Ajker Patrika

উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনে ‘উদাসীন’ জাবি প্রশাসন

বেলাল হোসেন, জাবি
আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৪: ১১
উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনে ‘উদাসীন’ জাবি প্রশাসন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আইনে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও এ নিয়ে উদাসীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এমনকি উপাচার্য নির্বাচনের বিষয়ে উৎসাহ নেই শিক্ষক সংগঠনগুলোর মধ্যে। তবে নতুন উপাচার্যের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছে আগ্রহ।

আগামী ২ মার্চ দেশের প্রথম নারী উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হবে। তিনি ২০১৪ সাল থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৮ সালের মার্চে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পান নৃবিজ্ঞান বিভাগের এই অধ্যাপক

গত এক দশকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিজ উদ্যোগে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন আহ্বান করেনি। ২০১৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক এম এ মতিনের আমলে রাষ্ট্রপতির আদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন হয়েছিল। তার আগে ২০১৩ সালের অক্টোবরে উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনকে প্যানেল নির্বাচনের পরামর্শ দিয়েছিল জাতীয় সংসদের শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। এ ছাড়া ২০১২ সালের ২০ জুলাই অনুষ্ঠিত উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয় সরকারের উচ্চমহলের নির্দেশে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ বলেন, ‘উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনে রাষ্ট্রপতির নির্দেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে। তবে এ ধরনের কোনো নির্দেশ এখনো পাইনি। অথবা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আচার্য বরাবর নির্বাচনের জন্য আবেদন করতে হয়। সেটাও করা হয়নি। তাছাড়া সিনেট অধিবেশন ডাকতেও আমাদের ৩০ দিন আগে বিজ্ঞপ্তি দিতে হয়। এর জন্য পূর্বপ্রস্তুতির প্রয়োজন আছে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলার জন্য সময়ের প্রয়োজন আছে।’ 

এদিকে সিনেট সদস্য ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান বলেন, ‘আমরা এখনো সিনেট অধিবেশনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞপ্তি পাইনি। আমাদের দাবি, অনতিবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন স্বউদ্যোগে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন করে মনোনীত ব্যক্তিদের তালিকা আচার্যের দপ্তরে পাঠাবে।’

এ বিষয়ে নাম না প্রকাশের শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাবেক উপাচার্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হলে জ্যেষ্ঠ উপউপাচার্যকে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়, যা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের আইনে বর্ণিত আছে। সে ক্ষেত্রে নিয়োগকৃত নতুন উপাচার্যকে বিদ্যমান সিনেটে ৩০ দিনের মধ্যে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে একই ব্যক্তিকে তৃতীয় মেয়াদে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়ার বিধান নেই।’

তৎপরতা নেই শিক্ষক সংগঠনগুলোর:
২০১৮ সালে উপাচার্য ফারজানা ইসলামের প্রথম মেয়াদ শেষ হয়। তখন উপাচার্যবিরোধী শিক্ষক সংগঠনগুলো প্যানেল নির্বাচনের দাবিতে সরব ছিল। এই দাবিতে তারা বিভিন্ন সময়ে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করে। তবে এবারের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। মাত্র ২৫ দিন উপাচার্যের মেয়াদ থাকলেও এ নিয়ে কোনো কর্মসূচি ও পরিকল্পনা জানায়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠনগুলো।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের দুটি সংগঠন রয়েছে, যার একটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির। এই সংগঠনের নাম ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’। এর সভাপতি প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল জব্বার হাওলাদার। 

অধ্যাপক হাওলাদার বলেন, ‘এবার নির্বাচনের দাবিতে আমাদের কোনো কর্মসূচি ও পরিকল্পনা নেই। তা ছাড়া আমরা মনে করি এই দাবিতে কিছু করার সময় এখনো হয়নি। এতে সরকার তথা নীতনির্ধারকেরা নাখোশ হবে। তবে আমাদের প্রত্যাশা, সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ মেনে সিনেটের মনোনীত ব্যক্তিকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেবে। অথবা কাউকে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দিয়ে প্যানেল নির্বাচনের জন্য সময় বেঁধে দিলে ভালো হবে।’ 

উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের প্রধান পৃষ্ঠপোষকতায় আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের অপর সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’। এর বর্তমান সভাপতি পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক অজিত ‍কুমার মজুমদার, যিনি আগের সংগঠনেরও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তখন তিনি উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন। 

