নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘শেখ হাসিনা কখনো পালিয়ে যায় না’—১ আগস্ট এক অনুষ্ঠানে দম্ভভরে বলেছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। কিন্তু তার চার দিন পরই গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে নিভৃতে দেশান্তরি হয়েছেন তিনি। তাঁর এই দেশত্যাগের মধ্য দিয়ে সব দম্ভের পতন হয়েছে। বিজয় এসেছে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার।
আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ‘স্বৈরশাসকের’ পতন ঘটিয়ে নতুন ইতিহাস গড়েছে তরুণ প্রজন্ম। রাজনীতি বিশ্লেষকেরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে জনগণের অংশগ্রহণ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। দেশের ইতিহাসে উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের পর এমন তীব্র আন্দোলন আর হয়নি।
জানতে চাইলে ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
আজকের পত্রিকাকে বলেন, দীর্ঘদিন পরে হলেও মানুষ চাপা ক্ষোভ ও বঞ্চনার বহিঃপ্রকাশ করেছে। এই আন্দোলন শুধু কোটা সংস্কারের নয়,
সমাজের নানা স্তরে তৈরি হওয়া বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন। এর মধ্য দিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন এক ইতিহাস।
আন্দোলনের শুরু হয়েছিল গত জুন মাসে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবি নিয়ে। চার দফার এই আন্দোলন ঘটনার পরিক্রমায় নয় দফা এবং সবশেষে সরকার পতনের এক দফায় গড়ায় গত শনিবার। শুরু হয় অসহযোগের ডাক। আসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চূড়ান্ত কর্মসূচি ‘মার্চ টু ঢাকা’। যার শেষ পরিণতিতে গতকাল প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা।
ছাত্র-জনতার ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঠেকাতে গত রোববার সন্ধ্যা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ দেয় সরকার। এতে দমে যায়নি ছাত্রসমাজ। সেদিন রাতেই বিক্ষোভের নগরীতে পরিণত হয় রাজধানী ঢাকা। নতুন ভোর দেখবে বলে রাত জেগে থাকেন রাজধানীবাসী।
গতকাল সকাল থেকেই রাজধানীর প্রবেশমুখে জড়ো হতে থাকেন লাখো মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, গাবতলী-সাভার ও উত্তরায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বড় হতে থাকে রাজধানীমুখী জনতার মিছিল। এদিকে শাহবাগে অবস্থান করে আন্দোলনের মূল নেতৃত্বে থাকা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কেরাসহ হাজারো ছাত্র-জনতা। পাশাপাশি রাজধানীর রামপুরার বনশ্রী, মিরপুরসহ বিভিন্ন স্থানে মানুষের ঢল ছিল চোখে পড়ার মতো। এমন পরিস্থিতিতে বেলা ২টাই খবর আসে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। তখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি, তার আগেই শুরু হয় বিজয় উল্লাস। পুরো ঢাকা পরিণত হয় মিছিলের নগরীতে। অবশেষে বেলা ৩টা ৫০ মিনিটে আসে সেই কাঙ্ক্ষিত ঘোষণা। সেনাসদর দপ্তরে দেওয়া ভাষণে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জানান, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। তাঁর এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে পতন হয় এক দাম্ভিক স্বৈরশাসকের।
শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মানুষ নানা বঞ্চনার শিকার হয়েছেন। অনিয়ম-লুটপাট, দুর্নীতি আর অপশাসনে মানুষের জীবন ছিল অতিষ্ঠ। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে মানুষ সব অন্যায়ের জবাব দিয়েছে। এখন সময় এসেছে নতুন বাংলাদেশ গড়ার।
সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের অবসান
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানেই দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়েই পতন হয়েছে তাঁর সাড়ে ১৫ বছর শাসনামলের। এ সময়কালে দুর্নীতি, অর্থ পাচার, বিরোধী মত দমনে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর অপব্যবহার, ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়ার মতো অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে। বাধাগ্রস্ত হয়েছে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, সংকটে পড়েছে অর্থনীতি।
সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে জয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। এরপর ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচন, ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিতর্কিত ভোটের মধ্য দিয়ে ফের ক্ষমতায় আসেন তিনি। আর চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা আবার প্রধানমন্ত্রী হন। তবে এ নির্বাচনও ছিল বিতর্কিত। এরপর মাত্র প্রায় ৭ মাস দীর্ঘ হয় তাঁর শাসনামল।
পতনের ঘণ্টা বাজায় যারা
শেখ হাসিনার পতন হয়েছে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে। এই আন্দোলনটা শুরু হয়েছিল সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে। একই দাবিতে প্রথম আন্দোলন শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালে। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ওই বছরের ৪ অক্টোবর প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করে সরকার। এরপর চলতি বছরের ৫ জুন হাইকোর্টের এক রায়ে সেই পরিপত্রকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়। এ রায়ের প্রতিবাদে এবং কোটা সংস্কারের দাবিতে গত ৬ জুন ছাত্রসমাবেশ ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরপর ধীরে ধীরে এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে, অংশ নেয় আপামর জনসাধারণ।
গত ১৪ জুলাই চীন সফর শেষে সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধার নাতি-পুতিরা কোটা পাবে না তো কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা পাবে?’ তাঁর এ বক্তব্যের পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন পায় নতুন মাত্রা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিছিল বের হয়, ‘তুমি কে আমি কে রাজাকার, রাজাকার’; ‘কে বলেছে কে বলেছে স্বৈরাচার স্বৈরাচার’। পরদিন সকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক বক্তব্যে বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঔদ্ধত্যের জবাব দেবে ছাত্রলীগ।’
মূলত এরপরই ১৫ জুলাই অহিংস এই আন্দোলন সংঘাতপূর্ণ হয়ে ওঠে। প্রথমে আন্দোলন প্রতিহত করতে নামেন ছাত্রলীগ ও দলীয় সমর্থকেরা। পরে নামানো হয় পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনীকে। এতে গতকাল সোমবার পর্যন্ত সারা দেশে পুলিশসহ নিহত হন প্রায় সাড়ে তিন শ মানুষ।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গত ২০ জুলাই দেশজুড়ে কারফিউ ঘোষণা করা হয়, মোতায়েন করা হয় সেনাসদস্যদের। এর আগের দিন প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগসহ ৯ দফা দাবি জানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বলা হয়, দাবি না মানা পর্যন্ত চলবে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’। এরপর থেকেই এই আন্দোলন ধীরে ধীরে গণ-আন্দোলন রূপ নেয়। এর মধ্যে কয়েক দফা সব ধরনের ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। আবার দেওয়া হয় কারফিউ, ঘোষণা করা হয় সাধারণ ছুটি, নিষিদ্ধ করা হয় জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি। গত ২৩ জুলাই সরকারি চাকরিতে ৭ শতাংশ কোটা রেখে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। এরপর সারা দেশে এলাকা ভাগ করে দেওয়া হয় ‘ব্লক রেইড’, এতে গ্রেপ্তার হন প্রায় ১১ হাজার মানুষ।
এর মধ্যে গত ২৭ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে নিরাপত্তা হেফাজতে নেয় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বলা হয়, আন্দোলন প্রত্যাহার করেছেন তাঁরা। তবে ১ আগস্ট ডিবি হেফাজত থেকে ছাড়া পেয়ে সমন্বয়কেরা জানান, জোর করে তাঁদের কাছ থেকে আন্দোলন প্রত্যাহারের বিবৃতি নেওয়া হয়েছে।
এরপর প্রতিদিনই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ‘মার্চ ফর জাস্টিস’, মুখে লাল কাপড় বেঁধে মিছিল, ‘রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোস’সহ নানা ব্যতিক্রমী কর্মসূচি পালন করে। এসব কর্মসূচিতে সারা দেশের আপামর জনসাধারণ অংশ নেয়। একপর্যায়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্র-জনতার বিশাল সমাবেশ থেকে গত শনিবার সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি জানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এর পরদিন রোববার সারা দেশে সংঘর্ষে নিহত হন পুলিশসহ ৯৯ জন।

‘শেখ হাসিনা কখনো পালিয়ে যায় না’—১ আগস্ট এক অনুষ্ঠানে দম্ভভরে বলেছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। কিন্তু তার চার দিন পরই গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে নিভৃতে দেশান্তরি হয়েছেন তিনি। তাঁর এই দেশত্যাগের মধ্য দিয়ে সব দম্ভের পতন হয়েছে। বিজয় এসেছে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার।
আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ‘স্বৈরশাসকের’ পতন ঘটিয়ে নতুন ইতিহাস গড়েছে তরুণ প্রজন্ম। রাজনীতি বিশ্লেষকেরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে জনগণের অংশগ্রহণ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। দেশের ইতিহাসে উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের পর এমন তীব্র আন্দোলন আর হয়নি।
জানতে চাইলে ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
আজকের পত্রিকাকে বলেন, দীর্ঘদিন পরে হলেও মানুষ চাপা ক্ষোভ ও বঞ্চনার বহিঃপ্রকাশ করেছে। এই আন্দোলন শুধু কোটা সংস্কারের নয়,
সমাজের নানা স্তরে তৈরি হওয়া বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন। এর মধ্য দিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন এক ইতিহাস।
আন্দোলনের শুরু হয়েছিল গত জুন মাসে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবি নিয়ে। চার দফার এই আন্দোলন ঘটনার পরিক্রমায় নয় দফা এবং সবশেষে সরকার পতনের এক দফায় গড়ায় গত শনিবার। শুরু হয় অসহযোগের ডাক। আসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চূড়ান্ত কর্মসূচি ‘মার্চ টু ঢাকা’। যার শেষ পরিণতিতে গতকাল প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা।
ছাত্র-জনতার ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঠেকাতে গত রোববার সন্ধ্যা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ দেয় সরকার। এতে দমে যায়নি ছাত্রসমাজ। সেদিন রাতেই বিক্ষোভের নগরীতে পরিণত হয় রাজধানী ঢাকা। নতুন ভোর দেখবে বলে রাত জেগে থাকেন রাজধানীবাসী।
গতকাল সকাল থেকেই রাজধানীর প্রবেশমুখে জড়ো হতে থাকেন লাখো মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, গাবতলী-সাভার ও উত্তরায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বড় হতে থাকে রাজধানীমুখী জনতার মিছিল। এদিকে শাহবাগে অবস্থান করে আন্দোলনের মূল নেতৃত্বে থাকা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কেরাসহ হাজারো ছাত্র-জনতা। পাশাপাশি রাজধানীর রামপুরার বনশ্রী, মিরপুরসহ বিভিন্ন স্থানে মানুষের ঢল ছিল চোখে পড়ার মতো। এমন পরিস্থিতিতে বেলা ২টাই খবর আসে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। তখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি, তার আগেই শুরু হয় বিজয় উল্লাস। পুরো ঢাকা পরিণত হয় মিছিলের নগরীতে। অবশেষে বেলা ৩টা ৫০ মিনিটে আসে সেই কাঙ্ক্ষিত ঘোষণা। সেনাসদর দপ্তরে দেওয়া ভাষণে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জানান, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। তাঁর এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে পতন হয় এক দাম্ভিক স্বৈরশাসকের।
শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মানুষ নানা বঞ্চনার শিকার হয়েছেন। অনিয়ম-লুটপাট, দুর্নীতি আর অপশাসনে মানুষের জীবন ছিল অতিষ্ঠ। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে মানুষ সব অন্যায়ের জবাব দিয়েছে। এখন সময় এসেছে নতুন বাংলাদেশ গড়ার।
সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের অবসান
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানেই দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়েই পতন হয়েছে তাঁর সাড়ে ১৫ বছর শাসনামলের। এ সময়কালে দুর্নীতি, অর্থ পাচার, বিরোধী মত দমনে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর অপব্যবহার, ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়ার মতো অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে। বাধাগ্রস্ত হয়েছে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, সংকটে পড়েছে অর্থনীতি।
সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে জয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। এরপর ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচন, ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিতর্কিত ভোটের মধ্য দিয়ে ফের ক্ষমতায় আসেন তিনি। আর চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা আবার প্রধানমন্ত্রী হন। তবে এ নির্বাচনও ছিল বিতর্কিত। এরপর মাত্র প্রায় ৭ মাস দীর্ঘ হয় তাঁর শাসনামল।
পতনের ঘণ্টা বাজায় যারা
শেখ হাসিনার পতন হয়েছে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে। এই আন্দোলনটা শুরু হয়েছিল সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে। একই দাবিতে প্রথম আন্দোলন শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালে। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ওই বছরের ৪ অক্টোবর প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করে সরকার। এরপর চলতি বছরের ৫ জুন হাইকোর্টের এক রায়ে সেই পরিপত্রকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়। এ রায়ের প্রতিবাদে এবং কোটা সংস্কারের দাবিতে গত ৬ জুন ছাত্রসমাবেশ ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরপর ধীরে ধীরে এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে, অংশ নেয় আপামর জনসাধারণ।
গত ১৪ জুলাই চীন সফর শেষে সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধার নাতি-পুতিরা কোটা পাবে না তো কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা পাবে?’ তাঁর এ বক্তব্যের পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন পায় নতুন মাত্রা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিছিল বের হয়, ‘তুমি কে আমি কে রাজাকার, রাজাকার’; ‘কে বলেছে কে বলেছে স্বৈরাচার স্বৈরাচার’। পরদিন সকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক বক্তব্যে বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঔদ্ধত্যের জবাব দেবে ছাত্রলীগ।’
মূলত এরপরই ১৫ জুলাই অহিংস এই আন্দোলন সংঘাতপূর্ণ হয়ে ওঠে। প্রথমে আন্দোলন প্রতিহত করতে নামেন ছাত্রলীগ ও দলীয় সমর্থকেরা। পরে নামানো হয় পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনীকে। এতে গতকাল সোমবার পর্যন্ত সারা দেশে পুলিশসহ নিহত হন প্রায় সাড়ে তিন শ মানুষ।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গত ২০ জুলাই দেশজুড়ে কারফিউ ঘোষণা করা হয়, মোতায়েন করা হয় সেনাসদস্যদের। এর আগের দিন প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগসহ ৯ দফা দাবি জানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বলা হয়, দাবি না মানা পর্যন্ত চলবে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’। এরপর থেকেই এই আন্দোলন ধীরে ধীরে গণ-আন্দোলন রূপ নেয়। এর মধ্যে কয়েক দফা সব ধরনের ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। আবার দেওয়া হয় কারফিউ, ঘোষণা করা হয় সাধারণ ছুটি, নিষিদ্ধ করা হয় জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি। গত ২৩ জুলাই সরকারি চাকরিতে ৭ শতাংশ কোটা রেখে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। এরপর সারা দেশে এলাকা ভাগ করে দেওয়া হয় ‘ব্লক রেইড’, এতে গ্রেপ্তার হন প্রায় ১১ হাজার মানুষ।
এর মধ্যে গত ২৭ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে নিরাপত্তা হেফাজতে নেয় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বলা হয়, আন্দোলন প্রত্যাহার করেছেন তাঁরা। তবে ১ আগস্ট ডিবি হেফাজত থেকে ছাড়া পেয়ে সমন্বয়কেরা জানান, জোর করে তাঁদের কাছ থেকে আন্দোলন প্রত্যাহারের বিবৃতি নেওয়া হয়েছে।
এরপর প্রতিদিনই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ‘মার্চ ফর জাস্টিস’, মুখে লাল কাপড় বেঁধে মিছিল, ‘রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোস’সহ নানা ব্যতিক্রমী কর্মসূচি পালন করে। এসব কর্মসূচিতে সারা দেশের আপামর জনসাধারণ অংশ নেয়। একপর্যায়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্র-জনতার বিশাল সমাবেশ থেকে গত শনিবার সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি জানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এর পরদিন রোববার সারা দেশে সংঘর্ষে নিহত হন পুলিশসহ ৯৯ জন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাওয়া প্রার্থীদের নিষিদ্ধ কিংবা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন—এমন অঙ্গীকার করতে হবে। সঙ্গে দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্যও জমা দিতে হবে। নির্বাচনে মনোনয়ন ফরমে এমন বিধান রাখা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টার এবং ছায়ানট ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি পরিকল্পিত এবং সরকারের কোনো না কোনো অংশের মদদেই এটি ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর।
২ ঘণ্টা আগে
তারেক রহমান ও জাইমা রহমানের ভোটার হওয়ার নথি রোববার কমিশনে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে
২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর কক্সবাজার ও হাতিয়ার মধ্যবর্তী সমুদ্র এলাকায় মাছ ধরার নৌকা, ট্রলারসহ সব ধরনের নৌযানকে অবস্থান ও চলাচল এড়িয়ে যেতে বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
৬ ঘণ্টা আগেতানিম আহমেদ, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাওয়া প্রার্থীদের নিষিদ্ধ কিংবা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন—এমন অঙ্গীকার করতে হবে। সঙ্গে দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্যও জমা দিতে হবে। নির্বাচনে মনোনয়ন ফরমে এমন বিধান রাখা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের এমন বিধানকে অস্পষ্ট মনে করছেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনে একাধিক রাজনৈতিক নেতা দল বদল করেছেন। আবার কেউ কেউ দল বিলুপ্ত করে বড় দলে যোগ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ বা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের নেতারা অন্য কোনো দলে যোগ দিলে কী বিধান থাকবে, তা পরিষ্কার করা হয়নি।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. মো. আবদুল আলীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেন এবং কী কারণে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা নির্বাচন কমিশনকে পরিষ্কার করতে হবে। যেহেতু এক দল থেকে আরেক দলে যোগদান করা নিষিদ্ধ নয়, এ রকম অনেক উদাহরণ গত কয়েক দিনে হয়েছে।’
জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রার্থীকে বলতে হবে, তিনি কোনো নিষিদ্ধ বা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের সদস্য নন।
পরে যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে বিষয়টি মিথ্যাচার হিসেবে গণ্য হবে। সে ক্ষেত্রে তিনি মিথ্যাবাদী।
কেউ নিষিদ্ধ দলের সঙ্গে জড়িত কি না, ইসি কীভাবে সেটি প্রমাণ করবে, এমন প্রশ্নের জবাবে আখতার আহমেদ বলেন, ‘আপনারা (গণমাধ্যম) জানিয়ে দেবেন, উনি (প্রার্থী) মিথ্যা কথা বলছেন। এরপর ইসি তদন্ত করে দেখবে, অভিযোগটি সত্য নাকি মিথ্যা।’ সে ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে—জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘সেটা নির্ভর করবে অপরাধের মাত্রার ওপরে।’
কী কারণে এমন বিধান যুক্ত করা হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে আখতার আহমেদ বলেন, কর্তৃপক্ষ মনে করেছে, এবার এমন একটা অঙ্গীকারনামা থাকা ভালো।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন প্রার্থীরা। যেখানে ২৩ পাতার মনোনয়ন ফরম পূরণ করতে হবে প্রার্থীদের। যার শেষ দুই পাতার তফসিল-১ ও ২ প্রার্থীদের অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করতে হবে।
তফসিল-১ অঙ্গীকারনামায় দলীয় প্রার্থী নিষিদ্ধ বা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন, দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বা সমমর্যাদার পদধারী এমন দুজনকে স্বাক্ষর দিতে হবে। যেখানে রাজনৈতিক দলের নাম ও নিবন্ধন নম্বর দিতে হবে।
রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকারনামার ক্ষেত্রে বলা আছে, ‘আমার দল এবং দল মনোনীত সব প্রার্থী সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০২৫ বিধান মেনে চলব। দল বা দল মনোনীত কোনো প্রার্থী এই আচরণ বিধিমালার কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে আইন ও বিধিমালার বিধান অনুযায়ী শাস্তি মেনে নিতে বাধ্য থাকব।’
প্রার্থীর অঙ্গীকারনামায় বলা হয়েছে, ‘আমি অঙ্গীকার করেছি, আমি কোনো নিষিদ্ধ বা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন কোনো রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নই।’ প্রার্থীর স্বাক্ষরের সঙ্গে দুজন সাক্ষীর নাম, স্বাক্ষর ও এনআইডি নম্বর দিতে হবে।
আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী আইন সংশোধন করে বলা হয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলার অভিযোগপত্র গঠিত হলেই নির্বাচনে অযোগ্য হবেন অভিযুক্ত। আর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) বলা হয়েছে, ফেরারি আসামিরা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফেরারি আসামিদের নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণার প্রতিফলন হচ্ছে মনোনয়ন ফরমে নতুন বিধান যুক্ত করা। আর এখন যেহেতু আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ, তাই বিষয়টি বলা হয়েছে। দলটির নেতা-কর্মীদের নির্বাচনের বাইরে রাখতেই এমন বিধান রাখা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের এমন উদ্যোগের সমালোচনা করেছে আওয়ামী লীগের গত তিন সরকারের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন অংশ)। গতকাল দলের প্রার্থী ঘোষণা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করেন দলের মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী।
সংবাদ সম্মেলনে শামীম হায়দার বলেন, ‘কার্যক্রম নিষিদ্ধ দলের কর্মীদের মনোনয়ন না দেওয়ার বিধান অসাংবিধানিক। দল নিষিদ্ধ হলে তিনি স্বাভাবিকভাবে অন্য যেকোনো দলে আসতেই পারেন এবং ভোট করতে পারেন। এটা তো সাংবিধানিক অধিকার। তিনি সাজাপ্রাপ্ত ও নির্বাচনে অযোগ্য নন। ইসির এমন তফসিল অবিবেচনাপ্রসূত ও অসাংবিধানিক।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাওয়া প্রার্থীদের নিষিদ্ধ কিংবা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন—এমন অঙ্গীকার করতে হবে। সঙ্গে দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্যও জমা দিতে হবে। নির্বাচনে মনোনয়ন ফরমে এমন বিধান রাখা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের এমন বিধানকে অস্পষ্ট মনে করছেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনে একাধিক রাজনৈতিক নেতা দল বদল করেছেন। আবার কেউ কেউ দল বিলুপ্ত করে বড় দলে যোগ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ বা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের নেতারা অন্য কোনো দলে যোগ দিলে কী বিধান থাকবে, তা পরিষ্কার করা হয়নি।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. মো. আবদুল আলীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেন এবং কী কারণে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা নির্বাচন কমিশনকে পরিষ্কার করতে হবে। যেহেতু এক দল থেকে আরেক দলে যোগদান করা নিষিদ্ধ নয়, এ রকম অনেক উদাহরণ গত কয়েক দিনে হয়েছে।’
জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রার্থীকে বলতে হবে, তিনি কোনো নিষিদ্ধ বা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের সদস্য নন।
পরে যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে বিষয়টি মিথ্যাচার হিসেবে গণ্য হবে। সে ক্ষেত্রে তিনি মিথ্যাবাদী।
কেউ নিষিদ্ধ দলের সঙ্গে জড়িত কি না, ইসি কীভাবে সেটি প্রমাণ করবে, এমন প্রশ্নের জবাবে আখতার আহমেদ বলেন, ‘আপনারা (গণমাধ্যম) জানিয়ে দেবেন, উনি (প্রার্থী) মিথ্যা কথা বলছেন। এরপর ইসি তদন্ত করে দেখবে, অভিযোগটি সত্য নাকি মিথ্যা।’ সে ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে—জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘সেটা নির্ভর করবে অপরাধের মাত্রার ওপরে।’
কী কারণে এমন বিধান যুক্ত করা হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে আখতার আহমেদ বলেন, কর্তৃপক্ষ মনে করেছে, এবার এমন একটা অঙ্গীকারনামা থাকা ভালো।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন প্রার্থীরা। যেখানে ২৩ পাতার মনোনয়ন ফরম পূরণ করতে হবে প্রার্থীদের। যার শেষ দুই পাতার তফসিল-১ ও ২ প্রার্থীদের অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করতে হবে।
তফসিল-১ অঙ্গীকারনামায় দলীয় প্রার্থী নিষিদ্ধ বা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন, দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বা সমমর্যাদার পদধারী এমন দুজনকে স্বাক্ষর দিতে হবে। যেখানে রাজনৈতিক দলের নাম ও নিবন্ধন নম্বর দিতে হবে।
রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকারনামার ক্ষেত্রে বলা আছে, ‘আমার দল এবং দল মনোনীত সব প্রার্থী সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০২৫ বিধান মেনে চলব। দল বা দল মনোনীত কোনো প্রার্থী এই আচরণ বিধিমালার কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে আইন ও বিধিমালার বিধান অনুযায়ী শাস্তি মেনে নিতে বাধ্য থাকব।’
প্রার্থীর অঙ্গীকারনামায় বলা হয়েছে, ‘আমি অঙ্গীকার করেছি, আমি কোনো নিষিদ্ধ বা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন কোনো রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নই।’ প্রার্থীর স্বাক্ষরের সঙ্গে দুজন সাক্ষীর নাম, স্বাক্ষর ও এনআইডি নম্বর দিতে হবে।
আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী আইন সংশোধন করে বলা হয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলার অভিযোগপত্র গঠিত হলেই নির্বাচনে অযোগ্য হবেন অভিযুক্ত। আর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) বলা হয়েছে, ফেরারি আসামিরা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফেরারি আসামিদের নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণার প্রতিফলন হচ্ছে মনোনয়ন ফরমে নতুন বিধান যুক্ত করা। আর এখন যেহেতু আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ, তাই বিষয়টি বলা হয়েছে। দলটির নেতা-কর্মীদের নির্বাচনের বাইরে রাখতেই এমন বিধান রাখা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের এমন উদ্যোগের সমালোচনা করেছে আওয়ামী লীগের গত তিন সরকারের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন অংশ)। গতকাল দলের প্রার্থী ঘোষণা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করেন দলের মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী।
সংবাদ সম্মেলনে শামীম হায়দার বলেন, ‘কার্যক্রম নিষিদ্ধ দলের কর্মীদের মনোনয়ন না দেওয়ার বিধান অসাংবিধানিক। দল নিষিদ্ধ হলে তিনি স্বাভাবিকভাবে অন্য যেকোনো দলে আসতেই পারেন এবং ভোট করতে পারেন। এটা তো সাংবিধানিক অধিকার। তিনি সাজাপ্রাপ্ত ও নির্বাচনে অযোগ্য নন। ইসির এমন তফসিল অবিবেচনাপ্রসূত ও অসাংবিধানিক।’

‘শেখ হাসিনা কখনো পালিয়ে যায় না’—১ আগস্ট এক অনুষ্ঠানে দম্ভভরে বলেছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। কিন্তু তার চার দিন পরই গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে নিভৃতে দেশান্তরি হয়েছেন তিনি। তাঁর এই দেশত্যাগের মধ্য দিয়ে সব দম্ভের পতন হয়েছে। বিজয় এসেছে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার।
০৬ আগস্ট ২০২৪
প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টার এবং ছায়ানট ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি পরিকল্পিত এবং সরকারের কোনো না কোনো অংশের মদদেই এটি ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর।
২ ঘণ্টা আগে
তারেক রহমান ও জাইমা রহমানের ভোটার হওয়ার নথি রোববার কমিশনে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে
২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর কক্সবাজার ও হাতিয়ার মধ্যবর্তী সমুদ্র এলাকায় মাছ ধরার নৌকা, ট্রলারসহ সব ধরনের নৌযানকে অবস্থান ও চলাচল এড়িয়ে যেতে বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
৬ ঘণ্টা আগেপ্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলা
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টার এবং ছায়ানট ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি পরিকল্পিত এবং সরকারের কোনো না কোনো অংশের মদদেই এটি ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর।
আজ শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) ষষ্ঠ সম্প্রচার সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গত ১৮ ডিসেম্বর রাতে দেশের শীর্ষস্থানীয় দুই সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে সংগঠিত সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা কার্যালয়গুলোতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং ব্যাপক লুটপাট চালায়। বিশেষ করে প্রথম আলো কার্যালয় আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায়। একই রাতে ডেইলি স্টার কার্যালয়ে সংহতি জানাতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হন সম্পাদক নূরুল কবীর। সাংবাদিক সমাজ এই ঘটনাকে ‘গণমাধ্যমের জন্য কালো দিন’ হিসেবে অভিহিত করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
সম্মেলনে নূরুল কবীর বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে জানি, প্রথম আলো, ডেইলি স্টার ও ছায়ানটকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য এক-দুই দিন আগে থেকেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। কারা এই ঘোষণা দিয়েছে, তা এ দেশের মানুষ জানে এবং সরকারও জানে। ফৌজদারি অপরাধের এমন প্রকাশ্য ঘোষণার পরও সরকার তাদের গ্রেপ্তার করে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়নি।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সরকার হামলাকারীদের আগেভাগে থামায়নি বলেই আমরা মনে করি, সরকারের কোনো না কোনো অংশ এই ঘটনাটি ঘটতে দিয়েছে। একটি সংগঠিত শক্তি সেখানে গিয়ে এই ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। ইতিমধ্যে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে স্পষ্ট রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া গেছে।’
বিজেসি ষষ্ঠ সম্প্রচার সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। অনুষ্ঠানে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বিশিষ্টজনেরা গণমাধ্যমের ওপর এ ধরনের হামলাকে স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর সরাসরি আঘাত বলে বর্ণনা করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন—সাবেক গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান ও ডেইলি স্টারের কনসালটিং এডিটর কামাল আহমেদ, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন, যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিজেসি ট্রাস্টি ফাহিম আহমেদ এবং জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বিজেসি উপদেষ্টা খায়রুল আনোয়ার।
বক্তারা বলেন, গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার যেকোনো চেষ্টা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য হুমকি। এই হামলার ঘটনায় দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে ভবিষ্যতে স্বাধীন সাংবাদিকতা ঝুঁকির মুখে পড়বে।
হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যে মামলা করা হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে সাংবাদিক নেতারা এই হামলার নেপথ্যের মূল পরিকল্পনাকারীদের খুঁজে বের করার এবং গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টার এবং ছায়ানট ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি পরিকল্পিত এবং সরকারের কোনো না কোনো অংশের মদদেই এটি ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর।
আজ শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) ষষ্ঠ সম্প্রচার সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গত ১৮ ডিসেম্বর রাতে দেশের শীর্ষস্থানীয় দুই সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে সংগঠিত সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা কার্যালয়গুলোতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং ব্যাপক লুটপাট চালায়। বিশেষ করে প্রথম আলো কার্যালয় আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায়। একই রাতে ডেইলি স্টার কার্যালয়ে সংহতি জানাতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হন সম্পাদক নূরুল কবীর। সাংবাদিক সমাজ এই ঘটনাকে ‘গণমাধ্যমের জন্য কালো দিন’ হিসেবে অভিহিত করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
সম্মেলনে নূরুল কবীর বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে জানি, প্রথম আলো, ডেইলি স্টার ও ছায়ানটকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য এক-দুই দিন আগে থেকেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। কারা এই ঘোষণা দিয়েছে, তা এ দেশের মানুষ জানে এবং সরকারও জানে। ফৌজদারি অপরাধের এমন প্রকাশ্য ঘোষণার পরও সরকার তাদের গ্রেপ্তার করে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়নি।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সরকার হামলাকারীদের আগেভাগে থামায়নি বলেই আমরা মনে করি, সরকারের কোনো না কোনো অংশ এই ঘটনাটি ঘটতে দিয়েছে। একটি সংগঠিত শক্তি সেখানে গিয়ে এই ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। ইতিমধ্যে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে স্পষ্ট রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া গেছে।’
বিজেসি ষষ্ঠ সম্প্রচার সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। অনুষ্ঠানে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বিশিষ্টজনেরা গণমাধ্যমের ওপর এ ধরনের হামলাকে স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর সরাসরি আঘাত বলে বর্ণনা করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন—সাবেক গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান ও ডেইলি স্টারের কনসালটিং এডিটর কামাল আহমেদ, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন, যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিজেসি ট্রাস্টি ফাহিম আহমেদ এবং জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বিজেসি উপদেষ্টা খায়রুল আনোয়ার।
বক্তারা বলেন, গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার যেকোনো চেষ্টা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য হুমকি। এই হামলার ঘটনায় দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে ভবিষ্যতে স্বাধীন সাংবাদিকতা ঝুঁকির মুখে পড়বে।
হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যে মামলা করা হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে সাংবাদিক নেতারা এই হামলার নেপথ্যের মূল পরিকল্পনাকারীদের খুঁজে বের করার এবং গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

‘শেখ হাসিনা কখনো পালিয়ে যায় না’—১ আগস্ট এক অনুষ্ঠানে দম্ভভরে বলেছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। কিন্তু তার চার দিন পরই গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে নিভৃতে দেশান্তরি হয়েছেন তিনি। তাঁর এই দেশত্যাগের মধ্য দিয়ে সব দম্ভের পতন হয়েছে। বিজয় এসেছে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার।
০৬ আগস্ট ২০২৪
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাওয়া প্রার্থীদের নিষিদ্ধ কিংবা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন—এমন অঙ্গীকার করতে হবে। সঙ্গে দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্যও জমা দিতে হবে। নির্বাচনে মনোনয়ন ফরমে এমন বিধান রাখা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
তারেক রহমান ও জাইমা রহমানের ভোটার হওয়ার নথি রোববার কমিশনে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে
২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর কক্সবাজার ও হাতিয়ার মধ্যবর্তী সমুদ্র এলাকায় মাছ ধরার নৌকা, ট্রলারসহ সব ধরনের নৌযানকে অবস্থান ও চলাচল এড়িয়ে যেতে বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

তারেক রহমান ও জাইমা রহমানের ভোটার হওয়ার নথি রোববার কমিশনে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আজ শনিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান সিনিয়র সচিব।
আখতার আহমেদ বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর মেয়ে জাইমা রহমান গুলশান এলাকায় ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটার হওয়ার নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। আজকেই হয়তো তাঁদের এনআইডি নম্বর দেওয়া হবে। কিন্তু তফসিল ঘোষণার পর ভোটার হওয়ার জন্য কমিশনের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। তাই আগামীকাল তাঁদের ভোটার হওয়ার নথি কমিশনে উপস্থাপন করা হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর মেয়ে জাইমা রহমান ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পাওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। আজ শনিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে প্রথমে জাইমা রহমান এবং পরে তারেক রহমান এ দুই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তারেক রহমান ও জাইমা রহমানের ভোটার হওয়ার নথি রোববার কমিশনে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আজ শনিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান সিনিয়র সচিব।
আখতার আহমেদ বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর মেয়ে জাইমা রহমান গুলশান এলাকায় ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটার হওয়ার নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। আজকেই হয়তো তাঁদের এনআইডি নম্বর দেওয়া হবে। কিন্তু তফসিল ঘোষণার পর ভোটার হওয়ার জন্য কমিশনের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। তাই আগামীকাল তাঁদের ভোটার হওয়ার নথি কমিশনে উপস্থাপন করা হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর মেয়ে জাইমা রহমান ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পাওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। আজ শনিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে প্রথমে জাইমা রহমান এবং পরে তারেক রহমান এ দুই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

‘শেখ হাসিনা কখনো পালিয়ে যায় না’—১ আগস্ট এক অনুষ্ঠানে দম্ভভরে বলেছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। কিন্তু তার চার দিন পরই গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে নিভৃতে দেশান্তরি হয়েছেন তিনি। তাঁর এই দেশত্যাগের মধ্য দিয়ে সব দম্ভের পতন হয়েছে। বিজয় এসেছে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার।
০৬ আগস্ট ২০২৪
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাওয়া প্রার্থীদের নিষিদ্ধ কিংবা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন—এমন অঙ্গীকার করতে হবে। সঙ্গে দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্যও জমা দিতে হবে। নির্বাচনে মনোনয়ন ফরমে এমন বিধান রাখা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টার এবং ছায়ানট ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি পরিকল্পিত এবং সরকারের কোনো না কোনো অংশের মদদেই এটি ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর।
২ ঘণ্টা আগে
২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর কক্সবাজার ও হাতিয়ার মধ্যবর্তী সমুদ্র এলাকায় মাছ ধরার নৌকা, ট্রলারসহ সব ধরনের নৌযানকে অবস্থান ও চলাচল এড়িয়ে যেতে বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর কক্সবাজার ও হাতিয়ার মধ্যবর্তী সমুদ্র এলাকায় মাছ ধরার নৌকা, ট্রলারসহ সব ধরনের নৌযানকে অবস্থান ও চলাচল এড়িয়ে যেতে বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
আজ শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে আইএসপিআর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আগামী ২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ বাংলাদেশ নৌবাহিনী কর্তৃক কক্সবাজার ও হাতিয়ার মধ্যবর্তী সমুদ্র এলাকায় মিসাইল ফায়ারিং পরিচালিত হবে। এ সময় জানমালের নিরাপত্তায় সকল নৌযান, মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে উক্ত এলাকায় অবস্থান ও চলাচল পরিহার করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।’

২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর কক্সবাজার ও হাতিয়ার মধ্যবর্তী সমুদ্র এলাকায় মাছ ধরার নৌকা, ট্রলারসহ সব ধরনের নৌযানকে অবস্থান ও চলাচল এড়িয়ে যেতে বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
আজ শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে আইএসপিআর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আগামী ২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ বাংলাদেশ নৌবাহিনী কর্তৃক কক্সবাজার ও হাতিয়ার মধ্যবর্তী সমুদ্র এলাকায় মিসাইল ফায়ারিং পরিচালিত হবে। এ সময় জানমালের নিরাপত্তায় সকল নৌযান, মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে উক্ত এলাকায় অবস্থান ও চলাচল পরিহার করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।’

‘শেখ হাসিনা কখনো পালিয়ে যায় না’—১ আগস্ট এক অনুষ্ঠানে দম্ভভরে বলেছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। কিন্তু তার চার দিন পরই গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে নিভৃতে দেশান্তরি হয়েছেন তিনি। তাঁর এই দেশত্যাগের মধ্য দিয়ে সব দম্ভের পতন হয়েছে। বিজয় এসেছে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার।
০৬ আগস্ট ২০২৪
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাওয়া প্রার্থীদের নিষিদ্ধ কিংবা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন—এমন অঙ্গীকার করতে হবে। সঙ্গে দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্যও জমা দিতে হবে। নির্বাচনে মনোনয়ন ফরমে এমন বিধান রাখা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টার এবং ছায়ানট ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি পরিকল্পিত এবং সরকারের কোনো না কোনো অংশের মদদেই এটি ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর।
২ ঘণ্টা আগে
তারেক রহমান ও জাইমা রহমানের ভোটার হওয়ার নথি রোববার কমিশনে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে