আজকের পত্রিকা ডেস্ক

তিব্বতের পাহাড়ি অঞ্চলে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ শুরু করেছে চীন, যা ভারত ও বাংলাদেশের জন্য বড় ধরনের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং গত শনিবার (১৯ জুলাই) ইয়ারলুং সাংপো নদীতে এই প্রকল্পের নির্মাণ উদ্বোধন করেন বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নদীটি তিব্বতের মালভূমি পেরিয়ে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ ও আসাম রাজ্যে ঢুকে পরে নাম বদলে সিয়াং ও ব্রহ্মপুত্র নদ নামে পরিচিত হয় এবং এরপর বাংলাদেশে যমুনা নদীতে রূপ নেয়।
প্রায় ১ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ইউয়ান (প্রায় ১৬৭ বিলিয়ন ডলার) ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পের নাম ‘মোতো জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র’। এটি নির্মাণ শেষে বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ ‘থ্রি গর্জেস’কেও ছাড়িয়ে যাবে এবং তার তিন গুণ বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে বলে দাবি করা হচ্ছে।
চীনের দাবি, এই প্রকল্প স্থানীয় উন্নয়ন ও পরিবেশ সংরক্ষণকে প্রাধান্য দেবে। তবে ভারত ও বাংলাদেশ আশঙ্কা করছে, চীন এই বাঁধ ব্যবহার করে উজান থেকে পানি নিয়ন্ত্রণ বা সরিয়ে নিতে পারে—যা নিচের দেশগুলোর জন্য মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে।
২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়ার লোই ইনস্টিটিউটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তিব্বতের ওপর দিয়ে প্রবাহিত এই নদীগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকায় কার্যত চীনের হাতে ভারতের অর্থনীতির শ্বাসনালি ধরা রয়েছে।
চলতি মাসে এক সাক্ষাৎকারে ভারতের অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খাণ্ডু বলেন, ‘এই বাঁধ নির্মাণ আমাদের আদিবাসী সমাজ ও জীবিকার জন্য অস্তিত্ব সংকট তৈরি করবে। এটি একরকম জলবোমা হিসেবেও ব্যবহৃত হতে পারে। যদি হঠাৎ পানি ছেড়ে দেওয়া হয়, তাহলে পুরো সিয়াং উপত্যকা ধ্বংস হয়ে যাবে।’ তিনি বলেন, এতে আদি জনগোষ্ঠীসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের জমি, ঘরবাড়ি এমনকি প্রাণ পর্যন্ত হুমকির মুখে পড়বে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তারা চীনের সঙ্গে এই মেগাবাঁধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং চীনকে ডাউনস্ট্রিম (নিম্নাঞ্চলীয়) দেশের স্বার্থরক্ষার আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি স্বচ্ছতা ও পরামর্শের প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরা হয়।
ভারত ইতিমধ্যে সিয়াং নদীর ওপর নিজস্ব জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে, যা চীনের বাঁধ থেকে হঠাৎ পানি ছাড়ার ঝুঁকি মোকাবিলায় একটি বাফার হিসেবে কাজ করবে। বাংলাদেশও গত ফেব্রুয়ারিতে চীনের কাছে এই প্রকল্প নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বেগ জানিয়েছে এবং বিস্তারিত তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে।
চীনা কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরেই তিব্বতের এই নদী অববাহিকাকে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনাময় স্থান হিসেবে বিবেচনা করে আসছে। এই বাঁধ নির্মিত হচ্ছে এমন এক প্রাকৃতিক খাতে, যা বিশ্বের সবচেয়ে গভীর ও দীর্ঘ খাতগুলোর একটি বলে মনে করা হয়। এখানেই ইয়ারলুং সাংপো নদী নামচা বরওয়া পর্বতের চারপাশ দিয়ে ঘুরে তীব্র গতিতে নিচে নেমে আসে—এই অংশকেই বলা হয় ‘গ্রেট বেন্ড’ বা মহাবক্রতা।
বিবিসি এর আগের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, কর্তৃপক্ষ প্রায় ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গ খননের পরিকল্পনা করেছে, যার মাধ্যমে নদীর একটি অংশকে অ১ন্য পথে সরিয়ে নেওয়া হবে।
শিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকৌশলীরা নদীকে ‘সোজা করা’র কাজ ও জলপ্রবাহকে সুড়ঙ্গের মাধ্যমে চালিত করে পাঁচটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তুলবেন। এই বিদ্যুৎ তিব্বতের বাইরে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে পাঠানো হবে, তবে স্থানীয় চাহিদাও মেটানো হবে।
চীনা সরকারের ‘পশ্চিম থেকে পূর্বে বিদ্যুৎ পাঠানো’ নীতির (xidiandongsong) আওতায় তিব্বতের দুর্গম উপত্যকা ও পাহাড়ি নদীগুলোতে মেগাবাঁধ নির্মাণে জোর দেওয়া হচ্ছে, যাতে পূর্বাঞ্চলের শিল্পনগরীগুলোকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায়। প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং নিজে এই প্রকল্পগুলো এগিয়ে নিতে তৎপর।
চীন এই প্রকল্পগুলোকে পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ও পরিবেশবান্ধব উন্নয়নের প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করলেও মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, এসব প্রকল্প তিব্বতিদের ভূমি ও পরিবেশের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের একটি উপায় মাত্র।
গত বছর আরেকটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করার দায়ে শত শত তিব্বতিকে আটক করে চীন। তখন অনেককে মারধরও করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে বিবিসি, যা নিশ্চিত হওয়া ভিডিও ফুটেজেও দেখা গেছে। তিব্বতের জীববৈচিত্র্যসমৃদ্ধ উপত্যকাগুলোর প্লাবন ও ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে বাঁধ নির্মাণের ঝুঁকি নিয়েও পরিবেশবিদেরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তিব্বতের পাহাড়ি অঞ্চলে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ শুরু করেছে চীন, যা ভারত ও বাংলাদেশের জন্য বড় ধরনের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং গত শনিবার (১৯ জুলাই) ইয়ারলুং সাংপো নদীতে এই প্রকল্পের নির্মাণ উদ্বোধন করেন বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নদীটি তিব্বতের মালভূমি পেরিয়ে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ ও আসাম রাজ্যে ঢুকে পরে নাম বদলে সিয়াং ও ব্রহ্মপুত্র নদ নামে পরিচিত হয় এবং এরপর বাংলাদেশে যমুনা নদীতে রূপ নেয়।
প্রায় ১ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ইউয়ান (প্রায় ১৬৭ বিলিয়ন ডলার) ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পের নাম ‘মোতো জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র’। এটি নির্মাণ শেষে বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ ‘থ্রি গর্জেস’কেও ছাড়িয়ে যাবে এবং তার তিন গুণ বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে বলে দাবি করা হচ্ছে।
চীনের দাবি, এই প্রকল্প স্থানীয় উন্নয়ন ও পরিবেশ সংরক্ষণকে প্রাধান্য দেবে। তবে ভারত ও বাংলাদেশ আশঙ্কা করছে, চীন এই বাঁধ ব্যবহার করে উজান থেকে পানি নিয়ন্ত্রণ বা সরিয়ে নিতে পারে—যা নিচের দেশগুলোর জন্য মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে।
২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়ার লোই ইনস্টিটিউটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তিব্বতের ওপর দিয়ে প্রবাহিত এই নদীগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকায় কার্যত চীনের হাতে ভারতের অর্থনীতির শ্বাসনালি ধরা রয়েছে।
চলতি মাসে এক সাক্ষাৎকারে ভারতের অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খাণ্ডু বলেন, ‘এই বাঁধ নির্মাণ আমাদের আদিবাসী সমাজ ও জীবিকার জন্য অস্তিত্ব সংকট তৈরি করবে। এটি একরকম জলবোমা হিসেবেও ব্যবহৃত হতে পারে। যদি হঠাৎ পানি ছেড়ে দেওয়া হয়, তাহলে পুরো সিয়াং উপত্যকা ধ্বংস হয়ে যাবে।’ তিনি বলেন, এতে আদি জনগোষ্ঠীসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের জমি, ঘরবাড়ি এমনকি প্রাণ পর্যন্ত হুমকির মুখে পড়বে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তারা চীনের সঙ্গে এই মেগাবাঁধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং চীনকে ডাউনস্ট্রিম (নিম্নাঞ্চলীয়) দেশের স্বার্থরক্ষার আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি স্বচ্ছতা ও পরামর্শের প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরা হয়।
ভারত ইতিমধ্যে সিয়াং নদীর ওপর নিজস্ব জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে, যা চীনের বাঁধ থেকে হঠাৎ পানি ছাড়ার ঝুঁকি মোকাবিলায় একটি বাফার হিসেবে কাজ করবে। বাংলাদেশও গত ফেব্রুয়ারিতে চীনের কাছে এই প্রকল্প নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বেগ জানিয়েছে এবং বিস্তারিত তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে।
চীনা কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরেই তিব্বতের এই নদী অববাহিকাকে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনাময় স্থান হিসেবে বিবেচনা করে আসছে। এই বাঁধ নির্মিত হচ্ছে এমন এক প্রাকৃতিক খাতে, যা বিশ্বের সবচেয়ে গভীর ও দীর্ঘ খাতগুলোর একটি বলে মনে করা হয়। এখানেই ইয়ারলুং সাংপো নদী নামচা বরওয়া পর্বতের চারপাশ দিয়ে ঘুরে তীব্র গতিতে নিচে নেমে আসে—এই অংশকেই বলা হয় ‘গ্রেট বেন্ড’ বা মহাবক্রতা।
বিবিসি এর আগের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, কর্তৃপক্ষ প্রায় ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গ খননের পরিকল্পনা করেছে, যার মাধ্যমে নদীর একটি অংশকে অ১ন্য পথে সরিয়ে নেওয়া হবে।
শিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকৌশলীরা নদীকে ‘সোজা করা’র কাজ ও জলপ্রবাহকে সুড়ঙ্গের মাধ্যমে চালিত করে পাঁচটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তুলবেন। এই বিদ্যুৎ তিব্বতের বাইরে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে পাঠানো হবে, তবে স্থানীয় চাহিদাও মেটানো হবে।
চীনা সরকারের ‘পশ্চিম থেকে পূর্বে বিদ্যুৎ পাঠানো’ নীতির (xidiandongsong) আওতায় তিব্বতের দুর্গম উপত্যকা ও পাহাড়ি নদীগুলোতে মেগাবাঁধ নির্মাণে জোর দেওয়া হচ্ছে, যাতে পূর্বাঞ্চলের শিল্পনগরীগুলোকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায়। প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং নিজে এই প্রকল্পগুলো এগিয়ে নিতে তৎপর।
চীন এই প্রকল্পগুলোকে পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ও পরিবেশবান্ধব উন্নয়নের প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করলেও মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, এসব প্রকল্প তিব্বতিদের ভূমি ও পরিবেশের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের একটি উপায় মাত্র।
গত বছর আরেকটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করার দায়ে শত শত তিব্বতিকে আটক করে চীন। তখন অনেককে মারধরও করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে বিবিসি, যা নিশ্চিত হওয়া ভিডিও ফুটেজেও দেখা গেছে। তিব্বতের জীববৈচিত্র্যসমৃদ্ধ উপত্যকাগুলোর প্লাবন ও ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে বাঁধ নির্মাণের ঝুঁকি নিয়েও পরিবেশবিদেরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

তিব্বতের পাহাড়ি অঞ্চলে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ শুরু করেছে চীন, যা ভারত ও বাংলাদেশের জন্য বড় ধরনের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং গত শনিবার (১৯ জুলাই) ইয়ারলুং সাংপো নদীতে এই প্রকল্পের নির্মাণ উদ্বোধন করেন বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নদীটি তিব্বতের মালভূমি পেরিয়ে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ ও আসাম রাজ্যে ঢুকে পরে নাম বদলে সিয়াং ও ব্রহ্মপুত্র নদ নামে পরিচিত হয় এবং এরপর বাংলাদেশে যমুনা নদীতে রূপ নেয়।
প্রায় ১ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ইউয়ান (প্রায় ১৬৭ বিলিয়ন ডলার) ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পের নাম ‘মোতো জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র’। এটি নির্মাণ শেষে বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ ‘থ্রি গর্জেস’কেও ছাড়িয়ে যাবে এবং তার তিন গুণ বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে বলে দাবি করা হচ্ছে।
চীনের দাবি, এই প্রকল্প স্থানীয় উন্নয়ন ও পরিবেশ সংরক্ষণকে প্রাধান্য দেবে। তবে ভারত ও বাংলাদেশ আশঙ্কা করছে, চীন এই বাঁধ ব্যবহার করে উজান থেকে পানি নিয়ন্ত্রণ বা সরিয়ে নিতে পারে—যা নিচের দেশগুলোর জন্য মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে।
২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়ার লোই ইনস্টিটিউটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তিব্বতের ওপর দিয়ে প্রবাহিত এই নদীগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকায় কার্যত চীনের হাতে ভারতের অর্থনীতির শ্বাসনালি ধরা রয়েছে।
চলতি মাসে এক সাক্ষাৎকারে ভারতের অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খাণ্ডু বলেন, ‘এই বাঁধ নির্মাণ আমাদের আদিবাসী সমাজ ও জীবিকার জন্য অস্তিত্ব সংকট তৈরি করবে। এটি একরকম জলবোমা হিসেবেও ব্যবহৃত হতে পারে। যদি হঠাৎ পানি ছেড়ে দেওয়া হয়, তাহলে পুরো সিয়াং উপত্যকা ধ্বংস হয়ে যাবে।’ তিনি বলেন, এতে আদি জনগোষ্ঠীসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের জমি, ঘরবাড়ি এমনকি প্রাণ পর্যন্ত হুমকির মুখে পড়বে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তারা চীনের সঙ্গে এই মেগাবাঁধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং চীনকে ডাউনস্ট্রিম (নিম্নাঞ্চলীয়) দেশের স্বার্থরক্ষার আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি স্বচ্ছতা ও পরামর্শের প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরা হয়।
ভারত ইতিমধ্যে সিয়াং নদীর ওপর নিজস্ব জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে, যা চীনের বাঁধ থেকে হঠাৎ পানি ছাড়ার ঝুঁকি মোকাবিলায় একটি বাফার হিসেবে কাজ করবে। বাংলাদেশও গত ফেব্রুয়ারিতে চীনের কাছে এই প্রকল্প নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বেগ জানিয়েছে এবং বিস্তারিত তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে।
চীনা কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরেই তিব্বতের এই নদী অববাহিকাকে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনাময় স্থান হিসেবে বিবেচনা করে আসছে। এই বাঁধ নির্মিত হচ্ছে এমন এক প্রাকৃতিক খাতে, যা বিশ্বের সবচেয়ে গভীর ও দীর্ঘ খাতগুলোর একটি বলে মনে করা হয়। এখানেই ইয়ারলুং সাংপো নদী নামচা বরওয়া পর্বতের চারপাশ দিয়ে ঘুরে তীব্র গতিতে নিচে নেমে আসে—এই অংশকেই বলা হয় ‘গ্রেট বেন্ড’ বা মহাবক্রতা।
বিবিসি এর আগের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, কর্তৃপক্ষ প্রায় ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গ খননের পরিকল্পনা করেছে, যার মাধ্যমে নদীর একটি অংশকে অ১ন্য পথে সরিয়ে নেওয়া হবে।
শিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকৌশলীরা নদীকে ‘সোজা করা’র কাজ ও জলপ্রবাহকে সুড়ঙ্গের মাধ্যমে চালিত করে পাঁচটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তুলবেন। এই বিদ্যুৎ তিব্বতের বাইরে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে পাঠানো হবে, তবে স্থানীয় চাহিদাও মেটানো হবে।
চীনা সরকারের ‘পশ্চিম থেকে পূর্বে বিদ্যুৎ পাঠানো’ নীতির (xidiandongsong) আওতায় তিব্বতের দুর্গম উপত্যকা ও পাহাড়ি নদীগুলোতে মেগাবাঁধ নির্মাণে জোর দেওয়া হচ্ছে, যাতে পূর্বাঞ্চলের শিল্পনগরীগুলোকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায়। প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং নিজে এই প্রকল্পগুলো এগিয়ে নিতে তৎপর।
চীন এই প্রকল্পগুলোকে পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ও পরিবেশবান্ধব উন্নয়নের প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করলেও মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, এসব প্রকল্প তিব্বতিদের ভূমি ও পরিবেশের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের একটি উপায় মাত্র।
গত বছর আরেকটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করার দায়ে শত শত তিব্বতিকে আটক করে চীন। তখন অনেককে মারধরও করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে বিবিসি, যা নিশ্চিত হওয়া ভিডিও ফুটেজেও দেখা গেছে। তিব্বতের জীববৈচিত্র্যসমৃদ্ধ উপত্যকাগুলোর প্লাবন ও ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে বাঁধ নির্মাণের ঝুঁকি নিয়েও পরিবেশবিদেরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তিব্বতের পাহাড়ি অঞ্চলে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ শুরু করেছে চীন, যা ভারত ও বাংলাদেশের জন্য বড় ধরনের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং গত শনিবার (১৯ জুলাই) ইয়ারলুং সাংপো নদীতে এই প্রকল্পের নির্মাণ উদ্বোধন করেন বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নদীটি তিব্বতের মালভূমি পেরিয়ে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ ও আসাম রাজ্যে ঢুকে পরে নাম বদলে সিয়াং ও ব্রহ্মপুত্র নদ নামে পরিচিত হয় এবং এরপর বাংলাদেশে যমুনা নদীতে রূপ নেয়।
প্রায় ১ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ইউয়ান (প্রায় ১৬৭ বিলিয়ন ডলার) ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পের নাম ‘মোতো জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র’। এটি নির্মাণ শেষে বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ ‘থ্রি গর্জেস’কেও ছাড়িয়ে যাবে এবং তার তিন গুণ বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে বলে দাবি করা হচ্ছে।
চীনের দাবি, এই প্রকল্প স্থানীয় উন্নয়ন ও পরিবেশ সংরক্ষণকে প্রাধান্য দেবে। তবে ভারত ও বাংলাদেশ আশঙ্কা করছে, চীন এই বাঁধ ব্যবহার করে উজান থেকে পানি নিয়ন্ত্রণ বা সরিয়ে নিতে পারে—যা নিচের দেশগুলোর জন্য মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে।
২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়ার লোই ইনস্টিটিউটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তিব্বতের ওপর দিয়ে প্রবাহিত এই নদীগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকায় কার্যত চীনের হাতে ভারতের অর্থনীতির শ্বাসনালি ধরা রয়েছে।
চলতি মাসে এক সাক্ষাৎকারে ভারতের অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খাণ্ডু বলেন, ‘এই বাঁধ নির্মাণ আমাদের আদিবাসী সমাজ ও জীবিকার জন্য অস্তিত্ব সংকট তৈরি করবে। এটি একরকম জলবোমা হিসেবেও ব্যবহৃত হতে পারে। যদি হঠাৎ পানি ছেড়ে দেওয়া হয়, তাহলে পুরো সিয়াং উপত্যকা ধ্বংস হয়ে যাবে।’ তিনি বলেন, এতে আদি জনগোষ্ঠীসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের জমি, ঘরবাড়ি এমনকি প্রাণ পর্যন্ত হুমকির মুখে পড়বে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তারা চীনের সঙ্গে এই মেগাবাঁধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং চীনকে ডাউনস্ট্রিম (নিম্নাঞ্চলীয়) দেশের স্বার্থরক্ষার আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি স্বচ্ছতা ও পরামর্শের প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরা হয়।
ভারত ইতিমধ্যে সিয়াং নদীর ওপর নিজস্ব জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে, যা চীনের বাঁধ থেকে হঠাৎ পানি ছাড়ার ঝুঁকি মোকাবিলায় একটি বাফার হিসেবে কাজ করবে। বাংলাদেশও গত ফেব্রুয়ারিতে চীনের কাছে এই প্রকল্প নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বেগ জানিয়েছে এবং বিস্তারিত তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে।
চীনা কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরেই তিব্বতের এই নদী অববাহিকাকে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনাময় স্থান হিসেবে বিবেচনা করে আসছে। এই বাঁধ নির্মিত হচ্ছে এমন এক প্রাকৃতিক খাতে, যা বিশ্বের সবচেয়ে গভীর ও দীর্ঘ খাতগুলোর একটি বলে মনে করা হয়। এখানেই ইয়ারলুং সাংপো নদী নামচা বরওয়া পর্বতের চারপাশ দিয়ে ঘুরে তীব্র গতিতে নিচে নেমে আসে—এই অংশকেই বলা হয় ‘গ্রেট বেন্ড’ বা মহাবক্রতা।
বিবিসি এর আগের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, কর্তৃপক্ষ প্রায় ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গ খননের পরিকল্পনা করেছে, যার মাধ্যমে নদীর একটি অংশকে অ১ন্য পথে সরিয়ে নেওয়া হবে।
শিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকৌশলীরা নদীকে ‘সোজা করা’র কাজ ও জলপ্রবাহকে সুড়ঙ্গের মাধ্যমে চালিত করে পাঁচটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তুলবেন। এই বিদ্যুৎ তিব্বতের বাইরে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে পাঠানো হবে, তবে স্থানীয় চাহিদাও মেটানো হবে।
চীনা সরকারের ‘পশ্চিম থেকে পূর্বে বিদ্যুৎ পাঠানো’ নীতির (xidiandongsong) আওতায় তিব্বতের দুর্গম উপত্যকা ও পাহাড়ি নদীগুলোতে মেগাবাঁধ নির্মাণে জোর দেওয়া হচ্ছে, যাতে পূর্বাঞ্চলের শিল্পনগরীগুলোকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায়। প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং নিজে এই প্রকল্পগুলো এগিয়ে নিতে তৎপর।
চীন এই প্রকল্পগুলোকে পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ও পরিবেশবান্ধব উন্নয়নের প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করলেও মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, এসব প্রকল্প তিব্বতিদের ভূমি ও পরিবেশের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের একটি উপায় মাত্র।
গত বছর আরেকটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করার দায়ে শত শত তিব্বতিকে আটক করে চীন। তখন অনেককে মারধরও করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে বিবিসি, যা নিশ্চিত হওয়া ভিডিও ফুটেজেও দেখা গেছে। তিব্বতের জীববৈচিত্র্যসমৃদ্ধ উপত্যকাগুলোর প্লাবন ও ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে বাঁধ নির্মাণের ঝুঁকি নিয়েও পরিবেশবিদেরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
৪০ মিনিট আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এই হামলাকে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে কিয়েভ।
৩ ঘণ্টা আগে
আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে টিপরা মথা পার্টির যুব সংগঠন যুব টিপরা ফেডারেশন (ওয়াইটিএফ)। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর একটি বক্তব্যের প্রতিবাদে ওয়াইটিএফ আজ শুক্রবার এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সংবাদমাধ্যমের ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর।
শশী থারুর সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশে চলমান এই সহিংসতা সাধারণ বাংলাদেশিদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে ভারতের সক্ষমতাকে সংকুচিত করে দিচ্ছে। তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা এবং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে থারুর বলেছেন, ‘সহিংসতার কারণে আমাদের দুটি ভিসা সেন্টার বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ, যেসব বাংলাদেশি ভারতে আসতে চান, তাঁরাই এখন অভিযোগ করছেন যে আগে যেভাবে সহজে ভিসা পাওয়া যেত, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না।’
থারুর উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিস্থিতি ভারত সরকারের পক্ষে সাধারণ বাংলাদেশিদের সাহায্য করা কঠিন করে তুলছে।
বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে থারুর বলেন, ‘আমি আশা করি পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে বলব যেন তারা প্রতিবেশীর সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝে। বাজপেয়ি সাহেব পাকিস্তানের ক্ষেত্রে যেমনটি বলেছিলেন—আমরা আমাদের ভূগোল পরিবর্তন করতে পারি না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
শশী থারুর জানান, নয়াদিল্লি পুরো পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে অনুরোধ জানাবে।’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সংবাদমাধ্যমের ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর।
শশী থারুর সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশে চলমান এই সহিংসতা সাধারণ বাংলাদেশিদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে ভারতের সক্ষমতাকে সংকুচিত করে দিচ্ছে। তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা এবং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে থারুর বলেছেন, ‘সহিংসতার কারণে আমাদের দুটি ভিসা সেন্টার বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ, যেসব বাংলাদেশি ভারতে আসতে চান, তাঁরাই এখন অভিযোগ করছেন যে আগে যেভাবে সহজে ভিসা পাওয়া যেত, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না।’
থারুর উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিস্থিতি ভারত সরকারের পক্ষে সাধারণ বাংলাদেশিদের সাহায্য করা কঠিন করে তুলছে।
বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে থারুর বলেন, ‘আমি আশা করি পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে বলব যেন তারা প্রতিবেশীর সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝে। বাজপেয়ি সাহেব পাকিস্তানের ক্ষেত্রে যেমনটি বলেছিলেন—আমরা আমাদের ভূগোল পরিবর্তন করতে পারি না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
শশী থারুর জানান, নয়াদিল্লি পুরো পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে অনুরোধ জানাবে।’

তিব্বতের পাহাড়ি অঞ্চলে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ শুরু করেছে চীন, যা ভারত ও বাংলাদেশের জন্য বড় ধরনের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং গত শনিবার (১৯ জুলাই) ইয়ারলুং সাংপো নদীতে এই প্রকল্পের নির্মাণ উদ্বোধন করেন বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।
২১ জুলাই ২০২৫
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এই হামলাকে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে কিয়েভ।
৩ ঘণ্টা আগে
আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে টিপরা মথা পার্টির যুব সংগঠন যুব টিপরা ফেডারেশন (ওয়াইটিএফ)। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর একটি বক্তব্যের প্রতিবাদে ওয়াইটিএফ আজ শুক্রবার এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। ইউক্রেন একে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে দাবি করলেও, রাশিয়া এটিকে আন্তর্জাতিক নৌ নিরাপত্তার জন্য নতুন হুমকি বলে আখ্যা দিয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে—ইউক্রেনীয় ড্রোনের আঘাতে রাশিয়ার ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত তেলবাহী ট্যাংকার ‘কেনডিল’-এ ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ জানিয়েছে, হামলাটি ইউক্রেন থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে সংঘটিত হয়। কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এটি প্রথমবারের মতো কৃষ্ণসাগরের বাইরে এবং নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের কোনো ড্রোন হামলা।
ইউক্রেন দাবি করেছে, হামলার সময় ট্যাংকারটি খালি ছিল এবং এতে কোনো তেল বা জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল না। ফলে পরিবেশগত কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়নি। তবে বিস্ফোরণে জাহাজটি ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ট্যাংকারটি চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের গুজরাট রাজ্যের সিক্কা বন্দরে তেল খালাস করে ফিরে যাচ্ছিল।
এই ঘটনার পর মস্কো কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বছরের শেষ প্রান্তিকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ভূমধ্যসাগরে রুশ ট্যাংকারে হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের হামলা কিছু বাস্তব লক্ষ্যকে সামনে রেখে করা হয়—যেমন বিমা প্রিমিয়াম বাড়ানো। কিন্তু এতে সরবরাহ ব্যাহত হবে না এবং প্রত্যাশিত ফলও পাওয়া যাবে না। বরং এটি অতিরিক্ত হুমকি তৈরি করবে। আমাদের দেশ এর জবাব দেবে।’
পুতিন আরও বলেন—বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর আঘাতের বিষয়েও রাশিয়া চুপ করে থাকবে না। তাঁর ভাষায়, ‘আমাদের পক্ষ থেকে সব সময়ই একটি পাল্টা আঘাত ঘটবে।’
বিশ্লেষকদের মতে, নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের এই হামলা যুদ্ধের পরিধিকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। একই সঙ্গে পুতিনের পাল্টা জবাবের ঘোষণা ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতকে আরও বিস্তৃত ও অনিশ্চিত করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। ইউক্রেন একে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে দাবি করলেও, রাশিয়া এটিকে আন্তর্জাতিক নৌ নিরাপত্তার জন্য নতুন হুমকি বলে আখ্যা দিয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে—ইউক্রেনীয় ড্রোনের আঘাতে রাশিয়ার ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত তেলবাহী ট্যাংকার ‘কেনডিল’-এ ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ জানিয়েছে, হামলাটি ইউক্রেন থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে সংঘটিত হয়। কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এটি প্রথমবারের মতো কৃষ্ণসাগরের বাইরে এবং নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের কোনো ড্রোন হামলা।
ইউক্রেন দাবি করেছে, হামলার সময় ট্যাংকারটি খালি ছিল এবং এতে কোনো তেল বা জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল না। ফলে পরিবেশগত কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়নি। তবে বিস্ফোরণে জাহাজটি ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ট্যাংকারটি চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের গুজরাট রাজ্যের সিক্কা বন্দরে তেল খালাস করে ফিরে যাচ্ছিল।
এই ঘটনার পর মস্কো কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বছরের শেষ প্রান্তিকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ভূমধ্যসাগরে রুশ ট্যাংকারে হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের হামলা কিছু বাস্তব লক্ষ্যকে সামনে রেখে করা হয়—যেমন বিমা প্রিমিয়াম বাড়ানো। কিন্তু এতে সরবরাহ ব্যাহত হবে না এবং প্রত্যাশিত ফলও পাওয়া যাবে না। বরং এটি অতিরিক্ত হুমকি তৈরি করবে। আমাদের দেশ এর জবাব দেবে।’
পুতিন আরও বলেন—বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর আঘাতের বিষয়েও রাশিয়া চুপ করে থাকবে না। তাঁর ভাষায়, ‘আমাদের পক্ষ থেকে সব সময়ই একটি পাল্টা আঘাত ঘটবে।’
বিশ্লেষকদের মতে, নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের এই হামলা যুদ্ধের পরিধিকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। একই সঙ্গে পুতিনের পাল্টা জবাবের ঘোষণা ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতকে আরও বিস্তৃত ও অনিশ্চিত করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তিব্বতের পাহাড়ি অঞ্চলে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ শুরু করেছে চীন, যা ভারত ও বাংলাদেশের জন্য বড় ধরনের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং গত শনিবার (১৯ জুলাই) ইয়ারলুং সাংপো নদীতে এই প্রকল্পের নির্মাণ উদ্বোধন করেন বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।
২১ জুলাই ২০২৫
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
৪০ মিনিট আগে
ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এই হামলাকে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে কিয়েভ।
৩ ঘণ্টা আগে
আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে টিপরা মথা পার্টির যুব সংগঠন যুব টিপরা ফেডারেশন (ওয়াইটিএফ)। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর একটি বক্তব্যের প্রতিবাদে ওয়াইটিএফ আজ শুক্রবার এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এই হামলাকে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে কিয়েভ। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক নাটকীয় ভিডিওতে দেখা গেছে, ইউক্রেনীয় ড্রোনের আঘাতে ট্যাংকারটি ভয়াবহ বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ জানিয়েছে, হামলাটি ইউক্রেন থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে সংঘটিত হয়। কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, নিরপেক্ষ জলসীমায় এটি প্রথমবারের মতো ইউক্রেনের সরাসরি সামরিক আঘাত। এর আগে ইউক্রেন শুধু কৃষ্ণসাগরে রুশ জাহাজের ওপর ড্রোন হামলার দায় স্বীকার করেছিল।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস জানিয়েছে, আক্রান্ত জাহাজটির নাম ‘কেনডিল’। এটি রাশিয়ার তথাকথিত ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন নৌবহরের অংশ বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এসব জাহাজ সাধারণত নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে রুশ তেল পরিবহনে ব্যবহৃত হয় বলে অভিযোগ পশ্চিমা দেশগুলোর। হামলার সময় ট্যাংকারটি খালি ছিল এবং এতে কোনো তেল বা জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল না বলে ইউক্রেন দাবি করেছে। এর ফলে পরিবেশগত কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়নি। তবে বিস্ফোরণে ট্যাংকারটি ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে দাবি করা হয়।
কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, ট্যাংকারটি চলতি মাসের শুরুতে ভারতের গুজরাট রাজ্যের সিক্কা বন্দরে তেল খালাস করে ফিরে যাচ্ছিল। ফেরার পথেই ভূমধ্যসাগরে হামলার চালানো হয়।
এই হামলাকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের একটি নতুন ও তাৎপর্যপূর্ণ মোড় হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিরপেক্ষ জলসীমায় এমন অভিযান ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক আইন, নৌ নিরাপত্তা এবং বৈশ্বিক জ্বালানি পরিবহন নিয়ে নতুন উদ্বেগ তৈরি করতে পারে। যদিও রাশিয়ার পক্ষ থেকে এই ঘটনায় তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি, তবু হামলার ভিডিও প্রকাশ যুদ্ধের পরিধি ও কৌশল নিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এই হামলাকে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে কিয়েভ। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক নাটকীয় ভিডিওতে দেখা গেছে, ইউক্রেনীয় ড্রোনের আঘাতে ট্যাংকারটি ভয়াবহ বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ জানিয়েছে, হামলাটি ইউক্রেন থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে সংঘটিত হয়। কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, নিরপেক্ষ জলসীমায় এটি প্রথমবারের মতো ইউক্রেনের সরাসরি সামরিক আঘাত। এর আগে ইউক্রেন শুধু কৃষ্ণসাগরে রুশ জাহাজের ওপর ড্রোন হামলার দায় স্বীকার করেছিল।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস জানিয়েছে, আক্রান্ত জাহাজটির নাম ‘কেনডিল’। এটি রাশিয়ার তথাকথিত ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন নৌবহরের অংশ বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এসব জাহাজ সাধারণত নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে রুশ তেল পরিবহনে ব্যবহৃত হয় বলে অভিযোগ পশ্চিমা দেশগুলোর। হামলার সময় ট্যাংকারটি খালি ছিল এবং এতে কোনো তেল বা জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল না বলে ইউক্রেন দাবি করেছে। এর ফলে পরিবেশগত কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়নি। তবে বিস্ফোরণে ট্যাংকারটি ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে দাবি করা হয়।
কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, ট্যাংকারটি চলতি মাসের শুরুতে ভারতের গুজরাট রাজ্যের সিক্কা বন্দরে তেল খালাস করে ফিরে যাচ্ছিল। ফেরার পথেই ভূমধ্যসাগরে হামলার চালানো হয়।
এই হামলাকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের একটি নতুন ও তাৎপর্যপূর্ণ মোড় হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিরপেক্ষ জলসীমায় এমন অভিযান ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক আইন, নৌ নিরাপত্তা এবং বৈশ্বিক জ্বালানি পরিবহন নিয়ে নতুন উদ্বেগ তৈরি করতে পারে। যদিও রাশিয়ার পক্ষ থেকে এই ঘটনায় তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি, তবু হামলার ভিডিও প্রকাশ যুদ্ধের পরিধি ও কৌশল নিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

তিব্বতের পাহাড়ি অঞ্চলে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ শুরু করেছে চীন, যা ভারত ও বাংলাদেশের জন্য বড় ধরনের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং গত শনিবার (১৯ জুলাই) ইয়ারলুং সাংপো নদীতে এই প্রকল্পের নির্মাণ উদ্বোধন করেন বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।
২১ জুলাই ২০২৫
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
৪০ মিনিট আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে টিপরা মথা পার্টির যুব সংগঠন যুব টিপরা ফেডারেশন (ওয়াইটিএফ)। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর একটি বক্তব্যের প্রতিবাদে ওয়াইটিএফ আজ শুক্রবার এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে টিপরা মথা পার্টির যুব সংগঠন যুব টিপরা ফেডারেশন (ওয়াইটিএফ)। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর একটি বক্তব্যের প্রতিবাদে ওয়াইটিএফ আজ শুক্রবার এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে।
সম্প্রতি এক সমাবেশে বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টিকারীদের ভারতে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করেন হাসনাত আবদুল্লাহ। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ‘সেভেন সিস্টার্স’ হিসেবে পরিচিত পূর্বাঞ্চলকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ নাউয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শত শত ওয়াইটিএফ কর্মী রাজপথে নেমে হাসনাত আবদুল্লাহর ওই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান। এ সময় তাঁরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। তাঁরা সতর্ক করে বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওপর যেন বাংলাদেশ ‘কুদৃষ্টি’ না দেয়।
বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশ সরকারকে মনে করিয়ে দেন, ১৯৭১ সালে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও ভারতের অবদান কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
যুব টিপরা ফেডারেশনের সভাপতি সুরজ দেববর্মা সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে সংকটের সময়ে আমাদের দেশ তাদের পাশে পাহাড়ের মতো দাঁড়িয়েছিল। ভারতের অমূল্য অবদানেই আজকের বাংলাদেশের অস্তিত্ব তৈরি হয়েছে।’
বিক্ষোভ সমাবেশে সুরজ দেববর্মা আক্রমণাত্মক মন্তব্য করে বলেন, ‘বাংলাদেশ যদি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে তাদের ভূখণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করার স্বপ্ন দেখে, তবে এই অঞ্চলের মানুষও সমুদ্রে যাওয়ার পথ চায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে অনেক মানুষ বসবাস করেন, যাদের জাতিগত ও সাংস্কৃতিক পরিচয় ত্রিপুরার মানুষের সঙ্গে মিলে যায়। বাংলাদেশ যদি উত্তর-পূর্ব ভারতকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দেয়, তবে আমরাও ভারতের সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রামকে যুক্ত করার দাবি তুলতে পারি।’
আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে গত বছরের ডিসেম্বরে অনাকাঙ্ক্ষিত হামলার বিষয়টি মাথায় রেখে আজকে বিক্ষোভ চলাকালে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছিল। পশ্চিম ত্রিপুরার পুলিশ সুপার নমিত পাঠক জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস (টিএসআর) এবং সিআরপিএফ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকায় এক সমাবেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছিলেন, ভারত যদি বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায়, তবে বাংলাদেশও ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীদের আশ্রয় দিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোকে (সেভেন সিস্টার্স) ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেবে।

আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে টিপরা মথা পার্টির যুব সংগঠন যুব টিপরা ফেডারেশন (ওয়াইটিএফ)। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর একটি বক্তব্যের প্রতিবাদে ওয়াইটিএফ আজ শুক্রবার এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে।
সম্প্রতি এক সমাবেশে বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টিকারীদের ভারতে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করেন হাসনাত আবদুল্লাহ। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ‘সেভেন সিস্টার্স’ হিসেবে পরিচিত পূর্বাঞ্চলকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ নাউয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শত শত ওয়াইটিএফ কর্মী রাজপথে নেমে হাসনাত আবদুল্লাহর ওই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান। এ সময় তাঁরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। তাঁরা সতর্ক করে বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওপর যেন বাংলাদেশ ‘কুদৃষ্টি’ না দেয়।
বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশ সরকারকে মনে করিয়ে দেন, ১৯৭১ সালে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও ভারতের অবদান কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
যুব টিপরা ফেডারেশনের সভাপতি সুরজ দেববর্মা সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে সংকটের সময়ে আমাদের দেশ তাদের পাশে পাহাড়ের মতো দাঁড়িয়েছিল। ভারতের অমূল্য অবদানেই আজকের বাংলাদেশের অস্তিত্ব তৈরি হয়েছে।’
বিক্ষোভ সমাবেশে সুরজ দেববর্মা আক্রমণাত্মক মন্তব্য করে বলেন, ‘বাংলাদেশ যদি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে তাদের ভূখণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করার স্বপ্ন দেখে, তবে এই অঞ্চলের মানুষও সমুদ্রে যাওয়ার পথ চায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে অনেক মানুষ বসবাস করেন, যাদের জাতিগত ও সাংস্কৃতিক পরিচয় ত্রিপুরার মানুষের সঙ্গে মিলে যায়। বাংলাদেশ যদি উত্তর-পূর্ব ভারতকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দেয়, তবে আমরাও ভারতের সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রামকে যুক্ত করার দাবি তুলতে পারি।’
আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে গত বছরের ডিসেম্বরে অনাকাঙ্ক্ষিত হামলার বিষয়টি মাথায় রেখে আজকে বিক্ষোভ চলাকালে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছিল। পশ্চিম ত্রিপুরার পুলিশ সুপার নমিত পাঠক জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস (টিএসআর) এবং সিআরপিএফ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকায় এক সমাবেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছিলেন, ভারত যদি বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায়, তবে বাংলাদেশও ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীদের আশ্রয় দিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোকে (সেভেন সিস্টার্স) ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেবে।

তিব্বতের পাহাড়ি অঞ্চলে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ শুরু করেছে চীন, যা ভারত ও বাংলাদেশের জন্য বড় ধরনের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং গত শনিবার (১৯ জুলাই) ইয়ারলুং সাংপো নদীতে এই প্রকল্পের নির্মাণ উদ্বোধন করেন বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।
২১ জুলাই ২০২৫
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
৪০ মিনিট আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এই হামলাকে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে কিয়েভ।
৩ ঘণ্টা আগে