বেলাল হোসেন, জাবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আইনে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও এ নিয়ে উদাসীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এমনকি উপাচার্য নির্বাচনের বিষয়ে উৎসাহ নেই শিক্ষক সংগঠনগুলোর মধ্যে। তবে নতুন উপাচার্যের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছে আগ্রহ।
আগামী ২ মার্চ দেশের প্রথম নারী উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হবে। তিনি ২০১৪ সাল থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৮ সালের মার্চে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পান নৃবিজ্ঞান বিভাগের এই অধ্যাপক।
গত এক দশকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিজ উদ্যোগে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন আহ্বান করেনি। ২০১৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক এম এ মতিনের আমলে রাষ্ট্রপতির আদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন হয়েছিল। তার আগে ২০১৩ সালের অক্টোবরে উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনকে প্যানেল নির্বাচনের পরামর্শ দিয়েছিল জাতীয় সংসদের শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। এ ছাড়া ২০১২ সালের ২০ জুলাই অনুষ্ঠিত উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয় সরকারের উচ্চমহলের নির্দেশে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ বলেন, ‘উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনে রাষ্ট্রপতির নির্দেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে। তবে এ ধরনের কোনো নির্দেশ এখনো পাইনি। অথবা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আচার্য বরাবর নির্বাচনের জন্য আবেদন করতে হয়। সেটাও করা হয়নি। তাছাড়া সিনেট অধিবেশন ডাকতেও আমাদের ৩০ দিন আগে বিজ্ঞপ্তি দিতে হয়। এর জন্য পূর্বপ্রস্তুতির প্রয়োজন আছে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলার জন্য সময়ের প্রয়োজন আছে।’
এদিকে সিনেট সদস্য ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান বলেন, ‘আমরা এখনো সিনেট অধিবেশনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞপ্তি পাইনি। আমাদের দাবি, অনতিবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন স্বউদ্যোগে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন করে মনোনীত ব্যক্তিদের তালিকা আচার্যের দপ্তরে পাঠাবে।’
এ বিষয়ে নাম না প্রকাশের শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাবেক উপাচার্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হলে জ্যেষ্ঠ উপউপাচার্যকে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়, যা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের আইনে বর্ণিত আছে। সে ক্ষেত্রে নিয়োগকৃত নতুন উপাচার্যকে বিদ্যমান সিনেটে ৩০ দিনের মধ্যে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে একই ব্যক্তিকে তৃতীয় মেয়াদে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়ার বিধান নেই।’
তৎপরতা নেই শিক্ষক সংগঠনগুলোর:
২০১৮ সালে উপাচার্য ফারজানা ইসলামের প্রথম মেয়াদ শেষ হয়। তখন উপাচার্যবিরোধী শিক্ষক সংগঠনগুলো প্যানেল নির্বাচনের দাবিতে সরব ছিল। এই দাবিতে তারা বিভিন্ন সময়ে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করে। তবে এবারের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। মাত্র ২৫ দিন উপাচার্যের মেয়াদ থাকলেও এ নিয়ে কোনো কর্মসূচি ও পরিকল্পনা জানায়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠনগুলো।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের দুটি সংগঠন রয়েছে, যার একটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির। এই সংগঠনের নাম ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’। এর সভাপতি প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল জব্বার হাওলাদার।
অধ্যাপক হাওলাদার বলেন, ‘এবার নির্বাচনের দাবিতে আমাদের কোনো কর্মসূচি ও পরিকল্পনা নেই। তা ছাড়া আমরা মনে করি এই দাবিতে কিছু করার সময় এখনো হয়নি। এতে সরকার তথা নীতনির্ধারকেরা নাখোশ হবে। তবে আমাদের প্রত্যাশা, সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ মেনে সিনেটের মনোনীত ব্যক্তিকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেবে। অথবা কাউকে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দিয়ে প্যানেল নির্বাচনের জন্য সময় বেঁধে দিলে ভালো হবে।’
উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের প্রধান পৃষ্ঠপোষকতায় আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের অপর সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’। এর বর্তমান সভাপতি পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার, যিনি আগের সংগঠনেরও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তখন তিনি উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন।
এবারের নির্বাচনের বিষয়ে অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার বলেন, ‘এখন উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের জন্য পর্যাপ্ত সময় নেই। এই অবস্থায় প্যানেল নির্বাচন দাবি করাটা যৌক্তিক হবে না। এই অবস্থায় সরকার যেটা ভালো বুঝবে, সেটাই আমাদের মেনে নিতে হবে। কারণ আমাদের সিনেটেও অধিকাংশ সদস্যের মেয়াদ শেষ হয়েছে। আবার সিনেটে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও এমপি রয়েছেন। তাই এই নির্বাচনের আগে সরকারের নির্দেশনা জরুরি ছিল। কিন্তু সেই প্রক্রিয়া মেনে নির্বাচন করতে অনেক সময়ের প্রয়োজন।’
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক উপাচার্যপন্থী শিক্ষকেরা বলছেন, অধ্যাদেশের নিয়ম অনুসরণ করে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন সবার দাবি। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক পরিবেশ অক্ষুণ্ন থাকবে। ফলে নতুন উপাচার্যের গ্রহণযোগ্যতাও বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু বর্তমান উপাচার্য আবারও দায়িত্ব পালনে আগ্রহী। তাই স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষক সংগঠনগুলো প্রকাশ্যে দাবি জানাতে পারছে না।
অন্যদিকে ‘জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম’ নামে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনপিপন্থী শিক্ষক সংগঠন রয়েছে দুটি। তাদেরও উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন নিয়ে প্রকাশ্য কর্মসূচি দৃশ্যমান হয়নি।
এ ব্যাপারে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের নেতা ও শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক সোহেল রানা বলেন, ‘আমরা হয়তো বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে দলীয় ফোরাম থেকে দাবি জানাতে পারছি না। কিন্তু আমাদের প্রত্যেক সদস্য চায় অধ্যাদেশ অনুসরণ করে গণতান্ত্রিক উপায়ে উপাচার্য নিয়োগ হোক। তা ছাড়া এখনকার দাবিগুলো কোনো কাজে আসে না। ফলে এই দাবিতে কর্মসূচি করা মানে উলু বনে মুক্তো ছড়ানো।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক মঞ্চের আহ্বায়ক অধ্যাপক রায়হান রাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্যানেল নির্বাচন আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। এর আগে আমরা এই দাবিতে কর্মসূচি পালন করেছি। কিন্তু সরকারের কাছে আমাদের দাবি বারবার উপেক্ষিত হয়েছে। ২০১৮ সালে আমাদের দাবির প্রতি অবজ্ঞার কারণে এ বিষয়ে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছে সচেতন শিক্ষকেরা। পরিকল্পনা গৃহীত না হলেও শিক্ষক মঞ্চ এ ব্যাপারে আলোচনা করছে। তা ছাড়া সরকার যেভাবে উপাচার্য নিয়োগ করে থাকে তা আইনত বৈধ হলেও নৈতিকতার মানদণ্ডে ফলপ্রসূ নয়।’
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ বলেন, ‘শিক্ষক সমিতিতে আলোচনা এখনো হয়নি। তাই স্পষ্ট করে কিছুই বলা যাচ্ছে না। উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের বিষয়ে আমার কোনো ব্যক্তিগত অভিমত নেই।’
প্যানেল নির্বাচনে বাধা:
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ৯৩ জন মনোনীত ও নির্বাচিত সদস্য নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট গঠিত হয়। যাদের দায়িত্বের গুরুত্বপূর্ণ অংশ তিন সদস্যের উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন করে আচার্যের কাছে পাঠানো। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধিদের পাঁচটি পদ শূন্য রয়েছে। এরই মধ্যে রাষ্ট্রপতি মনোনীত পাঁচজন শিক্ষাবিদ, শিক্ষক প্রতিনিধিদের নির্বাচিত ৩৩ জন এবং রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটদের নির্বাচিত প্রতিনিধি ২৫ জনের তিন বছর মেয়াদও শেষ হয়েছে। এতে সিনেটের ৬৩টি সদস্যপদে নতুন করে মনোনয়ন ও নির্বাচনের প্রয়োজন রয়েছে। সে অনুযায়ী শুধু পাঁচজন পদাধিকারবলে ও ২০ জন মনোনীত সিনেটরের বৈধ মেয়াদ রয়েছে।
অন্যদিকে অধ্যাদেশের ২০ (২) ধারা অনুসারে সিনেটের জরুরি অধিবেশনের জন্যও কমপক্ষে ৩০ জন সিনেটরের লিখিত অনুমোদন প্রয়োজন। তবে ১৯ (২) ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, সিনেটরদের উত্তরাধিকারী মনোনীত অথবা নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত সিনেটররা নিজেদের দায়িত্বে বহাল থাকবেন।
সিনেট সদস্য ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাধারণত বার্ষিক সিনেট অধিবেশনের জন্য ৩০ দিন সময়ের প্রয়োজন। তবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের কার্য পরিচালনা বিধি, ২০১৫-তে ৩ এর (খ)-২ ধারা অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য যেকোনো সময় সিনেট অধিবেশন আহ্বান করতে পারেন এবং প্যানেল নির্বাচন দিতে পারেন। আমি উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের কাছে দাবি জানাই, দ্রুত সিনেট অধিবেশন ডেকে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দায়িত্ববোধের পরিচয় দিন।’
উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভাবনা:
বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইতিবাচক ভাবনা রয়েছে। তাঁরা বলছেন, এমন কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক হয়ে আসুক যেন তাঁকে নিয়ে কোনো বিতর্ক না থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কল্যাণে যেকোনো পদক্ষেপ নিতে তিনি যেন পিছু না হটেন।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হিসেবে সেই শিক্ষককে দেখতে চাই, যিনি শিক্ষক হিসেবে সৎ, গবেষক হিসেবে যার পরিচিতি আছে, যিনি অন্যায়ভাবে চাপের কাছে নতি স্বীকার করবেন না। উপাচার্য হোক সেই শিক্ষক, যাঁর কাছে শিক্ষা ও গবেষণা প্রধান বিষয় হবে। যেখানে দলীয় ক্যাডার বাহিনী অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার কোনো সুযোগ পাবে না।’
বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাকিবুল রনি বলেন, ‘সাধারণত রাজনৈতিক প্রভাব এবং সরকারের উচ্চপর্যায়ে যোগাযোগের ক্ষেত্রে যাঁরা এগিয়ে থাকেন, তাঁদের উপাচার্যের গদিতে বসানো হয়। এতে সরকারের আশীর্বাদপ্রাপ্ত দলীয় শিক্ষক সরকারের এজেন্ডা নিয়ে উপাচার্যের চেয়ারে বসেন। ফলে দলীয় নির্দেশনা বাস্তবায়ন, দলীয় শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানে ব্যস্ত থাকেন তিনি। এমনকি ভাগ-বাঁটোয়ারা সংক্রান্ত ঝামেলা মিটিয়ে নিজের পদ বাঁচাতে ব্যস্ত থাকতে হয় নতুন উপাচার্যকে। তাঁর সময় থাকে না শিক্ষার্থীসহ ক্যাম্পাসের অন্যান্য অংশীজনদের নিয়ে ভাববার। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষা ও গবেষণায় অনন্য উচ্চতায় নিতে আগ্রহী শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দরকার।’
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগরের নতুন উপাচার্য হিসেবে একজন দক্ষ প্রশাসক ও পরিচালক প্রত্যাশা করি, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ও গবেষণায় অসামান্য অবদান রাখতে পারবেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে। শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ দাবির বিষয়ে তিনি আন্তরিক হবেন এবং ছাত্রবান্ধব ক্যাম্পাস গঠনে নিজেকে মনোনিবেশ করবেন। এ জন্য নিয়মিত জাকসু নির্বাচন ও সমাবর্তন আয়োজনের ব্যাপারে কুণ্ঠাবোধ করবেন না।’
উপাচার্য সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আইনে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও এ নিয়ে উদাসীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এমনকি উপাচার্য নির্বাচনের বিষয়ে উৎসাহ নেই শিক্ষক সংগঠনগুলোর মধ্যে। তবে নতুন উপাচার্যের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছে আগ্রহ।
আগামী ২ মার্চ দেশের প্রথম নারী উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হবে। তিনি ২০১৪ সাল থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৮ সালের মার্চে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পান নৃবিজ্ঞান বিভাগের এই অধ্যাপক।
গত এক দশকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিজ উদ্যোগে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন আহ্বান করেনি। ২০১৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক এম এ মতিনের আমলে রাষ্ট্রপতির আদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন হয়েছিল। তার আগে ২০১৩ সালের অক্টোবরে উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনকে প্যানেল নির্বাচনের পরামর্শ দিয়েছিল জাতীয় সংসদের শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। এ ছাড়া ২০১২ সালের ২০ জুলাই অনুষ্ঠিত উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয় সরকারের উচ্চমহলের নির্দেশে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ বলেন, ‘উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনে রাষ্ট্রপতির নির্দেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে। তবে এ ধরনের কোনো নির্দেশ এখনো পাইনি। অথবা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আচার্য বরাবর নির্বাচনের জন্য আবেদন করতে হয়। সেটাও করা হয়নি। তাছাড়া সিনেট অধিবেশন ডাকতেও আমাদের ৩০ দিন আগে বিজ্ঞপ্তি দিতে হয়। এর জন্য পূর্বপ্রস্তুতির প্রয়োজন আছে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলার জন্য সময়ের প্রয়োজন আছে।’
এদিকে সিনেট সদস্য ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান বলেন, ‘আমরা এখনো সিনেট অধিবেশনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞপ্তি পাইনি। আমাদের দাবি, অনতিবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন স্বউদ্যোগে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন করে মনোনীত ব্যক্তিদের তালিকা আচার্যের দপ্তরে পাঠাবে।’
এ বিষয়ে নাম না প্রকাশের শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাবেক উপাচার্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হলে জ্যেষ্ঠ উপউপাচার্যকে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়, যা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের আইনে বর্ণিত আছে। সে ক্ষেত্রে নিয়োগকৃত নতুন উপাচার্যকে বিদ্যমান সিনেটে ৩০ দিনের মধ্যে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে একই ব্যক্তিকে তৃতীয় মেয়াদে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়ার বিধান নেই।’
তৎপরতা নেই শিক্ষক সংগঠনগুলোর:
২০১৮ সালে উপাচার্য ফারজানা ইসলামের প্রথম মেয়াদ শেষ হয়। তখন উপাচার্যবিরোধী শিক্ষক সংগঠনগুলো প্যানেল নির্বাচনের দাবিতে সরব ছিল। এই দাবিতে তারা বিভিন্ন সময়ে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করে। তবে এবারের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। মাত্র ২৫ দিন উপাচার্যের মেয়াদ থাকলেও এ নিয়ে কোনো কর্মসূচি ও পরিকল্পনা জানায়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠনগুলো।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের দুটি সংগঠন রয়েছে, যার একটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির। এই সংগঠনের নাম ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’। এর সভাপতি প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল জব্বার হাওলাদার।
অধ্যাপক হাওলাদার বলেন, ‘এবার নির্বাচনের দাবিতে আমাদের কোনো কর্মসূচি ও পরিকল্পনা নেই। তা ছাড়া আমরা মনে করি এই দাবিতে কিছু করার সময় এখনো হয়নি। এতে সরকার তথা নীতনির্ধারকেরা নাখোশ হবে। তবে আমাদের প্রত্যাশা, সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ মেনে সিনেটের মনোনীত ব্যক্তিকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেবে। অথবা কাউকে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দিয়ে প্যানেল নির্বাচনের জন্য সময় বেঁধে দিলে ভালো হবে।’
উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের প্রধান পৃষ্ঠপোষকতায় আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের অপর সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’। এর বর্তমান সভাপতি পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার, যিনি আগের সংগঠনেরও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তখন তিনি উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন।
এবারের নির্বাচনের বিষয়ে অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার বলেন, ‘এখন উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের জন্য পর্যাপ্ত সময় নেই। এই অবস্থায় প্যানেল নির্বাচন দাবি করাটা যৌক্তিক হবে না। এই অবস্থায় সরকার যেটা ভালো বুঝবে, সেটাই আমাদের মেনে নিতে হবে। কারণ আমাদের সিনেটেও অধিকাংশ সদস্যের মেয়াদ শেষ হয়েছে। আবার সিনেটে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও এমপি রয়েছেন। তাই এই নির্বাচনের আগে সরকারের নির্দেশনা জরুরি ছিল। কিন্তু সেই প্রক্রিয়া মেনে নির্বাচন করতে অনেক সময়ের প্রয়োজন।’
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক উপাচার্যপন্থী শিক্ষকেরা বলছেন, অধ্যাদেশের নিয়ম অনুসরণ করে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন সবার দাবি। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক পরিবেশ অক্ষুণ্ন থাকবে। ফলে নতুন উপাচার্যের গ্রহণযোগ্যতাও বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু বর্তমান উপাচার্য আবারও দায়িত্ব পালনে আগ্রহী। তাই স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষক সংগঠনগুলো প্রকাশ্যে দাবি জানাতে পারছে না।
অন্যদিকে ‘জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম’ নামে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনপিপন্থী শিক্ষক সংগঠন রয়েছে দুটি। তাদেরও উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন নিয়ে প্রকাশ্য কর্মসূচি দৃশ্যমান হয়নি।
এ ব্যাপারে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের নেতা ও শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক সোহেল রানা বলেন, ‘আমরা হয়তো বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে দলীয় ফোরাম থেকে দাবি জানাতে পারছি না। কিন্তু আমাদের প্রত্যেক সদস্য চায় অধ্যাদেশ অনুসরণ করে গণতান্ত্রিক উপায়ে উপাচার্য নিয়োগ হোক। তা ছাড়া এখনকার দাবিগুলো কোনো কাজে আসে না। ফলে এই দাবিতে কর্মসূচি করা মানে উলু বনে মুক্তো ছড়ানো।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক মঞ্চের আহ্বায়ক অধ্যাপক রায়হান রাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্যানেল নির্বাচন আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। এর আগে আমরা এই দাবিতে কর্মসূচি পালন করেছি। কিন্তু সরকারের কাছে আমাদের দাবি বারবার উপেক্ষিত হয়েছে। ২০১৮ সালে আমাদের দাবির প্রতি অবজ্ঞার কারণে এ বিষয়ে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছে সচেতন শিক্ষকেরা। পরিকল্পনা গৃহীত না হলেও শিক্ষক মঞ্চ এ ব্যাপারে আলোচনা করছে। তা ছাড়া সরকার যেভাবে উপাচার্য নিয়োগ করে থাকে তা আইনত বৈধ হলেও নৈতিকতার মানদণ্ডে ফলপ্রসূ নয়।’
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ বলেন, ‘শিক্ষক সমিতিতে আলোচনা এখনো হয়নি। তাই স্পষ্ট করে কিছুই বলা যাচ্ছে না। উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের বিষয়ে আমার কোনো ব্যক্তিগত অভিমত নেই।’
প্যানেল নির্বাচনে বাধা:
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ৯৩ জন মনোনীত ও নির্বাচিত সদস্য নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট গঠিত হয়। যাদের দায়িত্বের গুরুত্বপূর্ণ অংশ তিন সদস্যের উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন করে আচার্যের কাছে পাঠানো। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধিদের পাঁচটি পদ শূন্য রয়েছে। এরই মধ্যে রাষ্ট্রপতি মনোনীত পাঁচজন শিক্ষাবিদ, শিক্ষক প্রতিনিধিদের নির্বাচিত ৩৩ জন এবং রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটদের নির্বাচিত প্রতিনিধি ২৫ জনের তিন বছর মেয়াদও শেষ হয়েছে। এতে সিনেটের ৬৩টি সদস্যপদে নতুন করে মনোনয়ন ও নির্বাচনের প্রয়োজন রয়েছে। সে অনুযায়ী শুধু পাঁচজন পদাধিকারবলে ও ২০ জন মনোনীত সিনেটরের বৈধ মেয়াদ রয়েছে।
অন্যদিকে অধ্যাদেশের ২০ (২) ধারা অনুসারে সিনেটের জরুরি অধিবেশনের জন্যও কমপক্ষে ৩০ জন সিনেটরের লিখিত অনুমোদন প্রয়োজন। তবে ১৯ (২) ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, সিনেটরদের উত্তরাধিকারী মনোনীত অথবা নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত সিনেটররা নিজেদের দায়িত্বে বহাল থাকবেন।
সিনেট সদস্য ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাধারণত বার্ষিক সিনেট অধিবেশনের জন্য ৩০ দিন সময়ের প্রয়োজন। তবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের কার্য পরিচালনা বিধি, ২০১৫-তে ৩ এর (খ)-২ ধারা অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য যেকোনো সময় সিনেট অধিবেশন আহ্বান করতে পারেন এবং প্যানেল নির্বাচন দিতে পারেন। আমি উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের কাছে দাবি জানাই, দ্রুত সিনেট অধিবেশন ডেকে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দায়িত্ববোধের পরিচয় দিন।’
উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভাবনা:
বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইতিবাচক ভাবনা রয়েছে। তাঁরা বলছেন, এমন কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক হয়ে আসুক যেন তাঁকে নিয়ে কোনো বিতর্ক না থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কল্যাণে যেকোনো পদক্ষেপ নিতে তিনি যেন পিছু না হটেন।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হিসেবে সেই শিক্ষককে দেখতে চাই, যিনি শিক্ষক হিসেবে সৎ, গবেষক হিসেবে যার পরিচিতি আছে, যিনি অন্যায়ভাবে চাপের কাছে নতি স্বীকার করবেন না। উপাচার্য হোক সেই শিক্ষক, যাঁর কাছে শিক্ষা ও গবেষণা প্রধান বিষয় হবে। যেখানে দলীয় ক্যাডার বাহিনী অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার কোনো সুযোগ পাবে না।’
বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাকিবুল রনি বলেন, ‘সাধারণত রাজনৈতিক প্রভাব এবং সরকারের উচ্চপর্যায়ে যোগাযোগের ক্ষেত্রে যাঁরা এগিয়ে থাকেন, তাঁদের উপাচার্যের গদিতে বসানো হয়। এতে সরকারের আশীর্বাদপ্রাপ্ত দলীয় শিক্ষক সরকারের এজেন্ডা নিয়ে উপাচার্যের চেয়ারে বসেন। ফলে দলীয় নির্দেশনা বাস্তবায়ন, দলীয় শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানে ব্যস্ত থাকেন তিনি। এমনকি ভাগ-বাঁটোয়ারা সংক্রান্ত ঝামেলা মিটিয়ে নিজের পদ বাঁচাতে ব্যস্ত থাকতে হয় নতুন উপাচার্যকে। তাঁর সময় থাকে না শিক্ষার্থীসহ ক্যাম্পাসের অন্যান্য অংশীজনদের নিয়ে ভাববার। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষা ও গবেষণায় অনন্য উচ্চতায় নিতে আগ্রহী শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দরকার।’
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগরের নতুন উপাচার্য হিসেবে একজন দক্ষ প্রশাসক ও পরিচালক প্রত্যাশা করি, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ও গবেষণায় অসামান্য অবদান রাখতে পারবেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে। শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ দাবির বিষয়ে তিনি আন্তরিক হবেন এবং ছাত্রবান্ধব ক্যাম্পাস গঠনে নিজেকে মনোনিবেশ করবেন। এ জন্য নিয়মিত জাকসু নির্বাচন ও সমাবর্তন আয়োজনের ব্যাপারে কুণ্ঠাবোধ করবেন না।’
উপাচার্য সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণের সিদ্ধান্তকে ‘যুগান্তকারী’ আখ্যা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ উদ্যোগ প্রধান শিক্ষকদের ‘আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত’ এবং তাঁদের ‘সামাজিক মর্যাদা সুসংহত’ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
৬ ঘণ্টা আগে
অবসর ভাতার আবেদন করতে শিক্ষক-কর্মচারীদের অবশ্যই ইনডেক্স (পরিচয় শনাক্তকারী নম্বর) থাকতে হবে। এই শর্ত ঠিক রেখেই জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া ইনডেক্সধারীদের অবসর ভাতা দেওয়া হয়েছে। এমনকি আবেদন না করেও অনেকে এই ভাতা পেয়েছেন। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের...
১ দিন আগে
আগামী বছরের (২০২৬) মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার সময়সূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, গণভোট ও পবিত্র রমজান মাস বিবেচনায় নিয়ে আগামী এপ্রিল বা মে মাসে এই পাবলিক পরীক্ষা আয়োজনের চিন্তাভাবনা করছে সরকার।
১ দিন আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে গতকাল দুপুর ১২টায় এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদা দিয়ে তাঁদের বেতন একাদশ থেকে বাড়িয়ে দশম গ্রেডে নির্ধারণ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আজ মঙ্গলবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এতে স্বাক্ষর করেন উপসচিব (বিদ্যালয়-২) রাজীব কুমার সরকার।
এদিন এই প্রজ্ঞাপন জারি হলেও নতুন গ্রেডে বেতন ১৫ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ জন প্রধান শিক্ষককে গেল ২৭ অক্টোবর গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদা দিয়ে তাঁদের বেতন দশম গ্রেডে উন্নীত করা হয়। এরপর ৬৫ হাজার ৫০২টি প্রধান শিক্ষকদের সবগুলো পদের বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণের উদ্যোগ নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গত ২৮ জুলাই অর্থ বিভাগের ব্যয় ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগ ও অক্টোবরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এসব প্রধান শিক্ষক পদের বেতন দশম গ্রেডে উন্নীত করার সম্মতি দিয়েছিল।
পরে গত ১১ নভেম্বর অর্থ বিভাগের বাস্তবায়ন অনুবিভাগ এ প্রস্তাবে সম্মতি জানায়।
৩ ডিসেম্বর প্রশাসনিক উন্নয়ন-সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায়ও প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়।
এদিকে প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণের সিদ্ধান্তকে ‘যুগান্তকারী’ আখ্যা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ উদ্যোগ প্রধান শিক্ষকদের ‘আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত’ এবং তাঁদের ‘সামাজিক মর্যাদা সুসংহত’ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
এর ফলে প্রধান শিক্ষকেরা প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে আরও ‘সৃজনশীল ও উদ্দীপ্ত’ ভূমিকা রাখবেন এবং শিক্ষার্থীদের জন্য ‘আরও উন্নত ও গতিশীল’ শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত হবে বলেও আশা প্রকাশ করা হয় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।
মন্ত্রণালয় বলছে, প্রধান শিক্ষকেরা অন্যান্য শিক্ষক, অভিভাবক ও সব স্তরের অংশীজনদের সহায়তায় প্রাথমিক শিক্ষার মান ‘কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে’ উন্নীত করবেন বলে প্রত্যাশা করছে সরকার।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদা দিয়ে তাঁদের বেতন একাদশ থেকে বাড়িয়ে দশম গ্রেডে নির্ধারণ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আজ মঙ্গলবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এতে স্বাক্ষর করেন উপসচিব (বিদ্যালয়-২) রাজীব কুমার সরকার।
এদিন এই প্রজ্ঞাপন জারি হলেও নতুন গ্রেডে বেতন ১৫ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ জন প্রধান শিক্ষককে গেল ২৭ অক্টোবর গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদা দিয়ে তাঁদের বেতন দশম গ্রেডে উন্নীত করা হয়। এরপর ৬৫ হাজার ৫০২টি প্রধান শিক্ষকদের সবগুলো পদের বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণের উদ্যোগ নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গত ২৮ জুলাই অর্থ বিভাগের ব্যয় ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগ ও অক্টোবরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এসব প্রধান শিক্ষক পদের বেতন দশম গ্রেডে উন্নীত করার সম্মতি দিয়েছিল।
পরে গত ১১ নভেম্বর অর্থ বিভাগের বাস্তবায়ন অনুবিভাগ এ প্রস্তাবে সম্মতি জানায়।
৩ ডিসেম্বর প্রশাসনিক উন্নয়ন-সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায়ও প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়।
এদিকে প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণের সিদ্ধান্তকে ‘যুগান্তকারী’ আখ্যা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ উদ্যোগ প্রধান শিক্ষকদের ‘আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত’ এবং তাঁদের ‘সামাজিক মর্যাদা সুসংহত’ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
এর ফলে প্রধান শিক্ষকেরা প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে আরও ‘সৃজনশীল ও উদ্দীপ্ত’ ভূমিকা রাখবেন এবং শিক্ষার্থীদের জন্য ‘আরও উন্নত ও গতিশীল’ শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত হবে বলেও আশা প্রকাশ করা হয় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।
মন্ত্রণালয় বলছে, প্রধান শিক্ষকেরা অন্যান্য শিক্ষক, অভিভাবক ও সব স্তরের অংশীজনদের সহায়তায় প্রাথমিক শিক্ষার মান ‘কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে’ উন্নীত করবেন বলে প্রত্যাশা করছে সরকার।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আইনে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও এ নিয়ে উদাসীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এমনকি উপাচার্য নির্বাচনের বিষয়ে উৎসাহ নেই শিক্ষক সংগঠনগুলোর মধ্যে। তবে নতুন উপাচার্যের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছে আগ্রহ।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২
অবসর ভাতার আবেদন করতে শিক্ষক-কর্মচারীদের অবশ্যই ইনডেক্স (পরিচয় শনাক্তকারী নম্বর) থাকতে হবে। এই শর্ত ঠিক রেখেই জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া ইনডেক্সধারীদের অবসর ভাতা দেওয়া হয়েছে। এমনকি আবেদন না করেও অনেকে এই ভাতা পেয়েছেন। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের...
১ দিন আগে
আগামী বছরের (২০২৬) মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার সময়সূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, গণভোট ও পবিত্র রমজান মাস বিবেচনায় নিয়ে আগামী এপ্রিল বা মে মাসে এই পাবলিক পরীক্ষা আয়োজনের চিন্তাভাবনা করছে সরকার।
১ দিন আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে গতকাল দুপুর ১২টায় এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১ দিন আগেরাহুল শর্মা, ঢাকা

অবসর ভাতার আবেদন করতে শিক্ষক-কর্মচারীদের অবশ্যই ইনডেক্স (পরিচয় শনাক্তকারী নম্বর) থাকতে হবে। এই শর্ত ঠিক রেখেই জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া ইনডেক্সধারীদের অবসর ভাতা দেওয়া হয়েছে। এমনকি আবেদন না করেও অনেকে এই ভাতা পেয়েছেন। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের অর্থ ব্যয় এবং পরিচালনায় এমন অনেক অনিয়ম ও অসংগতি পেয়েছে শিক্ষা অডিট অধিদপ্তর।
শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের বিশেষ নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব অনিয়মে প্রায় ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে আইন লঙ্ঘন করে বেসরকারি ব্যাংকে রাখা আমানত ফেরত না পাওয়ায় বোর্ডের আর্থিক ক্ষতি ৬৩৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। বাংলাদেশ মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের (সিএজি) অধীন শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের এই নিরীক্ষা প্রতিবেদন সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে জমা দেওয়া হয়েছে।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনটির সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব (নিরীক্ষা ও আইন অনুবিভাগ) জহিরুল ইসলাম ১৪ ডিসেম্বর আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিরীক্ষা প্রতিবেদনটি এখনো হাতে পাননি। প্রতিবেদন পাওয়ার পর তা পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এমপিওভুক্ত বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের ১৯৯০ সাল থেকে কল্যাণ ট্রাস্টের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। অবসর সুবিধা দেওয়া শুরু হয়েছে ২০০৫ সাল থেকে। এই দুই সুবিধা বাবদ শিক্ষকেরা চাকরিকাল অনুযায়ী এককালীন অর্থ পান। সারা দেশে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন ৫ লাখের বেশি।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ৬৪ হাজার ৭৭৫টি আবেদন অনিষ্পন্ন রয়েছে। এর মধ্যে স্কুলপর্যায়ের ২৭ হাজার ৮৬২টি, কলেজের ১৭ হাজার ২৭৮টি, মাদ্রাসার ১২ হাজার ৯৬৮টি এবং কারিগরির শিক্ষকদের ৬ হাজার ৬৬৭টি।
আইন অনুযায়ী, শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও (বেতনের সরকারি অংশ) থেকে চাঁদা হিসেবে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ কেটে রাখা হয়। এর মধ্যে অবসর সুবিধা বোর্ড ৬ শতাংশ এবং কল্যাণ ট্রাস্ট ৪ শতাংশ পায়। এর বাইরে বিশেষ বা থোক বরাদ্দ এবং বিভিন্ন সময়ে সরকারের দেওয়া সিড মানি বা গচ্ছিত অর্থের লভ্যাংশ পায় সংস্থা দুটি।
শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ১৮ জন ভুয়া ইনডেক্সধারীকে বোর্ড তহবিল থেকে ১ কোটি ৪২ লাখ ৭৮ হাজার ৫৬৭ টাকা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর সুবিধা পরিশোধের আগে ইনডেক্স যাচাই আবশ্যক। অথচ ইনডেক্স যাচাই না করে ভুয়া ইনডেক্সের বিপরীতে অর্থ পরিশোধ করায় বোর্ডের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এসব অর্থ আদায় করে বোর্ডের তহবিলে জমা দেওয়ার সুপারিশ করেছে নিরীক্ষা দল।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০ জন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর ভাতা প্রাপ্তির আবেদন না করলেও এবং বোর্ড থেকে ব্যাংকে কোনো অ্যাডভাইস না পাঠালেও তাঁদের অনুকূলে ১ কোটি ৩৭ লাখ ৯৬ হাজার ৪৯৭ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া একই ইনডেক্সধারীকে একাধিকবার অবসর সুবিধা দেওয়ায় বোর্ডের ১ কোটি চার লাখ ৭২ হাজার ৮৬১ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
প্রতিবেদনে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জাল আবেদনপত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন হিসাবে ৫৮ লাখ ৭৬ হাজার ৩৮ টাকা এবং ভুয়া ইনডেক্স নম্বর ব্যবহার করে সফটওয়্যার ভেন্ডরের মাধ্যমে ৩১ লাখ ৯০ হাজার ৭৭৫ টাকা পরিশোধের তথ্যও উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বোর্ডের আইন লঙ্ঘন করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে না রেখে বেসরকারি ব্যাংকে রাখা আমানতের টাকা ফেরত না পাওয়ায় বোর্ডের আর্থিক ক্ষতি ৬৩৯ কোটি ৬০ লাখ ৬১ হাজার ৭২৫ টাকা। এসব টাকা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে জমা করা আবশ্যক বলে সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিবেদনে অবসর সুবিধা বোর্ডের জন্য আদায় করা ২৮ কোটি ৬৫ লাখ ৭২ হাজার ৪৪০ টাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের তহবিল থেকে অবসর সুবিধা বোর্ডের তহবিলে জমা করার সুপারিশ করা হয়েছে।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমপিওর চেক নগদায়নপূর্বক নির্ধারিত সময়ে ৫২৩ কোটি ৭৩ লাখ ৯৮ হাজার ৪৭৩ টাকা জমা হয়নি। স্থায়ী তহবিলের প্রাপ্ত সুদ চলতি তহবিলে জমা না দেওয়ায় ৫৬ কোটি ৭১ লাখ ২১ হাজার ৫২৮ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া তহবিল যথাযথভাবে সংরক্ষণ না হওয়ায় ৯১ লাখ ৩৫ হাজার, যথাযথ নিয়মে হিসাবভুক্ত না করায় ২৯ কোটি ২০ লাখ ৬৯ হাজার ১৫৭ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
পরামর্শক বাবদ বিল পরিশোধ করায় অনিয়মিত ব্যয় ৪৫ লাখ ৩ হাজার ৪৮০ টাকা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এ ছাড়া প্রাপ্যতা না থাকলেও সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৬৮০ টাকা পারিতোষিক দেওয়া হয়েছে। আবার অতিরিক্ত অবসর সুবিধা পরিশোধ করায় ৫ লাখ ৭৯ হাজার ৮২৪ টাকা, ভ্যাট না কাটায় ১ লাখ ৯২ হাজার ৫৫৩ টাকা, চেকের ব্যবহার না থাকলেও এ খাতে ব্যয় দেখিয়ে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৬৫ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এসব ব্যয়কে প্রতিবেদনে আর্থিক ক্ষতি হিসেবে উল্লেখ করে এসব অর্থ আদায় করে বোর্ড তহবিলে জমা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
এ ছাড়া প্রতিবেদনে উৎসে কর না কাটায় ১ লাখ ৬ হাজার ১১ টাকা, ক্রয় সিলিং না মেনে ২৬ লাখ ১৬ হাজার ৩০৪ টাকার অতিরিক্ত ব্যয়, বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা না মেনে ১ কোটি ৮ লাখ ২৮ হাজার ৭০৭ টাকা ব্যয় এবং আর্থিক ক্রয়সীমার অতিরিক্ত ৭ লাখ ৬১ হাজার ৯৪১ টাকা ব্যয়ের তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে অবসর সুবিধা বোর্ডের তহবিল ব্যবস্থাপনা ও সম্পাদিত কার্যাবলির প্রতিবেদন প্রণয়ন না করা এবং অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা প্রতিবেদন প্রণয়ন বোর্ডের আইন ও প্রবিধান লঙ্ঘিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বোর্ড কর্তৃক ক্যাশবই ও স্টক রেজিস্ট্রার সংরক্ষণ করা হয়নি। তহবিল প্রাপ্তি নিশ্চিত না করে অধিক হারে পরিশোধের অঙ্গীকার করার অবসর সুবিধা বোর্ডের দায় উত্তরোত্তর বাড়ছে।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনের আপত্তিগুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্যসচিব (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. জাফর আহম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিরীক্ষার আপত্তিগুলোর জবাব দেওয়া হয়েছে। সে আলোকে মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে।

অবসর ভাতার আবেদন করতে শিক্ষক-কর্মচারীদের অবশ্যই ইনডেক্স (পরিচয় শনাক্তকারী নম্বর) থাকতে হবে। এই শর্ত ঠিক রেখেই জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া ইনডেক্সধারীদের অবসর ভাতা দেওয়া হয়েছে। এমনকি আবেদন না করেও অনেকে এই ভাতা পেয়েছেন। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের অর্থ ব্যয় এবং পরিচালনায় এমন অনেক অনিয়ম ও অসংগতি পেয়েছে শিক্ষা অডিট অধিদপ্তর।
শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের বিশেষ নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব অনিয়মে প্রায় ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে আইন লঙ্ঘন করে বেসরকারি ব্যাংকে রাখা আমানত ফেরত না পাওয়ায় বোর্ডের আর্থিক ক্ষতি ৬৩৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। বাংলাদেশ মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের (সিএজি) অধীন শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের এই নিরীক্ষা প্রতিবেদন সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে জমা দেওয়া হয়েছে।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনটির সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব (নিরীক্ষা ও আইন অনুবিভাগ) জহিরুল ইসলাম ১৪ ডিসেম্বর আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিরীক্ষা প্রতিবেদনটি এখনো হাতে পাননি। প্রতিবেদন পাওয়ার পর তা পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এমপিওভুক্ত বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের ১৯৯০ সাল থেকে কল্যাণ ট্রাস্টের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। অবসর সুবিধা দেওয়া শুরু হয়েছে ২০০৫ সাল থেকে। এই দুই সুবিধা বাবদ শিক্ষকেরা চাকরিকাল অনুযায়ী এককালীন অর্থ পান। সারা দেশে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন ৫ লাখের বেশি।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ৬৪ হাজার ৭৭৫টি আবেদন অনিষ্পন্ন রয়েছে। এর মধ্যে স্কুলপর্যায়ের ২৭ হাজার ৮৬২টি, কলেজের ১৭ হাজার ২৭৮টি, মাদ্রাসার ১২ হাজার ৯৬৮টি এবং কারিগরির শিক্ষকদের ৬ হাজার ৬৬৭টি।
আইন অনুযায়ী, শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও (বেতনের সরকারি অংশ) থেকে চাঁদা হিসেবে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ কেটে রাখা হয়। এর মধ্যে অবসর সুবিধা বোর্ড ৬ শতাংশ এবং কল্যাণ ট্রাস্ট ৪ শতাংশ পায়। এর বাইরে বিশেষ বা থোক বরাদ্দ এবং বিভিন্ন সময়ে সরকারের দেওয়া সিড মানি বা গচ্ছিত অর্থের লভ্যাংশ পায় সংস্থা দুটি।
শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ১৮ জন ভুয়া ইনডেক্সধারীকে বোর্ড তহবিল থেকে ১ কোটি ৪২ লাখ ৭৮ হাজার ৫৬৭ টাকা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর সুবিধা পরিশোধের আগে ইনডেক্স যাচাই আবশ্যক। অথচ ইনডেক্স যাচাই না করে ভুয়া ইনডেক্সের বিপরীতে অর্থ পরিশোধ করায় বোর্ডের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এসব অর্থ আদায় করে বোর্ডের তহবিলে জমা দেওয়ার সুপারিশ করেছে নিরীক্ষা দল।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০ জন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর ভাতা প্রাপ্তির আবেদন না করলেও এবং বোর্ড থেকে ব্যাংকে কোনো অ্যাডভাইস না পাঠালেও তাঁদের অনুকূলে ১ কোটি ৩৭ লাখ ৯৬ হাজার ৪৯৭ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া একই ইনডেক্সধারীকে একাধিকবার অবসর সুবিধা দেওয়ায় বোর্ডের ১ কোটি চার লাখ ৭২ হাজার ৮৬১ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
প্রতিবেদনে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জাল আবেদনপত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন হিসাবে ৫৮ লাখ ৭৬ হাজার ৩৮ টাকা এবং ভুয়া ইনডেক্স নম্বর ব্যবহার করে সফটওয়্যার ভেন্ডরের মাধ্যমে ৩১ লাখ ৯০ হাজার ৭৭৫ টাকা পরিশোধের তথ্যও উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বোর্ডের আইন লঙ্ঘন করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে না রেখে বেসরকারি ব্যাংকে রাখা আমানতের টাকা ফেরত না পাওয়ায় বোর্ডের আর্থিক ক্ষতি ৬৩৯ কোটি ৬০ লাখ ৬১ হাজার ৭২৫ টাকা। এসব টাকা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে জমা করা আবশ্যক বলে সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিবেদনে অবসর সুবিধা বোর্ডের জন্য আদায় করা ২৮ কোটি ৬৫ লাখ ৭২ হাজার ৪৪০ টাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের তহবিল থেকে অবসর সুবিধা বোর্ডের তহবিলে জমা করার সুপারিশ করা হয়েছে।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমপিওর চেক নগদায়নপূর্বক নির্ধারিত সময়ে ৫২৩ কোটি ৭৩ লাখ ৯৮ হাজার ৪৭৩ টাকা জমা হয়নি। স্থায়ী তহবিলের প্রাপ্ত সুদ চলতি তহবিলে জমা না দেওয়ায় ৫৬ কোটি ৭১ লাখ ২১ হাজার ৫২৮ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া তহবিল যথাযথভাবে সংরক্ষণ না হওয়ায় ৯১ লাখ ৩৫ হাজার, যথাযথ নিয়মে হিসাবভুক্ত না করায় ২৯ কোটি ২০ লাখ ৬৯ হাজার ১৫৭ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
পরামর্শক বাবদ বিল পরিশোধ করায় অনিয়মিত ব্যয় ৪৫ লাখ ৩ হাজার ৪৮০ টাকা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এ ছাড়া প্রাপ্যতা না থাকলেও সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৬৮০ টাকা পারিতোষিক দেওয়া হয়েছে। আবার অতিরিক্ত অবসর সুবিধা পরিশোধ করায় ৫ লাখ ৭৯ হাজার ৮২৪ টাকা, ভ্যাট না কাটায় ১ লাখ ৯২ হাজার ৫৫৩ টাকা, চেকের ব্যবহার না থাকলেও এ খাতে ব্যয় দেখিয়ে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৬৫ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এসব ব্যয়কে প্রতিবেদনে আর্থিক ক্ষতি হিসেবে উল্লেখ করে এসব অর্থ আদায় করে বোর্ড তহবিলে জমা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
এ ছাড়া প্রতিবেদনে উৎসে কর না কাটায় ১ লাখ ৬ হাজার ১১ টাকা, ক্রয় সিলিং না মেনে ২৬ লাখ ১৬ হাজার ৩০৪ টাকার অতিরিক্ত ব্যয়, বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা না মেনে ১ কোটি ৮ লাখ ২৮ হাজার ৭০৭ টাকা ব্যয় এবং আর্থিক ক্রয়সীমার অতিরিক্ত ৭ লাখ ৬১ হাজার ৯৪১ টাকা ব্যয়ের তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে অবসর সুবিধা বোর্ডের তহবিল ব্যবস্থাপনা ও সম্পাদিত কার্যাবলির প্রতিবেদন প্রণয়ন না করা এবং অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা প্রতিবেদন প্রণয়ন বোর্ডের আইন ও প্রবিধান লঙ্ঘিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বোর্ড কর্তৃক ক্যাশবই ও স্টক রেজিস্ট্রার সংরক্ষণ করা হয়নি। তহবিল প্রাপ্তি নিশ্চিত না করে অধিক হারে পরিশোধের অঙ্গীকার করার অবসর সুবিধা বোর্ডের দায় উত্তরোত্তর বাড়ছে।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনের আপত্তিগুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্যসচিব (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. জাফর আহম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিরীক্ষার আপত্তিগুলোর জবাব দেওয়া হয়েছে। সে আলোকে মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আইনে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও এ নিয়ে উদাসীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এমনকি উপাচার্য নির্বাচনের বিষয়ে উৎসাহ নেই শিক্ষক সংগঠনগুলোর মধ্যে। তবে নতুন উপাচার্যের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছে আগ্রহ।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২
প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণের সিদ্ধান্তকে ‘যুগান্তকারী’ আখ্যা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ উদ্যোগ প্রধান শিক্ষকদের ‘আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত’ এবং তাঁদের ‘সামাজিক মর্যাদা সুসংহত’ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
৬ ঘণ্টা আগে
আগামী বছরের (২০২৬) মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার সময়সূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, গণভোট ও পবিত্র রমজান মাস বিবেচনায় নিয়ে আগামী এপ্রিল বা মে মাসে এই পাবলিক পরীক্ষা আয়োজনের চিন্তাভাবনা করছে সরকার।
১ দিন আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে গতকাল দুপুর ১২টায় এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী বছরের (২০২৬) মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার সময়সূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, গণভোট ও পবিত্র রমজান মাস বিবেচনায় নিয়ে আগামী এপ্রিল বা মে মাসে এই পাবলিক পরীক্ষা আয়োজনের চিন্তাভাবনা করছে সরকার।
আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপকালে এমন আভাস পাওয়া গেছে। এর আগে একসময় ফেব্রুয়ারিতে পরীক্ষা শুরুর রেওয়াজ থাকলেও করোনা মহামারি ও পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে শিক্ষাপঞ্জিতে পরিবর্তন আসে।
২০২৪ সালে এসএসসি পরীক্ষাকে আবারও ফেব্রুয়ারিতে ফিরিয়ে আনা হয়। সে বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। কিন্তু এরপর ২০২৪ সালের আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানের পর রমজানের কারণে ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি শুরু করতে পারেনি শিক্ষা বোর্ডগুলো। পরে ঈদুল ফিতরের পর ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছিল ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা।
আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালে নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হবে। তবে অনিয়মিত ও মানোন্নয়ন পরীক্ষার্থীদের পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসের প্রশ্নে এ পরীক্ষায় বসতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির আজ বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা পরীক্ষা আয়োজনের সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি, যাতে সরকার যেকোনো সময় বললে পরীক্ষা নিতে পারি। পরীক্ষার ব্যাপারে কিছু চিন্তাভাবনা, কিছু বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সরকার সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত দিলে আমরা পরীক্ষা নেব।’
এহসানুল কবির আরও বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে, এর মধ্যে কীভাবে পরীক্ষা হবে। এরপর রমজান। এসএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষা কোন সময় আয়োজিত হবে, সে সিদ্ধান্ত সরকারের। তাই পরীক্ষা কবে শুরু হতে পারে, সে বিষয়ে এখনই কিছু বলতে পারছি না।’
এ বিষয়ে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও আন্তশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার বলেন, ‘গত বছর এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল এপ্রিলে। এবার এপ্রিলেও শুরু হতে পারে, মে মাসেও শুরু হতে পারে। আবার এপ্রিল-মে মাসে ঘূর্ণিঝড়-বন্যার একটা বিষয় আছে। এসএসসি পরীক্ষা কবে হবে, সেটা সরকারের সিদ্ধান্ত। আমরা প্রস্তুতি রাখছি, সরকারের সিদ্ধান্ত পেলে পরীক্ষার আনুষ্ঠিকতা শুরু হবে।’
গত বছর ১০ এপ্রিল থেকে ১৩ মে এসএসসি ও সমমানের তত্ত্বীয় পরীক্ষা এবং ১৫ থেকে ২২ মে ব্যবহারিক পরীক্ষা আয়োজনের পরিল্পনা ছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে ১৪ ও ১৫ মের পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়। পরে তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হয় ২৮ মে। আর ২৯ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত নেওয়া হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। এরপর ২৬ জুন থেকে শুরু হয় এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা।
এদিকে, ৩১ ডিসেম্বর থেকে এসএসসির ফরম পূরণ শুরু হবে। বিলম্ব ফি ছাড়া ফরম পূরণ চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফি জমা দেওয়া যাবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। পরীক্ষার্থীপ্রতি ১০০ টাকা হারে বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফরম পূরণ করা যাবে ২০২৬ সালের ১২ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। বিলম্বসহ অনলাইনে ফি জমা দেওয়া যাবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।
আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সর্বোচ্চ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৪৩৫ টাকা। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের চতুর্থ বিষয়সহ ফরম পূরণে এ ফি দিতে হবে। আর ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিকের শিক্ষার্থীদের চতুর্থ বিষয়সহ ফরম পূরণের ফি ২ হাজার ৩১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আগামী বছরের (২০২৬) মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার সময়সূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, গণভোট ও পবিত্র রমজান মাস বিবেচনায় নিয়ে আগামী এপ্রিল বা মে মাসে এই পাবলিক পরীক্ষা আয়োজনের চিন্তাভাবনা করছে সরকার।
আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপকালে এমন আভাস পাওয়া গেছে। এর আগে একসময় ফেব্রুয়ারিতে পরীক্ষা শুরুর রেওয়াজ থাকলেও করোনা মহামারি ও পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে শিক্ষাপঞ্জিতে পরিবর্তন আসে।
২০২৪ সালে এসএসসি পরীক্ষাকে আবারও ফেব্রুয়ারিতে ফিরিয়ে আনা হয়। সে বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। কিন্তু এরপর ২০২৪ সালের আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানের পর রমজানের কারণে ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি শুরু করতে পারেনি শিক্ষা বোর্ডগুলো। পরে ঈদুল ফিতরের পর ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছিল ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা।
আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালে নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হবে। তবে অনিয়মিত ও মানোন্নয়ন পরীক্ষার্থীদের পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসের প্রশ্নে এ পরীক্ষায় বসতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির আজ বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা পরীক্ষা আয়োজনের সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি, যাতে সরকার যেকোনো সময় বললে পরীক্ষা নিতে পারি। পরীক্ষার ব্যাপারে কিছু চিন্তাভাবনা, কিছু বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সরকার সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত দিলে আমরা পরীক্ষা নেব।’
এহসানুল কবির আরও বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে, এর মধ্যে কীভাবে পরীক্ষা হবে। এরপর রমজান। এসএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষা কোন সময় আয়োজিত হবে, সে সিদ্ধান্ত সরকারের। তাই পরীক্ষা কবে শুরু হতে পারে, সে বিষয়ে এখনই কিছু বলতে পারছি না।’
এ বিষয়ে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও আন্তশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার বলেন, ‘গত বছর এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল এপ্রিলে। এবার এপ্রিলেও শুরু হতে পারে, মে মাসেও শুরু হতে পারে। আবার এপ্রিল-মে মাসে ঘূর্ণিঝড়-বন্যার একটা বিষয় আছে। এসএসসি পরীক্ষা কবে হবে, সেটা সরকারের সিদ্ধান্ত। আমরা প্রস্তুতি রাখছি, সরকারের সিদ্ধান্ত পেলে পরীক্ষার আনুষ্ঠিকতা শুরু হবে।’
গত বছর ১০ এপ্রিল থেকে ১৩ মে এসএসসি ও সমমানের তত্ত্বীয় পরীক্ষা এবং ১৫ থেকে ২২ মে ব্যবহারিক পরীক্ষা আয়োজনের পরিল্পনা ছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে ১৪ ও ১৫ মের পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়। পরে তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হয় ২৮ মে। আর ২৯ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত নেওয়া হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। এরপর ২৬ জুন থেকে শুরু হয় এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা।
এদিকে, ৩১ ডিসেম্বর থেকে এসএসসির ফরম পূরণ শুরু হবে। বিলম্ব ফি ছাড়া ফরম পূরণ চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফি জমা দেওয়া যাবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। পরীক্ষার্থীপ্রতি ১০০ টাকা হারে বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফরম পূরণ করা যাবে ২০২৬ সালের ১২ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। বিলম্বসহ অনলাইনে ফি জমা দেওয়া যাবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।
আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সর্বোচ্চ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৪৩৫ টাকা। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের চতুর্থ বিষয়সহ ফরম পূরণে এ ফি দিতে হবে। আর ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিকের শিক্ষার্থীদের চতুর্থ বিষয়সহ ফরম পূরণের ফি ২ হাজার ৩১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আইনে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও এ নিয়ে উদাসীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এমনকি উপাচার্য নির্বাচনের বিষয়ে উৎসাহ নেই শিক্ষক সংগঠনগুলোর মধ্যে। তবে নতুন উপাচার্যের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছে আগ্রহ।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২
প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণের সিদ্ধান্তকে ‘যুগান্তকারী’ আখ্যা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ উদ্যোগ প্রধান শিক্ষকদের ‘আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত’ এবং তাঁদের ‘সামাজিক মর্যাদা সুসংহত’ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
৬ ঘণ্টা আগে
অবসর ভাতার আবেদন করতে শিক্ষক-কর্মচারীদের অবশ্যই ইনডেক্স (পরিচয় শনাক্তকারী নম্বর) থাকতে হবে। এই শর্ত ঠিক রেখেই জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া ইনডেক্সধারীদের অবসর ভাতা দেওয়া হয়েছে। এমনকি আবেদন না করেও অনেকে এই ভাতা পেয়েছেন। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের...
১ দিন আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে গতকাল দুপুর ১২টায় এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১ দিন আগেক্যাম্পাস ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে গতকাল দুপুর ১২টায় এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ওই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন গ্রিন ইউনিভার্সিটির প্রোক্টর অধ্যাপক ড. মো. মেহেদী হাসান, স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স ডিরেক্টর অধ্যাপক ড. মো. দেলোয়ার হোসেন, অধ্যাপক শিহাব উদ্দিন, সহকারী প্রোক্টর মনিরুল ইসলামসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে বক্তারা শহীদ শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে খুনিদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। তাঁরা বলেন, শহীদ ওসমান হাদি ন্যায়বিচার, ইনসাফ ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশের যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই আদর্শ ধারণ করেই শিক্ষার্থীদের এগিয়ে যেতে হবে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্যে একটি সুন্দর, স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তাঁরা দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনটি শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়। কর্মসূচি শেষে উপস্থিত সবাই শহীদ শরিফ ওসমান হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর হত্যার সুষ্ঠু বিচারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি জানান।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে গতকাল দুপুর ১২টায় এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ওই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন গ্রিন ইউনিভার্সিটির প্রোক্টর অধ্যাপক ড. মো. মেহেদী হাসান, স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স ডিরেক্টর অধ্যাপক ড. মো. দেলোয়ার হোসেন, অধ্যাপক শিহাব উদ্দিন, সহকারী প্রোক্টর মনিরুল ইসলামসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে বক্তারা শহীদ শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে খুনিদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। তাঁরা বলেন, শহীদ ওসমান হাদি ন্যায়বিচার, ইনসাফ ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশের যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই আদর্শ ধারণ করেই শিক্ষার্থীদের এগিয়ে যেতে হবে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্যে একটি সুন্দর, স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তাঁরা দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনটি শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়। কর্মসূচি শেষে উপস্থিত সবাই শহীদ শরিফ ওসমান হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর হত্যার সুষ্ঠু বিচারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি জানান।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আইনে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও এ নিয়ে উদাসীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এমনকি উপাচার্য নির্বাচনের বিষয়ে উৎসাহ নেই শিক্ষক সংগঠনগুলোর মধ্যে। তবে নতুন উপাচার্যের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছে আগ্রহ।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২
প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণের সিদ্ধান্তকে ‘যুগান্তকারী’ আখ্যা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ উদ্যোগ প্রধান শিক্ষকদের ‘আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত’ এবং তাঁদের ‘সামাজিক মর্যাদা সুসংহত’ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
৬ ঘণ্টা আগে
অবসর ভাতার আবেদন করতে শিক্ষক-কর্মচারীদের অবশ্যই ইনডেক্স (পরিচয় শনাক্তকারী নম্বর) থাকতে হবে। এই শর্ত ঠিক রেখেই জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া ইনডেক্সধারীদের অবসর ভাতা দেওয়া হয়েছে। এমনকি আবেদন না করেও অনেকে এই ভাতা পেয়েছেন। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের...
১ দিন আগে
আগামী বছরের (২০২৬) মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার সময়সূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, গণভোট ও পবিত্র রমজান মাস বিবেচনায় নিয়ে আগামী এপ্রিল বা মে মাসে এই পাবলিক পরীক্ষা আয়োজনের চিন্তাভাবনা করছে সরকার।
১ দিন আগে