনার বহিঃপ্রকাশ করেছে। এই আন্দোলন শুধু কোটা সংস্কারের নয়,
সমাজের নানা স্তরে তৈরি হওয়া বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন। এর মধ্য দিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন এক ইতিহাস।
আন্দোলনের শুরু হয়েছিল গত জুন মাসে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবি নিয়ে। চার দফার এই আন্দোলন ঘটনার পরিক্রমায় নয় দফা এবং সবশেষে সরকার পতনের এক দফায় গড়ায় গত শনিবার। শুরু হয় অসহযোগের ডাক। আসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চূড়ান্ত কর্মসূচি ‘মার্চ টু ঢাকা’। যার শেষ পরিণতিতে গতকাল প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা।
ছাত্র-জনতার ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঠেকাতে গত রোববার সন্ধ্যা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ দেয় সরকার। এতে দমে যায়নি ছাত্রসমাজ। সেদিন রাতেই বিক্ষোভের নগরীতে পরিণত হয় রাজধানী ঢাকা। নতুন ভোর দেখবে বলে রাত জেগে থাকেন রাজধানীবাসী।
গতকাল সকাল থেকেই রাজধানীর প্রবেশমুখে জড়ো হতে থাকেন লাখো মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, গাবতলী-সাভার ও উত্তরায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বড় হতে থাকে রাজধানীমুখী জনতার মিছিল। এদিকে শাহবাগে অবস্থান করে আন্দোলনের মূল নেতৃত্বে থাকা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কেরাসহ হাজারো ছাত্র-জনতা। পাশাপাশি রাজধানীর রামপুরার বনশ্রী, মিরপুরসহ বিভিন্ন স্থানে মানুষের ঢল ছিল চোখে পড়ার মতো। এমন পরিস্থিতিতে বেলা ২টাই খবর আসে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। তখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি, তার আগেই শুরু হয় বিজয় উল্লাস। পুরো ঢাকা পরিণত হয় মিছিলের নগরীতে। অবশেষে বেলা ৩টা ৫০ মিনিটে আসে সেই কাঙ্ক্ষিত ঘোষণা। সেনাসদর দপ্তরে দেওয়া ভাষণে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জানান, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। তাঁর এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে পতন হয় এক দাম্ভিক স্বৈরশাসকের।
শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মানুষ নানা বঞ্চনার শিকার হয়েছেন। অনিয়ম-লুটপাট, দুর্নীতি আর অপশাসনে মানুষের জীবন ছিল অতিষ্ঠ। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে মানুষ সব অন্যায়ের জবাব দিয়েছে। এখন সময় এসেছে নতুন বাংলাদেশ গড়ার।
সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের অবসান
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানেই দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়েই পতন হয়েছে তাঁর সাড়ে ১৫ বছর শাসনামলের। এ সময়কালে দুর্নীতি, অর্থ পাচার, বিরোধী মত দমনে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর অপব্যবহার, ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়ার মতো অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে। বাধাগ্রস্ত হয়েছে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, সংকটে পড়েছে অর্থনীতি।
সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে জয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। এরপর ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচন, ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিতর্কিত ভোটের মধ্য দিয়ে ফের ক্ষমতায় আসেন তিনি। আর চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা আবার প্রধানমন্ত্রী হন। তবে এ নির্বাচনও ছিল বিতর্কিত। এরপর মাত্র প্রায় ৭ মাস দীর্ঘ হয় তাঁর শাসনামল।
পতনের ঘণ্টা বাজায় যারা
শেখ হাসিনার পতন হয়েছে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে। এই আন্দোলনটা শুরু হয়েছিল সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে। একই দাবিতে প্রথম আন্দোলন শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালে। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ওই বছরের ৪ অক্টোবর প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করে সরকার। এরপর চলতি বছরের ৫ জুন হাইকোর্টের এক রায়ে সেই পরিপত্রকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়। এ রায়ের প্রতিবাদে এবং কোটা সংস্কারের দাবিতে গত ৬ জুন ছাত্রসমাবেশ ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরপর ধীরে ধীরে এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে, অংশ নেয় আপামর জনসাধারণ।
গত ১৪ জুলাই চীন সফর শেষে সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধার নাতি-পুতিরা কোটা পাবে না তো কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা পাবে?’ তাঁর এ বক্তব্যের পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন পায় নতুন মাত্রা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিছিল বের হয়, ‘তুমি কে আমি কে রাজাকার, রাজাকার’; ‘কে বলেছে কে বলেছে স্বৈরাচার স্বৈরাচার’। পরদিন সকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক বক্তব্যে বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঔদ্ধত্যের জবাব দেবে ছাত্রলীগ।’
মূলত এরপরই ১৫ জুলাই অহিংস এই আন্দোলন সংঘাতপূর্ণ হয়ে ওঠে। প্রথমে আন্দোলন প্রতিহত করতে নামেন ছাত্রলীগ ও দলীয় সমর্থকেরা। পরে নামানো হয় পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনীকে। এতে গতকাল সোমবার পর্যন্ত সারা দেশে পুলিশসহ নিহত হন প্রায় সাড়ে তিন শ মানুষ।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গত ২০ জুলাই দেশজুড়ে কারফিউ ঘোষণা করা হয়, মোতায়েন করা হয় সেনাসদস্যদের। এর আগের দিন প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগসহ ৯ দফা দাবি জানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বলা হয়, দাবি না মানা পর্যন্ত চলবে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’। এরপর থেকেই এই আন্দোলন ধীরে ধীরে গণ-আন্দোলন রূপ নেয়। এর মধ্যে কয়েক দফা সব ধরনের ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। আবার দেওয়া হয় কারফিউ, ঘোষণা করা হয় সাধারণ ছুটি, নিষিদ্ধ করা হয় জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি। গত ২৩ জুলাই সরকারি চাকরিতে ৭ শতাংশ কোটা রেখে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। এরপর সারা দেশে এলাকা ভাগ করে দেওয়া হয় ‘ব্লক রেইড’, এতে গ্রেপ্তার হন প্রায় ১১ হাজার মানুষ।
এর মধ্যে গত ২৭ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে নিরাপত্তা হেফাজতে নেয় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বলা হয়, আন্দোলন প্রত্যাহার করেছেন তাঁরা। তবে ১ আগস্ট ডিবি হেফাজত থেকে ছাড়া পেয়ে সমন্বয়কেরা জানান, জোর করে তাঁদের কাছ থেকে আন্দোলন প্রত্যাহারের বিবৃতি নেওয়া হয়েছে।
এরপর প্রতিদিনই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ‘মার্চ ফর জাস্টিস’, মুখে লাল কাপড় বেঁধে মিছিল, ‘রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোস’সহ নানা ব্যতিক্রমী কর্মসূচি পালন করে। এসব কর্মসূচিতে সারা দেশের আপামর জনসাধারণ অংশ নেয়। একপর্যায়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্র-জনতার বিশাল সমাবেশ থেকে গত শনিবার সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি জানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এর পরদিন রোববার সারা দেশে সংঘর্ষে নিহত হন পুলিশসহ ৯৯ জন।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের বিষয়ে ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ১০টি ভোটের গাড়ি চালু করা হয়েছে। ভোটারদের সচেতন করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে ভোট পর্যন্ত দেশের সব জেলা-উপজেলায় ঘুরবে এসব গাড়ি। এ ছাড়া ভোটের গান প্রচারের পাশাপাশি উঠান বৈঠকও শুরু হয়েছে দেশব্যাপী
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩০০ আসন থেকে ৩ হাজার ১৪৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর জমা দিয়েছেন ১৬৬ জন।
৬ ঘণ্টা আগে
আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে অভিভাষণ দেবেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে
৮ ঘণ্টা আগেতানিম আহমেদ, ঢাকা

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের বিষয়ে ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ১০টি ভোটের গাড়ি চালু করা হয়েছে। ভোটারদের সচেতন করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে ভোট পর্যন্ত দেশের সব জেলা-উপজেলায় ঘুরবে এসব গাড়ি। এ ছাড়া ভোটের গান প্রচারের পাশাপাশি উঠান বৈঠকও শুরু হয়েছে দেশব্যাপী। এর ধারাবাহিকতায় ‘দেশের চাবি আপনার হাতে’ স্লোগান নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে লিফলেট বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
লিফলেটে ‘আপনি কি এমন বাংলাদেশ চান, যেখানে...’—এই জিজ্ঞাসার বিপরীতে ১১টি সংস্কারের কথা বলা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে, সরকারি দল ইচ্ছেমতো সংবিধান সংশোধন করতে পারবে না; সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে গণভোটের বিধান চালু হবে; বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার এবং গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় কমিটিসমূহের সভাপতি নির্বাচিত হবে; কেউ ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না; সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব বাড়বে; ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার জন্য পার্লামেন্টে একটি উচ্চকক্ষ গঠিত হবে; দেশের বিচারব্যবস্থা স্বাধীনভাবে কাজ করবে; আপনার মৌলিক অধিকারের সংখ্যা (যেমন অবাধে ইন্টারনেট সেবাপ্রাপ্তির অধিকার) বাড়বে; দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধীকে রাষ্ট্রপতি ইচ্ছেমতো ক্ষমা করতে পারবেন না; রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য থাকবে।
লিফলেটে বলা হয়েছে, ‘হ্যাঁ’ ভোট দিলে ওপরের সবকিছু পাবেন। ‘না’ ভোট দিলে কিছুই পাবেন না। মনে রাখবেন, পরিবর্তনের চাবি এবার আপনারই হাতে।
এ ছাড়া গণভোটের বিষয়ে প্রচারের জন্য প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের উদ্যোগে ‘গণভোট বিষয়ে জনসচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম’ সেল খোলা হয়েছে। প্রচার কার্যক্রমের মুখ্য সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (উপদেষ্টা পদমর্যাদা) অধ্যাপক আলী রীয়াজকে। সেলের উদ্যোগে লোগো ও লিফলেট তৈরি করা হয়েছে, যা এরই মধ্যে চূড়ান্ত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
জানা গেছে, লিফলেট দু-এক দিনের মধ্যে বিলি শুরু করবে সরকার। তারা পর্যায়ক্রমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার শুরু করবে। গণভোট নিয়ে দুটি ওয়েবসাইট খোলা হয়েছে। যেখানে গণভোটের বিষয়ে সব ধরনের তথ্য দেওয়া থাকবে।
প্রচারের মাধ্যমে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের কাছে পৌঁছানো সরকারের লক্ষ্য বলে জানান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গণভোট একটি ঐতিহাসিক সুযোগ দেশের মানুষের জন্য। অতীতে যেভাবে গণভোট হয়েছে, তা থেকে এবার সম্পূর্ণ ভিন্ন। কারণ অতীতের গণভোটের ক্ষেত্রে দেখা গেছে গৃহীত সিদ্ধান্ত। যেমন দ্বাদশ সংশোধনীর ক্ষেত্রে। কিংবা এমন পরিস্থিতিতে হয়েছে, মানুষের পছন্দের জায়গা ছিল না। এই গণভোট হচ্ছে মানুষের পছন্দের সুযোগ। আশা করি, মানুষ সে সুযোগ ব্যবহার করবে।’
সংসদ নির্বাচন ও জুলাই জাতীয় সনদের বিষয়ে গণভোটের বিষয়ে সারা দেশে প্রচারের লক্ষ্যে ২২ ডিসেম্বর থেকে যাত্রা শুরু করেছে ১০টি ভোটের গাড়ি—সুপার ক্যারাভান। এসব গাড়ি দেশের ৬৪ জেলা ও ৩০০টি উপজেলায় ঘুরে বেড়াবে। তারা মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে নির্বাচন ও গণভোট সম্পর্কে তথ্য পৌঁছে দেবে, ভোটাধিকার সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করবে এবং গণতন্ত্রের বার্তা ছড়িয়ে দেবে। সেখানে বিভিন্ন ভিডিও চিত্র দেখানো হবে।
নির্বাচন এবং গণভোট উপলক্ষে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ৩০টি ভিডিও তৈরি করা হবে। যেখানে আটটি বিভাগের জন্য আটটি গান তৈরি করা হয়েছে। গত বুধবার ঢাকা বিভাগের জন্য নির্মিত গান রিলিজ করা হয়। গেয়েছেন স্টোইক ব্লিসখ্যাত কাজী। পর্যায়ক্রমে বাকি সাতটি বিভাগের জন্য নির্মিত গানও রিলিজ করা হবে। গানের কথায় এক দিন দুই ভোট, সংসদ-গণভোট আওয়াজ ওঠায়, জবাবদিহি, সংস্কার, পরিবর্তন চাইলে গণভোট দেওয়ার কথা বলা আছে। গত সরকারের আমলের বিভিন্ন নেতিবাচক কর্মকাণ্ড গানে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। গানের কথায় সব জেলার নাম বলা হয়েছে। যেখানে দেশের মালিক জনগণকে ভোট দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। সর্বশেষ মানুষের উদ্দেশে বলা হয়, ‘আসুন দেশের মালিকানা বুঝে নিন।’
গণভোট নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি, ধর্ম মন্ত্রণালয়সহ ১৯ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে প্রচার কার্যক্রম করবে সরকার। এরই মধ্যে জেলা প্রশাসকদের নিয়ে সরকার বৈঠক করেছে। এ ছাড়া সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে তথ্যচিত্র, শর্ট ভিডিও। তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে জারি-সারি গান, অঞ্চলভিত্তিক গান তৈরি করা হয়েছে—যা হাট-বাজারে প্রচার করা হবে। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে উপজেলা পর্যায়ে ফোকাল ব্যক্তি নির্ধারণের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারের জন্য একটি টিম তৈরি করা হচ্ছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে প্রচার হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, এনজিও ব্যুরোর উদ্যোগেও প্রচার করা হবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিতসহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের ধর্মগুরুদের নিয়ে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যেখানে ধর্মগুরুদের নিজ নিজ ধর্মীয় স্থানের গণভোটের বিষয়ে মানুষকে বার্তা দিতে বলা হবে। সেখানে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিলে কী সংস্কার হবে, ‘না’ ভোট দিলে কী হবে—তা বলতে বলা হবে।
এদিকে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগেও গণভোটে নিয়ে প্রচার করা হবে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘গণভোটের প্রচার করার জন্য আমাদের অফিসগুলোকে ফেস্টুন দেব। এ ছাড়া লিফলেট বিলি করব। তবে মূল কাজ করছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। আমরা আমাদের ভোট ব্যবস্থাপনায় যেটুকু দরকার, সেটুকু করব।’
গণভোট ও জুলাই সনদের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোও প্রচার করবে বলে আশা সরকারের।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের বিষয়ে ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ১০টি ভোটের গাড়ি চালু করা হয়েছে। ভোটারদের সচেতন করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে ভোট পর্যন্ত দেশের সব জেলা-উপজেলায় ঘুরবে এসব গাড়ি। এ ছাড়া ভোটের গান প্রচারের পাশাপাশি উঠান বৈঠকও শুরু হয়েছে দেশব্যাপী। এর ধারাবাহিকতায় ‘দেশের চাবি আপনার হাতে’ স্লোগান নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে লিফলেট বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
লিফলেটে ‘আপনি কি এমন বাংলাদেশ চান, যেখানে...’—এই জিজ্ঞাসার বিপরীতে ১১টি সংস্কারের কথা বলা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে, সরকারি দল ইচ্ছেমতো সংবিধান সংশোধন করতে পারবে না; সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে গণভোটের বিধান চালু হবে; বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার এবং গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় কমিটিসমূহের সভাপতি নির্বাচিত হবে; কেউ ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না; সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব বাড়বে; ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার জন্য পার্লামেন্টে একটি উচ্চকক্ষ গঠিত হবে; দেশের বিচারব্যবস্থা স্বাধীনভাবে কাজ করবে; আপনার মৌলিক অধিকারের সংখ্যা (যেমন অবাধে ইন্টারনেট সেবাপ্রাপ্তির অধিকার) বাড়বে; দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধীকে রাষ্ট্রপতি ইচ্ছেমতো ক্ষমা করতে পারবেন না; রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য থাকবে।
লিফলেটে বলা হয়েছে, ‘হ্যাঁ’ ভোট দিলে ওপরের সবকিছু পাবেন। ‘না’ ভোট দিলে কিছুই পাবেন না। মনে রাখবেন, পরিবর্তনের চাবি এবার আপনারই হাতে।
এ ছাড়া গণভোটের বিষয়ে প্রচারের জন্য প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের উদ্যোগে ‘গণভোট বিষয়ে জনসচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম’ সেল খোলা হয়েছে। প্রচার কার্যক্রমের মুখ্য সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (উপদেষ্টা পদমর্যাদা) অধ্যাপক আলী রীয়াজকে। সেলের উদ্যোগে লোগো ও লিফলেট তৈরি করা হয়েছে, যা এরই মধ্যে চূড়ান্ত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
জানা গেছে, লিফলেট দু-এক দিনের মধ্যে বিলি শুরু করবে সরকার। তারা পর্যায়ক্রমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার শুরু করবে। গণভোট নিয়ে দুটি ওয়েবসাইট খোলা হয়েছে। যেখানে গণভোটের বিষয়ে সব ধরনের তথ্য দেওয়া থাকবে।
প্রচারের মাধ্যমে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের কাছে পৌঁছানো সরকারের লক্ষ্য বলে জানান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গণভোট একটি ঐতিহাসিক সুযোগ দেশের মানুষের জন্য। অতীতে যেভাবে গণভোট হয়েছে, তা থেকে এবার সম্পূর্ণ ভিন্ন। কারণ অতীতের গণভোটের ক্ষেত্রে দেখা গেছে গৃহীত সিদ্ধান্ত। যেমন দ্বাদশ সংশোধনীর ক্ষেত্রে। কিংবা এমন পরিস্থিতিতে হয়েছে, মানুষের পছন্দের জায়গা ছিল না। এই গণভোট হচ্ছে মানুষের পছন্দের সুযোগ। আশা করি, মানুষ সে সুযোগ ব্যবহার করবে।’
সংসদ নির্বাচন ও জুলাই জাতীয় সনদের বিষয়ে গণভোটের বিষয়ে সারা দেশে প্রচারের লক্ষ্যে ২২ ডিসেম্বর থেকে যাত্রা শুরু করেছে ১০টি ভোটের গাড়ি—সুপার ক্যারাভান। এসব গাড়ি দেশের ৬৪ জেলা ও ৩০০টি উপজেলায় ঘুরে বেড়াবে। তারা মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে নির্বাচন ও গণভোট সম্পর্কে তথ্য পৌঁছে দেবে, ভোটাধিকার সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করবে এবং গণতন্ত্রের বার্তা ছড়িয়ে দেবে। সেখানে বিভিন্ন ভিডিও চিত্র দেখানো হবে।
নির্বাচন এবং গণভোট উপলক্ষে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ৩০টি ভিডিও তৈরি করা হবে। যেখানে আটটি বিভাগের জন্য আটটি গান তৈরি করা হয়েছে। গত বুধবার ঢাকা বিভাগের জন্য নির্মিত গান রিলিজ করা হয়। গেয়েছেন স্টোইক ব্লিসখ্যাত কাজী। পর্যায়ক্রমে বাকি সাতটি বিভাগের জন্য নির্মিত গানও রিলিজ করা হবে। গানের কথায় এক দিন দুই ভোট, সংসদ-গণভোট আওয়াজ ওঠায়, জবাবদিহি, সংস্কার, পরিবর্তন চাইলে গণভোট দেওয়ার কথা বলা আছে। গত সরকারের আমলের বিভিন্ন নেতিবাচক কর্মকাণ্ড গানে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। গানের কথায় সব জেলার নাম বলা হয়েছে। যেখানে দেশের মালিক জনগণকে ভোট দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। সর্বশেষ মানুষের উদ্দেশে বলা হয়, ‘আসুন দেশের মালিকানা বুঝে নিন।’
গণভোট নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি, ধর্ম মন্ত্রণালয়সহ ১৯ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে প্রচার কার্যক্রম করবে সরকার। এরই মধ্যে জেলা প্রশাসকদের নিয়ে সরকার বৈঠক করেছে। এ ছাড়া সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে তথ্যচিত্র, শর্ট ভিডিও। তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে জারি-সারি গান, অঞ্চলভিত্তিক গান তৈরি করা হয়েছে—যা হাট-বাজারে প্রচার করা হবে। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে উপজেলা পর্যায়ে ফোকাল ব্যক্তি নির্ধারণের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারের জন্য একটি টিম তৈরি করা হচ্ছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে প্রচার হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, এনজিও ব্যুরোর উদ্যোগেও প্রচার করা হবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিতসহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের ধর্মগুরুদের নিয়ে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যেখানে ধর্মগুরুদের নিজ নিজ ধর্মীয় স্থানের গণভোটের বিষয়ে মানুষকে বার্তা দিতে বলা হবে। সেখানে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিলে কী সংস্কার হবে, ‘না’ ভোট দিলে কী হবে—তা বলতে বলা হবে।
এদিকে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগেও গণভোটে নিয়ে প্রচার করা হবে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘গণভোটের প্রচার করার জন্য আমাদের অফিসগুলোকে ফেস্টুন দেব। এ ছাড়া লিফলেট বিলি করব। তবে মূল কাজ করছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। আমরা আমাদের ভোট ব্যবস্থাপনায় যেটুকু দরকার, সেটুকু করব।’
গণভোট ও জুলাই সনদের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোও প্রচার করবে বলে আশা সরকারের।

‘শেখ হাসিনা কখনো পালিয়ে যায় না’—১ আগস্ট এক অনুষ্ঠানে দম্ভভরে বলেছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। কিন্তু তার চার দিন পরই গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে নিভৃতে দেশান্তরি হয়েছেন তিনি। তাঁর এই দেশত্যাগের মধ্য দিয়ে সব দম্ভের পতন হয়েছে। বিজয় এসেছে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার।
০৬ আগস্ট ২০২৪
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩০০ আসন থেকে ৩ হাজার ১৪৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর জমা দিয়েছেন ১৬৬ জন।
৬ ঘণ্টা আগে
আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে অভিভাষণ দেবেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩০০ আসন থেকে ৩ হাজার ১৪৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর জমা দিয়েছেন ১৬৬ জন।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে নির্বাচনী কার্যক্রমের এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, ভোটের কাজে কর্মকর্তা নিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে ইসি।
এর আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের তাগিদ দিয়ে গতকাল শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠি দেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবকে পাঠানো চিঠিতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটের লক্ষ্যে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিধান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা ও এ জন্য বাজেট প্রণয়ন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রস্তুত করা, ভুল তথ্য ও অপতথ্যের বিস্তার রোধ এবং বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের অনুমোদন ও নিরাপত্তা দেওয়াসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়নের তাগিদ দেওয়া হয়।
এদিকে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন-সংক্রান্ত কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত অফিস, প্রতিষ্ঠান এবং প্রয়োজনে বেসরকারি অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন উপলক্ষে আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং গণমাধ্যমের বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিক আসবেন। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকের বাংলাদেশে আগমন উপলক্ষে ভিসা প্রসেসিংসহ সব বিষয়ে সচিবের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করা হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগকে দেওয়া চিঠিতে বিগত সংসদ নির্বাচনে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দিষ্ট নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য যেভাবে নির্বাহী আদেশ জারি করা হয়েছিল, এবারও তা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবদের কাছে সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের জন্য ব্যাপকভাবে প্রচার ও প্রচারণা চালানো ও জনসচেতনতা সৃষ্টি করার জন্য সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিবকে পাঠানো চিঠিতে পোস্টাল ভোটের বিষয়ে সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, ডাক বিভাগকে সমন্বয় ও গোপনীয়তা বজায় রেখে পোস্টাল ব্যালট দ্রুত ও নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া এবং ফেরত আনার কাজ সুষ্ঠুভাবে করতে হবে।
এ ছাড়া আজ স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীকে দেওয়া চিঠিতে ইসি জানায়, ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে এমন প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কার, কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, সংস্কার এবং কেন্দ্রে যাতায়াতের ভাঙা ও সংকীর্ণ রাস্তা মেরামতের প্রয়োজন হলে এ বিষয়ে ইসির সম্মতির প্রয়োজন হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩০০ আসন থেকে ৩ হাজার ১৪৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর জমা দিয়েছেন ১৬৬ জন।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে নির্বাচনী কার্যক্রমের এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, ভোটের কাজে কর্মকর্তা নিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে ইসি।
এর আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের তাগিদ দিয়ে গতকাল শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠি দেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবকে পাঠানো চিঠিতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটের লক্ষ্যে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিধান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা ও এ জন্য বাজেট প্রণয়ন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রস্তুত করা, ভুল তথ্য ও অপতথ্যের বিস্তার রোধ এবং বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের অনুমোদন ও নিরাপত্তা দেওয়াসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়নের তাগিদ দেওয়া হয়।
এদিকে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন-সংক্রান্ত কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত অফিস, প্রতিষ্ঠান এবং প্রয়োজনে বেসরকারি অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন উপলক্ষে আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং গণমাধ্যমের বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিক আসবেন। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকের বাংলাদেশে আগমন উপলক্ষে ভিসা প্রসেসিংসহ সব বিষয়ে সচিবের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করা হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগকে দেওয়া চিঠিতে বিগত সংসদ নির্বাচনে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দিষ্ট নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য যেভাবে নির্বাহী আদেশ জারি করা হয়েছিল, এবারও তা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবদের কাছে সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের জন্য ব্যাপকভাবে প্রচার ও প্রচারণা চালানো ও জনসচেতনতা সৃষ্টি করার জন্য সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিবকে পাঠানো চিঠিতে পোস্টাল ভোটের বিষয়ে সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, ডাক বিভাগকে সমন্বয় ও গোপনীয়তা বজায় রেখে পোস্টাল ব্যালট দ্রুত ও নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া এবং ফেরত আনার কাজ সুষ্ঠুভাবে করতে হবে।
এ ছাড়া আজ স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীকে দেওয়া চিঠিতে ইসি জানায়, ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে এমন প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কার, কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, সংস্কার এবং কেন্দ্রে যাতায়াতের ভাঙা ও সংকীর্ণ রাস্তা মেরামতের প্রয়োজন হলে এ বিষয়ে ইসির সম্মতির প্রয়োজন হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

‘শেখ হাসিনা কখনো পালিয়ে যায় না’—১ আগস্ট এক অনুষ্ঠানে দম্ভভরে বলেছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। কিন্তু তার চার দিন পরই গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে নিভৃতে দেশান্তরি হয়েছেন তিনি। তাঁর এই দেশত্যাগের মধ্য দিয়ে সব দম্ভের পতন হয়েছে। বিজয় এসেছে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার।
০৬ আগস্ট ২০২৪
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের বিষয়ে ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ১০টি ভোটের গাড়ি চালু করা হয়েছে। ভোটারদের সচেতন করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে ভোট পর্যন্ত দেশের সব জেলা-উপজেলায় ঘুরবে এসব গাড়ি। এ ছাড়া ভোটের গান প্রচারের পাশাপাশি উঠান বৈঠকও শুরু হয়েছে দেশব্যাপী
২ ঘণ্টা আগে
আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে অভিভাষণ দেবেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সারা দেশে কর্মরত জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে অভিভাষণ দেবেন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী।
আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে এই অভিভাষণ দেবেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে আজ রোববার আইন মন্ত্রণালয়ের এক স্মারকে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শে ৩০ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে আয়োজিত প্রধান বিচারপতির অভিভাষণ দেওয়া অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য দেশের সব জেলার জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
এর আগে আজ সকালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। বঙ্গভবনের দরবার হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁকে শপথবাক্য পড়ান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সারা দেশে কর্মরত জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে অভিভাষণ দেবেন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী।
আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে এই অভিভাষণ দেবেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে আজ রোববার আইন মন্ত্রণালয়ের এক স্মারকে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শে ৩০ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে আয়োজিত প্রধান বিচারপতির অভিভাষণ দেওয়া অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য দেশের সব জেলার জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
এর আগে আজ সকালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। বঙ্গভবনের দরবার হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁকে শপথবাক্য পড়ান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

‘শেখ হাসিনা কখনো পালিয়ে যায় না’—১ আগস্ট এক অনুষ্ঠানে দম্ভভরে বলেছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। কিন্তু তার চার দিন পরই গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে নিভৃতে দেশান্তরি হয়েছেন তিনি। তাঁর এই দেশত্যাগের মধ্য দিয়ে সব দম্ভের পতন হয়েছে। বিজয় এসেছে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার।
০৬ আগস্ট ২০২৪
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের বিষয়ে ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ১০টি ভোটের গাড়ি চালু করা হয়েছে। ভোটারদের সচেতন করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে ভোট পর্যন্ত দেশের সব জেলা-উপজেলায় ঘুরবে এসব গাড়ি। এ ছাড়া ভোটের গান প্রচারের পাশাপাশি উঠান বৈঠকও শুরু হয়েছে দেশব্যাপী
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩০০ আসন থেকে ৩ হাজার ১৪৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর জমা দিয়েছেন ১৬৬ জন।
৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার জানান, গত বছরের তুলনায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই দেশের ব্যবসায়ী সমাজ নতুন নতুন খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই ঢাকা-করাচি সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হতে পারে।
পাকিস্তানি হাইকমিশনার জানান, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। বিশেষ করে চিকিৎসাবিজ্ঞান, ন্যানো টেকনোলজি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে পড়ার বিষয়ে অনেক শিক্ষার্থী আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
লিভার ও কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য বাংলাদেশি রোগীদের পাকিস্তানে যাওয়ার হার বাড়ছে উল্লেখ করে ইমরান হায়দার বলেন, পাকিস্তান এ-সংক্রান্ত বিশেষায়িত চিকিৎসাক্ষেত্রে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা প্রদানের সুযোগ দিতে প্রস্তুত।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান যোগাযোগকে স্বাগত জানান। তিনি সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক এবং সরাসরি জনযোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণের জন্য নতুন নতুন ক্ষেত্র খুঁজে বের করার পরামর্শ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
হাইকমিশনার ইমরান হায়দারের দায়িত্ব পালনকালে দুই দেশের মধ্যে যৌথ বিনিয়োগের নতুন দুয়ার উন্মোচিত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-বিষয়ক (এসডিজি) সমন্বয়কারী ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার জানান, গত বছরের তুলনায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই দেশের ব্যবসায়ী সমাজ নতুন নতুন খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই ঢাকা-করাচি সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হতে পারে।
পাকিস্তানি হাইকমিশনার জানান, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। বিশেষ করে চিকিৎসাবিজ্ঞান, ন্যানো টেকনোলজি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে পড়ার বিষয়ে অনেক শিক্ষার্থী আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
লিভার ও কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য বাংলাদেশি রোগীদের পাকিস্তানে যাওয়ার হার বাড়ছে উল্লেখ করে ইমরান হায়দার বলেন, পাকিস্তান এ-সংক্রান্ত বিশেষায়িত চিকিৎসাক্ষেত্রে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা প্রদানের সুযোগ দিতে প্রস্তুত।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান যোগাযোগকে স্বাগত জানান। তিনি সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক এবং সরাসরি জনযোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণের জন্য নতুন নতুন ক্ষেত্র খুঁজে বের করার পরামর্শ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
হাইকমিশনার ইমরান হায়দারের দায়িত্ব পালনকালে দুই দেশের মধ্যে যৌথ বিনিয়োগের নতুন দুয়ার উন্মোচিত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-বিষয়ক (এসডিজি) সমন্বয়কারী ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

‘শেখ হাসিনা কখনো পালিয়ে যায় না’—১ আগস্ট এক অনুষ্ঠানে দম্ভভরে বলেছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। কিন্তু তার চার দিন পরই গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে নিভৃতে দেশান্তরি হয়েছেন তিনি। তাঁর এই দেশত্যাগের মধ্য দিয়ে সব দম্ভের পতন হয়েছে। বিজয় এসেছে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার।
০৬ আগস্ট ২০২৪
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের বিষয়ে ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ১০টি ভোটের গাড়ি চালু করা হয়েছে। ভোটারদের সচেতন করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে ভোট পর্যন্ত দেশের সব জেলা-উপজেলায় ঘুরবে এসব গাড়ি। এ ছাড়া ভোটের গান প্রচারের পাশাপাশি উঠান বৈঠকও শুরু হয়েছে দেশব্যাপী
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩০০ আসন থেকে ৩ হাজার ১৪৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর জমা দিয়েছেন ১৬৬ জন।
৬ ঘণ্টা আগে
আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে অভিভাষণ দেবেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৬ ঘণ্টা আগে