এবারের নির্বাচনের বিষয়ে অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার বলেন, ‘এখন উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের জন্য পর্যাপ্ত সময় নেই। এই অবস্থায় প্যানেল নির্বাচন দাবি করাটা যৌক্তিক হবে না। এই অবস্থায় সরকার যেটা ভালো বুঝবে, সেটাই আমাদের মেনে নিতে হবে। কারণ আমাদের সিনেটেও অধিকাংশ সদস্যের মেয়াদ শেষ হয়েছে। আবার সিনেটে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও এমপি রয়েছেন। তাই এই নির্বাচনের আগে সরকারের নির্দেশনা জরুরি ছিল। কিন্তু সেই প্রক্রিয়া মেনে নির্বাচন করতে অনেক সময়ের প্রয়োজন।’ 

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক উপাচার্যপন্থী শিক্ষকেরা বলছেন, অধ্যাদেশের নিয়ম অনুসরণ করে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন সবার দাবি। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক পরিবেশ অক্ষুণ্ন থাকবে। ফলে নতুন উপাচার্যের গ্রহণযোগ্যতাও বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু বর্তমান উপাচার্য আবারও দায়িত্ব পালনে আগ্রহী। তাই স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষক সংগঠনগুলো প্রকাশ্যে দাবি জানাতে পারছে না।  

অন্যদিকে ‘জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম’ নামে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনপিপন্থী শিক্ষক সংগঠন রয়েছে দুটি। তাদেরও উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন নিয়ে প্রকাশ্য কর্মসূচি দৃশ্যমান হয়নি। 

এ ব্যাপারে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের নেতা ও শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক সোহেল রানা বলেন, ‘আমরা হয়তো বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে দলীয় ফোরাম থেকে দাবি জানাতে পারছি না। কিন্তু আমাদের প্রত্যেক সদস্য চায় অধ্যাদেশ অনুসরণ করে গণতান্ত্রিক উপায়ে উপাচার্য নিয়োগ হোক। তা ছাড়া এখনকার দাবিগুলো কোনো কাজে আসে না। ফলে এই দাবিতে কর্মসূচি করা মানে উলু বনে মুক্তো ছড়ানো।’ 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক মঞ্চের আহ্বায়ক অধ্যাপক রায়হান রাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্যানেল নির্বাচন আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। এর আগে আমরা এই দাবিতে কর্মসূচি পালন করেছি। কিন্তু সরকারের কাছে আমাদের দাবি বারবার উপেক্ষিত হয়েছে। ২০১৮ সালে আমাদের দাবির প্রতি অবজ্ঞার কারণে এ বিষয়ে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছে সচেতন শিক্ষকেরা। পরিকল্পনা গৃহীত না হলেও শিক্ষক মঞ্চ এ ব্যাপারে আলোচনা করছে। তা ছাড়া সরকার যেভাবে উপাচার্য নিয়োগ করে থাকে তা আইনত বৈধ হলেও নৈতিকতার মানদণ্ডে ফলপ্রসূ নয়।’ 

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ বলেন, ‘শিক্ষক সমিতিতে আলোচনা এখনো হয়নি। তাই স্পষ্ট করে কিছুই বলা যাচ্ছে না। উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের বিষয়ে আমার কোনো ব্যক্তিগত অভিমত নেই।’ 

প্যানেল নির্বাচনে বাধা: 
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ৯৩ জন মনোনীত ও নির্বাচিত সদস্য নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট গঠিত হয়। যাদের দায়িত্বের গুরুত্বপূর্ণ অংশ তিন সদস্যের উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন করে আচার্যের কাছে পাঠানো। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধিদের পাঁচটি পদ শূন্য রয়েছে। এরই মধ্যে রাষ্ট্রপতি মনোনীত পাঁচজন শিক্ষাবিদ, শিক্ষক প্রতিনিধিদের নির্বাচিত ৩৩ জন এবং রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটদের নির্বাচিত প্রতিনিধি ২৫ জনের তিন বছর মেয়াদও শেষ হয়েছে। এতে সিনেটের ৬৩টি সদস্যপদে নতুন করে মনোনয়ন ও নির্বাচনের প্রয়োজন রয়েছে। সে অনুযায়ী শুধু পাঁচজন পদাধিকারবলে ও ২০ জন মনোনীত সিনেটরের বৈধ মেয়াদ রয়েছে।

অন্যদিকে অধ্যাদেশের ২০ (২) ধারা অনুসারে সিনেটের জরুরি অধিবেশনের জন্যও কমপক্ষে ৩০ জন সিনেটরের লিখিত অনুমোদন প্রয়োজন। তবে ১৯ (২) ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, সিনেটরদের উত্তরাধিকারী মনোনীত অথবা নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত সিনেটররা নিজেদের দায়িত্বে বহাল থাকবেন। 

