Ajker Patrika

রেলস্টেশন ও ট্রেনে ধূমপান বন্ধে আরও কঠোর হওয়ার পরামর্শ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রেলস্টেশন ও ট্রেনে ধূমপান বন্ধে আরও কঠোর হওয়ার পরামর্শ

সব রেলস্টেশন ও ট্রেনে ধূমপান বন্ধের বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। রেল স্টেশন ও ট্রেন ধূমপানমুক্ত রাখতে ধূমপানবিরোধী প্রচারণা বেগবান করার পাশাপাশি আরও বেশি করে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার পরামর্শ এসেছে রেলের অংশীজন সভায়।

আজ সোমবার রেলভবনে রেলপথ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজার সভাপতিত্বে ২০২১-২২ অর্থবছরে শুদ্ধাচার কৌশল পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দ্বিতীয় অংশীজন সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়। 

সভা সূত্রে জানা যায়, রেলস্টেশন ও ট্রেনে ধূমপান নিরুৎসাহিত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার হার বৃদ্ধি করতে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিতে বলা হয়েছে। 

সভায় ই-নথির বিষয়ে মত প্রকাশ করা হয়। বলা হয়, শুধু ই-নথিতে কাজ হলেই অফিস অটোমেশন হয় না। অফিস অটোমেশনের অন্যান্য কার্যক্রম গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় আনা প্রয়োজন। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সার্কুলার অনুযায়ী বাংলাদেশ রেলওয়ের নথি নম্বর ডিজিটালাইজ করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। 
 
সভায় রেল স্টেশনে মাতৃদুগ্ধ কর্নারের বিষয়ে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদ্‌যাপন উপলক্ষে ৫৫টি স্টেশন আধুনিকায়ন করা হচ্ছে, যেখানে মাতৃদুগ্ধ কর্নার স্থাপনের জায়গা আছে। স্টেশনগুলোতে মাতৃদুগ্ধ কর্নার নিশ্চিত করতে সভায় জোর দেওয়া হয়েছে। 

রেলের অংশীজন সভায় রেলওয়ে গেটম্যান বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মচারীদের পোশাক দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ রেলওয়ে ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে তথ্য অধিকার, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা এবং সিটিজেন চার্টার্ড সংক্রান্ত কার্যক্রম যথানিয়মে বাস্তবায়নসহ সেবা বক্স নিয়মিত হালনাগাদ করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। 

সভায় অংশ নেওয়া রেল গবেষক মো. আতিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সভায় যে সব বিষয়গুলো আলোচনা হয়েছে। সেগুলো বাস্তবায়নের প্রধান বাধা হচ্ছে সমন্বয়। বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং রেলপথ মন্ত্রণালয় দুটি বিভাগের মধ্যে যদি সময় থাকে তাহলে এসব বিষয়গুলো দ্রুত বাস্তবায়ন হবে’। 

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ড. ভুবন চন্দ্র বিশ্বাস, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার শাহাদাত আলী, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (রোলিং স্টক) মো. মঞ্জুর-উল-আলম চৌধুরী, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এমঅ্যান্ডসিপি) একেএম আব্দুল্লাহ আল বাকী, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ও রেলওয়ে পুলিশের সদস্যসহ আরও অনেকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ইসির চিঠি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বৃহস্পতিবার ইসির উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন নির্দেশনা-সংক্রান্ত চিঠি স্বরাষ্ট্রসচিবকে পাঠিয়েছেন।

এতে বলা হয়েছে, ১১ ডিসেম্বর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সূচি জারি করা হয়েছে।

ইতিমধ্যে নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়সমূহের নির্বাচন-সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি, নির্বাচনী মালামাল, যন্ত্রপাতি সংরক্ষিত রয়েছে বিধায় ওই অফিসসমূহে নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় উক্ত অফিসসমূহে সংরক্ষিত গুরুত্বপূর্ণ নথি, নির্বাচনী মালামালের সুরক্ষাসহ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক মর্মে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।

এ অবস্থায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিসসমূহের নিরাপত্তা বিধানে প্রয়োজনীয়সংখ্যক পুলিশ ফোর্স মোতায়েনের সদয় নির্দেশনা দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা নিতে বলেছে কমিশন।

অপর দিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্বাচনী অপরাধ তদন্ত ও সংক্ষিপ্ত বিচার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিচারকদের নিয়ে গঠিত নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটিকে পুলিশি সহায়তার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির আইন শাখা থেকে নির্দেশনাটি ইতিমধ্যে সব বিভাগীয় কমিশনার ও পুলিশ সুপারদের পাঠানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটি নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকালে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার স্বার্থে কমিটির কর্মকর্তাদের সহিত পুলিশ বাহিনীর দুজন অস্ত্রধারী সদস্যকে নিয়োগ করার জন্য সব পুলিশ কমিশনার/পুলিশ সুপারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নির্বাচনে অপতথ্য মনিটরিং সেল কাজ করবে ৭ দিন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

সংসদ ও গণভোটকে কেন্দ্র করে অপতথ্য নিয়ন্ত্রণে ভোটের আগে ও পরে মোট সাত দিন মনিটরিং সেল এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পূর্ণাঙ্গভাবে কাজ করবে। একই সঙ্গে নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা বিভিন্ন বাহিনীর করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।

আজ বৃহস্পতিবার ইসির উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেনের স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করে মাঠ প্রশাসনকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করতে সব রাজনৈতিক দল ও প্রার্থী যাতে নির্বিঘ্নে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন, ভোটাররা নিরাপদে ভোট দিতে পারেন এবং ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়—সে লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে দায়িত্ব পালন করবে। ভোটকেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া হবে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাঠামো অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে লিড মন্ত্রণালয় হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন-পূর্ব, নির্বাচনকালীন ও নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বাহিনী ও সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় বজায় রেখে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। মাঠপর্যায়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের চাহিদা অনুযায়ী অগ্রাধিকারভিত্তিতে সহায়তা দেওয়া হবে।

