জীবনধারা ডেস্ক

উপকরণ
ইলিশ মাছ ৪ টুকরো, কাজু বাদাম বাটা ১ চা-চামচ, পোস্ত বাটা ২ চা-চামচ, পেঁয়াজ বাটা ২ চা-চামচ, জিরা বাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ৩টি, হলুদ গুঁড়ো আধা চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, তেল ৩ চা-চামচ, পানি পরিমাণমতো।
প্রণালি
প্যানে তেল দিয়ে একে একে সব মসলা দিয়ে দিন। সময় নিয়ে সেগুলো কষিয়ে নিন। সামান্য পানি দিন। ফুটে উঠলে মাছ দিয়ে দিন। সঙ্গে কাঁচা মরিচ দিন। অল্প আঁচে ঢেকে রান্না করুন। ঝোল কমে এলে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

উপকরণ
ইলিশ মাছ ৪ টুকরো, কাজু বাদাম বাটা ১ চা-চামচ, পোস্ত বাটা ২ চা-চামচ, পেঁয়াজ বাটা ২ চা-চামচ, জিরা বাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ৩টি, হলুদ গুঁড়ো আধা চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, তেল ৩ চা-চামচ, পানি পরিমাণমতো।
প্রণালি
প্যানে তেল দিয়ে একে একে সব মসলা দিয়ে দিন। সময় নিয়ে সেগুলো কষিয়ে নিন। সামান্য পানি দিন। ফুটে উঠলে মাছ দিয়ে দিন। সঙ্গে কাঁচা মরিচ দিন। অল্প আঁচে ঢেকে রান্না করুন। ঝোল কমে এলে নামিয়ে পরিবেশন করুন।
জীবনধারা ডেস্ক

উপকরণ
ইলিশ মাছ ৪ টুকরো, কাজু বাদাম বাটা ১ চা-চামচ, পোস্ত বাটা ২ চা-চামচ, পেঁয়াজ বাটা ২ চা-চামচ, জিরা বাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ৩টি, হলুদ গুঁড়ো আধা চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, তেল ৩ চা-চামচ, পানি পরিমাণমতো।
প্রণালি
প্যানে তেল দিয়ে একে একে সব মসলা দিয়ে দিন। সময় নিয়ে সেগুলো কষিয়ে নিন। সামান্য পানি দিন। ফুটে উঠলে মাছ দিয়ে দিন। সঙ্গে কাঁচা মরিচ দিন। অল্প আঁচে ঢেকে রান্না করুন। ঝোল কমে এলে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

উপকরণ
ইলিশ মাছ ৪ টুকরো, কাজু বাদাম বাটা ১ চা-চামচ, পোস্ত বাটা ২ চা-চামচ, পেঁয়াজ বাটা ২ চা-চামচ, জিরা বাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ৩টি, হলুদ গুঁড়ো আধা চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, তেল ৩ চা-চামচ, পানি পরিমাণমতো।
প্রণালি
প্যানে তেল দিয়ে একে একে সব মসলা দিয়ে দিন। সময় নিয়ে সেগুলো কষিয়ে নিন। সামান্য পানি দিন। ফুটে উঠলে মাছ দিয়ে দিন। সঙ্গে কাঁচা মরিচ দিন। অল্প আঁচে ঢেকে রান্না করুন। ঝোল কমে এলে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

কল্পনা করুন, আপনার কাছে এমন একটি জাদুর কার্ড আছে, যা দিয়ে সারা জীবন পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে প্রথম শ্রেণিতে ভ্রমণ করতে পারবেন! আর সেই ভ্রমণ হবে কোনো খরচ ছাড়াই—যতবার খুশি। শুনতে রূপকথার মতো মনে হলেও আশির দশকে আমেরিকান এয়ারলাইনস ঠিক এমন ধরনের সুযোগ দিয়েছিল।
২২ মিনিট আগে
হোটেলে আপনার অবস্থানকে আরামদায়ক করতে পর্দার আড়ালে নিরলস কাজ করে চলেন হাউসকিপিং কর্মীরা। তাঁদের কাজ সহজ করার জন্য এবং আপনার অভিজ্ঞতা আরও সুন্দর করতে ছোট ছোট কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা দরকার। ভেজা তোয়ালে অথবা সমুদ্রসৈকতে ব্যবহারের পোশাক যত্রতত্র ফেলে না রেখে নির্দিষ্ট হ্যাঙ্গারে কিংবা বারান্দায়...
৩১ মিনিট আগে
পাঁচ তারকা হোটেল যে শুধু বিলাসবহুল কক্ষে রাতযাপন থেকে আয় করে, তেমন নয়। আধুনিক বিলাসী পর্যটনশিল্পে টিকে থাকতে হোটেলগুলো তাদের ব্র্যান্ডকে ছড়িয়ে দিচ্ছে নানা খাতে। ব্যক্তিগত জেট ভ্রমণ, হোটেল-ব্র্যান্ডেড ইয়ট, বিলাসবহুল আবাসন, এমনকি সংগীত স্টুডিও কিংবা স্বয়ংসম্পূর্ণ স্টোরেজ সুবিধাও এখন তাদের আয়ের নতুন
১৪ ঘণ্টা আগে
ভ্রমণের সময় অনেকে সব প্রয়োজনীয় জিনিস একটি স্যুটকেসে গুছিয়ে ফেলতে চান। এতে প্যাকিং সহজ মনে হলেও বাস্তবে এমনটা না-ও হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সব জিনিস এক ব্যাগে না রেখে আলাদা ব্যাগে ভাগ করে নেওয়াই ভ্রমণের জন্য বেশি নিরাপদ ও উপযোগী; বিশেষ করে ব্যস্ত পর্যটন মৌসুমে বিমানবন্দরে লাগেজ হারিয়ে যাওয়ার...
১৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

কল্পনা করুন, আপনার কাছে এমন একটি জাদুর কার্ড আছে, যা দিয়ে সারা জীবন পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে প্রথম শ্রেণিতে ভ্রমণ করতে পারবেন! আর সেই ভ্রমণ হবে কোনো খরচ ছাড়াই—যতবার খুশি।
শুনতে রূপকথার মতো মনে হলেও আশির দশকে আমেরিকান এয়ারলাইনস ঠিক এমন ধরনের সুযোগ দিয়েছিল। গল্পের শুরু ১৯৮১ সালে। আমেরিকান এয়ারলাইনস তখন গভীর আর্থিক সংকটে। জ্বালানি তেলের আকাশচুম্বী দাম আর তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে টিকে থাকতে তাদের জরুরি ভিত্তিতে বিপুল নগদ অর্থের প্রয়োজন ছিল। দেউলিয়া হওয়ার হাত থেকে বাঁচতে তারা এক অভিনব বুদ্ধি বের করল।
চালু করা হলো এয়ার পাস। প্রতিষ্ঠানটি ঘোষণা করল, মাত্র ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার দিলে মিলবে আজীবন আনলিমিটেড ফার্স্ট ক্লাস ভ্রমণের সুবিধা। বর্তমানে বাজারমূল্যে যা প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার। প্রতিষ্ঠানটি ভেবেছিল, বড় বড় ব্যবসায়ী হয়তো তাঁদের শীর্ষ কর্মকর্তাদের জন্য এগুলো কিনবেন। কিন্তু তারা যা কল্পনা করতে পারেনি তা হলো, তাদের দেওয়া সেই গোল্ডেন টিকিট অল্প দিনের মধ্যেই তাদের কোটি কোটি ডলারের লোকসানে রূপ নেবে।
গোল্ডেন টিকিটের সুযোগ লুফে নেওয়া ৬৬ জনের মধ্যে একজন ছিলেন শিকাগোর বিনিয়োগ ব্যাংকার স্টিভেন রথস্টাইন। ১৯৮৭ সালে তিনি ২ লাখ ৫০ হাজার ডলারে নিজের জন্য এবং পরে আরও ১ লাখ ৫০ হাজার ডলারে একজন সঙ্গীর জন্য আজীবন পাস কেনেন। রথস্টাইনের স্ত্রী ন্যান্সির ভাষায়, স্টিভেন প্লেনে উঠতেন ঠিক সেভাবেই, যেভাবে সাধারণ মানুষ বাসে ওঠে। তবে পরবর্তী ২০ বছরে তিনি যা করেন, তা অবিশ্বাস্য। তিনি মোট ১০ হাজারের বেশিবার ফ্লাইটে ভ্রমণ করেছেন। তিনি বছরে গড়ে ৪৭৬টি ফ্লাইট অর্থাৎ দিনে অন্তত একটির বেশি ফ্লাইটে ভ্রমণ করেছেন। তাঁর মোট ভ্রমণের দূরত্ব ছিল প্রায় ৩ কোটি মাইল!
স্টিভেন নিউইয়র্কে গেছেন ১ হাজার বার, লন্ডনে ৫০০ বার, এমনকি টোকিও অথবা প্যারিসেও গেছেন শত শত বার। মাঝে মাঝে তিনি শিকাগো থেকে স্রেফ তাঁর প্রিয় রেস্তোরাঁ থেকে একটি স্যান্ডউইচ খাওয়ার জন্য অন্য শহরে পাড়ি দিতেন। আমেরিকান এয়ারলাইনসের জন্য তিনি হয়ে উঠেছিলেন এক চলন্ত লোকসান। একসময় হিসাব করে দেখা গেল, তাঁর এই ভ্রমণ করার পেছনে এয়ারলাইনসটির ক্ষতি হয়েছিল প্রায় ২১ মিলিয়ন ডলার।
তবে স্টিভেন রথস্টাইনের এই অবিরাম ছুটে চলার পেছনে শুধু বিলাসিতা ছিল না; ছিল এক গভীর বিষাদও। ২০০২ সালে এক সড়ক দুর্ঘটনায় রথস্টাইনের কিশোর ছেলে জশ মারা যায়। এরপর রথস্টাইন আরও বেশি একা হয়ে পড়েন। রাতের বেলা যখন বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে থাকত, তিনি একাকিত্ব কাটাতে এয়ারলাইনসের বুকিং এজেন্টদের ফোন দিতেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা গল্প করতেন তাঁদের সঙ্গে। ফোন রাখার আগে এজেন্টরা যখন জিজ্ঞাসা করতেন, কোনো বুকিং করতে চান কি না। তখন তিনি অবলীলায় বলে দিতেন, ‘আচ্ছা, পরের সপ্তাহে আমাকে সানফ্রান্সিসকোর একটা টিকিট দাও।’ আসলে তাঁর কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন ছিল না, তিনি কেবল মানুষের কণ্ঠস্বর শুনতে চাইতেন।
রথস্টাইনের এই যাত্রায় ছেদ পড়ে ২০০৮ সালের ১৩ ডিসেম্বর। সেবার ও’হারে বিমানবন্দরে স্টিভেন যখন তাঁর বন্ধুর সঙ্গে লন্ডন যাওয়ার জন্য গেটে পৌঁছালেন, তখন তাঁকে একটি চিঠি ধরিয়ে দেওয়া হলো। চিঠিতে বলা ছিল, তাঁর আজীবন পাসের মেয়াদ আজ থেকে শেষ। এয়ারলাইনস অভিযোগ তুলল, রথস্টাইন ‘প্রতারণা’ করেছেন। তারা দাবি করে, রথস্টাইন ভুয়া নামে পাশের সিট বুক করতেন, যাতে কেউ তাঁর পাশে বসতে না পারেন। এ ছাড়া তিনি মাঝেমধ্যে বিমানবন্দরে অপরিচিত মানুষদের তাঁর ‘কম্প্যানিয়ন পাস’ দিয়ে ফার্স্ট ক্লাসে আপগ্রেড করে দিতেন; যাকে এয়ারলাইনস নিয়মবহির্ভূত বলে দাবি করে। এদিকে স্টিভেন পাল্টা মামলা করলেন। তাঁর দাবি ছিল, তিনি কেবল অভাবী মানুষদের সাহায্য করেছেন, কাউকে নিজের পাস ব্যবহার করতে দেননি। বছরের পর বছর ধরে চলা এই আইনি লড়াই ২০১২ সালে একটি গোপন মীমাংসার মাধ্যমে শেষ হয়।
এয়ারলাইনসটি ১৯৯৪ সালে এই স্কিম বন্ধ করে দেয়। ২০০৪ সালে একবার ৩ মিলিয়ন ডলারে এটি পুনরায় বিক্রির চেষ্টা করা হলেও কেউ তা কেনেনি। স্টিভেনের মতো আরেকজন গ্রাহক জ্যাক ভ্রুমও একইভাবে তাঁর পাস হারিয়ে আইনি লড়াইয়ে জড়ান। আজকের যুগে যেখানে প্রতিটি মাইলের হিসাব রাখা হয় এবং কঠোর পরিচয়পত্র ছাড়া বিমানে ওঠা অসম্ভব, সেখানে স্টিভেন রথস্টাইন কিংবা জ্যাক ভ্রুমের এই গল্প এক সোনালি অতীতের সাক্ষী হয়ে আছে।
সূত্র: এরোটাইম, ফোর্বস

কল্পনা করুন, আপনার কাছে এমন একটি জাদুর কার্ড আছে, যা দিয়ে সারা জীবন পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে প্রথম শ্রেণিতে ভ্রমণ করতে পারবেন! আর সেই ভ্রমণ হবে কোনো খরচ ছাড়াই—যতবার খুশি।
শুনতে রূপকথার মতো মনে হলেও আশির দশকে আমেরিকান এয়ারলাইনস ঠিক এমন ধরনের সুযোগ দিয়েছিল। গল্পের শুরু ১৯৮১ সালে। আমেরিকান এয়ারলাইনস তখন গভীর আর্থিক সংকটে। জ্বালানি তেলের আকাশচুম্বী দাম আর তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে টিকে থাকতে তাদের জরুরি ভিত্তিতে বিপুল নগদ অর্থের প্রয়োজন ছিল। দেউলিয়া হওয়ার হাত থেকে বাঁচতে তারা এক অভিনব বুদ্ধি বের করল।
চালু করা হলো এয়ার পাস। প্রতিষ্ঠানটি ঘোষণা করল, মাত্র ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার দিলে মিলবে আজীবন আনলিমিটেড ফার্স্ট ক্লাস ভ্রমণের সুবিধা। বর্তমানে বাজারমূল্যে যা প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার। প্রতিষ্ঠানটি ভেবেছিল, বড় বড় ব্যবসায়ী হয়তো তাঁদের শীর্ষ কর্মকর্তাদের জন্য এগুলো কিনবেন। কিন্তু তারা যা কল্পনা করতে পারেনি তা হলো, তাদের দেওয়া সেই গোল্ডেন টিকিট অল্প দিনের মধ্যেই তাদের কোটি কোটি ডলারের লোকসানে রূপ নেবে।
গোল্ডেন টিকিটের সুযোগ লুফে নেওয়া ৬৬ জনের মধ্যে একজন ছিলেন শিকাগোর বিনিয়োগ ব্যাংকার স্টিভেন রথস্টাইন। ১৯৮৭ সালে তিনি ২ লাখ ৫০ হাজার ডলারে নিজের জন্য এবং পরে আরও ১ লাখ ৫০ হাজার ডলারে একজন সঙ্গীর জন্য আজীবন পাস কেনেন। রথস্টাইনের স্ত্রী ন্যান্সির ভাষায়, স্টিভেন প্লেনে উঠতেন ঠিক সেভাবেই, যেভাবে সাধারণ মানুষ বাসে ওঠে। তবে পরবর্তী ২০ বছরে তিনি যা করেন, তা অবিশ্বাস্য। তিনি মোট ১০ হাজারের বেশিবার ফ্লাইটে ভ্রমণ করেছেন। তিনি বছরে গড়ে ৪৭৬টি ফ্লাইট অর্থাৎ দিনে অন্তত একটির বেশি ফ্লাইটে ভ্রমণ করেছেন। তাঁর মোট ভ্রমণের দূরত্ব ছিল প্রায় ৩ কোটি মাইল!
স্টিভেন নিউইয়র্কে গেছেন ১ হাজার বার, লন্ডনে ৫০০ বার, এমনকি টোকিও অথবা প্যারিসেও গেছেন শত শত বার। মাঝে মাঝে তিনি শিকাগো থেকে স্রেফ তাঁর প্রিয় রেস্তোরাঁ থেকে একটি স্যান্ডউইচ খাওয়ার জন্য অন্য শহরে পাড়ি দিতেন। আমেরিকান এয়ারলাইনসের জন্য তিনি হয়ে উঠেছিলেন এক চলন্ত লোকসান। একসময় হিসাব করে দেখা গেল, তাঁর এই ভ্রমণ করার পেছনে এয়ারলাইনসটির ক্ষতি হয়েছিল প্রায় ২১ মিলিয়ন ডলার।
তবে স্টিভেন রথস্টাইনের এই অবিরাম ছুটে চলার পেছনে শুধু বিলাসিতা ছিল না; ছিল এক গভীর বিষাদও। ২০০২ সালে এক সড়ক দুর্ঘটনায় রথস্টাইনের কিশোর ছেলে জশ মারা যায়। এরপর রথস্টাইন আরও বেশি একা হয়ে পড়েন। রাতের বেলা যখন বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে থাকত, তিনি একাকিত্ব কাটাতে এয়ারলাইনসের বুকিং এজেন্টদের ফোন দিতেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা গল্প করতেন তাঁদের সঙ্গে। ফোন রাখার আগে এজেন্টরা যখন জিজ্ঞাসা করতেন, কোনো বুকিং করতে চান কি না। তখন তিনি অবলীলায় বলে দিতেন, ‘আচ্ছা, পরের সপ্তাহে আমাকে সানফ্রান্সিসকোর একটা টিকিট দাও।’ আসলে তাঁর কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন ছিল না, তিনি কেবল মানুষের কণ্ঠস্বর শুনতে চাইতেন।
রথস্টাইনের এই যাত্রায় ছেদ পড়ে ২০০৮ সালের ১৩ ডিসেম্বর। সেবার ও’হারে বিমানবন্দরে স্টিভেন যখন তাঁর বন্ধুর সঙ্গে লন্ডন যাওয়ার জন্য গেটে পৌঁছালেন, তখন তাঁকে একটি চিঠি ধরিয়ে দেওয়া হলো। চিঠিতে বলা ছিল, তাঁর আজীবন পাসের মেয়াদ আজ থেকে শেষ। এয়ারলাইনস অভিযোগ তুলল, রথস্টাইন ‘প্রতারণা’ করেছেন। তারা দাবি করে, রথস্টাইন ভুয়া নামে পাশের সিট বুক করতেন, যাতে কেউ তাঁর পাশে বসতে না পারেন। এ ছাড়া তিনি মাঝেমধ্যে বিমানবন্দরে অপরিচিত মানুষদের তাঁর ‘কম্প্যানিয়ন পাস’ দিয়ে ফার্স্ট ক্লাসে আপগ্রেড করে দিতেন; যাকে এয়ারলাইনস নিয়মবহির্ভূত বলে দাবি করে। এদিকে স্টিভেন পাল্টা মামলা করলেন। তাঁর দাবি ছিল, তিনি কেবল অভাবী মানুষদের সাহায্য করেছেন, কাউকে নিজের পাস ব্যবহার করতে দেননি। বছরের পর বছর ধরে চলা এই আইনি লড়াই ২০১২ সালে একটি গোপন মীমাংসার মাধ্যমে শেষ হয়।
এয়ারলাইনসটি ১৯৯৪ সালে এই স্কিম বন্ধ করে দেয়। ২০০৪ সালে একবার ৩ মিলিয়ন ডলারে এটি পুনরায় বিক্রির চেষ্টা করা হলেও কেউ তা কেনেনি। স্টিভেনের মতো আরেকজন গ্রাহক জ্যাক ভ্রুমও একইভাবে তাঁর পাস হারিয়ে আইনি লড়াইয়ে জড়ান। আজকের যুগে যেখানে প্রতিটি মাইলের হিসাব রাখা হয় এবং কঠোর পরিচয়পত্র ছাড়া বিমানে ওঠা অসম্ভব, সেখানে স্টিভেন রথস্টাইন কিংবা জ্যাক ভ্রুমের এই গল্প এক সোনালি অতীতের সাক্ষী হয়ে আছে।
সূত্র: এরোটাইম, ফোর্বস

ঈদের জম্পেশ খাওয়াদাওয়ার পর একটু হালকা ধাঁচের খাবার খেতে ইচ্ছে করে নিশ্চয়ই। তেমন হলে বানিয়ে ফেলুন কাজু পোস্ত ইলিশ। রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন ‘সিম্পল কুকিং বাই নাতাশা’র স্বত্বাধিকারী নাদিয়া নাতাশা।
০৯ এপ্রিল ২০২৪
হোটেলে আপনার অবস্থানকে আরামদায়ক করতে পর্দার আড়ালে নিরলস কাজ করে চলেন হাউসকিপিং কর্মীরা। তাঁদের কাজ সহজ করার জন্য এবং আপনার অভিজ্ঞতা আরও সুন্দর করতে ছোট ছোট কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা দরকার। ভেজা তোয়ালে অথবা সমুদ্রসৈকতে ব্যবহারের পোশাক যত্রতত্র ফেলে না রেখে নির্দিষ্ট হ্যাঙ্গারে কিংবা বারান্দায়...
৩১ মিনিট আগে
পাঁচ তারকা হোটেল যে শুধু বিলাসবহুল কক্ষে রাতযাপন থেকে আয় করে, তেমন নয়। আধুনিক বিলাসী পর্যটনশিল্পে টিকে থাকতে হোটেলগুলো তাদের ব্র্যান্ডকে ছড়িয়ে দিচ্ছে নানা খাতে। ব্যক্তিগত জেট ভ্রমণ, হোটেল-ব্র্যান্ডেড ইয়ট, বিলাসবহুল আবাসন, এমনকি সংগীত স্টুডিও কিংবা স্বয়ংসম্পূর্ণ স্টোরেজ সুবিধাও এখন তাদের আয়ের নতুন
১৪ ঘণ্টা আগে
ভ্রমণের সময় অনেকে সব প্রয়োজনীয় জিনিস একটি স্যুটকেসে গুছিয়ে ফেলতে চান। এতে প্যাকিং সহজ মনে হলেও বাস্তবে এমনটা না-ও হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সব জিনিস এক ব্যাগে না রেখে আলাদা ব্যাগে ভাগ করে নেওয়াই ভ্রমণের জন্য বেশি নিরাপদ ও উপযোগী; বিশেষ করে ব্যস্ত পর্যটন মৌসুমে বিমানবন্দরে লাগেজ হারিয়ে যাওয়ার...
১৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

হোটেলে আপনার অবস্থানকে আরামদায়ক করতে পর্দার আড়ালে নিরলস কাজ করে চলেন হাউসকিপিং কর্মীরা। তাঁদের কাজ সহজ করার জন্য এবং আপনার অভিজ্ঞতা আরও সুন্দর করতে ছোট ছোট কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা দরকার।
ভেজা তোয়ালে অথবা সমুদ্রসৈকতে ব্যবহারের পোশাক যত্রতত্র ফেলে না রেখে নির্দিষ্ট হ্যাঙ্গারে কিংবা বারান্দায় ঝুলিয়ে রাখা ভালো। এটি রুমে ভ্যাপসা আর্দ্রতা ছড়ানো রোধ করে এবং কর্মীদের কাজগুলো দ্রুত করতে সাহায্য করে।
ভ্যানিটি টেবিল বা ডেস্কের ওপর আপনার ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ছড়িয়ে না রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
ব্যবহৃত কাপ, পানির খালি বোতল অথবা অন্যান্য আবর্জনা ময়লার ঝুড়িতে রাখতে পারেন। এ ছাড়া রুমের দরজার কাছে এক পাশে গুছিয়ে রাখুন।
লন্ড্রিতে পাঠানোর জন্য ব্যবহৃত তোয়ালেগুলো বাথরুমের মেঝেতে কিংবা বাথটাবের এক জায়গায় স্তূপ করে রাখা ভালো। তবে রুমের নির্দিষ্ট জায়গায় তোয়ালে রাখলে কর্মীরা খুব সহজে বুঝতে পারবেন না যে কোন তোয়ালেগুলো বদল করা প্রয়োজন।
হাউসকিপিং একটি নির্দিষ্ট সময়সূচি মেনে কাজ করে। আপনি যদি দীর্ঘ সময় রুমে থাকতে চান কিংবা দ্রুততম সময়ে রুম পরিষ্কারের প্রয়োজন হয়, তাহলে বিষয়টি আগেভাগে কর্মীদের জানান।
ছোট একটি ‘ধন্যবাদ’ লেখা চিরকুট কর্মীদের জন্য অনেক বড় অনুপ্রেরণা হতে পারে। অনেক হোটেলের কর্মীরাও এমন চিরকুটের মজাদার উত্তর দিয়ে থাকেন, যা আপনার ভ্রমণকে আরও আনন্দদায়ক করে তুলবে।
টিপস বা বকশিশ কর্মীদের পরিশ্রমের একটি স্বীকৃতি। তাই তাদের জন্য কিছু বকশিশ খামে ভরে ‘হাউসকিপিং’ লিখে টেবিলের ওপর রাখতে পারেন।
সূত্র: ট্রাভেল+লিজার

হোটেলে আপনার অবস্থানকে আরামদায়ক করতে পর্দার আড়ালে নিরলস কাজ করে চলেন হাউসকিপিং কর্মীরা। তাঁদের কাজ সহজ করার জন্য এবং আপনার অভিজ্ঞতা আরও সুন্দর করতে ছোট ছোট কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা দরকার।
ভেজা তোয়ালে অথবা সমুদ্রসৈকতে ব্যবহারের পোশাক যত্রতত্র ফেলে না রেখে নির্দিষ্ট হ্যাঙ্গারে কিংবা বারান্দায় ঝুলিয়ে রাখা ভালো। এটি রুমে ভ্যাপসা আর্দ্রতা ছড়ানো রোধ করে এবং কর্মীদের কাজগুলো দ্রুত করতে সাহায্য করে।
ভ্যানিটি টেবিল বা ডেস্কের ওপর আপনার ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ছড়িয়ে না রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
ব্যবহৃত কাপ, পানির খালি বোতল অথবা অন্যান্য আবর্জনা ময়লার ঝুড়িতে রাখতে পারেন। এ ছাড়া রুমের দরজার কাছে এক পাশে গুছিয়ে রাখুন।
লন্ড্রিতে পাঠানোর জন্য ব্যবহৃত তোয়ালেগুলো বাথরুমের মেঝেতে কিংবা বাথটাবের এক জায়গায় স্তূপ করে রাখা ভালো। তবে রুমের নির্দিষ্ট জায়গায় তোয়ালে রাখলে কর্মীরা খুব সহজে বুঝতে পারবেন না যে কোন তোয়ালেগুলো বদল করা প্রয়োজন।
হাউসকিপিং একটি নির্দিষ্ট সময়সূচি মেনে কাজ করে। আপনি যদি দীর্ঘ সময় রুমে থাকতে চান কিংবা দ্রুততম সময়ে রুম পরিষ্কারের প্রয়োজন হয়, তাহলে বিষয়টি আগেভাগে কর্মীদের জানান।
ছোট একটি ‘ধন্যবাদ’ লেখা চিরকুট কর্মীদের জন্য অনেক বড় অনুপ্রেরণা হতে পারে। অনেক হোটেলের কর্মীরাও এমন চিরকুটের মজাদার উত্তর দিয়ে থাকেন, যা আপনার ভ্রমণকে আরও আনন্দদায়ক করে তুলবে।
টিপস বা বকশিশ কর্মীদের পরিশ্রমের একটি স্বীকৃতি। তাই তাদের জন্য কিছু বকশিশ খামে ভরে ‘হাউসকিপিং’ লিখে টেবিলের ওপর রাখতে পারেন।
সূত্র: ট্রাভেল+লিজার

ঈদের জম্পেশ খাওয়াদাওয়ার পর একটু হালকা ধাঁচের খাবার খেতে ইচ্ছে করে নিশ্চয়ই। তেমন হলে বানিয়ে ফেলুন কাজু পোস্ত ইলিশ। রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন ‘সিম্পল কুকিং বাই নাতাশা’র স্বত্বাধিকারী নাদিয়া নাতাশা।
০৯ এপ্রিল ২০২৪
কল্পনা করুন, আপনার কাছে এমন একটি জাদুর কার্ড আছে, যা দিয়ে সারা জীবন পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে প্রথম শ্রেণিতে ভ্রমণ করতে পারবেন! আর সেই ভ্রমণ হবে কোনো খরচ ছাড়াই—যতবার খুশি। শুনতে রূপকথার মতো মনে হলেও আশির দশকে আমেরিকান এয়ারলাইনস ঠিক এমন ধরনের সুযোগ দিয়েছিল।
২২ মিনিট আগে
পাঁচ তারকা হোটেল যে শুধু বিলাসবহুল কক্ষে রাতযাপন থেকে আয় করে, তেমন নয়। আধুনিক বিলাসী পর্যটনশিল্পে টিকে থাকতে হোটেলগুলো তাদের ব্র্যান্ডকে ছড়িয়ে দিচ্ছে নানা খাতে। ব্যক্তিগত জেট ভ্রমণ, হোটেল-ব্র্যান্ডেড ইয়ট, বিলাসবহুল আবাসন, এমনকি সংগীত স্টুডিও কিংবা স্বয়ংসম্পূর্ণ স্টোরেজ সুবিধাও এখন তাদের আয়ের নতুন
১৪ ঘণ্টা আগে
ভ্রমণের সময় অনেকে সব প্রয়োজনীয় জিনিস একটি স্যুটকেসে গুছিয়ে ফেলতে চান। এতে প্যাকিং সহজ মনে হলেও বাস্তবে এমনটা না-ও হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সব জিনিস এক ব্যাগে না রেখে আলাদা ব্যাগে ভাগ করে নেওয়াই ভ্রমণের জন্য বেশি নিরাপদ ও উপযোগী; বিশেষ করে ব্যস্ত পর্যটন মৌসুমে বিমানবন্দরে লাগেজ হারিয়ে যাওয়ার...
১৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

পাঁচ তারকা হোটেল যে শুধু বিলাসবহুল কক্ষে রাতযাপন থেকে আয় করে, তেমন নয়। আধুনিক বিলাসী পর্যটনশিল্পে টিকে থাকতে হোটেলগুলো তাদের ব্র্যান্ডকে ছড়িয়ে দিচ্ছে নানা খাতে। ব্যক্তিগত জেট ভ্রমণ, হোটেল-ব্র্যান্ডেড ইয়ট, বিলাসবহুল আবাসন, এমনকি সংগীত স্টুডিও কিংবা স্বয়ংসম্পূর্ণ স্টোরেজ সুবিধাও এখন তাদের আয়ের নতুন মাধ্যম।
সম্প্রতি জাপানের উদ্যোক্তা ইউসাকু মায়েজাওয়া টোকিওতে আমান গ্রুপের একটি ব্র্যান্ডেড রেসিডেন্স কিনেছেন বলে জানা গেছে, যার মূল্য প্রায় ৩০ বিলিয়ন ইয়েন। এটি শুধু একটি উদাহরণ। বিশ্বজুড়ে বিলাসী হোটেলগুলো তাদের গ্রাহকদের জন্য আরও ব্যতিক্রমী সেবা বিক্রি করছে।
ধনীদের চাহিদাই বদলে দিচ্ছে ব্যবসার ধরন
বিশেষজ্ঞদের মতে, এর পেছনে বড় কারণ হলো ধনীদের সম্পদ দ্রুত বাড়ছে। অক্সফামের গবেষণা অনুযায়ী, ২০২৪ সালে যুক্তরাজ্যের বিলিয়নিয়ারদের সম্পদ প্রতিদিন গড়ে ৩ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ড বেড়েছে! ফলে এই শ্রেণির গ্রাহকেরা শুধু থাকার জায়গা নয়, এর সঙ্গে বিশেষ অভিজ্ঞতা ও ব্যক্তিগত সেবা চাইছেন। ‘বিজনেস ইনসাইডার’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফোর সিজনসের প্রধান নির্বাহী আলেহান্দ্রো রেনাল জানান, যদিও তাঁদের মোট আয়ের প্রায় ৮০ শতাংশ আসে হোটেল ও রিসোর্ট থেকে, তবে ব্যক্তিগত জেট ট্যুরের মতো অতিরিক্ত সেবা ধনী গ্রাহকদের আকর্ষণ আরও বাড়ায়। সঠিকভাবে পরিচালিত হলে একজন অতিধনী অতিথির একবারের সফর হোটেলকক্ষের ভাড়ার চেয়ে অনেক বেশি আয় এনে দিতে পারে।

ব্যক্তিগত জেট ও আকাশপথের ভ্রমণ
ফোর সিজনসের ব্যক্তিগত জেট সেবার মাধ্যমে অতিথিরা বিভিন্ন হোটেলে ভ্রমণ করতে পারেন বিশেষভাবে সাজানো এয়ারবাস বিমানে। এসব ভ্রমণে থাকে বিলাসবহুল আসন, আলাদা শেফ এবং প্রতিটি গন্তব্যের সংস্কৃতি অনুযায়ী বিশেষ আয়োজন। এমন একটি রাতের ভ্রমণের খরচ জনপ্রতি প্রায় ২ লাখ ৩৪ হাজার পাউন্ড, যা একটি হোটেলের সবচেয়ে দামি কক্ষের ভাড়ার তুলনায় অনেক বেশি।
সমুদ্রে বিলাস: হোটেল-ব্র্যান্ডেড ইয়ট
বিলাসী পর্যটকদের কাছে এখন শুধু নৌভ্রমণ নয়, হোটেল-ব্র্যান্ডেড ইয়টে সমুদ্র পাড়ি দেওয়া নতুন ট্রেন্ড। ফোর সিজনস ও আমান শিগগির নিজেদের ইয়ট সেবা চালু করতে যাচ্ছে। এর আগেই রিটজ কার্লটন তাদের ইয়ট কালেকশন চালু করেছে, যা ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
ঘরের ভেতরও হোটেলের ছোঁয়া
শুধু ভ্রমণ বা রাতযাপন নয়, এখন অনেক বিলাসবহুল হোটেল তাদের অভ্যন্তরীণ নকশা ও আসবাবকেও আলাদা ব্যবসা হিসেবে তুলে ধরছে। হোটেলে থাকার সময় অতিথিদের যেসব আসবাব, আলো, পর্দা বা সাজসজ্জা ভালো লাগে, সেগুলোই এখন তারা নিজের ঘরের জন্য কিনে নিতে চাইছেন। এই চাহিদা কাজে লাগিয়ে অনেক হোটেল ব্র্যান্ড তাদের ডিজাইনকে পণ্যে রূপ দিয়েছে। এর সফল উদাহরণ হলো সোহো হাউসের সহযোগী ব্র্যান্ড সোহো হোম। হোটেল ও প্রাইভেট ক্লাবের অভ্যন্তরীণ নকশায় ব্যবহৃত আসবাব ও ডেকর আইটেম এখন সরাসরি বাজারে বিক্রি করছে প্রতিষ্ঠানটি। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে সোফা, আলো, কার্পেট থেকে শুরু করে টেবিলওয়্যার পর্যন্ত। ফলে যারা সোহো হাউসের পরিবেশ পছন্দ করেন, তাঁরা সেই অভিজ্ঞতা নিজেদের ঘরেও নিয়ে যেতে পারছেন।

হোটেল পণ্যই এখন স্ট্যাটাস
হোটেলের লোগো দেওয়া তোয়ালে, ব্যাগ বা পোশাক এখন ধনীদের কাছে নতুন ফ্যাশন। ফ্রান্সের হোটেল দ্যু ক্যাপ এদেন রকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো নিজস্ব অনলাইন স্টোর চালু করেছে। কেউ কেউ আবার হোটেলের নামে তৈরি বিশেষ স্পিডবোট পর্যন্ত কিনছেন।
সামাজিক ক্লাব ও স্থানীয় সদস্যপদ
অনেক বিলাসবহুল হোটেল এখন স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য সামাজিক ক্লাব চালু করছে। এর মাধ্যমে হোটেলের বার, রেস্তোরাঁ ও স্পা সব সময় প্রাণবন্ত থাকে, যা আয়ের দ্বিতীয় বড় উৎস। মেক্সিকোর ওয়ানঅ্যান্ডঅনলি পামিলার মতো রিসোর্টে এমন ক্লাব বিনা ফিতেও চালু হয়েছে। যেখানে আয়োজন করা হয় বই পড়ার আসর, বাজার বা মেডিটেশন সেশন।
পাঁচ তারকা হোটেলের ব্যবসা এখন আর শুধু রাতযাপন ‘বিক্রি’র মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। আকাশ, সমুদ্র, ঘর আর সামাজিক জীবন—সবখানেই নিজেদের ব্র্যান্ড ছড়িয়ে দিয়ে তারা বিলাসী অভিজ্ঞতাকেই মূল পণ্য হিসেবে তুলে ধরছে। আর সেখানেই লুকিয়ে আছে তাদের আসল আয়।
সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ

পাঁচ তারকা হোটেল যে শুধু বিলাসবহুল কক্ষে রাতযাপন থেকে আয় করে, তেমন নয়। আধুনিক বিলাসী পর্যটনশিল্পে টিকে থাকতে হোটেলগুলো তাদের ব্র্যান্ডকে ছড়িয়ে দিচ্ছে নানা খাতে। ব্যক্তিগত জেট ভ্রমণ, হোটেল-ব্র্যান্ডেড ইয়ট, বিলাসবহুল আবাসন, এমনকি সংগীত স্টুডিও কিংবা স্বয়ংসম্পূর্ণ স্টোরেজ সুবিধাও এখন তাদের আয়ের নতুন মাধ্যম।
সম্প্রতি জাপানের উদ্যোক্তা ইউসাকু মায়েজাওয়া টোকিওতে আমান গ্রুপের একটি ব্র্যান্ডেড রেসিডেন্স কিনেছেন বলে জানা গেছে, যার মূল্য প্রায় ৩০ বিলিয়ন ইয়েন। এটি শুধু একটি উদাহরণ। বিশ্বজুড়ে বিলাসী হোটেলগুলো তাদের গ্রাহকদের জন্য আরও ব্যতিক্রমী সেবা বিক্রি করছে।
ধনীদের চাহিদাই বদলে দিচ্ছে ব্যবসার ধরন
বিশেষজ্ঞদের মতে, এর পেছনে বড় কারণ হলো ধনীদের সম্পদ দ্রুত বাড়ছে। অক্সফামের গবেষণা অনুযায়ী, ২০২৪ সালে যুক্তরাজ্যের বিলিয়নিয়ারদের সম্পদ প্রতিদিন গড়ে ৩ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ড বেড়েছে! ফলে এই শ্রেণির গ্রাহকেরা শুধু থাকার জায়গা নয়, এর সঙ্গে বিশেষ অভিজ্ঞতা ও ব্যক্তিগত সেবা চাইছেন। ‘বিজনেস ইনসাইডার’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফোর সিজনসের প্রধান নির্বাহী আলেহান্দ্রো রেনাল জানান, যদিও তাঁদের মোট আয়ের প্রায় ৮০ শতাংশ আসে হোটেল ও রিসোর্ট থেকে, তবে ব্যক্তিগত জেট ট্যুরের মতো অতিরিক্ত সেবা ধনী গ্রাহকদের আকর্ষণ আরও বাড়ায়। সঠিকভাবে পরিচালিত হলে একজন অতিধনী অতিথির একবারের সফর হোটেলকক্ষের ভাড়ার চেয়ে অনেক বেশি আয় এনে দিতে পারে।

ব্যক্তিগত জেট ও আকাশপথের ভ্রমণ
ফোর সিজনসের ব্যক্তিগত জেট সেবার মাধ্যমে অতিথিরা বিভিন্ন হোটেলে ভ্রমণ করতে পারেন বিশেষভাবে সাজানো এয়ারবাস বিমানে। এসব ভ্রমণে থাকে বিলাসবহুল আসন, আলাদা শেফ এবং প্রতিটি গন্তব্যের সংস্কৃতি অনুযায়ী বিশেষ আয়োজন। এমন একটি রাতের ভ্রমণের খরচ জনপ্রতি প্রায় ২ লাখ ৩৪ হাজার পাউন্ড, যা একটি হোটেলের সবচেয়ে দামি কক্ষের ভাড়ার তুলনায় অনেক বেশি।
সমুদ্রে বিলাস: হোটেল-ব্র্যান্ডেড ইয়ট
বিলাসী পর্যটকদের কাছে এখন শুধু নৌভ্রমণ নয়, হোটেল-ব্র্যান্ডেড ইয়টে সমুদ্র পাড়ি দেওয়া নতুন ট্রেন্ড। ফোর সিজনস ও আমান শিগগির নিজেদের ইয়ট সেবা চালু করতে যাচ্ছে। এর আগেই রিটজ কার্লটন তাদের ইয়ট কালেকশন চালু করেছে, যা ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
ঘরের ভেতরও হোটেলের ছোঁয়া
শুধু ভ্রমণ বা রাতযাপন নয়, এখন অনেক বিলাসবহুল হোটেল তাদের অভ্যন্তরীণ নকশা ও আসবাবকেও আলাদা ব্যবসা হিসেবে তুলে ধরছে। হোটেলে থাকার সময় অতিথিদের যেসব আসবাব, আলো, পর্দা বা সাজসজ্জা ভালো লাগে, সেগুলোই এখন তারা নিজের ঘরের জন্য কিনে নিতে চাইছেন। এই চাহিদা কাজে লাগিয়ে অনেক হোটেল ব্র্যান্ড তাদের ডিজাইনকে পণ্যে রূপ দিয়েছে। এর সফল উদাহরণ হলো সোহো হাউসের সহযোগী ব্র্যান্ড সোহো হোম। হোটেল ও প্রাইভেট ক্লাবের অভ্যন্তরীণ নকশায় ব্যবহৃত আসবাব ও ডেকর আইটেম এখন সরাসরি বাজারে বিক্রি করছে প্রতিষ্ঠানটি। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে সোফা, আলো, কার্পেট থেকে শুরু করে টেবিলওয়্যার পর্যন্ত। ফলে যারা সোহো হাউসের পরিবেশ পছন্দ করেন, তাঁরা সেই অভিজ্ঞতা নিজেদের ঘরেও নিয়ে যেতে পারছেন।

হোটেল পণ্যই এখন স্ট্যাটাস
হোটেলের লোগো দেওয়া তোয়ালে, ব্যাগ বা পোশাক এখন ধনীদের কাছে নতুন ফ্যাশন। ফ্রান্সের হোটেল দ্যু ক্যাপ এদেন রকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো নিজস্ব অনলাইন স্টোর চালু করেছে। কেউ কেউ আবার হোটেলের নামে তৈরি বিশেষ স্পিডবোট পর্যন্ত কিনছেন।
সামাজিক ক্লাব ও স্থানীয় সদস্যপদ
অনেক বিলাসবহুল হোটেল এখন স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য সামাজিক ক্লাব চালু করছে। এর মাধ্যমে হোটেলের বার, রেস্তোরাঁ ও স্পা সব সময় প্রাণবন্ত থাকে, যা আয়ের দ্বিতীয় বড় উৎস। মেক্সিকোর ওয়ানঅ্যান্ডঅনলি পামিলার মতো রিসোর্টে এমন ক্লাব বিনা ফিতেও চালু হয়েছে। যেখানে আয়োজন করা হয় বই পড়ার আসর, বাজার বা মেডিটেশন সেশন।
পাঁচ তারকা হোটেলের ব্যবসা এখন আর শুধু রাতযাপন ‘বিক্রি’র মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। আকাশ, সমুদ্র, ঘর আর সামাজিক জীবন—সবখানেই নিজেদের ব্র্যান্ড ছড়িয়ে দিয়ে তারা বিলাসী অভিজ্ঞতাকেই মূল পণ্য হিসেবে তুলে ধরছে। আর সেখানেই লুকিয়ে আছে তাদের আসল আয়।
সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ

ঈদের জম্পেশ খাওয়াদাওয়ার পর একটু হালকা ধাঁচের খাবার খেতে ইচ্ছে করে নিশ্চয়ই। তেমন হলে বানিয়ে ফেলুন কাজু পোস্ত ইলিশ। রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন ‘সিম্পল কুকিং বাই নাতাশা’র স্বত্বাধিকারী নাদিয়া নাতাশা।
০৯ এপ্রিল ২০২৪
কল্পনা করুন, আপনার কাছে এমন একটি জাদুর কার্ড আছে, যা দিয়ে সারা জীবন পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে প্রথম শ্রেণিতে ভ্রমণ করতে পারবেন! আর সেই ভ্রমণ হবে কোনো খরচ ছাড়াই—যতবার খুশি। শুনতে রূপকথার মতো মনে হলেও আশির দশকে আমেরিকান এয়ারলাইনস ঠিক এমন ধরনের সুযোগ দিয়েছিল।
২২ মিনিট আগে
হোটেলে আপনার অবস্থানকে আরামদায়ক করতে পর্দার আড়ালে নিরলস কাজ করে চলেন হাউসকিপিং কর্মীরা। তাঁদের কাজ সহজ করার জন্য এবং আপনার অভিজ্ঞতা আরও সুন্দর করতে ছোট ছোট কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা দরকার। ভেজা তোয়ালে অথবা সমুদ্রসৈকতে ব্যবহারের পোশাক যত্রতত্র ফেলে না রেখে নির্দিষ্ট হ্যাঙ্গারে কিংবা বারান্দায়...
৩১ মিনিট আগে
ভ্রমণের সময় অনেকে সব প্রয়োজনীয় জিনিস একটি স্যুটকেসে গুছিয়ে ফেলতে চান। এতে প্যাকিং সহজ মনে হলেও বাস্তবে এমনটা না-ও হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সব জিনিস এক ব্যাগে না রেখে আলাদা ব্যাগে ভাগ করে নেওয়াই ভ্রমণের জন্য বেশি নিরাপদ ও উপযোগী; বিশেষ করে ব্যস্ত পর্যটন মৌসুমে বিমানবন্দরে লাগেজ হারিয়ে যাওয়ার...
১৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

ভ্রমণের সময় অনেকে সব প্রয়োজনীয় জিনিস একটি স্যুটকেসে গুছিয়ে ফেলতে চান। এতে প্যাকিং সহজ মনে হলেও বাস্তবে এমনটা না-ও হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সব জিনিস এক ব্যাগে না রেখে আলাদা ব্যাগে ভাগ করে নেওয়াই ভ্রমণের জন্য বেশি নিরাপদ ও উপযোগী; বিশেষ করে ব্যস্ত পর্যটন মৌসুমে বিমানবন্দরে লাগেজ হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে একমাত্র স্যুটকেসটি হারিয়ে গেলে ভ্রমণ আনন্দের বদলে দুঃস্বপ্নে পরিণত হতে পারে।
কেন আলাদা ব্যাগে জিনিস রাখা জরুরি
যুক্তরাজ্যের বিমানবন্দর শাটল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এসসিএস শফার্স ভ্রমণকারীদের পরামর্শ দিয়েছে, কাপড়, ওষুধ, চার্জারসহ দৈনন্দিন ব্যবহারের জরুরি জিনিসগুলো একটি ব্যাগে না রেখে ছোট ব্যাগ বা একাধিক স্যুটকেসে ভাগ করে রাখা উচিত। এতে লাগেজ হারিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকলেও পুরো ভ্রমণ পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা কমে। প্রতিষ্ঠানটির কমার্শিয়াল ডিরেক্টর হ্যাডলি ডায়মন্ড বলেন, ‘সব প্রয়োজনীয় জিনিস এক স্যুটকেসে গুছিয়ে রাখলে সেটি হারালে ভ্রমণকারীরা একসঙ্গে সবকিছু হারানোর ঝুঁকিতে পড়েন; বিশেষ করে পরিবার নিয়ে ভ্রমণ কিংবা সময়সূচিনির্ভর কোনো সফরে গেলে বিষয়টি আরও সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। প্রয়োজনীয় জিনিস আলাদা ব্যাগে ভাগ করে রাখলে যাত্রাপথে কোনো অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি তৈরি হলেও ভ্রমণকারীরা নিজেদের পরিকল্পনা সহজে সামাল দিতে পারেন।’
কীভাবে প্যাক করবেন
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভ্রমণের আগে প্রথমে প্রয়োজনীয় ও অপরিহার্য জিনিসের একটি তালিকা তৈরি করা উচিত। এরপর সেগুলো গুরুত্ব অনুযায়ী ভাগ করে কিছু জিনিস চেকড ব্যাগেজে এবং কিছু ক্যারি-অন ব্যাগে রাখা নিরাপদ। পরিচয়পত্র, প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং অন্তত এক সেট কাপড় ক্যারিঅন ব্যাগে রাখলে লাগেজ দেরিতে পৌঁছানো বা হারিয়ে যাওয়ার পরিস্থিতিতেও ভ্রমণকারীরা সাময়িকভাবে সমস্যামুক্ত থাকতে পারেন। একই সঙ্গে অন্তর্বাস, চার্জিং ডিভাইসসহ ছোটখাটো প্রয়োজনীয় জিনিস আলাদা ছোট ব্যাগে গুছিয়ে রাখলে লাগেজের ভেতর জিনিস খুঁজে পাওয়া সহজ হয়। বিভিন্ন রঙের প্যাকিং কিউব ব্যবহার করলে কাপড় ও আনুষঙ্গিক জিনিস আলাদা করে রাখা যায়, যা সময় ও ঝামেলা কমায়। গন্তব্যে পৌঁছে এসব কিউব সরাসরি হোটেলের ড্রয়ারে রেখে দিলেই দ্রুত গুছিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়।
অতিরিক্ত জিনিস নেবেন না
যেসব জিনিস সঙ্গে নিতে ইচ্ছা থাকলেও ভ্রমণের জন্য অপরিহার্য নয়, প্যাকিং শুরুর আগে সেগুলোর একটি আলাদা তালিকা করে নিন। এতে অপ্রয়োজনীয় জিনিস নেওয়ার প্রবণতা কমে এবং লাগেজের ভারও নিয়ন্ত্রণে থাকে। পাশাপাশি যাত্রার ঠিক আগে প্রয়োজন হতে পারে এমন কিছু জিনিসের জন্য একটি শেষ মুহূর্তের তালিকা তৈরি করলে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ফেলে যাওয়ার ঝুঁকিও কমে।
অভিজ্ঞদের পরামর্শ
এমিরেটস এয়ারলাইনসের ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট লরেন গিলফয়েল পরামর্শ দেন, ভ্রমণে এমন পোশাক নিন, যা সহজে মেলানো যায়। যেমন গাঢ় রঙের প্যান্ট, সাদা বা নিরপেক্ষ রঙের টি-শার্ট এবং একটি ডেনিম জ্যাকেট। এগুলো বারবার পরা যায় এবং লাগেজও কম হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট ও ভ্রমণবিষয়ক অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ববি লরি বলেন, ‘কাপড় ভাঁজ না করে রোল করে রাখলে জায়গা বাঁচে, এমনকি সঠিকভাবে করলে কম কুঁচকায়।’
পরিষ্কার ও নোংরা কাপড় আলাদা রাখুন
ভ্রমণবিষয়ক ওয়েবসাইট ‘স্কটস চিপ ফ্লাইট’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও বিমান বিশেষজ্ঞ স্কট কিজ নোংরা কাপড়ের জন্য আলাদা ভাঁজযোগ্য ব্যাগ সঙ্গে নেওয়ার পরামর্শ দেন। এতে পরিষ্কার কাপড় আলাদা থাকে এবং গুছিয়ে রাখা সহজ হয়।
লাগেজ হারালে খুঁজে পাওয়ার উপায়
লাগেজ হারিয়ে গেলে দ্রুত খুঁজে পেতে স্যুটকেসে নাম ও যোগাযোগের তথ্য লেখা স্টিকার বা নোট লাগিয়ে রাখা উচিত। পাশাপাশি অ্যাপল এয়ার ট্যাগ বা লাইফ৩৬০-এর টাইল-এর মতো ট্র্যাকিং ডিভাইস ব্যবহার করলে লাগেজের অবস্থান জানা সহজ হয়।
একটি স্যুটকেসে সবকিছু ভরে ফেলার চেয়ে জিনিসপত্র ভাগ করে রাখা ভ্রমণকে করে তোলে নিরাপদ ও ঝামেলামুক্ত। এ পদ্ধতি সামান্য পরিকল্পনাতেই আপনাকে বড় বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারে।
সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লেজার

ভ্রমণের সময় অনেকে সব প্রয়োজনীয় জিনিস একটি স্যুটকেসে গুছিয়ে ফেলতে চান। এতে প্যাকিং সহজ মনে হলেও বাস্তবে এমনটা না-ও হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সব জিনিস এক ব্যাগে না রেখে আলাদা ব্যাগে ভাগ করে নেওয়াই ভ্রমণের জন্য বেশি নিরাপদ ও উপযোগী; বিশেষ করে ব্যস্ত পর্যটন মৌসুমে বিমানবন্দরে লাগেজ হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে একমাত্র স্যুটকেসটি হারিয়ে গেলে ভ্রমণ আনন্দের বদলে দুঃস্বপ্নে পরিণত হতে পারে।
কেন আলাদা ব্যাগে জিনিস রাখা জরুরি
যুক্তরাজ্যের বিমানবন্দর শাটল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এসসিএস শফার্স ভ্রমণকারীদের পরামর্শ দিয়েছে, কাপড়, ওষুধ, চার্জারসহ দৈনন্দিন ব্যবহারের জরুরি জিনিসগুলো একটি ব্যাগে না রেখে ছোট ব্যাগ বা একাধিক স্যুটকেসে ভাগ করে রাখা উচিত। এতে লাগেজ হারিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকলেও পুরো ভ্রমণ পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা কমে। প্রতিষ্ঠানটির কমার্শিয়াল ডিরেক্টর হ্যাডলি ডায়মন্ড বলেন, ‘সব প্রয়োজনীয় জিনিস এক স্যুটকেসে গুছিয়ে রাখলে সেটি হারালে ভ্রমণকারীরা একসঙ্গে সবকিছু হারানোর ঝুঁকিতে পড়েন; বিশেষ করে পরিবার নিয়ে ভ্রমণ কিংবা সময়সূচিনির্ভর কোনো সফরে গেলে বিষয়টি আরও সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। প্রয়োজনীয় জিনিস আলাদা ব্যাগে ভাগ করে রাখলে যাত্রাপথে কোনো অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি তৈরি হলেও ভ্রমণকারীরা নিজেদের পরিকল্পনা সহজে সামাল দিতে পারেন।’
কীভাবে প্যাক করবেন
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভ্রমণের আগে প্রথমে প্রয়োজনীয় ও অপরিহার্য জিনিসের একটি তালিকা তৈরি করা উচিত। এরপর সেগুলো গুরুত্ব অনুযায়ী ভাগ করে কিছু জিনিস চেকড ব্যাগেজে এবং কিছু ক্যারি-অন ব্যাগে রাখা নিরাপদ। পরিচয়পত্র, প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং অন্তত এক সেট কাপড় ক্যারিঅন ব্যাগে রাখলে লাগেজ দেরিতে পৌঁছানো বা হারিয়ে যাওয়ার পরিস্থিতিতেও ভ্রমণকারীরা সাময়িকভাবে সমস্যামুক্ত থাকতে পারেন। একই সঙ্গে অন্তর্বাস, চার্জিং ডিভাইসসহ ছোটখাটো প্রয়োজনীয় জিনিস আলাদা ছোট ব্যাগে গুছিয়ে রাখলে লাগেজের ভেতর জিনিস খুঁজে পাওয়া সহজ হয়। বিভিন্ন রঙের প্যাকিং কিউব ব্যবহার করলে কাপড় ও আনুষঙ্গিক জিনিস আলাদা করে রাখা যায়, যা সময় ও ঝামেলা কমায়। গন্তব্যে পৌঁছে এসব কিউব সরাসরি হোটেলের ড্রয়ারে রেখে দিলেই দ্রুত গুছিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়।
অতিরিক্ত জিনিস নেবেন না
যেসব জিনিস সঙ্গে নিতে ইচ্ছা থাকলেও ভ্রমণের জন্য অপরিহার্য নয়, প্যাকিং শুরুর আগে সেগুলোর একটি আলাদা তালিকা করে নিন। এতে অপ্রয়োজনীয় জিনিস নেওয়ার প্রবণতা কমে এবং লাগেজের ভারও নিয়ন্ত্রণে থাকে। পাশাপাশি যাত্রার ঠিক আগে প্রয়োজন হতে পারে এমন কিছু জিনিসের জন্য একটি শেষ মুহূর্তের তালিকা তৈরি করলে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ফেলে যাওয়ার ঝুঁকিও কমে।
অভিজ্ঞদের পরামর্শ
এমিরেটস এয়ারলাইনসের ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট লরেন গিলফয়েল পরামর্শ দেন, ভ্রমণে এমন পোশাক নিন, যা সহজে মেলানো যায়। যেমন গাঢ় রঙের প্যান্ট, সাদা বা নিরপেক্ষ রঙের টি-শার্ট এবং একটি ডেনিম জ্যাকেট। এগুলো বারবার পরা যায় এবং লাগেজও কম হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট ও ভ্রমণবিষয়ক অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ববি লরি বলেন, ‘কাপড় ভাঁজ না করে রোল করে রাখলে জায়গা বাঁচে, এমনকি সঠিকভাবে করলে কম কুঁচকায়।’
পরিষ্কার ও নোংরা কাপড় আলাদা রাখুন
ভ্রমণবিষয়ক ওয়েবসাইট ‘স্কটস চিপ ফ্লাইট’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও বিমান বিশেষজ্ঞ স্কট কিজ নোংরা কাপড়ের জন্য আলাদা ভাঁজযোগ্য ব্যাগ সঙ্গে নেওয়ার পরামর্শ দেন। এতে পরিষ্কার কাপড় আলাদা থাকে এবং গুছিয়ে রাখা সহজ হয়।
লাগেজ হারালে খুঁজে পাওয়ার উপায়
লাগেজ হারিয়ে গেলে দ্রুত খুঁজে পেতে স্যুটকেসে নাম ও যোগাযোগের তথ্য লেখা স্টিকার বা নোট লাগিয়ে রাখা উচিত। পাশাপাশি অ্যাপল এয়ার ট্যাগ বা লাইফ৩৬০-এর টাইল-এর মতো ট্র্যাকিং ডিভাইস ব্যবহার করলে লাগেজের অবস্থান জানা সহজ হয়।
একটি স্যুটকেসে সবকিছু ভরে ফেলার চেয়ে জিনিসপত্র ভাগ করে রাখা ভ্রমণকে করে তোলে নিরাপদ ও ঝামেলামুক্ত। এ পদ্ধতি সামান্য পরিকল্পনাতেই আপনাকে বড় বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারে।
সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লেজার

ঈদের জম্পেশ খাওয়াদাওয়ার পর একটু হালকা ধাঁচের খাবার খেতে ইচ্ছে করে নিশ্চয়ই। তেমন হলে বানিয়ে ফেলুন কাজু পোস্ত ইলিশ। রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন ‘সিম্পল কুকিং বাই নাতাশা’র স্বত্বাধিকারী নাদিয়া নাতাশা।
০৯ এপ্রিল ২০২৪
কল্পনা করুন, আপনার কাছে এমন একটি জাদুর কার্ড আছে, যা দিয়ে সারা জীবন পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে প্রথম শ্রেণিতে ভ্রমণ করতে পারবেন! আর সেই ভ্রমণ হবে কোনো খরচ ছাড়াই—যতবার খুশি। শুনতে রূপকথার মতো মনে হলেও আশির দশকে আমেরিকান এয়ারলাইনস ঠিক এমন ধরনের সুযোগ দিয়েছিল।
২২ মিনিট আগে
হোটেলে আপনার অবস্থানকে আরামদায়ক করতে পর্দার আড়ালে নিরলস কাজ করে চলেন হাউসকিপিং কর্মীরা। তাঁদের কাজ সহজ করার জন্য এবং আপনার অভিজ্ঞতা আরও সুন্দর করতে ছোট ছোট কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা দরকার। ভেজা তোয়ালে অথবা সমুদ্রসৈকতে ব্যবহারের পোশাক যত্রতত্র ফেলে না রেখে নির্দিষ্ট হ্যাঙ্গারে কিংবা বারান্দায়...
৩১ মিনিট আগে
পাঁচ তারকা হোটেল যে শুধু বিলাসবহুল কক্ষে রাতযাপন থেকে আয় করে, তেমন নয়। আধুনিক বিলাসী পর্যটনশিল্পে টিকে থাকতে হোটেলগুলো তাদের ব্র্যান্ডকে ছড়িয়ে দিচ্ছে নানা খাতে। ব্যক্তিগত জেট ভ্রমণ, হোটেল-ব্র্যান্ডেড ইয়ট, বিলাসবহুল আবাসন, এমনকি সংগীত স্টুডিও কিংবা স্বয়ংসম্পূর্ণ স্টোরেজ সুবিধাও এখন তাদের আয়ের নতুন
১৪ ঘণ্টা আগে