মাহমুদুল মাসুদ, মুক্তিযোদ্ধা

বাংলাদেশের শিক্ষিত জনগণ চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ কথাটির সঙ্গে মোটামুটি পরিচিত। সরকারের সদিচ্ছার ওপর প্রশাসনের অনেক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য, যা অনেক ক্ষেত্রে পরে বাড়ানো হয়। পুরোটাই নির্ভর করে উচ্চপর্যায়ে যোগাযোগ এবং তদবিরের ওপর।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে আলোচকেরা জোর দিয়ে বলছিলেন, ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করা হয় জনগণের কাজ করার জন্য, অন্য কিছুর জন্য নয়—এটা ভুলে গেলে চলবে না; অর্থাৎ একরকম চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, যার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ হচ্ছে জনগণ। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী ৫ বছর পর পর নির্বাচন হয় এবং সর্বোচ্চ ভোটে নিবাচিত জনপ্রতিনিধিরা জাতীয় সংসদের সদস্য হন। গণতন্ত্রের নিয়মানুযায়ী, যাঁর যাঁর এলাকার জনগণের প্ৰতিনিধিত্ব করেন এবং আইন প্রণয়ন থেকে অন্যান্য সমস্যা সংসদে তুলে সমাধানের চেষ্টা করেন তাঁরা।
সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৬ অনুসারে কমপক্ষে ২৫ বছর বয়স্ক যেকোনো নাগরিক অন্যান্য শর্ত পূরণ সাপেক্ষে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য। কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন নেই। তাঁদের সুযোগ-সুবিধা তাঁদেরই প্রণীত আইন ও বিধিমালা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তাঁদের নিয়োগ হয় নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে জনগণের ভোটে। নিয়োগকারী কে? জনগণ। নির্বাচনের সময় জনগণের দ্বারে দ্বারে ঘুরে এই নিয়োগের জন্য ভোট ভিক্ষা করা হয়। অনেক প্রার্থীর মধ্যে একজনকে এক এলাকার আমজনতা নির্বাচন করেন বা ৫ বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেন জাতীয় সংসদে, তাঁদের পক্ষে কাজ করার জন্য।
বাস্তবতা হলো, নিযুক্তির পর দলমত-নির্বিশেষে অনেকেই ভুলে যান যে তাঁরা তাঁদের এলাকার জনগণের নিয়োগপ্রাপ্ত। অনেকে জনগণকে মনে করেন প্রজা। পুরো দৃশ্য তখন পাল্টে যায়। ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও জাতীয় সংসদ পর্যন্ত জনপ্রতিনিধির অনেকেই পরে প্রভু হয়ে যান। ব্যতিক্রম নগণ্য। প্রভু নয়, বন্ধু হওয়ার প্রতিশ্রুতি মনে থাকে না। ভোটের আগে জনসেবক হওয়ার প্রতিশ্রুতি কেতাবেই থাকে, গোয়ালে নয়। আর পদ-পদবি, অর্থাৎ মন্ত্রিত্ব বা এ-জাতীয় কিছু পেলে তো কথাই নেই। উপদেশ বিতরণ আর জ্ঞানদান শুরু হয়। উপদেশ দিয়েই খালাস। জনপ্রতিনিধি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের জ্ঞানচক্ষু খুলে যায়। শুরু হয় জ্ঞান বিতরণ—অবিরাম উপদেশ বা সবক, আহ্বান আর আবেদন। নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ, অর্থাৎ জনগণ হয়ে যায় নির্বোধ ও মূর্খ। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্তদের মুখে তখন খই ফুটতে থাকে। কাজের থেকে কথা বেশি। নিয়োগকারীকে সবকের পর সবক দেওয়া চলতে থাকে। যেমন—
১. জনগণকে সচেতন হতে হবে—জনগণ কীভাবে সচেতন হবে? সচেতন বলেই তো তাঁদের কাজ করার জন্য আপনাকে নির্বাচন করেছেন।
২. জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে—জনগণ কীভাবে এগিয়ে আসবে? আপনাকে নেতা নির্বাচিত করেছেন তো এগিয়ে যাওয়ার জন্য। তাঁরা তো আপনাকেই অনুসরণ করবেন। আপনি যেদিকে নিয়ে যাবেন, তাঁরা সেদিকে যাবেন।
৩. জনগণেরও দায়িত্ব আছে—কী দায়িত্ব? তাঁদের দায়িত্ব তাঁদের পক্ষে কাজ করার উপযুক্ত লোক নিযুক্ত করা। সে জন্যই তো আপনাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। এখন উল্টো তাঁদের ওপর দায়িত্ব চাপাচ্ছেন!
৪. জনগণকে সম্পৃক্ত হতে হবে—কীভাবে? নিজে নিজে সম্পৃক্ত হবে? জনগণকে সংগঠিত ও সম্পৃক্ত করবেন নির্বাচিত প্ৰতিনিধি, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে।
৫. শুধু সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকলে চলবে না—কোন দিকে তাকাবে? সরকারের সহায়তা ছাড়া কোনো কাজ করা সম্ভব? জনগণ কোথায় কী করবে তা তো নির্বাচিত সরকারকেই ঠিক করতে হবে। তাঁদের সঠিকভাবে পরিচালনা করাই তো সরকারের কাজ। জনগণ ইচ্ছেমতো কিছু করলে তো বিশৃঙ্খলা হতে পারে।
৬. একা সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়—সরকার একা কেন করবে? জনগণকে নিয়ে করবে। জনগণকে সম্পৃক্ত করা তো সরকারেরই কাজ। সে জন্যই তো মাথার ওপর সরকার পৃথিবীর সব দেশে।
নিয়োগকারী থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত জ্ঞানী হতে পারে না। আসলে এসব বলার উদ্দেশ হলো নিজের দায়িত্ব এড়ানো। শুধু সুযোগ-সুবিধা আর ক্ষমতা ভোগ করে নিজের ভাগ্যোন্নয়ন তখন মূল লক্ষ্য হয়। তবে সবাই যে এ রকম তা নয়। ব্যতিক্রমও আছে। অনেকে আন্তরিকভাবে নিজেকে জনগণের কর্মচারী মনে করেন এবং সবক দেওয়ার মধ্যে যান না; তবে তাঁরা সংখ্যালঘু।
টেলিভিশনের বদৌলতে জাতীয় সংসদের কার্যক্রম এখন সরাসরি দেখা যায়। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস, যুক্তরাজ্যের হাউস অব কমন্স ও ভারতীয় লোকসভার কার্যক্রমও টেলিভিশনে সরাসরি দেখা যায়। সেখানে কেউ হাসিঠাট্টা বা গল্পগুজব করেন না। সরকারি বা বিরোধী দলের কেউ বক্তব্য দিলে ভালো লাগুক আর না লাগুক, সবাই চুপচাপ বসে থাকেন। মোবাইল ফোনের ব্যবহার দেখা যায় না। কিন্তু এখানে ভিন্ন চিত্র। গল্পগুজব-হাসিঠাট্টা, মোবাইলের ব্যবহার যেন সংসদের কার্যক্রমের অংশ। ভাষণ শুরু হয় ‘মহান’ সংসদ বা ‘পবিত্র’ সংসদ বলে। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের সময়ও দেখা যায় তাঁর কাছাকাছি বসা মন্ত্রী বা সদস্যদের অনেকে খোশগল্পে মশগুল। এতে ‘মহান’ ও ‘পবিত্র’ সংসদের পবিত্রতা নষ্ট হয় না। ভাবখানা এমন যে ওসব ভাষণ আমজনতার জন্য। বলার জন্য বলা। অনেকের ভাবখানা এ রকম, ‘প্রধানমন্ত্রী ভালো মানুষ, আমাকে খুব ভালো জানেন, এসব ছোটখাটো বিষয় নিয়ে মাথা ঘামান না, আমি তো সাধারণ মানুষ নই, আমার মন্ত্রিত্ব বা ক্ষমতা হারানোর কোনো আশঙ্কা নেই। এতে তো আর সদস্যপদ চলে যাবে না। ৫ বছর নিশ্চিন্ত।’
বিতর্কের অনেকটা সময় চলে যায় স্তুতিবাদে। যাঁরা হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর ‘তৈল’ পড়েছেন, তাঁরা জানেন তেল কত প্রকার ও কী কী, চাটুকারিতা কত রকম হতে পারে। আমাদের সময় দশম শ্রেণিতে পাঠ্য ছিল। তখন অতটা বুঝিনি। বাস্তব জীবনে প্রবেশের পর বুঝতে পারি।
জনগণের টাকার শ্রাদ্ধ করে চলে চাটুকারিতা। সংসদের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ যেনতেন প্রকারে। আসল বিষয়ের ধারেকাছেও থাকা হয় না। গরুর রচনার মতো। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই স্টেজে মেরে দেওয়া! হোমওয়ার্ক করার সময় নেই। এত ব্যস্ত! সংসদকে তখন মনে হয় একটি খেলো এবং হালকা প্রতিষ্ঠান।
বাংলাদেশে এখন সরকারি-বেসরকারি অনেক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান আছে। একটা গবেষণা করা যেতে পারে এ দেশে সংসদীয় গণতন্ত্রের সূচনা (১৯৩৭) থেকে বর্তমান পর্যন্ত সংসদ সদস্যদের ব্যাকগ্রাউন্ড এবং পারফরম্যান্স বা কার্যক্রমের ওপর। এমন সদস্যও ছিলেন, যিনি এক দিনও সংসদে কথা বলেননি। শুধু লাল পাসপোর্ট, শুল্কমুক্ত গাড়ি, ভিআইপি মর্যাদা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার জন্য সদস্য হয়েছেন। আর বছরের পর বছর সংসদে না গিয়ে বেতন-ভাতাসহ সব সুবিধা নেওয়ার নজির তো আছেই। এ-ব্যাপারে সর্বদলীয় ঐক্যমত প্রশংসনীয়। কেউ কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না। টাকা গৌরী সেনের!
সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭। (১) অনুযায়ী জনগণ সকল ক্ষমতার মালিক। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে পাকিস্তানি ধ্যানধারণার বাইরে বেরিয়ে এসে একটি উদার প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য, যেখানে সর্বস্তরের জনপ্রতিনিধিরা আক্ষরিক অর্থে জনকর্মচারী এবং গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবেন। বিনিময়ে তাঁদের বেতন-ভাতা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়।
‘জীবে দয়া করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর’। সাধারণত সেবা হয় বিনা মূল্যে। সংসদে কেউ অবৈতনিক স্বেচ্ছা শ্রমিক নন। কারও জন্য কিছু করা কোনো মেহেরবানি নয়। অন্য সরকারি নিয়োগপ্রাপ্তদের মতো জনগণের নিয়োগপ্রাপ্তদেরও রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধার বিনিময়ে অর্পিত দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করাই কাজ। সেবা করতে চাইলে যে কেউ অনেকভাবে করতে পারে। কোনো বাধা নেই। যেমন মাদার তেরেসা।
জনগণের নিয়োগপ্রাপ্তরা ঠিকমতো কাজ না করলে ৫ বছর পর অন্য লোক কাজ পাবেন—এটাই সাংবিধানিক নিয়ম। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৬ অনুযায়ী ৫ বছরের এই লোভনীয় নিয়োগটি পেতে হলে নিজেকে জনগণের চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী মনে করতে হবে—প্রভু, মালিক, বস বা অন্য কিছু নয়।
মাহমুদুল মাসুদ, মুক্তিযোদ্ধা

বাংলাদেশের শিক্ষিত জনগণ চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ কথাটির সঙ্গে মোটামুটি পরিচিত। সরকারের সদিচ্ছার ওপর প্রশাসনের অনেক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য, যা অনেক ক্ষেত্রে পরে বাড়ানো হয়। পুরোটাই নির্ভর করে উচ্চপর্যায়ে যোগাযোগ এবং তদবিরের ওপর।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে আলোচকেরা জোর দিয়ে বলছিলেন, ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করা হয় জনগণের কাজ করার জন্য, অন্য কিছুর জন্য নয়—এটা ভুলে গেলে চলবে না; অর্থাৎ একরকম চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, যার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ হচ্ছে জনগণ। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী ৫ বছর পর পর নির্বাচন হয় এবং সর্বোচ্চ ভোটে নিবাচিত জনপ্রতিনিধিরা জাতীয় সংসদের সদস্য হন। গণতন্ত্রের নিয়মানুযায়ী, যাঁর যাঁর এলাকার জনগণের প্ৰতিনিধিত্ব করেন এবং আইন প্রণয়ন থেকে অন্যান্য সমস্যা সংসদে তুলে সমাধানের চেষ্টা করেন তাঁরা।
সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৬ অনুসারে কমপক্ষে ২৫ বছর বয়স্ক যেকোনো নাগরিক অন্যান্য শর্ত পূরণ সাপেক্ষে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য। কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন নেই। তাঁদের সুযোগ-সুবিধা তাঁদেরই প্রণীত আইন ও বিধিমালা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তাঁদের নিয়োগ হয় নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে জনগণের ভোটে। নিয়োগকারী কে? জনগণ। নির্বাচনের সময় জনগণের দ্বারে দ্বারে ঘুরে এই নিয়োগের জন্য ভোট ভিক্ষা করা হয়। অনেক প্রার্থীর মধ্যে একজনকে এক এলাকার আমজনতা নির্বাচন করেন বা ৫ বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেন জাতীয় সংসদে, তাঁদের পক্ষে কাজ করার জন্য।
বাস্তবতা হলো, নিযুক্তির পর দলমত-নির্বিশেষে অনেকেই ভুলে যান যে তাঁরা তাঁদের এলাকার জনগণের নিয়োগপ্রাপ্ত। অনেকে জনগণকে মনে করেন প্রজা। পুরো দৃশ্য তখন পাল্টে যায়। ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও জাতীয় সংসদ পর্যন্ত জনপ্রতিনিধির অনেকেই পরে প্রভু হয়ে যান। ব্যতিক্রম নগণ্য। প্রভু নয়, বন্ধু হওয়ার প্রতিশ্রুতি মনে থাকে না। ভোটের আগে জনসেবক হওয়ার প্রতিশ্রুতি কেতাবেই থাকে, গোয়ালে নয়। আর পদ-পদবি, অর্থাৎ মন্ত্রিত্ব বা এ-জাতীয় কিছু পেলে তো কথাই নেই। উপদেশ বিতরণ আর জ্ঞানদান শুরু হয়। উপদেশ দিয়েই খালাস। জনপ্রতিনিধি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের জ্ঞানচক্ষু খুলে যায়। শুরু হয় জ্ঞান বিতরণ—অবিরাম উপদেশ বা সবক, আহ্বান আর আবেদন। নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ, অর্থাৎ জনগণ হয়ে যায় নির্বোধ ও মূর্খ। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্তদের মুখে তখন খই ফুটতে থাকে। কাজের থেকে কথা বেশি। নিয়োগকারীকে সবকের পর সবক দেওয়া চলতে থাকে। যেমন—
১. জনগণকে সচেতন হতে হবে—জনগণ কীভাবে সচেতন হবে? সচেতন বলেই তো তাঁদের কাজ করার জন্য আপনাকে নির্বাচন করেছেন।
২. জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে—জনগণ কীভাবে এগিয়ে আসবে? আপনাকে নেতা নির্বাচিত করেছেন তো এগিয়ে যাওয়ার জন্য। তাঁরা তো আপনাকেই অনুসরণ করবেন। আপনি যেদিকে নিয়ে যাবেন, তাঁরা সেদিকে যাবেন।
৩. জনগণেরও দায়িত্ব আছে—কী দায়িত্ব? তাঁদের দায়িত্ব তাঁদের পক্ষে কাজ করার উপযুক্ত লোক নিযুক্ত করা। সে জন্যই তো আপনাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। এখন উল্টো তাঁদের ওপর দায়িত্ব চাপাচ্ছেন!
৪. জনগণকে সম্পৃক্ত হতে হবে—কীভাবে? নিজে নিজে সম্পৃক্ত হবে? জনগণকে সংগঠিত ও সম্পৃক্ত করবেন নির্বাচিত প্ৰতিনিধি, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে।
৫. শুধু সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকলে চলবে না—কোন দিকে তাকাবে? সরকারের সহায়তা ছাড়া কোনো কাজ করা সম্ভব? জনগণ কোথায় কী করবে তা তো নির্বাচিত সরকারকেই ঠিক করতে হবে। তাঁদের সঠিকভাবে পরিচালনা করাই তো সরকারের কাজ। জনগণ ইচ্ছেমতো কিছু করলে তো বিশৃঙ্খলা হতে পারে।
৬. একা সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়—সরকার একা কেন করবে? জনগণকে নিয়ে করবে। জনগণকে সম্পৃক্ত করা তো সরকারেরই কাজ। সে জন্যই তো মাথার ওপর সরকার পৃথিবীর সব দেশে।
নিয়োগকারী থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত জ্ঞানী হতে পারে না। আসলে এসব বলার উদ্দেশ হলো নিজের দায়িত্ব এড়ানো। শুধু সুযোগ-সুবিধা আর ক্ষমতা ভোগ করে নিজের ভাগ্যোন্নয়ন তখন মূল লক্ষ্য হয়। তবে সবাই যে এ রকম তা নয়। ব্যতিক্রমও আছে। অনেকে আন্তরিকভাবে নিজেকে জনগণের কর্মচারী মনে করেন এবং সবক দেওয়ার মধ্যে যান না; তবে তাঁরা সংখ্যালঘু।
টেলিভিশনের বদৌলতে জাতীয় সংসদের কার্যক্রম এখন সরাসরি দেখা যায়। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস, যুক্তরাজ্যের হাউস অব কমন্স ও ভারতীয় লোকসভার কার্যক্রমও টেলিভিশনে সরাসরি দেখা যায়। সেখানে কেউ হাসিঠাট্টা বা গল্পগুজব করেন না। সরকারি বা বিরোধী দলের কেউ বক্তব্য দিলে ভালো লাগুক আর না লাগুক, সবাই চুপচাপ বসে থাকেন। মোবাইল ফোনের ব্যবহার দেখা যায় না। কিন্তু এখানে ভিন্ন চিত্র। গল্পগুজব-হাসিঠাট্টা, মোবাইলের ব্যবহার যেন সংসদের কার্যক্রমের অংশ। ভাষণ শুরু হয় ‘মহান’ সংসদ বা ‘পবিত্র’ সংসদ বলে। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের সময়ও দেখা যায় তাঁর কাছাকাছি বসা মন্ত্রী বা সদস্যদের অনেকে খোশগল্পে মশগুল। এতে ‘মহান’ ও ‘পবিত্র’ সংসদের পবিত্রতা নষ্ট হয় না। ভাবখানা এমন যে ওসব ভাষণ আমজনতার জন্য। বলার জন্য বলা। অনেকের ভাবখানা এ রকম, ‘প্রধানমন্ত্রী ভালো মানুষ, আমাকে খুব ভালো জানেন, এসব ছোটখাটো বিষয় নিয়ে মাথা ঘামান না, আমি তো সাধারণ মানুষ নই, আমার মন্ত্রিত্ব বা ক্ষমতা হারানোর কোনো আশঙ্কা নেই। এতে তো আর সদস্যপদ চলে যাবে না। ৫ বছর নিশ্চিন্ত।’
বিতর্কের অনেকটা সময় চলে যায় স্তুতিবাদে। যাঁরা হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর ‘তৈল’ পড়েছেন, তাঁরা জানেন তেল কত প্রকার ও কী কী, চাটুকারিতা কত রকম হতে পারে। আমাদের সময় দশম শ্রেণিতে পাঠ্য ছিল। তখন অতটা বুঝিনি। বাস্তব জীবনে প্রবেশের পর বুঝতে পারি।
জনগণের টাকার শ্রাদ্ধ করে চলে চাটুকারিতা। সংসদের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ যেনতেন প্রকারে। আসল বিষয়ের ধারেকাছেও থাকা হয় না। গরুর রচনার মতো। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই স্টেজে মেরে দেওয়া! হোমওয়ার্ক করার সময় নেই। এত ব্যস্ত! সংসদকে তখন মনে হয় একটি খেলো এবং হালকা প্রতিষ্ঠান।
বাংলাদেশে এখন সরকারি-বেসরকারি অনেক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান আছে। একটা গবেষণা করা যেতে পারে এ দেশে সংসদীয় গণতন্ত্রের সূচনা (১৯৩৭) থেকে বর্তমান পর্যন্ত সংসদ সদস্যদের ব্যাকগ্রাউন্ড এবং পারফরম্যান্স বা কার্যক্রমের ওপর। এমন সদস্যও ছিলেন, যিনি এক দিনও সংসদে কথা বলেননি। শুধু লাল পাসপোর্ট, শুল্কমুক্ত গাড়ি, ভিআইপি মর্যাদা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার জন্য সদস্য হয়েছেন। আর বছরের পর বছর সংসদে না গিয়ে বেতন-ভাতাসহ সব সুবিধা নেওয়ার নজির তো আছেই। এ-ব্যাপারে সর্বদলীয় ঐক্যমত প্রশংসনীয়। কেউ কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না। টাকা গৌরী সেনের!
সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭। (১) অনুযায়ী জনগণ সকল ক্ষমতার মালিক। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে পাকিস্তানি ধ্যানধারণার বাইরে বেরিয়ে এসে একটি উদার প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য, যেখানে সর্বস্তরের জনপ্রতিনিধিরা আক্ষরিক অর্থে জনকর্মচারী এবং গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবেন। বিনিময়ে তাঁদের বেতন-ভাতা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়।
‘জীবে দয়া করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর’। সাধারণত সেবা হয় বিনা মূল্যে। সংসদে কেউ অবৈতনিক স্বেচ্ছা শ্রমিক নন। কারও জন্য কিছু করা কোনো মেহেরবানি নয়। অন্য সরকারি নিয়োগপ্রাপ্তদের মতো জনগণের নিয়োগপ্রাপ্তদেরও রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধার বিনিময়ে অর্পিত দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করাই কাজ। সেবা করতে চাইলে যে কেউ অনেকভাবে করতে পারে। কোনো বাধা নেই। যেমন মাদার তেরেসা।
জনগণের নিয়োগপ্রাপ্তরা ঠিকমতো কাজ না করলে ৫ বছর পর অন্য লোক কাজ পাবেন—এটাই সাংবিধানিক নিয়ম। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৬ অনুযায়ী ৫ বছরের এই লোভনীয় নিয়োগটি পেতে হলে নিজেকে জনগণের চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী মনে করতে হবে—প্রভু, মালিক, বস বা অন্য কিছু নয়।
মাহমুদুল মাসুদ, মুক্তিযোদ্ধা

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫বাসস, ঢাকা

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

বাংলাদেশের শিক্ষিত জনগণ চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ কথাটির সঙ্গে মোটামুটি পরিচিত। সরকারের সদিচ্ছার ওপর প্রশাসনের অনেক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য, যা অনেক ক্ষেত্রে পরে বাড়ানো হয়। পুরোটাই নির্ভর করে উচ্চপর্যায়ে যোগাযোগ এবং তদবিরের ওপর।
০৪ জানুয়ারি ২০২৪
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

বাংলাদেশের শিক্ষিত জনগণ চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ কথাটির সঙ্গে মোটামুটি পরিচিত। সরকারের সদিচ্ছার ওপর প্রশাসনের অনেক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য, যা অনেক ক্ষেত্রে পরে বাড়ানো হয়। পুরোটাই নির্ভর করে উচ্চপর্যায়ে যোগাযোগ এবং তদবিরের ওপর।
০৪ জানুয়ারি ২০২৪
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

বাংলাদেশের শিক্ষিত জনগণ চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ কথাটির সঙ্গে মোটামুটি পরিচিত। সরকারের সদিচ্ছার ওপর প্রশাসনের অনেক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য, যা অনেক ক্ষেত্রে পরে বাড়ানো হয়। পুরোটাই নির্ভর করে উচ্চপর্যায়ে যোগাযোগ এবং তদবিরের ওপর।
০৪ জানুয়ারি ২০২৪
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

বাংলাদেশের শিক্ষিত জনগণ চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ কথাটির সঙ্গে মোটামুটি পরিচিত। সরকারের সদিচ্ছার ওপর প্রশাসনের অনেক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য, যা অনেক ক্ষেত্রে পরে বাড়ানো হয়। পুরোটাই নির্ভর করে উচ্চপর্যায়ে যোগাযোগ এবং তদবিরের ওপর।
০৪ জানুয়ারি ২০২৪
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