কামরুল হাসান

ভালো একটা নিউজ হাতে পাওয়া একজন সংবাদকর্মীর কাছে লটারি জেতার মতো। ভাগ্য ভালো থাকলে মিলবে, না হলে নয়। একবার কুষ্টিয়ায় গিয়ে তেমনই সংকটে পড়তে হলো আমাকে। দিনকয়েক ঘুরেফিরে ভালো কোনো নিউজ মিলল না, যা পেলাম তাতে মন ভরে না। অনেকটা মন খারাপ করে একদিন বিকেলে গেলাম পাশের জেলা মেহেরপুরে।
মেহেরপুর শহরটা আগে থেকেই পছন্দের। ছোট শহরটায় যেমন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাস্তাঘাট, তেমনি মানুষের পরিশীলিত আচার-আচরণ। তা ছাড়া একাত্তরের বিজয়ের স্মৃতি তো আছেই।
মেহেরপুর পৌর ভবনের ওপর তলায় একটি সাজানো-গোছানো বিশ্রামাগার আছে। ভাড়ার বিনিময়ে সেখানে রাত্রিবাস করা যায়। সেই বিশ্রামাগারেই আমার থাকার বন্দোবস্ত করে দিলেন সাংবাদিক তুহিন আরণ্য। পৌর ভবনের পাশেই তাঁর বাড়ি। সঙ্গে তিনি আবদার করলেন, রাতে তাঁর বাসাতেই আহার সারতে হবে।
তুহিনের আবদারে আমার কিছুটা অসম্মতি থাকলেও ধোপে টিকল না। অবশ্য সেই খাবার টেবিলে আলোচনায় মিলে গেল একটি মজার নিউজের খোঁজ। কথায় কথায় তাঁদের পরিবারের কে একজন বললেন, মেহেরপুরে একজন রাজনীতিক আছেন, যিনি সবাইকে মেরে বেড়ান। চোখের সামনে কেউ কিছু অনিয়ম করলে, অবাধ্য হলে বা কারও কোনো ত্রুটি ধরা পড়লে তিনি কোনো অভিযোগ করেন না। শুধু মারধর করেন। শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, ব্যাংক কর্মকর্তা—কেউই তাঁর মার খাওয়ার তালিকা থেকে বাদ নেই।
তুহিনের বাড়ির মজাদার খাবার খাচ্ছি আর মজা করে গল্প শুনছি। মনে হলো, রাতের ভালো খাবারের সঙ্গে ভালো নিউজের ক্ষুধাটাও মিটে গেল। ফুরফুরে মনে ফিরে এলাম বিশ্রামাগারে।
সকাল থেকেই শুরু হলো সেই নিউজের খোঁজখবর। যে ব্যক্তিকে নিয়ে এত আলোচনা, তাঁর নাম আহম্মদ আলী। তিনি তখন মেহেরপুরের গাংনী পৌরসভার মেয়র। একসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন। তিনি কতজনকে মেরেছেন, তার একটি তালিকা জোগাড় করতে গিয়ে দেখি, মাত্র এক মাসেই তিনি ১৫ জন সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে মেরেছেন। মারধরের কারণগুলোও অদ্ভুত।
খোঁজ নিতে গিয়ে জানতে পারলাম, সর্বশেষ মার খেয়েছেন কৃষি ব্যাংকের গাংনী উপজেলা শাখার ব্যবস্থাপক ইমারত হোসেন। তিনি জানালেন, একদিন ঋণ নেওয়ার জন্য এক লোককে তাঁর কাছে পাঠিয়েছিলেন মেয়র। কিন্তু সেই লোকের জমির দাগ ও খতিয়ান নম্বর ঠিক ছিল না। তিনি তাঁকে ঋণ না দিয়ে ফিরিয়ে দেন। এ খবর পেয়ে মেয়র এসে তাঁকে কষে চড় মারেন।
মার খাওয়া আরেকজন ছিলেন গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আবদুস সালাম। তিনি বললেন, ‘আমি রোগী দেখছি না, এমন অভিযোগ পেয়ে মেয়র এসে প্রথমে আমাকে মারলেন, তারপর মারলেন আমার নার্সকে। অবশ্য এর প্রতিবাদে চিকিৎসকেরা পরে মানববন্ধন করেছিলেন।’পৌরসভার প্রকৌশলী কাওসার আলী বললেন, ‘সময়মতো কাজ হয়নি বলে মেয়র একদিন অফিস কক্ষের জানালা-দরজা বন্ধ করে আমাকে লাঠি দিয়ে পেটান। এরপর আমি মেহেরপুর ছেড়ে চলে যাই।’
আরও শুনলাম পৌরসভার ক্যাশিয়ার আবুল কালাম আজাদ, ওয়ার্ক অ্যাসিস্ট্যান্ট নাসির উদ্দিন, টিকাদানকারী আবু তাহেরও কয়েক দফা মার খেয়েছেন। তো বিস্তারিত শুনতে গেলাম আবু তাহেরের কাছে। তিনি আমার পরিচয় পেয়ে বললেন, ‘আপনার কি মাথা খারাপ, এটা বললে তো আমি আবার মার খাব।’
এ রকম আরেকটি মারধরের ঘটনা ছিল গাংনী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে। একদিন বিদ্যুৎ চলে গেলে বিদ্যুতের কন্ট্রোল রুমে ফোন করেন মেয়র। এ সময় কেউ তাঁর ফোন ধরেননি। এরপর তিনি বাড়ি থেকে বিদ্যুৎ অফিসে এসে সামনে যাঁকে পেয়েছেন, তাঁকেই মেরেছেন। এ রকম আরও বেশ কয়েকজনের কাহিনি শুনলাম। সবার কথা শুনে মনে হলো, মারধর ছাড়া যেন আর কিছুই জানেন না আহম্মদ আলী।
ভালো করে খোঁজ নিয়ে জানলাম, আহম্মদ আলীর এই মারধর নিয়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা বিভক্ত। এক পক্ষ তাঁর মারধর করাকে সমর্থন করে, আরেক পক্ষের রয়েছে বিরোধিতা। সে সময় মেয়রের পক্ষে ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মকবুল হোসেন। তিনি আমাকে বললেন, এ দেশের আইনি ব্যবস্থা সব অন্যায়ের তাৎক্ষণিক সাজা দিতে পারে না। সে কারণে মেয়রের এমন আচরণ দুর্নীতি ও অনিয়ম রোধে ভূমিকা রাখতে পারে। আবার মেয়রের বিরুদ্ধে ছিলেন গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল খালেক। তিনি বললেন, মেয়রের হাতে এভাবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নিরীহ নাগরিকদের মার খাওয়াটা খুবই নিন্দনীয়। তিনি আইন হাতে তুলে নিতে পারেন না।
সবার কথা শেষ করে এবার এলাম মেয়র আহম্মদ আলীর কাছে। তাঁর কাছে জানতে চাইলাম, মারেন কেন? তাঁর সাফ জবাব, ‘খারাপ কিছু দেখলেই প্রতিবাদ করি। এটাই আমার কাজ। মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। এটা আমি করেই যাব।’ উল্টো আমার দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বললেন, ‘আমি ওদের মুরব্বি, আমি কি শাসন করতে পারব না?’
শেষ পর্যন্ত আহম্মদ আলীকে নিয়ে রিপোর্টটি ব্যাপক সাড়া পেল। প্রথম আলোয় সেটা ছাপা হয়েছিল ‘তিনি শুধুই মারেন’ শিরোনামে। ২০১১ সালের ১২ আগস্ট সেই রিপোর্ট প্রকাশের পর বেশ হইচই পড়ে গেল। দুপুরের দিকে আহম্মদ আলী আমাকে ফোন করলেন। তাঁকে বেশ রাগান্বিত মনে হলো। তাঁর কথাবার্তা শুনে মনে হচ্ছিল, হাতের কাছে পেলে হয়তো আমিও রক্ষা পেতাম না। এরপর অনেক দিন আর আহম্মদ আলীর কোনো খোঁজখবর করা হয়নি।
মেহেরপুরের কথাসাহিত্যিক রফিকুর রশীদের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। কথায় কথায় এল আহম্মদ আলীর প্রসঙ্গ। আহম্মদ আলী আবারও মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। রফিকুর রশীদ বললেন, আহম্মদ আলী একেবারে চুপ হয়ে গেছেন। রীতিমতো বদলে যাওয়া মানুষ। এখন আর কোনো অধিকার আদায়ে তিনি সরব নন।
রফিকুর রশীদের ফোন রাখতেই ১১ বছর আগের আহম্মদ আলীকে মনে পড়ে গেল। নম্বর জোগাড় করে তাঁকে ফোন দিলাম। তিনি আমাকে ঠিকই চিনতে পারলেন। বাঘের মতো সাহসী লোকটার কাছে জানতে চাইলাম, হঠাৎ কেন নীরব হয়ে গেলেন? মেহেরপুরে কি আর কোনো অন্যায় নেই?
আমার প্রশ্ন শুনে অনেকক্ষণ হো হো করে হাসলেন আহম্মদ আলী। বললেন, ‘এখন সরব প্রতিবাদের দিন শেষ হয়ে গেছে। মানুষ এখন আর কোনো প্রতিবাদ নিতে পারে না, সবাই কেমন যেন হয়ে গেছে। এ বয়সে এসে এত সব করে কী হবে? তার চেয়ে নীরবই থেকে যাই। তাই নীরব হয়ে আছি।’
এরপর থেকে বারবার মনে হচ্ছে, আহম্মদ আলী বললেন ঠিকই, আসলেই কি প্রতিবাদের দিন শেষ হয়ে গেছে?
আরও পড়ুন:

ভালো একটা নিউজ হাতে পাওয়া একজন সংবাদকর্মীর কাছে লটারি জেতার মতো। ভাগ্য ভালো থাকলে মিলবে, না হলে নয়। একবার কুষ্টিয়ায় গিয়ে তেমনই সংকটে পড়তে হলো আমাকে। দিনকয়েক ঘুরেফিরে ভালো কোনো নিউজ মিলল না, যা পেলাম তাতে মন ভরে না। অনেকটা মন খারাপ করে একদিন বিকেলে গেলাম পাশের জেলা মেহেরপুরে।
মেহেরপুর শহরটা আগে থেকেই পছন্দের। ছোট শহরটায় যেমন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাস্তাঘাট, তেমনি মানুষের পরিশীলিত আচার-আচরণ। তা ছাড়া একাত্তরের বিজয়ের স্মৃতি তো আছেই।
মেহেরপুর পৌর ভবনের ওপর তলায় একটি সাজানো-গোছানো বিশ্রামাগার আছে। ভাড়ার বিনিময়ে সেখানে রাত্রিবাস করা যায়। সেই বিশ্রামাগারেই আমার থাকার বন্দোবস্ত করে দিলেন সাংবাদিক তুহিন আরণ্য। পৌর ভবনের পাশেই তাঁর বাড়ি। সঙ্গে তিনি আবদার করলেন, রাতে তাঁর বাসাতেই আহার সারতে হবে।
তুহিনের আবদারে আমার কিছুটা অসম্মতি থাকলেও ধোপে টিকল না। অবশ্য সেই খাবার টেবিলে আলোচনায় মিলে গেল একটি মজার নিউজের খোঁজ। কথায় কথায় তাঁদের পরিবারের কে একজন বললেন, মেহেরপুরে একজন রাজনীতিক আছেন, যিনি সবাইকে মেরে বেড়ান। চোখের সামনে কেউ কিছু অনিয়ম করলে, অবাধ্য হলে বা কারও কোনো ত্রুটি ধরা পড়লে তিনি কোনো অভিযোগ করেন না। শুধু মারধর করেন। শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, ব্যাংক কর্মকর্তা—কেউই তাঁর মার খাওয়ার তালিকা থেকে বাদ নেই।
তুহিনের বাড়ির মজাদার খাবার খাচ্ছি আর মজা করে গল্প শুনছি। মনে হলো, রাতের ভালো খাবারের সঙ্গে ভালো নিউজের ক্ষুধাটাও মিটে গেল। ফুরফুরে মনে ফিরে এলাম বিশ্রামাগারে।
সকাল থেকেই শুরু হলো সেই নিউজের খোঁজখবর। যে ব্যক্তিকে নিয়ে এত আলোচনা, তাঁর নাম আহম্মদ আলী। তিনি তখন মেহেরপুরের গাংনী পৌরসভার মেয়র। একসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন। তিনি কতজনকে মেরেছেন, তার একটি তালিকা জোগাড় করতে গিয়ে দেখি, মাত্র এক মাসেই তিনি ১৫ জন সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে মেরেছেন। মারধরের কারণগুলোও অদ্ভুত।
খোঁজ নিতে গিয়ে জানতে পারলাম, সর্বশেষ মার খেয়েছেন কৃষি ব্যাংকের গাংনী উপজেলা শাখার ব্যবস্থাপক ইমারত হোসেন। তিনি জানালেন, একদিন ঋণ নেওয়ার জন্য এক লোককে তাঁর কাছে পাঠিয়েছিলেন মেয়র। কিন্তু সেই লোকের জমির দাগ ও খতিয়ান নম্বর ঠিক ছিল না। তিনি তাঁকে ঋণ না দিয়ে ফিরিয়ে দেন। এ খবর পেয়ে মেয়র এসে তাঁকে কষে চড় মারেন।
মার খাওয়া আরেকজন ছিলেন গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আবদুস সালাম। তিনি বললেন, ‘আমি রোগী দেখছি না, এমন অভিযোগ পেয়ে মেয়র এসে প্রথমে আমাকে মারলেন, তারপর মারলেন আমার নার্সকে। অবশ্য এর প্রতিবাদে চিকিৎসকেরা পরে মানববন্ধন করেছিলেন।’পৌরসভার প্রকৌশলী কাওসার আলী বললেন, ‘সময়মতো কাজ হয়নি বলে মেয়র একদিন অফিস কক্ষের জানালা-দরজা বন্ধ করে আমাকে লাঠি দিয়ে পেটান। এরপর আমি মেহেরপুর ছেড়ে চলে যাই।’
আরও শুনলাম পৌরসভার ক্যাশিয়ার আবুল কালাম আজাদ, ওয়ার্ক অ্যাসিস্ট্যান্ট নাসির উদ্দিন, টিকাদানকারী আবু তাহেরও কয়েক দফা মার খেয়েছেন। তো বিস্তারিত শুনতে গেলাম আবু তাহেরের কাছে। তিনি আমার পরিচয় পেয়ে বললেন, ‘আপনার কি মাথা খারাপ, এটা বললে তো আমি আবার মার খাব।’
এ রকম আরেকটি মারধরের ঘটনা ছিল গাংনী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে। একদিন বিদ্যুৎ চলে গেলে বিদ্যুতের কন্ট্রোল রুমে ফোন করেন মেয়র। এ সময় কেউ তাঁর ফোন ধরেননি। এরপর তিনি বাড়ি থেকে বিদ্যুৎ অফিসে এসে সামনে যাঁকে পেয়েছেন, তাঁকেই মেরেছেন। এ রকম আরও বেশ কয়েকজনের কাহিনি শুনলাম। সবার কথা শুনে মনে হলো, মারধর ছাড়া যেন আর কিছুই জানেন না আহম্মদ আলী।
ভালো করে খোঁজ নিয়ে জানলাম, আহম্মদ আলীর এই মারধর নিয়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা বিভক্ত। এক পক্ষ তাঁর মারধর করাকে সমর্থন করে, আরেক পক্ষের রয়েছে বিরোধিতা। সে সময় মেয়রের পক্ষে ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মকবুল হোসেন। তিনি আমাকে বললেন, এ দেশের আইনি ব্যবস্থা সব অন্যায়ের তাৎক্ষণিক সাজা দিতে পারে না। সে কারণে মেয়রের এমন আচরণ দুর্নীতি ও অনিয়ম রোধে ভূমিকা রাখতে পারে। আবার মেয়রের বিরুদ্ধে ছিলেন গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল খালেক। তিনি বললেন, মেয়রের হাতে এভাবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নিরীহ নাগরিকদের মার খাওয়াটা খুবই নিন্দনীয়। তিনি আইন হাতে তুলে নিতে পারেন না।
সবার কথা শেষ করে এবার এলাম মেয়র আহম্মদ আলীর কাছে। তাঁর কাছে জানতে চাইলাম, মারেন কেন? তাঁর সাফ জবাব, ‘খারাপ কিছু দেখলেই প্রতিবাদ করি। এটাই আমার কাজ। মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। এটা আমি করেই যাব।’ উল্টো আমার দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বললেন, ‘আমি ওদের মুরব্বি, আমি কি শাসন করতে পারব না?’
শেষ পর্যন্ত আহম্মদ আলীকে নিয়ে রিপোর্টটি ব্যাপক সাড়া পেল। প্রথম আলোয় সেটা ছাপা হয়েছিল ‘তিনি শুধুই মারেন’ শিরোনামে। ২০১১ সালের ১২ আগস্ট সেই রিপোর্ট প্রকাশের পর বেশ হইচই পড়ে গেল। দুপুরের দিকে আহম্মদ আলী আমাকে ফোন করলেন। তাঁকে বেশ রাগান্বিত মনে হলো। তাঁর কথাবার্তা শুনে মনে হচ্ছিল, হাতের কাছে পেলে হয়তো আমিও রক্ষা পেতাম না। এরপর অনেক দিন আর আহম্মদ আলীর কোনো খোঁজখবর করা হয়নি।
মেহেরপুরের কথাসাহিত্যিক রফিকুর রশীদের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। কথায় কথায় এল আহম্মদ আলীর প্রসঙ্গ। আহম্মদ আলী আবারও মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। রফিকুর রশীদ বললেন, আহম্মদ আলী একেবারে চুপ হয়ে গেছেন। রীতিমতো বদলে যাওয়া মানুষ। এখন আর কোনো অধিকার আদায়ে তিনি সরব নন।
রফিকুর রশীদের ফোন রাখতেই ১১ বছর আগের আহম্মদ আলীকে মনে পড়ে গেল। নম্বর জোগাড় করে তাঁকে ফোন দিলাম। তিনি আমাকে ঠিকই চিনতে পারলেন। বাঘের মতো সাহসী লোকটার কাছে জানতে চাইলাম, হঠাৎ কেন নীরব হয়ে গেলেন? মেহেরপুরে কি আর কোনো অন্যায় নেই?
আমার প্রশ্ন শুনে অনেকক্ষণ হো হো করে হাসলেন আহম্মদ আলী। বললেন, ‘এখন সরব প্রতিবাদের দিন শেষ হয়ে গেছে। মানুষ এখন আর কোনো প্রতিবাদ নিতে পারে না, সবাই কেমন যেন হয়ে গেছে। এ বয়সে এসে এত সব করে কী হবে? তার চেয়ে নীরবই থেকে যাই। তাই নীরব হয়ে আছি।’
এরপর থেকে বারবার মনে হচ্ছে, আহম্মদ আলী বললেন ঠিকই, আসলেই কি প্রতিবাদের দিন শেষ হয়ে গেছে?
আরও পড়ুন:

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮ হাজার ৫৯৭ জনকে। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
৩ দিন আগে
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
৫ দিন আগে
জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
১৪ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
১৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮ হাজার ৫৯৭ জনকে। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এ সারা দেশে ৮ হাজার ৫৯৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২ লাখ ৫৮ হাজার ১৬৮টি মোটরসাইকেল ও ২ লাখ ৬৪ হাজার ৪১১টি গাড়ি তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিকালে ৩ হাজার ৩৯৪টি অবৈধ মোটরসাইকেল আটক করা হয়।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ‘ফ্যাসিস্টদের’ দমনে ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে দেশজুড়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ নামে বিশেষ অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী।

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮ হাজার ৫৯৭ জনকে। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এ সারা দেশে ৮ হাজার ৫৯৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২ লাখ ৫৮ হাজার ১৬৮টি মোটরসাইকেল ও ২ লাখ ৬৪ হাজার ৪১১টি গাড়ি তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিকালে ৩ হাজার ৩৯৪টি অবৈধ মোটরসাইকেল আটক করা হয়।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ‘ফ্যাসিস্টদের’ দমনে ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে দেশজুড়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ নামে বিশেষ অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী।

ভালো একটা নিউজ হাতে পাওয়া একজন সংবাদকর্মীর কাছে লটারি জেতার মতো। ভাগ্য ভালো থাকলে মিলবে, না হলে নয়। একবার কুষ্টিয়ায় গিয়ে তেমনই সংকটে পড়তে হলো আমাকে। দিনকয়েক ঘুরেফিরে ভালো কোনো নিউজ মিলল না, যা পেলাম তাতে মন ভরে না। অনেকটা মন খারাপ করে একদিন বিকেলে গেলাম পাশের জেলা মেহেরপুরে।
৩০ জুলাই ২০২২
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
৫ দিন আগে
জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
১৪ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
১৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২৮ হাজার ৭৬৬টি মোটরসাইকেল ও ৪৩ হাজার ৩৫২টি গাড়ি তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিকালে ২৯১টি অবৈধ মোটরসাইকেল আটক করা হয়।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ‘ফ্যাসিস্টদের’ দমনে ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে দেশজুড়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ নামে বিশেষ অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী।

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২৮ হাজার ৭৬৬টি মোটরসাইকেল ও ৪৩ হাজার ৩৫২টি গাড়ি তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিকালে ২৯১টি অবৈধ মোটরসাইকেল আটক করা হয়।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ‘ফ্যাসিস্টদের’ দমনে ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে দেশজুড়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ নামে বিশেষ অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী।

ভালো একটা নিউজ হাতে পাওয়া একজন সংবাদকর্মীর কাছে লটারি জেতার মতো। ভাগ্য ভালো থাকলে মিলবে, না হলে নয়। একবার কুষ্টিয়ায় গিয়ে তেমনই সংকটে পড়তে হলো আমাকে। দিনকয়েক ঘুরেফিরে ভালো কোনো নিউজ মিলল না, যা পেলাম তাতে মন ভরে না। অনেকটা মন খারাপ করে একদিন বিকেলে গেলাম পাশের জেলা মেহেরপুরে।
৩০ জুলাই ২০২২
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮ হাজার ৫৯৭ জনকে। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
৩ দিন আগে
জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
১৪ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
১৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
হাদিকে গুলির ঘটনায় মাস্ক পরা দুই তরুণ জড়িত বলে তাঁর সহযোদ্ধাদের সন্দেহ। তাঁদের দাবি, কয়েকদিন ধরে দুই তরুণ মাস্ক পরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হাদির সঙ্গে গণসংযোগে অংশ নিচ্ছেন। বার বার তাঁদের মাস্ক খুলতে বলা হলেও তাঁরা রাজি হননি। হাদিঘনিষ্ঠদের সন্দেহ, এই তরুণরা হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর গতিবিধি বোঝার জন্য তাঁর সঙ্গে যুক্ত হন।
দুজনের মধ্যে মাস্ক পরা একজন হাদির পাশে বসে আছে— এমন একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই তাকে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ হিসেবে দেখিয়েছেন। তবে মাস্ক করা এই তরুণই যে হাদিকে গুলি করেছেন, কিংবা এই তরুণই যে ফয়সাল, তা নিশ্চিত করে বলছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে ‘সন্দেহভাজন’ হিসেবে শনাক্ত একজনের ছবি প্রকাশ করে ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ডিএমপির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট এলাকায় মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তদের হামলায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি গুরুতর আহত হন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেফতারে রাজধানীতে জোর অভিযান পরিচালনা করছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ছবির ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে সনাক্ত করা গেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তাকে হন্য হয়ে খুঁজছে। উক্ত ব্যক্তি সম্পর্কে কোন তথ্য থাকলে বা তার সন্ধান পেলে দ্রুত নিম্নলিখিত মোবাইল নম্বর অথবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে পুলিশকে জানানোর জন্য বিনীত অনুরোধ করা হলো।’
পুলিশের বিবৃতিতে এই তরুণের নাম উল্লেখ করা না হলেও ছবি দেখে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ বলে আন্দাজ করা যায়। এই তরুণকেও আগে হাদীর সঙ্গে দেখা গেছে। তবে গত কয়েকদিন ধরে হাদির সঙ্গে গণসংযোগে থাকা মাস্ক পরা তরুণটিই ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ এমন কোনো তথ্য পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত ৯ ডিসেম্বর বাংলামোটর এলাকায় হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়ে হাদির পাশে বসে আলোচনা শুনেছিলেন ফয়সাল করিম। সেই আলোচনার ছবিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ফয়সাল করিম নামের তরুণ কার্যক্রমনিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধঘোষিত সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হন। তাঁর পুরো নাম ফয়সাল করিম দাউদ খান।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে গুলিবিদ্ধ হন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা–৮ সংসদীয় আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ওসমান হাদি। হাদিকে বহনকারী রিকশাকে অনুসরণ করে পেছন দিকে থেকে মোটরসাইকেলে এসে তাঁকে গুলি করে চলে যায় আততায়ীরা। হাদি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার নামে ওসমান হাদির প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন জায়গায় তাঁর সঙ্গে ফয়সাল করিমের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সেই ছবিগুলোতে থাকা ফয়সাল করিমের সঙ্গে মাস্ক পরা ব্যক্তির চেহারার কিছুটা সাদৃশ্য আছে। সেকারণে গুলি ছোড়ার ঘটনায় তাঁকে সন্দেহ করা হচ্ছে।
এর মধ্যেই দুপুরে ডিএমপি সন্দেহভাজনকে শনাক্তের কথা জানায় এবং ওসমান হাদিকে গুলি করা ব্যক্তিকে ধরিয়ে দিতে পারলে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

পেশাদারদের যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইনে ফয়সাল করিমের নামে প্রোফাইল আছে। সেখানে তিনি নিজেকে অ্যাপল সফট আইটি, ওয়াইসিইউ টেকনোলজি ও এনলিস্ট ওয়ার্ক নামে তিন প্রতিষ্ঠানের মালিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
লিংকডইন প্রোফাইলের তথ্য অনুযায়ী, ফয়সাল করিম ২০১৩ সালে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটারবিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। পরে আরেকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি এমবিএ করেছেন বলে সেখানে উল্লেখ রয়েছে।
২০২৪ সালে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনকারীদের দমনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা–কর্মীদের সঙ্গে মাঠে ছিলেন বলে ছাত্রলীগের সূত্র জানিয়েছে।
ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় নাম আসার পর ফয়সাল করিমের সঙ্গে আওয়ামী লীগ আমলে বাংলাদেশের দুইবারের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কিছু নেতার ছবি ফেসবুকে প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে হাদির সঙ্গে ঢাকা–৮ আসনে গণসংযোগ এবং বাংলামোটরে হাদির প্রতিষ্ঠিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের আড্ডায় ফয়সালের অংশ নেওয়ার ছবিও ভাইরাল হয়েছে। অনেকে ধারণা করছেন, ফয়সাল করিম ওসমান হাদিকে বেশ কিছুদিন ধরে অনুসরণ করছিলেন।
২০১৬ সালে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সহযোগিতা ও সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ‘ব্যাটল অব ৭১’ নামে একটি কম্পিউটার গেম তৈরি করেছিল ফয়সাল করিমের মালিকানাধীন ওয়াইসিইউ টেকনোলজি লিমিটেড। সে বছরের নভেম্বরে ওই গেমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেসিসের তৎকালীন সভাপতি এবং পরে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারও উপস্থিত ছিলেন।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘আসনভিত্তিক নির্বাচন পরিচালনা ও সমন্বয়ক কমিটি’ করেছিল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ঢাকা–১২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এই আসনের সমন্বয়ক কমিটির সদস্য ছিলেন ফয়সাল করিম।
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকার আদাবরের বাইতুল আমান হাউজিং সোসাইটি এলাকায় ব্রিটিশ কলাম্বিয়া স্কুলের চতুর্থ তলায় অফিসে অস্ত্রের মুখে ১৭ লাখ টাকা লুটের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় আদাবর থানার মামলার প্রধান আসামি ছিলেন ফয়সাল করিম।
মামলা হওয়ার কিছুদিন পর ৭ নভেম্বর আদাবর এলাকা থেকে ফয়সাল করিমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাঁর কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও পাঁচটি গুলিও উদ্ধার করা হয়। ওই মামলায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান ফয়সাল করিম। জামিনের সময়সীমা বাড়াতে গত ১২ আগস্ট আবারও আবেদন করলে হাইকোর্ট নতুন করে তাঁর এক বছরের জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিনে থাকা অবস্থায় এবার তাঁর বিরুদ্ধে ওসমান হাদিকে গুলি করার অভিযোগ এল। এত অল্প সময়ের মধ্যে তিনি কীভাবে জামিন পেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। কারণ, কোনো অপরাধমূলক কাজের প্রমাণ না থাকলেও অভ্যুত্থানের পর শুধু মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা সভা করায় গ্রেপ্তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাংবাদিকের জামিন বারবার নাকচ করা হয়েছিল। আর এ রকম লুটের ঘটনায় দুটি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিকে এতো দ্রুত জামিন দেওয়া হলো কীভাবে, সেই প্রশ্ন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন আলোচনা–সমালোচনায় সরব।

জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
হাদিকে গুলির ঘটনায় মাস্ক পরা দুই তরুণ জড়িত বলে তাঁর সহযোদ্ধাদের সন্দেহ। তাঁদের দাবি, কয়েকদিন ধরে দুই তরুণ মাস্ক পরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হাদির সঙ্গে গণসংযোগে অংশ নিচ্ছেন। বার বার তাঁদের মাস্ক খুলতে বলা হলেও তাঁরা রাজি হননি। হাদিঘনিষ্ঠদের সন্দেহ, এই তরুণরা হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর গতিবিধি বোঝার জন্য তাঁর সঙ্গে যুক্ত হন।
দুজনের মধ্যে মাস্ক পরা একজন হাদির পাশে বসে আছে— এমন একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই তাকে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ হিসেবে দেখিয়েছেন। তবে মাস্ক করা এই তরুণই যে হাদিকে গুলি করেছেন, কিংবা এই তরুণই যে ফয়সাল, তা নিশ্চিত করে বলছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে ‘সন্দেহভাজন’ হিসেবে শনাক্ত একজনের ছবি প্রকাশ করে ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ডিএমপির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট এলাকায় মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তদের হামলায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি গুরুতর আহত হন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেফতারে রাজধানীতে জোর অভিযান পরিচালনা করছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ছবির ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে সনাক্ত করা গেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তাকে হন্য হয়ে খুঁজছে। উক্ত ব্যক্তি সম্পর্কে কোন তথ্য থাকলে বা তার সন্ধান পেলে দ্রুত নিম্নলিখিত মোবাইল নম্বর অথবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে পুলিশকে জানানোর জন্য বিনীত অনুরোধ করা হলো।’
পুলিশের বিবৃতিতে এই তরুণের নাম উল্লেখ করা না হলেও ছবি দেখে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ বলে আন্দাজ করা যায়। এই তরুণকেও আগে হাদীর সঙ্গে দেখা গেছে। তবে গত কয়েকদিন ধরে হাদির সঙ্গে গণসংযোগে থাকা মাস্ক পরা তরুণটিই ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ এমন কোনো তথ্য পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত ৯ ডিসেম্বর বাংলামোটর এলাকায় হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়ে হাদির পাশে বসে আলোচনা শুনেছিলেন ফয়সাল করিম। সেই আলোচনার ছবিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ফয়সাল করিম নামের তরুণ কার্যক্রমনিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধঘোষিত সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হন। তাঁর পুরো নাম ফয়সাল করিম দাউদ খান।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে গুলিবিদ্ধ হন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা–৮ সংসদীয় আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ওসমান হাদি। হাদিকে বহনকারী রিকশাকে অনুসরণ করে পেছন দিকে থেকে মোটরসাইকেলে এসে তাঁকে গুলি করে চলে যায় আততায়ীরা। হাদি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার নামে ওসমান হাদির প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন জায়গায় তাঁর সঙ্গে ফয়সাল করিমের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সেই ছবিগুলোতে থাকা ফয়সাল করিমের সঙ্গে মাস্ক পরা ব্যক্তির চেহারার কিছুটা সাদৃশ্য আছে। সেকারণে গুলি ছোড়ার ঘটনায় তাঁকে সন্দেহ করা হচ্ছে।
এর মধ্যেই দুপুরে ডিএমপি সন্দেহভাজনকে শনাক্তের কথা জানায় এবং ওসমান হাদিকে গুলি করা ব্যক্তিকে ধরিয়ে দিতে পারলে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

পেশাদারদের যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইনে ফয়সাল করিমের নামে প্রোফাইল আছে। সেখানে তিনি নিজেকে অ্যাপল সফট আইটি, ওয়াইসিইউ টেকনোলজি ও এনলিস্ট ওয়ার্ক নামে তিন প্রতিষ্ঠানের মালিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
লিংকডইন প্রোফাইলের তথ্য অনুযায়ী, ফয়সাল করিম ২০১৩ সালে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটারবিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। পরে আরেকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি এমবিএ করেছেন বলে সেখানে উল্লেখ রয়েছে।
২০২৪ সালে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনকারীদের দমনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা–কর্মীদের সঙ্গে মাঠে ছিলেন বলে ছাত্রলীগের সূত্র জানিয়েছে।
ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় নাম আসার পর ফয়সাল করিমের সঙ্গে আওয়ামী লীগ আমলে বাংলাদেশের দুইবারের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কিছু নেতার ছবি ফেসবুকে প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে হাদির সঙ্গে ঢাকা–৮ আসনে গণসংযোগ এবং বাংলামোটরে হাদির প্রতিষ্ঠিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের আড্ডায় ফয়সালের অংশ নেওয়ার ছবিও ভাইরাল হয়েছে। অনেকে ধারণা করছেন, ফয়সাল করিম ওসমান হাদিকে বেশ কিছুদিন ধরে অনুসরণ করছিলেন।
২০১৬ সালে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সহযোগিতা ও সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ‘ব্যাটল অব ৭১’ নামে একটি কম্পিউটার গেম তৈরি করেছিল ফয়সাল করিমের মালিকানাধীন ওয়াইসিইউ টেকনোলজি লিমিটেড। সে বছরের নভেম্বরে ওই গেমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেসিসের তৎকালীন সভাপতি এবং পরে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারও উপস্থিত ছিলেন।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘আসনভিত্তিক নির্বাচন পরিচালনা ও সমন্বয়ক কমিটি’ করেছিল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ঢাকা–১২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এই আসনের সমন্বয়ক কমিটির সদস্য ছিলেন ফয়সাল করিম।
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকার আদাবরের বাইতুল আমান হাউজিং সোসাইটি এলাকায় ব্রিটিশ কলাম্বিয়া স্কুলের চতুর্থ তলায় অফিসে অস্ত্রের মুখে ১৭ লাখ টাকা লুটের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় আদাবর থানার মামলার প্রধান আসামি ছিলেন ফয়সাল করিম।
মামলা হওয়ার কিছুদিন পর ৭ নভেম্বর আদাবর এলাকা থেকে ফয়সাল করিমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাঁর কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও পাঁচটি গুলিও উদ্ধার করা হয়। ওই মামলায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান ফয়সাল করিম। জামিনের সময়সীমা বাড়াতে গত ১২ আগস্ট আবারও আবেদন করলে হাইকোর্ট নতুন করে তাঁর এক বছরের জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিনে থাকা অবস্থায় এবার তাঁর বিরুদ্ধে ওসমান হাদিকে গুলি করার অভিযোগ এল। এত অল্প সময়ের মধ্যে তিনি কীভাবে জামিন পেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। কারণ, কোনো অপরাধমূলক কাজের প্রমাণ না থাকলেও অভ্যুত্থানের পর শুধু মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা সভা করায় গ্রেপ্তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাংবাদিকের জামিন বারবার নাকচ করা হয়েছিল। আর এ রকম লুটের ঘটনায় দুটি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিকে এতো দ্রুত জামিন দেওয়া হলো কীভাবে, সেই প্রশ্ন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন আলোচনা–সমালোচনায় সরব।

ভালো একটা নিউজ হাতে পাওয়া একজন সংবাদকর্মীর কাছে লটারি জেতার মতো। ভাগ্য ভালো থাকলে মিলবে, না হলে নয়। একবার কুষ্টিয়ায় গিয়ে তেমনই সংকটে পড়তে হলো আমাকে। দিনকয়েক ঘুরেফিরে ভালো কোনো নিউজ মিলল না, যা পেলাম তাতে মন ভরে না। অনেকটা মন খারাপ করে একদিন বিকেলে গেলাম পাশের জেলা মেহেরপুরে।
৩০ জুলাই ২০২২
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮ হাজার ৫৯৭ জনকে। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
৩ দিন আগে
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
৫ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
১৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় করা হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
স্ত্রী লায়লা আফরোজ (৪৮) ও মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ (১৫) হত্যার ঘটনায় গতকাল মামলাটি করেন নাটোরের স্থায়ী বাসিন্দা আ জ ম আজিজুল ইসলাম। মামলায় কথিত গৃহকর্মী মোছা. আয়েশাকে (২০) একমাত্র আসামি করা হয়েছে। তবে এজাহারে তাঁর বাবার নাম ও ঠিকানায় ‘অজ্ঞাত’ লেখা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে মামলার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রকিবুজ্জামান তালুকদার। গতকাল সকাল ৭টা ৫১ মিনিট থেকে ৯টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে যেকোনো সময় এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এজাহারে বাদী আজিজুল লিখেছেন, তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। মোহাম্মদপুরে পরিবার নিয়ে থাকেন। চার দিন আগে উল্লিখিত আসামি তাঁর বাসায় খণ্ডকালীন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। গতকাল সকাল ৭টার দিকে তিনি (আজিজুল) তাঁর কর্মস্থল উত্তরায় চলে যান। কর্মস্থলে থাকাকালে তিনি তাঁর স্ত্রীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
পরে তিনি বেলা ১১টার দিকে বাসায় আসেন। এসে দেখতে পান, তাঁর স্ত্রীর গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটা। স্ত্রী রক্তাক্ত জখম হয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন আর মেয়ের গলার নিচে ডান পাশে কাটা। মেয়ে গুরুতর অবস্থায় বাসার প্রধান ফটকে পড়ে আছে। মেয়ের এই অবস্থা দেখে তিনি দ্রুত তাকে উদ্ধার করেন। পরিচ্ছন্নতাকর্মী আশিকের মাধ্যমে মেয়েকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
মামলায় আজিজুল আরও লিখেছেন, তিনি বাসার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করেন। এতে তিনি দেখতে পান, আসামি সকাল ৭টা ৫১ মিনিটের সময় কাজ করার জন্য বাসায় আসেন। সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের সময় আসামি তাঁর (বাদী) মেয়ের স্কুলড্রেস পরে বাসা থেকে পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থসহ অন্যান্য মূলবান সামগ্রী নিয়ে যান আসামি।
মামলায় বাদী লিখেছেন, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তিনি নিশ্চিত হন যে, অজ্ঞাত কারণে আসামি তাঁর (বাদী) স্ত্রী ও মেয়েকে ছুরি বা অন্য কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে হত্যা করেন।
মা-মেয়ে হত্যার আসামিকে শনাক্ত করা যায়নি। মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ জানায়, গৃহকর্মীর পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় করা হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
স্ত্রী লায়লা আফরোজ (৪৮) ও মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ (১৫) হত্যার ঘটনায় গতকাল মামলাটি করেন নাটোরের স্থায়ী বাসিন্দা আ জ ম আজিজুল ইসলাম। মামলায় কথিত গৃহকর্মী মোছা. আয়েশাকে (২০) একমাত্র আসামি করা হয়েছে। তবে এজাহারে তাঁর বাবার নাম ও ঠিকানায় ‘অজ্ঞাত’ লেখা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে মামলার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রকিবুজ্জামান তালুকদার। গতকাল সকাল ৭টা ৫১ মিনিট থেকে ৯টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে যেকোনো সময় এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এজাহারে বাদী আজিজুল লিখেছেন, তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। মোহাম্মদপুরে পরিবার নিয়ে থাকেন। চার দিন আগে উল্লিখিত আসামি তাঁর বাসায় খণ্ডকালীন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। গতকাল সকাল ৭টার দিকে তিনি (আজিজুল) তাঁর কর্মস্থল উত্তরায় চলে যান। কর্মস্থলে থাকাকালে তিনি তাঁর স্ত্রীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
পরে তিনি বেলা ১১টার দিকে বাসায় আসেন। এসে দেখতে পান, তাঁর স্ত্রীর গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটা। স্ত্রী রক্তাক্ত জখম হয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন আর মেয়ের গলার নিচে ডান পাশে কাটা। মেয়ে গুরুতর অবস্থায় বাসার প্রধান ফটকে পড়ে আছে। মেয়ের এই অবস্থা দেখে তিনি দ্রুত তাকে উদ্ধার করেন। পরিচ্ছন্নতাকর্মী আশিকের মাধ্যমে মেয়েকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
মামলায় আজিজুল আরও লিখেছেন, তিনি বাসার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করেন। এতে তিনি দেখতে পান, আসামি সকাল ৭টা ৫১ মিনিটের সময় কাজ করার জন্য বাসায় আসেন। সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের সময় আসামি তাঁর (বাদী) মেয়ের স্কুলড্রেস পরে বাসা থেকে পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থসহ অন্যান্য মূলবান সামগ্রী নিয়ে যান আসামি।
মামলায় বাদী লিখেছেন, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তিনি নিশ্চিত হন যে, অজ্ঞাত কারণে আসামি তাঁর (বাদী) স্ত্রী ও মেয়েকে ছুরি বা অন্য কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে হত্যা করেন।
মা-মেয়ে হত্যার আসামিকে শনাক্ত করা যায়নি। মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ জানায়, গৃহকর্মীর পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

ভালো একটা নিউজ হাতে পাওয়া একজন সংবাদকর্মীর কাছে লটারি জেতার মতো। ভাগ্য ভালো থাকলে মিলবে, না হলে নয়। একবার কুষ্টিয়ায় গিয়ে তেমনই সংকটে পড়তে হলো আমাকে। দিনকয়েক ঘুরেফিরে ভালো কোনো নিউজ মিলল না, যা পেলাম তাতে মন ভরে না। অনেকটা মন খারাপ করে একদিন বিকেলে গেলাম পাশের জেলা মেহেরপুরে।
৩০ জুলাই ২০২২
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮ হাজার ৫৯৭ জনকে। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
৩ দিন আগে
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
৫ দিন আগে
জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
১৪ দিন আগে