সবুজ শর্মা শাকিল, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম)

বহু পুরোনো জরাজীর্ণ মন্দির। মন্দিরের দেয়াল থেকে খসে পড়া আস্তরণের ওপরে উঠেছে তৃণলতাসহ বিভিন্ন ধরনের আগাছা। ভেতরে রয়েছে চতুর্ভুজ আকৃতির কুণ্ডলী। সে কুণ্ডলীতে থাকা স্বচ্ছ জলের তলা থেকে বুদ্বুদ শব্দে ওপরে উঠছে পানি। তার ওপর দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। জনশ্রুতি রয়েছে হাজার হাজার বছর ধরে অগভীর এ কুণ্ডের পানির ওপর আগুন জ্বললেও পানি একেবারে ঠান্ডা। গল্পটা চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের গহিন পাহাড়ের ভেতরে থাকা সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র তীর্থপীঠ বাড়বানল ‘অগ্নিকুণ্ড’ মন্দিরের।
লৌকিক নানা ধরনের কাহিনি রয়েছি এ মন্দিরকে ঘিরে। সনাতনী ধর্মপ্রাণ মানুষের বিশ্বাস—সত্য যুগ থেকে ঐশ্বরিকভাবে এই অগ্নিকুণ্ডে জ্বলছে আগুন। যা এখনো নামেনি। অন্যদিকে ভূতত্ত্ববিদদের মতে মিথেন গ্যাসের কারণে জ্বলছে অগ্নিকুণ্ডের এই আগুন। পুণ্যার্থীদের পাশাপাশি সাধারণ পর্যটকদেরও আকৃষ্ট করছে বাড়বানল ‘অগ্নিকুণ্ড’ মন্দির।
স্থানীয় ধর্মপ্রাণ সনাতনীরা জানিয়েছেন, অগ্নিকুণ্ড মন্দিরটি কত সালে নির্মাণ করা হয়েছে তার সঠিক ইতিহাস এখনো জানা যায়নি। চন্দ্রনাথ পঞ্চ ক্রোশের একটি মহা তীর্থস্থান এ অগ্নিকুণ্ড। এ অগ্নিকুণ্ডকে ঘিরেই প্রাচীনকাল থেকেই শিবের অষ্টমূর্তির প্রতীকে অষ্টলিঙ্গমূর্তি প্রতিষ্ঠিত। আর তাকে ঘিরেই এ অগ্নিকুণ্ড মন্দির প্রতিষ্ঠিত। মন্দিরটি প্রতিষ্ঠার সঠিক ইতিহাস জানা না গেলেও ১৫০১-১৫১০ সালের মধ্যে ত্রিপুরার রাজা ধন্যমাণিক্য চট্টগ্রাম পরিভ্রমণকালে এই অগ্নিকুণ্ড মন্দিরে আসেন। তখন তিনি নিজ উদ্যোগে এ মন্দিরটি সংস্কার করেন।
উইকিপিডিয়ার তথ্যানুসারে, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র তীর্থপীঠ বাড়বানলের এ অগ্নিকুণ্ডের নাম অনুসারে ইউনিয়নটির নাম হয়েছে বাড়বকুণ্ড। যা জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইটেও উল্লেখ করা রয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, সবুজ বৃক্ষরাজিতে ঘেরা দুটি পাহাড়ের মাঝের একটি টিলার মধ্যে অগ্নিকুণ্ড মন্দিরটি রয়েছে। জরাজীর্ণ দ্বিতল ভবনের মন্দিরটি ওপর থেকে সিঁড়ি বয়ে গেছে নিচ অবধি। ভবনটির নিচতলার খোলা কক্ষের মাঝখানে রয়েছে চতুর্ভুজ আকৃতির ১০ বর্গফুটের একটি ছোট্ট কুণ্ড। আর সেই কুণ্ডটি দুই ভাগে বিভক্ত। দক্ষিণের অংশে দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। আর উত্তরের অংশে থাকা পানির নিচ থেকে উঠছে বুদ্বুদ শব্দ। কুণ্ডের যে অংশে আগুন জলে সে অংশে দাঁড়ানো ভক্তদের আগুনে আঁচ থেকে রক্ষা করতে ইট–সিমেন্টের দেয়াল তুলে চুলার মতো করে দেওয়া হয়েছে। আর সেখানে আসা ভক্তরা অগ্নিকুণ্ডের পানিতে স্নান সেরে ভক্তি সহকারে পূজা-অর্চনা করছেন।

অগ্নিকুণ্ড মন্দির থেকে ওপরে উঠলেই চোখে পড়ে শনিবাড়ি, বিষ্ণু মন্দির, জগন্নাথ মন্দির, ত্রিনাথ মন্দির, শিব মন্দির ও অন্নপূর্ণা মন্দির। এ ছাড়া অগ্নিকুণ্ডের পাশেই রয়েছে বাড়বকুণ্ড ও কালভৈরব মন্দির। অগ্নিকুণ্ড মন্দিরে আগত সনাতনী ভক্তরা স্নান শেষে ভক্তিভরে দর্শন করেন এসব মন্দির।
চার বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে অগ্নিকুণ্ড মন্দির দর্শনে হাটহাজারী থেকে আসেন পুণ্যার্থী টিপলু পালিত। তিনি জানান, অগ্নিকুণ্ড মন্দির দর্শন ও কুণ্ডের পানিতে স্নান করার উদ্দেশ্যে তাঁরা চার বন্ধু একসঙ্গে ছুটে এসেছেন। তাঁরা দুপুরে মন্দিরে পৌঁছে অগ্নিকুণ্ডে স্নান সেরেছেন। তারপর অগ্নিকুণ্ডের আশপাশে থাকা সব মন্দিরে করেছেন পূজা–অর্চনা।
আলাপ হয় নগরীর কাট্টলী থেকে আসা সনাতনী পুণ্যার্থী সৈকত নাথ ও অরূপ ভৌমিকের সঙ্গে। তাঁরা জানান, সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষের চন্দ্রনাথ দর্শনের পরে অবশ্যই বাড়বকুণ্ড অগ্নিকুণ্ড মন্দির দর্শন ও এখানে থাকা অগ্নিকুণ্ডে স্নান করতে হয়। তা না হলে অসম্পূর্ণ রয়ে যায় তীর্থ দর্শন। তাই তাঁরা মহাদেবের সান্নিধ্য লাভে চন্দ্রনাথ দর্শন শেষে অগ্নিকুণ্ডে এসে স্নান সেরেছেন।

অগ্নিকুণ্ড মন্দিরের সেবায়েত কালী নারায়ণ ভারতী জানান, তাঁরা বংশ পরম্পরায় শত শত বছর ধরে এ মন্দিরের পূজা–অর্চনা করে আসছেন। সুপ্রাচীন কাল থেকে বাড়বকুণ্ডের অগ্নিকুণ্ডে দৈব শক্তির প্রভাবে আগুন জ্বলছে। আর এ আগুনে স্বয়ং অগ্নিদেবতা বিরাজমান রয়েছে বলেই তা হাজার বছরেও নামেনি।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) উপব্যবস্থাপক মনির হোসেন বলেন, অগ্নিকুণ্ডে আগুনের রহস্য উদ্ঘাটনে একাধিকবার জরিপ করা হয়েছে। জরিপকালে বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলনের কোনো গ্যাস মজুত রয়েছে, এমন তথ্য মেলেনি। ধারণা করছি, কম চাপ সম্পূর্ণ পকেট গ্যাসের কারণেই এ অগ্নিকুণ্ডে আগুন জ্বলছে।
বাড়বানল অগ্নিকুণ্ডে যেভাবে যেতে হবে
প্রথমে বাসে করে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাড়বকুণ্ড বাজারে এসে নামতে হবে। তারপর রিকশায় করে বাজারের ভেতরের দিয়ে পূর্ব দিকের রেললাইন পার হয়ে পাহাড়ের ভেতরে যেতে হবে। পাহাড়ি রাস্তা, ঝিরিপথ ও আঁকাবাঁকা সড়কের কিছু দূর গেলেই পথের দুই ধারে চোখে পড়বে লাল পেয়ারাবাগান। সেই সঙ্গে কানে ভেসে আসবে পাখ-পাখালির কিচিরমিচির। দুই পাহাড়ের মাঝে থাকা প্রাকৃতিক ছড়ার সামান্য অংশ পায়ে মাড়িয়ে একটু হেঁটে গেলেই দৃষ্টিগোচর হবে বাড়ববানল অগ্নিকুণ্ড মন্দির।

বহু পুরোনো জরাজীর্ণ মন্দির। মন্দিরের দেয়াল থেকে খসে পড়া আস্তরণের ওপরে উঠেছে তৃণলতাসহ বিভিন্ন ধরনের আগাছা। ভেতরে রয়েছে চতুর্ভুজ আকৃতির কুণ্ডলী। সে কুণ্ডলীতে থাকা স্বচ্ছ জলের তলা থেকে বুদ্বুদ শব্দে ওপরে উঠছে পানি। তার ওপর দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। জনশ্রুতি রয়েছে হাজার হাজার বছর ধরে অগভীর এ কুণ্ডের পানির ওপর আগুন জ্বললেও পানি একেবারে ঠান্ডা। গল্পটা চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের গহিন পাহাড়ের ভেতরে থাকা সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র তীর্থপীঠ বাড়বানল ‘অগ্নিকুণ্ড’ মন্দিরের।
লৌকিক নানা ধরনের কাহিনি রয়েছি এ মন্দিরকে ঘিরে। সনাতনী ধর্মপ্রাণ মানুষের বিশ্বাস—সত্য যুগ থেকে ঐশ্বরিকভাবে এই অগ্নিকুণ্ডে জ্বলছে আগুন। যা এখনো নামেনি। অন্যদিকে ভূতত্ত্ববিদদের মতে মিথেন গ্যাসের কারণে জ্বলছে অগ্নিকুণ্ডের এই আগুন। পুণ্যার্থীদের পাশাপাশি সাধারণ পর্যটকদেরও আকৃষ্ট করছে বাড়বানল ‘অগ্নিকুণ্ড’ মন্দির।
স্থানীয় ধর্মপ্রাণ সনাতনীরা জানিয়েছেন, অগ্নিকুণ্ড মন্দিরটি কত সালে নির্মাণ করা হয়েছে তার সঠিক ইতিহাস এখনো জানা যায়নি। চন্দ্রনাথ পঞ্চ ক্রোশের একটি মহা তীর্থস্থান এ অগ্নিকুণ্ড। এ অগ্নিকুণ্ডকে ঘিরেই প্রাচীনকাল থেকেই শিবের অষ্টমূর্তির প্রতীকে অষ্টলিঙ্গমূর্তি প্রতিষ্ঠিত। আর তাকে ঘিরেই এ অগ্নিকুণ্ড মন্দির প্রতিষ্ঠিত। মন্দিরটি প্রতিষ্ঠার সঠিক ইতিহাস জানা না গেলেও ১৫০১-১৫১০ সালের মধ্যে ত্রিপুরার রাজা ধন্যমাণিক্য চট্টগ্রাম পরিভ্রমণকালে এই অগ্নিকুণ্ড মন্দিরে আসেন। তখন তিনি নিজ উদ্যোগে এ মন্দিরটি সংস্কার করেন।
উইকিপিডিয়ার তথ্যানুসারে, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র তীর্থপীঠ বাড়বানলের এ অগ্নিকুণ্ডের নাম অনুসারে ইউনিয়নটির নাম হয়েছে বাড়বকুণ্ড। যা জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইটেও উল্লেখ করা রয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, সবুজ বৃক্ষরাজিতে ঘেরা দুটি পাহাড়ের মাঝের একটি টিলার মধ্যে অগ্নিকুণ্ড মন্দিরটি রয়েছে। জরাজীর্ণ দ্বিতল ভবনের মন্দিরটি ওপর থেকে সিঁড়ি বয়ে গেছে নিচ অবধি। ভবনটির নিচতলার খোলা কক্ষের মাঝখানে রয়েছে চতুর্ভুজ আকৃতির ১০ বর্গফুটের একটি ছোট্ট কুণ্ড। আর সেই কুণ্ডটি দুই ভাগে বিভক্ত। দক্ষিণের অংশে দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। আর উত্তরের অংশে থাকা পানির নিচ থেকে উঠছে বুদ্বুদ শব্দ। কুণ্ডের যে অংশে আগুন জলে সে অংশে দাঁড়ানো ভক্তদের আগুনে আঁচ থেকে রক্ষা করতে ইট–সিমেন্টের দেয়াল তুলে চুলার মতো করে দেওয়া হয়েছে। আর সেখানে আসা ভক্তরা অগ্নিকুণ্ডের পানিতে স্নান সেরে ভক্তি সহকারে পূজা-অর্চনা করছেন।

অগ্নিকুণ্ড মন্দির থেকে ওপরে উঠলেই চোখে পড়ে শনিবাড়ি, বিষ্ণু মন্দির, জগন্নাথ মন্দির, ত্রিনাথ মন্দির, শিব মন্দির ও অন্নপূর্ণা মন্দির। এ ছাড়া অগ্নিকুণ্ডের পাশেই রয়েছে বাড়বকুণ্ড ও কালভৈরব মন্দির। অগ্নিকুণ্ড মন্দিরে আগত সনাতনী ভক্তরা স্নান শেষে ভক্তিভরে দর্শন করেন এসব মন্দির।
চার বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে অগ্নিকুণ্ড মন্দির দর্শনে হাটহাজারী থেকে আসেন পুণ্যার্থী টিপলু পালিত। তিনি জানান, অগ্নিকুণ্ড মন্দির দর্শন ও কুণ্ডের পানিতে স্নান করার উদ্দেশ্যে তাঁরা চার বন্ধু একসঙ্গে ছুটে এসেছেন। তাঁরা দুপুরে মন্দিরে পৌঁছে অগ্নিকুণ্ডে স্নান সেরেছেন। তারপর অগ্নিকুণ্ডের আশপাশে থাকা সব মন্দিরে করেছেন পূজা–অর্চনা।
আলাপ হয় নগরীর কাট্টলী থেকে আসা সনাতনী পুণ্যার্থী সৈকত নাথ ও অরূপ ভৌমিকের সঙ্গে। তাঁরা জানান, সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষের চন্দ্রনাথ দর্শনের পরে অবশ্যই বাড়বকুণ্ড অগ্নিকুণ্ড মন্দির দর্শন ও এখানে থাকা অগ্নিকুণ্ডে স্নান করতে হয়। তা না হলে অসম্পূর্ণ রয়ে যায় তীর্থ দর্শন। তাই তাঁরা মহাদেবের সান্নিধ্য লাভে চন্দ্রনাথ দর্শন শেষে অগ্নিকুণ্ডে এসে স্নান সেরেছেন।

অগ্নিকুণ্ড মন্দিরের সেবায়েত কালী নারায়ণ ভারতী জানান, তাঁরা বংশ পরম্পরায় শত শত বছর ধরে এ মন্দিরের পূজা–অর্চনা করে আসছেন। সুপ্রাচীন কাল থেকে বাড়বকুণ্ডের অগ্নিকুণ্ডে দৈব শক্তির প্রভাবে আগুন জ্বলছে। আর এ আগুনে স্বয়ং অগ্নিদেবতা বিরাজমান রয়েছে বলেই তা হাজার বছরেও নামেনি।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) উপব্যবস্থাপক মনির হোসেন বলেন, অগ্নিকুণ্ডে আগুনের রহস্য উদ্ঘাটনে একাধিকবার জরিপ করা হয়েছে। জরিপকালে বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলনের কোনো গ্যাস মজুত রয়েছে, এমন তথ্য মেলেনি। ধারণা করছি, কম চাপ সম্পূর্ণ পকেট গ্যাসের কারণেই এ অগ্নিকুণ্ডে আগুন জ্বলছে।
বাড়বানল অগ্নিকুণ্ডে যেভাবে যেতে হবে
প্রথমে বাসে করে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাড়বকুণ্ড বাজারে এসে নামতে হবে। তারপর রিকশায় করে বাজারের ভেতরের দিয়ে পূর্ব দিকের রেললাইন পার হয়ে পাহাড়ের ভেতরে যেতে হবে। পাহাড়ি রাস্তা, ঝিরিপথ ও আঁকাবাঁকা সড়কের কিছু দূর গেলেই পথের দুই ধারে চোখে পড়বে লাল পেয়ারাবাগান। সেই সঙ্গে কানে ভেসে আসবে পাখ-পাখালির কিচিরমিচির। দুই পাহাড়ের মাঝে থাকা প্রাকৃতিক ছড়ার সামান্য অংশ পায়ে মাড়িয়ে একটু হেঁটে গেলেই দৃষ্টিগোচর হবে বাড়ববানল অগ্নিকুণ্ড মন্দির।
সবুজ শর্মা শাকিল, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম)

বহু পুরোনো জরাজীর্ণ মন্দির। মন্দিরের দেয়াল থেকে খসে পড়া আস্তরণের ওপরে উঠেছে তৃণলতাসহ বিভিন্ন ধরনের আগাছা। ভেতরে রয়েছে চতুর্ভুজ আকৃতির কুণ্ডলী। সে কুণ্ডলীতে থাকা স্বচ্ছ জলের তলা থেকে বুদ্বুদ শব্দে ওপরে উঠছে পানি। তার ওপর দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। জনশ্রুতি রয়েছে হাজার হাজার বছর ধরে অগভীর এ কুণ্ডের পানির ওপর আগুন জ্বললেও পানি একেবারে ঠান্ডা। গল্পটা চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের গহিন পাহাড়ের ভেতরে থাকা সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র তীর্থপীঠ বাড়বানল ‘অগ্নিকুণ্ড’ মন্দিরের।
লৌকিক নানা ধরনের কাহিনি রয়েছি এ মন্দিরকে ঘিরে। সনাতনী ধর্মপ্রাণ মানুষের বিশ্বাস—সত্য যুগ থেকে ঐশ্বরিকভাবে এই অগ্নিকুণ্ডে জ্বলছে আগুন। যা এখনো নামেনি। অন্যদিকে ভূতত্ত্ববিদদের মতে মিথেন গ্যাসের কারণে জ্বলছে অগ্নিকুণ্ডের এই আগুন। পুণ্যার্থীদের পাশাপাশি সাধারণ পর্যটকদেরও আকৃষ্ট করছে বাড়বানল ‘অগ্নিকুণ্ড’ মন্দির।
স্থানীয় ধর্মপ্রাণ সনাতনীরা জানিয়েছেন, অগ্নিকুণ্ড মন্দিরটি কত সালে নির্মাণ করা হয়েছে তার সঠিক ইতিহাস এখনো জানা যায়নি। চন্দ্রনাথ পঞ্চ ক্রোশের একটি মহা তীর্থস্থান এ অগ্নিকুণ্ড। এ অগ্নিকুণ্ডকে ঘিরেই প্রাচীনকাল থেকেই শিবের অষ্টমূর্তির প্রতীকে অষ্টলিঙ্গমূর্তি প্রতিষ্ঠিত। আর তাকে ঘিরেই এ অগ্নিকুণ্ড মন্দির প্রতিষ্ঠিত। মন্দিরটি প্রতিষ্ঠার সঠিক ইতিহাস জানা না গেলেও ১৫০১-১৫১০ সালের মধ্যে ত্রিপুরার রাজা ধন্যমাণিক্য চট্টগ্রাম পরিভ্রমণকালে এই অগ্নিকুণ্ড মন্দিরে আসেন। তখন তিনি নিজ উদ্যোগে এ মন্দিরটি সংস্কার করেন।
উইকিপিডিয়ার তথ্যানুসারে, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র তীর্থপীঠ বাড়বানলের এ অগ্নিকুণ্ডের নাম অনুসারে ইউনিয়নটির নাম হয়েছে বাড়বকুণ্ড। যা জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইটেও উল্লেখ করা রয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, সবুজ বৃক্ষরাজিতে ঘেরা দুটি পাহাড়ের মাঝের একটি টিলার মধ্যে অগ্নিকুণ্ড মন্দিরটি রয়েছে। জরাজীর্ণ দ্বিতল ভবনের মন্দিরটি ওপর থেকে সিঁড়ি বয়ে গেছে নিচ অবধি। ভবনটির নিচতলার খোলা কক্ষের মাঝখানে রয়েছে চতুর্ভুজ আকৃতির ১০ বর্গফুটের একটি ছোট্ট কুণ্ড। আর সেই কুণ্ডটি দুই ভাগে বিভক্ত। দক্ষিণের অংশে দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। আর উত্তরের অংশে থাকা পানির নিচ থেকে উঠছে বুদ্বুদ শব্দ। কুণ্ডের যে অংশে আগুন জলে সে অংশে দাঁড়ানো ভক্তদের আগুনে আঁচ থেকে রক্ষা করতে ইট–সিমেন্টের দেয়াল তুলে চুলার মতো করে দেওয়া হয়েছে। আর সেখানে আসা ভক্তরা অগ্নিকুণ্ডের পানিতে স্নান সেরে ভক্তি সহকারে পূজা-অর্চনা করছেন।

অগ্নিকুণ্ড মন্দির থেকে ওপরে উঠলেই চোখে পড়ে শনিবাড়ি, বিষ্ণু মন্দির, জগন্নাথ মন্দির, ত্রিনাথ মন্দির, শিব মন্দির ও অন্নপূর্ণা মন্দির। এ ছাড়া অগ্নিকুণ্ডের পাশেই রয়েছে বাড়বকুণ্ড ও কালভৈরব মন্দির। অগ্নিকুণ্ড মন্দিরে আগত সনাতনী ভক্তরা স্নান শেষে ভক্তিভরে দর্শন করেন এসব মন্দির।
চার বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে অগ্নিকুণ্ড মন্দির দর্শনে হাটহাজারী থেকে আসেন পুণ্যার্থী টিপলু পালিত। তিনি জানান, অগ্নিকুণ্ড মন্দির দর্শন ও কুণ্ডের পানিতে স্নান করার উদ্দেশ্যে তাঁরা চার বন্ধু একসঙ্গে ছুটে এসেছেন। তাঁরা দুপুরে মন্দিরে পৌঁছে অগ্নিকুণ্ডে স্নান সেরেছেন। তারপর অগ্নিকুণ্ডের আশপাশে থাকা সব মন্দিরে করেছেন পূজা–অর্চনা।
আলাপ হয় নগরীর কাট্টলী থেকে আসা সনাতনী পুণ্যার্থী সৈকত নাথ ও অরূপ ভৌমিকের সঙ্গে। তাঁরা জানান, সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষের চন্দ্রনাথ দর্শনের পরে অবশ্যই বাড়বকুণ্ড অগ্নিকুণ্ড মন্দির দর্শন ও এখানে থাকা অগ্নিকুণ্ডে স্নান করতে হয়। তা না হলে অসম্পূর্ণ রয়ে যায় তীর্থ দর্শন। তাই তাঁরা মহাদেবের সান্নিধ্য লাভে চন্দ্রনাথ দর্শন শেষে অগ্নিকুণ্ডে এসে স্নান সেরেছেন।

অগ্নিকুণ্ড মন্দিরের সেবায়েত কালী নারায়ণ ভারতী জানান, তাঁরা বংশ পরম্পরায় শত শত বছর ধরে এ মন্দিরের পূজা–অর্চনা করে আসছেন। সুপ্রাচীন কাল থেকে বাড়বকুণ্ডের অগ্নিকুণ্ডে দৈব শক্তির প্রভাবে আগুন জ্বলছে। আর এ আগুনে স্বয়ং অগ্নিদেবতা বিরাজমান রয়েছে বলেই তা হাজার বছরেও নামেনি।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) উপব্যবস্থাপক মনির হোসেন বলেন, অগ্নিকুণ্ডে আগুনের রহস্য উদ্ঘাটনে একাধিকবার জরিপ করা হয়েছে। জরিপকালে বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলনের কোনো গ্যাস মজুত রয়েছে, এমন তথ্য মেলেনি। ধারণা করছি, কম চাপ সম্পূর্ণ পকেট গ্যাসের কারণেই এ অগ্নিকুণ্ডে আগুন জ্বলছে।
বাড়বানল অগ্নিকুণ্ডে যেভাবে যেতে হবে
প্রথমে বাসে করে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাড়বকুণ্ড বাজারে এসে নামতে হবে। তারপর রিকশায় করে বাজারের ভেতরের দিয়ে পূর্ব দিকের রেললাইন পার হয়ে পাহাড়ের ভেতরে যেতে হবে। পাহাড়ি রাস্তা, ঝিরিপথ ও আঁকাবাঁকা সড়কের কিছু দূর গেলেই পথের দুই ধারে চোখে পড়বে লাল পেয়ারাবাগান। সেই সঙ্গে কানে ভেসে আসবে পাখ-পাখালির কিচিরমিচির। দুই পাহাড়ের মাঝে থাকা প্রাকৃতিক ছড়ার সামান্য অংশ পায়ে মাড়িয়ে একটু হেঁটে গেলেই দৃষ্টিগোচর হবে বাড়ববানল অগ্নিকুণ্ড মন্দির।

বহু পুরোনো জরাজীর্ণ মন্দির। মন্দিরের দেয়াল থেকে খসে পড়া আস্তরণের ওপরে উঠেছে তৃণলতাসহ বিভিন্ন ধরনের আগাছা। ভেতরে রয়েছে চতুর্ভুজ আকৃতির কুণ্ডলী। সে কুণ্ডলীতে থাকা স্বচ্ছ জলের তলা থেকে বুদ্বুদ শব্দে ওপরে উঠছে পানি। তার ওপর দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। জনশ্রুতি রয়েছে হাজার হাজার বছর ধরে অগভীর এ কুণ্ডের পানির ওপর আগুন জ্বললেও পানি একেবারে ঠান্ডা। গল্পটা চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের গহিন পাহাড়ের ভেতরে থাকা সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র তীর্থপীঠ বাড়বানল ‘অগ্নিকুণ্ড’ মন্দিরের।
লৌকিক নানা ধরনের কাহিনি রয়েছি এ মন্দিরকে ঘিরে। সনাতনী ধর্মপ্রাণ মানুষের বিশ্বাস—সত্য যুগ থেকে ঐশ্বরিকভাবে এই অগ্নিকুণ্ডে জ্বলছে আগুন। যা এখনো নামেনি। অন্যদিকে ভূতত্ত্ববিদদের মতে মিথেন গ্যাসের কারণে জ্বলছে অগ্নিকুণ্ডের এই আগুন। পুণ্যার্থীদের পাশাপাশি সাধারণ পর্যটকদেরও আকৃষ্ট করছে বাড়বানল ‘অগ্নিকুণ্ড’ মন্দির।
স্থানীয় ধর্মপ্রাণ সনাতনীরা জানিয়েছেন, অগ্নিকুণ্ড মন্দিরটি কত সালে নির্মাণ করা হয়েছে তার সঠিক ইতিহাস এখনো জানা যায়নি। চন্দ্রনাথ পঞ্চ ক্রোশের একটি মহা তীর্থস্থান এ অগ্নিকুণ্ড। এ অগ্নিকুণ্ডকে ঘিরেই প্রাচীনকাল থেকেই শিবের অষ্টমূর্তির প্রতীকে অষ্টলিঙ্গমূর্তি প্রতিষ্ঠিত। আর তাকে ঘিরেই এ অগ্নিকুণ্ড মন্দির প্রতিষ্ঠিত। মন্দিরটি প্রতিষ্ঠার সঠিক ইতিহাস জানা না গেলেও ১৫০১-১৫১০ সালের মধ্যে ত্রিপুরার রাজা ধন্যমাণিক্য চট্টগ্রাম পরিভ্রমণকালে এই অগ্নিকুণ্ড মন্দিরে আসেন। তখন তিনি নিজ উদ্যোগে এ মন্দিরটি সংস্কার করেন।
উইকিপিডিয়ার তথ্যানুসারে, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র তীর্থপীঠ বাড়বানলের এ অগ্নিকুণ্ডের নাম অনুসারে ইউনিয়নটির নাম হয়েছে বাড়বকুণ্ড। যা জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইটেও উল্লেখ করা রয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, সবুজ বৃক্ষরাজিতে ঘেরা দুটি পাহাড়ের মাঝের একটি টিলার মধ্যে অগ্নিকুণ্ড মন্দিরটি রয়েছে। জরাজীর্ণ দ্বিতল ভবনের মন্দিরটি ওপর থেকে সিঁড়ি বয়ে গেছে নিচ অবধি। ভবনটির নিচতলার খোলা কক্ষের মাঝখানে রয়েছে চতুর্ভুজ আকৃতির ১০ বর্গফুটের একটি ছোট্ট কুণ্ড। আর সেই কুণ্ডটি দুই ভাগে বিভক্ত। দক্ষিণের অংশে দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। আর উত্তরের অংশে থাকা পানির নিচ থেকে উঠছে বুদ্বুদ শব্দ। কুণ্ডের যে অংশে আগুন জলে সে অংশে দাঁড়ানো ভক্তদের আগুনে আঁচ থেকে রক্ষা করতে ইট–সিমেন্টের দেয়াল তুলে চুলার মতো করে দেওয়া হয়েছে। আর সেখানে আসা ভক্তরা অগ্নিকুণ্ডের পানিতে স্নান সেরে ভক্তি সহকারে পূজা-অর্চনা করছেন।

অগ্নিকুণ্ড মন্দির থেকে ওপরে উঠলেই চোখে পড়ে শনিবাড়ি, বিষ্ণু মন্দির, জগন্নাথ মন্দির, ত্রিনাথ মন্দির, শিব মন্দির ও অন্নপূর্ণা মন্দির। এ ছাড়া অগ্নিকুণ্ডের পাশেই রয়েছে বাড়বকুণ্ড ও কালভৈরব মন্দির। অগ্নিকুণ্ড মন্দিরে আগত সনাতনী ভক্তরা স্নান শেষে ভক্তিভরে দর্শন করেন এসব মন্দির।
চার বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে অগ্নিকুণ্ড মন্দির দর্শনে হাটহাজারী থেকে আসেন পুণ্যার্থী টিপলু পালিত। তিনি জানান, অগ্নিকুণ্ড মন্দির দর্শন ও কুণ্ডের পানিতে স্নান করার উদ্দেশ্যে তাঁরা চার বন্ধু একসঙ্গে ছুটে এসেছেন। তাঁরা দুপুরে মন্দিরে পৌঁছে অগ্নিকুণ্ডে স্নান সেরেছেন। তারপর অগ্নিকুণ্ডের আশপাশে থাকা সব মন্দিরে করেছেন পূজা–অর্চনা।
আলাপ হয় নগরীর কাট্টলী থেকে আসা সনাতনী পুণ্যার্থী সৈকত নাথ ও অরূপ ভৌমিকের সঙ্গে। তাঁরা জানান, সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষের চন্দ্রনাথ দর্শনের পরে অবশ্যই বাড়বকুণ্ড অগ্নিকুণ্ড মন্দির দর্শন ও এখানে থাকা অগ্নিকুণ্ডে স্নান করতে হয়। তা না হলে অসম্পূর্ণ রয়ে যায় তীর্থ দর্শন। তাই তাঁরা মহাদেবের সান্নিধ্য লাভে চন্দ্রনাথ দর্শন শেষে অগ্নিকুণ্ডে এসে স্নান সেরেছেন।

অগ্নিকুণ্ড মন্দিরের সেবায়েত কালী নারায়ণ ভারতী জানান, তাঁরা বংশ পরম্পরায় শত শত বছর ধরে এ মন্দিরের পূজা–অর্চনা করে আসছেন। সুপ্রাচীন কাল থেকে বাড়বকুণ্ডের অগ্নিকুণ্ডে দৈব শক্তির প্রভাবে আগুন জ্বলছে। আর এ আগুনে স্বয়ং অগ্নিদেবতা বিরাজমান রয়েছে বলেই তা হাজার বছরেও নামেনি।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) উপব্যবস্থাপক মনির হোসেন বলেন, অগ্নিকুণ্ডে আগুনের রহস্য উদ্ঘাটনে একাধিকবার জরিপ করা হয়েছে। জরিপকালে বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলনের কোনো গ্যাস মজুত রয়েছে, এমন তথ্য মেলেনি। ধারণা করছি, কম চাপ সম্পূর্ণ পকেট গ্যাসের কারণেই এ অগ্নিকুণ্ডে আগুন জ্বলছে।
বাড়বানল অগ্নিকুণ্ডে যেভাবে যেতে হবে
প্রথমে বাসে করে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাড়বকুণ্ড বাজারে এসে নামতে হবে। তারপর রিকশায় করে বাজারের ভেতরের দিয়ে পূর্ব দিকের রেললাইন পার হয়ে পাহাড়ের ভেতরে যেতে হবে। পাহাড়ি রাস্তা, ঝিরিপথ ও আঁকাবাঁকা সড়কের কিছু দূর গেলেই পথের দুই ধারে চোখে পড়বে লাল পেয়ারাবাগান। সেই সঙ্গে কানে ভেসে আসবে পাখ-পাখালির কিচিরমিচির। দুই পাহাড়ের মাঝে থাকা প্রাকৃতিক ছড়ার সামান্য অংশ পায়ে মাড়িয়ে একটু হেঁটে গেলেই দৃষ্টিগোচর হবে বাড়ববানল অগ্নিকুণ্ড মন্দির।

প্রকৃতি যখন শুভ্র তুষারের চাদরে নিজেকে ঢেকে নেয়, উত্তর গোলার্ধের হিমশীতল তন্দ্রা তখন জেগে ওঠে এক ক্ষণস্থায়ী বিস্ময়ে। যার নাম আইস হোটেল। বসন্তের আগমনে যারা নিভৃতে গলে মিশে যায় নদীর পানিতে, সেই বরফ প্রাসাদগুলোই এখন বিশ্বজুড়ে পর্যটকদের কাছে শীতকালীন অভিযানের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু। বসন্তের প্রথম ছোঁয়া
৪১ মিনিট আগে
আজ নিজেকে সুপারম্যান মনে করতে পারেন। অফিসে বা ঘরে সবাইকে হুকুম দেওয়ার ইচ্ছা জাগবে। তবে সাবধান! মঙ্গল আপনার রাশিতে একটু বেশিই গরম, তাই গরম চা খেতে গিয়ে জিব পুড়িয়ে বা কারোর সঙ্গে অযথা তর্কে জড়িয়ে ফিউজ ওড়াবেন না। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের প্রশংসা করুন, কিন্তু অন্যের সামনে নয়।
১ ঘণ্টা আগে
আমাদের প্রত্যেকের ত্বক তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্যে অনন্য। সুস্থ, উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত ত্বক পাওয়ার প্রথম শর্ত হলো আপনার ত্বকের ধরন বা ‘স্কিন টাইপ’ সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখা। অনেকে ত্বকের ধরন না জেনে বিভিন্ন প্রসাধন ব্যবহার করেন; যা উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি করে। আপনার ত্বক ঠিক কী চাইছে, তা বুঝতে পারাটাই হলো
৩ ঘণ্টা আগে
আপনি কি মিষ্টি খেতে বেশ ভালোবাসেন? মিষ্টি দেখলেই নিজেকে সামলে রাখতে পারেন না? এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের মিষ্টি নিয়ে অবসেশন কাজ করে। তাঁরা টিভি দেখতে দেখতে এক টব আইসক্রিম সাবাড় করে ফেলতে পারেন। কেউ আবার বন্ধুর জন্মদিনে বড় এক টুকরা কেক খেয়ে ফেলেন কোনো কিছু না ভেবেই। এমন ঘটনা আমাদের সবার জীবনেই কম-বেশি
১৭ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

প্রকৃতি যখন শুভ্র তুষারের চাদরে নিজেকে ঢেকে নেয়, উত্তর গোলার্ধের হিমশীতল তন্দ্রা তখন জেগে ওঠে এক ক্ষণস্থায়ী বিস্ময়ে। যার নাম আইস হোটেল। বসন্তের আগমনে যারা নিভৃতে গলে মিশে যায় নদীর পানিতে, সেই বরফ প্রাসাদগুলোই এখন বিশ্বজুড়ে পর্যটকদের কাছে শীতকালীন অভিযানের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু। বসন্তের প্রথম ছোঁয়া লাগলেই এই তুষার প্রাসাদগুলো নিভৃতে গলে যায়। তখন তারা ফিরে যায় আপন উৎস, নদীর বুকে। আপনি কি কখনো হিমাঙ্কের নিচে এমন বরফের বিছানায় রাত কাটানোর অদম্য রোমাঞ্চ অনুভব করতে চেয়েছেন?
অনেকে ভাবেন, বরফের ঘরে ঘুমানো মানেই জমে যাওয়া। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। রুমের তাপমাত্রা থাকে প্রায় ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে পর্যটকদের দেওয়া হয় বিশেষ থার্মাল স্লিপিং ব্যাগ এবং রেইনডিয়ারের চামড়া, যা শরীরের স্বাভাবিক উষ্ণতা ধরে রাখে। বাথরুম বা পোশাক পরিবর্তনের জন্য পাশেই থাকে উত্তপ্ত আধুনিক ভবন। ২০২৫ সালের এই হাড়কাঁপানো মৌসুমেও সুইডেন, ফিনল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড আর কানাডায় ফিরে এসেছে এই অনন্য ‘বরফবিলাস’।

আইস হোটেল ৩৬
বিশ্বের বিখ্যাত বরফ হোটেল আইস হোটেল ৩৬। প্রতিবছর এটি নতুন করে তৈরি করা হয় এবং এর প্রধান আকর্ষণ হলো বরফের ভাস্কর্য, বরফের ঘর, বরফের বার এবং আর্কটিক কার্যকলাপ; যেমন ডগ স্লেডিং ও নর্দান লাইট দেখা। সুইডিশ ল্যাপল্যান্ডের জুকাসজারভি ভিলেজে এ বছর উদ্বোধন করা হয়েছে আইস হোটেল ৩৬। নামের সংখ্যাটিই বলে দেয়, এটি তাদের ৩৬তম সংস্করণ। এবার এখানে ১২টি আর্ট স্যুট, আইস রুম, একটি প্রধান হল এবং সেরিমনি হল থাকবে। প্রতিবছর টোর্নে নদী থেকে বরফ সংগ্রহ করে হোটেলটি তৈরি করা হয়। বসন্তে এটি গলে নদীতে ফিরে যায়। এ বছরের সবচেয়ে বড় চমক হলো বরফ দিয়ে খোদাই করা একটি পূর্ণাঙ্গ গ্র্যান্ড পিয়ানো। অদ্ভুত শোনালেও সত্যি, এটি শুধু প্রদর্শনের জন্য নয়, রীতিমতো বাজানোর যোগ্য। ১২টি দেশের ৩৩ জন তুখোড় শিল্পী তাঁদের তুলির বদলে ছেনি-হাতুড়ির কারুকার্যে ফুটিয়ে তুলেছেন একেকটি কক্ষ বা আর্ট স্যুট। কোথাও দেয়ালে খোদাই করা হিমায়িত লাইব্রেরি, আবার কোথাও গোলকগুলো মাথার ওপর ভেসে থাকার বিভ্রম তৈরি করছে। জেনে রাখুন, এই হোটেলে দুজনের জন্য এক রাত কাটানোর খরচ পড়বে প্রায় ৬০০ ইউরো।

উত্তর মেরুর অন্যান্য বরফস্বর্গ
সুইডেনের বাইরেও ফিনল্যান্ড থেকে কানাডা পর্যন্ত ছড়িয়ে আছে এই হিমাঙ্ক-বিজয়ীদের আস্তানা।
ফিনল্যান্ডের আপুক্কা রিসোর্ট: ল্যাপল্যান্ডের রোভানিয়েনিতে কাচের তৈরি ইগলুতে শুয়ে আকাশের ‘নর্দান লাইটস’ বা মেরুজ্যোতি দেখা এক স্বর্গীয় অনুভূতি। কাচের ছাদের ইগলু থেকে শুরু করে তুষারাবৃত বনের মধ্য দিয়ে রেইনডিয়ারের যাত্রা পর্যন্ত, আপুক্কা রিসোর্ট আপনার আর্কটিক স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেয়। আগস্ট থেকে এপ্রিল পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম চলবে। এখানে খরচ শুরু হয় ৪০০ ইউরো থেকে।
সুইজারল্যান্ডের ইগলু-ডর্ফ জেরম্যাট: আল্পস পর্বতমালার ২ হাজার ৭০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এই ইগলু ভিলেজ। এই ইগলু গ্রামের অবস্থান এতটাই চমৎকার যে আপনি যখন এর রোদ-ঝলমলে বারান্দায় বসে কফি খাবেন কিংবা খোলা আকাশের নিচে উষ্ণ পানিতে হট টব বা ঘূর্ণি জলধারায় গা এলিয়ে দিতে পারবেন। আর আপনার ঠিক চোখের সামনে ধরা দেবে সুইজারল্যান্ডের সব থেকে আইকনিক পাহাড় ‘ম্যাটারহর্ন’। এখানে রাত কাটাতে লাগবে ৪৫০ ইউরো।
কানাডার হোটেল ডি গ্লেস: উত্তর আমেরিকার একমাত্র বরফ হোটেল এটি। এখানে কেবল থাকার ঘর নয়, রয়েছে বরফ-বার, হট টব এবং শরীর চাঙা করার সাউনা। পশমি চাদর, মেরুজ্যোতির আভা আর স্ফটিকের মতো স্বচ্ছ নিস্তব্ধতার মাঝে হাতে খোদাই করা একটি স্যুটে রাত কাটানোর রোমাঞ্চই আলাদা। এখানে থাকার খরচ শুরু হয় ৫০০ ইউরো থেকে।

যেভাবে গড়া হয় তুষার প্রাসাদ
একটি আইস হোটেল তৈরি করা আর এক মহাকাব্য রচনা করা প্রায় একই কথা। এর প্রস্তুতি শুরু হয় সাত-আট মাস আগে থেকে। প্রথমে বরফ সংগ্রহের পালা। বসন্তের শেষে যখন বরফ সবচেয়ে স্বচ্ছ ও পুরু থাকে, তখন টর্ন রিভারের মতো নদীগুলো থেকে বিশাল বিশাল বরফের চাঁই কেটে নেওয়া হয়। এরপর সেগুলো সোলার পাওয়ারড হ্যাঙ্গারে যত্ন করে রাখা হয় পরবর্তী শীত পর্যন্ত। এরপর শুরু হয় নির্মাণযজ্ঞ। নভেম্বর মাসে যখন তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে স্থির হয়, তখন প্রায় ৯০ জন শিল্পী, ইঞ্জিনিয়ার ও শ্রমিকের এক অমানুষিক পরিশ্রমে মাত্র ৬ সপ্তাহে গড়ে ওঠে এই স্থাপত্য। নির্মাণের গোপন উপাদান ‘সনিস’। এটি তৈরিতে শত শত টন স্বচ্ছ বরফের পাশাপাশি ব্যবহৃত হয় এই বিশেষ উপাদান। এটি তুষার ও বরফের এমন এক বিশেষ মিশ্রণ, যা দেয়াল ও ছাদকে পাথরের মতো মজবুত করে।
সূত্র: আফ্রিকা নিউজ, আপুক্কা রিসোর্ট ডটকম, ইগলু-ডর্ফ জেরম্যাট ডটকম, হোটেল ডি গ্লেস ডটকম

প্রকৃতি যখন শুভ্র তুষারের চাদরে নিজেকে ঢেকে নেয়, উত্তর গোলার্ধের হিমশীতল তন্দ্রা তখন জেগে ওঠে এক ক্ষণস্থায়ী বিস্ময়ে। যার নাম আইস হোটেল। বসন্তের আগমনে যারা নিভৃতে গলে মিশে যায় নদীর পানিতে, সেই বরফ প্রাসাদগুলোই এখন বিশ্বজুড়ে পর্যটকদের কাছে শীতকালীন অভিযানের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু। বসন্তের প্রথম ছোঁয়া লাগলেই এই তুষার প্রাসাদগুলো নিভৃতে গলে যায়। তখন তারা ফিরে যায় আপন উৎস, নদীর বুকে। আপনি কি কখনো হিমাঙ্কের নিচে এমন বরফের বিছানায় রাত কাটানোর অদম্য রোমাঞ্চ অনুভব করতে চেয়েছেন?
অনেকে ভাবেন, বরফের ঘরে ঘুমানো মানেই জমে যাওয়া। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। রুমের তাপমাত্রা থাকে প্রায় ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে পর্যটকদের দেওয়া হয় বিশেষ থার্মাল স্লিপিং ব্যাগ এবং রেইনডিয়ারের চামড়া, যা শরীরের স্বাভাবিক উষ্ণতা ধরে রাখে। বাথরুম বা পোশাক পরিবর্তনের জন্য পাশেই থাকে উত্তপ্ত আধুনিক ভবন। ২০২৫ সালের এই হাড়কাঁপানো মৌসুমেও সুইডেন, ফিনল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড আর কানাডায় ফিরে এসেছে এই অনন্য ‘বরফবিলাস’।

আইস হোটেল ৩৬
বিশ্বের বিখ্যাত বরফ হোটেল আইস হোটেল ৩৬। প্রতিবছর এটি নতুন করে তৈরি করা হয় এবং এর প্রধান আকর্ষণ হলো বরফের ভাস্কর্য, বরফের ঘর, বরফের বার এবং আর্কটিক কার্যকলাপ; যেমন ডগ স্লেডিং ও নর্দান লাইট দেখা। সুইডিশ ল্যাপল্যান্ডের জুকাসজারভি ভিলেজে এ বছর উদ্বোধন করা হয়েছে আইস হোটেল ৩৬। নামের সংখ্যাটিই বলে দেয়, এটি তাদের ৩৬তম সংস্করণ। এবার এখানে ১২টি আর্ট স্যুট, আইস রুম, একটি প্রধান হল এবং সেরিমনি হল থাকবে। প্রতিবছর টোর্নে নদী থেকে বরফ সংগ্রহ করে হোটেলটি তৈরি করা হয়। বসন্তে এটি গলে নদীতে ফিরে যায়। এ বছরের সবচেয়ে বড় চমক হলো বরফ দিয়ে খোদাই করা একটি পূর্ণাঙ্গ গ্র্যান্ড পিয়ানো। অদ্ভুত শোনালেও সত্যি, এটি শুধু প্রদর্শনের জন্য নয়, রীতিমতো বাজানোর যোগ্য। ১২টি দেশের ৩৩ জন তুখোড় শিল্পী তাঁদের তুলির বদলে ছেনি-হাতুড়ির কারুকার্যে ফুটিয়ে তুলেছেন একেকটি কক্ষ বা আর্ট স্যুট। কোথাও দেয়ালে খোদাই করা হিমায়িত লাইব্রেরি, আবার কোথাও গোলকগুলো মাথার ওপর ভেসে থাকার বিভ্রম তৈরি করছে। জেনে রাখুন, এই হোটেলে দুজনের জন্য এক রাত কাটানোর খরচ পড়বে প্রায় ৬০০ ইউরো।

উত্তর মেরুর অন্যান্য বরফস্বর্গ
সুইডেনের বাইরেও ফিনল্যান্ড থেকে কানাডা পর্যন্ত ছড়িয়ে আছে এই হিমাঙ্ক-বিজয়ীদের আস্তানা।
ফিনল্যান্ডের আপুক্কা রিসোর্ট: ল্যাপল্যান্ডের রোভানিয়েনিতে কাচের তৈরি ইগলুতে শুয়ে আকাশের ‘নর্দান লাইটস’ বা মেরুজ্যোতি দেখা এক স্বর্গীয় অনুভূতি। কাচের ছাদের ইগলু থেকে শুরু করে তুষারাবৃত বনের মধ্য দিয়ে রেইনডিয়ারের যাত্রা পর্যন্ত, আপুক্কা রিসোর্ট আপনার আর্কটিক স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেয়। আগস্ট থেকে এপ্রিল পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম চলবে। এখানে খরচ শুরু হয় ৪০০ ইউরো থেকে।
সুইজারল্যান্ডের ইগলু-ডর্ফ জেরম্যাট: আল্পস পর্বতমালার ২ হাজার ৭০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এই ইগলু ভিলেজ। এই ইগলু গ্রামের অবস্থান এতটাই চমৎকার যে আপনি যখন এর রোদ-ঝলমলে বারান্দায় বসে কফি খাবেন কিংবা খোলা আকাশের নিচে উষ্ণ পানিতে হট টব বা ঘূর্ণি জলধারায় গা এলিয়ে দিতে পারবেন। আর আপনার ঠিক চোখের সামনে ধরা দেবে সুইজারল্যান্ডের সব থেকে আইকনিক পাহাড় ‘ম্যাটারহর্ন’। এখানে রাত কাটাতে লাগবে ৪৫০ ইউরো।
কানাডার হোটেল ডি গ্লেস: উত্তর আমেরিকার একমাত্র বরফ হোটেল এটি। এখানে কেবল থাকার ঘর নয়, রয়েছে বরফ-বার, হট টব এবং শরীর চাঙা করার সাউনা। পশমি চাদর, মেরুজ্যোতির আভা আর স্ফটিকের মতো স্বচ্ছ নিস্তব্ধতার মাঝে হাতে খোদাই করা একটি স্যুটে রাত কাটানোর রোমাঞ্চই আলাদা। এখানে থাকার খরচ শুরু হয় ৫০০ ইউরো থেকে।

যেভাবে গড়া হয় তুষার প্রাসাদ
একটি আইস হোটেল তৈরি করা আর এক মহাকাব্য রচনা করা প্রায় একই কথা। এর প্রস্তুতি শুরু হয় সাত-আট মাস আগে থেকে। প্রথমে বরফ সংগ্রহের পালা। বসন্তের শেষে যখন বরফ সবচেয়ে স্বচ্ছ ও পুরু থাকে, তখন টর্ন রিভারের মতো নদীগুলো থেকে বিশাল বিশাল বরফের চাঁই কেটে নেওয়া হয়। এরপর সেগুলো সোলার পাওয়ারড হ্যাঙ্গারে যত্ন করে রাখা হয় পরবর্তী শীত পর্যন্ত। এরপর শুরু হয় নির্মাণযজ্ঞ। নভেম্বর মাসে যখন তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে স্থির হয়, তখন প্রায় ৯০ জন শিল্পী, ইঞ্জিনিয়ার ও শ্রমিকের এক অমানুষিক পরিশ্রমে মাত্র ৬ সপ্তাহে গড়ে ওঠে এই স্থাপত্য। নির্মাণের গোপন উপাদান ‘সনিস’। এটি তৈরিতে শত শত টন স্বচ্ছ বরফের পাশাপাশি ব্যবহৃত হয় এই বিশেষ উপাদান। এটি তুষার ও বরফের এমন এক বিশেষ মিশ্রণ, যা দেয়াল ও ছাদকে পাথরের মতো মজবুত করে।
সূত্র: আফ্রিকা নিউজ, আপুক্কা রিসোর্ট ডটকম, ইগলু-ডর্ফ জেরম্যাট ডটকম, হোটেল ডি গ্লেস ডটকম

বহু পুরোনো জরাজীর্ণ মন্দির। মন্দিরের দেয়াল থেকে খসে পড়া আস্তরণের ওপরে উঠেছে তৃণলতাসহ বিভিন্ন ধরনের আগাছা। ভেতরে রয়েছে চতুর্ভুজ আকৃতির কুণ্ডলী। সে কুণ্ডলীতে থাকা স্বচ্ছ জলের তলা থেকে বুদ্বুদ শব্দে ওপরে উঠছে পানি।
২৮ নভেম্বর ২০২৪
আজ নিজেকে সুপারম্যান মনে করতে পারেন। অফিসে বা ঘরে সবাইকে হুকুম দেওয়ার ইচ্ছা জাগবে। তবে সাবধান! মঙ্গল আপনার রাশিতে একটু বেশিই গরম, তাই গরম চা খেতে গিয়ে জিব পুড়িয়ে বা কারোর সঙ্গে অযথা তর্কে জড়িয়ে ফিউজ ওড়াবেন না। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের প্রশংসা করুন, কিন্তু অন্যের সামনে নয়।
১ ঘণ্টা আগে
আমাদের প্রত্যেকের ত্বক তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্যে অনন্য। সুস্থ, উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত ত্বক পাওয়ার প্রথম শর্ত হলো আপনার ত্বকের ধরন বা ‘স্কিন টাইপ’ সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখা। অনেকে ত্বকের ধরন না জেনে বিভিন্ন প্রসাধন ব্যবহার করেন; যা উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি করে। আপনার ত্বক ঠিক কী চাইছে, তা বুঝতে পারাটাই হলো
৩ ঘণ্টা আগে
আপনি কি মিষ্টি খেতে বেশ ভালোবাসেন? মিষ্টি দেখলেই নিজেকে সামলে রাখতে পারেন না? এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের মিষ্টি নিয়ে অবসেশন কাজ করে। তাঁরা টিভি দেখতে দেখতে এক টব আইসক্রিম সাবাড় করে ফেলতে পারেন। কেউ আবার বন্ধুর জন্মদিনে বড় এক টুকরা কেক খেয়ে ফেলেন কোনো কিছু না ভেবেই। এমন ঘটনা আমাদের সবার জীবনেই কম-বেশি
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ নিজেকে সুপারম্যান মনে করতে পারেন। অফিসে বা ঘরে সবাইকে হুকুম দেওয়ার ইচ্ছা জাগবে। তবে সাবধান! মঙ্গল আপনার রাশিতে একটু বেশিই গরম, তাই গরম চা খেতে গিয়ে জিব পুড়িয়ে বা কারোর সঙ্গে অযথা তর্কে জড়িয়ে ফিউজ ওড়াবেন না। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের প্রশংসা করুন, কিন্তু অন্যের সামনে নয়।
বৃষ
আজকের মূল মনোযোগ থাকবে পেটের দিকে। বিদেশের কোনো কাজ বা দূরে ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে, কিন্তু মন পড়ে থাকবে বিরিয়ানির হাঁড়িতে। আর্থিক দিক থেকে দিনটি ভালো, তবে খরচ কমাতে আজ বন্ধুর পকেটের দিকে নজর রাখুন! মনে রাখবেন, বাজেট মানে শুধুই ডায়েরির পাতা নয়, মানিব্যাগের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখা।
মিথুন
আজ মনে হবে আপনি একই সঙ্গে পঞ্চগড় আর লালপুরে আছেন। পরস্পরবিরোধী আবেগ আপনাকে ভোগাবে। একদিকে মনে হবে খুব কাজ করি, অন্যদিকে লেপ ছেড়ে উঠতে ইচ্ছা করবে না। বিবাহিতদের জন্য দিনটি ‘জি হুজুর’ বলে কাটানোই নিরাপদ। সাতটি বিষাদ ও বিচ্ছেদের গান শুনুন, আর না হলে অন্তত সাতবার দীর্ঘশ্বাস ফেলুন।
কর্কট
আজ আপনার আবেগ সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো আছড়ে পড়বে। তুচ্ছ কারণে চোখে পানি আসতে পারে। ব্যবসায় বড় বিনিয়োগের প্ল্যান আজ ড্রয়ারেই থাক। কারণ, আপনার বিচারবুদ্ধি আজ আবেগের বন্যায় ভাসছে। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান, কিন্তু ঝগড়া করবেন না। ফেসবুক বা ইনস্টায় ইমোশনাল স্ট্যাটাস দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
সিংহ
আজ যেখানেই যাবেন, লাইমলাইট আপনার ওপর থাকবে। গ্রহ বলছে আপনি প্রচুর আত্মবিশ্বাসী। তবে অফিসে সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সময় একটু ‘ভলিউম’ কমিয়ে রাখুন, নতুবা তারা আপনার রাজকীয় গর্জনে ভয় পেয়ে ছুটি নিয়ে নিতে পারে! বড়দের সম্মান দিন, আর ছোটদের চকলেট খাইয়ে শান্ত রাখুন।
কন্যা
পারিপার্শ্বিক অস্থিরতা আপনাকে আজ একটু খিটখিটে করে তুলতে পারে। চাইবেন সবকিছু একদম নিখুঁত হোক, কিন্তু পৃথিবীটা তো আপনার নোটবই নয়! সম্পর্কের ক্ষেত্রে ধৈর্য ধরুন, সঙ্গীর ভুল ধরাটা আজকের মতো অফ রাখুন। ঘর গোছাতে গিয়ে নিজের মাথাটা বেশি অগোছালো করবেন না।
তুলা
শরীর আজ বেশ চনমনে থাকবে। অনেক দিন ধরে আটকে থাকা কাজ ঝটপট শেষ করে ফেলবেন। তবে সাবধান, সংসারের বিবাদ আজ আপনার শান্তির রাজ্যে হানা দিতে পারে। টাকাপয়সার যোগ ভালো হলেও পকেটে ফুটো যেন না হয় খেয়াল রাখুন। অহেতুক তর্কে ‘মৌনতাই শ্রেয়’।
বৃশ্চিক
আজ আপনি চার মাথার মোড়ে দাঁড়িয়ে কনফিউজড বোধ করবেন—ডানে যাব না বাঁয়ে? রিয়েল এস্টেট বা জমি-সংক্রান্ত কাজে লাভের মুখ দেখতে পারেন। প্রেমে আজ রসপিঠার মতো মিষ্টি সম্পর্ক থাকবে, যদি না আপনি পুরোনো কোনো ঝগড়া টেনে আনেন। মনের কথা শুনুন, কিন্তু গুগল ম্যাপকেও একটু বিশ্বাস করুন।
ধনু
আজ আপনার রাশিতে গ্রহের মেলা বসেছে! আজ গোল্ডেন টাইম এনজয় করবেন। সৃজনশীল কাজে ফাটিয়ে দেবেন। টাকাপয়সা আসার প্রবল যোগ, কিন্তু সেই খুশিতে সবাইকে অকাতরে খাওয়াতে গিয়ে যেন নিজেকে উপোস করতে না হয়! মাজারে একটু শিরনি দিয়ে আসুন, মাথা ঠান্ডা থাকবে।
মকর
আজ আপনাকে হাড়ভাঙা খাটুনি খাটতে হতে পারে। তবে ফল হবে মিষ্টি। টাকা একদিকে পকেটে ঢুকবে, অন্যদিকে বিদ্যুৎ গতিতে বেরিয়ে যাবে। বিদেশি কোম্পানি বা দূরপাল্লার যোগাযোগ থেকে লাভের খবর আসতে পারে। উপার্জনের খাতাটা একটু আড়াল করে রাখুন।
কুম্ভ
আজ নতুন লোকজনের সঙ্গে আলাপ হবে, যা জীবনের মানে বদলে দিতে পারে। সাধারণ কাজও আপনি অসাধারণভাবে করবেন। তবে অতিরিক্ত উৎসাহে যেন কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি না হতে হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাসটা অন্তত আজকের জন্য ট্রাই করুন।
মীন
মীন রাশির জাতকেরা আজ কল্পনার জগতে ভাসবেন। ক্যারিয়ারে বড় কিছু করার সুযোগ আসবে। তবে বাস্তবে পা রাখাটা জরুরি। আর্থিক হিসাব মেলাতে গিয়ে হিমশিম খেতে পারেন। বন্ধুর সাহায্য নিলে কাজ সহজ হবে। আকাশকুসুম চিন্তা না করে হাতের কাজটা আগে শেষ করুন।

মেষ
আজ নিজেকে সুপারম্যান মনে করতে পারেন। অফিসে বা ঘরে সবাইকে হুকুম দেওয়ার ইচ্ছা জাগবে। তবে সাবধান! মঙ্গল আপনার রাশিতে একটু বেশিই গরম, তাই গরম চা খেতে গিয়ে জিব পুড়িয়ে বা কারোর সঙ্গে অযথা তর্কে জড়িয়ে ফিউজ ওড়াবেন না। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের প্রশংসা করুন, কিন্তু অন্যের সামনে নয়।
বৃষ
আজকের মূল মনোযোগ থাকবে পেটের দিকে। বিদেশের কোনো কাজ বা দূরে ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে, কিন্তু মন পড়ে থাকবে বিরিয়ানির হাঁড়িতে। আর্থিক দিক থেকে দিনটি ভালো, তবে খরচ কমাতে আজ বন্ধুর পকেটের দিকে নজর রাখুন! মনে রাখবেন, বাজেট মানে শুধুই ডায়েরির পাতা নয়, মানিব্যাগের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখা।
মিথুন
আজ মনে হবে আপনি একই সঙ্গে পঞ্চগড় আর লালপুরে আছেন। পরস্পরবিরোধী আবেগ আপনাকে ভোগাবে। একদিকে মনে হবে খুব কাজ করি, অন্যদিকে লেপ ছেড়ে উঠতে ইচ্ছা করবে না। বিবাহিতদের জন্য দিনটি ‘জি হুজুর’ বলে কাটানোই নিরাপদ। সাতটি বিষাদ ও বিচ্ছেদের গান শুনুন, আর না হলে অন্তত সাতবার দীর্ঘশ্বাস ফেলুন।
কর্কট
আজ আপনার আবেগ সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো আছড়ে পড়বে। তুচ্ছ কারণে চোখে পানি আসতে পারে। ব্যবসায় বড় বিনিয়োগের প্ল্যান আজ ড্রয়ারেই থাক। কারণ, আপনার বিচারবুদ্ধি আজ আবেগের বন্যায় ভাসছে। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান, কিন্তু ঝগড়া করবেন না। ফেসবুক বা ইনস্টায় ইমোশনাল স্ট্যাটাস দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
সিংহ
আজ যেখানেই যাবেন, লাইমলাইট আপনার ওপর থাকবে। গ্রহ বলছে আপনি প্রচুর আত্মবিশ্বাসী। তবে অফিসে সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সময় একটু ‘ভলিউম’ কমিয়ে রাখুন, নতুবা তারা আপনার রাজকীয় গর্জনে ভয় পেয়ে ছুটি নিয়ে নিতে পারে! বড়দের সম্মান দিন, আর ছোটদের চকলেট খাইয়ে শান্ত রাখুন।
কন্যা
পারিপার্শ্বিক অস্থিরতা আপনাকে আজ একটু খিটখিটে করে তুলতে পারে। চাইবেন সবকিছু একদম নিখুঁত হোক, কিন্তু পৃথিবীটা তো আপনার নোটবই নয়! সম্পর্কের ক্ষেত্রে ধৈর্য ধরুন, সঙ্গীর ভুল ধরাটা আজকের মতো অফ রাখুন। ঘর গোছাতে গিয়ে নিজের মাথাটা বেশি অগোছালো করবেন না।
তুলা
শরীর আজ বেশ চনমনে থাকবে। অনেক দিন ধরে আটকে থাকা কাজ ঝটপট শেষ করে ফেলবেন। তবে সাবধান, সংসারের বিবাদ আজ আপনার শান্তির রাজ্যে হানা দিতে পারে। টাকাপয়সার যোগ ভালো হলেও পকেটে ফুটো যেন না হয় খেয়াল রাখুন। অহেতুক তর্কে ‘মৌনতাই শ্রেয়’।
বৃশ্চিক
আজ আপনি চার মাথার মোড়ে দাঁড়িয়ে কনফিউজড বোধ করবেন—ডানে যাব না বাঁয়ে? রিয়েল এস্টেট বা জমি-সংক্রান্ত কাজে লাভের মুখ দেখতে পারেন। প্রেমে আজ রসপিঠার মতো মিষ্টি সম্পর্ক থাকবে, যদি না আপনি পুরোনো কোনো ঝগড়া টেনে আনেন। মনের কথা শুনুন, কিন্তু গুগল ম্যাপকেও একটু বিশ্বাস করুন।
ধনু
আজ আপনার রাশিতে গ্রহের মেলা বসেছে! আজ গোল্ডেন টাইম এনজয় করবেন। সৃজনশীল কাজে ফাটিয়ে দেবেন। টাকাপয়সা আসার প্রবল যোগ, কিন্তু সেই খুশিতে সবাইকে অকাতরে খাওয়াতে গিয়ে যেন নিজেকে উপোস করতে না হয়! মাজারে একটু শিরনি দিয়ে আসুন, মাথা ঠান্ডা থাকবে।
মকর
আজ আপনাকে হাড়ভাঙা খাটুনি খাটতে হতে পারে। তবে ফল হবে মিষ্টি। টাকা একদিকে পকেটে ঢুকবে, অন্যদিকে বিদ্যুৎ গতিতে বেরিয়ে যাবে। বিদেশি কোম্পানি বা দূরপাল্লার যোগাযোগ থেকে লাভের খবর আসতে পারে। উপার্জনের খাতাটা একটু আড়াল করে রাখুন।
কুম্ভ
আজ নতুন লোকজনের সঙ্গে আলাপ হবে, যা জীবনের মানে বদলে দিতে পারে। সাধারণ কাজও আপনি অসাধারণভাবে করবেন। তবে অতিরিক্ত উৎসাহে যেন কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি না হতে হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাসটা অন্তত আজকের জন্য ট্রাই করুন।
মীন
মীন রাশির জাতকেরা আজ কল্পনার জগতে ভাসবেন। ক্যারিয়ারে বড় কিছু করার সুযোগ আসবে। তবে বাস্তবে পা রাখাটা জরুরি। আর্থিক হিসাব মেলাতে গিয়ে হিমশিম খেতে পারেন। বন্ধুর সাহায্য নিলে কাজ সহজ হবে। আকাশকুসুম চিন্তা না করে হাতের কাজটা আগে শেষ করুন।

বহু পুরোনো জরাজীর্ণ মন্দির। মন্দিরের দেয়াল থেকে খসে পড়া আস্তরণের ওপরে উঠেছে তৃণলতাসহ বিভিন্ন ধরনের আগাছা। ভেতরে রয়েছে চতুর্ভুজ আকৃতির কুণ্ডলী। সে কুণ্ডলীতে থাকা স্বচ্ছ জলের তলা থেকে বুদ্বুদ শব্দে ওপরে উঠছে পানি।
২৮ নভেম্বর ২০২৪
প্রকৃতি যখন শুভ্র তুষারের চাদরে নিজেকে ঢেকে নেয়, উত্তর গোলার্ধের হিমশীতল তন্দ্রা তখন জেগে ওঠে এক ক্ষণস্থায়ী বিস্ময়ে। যার নাম আইস হোটেল। বসন্তের আগমনে যারা নিভৃতে গলে মিশে যায় নদীর পানিতে, সেই বরফ প্রাসাদগুলোই এখন বিশ্বজুড়ে পর্যটকদের কাছে শীতকালীন অভিযানের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু। বসন্তের প্রথম ছোঁয়া
৪১ মিনিট আগে
আমাদের প্রত্যেকের ত্বক তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্যে অনন্য। সুস্থ, উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত ত্বক পাওয়ার প্রথম শর্ত হলো আপনার ত্বকের ধরন বা ‘স্কিন টাইপ’ সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখা। অনেকে ত্বকের ধরন না জেনে বিভিন্ন প্রসাধন ব্যবহার করেন; যা উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি করে। আপনার ত্বক ঠিক কী চাইছে, তা বুঝতে পারাটাই হলো
৩ ঘণ্টা আগে
আপনি কি মিষ্টি খেতে বেশ ভালোবাসেন? মিষ্টি দেখলেই নিজেকে সামলে রাখতে পারেন না? এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের মিষ্টি নিয়ে অবসেশন কাজ করে। তাঁরা টিভি দেখতে দেখতে এক টব আইসক্রিম সাবাড় করে ফেলতে পারেন। কেউ আবার বন্ধুর জন্মদিনে বড় এক টুকরা কেক খেয়ে ফেলেন কোনো কিছু না ভেবেই। এমন ঘটনা আমাদের সবার জীবনেই কম-বেশি
১৭ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

আমাদের প্রত্যেকের ত্বক তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্যে অনন্য। সুস্থ, উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত ত্বক পাওয়ার প্রথম শর্ত হলো আপনার ত্বকের ধরন বা ‘স্কিন টাইপ’ সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখা। অনেকে ত্বকের ধরন না জেনে বিভিন্ন প্রসাধন ব্যবহার করেন; যা উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি করে। আপনার ত্বক ঠিক কী চাইছে, তা বুঝতে পারাটাই হলো সঠিক রূপচর্চার মূলমন্ত্র।
আপনার ত্বক তৈলাক্ত হবে, নাকি শুষ্ক; তা মূলত কিছু বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। এগুলোর মধ্যে প্রধান হলো বংশগতি বা জিন। এ ছাড়া বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের ধরন বদলাতে পারে। হরমোনের পরিবর্তন, মানসিক চাপ, খাদ্যাভ্যাস, দৈনন্দিন শারীরিক পরিশ্রম এবং পরিবেশগত উপাদানও আপনার ত্বকের ওপর বড় প্রভাব ফেলে। শরীরের বৃহত্তম এই অঙ্গের সঠিক যত্ন নিতে এর ধরন চেনা তাই অপরিহার্য। নিজের ত্বককে আপনার চেয়ে ভালো আর কেউ চেনে না। তাই কোনো নতুন পরামর্শ বা পণ্য ব্যবহারের আগে আপনার ত্বকের প্রয়োজনকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিন।
সিবাম একধরনের তৈলাক্ত উপাদান। ত্বকের সেবাসিয়াস গ্রন্থি থেকে যখন পর্যাপ্ত সিবাম উৎপন্ন হয় না, তখন শুষ্ক হয়। আর একেই বলে শুষ্ক ত্বক। এমন ত্বকের অধিকারীদের জন্য খুব মৃদু ক্লিনজার ব্যবহার করা উচিত। ময়শ্চারাইজার হিসেবে এমন কিছু বেছে নিতে হবে, যা ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। অনেক সময় শুষ্ক ত্বকে নাক বা ভ্রুর আশপাশে ছত্রাকজনিত লালচে র্যাশ দেখা দিতে পারে, যাকে সেবোরিক ডার্মাটাইটিস বলা হয়; এর জন্য বিশেষ চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।

যখন ত্বক অতিরিক্ত সিবাম উৎপাদন করে, তখন ত্বক তৈলাক্ত হয়ে যায়। এমন ত্বকে লোমকূপ বড় দেখায় এবং মুখ সব সময় চকচকে বা তেলতেলে থাকে। সিবাম বেশি হওয়ায় লোমকূপ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে, যা থেকে প্রায়ই ব্রণ হয়। তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড বা বেনজয়েল পারক্সাইড যুক্ত ক্লিনজার এবং ‘নন-কমেডোজেনিক’ (যা লোমকূপ বন্ধ করে না) পণ্য ব্যবহার করা ভালো। এ ছাড়া ব্যায়াম বা পরিশ্রমের পরপরই মুখ ধুয়ে ফেলা জরুরি।
এই ধরনের ত্বকে মুখের বিভিন্ন অংশ ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্য দেখায়। সাধারণত টি-জোন কপাল, নাক ও চিবুক তৈলাক্ত হয় এবং গাল শুষ্ক থাকে। এ ক্ষেত্রে মুখের প্রতিটি অংশকে তার প্রয়োজন অনুযায়ী আলাদাভাবে যত্ন নিতে হয়।
একে ত্বকের আদর্শ অবস্থা বলা যেতে পারে। এই ত্বক খুব বেশি শুষ্কও নয়, আবার তৈলাক্তও নয়। এতে ব্রণের উপদ্রব বা সংবেদনশীলতা খুব একটা দেখা যায় না। সাধারণ ক্লিনজার দিয়ে দিনে দুবার মুখ ধোয়া এবং রাতে ও দিনে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করাই এই ত্বকের জন্য যথেষ্ট।

সংবেদনশীল ত্বক চেনার উপায় তেলের পরিমাণ নয়, বরং এর প্রতিক্রিয়া। এই ত্বক তৈলাক্ত বা শুষ্ক; যা-ই হোক না কেন, প্রসাধনী ব্যবহারের ক্ষেত্রে খুব সতর্ক থাকতে হয়। অনেক সময় একজিমা বা অ্যালার্জির মতো সমস্যাও থাকতে পারে। এমন ত্বকে রং, সুগন্ধি, স্যালিসাইলিক অ্যাসিড বা বেনজয়েল পারক্সাইড যুক্ত কড়া পণ্য এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।
আপনার ত্বকের ধরন নির্ধারণের জন্য কোনো ল্যাবরেটরি টেস্টের প্রয়োজন নেই। সহজ কিছু উপায়ে এটি বুঝতে পারেন। মুখ ধোয়ার ৩০ মিনিট পর লক্ষ করুন, ত্বক কেমন অনুভব করছে। এটি কি খুব তেলতেলে লাগছে, নাকি টান টান ও শুষ্ক মনে হচ্ছে? এভাবে বুঝবেন আপনার ত্বক শুষ্ক নাকি তৈলাক্ত। মুখ ধুয়ে শুকানোর ৩০ মিনিট পর একটি ব্লটিং পেপার নিয়ে গাল এবং টি-জোনে হালকা চাপ দিন। পেপারে তেলের পরিমাণ দেখে আপনি বুঝতে পারবেন, আপনার ত্বক তৈলাক্ত নাকি শুষ্ক।
দোকানে হাজারো প্রসাধনীর ভিড়ে বিভ্রান্ত না হয়ে সঠিক পণ্য বেছে নেওয়ার ক্ষমতা দেয় আপনার স্কিন টাইপ। আপনি অকালবার্ধক্য রোধ করতে চান, নাকি ব্রণ ও মেছতা দূর করতে চান। এটা আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী ঠিক করতে হবে। এ ছাড়া মেকআপ নির্বাচনের ক্ষেত্রেও এটি বড় ভূমিকা রাখে। সঠিক মেকআপ আপনার ত্বককে যেমন নিখুঁত দেখাবে, তেমনি ভুল পণ্য আপনার লোমকূপ বন্ধ করে ব্রণের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। ত্বকের স্বাস্থ্যের ওপর আপনার ঘুমের মান, পানি পানের পরিমাণ এবং শরীরচর্চার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। মনে রাখবেন, আপনার ত্বকের ধরন ঋতুভেদে পরিবর্তিত হতে পারে। যেমন শীতে ত্বক বেশি শুষ্ক থাকে এবং গরমে তৈলাক্ত হয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। তাই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আপনার রূপচর্চার রুটিনেও পরিবর্তন আনা প্রয়োজন।
সূত্র: আমেরিকান একাডেমি অব ডার্মাটোলজি

আমাদের প্রত্যেকের ত্বক তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্যে অনন্য। সুস্থ, উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত ত্বক পাওয়ার প্রথম শর্ত হলো আপনার ত্বকের ধরন বা ‘স্কিন টাইপ’ সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখা। অনেকে ত্বকের ধরন না জেনে বিভিন্ন প্রসাধন ব্যবহার করেন; যা উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি করে। আপনার ত্বক ঠিক কী চাইছে, তা বুঝতে পারাটাই হলো সঠিক রূপচর্চার মূলমন্ত্র।
আপনার ত্বক তৈলাক্ত হবে, নাকি শুষ্ক; তা মূলত কিছু বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। এগুলোর মধ্যে প্রধান হলো বংশগতি বা জিন। এ ছাড়া বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের ধরন বদলাতে পারে। হরমোনের পরিবর্তন, মানসিক চাপ, খাদ্যাভ্যাস, দৈনন্দিন শারীরিক পরিশ্রম এবং পরিবেশগত উপাদানও আপনার ত্বকের ওপর বড় প্রভাব ফেলে। শরীরের বৃহত্তম এই অঙ্গের সঠিক যত্ন নিতে এর ধরন চেনা তাই অপরিহার্য। নিজের ত্বককে আপনার চেয়ে ভালো আর কেউ চেনে না। তাই কোনো নতুন পরামর্শ বা পণ্য ব্যবহারের আগে আপনার ত্বকের প্রয়োজনকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিন।
সিবাম একধরনের তৈলাক্ত উপাদান। ত্বকের সেবাসিয়াস গ্রন্থি থেকে যখন পর্যাপ্ত সিবাম উৎপন্ন হয় না, তখন শুষ্ক হয়। আর একেই বলে শুষ্ক ত্বক। এমন ত্বকের অধিকারীদের জন্য খুব মৃদু ক্লিনজার ব্যবহার করা উচিত। ময়শ্চারাইজার হিসেবে এমন কিছু বেছে নিতে হবে, যা ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। অনেক সময় শুষ্ক ত্বকে নাক বা ভ্রুর আশপাশে ছত্রাকজনিত লালচে র্যাশ দেখা দিতে পারে, যাকে সেবোরিক ডার্মাটাইটিস বলা হয়; এর জন্য বিশেষ চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।

যখন ত্বক অতিরিক্ত সিবাম উৎপাদন করে, তখন ত্বক তৈলাক্ত হয়ে যায়। এমন ত্বকে লোমকূপ বড় দেখায় এবং মুখ সব সময় চকচকে বা তেলতেলে থাকে। সিবাম বেশি হওয়ায় লোমকূপ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে, যা থেকে প্রায়ই ব্রণ হয়। তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড বা বেনজয়েল পারক্সাইড যুক্ত ক্লিনজার এবং ‘নন-কমেডোজেনিক’ (যা লোমকূপ বন্ধ করে না) পণ্য ব্যবহার করা ভালো। এ ছাড়া ব্যায়াম বা পরিশ্রমের পরপরই মুখ ধুয়ে ফেলা জরুরি।
এই ধরনের ত্বকে মুখের বিভিন্ন অংশ ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্য দেখায়। সাধারণত টি-জোন কপাল, নাক ও চিবুক তৈলাক্ত হয় এবং গাল শুষ্ক থাকে। এ ক্ষেত্রে মুখের প্রতিটি অংশকে তার প্রয়োজন অনুযায়ী আলাদাভাবে যত্ন নিতে হয়।
একে ত্বকের আদর্শ অবস্থা বলা যেতে পারে। এই ত্বক খুব বেশি শুষ্কও নয়, আবার তৈলাক্তও নয়। এতে ব্রণের উপদ্রব বা সংবেদনশীলতা খুব একটা দেখা যায় না। সাধারণ ক্লিনজার দিয়ে দিনে দুবার মুখ ধোয়া এবং রাতে ও দিনে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করাই এই ত্বকের জন্য যথেষ্ট।

সংবেদনশীল ত্বক চেনার উপায় তেলের পরিমাণ নয়, বরং এর প্রতিক্রিয়া। এই ত্বক তৈলাক্ত বা শুষ্ক; যা-ই হোক না কেন, প্রসাধনী ব্যবহারের ক্ষেত্রে খুব সতর্ক থাকতে হয়। অনেক সময় একজিমা বা অ্যালার্জির মতো সমস্যাও থাকতে পারে। এমন ত্বকে রং, সুগন্ধি, স্যালিসাইলিক অ্যাসিড বা বেনজয়েল পারক্সাইড যুক্ত কড়া পণ্য এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।
আপনার ত্বকের ধরন নির্ধারণের জন্য কোনো ল্যাবরেটরি টেস্টের প্রয়োজন নেই। সহজ কিছু উপায়ে এটি বুঝতে পারেন। মুখ ধোয়ার ৩০ মিনিট পর লক্ষ করুন, ত্বক কেমন অনুভব করছে। এটি কি খুব তেলতেলে লাগছে, নাকি টান টান ও শুষ্ক মনে হচ্ছে? এভাবে বুঝবেন আপনার ত্বক শুষ্ক নাকি তৈলাক্ত। মুখ ধুয়ে শুকানোর ৩০ মিনিট পর একটি ব্লটিং পেপার নিয়ে গাল এবং টি-জোনে হালকা চাপ দিন। পেপারে তেলের পরিমাণ দেখে আপনি বুঝতে পারবেন, আপনার ত্বক তৈলাক্ত নাকি শুষ্ক।
দোকানে হাজারো প্রসাধনীর ভিড়ে বিভ্রান্ত না হয়ে সঠিক পণ্য বেছে নেওয়ার ক্ষমতা দেয় আপনার স্কিন টাইপ। আপনি অকালবার্ধক্য রোধ করতে চান, নাকি ব্রণ ও মেছতা দূর করতে চান। এটা আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী ঠিক করতে হবে। এ ছাড়া মেকআপ নির্বাচনের ক্ষেত্রেও এটি বড় ভূমিকা রাখে। সঠিক মেকআপ আপনার ত্বককে যেমন নিখুঁত দেখাবে, তেমনি ভুল পণ্য আপনার লোমকূপ বন্ধ করে ব্রণের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। ত্বকের স্বাস্থ্যের ওপর আপনার ঘুমের মান, পানি পানের পরিমাণ এবং শরীরচর্চার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। মনে রাখবেন, আপনার ত্বকের ধরন ঋতুভেদে পরিবর্তিত হতে পারে। যেমন শীতে ত্বক বেশি শুষ্ক থাকে এবং গরমে তৈলাক্ত হয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। তাই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আপনার রূপচর্চার রুটিনেও পরিবর্তন আনা প্রয়োজন।
সূত্র: আমেরিকান একাডেমি অব ডার্মাটোলজি

বহু পুরোনো জরাজীর্ণ মন্দির। মন্দিরের দেয়াল থেকে খসে পড়া আস্তরণের ওপরে উঠেছে তৃণলতাসহ বিভিন্ন ধরনের আগাছা। ভেতরে রয়েছে চতুর্ভুজ আকৃতির কুণ্ডলী। সে কুণ্ডলীতে থাকা স্বচ্ছ জলের তলা থেকে বুদ্বুদ শব্দে ওপরে উঠছে পানি।
২৮ নভেম্বর ২০২৪
প্রকৃতি যখন শুভ্র তুষারের চাদরে নিজেকে ঢেকে নেয়, উত্তর গোলার্ধের হিমশীতল তন্দ্রা তখন জেগে ওঠে এক ক্ষণস্থায়ী বিস্ময়ে। যার নাম আইস হোটেল। বসন্তের আগমনে যারা নিভৃতে গলে মিশে যায় নদীর পানিতে, সেই বরফ প্রাসাদগুলোই এখন বিশ্বজুড়ে পর্যটকদের কাছে শীতকালীন অভিযানের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু। বসন্তের প্রথম ছোঁয়া
৪১ মিনিট আগে
আজ নিজেকে সুপারম্যান মনে করতে পারেন। অফিসে বা ঘরে সবাইকে হুকুম দেওয়ার ইচ্ছা জাগবে। তবে সাবধান! মঙ্গল আপনার রাশিতে একটু বেশিই গরম, তাই গরম চা খেতে গিয়ে জিব পুড়িয়ে বা কারোর সঙ্গে অযথা তর্কে জড়িয়ে ফিউজ ওড়াবেন না। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের প্রশংসা করুন, কিন্তু অন্যের সামনে নয়।
১ ঘণ্টা আগে
আপনি কি মিষ্টি খেতে বেশ ভালোবাসেন? মিষ্টি দেখলেই নিজেকে সামলে রাখতে পারেন না? এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের মিষ্টি নিয়ে অবসেশন কাজ করে। তাঁরা টিভি দেখতে দেখতে এক টব আইসক্রিম সাবাড় করে ফেলতে পারেন। কেউ আবার বন্ধুর জন্মদিনে বড় এক টুকরা কেক খেয়ে ফেলেন কোনো কিছু না ভেবেই। এমন ঘটনা আমাদের সবার জীবনেই কম-বেশি
১৭ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

আপনি কি মিষ্টি খেতে বেশ ভালোবাসেন? মিষ্টি দেখলেই নিজেকে সামলে রাখতে পারেন না? এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের মিষ্টি নিয়ে অবসেশন কাজ করে। তাঁরা টিভি দেখতে দেখতে এক টব আইসক্রিম সাবাড় করে ফেলতে পারেন। কেউ আবার বন্ধুর জন্মদিনে বড় এক টুকরা কেক খেয়ে ফেলেন কোনো কিছু না ভেবেই। এমন ঘটনা আমাদের সবার জীবনেই কম-বেশি ঘটে। অনিচ্ছাকৃতভাবে বেশি চিনি বা ক্যালরি খেয়ে ফেলার পরদিন সকালে আমাদের মনে দানা বাঁধে অপরাধ বোধ, আর শুরু হয় নিজেকে ‘শাস্তি’ দেওয়ার পালা। আমরা ভাবি, আজ খাবার না খেয়ে বা খুব কম খেয়ে আগের রাতের ঘাটতি পুষিয়ে নেব। কিন্তু পুষ্টিবিদদের মতে, এই অভ্যাসটিই আমাদের স্বাস্থ্যের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে।
অতিরিক্ত খাবার বা চিনি খেয়ে ফেলাটা জীবনের এক অতি স্বাভাবিক অংশ। এর জন্য নিজেকে শাস্তি দেওয়া বা ক্লিনসিং করার প্রয়োজন নেই। বরং প্রচুর পানি পান, হালকা ব্যায়াম, ভারসাম্যপূর্ণ খাবার এবং নিজের প্রতি মমতা নিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসাই সুস্থ থাকার আসল চাবিকাঠি। মনে রাখবেন, আপনার সুস্বাস্থ্য গড়ে ওঠে আপনার বড় ক্যানভাসের জীবনধারা দিয়ে, একটি মাত্র রাত দিয়ে নয়। ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক ডায়েটিশিয়ান ভিক্টোরিয়া হুইটিংটন এবং সাম্প্রতিক পুষ্টি গবেষণার আলোকে জেনে নিন, একদিনের অনিয়ম সামলে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার বিজ্ঞানসম্মত উপায়।

১. নিজেকে বঞ্চিত করবেন না
বেশি খেয়ে ফেলার পরদিন না খেয়ে থাকা বা খুব অল্প খাওয়ার যে প্রবণতা, তা আসলে উল্টো ফল আনে। গবেষণায় দেখা গেছে, খাবার নিয়ে অতিরিক্ত কড়াকড়ি করলে খাবারের প্রতি আকর্ষণ আরও বেড়ে যায়, যা পরবর্তী সময়ে আবার অনিয়ন্ত্রিত খাওয়ার দিকে ঠেলে দেয়। তাই অতিরিক্ত চিনি খেয়ে ফেলার পরদিন খাবার কমিয়ে দেওয়ার বদলে প্রোটিন, ফাইবার এবং ভালো ফ্যাটের সমন্বয়ে একটি ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যাভ্যাসে ফিরে আসাই বুদ্ধিমানের কাজ।
২. সকালের নাশতা হোক প্রোটিন ও ফাইবারসমৃদ্ধ
অনিয়মের পরদিন সকালের শুরুটা হওয়া চাই জুতসই। গবেষণা বলছে, উচ্চ প্রোটিনযুক্ত সকালের নাশতা রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখে এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এর সঙ্গে পর্যাপ্ত ফাইবার যোগ করলে তা রক্তে গ্লুকোজের আকস্মিক বৃদ্ধি রোধ করে এবং সারা দিন আপনাকে তৃপ্ত রাখে। খাবার বাদ দিলে শরীরে ‘ঘ্রেলিন’ বা ক্ষুধা উদ্দীপক হরমোন বেড়ে যায়, যা দিনশেষে আপনাকে আবারও বেশি খেতে প্ররোচিত করতে পারে।
৩. শরীরকে সচল রাখুন এবং পানি পান করুন
অতিরিক্ত খাওয়ার পর শরীরে যে অলসতা বা ভারী ভাব কাজ করে, তার পেছনে ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতার বড় ভূমিকা থাকে। পর্যাপ্ত পানি পান করলে হজমপ্রক্রিয়া সহজ হয়। পাশাপাশি হালকা শারীরিক পরিশ্রম বা অল্প হাঁটাহাঁটি করা জরুরি। এতে আমাদের পেশিগুলো রক্তে জমে থাকা শর্করাকে কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারে এবং ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পায়।

৪. ‘পারফেকশন’ নয়, গুরুত্ব দিন সামগ্রিক অভ্যাসে
পুষ্টিবিদ হুইটিংটন জোর দিয়ে বলেছেন, দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য মূলত আপনার নিয়মিত অভ্যাসের ওপর নির্ভর করে, কোনো একদিনের অনিয়মের ওপর নয়। নার্সেস হেলথ স্টাডির মতো বড় বড় গবেষণাও বলছে, কোনো একটি নির্দিষ্ট দিনের খাদ্যাভ্যাস নয়; বরং আপনার দীর্ঘদিনের খাদ্যাভ্যাসের ধরনই নির্ধারণ করে আপনার দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি। তাই একদিন বেশি খেয়ে ফেললে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। স্বাস্থ্য মানে নিখুঁত হওয়া নয়; বরং একটি সুস্থ ধারায় থাকা।
৫. নিজের প্রতি সদয় হোন
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো, নিজেকে ক্ষমা করা। গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা নিজেদের প্রতি সদয় থাকেন, তাঁরা আবেগতাড়িত হয়ে বেশি খাওয়ার অভ্যাসটি দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারেন। নিজেকে দোষারোপ না করে বরং বোঝার চেষ্টা করুন, সে মুহূর্তে আপনার কিসের প্রয়োজন ছিল। সমালোচনা নয়, কৌতূহলী মন নিয়ে নিজের আচরণ বিশ্লেষণ করলে আপনি ভবিষ্যতে আরও ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
সূত্র: ডেইলি মেইল

আপনি কি মিষ্টি খেতে বেশ ভালোবাসেন? মিষ্টি দেখলেই নিজেকে সামলে রাখতে পারেন না? এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের মিষ্টি নিয়ে অবসেশন কাজ করে। তাঁরা টিভি দেখতে দেখতে এক টব আইসক্রিম সাবাড় করে ফেলতে পারেন। কেউ আবার বন্ধুর জন্মদিনে বড় এক টুকরা কেক খেয়ে ফেলেন কোনো কিছু না ভেবেই। এমন ঘটনা আমাদের সবার জীবনেই কম-বেশি ঘটে। অনিচ্ছাকৃতভাবে বেশি চিনি বা ক্যালরি খেয়ে ফেলার পরদিন সকালে আমাদের মনে দানা বাঁধে অপরাধ বোধ, আর শুরু হয় নিজেকে ‘শাস্তি’ দেওয়ার পালা। আমরা ভাবি, আজ খাবার না খেয়ে বা খুব কম খেয়ে আগের রাতের ঘাটতি পুষিয়ে নেব। কিন্তু পুষ্টিবিদদের মতে, এই অভ্যাসটিই আমাদের স্বাস্থ্যের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে।
অতিরিক্ত খাবার বা চিনি খেয়ে ফেলাটা জীবনের এক অতি স্বাভাবিক অংশ। এর জন্য নিজেকে শাস্তি দেওয়া বা ক্লিনসিং করার প্রয়োজন নেই। বরং প্রচুর পানি পান, হালকা ব্যায়াম, ভারসাম্যপূর্ণ খাবার এবং নিজের প্রতি মমতা নিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসাই সুস্থ থাকার আসল চাবিকাঠি। মনে রাখবেন, আপনার সুস্বাস্থ্য গড়ে ওঠে আপনার বড় ক্যানভাসের জীবনধারা দিয়ে, একটি মাত্র রাত দিয়ে নয়। ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক ডায়েটিশিয়ান ভিক্টোরিয়া হুইটিংটন এবং সাম্প্রতিক পুষ্টি গবেষণার আলোকে জেনে নিন, একদিনের অনিয়ম সামলে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার বিজ্ঞানসম্মত উপায়।

১. নিজেকে বঞ্চিত করবেন না
বেশি খেয়ে ফেলার পরদিন না খেয়ে থাকা বা খুব অল্প খাওয়ার যে প্রবণতা, তা আসলে উল্টো ফল আনে। গবেষণায় দেখা গেছে, খাবার নিয়ে অতিরিক্ত কড়াকড়ি করলে খাবারের প্রতি আকর্ষণ আরও বেড়ে যায়, যা পরবর্তী সময়ে আবার অনিয়ন্ত্রিত খাওয়ার দিকে ঠেলে দেয়। তাই অতিরিক্ত চিনি খেয়ে ফেলার পরদিন খাবার কমিয়ে দেওয়ার বদলে প্রোটিন, ফাইবার এবং ভালো ফ্যাটের সমন্বয়ে একটি ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যাভ্যাসে ফিরে আসাই বুদ্ধিমানের কাজ।
২. সকালের নাশতা হোক প্রোটিন ও ফাইবারসমৃদ্ধ
অনিয়মের পরদিন সকালের শুরুটা হওয়া চাই জুতসই। গবেষণা বলছে, উচ্চ প্রোটিনযুক্ত সকালের নাশতা রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখে এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এর সঙ্গে পর্যাপ্ত ফাইবার যোগ করলে তা রক্তে গ্লুকোজের আকস্মিক বৃদ্ধি রোধ করে এবং সারা দিন আপনাকে তৃপ্ত রাখে। খাবার বাদ দিলে শরীরে ‘ঘ্রেলিন’ বা ক্ষুধা উদ্দীপক হরমোন বেড়ে যায়, যা দিনশেষে আপনাকে আবারও বেশি খেতে প্ররোচিত করতে পারে।
৩. শরীরকে সচল রাখুন এবং পানি পান করুন
অতিরিক্ত খাওয়ার পর শরীরে যে অলসতা বা ভারী ভাব কাজ করে, তার পেছনে ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতার বড় ভূমিকা থাকে। পর্যাপ্ত পানি পান করলে হজমপ্রক্রিয়া সহজ হয়। পাশাপাশি হালকা শারীরিক পরিশ্রম বা অল্প হাঁটাহাঁটি করা জরুরি। এতে আমাদের পেশিগুলো রক্তে জমে থাকা শর্করাকে কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারে এবং ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পায়।

৪. ‘পারফেকশন’ নয়, গুরুত্ব দিন সামগ্রিক অভ্যাসে
পুষ্টিবিদ হুইটিংটন জোর দিয়ে বলেছেন, দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য মূলত আপনার নিয়মিত অভ্যাসের ওপর নির্ভর করে, কোনো একদিনের অনিয়মের ওপর নয়। নার্সেস হেলথ স্টাডির মতো বড় বড় গবেষণাও বলছে, কোনো একটি নির্দিষ্ট দিনের খাদ্যাভ্যাস নয়; বরং আপনার দীর্ঘদিনের খাদ্যাভ্যাসের ধরনই নির্ধারণ করে আপনার দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি। তাই একদিন বেশি খেয়ে ফেললে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। স্বাস্থ্য মানে নিখুঁত হওয়া নয়; বরং একটি সুস্থ ধারায় থাকা।
৫. নিজের প্রতি সদয় হোন
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো, নিজেকে ক্ষমা করা। গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা নিজেদের প্রতি সদয় থাকেন, তাঁরা আবেগতাড়িত হয়ে বেশি খাওয়ার অভ্যাসটি দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারেন। নিজেকে দোষারোপ না করে বরং বোঝার চেষ্টা করুন, সে মুহূর্তে আপনার কিসের প্রয়োজন ছিল। সমালোচনা নয়, কৌতূহলী মন নিয়ে নিজের আচরণ বিশ্লেষণ করলে আপনি ভবিষ্যতে আরও ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
সূত্র: ডেইলি মেইল

বহু পুরোনো জরাজীর্ণ মন্দির। মন্দিরের দেয়াল থেকে খসে পড়া আস্তরণের ওপরে উঠেছে তৃণলতাসহ বিভিন্ন ধরনের আগাছা। ভেতরে রয়েছে চতুর্ভুজ আকৃতির কুণ্ডলী। সে কুণ্ডলীতে থাকা স্বচ্ছ জলের তলা থেকে বুদ্বুদ শব্দে ওপরে উঠছে পানি।
২৮ নভেম্বর ২০২৪
প্রকৃতি যখন শুভ্র তুষারের চাদরে নিজেকে ঢেকে নেয়, উত্তর গোলার্ধের হিমশীতল তন্দ্রা তখন জেগে ওঠে এক ক্ষণস্থায়ী বিস্ময়ে। যার নাম আইস হোটেল। বসন্তের আগমনে যারা নিভৃতে গলে মিশে যায় নদীর পানিতে, সেই বরফ প্রাসাদগুলোই এখন বিশ্বজুড়ে পর্যটকদের কাছে শীতকালীন অভিযানের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু। বসন্তের প্রথম ছোঁয়া
৪১ মিনিট আগে
আজ নিজেকে সুপারম্যান মনে করতে পারেন। অফিসে বা ঘরে সবাইকে হুকুম দেওয়ার ইচ্ছা জাগবে। তবে সাবধান! মঙ্গল আপনার রাশিতে একটু বেশিই গরম, তাই গরম চা খেতে গিয়ে জিব পুড়িয়ে বা কারোর সঙ্গে অযথা তর্কে জড়িয়ে ফিউজ ওড়াবেন না। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের প্রশংসা করুন, কিন্তু অন্যের সামনে নয়।
১ ঘণ্টা আগে
আমাদের প্রত্যেকের ত্বক তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্যে অনন্য। সুস্থ, উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত ত্বক পাওয়ার প্রথম শর্ত হলো আপনার ত্বকের ধরন বা ‘স্কিন টাইপ’ সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখা। অনেকে ত্বকের ধরন না জেনে বিভিন্ন প্রসাধন ব্যবহার করেন; যা উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি করে। আপনার ত্বক ঠিক কী চাইছে, তা বুঝতে পারাটাই হলো
৩ ঘণ্টা আগে