আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

গত বছরের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর বিভিন্ন থানায় পুলিশ সদস্যদের বরাদ্দ করা আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলির হিসাবে গরমিল পাওয়া গেছে। থানার নিবন্ধন খাতার তথ্যের সঙ্গে মামলার এজাহারে বর্ণিত অস্ত্র ও গুলির তথ্যে এই অমিল রয়েছে। এমনকি অস্ত্র বরাদ্দ করা এবং ব্যবহারকারী সদস্যের নামও ভিন্ন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অস্ত্র-গুলি বরাদ্দ ও খরচের হিসাবের এই গরমিলে হত্যার সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের অপরাধ প্রমাণ করা জটিল হবে। কে কোন অস্ত্র ব্যবহার করেছেন, কার অস্ত্রের গুলিতে প্রাণহানি হয়েছে, এসব প্রমাণ করা সহজ হবে না।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ছয়টি থানায় অস্ত্র ও গুলি ব্যবহারের তথ্যে এ গরমিল পাওয়া গেছে। এগুলো হলো যাত্রাবাড়ী, কদমতলী, রামপুরা, বাড্ডা, মোহাম্মদপুর এবং ভাটারা। জুলাই-আগস্টে যেসব থানা এলাকায় সহিংসতা ও হতাহতের হার বেশি ছিল, সেসব থানার হিসাবেও অমিল বেশি দেখা গেছে।
জানতে চাইলে ডিএমপির জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মো. তালেবুর রহমান বলেন, প্রতিটি ঘটনার আলাদা তদন্ত চলছে। গুলি যৌক্তিক ছিল কি না, তা নিরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে অস্ত্র বরাদ্দ ও গুলি খরচের অমিল সম্পর্কে তিনি অবগত নন।
অবশ্য ডিএমপির সদর দপ্তরের একটি সূত্র বলেছে, জুলাই-আগস্টে আন্দোলনে গুলি ও অস্ত্র ব্যবহারের তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে এবং কোনো অনিয়ম বা অসংগতি প্রমাণিত হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডিএমপি জানিয়েছে, থানার একজন পুলিশ সদস্যের নামে যেদিন যে অস্ত্র ও গুলি বরাদ্দ থাকে, তিনি সেদিন সেই অস্ত্র ও গুলি নেন। দায়িত্ব পালন শেষে সেই অস্ত্র ও গুলি থানার অস্ত্রাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বুঝিয়ে দেন। ওই কর্মকর্তা বুঝে পাওয়া অস্ত্র ও গুলির সংখ্যা অস্ত্রাগারের নিবন্ধন (রেজিস্টার) খাতায় লিখে রাখেন। তবে ডিএমপির ছয় থানায় এ নিয়মের বেশি ব্যত্যয় হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে। ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলির তথ্য থানার অস্ত্রাগারের রেজিস্টারে সঠিকভাবে রাখা হয়নি। এমনকি একজনকে একধরনের অস্ত্র বরাদ্দ দেওয়া হলেও তাঁর নামে সেদিন গুলি খরচ বা খারিজ দেখানো হয়েছে অন্য ধরনের অস্ত্রের।
সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের ওপর যাত্রাবাড়ীতে পুলিশ প্রথম গুলি চালায় ১৭ জুলাই। ৫ আগস্ট পর্যন্ত যাত্রাবাড়ীতে মোট নিহত হন ৫৮ বিক্ষোভকারী, যা রাজধানীর থানাগুলোর মধ্যে সর্বাধিক।
সূত্র জানায়, ১৯ জুলাই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাদ্দাম মার্কেট থেকে কুতুবখালী এবং যাত্রাবাড়ী থানার প্রধান ফটক পর্যন্ত ব্যাপক সহিংসতা হয়। ওই ঘটনায় ২০ জুলাই যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তন্ময় মণ্ডল বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেন। মামলার এজাহারে ১৯ জুলাই যাত্রাবাড়ী থানার কয়েকজন এসআই ও এএসআইয়ের নামে চায়নিজ রাইফেলের ৩৩৭টি গুলিসহ বিভিন্ন অস্ত্রের গুলি করার কথা উল্লেখ করা হয়। তবে নিবন্ধন খাতায় সেদিন যাঁদের নামে চায়নিজ রাইফেল ও গুলি বরাদ্দের তথ্য রয়েছে, এজাহারে তাঁদের নাম নেই। আবার নিবন্ধন খাতা অনুযায়ী অস্ত্র বরাদ্দ ছিল একজনের নামে, এজাহারে গুলি খরচ দেখানো হয়েছে আরেকজনের নামে। যেমন এজাহারে এসআই নাদিম মুন্সীর চায়নিজ রাইফেল দিয়ে ৩০টি গুলি করার কথা উল্লেখ আছে। অথচ সেদিন অস্ত্রাগারের নিবন্ধন খাতায় তাঁর নামে শটগান (বাঁট নম্বর ১০২৪৪) বরাদ্দ থাকার তথ্য রয়েছে। একই দিন এএসআই তানভীর হোসেনের নামে ৩০টি চায়নিজ রাইফেলের গুলি খরচ দেখানো হলেও নিবন্ধন খাতা বলছে, সেদিন তিনি পিস্তল (বাঁট নম্বর এ-৭৯৭০০৫) ও ৮টি গুলি বরাদ্দ পেয়েছেন। এসআই নুর মোহাম্মদ, ভবতোষ, কামরুজ্জামান, এএসআই সাফায়েত ও হাসান রিয়াজসহ কয়েকজনের নামে চায়নিজ রাইফেল বরাদ্দ ছিল, এজাহারে গুলি খরচে তাঁদের নাম নেই।
তন্ময় মণ্ডলের নামে নিবন্ধন খাতায় সেদিন কোনো অস্ত্র বরাদ্দের তথ্য না থাকলেও এজাহারে তিনি চায়নিজ রাইফেলের ৩০টি গুলি করার দাবি করেন। জানতে চাইলে এ বিষয়ে তিনি আজকের পত্রিকা'কে বলেন, তখন (ডিএমপির) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, সেভাবেই মামলা করা হয়েছে।
জানা যায়, ডিএমপির সহকারী কমিশনার (এসি) মধুসূদন দাসের নামে ২০ জুলাই যাত্রাবাড়ী থানার অস্ত্রাগারের নিবন্ধন খাতায় একটি শটগান (বাঁট নম্বর ১৬৪৯৬৭) ও ৫০টি গুলি, একটি চায়নিজ রাইফেল (বাঁট নম্বর ৫৮০৫) ও ৫০টি গুলি এবং ২০টি সাউন্ড গ্রেনেড বরাদ্দের উল্লেখ আছে। তবে তাঁর নামে গুলি খরচ নেই। অবশ্য মধুসূদন দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি তখন সচিবালয়ে ছিলাম।’
১৮ থেকে ২১ জুলাইয়ের সহিংসতায় যাত্রাবাড়ী থানায় করা পাঁচটি মামলার বাদী এসআই নাদিম মুন্সি, এসআই তন্ময়, এসআই নওশের, এসআই সাইফুল এবং এসআই এহসানুল হক মোল্লা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বাদী আলাপকালে বলেন, ডিএমপির তৎকালীন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে বিভিন্ন মামলায় গুলি খারিজ দেখানো হয়। পরে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে এগুলো আবার খারিজ করা হবে বলে তাঁরা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা) জানিয়েছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এসআই অভিযোগ করেন, গুলিবর্ষণকারী পুলিশ সদস্যদের আড়াল করতে অন্যদের নামে গুলি খরচ দেখানো হয়েছে। এ নিয়ে তখন কয়েকজন এসআই প্রতিবাদ করলেও ঊর্ধ্বতনদের চাপে তা টিকেনি। তবে এ বিষয়ে কয়েকজন যাত্রাবাড়ী থানায় জিডি করেন। তাঁদের একজন এসআই নাদিম মুন্সী। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, তাঁর করা মামলায় যাঁদের নামে গুলি খরচ দেখানো হয়েছে, তাঁদের নামে সেদিন অস্ত্রাগারের নিবন্ধন খাতায় ওসব অস্ত্র ও গুলি ইস্যু ছিল না। তাঁরা গুলিও করেননি।
এসআই শামীম রেজা ২৭ জুলাই করা জিডিতে উল্লেখ করেন, ১৯ ও ২০ জুলাই তাঁর নামে শটগানের ১০টি ও চায়নিজ রাইফেলের ২০টি গুলি খরচ দেখানো হলেও ১৯ জুলাই তাঁর ডিউটি ছিল না, ওই দিন তিনি বাসায় ছিলেন। ২০ জুলাই একটি শটগান (বাঁট নম্বর ৮২১০) ও ৩০টি গুলি বরাদ্দ ছিল। তবে তিনি থানায় ডিউটি করেন। ডিউটি শেষে অস্ত্রাগারে অস্ত্র ও গুলি জমা দেন। কোনো গুলি করেননি।
সূত্র জানায়, বাড্ডা থানা থেকে ভাটারা থানায় গুলি ও অস্ত্র দেওয়া হলেও সেই গুলি খরচ দেখানো হয়েছে বাড্ডা থানার পুলিশ সদস্যদের নামে। এ বিষয়ে বাড্ডা থানার এসআই শাহ আলমসহ অন্তত ছয়জন পুলিশ সদস্য জিডি করেছেন। জিডিতে তাঁরা অভিযোগ করেছেন, তাঁরা গুলি না করলেও তাঁদের নামে খরচ দেখানো হয়েছে।
ওই সময় বাড্ডা থানার অস্ত্রাগারের দায়িত্বে থাকা এসআই জাহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কথামতো গুলি খরচ দেখানো হয়েছে। ভাটারা থানায় গুলি দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এক থানায় ঘাটতি হলে আরেক থানা থেকে অফিস আদেশে নিয়েছে। এগুলো তদন্তে বের হবে।
মোহাম্মদপুর থানাও যেসব পুলিশ সদস্যের নামে গুলি খরচ দেখিয়েছে, তার সঙ্গে অস্ত্র বরাদ্দের তথ্যের মিল নেই। ১৮ জুলাই মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় সহিংসতার ঘটনায় করা মামলার এজাহারে সেদিন শটগানের ২ হাজারটি ও চায়নিজ রাইফেলের ১২০টি গুলির খরচ দেখানো হয়েছে। থানার ৪০ জন পুলিশ সদস্যের প্রত্যেকের বিপরীতে সমান শটগানের ৫০টি গুলি খরচ দেখানো হয়েছে। এসআই চয়ন সাহার নামে নাইন এমএম পিস্তল ইস্যু থাকলেও চায়নিজ রাইফেলের গুলি খরচ দেখানো হয়েছে। এই মামলার বাদী এসআই আদনান বিন আজাদ।
পুলিশ সূত্র জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ডিএমপির অপরাধ ও ট্রাফিক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও থানার অস্ত্রাগার থেকে চায়নিজ রাইফেলের গুলি, সাউন্ড গ্রেনেড এবং শটগানের গুলি নেন। তবে সেগুলো কারা, কোথায় খরচ করেছেন, সেই হিসাব তাঁরা না দেওয়ায় থানাগুলোতেও কোনো তথ্য নেই।
ডিএমপির সদর দপ্তরের একটি সূত্র জানায়, ওই আন্দোলনের সময় পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের সদস্যরা বিভিন্ন থানা এলাকায় মোতায়েন ছিলেন এবং গুলি শেষ হলে তাঁরা থানার অস্ত্র ও গুলি ব্যবহার করেন। কিন্তু গুলি খরচে তাঁদের নাম নেই, খরচ দেখানো হয় থানায় কর্মরত সদস্যদের নামে। কিছু পুলিশ সদস্য নিজেকে সরকারের আস্থাভাজন দেখাতে এবং ব্যক্তিগত সুবিধা পেতে নিজের নামে গুলি খরচ দেখানোর চেষ্টা করেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে গুলিবর্ষণকারীদের আড়াল করতে অন্যদের নামে গুলি খরচ দেখানো হয়েছে। এসব কারণে গুলি খরচের হিসাবে এই গরমিল।
আইনজীবীরা বলছেন, গুলিবর্ষণকারী ব্যক্তির নাম, অস্ত্রের নম্বর এবং গুলির প্রমাণ ছাড়া হত্যার অভিযোগ প্রমাণ করা কঠিন হবে। আইনজীবী এস এম শাহজাহান বলেন, যেহেতু অস্ত্র বরাদ্দ এবং গুলি খরচের তথ্য সঠিকভাবে রাখা হয়নি; সুতরাং ব্ল্যাস্টিক পরীক্ষার মাধ্যমে হত্যার প্রমাণ পাওয়া সম্ভব হবে না।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক বিভাগ জানিয়েছে, গুলি কোথা থেকে এসেছে, তা শনাক্ত করা কঠিন হবে।
আরও খবর পড়ুন:

গত বছরের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর বিভিন্ন থানায় পুলিশ সদস্যদের বরাদ্দ করা আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলির হিসাবে গরমিল পাওয়া গেছে। থানার নিবন্ধন খাতার তথ্যের সঙ্গে মামলার এজাহারে বর্ণিত অস্ত্র ও গুলির তথ্যে এই অমিল রয়েছে। এমনকি অস্ত্র বরাদ্দ করা এবং ব্যবহারকারী সদস্যের নামও ভিন্ন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অস্ত্র-গুলি বরাদ্দ ও খরচের হিসাবের এই গরমিলে হত্যার সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের অপরাধ প্রমাণ করা জটিল হবে। কে কোন অস্ত্র ব্যবহার করেছেন, কার অস্ত্রের গুলিতে প্রাণহানি হয়েছে, এসব প্রমাণ করা সহজ হবে না।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ছয়টি থানায় অস্ত্র ও গুলি ব্যবহারের তথ্যে এ গরমিল পাওয়া গেছে। এগুলো হলো যাত্রাবাড়ী, কদমতলী, রামপুরা, বাড্ডা, মোহাম্মদপুর এবং ভাটারা। জুলাই-আগস্টে যেসব থানা এলাকায় সহিংসতা ও হতাহতের হার বেশি ছিল, সেসব থানার হিসাবেও অমিল বেশি দেখা গেছে।
জানতে চাইলে ডিএমপির জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মো. তালেবুর রহমান বলেন, প্রতিটি ঘটনার আলাদা তদন্ত চলছে। গুলি যৌক্তিক ছিল কি না, তা নিরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে অস্ত্র বরাদ্দ ও গুলি খরচের অমিল সম্পর্কে তিনি অবগত নন।
অবশ্য ডিএমপির সদর দপ্তরের একটি সূত্র বলেছে, জুলাই-আগস্টে আন্দোলনে গুলি ও অস্ত্র ব্যবহারের তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে এবং কোনো অনিয়ম বা অসংগতি প্রমাণিত হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডিএমপি জানিয়েছে, থানার একজন পুলিশ সদস্যের নামে যেদিন যে অস্ত্র ও গুলি বরাদ্দ থাকে, তিনি সেদিন সেই অস্ত্র ও গুলি নেন। দায়িত্ব পালন শেষে সেই অস্ত্র ও গুলি থানার অস্ত্রাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বুঝিয়ে দেন। ওই কর্মকর্তা বুঝে পাওয়া অস্ত্র ও গুলির সংখ্যা অস্ত্রাগারের নিবন্ধন (রেজিস্টার) খাতায় লিখে রাখেন। তবে ডিএমপির ছয় থানায় এ নিয়মের বেশি ব্যত্যয় হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে। ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলির তথ্য থানার অস্ত্রাগারের রেজিস্টারে সঠিকভাবে রাখা হয়নি। এমনকি একজনকে একধরনের অস্ত্র বরাদ্দ দেওয়া হলেও তাঁর নামে সেদিন গুলি খরচ বা খারিজ দেখানো হয়েছে অন্য ধরনের অস্ত্রের।
সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের ওপর যাত্রাবাড়ীতে পুলিশ প্রথম গুলি চালায় ১৭ জুলাই। ৫ আগস্ট পর্যন্ত যাত্রাবাড়ীতে মোট নিহত হন ৫৮ বিক্ষোভকারী, যা রাজধানীর থানাগুলোর মধ্যে সর্বাধিক।
সূত্র জানায়, ১৯ জুলাই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাদ্দাম মার্কেট থেকে কুতুবখালী এবং যাত্রাবাড়ী থানার প্রধান ফটক পর্যন্ত ব্যাপক সহিংসতা হয়। ওই ঘটনায় ২০ জুলাই যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তন্ময় মণ্ডল বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেন। মামলার এজাহারে ১৯ জুলাই যাত্রাবাড়ী থানার কয়েকজন এসআই ও এএসআইয়ের নামে চায়নিজ রাইফেলের ৩৩৭টি গুলিসহ বিভিন্ন অস্ত্রের গুলি করার কথা উল্লেখ করা হয়। তবে নিবন্ধন খাতায় সেদিন যাঁদের নামে চায়নিজ রাইফেল ও গুলি বরাদ্দের তথ্য রয়েছে, এজাহারে তাঁদের নাম নেই। আবার নিবন্ধন খাতা অনুযায়ী অস্ত্র বরাদ্দ ছিল একজনের নামে, এজাহারে গুলি খরচ দেখানো হয়েছে আরেকজনের নামে। যেমন এজাহারে এসআই নাদিম মুন্সীর চায়নিজ রাইফেল দিয়ে ৩০টি গুলি করার কথা উল্লেখ আছে। অথচ সেদিন অস্ত্রাগারের নিবন্ধন খাতায় তাঁর নামে শটগান (বাঁট নম্বর ১০২৪৪) বরাদ্দ থাকার তথ্য রয়েছে। একই দিন এএসআই তানভীর হোসেনের নামে ৩০টি চায়নিজ রাইফেলের গুলি খরচ দেখানো হলেও নিবন্ধন খাতা বলছে, সেদিন তিনি পিস্তল (বাঁট নম্বর এ-৭৯৭০০৫) ও ৮টি গুলি বরাদ্দ পেয়েছেন। এসআই নুর মোহাম্মদ, ভবতোষ, কামরুজ্জামান, এএসআই সাফায়েত ও হাসান রিয়াজসহ কয়েকজনের নামে চায়নিজ রাইফেল বরাদ্দ ছিল, এজাহারে গুলি খরচে তাঁদের নাম নেই।
তন্ময় মণ্ডলের নামে নিবন্ধন খাতায় সেদিন কোনো অস্ত্র বরাদ্দের তথ্য না থাকলেও এজাহারে তিনি চায়নিজ রাইফেলের ৩০টি গুলি করার দাবি করেন। জানতে চাইলে এ বিষয়ে তিনি আজকের পত্রিকা'কে বলেন, তখন (ডিএমপির) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, সেভাবেই মামলা করা হয়েছে।
জানা যায়, ডিএমপির সহকারী কমিশনার (এসি) মধুসূদন দাসের নামে ২০ জুলাই যাত্রাবাড়ী থানার অস্ত্রাগারের নিবন্ধন খাতায় একটি শটগান (বাঁট নম্বর ১৬৪৯৬৭) ও ৫০টি গুলি, একটি চায়নিজ রাইফেল (বাঁট নম্বর ৫৮০৫) ও ৫০টি গুলি এবং ২০টি সাউন্ড গ্রেনেড বরাদ্দের উল্লেখ আছে। তবে তাঁর নামে গুলি খরচ নেই। অবশ্য মধুসূদন দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি তখন সচিবালয়ে ছিলাম।’
১৮ থেকে ২১ জুলাইয়ের সহিংসতায় যাত্রাবাড়ী থানায় করা পাঁচটি মামলার বাদী এসআই নাদিম মুন্সি, এসআই তন্ময়, এসআই নওশের, এসআই সাইফুল এবং এসআই এহসানুল হক মোল্লা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বাদী আলাপকালে বলেন, ডিএমপির তৎকালীন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে বিভিন্ন মামলায় গুলি খারিজ দেখানো হয়। পরে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে এগুলো আবার খারিজ করা হবে বলে তাঁরা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা) জানিয়েছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এসআই অভিযোগ করেন, গুলিবর্ষণকারী পুলিশ সদস্যদের আড়াল করতে অন্যদের নামে গুলি খরচ দেখানো হয়েছে। এ নিয়ে তখন কয়েকজন এসআই প্রতিবাদ করলেও ঊর্ধ্বতনদের চাপে তা টিকেনি। তবে এ বিষয়ে কয়েকজন যাত্রাবাড়ী থানায় জিডি করেন। তাঁদের একজন এসআই নাদিম মুন্সী। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, তাঁর করা মামলায় যাঁদের নামে গুলি খরচ দেখানো হয়েছে, তাঁদের নামে সেদিন অস্ত্রাগারের নিবন্ধন খাতায় ওসব অস্ত্র ও গুলি ইস্যু ছিল না। তাঁরা গুলিও করেননি।
এসআই শামীম রেজা ২৭ জুলাই করা জিডিতে উল্লেখ করেন, ১৯ ও ২০ জুলাই তাঁর নামে শটগানের ১০টি ও চায়নিজ রাইফেলের ২০টি গুলি খরচ দেখানো হলেও ১৯ জুলাই তাঁর ডিউটি ছিল না, ওই দিন তিনি বাসায় ছিলেন। ২০ জুলাই একটি শটগান (বাঁট নম্বর ৮২১০) ও ৩০টি গুলি বরাদ্দ ছিল। তবে তিনি থানায় ডিউটি করেন। ডিউটি শেষে অস্ত্রাগারে অস্ত্র ও গুলি জমা দেন। কোনো গুলি করেননি।
সূত্র জানায়, বাড্ডা থানা থেকে ভাটারা থানায় গুলি ও অস্ত্র দেওয়া হলেও সেই গুলি খরচ দেখানো হয়েছে বাড্ডা থানার পুলিশ সদস্যদের নামে। এ বিষয়ে বাড্ডা থানার এসআই শাহ আলমসহ অন্তত ছয়জন পুলিশ সদস্য জিডি করেছেন। জিডিতে তাঁরা অভিযোগ করেছেন, তাঁরা গুলি না করলেও তাঁদের নামে খরচ দেখানো হয়েছে।
ওই সময় বাড্ডা থানার অস্ত্রাগারের দায়িত্বে থাকা এসআই জাহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কথামতো গুলি খরচ দেখানো হয়েছে। ভাটারা থানায় গুলি দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এক থানায় ঘাটতি হলে আরেক থানা থেকে অফিস আদেশে নিয়েছে। এগুলো তদন্তে বের হবে।
মোহাম্মদপুর থানাও যেসব পুলিশ সদস্যের নামে গুলি খরচ দেখিয়েছে, তার সঙ্গে অস্ত্র বরাদ্দের তথ্যের মিল নেই। ১৮ জুলাই মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় সহিংসতার ঘটনায় করা মামলার এজাহারে সেদিন শটগানের ২ হাজারটি ও চায়নিজ রাইফেলের ১২০টি গুলির খরচ দেখানো হয়েছে। থানার ৪০ জন পুলিশ সদস্যের প্রত্যেকের বিপরীতে সমান শটগানের ৫০টি গুলি খরচ দেখানো হয়েছে। এসআই চয়ন সাহার নামে নাইন এমএম পিস্তল ইস্যু থাকলেও চায়নিজ রাইফেলের গুলি খরচ দেখানো হয়েছে। এই মামলার বাদী এসআই আদনান বিন আজাদ।
পুলিশ সূত্র জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ডিএমপির অপরাধ ও ট্রাফিক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও থানার অস্ত্রাগার থেকে চায়নিজ রাইফেলের গুলি, সাউন্ড গ্রেনেড এবং শটগানের গুলি নেন। তবে সেগুলো কারা, কোথায় খরচ করেছেন, সেই হিসাব তাঁরা না দেওয়ায় থানাগুলোতেও কোনো তথ্য নেই।
ডিএমপির সদর দপ্তরের একটি সূত্র জানায়, ওই আন্দোলনের সময় পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের সদস্যরা বিভিন্ন থানা এলাকায় মোতায়েন ছিলেন এবং গুলি শেষ হলে তাঁরা থানার অস্ত্র ও গুলি ব্যবহার করেন। কিন্তু গুলি খরচে তাঁদের নাম নেই, খরচ দেখানো হয় থানায় কর্মরত সদস্যদের নামে। কিছু পুলিশ সদস্য নিজেকে সরকারের আস্থাভাজন দেখাতে এবং ব্যক্তিগত সুবিধা পেতে নিজের নামে গুলি খরচ দেখানোর চেষ্টা করেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে গুলিবর্ষণকারীদের আড়াল করতে অন্যদের নামে গুলি খরচ দেখানো হয়েছে। এসব কারণে গুলি খরচের হিসাবে এই গরমিল।
আইনজীবীরা বলছেন, গুলিবর্ষণকারী ব্যক্তির নাম, অস্ত্রের নম্বর এবং গুলির প্রমাণ ছাড়া হত্যার অভিযোগ প্রমাণ করা কঠিন হবে। আইনজীবী এস এম শাহজাহান বলেন, যেহেতু অস্ত্র বরাদ্দ এবং গুলি খরচের তথ্য সঠিকভাবে রাখা হয়নি; সুতরাং ব্ল্যাস্টিক পরীক্ষার মাধ্যমে হত্যার প্রমাণ পাওয়া সম্ভব হবে না।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক বিভাগ জানিয়েছে, গুলি কোথা থেকে এসেছে, তা শনাক্ত করা কঠিন হবে।
আরও খবর পড়ুন:

বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে
১ ঘণ্টা আগে
ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
২ ঘণ্টা আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস নিয়োগ বিধিমালার ৬এর ২(এ) বিধি অনুযায়ী ওই ছয় শিক্ষানবিশ এএসপিকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে অতিরঞ্জিত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে বর্ণনা করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন মহলকে সংখ্যালঘু বিষয়ে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার জানান, গত বছরের তুলনায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই দেশের ব্যবসায়ী সমাজ নতুন নতুন খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই ঢাকা-করাচি সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হতে পারে।
পাকিস্তানি হাইকমিশনার জানান, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। বিশেষ করে চিকিৎসাবিজ্ঞান, ন্যানো টেকনোলজি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে পড়ার বিষয়ে অনেক শিক্ষার্থী আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
লিভার ও কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য বাংলাদেশি রোগীদের পাকিস্তানে যাওয়ার হার বাড়ছে উল্লেখ করে ইমরান হায়দার বলেন, পাকিস্তান এ-সংক্রান্ত বিশেষায়িত চিকিৎসাক্ষেত্রে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা প্রদানের সুযোগ দিতে প্রস্তুত।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান যোগাযোগকে স্বাগত জানান। তিনি সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক এবং সরাসরি জনযোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণের জন্য নতুন নতুন ক্ষেত্র খুঁজে বের করার পরামর্শ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
হাইকমিশনার ইমরান হায়দারের দায়িত্ব পালনকালে দুই দেশের মধ্যে যৌথ বিনিয়োগের নতুন দুয়ার উন্মোচিত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-বিষয়ক (এসডিজি) সমন্বয়কারী ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার জানান, গত বছরের তুলনায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই দেশের ব্যবসায়ী সমাজ নতুন নতুন খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই ঢাকা-করাচি সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হতে পারে।
পাকিস্তানি হাইকমিশনার জানান, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। বিশেষ করে চিকিৎসাবিজ্ঞান, ন্যানো টেকনোলজি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে পড়ার বিষয়ে অনেক শিক্ষার্থী আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
লিভার ও কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য বাংলাদেশি রোগীদের পাকিস্তানে যাওয়ার হার বাড়ছে উল্লেখ করে ইমরান হায়দার বলেন, পাকিস্তান এ-সংক্রান্ত বিশেষায়িত চিকিৎসাক্ষেত্রে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা প্রদানের সুযোগ দিতে প্রস্তুত।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান যোগাযোগকে স্বাগত জানান। তিনি সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক এবং সরাসরি জনযোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণের জন্য নতুন নতুন ক্ষেত্র খুঁজে বের করার পরামর্শ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
হাইকমিশনার ইমরান হায়দারের দায়িত্ব পালনকালে দুই দেশের মধ্যে যৌথ বিনিয়োগের নতুন দুয়ার উন্মোচিত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-বিষয়ক (এসডিজি) সমন্বয়কারী ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

গত বছরের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর বিভিন্ন থানায় পুলিশ সদস্যদের বরাদ্দ করা আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলির হিসাবে গরমিল পাওয়া গেছে। থানার নিবন্ধন খাতার তথ্যের সঙ্গে মামলার এজাহারে বর্ণিত অস্ত্র ও গুলির তথ্যে এ অমিল রয়েছে। এমনকি অস্ত্র বরাদ্দ করা এবং ব্যবহারকারী সদস্যের নামও ভিন্ন।
০৬ এপ্রিল ২০২৫
ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
২ ঘণ্টা আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস নিয়োগ বিধিমালার ৬এর ২(এ) বিধি অনুযায়ী ওই ছয় শিক্ষানবিশ এএসপিকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে অতিরঞ্জিত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে বর্ণনা করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন মহলকে সংখ্যালঘু বিষয়ে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
আজ বিআইডব্লিউটিএর জারি করা এক বিশেষ নৌ চলাচল বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে যেসব লঞ্চ নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রাপথে রয়েছে, সেসবসহ অন্য সব নৌযানকে অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল বিধিমালা, ১৯৭৬ অনুসরণ করে চলাচল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে গত বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি জাকির সম্রাট-৩ ও বরিশালগামী অ্যাডভেঞ্চার-৯ নামে দুই লঞ্চের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় চার যাত্রী নিহত হন এবং আহত হন বেশ কয়েকজন।

ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
আজ বিআইডব্লিউটিএর জারি করা এক বিশেষ নৌ চলাচল বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে যেসব লঞ্চ নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রাপথে রয়েছে, সেসবসহ অন্য সব নৌযানকে অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল বিধিমালা, ১৯৭৬ অনুসরণ করে চলাচল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে গত বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি জাকির সম্রাট-৩ ও বরিশালগামী অ্যাডভেঞ্চার-৯ নামে দুই লঞ্চের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় চার যাত্রী নিহত হন এবং আহত হন বেশ কয়েকজন।

গত বছরের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর বিভিন্ন থানায় পুলিশ সদস্যদের বরাদ্দ করা আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলির হিসাবে গরমিল পাওয়া গেছে। থানার নিবন্ধন খাতার তথ্যের সঙ্গে মামলার এজাহারে বর্ণিত অস্ত্র ও গুলির তথ্যে এ অমিল রয়েছে। এমনকি অস্ত্র বরাদ্দ করা এবং ব্যবহারকারী সদস্যের নামও ভিন্ন।
০৬ এপ্রিল ২০২৫
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে
১ ঘণ্টা আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস নিয়োগ বিধিমালার ৬এর ২(এ) বিধি অনুযায়ী ওই ছয় শিক্ষানবিশ এএসপিকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে অতিরঞ্জিত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে বর্ণনা করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন মহলকে সংখ্যালঘু বিষয়ে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

