এম এম মুজাহিদ উদ্দীন

একটি শিশুর হাতে ঝাড়ু। স্কুলের করিডর নিজ হাতে মুছছে সে। ক্লাসের শেষে সবাই মিলে গ্লাস পরিষ্কার করছে, টেবিল সাজাচ্ছে, এমনকি টয়লেটও ধুয়ে নিচ্ছে নিঃসংকোচে। এটি কোনো ব্যতিক্রমী দৃশ্য নয়; বরং জাপানের প্রতিটি স্কুলে প্রতিদিনের স্বাভাবিক চিত্র। জাপানের শিক্ষাব্যবস্থা থেকে শেখার রয়েছে অনেক কিছুই।
প্রযুক্তিতে অগ্রসর, শিল্পে সমৃদ্ধ এবং শৃঙ্খলায় অতুলনীয় জাপানে শিশুর গোড়ার ভিত্তিই নির্মাণ হয় শিক্ষাব্যবস্থার ওপর। আমরা অনেকেই জানি, জাপানের স্কুলে শিক্ষার্থীরা দারুণ রেজাল্ট করে, কিন্তু এর পেছনে যে আদর্শ, নীতি এবং মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি কাজ করে, তা অনেক সময়ই আড়ালে থেকে যায়।
শিশুদের মানুষ করে তোলাই মূল উদ্দেশ্য
জাপানের শিক্ষাব্যবস্থা শুধু পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য নয়; বরং একজন ভালো মানুষ তৈরিতে তাদের শিক্ষা ভূমিকা রাখে। সেখানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম ৬ বছরে (গ্রেড ১-৬) সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় নৈতিকতা, শৃঙ্খলা, আচরণ ও সামাজিক দায়িত্ব শেখাতে। এ সময়টায় পরীক্ষার চাপ থাকে না, থাকে না কোনো র্যাঙ্ককিং ব্যবস্থাও। স্কুলের শিক্ষকেরা আগে শেখান কীভাবে শ্রদ্ধা করতে হয়, কীভাবে দলবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হয়, তারপর শেখান অঙ্ক আর ভাষা। এ ধরনের পাঠপ্রক্রিয়া একজন শিশুর মনে জাগিয়ে তোলে সহানুভূতি, দায়বদ্ধতা এবং সম্মানবোধ। যা শুধু স্কুলেই নয়, গোটা সমাজের শৃঙ্খলা রক্ষায় ভূমিকা রাখে।
স্কুল মানেই একাত্মতা, দায়িত্ব এবং পরিচ্ছন্নতা
জাপানের স্কুলে পরিচ্ছন্নতার দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের। আলাদা কোনো ঝাড়ুদার বা পরিচ্ছন্নতাকর্মী নেই। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ছাত্ররা নিজেদের ক্লাসরুম, করিডর, এমনকি বাথরুম পরিষ্কার করে। এতে গড়ে ওঠে সম্মিলিত দায়িত্ববোধ এবং নিজের কাজ নিজে করার অভ্যাস। কারণ যখন একটি শিশু জানে এই ঘরটুকু তার নিজের হাতেই পরিষ্কার রাখতে হবে, তখন সে কখনোই ময়লা ফেলে না। শুধু তা-ই নয়, শিক্ষার্থীরা নিজেরাই স্কুলে লাঞ্চ পরিবেশন করে। রান্না করা খাবার নিয়ে আসে নির্ধারিত কিছু শিক্ষার্থী, একে অপরকে পরিবেশন করে, তারপর একসঙ্গে খায়। এতে গড়ে ওঠে সহযোগিতা, কৃতজ্ঞতা এবং পরস্পরের প্রতি সম্মান।
শিক্ষক শুধু শিক্ষক নন, একটি আদর্শ
জাপানের শিক্ষকেরা শুধু পাঠদানের কাজ করেন না, তাঁরা হলেন নৈতিকতার আদর্শ। একজন শিক্ষক জানেন, তাঁর প্রতিটি কাজ ছাত্রদের কাছে শিক্ষার অনুষঙ্গ। প্রতিটি ক্লাসে সময়ানুবর্তিতা, সুশৃঙ্খল পরিবেশ এবং পাঠ্যবিষয়ের গভীরতা অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে অনুসরণ করা হয়। একজন জাপানি শিক্ষক প্রতিদিন প্রায় ১১ ঘণ্টা কাজ করেন। তবে তাঁরা এতে ক্লান্ত হন না, কারণ তাঁরা মনে করেন, এ দায়িত্ব শুধু চাকরি নয়; বরং জাতি গঠনের ভিত্তি।
‘হোমরুম’ কালচার
জাপানে প্রতিটি ক্লাসের দায়িত্ব থাকে একজন হোমরুম টিচারের ওপর। এই শিক্ষক শুধু ক্লাসে পড়ান না, শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থাও পর্যবেক্ষণ করেন। পারিবারিক সমস্যা, হতাশা, আবেগ বা আত্মবিশ্বাস; সব বিষয়ে তিনি থাকেন সজাগ। বছরের শুরুতে শিক্ষক নিজ হাতে ছাত্রদের নাম লিখে ‘স্বপ্নের খাতা’ তৈরি করেন। সেখানে লেখা থাকে, কে কী হতে চায়, কোথায় দুর্বল, কোথায় মেধাবী। বছর শেষে সেই খাতায় শিক্ষক মন্তব্য লেখেন একটি ব্যক্তিগত চিঠির মতো। এতে গড়ে ওঠে এক অন্তরঙ্গ সম্পর্ক।
গাইড করা, চাপিয়ে দেওয়া নয়
জাপানে উচ্চমাধ্যমিক এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রবেশ-পরীক্ষা অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক। তবে শিক্ষাব্যবস্থার আশ্চর্য দিক হলো, শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ প্রয়োগ না করে প্রস্তুতির সুযোগ দেওয়া হয়। বেশির ভাগ স্কুলে ‘ক্র্যাম স্কুল’ বা ‘জুকু’ রয়েছে। যেখানে শিক্ষার্থীরা ইচ্ছেমতো অতিরিক্ত সময় নিয়ে প্রস্তুতি নিতে পারে। শিক্ষকেরা গাইড করেন, কিন্তু চাপিয়ে দেন না। মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিয়ে স্কুলে ‘পরামর্শদাতা শিক্ষকদের’ রাখা হয়, যাঁদের সঙ্গে শিক্ষার্থীরা খোলামেলা কথা বলতে পারে।
আমাদের জন্য শিক্ষণীয় কী
জ্ঞান মানেই কেবল তথ্য নয়, বরং নৈতিকতা, দায়িত্ববোধ এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের শিক্ষা। আমাদের দেশে যেখানে পরীক্ষার ফলাফলই শিক্ষার মূল পরিমাপক, সেখানে জাপানে শেখানো হয় কীভাবে ভালো মানুষ হওয়া যায়, কীভাবে সমাজের একজন সক্রিয় নাগরিক হয়ে ওঠা যায়। শিশুদের মুখে হাসি, চোখে স্বপ্ন, আর মনে দায়িত্ববোধ—এই তিনে গড়ে ওঠে এক সুশৃঙ্খল জাতি। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় যদি জাপানের মতো মানবিকতা, শৃঙ্খলা ও আদর্শের স্থান দিতে পারি, তবে ভবিষ্যতের পথ আরও আলোকিত হতে পারে।

একটি শিশুর হাতে ঝাড়ু। স্কুলের করিডর নিজ হাতে মুছছে সে। ক্লাসের শেষে সবাই মিলে গ্লাস পরিষ্কার করছে, টেবিল সাজাচ্ছে, এমনকি টয়লেটও ধুয়ে নিচ্ছে নিঃসংকোচে। এটি কোনো ব্যতিক্রমী দৃশ্য নয়; বরং জাপানের প্রতিটি স্কুলে প্রতিদিনের স্বাভাবিক চিত্র। জাপানের শিক্ষাব্যবস্থা থেকে শেখার রয়েছে অনেক কিছুই।
প্রযুক্তিতে অগ্রসর, শিল্পে সমৃদ্ধ এবং শৃঙ্খলায় অতুলনীয় জাপানে শিশুর গোড়ার ভিত্তিই নির্মাণ হয় শিক্ষাব্যবস্থার ওপর। আমরা অনেকেই জানি, জাপানের স্কুলে শিক্ষার্থীরা দারুণ রেজাল্ট করে, কিন্তু এর পেছনে যে আদর্শ, নীতি এবং মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি কাজ করে, তা অনেক সময়ই আড়ালে থেকে যায়।
শিশুদের মানুষ করে তোলাই মূল উদ্দেশ্য
জাপানের শিক্ষাব্যবস্থা শুধু পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য নয়; বরং একজন ভালো মানুষ তৈরিতে তাদের শিক্ষা ভূমিকা রাখে। সেখানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম ৬ বছরে (গ্রেড ১-৬) সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় নৈতিকতা, শৃঙ্খলা, আচরণ ও সামাজিক দায়িত্ব শেখাতে। এ সময়টায় পরীক্ষার চাপ থাকে না, থাকে না কোনো র্যাঙ্ককিং ব্যবস্থাও। স্কুলের শিক্ষকেরা আগে শেখান কীভাবে শ্রদ্ধা করতে হয়, কীভাবে দলবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হয়, তারপর শেখান অঙ্ক আর ভাষা। এ ধরনের পাঠপ্রক্রিয়া একজন শিশুর মনে জাগিয়ে তোলে সহানুভূতি, দায়বদ্ধতা এবং সম্মানবোধ। যা শুধু স্কুলেই নয়, গোটা সমাজের শৃঙ্খলা রক্ষায় ভূমিকা রাখে।
স্কুল মানেই একাত্মতা, দায়িত্ব এবং পরিচ্ছন্নতা
জাপানের স্কুলে পরিচ্ছন্নতার দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের। আলাদা কোনো ঝাড়ুদার বা পরিচ্ছন্নতাকর্মী নেই। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ছাত্ররা নিজেদের ক্লাসরুম, করিডর, এমনকি বাথরুম পরিষ্কার করে। এতে গড়ে ওঠে সম্মিলিত দায়িত্ববোধ এবং নিজের কাজ নিজে করার অভ্যাস। কারণ যখন একটি শিশু জানে এই ঘরটুকু তার নিজের হাতেই পরিষ্কার রাখতে হবে, তখন সে কখনোই ময়লা ফেলে না। শুধু তা-ই নয়, শিক্ষার্থীরা নিজেরাই স্কুলে লাঞ্চ পরিবেশন করে। রান্না করা খাবার নিয়ে আসে নির্ধারিত কিছু শিক্ষার্থী, একে অপরকে পরিবেশন করে, তারপর একসঙ্গে খায়। এতে গড়ে ওঠে সহযোগিতা, কৃতজ্ঞতা এবং পরস্পরের প্রতি সম্মান।
শিক্ষক শুধু শিক্ষক নন, একটি আদর্শ
জাপানের শিক্ষকেরা শুধু পাঠদানের কাজ করেন না, তাঁরা হলেন নৈতিকতার আদর্শ। একজন শিক্ষক জানেন, তাঁর প্রতিটি কাজ ছাত্রদের কাছে শিক্ষার অনুষঙ্গ। প্রতিটি ক্লাসে সময়ানুবর্তিতা, সুশৃঙ্খল পরিবেশ এবং পাঠ্যবিষয়ের গভীরতা অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে অনুসরণ করা হয়। একজন জাপানি শিক্ষক প্রতিদিন প্রায় ১১ ঘণ্টা কাজ করেন। তবে তাঁরা এতে ক্লান্ত হন না, কারণ তাঁরা মনে করেন, এ দায়িত্ব শুধু চাকরি নয়; বরং জাতি গঠনের ভিত্তি।
‘হোমরুম’ কালচার
জাপানে প্রতিটি ক্লাসের দায়িত্ব থাকে একজন হোমরুম টিচারের ওপর। এই শিক্ষক শুধু ক্লাসে পড়ান না, শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থাও পর্যবেক্ষণ করেন। পারিবারিক সমস্যা, হতাশা, আবেগ বা আত্মবিশ্বাস; সব বিষয়ে তিনি থাকেন সজাগ। বছরের শুরুতে শিক্ষক নিজ হাতে ছাত্রদের নাম লিখে ‘স্বপ্নের খাতা’ তৈরি করেন। সেখানে লেখা থাকে, কে কী হতে চায়, কোথায় দুর্বল, কোথায় মেধাবী। বছর শেষে সেই খাতায় শিক্ষক মন্তব্য লেখেন একটি ব্যক্তিগত চিঠির মতো। এতে গড়ে ওঠে এক অন্তরঙ্গ সম্পর্ক।
গাইড করা, চাপিয়ে দেওয়া নয়
জাপানে উচ্চমাধ্যমিক এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রবেশ-পরীক্ষা অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক। তবে শিক্ষাব্যবস্থার আশ্চর্য দিক হলো, শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ প্রয়োগ না করে প্রস্তুতির সুযোগ দেওয়া হয়। বেশির ভাগ স্কুলে ‘ক্র্যাম স্কুল’ বা ‘জুকু’ রয়েছে। যেখানে শিক্ষার্থীরা ইচ্ছেমতো অতিরিক্ত সময় নিয়ে প্রস্তুতি নিতে পারে। শিক্ষকেরা গাইড করেন, কিন্তু চাপিয়ে দেন না। মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিয়ে স্কুলে ‘পরামর্শদাতা শিক্ষকদের’ রাখা হয়, যাঁদের সঙ্গে শিক্ষার্থীরা খোলামেলা কথা বলতে পারে।
আমাদের জন্য শিক্ষণীয় কী
জ্ঞান মানেই কেবল তথ্য নয়, বরং নৈতিকতা, দায়িত্ববোধ এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের শিক্ষা। আমাদের দেশে যেখানে পরীক্ষার ফলাফলই শিক্ষার মূল পরিমাপক, সেখানে জাপানে শেখানো হয় কীভাবে ভালো মানুষ হওয়া যায়, কীভাবে সমাজের একজন সক্রিয় নাগরিক হয়ে ওঠা যায়। শিশুদের মুখে হাসি, চোখে স্বপ্ন, আর মনে দায়িত্ববোধ—এই তিনে গড়ে ওঠে এক সুশৃঙ্খল জাতি। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় যদি জাপানের মতো মানবিকতা, শৃঙ্খলা ও আদর্শের স্থান দিতে পারি, তবে ভবিষ্যতের পথ আরও আলোকিত হতে পারে।
এম এম মুজাহিদ উদ্দীন

একটি শিশুর হাতে ঝাড়ু। স্কুলের করিডর নিজ হাতে মুছছে সে। ক্লাসের শেষে সবাই মিলে গ্লাস পরিষ্কার করছে, টেবিল সাজাচ্ছে, এমনকি টয়লেটও ধুয়ে নিচ্ছে নিঃসংকোচে। এটি কোনো ব্যতিক্রমী দৃশ্য নয়; বরং জাপানের প্রতিটি স্কুলে প্রতিদিনের স্বাভাবিক চিত্র। জাপানের শিক্ষাব্যবস্থা থেকে শেখার রয়েছে অনেক কিছুই।
প্রযুক্তিতে অগ্রসর, শিল্পে সমৃদ্ধ এবং শৃঙ্খলায় অতুলনীয় জাপানে শিশুর গোড়ার ভিত্তিই নির্মাণ হয় শিক্ষাব্যবস্থার ওপর। আমরা অনেকেই জানি, জাপানের স্কুলে শিক্ষার্থীরা দারুণ রেজাল্ট করে, কিন্তু এর পেছনে যে আদর্শ, নীতি এবং মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি কাজ করে, তা অনেক সময়ই আড়ালে থেকে যায়।
শিশুদের মানুষ করে তোলাই মূল উদ্দেশ্য
জাপানের শিক্ষাব্যবস্থা শুধু পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য নয়; বরং একজন ভালো মানুষ তৈরিতে তাদের শিক্ষা ভূমিকা রাখে। সেখানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম ৬ বছরে (গ্রেড ১-৬) সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় নৈতিকতা, শৃঙ্খলা, আচরণ ও সামাজিক দায়িত্ব শেখাতে। এ সময়টায় পরীক্ষার চাপ থাকে না, থাকে না কোনো র্যাঙ্ককিং ব্যবস্থাও। স্কুলের শিক্ষকেরা আগে শেখান কীভাবে শ্রদ্ধা করতে হয়, কীভাবে দলবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হয়, তারপর শেখান অঙ্ক আর ভাষা। এ ধরনের পাঠপ্রক্রিয়া একজন শিশুর মনে জাগিয়ে তোলে সহানুভূতি, দায়বদ্ধতা এবং সম্মানবোধ। যা শুধু স্কুলেই নয়, গোটা সমাজের শৃঙ্খলা রক্ষায় ভূমিকা রাখে।
স্কুল মানেই একাত্মতা, দায়িত্ব এবং পরিচ্ছন্নতা
জাপানের স্কুলে পরিচ্ছন্নতার দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের। আলাদা কোনো ঝাড়ুদার বা পরিচ্ছন্নতাকর্মী নেই। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ছাত্ররা নিজেদের ক্লাসরুম, করিডর, এমনকি বাথরুম পরিষ্কার করে। এতে গড়ে ওঠে সম্মিলিত দায়িত্ববোধ এবং নিজের কাজ নিজে করার অভ্যাস। কারণ যখন একটি শিশু জানে এই ঘরটুকু তার নিজের হাতেই পরিষ্কার রাখতে হবে, তখন সে কখনোই ময়লা ফেলে না। শুধু তা-ই নয়, শিক্ষার্থীরা নিজেরাই স্কুলে লাঞ্চ পরিবেশন করে। রান্না করা খাবার নিয়ে আসে নির্ধারিত কিছু শিক্ষার্থী, একে অপরকে পরিবেশন করে, তারপর একসঙ্গে খায়। এতে গড়ে ওঠে সহযোগিতা, কৃতজ্ঞতা এবং পরস্পরের প্রতি সম্মান।
শিক্ষক শুধু শিক্ষক নন, একটি আদর্শ
জাপানের শিক্ষকেরা শুধু পাঠদানের কাজ করেন না, তাঁরা হলেন নৈতিকতার আদর্শ। একজন শিক্ষক জানেন, তাঁর প্রতিটি কাজ ছাত্রদের কাছে শিক্ষার অনুষঙ্গ। প্রতিটি ক্লাসে সময়ানুবর্তিতা, সুশৃঙ্খল পরিবেশ এবং পাঠ্যবিষয়ের গভীরতা অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে অনুসরণ করা হয়। একজন জাপানি শিক্ষক প্রতিদিন প্রায় ১১ ঘণ্টা কাজ করেন। তবে তাঁরা এতে ক্লান্ত হন না, কারণ তাঁরা মনে করেন, এ দায়িত্ব শুধু চাকরি নয়; বরং জাতি গঠনের ভিত্তি।
‘হোমরুম’ কালচার
জাপানে প্রতিটি ক্লাসের দায়িত্ব থাকে একজন হোমরুম টিচারের ওপর। এই শিক্ষক শুধু ক্লাসে পড়ান না, শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থাও পর্যবেক্ষণ করেন। পারিবারিক সমস্যা, হতাশা, আবেগ বা আত্মবিশ্বাস; সব বিষয়ে তিনি থাকেন সজাগ। বছরের শুরুতে শিক্ষক নিজ হাতে ছাত্রদের নাম লিখে ‘স্বপ্নের খাতা’ তৈরি করেন। সেখানে লেখা থাকে, কে কী হতে চায়, কোথায় দুর্বল, কোথায় মেধাবী। বছর শেষে সেই খাতায় শিক্ষক মন্তব্য লেখেন একটি ব্যক্তিগত চিঠির মতো। এতে গড়ে ওঠে এক অন্তরঙ্গ সম্পর্ক।
গাইড করা, চাপিয়ে দেওয়া নয়
জাপানে উচ্চমাধ্যমিক এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রবেশ-পরীক্ষা অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক। তবে শিক্ষাব্যবস্থার আশ্চর্য দিক হলো, শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ প্রয়োগ না করে প্রস্তুতির সুযোগ দেওয়া হয়। বেশির ভাগ স্কুলে ‘ক্র্যাম স্কুল’ বা ‘জুকু’ রয়েছে। যেখানে শিক্ষার্থীরা ইচ্ছেমতো অতিরিক্ত সময় নিয়ে প্রস্তুতি নিতে পারে। শিক্ষকেরা গাইড করেন, কিন্তু চাপিয়ে দেন না। মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিয়ে স্কুলে ‘পরামর্শদাতা শিক্ষকদের’ রাখা হয়, যাঁদের সঙ্গে শিক্ষার্থীরা খোলামেলা কথা বলতে পারে।
আমাদের জন্য শিক্ষণীয় কী
জ্ঞান মানেই কেবল তথ্য নয়, বরং নৈতিকতা, দায়িত্ববোধ এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের শিক্ষা। আমাদের দেশে যেখানে পরীক্ষার ফলাফলই শিক্ষার মূল পরিমাপক, সেখানে জাপানে শেখানো হয় কীভাবে ভালো মানুষ হওয়া যায়, কীভাবে সমাজের একজন সক্রিয় নাগরিক হয়ে ওঠা যায়। শিশুদের মুখে হাসি, চোখে স্বপ্ন, আর মনে দায়িত্ববোধ—এই তিনে গড়ে ওঠে এক সুশৃঙ্খল জাতি। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় যদি জাপানের মতো মানবিকতা, শৃঙ্খলা ও আদর্শের স্থান দিতে পারি, তবে ভবিষ্যতের পথ আরও আলোকিত হতে পারে।

একটি শিশুর হাতে ঝাড়ু। স্কুলের করিডর নিজ হাতে মুছছে সে। ক্লাসের শেষে সবাই মিলে গ্লাস পরিষ্কার করছে, টেবিল সাজাচ্ছে, এমনকি টয়লেটও ধুয়ে নিচ্ছে নিঃসংকোচে। এটি কোনো ব্যতিক্রমী দৃশ্য নয়; বরং জাপানের প্রতিটি স্কুলে প্রতিদিনের স্বাভাবিক চিত্র। জাপানের শিক্ষাব্যবস্থা থেকে শেখার রয়েছে অনেক কিছুই।
প্রযুক্তিতে অগ্রসর, শিল্পে সমৃদ্ধ এবং শৃঙ্খলায় অতুলনীয় জাপানে শিশুর গোড়ার ভিত্তিই নির্মাণ হয় শিক্ষাব্যবস্থার ওপর। আমরা অনেকেই জানি, জাপানের স্কুলে শিক্ষার্থীরা দারুণ রেজাল্ট করে, কিন্তু এর পেছনে যে আদর্শ, নীতি এবং মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি কাজ করে, তা অনেক সময়ই আড়ালে থেকে যায়।
শিশুদের মানুষ করে তোলাই মূল উদ্দেশ্য
জাপানের শিক্ষাব্যবস্থা শুধু পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য নয়; বরং একজন ভালো মানুষ তৈরিতে তাদের শিক্ষা ভূমিকা রাখে। সেখানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম ৬ বছরে (গ্রেড ১-৬) সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় নৈতিকতা, শৃঙ্খলা, আচরণ ও সামাজিক দায়িত্ব শেখাতে। এ সময়টায় পরীক্ষার চাপ থাকে না, থাকে না কোনো র্যাঙ্ককিং ব্যবস্থাও। স্কুলের শিক্ষকেরা আগে শেখান কীভাবে শ্রদ্ধা করতে হয়, কীভাবে দলবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হয়, তারপর শেখান অঙ্ক আর ভাষা। এ ধরনের পাঠপ্রক্রিয়া একজন শিশুর মনে জাগিয়ে তোলে সহানুভূতি, দায়বদ্ধতা এবং সম্মানবোধ। যা শুধু স্কুলেই নয়, গোটা সমাজের শৃঙ্খলা রক্ষায় ভূমিকা রাখে।
স্কুল মানেই একাত্মতা, দায়িত্ব এবং পরিচ্ছন্নতা
জাপানের স্কুলে পরিচ্ছন্নতার দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের। আলাদা কোনো ঝাড়ুদার বা পরিচ্ছন্নতাকর্মী নেই। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ছাত্ররা নিজেদের ক্লাসরুম, করিডর, এমনকি বাথরুম পরিষ্কার করে। এতে গড়ে ওঠে সম্মিলিত দায়িত্ববোধ এবং নিজের কাজ নিজে করার অভ্যাস। কারণ যখন একটি শিশু জানে এই ঘরটুকু তার নিজের হাতেই পরিষ্কার রাখতে হবে, তখন সে কখনোই ময়লা ফেলে না। শুধু তা-ই নয়, শিক্ষার্থীরা নিজেরাই স্কুলে লাঞ্চ পরিবেশন করে। রান্না করা খাবার নিয়ে আসে নির্ধারিত কিছু শিক্ষার্থী, একে অপরকে পরিবেশন করে, তারপর একসঙ্গে খায়। এতে গড়ে ওঠে সহযোগিতা, কৃতজ্ঞতা এবং পরস্পরের প্রতি সম্মান।
শিক্ষক শুধু শিক্ষক নন, একটি আদর্শ
জাপানের শিক্ষকেরা শুধু পাঠদানের কাজ করেন না, তাঁরা হলেন নৈতিকতার আদর্শ। একজন শিক্ষক জানেন, তাঁর প্রতিটি কাজ ছাত্রদের কাছে শিক্ষার অনুষঙ্গ। প্রতিটি ক্লাসে সময়ানুবর্তিতা, সুশৃঙ্খল পরিবেশ এবং পাঠ্যবিষয়ের গভীরতা অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে অনুসরণ করা হয়। একজন জাপানি শিক্ষক প্রতিদিন প্রায় ১১ ঘণ্টা কাজ করেন। তবে তাঁরা এতে ক্লান্ত হন না, কারণ তাঁরা মনে করেন, এ দায়িত্ব শুধু চাকরি নয়; বরং জাতি গঠনের ভিত্তি।
‘হোমরুম’ কালচার
জাপানে প্রতিটি ক্লাসের দায়িত্ব থাকে একজন হোমরুম টিচারের ওপর। এই শিক্ষক শুধু ক্লাসে পড়ান না, শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থাও পর্যবেক্ষণ করেন। পারিবারিক সমস্যা, হতাশা, আবেগ বা আত্মবিশ্বাস; সব বিষয়ে তিনি থাকেন সজাগ। বছরের শুরুতে শিক্ষক নিজ হাতে ছাত্রদের নাম লিখে ‘স্বপ্নের খাতা’ তৈরি করেন। সেখানে লেখা থাকে, কে কী হতে চায়, কোথায় দুর্বল, কোথায় মেধাবী। বছর শেষে সেই খাতায় শিক্ষক মন্তব্য লেখেন একটি ব্যক্তিগত চিঠির মতো। এতে গড়ে ওঠে এক অন্তরঙ্গ সম্পর্ক।
গাইড করা, চাপিয়ে দেওয়া নয়
জাপানে উচ্চমাধ্যমিক এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রবেশ-পরীক্ষা অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক। তবে শিক্ষাব্যবস্থার আশ্চর্য দিক হলো, শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ প্রয়োগ না করে প্রস্তুতির সুযোগ দেওয়া হয়। বেশির ভাগ স্কুলে ‘ক্র্যাম স্কুল’ বা ‘জুকু’ রয়েছে। যেখানে শিক্ষার্থীরা ইচ্ছেমতো অতিরিক্ত সময় নিয়ে প্রস্তুতি নিতে পারে। শিক্ষকেরা গাইড করেন, কিন্তু চাপিয়ে দেন না। মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিয়ে স্কুলে ‘পরামর্শদাতা শিক্ষকদের’ রাখা হয়, যাঁদের সঙ্গে শিক্ষার্থীরা খোলামেলা কথা বলতে পারে।
আমাদের জন্য শিক্ষণীয় কী
জ্ঞান মানেই কেবল তথ্য নয়, বরং নৈতিকতা, দায়িত্ববোধ এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের শিক্ষা। আমাদের দেশে যেখানে পরীক্ষার ফলাফলই শিক্ষার মূল পরিমাপক, সেখানে জাপানে শেখানো হয় কীভাবে ভালো মানুষ হওয়া যায়, কীভাবে সমাজের একজন সক্রিয় নাগরিক হয়ে ওঠা যায়। শিশুদের মুখে হাসি, চোখে স্বপ্ন, আর মনে দায়িত্ববোধ—এই তিনে গড়ে ওঠে এক সুশৃঙ্খল জাতি। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় যদি জাপানের মতো মানবিকতা, শৃঙ্খলা ও আদর্শের স্থান দিতে পারি, তবে ভবিষ্যতের পথ আরও আলোকিত হতে পারে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) পজিটিভ ফল আসা ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদক গ্রহণ করেন না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন,
৫ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট
১০ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।
১০ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের
১৩ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ডাক্তার) ডা. শায়লা ফেরদৌস আহসান স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।
চিকিৎসা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অর্ঘ্য দাস এপিলেপসি নামক স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত এবং ২০০২ সাল থেকে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ সেবন করে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাঁর রক্ত, প্রস্রাব ও অন্যান্য টিস্যুতে বেঞ্জোডায়াজেপিনের উপস্থিতি পাওয়া স্বাভাবিক এবং ডোপ টেস্টে ফল চিকিৎসাজনিত কারণে পজিটিভ আসতে পারে। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন থাকলেও ক্লিনিক্যালি ও মানসিকভাবে সুস্থ এবং ব্যক্তিগত ও আইনি সব কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সক্ষম। তিনি কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত নন।’
ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়বিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছে। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তার ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল।’
এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘অর্ঘ্য কোনো ধরনের নেশা বা মাদক গ্রহণ করে না। চিকিৎসাগত কারণে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই এমনটা হয়েছে।’
অর্ঘ্য দাস বলেন, ‘আমি ২০০২ সাল থেকে স্নায়ুর রোগে ভুগছি এবং চিকিৎসকের পরামর্শে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ নিয়মিত সেবন করি। ঢাকা মেডিকেলে পরীক্ষায় নিশ্চিত নিশ্চত হওয়া গেছে ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসা শুধুই এই ওষুধের কারণে, কোনো মাদক নয়। আমার সম্পর্কে মাদকসংশ্লিষ্ট অপপ্রচার আমাকে ও আমার পরিবারকে অসম্মানিত করেছে। অনুরোধ করছি, এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করুন। আমি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আলো ছড়ান, ঘৃণা নয়।’
এদিকে, জকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
এর আগে, ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জকসুর সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ডাক্তার) ডা. শায়লা ফেরদৌস আহসান স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।
চিকিৎসা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অর্ঘ্য দাস এপিলেপসি নামক স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত এবং ২০০২ সাল থেকে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ সেবন করে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাঁর রক্ত, প্রস্রাব ও অন্যান্য টিস্যুতে বেঞ্জোডায়াজেপিনের উপস্থিতি পাওয়া স্বাভাবিক এবং ডোপ টেস্টে ফল চিকিৎসাজনিত কারণে পজিটিভ আসতে পারে। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন থাকলেও ক্লিনিক্যালি ও মানসিকভাবে সুস্থ এবং ব্যক্তিগত ও আইনি সব কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সক্ষম। তিনি কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত নন।’
ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়বিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছে। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তার ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল।’
এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘অর্ঘ্য কোনো ধরনের নেশা বা মাদক গ্রহণ করে না। চিকিৎসাগত কারণে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই এমনটা হয়েছে।’
অর্ঘ্য দাস বলেন, ‘আমি ২০০২ সাল থেকে স্নায়ুর রোগে ভুগছি এবং চিকিৎসকের পরামর্শে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ নিয়মিত সেবন করি। ঢাকা মেডিকেলে পরীক্ষায় নিশ্চিত নিশ্চত হওয়া গেছে ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসা শুধুই এই ওষুধের কারণে, কোনো মাদক নয়। আমার সম্পর্কে মাদকসংশ্লিষ্ট অপপ্রচার আমাকে ও আমার পরিবারকে অসম্মানিত করেছে। অনুরোধ করছি, এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করুন। আমি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আলো ছড়ান, ঘৃণা নয়।’
এদিকে, জকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
এর আগে, ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জকসুর সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়।

একটি শিশুর হাতে ঝাড়ু। স্কুলের করিডর নিজ হাতে মুছছে সে। ক্লাসের শেষে সবাই মিলে গ্লাস পরিষ্কার করছে, টেবিল সাজাচ্ছে, এমনকি টয়লেটও ধুয়ে নিচ্ছে নিঃসংকোচে। এটি কোনো ব্যতিক্রমী দৃশ্য নয়; বরং জাপানের প্রতিটি স্কুলে প্রতিদিনের স্বাভাবিক চিত্র। জাপানের শিক্ষাব্যবস্থা থেকে শেখার রয়েছে অনেক কিছুই।
১৭ মে ২০২৫
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট
১০ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।
১০ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের
১৩ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ জন প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি।
খাদিজাতুল কুবরা বলেন, প্রার্থীর এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার সনদে যে নাম আছে, এর পাশাপাশি তাঁর পরিচিত নাম প্রার্থী তালিকায় না থাকায় ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।
প্যানেলের দাবি, অবিলম্বে ওই ৪২ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক। একই সঙ্গে জকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব প্রার্থী ও প্যানেলের প্রতি সমান, নিরপেক্ষ ও ন্যায়সংগত আচরণ নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয়।
গত ১৭ ও ১৮ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের মোট ৩৪টি পদের বিপরীতে ২৪৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে ২৪ নভেম্বর প্রাথমিক তালিকায় ২৩১ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
এরপর ১১ ডিসেম্বর জকসুর ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্য দিয়ে বাদ পড়েন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৪২ জন প্রার্থী।
৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। আর ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ জন প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি।
খাদিজাতুল কুবরা বলেন, প্রার্থীর এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার সনদে যে নাম আছে, এর পাশাপাশি তাঁর পরিচিত নাম প্রার্থী তালিকায় না থাকায় ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।
প্যানেলের দাবি, অবিলম্বে ওই ৪২ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক। একই সঙ্গে জকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব প্রার্থী ও প্যানেলের প্রতি সমান, নিরপেক্ষ ও ন্যায়সংগত আচরণ নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয়।
গত ১৭ ও ১৮ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের মোট ৩৪টি পদের বিপরীতে ২৪৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে ২৪ নভেম্বর প্রাথমিক তালিকায় ২৩১ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
এরপর ১১ ডিসেম্বর জকসুর ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্য দিয়ে বাদ পড়েন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৪২ জন প্রার্থী।
৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। আর ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।

একটি শিশুর হাতে ঝাড়ু। স্কুলের করিডর নিজ হাতে মুছছে সে। ক্লাসের শেষে সবাই মিলে গ্লাস পরিষ্কার করছে, টেবিল সাজাচ্ছে, এমনকি টয়লেটও ধুয়ে নিচ্ছে নিঃসংকোচে। এটি কোনো ব্যতিক্রমী দৃশ্য নয়; বরং জাপানের প্রতিটি স্কুলে প্রতিদিনের স্বাভাবিক চিত্র। জাপানের শিক্ষাব্যবস্থা থেকে শেখার রয়েছে অনেক কিছুই।
১৭ মে ২০২৫
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) পজিটিভ ফল আসা ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদক গ্রহণ করেন না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন,
৫ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।
১০ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এর আগে আবেদনের কার্যক্রম ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল
সম্প্রতি কৃষি গুচ্ছের ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।
এবার কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসনসংখ্যা ৩ হাজার ৭০১টি। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩ জানুয়ারি। ওই দিন বেলা ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত চলবে এই পরীক্ষা।
কৃষি গুচ্ছের আওতাধীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এর আগে আবেদনের কার্যক্রম ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল
সম্প্রতি কৃষি গুচ্ছের ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।
এবার কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসনসংখ্যা ৩ হাজার ৭০১টি। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩ জানুয়ারি। ওই দিন বেলা ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত চলবে এই পরীক্ষা।
কৃষি গুচ্ছের আওতাধীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

একটি শিশুর হাতে ঝাড়ু। স্কুলের করিডর নিজ হাতে মুছছে সে। ক্লাসের শেষে সবাই মিলে গ্লাস পরিষ্কার করছে, টেবিল সাজাচ্ছে, এমনকি টয়লেটও ধুয়ে নিচ্ছে নিঃসংকোচে। এটি কোনো ব্যতিক্রমী দৃশ্য নয়; বরং জাপানের প্রতিটি স্কুলে প্রতিদিনের স্বাভাবিক চিত্র। জাপানের শিক্ষাব্যবস্থা থেকে শেখার রয়েছে অনেক কিছুই।
১৭ মে ২০২৫
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) পজিটিভ ফল আসা ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদক গ্রহণ করেন না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন,
৫ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট
১০ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের
১৩ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
জবি উপাচার্য বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ ও কল্যাণ রাষ্ট্রের স্বপ্নে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধারা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। কিন্তু ৫৪ বছরে আমরা সেই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছি, যার মূল্য দিতে হয়েছে ২৪-এর জুলাই–আগস্টে বহু ছাত্র–জনতাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ এবং বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে শহীদদের স্বপ্ন পূরণ হবে। বাংলাদেশ একটু একটু করে সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।’
এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ছিলেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
জবি উপাচার্য বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ ও কল্যাণ রাষ্ট্রের স্বপ্নে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধারা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। কিন্তু ৫৪ বছরে আমরা সেই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছি, যার মূল্য দিতে হয়েছে ২৪-এর জুলাই–আগস্টে বহু ছাত্র–জনতাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ এবং বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে শহীদদের স্বপ্ন পূরণ হবে। বাংলাদেশ একটু একটু করে সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।’
এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ছিলেন।

একটি শিশুর হাতে ঝাড়ু। স্কুলের করিডর নিজ হাতে মুছছে সে। ক্লাসের শেষে সবাই মিলে গ্লাস পরিষ্কার করছে, টেবিল সাজাচ্ছে, এমনকি টয়লেটও ধুয়ে নিচ্ছে নিঃসংকোচে। এটি কোনো ব্যতিক্রমী দৃশ্য নয়; বরং জাপানের প্রতিটি স্কুলে প্রতিদিনের স্বাভাবিক চিত্র। জাপানের শিক্ষাব্যবস্থা থেকে শেখার রয়েছে অনেক কিছুই।
১৭ মে ২০২৫
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) পজিটিভ ফল আসা ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদক গ্রহণ করেন না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন,
৫ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট
১০ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।
১০ ঘণ্টা আগে