পরিপত্রে আরও বলা হয়, নির্বাচনের সময় বাহিনী মোতায়েনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রভিত্তিক স্থায়ী মোতায়েন, স্থায়ী ও অস্থায়ী চেকপোস্ট, মোবাইল টহল, আভিযানিক দল এবং স্ট্রাইকিং ফোর্স সক্রিয় থাকবে। নির্বাচনের আগে চার দিন, ভোটের দিন এবং ভোটের পর দুই দিন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা ও অপতথ্য মনিটরিং সেল পূর্ণাঙ্গভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এ ছাড়া অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার, গুজব ও অপতথ্য রোধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে। ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে অতিরিক্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ, সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে কাভারেজ এবং বডি ক্যামেরার মাধ্যমে লাইভ পর্যবেক্ষণ নিশ্চিত করা হবে। ভোটাররা যেন স্বচ্ছ, নিরাপদ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন—সে লক্ষ্যেই এসব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের আবেদন করতে হবে ১৭ জানুয়ারির মধ্যে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের আবেদন করতে হবে ১৭ জানুয়ারির মধ্যে

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট পর্যবেক্ষণে আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক এবং বিদেশি গণমাধ্যমকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ইসি। এ ক্ষেত্রে তাদের আগামী ১৭ জানুয়ারির মধ্যে আবেদন করতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত চিঠি থেকে বিষয়টি জানা যায়।

এতে বলা হয়, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে নির্বাচন প্রক্রিয়ার সব কার্যক্রম দেশি ও বিদেশি পর্যবেক্ষকদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে। এই প্রেক্ষাপটে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক, পর্যবেক্ষক সংস্থা এবং বিদেশি গণমাধ্যমকে স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে সমন্বয় করে আসন্ন নির্বাচন ও গণভোট পর্যবেক্ষণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

এ চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, আগ্রহী আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক/পর্যবেক্ষক সংস্থা এবং বিদেশি গণমাধ্যমকে ‘আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক ও বিদেশি গণমাধ্যম নীতিমালা-২০২৫’ অনুযায়ী আবেদন করতে হবে। আবেদন জমা দেওয়ার শেষ সময় ১৭ জানুয়ারি। এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন বা তথ্যের প্রয়োজন হলে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিকের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য বলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভোটের মাঠে পাঁচ দিন থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোট ঘিরে এবার পাঁচ দিনের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হবে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারির ভোটকে ঘিরে ৯ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ছাড়া নির্বাচনকে সামনে রেখে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচনের ‘আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিশেষ পরিপত্রে’ বলা হয়, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা দল ছাড়া সব বাহিনী ভোটের সময় পাঁচ দিন (নির্বাচনের আগে তিন দিন, নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন এবং নির্বাচনপরবর্তী এক দিন) মোতায়েন থাকবে। আনসারদের জন্য এ সময় হবে ছয় দিন (নির্বাচনের আগে চার দিন, নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন এবং নির্বাচনপরবর্তী এক দিন)।

অর্থাৎ, ভোটের চার দিন আগে নামবে আনসার-ভিডিপি। আর ভোটের তিন দিন আগে ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে কেন্দ্রভিত্তিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত হবে। এ সময়ের মধ্যে মোতায়েনের জন্য কমিশন প্রচলিত নিয়মে বাজেট বরাদ্দ করবে বলে পরিপত্রে জানানো হয়।

প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ১৩-১৮ জন সদস্য

এবারের নির্বাচনে ভোটার রয়েছেন পৌনে ১৩ কোটি। ৩০০ আসনে প্রায় ৪৩ হাজার ভোটকেন্দ্রে ২ লাখ ৬০ হাজারের মতো ভোটকক্ষ থাকবে। প্রাথমিক সভায় প্রতি ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৩ থেকে ১৮ জন সদস্য রাখার পরিকল্পনার কথা জানানো হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৭ লাখের বেশি সদস্য এবার ভোটের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবেন। ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে আনসার-ভিডিপি সদস্যদের সংখ্যাই হবে সাড়ে ৫ লাখের মতো। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসংখ্যা ৯০ হাজারের বেশি। এ ছাড়া পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি ও কোস্ট গার্ড থাকবে।

বাহিনীগুলো মোতায়েন যেভাবে

নির্বাচনী মাঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবস্থানের সময়কাল তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচনপরবর্তী সাত দিন থাকবে, যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে। আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা দল ছাড়া সব বাহিনী ভোটের আগে তিন দিন, ভোটের দিন ও ভোটের পরদিন মোতায়েন থাকবে। আনসারদের জন্য এ সময় হবে ভোটের আগে চার দিন, ভোটের দিন ও ভোটের পরদিন পর্যন্ত। কেন্দ্রভিত্তিক স্থায়ী মোতায়েন হবে কেবল ভোট ঘিরে পাঁচ দিনের জন্য। এ ছাড়া তফসিল ঘোষণার পর থেকে পুরো সময়ের জন্য কিছু স্থায়ী বা অস্থায়ী চেকপোস্ট থাকবে। তফসিল ঘোষণার পর থেকে সম্পূর্ণ সময়ের জন্য টহল বা আভিযানিক দল মোতায়েন করা হবে। পাশাপাশি থাকবে স্ট্রাইকিং ফোর্স। এ ছাড়া এলাকাভিত্তিক সংরক্ষিত ফোর্স রাখা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত