নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় আবাদি জমিতে পুকুর খনন করতে বাধা দেওয়ায় এক তরুণকে ভেকু (এক্সকাভেটর) দিয়ে ধাক্কা দেওয়ার পর পিষে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার বড় পালশা বিলে গ্রামের শতাধিক মানুষের সামনেই এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পুলিশ ভেকু চালককে আটক করেছে।
নিহত তরুণের নাম আহমেদ জুবায়ের (২৩)। তাঁর বাবার নাম রফিকুল ইসলাম। আটক ভেকু চালকের নাম আব্দুল হামিদ (২৮)। তাঁর বাড়ি টাঙ্গাইলে। ভেকুর মালিকের বাড়িও টাঙ্গাইলে।
মোহনপুরের ধুরইল ইউনিয়ন বিএনপির সহসাধারণ সম্পাদক আনিসুজ্জামান বকুলসহ কয়েকজন প্রায় শতাধিক বিঘা জমি ঘিরে অবৈধভাবে পুকুর খনন শুরু করেছিলেন। উপজেলা বিএনপির এক নেতা তাঁদের প্রশ্রয় দিচ্ছিলেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েক বছর ধরেই কৃষকের জমিতে একটি চক্র জোরপূর্বক পুকুর খনন করে। কৃষক জানতেই পারে না তাঁর জমি পুকুর হয়ে যাচ্ছে। জোরপূর্বক পুকুর খননের পর চক্রটি তা মাছ চাষিদের কাছে মোটা টাকায় ইজারা দেয়। এর সামান্য একটি অংশ তখন জমির মালিককে দেওয়া হয়। আগে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এভাবে পুকুর কাটতেন। তাঁরা আত্মগোপন করলেও অবৈধ পুকুর খনন থেমে নেই।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে নিহত আহমেদ জুবায়েরের বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির সামনে কবর খনন করা হচ্ছে। কথা হয় স্ত্রী নুসরাত জাহান মোহনা আক্তার জুঁইয়ের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামীর ওপর ভেকুর চাকা তুলে দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।’
রাতে ওই ঘটনার সময় শতাধিক মানুষের সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা আল-আমিন হোসেনও। তিনি জানান, কয়েক দিন ধরেই তাঁরা শুনতে পাচ্ছিলেন যে তাঁদের জমিতে বকুলসহ কয়েকজন পুকুর কাটবেন। গ্রামবাসী এতে ‘না’ করেছেন। তাই গ্রামবাসীর চোখ এড়াতে উল্টো পথে রাতে ভেকু নামানো হয়। গ্রামের লোকজন বিষয়টি বুঝতে পেরে মসজিদে গিয়ে মুয়াজ্জিন আবদুল মান্নানকে দিয়ে মাইকে ঘোষণা দেওয়ান। মাইকে বলা হয়, ‘যারা যারা নিজেদের জমি রক্ষা করতে চান, তাঁরা এখনই বিলে নেমে যান।’ এরপর গ্রামের মানুষ জমির দিকে ছুটে যান। প্রথম দলটির সঙ্গেই জমির কাছে যান আহমেদ জুবায়ের।
আমির হোসেন জানান, তাঁরা গিয়ে দেখেন যে খগেনের জমি কাটা শুরু হয়েছে। তখন গ্রামের লোকজন ভেকু চালককে থামতে বলেন। কিন্তু তিনি থামছিলেন না। গ্রামবাসী ভেকুর দিকে এগিয়ে যেতে চাইলে তিনি ভেকুর বাকেট (সামনের অংশ) চারপাশে ঘোরাতে থাকেন, যাতে কেউ কাছে ভিড়তে না পারে। এ সময় বাকেট গিয়ে লাগে জুবায়েরের মাথায়। তিনি পড়ে যান। তখন পালাতে গিয়ে তাঁর ওপর ভেকু তুলে দেন চালক।
এরপর স্থানীয়রা জুবায়েরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর স্থানীয়রা ভেকু চালককে আটকে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁকে আটক করে। রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন বিএনপি নেতা বকুল। গ্রামবাসীর তোপের মুখে তিনি মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যান। বিক্ষুব্ধ জনতা তাঁর মোটরসাইকেল ও ভেকুতে আগুন ধরিয়ে দেন।
আজ সকালে ওই বিলে গিয়ে দেখা যায়, পোড়া মোটরসাইকেল পড়ে আছে। ভেকুর নিচে তখনো আগুন জ্বলছে। দলে দলে মানুষ গিয়ে এসব দেখছেন। ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আফাজ উদ্দিন। তিনি বলছিলেন, ‘মানুষ মেরে এভাবে রাজনীতি হবে না।’
কথা হয় মাঠের কৃষক জয়নাল আবেদীনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমরা তো পুকুর কাটতে বলিনি। আমরা কৃষক মানুষ, ধান চাষ করব। মাছ তো চাষ করতে চাই না। তারা কেন আমাদের বিনা অনুমতিতে পুকুর কাটতে আসছে? এখানে ১০০ বিঘা জমিতে পুকুর কাটতে হলে কোটি টাকা খরচ আছে। এই টাকা বকুলকে কে দিচ্ছে? সবকিছুই তদন্ত হওয়া দরকার।’
কথা বলতে বিএনপি নেতা আনিসুজ্জামান বকুলের মোবাইলে যোগাযোগ করা হয়। একজন ফোন রিসিভ করে বলেন, ‘রং নাম্বার।’ খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই পুকুর খননের সঙ্গে রাকিবুল মাস্টার নামের এক ব্যক্তিও যুক্ত। আর ভেকু এনে দিয়েছেন রাজশাহীর খড়খড়ি এলাকার ব্যবসায়ী উজ্জ্বল হোসেন। উজ্জ্বলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি তিনি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ‘এ বিষয়ে রাকিবুল মাস্টারই ভালো বলতে পারবে।’ রাকিবুল মাস্টারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
সকালে ঘটনাস্থলে যান ধুরইল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কাজিম উদ্দিন এবং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইলিয়াস হোসেন। সাবেক চেয়ারম্যান কাজিম উদ্দিন বলেন, ‘দলের নাম ভাঙিয়ে এভাবে অপকর্ম করবে তা মেনে নেওয়া যায় না। বকুল একা নেই, তার ওপরেও কেউ আছে। সবাইকে খুঁজে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
বিএনপি নেতা ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘দল এখনো ক্ষমতায় আসেনি। তার আগেই এমন কর্মকাণ্ড আমাদের জন্য বিব্রতকর। যারা এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে। এ ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত হলেও যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’
স্থানীয় সবাই পুকুর কাটার মূল হোতা হিসেবে বিএনপি নেতা আনিসুজ্জামান বকুলের কথা জানলেও এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে বিকেলে জানিয়েছেন মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মঈনুদ্দীন। তিনি বলেন, ‘কে কে জড়িত তা আমি জানি না। শুধু ঘটনাস্থল থেকে চালককে আটক করেছি। তার কথা জানি। এ ব্যাপারে থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলা রেকর্ড হলে আসামিদের সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে পারব।’
তিনি জানান, নিহত জুবায়েরের বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। রাতে জুবায়েরের মরদেহ পুলিশ হেফাজতে ছিল। ময়নাতদন্তের জন্য সকালে মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় আবাদি জমিতে পুকুর খনন করতে বাধা দেওয়ায় এক তরুণকে ভেকু (এক্সকাভেটর) দিয়ে ধাক্কা দেওয়ার পর পিষে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার বড় পালশা বিলে গ্রামের শতাধিক মানুষের সামনেই এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পুলিশ ভেকু চালককে আটক করেছে।
নিহত তরুণের নাম আহমেদ জুবায়ের (২৩)। তাঁর বাবার নাম রফিকুল ইসলাম। আটক ভেকু চালকের নাম আব্দুল হামিদ (২৮)। তাঁর বাড়ি টাঙ্গাইলে। ভেকুর মালিকের বাড়িও টাঙ্গাইলে।
মোহনপুরের ধুরইল ইউনিয়ন বিএনপির সহসাধারণ সম্পাদক আনিসুজ্জামান বকুলসহ কয়েকজন প্রায় শতাধিক বিঘা জমি ঘিরে অবৈধভাবে পুকুর খনন শুরু করেছিলেন। উপজেলা বিএনপির এক নেতা তাঁদের প্রশ্রয় দিচ্ছিলেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েক বছর ধরেই কৃষকের জমিতে একটি চক্র জোরপূর্বক পুকুর খনন করে। কৃষক জানতেই পারে না তাঁর জমি পুকুর হয়ে যাচ্ছে। জোরপূর্বক পুকুর খননের পর চক্রটি তা মাছ চাষিদের কাছে মোটা টাকায় ইজারা দেয়। এর সামান্য একটি অংশ তখন জমির মালিককে দেওয়া হয়। আগে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এভাবে পুকুর কাটতেন। তাঁরা আত্মগোপন করলেও অবৈধ পুকুর খনন থেমে নেই।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে নিহত আহমেদ জুবায়েরের বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির সামনে কবর খনন করা হচ্ছে। কথা হয় স্ত্রী নুসরাত জাহান মোহনা আক্তার জুঁইয়ের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামীর ওপর ভেকুর চাকা তুলে দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।’
রাতে ওই ঘটনার সময় শতাধিক মানুষের সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা আল-আমিন হোসেনও। তিনি জানান, কয়েক দিন ধরেই তাঁরা শুনতে পাচ্ছিলেন যে তাঁদের জমিতে বকুলসহ কয়েকজন পুকুর কাটবেন। গ্রামবাসী এতে ‘না’ করেছেন। তাই গ্রামবাসীর চোখ এড়াতে উল্টো পথে রাতে ভেকু নামানো হয়। গ্রামের লোকজন বিষয়টি বুঝতে পেরে মসজিদে গিয়ে মুয়াজ্জিন আবদুল মান্নানকে দিয়ে মাইকে ঘোষণা দেওয়ান। মাইকে বলা হয়, ‘যারা যারা নিজেদের জমি রক্ষা করতে চান, তাঁরা এখনই বিলে নেমে যান।’ এরপর গ্রামের মানুষ জমির দিকে ছুটে যান। প্রথম দলটির সঙ্গেই জমির কাছে যান আহমেদ জুবায়ের।
আমির হোসেন জানান, তাঁরা গিয়ে দেখেন যে খগেনের জমি কাটা শুরু হয়েছে। তখন গ্রামের লোকজন ভেকু চালককে থামতে বলেন। কিন্তু তিনি থামছিলেন না। গ্রামবাসী ভেকুর দিকে এগিয়ে যেতে চাইলে তিনি ভেকুর বাকেট (সামনের অংশ) চারপাশে ঘোরাতে থাকেন, যাতে কেউ কাছে ভিড়তে না পারে। এ সময় বাকেট গিয়ে লাগে জুবায়েরের মাথায়। তিনি পড়ে যান। তখন পালাতে গিয়ে তাঁর ওপর ভেকু তুলে দেন চালক।
এরপর স্থানীয়রা জুবায়েরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর স্থানীয়রা ভেকু চালককে আটকে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁকে আটক করে। রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন বিএনপি নেতা বকুল। গ্রামবাসীর তোপের মুখে তিনি মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যান। বিক্ষুব্ধ জনতা তাঁর মোটরসাইকেল ও ভেকুতে আগুন ধরিয়ে দেন।
আজ সকালে ওই বিলে গিয়ে দেখা যায়, পোড়া মোটরসাইকেল পড়ে আছে। ভেকুর নিচে তখনো আগুন জ্বলছে। দলে দলে মানুষ গিয়ে এসব দেখছেন। ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আফাজ উদ্দিন। তিনি বলছিলেন, ‘মানুষ মেরে এভাবে রাজনীতি হবে না।’
কথা হয় মাঠের কৃষক জয়নাল আবেদীনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমরা তো পুকুর কাটতে বলিনি। আমরা কৃষক মানুষ, ধান চাষ করব। মাছ তো চাষ করতে চাই না। তারা কেন আমাদের বিনা অনুমতিতে পুকুর কাটতে আসছে? এখানে ১০০ বিঘা জমিতে পুকুর কাটতে হলে কোটি টাকা খরচ আছে। এই টাকা বকুলকে কে দিচ্ছে? সবকিছুই তদন্ত হওয়া দরকার।’
কথা বলতে বিএনপি নেতা আনিসুজ্জামান বকুলের মোবাইলে যোগাযোগ করা হয়। একজন ফোন রিসিভ করে বলেন, ‘রং নাম্বার।’ খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই পুকুর খননের সঙ্গে রাকিবুল মাস্টার নামের এক ব্যক্তিও যুক্ত। আর ভেকু এনে দিয়েছেন রাজশাহীর খড়খড়ি এলাকার ব্যবসায়ী উজ্জ্বল হোসেন। উজ্জ্বলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি তিনি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ‘এ বিষয়ে রাকিবুল মাস্টারই ভালো বলতে পারবে।’ রাকিবুল মাস্টারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
সকালে ঘটনাস্থলে যান ধুরইল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কাজিম উদ্দিন এবং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইলিয়াস হোসেন। সাবেক চেয়ারম্যান কাজিম উদ্দিন বলেন, ‘দলের নাম ভাঙিয়ে এভাবে অপকর্ম করবে তা মেনে নেওয়া যায় না। বকুল একা নেই, তার ওপরেও কেউ আছে। সবাইকে খুঁজে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
বিএনপি নেতা ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘দল এখনো ক্ষমতায় আসেনি। তার আগেই এমন কর্মকাণ্ড আমাদের জন্য বিব্রতকর। যারা এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে। এ ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত হলেও যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’
স্থানীয় সবাই পুকুর কাটার মূল হোতা হিসেবে বিএনপি নেতা আনিসুজ্জামান বকুলের কথা জানলেও এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে বিকেলে জানিয়েছেন মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মঈনুদ্দীন। তিনি বলেন, ‘কে কে জড়িত তা আমি জানি না। শুধু ঘটনাস্থল থেকে চালককে আটক করেছি। তার কথা জানি। এ ব্যাপারে থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলা রেকর্ড হলে আসামিদের সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে পারব।’
তিনি জানান, নিহত জুবায়েরের বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। রাতে জুবায়েরের মরদেহ পুলিশ হেফাজতে ছিল। ময়নাতদন্তের জন্য সকালে মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় আবাদি জমিতে পুকুর খনন করতে বাধা দেওয়ায় এক তরুণকে ভেকু (এক্সকাভেটর) দিয়ে ধাক্কা দেওয়ার পর পিষে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার বড় পালশা বিলে গ্রামের শতাধিক মানুষের সামনেই এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পুলিশ ভেকু চালককে আটক করেছে।
নিহত তরুণের নাম আহমেদ জুবায়ের (২৩)। তাঁর বাবার নাম রফিকুল ইসলাম। আটক ভেকু চালকের নাম আব্দুল হামিদ (২৮)। তাঁর বাড়ি টাঙ্গাইলে। ভেকুর মালিকের বাড়িও টাঙ্গাইলে।
মোহনপুরের ধুরইল ইউনিয়ন বিএনপির সহসাধারণ সম্পাদক আনিসুজ্জামান বকুলসহ কয়েকজন প্রায় শতাধিক বিঘা জমি ঘিরে অবৈধভাবে পুকুর খনন শুরু করেছিলেন। উপজেলা বিএনপির এক নেতা তাঁদের প্রশ্রয় দিচ্ছিলেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েক বছর ধরেই কৃষকের জমিতে একটি চক্র জোরপূর্বক পুকুর খনন করে। কৃষক জানতেই পারে না তাঁর জমি পুকুর হয়ে যাচ্ছে। জোরপূর্বক পুকুর খননের পর চক্রটি তা মাছ চাষিদের কাছে মোটা টাকায় ইজারা দেয়। এর সামান্য একটি অংশ তখন জমির মালিককে দেওয়া হয়। আগে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এভাবে পুকুর কাটতেন। তাঁরা আত্মগোপন করলেও অবৈধ পুকুর খনন থেমে নেই।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে নিহত আহমেদ জুবায়েরের বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির সামনে কবর খনন করা হচ্ছে। কথা হয় স্ত্রী নুসরাত জাহান মোহনা আক্তার জুঁইয়ের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামীর ওপর ভেকুর চাকা তুলে দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।’
রাতে ওই ঘটনার সময় শতাধিক মানুষের সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা আল-আমিন হোসেনও। তিনি জানান, কয়েক দিন ধরেই তাঁরা শুনতে পাচ্ছিলেন যে তাঁদের জমিতে বকুলসহ কয়েকজন পুকুর কাটবেন। গ্রামবাসী এতে ‘না’ করেছেন। তাই গ্রামবাসীর চোখ এড়াতে উল্টো পথে রাতে ভেকু নামানো হয়। গ্রামের লোকজন বিষয়টি বুঝতে পেরে মসজিদে গিয়ে মুয়াজ্জিন আবদুল মান্নানকে দিয়ে মাইকে ঘোষণা দেওয়ান। মাইকে বলা হয়, ‘যারা যারা নিজেদের জমি রক্ষা করতে চান, তাঁরা এখনই বিলে নেমে যান।’ এরপর গ্রামের মানুষ জমির দিকে ছুটে যান। প্রথম দলটির সঙ্গেই জমির কাছে যান আহমেদ জুবায়ের।
আমির হোসেন জানান, তাঁরা গিয়ে দেখেন যে খগেনের জমি কাটা শুরু হয়েছে। তখন গ্রামের লোকজন ভেকু চালককে থামতে বলেন। কিন্তু তিনি থামছিলেন না। গ্রামবাসী ভেকুর দিকে এগিয়ে যেতে চাইলে তিনি ভেকুর বাকেট (সামনের অংশ) চারপাশে ঘোরাতে থাকেন, যাতে কেউ কাছে ভিড়তে না পারে। এ সময় বাকেট গিয়ে লাগে জুবায়েরের মাথায়। তিনি পড়ে যান। তখন পালাতে গিয়ে তাঁর ওপর ভেকু তুলে দেন চালক।
এরপর স্থানীয়রা জুবায়েরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর স্থানীয়রা ভেকু চালককে আটকে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁকে আটক করে। রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন বিএনপি নেতা বকুল। গ্রামবাসীর তোপের মুখে তিনি মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যান। বিক্ষুব্ধ জনতা তাঁর মোটরসাইকেল ও ভেকুতে আগুন ধরিয়ে দেন।
আজ সকালে ওই বিলে গিয়ে দেখা যায়, পোড়া মোটরসাইকেল পড়ে আছে। ভেকুর নিচে তখনো আগুন জ্বলছে। দলে দলে মানুষ গিয়ে এসব দেখছেন। ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আফাজ উদ্দিন। তিনি বলছিলেন, ‘মানুষ মেরে এভাবে রাজনীতি হবে না।’
কথা হয় মাঠের কৃষক জয়নাল আবেদীনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমরা তো পুকুর কাটতে বলিনি। আমরা কৃষক মানুষ, ধান চাষ করব। মাছ তো চাষ করতে চাই না। তারা কেন আমাদের বিনা অনুমতিতে পুকুর কাটতে আসছে? এখানে ১০০ বিঘা জমিতে পুকুর কাটতে হলে কোটি টাকা খরচ আছে। এই টাকা বকুলকে কে দিচ্ছে? সবকিছুই তদন্ত হওয়া দরকার।’
কথা বলতে বিএনপি নেতা আনিসুজ্জামান বকুলের মোবাইলে যোগাযোগ করা হয়। একজন ফোন রিসিভ করে বলেন, ‘রং নাম্বার।’ খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই পুকুর খননের সঙ্গে রাকিবুল মাস্টার নামের এক ব্যক্তিও যুক্ত। আর ভেকু এনে দিয়েছেন রাজশাহীর খড়খড়ি এলাকার ব্যবসায়ী উজ্জ্বল হোসেন। উজ্জ্বলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি তিনি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ‘এ বিষয়ে রাকিবুল মাস্টারই ভালো বলতে পারবে।’ রাকিবুল মাস্টারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
সকালে ঘটনাস্থলে যান ধুরইল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কাজিম উদ্দিন এবং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইলিয়াস হোসেন। সাবেক চেয়ারম্যান কাজিম উদ্দিন বলেন, ‘দলের নাম ভাঙিয়ে এভাবে অপকর্ম করবে তা মেনে নেওয়া যায় না। বকুল একা নেই, তার ওপরেও কেউ আছে। সবাইকে খুঁজে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
বিএনপি নেতা ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘দল এখনো ক্ষমতায় আসেনি। তার আগেই এমন কর্মকাণ্ড আমাদের জন্য বিব্রতকর। যারা এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে। এ ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত হলেও যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’
স্থানীয় সবাই পুকুর কাটার মূল হোতা হিসেবে বিএনপি নেতা আনিসুজ্জামান বকুলের কথা জানলেও এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে বিকেলে জানিয়েছেন মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মঈনুদ্দীন। তিনি বলেন, ‘কে কে জড়িত তা আমি জানি না। শুধু ঘটনাস্থল থেকে চালককে আটক করেছি। তার কথা জানি। এ ব্যাপারে থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলা রেকর্ড হলে আসামিদের সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে পারব।’
তিনি জানান, নিহত জুবায়েরের বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। রাতে জুবায়েরের মরদেহ পুলিশ হেফাজতে ছিল। ময়নাতদন্তের জন্য সকালে মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় আবাদি জমিতে পুকুর খনন করতে বাধা দেওয়ায় এক তরুণকে ভেকু (এক্সকাভেটর) দিয়ে ধাক্কা দেওয়ার পর পিষে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার বড় পালশা বিলে গ্রামের শতাধিক মানুষের সামনেই এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পুলিশ ভেকু চালককে আটক করেছে।
নিহত তরুণের নাম আহমেদ জুবায়ের (২৩)। তাঁর বাবার নাম রফিকুল ইসলাম। আটক ভেকু চালকের নাম আব্দুল হামিদ (২৮)। তাঁর বাড়ি টাঙ্গাইলে। ভেকুর মালিকের বাড়িও টাঙ্গাইলে।
মোহনপুরের ধুরইল ইউনিয়ন বিএনপির সহসাধারণ সম্পাদক আনিসুজ্জামান বকুলসহ কয়েকজন প্রায় শতাধিক বিঘা জমি ঘিরে অবৈধভাবে পুকুর খনন শুরু করেছিলেন। উপজেলা বিএনপির এক নেতা তাঁদের প্রশ্রয় দিচ্ছিলেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েক বছর ধরেই কৃষকের জমিতে একটি চক্র জোরপূর্বক পুকুর খনন করে। কৃষক জানতেই পারে না তাঁর জমি পুকুর হয়ে যাচ্ছে। জোরপূর্বক পুকুর খননের পর চক্রটি তা মাছ চাষিদের কাছে মোটা টাকায় ইজারা দেয়। এর সামান্য একটি অংশ তখন জমির মালিককে দেওয়া হয়। আগে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এভাবে পুকুর কাটতেন। তাঁরা আত্মগোপন করলেও অবৈধ পুকুর খনন থেমে নেই।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে নিহত আহমেদ জুবায়েরের বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির সামনে কবর খনন করা হচ্ছে। কথা হয় স্ত্রী নুসরাত জাহান মোহনা আক্তার জুঁইয়ের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামীর ওপর ভেকুর চাকা তুলে দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।’
রাতে ওই ঘটনার সময় শতাধিক মানুষের সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা আল-আমিন হোসেনও। তিনি জানান, কয়েক দিন ধরেই তাঁরা শুনতে পাচ্ছিলেন যে তাঁদের জমিতে বকুলসহ কয়েকজন পুকুর কাটবেন। গ্রামবাসী এতে ‘না’ করেছেন। তাই গ্রামবাসীর চোখ এড়াতে উল্টো পথে রাতে ভেকু নামানো হয়। গ্রামের লোকজন বিষয়টি বুঝতে পেরে মসজিদে গিয়ে মুয়াজ্জিন আবদুল মান্নানকে দিয়ে মাইকে ঘোষণা দেওয়ান। মাইকে বলা হয়, ‘যারা যারা নিজেদের জমি রক্ষা করতে চান, তাঁরা এখনই বিলে নেমে যান।’ এরপর গ্রামের মানুষ জমির দিকে ছুটে যান। প্রথম দলটির সঙ্গেই জমির কাছে যান আহমেদ জুবায়ের।
আমির হোসেন জানান, তাঁরা গিয়ে দেখেন যে খগেনের জমি কাটা শুরু হয়েছে। তখন গ্রামের লোকজন ভেকু চালককে থামতে বলেন। কিন্তু তিনি থামছিলেন না। গ্রামবাসী ভেকুর দিকে এগিয়ে যেতে চাইলে তিনি ভেকুর বাকেট (সামনের অংশ) চারপাশে ঘোরাতে থাকেন, যাতে কেউ কাছে ভিড়তে না পারে। এ সময় বাকেট গিয়ে লাগে জুবায়েরের মাথায়। তিনি পড়ে যান। তখন পালাতে গিয়ে তাঁর ওপর ভেকু তুলে দেন চালক।
এরপর স্থানীয়রা জুবায়েরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর স্থানীয়রা ভেকু চালককে আটকে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁকে আটক করে। রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন বিএনপি নেতা বকুল। গ্রামবাসীর তোপের মুখে তিনি মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যান। বিক্ষুব্ধ জনতা তাঁর মোটরসাইকেল ও ভেকুতে আগুন ধরিয়ে দেন।
আজ সকালে ওই বিলে গিয়ে দেখা যায়, পোড়া মোটরসাইকেল পড়ে আছে। ভেকুর নিচে তখনো আগুন জ্বলছে। দলে দলে মানুষ গিয়ে এসব দেখছেন। ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আফাজ উদ্দিন। তিনি বলছিলেন, ‘মানুষ মেরে এভাবে রাজনীতি হবে না।’
কথা হয় মাঠের কৃষক জয়নাল আবেদীনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমরা তো পুকুর কাটতে বলিনি। আমরা কৃষক মানুষ, ধান চাষ করব। মাছ তো চাষ করতে চাই না। তারা কেন আমাদের বিনা অনুমতিতে পুকুর কাটতে আসছে? এখানে ১০০ বিঘা জমিতে পুকুর কাটতে হলে কোটি টাকা খরচ আছে। এই টাকা বকুলকে কে দিচ্ছে? সবকিছুই তদন্ত হওয়া দরকার।’
কথা বলতে বিএনপি নেতা আনিসুজ্জামান বকুলের মোবাইলে যোগাযোগ করা হয়। একজন ফোন রিসিভ করে বলেন, ‘রং নাম্বার।’ খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই পুকুর খননের সঙ্গে রাকিবুল মাস্টার নামের এক ব্যক্তিও যুক্ত। আর ভেকু এনে দিয়েছেন রাজশাহীর খড়খড়ি এলাকার ব্যবসায়ী উজ্জ্বল হোসেন। উজ্জ্বলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি তিনি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ‘এ বিষয়ে রাকিবুল মাস্টারই ভালো বলতে পারবে।’ রাকিবুল মাস্টারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
সকালে ঘটনাস্থলে যান ধুরইল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কাজিম উদ্দিন এবং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইলিয়াস হোসেন। সাবেক চেয়ারম্যান কাজিম উদ্দিন বলেন, ‘দলের নাম ভাঙিয়ে এভাবে অপকর্ম করবে তা মেনে নেওয়া যায় না। বকুল একা নেই, তার ওপরেও কেউ আছে। সবাইকে খুঁজে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
বিএনপি নেতা ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘দল এখনো ক্ষমতায় আসেনি। তার আগেই এমন কর্মকাণ্ড আমাদের জন্য বিব্রতকর। যারা এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে। এ ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত হলেও যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’
স্থানীয় সবাই পুকুর কাটার মূল হোতা হিসেবে বিএনপি নেতা আনিসুজ্জামান বকুলের কথা জানলেও এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে বিকেলে জানিয়েছেন মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মঈনুদ্দীন। তিনি বলেন, ‘কে কে জড়িত তা আমি জানি না। শুধু ঘটনাস্থল থেকে চালককে আটক করেছি। তার কথা জানি। এ ব্যাপারে থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলা রেকর্ড হলে আসামিদের সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে পারব।’
তিনি জানান, নিহত জুবায়েরের বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। রাতে জুবায়েরের মরদেহ পুলিশ হেফাজতে ছিল। ময়নাতদন্তের জন্য সকালে মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

প্রচার জমে ওঠে সিলেটের সংসদীয় আসনগুলোয়। জনসংযোগ, উঠান বৈঠক করতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মীদের। এক বছর আগে প্রার্থী ঘোষণা করা জামায়াতে ইসলামী প্রচারে খানিকটা এগিয়ে। দলটির সঙ্গে জোটসঙ্গী বাকি ৭ দলকে কোন কোন আসন ছেড়ে দেওয়া হবে, এ নিয়ে খানিকটা ধোঁয়াশা রয়েছে।
২৮ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ করছেন ইনকিলাব মঞ্চের কর্মী ও সমর্থকেরা। এই বিক্ষোভের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার মাঝরাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
১ ঘণ্টা আগে
ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান কার্যালয়ের ছাদের ওপর আটকে পড়া কয়েকজন সাংবাদিককে বর্তমানে ক্রেনের মাধ্যমে উদ্ধার করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
১ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার ভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
১ ঘণ্টা আগেইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট

প্রচার জমে ওঠে সিলেটের সংসদীয় আসনগুলোয়। জনসংযোগ, উঠান বৈঠক করতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মীদের। এক বছর আগে প্রার্থী ঘোষণা করা জামায়াতে ইসলামী প্রচারে খানিকটা এগিয়ে। দলটির সঙ্গে জোটসঙ্গী বাকি ৭ দলকে কোন কোন আসন ছেড়ে দেওয়া হবে, এ নিয়ে খানিকটা ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে জোটের স্বার্থে জামায়াত যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত এবং এ নিয়ে কোনো কোন্দলও সৃষ্টি হবে না বলে মনে করছেন নেতারা। অন্যদিকে সিলেটের ৬ সংসদীয় আসনের ৫টিতে প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকে কোন্দল সামনে এসেছে বিএনপিতে। তিনটি আসনে বিএনপিতে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।
দুই দফায় ৫টি আসনে বিএনপি প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকে মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের অনুসারীরা প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভও করেছেন। আর সিলেট-৫ (কানাইঘাট-জকিগঞ্জ) আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেনি দলটি। আলোচনায় আছে, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় সভাপতি উবায়দুল্লাহ ফারুককে আসনটি ছেড়ে দিতে পারে বিএনপি। তবে এই আসনেও বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা ক্ষুব্ধ। তাঁরা প্রকাশ্যে সভা-সমাবেশে আসনটিতে বিএনপির নিজস্ব প্রার্থী ঘোষণার দাবি জানাচ্ছেন।
এদিকে সিলেটের ৩টি আসনের প্রার্থী ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এর মধ্যে একটিতে ‘কালোটাকার বিনিময়ে’ মনোনয়ন দেওয়ার অভিযোগ করেছেন দলটির মনোনয়নবঞ্চিত নেতা। আর ৮ দলীয় জোটের প্রার্থী চূড়ান্ত না হওয়ায় প্রচারের রয়েছে জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস। এ ছাড়া গণঅধিকার পরিষদ, এবি পার্টির প্রচারও চলছে। প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে জাতীয় পার্টির (কাদের) নেতারা। দলটি বিভাগের ১৯ আসনের প্রার্থী তালিকাও ইতিমধ্যে অনেকটা চূড়ান্ত করেছে।
সিলেট-১ (নগর ও সদর)
দীর্ঘদিন ধরে একটি মিথ প্রচারিত হয়ে আসছে যে এই আসনে যে দলের প্রার্থী জয়ী হন, তারাই সরকার গঠন করে। রাজনৈতিক দলগুলোও এ জন্য এখানে সব সময় হেভিওয়েট প্রার্থী দেয়। তবে এবার তুলনামূলক কম হেভিওয়েটদের এখানে প্রার্থী করা হয়েছে। সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির এখানে ধানের শীষের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। আব্দুল মুক্তাদির মনোনয়ন পাওয়ায় সরে গেছেন সাবেক মেয়র। এই আসনে সিলেট জেলা জামায়াতের আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য হাবিবুর রহমান দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন। এ ছাড়া এনসিপির এহতেশাম হক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাহমুদুল হাসান, গণঅধিকার পরিষদের আকমল হোসেন, এবি পার্টির ওমর ফারুক, খেলাফত মজলিসের তাজুল ইসলাম হাসান ও বাসদের প্রণব জ্যোতি পাল এই আসনে দলের মনোনীত প্রার্থী।
সিলেট-২ (ওসমানীনগর ও বিশ্বনাথ)
এই আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও নিখোঁজ এম ইলিয়াছ আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা। আসনটিতে জামায়াতের প্রার্থী আবদুল হান্নানও নেতা-কর্মীদের নিয়ে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়া জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের হোসাইন আহমদ, গণঅধিকার পরিষদের জামান আহমেদ সিদ্দিকী, খেলাফত মজলিসের মুহাম্মদ মুনতাসির আলী ও ইসলামী আন্দোলনের আমীর উদ্দিন দলীয় প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন।
সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা, বালাগঞ্জ ও সিটির ৬টি ওয়ার্ড)
এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি মোহাম্মদ আবদুল মালিক। প্রার্থী বদলের দাবিতে মাঠে আছেন দুই মনোনয়নপ্রত্যাশী দলটির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এম এ সালাম ও জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরীর অনুসারীরা।
এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী লোকমান আহমদ ভোটের মাঠে আছেন। এনসিপির নুরুল হুদা জুনেদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে রেদওয়ানুল হক চৌধুরী, এবি পার্টি থেকে নাজমুল ইসলাম, খেলাফত মজলিস থেকে দিলওয়ার হোসাইন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নজরুল ইসলাম মনোনয়ন পেয়েছেন। তাঁরা প্রত্যেকে মাঠে সরব। স্থানীয় সূত্র বলছে, এই আসনে বিএনপিকে ভোগাতে পারে দলীয় কোন্দল। এ ছাড়া প্রচারে এগিয়ে রয়েছে জামায়াত।
সিলেট-৪ (কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর)
বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তাঁকে ‘বহিরাগত’ উল্লেখ করে প্রার্থী বদলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে মনোনয়নবঞ্চিত আবদুল হেকিম চৌধুরী (সাবেক গোয়াইনঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান) ও হেলাল আহমদের অনুসারীরা। এতে বিএনপির নেতা-কর্মীরাও দ্বিধাবিভক্ত। স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে আলোচনা রয়েছে, এই আসনে প্রার্থী পরিবর্তন কিংবা বিদ্রোহী প্রার্থীর স্বতন্ত্র নির্বাচন—যেকোনো কিছুই হতে পারে। এই আসনে জামায়াতের প্রার্থী মো. জয়নাল আবেদিন। এ ছাড়া এনসিপির মো. রাশেল উল আলম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে সাঈদ আহমদ, খেলাফত মজলিস থেকে আলী হাসান উসামা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মুহাম্মদ আলী, গণঅধিকার পরিষদের জহিরুল ইসলাম মনোনয়ন পেয়েছেন। তাঁরাও রয়েছেন প্রচারে।
সিলেট-৫ (কানাইঘাট-জকিগঞ্জ)
এই আসনে এখনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিএনপি। স্থানীয়ভাবে প্রচার আছে, বিএনপির সঙ্গে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের জোট হলে দলটির কেন্দ্রীয় সভাপতি উবায়দুল্লাহ ফারুককে আসনটি ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। এমন অবস্থায় ‘অসন্তুষ্ট ও ক্ষুব্ধ’ বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। তাঁরা প্রকাশ্যে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে আসনটিতে বিএনপির নিজস্ব প্রার্থী ঘোষণার দাবি জানাচ্ছেন। বিএনপির নেতা-কর্মীর দাবি, আসনটিতে ইসলামপন্থী দলগুলো বিভাজিত থাকায় পৃথকভাবে সেই অর্থে কারও ভোটব্যাংক নেই। এখানে বিএনপির ভোটারই বেশি। আসনটিতে এবার বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে আছেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি মামুনুর রশিদ (চাকসু মামুন), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান (পাপলু), জেলা বিএনপির উপদেষ্টা আশিক উদ্দিন চৌধুরী, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুল হক চৌধুরী, সংযুক্ত আরব আমিরাত বিএনপির আহ্বায়ক মো. জাকির হোসাইন, যুক্তরাজ্যপ্রবাসী ফাহিম আলম ইসহাক চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সহসভাপতি শরীফ আহমদ লস্কর প্রমুখ। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীর মেয়ে সামিরা তানজিন চৌধুরীর নামও প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছে।
এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে মাঠে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন জেলার নায়েবে আমির আনোয়ার হোসেন খান। এখানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রেজাউল করিম আবরার, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের রেজাউল করিম জালালী, খেলাফত মজলিসের সিলেট জেলার উপদেষ্টা আবুল হাসান, এবি পার্টির আলতাফ হোসেন ও ইসলামী ঐক্যজোটের ফয়জুল হক জালালাবাদী প্রার্থী হিসেবে কাজ করছেন।
সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ)
এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির জেলা সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমেদ চৌধুরী। মনোনয়নপ্রাপ্তির দৌড়ে তাঁর সঙ্গে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ফয়সল আহমদ চৌধুরী। ‘রাতের ভোট’ হিসেবে আলোচিত ওই নির্বাচনে ফয়সল চৌধুরী লক্ষাধিক ভোট পেয়েছিলেন। এবার তিনি মনোনয়ন না পাওয়ায় অনুসারীরা হতাশ। তাঁরা প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিও জানিয়েছেন।
গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার বিএনপির একাধিক নেতা-কর্মী জানান, আসন্ন নির্বাচনে এমরান চৌধুরীর সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হবে, তাঁর ঘর সামলানো। ফয়সল চৌধুরীর অনুসারীসহ বিএনপির বিভিন্ন পক্ষকে তাঁর পক্ষে টেনে আনতে পারলে ভোটের লড়াইয়ের পথ সহজ হয়ে যাবে। অন্যথায় তাঁকে ভুগতে হবে।
আসনটিতে জামায়াতের প্রার্থী দলটির ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। এ ছাড়া খেলাফত মজলিসের সাদিকুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আজমল হোসেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের ফখরুল ইসলাম ও গণঅধিকার পরিষদের অ্যাডভোকেট জাহিদুর রহমান ভোটের মাঠে আছেন।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কানাইঘাট-জকিগঞ্জ নিয়ে গঠিত সিলেট-৫ আসনে দলীয় সিদ্ধান্ত দ্রুততম সময়ের মধ্যে জানানো উচিত। নেতা-কর্মীদের দলীয় প্রার্থী চাওয়া যৌক্তিক। আশা করি দলের নীতিনির্ধারকেরা তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মতামতকে গুরুত্ব দেবেন। আর বাকি যে তিনটি নির্বাচনী এলাকার কথা বলেছেন, সেগুলোর বিষয় হলো এটা প্রাথমিক তালিকা। ওই তিন এলাকায় ধানের শীষের পক্ষে কাজ চলছে। শিগগিরই চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হবে, তখন এসব সমস্যা থাকবে না।’

প্রচার জমে ওঠে সিলেটের সংসদীয় আসনগুলোয়। জনসংযোগ, উঠান বৈঠক করতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মীদের। এক বছর আগে প্রার্থী ঘোষণা করা জামায়াতে ইসলামী প্রচারে খানিকটা এগিয়ে। দলটির সঙ্গে জোটসঙ্গী বাকি ৭ দলকে কোন কোন আসন ছেড়ে দেওয়া হবে, এ নিয়ে খানিকটা ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে জোটের স্বার্থে জামায়াত যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত এবং এ নিয়ে কোনো কোন্দলও সৃষ্টি হবে না বলে মনে করছেন নেতারা। অন্যদিকে সিলেটের ৬ সংসদীয় আসনের ৫টিতে প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকে কোন্দল সামনে এসেছে বিএনপিতে। তিনটি আসনে বিএনপিতে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।
দুই দফায় ৫টি আসনে বিএনপি প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকে মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের অনুসারীরা প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভও করেছেন। আর সিলেট-৫ (কানাইঘাট-জকিগঞ্জ) আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেনি দলটি। আলোচনায় আছে, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় সভাপতি উবায়দুল্লাহ ফারুককে আসনটি ছেড়ে দিতে পারে বিএনপি। তবে এই আসনেও বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা ক্ষুব্ধ। তাঁরা প্রকাশ্যে সভা-সমাবেশে আসনটিতে বিএনপির নিজস্ব প্রার্থী ঘোষণার দাবি জানাচ্ছেন।
এদিকে সিলেটের ৩টি আসনের প্রার্থী ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এর মধ্যে একটিতে ‘কালোটাকার বিনিময়ে’ মনোনয়ন দেওয়ার অভিযোগ করেছেন দলটির মনোনয়নবঞ্চিত নেতা। আর ৮ দলীয় জোটের প্রার্থী চূড়ান্ত না হওয়ায় প্রচারের রয়েছে জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস। এ ছাড়া গণঅধিকার পরিষদ, এবি পার্টির প্রচারও চলছে। প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে জাতীয় পার্টির (কাদের) নেতারা। দলটি বিভাগের ১৯ আসনের প্রার্থী তালিকাও ইতিমধ্যে অনেকটা চূড়ান্ত করেছে।
সিলেট-১ (নগর ও সদর)
দীর্ঘদিন ধরে একটি মিথ প্রচারিত হয়ে আসছে যে এই আসনে যে দলের প্রার্থী জয়ী হন, তারাই সরকার গঠন করে। রাজনৈতিক দলগুলোও এ জন্য এখানে সব সময় হেভিওয়েট প্রার্থী দেয়। তবে এবার তুলনামূলক কম হেভিওয়েটদের এখানে প্রার্থী করা হয়েছে। সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির এখানে ধানের শীষের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। আব্দুল মুক্তাদির মনোনয়ন পাওয়ায় সরে গেছেন সাবেক মেয়র। এই আসনে সিলেট জেলা জামায়াতের আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য হাবিবুর রহমান দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন। এ ছাড়া এনসিপির এহতেশাম হক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাহমুদুল হাসান, গণঅধিকার পরিষদের আকমল হোসেন, এবি পার্টির ওমর ফারুক, খেলাফত মজলিসের তাজুল ইসলাম হাসান ও বাসদের প্রণব জ্যোতি পাল এই আসনে দলের মনোনীত প্রার্থী।
সিলেট-২ (ওসমানীনগর ও বিশ্বনাথ)
এই আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও নিখোঁজ এম ইলিয়াছ আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা। আসনটিতে জামায়াতের প্রার্থী আবদুল হান্নানও নেতা-কর্মীদের নিয়ে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়া জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের হোসাইন আহমদ, গণঅধিকার পরিষদের জামান আহমেদ সিদ্দিকী, খেলাফত মজলিসের মুহাম্মদ মুনতাসির আলী ও ইসলামী আন্দোলনের আমীর উদ্দিন দলীয় প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন।
সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা, বালাগঞ্জ ও সিটির ৬টি ওয়ার্ড)
এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি মোহাম্মদ আবদুল মালিক। প্রার্থী বদলের দাবিতে মাঠে আছেন দুই মনোনয়নপ্রত্যাশী দলটির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এম এ সালাম ও জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরীর অনুসারীরা।
এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী লোকমান আহমদ ভোটের মাঠে আছেন। এনসিপির নুরুল হুদা জুনেদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে রেদওয়ানুল হক চৌধুরী, এবি পার্টি থেকে নাজমুল ইসলাম, খেলাফত মজলিস থেকে দিলওয়ার হোসাইন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নজরুল ইসলাম মনোনয়ন পেয়েছেন। তাঁরা প্রত্যেকে মাঠে সরব। স্থানীয় সূত্র বলছে, এই আসনে বিএনপিকে ভোগাতে পারে দলীয় কোন্দল। এ ছাড়া প্রচারে এগিয়ে রয়েছে জামায়াত।
সিলেট-৪ (কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর)
বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তাঁকে ‘বহিরাগত’ উল্লেখ করে প্রার্থী বদলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে মনোনয়নবঞ্চিত আবদুল হেকিম চৌধুরী (সাবেক গোয়াইনঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান) ও হেলাল আহমদের অনুসারীরা। এতে বিএনপির নেতা-কর্মীরাও দ্বিধাবিভক্ত। স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে আলোচনা রয়েছে, এই আসনে প্রার্থী পরিবর্তন কিংবা বিদ্রোহী প্রার্থীর স্বতন্ত্র নির্বাচন—যেকোনো কিছুই হতে পারে। এই আসনে জামায়াতের প্রার্থী মো. জয়নাল আবেদিন। এ ছাড়া এনসিপির মো. রাশেল উল আলম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে সাঈদ আহমদ, খেলাফত মজলিস থেকে আলী হাসান উসামা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মুহাম্মদ আলী, গণঅধিকার পরিষদের জহিরুল ইসলাম মনোনয়ন পেয়েছেন। তাঁরাও রয়েছেন প্রচারে।
সিলেট-৫ (কানাইঘাট-জকিগঞ্জ)
এই আসনে এখনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিএনপি। স্থানীয়ভাবে প্রচার আছে, বিএনপির সঙ্গে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের জোট হলে দলটির কেন্দ্রীয় সভাপতি উবায়দুল্লাহ ফারুককে আসনটি ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। এমন অবস্থায় ‘অসন্তুষ্ট ও ক্ষুব্ধ’ বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। তাঁরা প্রকাশ্যে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে আসনটিতে বিএনপির নিজস্ব প্রার্থী ঘোষণার দাবি জানাচ্ছেন। বিএনপির নেতা-কর্মীর দাবি, আসনটিতে ইসলামপন্থী দলগুলো বিভাজিত থাকায় পৃথকভাবে সেই অর্থে কারও ভোটব্যাংক নেই। এখানে বিএনপির ভোটারই বেশি। আসনটিতে এবার বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে আছেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি মামুনুর রশিদ (চাকসু মামুন), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান (পাপলু), জেলা বিএনপির উপদেষ্টা আশিক উদ্দিন চৌধুরী, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুল হক চৌধুরী, সংযুক্ত আরব আমিরাত বিএনপির আহ্বায়ক মো. জাকির হোসাইন, যুক্তরাজ্যপ্রবাসী ফাহিম আলম ইসহাক চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সহসভাপতি শরীফ আহমদ লস্কর প্রমুখ। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীর মেয়ে সামিরা তানজিন চৌধুরীর নামও প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছে।
এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে মাঠে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন জেলার নায়েবে আমির আনোয়ার হোসেন খান। এখানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রেজাউল করিম আবরার, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের রেজাউল করিম জালালী, খেলাফত মজলিসের সিলেট জেলার উপদেষ্টা আবুল হাসান, এবি পার্টির আলতাফ হোসেন ও ইসলামী ঐক্যজোটের ফয়জুল হক জালালাবাদী প্রার্থী হিসেবে কাজ করছেন।
সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ)
এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির জেলা সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমেদ চৌধুরী। মনোনয়নপ্রাপ্তির দৌড়ে তাঁর সঙ্গে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ফয়সল আহমদ চৌধুরী। ‘রাতের ভোট’ হিসেবে আলোচিত ওই নির্বাচনে ফয়সল চৌধুরী লক্ষাধিক ভোট পেয়েছিলেন। এবার তিনি মনোনয়ন না পাওয়ায় অনুসারীরা হতাশ। তাঁরা প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিও জানিয়েছেন।
গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার বিএনপির একাধিক নেতা-কর্মী জানান, আসন্ন নির্বাচনে এমরান চৌধুরীর সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হবে, তাঁর ঘর সামলানো। ফয়সল চৌধুরীর অনুসারীসহ বিএনপির বিভিন্ন পক্ষকে তাঁর পক্ষে টেনে আনতে পারলে ভোটের লড়াইয়ের পথ সহজ হয়ে যাবে। অন্যথায় তাঁকে ভুগতে হবে।
আসনটিতে জামায়াতের প্রার্থী দলটির ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। এ ছাড়া খেলাফত মজলিসের সাদিকুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আজমল হোসেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের ফখরুল ইসলাম ও গণঅধিকার পরিষদের অ্যাডভোকেট জাহিদুর রহমান ভোটের মাঠে আছেন।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কানাইঘাট-জকিগঞ্জ নিয়ে গঠিত সিলেট-৫ আসনে দলীয় সিদ্ধান্ত দ্রুততম সময়ের মধ্যে জানানো উচিত। নেতা-কর্মীদের দলীয় প্রার্থী চাওয়া যৌক্তিক। আশা করি দলের নীতিনির্ধারকেরা তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মতামতকে গুরুত্ব দেবেন। আর বাকি যে তিনটি নির্বাচনী এলাকার কথা বলেছেন, সেগুলোর বিষয় হলো এটা প্রাথমিক তালিকা। ওই তিন এলাকায় ধানের শীষের পক্ষে কাজ চলছে। শিগগিরই চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হবে, তখন এসব সমস্যা থাকবে না।’

রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় আবাদি জমিতে পুকুর খনন করতে বাধা দেওয়ায় এক তরুণকে ভেকু (এক্সকাভেটর) দিয়ে ধাক্কা দেওয়ার পর পিষে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে।
১১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ করছেন ইনকিলাব মঞ্চের কর্মী ও সমর্থকেরা। এই বিক্ষোভের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার মাঝরাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
১ ঘণ্টা আগে
ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান কার্যালয়ের ছাদের ওপর আটকে পড়া কয়েকজন সাংবাদিককে বর্তমানে ক্রেনের মাধ্যমে উদ্ধার করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
১ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার ভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ করছেন ইনকিলাব মঞ্চের কর্মী ও সমর্থকেরা। এই বিক্ষোভের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার মাঝরাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে বিক্ষুব্ধরা বাড়িটিতে আগুন দেয়। এ সময় তারা ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘হাদির রক্ত বৃথা যেতে দেব না’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’—এসব নানা স্লোগান দিতে থাকে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ির আশপাশের একাধিক স্থানে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ হচ্ছে। কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে বাড়িটির একটি অংশ হাতুড়ি দিয়ে ভাঙচুর করতেও দেখা যায়।
এর আগে রাত থেকেই বিক্ষুব্ধরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরে তারা রাজধানীর রামপুরা, মিরপুর ও কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করে যান চলাচলে বাধার সৃষ্টি করে।
রাত ১২টার দিকে কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে ভাঙচুর ও নথিপত্রে অগ্নিসংযোগও করে তারা। একপর্যায়ে তারা ডেইলি স্টার কার্যালয়ের দিকেও অগ্রসর হয় এবং সেখানেও আগুন ধরিয়ে দেয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ডেইলি স্টার কার্যালয়ের আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে দমকল কর্মীরা। সেখানে দমকল বাহিনীর অন্তত দুটি ইউনিট কাজ করছে।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ করছেন ইনকিলাব মঞ্চের কর্মী ও সমর্থকেরা। এই বিক্ষোভের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার মাঝরাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে বিক্ষুব্ধরা বাড়িটিতে আগুন দেয়। এ সময় তারা ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘হাদির রক্ত বৃথা যেতে দেব না’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’—এসব নানা স্লোগান দিতে থাকে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ির আশপাশের একাধিক স্থানে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ হচ্ছে। কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে বাড়িটির একটি অংশ হাতুড়ি দিয়ে ভাঙচুর করতেও দেখা যায়।
এর আগে রাত থেকেই বিক্ষুব্ধরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরে তারা রাজধানীর রামপুরা, মিরপুর ও কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করে যান চলাচলে বাধার সৃষ্টি করে।
রাত ১২টার দিকে কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে ভাঙচুর ও নথিপত্রে অগ্নিসংযোগও করে তারা। একপর্যায়ে তারা ডেইলি স্টার কার্যালয়ের দিকেও অগ্রসর হয় এবং সেখানেও আগুন ধরিয়ে দেয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ডেইলি স্টার কার্যালয়ের আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে দমকল কর্মীরা। সেখানে দমকল বাহিনীর অন্তত দুটি ইউনিট কাজ করছে।

রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় আবাদি জমিতে পুকুর খনন করতে বাধা দেওয়ায় এক তরুণকে ভেকু (এক্সকাভেটর) দিয়ে ধাক্কা দেওয়ার পর পিষে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে।
১১ ঘণ্টা আগে
প্রচার জমে ওঠে সিলেটের সংসদীয় আসনগুলোয়। জনসংযোগ, উঠান বৈঠক করতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মীদের। এক বছর আগে প্রার্থী ঘোষণা করা জামায়াতে ইসলামী প্রচারে খানিকটা এগিয়ে। দলটির সঙ্গে জোটসঙ্গী বাকি ৭ দলকে কোন কোন আসন ছেড়ে দেওয়া হবে, এ নিয়ে খানিকটা ধোঁয়াশা রয়েছে।
২৮ মিনিট আগে
ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান কার্যালয়ের ছাদের ওপর আটকে পড়া কয়েকজন সাংবাদিককে বর্তমানে ক্রেনের মাধ্যমে উদ্ধার করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
১ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার ভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান কার্যালয়ের ছাদের ওপর আটকে পড়া কয়েকজন সাংবাদিককে বর্তমানে ক্রেনের মাধ্যমে উদ্ধার করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক প্রত্যক্ষদর্শী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শুক্রবার মধ্যরাতের পর রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় অবস্থিত ডেইলি স্টার সেন্টারে উত্তেজিত জনতা হামলা চালায়। এ সময় ভবনটি ভাঙচুর করা হয় এবং আগুন দেওয়া হয়।
ডেইলি স্টারে রাতের ডিউটিতে থাকা একাধিক সাংবাদিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিরাপত্তার জন্য আকুতি জানান। তাঁদের অভিযোগ, ঘটনার প্রাথমিক সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো উপস্থিতি সেখানে দেখা যায়নি।

ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান কার্যালয়ের ছাদের ওপর আটকে পড়া কয়েকজন সাংবাদিককে বর্তমানে ক্রেনের মাধ্যমে উদ্ধার করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক প্রত্যক্ষদর্শী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শুক্রবার মধ্যরাতের পর রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় অবস্থিত ডেইলি স্টার সেন্টারে উত্তেজিত জনতা হামলা চালায়। এ সময় ভবনটি ভাঙচুর করা হয় এবং আগুন দেওয়া হয়।
ডেইলি স্টারে রাতের ডিউটিতে থাকা একাধিক সাংবাদিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিরাপত্তার জন্য আকুতি জানান। তাঁদের অভিযোগ, ঘটনার প্রাথমিক সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো উপস্থিতি সেখানে দেখা যায়নি।

রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় আবাদি জমিতে পুকুর খনন করতে বাধা দেওয়ায় এক তরুণকে ভেকু (এক্সকাভেটর) দিয়ে ধাক্কা দেওয়ার পর পিষে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে।
১১ ঘণ্টা আগে
প্রচার জমে ওঠে সিলেটের সংসদীয় আসনগুলোয়। জনসংযোগ, উঠান বৈঠক করতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মীদের। এক বছর আগে প্রার্থী ঘোষণা করা জামায়াতে ইসলামী প্রচারে খানিকটা এগিয়ে। দলটির সঙ্গে জোটসঙ্গী বাকি ৭ দলকে কোন কোন আসন ছেড়ে দেওয়া হবে, এ নিয়ে খানিকটা ধোঁয়াশা রয়েছে।
২৮ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ করছেন ইনকিলাব মঞ্চের কর্মী ও সমর্থকেরা। এই বিক্ষোভের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার মাঝরাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
১ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার ভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার ভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে এসব ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, একদল বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রথম আলোর কার্যালয়ে আসেন। তারা প্রথমে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এরপর কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। ভবনের সামনে অগ্নিসংযোগও করা হয়। এর পরপরই ডেইলি স্টার ভবনে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অগ্নিসংযোগের পর ভবনের ভেতর ৩০-৩৫ জন সাংবাদিক ও কর্মী আটকা পড়েন। বিক্ষোভের শুরুতেই রাত ১০টার সময় ফার্মগেট থেকে শাহবাগ পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তেজগাঁও স্টেশন থেকে কয়েকটি ইউনিট ডেইলি স্টার ও প্রথম আলো কার্যালয়ে দিকে রওনা হয়। তবে তাদের বাধা দেন বিক্ষুব্ধরা। পরে সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর তেজগাঁও ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট কাজ শুরু করে। রাত ১টা ৪০ মিনিটের দিকে ডেইলি স্টার ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
এদিকে গতকাল রাতে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করা হয়। রাত ২টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অবরোধ ও বিক্ষোভ চলছিল।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার ভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে এসব ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, একদল বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রথম আলোর কার্যালয়ে আসেন। তারা প্রথমে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এরপর কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। ভবনের সামনে অগ্নিসংযোগও করা হয়। এর পরপরই ডেইলি স্টার ভবনে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অগ্নিসংযোগের পর ভবনের ভেতর ৩০-৩৫ জন সাংবাদিক ও কর্মী আটকা পড়েন। বিক্ষোভের শুরুতেই রাত ১০টার সময় ফার্মগেট থেকে শাহবাগ পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তেজগাঁও স্টেশন থেকে কয়েকটি ইউনিট ডেইলি স্টার ও প্রথম আলো কার্যালয়ে দিকে রওনা হয়। তবে তাদের বাধা দেন বিক্ষুব্ধরা। পরে সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর তেজগাঁও ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট কাজ শুরু করে। রাত ১টা ৪০ মিনিটের দিকে ডেইলি স্টার ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
এদিকে গতকাল রাতে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করা হয়। রাত ২টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অবরোধ ও বিক্ষোভ চলছিল।

রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় আবাদি জমিতে পুকুর খনন করতে বাধা দেওয়ায় এক তরুণকে ভেকু (এক্সকাভেটর) দিয়ে ধাক্কা দেওয়ার পর পিষে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে।
১১ ঘণ্টা আগে
প্রচার জমে ওঠে সিলেটের সংসদীয় আসনগুলোয়। জনসংযোগ, উঠান বৈঠক করতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মীদের। এক বছর আগে প্রার্থী ঘোষণা করা জামায়াতে ইসলামী প্রচারে খানিকটা এগিয়ে। দলটির সঙ্গে জোটসঙ্গী বাকি ৭ দলকে কোন কোন আসন ছেড়ে দেওয়া হবে, এ নিয়ে খানিকটা ধোঁয়াশা রয়েছে।
২৮ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ করছেন ইনকিলাব মঞ্চের কর্মী ও সমর্থকেরা। এই বিক্ষোভের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার মাঝরাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
১ ঘণ্টা আগে
ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান কার্যালয়ের ছাদের ওপর আটকে পড়া কয়েকজন সাংবাদিককে বর্তমানে ক্রেনের মাধ্যমে উদ্ধার করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
১ ঘণ্টা আগে