৪১তম বিসিএস ব্যাচে নিয়োগ পাওয়া ছয় শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারকে (এএসপি) চাকরি থেকে অপসারণ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। অপসারণ করা এএসপিরা হলেন মো. দেলোয়ার হোসেন, মাহমুদুল হক, মো. ইসহাক হোসেন, মো. মশিউর রহমান, মুহাম্মদ রাকিব আনোয়ার ও সাঈদ করিম মুগ্ধ।
আজ রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ-১ শাখার জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস নিয়োগ বিধিমালার ৬এর ২(এ) বিধি অনুযায়ী ওই ছয় শিক্ষানবিশ এএসপিকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
বিধিতে বলা আছে, শিক্ষানবিশ মেয়াদ চলাকালে কেউ সংশ্লিষ্ট চাকরিতে বহাল থাকার অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হলে সরকারি কর্ম কমিশনের সঙ্গে পরামর্শ না করেই সরাসরি নিয়োগ অবসান করতে পারবে সরকার।

৪১তম বিসিএস ব্যাচে নিয়োগ পাওয়া ছয় শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারকে (এএসপি) চাকরি থেকে অপসারণ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। অপসারণ করা এএসপিরা হলেন মো. দেলোয়ার হোসেন, মাহমুদুল হক, মো. ইসহাক হোসেন, মো. মশিউর রহমান, মুহাম্মদ রাকিব আনোয়ার ও সাঈদ করিম মুগ্ধ।
আজ রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ-১ শাখার জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস নিয়োগ বিধিমালার ৬এর ২(এ) বিধি অনুযায়ী ওই ছয় শিক্ষানবিশ এএসপিকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
বিধিতে বলা আছে, শিক্ষানবিশ মেয়াদ চলাকালে কেউ সংশ্লিষ্ট চাকরিতে বহাল থাকার অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হলে সরকারি কর্ম কমিশনের সঙ্গে পরামর্শ না করেই সরাসরি নিয়োগ অবসান করতে পারবে সরকার।

গত বছরের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর বিভিন্ন থানায় পুলিশ সদস্যদের বরাদ্দ করা আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলির হিসাবে গরমিল পাওয়া গেছে। থানার নিবন্ধন খাতার তথ্যের সঙ্গে মামলার এজাহারে বর্ণিত অস্ত্র ও গুলির তথ্যে এ অমিল রয়েছে। এমনকি অস্ত্র বরাদ্দ করা এবং ব্যবহারকারী সদস্যের নামও ভিন্ন।
০৬ এপ্রিল ২০২৫
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে
১ ঘণ্টা আগে
ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে অতিরঞ্জিত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে বর্ণনা করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন মহলকে সংখ্যালঘু বিষয়ে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে অতিরঞ্জিত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে বর্ণনা করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন মহলকে সংখ্যালঘু বিষয়ে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা।
আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এস এম মাহবুবুল আলম এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন। তিনি বিকেলে সাংবাদিকদের এই বিবৃতির কথা জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্য আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তাঁর মন্তব্য বাস্তব পরিস্থিতির প্রতিফলন নয়। বাংলাদেশ সরকারের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে এমন কোনো বিভ্রান্তিকর, অতিরঞ্জিত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বর্ণনা বাংলাদেশ সরকার স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করে।’
বিচ্ছিন্ন কিছু অপরাধমূলক ঘটনাকে পরিকল্পিতভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর প্রাতিষ্ঠানিক নিপীড়ন হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে। এতে আরও বলা হয়, ভারতের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশবিরোধী মনোভাব ছড়িয়ে দিতে সেটার অপব্যবহার করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, কিছু মহলে বাছাই করা ও পক্ষপাতদুষ্ট দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলোকে অতিরঞ্জিত ও বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে সাধারণ ভারতীয় জনগণকে বাংলাদেশ, ভারতের বাংলাদেশি কূটনৈতিক মিশন এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে উসকে দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র যে ব্যক্তির উদাহরণ দিয়েছেন, তিনি ছিলেন তালিকাভুক্ত অপরাধী। চাঁদাবাজির সময় তাঁর মুসলিম সহযোগীর সঙ্গে থাকা অবস্থায় তাঁর দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যু ঘটে, যাঁকে পরে গ্রেপ্তার করা হয়। এই অপরাধমূলক ঘটনাকে সংখ্যালঘুদের প্রতি আচরণের প্রেক্ষাপটে উপস্থাপন করা বাস্তবসম্মত নয়, বরং বিভ্রান্তিকর।
বাংলাদেশ সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ভারতের বিভিন্ন মহলকে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছে, যা সুপ্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক ও পারস্পরিক আস্থার চেতনাকে ক্ষুণ্ন করে।
আরও পড়ুন:

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে অতিরঞ্জিত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে বর্ণনা করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন মহলকে সংখ্যালঘু বিষয়ে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা।
আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এস এম মাহবুবুল আলম এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন। তিনি বিকেলে সাংবাদিকদের এই বিবৃতির কথা জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্য আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তাঁর মন্তব্য বাস্তব পরিস্থিতির প্রতিফলন নয়। বাংলাদেশ সরকারের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে এমন কোনো বিভ্রান্তিকর, অতিরঞ্জিত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বর্ণনা বাংলাদেশ সরকার স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করে।’
বিচ্ছিন্ন কিছু অপরাধমূলক ঘটনাকে পরিকল্পিতভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর প্রাতিষ্ঠানিক নিপীড়ন হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে। এতে আরও বলা হয়, ভারতের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশবিরোধী মনোভাব ছড়িয়ে দিতে সেটার অপব্যবহার করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, কিছু মহলে বাছাই করা ও পক্ষপাতদুষ্ট দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলোকে অতিরঞ্জিত ও বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে সাধারণ ভারতীয় জনগণকে বাংলাদেশ, ভারতের বাংলাদেশি কূটনৈতিক মিশন এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে উসকে দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র যে ব্যক্তির উদাহরণ দিয়েছেন, তিনি ছিলেন তালিকাভুক্ত অপরাধী। চাঁদাবাজির সময় তাঁর মুসলিম সহযোগীর সঙ্গে থাকা অবস্থায় তাঁর দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যু ঘটে, যাঁকে পরে গ্রেপ্তার করা হয়। এই অপরাধমূলক ঘটনাকে সংখ্যালঘুদের প্রতি আচরণের প্রেক্ষাপটে উপস্থাপন করা বাস্তবসম্মত নয়, বরং বিভ্রান্তিকর।
বাংলাদেশ সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ভারতের বিভিন্ন মহলকে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছে, যা সুপ্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক ও পারস্পরিক আস্থার চেতনাকে ক্ষুণ্ন করে।
আরও পড়ুন:

গত বছরের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর বিভিন্ন থানায় পুলিশ সদস্যদের বরাদ্দ করা আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলির হিসাবে গরমিল পাওয়া গেছে। থানার নিবন্ধন খাতার তথ্যের সঙ্গে মামলার এজাহারে বর্ণিত অস্ত্র ও গুলির তথ্যে এ অমিল রয়েছে। এমনকি অস্ত্র বরাদ্দ করা এবং ব্যবহারকারী সদস্যের নামও ভিন্ন।
০৬ এপ্রিল ২০২৫
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে
১ ঘণ্টা আগে
ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
২ ঘণ্টা আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস নিয়োগ বিধিমালার ৬এর ২(এ) বিধি অনুযায়ী ওই ছয় শিক্ষানবিশ এএসপিকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে