
তাঁর মতো কিন্নরকণ্ঠী গায়িকা ভারতবর্ষে আর দ্বিতীয়টি জন্মাননি। ক্যারিয়ারের পুরোটা সময় ভারতীয় সংগীত জগৎ শাসন করেছেন একাই। বলিউডে প্লেব্যাক মানেই লতার সরু কণ্ঠের গান। সূক্ষ্ম সুরেলা কণ্ঠে শুধু বলিউড মাতাননি তিনি, এক সময় অভিনয়েও নাম করেছিলেন। বাবার মৃত্যুর পর লতা মঙ্গেশকরকে পরিবারের হাল ধরতে হয়েছিল। ছোটখাট চরিত্রে অভিনেত্রী হিসেবে চলচ্চিত্র শিল্পে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন, একপ্রকার বাধ্য হয়ে।
জন্মের সময় তাঁর নাম রাখা হয়েছিল হেমা। পরবর্তীতে বাবা দীননাথ মঙ্গেশকরের নাটক ‘ভাও বন্ধন’ থেকে লতিকা নামের একটি চরিত্রের নামানুসারে বাবা-মা তাঁর নাম পরিবর্তন করে রাখেন লতা। অনেকেই জানেন না, পাঁচ বছর বয়সে এই কিংবদন্তি তাঁর বাবার মারাঠি ভাষায় গীতনাট্যে অভিনেত্রী হিসেবে কাজ করেছিলেন।
হিন্দি ভাষায় লতা মঙ্গেশকরের জীবনী লিখেছেন যতীন্দ্র মিশ্র। সেই বইতে মঞ্চে গায়িকা হিসেবে লতার আত্মপ্রকাশের কথা উল্লেখ করেছেন। ‘লতা: সুর গাথা’ শীর্ষক বইটিতে যতীন্দ্র লিখেছেন, বাবা পণ্ডিত দীননাথ মঙ্গেশকরের নাট্যদল ‘বলওয়ান্ত সঙ্গীতমণ্ডলী’ একটি নাটক মঞ্চস্থ করেছিল—অর্জুন ও সুভদ্রার গল্প অবলম্বনে নাটকটির নাম সৌভদ্র। পণ্ডিত দীননাথ অর্জুনের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। আর নয় বছর বয়সী লতা অভিনয় করেছিলেন নারদ চরিত্রে।
নাটক শুরুর আগে ছোট্ট লতা আত্মবিশ্বাস নিয়ে বাবাকে বলেছিলেন, ‘দেখ বাবা, তোমার মতো আমিও দর্শকদের কাছ থেকে জয়ধ্বনি পাব। দর্শকরা বলবে, আরও চাই!’ লতা সেদিন মঞ্চে সেটি প্রমাণ করেছিলেন। পরে বাবার প্রযোজনায় মঞ্চায়িত ‘গুরুকুল’-এ ‘কৃষ্ণ’ চরিত্রে অভিনয় করেন লতা।
১৯৪২ সালে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান লতার বাবা। মাস্টার বিনায়ক দামোদর কর্ণাটকি চলচ্চিত্রের একজন নামি অভিনেতা-পরিচালক। মঙ্গেশকর পরিবারের একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু তিনি। তিনিই মেলোডি কুইনকে অভিনেত্রী এবং গায়িকা হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করতে নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন।
লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া মারাঠি গান ‘নাচু ইয়া গাড়ে, খেলু সারি মানি হাউস ভারি’, ১৯৪২ সালে বসন্ত জোগলেকারের মারাঠি ছবি ‘কিতি হাসাল’-এর জন্য কম্পোজ করেছিলেন সদাশিবরাও নেভরেকর। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সম্পাদনার ফাইনাল কাটে গানটি বাদ পড়ে যায়।
মাস্টার বিনায়ক তাঁর মারাঠি সিনেমা ‘পেহেলি মঙ্গলা-গৌর’-এ একটি ছোট চরিত্রে অভিনয়ের জন্য লতাকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেখানে ‘নাতালি চৈত্রাচি নাভালাই’ শিরোনামের একটি গানও তাঁকে দিয়ে গাইয়ে নেন।
১৯৪৫ সালে মুম্বাই চলে আসেন লতা মঙ্গেশকর। সেখানেই সংগীতের পাঠ নিতে শুরু করেন। একই বছর মাস্টার বিনায়কের প্রথম হিন্দি সিনেমা ‘বড়ি মা’-তে ছোট বোন আশা ভোঁসলের সঙ্গে একটি ছোট চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পান। ছবিতে তিনি একটি ভজনও গেয়েছিলেন—মাতা তেরি চরণ মেঁ।
অভিনয় করাটা তখন লতার প্রয়োজন ছিল। উপার্জনের আর কোনো বিকল্প তাঁর হাতে ছিল না। মারাঠি ছবিতে নায়িকার বোন, নায়কের বোনের মতো ছোট ছোট ভূমিকায় কাজ করেছেন। অবশ্য তিনি কখনই মুখে ভারী মেকআপ নেওয়া এবং ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো পছন্দ করেননি।
২০০৮ সালে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লতা মঙ্গেশকর বলেন, ‘আমি একজন অভিনেত্রী হিসেবে শুরু করেছি। কিন্তু কখনোই অভিনয় পছন্দ করতাম না। আমি মাস্টার বিনায়কের সঙ্গে কাজ করতাম। চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছি কিন্তু আমি খুব ছোট ছিলাম বলে কখনোই তাতে মজা পাইনি। মেকআপ করা পছন্দ করতাম না। ক্যামেরার সামনে হাসুন কাঁদুন—এসবের চাইতে গান গাইতে ভালোবাসতাম। ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি অন্যরকম আকর্ষণ ছিল।’
এরপর আকস্মিকভাবে অভিভাবকশূন্য হয়ে পড়েন লতা। ১৯৪৭ সালে মারা যান মাস্টার বিনায়ক। তাঁদের নাটক সংস্থা প্রফুল্ল পিকচার্স বন্ধ হয়ে যায়। লতা বলেন, ‘আমি এর পরে প্লেব্যাক গান শুরু করি।’
সংগীত পরিচালক গোলাম হায়দার তাঁকে প্রথম বড় ব্রেক দেন। ‘দিল মেরা তোড়া, মুঝে কাঁহি কা না ছোরা’, নাজিম পানিপতির লেখা এ গান ব্যবহার করা হয়েছিল ‘মজবুর’ (১৯৪৮) ছবিতে। চলচ্চিত্রে এই প্রথম হিট গায়িকা হওয়ার স্বাদ পেলেন তিনি।
এরপর মহল (১৯৪৯) চলচ্চিত্রের ‘আসে আয়েগা আনাওয়ালা’ হিট হয় লতার কণ্ঠে। এ গানের সংগীত পরিচালক ছিলেন খেমচাঁদ প্রকাশ। আর ঠোঁট মিলিয়েছেন মধুবালা। গানটি লতা মঙ্গেশকরের প্রথম হিটগুলোর অন্যতম। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাননি লতা। পরে যা ঘটেছে তাতো ইতিহাস!
লতা মঙ্গেশকর সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

তাঁর মতো কিন্নরকণ্ঠী গায়িকা ভারতবর্ষে আর দ্বিতীয়টি জন্মাননি। ক্যারিয়ারের পুরোটা সময় ভারতীয় সংগীত জগৎ শাসন করেছেন একাই। বলিউডে প্লেব্যাক মানেই লতার সরু কণ্ঠের গান। সূক্ষ্ম সুরেলা কণ্ঠে শুধু বলিউড মাতাননি তিনি, এক সময় অভিনয়েও নাম করেছিলেন। বাবার মৃত্যুর পর লতা মঙ্গেশকরকে পরিবারের হাল ধরতে হয়েছিল। ছোটখাট চরিত্রে অভিনেত্রী হিসেবে চলচ্চিত্র শিল্পে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন, একপ্রকার বাধ্য হয়ে।
জন্মের সময় তাঁর নাম রাখা হয়েছিল হেমা। পরবর্তীতে বাবা দীননাথ মঙ্গেশকরের নাটক ‘ভাও বন্ধন’ থেকে লতিকা নামের একটি চরিত্রের নামানুসারে বাবা-মা তাঁর নাম পরিবর্তন করে রাখেন লতা। অনেকেই জানেন না, পাঁচ বছর বয়সে এই কিংবদন্তি তাঁর বাবার মারাঠি ভাষায় গীতনাট্যে অভিনেত্রী হিসেবে কাজ করেছিলেন।
হিন্দি ভাষায় লতা মঙ্গেশকরের জীবনী লিখেছেন যতীন্দ্র মিশ্র। সেই বইতে মঞ্চে গায়িকা হিসেবে লতার আত্মপ্রকাশের কথা উল্লেখ করেছেন। ‘লতা: সুর গাথা’ শীর্ষক বইটিতে যতীন্দ্র লিখেছেন, বাবা পণ্ডিত দীননাথ মঙ্গেশকরের নাট্যদল ‘বলওয়ান্ত সঙ্গীতমণ্ডলী’ একটি নাটক মঞ্চস্থ করেছিল—অর্জুন ও সুভদ্রার গল্প অবলম্বনে নাটকটির নাম সৌভদ্র। পণ্ডিত দীননাথ অর্জুনের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। আর নয় বছর বয়সী লতা অভিনয় করেছিলেন নারদ চরিত্রে।
নাটক শুরুর আগে ছোট্ট লতা আত্মবিশ্বাস নিয়ে বাবাকে বলেছিলেন, ‘দেখ বাবা, তোমার মতো আমিও দর্শকদের কাছ থেকে জয়ধ্বনি পাব। দর্শকরা বলবে, আরও চাই!’ লতা সেদিন মঞ্চে সেটি প্রমাণ করেছিলেন। পরে বাবার প্রযোজনায় মঞ্চায়িত ‘গুরুকুল’-এ ‘কৃষ্ণ’ চরিত্রে অভিনয় করেন লতা।
১৯৪২ সালে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান লতার বাবা। মাস্টার বিনায়ক দামোদর কর্ণাটকি চলচ্চিত্রের একজন নামি অভিনেতা-পরিচালক। মঙ্গেশকর পরিবারের একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু তিনি। তিনিই মেলোডি কুইনকে অভিনেত্রী এবং গায়িকা হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করতে নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন।
লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া মারাঠি গান ‘নাচু ইয়া গাড়ে, খেলু সারি মানি হাউস ভারি’, ১৯৪২ সালে বসন্ত জোগলেকারের মারাঠি ছবি ‘কিতি হাসাল’-এর জন্য কম্পোজ করেছিলেন সদাশিবরাও নেভরেকর। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সম্পাদনার ফাইনাল কাটে গানটি বাদ পড়ে যায়।
মাস্টার বিনায়ক তাঁর মারাঠি সিনেমা ‘পেহেলি মঙ্গলা-গৌর’-এ একটি ছোট চরিত্রে অভিনয়ের জন্য লতাকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেখানে ‘নাতালি চৈত্রাচি নাভালাই’ শিরোনামের একটি গানও তাঁকে দিয়ে গাইয়ে নেন।
১৯৪৫ সালে মুম্বাই চলে আসেন লতা মঙ্গেশকর। সেখানেই সংগীতের পাঠ নিতে শুরু করেন। একই বছর মাস্টার বিনায়কের প্রথম হিন্দি সিনেমা ‘বড়ি মা’-তে ছোট বোন আশা ভোঁসলের সঙ্গে একটি ছোট চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পান। ছবিতে তিনি একটি ভজনও গেয়েছিলেন—মাতা তেরি চরণ মেঁ।
অভিনয় করাটা তখন লতার প্রয়োজন ছিল। উপার্জনের আর কোনো বিকল্প তাঁর হাতে ছিল না। মারাঠি ছবিতে নায়িকার বোন, নায়কের বোনের মতো ছোট ছোট ভূমিকায় কাজ করেছেন। অবশ্য তিনি কখনই মুখে ভারী মেকআপ নেওয়া এবং ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো পছন্দ করেননি।
২০০৮ সালে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লতা মঙ্গেশকর বলেন, ‘আমি একজন অভিনেত্রী হিসেবে শুরু করেছি। কিন্তু কখনোই অভিনয় পছন্দ করতাম না। আমি মাস্টার বিনায়কের সঙ্গে কাজ করতাম। চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছি কিন্তু আমি খুব ছোট ছিলাম বলে কখনোই তাতে মজা পাইনি। মেকআপ করা পছন্দ করতাম না। ক্যামেরার সামনে হাসুন কাঁদুন—এসবের চাইতে গান গাইতে ভালোবাসতাম। ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি অন্যরকম আকর্ষণ ছিল।’
এরপর আকস্মিকভাবে অভিভাবকশূন্য হয়ে পড়েন লতা। ১৯৪৭ সালে মারা যান মাস্টার বিনায়ক। তাঁদের নাটক সংস্থা প্রফুল্ল পিকচার্স বন্ধ হয়ে যায়। লতা বলেন, ‘আমি এর পরে প্লেব্যাক গান শুরু করি।’
সংগীত পরিচালক গোলাম হায়দার তাঁকে প্রথম বড় ব্রেক দেন। ‘দিল মেরা তোড়া, মুঝে কাঁহি কা না ছোরা’, নাজিম পানিপতির লেখা এ গান ব্যবহার করা হয়েছিল ‘মজবুর’ (১৯৪৮) ছবিতে। চলচ্চিত্রে এই প্রথম হিট গায়িকা হওয়ার স্বাদ পেলেন তিনি।
এরপর মহল (১৯৪৯) চলচ্চিত্রের ‘আসে আয়েগা আনাওয়ালা’ হিট হয় লতার কণ্ঠে। এ গানের সংগীত পরিচালক ছিলেন খেমচাঁদ প্রকাশ। আর ঠোঁট মিলিয়েছেন মধুবালা। গানটি লতা মঙ্গেশকরের প্রথম হিটগুলোর অন্যতম। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাননি লতা। পরে যা ঘটেছে তাতো ইতিহাস!
লতা মঙ্গেশকর সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

তাঁর মতো কিন্নরকণ্ঠী গায়িকা ভারতবর্ষে আর দ্বিতীয়টি জন্মাননি। ক্যারিয়ারের পুরোটা সময় ভারতীয় সংগীত জগৎ শাসন করেছেন একাই। বলিউডে প্লেব্যাক মানেই লতার সরু কণ্ঠের গান। সূক্ষ্ম সুরেলা কণ্ঠে শুধু বলিউড মাতাননি তিনি, এক সময় অভিনয়েও নাম করেছিলেন। বাবার মৃত্যুর পর লতা মঙ্গেশকরকে পরিবারের হাল ধরতে হয়েছিল। ছোটখাট চরিত্রে অভিনেত্রী হিসেবে চলচ্চিত্র শিল্পে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন, একপ্রকার বাধ্য হয়ে।
জন্মের সময় তাঁর নাম রাখা হয়েছিল হেমা। পরবর্তীতে বাবা দীননাথ মঙ্গেশকরের নাটক ‘ভাও বন্ধন’ থেকে লতিকা নামের একটি চরিত্রের নামানুসারে বাবা-মা তাঁর নাম পরিবর্তন করে রাখেন লতা। অনেকেই জানেন না, পাঁচ বছর বয়সে এই কিংবদন্তি তাঁর বাবার মারাঠি ভাষায় গীতনাট্যে অভিনেত্রী হিসেবে কাজ করেছিলেন।
হিন্দি ভাষায় লতা মঙ্গেশকরের জীবনী লিখেছেন যতীন্দ্র মিশ্র। সেই বইতে মঞ্চে গায়িকা হিসেবে লতার আত্মপ্রকাশের কথা উল্লেখ করেছেন। ‘লতা: সুর গাথা’ শীর্ষক বইটিতে যতীন্দ্র লিখেছেন, বাবা পণ্ডিত দীননাথ মঙ্গেশকরের নাট্যদল ‘বলওয়ান্ত সঙ্গীতমণ্ডলী’ একটি নাটক মঞ্চস্থ করেছিল—অর্জুন ও সুভদ্রার গল্প অবলম্বনে নাটকটির নাম সৌভদ্র। পণ্ডিত দীননাথ অর্জুনের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। আর নয় বছর বয়সী লতা অভিনয় করেছিলেন নারদ চরিত্রে।
নাটক শুরুর আগে ছোট্ট লতা আত্মবিশ্বাস নিয়ে বাবাকে বলেছিলেন, ‘দেখ বাবা, তোমার মতো আমিও দর্শকদের কাছ থেকে জয়ধ্বনি পাব। দর্শকরা বলবে, আরও চাই!’ লতা সেদিন মঞ্চে সেটি প্রমাণ করেছিলেন। পরে বাবার প্রযোজনায় মঞ্চায়িত ‘গুরুকুল’-এ ‘কৃষ্ণ’ চরিত্রে অভিনয় করেন লতা।
১৯৪২ সালে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান লতার বাবা। মাস্টার বিনায়ক দামোদর কর্ণাটকি চলচ্চিত্রের একজন নামি অভিনেতা-পরিচালক। মঙ্গেশকর পরিবারের একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু তিনি। তিনিই মেলোডি কুইনকে অভিনেত্রী এবং গায়িকা হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করতে নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন।
লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া মারাঠি গান ‘নাচু ইয়া গাড়ে, খেলু সারি মানি হাউস ভারি’, ১৯৪২ সালে বসন্ত জোগলেকারের মারাঠি ছবি ‘কিতি হাসাল’-এর জন্য কম্পোজ করেছিলেন সদাশিবরাও নেভরেকর। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সম্পাদনার ফাইনাল কাটে গানটি বাদ পড়ে যায়।
মাস্টার বিনায়ক তাঁর মারাঠি সিনেমা ‘পেহেলি মঙ্গলা-গৌর’-এ একটি ছোট চরিত্রে অভিনয়ের জন্য লতাকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেখানে ‘নাতালি চৈত্রাচি নাভালাই’ শিরোনামের একটি গানও তাঁকে দিয়ে গাইয়ে নেন।
১৯৪৫ সালে মুম্বাই চলে আসেন লতা মঙ্গেশকর। সেখানেই সংগীতের পাঠ নিতে শুরু করেন। একই বছর মাস্টার বিনায়কের প্রথম হিন্দি সিনেমা ‘বড়ি মা’-তে ছোট বোন আশা ভোঁসলের সঙ্গে একটি ছোট চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পান। ছবিতে তিনি একটি ভজনও গেয়েছিলেন—মাতা তেরি চরণ মেঁ।
অভিনয় করাটা তখন লতার প্রয়োজন ছিল। উপার্জনের আর কোনো বিকল্প তাঁর হাতে ছিল না। মারাঠি ছবিতে নায়িকার বোন, নায়কের বোনের মতো ছোট ছোট ভূমিকায় কাজ করেছেন। অবশ্য তিনি কখনই মুখে ভারী মেকআপ নেওয়া এবং ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো পছন্দ করেননি।
২০০৮ সালে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লতা মঙ্গেশকর বলেন, ‘আমি একজন অভিনেত্রী হিসেবে শুরু করেছি। কিন্তু কখনোই অভিনয় পছন্দ করতাম না। আমি মাস্টার বিনায়কের সঙ্গে কাজ করতাম। চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছি কিন্তু আমি খুব ছোট ছিলাম বলে কখনোই তাতে মজা পাইনি। মেকআপ করা পছন্দ করতাম না। ক্যামেরার সামনে হাসুন কাঁদুন—এসবের চাইতে গান গাইতে ভালোবাসতাম। ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি অন্যরকম আকর্ষণ ছিল।’
এরপর আকস্মিকভাবে অভিভাবকশূন্য হয়ে পড়েন লতা। ১৯৪৭ সালে মারা যান মাস্টার বিনায়ক। তাঁদের নাটক সংস্থা প্রফুল্ল পিকচার্স বন্ধ হয়ে যায়। লতা বলেন, ‘আমি এর পরে প্লেব্যাক গান শুরু করি।’
সংগীত পরিচালক গোলাম হায়দার তাঁকে প্রথম বড় ব্রেক দেন। ‘দিল মেরা তোড়া, মুঝে কাঁহি কা না ছোরা’, নাজিম পানিপতির লেখা এ গান ব্যবহার করা হয়েছিল ‘মজবুর’ (১৯৪৮) ছবিতে। চলচ্চিত্রে এই প্রথম হিট গায়িকা হওয়ার স্বাদ পেলেন তিনি।
এরপর মহল (১৯৪৯) চলচ্চিত্রের ‘আসে আয়েগা আনাওয়ালা’ হিট হয় লতার কণ্ঠে। এ গানের সংগীত পরিচালক ছিলেন খেমচাঁদ প্রকাশ। আর ঠোঁট মিলিয়েছেন মধুবালা। গানটি লতা মঙ্গেশকরের প্রথম হিটগুলোর অন্যতম। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাননি লতা। পরে যা ঘটেছে তাতো ইতিহাস!
লতা মঙ্গেশকর সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

তাঁর মতো কিন্নরকণ্ঠী গায়িকা ভারতবর্ষে আর দ্বিতীয়টি জন্মাননি। ক্যারিয়ারের পুরোটা সময় ভারতীয় সংগীত জগৎ শাসন করেছেন একাই। বলিউডে প্লেব্যাক মানেই লতার সরু কণ্ঠের গান। সূক্ষ্ম সুরেলা কণ্ঠে শুধু বলিউড মাতাননি তিনি, এক সময় অভিনয়েও নাম করেছিলেন। বাবার মৃত্যুর পর লতা মঙ্গেশকরকে পরিবারের হাল ধরতে হয়েছিল। ছোটখাট চরিত্রে অভিনেত্রী হিসেবে চলচ্চিত্র শিল্পে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন, একপ্রকার বাধ্য হয়ে।
জন্মের সময় তাঁর নাম রাখা হয়েছিল হেমা। পরবর্তীতে বাবা দীননাথ মঙ্গেশকরের নাটক ‘ভাও বন্ধন’ থেকে লতিকা নামের একটি চরিত্রের নামানুসারে বাবা-মা তাঁর নাম পরিবর্তন করে রাখেন লতা। অনেকেই জানেন না, পাঁচ বছর বয়সে এই কিংবদন্তি তাঁর বাবার মারাঠি ভাষায় গীতনাট্যে অভিনেত্রী হিসেবে কাজ করেছিলেন।
হিন্দি ভাষায় লতা মঙ্গেশকরের জীবনী লিখেছেন যতীন্দ্র মিশ্র। সেই বইতে মঞ্চে গায়িকা হিসেবে লতার আত্মপ্রকাশের কথা উল্লেখ করেছেন। ‘লতা: সুর গাথা’ শীর্ষক বইটিতে যতীন্দ্র লিখেছেন, বাবা পণ্ডিত দীননাথ মঙ্গেশকরের নাট্যদল ‘বলওয়ান্ত সঙ্গীতমণ্ডলী’ একটি নাটক মঞ্চস্থ করেছিল—অর্জুন ও সুভদ্রার গল্প অবলম্বনে নাটকটির নাম সৌভদ্র। পণ্ডিত দীননাথ অর্জুনের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। আর নয় বছর বয়সী লতা অভিনয় করেছিলেন নারদ চরিত্রে।
নাটক শুরুর আগে ছোট্ট লতা আত্মবিশ্বাস নিয়ে বাবাকে বলেছিলেন, ‘দেখ বাবা, তোমার মতো আমিও দর্শকদের কাছ থেকে জয়ধ্বনি পাব। দর্শকরা বলবে, আরও চাই!’ লতা সেদিন মঞ্চে সেটি প্রমাণ করেছিলেন। পরে বাবার প্রযোজনায় মঞ্চায়িত ‘গুরুকুল’-এ ‘কৃষ্ণ’ চরিত্রে অভিনয় করেন লতা।
১৯৪২ সালে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান লতার বাবা। মাস্টার বিনায়ক দামোদর কর্ণাটকি চলচ্চিত্রের একজন নামি অভিনেতা-পরিচালক। মঙ্গেশকর পরিবারের একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু তিনি। তিনিই মেলোডি কুইনকে অভিনেত্রী এবং গায়িকা হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করতে নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন।
লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া মারাঠি গান ‘নাচু ইয়া গাড়ে, খেলু সারি মানি হাউস ভারি’, ১৯৪২ সালে বসন্ত জোগলেকারের মারাঠি ছবি ‘কিতি হাসাল’-এর জন্য কম্পোজ করেছিলেন সদাশিবরাও নেভরেকর। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সম্পাদনার ফাইনাল কাটে গানটি বাদ পড়ে যায়।
মাস্টার বিনায়ক তাঁর মারাঠি সিনেমা ‘পেহেলি মঙ্গলা-গৌর’-এ একটি ছোট চরিত্রে অভিনয়ের জন্য লতাকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেখানে ‘নাতালি চৈত্রাচি নাভালাই’ শিরোনামের একটি গানও তাঁকে দিয়ে গাইয়ে নেন।
১৯৪৫ সালে মুম্বাই চলে আসেন লতা মঙ্গেশকর। সেখানেই সংগীতের পাঠ নিতে শুরু করেন। একই বছর মাস্টার বিনায়কের প্রথম হিন্দি সিনেমা ‘বড়ি মা’-তে ছোট বোন আশা ভোঁসলের সঙ্গে একটি ছোট চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পান। ছবিতে তিনি একটি ভজনও গেয়েছিলেন—মাতা তেরি চরণ মেঁ।
অভিনয় করাটা তখন লতার প্রয়োজন ছিল। উপার্জনের আর কোনো বিকল্প তাঁর হাতে ছিল না। মারাঠি ছবিতে নায়িকার বোন, নায়কের বোনের মতো ছোট ছোট ভূমিকায় কাজ করেছেন। অবশ্য তিনি কখনই মুখে ভারী মেকআপ নেওয়া এবং ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো পছন্দ করেননি।
২০০৮ সালে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লতা মঙ্গেশকর বলেন, ‘আমি একজন অভিনেত্রী হিসেবে শুরু করেছি। কিন্তু কখনোই অভিনয় পছন্দ করতাম না। আমি মাস্টার বিনায়কের সঙ্গে কাজ করতাম। চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছি কিন্তু আমি খুব ছোট ছিলাম বলে কখনোই তাতে মজা পাইনি। মেকআপ করা পছন্দ করতাম না। ক্যামেরার সামনে হাসুন কাঁদুন—এসবের চাইতে গান গাইতে ভালোবাসতাম। ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি অন্যরকম আকর্ষণ ছিল।’
এরপর আকস্মিকভাবে অভিভাবকশূন্য হয়ে পড়েন লতা। ১৯৪৭ সালে মারা যান মাস্টার বিনায়ক। তাঁদের নাটক সংস্থা প্রফুল্ল পিকচার্স বন্ধ হয়ে যায়। লতা বলেন, ‘আমি এর পরে প্লেব্যাক গান শুরু করি।’
সংগীত পরিচালক গোলাম হায়দার তাঁকে প্রথম বড় ব্রেক দেন। ‘দিল মেরা তোড়া, মুঝে কাঁহি কা না ছোরা’, নাজিম পানিপতির লেখা এ গান ব্যবহার করা হয়েছিল ‘মজবুর’ (১৯৪৮) ছবিতে। চলচ্চিত্রে এই প্রথম হিট গায়িকা হওয়ার স্বাদ পেলেন তিনি।
এরপর মহল (১৯৪৯) চলচ্চিত্রের ‘আসে আয়েগা আনাওয়ালা’ হিট হয় লতার কণ্ঠে। এ গানের সংগীত পরিচালক ছিলেন খেমচাঁদ প্রকাশ। আর ঠোঁট মিলিয়েছেন মধুবালা। গানটি লতা মঙ্গেশকরের প্রথম হিটগুলোর অন্যতম। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাননি লতা। পরে যা ঘটেছে তাতো ইতিহাস!
লতা মঙ্গেশকর সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয় অনেক গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও ফোয়াদ নাসের বাবুর নাম। এবার এই দুজন মিলে ১০ ব্যান্ডের জন্য তৈরি করলেন নতুন ১০টি গান। গানগুলো গেয়েছে ব্যান্ড ফিডব্যাক, সোলস, রেনেসাঁ, দলছুট, শিরোনামহীন, নির্ঝর, তরুণ, পার্থিব, পেন্টাগন ও নোভা।
৯ ঘণ্টা আগে
অ্যানিমেশনের জয়জয়কার। এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় নজর রাখলে এটিই প্রমাণিত হয়। রক্ত-মাংসের অভিনেতাদের হারিয়ে এ বছর দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে অ্যানিমেশনের চরিত্ররা। ৮০ মিলিয়নে নির্মিত চীনের অ্যানিমেটেড ফ্যান্টাসি সিনেমা ‘নে ঝা-২’ ২ বিলিয়নের বেশি আয় করে সেরা ব্যবসাসফল সিনেমার...
৯ ঘণ্টা আগে
বছরের শেষভাগে ডিসেম্বর মাসে নেটফ্লিক্স ঘোষণা দেয় ৭২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির টিভি, স্টুডিও ও স্ট্রিমিং ব্যবসা কিনে নিচ্ছে তারা। এমন ঘোষণার পর প্যারামাউন্ট প্রস্তাব দেয় তারা ১০৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি দামে ওয়ার্নার ব্রস কিনতে প্রস্তুত।
৯ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালটি আরব সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী বছর হিসেবে থেকে যাবে। বিভিন্ন প্রজন্মের একঝাঁক মেধাবী পরিচালক উঠে এসেছেন, যাঁরা তাঁদের সিনেমার মাধ্যমে তুলে আনছেন আরবের ইতিহাস-ঐতিহ্য। ভেঙে দিচ্ছেন আরবের সমাজ সম্পর্কে বহির্বিশ্বের নানা ভুল ধারণা। আরবের ঐতিহাসিক, পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতানির্ভর...
৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয় অনেক গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও ফোয়াদ নাসের বাবুর নাম। এবার এই দুজন মিলে ১০ ব্যান্ডের জন্য তৈরি করলেন নতুন ১০টি গান। গানগুলো গেয়েছে ব্যান্ড ফিডব্যাক, সোলস, রেনেসাঁ, দলছুট, শিরোনামহীন, নির্ঝর, তরুণ, পার্থিব, পেন্টাগন ও নোভা। বিটিভির ‘ব্যান্ড উৎসব ২০২৫’ অনুষ্ঠানের জন্য গানগুলো তৈরি করা হয়েছে। ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর রাত ১০টায় দুই পর্বে প্রচার হবে এই অনুষ্ঠান।

৩০ ডিসেম্বর প্রথম পর্বে পারফর্ম করবে নির্ঝর, দলছুট, তরুণ, রেনেসাঁ ও শিরোনামহীন। ৩১ ডিসেম্বর পারফর্ম করবে পার্থিব, পেন্টাগন, ফিডব্যাক, নোভা ও সোলস। গোলাম মোর্শেদের প্রযোজনা, আহমেদ তেপান্তরের গ্রন্থনা এবং শারমিন নিগারের শিল্পনির্দেশনায় বিটিভির নিজস্ব সেটে গানগুলোর চিত্রায়ণ হয়েছে। গান শোনানোর পাশাপাশি প্রতিটি দলের সদস্যরা গান নিয়ে কথা বলবেন। তাঁদের সঙ্গে থাকবেন গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও সুরকার ফোয়াদ নাসের বাবু। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন ফেরদৌস বাপ্পী।

বিটিভির এই আয়োজন নিয়ে শহীদ মাহমুদ জঙ্গী বলেন, ‘বাংলাদেশের ব্যান্ড শিল্পের ইতিহাসে প্রথম একক কোনো অনুষ্ঠানের জন্য ১০টি ব্যান্ড ১০টি নতুন গান গেয়েছে। এই অনুষ্ঠানের নতুনত্ব হচ্ছে, ১০টি গানের কথা লিখেছেন একজন গীতিকার, সুর করেছেন একজন সুরকার। কর্তৃপক্ষ আমাকে সুযোগ দিয়েছে তারুণ্যের জন্য কিছু করতে, আমি চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি ফোয়াদ নাসের বাবুকে ধন্যবাদ, তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন প্রতিটি ব্যান্ডের ঢং বজায় রেখে সুর করতে। এ অধ্যায় খুব পরিশ্রমের। তবে আমরা টিম হয়ে কাজটি উপভোগ করেছি।’
সুরকার ফোয়াদ নাসের বাবু বলেন, ‘এত কম সময়ে একসঙ্গে এত ব্যান্ডের জন্য মৌলিক সুর আগে কেউ করেনি। কেমন হয়েছে, তা শ্রোতারা বলবেন। পুরো আয়োজনের জন্য বিটিভি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।’
সোলসের দলনেতা ও ভোকাল পার্থ বড়ুয়া বলেন, ‘যখন জানলাম বিটিভির উদ্যোগে শহীদ মাহমুদ জঙ্গীর লেখা আর ফোয়াদ নাসের বাবুর সুরে গাইতে হবে, তখন আর না করার সাহস দেখাইনি। কারণ সোলসের আজকের জায়গায় দাঁড়ানোর ব্যাপারে বিটিভি অনেক বড় ভূমিকা রেখেছে। আশা করি এমন উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে বিটিভি।’

বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয় অনেক গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও ফোয়াদ নাসের বাবুর নাম। এবার এই দুজন মিলে ১০ ব্যান্ডের জন্য তৈরি করলেন নতুন ১০টি গান। গানগুলো গেয়েছে ব্যান্ড ফিডব্যাক, সোলস, রেনেসাঁ, দলছুট, শিরোনামহীন, নির্ঝর, তরুণ, পার্থিব, পেন্টাগন ও নোভা। বিটিভির ‘ব্যান্ড উৎসব ২০২৫’ অনুষ্ঠানের জন্য গানগুলো তৈরি করা হয়েছে। ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর রাত ১০টায় দুই পর্বে প্রচার হবে এই অনুষ্ঠান।

৩০ ডিসেম্বর প্রথম পর্বে পারফর্ম করবে নির্ঝর, দলছুট, তরুণ, রেনেসাঁ ও শিরোনামহীন। ৩১ ডিসেম্বর পারফর্ম করবে পার্থিব, পেন্টাগন, ফিডব্যাক, নোভা ও সোলস। গোলাম মোর্শেদের প্রযোজনা, আহমেদ তেপান্তরের গ্রন্থনা এবং শারমিন নিগারের শিল্পনির্দেশনায় বিটিভির নিজস্ব সেটে গানগুলোর চিত্রায়ণ হয়েছে। গান শোনানোর পাশাপাশি প্রতিটি দলের সদস্যরা গান নিয়ে কথা বলবেন। তাঁদের সঙ্গে থাকবেন গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও সুরকার ফোয়াদ নাসের বাবু। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন ফেরদৌস বাপ্পী।

বিটিভির এই আয়োজন নিয়ে শহীদ মাহমুদ জঙ্গী বলেন, ‘বাংলাদেশের ব্যান্ড শিল্পের ইতিহাসে প্রথম একক কোনো অনুষ্ঠানের জন্য ১০টি ব্যান্ড ১০টি নতুন গান গেয়েছে। এই অনুষ্ঠানের নতুনত্ব হচ্ছে, ১০টি গানের কথা লিখেছেন একজন গীতিকার, সুর করেছেন একজন সুরকার। কর্তৃপক্ষ আমাকে সুযোগ দিয়েছে তারুণ্যের জন্য কিছু করতে, আমি চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি ফোয়াদ নাসের বাবুকে ধন্যবাদ, তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন প্রতিটি ব্যান্ডের ঢং বজায় রেখে সুর করতে। এ অধ্যায় খুব পরিশ্রমের। তবে আমরা টিম হয়ে কাজটি উপভোগ করেছি।’
সুরকার ফোয়াদ নাসের বাবু বলেন, ‘এত কম সময়ে একসঙ্গে এত ব্যান্ডের জন্য মৌলিক সুর আগে কেউ করেনি। কেমন হয়েছে, তা শ্রোতারা বলবেন। পুরো আয়োজনের জন্য বিটিভি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।’
সোলসের দলনেতা ও ভোকাল পার্থ বড়ুয়া বলেন, ‘যখন জানলাম বিটিভির উদ্যোগে শহীদ মাহমুদ জঙ্গীর লেখা আর ফোয়াদ নাসের বাবুর সুরে গাইতে হবে, তখন আর না করার সাহস দেখাইনি। কারণ সোলসের আজকের জায়গায় দাঁড়ানোর ব্যাপারে বিটিভি অনেক বড় ভূমিকা রেখেছে। আশা করি এমন উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে বিটিভি।’

নাটক শুরুর আগে ছোট্ট লতা আত্মবিশ্বাস নিয়ে বাবাকে বলেছিলেন, ‘দেখ বাবা, তোমার মতো আমিও দর্শকদের কাছ থেকে জয়ধ্বনি পাব। দর্শকরা বলবে, আরও চাই!’ লতা সেদিন মঞ্চে সেটি প্রমাণ করেছিলেন। পরে বাবার প্রযোজনায় মঞ্চায়িত ‘গুরুকুল’-এ ‘কৃষ্ণ’ চরিত্রে অভিনয় করেন লতা।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২
অ্যানিমেশনের জয়জয়কার। এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় নজর রাখলে এটিই প্রমাণিত হয়। রক্ত-মাংসের অভিনেতাদের হারিয়ে এ বছর দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে অ্যানিমেশনের চরিত্ররা। ৮০ মিলিয়নে নির্মিত চীনের অ্যানিমেটেড ফ্যান্টাসি সিনেমা ‘নে ঝা-২’ ২ বিলিয়নের বেশি আয় করে সেরা ব্যবসাসফল সিনেমার...
৯ ঘণ্টা আগে
বছরের শেষভাগে ডিসেম্বর মাসে নেটফ্লিক্স ঘোষণা দেয় ৭২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির টিভি, স্টুডিও ও স্ট্রিমিং ব্যবসা কিনে নিচ্ছে তারা। এমন ঘোষণার পর প্যারামাউন্ট প্রস্তাব দেয় তারা ১০৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি দামে ওয়ার্নার ব্রস কিনতে প্রস্তুত।
৯ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালটি আরব সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী বছর হিসেবে থেকে যাবে। বিভিন্ন প্রজন্মের একঝাঁক মেধাবী পরিচালক উঠে এসেছেন, যাঁরা তাঁদের সিনেমার মাধ্যমে তুলে আনছেন আরবের ইতিহাস-ঐতিহ্য। ভেঙে দিচ্ছেন আরবের সমাজ সম্পর্কে বহির্বিশ্বের নানা ভুল ধারণা। আরবের ঐতিহাসিক, পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতানির্ভর...
৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

অ্যানিমেশনের জয়জয়কার। এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় নজর রাখলে এটিই প্রমাণিত হয়। রক্ত-মাংসের অভিনেতাদের হারিয়ে এ বছর দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে অ্যানিমেশনের চরিত্ররা। ৮০ মিলিয়নে নির্মিত চীনের অ্যানিমেটেড ফ্যান্টাসি সিনেমা ‘নে ঝা-২’ ২ বিলিয়নের বেশি আয় করে সেরা ব্যবসাসফল সিনেমার রেকর্ড গড়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ডিজনির অ্যানিমেশন ‘জুটোপিয়া ২’, আয় করেছে ১ বিলিয়নের বেশি। তৃতীয় স্থানটিও একই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের লাইভ-অ্যাকশন অ্যানিমেশন ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’। সাড়া জাগানো জাপানি অ্যানিমেশন ‘ডেমন স্লেয়ার: কিমেৎসু নো ইয়াইবা—দ্য মুভি: ইনফিনিটি ক্যাসেল’ নিয়েও কম উত্তেজনা ছিল না।
অ্যানিমেশনের এই রমরমা পরিস্থিতিতে মান বাঁচিয়েছে ওয়ার্নার ব্রসের ‘আ মাইনক্রাফট মুভি’ (৯৫৮ মিলিয়ন) এবং ইউনিভার্সাল পিকচারসের ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড রিবার্থ’ (৮৬৯ মিলিয়ন)। দুটি সিনেমাই ১ বিলিয়নের কাছাকাছি পৌঁছাতে পেরেছে। ব্র্যাড পিট ‘এফ ওয়ান’ দিয়ে এবং ডেভিড কোরেন্সওয়েট ‘সুপারম্যান’ দিয়ে বছরের মাঝামাঝি কিছুটা সাড়া ফেলতে পেরেছিলেন। এ ছাড়া বছরজুড়ে উল্লেখযোগ্য কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি হলিউড।
হলিউডে তারকাদের স্টারডম যে ধীরে ধীরে ম্লান হচ্ছে, এ বছর সে চিত্রটা আরও বেশি করে ধরা পড়েছে। ডোয়াইন জনসনের ‘দ্য স্ম্যাশিং মেশিন’ বক্স অফিসে রীতিমতো ফ্লপ। জেনিফার লরেন্সের ‘ডাই মাই লাভ’ মাত্র সাড়ে ১১ মিলিয়ন ডলার ব্যবসা করেছে। একইভাবে ব্যর্থ জুলিয়া রবার্টসের ‘আফটার দ্য হান্ট’ এবং গ্লেন পাওয়েলের ‘দ্য রানিংম্যান’। এমনকি টম ক্রুজের আলোচিত সিনেমা ‘মিশন: ইম্পিসবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’ যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় বাজারে ২০০ মিলিয়নও তুলতে পারেনি, যা এ ফ্র্যাঞ্চাইজির একটি হতাশাজনক পতনই বলা চলে। ব্র্যাড পিটের এফ ওয়ান সিনেমার বক্স অফিস ফলাফল এ তারকার স্টারডমের তুলনায় অনেকটাই কম।
তবে যেকোনো সময়ের তুলনায় এ বছর হলিউডে ভালোই সাফল্য পেয়েছে ভৌতিক সিনেমা। ৯০ মিলিয়ন বাজেটের ‘সিনারস’ সাড়ে ৩৫০ মিলিয়নের বেশি ব্যবসা করেছে বিশ্বব্যাপী। আর ৩৮ মিলিয়নে তৈরি ‘ওয়েপনস’ পার করেছে আড়াই শ মিলিয়ন ডলার। হরর সিনেমার এই সাফল্যের ফল হিসেবে আগামী বছর হলিউডে ভূতের গল্পের নির্মাণ আরও বাড়বে, এ কথা বলাই যায়।
এ বছরের আরও একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা—ডিসির কাছে মার্ভেলের পরাজয়। বছরের পর বছর ধরে মার্ভেলের সুপারহিরোর গল্প গোগ্রাসে গিলেছে দর্শক। ডিসি বরাবরই ছিল দ্বিতীয় অবস্থানে। কিন্তু এবার গণেশ উল্টে গেছে। মার্ভেল এ বছর ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা: ব্রেভ নিউ ওয়ার্ল্ড’, ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর: ফার্স্ট স্টেপ’ এবং ‘থান্ডারবোল্টস’-এর মতো আলোচিত সিনেমা মুক্তি দিলেও ডিসির ‘সুপারম্যান’-এর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পারেনি। সুপারম্যানই এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সুপারহিরো সিনেমা। মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের যাত্রা শুরুর পর এবারই প্রথম ডিসির কাছে হারল প্রতিষ্ঠানটি।

অ্যানিমেশনের জয়জয়কার। এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় নজর রাখলে এটিই প্রমাণিত হয়। রক্ত-মাংসের অভিনেতাদের হারিয়ে এ বছর দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে অ্যানিমেশনের চরিত্ররা। ৮০ মিলিয়নে নির্মিত চীনের অ্যানিমেটেড ফ্যান্টাসি সিনেমা ‘নে ঝা-২’ ২ বিলিয়নের বেশি আয় করে সেরা ব্যবসাসফল সিনেমার রেকর্ড গড়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ডিজনির অ্যানিমেশন ‘জুটোপিয়া ২’, আয় করেছে ১ বিলিয়নের বেশি। তৃতীয় স্থানটিও একই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের লাইভ-অ্যাকশন অ্যানিমেশন ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’। সাড়া জাগানো জাপানি অ্যানিমেশন ‘ডেমন স্লেয়ার: কিমেৎসু নো ইয়াইবা—দ্য মুভি: ইনফিনিটি ক্যাসেল’ নিয়েও কম উত্তেজনা ছিল না।
অ্যানিমেশনের এই রমরমা পরিস্থিতিতে মান বাঁচিয়েছে ওয়ার্নার ব্রসের ‘আ মাইনক্রাফট মুভি’ (৯৫৮ মিলিয়ন) এবং ইউনিভার্সাল পিকচারসের ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড রিবার্থ’ (৮৬৯ মিলিয়ন)। দুটি সিনেমাই ১ বিলিয়নের কাছাকাছি পৌঁছাতে পেরেছে। ব্র্যাড পিট ‘এফ ওয়ান’ দিয়ে এবং ডেভিড কোরেন্সওয়েট ‘সুপারম্যান’ দিয়ে বছরের মাঝামাঝি কিছুটা সাড়া ফেলতে পেরেছিলেন। এ ছাড়া বছরজুড়ে উল্লেখযোগ্য কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি হলিউড।
হলিউডে তারকাদের স্টারডম যে ধীরে ধীরে ম্লান হচ্ছে, এ বছর সে চিত্রটা আরও বেশি করে ধরা পড়েছে। ডোয়াইন জনসনের ‘দ্য স্ম্যাশিং মেশিন’ বক্স অফিসে রীতিমতো ফ্লপ। জেনিফার লরেন্সের ‘ডাই মাই লাভ’ মাত্র সাড়ে ১১ মিলিয়ন ডলার ব্যবসা করেছে। একইভাবে ব্যর্থ জুলিয়া রবার্টসের ‘আফটার দ্য হান্ট’ এবং গ্লেন পাওয়েলের ‘দ্য রানিংম্যান’। এমনকি টম ক্রুজের আলোচিত সিনেমা ‘মিশন: ইম্পিসবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’ যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় বাজারে ২০০ মিলিয়নও তুলতে পারেনি, যা এ ফ্র্যাঞ্চাইজির একটি হতাশাজনক পতনই বলা চলে। ব্র্যাড পিটের এফ ওয়ান সিনেমার বক্স অফিস ফলাফল এ তারকার স্টারডমের তুলনায় অনেকটাই কম।
তবে যেকোনো সময়ের তুলনায় এ বছর হলিউডে ভালোই সাফল্য পেয়েছে ভৌতিক সিনেমা। ৯০ মিলিয়ন বাজেটের ‘সিনারস’ সাড়ে ৩৫০ মিলিয়নের বেশি ব্যবসা করেছে বিশ্বব্যাপী। আর ৩৮ মিলিয়নে তৈরি ‘ওয়েপনস’ পার করেছে আড়াই শ মিলিয়ন ডলার। হরর সিনেমার এই সাফল্যের ফল হিসেবে আগামী বছর হলিউডে ভূতের গল্পের নির্মাণ আরও বাড়বে, এ কথা বলাই যায়।
এ বছরের আরও একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা—ডিসির কাছে মার্ভেলের পরাজয়। বছরের পর বছর ধরে মার্ভেলের সুপারহিরোর গল্প গোগ্রাসে গিলেছে দর্শক। ডিসি বরাবরই ছিল দ্বিতীয় অবস্থানে। কিন্তু এবার গণেশ উল্টে গেছে। মার্ভেল এ বছর ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা: ব্রেভ নিউ ওয়ার্ল্ড’, ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর: ফার্স্ট স্টেপ’ এবং ‘থান্ডারবোল্টস’-এর মতো আলোচিত সিনেমা মুক্তি দিলেও ডিসির ‘সুপারম্যান’-এর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পারেনি। সুপারম্যানই এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সুপারহিরো সিনেমা। মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের যাত্রা শুরুর পর এবারই প্রথম ডিসির কাছে হারল প্রতিষ্ঠানটি।

নাটক শুরুর আগে ছোট্ট লতা আত্মবিশ্বাস নিয়ে বাবাকে বলেছিলেন, ‘দেখ বাবা, তোমার মতো আমিও দর্শকদের কাছ থেকে জয়ধ্বনি পাব। দর্শকরা বলবে, আরও চাই!’ লতা সেদিন মঞ্চে সেটি প্রমাণ করেছিলেন। পরে বাবার প্রযোজনায় মঞ্চায়িত ‘গুরুকুল’-এ ‘কৃষ্ণ’ চরিত্রে অভিনয় করেন লতা।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২
বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয় অনেক গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও ফোয়াদ নাসের বাবুর নাম। এবার এই দুজন মিলে ১০ ব্যান্ডের জন্য তৈরি করলেন নতুন ১০টি গান। গানগুলো গেয়েছে ব্যান্ড ফিডব্যাক, সোলস, রেনেসাঁ, দলছুট, শিরোনামহীন, নির্ঝর, তরুণ, পার্থিব, পেন্টাগন ও নোভা।
৯ ঘণ্টা আগে
বছরের শেষভাগে ডিসেম্বর মাসে নেটফ্লিক্স ঘোষণা দেয় ৭২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির টিভি, স্টুডিও ও স্ট্রিমিং ব্যবসা কিনে নিচ্ছে তারা। এমন ঘোষণার পর প্যারামাউন্ট প্রস্তাব দেয় তারা ১০৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি দামে ওয়ার্নার ব্রস কিনতে প্রস্তুত।
৯ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালটি আরব সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী বছর হিসেবে থেকে যাবে। বিভিন্ন প্রজন্মের একঝাঁক মেধাবী পরিচালক উঠে এসেছেন, যাঁরা তাঁদের সিনেমার মাধ্যমে তুলে আনছেন আরবের ইতিহাস-ঐতিহ্য। ভেঙে দিচ্ছেন আরবের সমাজ সম্পর্কে বহির্বিশ্বের নানা ভুল ধারণা। আরবের ঐতিহাসিক, পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতানির্ভর...
৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক



নাটক শুরুর আগে ছোট্ট লতা আত্মবিশ্বাস নিয়ে বাবাকে বলেছিলেন, ‘দেখ বাবা, তোমার মতো আমিও দর্শকদের কাছ থেকে জয়ধ্বনি পাব। দর্শকরা বলবে, আরও চাই!’ লতা সেদিন মঞ্চে সেটি প্রমাণ করেছিলেন। পরে বাবার প্রযোজনায় মঞ্চায়িত ‘গুরুকুল’-এ ‘কৃষ্ণ’ চরিত্রে অভিনয় করেন লতা।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২
বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয় অনেক গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও ফোয়াদ নাসের বাবুর নাম। এবার এই দুজন মিলে ১০ ব্যান্ডের জন্য তৈরি করলেন নতুন ১০টি গান। গানগুলো গেয়েছে ব্যান্ড ফিডব্যাক, সোলস, রেনেসাঁ, দলছুট, শিরোনামহীন, নির্ঝর, তরুণ, পার্থিব, পেন্টাগন ও নোভা।
৯ ঘণ্টা আগে
অ্যানিমেশনের জয়জয়কার। এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় নজর রাখলে এটিই প্রমাণিত হয়। রক্ত-মাংসের অভিনেতাদের হারিয়ে এ বছর দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে অ্যানিমেশনের চরিত্ররা। ৮০ মিলিয়নে নির্মিত চীনের অ্যানিমেটেড ফ্যান্টাসি সিনেমা ‘নে ঝা-২’ ২ বিলিয়নের বেশি আয় করে সেরা ব্যবসাসফল সিনেমার...
৯ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালটি আরব সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী বছর হিসেবে থেকে যাবে। বিভিন্ন প্রজন্মের একঝাঁক মেধাবী পরিচালক উঠে এসেছেন, যাঁরা তাঁদের সিনেমার মাধ্যমে তুলে আনছেন আরবের ইতিহাস-ঐতিহ্য। ভেঙে দিচ্ছেন আরবের সমাজ সম্পর্কে বহির্বিশ্বের নানা ভুল ধারণা। আরবের ঐতিহাসিক, পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতানির্ভর...
৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

২০২৫ সালটি আরব সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী বছর হিসেবে থেকে যাবে। বিভিন্ন প্রজন্মের একঝাঁক মেধাবী পরিচালক উঠে এসেছেন, যাঁরা তাঁদের সিনেমার মাধ্যমে তুলে আনছেন আরবের ইতিহাস-ঐতিহ্য। ভেঙে দিচ্ছেন আরবের সমাজ সম্পর্কে বহির্বিশ্বের নানা ভুল ধারণা। আরবের ঐতিহাসিক, পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতানির্ভর গল্পগুলো বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সমাদৃতও হচ্ছে।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনাটি ঘটেছে ৯৮তম অস্কারের শর্টলিস্টে। ইন্টারন্যাশনাল ফিচার ফিল্ম বিভাগে প্রাথমিকভাবে মনোনীত ১৫টি সিনেমার মধ্যে জায়গা পেয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের ৪টি সিনেমা—‘দ্য প্রেসিডেন্টস কেক’, ‘প্যালেস্টাইন ৩৬’, ‘দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব’ ও ‘অল দ্যাটস লেফট অব ইউ’। অস্কারের ইতিহাসে যা অভূতপূর্ব ঘটনা। এ ছাড়া ফ্রান্স থেকে অস্কারে অংশ নেওয়া ইরানি নির্মাতা জাফর পানাহির ‘ইট ওয়াজ জাস্ট অ্যান অ্যাকসিডেন্ট’ও রয়েছে এ তালিকায়। এ বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা সিনেমার পুরস্কার পেয়েছে সিনেমাটি। সিডনি, মিডলবার্গ, এশিয়া প্যাসিফিক, নিউইয়র্ক ফিল্ম ক্রিটিকস অ্যাওয়ার্ডসহ নানা উৎসবে পুরস্কৃত-প্রশংসিত হয়েছে পানাহির সিনেমাটি।
এর পরই যে আরব সিনেমাটি নিয়ে ব্যাপক হইচই হয়েছে, সেটি ‘দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব’। ভেনিস উৎসবের ইতিহাসে দীর্ঘতম ২৩ মিনিট স্ট্যান্ডিং অভেশন পেয়েছে কুসারু বিন হানিয়া পরিচালিত সিনেমাটি। পেয়েছে সিলভার লায়ন পুরস্কার। গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত পাঁচ বছর বয়সী কন্যাশিশু রজবের মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে নির্মিত হয়েছে এটি। ভেনিস থেকে সান সেবাস্টিয়ান কিংবা শিকাগো ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল—সব উৎসবে দর্শকদের চোখ ভিজিয়েছে দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব।
কান উৎসবে এ বছর ক্যামের দ্যর ও ডিরেক্টরস ফোর্টনাইট অডিয়েন্স অ্যাওয়ার্ড পাওয়া ইরাকের সিনেমা ‘দ্য প্রেসিডেন্টস কেক’ নিয়েও আলোচনা ছিল বছরজুড়ে। ১৯৩৬ থেকে ১৯৩৯ সালে সংঘটিত আরব বিদ্রোহের ঘটনা নিয়ে তৈরি ‘প্যালেস্টাইন ৩৬’ সিনেমাটিও ব্যাপক সমাদর পেয়েছে বিশ্বজুড়ে। এ ছাড়া ‘ইউনান’, ‘অল দ্যাটস লেফট অব ইউ’, ‘আ স্যাড বিউটিফুল ওয়ার্ল্ড’, ‘হিজরা’, ‘হ্যাপি বার্থডে’, ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন গাজা’, ‘আইশা ক্যান্ট ফ্লাই অ্যাওয়ে’, ‘টু আ ল্যান্ড আননোন’ সিনেমাগুলো বিভিন্ন নামকরা চলচ্চিত্র উৎসবে সুনাম কুড়িয়েছে।

২০২৫ সালটি আরব সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী বছর হিসেবে থেকে যাবে। বিভিন্ন প্রজন্মের একঝাঁক মেধাবী পরিচালক উঠে এসেছেন, যাঁরা তাঁদের সিনেমার মাধ্যমে তুলে আনছেন আরবের ইতিহাস-ঐতিহ্য। ভেঙে দিচ্ছেন আরবের সমাজ সম্পর্কে বহির্বিশ্বের নানা ভুল ধারণা। আরবের ঐতিহাসিক, পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতানির্ভর গল্পগুলো বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সমাদৃতও হচ্ছে।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনাটি ঘটেছে ৯৮তম অস্কারের শর্টলিস্টে। ইন্টারন্যাশনাল ফিচার ফিল্ম বিভাগে প্রাথমিকভাবে মনোনীত ১৫টি সিনেমার মধ্যে জায়গা পেয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের ৪টি সিনেমা—‘দ্য প্রেসিডেন্টস কেক’, ‘প্যালেস্টাইন ৩৬’, ‘দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব’ ও ‘অল দ্যাটস লেফট অব ইউ’। অস্কারের ইতিহাসে যা অভূতপূর্ব ঘটনা। এ ছাড়া ফ্রান্স থেকে অস্কারে অংশ নেওয়া ইরানি নির্মাতা জাফর পানাহির ‘ইট ওয়াজ জাস্ট অ্যান অ্যাকসিডেন্ট’ও রয়েছে এ তালিকায়। এ বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা সিনেমার পুরস্কার পেয়েছে সিনেমাটি। সিডনি, মিডলবার্গ, এশিয়া প্যাসিফিক, নিউইয়র্ক ফিল্ম ক্রিটিকস অ্যাওয়ার্ডসহ নানা উৎসবে পুরস্কৃত-প্রশংসিত হয়েছে পানাহির সিনেমাটি।
এর পরই যে আরব সিনেমাটি নিয়ে ব্যাপক হইচই হয়েছে, সেটি ‘দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব’। ভেনিস উৎসবের ইতিহাসে দীর্ঘতম ২৩ মিনিট স্ট্যান্ডিং অভেশন পেয়েছে কুসারু বিন হানিয়া পরিচালিত সিনেমাটি। পেয়েছে সিলভার লায়ন পুরস্কার। গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত পাঁচ বছর বয়সী কন্যাশিশু রজবের মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে নির্মিত হয়েছে এটি। ভেনিস থেকে সান সেবাস্টিয়ান কিংবা শিকাগো ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল—সব উৎসবে দর্শকদের চোখ ভিজিয়েছে দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব।
কান উৎসবে এ বছর ক্যামের দ্যর ও ডিরেক্টরস ফোর্টনাইট অডিয়েন্স অ্যাওয়ার্ড পাওয়া ইরাকের সিনেমা ‘দ্য প্রেসিডেন্টস কেক’ নিয়েও আলোচনা ছিল বছরজুড়ে। ১৯৩৬ থেকে ১৯৩৯ সালে সংঘটিত আরব বিদ্রোহের ঘটনা নিয়ে তৈরি ‘প্যালেস্টাইন ৩৬’ সিনেমাটিও ব্যাপক সমাদর পেয়েছে বিশ্বজুড়ে। এ ছাড়া ‘ইউনান’, ‘অল দ্যাটস লেফট অব ইউ’, ‘আ স্যাড বিউটিফুল ওয়ার্ল্ড’, ‘হিজরা’, ‘হ্যাপি বার্থডে’, ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন গাজা’, ‘আইশা ক্যান্ট ফ্লাই অ্যাওয়ে’, ‘টু আ ল্যান্ড আননোন’ সিনেমাগুলো বিভিন্ন নামকরা চলচ্চিত্র উৎসবে সুনাম কুড়িয়েছে।

নাটক শুরুর আগে ছোট্ট লতা আত্মবিশ্বাস নিয়ে বাবাকে বলেছিলেন, ‘দেখ বাবা, তোমার মতো আমিও দর্শকদের কাছ থেকে জয়ধ্বনি পাব। দর্শকরা বলবে, আরও চাই!’ লতা সেদিন মঞ্চে সেটি প্রমাণ করেছিলেন। পরে বাবার প্রযোজনায় মঞ্চায়িত ‘গুরুকুল’-এ ‘কৃষ্ণ’ চরিত্রে অভিনয় করেন লতা।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২
বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয় অনেক গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও ফোয়াদ নাসের বাবুর নাম। এবার এই দুজন মিলে ১০ ব্যান্ডের জন্য তৈরি করলেন নতুন ১০টি গান। গানগুলো গেয়েছে ব্যান্ড ফিডব্যাক, সোলস, রেনেসাঁ, দলছুট, শিরোনামহীন, নির্ঝর, তরুণ, পার্থিব, পেন্টাগন ও নোভা।
৯ ঘণ্টা আগে
অ্যানিমেশনের জয়জয়কার। এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় নজর রাখলে এটিই প্রমাণিত হয়। রক্ত-মাংসের অভিনেতাদের হারিয়ে এ বছর দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে অ্যানিমেশনের চরিত্ররা। ৮০ মিলিয়নে নির্মিত চীনের অ্যানিমেটেড ফ্যান্টাসি সিনেমা ‘নে ঝা-২’ ২ বিলিয়নের বেশি আয় করে সেরা ব্যবসাসফল সিনেমার...
৯ ঘণ্টা আগে
বছরের শেষভাগে ডিসেম্বর মাসে নেটফ্লিক্স ঘোষণা দেয় ৭২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির টিভি, স্টুডিও ও স্ট্রিমিং ব্যবসা কিনে নিচ্ছে তারা। এমন ঘোষণার পর প্যারামাউন্ট প্রস্তাব দেয় তারা ১০৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি দামে ওয়ার্নার ব্রস কিনতে প্রস্তুত।
৯ ঘণ্টা আগে