সিনেট সদস্য ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাধারণত বার্ষিক সিনেট অধিবেশনের জন্য ৩০ দিন সময়ের প্রয়োজন। তবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের কার্য পরিচালনা বিধি, ২০১৫-তে ৩ এর (খ)-২ ধারা অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য যেকোনো সময় সিনেট অধিবেশন আহ্বান করতে পারেন এবং প্যানেল নির্বাচন দিতে পারেন। আমি উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের কাছে দাবি জানাই, দ্রুত সিনেট অধিবেশন ডেকে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দায়িত্ববোধের পরিচয় দিন।’ 

উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভাবনা:
বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইতিবাচক ভাবনা রয়েছে। তাঁরা বলছেন, এমন কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক হয়ে আসুক যেন তাঁকে নিয়ে কোনো বিতর্ক না থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কল্যাণে যেকোনো পদক্ষেপ নিতে তিনি যেন পিছু না হটেন।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হিসেবে সেই শিক্ষককে দেখতে চাই, যিনি শিক্ষক হিসেবে সৎ, গবেষক হিসেবে যার পরিচিতি আছে, যিনি অন্যায়ভাবে চাপের কাছে নতি স্বীকার করবেন না। উপাচার্য হোক সেই শিক্ষক, যাঁর কাছে শিক্ষা ও গবেষণা প্রধান বিষয় হবে। যেখানে দলীয় ক্যাডার বাহিনী অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার কোনো সুযোগ পাবে না।’ 

বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাকিবুল রনি বলেন, ‘সাধারণত রাজনৈতিক প্রভাব এবং সরকারের উচ্চপর্যায়ে যোগাযোগের ক্ষেত্রে যাঁরা এগিয়ে থাকেন, তাঁদের উপাচার্যের গদিতে বসানো হয়। এতে সরকারের আশীর্বাদপ্রাপ্ত দলীয় শিক্ষক সরকারের এজেন্ডা নিয়ে উপাচার্যের চেয়ারে বসেন। ফলে দলীয় নির্দেশনা বাস্তবায়ন, দলীয় শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানে ব্যস্ত থাকেন তিনি। এমনকি ভাগ-বাঁটোয়ারা সংক্রান্ত ঝামেলা মিটিয়ে নিজের পদ বাঁচাতে ব্যস্ত থাকতে হয় নতুন উপাচার্যকে। তাঁর সময় থাকে না শিক্ষার্থীসহ ক্যাম্পাসের অন্যান্য অংশীজনদের নিয়ে ভাববার। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষা ও গবেষণায় অনন্য উচ্চতায় নিতে আগ্রহী শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দরকার।’ 

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগরের নতুন উপাচার্য হিসেবে একজন দক্ষ প্রশাসক ও পরিচালক প্রত্যাশা করি, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ও গবেষণায় অসামান্য অবদান রাখতে পারবেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে। শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ দাবির বিষয়ে তিনি আন্তরিক হবেন এবং ছাত্রবান্ধব ক্যাম্পাস গঠনে নিজেকে মনোনিবেশ করবেন। এ জন্য নিয়মিত জাকসু নির্বাচন ও সমাবর্তন আয়োজনের ব্যাপারে কুণ্ঠাবোধ করবেন না।’ 

উপাচার্য সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

আনিস আলমগীর এখনো ডিবি কার্যালয়ে

ইডেনের সেই ছাত্রীকে বিয়ের ছয় মাস পর নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চার্জশিট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা: ইংরেজি বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ সাজেশন (পর্ব-২)

শিক্ষা ডেস্ক
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা: ইংরেজি বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ সাজেশন (পর্ব-২)

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।

[গতকালের পর]

ভোকাবুলারি (৪-৫ নম্বর)

১. Synonyms & Antonyms:

পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসার প্রবণতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বেশি নতুন শব্দ মুখস্থ করার চেয়ে বিগত বছরের প্রশ্ন—বিশেষ করে বিসিএস ও প্রাইমারি পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো সমাধান করাই বেশি কার্যকর।

২. Spelling Correction:

Confusing spelling-এ বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে রোগের নাম যেমন—Pneumonia, Typhoid, Diarrhoea, Cholera। এ ছাড়া Lieutenant, accommodate, committee, privilege, questionnaire, opportunity ইত্যাদি শব্দের বানান ভালোভাবে অনুশীলন করা প্রয়োজন।

৩. Idioms & Phrases:

পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ idioms—At a glance, By heart, Bring about, Turn down, Keep pace with, Look forward to ইত্যাদি। পাশাপাশি বিগত বছরের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা idioms and phrases ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। One word substitution টপিকটিও প্রস্তুতির অন্তর্ভুক্ত রাখা উচিত।

ইংরেজি সাহিত্য (১-২ নম্বর)

যদিও তুলনামূলকভাবে কম নম্বর আসে, তবু কিছু বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। Literary terms—simile, metaphor, plot, stanza, biography, autobiography, ballad, digressing, poetic justice, irony ইত্যাদি জানা থাকা প্রয়োজন।

জনপ্রিয় লেখক:

William Shakespeare, William Wordsworth, Charles Dickens, George Bernard Shaw, Ernest Hemingway, P. B. Shelley, John Keats—এরা গুরুত্বপূর্ণ।

এ ছাড়া কিছু বিখ্যাত গ্রন্থ ও লেখকের নাম জানা থাকা দরকার, যেমন—War and Peace, India Wins Freedom, The Politics, The Three Musketeers, Crime and Punishment, A Long Walk to Freedom, Animal Farm।

প্রস্তুতির বিশেষ নির্দেশনা

প্রতিদিন অন্তত ১ ঘণ্টা ইংরেজি ব্যাকরণ অনুশীলন করুন। নিয়মিত মডেল টেস্ট ও আগের প্রশ্নপত্র সমাধান করুন। প্রতিদিন অন্তত ১০টি vocabulary শব্দ মুখস্থ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ছোট ইংরেজি প্যাসেজ পড়ে tense, verb ও article শনাক্ত করার চর্চা করুন। ভুল উত্তরগুলো আলাদা খাতায় নোট করে নিয়মিত পুনরাবৃত্তি করুন।

ইংরেজি অংশে ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য জরুরি হলো নিয়মিত অনুশীলন এবং প্রতিটি গ্রামারের অধ্যায় থেকে ছোট ছোট অনুশীলনী সমাধান করা। ওপরের সাজেশন অনুযায়ী প্রস্তুতি নিলে পরীক্ষার্থীরা সহজে ইংরেজি অংশে উচ্চ স্কোর অর্জন করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করা যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

আনিস আলমগীর এখনো ডিবি কার্যালয়ে

ইডেনের সেই ছাত্রীকে বিয়ের ছয় মাস পর নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চার্জশিট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইতালিতে ক্যামেরিনো বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি

শিক্ষা ডেস্ক
ইতালিতে ক্যামেরিনো বিশ্ববিদ্যালয়ে
বৃত্তি

ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির আওতায় দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য বৃত্তিটি প্রযোজ্য।

ইতালির মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনো দেশটির অন্যতম প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৩৩৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ও আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণার জন্য বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ, আধুনিক ল্যাব ও গবেষণাগার এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সহায়তা কর্মসূচির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষ রয়েছে।

বৃত্তির ধরন

ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোতে পড়াশোনার জন্য একাধিক রকমের স্কলারশিপ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইতালিয়ান গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ। এই বৃত্তি রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত হয়। মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ইউনিক্যাম এক্সেলেন্স স্কলারশিপ। এটি মূলত মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ের উচ্চ ফলাফলধারী শিক্ষার্থীদের জন্য দেওয়া হয়। ইউরোপজুড়ে শিক্ষার্থী বিনিময় ও মবিলিটির জন্য রয়েছে ইরাসমাস প্রোগ্রাম। পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে মার্কে রিজিওনাল স্কলারশিপ।

সুযোগ-সুবিধা

ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বিভিন্ন বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা পাবেন উল্লেখযোগ্য আর্থিক সহায়তা। এসব বৃত্তির মাধ্যমে সম্পূর্ণ অথবা আংশিক টিউশন ফি মওকুফের সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাসিক জীবনযাত্রার খরচ বহনের জন্য ৩০০-৮০০ ইউরো পর্যন্ত স্টাইপেন্ড সুবিধা রয়েছে। যোগ্য শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা মূল্যে আবাসন অথবা স্বল্প খরচে ভর্তুকিযুক্ত আবাসনের ব্যবস্থাও রয়েছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দেওয়া হবে হেলথ ইনস্যুরেন্স সুবিধা। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ইতালিয়ান ভাষা শেখার কোর্সে অংশ নেওয়ার সুযোগও থাকছে।

আবেদনের যোগ্যতা

বিশ্বের সব দেশের শিক্ষার্থীরা বৃত্তিটির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে প্রার্থীর পূর্ববর্তী শিক্ষাজীবনে ভালো একাডেমিক ফলাফল থাকতে হবে। স্নাতক প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের সনদ থাকতে হবে এবং মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য অবশ্যই স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে হবে। ভাষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে আইইএলটিএস বাধ্যতামূলক নয়। তবে আবেদনকারীকে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে। যেমন ইংরেজি মাধ্যমে পূর্ববর্তী পড়াশোনার সনদ বা অন্য স্বীকৃত ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট থাকতে হবে।

অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো

ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোতে শিক্ষার্থীরা তাঁদের আগ্রহ ও ভবিষ্যৎ লক্ষ্য অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন। প্রধান একাডেমিক ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, লাইফ সায়েন্সেস, আর্কিটেকচার ও ডিজাইন, সামাজিক বিজ্ঞান এবং ফার্মেসি ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান।

আবেদন পদ্ধতি

আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: ৩১ মার্চ, ২০২৬।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

আনিস আলমগীর এখনো ডিবি কার্যালয়ে

ইডেনের সেই ছাত্রীকে বিয়ের ছয় মাস পর নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চার্জশিট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জকসু ছাত্রদলের প্রার্থী অর্ঘ্য মাদকাসক্ত নন, ওষুধের কারণে ডোপ টেস্ট পজিটিভ: চিকিৎসক

জবি প্রতিনিধি 
অর্ঘ্য দাস। ছবি: সংগৃহীত
অর্ঘ্য দাস। ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।

আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ডাক্তার) ডা. শায়লা ফেরদৌস আহসান স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।

চিকিৎসা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অর্ঘ্য দাস এপিলেপসি নামক স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত এবং ২০০২ সাল থেকে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ সেবন করে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাঁর রক্ত, প্রস্রাব ও অন্যান্য টিস্যুতে বেঞ্জোডায়াজেপিনের উপস্থিতি পাওয়া স্বাভাবিক এবং ডোপ টেস্টে ফল চিকিৎসাজনিত কারণে পজিটিভ আসতে পারে। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন থাকলেও ক্লিনিক্যালি ও মানসিকভাবে সুস্থ এবং ব্যক্তিগত ও আইনি সব কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সক্ষম। তিনি কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত নন।’

‎ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়বিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছে। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তার ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল।’

এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘অর্ঘ্য কোনো ধরনের নেশা বা মাদক গ্রহণ করে না। চিকিৎসাগত কারণে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই এমনটা হয়েছে।’

অর্ঘ্য দাস বলেন, ‘আমি ২০০২ সাল থেকে স্নায়ুর রোগে ভুগছি এবং চিকিৎসকের পরামর্শে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ নিয়মিত সেবন করি। ঢাকা মেডিকেলে পরীক্ষায় নিশ্চিত নিশ্চত হওয়া গেছে ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসা শুধুই এই ওষুধের কারণে, কোনো মাদক নয়। আমার সম্পর্কে মাদকসংশ্লিষ্ট অপপ্রচার আমাকে ও আমার পরিবারকে অসম্মানিত করেছে। অনুরোধ করছি, এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করুন। আমি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আলো ছড়ান, ঘৃণা নয়।’ ‎

এদিকে, জকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। ‎বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।

‎এর আগে, ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জকসুর সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

আনিস আলমগীর এখনো ডিবি কার্যালয়ে

ইডেনের সেই ছাত্রীকে বিয়ের ছয় মাস পর নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চার্জশিট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচন: ৪২ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি

জবি প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ২২
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ জন প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। ‎

বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা। ‎

‎তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি।

খাদিজাতুল কুবরা বলেন, প্রার্থীর এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার সনদে যে নাম আছে, এর পাশাপাশি তাঁর পরিচিত নাম প্রার্থী তালিকায় না থাকায় ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।‎

‎প্যানেলের দাবি, অবিলম্বে ওই ৪২ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক। একই সঙ্গে জকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব প্রার্থী ও প্যানেলের প্রতি সমান, নিরপেক্ষ ও ন্যায়সংগত আচরণ নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয়। ‎

‎গত ১৭ ও ১৮ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের মোট ৩৪টি পদের বিপরীতে ২৪৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে ২৪ নভেম্বর প্রাথমিক তালিকায় ২৩১ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। ‎

এরপর ১১ ডিসেম্বর জকসুর ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্য দিয়ে বাদ পড়েন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৪২ জন প্রার্থী।

৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। আর ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

আনিস আলমগীর এখনো ডিবি কার্যালয়ে

ইডেনের সেই ছাত্রীকে বিয়ের ছয় মাস পর নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চার্জশিট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত