আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই হামলার আগে বেশ সময় নিয়েই ‘ওয়ার গেম’ অনুশীলন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরান-ইসরায়েলের চলমান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ স্বাভাবিকভাবেই মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্ডান এবং সৌদি আরবে অবস্থানরত ৪০ হাজার মার্কিন সেনাকে সতর্ক অবস্থায় থাকতে নির্দেশ দিয়েছে ওয়াশিংটন।
মার্কিন হামলার পর এবার সবার চোখ ইরানের দিকে। এই হামলার পাল্টা আঘাত হিসেবে কী করতে যাচ্ছে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের এই দেশটি। ইসরায়েলি হামলায় শীর্ষ নেতাদের হারানো এবং নতুন করে দায়িত্ব সমর্পণ করে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া খামেনি এবার মার্কিন আঘাতের পাল্টা জবাব কীভাবে দেবেন, সেটা দেখার অপেক্ষায় সবাই।
মার্কিন হামলার জবাবে ইরানের মোক্ষম কিছু অস্ত্র রয়েছে, যা দেশটি এর আগেও ব্যবহার করেছে তবে যুক্তরাষ্ট্রের আঘাতের জবাবে সেগুলো গ্রহণযোগ্য কি না সে নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। যেভাবে ইরান মার্কিন হামলার জবাব দিতে পারে—
মিসাইল ব্যবহার
ইরানের মোক্ষম অস্ত্র ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। ধারণা করা হচ্ছে, ইসরায়েলের হামলার জবাবে যেভাবে শত শত মিসাইল ছুড়েছিল, সেই পদ্ধতি এবারও কাজে লাগাবে দেশটি।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদনে গোপন সূত্রের উদ্ধৃতিতে জানানো হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিগুলোর ওপর ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রস্তুতি শনাক্ত করেছেন মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
মধ্যপ্রাচ্য ও আশপাশের অঞ্চলে অন্তত ২০টি ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি রয়েছে। এই ঘাঁটিগুলোর বেশির ভাগই ইরানের ‘সিজিল-২’ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার রেঞ্জের মধ্যেই পড়ে।
ইরান শুরুতে ইরাক ও সিরিয়ায় থাকা মার্কিন ঘাঁটিগুলোতে হামলা চালাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরপর তেহরানের নজর পড়তে পারে আরব দেশগুলোতে থাকা মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলোর দিকে।
তবে এই চেষ্টা কতটা সফল হবে তা নিয়ে সন্দেহ আছে। কেন না অতীত বলছে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক স্থাপনায় হামলার চেষ্টায় ব্যর্থতার সম্ভাবনা বেশি। যেমনটা দেখা গিয়েছিল, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ইরাকে থাকা দুটি মার্কিন ঘাঁটিতে চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায়। ইরানের সাবেক শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে এ হামলা চালানো হয়েছিল। ইরানের এই হামলায় কোনো মার্কিন সেনা প্রাণ হারাননি। তবে বিস্ফোরণের আঘাতে ১১০ জন সেনা মস্তিষ্কে আঘাত পেয়েছিলেন। অনেকের ধারণা, এই হামলার ক্ষয়ক্ষতি এত বেশি ছিল যে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাল্টা জবাবে কিছু করা থেকে বিরত ছিলেন।
এছাড়াও ইরানের পাল্টা জবাবের আকর্ষণীয় লক্ষ্য হতে পারে মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন করা মার্কিন বিমানঘাঁটি বহনকারী জাহাজগুলো। বর্তমানে দুটি বিশাল যুদ্ধবিমান বহনকারী জাহাজ (এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার) সেখানে রয়েছে। আরেকটি পথে আছে।
ইরানের সক্ষমতা
বিশ্বের অন্যতম উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকলেও ব্যালিস্টিক মিসাইল প্রতিরোধ কতটা কঠিন হতে পারে সেটা ইসরায়েলে ইরানের হামলা থেকে দেখা গেছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো বায়ুমণ্ডলের দিকে উঠে সুপারসনিক গতিতে মাটির দিকে ধেয়ে আসে, যা থামানো অত্যন্ত কঠিন।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর কাছে অন্তত দুটি কার্যকর ও পরীক্ষিত ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে—প্যাট্রিয়ট এবং টার্মিনাল হাই অলটিচিউড এরিয়া ডিফেন্স (টিএইচএএডি)। গত কয়েক মাস ধরেই যুক্তরাষ্ট্র এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধীরে ধীরে এশিয়া থেকে মধ্যপ্রাচ্যে সরিয়ে আনছে। এর পেছনে রয়েছে ইসরায়েল ও ইরান এবং তাদের মিত্র ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা।
ইরাকের মার্কিন ঘাঁটি এরবিল ও আইন আল-আসাদ বিমানঘাঁটিতে ইতিমধ্যে প্যাট্রিয়ট ব্যাটারি মোতায়েন রয়েছে। এগুলো আগেও জঙ্গিদের হামলা প্রতিহত করতে ব্যবহৃত হয়েছে। সম্প্রতি, মার্কিন সামরিক কমান্ডাররা দক্ষিণ কোরিয়া থেকে প্যাট্রিয়ট প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তুলে এনে বাহরাইনের আইসা ও আল উদেইদ বিমানঘাঁটিতে স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন।
ইরান যেভাবে ইসরায়েলে একসঙ্গে শত শত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল তাতে যে কোনো দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিভ্রান্ত হতে পারে। তবে মার্কিন সামরিক বাহিনী এখন এ ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী অবস্থানে আছে। তারা ধারণা করছে, ইসরায়েল ইরানের একসঙ্গে শত শত ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার সক্ষমতা অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে। ইরানের চালানো সাম্প্রতিক হামলাগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্রের পরিমাণও উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনের ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। ইসরায়েল গত কয়েক দিনে ইরানের সাপ্লাই চেইনের বিভিন্ন অংশে হামলা চালিয়ে এই ক্ষতি করেছে।
তবে এটা সত্যি, সাম্প্রতিক সময়ে ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে কমে গেছে। আগে যেখানে ইসরায়েলের দিকে একসঙ্গে ১০০টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হতো, এখন সেখানে মাত্র কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হচ্ছে একবারে।
এ বিষয়ে ক্ষেপণাস্ত্র বিশেষজ্ঞ ফাবিয়ান হফম্যান বলেন, ‘ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বেলায় ইরান এবার ভেবেচিন্তে কাজ করার অবস্থানে চলে এসেছে। তাদের পক্ষে এখন বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি ঘটানোর সম্ভাবনা কম।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে যদি ইরান মার্কিন অবকাঠামোতে হামলা চালায়, তবে এর পরিণতি বেশ গুরুতর হবে। তখন যুক্তরাষ্ট্র আরও গভীরভাবে জড়িয়ে পড়বে, যা রাজনৈতিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ।’
ইরানের মিত্রদের ভূমিকা
ইরানের আঞ্চলিক প্রক্সি বা মিত্র সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকেই বরাবরই তাদের প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর হিসেবে বিবেচনা করা হতো। হিজবুল্লাহ ও হামাস মূলত ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে ব্যস্ত রেখে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের ওপর সরাসরি হামলার সুযোগ যেন না পায়, সে ব্যবস্থাই করত। অন্যদিকে ইয়েমেনভিত্তিক হুতি বিদ্রোহীরা পশ্চিমা বিশ্বকে বিভ্রান্ত করতে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে হামলা চালাত।
ইরাকেও ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠী ড্রোন হামলা চালিয়ে মার্কিন ঘাঁটিতে প্রাণঘাতী হামলা করেছিল। ইরাকে ইরানপন্থী গোষ্ঠী কাতাইব হিজবুল্লাহ হয়তো তাদের আগের হুমকি বাস্তবায়ন করতে পারে, যদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইরানের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ ও ঘাঁটিগুলোর বিরুদ্ধে সরাসরি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য স্বস্তির বিষয় হলো, গত এক বছরে ইসরায়েল হামাস ও হিজবুল্লাহসহ এসব প্রক্সি গোষ্ঠীর বড় অংশ নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে।
ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংকট্যাংক সিলভারাডো পলিসি অ্যাক্সেলারেটরের চেয়ারম্যান দিমিত্রি আলপেরোভিচ বলেন, এখন ইসরায়েলের ওপর চালানো প্রায় সব ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলাই সরাসরি ইরান থেকে আসছে, যেটা নিয়ে ভাবা জরুরি।
হরমুজ প্রণালি
আরব উপদ্বীপ ও পারস্য উপসাগরের পশ্চিম প্রান্তের মাঝামাঝি অবস্থিত হরমুজ প্রণালি— যা পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে তেহরানের অন্যতম শক্তিশালী কৌশলগত হাতিয়ার। এই জলপথ দিয়েই বিশ্বের এক-পঞ্চমাংশ পেট্রোলিয়াম পাড়ি দেয়। ইরান চাইলে মাইন বসিয়ে, মোবাইল ক্ষেপণাস্ত্র লাঞ্চার বসিয়ে ও সামুদ্রিক ড্রোন ব্যবহার করে তবে ১৯৮০-এর দশকে ‘ট্যাংকার যুদ্ধের’ সময় ইরান একই কৌশল নিয়েছিল, যদিও সফল হয়নি। ব্রিটিশ ও পরে মার্কিন নৌবাহিনী বাণিজ্যিক জাহাজকে নিরাপদে পৌঁছে দেয়।
প্রণালি বন্ধের আশঙ্কা থেকেই মার্কিন যুদ্ধ বিমান বহনকারী জাহাজ ইউএসএস নিমিটজ হরমুজ প্রণালিতে আগে থেকেই মোতায়েন করা হয়েছে। এই আশঙ্কায় মার্কিন কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন, কারণ এটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজগুলোকে পারস্য উপসাগরেই আটকে ফেলবে। সাবেক রয়্যাল নেভি কর্মকর্তা টম শার্প বলেন, ‘মাইন অপসারণ মার্কিন নৌবাহিনীর দুর্বলতা।’
অবশ্য হরমুজ প্রণালি বন্ধ হলে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধে জড়াতে বাধ্য হতে পারে। এর আগে লোহিত সাগরে পশ্চিমা জাহাজে হুতিরা হামলা চালালে ট্রাম্প তাদের বিরুদ্ধে বিপুল অর্থ ব্যয় করে হামলা চালিয়েছেন।
তেলক্ষেত্রে হামলা
ইরান যদি মনে করে তারা এক অস্তিত্ব সংকটের মুখোমুখি অথবা তাদের পারমাণবিক কর্মসূচির সম্পূর্ণ ধ্বংস অনিবার্য— তাহলে তারা বিশ্লেষকদের ভাষায় ‘শেষ বড় চাল’ চালাতে পারে, যেটি হলো উপসাগরীয় অঞ্চলের জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা।
ইরান এর একটি নমুনা দেখিয়েছে ২০১৯ সালে। সে সময় সৌদি আরবের আবকায়েক ও খুরাইস তেল স্থাপনায় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়। ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনি হুতি বিদ্রোহীরা এই হামলার দায় স্বীকার করলেও যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব ইরানকে দায়ী করে। এই হামলায় সৌদি আরবের অর্ধেক তেল উৎপাদন সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায় এবং বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম বেড়ে যায়।
আবকায়েক ও জ্বালানি অবকাঠামোতে সম্ভাব্য হামলা
আবকায়েক প্রতিদিন প্রায় ৭০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল প্রক্রিয়াজাত করে—যা সৌদি আরবের মোট উৎপাদন সক্ষমতার দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি। ইরান যদি তাদের হুমকি বাস্তবায়নে যায়, তবে এই স্থাপনাটি প্রধান লক্ষ্যবস্তু হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নিশ্চিত।
সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থিত তেল ও এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) টার্মিনাল এবং ওই এলাকার জলসীমা দিয়ে যাওয়া তেলবাহী ট্যাংকার হুমকির মুখে পড়তে পারে।
২০১৯ সালের মে মাসে ফুজাইরাহ উপকূলে লিম্পেট মাইন বিস্ফোরণে তিনটি ট্যাংকার ও একটি জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এই হামলার দায় কেউ স্বীকার না করলেও, পশ্চিমা কর্মকর্তারা সন্দেহ করেন ইরানি ‘ফ্রগম্যান’ (জলসেনারা) এটির পেছনে জড়িত ছিল।
তেল, হরমুজ প্রণালি ও ইরানের ‘শেষ অস্ত্র’
বিশ্ববাজারে তেলের দাম নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অত্যন্ত সচেতন। আর হরমুজ প্রণালি দিয়েই বিশ্বে ব্যবহৃত মোট পেট্রোলিয়ামের এক-পঞ্চমাংশ আসে। এই জলপথ কোনো কারণে বন্ধ হলে জাহাজ চলাচল পুনরুদ্ধারে সামরিক হামলার অনুমোদন দেবেন ট্রাম্প।
এ ছাড়া মিত্র দেশ চীনকেও ক্ষুব্ধ করে তুলতে পারে ইরানের এই সিদ্ধান্ত। ইরানের থেকে সবচেয়ে বেশি তেল নিয়ে থাকে চীন আর এই হরমুজ প্রণালি ব্যবহার করেই দেশটিতে তেল পৌঁছায়। এ অবস্থায় প্রণালিতে জাহাজ চলাচল বন্ধ করা চীনকেও ক্ষুব্ধ করে তোলা ছাড়া কিছু নয়।
এত কিছুর পরও ইরান জিপিএস নেভিগেশনে ব্যাঘাত ঘটিয়ে প্রণালিতে চলাচলরত জাহাজগুলোর গতিপথে গোলমাল করেছে। একাধিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই ধরনের জিপিএস ব্যাঘাতের কারণে দুইটি ট্যাংকার একে অপরকে ধাক্কা দিয়ে আগুন ধরে যায়। মার্কিন কর্মকর্তাদের দাবি, এই জিপিএস সংকেত বিঘ্ন ঘটানো হচ্ছিল ইরানের বান্দার আব্বাস বন্দরের কাছ থেকে, যা প্রণালির ঠিক উত্তরে অবস্থিত।
তবে অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, ইরান লড়াইয়ের অংশ হিসেবে এই পথ বেছে নিবে না কারণ এতে আরব দেশগুলো সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে এবং তেহরান আরও বেশি আন্তর্জাতিকভাবে একঘরে হয়ে পড়বে।
সাইবার হামলা
ডেটা ধ্বংস করা, ফিশিং (ভুয়া ইমেইল ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তথ্য চুরি) এবং তথ্য প্রচার ও মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধমূলক অপারেশনের মাধ্যমে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বহুবার সাইবার হামলা চালিয়েছে ইরান ও দেশটির আঞ্চলিক প্রক্সিরা। তারা এই দায় স্বীকারও করেছে।
এ ধরনের সাইবার হুমকি বেসামরিক ও সামরিক— দুই খাতের জন্যই বিপজ্জনক। যুক্তরাষ্ট্র এসব হামলার জন্য দায়ী হ্যাকারদের সন্ধানে তথ্য আহ্বান করেছে। CyberAv3ngers নামের একটি গ্রুপ সম্পর্কে তথ্য দিলে ১ কোটি ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। গ্রুপটির সঙ্গে ইরানের ইসলামিক রেভলিউশনারী গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) জড়িত বলে মনে করা হয়।
তবে বিশ্লেষকেরা মনে করেন, বর্তমান সংকটে ইরান এই অস্ত্রটি কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারবে না। দিমিত্রি আলপেরোভিচ বলেন, ‘ইরানি সাইবার শক্তি এখন শুধু খেলনার মতো। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এটি বড় অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের সম্ভাবনা কম।’

ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই হামলার আগে বেশ সময় নিয়েই ‘ওয়ার গেম’ অনুশীলন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরান-ইসরায়েলের চলমান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ স্বাভাবিকভাবেই মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্ডান এবং সৌদি আরবে অবস্থানরত ৪০ হাজার মার্কিন সেনাকে সতর্ক অবস্থায় থাকতে নির্দেশ দিয়েছে ওয়াশিংটন।
মার্কিন হামলার পর এবার সবার চোখ ইরানের দিকে। এই হামলার পাল্টা আঘাত হিসেবে কী করতে যাচ্ছে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের এই দেশটি। ইসরায়েলি হামলায় শীর্ষ নেতাদের হারানো এবং নতুন করে দায়িত্ব সমর্পণ করে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া খামেনি এবার মার্কিন আঘাতের পাল্টা জবাব কীভাবে দেবেন, সেটা দেখার অপেক্ষায় সবাই।
মার্কিন হামলার জবাবে ইরানের মোক্ষম কিছু অস্ত্র রয়েছে, যা দেশটি এর আগেও ব্যবহার করেছে তবে যুক্তরাষ্ট্রের আঘাতের জবাবে সেগুলো গ্রহণযোগ্য কি না সে নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। যেভাবে ইরান মার্কিন হামলার জবাব দিতে পারে—
মিসাইল ব্যবহার
ইরানের মোক্ষম অস্ত্র ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। ধারণা করা হচ্ছে, ইসরায়েলের হামলার জবাবে যেভাবে শত শত মিসাইল ছুড়েছিল, সেই পদ্ধতি এবারও কাজে লাগাবে দেশটি।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদনে গোপন সূত্রের উদ্ধৃতিতে জানানো হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিগুলোর ওপর ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রস্তুতি শনাক্ত করেছেন মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
মধ্যপ্রাচ্য ও আশপাশের অঞ্চলে অন্তত ২০টি ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি রয়েছে। এই ঘাঁটিগুলোর বেশির ভাগই ইরানের ‘সিজিল-২’ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার রেঞ্জের মধ্যেই পড়ে।
ইরান শুরুতে ইরাক ও সিরিয়ায় থাকা মার্কিন ঘাঁটিগুলোতে হামলা চালাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরপর তেহরানের নজর পড়তে পারে আরব দেশগুলোতে থাকা মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলোর দিকে।
তবে এই চেষ্টা কতটা সফল হবে তা নিয়ে সন্দেহ আছে। কেন না অতীত বলছে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক স্থাপনায় হামলার চেষ্টায় ব্যর্থতার সম্ভাবনা বেশি। যেমনটা দেখা গিয়েছিল, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ইরাকে থাকা দুটি মার্কিন ঘাঁটিতে চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায়। ইরানের সাবেক শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে এ হামলা চালানো হয়েছিল। ইরানের এই হামলায় কোনো মার্কিন সেনা প্রাণ হারাননি। তবে বিস্ফোরণের আঘাতে ১১০ জন সেনা মস্তিষ্কে আঘাত পেয়েছিলেন। অনেকের ধারণা, এই হামলার ক্ষয়ক্ষতি এত বেশি ছিল যে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাল্টা জবাবে কিছু করা থেকে বিরত ছিলেন।
এছাড়াও ইরানের পাল্টা জবাবের আকর্ষণীয় লক্ষ্য হতে পারে মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন করা মার্কিন বিমানঘাঁটি বহনকারী জাহাজগুলো। বর্তমানে দুটি বিশাল যুদ্ধবিমান বহনকারী জাহাজ (এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার) সেখানে রয়েছে। আরেকটি পথে আছে।
ইরানের সক্ষমতা
বিশ্বের অন্যতম উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকলেও ব্যালিস্টিক মিসাইল প্রতিরোধ কতটা কঠিন হতে পারে সেটা ইসরায়েলে ইরানের হামলা থেকে দেখা গেছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো বায়ুমণ্ডলের দিকে উঠে সুপারসনিক গতিতে মাটির দিকে ধেয়ে আসে, যা থামানো অত্যন্ত কঠিন।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর কাছে অন্তত দুটি কার্যকর ও পরীক্ষিত ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে—প্যাট্রিয়ট এবং টার্মিনাল হাই অলটিচিউড এরিয়া ডিফেন্স (টিএইচএএডি)। গত কয়েক মাস ধরেই যুক্তরাষ্ট্র এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধীরে ধীরে এশিয়া থেকে মধ্যপ্রাচ্যে সরিয়ে আনছে। এর পেছনে রয়েছে ইসরায়েল ও ইরান এবং তাদের মিত্র ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা।
ইরাকের মার্কিন ঘাঁটি এরবিল ও আইন আল-আসাদ বিমানঘাঁটিতে ইতিমধ্যে প্যাট্রিয়ট ব্যাটারি মোতায়েন রয়েছে। এগুলো আগেও জঙ্গিদের হামলা প্রতিহত করতে ব্যবহৃত হয়েছে। সম্প্রতি, মার্কিন সামরিক কমান্ডাররা দক্ষিণ কোরিয়া থেকে প্যাট্রিয়ট প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তুলে এনে বাহরাইনের আইসা ও আল উদেইদ বিমানঘাঁটিতে স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন।
ইরান যেভাবে ইসরায়েলে একসঙ্গে শত শত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল তাতে যে কোনো দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিভ্রান্ত হতে পারে। তবে মার্কিন সামরিক বাহিনী এখন এ ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী অবস্থানে আছে। তারা ধারণা করছে, ইসরায়েল ইরানের একসঙ্গে শত শত ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার সক্ষমতা অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে। ইরানের চালানো সাম্প্রতিক হামলাগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্রের পরিমাণও উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনের ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। ইসরায়েল গত কয়েক দিনে ইরানের সাপ্লাই চেইনের বিভিন্ন অংশে হামলা চালিয়ে এই ক্ষতি করেছে।
তবে এটা সত্যি, সাম্প্রতিক সময়ে ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে কমে গেছে। আগে যেখানে ইসরায়েলের দিকে একসঙ্গে ১০০টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হতো, এখন সেখানে মাত্র কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হচ্ছে একবারে।
এ বিষয়ে ক্ষেপণাস্ত্র বিশেষজ্ঞ ফাবিয়ান হফম্যান বলেন, ‘ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বেলায় ইরান এবার ভেবেচিন্তে কাজ করার অবস্থানে চলে এসেছে। তাদের পক্ষে এখন বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি ঘটানোর সম্ভাবনা কম।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে যদি ইরান মার্কিন অবকাঠামোতে হামলা চালায়, তবে এর পরিণতি বেশ গুরুতর হবে। তখন যুক্তরাষ্ট্র আরও গভীরভাবে জড়িয়ে পড়বে, যা রাজনৈতিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ।’
ইরানের মিত্রদের ভূমিকা
ইরানের আঞ্চলিক প্রক্সি বা মিত্র সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকেই বরাবরই তাদের প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর হিসেবে বিবেচনা করা হতো। হিজবুল্লাহ ও হামাস মূলত ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে ব্যস্ত রেখে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের ওপর সরাসরি হামলার সুযোগ যেন না পায়, সে ব্যবস্থাই করত। অন্যদিকে ইয়েমেনভিত্তিক হুতি বিদ্রোহীরা পশ্চিমা বিশ্বকে বিভ্রান্ত করতে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে হামলা চালাত।
ইরাকেও ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠী ড্রোন হামলা চালিয়ে মার্কিন ঘাঁটিতে প্রাণঘাতী হামলা করেছিল। ইরাকে ইরানপন্থী গোষ্ঠী কাতাইব হিজবুল্লাহ হয়তো তাদের আগের হুমকি বাস্তবায়ন করতে পারে, যদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইরানের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ ও ঘাঁটিগুলোর বিরুদ্ধে সরাসরি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য স্বস্তির বিষয় হলো, গত এক বছরে ইসরায়েল হামাস ও হিজবুল্লাহসহ এসব প্রক্সি গোষ্ঠীর বড় অংশ নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে।
ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংকট্যাংক সিলভারাডো পলিসি অ্যাক্সেলারেটরের চেয়ারম্যান দিমিত্রি আলপেরোভিচ বলেন, এখন ইসরায়েলের ওপর চালানো প্রায় সব ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলাই সরাসরি ইরান থেকে আসছে, যেটা নিয়ে ভাবা জরুরি।
হরমুজ প্রণালি
আরব উপদ্বীপ ও পারস্য উপসাগরের পশ্চিম প্রান্তের মাঝামাঝি অবস্থিত হরমুজ প্রণালি— যা পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে তেহরানের অন্যতম শক্তিশালী কৌশলগত হাতিয়ার। এই জলপথ দিয়েই বিশ্বের এক-পঞ্চমাংশ পেট্রোলিয়াম পাড়ি দেয়। ইরান চাইলে মাইন বসিয়ে, মোবাইল ক্ষেপণাস্ত্র লাঞ্চার বসিয়ে ও সামুদ্রিক ড্রোন ব্যবহার করে তবে ১৯৮০-এর দশকে ‘ট্যাংকার যুদ্ধের’ সময় ইরান একই কৌশল নিয়েছিল, যদিও সফল হয়নি। ব্রিটিশ ও পরে মার্কিন নৌবাহিনী বাণিজ্যিক জাহাজকে নিরাপদে পৌঁছে দেয়।
প্রণালি বন্ধের আশঙ্কা থেকেই মার্কিন যুদ্ধ বিমান বহনকারী জাহাজ ইউএসএস নিমিটজ হরমুজ প্রণালিতে আগে থেকেই মোতায়েন করা হয়েছে। এই আশঙ্কায় মার্কিন কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন, কারণ এটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজগুলোকে পারস্য উপসাগরেই আটকে ফেলবে। সাবেক রয়্যাল নেভি কর্মকর্তা টম শার্প বলেন, ‘মাইন অপসারণ মার্কিন নৌবাহিনীর দুর্বলতা।’
অবশ্য হরমুজ প্রণালি বন্ধ হলে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধে জড়াতে বাধ্য হতে পারে। এর আগে লোহিত সাগরে পশ্চিমা জাহাজে হুতিরা হামলা চালালে ট্রাম্প তাদের বিরুদ্ধে বিপুল অর্থ ব্যয় করে হামলা চালিয়েছেন।
তেলক্ষেত্রে হামলা
ইরান যদি মনে করে তারা এক অস্তিত্ব সংকটের মুখোমুখি অথবা তাদের পারমাণবিক কর্মসূচির সম্পূর্ণ ধ্বংস অনিবার্য— তাহলে তারা বিশ্লেষকদের ভাষায় ‘শেষ বড় চাল’ চালাতে পারে, যেটি হলো উপসাগরীয় অঞ্চলের জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা।
ইরান এর একটি নমুনা দেখিয়েছে ২০১৯ সালে। সে সময় সৌদি আরবের আবকায়েক ও খুরাইস তেল স্থাপনায় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়। ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনি হুতি বিদ্রোহীরা এই হামলার দায় স্বীকার করলেও যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব ইরানকে দায়ী করে। এই হামলায় সৌদি আরবের অর্ধেক তেল উৎপাদন সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায় এবং বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম বেড়ে যায়।
আবকায়েক ও জ্বালানি অবকাঠামোতে সম্ভাব্য হামলা
আবকায়েক প্রতিদিন প্রায় ৭০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল প্রক্রিয়াজাত করে—যা সৌদি আরবের মোট উৎপাদন সক্ষমতার দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি। ইরান যদি তাদের হুমকি বাস্তবায়নে যায়, তবে এই স্থাপনাটি প্রধান লক্ষ্যবস্তু হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নিশ্চিত।
সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থিত তেল ও এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) টার্মিনাল এবং ওই এলাকার জলসীমা দিয়ে যাওয়া তেলবাহী ট্যাংকার হুমকির মুখে পড়তে পারে।
২০১৯ সালের মে মাসে ফুজাইরাহ উপকূলে লিম্পেট মাইন বিস্ফোরণে তিনটি ট্যাংকার ও একটি জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এই হামলার দায় কেউ স্বীকার না করলেও, পশ্চিমা কর্মকর্তারা সন্দেহ করেন ইরানি ‘ফ্রগম্যান’ (জলসেনারা) এটির পেছনে জড়িত ছিল।
তেল, হরমুজ প্রণালি ও ইরানের ‘শেষ অস্ত্র’
বিশ্ববাজারে তেলের দাম নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অত্যন্ত সচেতন। আর হরমুজ প্রণালি দিয়েই বিশ্বে ব্যবহৃত মোট পেট্রোলিয়ামের এক-পঞ্চমাংশ আসে। এই জলপথ কোনো কারণে বন্ধ হলে জাহাজ চলাচল পুনরুদ্ধারে সামরিক হামলার অনুমোদন দেবেন ট্রাম্প।
এ ছাড়া মিত্র দেশ চীনকেও ক্ষুব্ধ করে তুলতে পারে ইরানের এই সিদ্ধান্ত। ইরানের থেকে সবচেয়ে বেশি তেল নিয়ে থাকে চীন আর এই হরমুজ প্রণালি ব্যবহার করেই দেশটিতে তেল পৌঁছায়। এ অবস্থায় প্রণালিতে জাহাজ চলাচল বন্ধ করা চীনকেও ক্ষুব্ধ করে তোলা ছাড়া কিছু নয়।
এত কিছুর পরও ইরান জিপিএস নেভিগেশনে ব্যাঘাত ঘটিয়ে প্রণালিতে চলাচলরত জাহাজগুলোর গতিপথে গোলমাল করেছে। একাধিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই ধরনের জিপিএস ব্যাঘাতের কারণে দুইটি ট্যাংকার একে অপরকে ধাক্কা দিয়ে আগুন ধরে যায়। মার্কিন কর্মকর্তাদের দাবি, এই জিপিএস সংকেত বিঘ্ন ঘটানো হচ্ছিল ইরানের বান্দার আব্বাস বন্দরের কাছ থেকে, যা প্রণালির ঠিক উত্তরে অবস্থিত।
তবে অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, ইরান লড়াইয়ের অংশ হিসেবে এই পথ বেছে নিবে না কারণ এতে আরব দেশগুলো সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে এবং তেহরান আরও বেশি আন্তর্জাতিকভাবে একঘরে হয়ে পড়বে।
সাইবার হামলা
ডেটা ধ্বংস করা, ফিশিং (ভুয়া ইমেইল ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তথ্য চুরি) এবং তথ্য প্রচার ও মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধমূলক অপারেশনের মাধ্যমে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বহুবার সাইবার হামলা চালিয়েছে ইরান ও দেশটির আঞ্চলিক প্রক্সিরা। তারা এই দায় স্বীকারও করেছে।
এ ধরনের সাইবার হুমকি বেসামরিক ও সামরিক— দুই খাতের জন্যই বিপজ্জনক। যুক্তরাষ্ট্র এসব হামলার জন্য দায়ী হ্যাকারদের সন্ধানে তথ্য আহ্বান করেছে। CyberAv3ngers নামের একটি গ্রুপ সম্পর্কে তথ্য দিলে ১ কোটি ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। গ্রুপটির সঙ্গে ইরানের ইসলামিক রেভলিউশনারী গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) জড়িত বলে মনে করা হয়।
তবে বিশ্লেষকেরা মনে করেন, বর্তমান সংকটে ইরান এই অস্ত্রটি কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারবে না। দিমিত্রি আলপেরোভিচ বলেন, ‘ইরানি সাইবার শক্তি এখন শুধু খেলনার মতো। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এটি বড় অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের সম্ভাবনা কম।’

তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
২ ঘণ্টা আগে
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
১৩ ঘণ্টা আগে
আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, ২৬ ডিসেম্বর স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে টোকিও থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে গুনমা প্রিফেকচারের মিনাকামিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে দুটি ট্রাকের মধ্যে সংঘর্ষ হলে পেছনে থাকা গাড়িগুলো একের পর এক ধাক্কা খেতে থাকে। এই চেইন রিঅ্যাকশনের ফলে অন্তত ১০টি গাড়িতে দাউ দাউ করে আগুন ধরে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সাড়ে সাত ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে টোকিওর একজন ৭৭ বছর বয়সী নারী রয়েছেন। এ ছাড়া একটি পুড়ে যাওয়া ট্রাকের চালকের আসন থেকে আরও একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত ২৬ জনের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকি ২১ জন সামান্য আঘাত পেয়েছেন।
দুর্ঘটনার সময় ওই এলাকায় ভারী তুষারপাতের সতর্কতা জারি ছিল। পুলিশের ধারণা, রাস্তার ওপর বরফ জমে পিচ্ছিল হয়ে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকগুলো পিছলে যায়। যার ফলে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
ষাটোর্ধ্ব এক প্রত্যক্ষদর্শী জাপানি সংবাদমাধ্যম এনএইচকে-কে জানান, সংঘর্ষের সময় তিনি বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনেন এবং দেখেন সামনের গাড়িগুলোতে আগুন ধরে গেছে। দ্রুত সেই আগুন অন্যান্য গাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি আরও জানান, তাঁকেসহ প্রায় ৫০ জনকে নিকটবর্তী একটি টোল প্লাজায় সরিয়ে নেওয়া হয় এবং সেখানে তাঁরা সারা রাত অবস্থান করেন।
দুর্ঘটনার পর এক্সপ্রেসওয়ের একটি অংশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুড়ে যাওয়া এবং ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িগুলো সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। রাস্তা পরিচালনাকারী সংস্থা নেক্সকো জানিয়েছে, আগুনের তাপে রাস্তার কোনো ক্ষতি হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করা হচ্ছে। সংস্থাটি আপাতত ওই রুট ব্যবহার না করার জন্য ভ্রমণকারীদের সতর্ক করেছে।

তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, ২৬ ডিসেম্বর স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে টোকিও থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে গুনমা প্রিফেকচারের মিনাকামিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে দুটি ট্রাকের মধ্যে সংঘর্ষ হলে পেছনে থাকা গাড়িগুলো একের পর এক ধাক্কা খেতে থাকে। এই চেইন রিঅ্যাকশনের ফলে অন্তত ১০টি গাড়িতে দাউ দাউ করে আগুন ধরে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সাড়ে সাত ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে টোকিওর একজন ৭৭ বছর বয়সী নারী রয়েছেন। এ ছাড়া একটি পুড়ে যাওয়া ট্রাকের চালকের আসন থেকে আরও একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত ২৬ জনের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকি ২১ জন সামান্য আঘাত পেয়েছেন।
দুর্ঘটনার সময় ওই এলাকায় ভারী তুষারপাতের সতর্কতা জারি ছিল। পুলিশের ধারণা, রাস্তার ওপর বরফ জমে পিচ্ছিল হয়ে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকগুলো পিছলে যায়। যার ফলে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
ষাটোর্ধ্ব এক প্রত্যক্ষদর্শী জাপানি সংবাদমাধ্যম এনএইচকে-কে জানান, সংঘর্ষের সময় তিনি বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনেন এবং দেখেন সামনের গাড়িগুলোতে আগুন ধরে গেছে। দ্রুত সেই আগুন অন্যান্য গাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি আরও জানান, তাঁকেসহ প্রায় ৫০ জনকে নিকটবর্তী একটি টোল প্লাজায় সরিয়ে নেওয়া হয় এবং সেখানে তাঁরা সারা রাত অবস্থান করেন।
দুর্ঘটনার পর এক্সপ্রেসওয়ের একটি অংশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুড়ে যাওয়া এবং ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িগুলো সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। রাস্তা পরিচালনাকারী সংস্থা নেক্সকো জানিয়েছে, আগুনের তাপে রাস্তার কোনো ক্ষতি হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করা হচ্ছে। সংস্থাটি আপাতত ওই রুট ব্যবহার না করার জন্য ভ্রমণকারীদের সতর্ক করেছে।

মার্কিন হামলার পর এবার সবার চোখ ইরানের দিকে। এই হামলার পাল্টা আঘাত হিসেবে কী করতে যাচ্ছে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের এই দেশটি। ইসরায়েলি হামলায় শীর্ষ নেতাদের হারানো এবং নতুন করে দায়িত্ব সমর্পণ করে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া খামেনি এবার মার্কিন আঘাতের পাল্টা জবাব কীভাবে দেবেন, সেটা দেখার অপেক্ষায় সবাই।
২২ জুন ২০২৫
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
১৩ ঘণ্টা আগে
আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক বাহিনীতে যোগ দিতে নীতিগতভাবে সম্মতি জানিয়েছে পাকিস্তান। তবে এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে যদি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে নিরস্ত্র করার শর্ত থাকে, তবে পাকিস্তান তাতে অংশ নেবে না। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার এ কথা বলেছেন।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেসের ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে পাকিস্তানের কূটনৈতিক সাফল্য পর্যালোচনা করতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়াজন করা হয়েছিল। সংবাদ সম্মেলনে ইশাক দার বলেন, গাজা শান্তি চুক্তির আওতায় ‘ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাবিলাইজেশন ফোর্স’ (আইএসএফ) গঠন একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। পাকিস্তান যেকোনো আন্তর্জাতিক ফোরামে ‘পিস এনফোর্সমেন্ট’ (শান্তি বলবৎকরণ) নয়, বরং ‘পিসকিপিং’ (শান্তি রক্ষা) শব্দ ব্যবহারের ওপর জোর দিচ্ছে।
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
ইশাক দার আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের ভূমিকা শুধু শান্তি বজায় রাখায় সহায়তা করার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। বলপ্রয়োগের মাধ্যমে কাউকে নিরস্ত্র করার কোনো অভিযানে পাকিস্তান তার সৈন্যদের জড়াতে চায় না।’
ইশাক দার জানান, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নীতিগতভাবে সৈন্য পাঠানোর বিষয়ে প্রাথমিক সম্মতি দিলেও, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পাকিস্তান এই বাহিনীর ‘টার্মস অব রেফারেন্স’ (টিওআর) এবং ম্যান্ডেট পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করবে।
প্রসঙ্গত, গত নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনাকে সমর্থন করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি রেজল্যুশন পাস হয়। পাকিস্তানসহ ১৩টি দেশ এর পক্ষে ভোট দিলেও রাশিয়া ও চীন ভোটদানে বিরত ছিল। ওই পরিকল্পনারই একটি অন্যতম অংশ হলো এই ‘আইএসএফ’ গঠন। এখানে মূলত মুসলিমপ্রধান দেশগুলোর সৈন্যদের প্রাধান্য থাকবে।
ইশাক দার জানান, ইন্দোনেশিয়া এই বাহিনীতে ২০ হাজার সৈন্য পাঠানোর প্রস্তাব দিলেও তারাও হামাসকে নিরস্ত্র করার বিষয়ে পাকিস্তানের মতোই আপত্তি ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
পারমাণবিক শক্তিধর দেশ এবং অভিজ্ঞ সামরিক বাহিনীর অধিকারী হওয়ায় গাজা শান্তি মিশনে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ ওয়াশিংটনের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে দেশের অভ্যন্তরে ধর্মীয় দলগুলোর প্রতিবাদ এবং হামাসের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি এড়াতে পাকিস্তান অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এই পথে এগোচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ইশাক দার দাবি করেন, একসময় পাকিস্তান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ‘কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন’ বলে বিবেচিত হলেও বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় দেশটি পুনরায় বিশ্বমঞ্চে শক্তিশালী অবস্থানে ফিরে এসেছে। তিনি জানান, প্রধান বৈশ্বিক ইস্যুগুলোতে পাকিস্তানের নীতিগত ও দৃঢ় অবস্থানের কারণে আন্তর্জাতিক মহলে ইসলামাবাদের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে।

গাজায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক বাহিনীতে যোগ দিতে নীতিগতভাবে সম্মতি জানিয়েছে পাকিস্তান। তবে এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে যদি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে নিরস্ত্র করার শর্ত থাকে, তবে পাকিস্তান তাতে অংশ নেবে না। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার এ কথা বলেছেন।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেসের ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে পাকিস্তানের কূটনৈতিক সাফল্য পর্যালোচনা করতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়াজন করা হয়েছিল। সংবাদ সম্মেলনে ইশাক দার বলেন, গাজা শান্তি চুক্তির আওতায় ‘ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাবিলাইজেশন ফোর্স’ (আইএসএফ) গঠন একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। পাকিস্তান যেকোনো আন্তর্জাতিক ফোরামে ‘পিস এনফোর্সমেন্ট’ (শান্তি বলবৎকরণ) নয়, বরং ‘পিসকিপিং’ (শান্তি রক্ষা) শব্দ ব্যবহারের ওপর জোর দিচ্ছে।
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
ইশাক দার আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের ভূমিকা শুধু শান্তি বজায় রাখায় সহায়তা করার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। বলপ্রয়োগের মাধ্যমে কাউকে নিরস্ত্র করার কোনো অভিযানে পাকিস্তান তার সৈন্যদের জড়াতে চায় না।’
ইশাক দার জানান, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নীতিগতভাবে সৈন্য পাঠানোর বিষয়ে প্রাথমিক সম্মতি দিলেও, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পাকিস্তান এই বাহিনীর ‘টার্মস অব রেফারেন্স’ (টিওআর) এবং ম্যান্ডেট পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করবে।
প্রসঙ্গত, গত নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনাকে সমর্থন করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি রেজল্যুশন পাস হয়। পাকিস্তানসহ ১৩টি দেশ এর পক্ষে ভোট দিলেও রাশিয়া ও চীন ভোটদানে বিরত ছিল। ওই পরিকল্পনারই একটি অন্যতম অংশ হলো এই ‘আইএসএফ’ গঠন। এখানে মূলত মুসলিমপ্রধান দেশগুলোর সৈন্যদের প্রাধান্য থাকবে।
ইশাক দার জানান, ইন্দোনেশিয়া এই বাহিনীতে ২০ হাজার সৈন্য পাঠানোর প্রস্তাব দিলেও তারাও হামাসকে নিরস্ত্র করার বিষয়ে পাকিস্তানের মতোই আপত্তি ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
পারমাণবিক শক্তিধর দেশ এবং অভিজ্ঞ সামরিক বাহিনীর অধিকারী হওয়ায় গাজা শান্তি মিশনে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ ওয়াশিংটনের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে দেশের অভ্যন্তরে ধর্মীয় দলগুলোর প্রতিবাদ এবং হামাসের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি এড়াতে পাকিস্তান অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এই পথে এগোচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ইশাক দার দাবি করেন, একসময় পাকিস্তান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ‘কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন’ বলে বিবেচিত হলেও বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় দেশটি পুনরায় বিশ্বমঞ্চে শক্তিশালী অবস্থানে ফিরে এসেছে। তিনি জানান, প্রধান বৈশ্বিক ইস্যুগুলোতে পাকিস্তানের নীতিগত ও দৃঢ় অবস্থানের কারণে আন্তর্জাতিক মহলে ইসলামাবাদের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে।

মার্কিন হামলার পর এবার সবার চোখ ইরানের দিকে। এই হামলার পাল্টা আঘাত হিসেবে কী করতে যাচ্ছে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের এই দেশটি। ইসরায়েলি হামলায় শীর্ষ নেতাদের হারানো এবং নতুন করে দায়িত্ব সমর্পণ করে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া খামেনি এবার মার্কিন আঘাতের পাল্টা জবাব কীভাবে দেবেন, সেটা দেখার অপেক্ষায় সবাই।
২২ জুন ২০২৫
তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
২ ঘণ্টা আগে
আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের ঠিক আগে রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ভাষ্য অনুযায়ী, শুক্রবার রাতভর চালানো এই হামলায় প্রায় ৫০০ ড্রোন ও ৪০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এতে কিয়েভের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
জেলেনস্কি এই হামলাকে ওয়াশিংটনের মধ্যস্থতায় চলমান শান্তি প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে রাশিয়ার ‘সরাসরি জবাব’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরুর পর এটিই তাদের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘাত, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নজিরবিহীন।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
তবে এ বিষয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা ইউক্রেনারগো জানায়, দেশজুড়ে জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা হয়েছে। ফলে রাজধানী কিয়েভে জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে হয়েছে।
এই হামলার প্রভাব ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ডেও পড়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে দক্ষিণ-পূর্ব পোল্যান্ডের রেশজো ও লুবলিন বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরে বিমানবন্দর দুটি আবার চালু করা হয়।
ট্রাম্প-জেলেনস্কি আলোচনার টেবিলে কী আছে
জেলেনস্কি বর্তমানে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো রিসোর্টের উদ্দেশে বিমানে রয়েছেন। এক অডিও বার্তায় তিনি জানান, পথে কানাডায় থামবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ফোনালাপ করবেন।
এর আগে শুক্রবার কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি হওয়া ২০ দফার শান্তি পরিকল্পনার ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘রোববার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে যুদ্ধ শেষে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা ও ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আলোচনা হবে।’
জেলেনস্কির মতে, যুক্তরাষ্ট্র কী ধরনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেবে, সেটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘এটা নির্ভর করবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কী দিতে প্রস্তুত, কখন দিতে প্রস্তুত এবং কত দিনের জন্য।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও বলেছেন, এই শান্তি প্রক্রিয়ায় মূল চালিকাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রই। পলিটিকোকে তিনি বলেন, ‘আমার অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত তাঁর (জেলেনস্কির) কিছুই চূড়ান্ত নয়। দেখা যাক, সে কী নিয়ে আসে।’ তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, রোববারের বৈঠক ভালো হবে। তিনি আরও জানান, খুব শিগগির তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও কথা বলতে চান।
দোনেৎস্কের ভবিষ্যৎই এখন মূল প্রশ্ন
মস্কো দাবি করছে, ইউক্রেনকে দোনেৎস্কের একটি বড় ও ঘনবসতিপূর্ণ অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। এই অঞ্চল রুশ বাহিনী প্রায় চার বছরের যুদ্ধেও পুরোপুরি দখল করতে পারেনি। অন্যদিকে কিয়েভ চায়, বর্তমান ফ্রন্টলাইনে যুদ্ধ থামানো হোক।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত এক সমঝোতার আওতায়, ইউক্রেনীয় বাহিনী দোনেৎস্কের কিছু এলাকা থেকে সরে গেলে সেখানে একটি মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনের কথা রয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনো বিস্তারিত ঠিক হয়নি।
জেলেনস্কি ইঙ্গিত দিয়েছেন, যদি চুক্তিতে বড় ধরনের আঞ্চলিক ছাড় দেওয়ার প্রশ্ন আসে, তবে তিনি তা গণভোটের মাধ্যমে জনগণের কাছে নিয়ে যেতে পারেন। তবে যুদ্ধের এমন পরিস্থিতিতে গণভোট আয়োজন অসম্ভব বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ জানিয়েছেন, কিয়েভের ২০ দফা পরিকল্পনা রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার চেয়ে কিছুটা ভিন্ন, তবে শান্তি প্রক্রিয়ায় একটি ‘টার্নিং পয়েন্ট’ বা মোড় আসার বিষয়ে তিনি আশাবাদী। এখন সবার নজর রোববার ফ্লোরিডায় হতে যাওয়া ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকের দিকে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের ঠিক আগে রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ভাষ্য অনুযায়ী, শুক্রবার রাতভর চালানো এই হামলায় প্রায় ৫০০ ড্রোন ও ৪০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এতে কিয়েভের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
জেলেনস্কি এই হামলাকে ওয়াশিংটনের মধ্যস্থতায় চলমান শান্তি প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে রাশিয়ার ‘সরাসরি জবাব’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরুর পর এটিই তাদের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘাত, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নজিরবিহীন।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
তবে এ বিষয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা ইউক্রেনারগো জানায়, দেশজুড়ে জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা হয়েছে। ফলে রাজধানী কিয়েভে জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে হয়েছে।
এই হামলার প্রভাব ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ডেও পড়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে দক্ষিণ-পূর্ব পোল্যান্ডের রেশজো ও লুবলিন বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরে বিমানবন্দর দুটি আবার চালু করা হয়।
ট্রাম্প-জেলেনস্কি আলোচনার টেবিলে কী আছে
জেলেনস্কি বর্তমানে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো রিসোর্টের উদ্দেশে বিমানে রয়েছেন। এক অডিও বার্তায় তিনি জানান, পথে কানাডায় থামবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ফোনালাপ করবেন।
এর আগে শুক্রবার কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি হওয়া ২০ দফার শান্তি পরিকল্পনার ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘রোববার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে যুদ্ধ শেষে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা ও ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আলোচনা হবে।’
জেলেনস্কির মতে, যুক্তরাষ্ট্র কী ধরনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেবে, সেটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘এটা নির্ভর করবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কী দিতে প্রস্তুত, কখন দিতে প্রস্তুত এবং কত দিনের জন্য।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও বলেছেন, এই শান্তি প্রক্রিয়ায় মূল চালিকাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রই। পলিটিকোকে তিনি বলেন, ‘আমার অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত তাঁর (জেলেনস্কির) কিছুই চূড়ান্ত নয়। দেখা যাক, সে কী নিয়ে আসে।’ তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, রোববারের বৈঠক ভালো হবে। তিনি আরও জানান, খুব শিগগির তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও কথা বলতে চান।
দোনেৎস্কের ভবিষ্যৎই এখন মূল প্রশ্ন
মস্কো দাবি করছে, ইউক্রেনকে দোনেৎস্কের একটি বড় ও ঘনবসতিপূর্ণ অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। এই অঞ্চল রুশ বাহিনী প্রায় চার বছরের যুদ্ধেও পুরোপুরি দখল করতে পারেনি। অন্যদিকে কিয়েভ চায়, বর্তমান ফ্রন্টলাইনে যুদ্ধ থামানো হোক।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত এক সমঝোতার আওতায়, ইউক্রেনীয় বাহিনী দোনেৎস্কের কিছু এলাকা থেকে সরে গেলে সেখানে একটি মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনের কথা রয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনো বিস্তারিত ঠিক হয়নি।
জেলেনস্কি ইঙ্গিত দিয়েছেন, যদি চুক্তিতে বড় ধরনের আঞ্চলিক ছাড় দেওয়ার প্রশ্ন আসে, তবে তিনি তা গণভোটের মাধ্যমে জনগণের কাছে নিয়ে যেতে পারেন। তবে যুদ্ধের এমন পরিস্থিতিতে গণভোট আয়োজন অসম্ভব বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ জানিয়েছেন, কিয়েভের ২০ দফা পরিকল্পনা রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার চেয়ে কিছুটা ভিন্ন, তবে শান্তি প্রক্রিয়ায় একটি ‘টার্নিং পয়েন্ট’ বা মোড় আসার বিষয়ে তিনি আশাবাদী। এখন সবার নজর রোববার ফ্লোরিডায় হতে যাওয়া ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকের দিকে।

মার্কিন হামলার পর এবার সবার চোখ ইরানের দিকে। এই হামলার পাল্টা আঘাত হিসেবে কী করতে যাচ্ছে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের এই দেশটি। ইসরায়েলি হামলায় শীর্ষ নেতাদের হারানো এবং নতুন করে দায়িত্ব সমর্পণ করে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া খামেনি এবার মার্কিন আঘাতের পাল্টা জবাব কীভাবে দেবেন, সেটা দেখার অপেক্ষায় সবাই।
২২ জুন ২০২৫
তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
২ ঘণ্টা আগে
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
১৩ ঘণ্টা আগে
মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র লিয়ান্দ্রো আমাদোর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ, ৩ জন নারী এবং ১টি শিশু রয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাসটি গুয়াতেমালা সিটি থেকে মেক্সিকো সীমান্তবর্তী সান মার্কোস বিভাগের দিকে যাচ্ছিল। পথে টোটোনিকাপান বিভাগের ১৭২ থেকে ১৭৪ কিলোমিটারের মধ্যবর্তী এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায় ৭৫ মিটার (২৫০ ফুট) গভীর একটি খাদে পড়ে যায়। দুর্ঘটনাস্থলটি ‘আলাস্কা পিক’ নামে পরিচিত। দুর্গম ভূখণ্ড এবং খাড়া ঢালের কারণে এলাকাটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
ধারণা করা হচ্ছে, কুয়াশা বা যান্ত্রিক ত্রুটি এ দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে, তবে সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি।
দেশটির ফায়ার সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুর্ঘটনার কিছু ছবি শেয়ার করেছে। এতে দেখা যায়, দুমড়েমুচড়ে যাওয়া বাসটি থেকে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করা হচ্ছে।
আহত ১৯ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে কাছের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে প্রিয়জনদের খোঁজে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালগুলোতে ভিড় করছেন স্বজনেরা।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের শুরুতেই গুয়াতেমালা সিটির বাইরে একটি বাস খাদে পড়ে ৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। বছরের শেষ দিকে এসে আবারও একই ধরনের বড় দুর্ঘটনায় দেশটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র লিয়ান্দ্রো আমাদোর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ, ৩ জন নারী এবং ১টি শিশু রয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাসটি গুয়াতেমালা সিটি থেকে মেক্সিকো সীমান্তবর্তী সান মার্কোস বিভাগের দিকে যাচ্ছিল। পথে টোটোনিকাপান বিভাগের ১৭২ থেকে ১৭৪ কিলোমিটারের মধ্যবর্তী এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায় ৭৫ মিটার (২৫০ ফুট) গভীর একটি খাদে পড়ে যায়। দুর্ঘটনাস্থলটি ‘আলাস্কা পিক’ নামে পরিচিত। দুর্গম ভূখণ্ড এবং খাড়া ঢালের কারণে এলাকাটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
ধারণা করা হচ্ছে, কুয়াশা বা যান্ত্রিক ত্রুটি এ দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে, তবে সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি।
দেশটির ফায়ার সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুর্ঘটনার কিছু ছবি শেয়ার করেছে। এতে দেখা যায়, দুমড়েমুচড়ে যাওয়া বাসটি থেকে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করা হচ্ছে।
আহত ১৯ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে কাছের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে প্রিয়জনদের খোঁজে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালগুলোতে ভিড় করছেন স্বজনেরা।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের শুরুতেই গুয়াতেমালা সিটির বাইরে একটি বাস খাদে পড়ে ৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। বছরের শেষ দিকে এসে আবারও একই ধরনের বড় দুর্ঘটনায় দেশটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মার্কিন হামলার পর এবার সবার চোখ ইরানের দিকে। এই হামলার পাল্টা আঘাত হিসেবে কী করতে যাচ্ছে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের এই দেশটি। ইসরায়েলি হামলায় শীর্ষ নেতাদের হারানো এবং নতুন করে দায়িত্ব সমর্পণ করে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া খামেনি এবার মার্কিন আঘাতের পাল্টা জবাব কীভাবে দেবেন, সেটা দেখার অপেক্ষায় সবাই।
২২ জুন ২০২৫
তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
২ ঘণ্টা আগে
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
১৩ ঘণ্টা আগে
আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে